নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় শহর ব্রাক্ষণবাড়িয়া

আমাদের ব্রাক্ষণবাড়িয়া

আমাদের ব্রাক্ষণবাড়িয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫১



তিতাস পাড়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো। চলুন দেখে আসি।



ফারুকী পার্কের স্মৃতিস্থম্ভ

রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দক্ষিণাংশে ফারুক পার্কে গঠন শৌকর্যে অতি মনোরম একটি শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরেই বাংলাদেশে দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য স্মৃতিসৌধ এটা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্ত্তর স্থাপন করেন কুমিল্লার পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ও উপ-অঞ্চল ১২র উপ-আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসক বিগ্রেডিয়ার আ ম সা আমিন পি এস পি ১৯৮৪ সালের ১৯শে মে। ১৯৮৫ সালের ২৯শে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ও চীফ মার্শাল ল’ এডমিনিস্ট্রেটর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এনডিসি, পিএসসি এটা উদ্ধোধন করেন।



কালভৈরব

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের গুরত্বপূর্ণ তীর্থস্থান মেড্ডার কালভৈরব মূর্তি। এটি বৃহত্তম শিবমূর্তি হিসেবেও বিখ্যাত। প্রায় দু’শ বছরর পূর্বে দুর্গাচরণ আচার্য নামক এক মৃত্তিকাশিল্পী স্বপ্নদ্রষ্ট হয়ে এটি প্রস্ত্তত করেছিলেন। কাল ভৈরব মন্দিরের স্থানটি সরাইলের বিখ্যাত জমিদার নূরমোহাম্মদ দান করেছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরপ্রতিষ্ঠার পূর্বে মেড্ডা ছিল তিতাস তীরবর্তী বাজার। দূর্গাচরণ প্রথমে তিতাস পঞ্চবঢী মূলে মূতিটি স্থাপন করেপুজার্চনার ব্যবস্থা করেছিলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধেরসময় পাক বাহিনী মুর্তিটি ভেঙ্গেফেলে। পরবর্তীতে এটি পুনঃনিমার্ণ করা হয়।



কেল্লা শহীদের দরগাহ



আখাউড়ার খড়মপুরেঅবস্থিত হজরত সৈয়দ আহম্মদ (রঃ) এর দরগাহ যা কেল্লা শহীদের দরগাহ নামে সমগ্র দেশে পরিচিত।কেল্লাশহীদের দরগাহ সর্ম্পকে যে কাহিনী প্রচলিত আছে তা হচ্ছে এই যে, সে সময় খড়ম পুরের জেলেরা তিতাস নদীতে মাছ ধরত। একদিন চৈতন দাস ও তার সঙ্গীরা উক্ত নদীতে মাছ ধরার সময় হঠাৎ তাদেরজালে একটি খন্ডিত শির আটকা পড়ে যায়। তখন জেলেরা ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে এবং খন্ডিত শিরটি উঠাতে গেলে আল্লাহরকুদরতে খন্ডিত শির বলতে থাকে ‘‘একজন আস্তিকেরসাথে আর একজন নাস্তিকেরকখনো মিল হতে পারে না। তোমরা যে পর্যন্তকলেমা পাঠ করে মুসলমান না হবে ততক্ষণআমার মস্তক স্পর্শ করবে না।’’ খন্ডিত মস্তকেরএ কথা শুনে মস্তকেরকাছ থেকে কলেমা পাঠ করে চৈতন দাস ও সঙ্গীরা হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে যায়। মস্তকেরনির্দেশ মোতাবেক ইসলামী মতে খড়ম পুর কবরস্থানেমস্তক দাফন করে। ধর্মান্তরিতজেলেদের নাম হয় শাহবলা, শাহলো, শাহজাদা, শাহগোরা ও শাহরওশন। তাঁরাই এ দরগাহের আদিম বংশধর।এই দরগাহের খ্যতি ধীরে ধীরে চর্তুদিঁকে ছড়িয়ে পড়ে। এ থেকেই শাহ পীর সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ ওরফে কেল্লাশহীদেরপবিত্র মাজার শরীফ নামে পরিচিতি লাভ করে। ২৬০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত দরগা শরীফের জায়গা তৎকালীন আগরতলা রাজ্যের মহারাজা দান করেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিকগণ অনুমান করেন যে, আওলিয়া হজরত শাহ জালাল (রঃ) এক সঙ্গে সিলেটে যে ৩৬০ জন শিষ্য এসেছিলেন হজরত সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ ছিলেন তাঁদের অন্যতম। তরফ রাজ্যেও রাজা আচক নারায়নের সঙ্গে হজরত শাহজালালের প্রধান সেনাপতি হজরত সৈয়দ নাসিরউদ্দিন যে যুদ্ধ পরিচালনা করেন সে যুদ্ধে হজরত সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ শহীদ হন এবং তাঁর মস্তক তিতাস নদীর স্রোতে ভেসে আসে। প্রতি বছর ওরসে কেল্লাশতীদের মাজারে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়।



নাটঘর শিবমন্দির

নবীনগর থানার নাটঘর গ্রামে একটি শিবমন্দির রয়েছে। তিনশ’ বছরেরও অধিককাল আগে গ্রামেরই একটি পুকুর খননকালে একটি শিবমূর্তি পাওয়া যায় এবং এ বিগ্রহের মাধ্যমেই শিবমন্দির প্রতিষ্ঠ করা হয়। কালো পাথরে তৈরী পাঁচ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এ বিগ্রহের বিশেষত্ব এই যে, এটি দ্বাদশভোজ এবং অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে বাঁশী ও সুদর্শন চক্রও ধৃত রয়েছে। অথচ হিন্দু শাস্ত্রে মুরলীধর বলতে একমাত্র কৃষ্ণকেই বোঝায় এবং সুদর্শনচক্র বিষ্ণুর। অন্যান্য হাতে রয়েছে ত্রিশূল, গদা, ডুগডুগি ইত্যাদি। এ মন্দিরটিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর শিব চতুর্দশীর পুণ্য তিথিতে ভক্ত-পুণ্যার্থীদের সমাগমে তিনদিনব্যাপী এক বিরাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.