নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - গুগল
আমাদের সমাজে “লজ্জা নারীর ভূষণ” এ কথাটি অধিক প্রচলিত । ইসলাম নারীকে লজ্জা ও শালীনতার ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ দিলেও তা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই লজ্জা ভূষণ আখ্যা দেয়া হয়েছে । ইসলামী জীবন বিধানে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য শালীন ও লজ্জাশীল জীবন যাপন করা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, " লজ্জা ঈমানের অংশ" (আল জামিউ বাইনাস সাহিহাইন, হাদিস: ১২৭৩)।আর আর ঈমানের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, "কোনো কিছুতে অশ্লীলতা তাকে শুধু কলুষিত করে আর কোনো কিছুতে লজ্জা তাকে শুধু সৌন্দর্যমণ্ডিত করে"। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১২৬৮৯)।এই হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারী ও পুরুষের ভেতর কোনো ধরনের পার্থক্য না করেই তা সাধারণভাবে মানুষের ভূষণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লজ্জা প্রসংগে মহানবী (সা.) বলেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহ অত্যন্ত লজ্জাশীল ও অন্তরালকারী। তিনি লজ্জা ও অন্তরালে থাকতে পছন্দ করেন" (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০১৪)।রাসুলে আকরাম (সা.) আরো বলেন, "প্রতিটি ধর্মের একটি বিশেষ স্বভাব আছে। আর ইসলাম ধর্মের বিশেষ স্বভাব হলো লজ্জা" (মুয়াত্তায়ে মালেক, হাদিস : ৩৩৫৯)।এই হাদিস দ্বারাও প্রমাণিত হয়, লজ্জা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য আবশ্যক।
ছবি - গুগল
লজ্জা একটি নেতিবাচক বা যন্ত্রণাদায়ক মানষিক অবস্থাকে বুঝায়। যা মানুষ তার কর্মের ফল হিসাবে এবং সমাজের প্রচলিত ভাল কাজের মানদণ্ডের সাথে তার নিজের কাজের তুলনা করে নেতিবাচক অবস্থা বা ফলাফল উপলব্ধি করে। মানুষের বিবেক তথা সহজাত আত্মউপলব্ধি থেকে লজ্জার উৎপত্তি ঘটে থাকে।যার আত্মউপলব্ধি যত বেশী তার লজ্জা তত বেশী ।আর যার আত্মউপলব্ধি তথা আত্মশ্রদ্ধা কম তার লজ্জাও কম ।আর লজ্জাহীন মানুষ পশুর সমান।
লজ্জা বা হায়া শব্দটি বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার বিপরীত অর্থে ব্যবহৃত হয়। রাসূল সা: বলেছেন, - প্রত্যেক ধর্মেরই কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। লজ্জাশীলতা হলো ইসলামের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। লজ্জাশীলতার মাধ্যমে একজন মুসলমানের ঈমানের পরিমাপ করা যায়। যিনি অবলীলাক্রমে ও নির্দ্বিধায় লজ্জাকর কাজ করে যায় এবং নিজের বেহায়াপনা বা অশ্লীলতার জন্য এতটুকুন অনুতপ্ত হয় না, বুঝতে হবে তার ঈমানে বড় ধরনের কোনো ত্রুটি রয়েছে। অপর দিকে সামজে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন ,যার দ্বারা কোনো লজ্জাকর কাজ সংঘটিত হলে, সাথে সাথে ভুলের জন্য আড়ষ্ট হয়ে মুখ লুকায় এবং বিবেকের কষাঘাতে জর্জরিত হয়। তখন বুঝতে হবে তার ঈমান জীবিত আছে।
রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। আর ঈমানের স্থান বেহেশত। অপর দিকে অকথ্য গালিগালাজ জুলুমের অন্তর্ভুক্ত। আর জুলুমের স্থান দোজখ।’ (আহমাদ)
লজ্জা মুমিনের ভুষণ। এটি মুমিনের চারিত্রিক সৌন্দর্যকে সুশোভিত করে।
রাসূলুল্লাহ সা: লাজুক প্রকৃতির নম্র-ভদ্র, সহনশীল ও কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।রাসূল সা: বলেছেন, ‘লজ্জা ও ঈমান অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যখন একটির অভাব ঘটে, তখন অন্যটিও বিলুপ্তির পথ ধরে।’
লজ্জাহীন ব্যক্তির চরিত্র হয় অশ্লীল। সে সমাজের এমন হীন কাজ নেই যা সে করতে পারে না। এ ধরনের ব্যক্তি সাধারণত ফাসেক, পাপিষ্ঠ, কদাচারী, দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতিপরায়ণ হয়। লজ্জাহীনতা তার আচরণকে করে উদ্যত, স্বভাব হয়ে উঠে রুক্ষ, মেজাজের ভারসাম্য হারিয়ে সামাজিক জীবনযাপনে বেপরোয়া, উন্মাদ, পরশ্রীকাতর, পরধনে লোভী, টাউট-বাটপার ও দুর্নীতিবাজ এককথায় উন্মাদ ব্যক্তিতে পরিণত হয়। এদের আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো যে, এরা সাধারণত মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে। মিথ্যাই এদের প্রধান পুঁজি হিসেবে কাজ করে। এরকম একজনমাত্র ব্যক্তিই একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্রের জন্য অশান্তি ও বিপর্যয়ের জন্য যথেষ্ট কারণ হতে পারে।
রাসূল সা: বলেছেন, "যখন কোনো মানুষের অধঃপতন ঘটে, প্রথমে তার হৃদয় থেকে লজ্জার বিচ্যুতি ঘটে। পরে সে নিকৃষ্ট কাজের অনুগামী হয়। যখন কোনো পাপিষ্ঠ আল্লাহর রোষানলে নিপতিত হয় তখন তার হৃদয় থেকে লজ্জা উঠিয়ে নেন। আর যখন লজ্জা বিচ্যুত হলো, তখন হিংসুক হয়ে উঠে এবং হিংসার আগুনে জ্বলতে থাকে। শত্রুতা করতে দেখবে অথবা শত্রু দ্ধারা আক্রান্ত দেখবে"।
যদি উল্লিখিত দুই অবস্থায় কাউকেও দেখা যায়, তখন বুঝতে হবে তার থেকে আমানত উঠিয়ে নেয়া হয়েছে এবং যখন সে আমানত বিচ্যুত হলো, তখন তাকে আমানত খেয়ানতকারী অথবা আমানত বঞ্চিত দেখতে পাবে। বস্তুত যখন তাকে এরূপ অবস্থায় দেখবে, মনে করবে তার থেকে স্নেহ-মমতা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। আর যখন সে দয়া বিচ্যুত হলো, তোমরা তাকে বিতাড়িত, অভিশপ্তরূপে দেখতে পাবে। যখন তাকে এমতাবস্থায় দেখবে, মনে করো তার গলা থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেলা হয়েছে। (অর্থাৎ ইসলাম বিচ্যুত হলো) (ইবনে মাজাহ)।
লজ্জাশীলতা কোনো দুর্বলতার নাম নয়, বরং লজ্জাশীল ব্যক্তি একজন দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী। লজ্জা হলো তার চরিত্রের মার্জিত রুচিশীল পোশাকসদৃশ।
রাসূল সা: বলেছেন,‘নির্লজ্জতা যাকে আকৃষ্ট করে সে চিরকলুষ হয়। অপরপক্ষে লজ্জা যাকে পরশ লাগায় সে চিরসুন্দর হয়ে উঠে।
লজ্জাশীল ব্যক্তি মানসম্মানকে এতটাই অগ্রাধিকার দেয় যে, প্রয়োজনে নিজের প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জন দেবে কিন্তু আত্মমর্যাদার অবমাননা হতে দেবে না। লজ্জা ও ভয় পাশাপাশি অবস্থান করে।
প্রথমত, লজ্জাশীল ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে। সে এ বিশ্বাস পোষণ করে যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার প্রতিটি কথা ও কাজ প্রত্যক্ষ করছেন। এ ধরনের ব্যক্তি সর্বদা আল্লাহকে হাজির-নাজির জানে বলেই কোনো লজ্জাকর কাজ তার দ্বারা সংঘটিত হয় না।
দ্বিতীয়ত, লজ্জাশীল ব্যক্তি নিজের ব্যক্তিত্ব, মর্যাদা ক্ষুণণ হওয়ার ভয় করে। মানুষের দৃষ্টিতে সে নিকৃষ্ট হেয় প্রতিপন্ন হবে এ ভয়ে যে কোনো অপকর্মে লিপ্ত হয় না। এটি কোন দুর্বল চিত্তের লক্ষণ নয়। বরং এ ধরনের ব্যক্তিরাই সমাজের দৃঢ়চিত্ত ও বীরোচিত ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়।
যার লজ্জা নেই তার মধ্যে আল্লাহর ভয় নেই। যার মধ্যে আল্লাহর ভয় নেই তার মধ্যে ঈমান ও থাকেনা। কারণ লজ্জাহীন ব্যক্তি আল্লাহর কোনো হুকুমের পরোয়া করে না। সমাজের সব কু-কাজের একচ্ছত্র নায়ক বনে যায়। এ ধরনের লোকেরা অশ্লীল ও নিন্দনীয় কাজ করে অনুতপ্ত হওয়ার পরিবর্তে তৃপ্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে। লাখো-কোটি মানুষের ধিক্কারকে সে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়।
সমাজ ও সভ্যতার সব নিয়মকানুনকে সে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে। সামাজিক বিপর্যয় ও অসংখ্য বনি আদমের দুর্ভোগে সে পশুত্বের অট্টহাসি ছড়ায়। দুনিয়ার সব কিছুই তার জন্য অতি সামান্যই মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। পৃথিবী নামক এ গ্রহটি সব জীবের জন্য বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারা জলে-স্থলে সব জায়গায় ফ্যাসাদ ছড়িয়ে দেয়। আর এ সব পৃথিবীর নির্লজ্জ মানুষের কাজের ফলাফল হয়ে মানুষের দূর্ভোগ বাড়ায়।
নির্লজ্জরা সাধারণত হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়। সত্য থেকে অনেক দূরে অবস্থান করায় সত্যের চিন্তা ও উপলব্ধি করতে পারে না। অসত্য, অন্যায় ও অকৃতজ্ঞতার ওপর এদের জীবনের ভিত রচিত হয়। পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষী এ ধরনের ব্যক্তিরা ইতিহাসে কালো পাতায় শুধু স্থান পেয়েছে। কিন্তু জীবিত নির্লজ্জরা এসব ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না।
মহান আল্লাহপাক রাববুল আল আমিন আমাদের সবাইকে লজ্জাশীল তথা ঈমান ও আমলের বলে বলিয়ান হবার এবং সকল প্রকার অশ্লীলতা ও নিন্দনীয় কাজ পরিহার করার তওফিক দান করুন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজিব ভাই।
আসলে কিছু লিখার চেষ্টা করা আরকি।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১১
গফুর ভাই বলেছেন: ভাল লাগলো ...........।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ গফুর ভাই,কষ্টকরে পড়ার জন্য ।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন নারীদের লজ্জা কমে গেছে, আরেকটা রাসুল দরকার?
১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার, পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ।
না স্যার শুধু নারীদের লজ্জা কমে গেছে এমনটা নয় বরং বর্তমান সমাজে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের সবারই লজ্জা কমে গেছে।আর তাইত আমরা ধর্ষনের শতক করে উৎসব করি,অন্যের সম্পদ ও অধিকার নির্ধিদ্ধায় হরন করি আর বেশী বেশী মিথ্যা বলি।
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) শেষ রসুল .তার পরে আর কোন রাসুল আসবেনা ।এটা সত্য।আর লজ্জাহীনতা তথা সমাজের পংকিলতা ও পাপাচার দূর করার জন্য নতুন রসুলের প্রয়োজন নেই।বরং এ ব্যাপারে ইসলামে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা রয়েছে ।শুধু দরকার ধর্মের প্রচলিত বিধি বিধান সঠিক ভাবে অনুসরন ও মেনে চলার চেষ্টা করা।
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার কথাবার্তায় মনে হচ্ছে যে, নারীরা রূপকথার দেশের প্রানী; বাচ্চা ছেলের মতো কথাবার্তা।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: স্যার আবারো ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
না নারীরা রূপকথার দেশের নয়।নারী-পুরুষ মিলেই আমরা। আর এই দুয়ের মিলিত সার্বিক কাজকর্মের ফলাফলই জীবন ও সংসার।আর দুয়ে মিলে মিশে যখন এক সাথে একসূরে বাজে তখনই এ দুনিয়াতে থেকেই স্বর্গের সুখ অনুভব হয়।সমস্যা তখনই হয় যখন একে অন্যের উপর শ্রদ্ধা ও সম্মান কমে যায় ।আর তখনই দুনিয়াতে খুন-ধর্ষন-রাহাজানী সহ নানা অপকর্ম বিস্তার লাভ করে। আর এ সবের মূলেই রয়েছে মানুষের বা নর-নারীর লজ্জাহীনতা তথা ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে না চলা।
আমি আমার লেখায় তাই বলতে চেয়েছি যে , লজ্জা শুধু নারীর জন্য নয় পুরুষের জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য।তারপরেও যদি আমার লেখার অস্পষ্টতার জন্য আপনার কোন বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে সুনির্দিষ্ট করে বললে আমি অবশ্যই আপনার
প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করব।
আর জানার ক্ষেত্রে বয়স কোন বিষয় নয় ।তা ছেলে ও বুড়ো ও ব্যাপার নয়।শুধু সদিচছা ই যথেষ্ট।
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইসলাম কোন বিষয়ে সাহায্য করতে পারবে না, ইহা মানুষকে বেহেতে যেতে সাহায্য করবে, যা আসলে নেই। আমাদের সমস্যা, আমরা দরকারী দক্ষতা, শিক্ষা অর্জন করতে পারছি না, আমাদের সমাজ, আমাদের জাতি কষ্ট করছে; এসব লজ্জা ফজ্জা হাউকাউ কথাবার্তা, আপনি সমাজকে বুঝতে না পেরে আজগুবি সমস্যা নিয়ে আজগুবি কথা বলছেন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান।
এ প্রসংগে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, - " আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম, আর তোমাদের উপরে আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ধর্মরূপে মনোনীত করলাম ইসলাম"। ((শূরা মায়ীদা ০৩))
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ আরো বলেন, -" আর তোমার প্রভুর বাণী সম্পূর্ণ হয়েছে সত্যে ও ন্যায়ে। তাঁর বাণী কেউ বদলাতে পারে না, আর তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা"। (শূরা আন-আম ১১৫)
আর দুনিয়ায় প্রচলিত সকল ধর্মেই স্বর্গ নরক আছে যা ইসলাম ধর্মে বেহেশত-দোজখ নামে অভিহিত।ইসলামে দুনিয়াবী এমন কোন বিষয় নেই যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা নেই । আর ইসলামই মানুষকে বেহেশতে যেতে সাহায্য করবে,আর বেহেশত-দোযখ বর্তমান এবং এ বিষয়ে নূন্যতম সন্দেহ বা অবিশ্বাস নেই ।আর যদি বেহেশত-দোযখ নিয়ে সন্দেহ বা অবিশ্বাস থাকে তাহলে ঈমান থাকবে কিনা সন্দেহ।
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করলো, সে যেন জাহান্নামে তার আবাস নির্ধারণ করলো"।
৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান। এ প্রসংগে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, - " আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম, আর তোমাদের উপরে আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ধর্মরূপে মনোনীত করলাম ইসলাম"। ((শূরা মায়ীদা ০৩)) "
-ইসলাম হচ্ছে, শিয়া, সুন্নী, আহমেদিয়া যুদ্ধের বিধান।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
এখন প্রশ্ন হলো - - ইসলাম কি শিয়া, সুন্নী, আহমেদিয়া যুদ্ধের বিধান ? ইসলাম ধর্মের প্রধান স্তম্ভ ৫ টি। যে যেই মতের অনুসারীই হোক না কেন ধর্মের প্রধান ৫ টি স্তম্ভ সবাই অনুসরণ করে । এ বিষয়ে কোন মতবিরোধ নেই কারো মাঝে।
এখন আসেন ধর্মীয় মাসলা-মাসায়েল তথা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে।মূল বিষয় ঠিক আছে প্রত্যেক মতের অনুসারীদের।ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে ভিন্নতা আছে তাদের মাঝে।
আর যুদ্ধ করে ক্ষমতাশীনরা তাদের নিজেদের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করে।এতে ধর্মের কোন দোষ নেই ,দোষ ব্যবহারকারীদের।
৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান।
-ইসলাম হলো, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সৌদী, সিরিয়া, পাকিস্তানের মানুষের দাসের মতো জীবন যাপনের বিধান।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো একই কথা - ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
এখন প্রশ্ন হলো - ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সৌদী, সিরিয়া, পাকিস্তানের মানুষের দাসের মতো জীবন যাপনের ক্ষেত্রে ইসলাম কতটুকু দায়ী বা ইসলামের ভূমিকা কি ?
এই ক্ষেত্রে উত্তর হল -
১।জটিল বিশ্ব ভূ রাজনীতি । এক্ষেত্রের কারন, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এবং ঘটনা প্রবাহ আমার থেকে আপনার জ্ঞান অনেক বেশী ।তাই এ বিষয়ে আর কিছু বললাম না।
২।ভাল জীবন মানের জন্য যে কয়েকটা জিনিষের দরকার তার মাঝে জনসংখ্যা,শিক্ষা,প্রাকৃতিক সম্পদ,ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান অন্যতম।আর তাদের খারাপ জীবন মানের জন্য ধর্ম থেকে বাকি কারনগুলি অধিক দায়ী।
সর্বোপরী পোস্ট এর উত্তর দ্বারা এ বিষয়ে বিস্তারিত উত্তর মুশকিল । এ বিষয়ে - ১। বিশ্ব ভূ রাজনীতি ও ২। মানুষের জীবন মান উন্নয়নে ধর্মের ভূমিকা শীর্ষক কমপক্ষে দুটি পোস্ট হলে বিস্তারিত বলা যেতে পারে।
৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: লজ্জা নাই বলে বড় লোক চোর ডাকাত
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আসলে ঠিক তাই ।
গ্রামে / দেশে প্রচলিত একটি কথা আছে, " চোরের মায়ের বড় গলা ,চোরে খায় দুধ কলা"।আর এ জন্যই যে যত বড় লজ্জাহীন , সেই ততবড় চোর-ডাকাত ।আর তাদের ধনসম্পত্তি ও বেশী।
৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কামরুজ্জামানভাই অতি তাড়াতাড়িই পরের পর্ব দিলাম।
নিজেও তাড়াহুড়ায় আছি বেশ......
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মেরা পেয়ারী বহিন , তাড়াহুড়া কেন বুঝলাম না ?
ডেট (EDT) ত এখনো অনেক বাকী।
তারপরেও ভালই হয়েছে।অপেক্ষা আর ভাল লাগেনা ।দিয়ে দিছেন তাই ভাল ।পেয়ে গেলে আর টেনশন থাকবেনা।নো তাড়াতাড়ি শুধু ধীরে ধীরে জলদি।
১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: EDT কি জিনিস?
EDC চিনি EDT তো চিনলাম না।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ।বোকা যেন !!! মহিলা হয়ে EDT কি জানেনা!!!!
অবশ্য এই অর্থে আমিও বোকা । কারন EDC কি আমিও জানিনা।
১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: EDT টাইমের কথা বলছেন নাকি?
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সম্মানিতা মুহতারামা,
Estimated Time of Delivery (ETD)। গর্ভবতী মহিলাদের আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট এবং সর্বশেষ মাসিকের তারিখ হিসাব করে ডাঃ একটি সম্ভাব্য প্রসবের দিন নির্ধারন করেন ।তাই মেডিকেল এর ভাষায় (ETD)।
অনেক জ্ঞেনের কথা তাইনা?
১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ এত কঠিন জিনিস ডক্টর ছাড়া কে বলে?
আপনি ডক্টর নাকি!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মেরা বহিন,আমি ফরেন কামলা, ডাকতর না।
তয় কিছুদিন ডাকতর গ লগে তাগ কাপড়-চোপড়, খেতা-বালিশ টানছি ।আর তগো থেইককা লুককাছুপপি কইরা কিছু মিছু শিকখা লাইছি আরকি
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আর শুভ্র বেডার কাহিনী একটু পরে পড়ুম। পইড়ে জানামু।
আসলে দেরী করে পড়তে চাচছি কারন পড়লেই ত ফুটটুস । খালি বেদনা আর বেদনা।
১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা
হ্যাঁ শেষ পর্বগুলো লিখতে গিয়ে আমিই তো কেঁদে ভাসাচ্ছি।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: পড়ুম না পড়ুম না করে পরেই গেলাম।
পড়ে কি পেলাম ? তা নাই বললাম।তবে বালা কিছু পাই নাই এটাই কষ্টকর । অন্তর্দৃষ্টিতে আগে থেকে দেখতে ছিলাম এর বেদনাদায়ক সমাপ্তি ।তাই কি হচছে?
আপনি লেখক । চাইলেই তাকে মধুর-মিলন করতে পারেন তবে সামগ্রিক ভাবে মনে হচছে তা আর হবেনা।
আমাদের কে কি আন্দোলনে নামতে হবে হুমায়ুন আহমেদের কালজয়ী নাটক "কোথাও কেউ নেই এর বাকের ভাই"য়ের মত।যে বাকের ভাইয়ের ফাসি হলে ভাংবে টিভি ঘরে ঘরে।
শুভ্র বেডার সফলতার লাগি কি আমাদের আন্দোলনে নামতে হবে ??
১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা নামেন কিন্তু সেটা কি ঠিক হবে? সত্যিটাই জানা ভালো না?
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমি প্রথম থেকেই শুভ্র (মদারু_) র সফলতাই চেয়েছি। ভেবেছি ঠিক হয়ে যাবে সবকিছু। আমার অনেক মন্তব্যে আমি হয়ত আপনার লেখার উপর হস্তক্ষেপ করার ও চেষ্টা করেছি।আর এসবই করেছি শুভ্র ও তার বুয়া (বউ) কে ভালবেসে।কারন দিব্যদৃষ্টিতে প্রথম থেকেই এ সম্পর্কের করুন
সমাপ্তি দেখতে পাচছিলাম।
আর আগেও বলেছি ,আবারো বলি,শুভ্র র মত মানুষদের সংসার জীবনে প্রবেশ উচিত নয়।যদিও তারা প্রেমিক হিসাবে শতভাগ বিশ্বস্ত কুকুরের মত কিন্তু স্বামী হিসাবে শতভাগই অবিশ্বস্ত ও দায়িত্বহীন (নিজের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বললাম)।
আর সত্য সত্যই । তা যতই তিক্ত হউক।তা জানার অপেক্ষায়।
১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কামরুজ্জামান ভাই। আপনিও একটা গল্প লিখেন প্লিজ। মনে হয় না সেটাও কম হবে।
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মেরা বহিন,আপনার গল্প লিখার অনুরোধ এর জন্য।
আসলে কিছু মিচু লিকতে চাই। আর প্রেমের গল্প দিলে আসে ,লিকতে গেলে আসেনা।বড়ই শরম পাই।মনে মনে লাগে কেউ পড়ব না যা লিকুম এগুলি। তাই আর না লিকি প্রেমের গল্প । আর সবাই লিখলে পাঠক আসবে কোতা থেকে ।
আর আমি পাঠক হিসাবে আছি আপনাদের সাথে ,আপনাদের পাশে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে ভালো কথা লিখেছেন।