নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - গুগল।
চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ ।পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক বলেছেন,"চরিত্রহীনা নারী চরিত্রহীন পুরুষদের জন্য, আর চরিত্রহীন পুরুষ চরিত্রহীনা নারীদের জন্য, চরিত্রবতী নারী চরিত্রবান পুরুষের জন্য, আর চরিত্রবান পুরুষ চরিত্রবতী নারীর জন্য। লোকেরা যা বলে তাত্থেকে তারা পবিত্র। তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা"।---সূরা আন নূর-২
"সুন্দর চরিত্র ফুলের চেয়েও পবিত্র আর খারপ চরিত্র ময়লার চেয়েও অপবিত্র"-সুন্দর চেহারা থাকলেই চরিত্র সুন্দর হয় না, কিন্তু সুন্দর চরিত্রের মানুষ সত্যিকারের সুন্দর মানুষ হয়।চরিত্র হলো এমন উত্তম স্বভাব যা মানুষকে মহৎ কর্মে উদ্বুদ্ধ করে। অনেকে বলেন, উন্নত চরিত্র এমন প্রশংসনীয়, যা মানুষকে পশুত্ব থেকে টেনে এনে সৃষ্টিকুলের সেরা আসন তথা আশরাফুল মাখলুকাতের মঞ্চে অধিষ্ঠিত করে। যে চরিত্রে মনুষত্বের যাবতীয় উত্তম গুণাবলীর সমাহার ঘটে, তাকেই প্রশংসনীয় চরিত্র বলে।
চরিত্রবান পুরুষ বা চরিত্রবতী নারী তথা স্বামী-স্ত্রী এ দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ একে অপরের জন্য।একজন নারীর সংশ্রব ব্যতীত পুরুষের জীবনের পরিপূর্ণতা আসে না। সুখে-দুঃখে নারীই মানুষের জীবনসঙ্গিনী। সুতরাং দাম্পত্য জীবনে এ নারী যদি পূত-পবিত্র সচ্চরিত্রবান হয়, তাহলে সংসার তথা জীবন স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। সমস্যাসঙ্কুল জীবনেও শান্তির ফল্গুধারা বয়ে যায়। যে শান্তি নারী-পুরুষের বৈবাহিক জীবনের মাধ্যমে শুরু হয়। বিবাহিত জীবনে নেককার স্ত্রীর গুরুত্ব অত্যধিক। তাই ইসলাম স্ত্রীকে দিয়েছে সর্বোত্তম মর্যাদা।
একজন স্ত্রীর ওপর নির্ভর করে ব্যক্তি ,পরিবার ,সমাজ, রাষ্ট্রীয় ও পরকালীন জীবনের কল্যাণ ও সফলতা। আবার একজন নারীর জন্য স্বামী নির্বাচনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে মানুষের সেরা সম্পদ নেককার স্ত্রী। আবার নেককার স্ত্রীর জন্য সেরা সম্পদ হল আদর্শবান স্বামী। তাই একজন নারী ,স্ত্রী হিসেবে যে সব গুণ সম্পন্ন পুরুষকে বিয়ে করলে ব্যক্তি ,পরিবার তথা সমাজের জন্য মংগলজনক তার মাঝে নেককার স্বামীর যেসব চারিত্রিক গুন অন্যতম তাদের মধ্যে পর্দা একটি অন্যতম অনুসংগ ।
ছবি - গুগল।
পর্দা ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান । কারন আল্লাহপাক মুমীন নর-নারী উভয়ের জন্য পর্দা ফরজ করেছেন।পবিত্র কোরআনের কয়েকটি সুরায় মহান আল্লাহপাক পর্দার বিধান সম্পর্কিত আয়াত নাজিল করার মাধ্যমে নর-নারী উভয়কে পর্দার আদেশ দিয়েছেন।তাই পর্দার বিধান মানা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ঈমানেরও দাবী।
আমাদের সমাজে নারীর পর্দার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে।অথচ মহান আল্লাহপাক নারীর পাশাপাশী পুরুষদেরকেও পর্দার নির্দেশ দিয়েছেন।তবে নারী-পুরুষের পর্দার জন্য আল্লাহপাক প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা সীমানা নির্ধারন করে দিয়েছেন।
আল্লাহপাক সুরা নূরে মুমিন পুরুষদেরকে দৃষ্টি অবনত রাখার মাধ্যমে পরনারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করতে নিষেধ করেছেন।মহান আল্লাহপাক বলেন ," হে নবী,মুমিন পুরুষদেরকে বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং পবিত্রতা রক্ষা করে চলে।এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম পন্থা।নিশ্চিয়ই তারা যা কিছু করেন আল্লাহ এ সম্পর্কে অবগত"। (সুরা নূর - ৩০)।
এরপর আল্লাহতায়ালা পর্দার সুফল ঘোষনা করে বলেন,"এই বিধান তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারন।-(সুরা আযহাব - ৫৩) ।
রসুল (সঃ) একাধিক হাদিসে পুরুষদেরকে পর্দার নির্দেশ দিয়েছেন।মুসলিম শরিফে বলা হয়েছে,"কোন পুরুষ কোন পুরুষকে এবং কোন নারী কোন নারীকে যেন বিবস্ত্র অবস্থায় না দেখে"।আলোচ্য হাদিসে একজন পুরুষকে অপর পুরুষ থেকেও পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও একাধিক হাদিসে একজন পরপুরুষ এবং পরনারীর দেখা সাক্ষাত করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।
রসুল (সঃ) বলেন,"সাবধান!কোন পরপুরুষ যেন কোন পরনারীর সাথে নির্জনে দেখা ও অবস্থান না করে " (বুখারী শরীফ - ৩০০৬)।
অতঃপর এর কুফল বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,"কেননা,যখনই তারা নিরিবিলিতে মিলিত হয় তখন শয়তান তাদের মাঝে তৃতীয়জন হয় এবং উভয়কে কুকর্মে মিলিত করার প্রচেষ্টায় তাদের পিছু লেগে যায়" ( তিরমিযি)।
রসুল (সঃ) আরও বলেন,"মহরামের অনুপস্থিতিতে কোন পুরুষ কোন নারীর সংগে নির্জনে দেখা করবেনা"( বুখারী শরিফ -১৮৬২)।অন্য একটি হাদিসে শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে হেফাজত থাকার জন্য পুরুষদেরকে সতর্ক করে বলেছেন,"স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন নারীর নিকট যেওনা।কারন শয়তান তোমাদের যে কোন একজনের মধ্যে রক্তের ন্যায় প্রবাহিত হবে"(তিরমিযি)।
তারপরও স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন নারীর ঘরে যদি একান্তই প্রবেশের প্রয়োজন হয় এ ব্যাপারে আল্লাহপাক সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়ে বলেছেন,"হে ঈমানদারগন - স্বামীর অনুমতি ছাড়া কারওর গৃহে প্রবেশ করবেনা "(সুরা নূর - ২৮)
আলোচ্য আয়াত থেকে বুঝা যায়,স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন নারীর ঘরে একান্তই প্রবেশের প্রয়োজন হলেও স্বামীর অনুমতি নেওয়া আবশ্যক হবে।কারন রসুল(সঃ) অনুমতি না নিয়ে কারও ঘরে উকি দিয়ে দেখলেও কঠিন শাস্তির ঘোষনা দিয়েছেন।
মোট কথা,ইসলামে নারীদের পাশাপাশী পুরুষদের জন্য ও পর্দা আবশ্যক করেছে যা উপরের আলোচনা হতে প্রতীয়মান হয়।পুরুষদের সহযোগীতা নারীদের জন্য পর্দা করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।তাই আল্লাহপাকের বিধান পর্দা পালনে পুরুষদেরকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
একজন পুরুষের জন্য নির্ধারিত কিছু সংখ্যক নারীকে দেখা ইসলামে জায়েজ বা বৈধতা রয়েছে। তারা হলেন -
১।মা (আপন ও সৎ মা উভয়) ২।দাদী-পরদাদী ৩।নানী-পরনানী ৪।মেয়ে (বৈপাত্রেয়া ও বৈমামাত্রিয়া মেয়ে ও দুধ মেয়ে) ৫।নাতনী (দুধ মেয়ে ও বৈপাত্রেয়া মেয়ের মেয়ে ) ৬।বোন (আপন,বৈপাত্রেয়া ,বৈমামাত্রিয়া ও দুধ ফুফু ) ৭।ফুফু (আপন,বৈপাত্রেয়া ও বৈমামাত্রিয়া ) ৮।খালা (আপন,বৈপাত্রেয়া, বৈমামাত্রিয়া ও দুধ খালা ) ৯।ভাতিজী ১০। ভাগ্নী ১১।দুধ মা (আড়াই বছরের মধ্যে যার দুধ পান করা হয়েছে) ১২। দুধ বোন ১৩।শাশুড়ি (শুধু আপন শাশুড়ি ) ১৪।ঔরসজাত ও দুধ পুত্রের বধু ১৫।অতি বয়সী মহিলা (যাদের প্রতি তাকালে আকর্ষন অনুভব হয়না )।
পরিশেষে একথা বলা যায় যে , পর্দার বিধান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।সমাজ থেকে খারাপ আচরণ,পাপাচার-অনাচার, ধর্ষন,অবাধ যৌনতা ইত্যাদি রোধ করার ক্ষেত্রে পর্দা প্রথা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।পর্দা প্রথা অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজ,রাষ্ট্র থেকে এ জাতীয় অপরাধ নির্মুল করা সম্ভব ।মহান আল্লাহপাক নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে পর্দা প্রথার গুরুত্ব অনুধাবন করার ও পর্দা প্রথা অনুসরন করার তওফিক দিন।তওফিক দিন সকল ফেতনা ফ্যাসাদ থেকে নিজেকে হেফাজত করার এবং উন্নত ও নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হওয়ার তথা দেশ ও সমাজ থেকে সকল যেনা-ধর্ষন,ব্যাভিচার রোধ করার।
রি-পোস্ট
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কানিজ রিনা ,আপনার প্রথম মন্তব্যের জন্য।
আসলে এ দুনিয়ায় সবাই সবকিছু বিচার করে বা বলে তার নিজের সুবিধার দিক বিবেচনা করে।তা সেটা ধর্মীয়,সামাজিক বা রাজনৈতিক যাই হোক না কেন । নিরপেক্ষ দৃষ্টিভংগিতে খুব কম মানুষ ই যে কোন বিষয়ের মূল্যায়ন করে।
আমাদের সমাজে সবাই নারীর পর্দার প্রতি যতটা জোর দেয়ার চেষ্টা করেন পুরুষের পর্দার প্রতি তারা ততটাই উদাসীন থাকেন।অথচ ধর্মে নারী-পুরুষ উভয়েরই পর্দার প্রতি নির্দেশ রয়েছে। আর পাপের শুরুটা পুরুষ থেকেই হয় নারী থেকে নয়।
আল্লাহ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের সকলকে পর্দা প্রথা অনুসরন করার তওফিক দিন।
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
তবে বর্তমান সমাজে কেউই ইসলামের নিয়ম মেনে চলছে না। কেউ না।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে আমাদের চারপাশে বুঝার,জানার এবং মেনে চলার অনেক বিষয় আছে ।যা জানলে আখেরে আপনার-আমার-আমাদের সকলের জন্যই মংগলজনক।তবে পরিস্থিতি ,অবস্থা এবং অবস্থানের প্রেক্ষাপটে আমরা হ্য়ত মেনে চলিনা তা ভিন্ন ব্যাপার।আর পর্দা শুধু ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের ই জন্য নয় বরং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল ধর্ম মতের অনুসারীদেরই প্রয়োজন তাদের সর্বাংগীন কল্যাণ ও মংগলের জন্য।
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: চরিত্র বান মুসলিম পুরুষ যদি চরিত্র বান হিন্দু নারীকে বিবাহকরে বা চরিত্র মুসলিম নারী যদি চরিত্র বান হিন্দু পুরুষ কে বিবাহ করে তখন লোকেরা কি বলবে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।
"তোরা যে যা বলিস ভাই,আমার সোনার হরিন চাই"- আসলে আমরা এখন কেউ কে কি বলবে বা বলছে এ নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত না ।আমরা তাই করছি যা আমাদের মনে চাচছে।আর এ জন্যই আজকে আমাদের চারপাশে এত অশান্তি ও অরাজকতা।দুনিয়ার সকল কিছুরই কিছু প্রাথমিক নিয়ম কানুন আছে আর সে গুলি অনেকটা অবশ্য পালনীয় ।তবে এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পৃথক হয়।
যেমন ,একই রাস্তায় যখন একজন গাড়ীচালক গাড়ী চালায় ,একজন রিকশাচালক রিকশা এবং একজন মানুষ হেটে যায় তখন প্রত্যেকেরই তাদের অবস্থানের প্রেক্ষাপটে কিছু নিয়ম কানুন মেনেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে তথা সামনে এগিয়ে যেতে হবে।যখন তাদের মাঝে কোন একজন তার দায়িত্ব যথাযত পালন করতে পারেনা তখনই দুর্ঘটনা ঘটে .।তার ফলে জীবন,
সম্পদ হানি সহ নানা দূর্ভোগ নেমে আসে একটি পরিবার বা ব্যক্তির জীবনে।
যে কোন নিয়ম তৈরী হয় আমাদের মংগলের জন্য ।আবার যারা আইন বা নিয়ম তৈরী করেন তারাও জানেন সবাই নিয়ম পালন করবেনা। তাইত নিয়ম ভংগের জন্য শাস্তি বা জরিমানার বিধান ও থাকে।ধর্মের নিয়ম-নীতির ক্ষেএে ও একই কথা প্রযোজ্য।
আপনার-আমার কাছে স্রষ্টার সিলেবাস আছে তা মেনে চলা বা মেনে না চলা সম্পূর্ণই আমাদের ব্যাপার।আর এ জন্যই স্রষ্টা তৈরী করে রেখেছেন --স্বর্গ-নরক।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পর্দা শুধু নারীর নয়, পুরুষেরও তাই সবাইকে তা মেনে চলতে হবে তবেই সমাজে শান্তি আসবে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল ইসলাম ভাই, এটাই।
দুনিয়ার সকল কিছুরই কিছু প্রাথমিক নিয়ম কানুন আছে আর সে গুলি অনেকটা অবশ্য পালনীয় ।তবে এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে , সমাজ থেকে সমাজে যদিও পৃথক হয় তারপরেও মেনে চললে আখেরে নিজেরই লাভ।আর এর ফলে নর-নারী নির্বিশেষে সকলের জীবনই সুন্দর হবে।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পুরুষদের জন্য নতুন ধরনের বোরখা চালু করা দরকার।
মহিলারা বোরকা পরিধান করলে পুরুষরা তাদেরকে দেখতে পায় না।
কিন্তু মহিলারা তো ঠিকই পুরুষদেরকে দেখতে পায়।
তাই মহিলারা যাতে কোন বেগানা পুরুষকে দেখতে না পায় সেই ব্যবস্থা তো পুরুষদেরকেই করতে হবে।
তাদের উচিত নিজেদেরকে আবৃত করে রাখা। নইলে নারীদের মনে কামভাব জাগ্রত হলে সেই দায় কে নেবে?
০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোহামমদ সাজজাদ ভাই, আপনার সমালোচনামূলক মন্তব্যের জন্য।
সঠিক ।নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্যই পর্দা আবশ্যক তথা শালীন পোষাক পরিধান আবশ্যক ।তবে উভয়ের যেমন শারিরীক ও মানষিক গঠনগত পার্থক্য রয়েছে তেমনি উভয়ের পর্দার ক্ষেএেও ভিন্নতা রয়েছে।
আপনি আমি সাধারন ভাবেও যদি আপনার-আমার মা বোনকে দেখি তবে দেখবেন তাদের জীবন,তাদের শারিরীক গঠন ,তাদের পোষাক আশাক আপনার আমার থেকে ভিন্ন । যদিও অনেকে সমঅধিকার তথা ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে নানা রকম মত প্রকাশ করে তবে তা অনেকটা লেজ কাটা শিয়ালের গল্পের মত।
প্রকৃতিগত ভাবে নারী অন্তর্মুখী আর পরুষ বর্হিমূখী। নারী নিজে নিজে জলেনা অন্যের সাহায্যে মানে পরুষের সাহায্য পেলেই কেবল জলে । আর পুরুষ নিজে জলে। প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে সকল গ্যাস ই থাকে যার যার অনুপাতে তাতে কোন সমস্যা হয়না।যখনই কোথাও অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয় তখনই অক্সিজেন প্রত্যাহারের মাধ্যমে আগুন নিভানো সম্ভব হয়।যদি অক্সিজেনকে তাপ শক্তি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায় তাহলে আগুনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ।আর তা না হলে আগুনের সর্বাগ্রাসী বিচ্ছুরণকে আটকানো যায় না এবং তা আমাদের জন্য জীবন,সম্পদ হানি সহ নানা দূর্ভোগ নিয়ে আসে।
আগুন জ্বালানোর জন্য যেমন তিনটি উপাদানের প্রয়োজন পড়ে - অক্সিজেন, জ্বালানী এবং তাপ। জ্বালানী হিসেবে কাঠ, কয়লা, তৈল এবং অন্যান্য দাহ্য পদার্থ পরিবেশের সর্বত্র রয়েছে। একবার আগুন জ্বলতে শুরু করলে পরবর্তীতে এটি নিজেই তাপ উৎপাদনে সক্ষম। কখনো কখনো এটি নিজেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপ উৎপাদনের মাধ্যমে জ্বলতে শুরু করে।
ঠিক সেই রকম,নারী-পুরুষ সমাজের সবখানেই আছে।যদি তারা সবাই নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করে তাহলে সবই সুন্দর আর যখন তার ভিন্নতা হয় তখনই সমাজে নানা রকম অসুবিধা তৈরী হয়।আর এ সকল অসুবিধা দূর করার জন্যই যার যার প্রযোজ্য ক্ষেএে পর্দা মেনে চলা উচিত।
আর জীব মাত্রই কামভাব জাগবে।তবে তা নিয়ন্ত্রিনের দায়িত্ব তারই ।কারন সে পশু নয় মানুষ -তা নর-নারী যেই হোক না কেন।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অথচ এখনকার সমাজে নারীদের পর্দার কথা বললেই লাফিয়ে উঠে, নারীরাও বাজায় তালি
চুলকানি শুরু হয়। অথচ কত সুন্দর জীবন বিধান আমাদের । পর্দা দূরে থাক শালীনভাবেই মেয়েরা চলে না। এখন আবার থ্রি কোয়ার্টার পাজামা পরে নারীরা ফ্যাশন জগতে নতুন বিনোদনের সৃষ্টি করেছে
০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা ছবি বহিন, আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
আপনার মন্তব্যে পড়ে একটা কথাই মনে এসেছে তা হল -" সেই লেজকাটা শিয়ালের কথা" -যে ফাদে পড়ে লেজ হারিয়ে বাকী সবাইকে লেজের কুফলতা বুঝাতে লেগে পড়েছিল।
আসলে ম্যাডাম - সবাই তালি ও বগল বাজায় তখনি যখন তার জন্য লাভের কিছু দেখে ।মানুষ অধিকাংশ জায়গায় দ্বৈত মানষিকতার হয়ে থাকে।যে পুরুষ অন্য নারীর জায়গায় চায় নারী স্বাধীনতা তথা ন্যাংটি (বিকিনি) পড়ার স্বাধীনতা ও যা কিছু করার মানষিকতা সেই পুরুষ ই তার স্ত্রী - মা - কন্যার ক্ষেত্রে শতভাগ পর্দা তথা পবিত্রতা আশা করে।বিপরীত ভাবে নারীর ক্ষেত্রে ও একই কথা প্রযোজ্য।সে তার জীবনে যাই করুক না কেন ,সে আশা করে তার স্বামী একই নারী বা তার প্রতি শতভাগ বিশ্বস্ত থাকবে।
এ যেন অনেকটা বিষের গাছ রোপন করে আপেল পাওয়া - খাওয়ার আশার মত।এ ভূলে যায় বিষের বীজে বিষফল ই জন্মাবে আপেল নয়।
আর অধিকাংশ পুরুষ ও নারীবাদি (ভেকধারী ) নারী স্বাধীনতার জন্য ইউরোপ-আমেরিকার উদাহরন দেন।আর তাতে আমাদের নারীবাদি তথা নারীরাও সায় দেয়।ইউরোপ-আমেরিকার সমাজ জীবন এবং নারীর অবস্থা নিয়ে কিছু বলার দরকার আছে বলে মনে হয়না।কারন তাদের আছে যা কিছু মন চায় (টপলেস/বটমলেস/ফুললেস/লেসবিয়ান/গে/হিপপি) নানান কালচার ।তাদের বেশীর ভাগেরই কোন পিতা-মাতার পরিচয় নেই । জন্ম -বেড়ে উঠা- জীবন যাপন-আপনজনের কোন ঠিক নেই।তারপড়েও তারা ভাল এই অর্থে যে রাষ্ট্র তাদের সরবরাহ করে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিষ।এই জন্য তারা তাদের জন্ম পরিচয় নিয়ে ভাবেনা। এই কালচার আমাদের সাথে যায় বলে মনে হয়না।
আর তারা ভাবেনা যে নর-নারীর যথেচছচার তথা যা কিছু করার স্বাধীনতা থেকে নর-নারীর পবিত্রতা মানব সমাজের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ ।কারন একজন ভাল ,সৎ মানষিকতার মা-বাবা ই একজন ভাল বাচ্চার জন্ম দিতে পারে ।একজন ভাল মানুষ পরিবার ,সমাজের তথা রাষ্ট্রের সম্পদ।আর এসব ই সম্ভব পর্দার যথাযথ অনুসরনের মাধ্যমে।
আর সব শেষে ,সেই হেদায়েত পাবে যার প্রতি আললাহ রহমত করবেন।আর এ সমাজে সবার কপালে তা নসীব হবেনা। কারন,সবাই যদি ভাল হত তাহলে মহান আললাহ পাকের বেহেশত-দোযখ তৈরীর কোন প্রয়োজন হতনা।প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ কৃতকর্মের যথাযথ ফলাফল পাবে শেষ বিচারের দিনে।
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৬
রানার ব্লগ বলেছেন: কাম ক্রোধ দৃষ্টি এই তিন কে সংযতো করলেই সকল সমস্যা আসান।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ।
ঠিক তাই । কাম ক্রোধ এবং লোভ এই তিনকে জয় করতে পারলেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআললাহ।তবে এ সব নিয়ন্ত্রনের জন্য যে সকল পথ অনুসরন বা কাজ করা দরকার তার মধ্যে পর্দাপ্রথা একটি অন্যতম কাজ।
সৃষ্টিকর্তা আমাদের নিজেদের মংগলের জন্য পর্দাপ্রথা অনুসরন করার তওফিক দিন।
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পুরুষ সবচেয়ে বেশী পর্দা করে চলা উচিত। তাসলে নারী নিরাপদ
০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
কবি বলেছেন,
"কোন কালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারী,
প্রেরণা দিয়েছেন শক্তি দিয়েছেন বিজয় লক্ষী নারী"।
এ দুনিয়াতে নর-নারীর মিলিত প্রচেষ্টাতেই সকল মংগল ও কল্যানকর কাজ হয়েছে।আর স্রষ্টা নর-নারী প্রত্যেকের জন্য করনীয় কাজ নির্ধারিত করে দিয়েছেন। যার যা করনীয় তা করলেই এ দুনিয়ার সাথে সাথে আখেরাতও নিরাপদ ও মংগলময় হয়ে উঠবে। আর নর-নারীর সম্পর্ক প্রতিযোগীতার নয় সহযোগীতার।
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম কেউ মানছে না। সরকার থেকে ইসলাম মানার জন্য কোনো চাপও দেওয়া হচ্ছে না। স্কুল কলেজ, পরিবারও এ বিষয়ে উদাসহীন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, আবারো ধন্যবাদ।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে সিলেবাস দিয়ে দেওয়া হয়।সেই সিলেবাস সকল শিক্ষার্থী যে একরকম ভাবে অনুসরন করে তা নয়।কেউ সিরিয়াস ভাবে নেয় প্রথম থেকেই,কেউ মোটামুটি ভাবে আর কেউ সিলেবাস কি তাই বুঝতে চায়না। বছর শেষে প্রথম স্থান একজন ই পায় ।কেউ ২য় ,৩য় ও হয় ।কেউ মোটামুটি ভাবে পাশ করে ,আর অনেকেই ফেল করে । তাই শিক্ষকের বা সিলেবাস প্রণেতার কোন লাভ-ক্ষতি হয়না।যে মানে সে পাস মানে সম্মানিত নয় আর যে মানেনা সে ফেল মানে অসম্মানিত হয়। ব্যাপার এটাই।
কে মানল-কে মানলনা এটা বিচারের দায়িত্ব আমার-আপনার নয়।তা পরীক্ষক ,সিলেবাস প্রণেতার তথা স্রষ্টার।আমাদের দায়িত্ব শুধু তার আদেশ-নিষেধ পালন করা।কারন যার যার দায়িত্বের জন্য সেই জবাবদিহী করবে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮
কানিজ রিনা বলেছেন: আমার মনের কথাগুলো আপনি লিখেছেন, অথচ এত মিলাদ মাহফিল হয় নব্বই পারসেন্ট আলেমগণ পুরুষের পর্দার উপরে বিশদ আলোচনা জানেনা বা জেনেও কেন যে তারা এই আলোচনা থেকে বিরত থাকেন।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ মুসলিমদের জন্য এই পোস্ট পড়া অত্যন্ত জরুরী। আন্তরিক অভিনন্দন আপনার ব্লগে।