নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সফল যারা কেমন তারা" - তাদের সাফল্যের রহস্য কি এবং দেশে তাদের সংখ্যা কত?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩



ছবি - গুগল।

"মানুষের জন্ম হয় সফলতার জন্য, ব্যর্থতার জন্য নয়" - এ অমোঘ বাণী সকল মানুষের জন্য।কিন্তু তারপরেও এ দুনিয়ার বেশীর ভাগ মানুষ ব্যর্থই থাকে। তাদের জীবনে সফলতা অধরা থেকে যায় সারাজীবন অক্লান্ত চেষ্টা করার পরও।আলৌকিক সফলতা আসে গুটি কয়েক মানুষের জীবনে ।কি এমন নিয়ম অনুসরন করেন সেই সফল মানুষগুলি যাদের সফলতা দেখে মানুষ ত মানুষ , আলাউদ্দিনের দৈত্যও লজ্জায় পরে যায়।
তারা হয়ত সেই সূত্র অনুসরন করেন ,"দ্রুত কাজ করে অন্যকে অতিক্রম করুন। আপনি যদি সেটি না পারেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনি খুব দ্রুত কাজ করতে পারছেন না।"কিন্তু তারা এত দ্রুত কাজ করেন যে একসময় তাদের এ দ্রুত গতির কাজই তাদের পতন ডেকে আনে।তারপরেও ন্যায়-অন্যায় ভূলে সাফল্যের এ প্রচেষ্টা সকল মানুষের সকল সময়ের।

বর্তমানে দেশে সফল ব্যক্তিদের মধ্যে যার নাম সবচেয়ে বেশী আলোচিত তিনি হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার আব্দুল মালেক । আসুন আমরা ড্রাইভার মালেকের সাথে পরিচিত হই-

১।নাম - আবদুল মালেক।
২।পেশা - ড্রাইভিং (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর)
৩।শিক্ষাগত যোগ্যতা - এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যদিও নেই তথাপি ধারনা করে নেয়া যেতে পারে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ভাল স্তরের।কেননা যে বিশেষ যোগ্যতার পরিচয় উনি উনার পেশাগত জীবনে রেখেছেন তার জন্য বিশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার একথা নি:সন্দেহে।
৪।বিশেষ যোগ্যতা - পরিশ্রমী ও প্রচন্ড ইচছা শক্তির অধিকারী।যার বলেই তিনি অসাধ্যকে সাধন করতে পেরেছেন।
সারা দেশে নিজেকে অনন্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।

৫।ধনসম্পত্তি - প্রাথমিক অনুসন্ধানে মালেকের স্ত্রীর নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় দুটি ৭ তলা বিলাসবহুল ভবন, ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম, রাজধানীর একাধিক এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট ,ধানমন্ডির হাতিরপুল এলাকায় সাড়ে চার কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ব্যাংকে মালেক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে অঢেল টাকা থাকার তথ্য মিলেছে।কিছুদিন ধরে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা মালেকের অবৈধ অর্থের অনুসন্ধান করছিল। সেই অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য থেকেই মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব।

আগামী জানুয়ারি মাসে অবসরে যাওয়ার কথা মালেকের। গতকাল সোমবার মালেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার আব্দুল মালেক গ্রেফতার হওয়ার পর এখন প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্য খাতে এই মালেকদের সংখ্যা কত? কীভাবে এই মালেক শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হলেন? তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীর আয়ের উৎস কী? অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু টেন্ডার, কেনাকাটা আর নিয়োগ-বদলির কমিশনেই মালেক আজ বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যখন যেই ডিজি এসেছেন তারই ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করেছেন এই ক্ষমতাধর কর্মচারী মালেক। বসের কাছে তদবির করে পেয়েছেন কমিশন। শুধু কমিশনের টাকায় যদি মালেক শতকোটি টাকার মালিক হন, তাহলে যারা কমিশন দিয়েছেন তারা কত টাকার মালিক হয়েছেন? সেই টাকা কোথায়? দেশেই আছে, না বাইরে পাচার হয়ে গেছে? ( ধনসম্পত্তির তথ্যউৎস - দৈনিক ইত্তেফাক -২২/০৯/২০)

এবার আমরা তার সাফল্যের কারন সমুহ বিশ্লেষণের চেষ্টা করি ।তার সাফল্যের কোন একক কারন নেই। এর পিছনে অনেকগুলো কারন বিদ্যমান বলে মনে হয়।যে গুলো হল -

১।ক. ইসলামী মূল্যবোধ ও আখেরাতে জবাবদিহিতার অভাব : মানুষ ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক পরিবেশ থেকে নৈতিক মূল্যবোধের প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে। যে জাতি ইসলামী শিক্ষায় তথা ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, যাদের তাকওয়া ও আখেরাতে জবাবদিহিতার বালাই নেই সে সমাজে এ জাতীয় কাজ সহজেই প্রবেশ করে। তার সাথে বাড়তে থাকে অনৈতিক কর্ম, দেখা দেয় হানাহানি, মারামারি ইত্যাকার বিষয়।
খ. সামাজিক পরিবর্তন : সমাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের কারণে সামাজিক মূল্যবোধেরও পরিবর্তন ঘটছে। সময় সময় সামাজিক অবস্থার প্রচন্ডতা বা পরিবর্তনের চাপে মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তার ভাব জন্মায়। এরূপ অনিশ্চয়তা হতে রক্ষার জন্য মানুষ বৈধ বা অবৈধ যে কোনো উপায়েই হোক না কেন টাকা-পয়সা ও ধন-সম্পদ অর্জন করতে চায়। ফলে এ জাতীয় সফলতার জন্ম হয় এবং তাদের হার বেড়ে যায়।
গ. বৈষয়িক কারণ : উন্নত দেশে ব্যক্তির বৈষয়িক সম্পত্তি এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতার ওপর সমাজে স্থান ও মর্যাদা নিরূপিত হয়। আমাদের দেশে সম্পদের স্বল্পতা ও অভাবের কারণে সরকার সব কর্মীকে পর্যাপ্ত ভাতা প্রদান করতে পারে না। ফলে সে সমাজের লোকজন জীবিকা নির্বাহের জন্য এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ বৈষয়িক ব্যাপারটি এ জাতীয় সাফল্যের অন্যতম কারণ।
ঘ. অর্থনৈতিক কারণ : এ জাতীয় সাফল্যের অন্যতম আরেকটি কারণ হলো অর্থনীতি। অভাবে যখন স্বভাব নষ্ট হয়, তখন সে নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে অসৎ পথে আয় করতে চায়। সীমিত আয়, অর্থাভাব, আয়ের তুলনায় বেশি ব্যয়, সন্তানের খরচ জোগানো ইত্যাদি কারণে এ জাতীয় সাফল্যের দিকে নজর বেশী থাকে।
ঙ. প্রকৃত শিক্ষার অভাব : বর্তমান সমাজে এ সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করছে, সার্টিফিকেট নিয়ে বেরিয়ে আসছে। কিন্তু তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে তারা যখন বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে সোনার হরিণ নামক চাকরি পেয়ে যায় আর তারাই আবার দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মে অবলীলাক্রমে জড়িয়ে পড়ে এ রকম সাফল্যের জন্য মনপ্রাণ দিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে।
এ ছাড়াও আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতি,আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার,আমলাতন্ত্রের দৌরাত্ম্য,স্বার্থপরতা ও স্বজনপ্রীতি,অতি লোভ, উচ্চাভিলাষ, বিলাসিতাপূর্ণ মানসিকতা ও সম্পদ আহরণে অসম অন্যায় ও প্রতারণামূলক প্রতিযোগিতা,কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব,মেধা, যোগ্যতা ও কর্মের যথাযথ মূল্যায়নের অভাব,দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থা না থাকা এবং তাদের ঘৃণার চোখে না দেখা - সর্বোপরী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না থাকার ফলে এ জাতীয় সফলতার দিকে মানুষ অধিক পরিমানে ধাবিত হয়।

কিভাবে এ সফলদের / সফলতার হার রোধ করা যাবে -

১।তাকওয়া - তাকওয়া অর্থ আল্লাহভীতি। তাকওয়া বলতে বুঝি কোনো এক অদৃশ্য ভয়, যা আমাকে সার্বক্ষণিক তাড়া করে ফিরে। কাজেই জীবনের প্রতিটি কাজ সম্পাদন এবং প্রতিটি কথা বলার সময় যদি আল্লাহর ভয় আমাদের তাড়া করে তাহলে আমরা নিজেদের অন্যায় কাজ থেকে রক্ষা করতে পারব। যিনি তাকওয়ার পথ অবলম্বন করেন, তিনি মুত্তাকী। এর ফলে সে সকল প্রকার দুর্নীতি বা অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে।তাকওয়ার গুণ ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ব্যক্তি বিশ্বাস করেন, আল্লাহ আমার সব কর্মকান্ড গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করছেন। এ ধরনের বিশ্বাসের বাস্তব প্রতিফলনের নাম তাকওয়া তথা আল্লাহর ভয়। এরূপ বৈশিষ্ট্যের লোক দ্বারা দুর্নীতি সংঘটিত হওয়া আদৌ সম্ভব নয়। এমনিভাবে অন্যান্য ইবাদাতগুলো সম্মিলিতভাবে একজন ব্যক্তিকে ন্যায়নীতির ওপর চলার জন্য সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যায়।
২।ঈমান বিল-গায়েব : অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস। এটি এমন এক বিশ্বাস, যে বিশ্বাস সর্বদা পরাক্রমশালী এক সত্তার ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। যে সত্তা নিখিল বিশ্বের স্রষ্টা ও মহাপরিচালক, যিনি সর্বময় ক্ষমতা এবং সার্বভৌম শক্তির অধিকারী, যিনি বিশ্বজাহান পরিচালনা করছেন এক মহাপরিকল্পনা মোতাবেক, যিনি গোটা দুনিয়ার প্রতিটি অণু-পরমাণুর পূর্ণ খোঁজ-খবর রাখেন, মানুষের দৈনন্দিন কল্যাণ-অকল্যাণ, ভালো-মন্দ যার নিয়ন্ত্রণাধীন, প্রকৃতি রাজ্যের যিনি মালিক ও নিয়ন্ত্রণকারী।প্রত্যেকেই এক আল্লাহ ও রাসূলে বিশ্বাসী এবং প্রত্যেকেই এক আদমের (আ.) বংশোদ্ভূত, কাজেই ভ্রাতৃত্ব, পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ও সৌহার্দ্য ঈমানেরই অঙ্গ। ঈমানের এ ঐক্য মানুষের পার্থিব সব কার্যকলাপকে সুসংহত করে। সেহেতু আমরা একই মনিবের গোলাম, তাই একে অপরের ওপর জুলুম করতে পারি না
৩।নামায : আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় নামায খারাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। ‘‘আল-কুরআন, ২৯:৪৫।’ নামাযে পঠিত প্রতি আরবী বাক্যে বান্দা তার মহান প্রভুর দরবারে পুনঃ পুনঃ এ স্বীকৃতিই প্রদান করে যে, সে ভালো ও কল্যাণকর নীতির পক্ষে এবং দুর্নীতির বিপক্ষে কাজ করে। দৈনিক এভাবে পাঁচবার স্বীকৃতি প্রদানের ফলে এক সময় বাধ্য হয়ে সত্যিই সে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে এবং ভালো কাজে মনোযোগী হয়।
৪।যাকাত : সমাজের অধিবাসীরা একাধারে নৈতিক, কল্যাণকামী এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন পরস্পরের বন্ধু। আর যাকাত এ শিক্ষাই প্রদান করে থাকে। যেমন আল-কুরআনের ঘোষণা ‘ঈমানদার পুরুষ এবং ঈমানদার স্ত্রীলোকেরাই প্রকৃতপক্ষে পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। এদের পরিচয় এবং বৈশিষ্ট্য এই যে, এরা নেক কাজের আদেশ দেয়, অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে, নামায কায়েম করে এবং যাকাত আদায় করে, আল্লাহ ও রাসূলের বিধান মেনে চলে। প্রকৃতপক্ষে এদের প্রতিই আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন।’ ‘আল-কুরআন, ৯:৭১’ সুতরাং এ দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কখনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে পারে না।

এ জাতীয় সফলতার সমস্যার সমস্যার সমাধানের জন্য আপাতত দুর্নীতির আগে ন্যায়নীতির প্রতি গভীরভাবে দৃষ্টি নিবন্ধ করা প্রয়োজন। দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর নিমিত্তে সর্বপ্রথম ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার চিন্তা ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়োগ করতে হবে। এটিই উত্তম পন্থা এবং এ পন্থায় দুর্নীতি দমন সম্ভব।মহানবী (সা.) তৎকালীন অধঃপতিত সমাজকে দুর্নীতির গভীর খাদ থেকে উদ্ধারের নিমিত্তে এর ইতিবাচক দিক তথা ন্যায়নীতি বিকাশের উপর অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন।তাঁর মনের সবটুকু দরদ ঢেলে দিয়ে, একান্ত অকৃত্রিম হিতাকাংক্ষী সেজে ও অত্যন্ত কোমলভাবে মানুষকে বুঝিয়েছেন। যার স্বীকৃতি স্বয়ং আল্লাহ এভাবে করেছেন, ‘আপনি যে কোমল হৃদয় হতে পেরেছেন, তা আল্লাহর অনুগ্রহেরই ফল। কিন্তু আপনি যদি কঠিন হৃদয় ও কর্কশভাষী হতেন তাহলে তারা সকলে আপনাকে ছেড়ে চলে যেত।’ ‘আল-কুরআন, ৩ : ১৫৯’ আল্লাহ আরও বলেন, ‘ভালো ও মন্দ কখনও সমান হতে পারে না। মন্দকে ভালো পন্থায় প্রতিরোধ করো। তখন দেখবে, তোমার সাথে যার শক্রতা, সে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়েছে।’ ‘আল-কুরআন, ৪১ : ১৮’
মহানবী (সা.) মানুষকে তাওহীদ, রেসালাত ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এবং মানব কল্যাণমুখী সমাজ কায়েমের আহ্বান জানাতেন।আল-কুরআনে অঙ্কিত আখেরাতের ভয়াবহ দৃশ্য উপস্থাপন করতেন। পাশাপাশি চুরি, ব্যভিচার,মিথ্যা বলা, রাহাজানি করা, আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফেরানো প্রভৃতি কাজ থেকে বিরত রাখা এবং এ জাতীয় কাজের জন্য তাদের মনে ঘৃণা জন্মানোর চেষ্টা করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল আত্মার পবিত্রতা সাধন, মন-মানসে মলিনতা, শোষণ, জৈবিক ও পাশবিক পংকিলতাসমূহ প্রক্ষালন করে মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদাকে পুনরুদ্ধার করা। তিনি শারীরিক বশ্যতার আগে আত্মার আনুগত্যশীলতাকে উজ্জীবিত করেছেন। কারণ আল্লাহর ভয় যার মনকে বিচলিত করে না, মানুষের ভয় তাকে কীভাবে বিচলিত করবে?

আর এ সকল নিয়ম অনুসরন করেই মানুষ তথা সমাজ এ জাতীয় সফল মানুষের সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারবে / আনা যাবে এবং সমাজ থেকে সকল বৈষম্য দূর করা যাবে বলে আমার বিশ্বাস।


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

নাসরিন ইসলাম বলেছেন: এই ড্রাইভার সাহেব দেশের ভাবমূর্তি একদম ডুবিয়ে দিয়েছে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নাসরিন ইসলাম ,আপনার সুন্দর এবং প্রথম মন্তব্যের জন্য ।

আসলে ড্রাইভার সাহেব ত শিকলের একটি অংশ মাত্র।বর্তমানে আমাদের যার যার অবস্থানে সবার মাঝেই লোভের সর্বগ্রাসী রোগ বাসা বেধেছে।আর তাই সুযোগ পেলেই লোভের কাল জিহবা বেরিয়ে আসছে আমাদের মাঝ থেকে আর আমরা খেয়ে ফেলতে চাচছি সব কিছু নীতি নৈতিকতা ভূলে।
দেশে এ সর্বগ্রাসী লোভের অবসান কবে বা কিভাবে হবে জানিনা ,তবে পরম করুনাময় আমাদের সকলকে এ জাতীয় লোভের হাত থেকে হেফাজত করুন।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই সফলতার কোনো মানেই নেই।

শেষ কালে ভরাডুবি অসফল.......

একেই বলে ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ,কবিতা পড়ার প্রহর বহিন।এ জাতীয় সফলেরা অসফল নয় ,অসফল আসলে তারা যাদের বিবেক এখনো আছে মরেনি ,তারা।

আসলে যুগে-যুগে,কালে-কালে সফলদেরই জয়গান গাওয়া হয় আর ব্যর্থদের কেউ মনে ও রাখেনা আর ভাল ও বাসেনা।বর্তমানে এ জাতীয় সফলদের ই জয়জয়কার। ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত সবাই সাধু।আর ধরা যদিও পড়ে তার পরে সেই সাফল্যই তাকে মুক্তির পথ তৈরি করে দিবে।কারন দেবতাকে তৃপ্ত করার জন্য যথাযথ ভোগ সেই দিতে পারবে।

আর সবশেষে কিছু দিন পরে সবাই তার পাপের কথা ভূলে যাবে ।সাজা ভোগের পর সে দরবেশ বাবার শিষ্য হয়ে বের হবে।আর এখন-তখন সবসময় দরবেশ বাবাদেরই জয়জয়কার।

জয়তু দরবেশ বাবারা।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাইয়া লেখা দিয়েছি তো।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বহিন।
পড়েছি তবে সবমিলিয়ে বেদনাদায়ক পর্ব ।একবার ভেবেছিলাম এই পর্বে কোন মন্তব্য করব না ।ব্যাপোক বিলা X( (রাগ ) অইছি।এই জন্য।
তারপরেও মন্তব্য করলাম কারন এই দুনিয়ায় আমরা কেউই 100% নিখুঁত না ।দোষে-গুনে,ভাল-মন্দ মিলিয়েই আমাদের জীবন।দিলাম আপনার দিকে চেয়ে শুভ্র বেডারে, তার সকল অক্ষমতাকে ক্ষমা করে।

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হাহা বিলা হইলেন কেলা?

বুঝলাম না তো।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এমন একজনকে ভালবাসল জীবনে নামক যুদ্ধক্ষেএে যার কোন ভূমিকাই নেই । তও যদি ঘরের কাজগুলি ঠিকমত করতে পারত তাও মেনে নেয়া যেত।
আর জীবন নিয়া যার কোন পরিকল্পনা নাই,নাই ভালবাসার খুনসুঠি,পকেটে নাই পয়সা ,নাই উওরাধিকার সূএে পাওয়া দামী কিছু থাকার মাঝে শুধু আছে গতানুগতিক পাঠশালার সামান্য শিক্ষা তাও এখনো শেষ হয়নি ।আর এই শিক্ষা জীবন নামক যুদ্ধক্ষেএে কতটা কাজে লাগবে তাও অনিশ্চিত। তার মাঝে আসিতেছে দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার এক পাহাড়সমান চাপ(বাচচা )।এতদিন দুই বাচচা ছিল অভাব অভিযোগ মেনে নেয়া গেছে ত্যাগ ও সমঝোতার মাধ্যমে । আর এখন ত শুধু দায়িত্ব তাও নিজের আত্মজের।আর এখানে দায়িত্ব ঠিকমত পালন না করতে পারলে সংসার ষং সার হয়ে যাবে । আর তার ফলে ষং সার এ যে শূন্যস্থান পূরন হবে তা ভালবাসা নামক আবেগ দিয়ে পূরন হবেনা / হয়না। তার জন্য প্রয়োজন অর্থের।
আর বাচচা হবার পরে কঠিন বাস্তবতায় আবেগ ভাটা পরে যাবে তখন সংসারের ফাক / অভাবগুলি বড়ই করুনভাবে দৃষ্টিগোচর হবে ।সাথে সাথে সংসারের শান্তি চলে যাবে । এই জন্য রাগ (বিলা) হইছে।

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সবাই দেখছি শুভ্রের উপর নাখোশ হয়ে যাচ্ছে। শুভ্রের অসংখ্য অসংখ্য দোষের মাঝে বিশাল এক গুন আছে যা খুব কম মানুষের আছে। নিয়ে আসবো সে কথা।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভালাবাসা অন্ধ।গুন ত একটা অবশ্যই আছে । তা অইল বড় বেশি বালাবায় বনিরে

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ামনি তোমার থেকেও একটা গল্প শুনতে চাই। আই মিন ইওর লাভস্টোরি!!!


তাড়াতাড়ি শুরু করো!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.