![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কতদিন কার্নিশবিহীন খোলা ছাদে বসে আকাশ দেখিনা...করা হয়না স্মৃতি রোমন্থন...কতদিন দেখিনা স্বপ্ন আমার নষ্ট অতীতকে...কতদিন হয়ে গেল পাপবোধে জর্জরিত হইনা...আহ...কতদিন !!!!!
ছিলাম শাহবাগে, প্রায় ঘন্টা দুই। কিছু উপলব্ধি...
এক, আন্দোলনের অনেকাংশই গণমানুষের হয়ে গেছে। বিভিন্ন মঞ্চের দেশাত্ববোধক গানের সাথে সাথে পাশের চা বেঁচা ছেলেটাও সুর মেলাচ্ছে। খুব সুন্দর একটা দৃশ্য। যারা ওখানে আছেন সবাই খুব উপভোগ করছেন সময়টা।
দুই, প্রতিটা মঞ্চের মাঝেই প্রতিযোগিতা চলছে কে কার চেয়ে জোরে মাইক বাজাতে পারে। একটা মঞ্চ থেকে একটু দূরে সরলেই কানে শুধু ক্যাচক্যাচ আওয়াজ ছাড়া কিছুই আসেনা। এতোদিন হয়ে গেলো আন্দোলনটা। সাউন্ড সিস্টেম আরেকটু ভালো করা যায় কিনা এ ব্যাপারে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তিন, কেন যেন মনে হলো আগের দিনগুলোর চেয়ে আজকে লোক কম। হয়তো কিছুটা ক্লান্ত সবাই, হয়তো কালকের দ্বিতীয় ঘোষনাটা আর শুনেননি কেউ। যাই হোক তবুও যারা আছে অগ্নিকন্ঠই তাদের। ভালোই সামলে নিচ্ছেন ব্যাপারটা।
চার, বেশীরভাগ মঞ্চের স্লোগান, গান, নাটক পরিবেশনা খুবই সাবলীল, দ্রোহের মন্ত্রে উজ্জ্বল, আর খুব অল্প কিছু মঞ্চ কিছুটা দলীয় দোষে দুষ্ট। তাতে সার্বিক আন্দোলনের চেহারায় কোন ভাটা পড়েনি।
পাঁচ, চমৎকার একটা উপলব্ধি হলো আজ। রাজাকারের ফাঁসি চেয়ে নির্দলীয় তরুনরা যখন দেশের গানের সাথে সুর মেলাচ্ছে আমি স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি শিরাগুলো ফুলে উঠেছে তাদের গলার। এই আওয়াজটা উঠে আসছে তাদের বুকের ভেতর থেকে। যে মানুষগুলি হয়তো মুন্নি বদনাম হুয়ি বা শীলার তালে তালে সুর মিলায়েই দিনটা অলস পার করে দিতো আজ তারাই গাচ্ছে "পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্তলাল, রক্তলাল, রক্তলাল।"
আমার মতো ছাপোষা চাকুরিজীবিরাও অফিসের পর একটা সময় করে যাচ্ছে ওখানে রাজাকারের ফাঁসি চেয়ে। দেশের প্রতি দরদ নিয়ে। সত্যিকার অর্থেই দেশকে ভালোবাসা তরুনদের বিশাল একটা অংশ আজ কীবোর্ড ছেড়ে রাস্তায় মুষ্টিবদ্ধ হাতে।
যদি দেশকে একটু হলেও বদলে দেয়া যায় তবে সেটা সম্ভব তারুন্যের এই শক্তিকেই কাজে লাগিয়ে। আমার হঠাত করেই মনে হলো, আজ যদি শাহবাগ থেকে ঘোষনা আসে শপথের, ঘোষনা আসে আর জীবনে কোনদিন দেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবোনা, কোন দূর্নীতি অন্যায় প্রশ্রয় দিবোনা, আজীবন মায়ের মত ভালোবাসবো দেশটাকে...আমার মনে হয় সবাই সেই শপথে এক কথায় অংশ নিবে। এই বিশাল তারুন্যস্রোত থেকেই বের হয়ে আসবে সোনার ছেলেরা। একটাই কামনা, এই তারুন্য যেন সফলকাম হয়। কোন দলীয় পরিচয় যেনো এদের ঘিরে ফেলতে না পারে। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারুন্যের এই পদক্ষেপ স্যালুট-যোগ্য।
পরিশেষে, রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ চাই।
বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হোক।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার কবিতাটি।
বাংলাদেশের জয় হোক।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
বোকামন বলেছেন:
গর্জে ওঠো জনতা ।। পুনরায়! সেই ৭১এর মতো।
জয় বাংলা
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: আরেক একাত্তর ফিরে আসুক বারবার, দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে।
জয় বাংলা।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
টানিম বলেছেন: হুম । ভাল লাগলো। ভালয় ভালয় শেষ হলেই ভাল ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: শেষ হোক এটা আমি চাইনা। কারণ সেক্ষেত্রে আর দশটা টিপিক্যাল আন্দোলনের মত এটার অস্তিত্ত্ব বিলীন হয়ে যাবে। রাজাকারের ফাঁসি চাই। এটাই হোক শেষ কথা। এই দাবী আদায় না হলে ঘরে ফেরা উচিত না।
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ চাই।
বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হোক।
জয় বাংলা!
সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে শাহবাগ জিতবেই, এখন আলটিমেটাম দেওয়ার সময়, আর এভাবে হয়না
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১০
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: আমি একমত ভাই। এখন যদি আলটিমেটাম না দেয়া তবে কিছুটা ভুল বা দেরী হয়ে যাবে বলেই আমার ধারনা। জনস্রোত কতদিন অপেক্ষা করবে সেটাই দেখার বিষয়। অপেক্কাহ কেনই বা করবে।
এই বাংলায় রাজাকারের স্থান নাই।
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পরিশেষে, রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ চাই।
বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হোক।
পোস্ট এ +++++
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৬
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ আপু কষ্ট করে পোস্টটি পড়ার জন্য।
রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ চাই।
৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৫
htusar বলেছেন: কেন যেন মনে হলো আগের দিনগুলোর চেয়ে আজকে লোক কম। হয়তো কিছুটা ক্লান্ত সবাই, হয়তো কালকের দ্বিতীয় ঘোষনাটা আর শুনেননি কেউ
হতেই পারে। তবে যারা এই আন্দোলনের সাথে আসলেই একাত্ম, তারা ঠিকই শাহবাগে থাকবে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: হা সেটাই দেখলাম। এজন্যই তো লিখলাম লোক একটু কম থাকাতে বাকি যারা আছেন তাদের ভূমিকাটা আরো বেশী শক্ত হয়েছে। ভালই সামলে নিচ্ছেন যারা এখনো ওখানে আছেন।
স্যালুট এ যুগের যোদ্ধাদের।
৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৪
এস বাসার বলেছেন: হবে, সব হবে।
কিছুদিন আগেও বলতাম কিছুই হবেনা। অথচ এখন বলছি হবে, সব হবে। অন্ধকারের রাত পেরিয়ে আলো ফুটবেই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৭
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: আমারো বিশ্বাস ভাই। এবার হবে। এরকম একটা একতাবদ্ধ বাংলাদেশেরই দরকার ছিলো।
জয় বাংলা।
৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
যেড ফ্রম এ বলেছেন: জয় বাংলা!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: জয় বাংলা !!!
৯| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১১
আকাশ সাগর বলেছেন: আপনার চমৎকার লেখাটি পড়লাম, যদিও অনেকদিন পরে। আজ মে মাসের চৌদ্দ তারিখ। জানিনা আমার এই মন্তব্য আপনার চোখে পড়বে কিনা। জানতে ইচ্ছা করছে এখন শাহাবাগের আন্দোলন নিয়ে আপনি কি ভাবছেন?
১০| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৮
zaki642 বলেছেন: কোথায় হারিয়ে গেল শাহবাগের দিনগুলো সেই......আজ আর নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
মশামামা বলেছেন: ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
ফিরে এসো বাছাধন - সুস্থ জীবনে
বাঙালী হয়ে প্রজন্ম চত্বরে এসে জড়ো হও -
রাজীব হত্যার ক্ষমা চেয়ে পবিত্র করো কণ্ঠ তোমার,
মুখে তোলো একটাই স্লোগান -
'জয় বাংলাদেশ; রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদ নিপাত হোক।'
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
সবার সামনে এসে প্রকাশ্যে বলো -
আমি দ্বিধাহীন, বিবেকবোধে সমুজ্বল তোমাদের মতই,
আমি বাংলায় জন্মেছি, বাংলায় একাত্ম, বাংলায় গান গাই
আমি তোমাদেরই সন্তান ও ভাই।
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
উচ্চস্বরে বলো - আমি লজ্জিত, আমি ভারাক্রান্ত,
আমি মুসলমান; তবে উন্মাদনা নয়, ত্যাগ ও শান্তিই আমার ধর্ম,
আমি জানি - শিবির মানেই উন্নাসিক, মানসিক রোগীদের আস্তানা
করজোড়ে প্রার্থণা করো - প্রজন্মের কাছে প্রজন্ম চত্বরে এসে -
'আমার ভুল হয়ে গেছে; আমায় ক্ষমা করো ।
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
আমিও আজ তোমাদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই -
'জয় বাংলাদেশ; যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদের মৃত্যু হোক।
জামাতীবাদ নিপাত যাক, সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক,
মানবতাবাদের জয় হোক, বাংলাদেশের জয় হোক।'
ওহে জনতা, জেগে ওঠো -
আর একটিবার মুক্তির স্লোগানে মাতো আর বলো -
সারাদেশ জাগ্রত হোক, গোটাজাতি এক হোক
এখনি সময়, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার
পবিত্র মাটির রক্তের ঋণ পরিশোধ করবার