নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজী ভাইয়ের দক্ষ প্রধান উপদেষ্টার এক ঝলক।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭


তবে প্রফেসর ইউনুসও অতি ঘোড়েল লোক। যদিও ইতিমধ্যে তাঁকে সমালোচনা করার পথ বন্ধ করার প্রচেষ্টা চোখে পড়ছে।
প্রফেসর সাহেবের একটা গল্প শোনাই আপনাদের। অনেকদিন আগে পড়েছিলাম ওঁরই লেখা ‘গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন’ নামের বইতে।
ইউনুস সাহেবের বয়স তখন বছর বারো। বাবা মায়ের সাথে থাকেন চট্টগ্রামের ২০, বক্সির হাট রোডে। বই পড়তে পছন্দ করেন। কিন্তু সেই ৫ এর দশকে বাংলা বই খুব অপ্রতুল। সেসময় কলকাতা থেকে ছোটদের মাসিক পত্রিকা ‘শুকতারা’ প্রকাশিত হত। ইউনুস সাহেব ভাবছিলেন, কিভাবে এই পত্রিকা ফ্রি পাওয়া যায়।
সেসময় পত্রিকা ফ্রি পাওয়ার একটাই উপায় ছিল। বিভিন্ন পত্রিকা তার পাঠকদের জন্য প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। আগের সংখ্যার বিজয়ী প্রতিযোগীর নাম ঠিকানা পত্রিকা পরের সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এবং পুরষ্কার হিসাবে পত্রিকা বিশেষ ছয় মাস বা ১ বছরের ফ্রি সাবস্ক্রিপশন প্রদান করা হয়। এইসব আমরা এখনও দেখি। সেই ৫ এর দশকেও সেই সুযোগ ছিল।
এই পর্যন্ত পড়ে আপনি হয়তো ভাবছেন, ইউনুস এমন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন? তাঁতে কি সমস্যা? মেধাবী মানুষ, হতেই পারেন।
কিন্তু বিষয়টা তেমন নয়। ইউনুস সাহেব এক অভিনব পন্থা আবিষ্কার করেছিলেন। আমার ধারণা আজ ৭০ বছরও পরও সেই পন্থা কাজ করবে।
তিনি যেটা করেছিলেন, পূর্ববর্তী সংখ্যায় প্রকাশিত একজন বিজয়ীর নাম বেছে নেন। এবং সম্পাদক বরাবর চিঠি লিখেছিলেন, ‘মাননীয় সম্পাদক, আমি অমুক, একজন বিজয়ী প্রতিযোগী। আমার ঠিকানা বদল হয়েছে। এখন থেকে আমার বিনামূল্যে প্রাপ্য সংখ্যা বক্সির হাট রোডের অমুক ঠিকানায় পাঠাবেন।…’
তাঁর এই আইডিয়া অব্যার্থ ছিল। পরের মাস থেকে তিনি ফ্রি পত্রিকা পেতে থাকেন। কিন্তু তিনি ভাবেননি তিনি সত্যিকার বিজয়ীকে বঞ্চিত করেছেন।
অন্য মানুষের বিজয়কে নিজের নামে শিফট করে বেনিফিটেড হওয়ার কার্যকর পদ্ধতি, ইউনুস সাহেব ১২ বছর বয়সেই আবিষ্কার করেছিলেন।
এই ঘোড়েল লোকের সাথে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। এবং তাঁর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা বন্ধ করার সামাজিক প্রয়াস লক্ষণীয় ভাবে চোখে পড়ছে। তাঁকে মহামানব বানানোরও। হাসিনাকেও মা মা ডেকে তাঁরে পদতলে চুম্মাচাট্টি দিয়ে তাঁকে স্বৈরাচার বানানো হয়েছিল।
কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ লিখেছিলেন, যাদের স্বভাব দাস হওয়া, তারা শুধু প্রভু বদলাবে, স্বভাব বদলাবে না।
সুতরাং চোখ কান খোলা রাখছি।
©মামুন ভাই

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৩

নয়া পাঠক বলেছেন: যাক তবুও ভালো তিনি অন্য একজন বিজয়ীকে বঞ্চিত করে তবুও বই সংগ্রহ করে পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। স্বৈরাচারী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রয়কারী, লক্ষকোটি টাকা লুটপাটকারী, সাধারণ ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারী গুলি করে হত্যাকারী ফ্যাসিবাদী একজনকে বসালে নিশ্চয় অনেক ভালো হতো?

১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: নৈতিকতা প্রাকটিসের বিষয়। ডেল কার্নেগীর লেখাকে যেসব উচ্চাভীলাষী বুঝতে পারে না- তারাই অনৈতিক উপায়কে উপার্জনের বৈধ পথ মনে করে। যেমন আমাদের দেশের কর্মচারিরা দৈনিক প্রাপ্ত ঘুষকে দিন মজুরি মনে করে খায়। মাস মজুরি দিয়ে দামী ফার্নিচার বানায়।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৩

নতুন বলেছেন: বারো বছরের একটা ছেলের বই পড়ার জন্য করার দূনিতি তার ভবিষ্য জীবনে তাকে জাজ করতে ব্যবহার করতে হবে?

মানুষ পরিবর্তন হয়। জ্ঞান যখন বাড়ে তখন মানুষ তার অতীত থেকে শিক্ষা নেয়।

কিন্তু ভাবতে ভালো লাগছে যে যারা এই বিষয় নিয়ে সমালোচনা করছেন তারা কত বড় কামল মানুষ। তারা জীবনে কোন অন্যায় করেন নাই। যারা এই বিষয় উদাহন দেবেন তাদের দেখলেও সোয়াব হবার কথা।

১২ বছরের একটা ক্রিমিনালকে তারা ৮০ বছরেও মনে রেখেছেন।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০২

বাউন্ডেলে বলেছেন: নৈতিকতা প্রাকটিসের বিষয়। ডেল কার্নেগীর লেখাকে যেসব উচ্চাভীলাষী বুঝতে পারে না- তারাই অনৈতিক উপায়কে উপার্জনের বৈধ পথ মনে করে। যেমন আমাদের দেশের কর্মচারিরা দৈনিক প্রাপ্ত ঘুষকে দিন মজুরি মনে করে খায়। মাস মজুরি দিয়ে দামী ফার্নিচার বানায়।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২২

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনার মতো লোকজন আওয়ামী লীগের পক+ষে কথা বলায়, মানুষ আওয়ামী লীগের আরো বিরক্ত হচ্ছে।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনি বিরক্ত হচ্ছেন।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



দ: ইউনুসকে আমেরিকা ওখানে না'দিলে কোমলমতি শিবিরেরা ওখানে কোন জল্লাদকে দিতো।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: সেটা আছে। দেশের কয়েকটি যায়গায় যা ঘটেছে- ২৫শে মার্চ ম্লান হয়ে গেছে।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

পবন সরকার বলেছেন: সৎ চরিত্রবান কাকে দিবেন মানুষই খুঁজে পাচ্ছি না। নির্ভেজাল সৎ মানুষ খুঁজতে সুন্দর বন জঙ্গলে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: সৎ মানুষ তৈরী করতে হয়। আমাদের জগাখিচুরি শিক্ষা ব্যবস্থা সেটা দিতে অক্ষম।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি এসব সময় ক্ষমতা পছন্দ করেন উনি একাই গ্রামীণ ব্যাংক সহ ৫০টি প্রতিষ্ঠানের এমডি ছিলেন।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: উনি অত্যান্ত উচ্চাভিলাষী মানুষ। উনার দ্বারা অনেক কিছুই সম্ভব।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: @ পবন সরকার,নিজেকেও আপনি সৎ মনে করেন না।এই সত্য প্রকাশ্র জন্য ধন্যবাদ।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: অনেকের মতো উনিও ।

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে সংগ্রাম করে ২০১১ সালে বাংলাদেশ মিলিটারীকে বিএনপি-জামাত থেকে সরায়ে ছিলো; সেই মিলটারী যে, উনার থেকে সরে গেছে, সেটা উনি টের পাননি; এই নির্বোধের কারণে স্বাধীনতাকামীরা শিবিরের শিকারে পরিণত হয়েছে।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের প্রতিটি দেশে এ ধরনের পট পরিবর্তন সকাল-বিকাল ঘটে। আমাদের দেশও ব্যাতিক্রম নয়। টানাটানির সংসারে প্যান-প্যানানি, অনশন,নির্বাসন, বল প্রয়োগ, কক্ষ দখল, বাজার মারিং-কাটিং, দায়িত্ব বদল, ক্যু এসব থাকবেই।
আট ভাইবোনের সংসারের একটা ঔষধের দোকান আমার দায়িত্বেই ছিলো। একদিন সকালে উঠে দেখি পকেটে রাখা চাবি,,ড্রয়ারের চাবি গায়েব। প্রেসিডেন্ট বললেন “ গো টু পড়ার টেবিল” তোর মেজ ভাই এখন ব্যবসা/জমি দেখবে ।

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:১৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নৈতিকতা প্রাকটিসের বিষয়। ডেল কার্নেগীর লেখাকে যেসব উচ্চাভীলাষী বুঝতে পারে না- তারাই অনৈতিক উপায়কে উপার্জনের বৈধ পথ মনে করে। যেমন আমাদের দেশের কর্মচারিরা দৈনিক প্রাপ্ত ঘুষকে দিন মজুরি মনে করে খায়। মাস মজুরি দিয়ে দামী ফার্নিচার বানায়।


ইন্ট্রিগ্রিটি প্রাকটিসের বিষয়।

দেশের বেশিরভাগ মানুষই গড়ে উঠেনাই এটা ঠিক।

ব্যক্তিগত লাভ বা ক্ষতি উপরে থেকে নিজের আদর্শে অটল খুবই কম মানুষই থাকে দেশে। এদের সংখ্যাটা কম।

কিন্তু নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা দিলে অবশ্যই তারা ইন্ট্রিগিটি অর্জন করতে পারবে। কঠিন তবে অসম্ভব না।

১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: নতুন প্রজন্মকে আমাদের রাজনীতিবিদ এবং শিক্ষকরা নষ্ট করে ফেলেছেন। ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও দুনীতি দেশকে গ্রাস করছে। শিক্ষায় সফলতা যোগ্যতার মাপকাঠি কোন সরকারই অনুসরন না করায়-হতাশা প্রকট হচ্ছে। বর্তমানে যে ভাবে, যে নীতিতে পদায়ন/ পদচ্যুতি হচ্ছে, তাতে অন্ধকার আরও ঘনিভুত হচ্ছে। ’৭১ এর চেয়েও চরম মুল্য হয়তো জাতিকে দিতে হতে পারে।

১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



তবে উনি চালাক বলেন আর বুদ্ধিমান বলেন নিজের বুঝ ভালোই বুঝেন।
উনার সব মামলা উঠে গছে।
ট্যাক্সও হয়তো দিতে হচ্ছে না।

১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: উনি আপাতত সমন্বয় এর চেষ্টা করছে। তবে উপদেষ্টাদের মত প্রকাশের স্‌বাধীনতা না থাকলে জগা থাকবে না।

১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০০

ধুলো মেঘ বলেছেন: এই ইমতিয়াজ মাহমুদ নামের ছাগলটার আর কোন কবিতা আপনার জানা আছে?

যে দাস, সে আবার প্রভু বদলায় কিভাবে? দাসের তো কোন স্বাধীনতাই নেই।

হাসিনা ১০ বছর বয়েসে যাকে প্রভু মেনেছে - এই ৭৬ বছর বয়েসেও তারই দাসত্ব করছে।

১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: এটা আস্থার ব্যাপার ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.