নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেষ রাতের নামাজ অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। যাকে তাহাজ্জুদের নামাজ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ নামাজ সুন্নত।
সব প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি রাব্বুল আলআমিন। দরুদ ও সালাম প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, যিনি মুমিনের ঈমান। তাঁর পরিবারবর্গ ও বংশধর, সাহাবায়ে কিরাম (রা.), আল্লাহর নেককার বান্দাদের ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষণ হোক অঝোর ধারায়। নিশ্চয়ই শুভ পরিণতি কেবল মুত্তাকিদের জন্যই নির্ধারিত।
রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ হলো সুন্নাত, আল্লাহতায়ালার মাহবুব বান্দাদের অভ্যাস আর আল্লাহর সঙ্গে বান্দাদের গভীর সম্পর্ক স্থাপন তথা নৈকট্য ও সন্তোষ অর্জনের অন্যতম পন্থা। তাহাজ্জুদের ফজিলত প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ কায়েম করুন; এটা আপনার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়,শিগগিরই আল্লাহ আপনাকে উভয় জগতে বাঞ্ছিত মর্যাদায় ভূষিত করবেন ।’ (সূরা বনি ইসরাইল : ৭৯)।
আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে আরো বলেন, "তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশঙ্কার সঙ্গে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদের যে রুজি প্রদান করেছি, তা থেকে তারা দান করে।"(সূরা সিজদা : ১৬)।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে নিয়মিত এ নামাজ পড়তেন। এমনকি সাহাবায়ে কিরামকেও এ নামাজ নিয়মিত পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। আল কোরআনে তাহাজ্জুদ নামাজের কথা বিশেষভাবে বলা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে তাহাজ্জুদ নামাজ মন ও চরিত্রকে নির্মল ও পবিত্র করে। সত্যপথে অবিচল থাকতে পথ দেখায়। আল্লাহর নৈকট্যলাভে সহযোগিতা করে। তা ছাড়া যারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে, আল্লাহ তাদের তাঁর প্রিয় বান্দা বলেছেন। পাশাপাশি তাদের নেকি ও ইমানদারির সাক্ষ্যও দিয়েছেন।
"কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।" সুরা ফুরকান, আয়াত ৬৪।
তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিসে এসেছে," ফরজ নামাজের পর অন্যান্য সুন্নত ও নফল সব নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সবচেয়ে বেশি।" মিশকাত।
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "আমাদের প্রভু প্রতি রাতে দুনিয়ার আসমানে (যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়) নেমে আসেন; যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। এরপর তিনি বলতে থাকেন, তোমাদের কে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দেব, কে আমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।" মুসলিম, মিশকাত।
বৈবাহিক জীবনেও এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে, যে ফজিলত আল্লাহ স্বামী ও স্ত্রীকে দান করবেন; যদি তারা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ে একজন অন্যজনকে সহযোগিতা করে।
আসুন, আমরা তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করি, মনকে পবিত্র করি, আল্লাহর প্রিয় বান্দা হই। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার তওফিক দান করুন। আমিন।
১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:১১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল ভাই,
আল্লাহ আমাদের সকলকে ধর্মের সকল বিধিবিধান যথাযথ ভাবে পালন করার এবং বেশী বেশী তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার তওফিক দিন।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: নাস্তিক মানূষেরা এস মানে না।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অসীম এই মহাবিশ্বে অসংখ্য উদাহরন রয়েছে চিন্তাশীল মানুষের জন্য।
আমরা যে যেই ধর্মের ই অনুসারী হইনা কেন ,প্রত্যেক ধর্মের ই কিছু সাধারণ নিয়ম রয়েছে যা মেনে চলা মানুষ মাত্রের ই উচিত।
আমরা যদি ধর্মের অনুসরন না করি বা নিয়মকানুন মেনে না চলি ,সৃষ্টিকর্তার কোন ক্ষতি নেই বরং তা আমাদের জন্যই ক্ষতিকর। কারন সম্মানিতকে সম্মান করার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে নিজেকেই সম্মানিত করা হয়।
পরওয়ারদিগার মহামহিম আল্লাহ,আমাকে-আপনাকে ভালবেসে আমদের সকলকে সুন্দর আকৃতি ও প্রকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন।আর আমাদের দিয়েছেন চিন্তা করার ও স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা।ধর্ম মানা না মানা সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত ব্যাপার।কারন প্রত্যেক মানুষ ই তার কৃতকর্মের জন্য সেই ব্যক্তিগত ভাবে সৃষ্টিকর্তার নিকট জবাবদিহী করবে।অন্য কেউ তার হয়ে সৃষ্টিকর্তাকে জাবাবদিহী করবেনা এমনকি তার মা-বাবা,স্ত্রী-পুত্র - কন্যা কেউনা।
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির বিশালতা উপলব্ধি করতে আমাকে - আপনাকে তওফিক দান করুন, এবং তওফিক দান করুন তাকে জানার ,চেনার ও মেনে চলার।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও রাজীব ভাই,
প্রথম পাতায় না আসার পরেও আপনি / আপনারা যে কষ্ট করে আমার লেখা পড়েন এবং মন্তব্য করেন। আপনাদের গঠনমূলক মন্তব্য ই কিছু লিখতে উৎসাহ যোগাবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমরা জানি কিন্তু মানিনা।
হায় আফসুস । কেমল মাত্র রমজান মাসেই তাহাজ্জুদ পড়া হয়।
শেয়ার করায় ধন্যবাদ।
++++++