নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"মুসলিম নারীরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সতী ও পবিত্র নারী" - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়াহুদি "গাইনি ও ভ্রুণবিদ্যা "বিজ্ঞানী রবার্ট গিলাম। রবার্ট গিলাম শুধু এ ঘোষনার মাঝেই তিনি নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি।পবিত্র কুরআনে নারীদের (জরায়ুর)পবিত্রতা,সম্মান ও মর্যাদা সম্পর্কিত আয়াতগুলোতে ভ্রুণবিদ্যার স্পষ্টতা দেখে তিনি ইসলাম ধর্ম ও গ্রহণ করেন।কিসের প্রেক্ষাপটে এবং কেন তাঁর চিন্তার রাজ্যে এ বৈপ্লবিক উপলব্ধি তা জানার আগে আসুন দেখি তথাকথিত পাশ্চাত্য নারী স্বাধীনতা এবং মুসলমান নারীদের জীবনধারনের মাঝে কি পার্থক্য যা তাদেরকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সতী ও পবিত্র নারীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে একজন ইয়াহুদি বিজ্ঞানীর দৃষ্টিতে ।
মুসলিম এবং পশ্চিমা পরিবারের ছবি।
বর্তমানে পৃথিবীতে যে কথাটি সবচেয়ে উচচারিত হয় তা হল নারী স্বাধীনতা। নারী স্বাধীনতা আসলে কী? এই প্রশ্নটি যদি জনসম্মুখে করা হয়, তাহলে এ বিষয়ে প্রায় সবাই মতামত প্রদান করবে । নারী অধিকার নিয়ে, নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলার লোকের অভাব হয় না এখন দুনিয়াতে। তাহলে অভাবটা কিসের এবং কোথায় ? আসুন আমরা দেখি এই নারী স্বাধীনতা মানে কি ?
আধুনিক বিশ্বে এমন কোন মুসলিম দেশই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে দেশ পাশ্চাত্যের নারী স্বাধীনতাবাদীদের মারাত্মক অপ-প্রচারণার স্বীকার হয়নি এবং পর্দা প্রথাকে একটি প্রতিক্রিয়াশীল,গোড়া ধর্মীয় বিধানরুপে চিহ্নিত করেনি, কিংবা তথাকথিত নারী স্বাধীনতাকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির অপরিহার্য অংশ হিসেবে মেনে নেয়নি। নারী স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনার আগে আসুন দেখি স্বাধীনতা বলতে কি বুঝায়?
স্বাধীনতা বলতে কি বুঝায় - স্বাধীনতা বলতে বুঝি, পরিবেশ, আমরা সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে আমি যে পরিমান সুবিধা বা সুযোগ ভোগ করব অন্যকে সেই সব সুবিধা পাওয়ার সুযোগ করে দিব। স্বাধীনতা হল নিজের চিন্তা ধারাগুলো কে সুন্দর ভাবে প্রকাশ ঘটানো। জীবনে সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে সফলতা পাওয়া।। যে কোনো স্থানে , যে কোনো সময়ে ভালো কাজ করতে পারা , ভালো কথা বলতে পারাই হচ্ছে স্বাধীনতা।স্বাধীনতা হলো এক সুন্দর, মনোমুগ্ধকর, সবার,অনুমোদিত, নিয়মতান্ত্রিক, এক সুন্দর সমাজের নাম। অর্থাত্ মানুষ তার স্রষ্টার বিধানকে মাথায় রেখে নিয়ম শৃঙ্খলার সাথে সুন্দর পরিবেশে নিজের কাজ নিজের দায়িত্বে পালন করবে। আর সেই কাজের ফল ভোগ করবে সে ,তার প্রতিবেশি, তার সমাজ।
স্বাধীনতা কি শর্তহীন - এখন দেখা যাক স্বাধীনতা কি শর্তহীন বা যার যা মন চায় তা করার নামই কি স্বাধীনতা বা নর-নারী যার যা মন যায় তাই কি সে করতে পারবে স্বাধীনতার নামে।
আমরা দেখছি যে ,রাষ্ট্রের সংবাধান নাগরিককে মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রদান করছে,তবে তা অনেকগুলো শর্তের অধীনে বাস্তবায়নযোগ্য।এ শর্ত সমূহের ব্যাখ্যা বহুবিধ হতে পারে৷ যেমন জনশৃংখলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ-সাপেক্ষে নাগরিককে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রদান করছে সংবিধান।এ থেকে বোঝা যায় দুনিয়ার কোন রাষ্ট্রেই স্বাধীনতা শর্তহীন নয় ।অর্থ্যাত স্বাধীনতা ভোগের জন্যও রাষ্ট্রের কিছু নিয়ম নীতি মানুষকে মেনে চলতে হয়।
নারী স্বাধীনতা তত্ত্বের উদভব ও তার বিকাশ - নারী স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম প্রবক্তা হচ্ছেন সাম্যবাদের প্রতিষ্ঠাতা মার্কস ও এঙ্গেলস। ১৮৪৮ সনে প্রকাশিত তাদের কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো বইয়ে তারা লিখেন, "গৃহ ও পরিবার একটি অভিশাপ ছাড়া কিছুই নয়। কারণ, এটি নারীদেরকে চিরস্থায়ীভাবে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখে" ।তারা আরো বলেন, "নারীদেরকে পারিবারিক বন্ধন থেকে মুক্তকরে দিতে হবে এবং কল-কারখানায় সার্বক্ষনিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদেরকে পুরোপুরি অর্থনৈতিক স্বয়ংম্ভরতা অর্জনের সুযোগ দিতে হবে"।তাদের পরবর্তী নারীবাদী প্রবক্তারা সহশিক্ষা, ঘরের বাইরের একই কর্মস্থলে সহ কর্মাবস্থান, সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে নারী-পুরুষের একত্র মিলন, অর্ধনগ্ন পোশাকে বিবাহপূর্ব প্রেম-অভিসার এবং যৌথ সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে মদ্যপান, নেশাপান ও নৃত্যগানের মাধ্যমে নারী-পুরুষের অবাধ যৌনাচারের সুযোগদানের জন্য জিদ ধরেন। এক্ষেত্রে তারা সরকারি ব্যবস্থাপনায় জন্মনিরোধক সামগ্রী, বন্ধাকরণ ব্যবস্থা, অবাঞ্ছিত গর্ভের বিমোচন, অবৈধ সন্তানদের লালন পালনের জন্য রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত নার্সারী ও বোর্ডিং- এর ব্যবস্থা রাখার দাবী করেন। এটাই হচ্ছে আধুনিক "নারী অধিকার" তত্ত্বের মূলগত ধারণা।
আমেরিকান এক ঐতিহাসিক ও কলামিস্ট ম্যাক্সলার্নার বলেন, "আমরা একটি বেবিলিনীয় সমাজে বাস করছি। ইন্দ্রিয় সেবার প্রতি গুরোত্বারোপ ও যৌন স্বাধীনতার ফলে সমাজের সকল পুরাতন নীতি-নৈতিকতার বন্ধন ভেঙ্গে গেছে"। কিছুদিন আগেও বা মধ্যযুগে কি জনসম্মুখে প্রকাশ করা যাবে কিংবা যাবে না তা নির্ধারণ করতো চার্চ, রাষ্ট্র, পরিবার ও সম্প্রদায়। কিন্তু অধুনা এ সকল প্রতিষ্ঠানগুলো জনসাধারণের দাবির কাছে পরাজিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর এখন দায়িত্ব দাঁড়িয়েছে শুধুমাত্র শোনা ও দেখা। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র দর্শকরা প্রতিদিন আর্ট গ্যালারী ও নাট্য গৃহসমূহে একত্রিত হচ্ছে উলঙ্গপ্রায় সুইডিশ নায়িকার "আমি এক নারী" সিরিজের পর্ণ নাচ গান দেখে যৌন উত্তেজনা প্রবল করার জন্য। ইটালীয় সিনেমা পরিচালক ম্যাকিল্যানজেলো এন্টোনিওনি তার "ভেঙ্গে দাও" ছায়াচিত্রে নগ্নতা বিরোধী সকল ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার মাথা খেয়েছেন। ফরাসী কৌতুক প্রিয় নায়িকা জেনফন্ডা সীমাহীন প্রলোভনধর্মী ছায়াছবি "বারবারেলায়" মুক্ত প্রেমাভিসারের গুণ কীর্তন করতে করতে একটি নগ্নতার দৃশ্য থেকে পরবর্তী অধিকতর আর একটি নগ্নতার দৃশ্যে ভেসে বেড়াচ্ছেন। কমপক্ষে দু’ঘণ্টা স্থায়ী "জেসনের প্রতিকৃতি" নামক ছায়াচিত্রে একজন নিগ্রো বেশ্যা পুরুষের বিকৃত আত্মার ভ্রমণ কাহিনী এখন আমেরিকার প্রায় সকল পেক্ষাগৃহগুলোতেই খোলাখুলিভাবে দেখানো হয়ে থাকে, যা মানব জীবনের দিকগুলোকে সংকুচিত করেছে। খৃষ্টীয় ধর্মতত্ত্ববিদ ফাদার ওল্টার জে. ওং বলেন, "আমরা শীঘ্রই জানা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অধিক মাত্রায় স্বাধীন জীবন যাপনের সুযোগ পাচ্ছি….."। (রিডার্স ডাইজেস্টের ১৯৬৮ সালের এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত “সমাজ যেদিকে যাচ্ছে আমাদের সব কিছু সেদিকে যাচ্ছে” নামক নিবন্ধ থেকে)।
নারী স্বাধীনতা বলতে কি বুঝায় - নারী স্বাধীনতা যে কী, তা উপলব্ধি করার মানুষের বড় অভাব।বর্তমান সমাজে দুই ধরনের জনগোষ্ঠী খুব তৎপর। এক ধরনের জনগোষ্ঠী উগ্রতার দোহাই দিয়ে নারী স্বাধীনতাকে কৌশলে ধ্বংস করার চেষ্টায় মত্ত। আরেক ধরনের জনগোষ্ঠী নারী স্বাধীনতার আড়ালে উগ্রতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যস্ত। নারী স্বাধীনতা মানে উগ্রতা নয়। তাই নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হোন, উগ্রতায় নয়।
নারী স্বাধীনতা অর্থ হলো, নারীর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং নিজের সুস্থ চিন্তার সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারা।নারী স্বাধীনতা মানে হল নারী তার জীবনে পবিত্রতা,সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচবে এবং পরিবারে ও সমাজে তার যোগ্যতা-সামর্থ্য অনুযায়ী ভুমিকা রাখবে। বিষয়ের জটিলে না গিয়ে নারীবাদ নিয়ে একটা কথা না বললেই নয়। নারীবাদের সৃষ্টি নারীকে পুরুষের মর্যাদায় তুলে আনার জন্য বা নারী পুরুষের সমান অধিকারের দাবিতে এবং নারীর প্রতি শারীরিক ও মানসিক অপরাধ কমানোর লক্ষ্যে। কিন্তু নারীবাদী চেতনার মধ্যে দিনের পর দিন ধীর গতিতে স্থান করে নিয়েছে একটি শরীরকেন্দ্রিক চেতনা, যা নারীকে আবার শরীরমাত্র করে তুলছে।
নারী-স্বাধীনতা বিষয়ক সকল দাবী এবং মূল বিষয় অনুসারে নারীর নিজের অধিকার আছে তার শরীরের । একান্তই তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে যে, সে তার শরীর নিয়ে কি করবে — বিয়ের আগে সেক্স করবে, নাকি বিবাহ-বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক তৈরি করবে। “শরীর আমার, চয়েজ আমার” নামক এই ধরনের একটি অত্যন্ত নোংড়া এবং আশালীন মেসেজ ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় তাদের বক্তব্যে ।
এই আপাত - নারী স্বাধীনতার বানীও আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের হর্ত্তা কর্তা বিধাতা পুরুষের উদগ্র কামনারই প্রকাশ। কেন ? কারণ, দেখতে পাচ্ছি নারী স্বাধীনতার নামে অদ্ভুত ভাবে নারীর শরীরের দিকেই জোর দেওয়া হয়েছে। কেননা নারী স্বাধীনতার ধবজাধারীরা নারীর সত্তাকে নারী শরীরের সমতুল্য করে দেখাতেই উতসাহী। নারী মানেই যেন নারীর শরীর। তাই শরীরের স্বাধীনতাতেই নারীর স্বাধীনতা । আর একথা যুক্তি–বহির্ভূত ভাবে কেবল স্কুল কলেজের মেয়েদের আবেগে সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য বারবার সমস্ত চ্যানেলে বলা হচ্ছে। এখানে একটা বিষয়, নারীর স্বাধীনতার কথা কেন শরীরে এসেই থেমে যাবে? কেন এটা তাদের শিক্ষার স্বাধীনতা, কর্মের স্বাধীনতা পর্যন্ত পৌঁছাবে না ?
একটা কথা বলে রাখা ভাল যে, নারীবাদের সৃষ্টি কিন্তু নারীকে পুরুষের মর্যাদায় তুলে আনার জন্য বা নারী পুরুষের সমান অধিকারের দাবীতে এবং নারীর প্রতি শারীরিক ( বিশেষত যৌন) ও মানসিক অপরাধ কমানোর লক্ষ্যে । কিন্তু নারীবাদী চেতনার মধ্যে দিনের পর দিন ধীর গতিতে স্থান করে নিয়েছে একটি শরীর কেন্দ্রিক চেতনা, যা নারীকে আবার শরীরমাত্র করে তুলছে। কৌশলে অসম্ভব করে তুলছে নারীর সত্যিকারের স্বাধীনতার সম্ভবনাকে।
এখানে একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, শরীরকেন্দ্রিক চেতনা, তা সে যৌনশিক্ষাই হোক, অবাধ যৌনতা বা নারী শরীরের অকারন প্রদর্শন – কোনটাই কখনোই যৌন অপরাধকে কমাতে সক্ষম হয়নি। বরং বৈষম্য-জনিত অপরাধকে বাড়িয়ে তুলেছে অনেক। নারীকে পুরুষের সমান মর্যাদায় স্থাপন করতেও এই চেতনা সম্পুর্ন ব্যর্থ হয়েছে। পাশ্চাত্য দেশগুলি এই বিষয়ে আমাদের কাছে শিক্ষার উদাহরন হতে পারে। তাই "শরীর প্রদর্শনে আমার অধিকার আছে" বা "বিবাহ বহির্ভুত শারীরিক সম্পর্ক রাখার আমার অধিকার আছে" জাতীয় সস্তা কথাগুলি কখনোই ‘নারী স্বাধীনতার প্রকাশ’ হিসাবে মেনে নেওয়া যায় না ।
তথাকথিত নারী-স্বাধীনতাবাদীদের অর্জন -দুনিয়ার কোন রাষ্ট্রেই যেমন স্বাধীনতা শর্তহীন নয় তেমনি মানব সমাজেও নারী স্বাধীনতা শর্তহীন নয়। কিছু কিছু সমাজের নারী তথাকতিত স্বাধীনতা ভোগ করছে।এখন আমরা দেখি তারা কি শর্তের বিনিময়ে বা কিসের বিনিময়ে তাদের সেই তথাকথিত স্বাধীনতা ভোগ করছে।
পশ্চিমা দুনিয়ায় নারীরা তাদের সম্মান ,মর্যাদা ও পবিত্রতার বিনিময়ে তথাকথিত স্বাধীনতা ভোগ করছে । ইউরোপ-আমেরিকায় ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে নারী-পুরুষ সবাই অবাধ জীবন যাপন করে।আর তাইত সেখানে পরিবারের চেহারাটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে বা নেই। সেখানে বেশীরভাগ শিশুরই পিতৃ পরিচয়হীন তথা সিংগেল মায়ের ঘরে।অধিকাংশ শিশুরই যেমন পিতা থাকেনা তেমনি বেশীরভাগই নারীই জানেনা তার শিশুর পিতা কে।তাদের জন্মে খুশি হওয়ার কেউ নেই এবং মরনের পরেও শোক প্রকাশের জন্য কেউ থাকেনা। তাদের জন্ম আপনজনদের সাহচর্য ছাড়া, বেড়ে উঠা রাষ্ট্রিয় এতিমখানা(সমাজকল্যান কেন্দ্র)য়,১৮ বছরের পর প্রাপ্তবয়স্ক এবং তার পর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে স্বাধীন তথা বলগাহীন জীবনযাপন। পুরো যৌবনকাল এখানে-সেখানে,জনে-জনে নানাজনে মধুকরের মত জীবনযাপন করে বার্ধক্যে একাকী,মানব সংগহীন নিঃসঙ্গ অবস্থায় মৃত্যুবরন। আর যতদিন জীবিত থাকে ততদিন যৌন সম্পর্ক ছাড়া কারোর সাথে কোন আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠেনা এবং তারা তাদের নিঃসঙ্গতা ও একাকী অবস্থা কাটানোর জন্য বিড়াল-কুকুরের মত প্রাণীদের উপর নির্ভরশীল হয়।তাদের কোন পারিবারিক-সামাজিক জীবন যাপন নেই।সেখানে নারীর নেই কোন সম্মান ও নেই মর্যাদা অথবা আপনজন।আর লজ্জা? লজ্জা তাদের জীবন থেকে এমনভাবে উধাও হয়েছে যে,তাদের জীবন যাপন দেখলে লজ্জাও এখন লজ্জায় পালায়।কাপড় সংক্ষিপ্ত হতে হতে বিকিনিতে ,বিকিনি থেকে টপলেস-বটমলেস এবং সবশেষে ফুললেস। অর্থ্যাত যে যত বেশী কাপড় খুলে উলংগ হতে পারবে সে ততবেশী স্বাধীন ও আধুনিক।আর যৌনতা ? সেটার জন্যও কোন আড়ালের প্রয়োজন তাদের নেই।লেনে-পার্কে-ক্লাবে-বারে-ট্রেন-বাস যেখানে তাদের ইচ্ছা হয় সেখানেই করার স্বাধীনতা তাদের ।আর তাদের এ কাজ দেখে পশুরাও হয়ত লজ্জা পাবে কিন্তু আশেপাশের বাকী মানুষদের কোন বোধোদয় হয়না কারন সেই তথাকথিত ব্যক্তি স্বাধীনতা ও নারী স্বাধীনতা ।আর তার সাথে নানা বিকৃত যৌনাচার ।সমকামীতার নোংরামী তাদের নিজেদের মাঝেই সীমাবদ্ধ না থেকে তা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পুরুষে-পুরুষে, নারীতে-নারীতে বিবাহের আইন করে মানব সমাজের চিরকালীন পরিবারের মুলে কুঠারাঘাত করে পারিবারিক সুস্থ্য-স্বাভাবিক এবং পবিত্রতার পরিবেশ ধবংস করে পরিবার-সমাজ-আপনজন বিহীন এক অস্বাভাবিক সমাজ কায়েম করেছে।
ইসলামে নারীর অধিকার - নারী অধিকার সম্পর্কে মত প্রকাশ করতে গিয়ে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “পুরুষরা হচ্ছে নারীদের তত্বাবধায়ক। কারণ, আল্লাহ্ পুরুষদেরকে নারীদের চেয়ে বেশী যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং পুরুষেরা নারীদের জন্য তাদের অর্থ ব্যয় করে।”(সূরা নিসা,আয়াত- ৩৪)।
কোরআনের শিক্ষা অনুযায়ী স্বামী তার স্ত্রীর জন্য বন্ধু ও কর্তা। স্বামীর কর্তব্য হলো স্ত্রীর প্রতি ন্যায়নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও দয়া প্রদর্শন করা এবং এর প্রতিদানে স্ত্রীর দায়িত্ব হলো স্বামীর প্রতি বাধ্য ও অনুগত থাকা এবং স্বামী যাতে চরিত্রহীন হতে না পারে সে জন্য তার প্রতি অকৃত্রিম আস্থা নিবেদন করা।
সুরা আন-নুরের ১-২৪ নং আয়াতে অবাধ ও বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক শুধু নিষিদ্ধই করা হয়নি বরং যারা বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক রাখে তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে কঠোর-কঠিন শাস্তি প্রদানের ভয় দেখানো হয়েছে। ইসলামে এ ব্যাপারে কোন দ্বৈত মাপকাঠির ব্যবস্থা নেই। যারা অবৈধ যৌন সম্পর্ক রাখে সে সকল নারী ও পুরুষের শাস্তির মধ্যে কোরআন ও হাদীসে কোন পার্থক্য করা হয়নি। উভয়ের জন্যই একই রূপ কঠিন শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে। কোরআন ও হাদিসের এই প্রমাণ ছাড়া পর্দার সপক্ষে ইসলামের অধিক আর কি প্রমাণ দরকার হতে পারে ? মুসলিম মহিলাদের চলাফেরার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র নারীদের প্রতিরক্ষা এবং পুরুষদেরকে তাদের প্রতি অশুভ পদক্ষেপ থেকে সংযত রাখার উদ্দেশ্যেই আরোপিত হয়েছে। পৃথিবীতে ইসলামই হলো একমাত্র ধর্ম যা শুধু অনৈতিকতাকে মন্দ বলেই ক্ষান্ত হয় না বরং অনৈতিকতাকে উদ্দীপ্ত করে এমন যে কোন সামাজিক কর্ম থেকে বিশ্ববাসীদেরকে ফিরে থাকতে আদেশ দেয়।
আমাদের প্রচলিত সমাজে নারীর মর্যাদা - আমাদের সমাজে যেখানে নারীদের তথাকথিত স্বাধীনতা নেই ,সেই সমাজের মূল ভিত্তি পরিবার যা একজন নারীকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। পরিবারে সবচেয়ে সম্মান ও মর্যাদার আসনে থাকে দাদী/নানী (একজন নারী),আর যাকে কেন্দ্র করে পুরো পরিবার চলে সে মা (একজন নারী)।পরিবারের কর্তা/বাবার রাজকন্যা-মায়ের আদর-ভাইয়ের ভালবাসার ধন সে বোন (একজন নারী) এবং পরিণত বয়সে যখন একজন পুরুষ বিবাহিত জীবনে তথা পরিবারে প্রবেশ করে,যাকে জীবন দিয়ে আগলে রাখে-ভালবাসে ,যার সব চাহিদা পূরন করতে সর্বদা হাসিমুখে সকল ত্যাগ করে থাকে সে হল স্ত্রী (একজন নারী)।পরিবারিক পরিবেশে নারী তার বিভিন্নরুপে তথা দাদী-মা-বোন-স্ত্রী রুপে শ্রদ্ধা সম্মান ও মর্যাদার আসনে তাদের জীবন অতিবাহিত করে। তাদের কোন সুখে পুরো পরিবার সুখি হয় ,দুঃখে পুরো পরিবার দুঃখী।
আর সর্বোপরী নারীদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার জন্য পরিবারের পুরুষরা অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিতেও পিছপা হয়না।তারপরেও নারীর তথা আপনজনদের জীবনে সম্মান ও মর্যাদা তথা প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবার থেকে সকল সমর্থন ও সহায়তা প্রদান করা হয় যাতে নারী তার জীবনে সম্মান ও মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকতে পারে।আর যখন একজন নারী গর্ভবতী হয় তখন পুরোপরিবারে আনন্দের বন্যা বয়ে যায় এবং সবাই অধীরআগ্রহে অপেক্ষা করে নতুন অথিতিকে সাদরে বরন করার জন্য যা ইউরোপ-আমেরিকাতে অলীক কল্পনা ।
অবাধ যৌনাচার কিভাবে নারী-পুরুষ, পরিবার,শিশু তথা গোটা মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর - অবাধ ও অবৈধ যৌনতার ক্ষতিকর দিক এইডসের মতো মারণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার পথ খুলে দেয় এবং তা মানবতা ও মানব জীবনের বিশুদ্ধতার জন্য হুমকি। ইসলাম কোনো গর্হিত কাজই অনুমোদন দেয় না,আর বিবাহবহির্ভূত নারী-পুরুষের আসক্তি কিংবা সম্পর্ক সবচেয়ে গর্হিত নিষিদ্ধ কাজ।অবাধ ও অবৈধ যৌনতার ফলে নারী-পুরুষ সিফিলিস,গনোরিয়া ,ক্ল্যামাইডিয়া,ট্রাইকোমোনিয়াসিস,জেনিটাল হার্পিস ,জেনিটাল ওয়ার্টস,হেপাটাইটিস বি এবং সি ,এইডস (এইচ আইভির জীবাণু), যৌনাঙ্গে আঁচিল বা ওয়ার্ট, ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস ইত্যাদি নানা রকম রোগে আক্রান্ত হয়।আর এসব রোগে আক্রান্ত বাবা-মায়ের শিশুরাও এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
এর এ জন্যই ইসলামে বিবাহবহির্ভূত নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্ক এবং একসাথে একাধিক জনের সাথে যৌন সম্পর্ক চরমভাবে নিষিদ্ধ।তা যে শুধু নারী-পুরুষের নিজেদের সুস্ততার জন্য তা নয় বরং সমগ্র মানব জাতির ভবিষ্যত বিশুদ্ধতা তথা নর-নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যও তা প্রয়োজন।
কুরআনে ভ্রুণবিদ্যার স্পষ্টতা দেখে ইহুদি ভ্রুণ বিশেষজ্ঞ রবার্ট গিলাম ইসলাম গ্রহণ -
রবার্ট গিলাম প্রায় পুরো জীবনটাই গাইনি ও ভ্রুণবিদ্যা সম্পর্কিত গবেষণায় ব্যয় করেছেন। তার জীবনের বড় অংশ কেটেছে প্রজনন প্রক্রিয়া, সন্তান জন্ম ও তার পূর্ববর্তী ধাপসমূহ, জরায়ুতে ভ্রুণের বেড়ে ওঠার বিভিন্ন পর্যায় ইত্যাদি সম্পর্কিত গবেষণাতে কুরআনে ভ্রুণবিদ্যার স্পষ্টতা দেখে ইসলাম গ্রহণ ভ্রুণ বিশেষজ্ঞ রবার্ট গিলাম।
মুসলমান নারীর একাধিক পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ ।এমন কি স্বামী মারা গেলে ৪মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন (অপেক্ষা) করতে হবে ।
এ প্রসংগে আল কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায় তাদের স্ত্রীদেরকে চারমাস ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। ইদ্দত বা এই নির্ধারিত সময় শেষ হবার পর তারা বিধিমত নিজেদের জন্য কোন কাজ করলে (বিবাহ করলে) তাতে তোমাদের (অভিভাবকদের) কোন পাপ হবে না। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।" (সুরা বাকার,আয়াত - ২৩৪) ।
এবং তালাকের পর তিন মাস পর্যন্ত ‘ইদ্দত’ (অপেক্ষা) পালনের বিধান আল কোরআনে।
এ প্রসংগে আল কোরআনে বলা হয়েছে,"আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ। [ সুরা বাকারা ,আ্য়াত - ২২৮ ]।
তালাকের পর বা স্বামী মারা গেলে এ‘ইদ্দত’ পালনের পালনের বিধানসংশ্লিষ্ট রহস্য ভেদ করে অপার বিস্ময়ে অভিভূত হন ভ্রুণ বিশেষজ্ঞ রবার্ট গিলাম। রবার্ট গিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি হেলথ ইনস্টিটিউটে গবেষণারত আছেন। সম্প্রতি তিনি ইয়াহুদী ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। নারীদের সম্ভ্রম প্রহরায় গোটা বিশ্বে ইসলামের অবস্থান একক ও অতুলনীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন, ইসলামের বিধান বাস্তব অর্থেই স্বাস্থ্যবিধি ও বিজ্ঞানসম্মত। আর কুরআনই পৃথিবীর বুকে একমাত্র গ্রন্থ যা নিজের মধ্যে এরূপ অসংখ্য গুঢ়রহস্য ধারণ করে আছে।
মিসরীয় ওয়েবসাইট ‘আল মুহিত’ এর দেয়া তথ্য মতে, মিসরের ন্যাশনাল হেল্থ সেন্টারের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবদুল বাসেত তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে লেখা এক নিবন্ধে বলেছেন, "কুরআন অধ্যয়নই ইয়াহুদি বিজ্ঞানী রবার্ট গিলামের ইসলাম গ্রহণের পথ তৈরি করেছে। তাঁর চিন্তার রাজ্যে বিপ্লব এনেছে তালাকের পর স্ত্রীর পবিত্রতা অর্জনের জন্য তিন মাস অবধি ইদ্দত পালনের এর বিধান সম্বলিত আয়াত। বিখ্যাত এই বিজ্ঞানী আলোচ্য বিষয়ের আয়াতগুলো অধ্যয়ন করে অপার বিস্ময়ের স্রোতে ভেসেছেন। ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে তিনি আর কালক্ষেপণ করতে পারেননি"।
প্রতিবেদন মতে, রবার্ট যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে ইয়াহুদিদের পরিচালিত একটি গাইনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভ্রুণ গবেষণায় রত ছিলেন। ২০১২ সালের জুলাই মাসে ইসলাম গ্রহণের প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে তিনি সকলকে অবাক করে দেন। তিনি শুধু ইসলাম গ্রহণ করেই থেমে যাননি, বরং সঙ্গে সঙ্গে তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেন, "মুসলিম নারীরাই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ পবিত্র মহিলা"। তাঁর ইসলাম গ্রহণের রহস্য কিনারা করতে অনেকেই অনুসন্ধানে নেমে পড়েছেন।
বৃদ্ধ রবার্টকে ইসলামের দুর্বল করে ফেলার মতো বিষয়টা কী ছিল? সেই কৌতুহল নিবারণে তৎপর হয়েছেন অনেকেই। সেই রহস্যের পর্দাটি উন্মোচন করেছেন মিসরীয় চিকিৎসক আবদুল বাসেত। তিনি বলেন, ইসলামে একজন নারী যদি বৈবাহিক বন্ধন ছিন্ন হবার পর আরেকজন পুরুষকে স্বামী হিসেবে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার বেলায় তিন মাস অপেক্ষা করার বিধানসম্বলিত কুরআনের আয়াত ও হাদিসগুলোর অধ্যয়নই রবার্টের ইসলাম গ্রহণের কারণ। যেহেতু রবার্ট নিজস্ব গবেষণায় এ সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত পর্যায় উপনীত হয়েছিলেন যে, "তিন মাসের আগে জরায়ুতে ভ্রুণের আলামতসমূহ পরিস্কার বা নিঃশেষিত হয় না। এ সময়টি অতিবাহিত হবার পর জরায়ু সম্পূর্ণ পরিস্কার হয়ে যায় এবং নারী অপর স্বামীর বিবাহে আবদ্ধ হবার উপযুক্ত হয়ে উঠে। এ সময়টি অতিক্রান্ত হবার আগেই যদি মেয়েটি নতুন পুরুষকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করে তখন পূর্বের শুক্রাণু জরায়ুতে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে যা মারাত্মক ক্ষতিকর বিবেচিত হয়। চিকিৎসাবিদ্যা ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণে একজন স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হবার পর অথবা অন্যকোনও পন্থায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হবার পর উল্লিখিত পুরো সময়টি বিরতি না দিয়ে পরবর্তী স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবন শুরু করে তখন তা গর্ভবতী মা এবং নবজাতক উভয়ের জন্য নানান বিপদের ঝুঁকি বহন করে। এর ফলে স্বাস্থ্যগত বিবিধ সমস্যার সংক্রমণ ঘটে এবং এক পর্যায়ে রোগগুলো বংশপরম্পরায় বয়ে বেড়াতে হয়"।
কুরআন যখন কঠোরভাবে নিষেধ করলো যে, কোনও নারী স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের পর ইদ্দতের সময়টি সম্পূর্ণ শেষ হবার আগে যেন কোনোক্রমেই পরবর্তী স্বামীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ না হয় এবং হাদিসেও যখন নির্দেশনা প্রদান করা হল যে, "যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ওপর ঈমান এনেছে সে যেন অন্যের ক্ষেতে সেচ না দেয়"। অর্থাৎ ইদ্দত শেষ হবার আগে যেন তালাকপ্রাপ্তা নারীর সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ না হয়।
ডা. রবার্ট আমেরিকায় এশীয় ও আফ্রিকান অভিবাসী মুসলিম নারীদের ওপর ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে সেইসব বিবাহিত মহিলাদের জরায়ুতে কেবলই একজন পুরুষের (স্বামী) শুক্রাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। অথচ মার্কিন সমাজে বেড়ে উঠা হাজার হাজার উন্মুক্ত জীবনযাপনে অভ্যস্ত অমুসলিম নারীর জরায়ুর অবস্থা তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন, আমেরিকান ও ইউরোপীয় নারীদের সঙ্গে একাধিক পুরুষের যৌনসম্পর্কের রেওয়াজ চালু আছে। অন্যদিকে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলেন এমন মুসলিম নারীরা তো প্রথমত, বিয়ে বহির্ভূত যৌনসম্পর্ক বৈধই মনে করে না। দ্বিতীয়ত, একজন স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেলেও তিন মাস অপেক্ষা না করে নতুন পুরুষকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করে না।
প্রতিবেদনের বরাতে জানা গেছে, বিষয়টিতে নিকটজনদের অবস্থা যাচাই করতে গিয়ে উঠে আসা হতাশাব্যঞ্জক রিপোর্টে।পশ্চিমা সমাজের অন্তর্নিহিত চেহারা তাঁর মনকে আরও বিষিয়ে তোলে। খোদ নিজের তিন পুত্র সন্তানের মধ্যে কেবল একজনই তাঁর ঔরসজাত - এই রিপোর্ট ছিল তার জন্যে বজ্রঘাততূল্য।
পরিশেষে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছুলেন-"মুসলিম নারীরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সতী ও পবিত্র নারী"। তিনি যেই হারানো সম্পদের খোঁজে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অলিগলি তন্ন তন্ন করেছেন তা কতো সরল ও ঋজু ভাষায় কুরআনের আয়াতে বিবৃত হয়েছে, হাদিসের প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণিত হয়েছে, এ বিস্ময়ের ধাক্কা তাঁকে পৌঁছেদেয় বিশ্বাসের ভূবনে। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল আলোকিত জীবনের সুবহে সাদিক।
একথা কোন সন্দেহ ছাড়াই বা নিঃসন্দেহে বলা যায় ,নারীর জন্য তথাকথিত স্বাধীনতা অসম্মান ও অমর্যাদার।নারীদের ইসলামই দিয়েছে সবার চেয়ে সবচেয়ে বেশী সম্মান ও মর্যাদা। আর তা সবচেয়ে বেশী রক্ষিত হয় পারিবারিক পরিবেশে তথা ইসলাম ধর্মে । আর তাই বলা যায় যে, নারীর জন্য তথাকথিত স্বাধীনতা নয় বরং নারীর পবিত্রতাই নারীর জন্য সম্মান,কল্যান ও মর্যাদার এবং মানব জাতির বিশুদ্ধতার জন্য তাই সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন যুগ থেকে যুগান্তরে ।
চলবে -
============================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
মানব জীবন - ২ " মাতৃগর্ভ (জরায়ু)" - Click This Link
মানব জীবন - ১ "মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা"- Click This Link
তথ্যসূত্র - আল কোরআন,বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল এবং ছবি - গুগল।
উৎসর্গ : এই পর্বটি উৎসর্গিত সেই সব নারীদের জন্য ,যারা শত প্রলোভনের মাঝেও নিজেদের সম্মান,মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য যুগ যুগ ধরে তথাকথিত নারী স্বাধীনতাকে পায়ে দলে আপন মহিমায় এগিয়ে যাচছেন
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, আপনার প্রথম মন্তব্যের জন্য।
আপনার এ মন্তব্যের জবাব আমি একটা উদাহরনের মাধ্যমে দিব।
দুনিয়ার সকল রাষ্ট্রে সরকার রাস্তা বানায়।আর তারপর সরকারের নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ,সরকার কর্তৃক তৈরী রাস্তা ব্যবহারের নিয়ম কানুন রাস্তা ব্যবহার কারিকে শিক্ষা দেয়।যাদের কে আমরা সাধারনত চালক বলি ।আর এই চালক রা বিভিন্ন ধরনের গাড়ী দ্বারা রাস্তা ব্যবহার করেন।তাদের ছাড়াও পথচারী নামে আরো একদল মানুষ রাস্তা ব্যবহার করেন। এই উভয়েই রাস্তা ব্যবহারের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে চেষ্টা করেন এবং তার পরেও মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে এবং মানুষ মারা যাওয়া ছাড়াও সম্পদ হানী ঘটে। এক্ষেত্রে সরকার বা রাস্তা তৈরী কর্তৃপক্ষের কোন দায় থাকেনা বা দায় ব্যবহারকরীর উপরেই বর্তায়।
ঠিক তেমনি স্রষ্টা এ দুনিয়া তৈরী করে দুনিয়া ব্যবহারের নিয়ম কানুন তথা মানুষ কিভাবে এ দুনিয়ায় চলবে তা মানুষকে শিখানোর জন্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।তারা স্রষ্টার নিয়মের ভিত্তিতে বা স্রষ্টার তৈরী আইন-কানুন তথা ধর্মের ভিত্তিতে কিভাবে দুনিয়ায় জীবন যাপন করবে তার এক দিকনির্দেশনা দিতে চেষ্টা করেছেন বা দিয়েছেন। এখন মানুষ তার চলার পথে ন্যায়-অন্যায় যা কিছু করবে তার দায় শুধুমাত্র তারই। এক্ষেত্রে স্রষ্টার,ধর্মের বা নবীর কোন দায় নেই। আর মানুষের জন্য স্রষ্টা নবী রাসুল পাঠিয়েছেন ও বিবেক দিয়েছেন ন্যায়-অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বুঝার জন্য।
কাজেই মানুষের পাপ কাজের দায় কোন ভাবেই ধর্মের নয় তা সে যেই ধর্মের অনুসারীই হোকনা কেন।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
নীল আকাশ ৩৯ বলেছেন: ভাই,
ধন্যবাদ আপনাকে। আল্লাহ আপনাকে এত সুন্দর একটা লেখার জন্য উত্তম পুরষ্কার দান করুন।
কিন্তু দূঃখের বিষয় হল কিছুক্ষণ পরেই এই পোস্টে মৌলবাদী, রাজাকার, মধ্যযুগের ধ্যান ধারনা নিয়ে আছে এইসব আজে বাজে মন্তব্য আসা শুরু করবে। আপনার সাথে যুক্তি দিয়ে যখন পারবে না তখন শুরু করবে ব্যক্তিগত আক্রমণ।
আগেই বলে গেলাম। সাবধান থাকার জন্য।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই পৃথিবীর প্রতিটা চিন্তাশীল ব্যক্তির জন্য উদাহরন রেখে দিয়েছেন যেন তারা আসলটা উপলব্দি করতে পারে। ঠিক পথে ফিরে আসতে পারে।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
সূরা আর রাহমান, আয়াত ১৩
শুভ কামনা
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ ৩৯ ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
আল্লাহ আপনাকেও তওফিক দান করুন ভালর সাথে থাকার এবং ভাল কাজ করার জন্য।
সত্য বরাবরই এবং চিরকাল সত্য ও সুন্দর।এখন কেউ কেউ সত্যকে স্বীকার করবে আর কেউ স্বীকার করবেনা। তাই বলে সত্য মিথ্যা হয়ে যাবেনা।আর এই দুনিয়ায় আল্লাহ অসংখ্য উদাহরন রেখেছেন চিন্তাশীলদের জন্য।এখন আমরা যদি আল্লাহর রহমত ও হেদায়েত পাই তবেই তা আমাদের জন্য কল্যাণকর।
অবশ্য আল্লাহ সবার ভাগ্যে রহমত ও হেদায়েত নসীব করেন না।আল্লাহ আমাদের সকলকে তার রহমত ও হেদায়েত নসীব করুন।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসলমানেরা মিথ্যা কথা বলার ফলে, ৫৭টি মুসীম দেশে কি হচ্ছে, আসল তথ্য কেহ জানে না, আপনার সব পোষ্ট মিথ্যা তথ্যের ভান্ডার।
মুসলিম মেয়েদের নিয়ে লেখা জাপানী লেখকের লেখা পড়তে চাই।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যের জবাব," মানুষের পাপ কাজের দায় কোন ভাবেই ধর্মের নয় তা সে যেই ধর্মের অনুসারীই হোকনা কেন"।
জানার জন্য আপনার অধিকার আছে সুদুর চীন দেশে যাওয়ার এবং জাপানী লেখকের বই পড়ার। ধন্যবাদ।
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসলিম মেয়েরা শুধুমাত্র আমেরিকা ও ইউরোপে ভালো করছেন; আমেরিকায় ২ জন কংগ্রেসম্যান আছেন।
মিশরের প্রতিটি গরীব মেয়ে ২/১ সপ্তাহের জন্য আরবী টুরিষ্টদের সাথে বিয়ে বসতে বাধ্য হয়, এটা পারিবারিক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে মিশর ও মরক্কোতে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
সম্মান ,মর্যাদা ও যোগ্যতা নিয়ে যারা এগিয়ে যেতে পারবে তারা শুধু আমেরিকায় নয় সারা দুনিয়াতেই এগিয়ে যেতে পারবে।তবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইচছাশক্তি,সুযোগ ও যোগ্যতা জরুরী।
আর ২ য় ভাগের মন্তব্যের জবাব," মানুষের পাপ কাজের দায় কোন ভাবেই ধর্মের নয় তা সে যেই ধর্মের অনুসারীই বা যে দেশেরই হোকনা কেন"।
৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তসলিমা নাসরিন প্রকাশ করেছে জরায়ুর স্বাধীনতা চায় কিন্তু ভিতরে ভিতরে অনেক আছে যারা সমাজের ভয়ে প্রকাশ করে না । ইসলামও মানে না।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমাদের দেশেও এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারী অনেকেই জরায়ুর স্বাধীনতা তথা অবাধ যৌনাচার করতে চায় ।এটা একদম সঠিক ।ভাল খারাপ সব সমাজ এবং ধর্মের অনুসারীদের মাঝেই আছে । এ নতুন কিছু নয়।
আর ইসলাম ধর্মে কোন পাপচারের ও অন্যায়ের স্থান নেই ,তা সে নারী পুরুষ যেই হোক
৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকান কোন গাইনি ডাক্তার কখনো পেশেন্টের ধর্মীয় পরিচয় জানতে পারে না। কোন আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, চাকুরির দরখাস্ত কোথাও মানুষের ধর্মীয় পরিচয় জানতে চাওয়া হয় না।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি যা বলেছেন তা এক অর্থে ঠিক এবং এক অর্থে ঠিক নয়।আপনি যখন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কার্ড তথা ভিসার জন্য আবেদন করেন সেখানে আপনার ধর্মীয় পরিচয় জানতে চাওয়া হয়না বা একটা কলাম নেই ,এটা বোধ হয় ঠিক বলেন নি। আর তাই যদি না হত তাহলে শুধু ইসলাম ধর্মের অনুসারী বা মুসলিমদের জন্য ভিসা কিভাবে আমেরিকা বন্ধ করে? আপনাকে কিছু
জিজ্ঞাসা করেনা তার মানে এই নয় যে,তারা আপনার ধর্ম পরিচয় জানেনা। কারন আপনার ধর্ম পরিচয় জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারে সংরক্ষিত আছে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ তা সহজেই দেখতে পায়।
আর আপনার যদি স্বাস্থ্য সেবা বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্ক ধারনা থাকে তাহলেও এটা ঠিক নয় । কারন ডাক্তার যখন একজন রোগীর চিকিতসা শুরু করেন তখন তার সব কিছুই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জানতে চেষ্টা করেন ।তবে তা যদি হয় সাধারন জ্বর, মাথাব্যথা তার জন্য ডাক্তার এতসব জানতে চাইবেন না বা চাননা।
তবে তা যদি হয়,গাইনি বা নিউরো এবং গুরুতর রোগ বা উর্বরতা(বন্ধ্যাত্ব)সম্পর্কিত তাহলে ডাক্তার রোগীর সব রকমের তথ্য যথা তার জীবন-যাপন,সংসার,তার ধর্ম ,তার পরিবার-পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে বিশদ জানেন ।আর এ সবই তার চিকিতসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের আবারো ধন্যবাদ।
৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
নতুন বলেছেন: তাহলে নারীর মুল জিনিস হলো তার যোনী আর জরায়ু? এটার হেফাজতই আসল কথা। এটাই যত নস্টের মুল? এটাতেই পবিত্রতা এটাতেই পরিত্রান? এটাই পুরুষের চাওয়া যেন এটা পিউর থাকে।
পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে দুস্ট পুরুষেরা নারীর পাজামার ভেতরে যেতে চেস্টা করে। আর ইসলাম এটাতে সম্পূন কতির্ত পুরুষকেই দিয়ে রাখতে চায়।
স্বামী ইচ্ছা করলেই ৪ টা বিয়ে করতে পারে।
স্বামী ইচ্ছা করলেই তালাক দিতে পারে।
স্বামী যৌন কাজে যখন ইচ্ছা তখন ডাকতে পারে এবং যদি স্ত্রী না আসে তবে ফেরেস্তারাও বেজার হয়।
স্বামী স্ত্রীদের হালকা মারধোর করতে পারে। পৃথক বিছানায় থাকতে দিতে পারে।
স্বামীর দাসী থাকলে তাদের সাথে যৌন কাজ করতে পারে যদিও তার স্ত্রী থাকে এবং স্ত্রী কি মনে করলো সেটা কোন বিষয়না।
স্বামী যদি অন্যায় ভাবে স্ত্রীকে আঘাত করে তবুও স্ত্রী স্বামীকে আঘাত করতে পারবেনা।
স্ত্রীকে মারধোরের জন্য স্বামীর বিচারের কোন হাসিদ বা কোরানের আয়াত নেই।
হয়তো ১৪০০ বছর আগে ততকালীন বর্বর আরবের জন্য ঐ সময়ে ইসলামের নিয়ম গুলি ভালো ছিলো। এখনকার বিশ্বের জন্য অনেক নিয়মই চলেনা।
পর্দা প্রথার নামে কাপড় দিয়ে মুড়ে নারীদের ঘরে রাখার বাড়াবাড়ীর কারনে ইসলাম নারীদের মাঝে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। একজন নারী এক গ্লাস পানি পযন্ত মুক্ত ভাবে খেতে পারেনা সেটা আবার কি রকমের উপকারী পোষাক???
বিশ্বের অনেক দেশেই নারীরা বোরকা পড়েনা এবং তারা অনেক নিরাপদে আছে। তাদের কে পুরুষেরা ত্যাক্ত করেনা। তাদের গায়ে হাত দেয় না।
দিন দুনিয়া পাল্টে গেছে। সামনের জামানায় এই ধারনা চলবেনা।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার চমতকার ও দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য।
নারীর মূল জিনিষ হল সম্মান, শ্রদ্ধা ও পবিত্রতা । আর তা আপনার ,আমার,আমাদের এবং সকলের জন্য দরকার।
চার বিয়ের ব্যাপারে আপনি যা বলেছেন তা এখানে প্রযোজ্য নয়।এর জন্য বিস্তারিত বলার জন্য একটি পোস্ট প্রয়োজন।তালাকের জন্য ইসলামে নর-নারী উভয়কে অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং তা উভয়ের জন্য হালাল (যদিও তা নিকৃষ্ঠতম হালাল)।
ইসলাম কোন অন্যায়কে সমর্থন করেনা।
আপনি যা বলেছেন ,তার সবগুলিই আপনি আংশিক বা খণ্ডাংশ বলেছেন। কোন বিষয়ে বললে সে বিষয়ে পুরোটা বলা দরকার আংশিক নয়। নারীর পর্দা নারীকে সম্মানিত করে বন্দী নয়। আর কার সমানে এবং কিভাবে সে তার জীবন যাপন করবে সে সব আল কোরানে বিশদ বলা আছে।
একজনের কাছে যা ময়লা তা অন্যজনের কাছে জীবন যাপনের উপাদান হিসাবে বিবেচীত হতে পারে। আর তা নির্ভর করবে উপযোগীতা এবং প্রয়োজনের উপর।
৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
নতুন বলেছেন: নারীদেের ঠিক করতে দিন তারা কি পোষাক পরতে চায়।
নারীদের ঠিক করতে দিন তারা কি কাজ করতে চায়।
নারীদের ঠিক করতে দিন তারা কি করবে।
নারীদের উপরে পুরুষের কর্তত্ব সৃস্টিকতার হুকম এই ধারনাটা পুরুষের মাথা থেকে বাদ দিন। তাহলেই নারীরা স্বাধীন ভাবে বাচতে পারবে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই,সন্তান জন্মের পর তাকে ভাল-খারাপ তথা ন্যায়-অন্যায়,নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার দায়িত্ব ও কর্তব্য বাবা-মায়ের ।তারা যদি এ ব্যাপারে সন্তানকে যথাযথ শিক্ষা না দেয় তাহলে সন্তানকে দোষ দিয়ে লাভ নেই এবং বাবা -মা বলার পরে সন্তান তা যদি যথাযথ না পালন করে তবে এর দায় বাবা-মায়ের নয়।
ঠিক তেমনি ধর্ম নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে এ দুনিয়াতে তাদের করনীয় - বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে শুধু দিক নির্দেশনা দিয়েছে । মানা না মানা তা যার যার নিজস্ব ব্যাপার। এ ব্যাপারে ধর্মের কোন দায় আর থাকেনা । কারন জীবন শেষে প্রত্যেকেই তার কাজের জন্য সেই জিজ্ঞাসিত হবে এবং যার যার কাজের জন্য সেই জবাবদিহী করবে ।অন্য কেউ নয়।
নর-নারী সবাইকে সৃস্টিকতার প্রতিটা আদেশ নিষেধ মেনে চলতে হবে যদি আমি-আপনি ধর্মের অনুসারী হই ।আর ধর্ম না মানলে এ সব মানার বাধ্যবাধকতা কারো থাকেনা।
৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫১
মেরুভাল্লুক বলেছেন: শেষ পররযন্ত ধর্মটাকেও এরা নারী যোনি আর জরায়ুর ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলেছে । ভাই যার ইচ্ছা সে একজনের সাথে সেক্স করবে, যার ইচ্ছা সে বহুজনের যাথে সেক্স করবে তাতে আপনার সমস্যা কি??
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মেরুভাল্লুক ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
সেটাই।আমার কোন সমস্যা নেই ,যার যা ইচছা তা করার এবং যে যা করবে তার ব্যাপারে। তবে আমরা যদি ধর্মের অনুসারী হই তবে তাহলেই সমস্যা। মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আসে।
অভিযোজন ই প্রধান ।যেমন মেরুভাল্লুক শুধু মেরু তথা বরফেই বাঁচে গরম এলাকায় নয়।ঠিক তেমনি , যে বা সে এবং যার ইচছা সে বহুজনের যাথে সেক্স করবে সবাই নয়। এটা না সবাই মানবে বা করবে না এটা শোভন সবার জন্য।
যে যেমন সে তেমনটাই করবে।এ ব্যাপারে ধর্ম শুধু দিক নির্দেশনাই প্রদান করে ।কাউকে তা মানতে বাধ্য বা জোর করেনা।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: উদাহরন হিসাবে,ভাল্লুক এবং শুকর'কে দেখতে পারেন। উভয়েই চার পেয়ে এবং গঠনগত আকৃতিও প্রায় একই রকম হলেও প্রকৃতি বা স্বভাবে রয়েছে বিশাল পার্থক্য।
ভাল্লুক পরিষ্কার থাকতে পছন্দ করে ।অন্যদিকে শুকর পরিষ্কার এবং শুকনা জায়গায় থাকলেও বা রাখলেও তার অভ্যাস বা
স্বভাবের কারনে কিছু সময় পর সে পরিষ্কার জায়গাটাই নোংড়া এবং কর্দমাক্ত করে ফেলবে এবং এখানেই মল-মূত্র ত্যাগ করবে আর তারপর তাতেই থাকবে এবং সেই ময়লাই সে প্রতিনিয়ত ঘাটবে।এটাই শুকরের স্বভাব।
কাজেই আকৃতিতে মানুষের হলেও সবাই মানুষ নয়। যার যা স্বভাব ,সে তাই তাই করবে ।কেউ একে তৃপ্তথাকবে আর কেউ বহুগামী হবে ।এটা যার যার রুচি এবং স্বভাবের ব্যাপার।
১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
শিশির আহমেদ শিশির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শিশির আহমেদ শিশির ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ এত দীর্ঘ পোস্ট কষ্ট করে পড়ার জন্য।আললাহর নিকট আপনারও সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য দুয়া রইল।
১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার পোষ্টগুলোতে সব সময় ভুয়া তথ্য দেন। আরবে মেয়েদের মানুষও মনে করা হয় না; সব মুসলিম দেশে একই অবস্হা।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: জনাব চাঁদগাজী ভাই, আবারো এসেছেন ,মন্তব্য করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।
মুসলমানদের সম্পর্কে আপনার দর্শন বা মতামত একপেশে।আর কোন ইনফরমেশন টা ভূয়া নির্দিষ্ট করে বলবেন কি?
১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
মাহিরাহি বলেছেন: সাম্প্রতিক সমীক্ষায় আমেরিকান সামরিক বাহিনীর দুই তৃতীয়াংশ মহিলা বলেছেন যে তাদের চাকরি করার সময় তাদের যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল বা লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। মোট, 68 68 শতাংশ মহিলা বলেছেন যে তারা সামরিক ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন এবং 66 66 শতাংশ বলেছে
https://www.independent.co.uk/news/world/americas/women-us-military-sexual-assault-harassment-study-assault-a8710071.html
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মাহিরাহি, আপনার মন্তব্যের জন্য।
যৌন নির্যাতন মুসলিম কিংবা অমুসলিম সব ধর্মের রাষ্ট্রেই আছে। এ ক্ষেত্রে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো ,এ ব্যাপারে ধর্মের ব্যাখ্যা কি বা ধর্ম কি বলে ?
ইসলামে সকল প্রকার যৌন নির্যাতন,নারীর প্রতি সহিংসতা এবং অবৈধ যৌন সম্পর্ক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এটাই প্রধান।
১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মাহিরাহি বলেছেন: দয়া করে আপত্তিকর ছবিগুলো সরিয়ে ফেলুন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মাহিরাহি,ছবি বাছাই বা সংযুক্ত করার ব্যাপারে আমি খুবই সাবধানতা অনুসরণ করি এবং বিষয়বস্তুুর সাথে প্রাসংগিক ছবি ই দিতে
চেষ্টা করি।
তারপরেও কোন ছবিটা আপত্তিকর যদি মেহেরবাণী করে বলেন তাহলে সরিয়ে ফেলব।আবারো আপনাকে ধন্যবাদ।
১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মাহিরাহি বলেছেন: 66 শতাংশ বলেছেন যে তারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বা লাঞ্ছিত হয়েছেন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: যৌন হয়রানি সারা দুনিয়ায় ছিল, আছে এবং তা থাকবে। তা দূর করার জন্য শুধু ধর্মই যথেষ্ট না । এর জন্য পারিবারিক শিক্ষা ও পরিবেশ,নীতি-নৈতিকতা ও মনুষ্যত্বের বিকাশ ও লালন জরুরী।
১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
মাহিরাহি বলেছেন: তৃতীয়াংশেরও বেশি মেয়ে বলে যে তারা স্কুলে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছ
https://kaleistyleguide.com/news/2020/01/19/third-girls-say-have-sexually-harassed-school-charity-survey/
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বা আমেরিকার সমাজে উচ্চ বিদ্যালয়ে উঠলেই ছেলে-মেয়ে যৌন অভিজ্ঞতা লাভ করে ।আর ক্ষেত্রে সবটাই যে পরস্পরের সমঝোতার ভিত্তিতে হয় তা নয়। কিছু হয়রানী ঘটেই থাকে। এটা অস্বীকার করার উপায় নাই।
১৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বোরখা পরা নিয়ে, আফগানিস্তান, ইয়েমেনে একজনের স্ত্রীকে অন্যজনে পিটাতে পারে; পঁচা ইয়েমেনীরা বিয়ের যৌতুক কম দেয়ার জন্য ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার মেয়েদের বিয়ে করে আনে, ইয়েমেনের মেয়েদের বিয়ে হয় না। ইসলাম মেয়েদের যৌনদাসীতে পরিণত করেছে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাবে আমি কিছু বলব না ।
কারন , আপনি যদি যুক্তিতে কথা বলেন তবেই কেবল তার জবাব হয় অযৌক্তিক কথার জবাব হয়না বা অযথা তর্ক করা বোকামী।
১৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
মাদ্রাসায় পড়া প্রতিটি মেয়ের গায়ে হাত দেয় মোল্লারা
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, যৌন হয়রানি সারা দুনিয়ায় ছিল, আছে এবং তা থাকবে। তা দূর করার জন্য শুধু ধর্মই যথেষ্ট না । এর জন্য পারিবারিক শিক্ষা ও পরিবেশ,নীতি-নৈতিকতা ও মনুষ্যত্বের বিকাশ ও লালন জরুরী।
১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পুরুষের লিঙ্গের পবিত্রতা নির্ধারণের কোন ব্যবস্থা কি আছে?বিয়ের আগে পরীক্ষা করে দেখা যেতো তার মান মর্যাদা আছে কি নেই।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুলইসলা০৬০৪ ভাই, আপনার রসিক কিন্তু বাস্তব মন্তব্যের জন্য। আসলে ভাই, নারী -পুরুষ কারোর জন্য ই এ সিস্টেম চালু হয়নি।তবে একজন মানুষের তা সে নারী বা পুরুষ যেই হোক না পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্ব তার একান্তই নিজের। এক্ষেত্রে ধম' শুধু নীতি নির্ধারনী ভুমিকা পালন করে মাত্র। আর পরিবার এবং পরিপাশি' ক অবস্থা এবং যার যার জীবন এ অজি'ত শিক্ষা তাকে সেই পথেই পরিচালিত করে যা সে সমাজ,সংসার ও পরিবার থেকে লাভ করেছে। আর পবিত্রতা যদি মন থেকে, নিজ থেকে না আসে তবে প্যারামিটার বা মিটার দিয়ে কি হবে?
১৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। তারপরও আপনার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।আপনাকে ও ধন্যবাদ কস্ট করে পড়ার জন্য। আর জগতে মত ও মনের অমিল থাকবেই। থাকবে এবং হবে বিতক',আর এভাবেই সত্য প্রতিষ্ঠা পাবে। আমি, আপনি শুধু চেষ্টা করতে পারব।ফলাফল আল্লাহর পক্ষ থেকে আসবে। আমাদের শুধু জানার চেস্টাটাই চালিয়ে যেতে হবে আর তার থেকে ভালটা গ্রহন আর খারাপ ত্যাগ করতে হবে।
২০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিম দেশেই মুসলিম নারীরা ভালো নেই। তারা স্বাধীণ না। ধর্ম তাদের বোরখা, এমন কি হিজাব, হাত মোজা পড়তে বাধ্য করেছে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
ধর্ম কাউকে বোরখা, হিজাব,এমন কি হাত মোজা পড়তে বাধ্য করেছেনা।ধর্ম শুধু আপনাকে পথ বাতলে দিচছে। মানা না মানা সম্পূর্ণভাবে তাদের ব্যাপার।
২১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম বলে, নারীকে তারা অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে।
আমি তো দেখি ইসলাম নারীকে কোনঠাসা করে ফেলেছে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
যে কোন কিছুতে বা ঘটনায় শুধু দৃষ্টিভংগির পার্থক্যের কারনে পুরো ঘটনাই পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে বা বাধ্য।আপনি আপনার জায়গায় হয়ত ঠিকই আছেন।
২২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪১
অন্তু নীল বলেছেন: ইসলামে পুরুষের কি ব্যাবস্থা আছে যৌন পবিত্রতা রক্ষার ক্ষেত্রে সেই বিষয়টা নিয়ে একদিন লেখার অনুরোধ করছি।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ন্যবাদ অন্তু নীল ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
ইসলামে বিবাহবহির্ভূত নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্ক এবং একসাথে একাধিক জনের সাথে যৌন সম্পর্ক চরমভাবে নিষিদ্ধ।
ইসলামে অবাধ ও বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক শুধু নিষিদ্ধই করা হয়নি বরং যারা বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক রাখে তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে কঠোর-কঠিন শাস্তি প্রদানের ভয় দেখানো হয়েছে। ইসলামে এ ব্যাপারে কোন দ্বৈত মাপকাঠির ব্যবস্থা নেই। যারা অবৈধ যৌন সম্পর্ক রাখে সে সকল নারী ও পুরুষের শাস্তির মধ্যে কোরআন ও হাদীসে কোন পার্থক্য করা হয়নি। উভয়ের জন্যই একই রূপ কঠিন শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে।
তার পরেও আপনার অনুরোধের বিষয়ে একসময় লিখতে চেষ্টা করব।
২৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:০২
রানার ব্লগ বলেছেন: ধর্ম যখন পন্য হয়ে যায় তখন তাতে কার কি অধিকার বা কি নিয়ম শৃঙ্খলা সেটা আর বিবেচ্য থাকে না, উহা তখন কেবলই পন্য, যাহা অন্যান্য নেশার দ্রব্যের মত বাজারে বিক্রি হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধর্ম এখন পন্য, অন্য দেশের খবর জানি না। তবে আপনার হেডিং টা অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে অমর্জাদাশীল। আপনার চিন্তা ভাবনায় সমস্যা আছে আপনি নারী স্বধিনতা কে যৌনতার সুরসুরি মনে করেন, এটা অন্যায়। পৃথিবীর সকল ধর্মই নারীকে অমর্জাশীল একটি অবস্থানে রেখেছে। আপনাকে বুঝতে হবে নারী অধিকার অর্থ কেবল মাত্র তার যৌন অধিকার না তার জীবন প্রনালী ও সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাস্ট্রিয়, সামরিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ও অন্যান্য অধিকারের কথা বলা হয়।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমার লেখার হেডিং "নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা " - কোনটা নারীর জন্য অধিক সম্মান ও মর্যাদার এবং মানব জাতির জন্য কল্যাণের"? ।তা কিভাবে অন্য ধর্মাবলম্বী নারীদের জন্য অমর্যাদাশীল তা যদি বলতেন? আমার নিকট জগতের সকল নারীই সমান ভাবে সম্মানের।
ঠিক সেটাই।নারী স্বাধীনতা অর্থ হলো, নারীর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং নিজের সুস্থ চিন্তার সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারা।নারী স্বাধীনতা মানে হল নারী তার জীবনে পবিত্রতা,সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচবে এবং পরিবারে ও সমাজে তার যোগ্যতা-সামর্থ্য অনুযায়ী ভুমিকা রাখবে।
আমার লেখায় আমি তাই বলতে চেয়েছি।
২৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:২০
অনল চৌধুরী বলেছেন: আরব এবং পশ্চিমা সমাজে নারীর অবস্থা দুইরকম শোচনীয়।
আপনার দেয়া ছবিব মতো নিশ্চিত অবস্থা কোনো দেশেই নাই।
ডা. রবার্ট আমেরিকায় এশীয় ও আফ্রিকান অভিবাসী মুসলিম নারীদের ওপর ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে সেইসব বিবাহিত মহিলাদের জরায়ুতে কেবলই একজন পুরুষের (স্বামী) শুক্রাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। অথচ মার্কিন সমাজে বেড়ে উঠা হাজার হাজার উন্মুক্ত জীবনযাপনে অভ্যস্ত অমুসলিম নারীর জরায়ুর অবস্থা তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন, আমেরিকান ও ইউরোপীয় নারীদের সঙ্গে একাধিক পুরুষের যৌনসম্পর্কের রেওয়াজ চালু আছে। অন্যদিকে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলেন এমন মুসলিম নারীরা তো প্রথমত, বিয়ে বহির্ভূত যৌনসম্পর্ক বৈধই মনে করে না- তাহলে বাংলাদেশের মতো দেশে চুরি-দুর্নীতি-ধর্ষণের মতো এতো অপরাধ করছে কারা? বাংলাদেশে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের পরিমাণ কতো , সেটা কি আপনার জানা আছে ?
জেন ফন্ডা ফরাসী না, এ্যামেরিকার নায়িকা।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ অনল চৌধুরী,আপনার মন্তব্যের জন্য।
সারা দুনিয়াতেই মানুষের অবস্থা শোচনীয় । তা আরব বা পশ্চিমা বলে কথা নয়।আর সামান্য একটা ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে একটা দেশের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরা কোন ভাবেই সম্ভব না।
ভাই,চুরি-দুর্নীতি-ধর্ষণ বন্ধের জন্য ধর্ম যথেষ্ট না ।এর জন্য মানুষের নৈতিক শিক্ষা,সামজিক এবং পারিবারিক পরিবেশ ও যথাযথ শিক্ষা জরুরী।
ইসলামে বিবাহবহির্ভূত নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্ক এবং একসাথে একাধিক জনের সাথে যৌন সম্পর্ক চরমভাবে নিষিদ্ধ।
ইসলামে অবাধ ও বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক শুধু নিষিদ্ধই করা হয়নি বরং যারা বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক রাখে তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে কঠোর-কঠিন শাস্তি প্রদানের ভয় দেখানো হয়েছে। ইসলামে এ ব্যাপারে কোন দ্বৈত মাপকাঠির ব্যবস্থা নেই। যারা অবৈধ যৌন সম্পর্ক রাখে সে সকল নারী ও পুরুষের শাস্তির মধ্যে কোরআন ও হাদীসে কোন পার্থক্য করা হয়নি। উভয়ের জন্যই একই রূপ কঠিন শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৯
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাদের মত লোকদের কাছে হিজাবের অপজিটে সবসময় বিকিনি। এর মাঝে আর কিছুই নাই...। কয়টা পশ্চিমা মেয়ে মানুষ দেখেছেন জীবনে??? সবই তো হলিউডের অল্টারনেটিভ বায়বীয় জীবন দেখেই এই ধরনের ভোতা সস্তা উপলব্ধি। আসুন দেখুন এদের আসল সমাজ...। নারী স্বাধীনতার মানে দেখুন কিভাবে কাধ কাধ মিলিয়ে শিক্ষা, বিজ্ঞান, চিকিৎসা, ব্যবসায় মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের নোবেল পুরস্কার দেখুন, যে দুজন মহিলা বিজ্ঞানী পৃথিবী কাপানো টেকনোলজি আবিস্কার করেছে, সেটা আপনার ভাষায় যারা পশ্চিমা নারীদের চেয়ে ১০০ গুন ভাল- তারা ঠিকমত বানান ও করতে পারবে না সেই টেকনোলজি....তবে তাদের আবিস্কৃত এই CRISPR Technology যে টা পুরা পৃথিবীর ক্যান্সার থেকে আরম্ভ করে Aging কে জয় করার প্রাথমিক কাজ হয়ে গিয়েছে, সেই ঔষুধ যখন আপনার দরকার পড়বে, তখন মনে থাকবে না যে পশ্চিমা মেয়েদের আপনি কিভাবে ডিফাইন করেছেন
"নারী-পুরুষের একত্র মিলন, অর্ধনগ্ন পোশাকে বিবাহপূর্ব প্রেম-অভিসার এবং যৌথ সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে মদ্যপান, নেশাপান ও নৃত্যগানের মাধ্যমে নারী-পুরুষের অবাধ যৌনাচারের সুযোগদানের জন্য জিদ ধরেন"
তাদের আবিস্কার এর ব্যাপকতা আপনাদের মত লোকেরা জীবনে ও বুঝবেন না তবে এটা মনে রাখবেন মেয়েরা যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এগিয়ে আসছে, আপনার এই কদর্য্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য একদিন ক্ষমা চাইবেন।
এখানে দেখুন কিভাবে তাদের আবিস্কার পৃথিবী চেন্জ করে দিবেCRISPR Medical and Agricultural application
এছাড়া জন্মান্ধ, প্যারালাইসিস, ক্যান্সার ইমিউনিথেরাপি এসব ক্ষেত্রে এই টেকনোলজি যে রোল প্লে করছে সেটা দেখে এখনই বলা হচ্ছে যে ভবিষ্যতে মানুষ ১২৫ থেকে ১৫০ বছর বেচে থাকতে পারবে। বাচ্চা জন্মের আগেই তার মাঝে থাকা ডিফেক্টিভ জিন গুলিকে সরিয়ে দেওয়ার মত কাজ ও করা যায় এই টেকনোলজি দিয়ে। সবই সম্ভব হচ্ছে পশ্চিমা নারী বিজ্ঞানীর হাত ধরেই যারা জরায়ু স্বাধীনতা ও উপভোগ করে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কলাবাগান১ ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাই ভাল-খারাপ সারা দুনিয়ায় এবং সকল ধর্মে অনুসারীদের মাঝেই আছে।আর শিক্ষার মাঝেই নর-নারীর প্রকৃত মুক্তি ও মর্যাদা নিহিত এ বিষয়ে কোন মতবিরোধ নেই এবং প্রযুক্তির আবিষ্কারের সুবিধাভোগী সবাই এ বিষয়েও কোন সন্দেহ নেই।
আর এটা বলতে আপনি কোনটা বুঝিয়েছেন - ঠিক বুঝলাম না।আর যদি এটা "মুসলিম নারীরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সতী ও পবিত্র নারী" হয়,তাহলে বলব এটা আমার মন্তব্য নয় ।এটা একজন মানুষের উপলব্ধি ।যা তিনি সারাজীবন দেখে-শুনে অর্জন করেছেন।
আবারো আপনাকে ধন্যবাদ অনেকগুলি প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার জন্য।
২৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এই ব্লগে ধর্মীয় পোস্ট দিলে সাথে সাথে অনেকের চুলকানি শুরু হবে।
নারী স্বাধীনতা বলে যেসব পুরুষ স্বরব তারাও দিন শেষে নারীর দেহ খোঁজে আর তথাকথিত নারী স্বাধীনতাকামী নারীরাই তাদের শরীরে ঐষব পুরুষদের স্থান দেয়।
এগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালেও তারা নারী স্বাধীনতা বলতে অবাধ যৌনতার সাথে যথেচ্ছ জীবন যাবনকেই বুঝে ও পছন্দ করে।
পোস্টে +++++++++
সুন্দর প্রতিমন্তব্য করার জন্যও ধন্যবাদ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই,আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
মত-মনের অমিল সারা দুনিয়ায় ছিল-আছে -থাকবে।যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে,এটাই নিয়ম ।তবে এখন বেশীরভাগ মানুষ ই যুক্তি-তর্কের মাঝে যেতে চায়না বা যুক্তি-তর্কে না পারলে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে ।যা কোন ভাবেই শোভন নয়।
নারী স্বাধীনতা অর্থ হলো, নারীর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং নিজের সুস্থ চিন্তার সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারা।নারী স্বাধীনতা মানে হল নারী তার জীবনে পবিত্রতা,সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচবে এবং পরিবারে ও সমাজে তার যোগ্যতা-সামর্থ্য অনুযায়ী ভুমিকা রাখবে।এটা যদি সবাই মানে তাহলে ত আর কোন সমস্যাই থাকেনা।তবে অনেকেই জিং জিং (বিখ্যাত ডায়লগ) খেলতে পছন্দ করে আর তারাই তাদের লালসা চরিতার্থ করার জন্য এ সব বলে।
আবারো ধন্যবাদ রইলো।
২৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৮
নতুন বলেছেন: কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাদের মত লোকদের কাছে হিজাবের অপজিটে সবসময় বিকিনি। এর মাঝে আর কিছুই নাই...। কয়টা পশ্চিমা মেয়ে মানুষ দেখেছেন জীবনে??? সবই তো হলিউডের অল্টারনেটিভ বায়বীয় জীবন দেখেই এই ধরনের ভোতা সস্তা উপলব্ধি। আসুন দেখুন এদের আসল সমাজ...। নারী স্বাধীনতার মানে দেখুন কিভাবে কাধ কাধ মিলিয়ে শিক্ষা, বিজ্ঞান, চিকিৎসা, ব্যবসায় মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের নোবেল পুরস্কার দেখুন, যে দুজন মহিলা বিজ্ঞানী পৃথিবী কাপানো টেকনোলজি আবিস্কার করেছে, সেটা আপনার ভাষায় যারা পশ্চিমা নারীদের চেয়ে ১০০ গুন ভাল- তারা ঠিকমত বানান ও করতে পারবে না সেই টেকনোলজি....তবে তাদের আবিস্কৃত এই CRISPR Technology যে টা পুরা পৃথিবীর ক্যান্সার থেকে আরম্ভ করে Aging কে জয় করার প্রাথমিক কাজ হয়ে গিয়েছে, সেই ঔষুধ যখন আপনার দরকার পড়বে, তখন মনে থাকবে না যে পশ্চিমা মেয়েদের আপনি কিভাবে ডিফাইন করেছেন
"নারী-পুরুষের একত্র মিলন, অর্ধনগ্ন পোশাকে বিবাহপূর্ব প্রেম-অভিসার এবং যৌথ সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে মদ্যপান, নেশাপান ও নৃত্যগানের মাধ্যমে নারী-পুরুষের অবাধ যৌনাচারের সুযোগদানের জন্য জিদ ধরেন"
তাদের আবিস্কার এর ব্যাপকতা আপনাদের মত লোকেরা জীবনে ও বুঝবেন না তবে এটা মনে রাখবেন মেয়েরা যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এগিয়ে আসছে, আপনার এই কদর্য্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য একদিন ক্ষমা চাইবেন।
আমাদের দেশের বেশির ভাগেরই ধারনা পশ্চিমা নারি মানে অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত অস্বালীন পোষাকের নারী। হলিউড মুভি আর পর্ণ সাইটের ভিডিও দেখেই এমন ধারনা হয়েছে এদের।
এরা এটা বোঝেনা ঢাকার ছবি যেমন বাংলাদেশী নারীদের বোঝায় না তেমনি হলিউডি ছবি আমেরিকার সমাজের কপি না।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
সকল পশ্চিমা নারী মানেই অবাধ যৌনাচার,তা একদম ঠিক নয়।তবে তাদের জীবন ধারন ও সংস্কৃতি ইসলামের সাথে বা মুসলমানদের সাথে যায়না এটাও ঠিক।
আর একটি দেশের জীবন ধারন,চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি সে দেশের ছবিই অনেকটা ফুটিয়ে তুলে এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।তারপরেও আমিও বিশ্বাস করি,একটা ২/৩ ঘন্টার ছবির মাঝে কোন ভাবেই একটা দেশের - সমাজের সার্বিক ছবি অংকন সম্ভব না।
২৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০২
মিরোরডডল বলেছেন:
যে নারী রিলিজন প্র্যাকটিস করে, হতে পারে সে মুসলিম অথবা অন্য ধর্মাবলম্বী তার লাইফস্টাইল একরকম হবে, অনেক ধর্মীয় বিধিনিষেধ সে মেইনটেইন করে চলবে বা চলে । কাজেই এখানে মুসলিম নারী সাবজেক্ট না । অন্য ধর্মের নারীও রিলিজিয়াস হতে পারে এজ লং এজ প্র্যাকটিসড বিলিভার ।
একইভাবে যে নারী নন-বিলিভার অথবা নন-প্র্যাকটিসড, যেহেতু ধর্মে বিলিফ নেই ভয় নেই, তাই নেই কোনও বিধিনিষেধ এটা করতে হবে ওটা করতে হবে, এটা করা যাবেনা, ওটা করা যাবেনা এগুলো কোনকিছুই সে কেয়ার করতে বাধ্য না । তখন তার লাইফস্টাইল হবে অন্যরকম । আর তারমানেই খারাপ হবে কেনো, সে তার মতন বেঁচে থাকবে যা তার ভালো লাগে ।
কাজেই আল্টিমেটলি একজন নারী সে কি বিলিফ করবে কি করবে না, কি ধরণের পোশাক পরবে কি পরবে না, তার লাভ লাইফ, সেক্স লাইফ কিরকম হবে কি হবে না এসবকিছুই তার ব্যক্তিগত । এখানে অন্য কারো কোনকিছু বলার থাকতে পারে না বা থাকা উচিৎ না ।
পাশ্চাত্য না প্রাচ্য নারী, মুসলিম না অমুসলিম এটা বিষয় না ।
Same goes to men. As a man, you’re believing whatever you are believing and you’re doing what you think you should do.
আপনাকে যদি এখন কোনও নন-মুসলিম অথবা নাস্তিক তারমত গাইড করে , আপনি কি সেটা অনুসরন করবেন ? অফকোর্স নট । আপনার বিলিফ আপনার কালচার আপনার কাছে ইম্পরট্যান্ট এবং আপনি সেটাই ফলো করবেন ।
নারীবাদী, নারী অধিকার, নারী স্বাধীনতা এই শব্দগুলো ডিকশনারি থেকে চিরতরে ডিলিট করা উচিৎ । এগুলো দিয়ে মেয়েদের আরও কোণঠাসা আর হিউমিলিয়েট করা হয় ।
At the end of the day, men women we all are human beings. And that’s it, full stop. এরপর আর কিছু নেই । মানবাধিকার, মানুষের স্বাধীনতা, মানবিক মূল্যবোধ এগুলো নিয়ে লিখুন । নারী পুরুষ সবাই যে যার ধর্মে বিশ্বাস করবে, অথবা করবে না, জাতি ধর্ম বর্ণ সংস্কৃতি নির্বিশেষে সবাই যে যার মতন জীবন যাপন করবে , আমরা যেনো সবাই সবাইকে সেইভাবে গ্রহণ এবং রেস্পেক্ট করতে শিখি ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডডল , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
নর-নারী সে কি বিশ্বাস করবে কি করবে না, কি ধরণের পোশাক পরবে কি পরবে না, তার লাভ লাইফ, সেক্স লাইফ কিরকম হবে কি হবে না এসবকিছুই তার ব্যক্তিগত । এখানে অন্য কারো কোনকিছু বলার থাকতে পারে না বা থাকা উচিৎ নয় ।না পাশ্চাত্য না প্রাচ্য নর-নারী, মুসলিম - অমুসলিম এটা বিষয় না ।
এক ভাবে এটা শতভাগ ঠিক এবং এটা না করতে কাউকে ধর্ম বাধ্য করেনা । ধর্ম শুধু আমাকে-আপনাকে তথা নর-নারীকে তার জীবনের গতিপথের দিশা দিতে চেষ্টা করে আর কিছু নয় । মানা - না মানা সম্পূর্ণই যার যার নিজের ব্যাপার।নারী পুরুষ সবাই যে যার ধর্মে বিশ্বাস করবে বা করবে না, জাতি ধর্ম বর্ণ সংস্কৃতি নির্বিশেষে সবাই যে যার মতন জীবন যাপন করবে এটাই সভ্যতা।
আর দুনিয়া আস্তিক-নাস্তিকের সমন্বয়েই তৈরী এবং তাদের মাঝে মতবিরোধ বা মতের অমিল থাকবেই। তবে কেউ কাউকে তার মতবাদ মানতে না জোর করবে না বাধ্য করবে আর ধর্মও কাউকে বাধ্য করেনা ।
২৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১১
রানার ব্লগ বলেছেন: নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা
এই লাইনটাই তো অবমাননা কর। এর পর আপনি একজন ডক্টরের উধাহারন দিলেন যে তিনি বলেছেন মুসলিম নারীদের জরায়ুতে কেবল একজন মানুষের সিনম পাওয়া যায় (যদিও এই তথ্যের বিপরিতে আপনি কোন প্রমান স্বরুপ লিঙ্ক দেন নাই) এর অর্থ কি অমুসলিম নারীদের জরায়ূতে একাধিক মানুষের সিনম পাওয়া যায়। এটা কি অমুসলিম নারীদের জন্য যথেষ্ট অবমাননাকর নয় ?
আপনি পুর পোষ্ট জুড়ে এটাই প্রতিষ্টা করার চেস্টা করেছেন মুসলিম নারীরাই বেস্ট, এরাই নারী স্বাধিনতার ঝান্ডা নিয়ে আছে আসলেই কি? আমার দেখা মতে বাংলাদেশের মুসলমান নারীরা সমাজে সব থেকে বেশি অবহেলিত এবং কম স্বাধীনতা পেয়ে থাকে। তারা তাদের ইচ্ছা মাফিক কর্মক্ষেত্র বাছতে পারে না, তাদের ইচ্ছা মাফিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারে না, এরা কোন না কোন পুরুষের কাছে দায়বদ্ধ। আমার নানী তার জীবনে ১২ সন্তানের মা ছিলেন , ১২ জন সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে তিনি তার জীবন থেকে ৩০ টা বছর শেষ করে ফেলেছেন এবং এই জন্মদান প্রকৃয়ায় আমার নানী কে জিজ্ঞাসাও করা হয় নাই তিনি এত সন্তান চান কি না? আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম , তিনি উত্তর দিয়েছিলেন তিনি ৩ জনার বেশি চান নাই, কিন্তু আমার নানা তা কে কখনোই জিজ্ঞাসা করেন নাই, তার কি অভিমত। এটা একটা খন্ডরুপ, বাংলাদেশের বেশির ভাগ মুসলিম নারীর এই একি অবস্থা। যে খানে একজন নারীর সামান্য এই স্বাধীনতাই নাই যে সে কয়টা বাচ্চার মা হবে সেখানে আপনি কি করে বলেন মুসলমান নারিরা বেশি স্বধিনতা ভোগ করে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই ,আবারো ।
"নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা" -এটা তুলনামুলক আলোচনা । যে কোন বিষয়ের আলোচনা করতে গেলে তুলনা বা দুটি জিনিষের মাঝে মিল-অমিল,ভাল-মন্দ তুলনা করেই আলোচনা করা হয়।
আর নারী স্বাধীনতা অর্থ হলো, "নারীর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং নিজের সুস্থ চিন্তার সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারা।নারী স্বাধীনতা মানে হল নারী তার জীবনে পবিত্রতা,সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচবে এবং পরিবারে ও সমাজে তার যোগ্যতা-সামর্থ্য অনুযায়ী ভুমিকা রাখবে"। এটাই প্রকৃত নারী স্বাধীনতা।এখন এটা নারীকে অর্জন করে নিতে হবে তার মেধা-যোগ্যতা-কর্ম দিয়ে।তা সে আমাদের দেশ,আপনজন কি বিদেশ যেখানেই হোক না কেন।
৩০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপ্নার লেখা অতিশয় ভালো হয়েছে। আর ঠিক সেজন্যই এদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে।
দুই নাম্বার মন্তব্যে এইজন্য একজন ব্লগার আগেই আপনাকে সর্তক করে গেছে।
শুনুন, আমি এইসব প্যারা নিয়মিতই সহ্য করি। এরা এইসব করবেই। আপনি ভয় পাবেন না।
ভালো কাজে নিয়তে আল্লাহ সহায়তা করেন।
ভালো থাকুন। এবং সুন্দর একটা কাজের জন্য শুভ কামনা।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই,আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
আপনার কাছে ভাল লাগলো জেনে আমারো ভাল লাগলো।ভাই দুনিয়াতে সব সময়ই দুটি দল ছিল আছে এবং থাকবে।আর এজন্যই দুনিয়া এত সুন্দর এবং বৈচিত্রময়।আর সবাই যদি এক বিষয়ে একমত হতে পারত তাহলে ত দুনিয়াই বেহেশত হয়ে যেত।
আর সারা দুনিয়া আস্তিক-নাস্তিকের সমন্বয়েই তৈরী এবং তাদের মাঝে মতবিরোধ বা মতের অমিল থাকবেই। তবে কেউ কাউকে তার মতবাদ মানতে না জোর করবে না বাধ্য করবে । আর ধর্মও কাউকে বাধ্য করেনা । শুধু দিক নির্দেশনা প্রদান করে ।আর এটাতেও অনেকের সমস্যা। কি আর করা ভাই।এই দুনিয়া।
৩১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬
মিরোরডডল বলেছেন:
৫ নং প্রতিমন্তব্যে আপনি বলেছেন,
আমাদের দেশেও এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারী অনেকেই জরায়ুর স্বাধীনতা তথা অবাধ যৌনাচার করতে চায় ।এটা একদম সঠিক ।
জরায়ুর স্বাধীনতা সম্পর্কে আপনার কনসেপ্ট ক্লিয়ার না । অনেকেই এটাকে ভুল ব্যাখ্যা দেয়, যেমন আপনিও বললেন অবাধ যৌনাচার হুইচ ইজ এবসোলিউটলি মিসইন্টারপ্রিটেশন । লেট মি এক্সপ্লেইন ।
সেক্সচুয়াল ইন্টারকোর্স ইজ এ বোথ ওয়ে একশন । নারী পুরুষ দুজনের জন্যই ভালোলাগার একটা বিষয় । কিন্তু এমন অনেক অনেক পুরুষ আছে দে ডোন্ট কেয়ার আবাউট পার্টনার । না চাইলেও জোর করে এবং বাধ্য করে । সেক্ষেত্রে মেয়েটার জন্য ইনস্টেড হ্যাপিনেস, ইটস এ পানিশমেন্ট । এটা বোঝাতে লেখক বলেছিলেন যে একটা মেয়ের সে থাকবে সে চাচ্ছে কি চাচ্ছে না । তাকে জোর করা যাবে না । সি ক্যান সে নো । এটা ছিলো একটা কারন ।
আরেকটা কারন যেটা খুবই ইম্পরট্যান্ট, রানার ব্লগ ২৯ নং কমেন্টে বলেছে কিন্তু আপনি টু দ্যা পয়েন্ট প্রতিমন্তব্য করেননি । প্র্যাগনেন্সির ক্ষেত্রে একটা মেয়েকেই সব কষ্ট গো থ্রু করতে হয় । কন্সিভ করা থেকে শুরু করে নয় মাস ক্যারি করা ডেলিভারি পর্যন্ত । খুব স্বাভাবিক ভাবেই এখানে মেয়েটার মতামত সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট । কিন্তু আমাদের সোসাইটিতে কি হয় ? শ্বশুরবাড়ী থেকে শুরু করে যেকোনো রিলেটিভ, বন্ধু, কলিগ ইভেন প্রতিবেশি পর্যন্ত ইন্টারফেয়ার করে বাচ্চা নিচ্ছে না কেনো, কবে নিবে, কয়টা নিবে । হোয়াট দ্যা হেল ! এটা কি একান্তই হাজব্যান্ড ওয়াইফের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নাহ ???
এবার রানার মন্তব্যের কথায় আসি । অনেক পরিবারে দেখা যায়, স্পেশালি আগের দিনে বেশী ছিলো এটা যে একের পর এক বাচ্চা নিয়েই যাচ্ছে, ইভেন ওয়াইফ আর পারেনা কিন্তু বাধ্য হয় তাকে বাধ্য করা হতো । প্রতিবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে এই প্রসেস এই কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে । এসব প্রসঙ্গে লেখক জরায়ুর স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন যেখানে মেয়েটার বিশেষ ভূমিকা থাকে সেখানে মেয়েটার মতামতটাও ঠিক ততটাই ইম্পরট্যান্ট ।
এখন যদি কোনও মেয়ে এই কথাকে রেফার করে অবাধ মেলামেশা করে বুঝতে হবে এটা তার একটা এক্সকিউজ মাত্র । লেখক যদি একথা নাও লিখতেন তাও সেই মেয়ে একই কাজ করতো । একইভাবে যেসব পুরুষ ওটাকে রেফার করে অবাধ যৌনাচার বলে এটাও তাদের মিসইন্টারপ্রিটেশন ।
এখন জামান বলুক , আই রিয়েলি ওয়ান্ট টু নো হোয়াট ডু ইউ থিঙ্ক ? একজন শিক্ষিত বিবেকবান মানুষ হিসেবে আপনার কি মনে হয়না যে একটা মেয়ের সে থাকবে ইন্টারকোর্সে বা প্র্যাগনেন্সিতে । তার ভালোলাগা মন্দ লাগাটাও ইম্পরট্যান্ট ? তারও কিছু বলার থাকতে পারে ।
What do you recon man, tell me about it. No religion factor, no reference require, I just want to know your own opinion about it.
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডডল আপনার চমতকার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
সংসার জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যা আপনি-আমি আইন বা ধর্ম দিয়ে বন্ধ করতে পারব না ।আর আমার মতে স্বামী / স্ত্রীর
সম্পর্ক যতটা না আইনি তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী মানবিক হওয়া উচিত।
আর বাচচা নেওয়ার জন্য স্বামী / স্ত্রীর পারস্পরিক আলোচনা,ভবিষ্যত পরিকল্পনা,নিজেদের যোগ্যতা ও সামর্থ্য বিবেচনায় নেয়া উচিত।এখন কেউ যদি ১০/১২ টা বাচচা নেয় তাহলে কি ভাবে তা মূল্যায়ন করবেন? স্বামী কে স্বৈরশাসক আর স্ত্রীকে জীবন্ত বলি বলবেন কি? এই ক্ষেত্রে উভয়েরই কি দায় থাকেনা? আর নারী যদি নিজের ইচছার বাইরে ১০/১২ টা বাচচা নেয় তাহলে বুঝতে হবে তার শিক্ষা,মর্যাদা ও যোগ্যতার ঘাটতি প্রকট।
আসলে দুনিয়ার সব কিছুর সাথে সবকিছুর উপর মানুষের মাঝে মানবিকতা জরুরী। জরুরী আত্মউপলব্ধি ।মানবিকতা এবং আত্মউপলব্ধি একজন মানুষকে ভাল মানুষ তথা মানবিকতা ময় করে তুলে ।যার ফলে সে তার আপনজন , পরিবার ,সামজের সব জায়গায় যে কোন কাজই সে করতে যাবে তা সে বউয়ের সাথে যৌন মিলন কি বাচচা জন্মদান কি পরিবারের যে কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত সে আলোচনার ভিত্তিতে এবং অন্যপক্ষকে সম্মানের সাথে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিবে ।আর তা যদি না থাকে মানে মানবিকতা এবং আত্ম উপলব্ধি না থাকে তাহলে সে নর-নারী যেই হোক তার থেকে ভাল কিছু আশা করা যায়না।
আর সংসার তথা জীবন তখনই সুখের হবে যখন নারীকে তার যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দেয়া হবে এবং সিদ্ধান্তগ্রহনের
ক্ষেত্রে তার মতামতের গুরুত্ব থাকবে। কারন "এই পৃথিবীতে যা কিছু চির কল্যানকর তার অর্ধেক করিয়াছে নর আর অর্ধেক করিয়াছে নারী"।আর নারী ছাড়া নর এবং নর ছাড়া নারী মূল্যহীন অসম্পূর্ণ । কাজেই উভয়ে মিলে বা যখন উভয়েই একসাথে একই তাল-লয়-সুরে বাজবে তখনই সংসার সুখের হবে ,জীবন হবে মধুময় আর তা না হলে কি হবে? হবে নরকের মিনি ভার্সন।
৩২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
থ্যাংকস জামান, দেটস অল আই ওয়ান্টেড টু হিয়ার ।
সম্পর্ক যতটা না আইনি তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী মানবিক হওয়া উচিত।
অবশ্যই মানবিক । ভালোবাসা দিয়ে আদর দিয়ে একটা সম্পর্ককে লালন করতে হয় । জোর করে না ।
যে বা যারা জোর করে তাদের ক্ষেত্রেই ওপরের প্রসঙ্গ বলা হয়েছে ।
এখন কেউ যদি ১০/১২ টা বাচচা নেয় তাহলে কি ভাবে তা মূল্যায়ন করবেন? স্বামী কে স্বৈরশাসক আর স্ত্রীকে জীবন্ত বলি বলবেন কি? এই ক্ষেত্রে উভয়েরই কি দায় থাকেনা? আর নারী যদি নিজের ইচছার বাইরে ১০/১২ টা বাচচা নেয় তাহলে বুঝতে হবে তার শিক্ষা,মর্যাদা ও যোগ্যতার ঘাটতি প্রকট।
যাদের যোগ্যতা শিক্ষা আছে তারা ভিকটিমও না এবং আমাদের টপিকের সাবজেক্টও না । বর্তমান সময়ের কোনও শিক্ষিত ইন্ডিপেন্ডেন্ট মেয়ে ১০/১২ টা বাচ্চা নেয়না । যে সময়ের কথা বা যাদের কথা বলা হয়েছে তাদের না ছিলো প্রকৃত শিক্ষা , না তারা স্বাবলম্বী । তাই তাদের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া হতো তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে । সেক্ষেত্রে অবশ্যই দায় উভয় পক্ষের না । তারা ছিলো ভিক্টিম পরিস্থির স্বীকার । তাদের ওপর জুলুমের প্রতিবাদেই কথাটা আসছে । আমার মনে হয় এটা ভেরি ক্লিয়ার একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর পুরুষের কথা এখানে বলা হয়েছে যারা ওয়াইফের ওপর জোর করে তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতো । কোনও মতামত নেবার প্রয়োজন মনে করতো না বা করেনি কখনও ।
আসলে দুনিয়ার সব কিছুর সাথে সবকিছুর উপর মানুষের মাঝে মানবিকতা জরুরী। জরুরী আত্মউপলব্ধি ।মানবিকতা এবং আত্মউপলব্ধি একজন মানুষকে ভাল মানুষ তথা মানবিকতা ময় করে তুলে ।যার ফলে সে তার আপনজন , পরিবার ,সামজের সব জায়গায় যে কোন কাজই সে করতে যাবে তা সে বউয়ের সাথে যৌন মিলন কি বাচচা জন্মদান কি পরিবারের যে কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত সে আলোচনার ভিত্তিতে এবং অন্যপক্ষকে সম্মানের সাথে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিবে ।আর তা যদি না থাকে মানে মানবিকতা এবং আত্ম উপলব্ধি না থাকে তাহলে সে নর-নারী যেই হোক তার থেকে ভাল কিছু আশা করা যায়না।
আর সংসার তথা জীবন তখনই সুখের হবে যখন নারীকে তার যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দেয়া হবে এবং সিদ্ধান্তগ্রহনের
ক্ষেত্রে তার মতামতের গুরুত্ব থাকবে। কারন "এই পৃথিবীতে যা কিছু চির কল্যানকর তার অর্ধেক করিয়াছে নর আর অর্ধেক করিয়াছে নারী"।আর নারী ছাড়া নর এবং নর ছাড়া নারী মূল্যহীন অসম্পূর্ণ । কাজেই উভয়ে মিলে বা যখন উভয়েই একসাথে একই তাল-লয়-সুরে বাজবে তখনই সংসার সুখের হবে ,জীবন হবে মধুময় আর তা না হলে কি হবে? হবে নরকের মিনি ভার্সন।
ওয়েল সেইড জামান । দেটস অল হাউ ইট মিন্ট টু বি । থ্যাংক ইউ ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ মিরোরডডল আপনার চমতকার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
বোন,এই দুনিয়ায় আসলে একটা জিনিষ ই প্রধান এবং জরুরী।তা হলো মানবিকতা অর্জন ও পাশবিকতা বর্জন ।অথবা এভাবেও বলা যায় ,শক্তিশালী সাধারণ জ্ঞান বা ন্যায়-অন্যায় বোধ। যার মাঝে মানবিকতা বা ন্যায়-অন্যায় বোধ যত বেশী থাকবে সে তত সহানুভুতিশীল হবে তা সে তার পরিবারের সাথেই শুধু নয়,সমাজ-সংসার সবজায়গাতেই সে ভাল আচরনের ছাপ রাখবে। কোন অন্যায় কাজ করতে গেলে তার মানবিকতা বা ন্যায়-অন্যায় বোধই তাকে তা থেকে বিরত রাখবে।ধর্মের ও প্রয়োজন নেই এসব মানুষের ক্ষেত্রে।
তবে আমরা যদি স্রষ্টার উপর বিশ্বাস করি তবে ধর্মের নিয়ম-নীতি মানতে হবে । আর স্রষ্টায় বিশ্বাস না করলে বা ধর্ম পালন না করলে মানবিকতাই বড় ধর্ম ।এর থেকে বড় আর কোন ধর্ম দরকার হয়না ধর্মহীনদের জীবনে।আর মানবিকতাই ধর্মের মুল সুর।অর্থ্যাৎ ধর্ম মানুষকে মানবিক হতেই বলে বা পথনির্দেশ করে পাশবিকতার নয়।
৩৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১০
সোহানী বলেছেন: লিখাটা আমার কাছে একপেশে আর শিরোনামটা অশালীন মনে হয়েছে।
আপনি যা লিখেছেন বা ধারনা দেবার চেস্টা করেছেন তা একান্তই আপনার নিজস্ব চিন্তা ধারা। নারী স্বাধীনতার যে ব্যাখ্যা বা যৈাক্তিকতা আপনি দেয়ার চেস্টা করেছেন তার সাথে আমার বা অনেকেরই দ্বিমত আছে।
উপরে যেমন কলাবাগান১ মতো আমিও বলি হিজাব আর বিকিনির মাঝে যে কিছু থাকতে পারে তা যারা পশ্চিমা সমাজের বাইরে থাকে তা অনেকে মানে না বা বুঝতে পারে না। সত্যিকারের সমাজ এর চিত্র আড়াই ঘন্টার মুভি নয় কোনভাবে। আর তাই যে ছবিগুলো পশ্চিমা সমাজের উদাহরন হিসেবে দিয়েছেন তা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। কোনভাবেই পশ্চিমা সমাজের বা নারী স্বাধীনতার উদাহরন হতে পারে না।
আমি এখানে নারী স্বাধীনতা বলতে কি বোঝায় বা ইসলাম কি বলেছে তা নিয়ে কিছু বলবো না। শুধু আবারো বলবো আপনার চিন্তাধারা আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে হলে মানতে পারতাম। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসে তা মানতে বা ভাবতে যেয়ে বিষনভাবে হোচট খাচ্ছি।
আরেকটা কথা, কেউ আপনার মতের বিপক্ষে কিছু বলা মানেই গাত্রদাহ চুলকানো শুরু হয়েছে তা কিন্তু ঠিক নয়। আপনার বিপরিতে মতামত থাকতেই পারে।
যাহোক, উপরের নতুন ভাই যে প্রশ্নগুলো রেখেছেন আশা করি তার উত্তর নিয়ে আসবেন আপনি আরেকটি পোস্টে। অপেক্ষায় থাকলাম।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী,আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
আপনার মন্তব্যের জবাব দেয়ার জন্য একটি পোস্ট দরকার ।তারপরেও প্রতিমন্তব্যে চেষ্টা করছি আপনার জবাব দেয়ার জন্য,জানিনা তাতে আপনাকে তৃপ্ত করতে পারব কিনা।
১।আপনি বলেছেন - লিখাটা আমার কাছে একপেশে আর শিরোনামটা অশালীন মনে হয়েছে।- নগ্নমূর্তিও শিল্প হয় আর হিজাব বা দাড়ি-টুপি হয় মৌলবাদ বা বন্দীর প্রতীক।তা শুধু দৃষ্টিভংগীর ব্যাপার ।6 এবং 9 একজায়গা থেকে সঠিক দেখা যাবে শুধু পার্শ্ব পরিবর্তন করলে ডিফারেন্ট ফলাফল দেখা যাবে যদিও সংখ্যা একই থাকবে । আর একজনের কাছে শোভন ঠিক সেই জিনিষই অন্যের কাছে অশোভন মনে হতে পারে।
আবার ,"comparative study" বা তুলনামুলক আলোচনা বলে একটা কথা আছে । তা কাউকে ছোট বা খারাপ বলার উদ্দেশ্যে নয় বরং দুটা জিনিষের মাঝে ভাল-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা করে তা থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তা সাহায্য করে ।তাকে নেগেটিভলি নেয়া বা কাউকে খারাপ করা বা বলার জন্য নয় এবং এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ পথ যা মানুষকে ভাল-খারাপের মাঝে বিভাজন করতে সাহায্য করে।
২।আপনি বলেছেন -আপনি যা লিখেছেন বা ধারনা দেবার চেস্টা করেছেন তা একান্তই আপনার নিজস্ব চিন্তা ধারা। নারী স্বাধীনতার যে ব্যাখ্যা বা যৈাক্তিকতা আপনি দেয়ার চেস্টা করেছেন তার সাথে আমার বা অনেকেরই দ্বিমত আছে। - আপনি একদম সঠিক বলেছেন।Broot majority বা শতভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না শোভন না সম্ভব।এটা যদিও মাঝে মাঝে আমরা অনেক জায়গায় দেখি তবে তার পিছনে অনেক করুন কাহিনী থাকে।সাধারনত ১০০ জনে ৫১ জন হলেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা বিজয়ী বা ভাল বলে গন্য করা হয় ।তাই বলে ৪৯ জন ভুল তা কিন্তু নয়। আর এটাই পরমত সহ্য করা বা সৌন্দর্য। আর যে কোন ভাল জিনিষের জন্যই এটাও একটা শর্ত তার কিছু অসুবিধা বা বিরোধীতা থাকা।কাজেই সবাই আমার লেখার সাথে একমত হবে এটা আশা করা বোকামী এবং শোভন ও নয়।
৩। আপনি বলেছেন - কলাবাগান১ মতো আমিও বলি হিজাব আর বিকিনির মাঝে যে কিছু থাকতে পারে তা যারা পশ্চিমা সমাজের বাইরে থাকে তা অনেকে মানে না বা বুঝতে পারে না। সত্যিকারের সমাজ এর চিত্র আড়াই ঘন্টার মুভি নয় কোনভাবে। আর তাই যে ছবিগুলো পশ্চিমা সমাজের উদাহরন হিসেবে দিয়েছেন তা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। কোনভাবেই পশ্চিমা সমাজের বা নারী স্বাধীনতার উদাহরন হতে পারে না। - এটাও একদম সঠিক বলেছেন।হিজাব এবং বিকিনির মাঝেও মার্জিত -রুচিশীল পোশাক আছে।সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আর শোভন -অশোভন ও শুধু দৃষ্টিভংগীর ব্যাপার।তার পরেও "Dress code বা পরিধান রীতি - নীতি" বলে একটা বিষয় আছে। কিছু ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠান আছে ( যেমন ক্যাডেট কলেজ,নার্সং ইনস্টিটিউট,সেনা-নৌ-বিমান বাহিনী,যাত্রী বিমান) যাদের Dress code দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করা হয় এবং এক্ষেত্রে নুন্যতম ছাড় দেয়া হয়না এবং তা যথাযথ অনুসরন না করলে ডিউটি স্টপ সহ চাকুরীচ্যুত ও করা হয়।এখানে যার যা ইচছা বা ব্যক্তি স্বাধীনতার নিয়ম অচল। আর ঠিক এরকম ই ইসলামে Dress code আছে ।এখন আমি -আপনি ইসলাম অনুসরন করলে তা মানার বাধ্যবাধকতা থাকে তবে না মানলে আল্লাহ বা ধর্ম আপনাকে -আমাকে এ দুনিয়ায় বাধ্য করছেনা তবে তার জন্য পরকালে জবাবদিহীতা করতে হবে তাই বলা আছে।
৪।আপনি বলেছেন - আমি এখানে নারী স্বাধীনতা বলতে কি বোঝায় বা ইসলাম কি বলেছে তা নিয়ে কিছু বলবো না। শুধু আবারো বলবো আপনার চিন্তাধারা আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে হলে মানতে পারতাম। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসে তা মানতে বা ভাবতে যেয়ে বিষনভাবে হোচট খাচ্ছি।- সব জিনিষের ই বেসিক বা মূল বলে একটা কথা আছে । বেসিক বা মূল সবসময় -সব জায়গায় স্থির থাকে ।তবে সময় সময় তার আপডেট ভার্সন আসে তবে তা মূলজিনিষের পরিবর্তন করে নয়। ইসলামের মুল জিনিষ ১৪০০ বছর আগে যা ছিল এখনো তাই আছে এবং হাজার বছর পরেও তাই থাকবে। তবে দুনিয়ার অগ্রগতির সাথে সাথে তাতে কিছু পরিবর্তন আসবে এটা সত্যি তবে মুল বিষয়ের নয়
৫।আপনি বলেছেন - আরেকটা কথা, কেউ আপনার মতের বিপক্ষে কিছু বলা মানেই গাত্রদাহ চুলকানো শুরু হয়েছে তা কিন্তু ঠিক নয়। আপনার বিপরিতে মতামত থাকতেই পারে। - বোন ,আমি যদি কিছু বলি কিছু লিখি এটা আমার দায় যে বা যারা পড়বে তার জানার কোন বিষয় থাকলে বা প্রশ্ন থাকলে তার যথাযথ জবাব দেয়া।আর মতের-মনের অমিল মানেই যে খারাপ তা নয় । আমার মতে বরং এর ফলে আমাদের সঠিক জিনিষ জানার সুযোগ হয়।আর আপনি আমার যে কোন পোস্টে চোখ বুলালে তার সত্যতা পাবেন আশা করি।
৬।আপনি বলেছেন -উপরের নতুন ভাই যে প্রশ্নগুলো রেখেছেন আশা করি তার উত্তর নিয়ে আসবেন আপনি আরেকটি পোস্টে। অপেক্ষায় থাকলাম। -সাধারন মানুষ মরফিনকে নেশার দ্রব্য হিসাবে জানে এবং সাধারনের জন্য তা নিষিদ্ধ কিন্তু চিকিতসাক্ষেত্রে ডাঃ রা প্রায় সব অপারেশনে এবং অপারেশনের পরে মরফিন ব্যবহার করে।এখন কেউ যদি বলে এটা আইনের বরখেলাপ বা সবার সমান সুযোগ নেই তাহলে তা যেমন গ্রহনযোগ্য হবেনা।আবার রাষ্ট্রের সংবিধানে কিছু জিনিষ আছে যা সবার জন্য নয় যেমন,হত্যার সাজা,ধর্ষনের সাজা, যুদ্ধপরাধীদের সাজা এসব আইন বিশেষ আইন এবং এগুলি শুধু তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যারা বিশেষ কিছু ঠিক তেমনি ইসলাম ধর্মের ৪ বিবাহের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। এখানে অনেক গুলি শর্ত আছে এবং সাধারনত ধর্মে একাধিক বিবাহকে নীরুতসাহিত করা হয়েছে।অথচ তর্কের জন্য ৪ বিয়ের বিষয়টাই শুধু আনা হয় অথচ বাকী শর্ত বা বিষয়গুলি নিয়ে উচ্যবাচ্য করেনা । তার পরেও আপনার অনুরোধ রাখতে চেষ্টা করব।
আর এ পুরো লেখায় আমি আসলে আপনার জবাব দিতে চেয়েছি।আর এত কথার মাঝে আমার কোন একটি কথাতে যদি আপনি বা কেউ নুন্যতম কষ্টপান তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী ।আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথ পাবার-অনুসরন করার -সঠিক আমল করার তওফিক দিন।
৩৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২৮
কলাবাগান১ বলেছেন: পশ্চিমা নারী বিজ্ঞানী ড: Karikó এর আবিস্কৃত mRNA vaccine technology কে ইউজ করে যে করোনা ভ্যাকসিন বিভিন্ন কোম্পানী বানাচ্ছে, সেটা আপনার মত তথাকথিত নারী স্বাধীনতার ডেফিশন আবিস্কারক রা কখনই নিজের শরীরে পুশ করতে দেওয়া উচিত হবে না।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কলাবাগান১ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
তবে একটা কথা ভাই আপনি বলেননি, তা হলো -"টাকা নাই তো টিকাও নাই"!!!
টিকা আবিস্কার নিঃসন্দেহে ভাল কাজ এবং যারা তা আবিস্কার করেছে তারা সম্মানীয় তা সে যেই দেশের বা ধর্মের ই হোক না কেন। টিকার বিষয়ে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই টিকা নিয়েও এরই মধ্যে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসাও শুরু হয়ে গেছে।
যখন থেকে করোনার টিকা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে, ধনী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা তো বটেই, গ্লোবাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলে আসছে টাকার জন্য যাতে কোনো দেশ টিকা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে ব্যবস্থা করবে।কিন্তু এখন স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে যে, ধনী দেশগুলোই আগে নিজেদের জনগণের জন্য টিকা নিশ্চিত করবে। তারপর হয়তো ধীরে ধীরে দরিদ্র দেশগুলোর দিকে নজর দেয়া হবে।ধনী দেশগুলো উৎপাদন হওয়ার আগেই সম্ভাব্য ৬১ শতাংশ ভ্যাকসিন কিনে রেখেছে। অথচ এই ধনী দেশগুলোতে বাস করেন বিশ্বের কেবল ১৩ শতাংশ মানুষ। এমনকি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একাধিক ভ্যাকসিনও যদি বাজারে আসে, তাহলেও এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
টিকার গবেষণায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগে বায়োনটেক ও ফাইজারের মুল লক্ষ্যই ছিল এই খরচের কয়েকগুণ বাজার থেকে তুলে আনা। বায়োনটেক জার্মান সরকারের সহায়তা নিলেও ফাইজার মার্কিন সরকারের কাছ থেকেও কোনো সহায়তা নিতে চায়নি। বরং নিজেরাই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে করোনার টিকা গবেষণায়, যাতে একবার টিকা চলে এলে এর সব মুনাফা প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারে। সে কাজে তারা বেশ সফলই হয়েছে বলা যায়।
এর আগে ইবোলার মতো অনেক রোগের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন গবেষণা দ্রুতগতিতে এগোয়নি কেবল সেই গবেষণার খরচ আফ্রিকায় ব্যবসা থেকে তুলে আনা সম্ভব হবে না বলে।অথচ এবার করোনা সারা দুনিয়ার সমস্যা এবং এতে লাভের পরিমান বেশী হবে তাই এ গবেষনা ।এতে মানবিকতা থেকে ভাই ব্যবসায়িক মানিষকতাই বেশী।
আর টিকার ক্ষেত্রে টাকাই শেষ পর্যন্ত শেষ কথা বলবে ,মানবিকতা নয় ভাই। এ হল "ফেল কড়ি মাখ তেল" প্রক্রিয়া।
৩৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৯
আরইউ বলেছেন: How long do you think sperms can survive -- and are detectable -- in female reproductive system? Do you have a link to the paper that your so called Dr Robert wrote, did he present his findings in a peer-reviewed journal or a in front of an expert audience, e.g. conference; does he even exist?
This sexist, misogynistic post seems like based on pseudo-science, non-existent scientific claims, and misinformation. Please prove me wrong!
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: Thanks for your comments & read this post.
If you Think that this post is sexist, misgyonistic post .It's written seems like based on pseudo-science, non-existent scientific claims, and misinformation then you are right by the base of your point of view.
Thanks a lot to you ,for reading this post . I am really greatful to you and sorry for wastage your timing.
৩৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
সোনালি কাবিন বলেছেন: রানার ব্লগ বলেছেন: নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা
এই লাইনটাই তো অবমাননা কর। এর পর আপনি একজন ডক্টরের উধাহারন দিলেন যে তিনি বলেছেন মুসলিম নারীদের জরায়ুতে কেবল একজন মানুষের সিনম পাওয়া যায় (যদিও এই তথ্যের বিপরিতে আপনি কোন প্রমান স্বরুপ লিঙ্ক দেন নাই) এর অর্থ কি অমুসলিম নারীদের জরায়ূতে একাধিক মানুষের সিনম পাওয়া যায়। এটা কি অমুসলিম নারীদের জন্য যথেষ্ট অবমাননাকর নয় ?
আপনি পুর পোষ্ট জুড়ে এটাই প্রতিষ্টা করার চেস্টা করেছেন মুসলিম নারীরাই বেস্ট, এরাই নারী স্বাধিনতার ঝান্ডা নিয়ে আছে আসলেই কি? আমার দেখা মতে বাংলাদেশের মুসলমান নারীরা সমাজে সব থেকে বেশি অবহেলিত এবং কম স্বাধীনতা পেয়ে থাকে। তারা তাদের ইচ্ছা মাফিক কর্মক্ষেত্র বাছতে পারে না, তাদের ইচ্ছা মাফিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারে না, এরা কোন না কোন পুরুষের কাছে দায়বদ্ধ। আমার নানী তার জীবনে ১২ সন্তানের মা ছিলেন , ১২ জন সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে তিনি তার জীবন থেকে ৩০ টা বছর শেষ করে ফেলেছেন এবং এই জন্মদান প্রকৃয়ায় আমার নানী কে জিজ্ঞাসাও করা হয় নাই তিনি এত সন্তান চান কি না? আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম , তিনি উত্তর দিয়েছিলেন তিনি ৩ জনার বেশি চান নাই, কিন্তু আমার নানা তা কে কখনোই জিজ্ঞাসা করেন নাই, তার কি অভিমত। এটা একটা খন্ডরুপ, বাংলাদেশের বেশির ভাগ মুসলিম নারীর এই একি অবস্থা। যে খানে একজন নারীর সামান্য এই স্বাধীনতাই নাই যে সে কয়টা বাচ্চার মা হবে সেখানে আপনি কি করে বলেন মুসলমান নারিরা বেশি স্বধিনতা ভোগ করে।
++
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনালি কাবিন,আপনার (রানার ব্লগ) এর মন্তব্যের ফিডব্যাক মন্তব্যের জন্য।
সংসার জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যা আপনি-আমি আইন বা ধর্ম দিয়ে বন্ধ করতে পারব না ।আর আমার মতে স্বামী / স্ত্রীর
সম্পর্ক যতটা না আইনি তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী মানবিক হওয়া উচিত।
আর বাচচা নেওয়ার জন্য স্বামী / স্ত্রীর পারস্পরিক আলোচনা,ভবিষ্যত পরিকল্পনা,নিজেদের যোগ্যতা ও সামর্থ্য বিবেচনায় নেয়া উচিত।এখন কেউ যদি ১০/১২ টা বাচচা নেয় তাহলে কি ভাবে তা মূল্যায়ন করবেন? স্বামী কে স্বৈরশাসক আর স্ত্রীকে জীবন্ত বলি বলবেন কি? এই ক্ষেত্রে উভয়েরই কি দায় থাকেনা? আর নারী যদি নিজের ইচছার বাইরে ১০/১২ টা বাচচা নেয় তাহলে বুঝতে হবে তার শিক্ষা,মর্যাদা ও যোগ্যতার ঘাটতি প্রকট।
আসলে দুনিয়ার সব কিছুর সাথে সবকিছুর উপর মানুষের মাঝে মানবিকতা জরুরী। জরুরী আত্মউপলব্ধি ।মানবিকতা এবং আত্মউপলব্ধি একজন মানুষকে ভাল মানুষ তথা মানবিকতা ময় করে তুলে ।যার ফলে সে তার আপনজন , পরিবার ,সামজের সব জায়গায় যে কোন কাজই সে করতে যাবে তা সে বউয়ের সাথে যৌন মিলন কি বাচচা জন্মদান কি পরিবারের যে কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত সে আলোচনার ভিত্তিতে এবং অন্যপক্ষকে সম্মানের সাথে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিবে ।আর তা যদি না থাকে মানে মানবিকতা এবং আত্ম উপলব্ধি না থাকে তাহলে সে নর-নারী যেই হোক তার থেকে ভাল কিছু আশা করা যায়না।
আর সংসার তথা জীবন তখনই সুখের হবে যখন নারীকে তার যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দেয়া হবে এবং সিদ্ধান্তগ্রহনের
ক্ষেত্রে তার মতামতের গুরুত্ব থাকবে। কারন "এই পৃথিবীতে যা কিছু চির কল্যানকর তার অর্ধেক করিয়াছে নর আর অর্ধেক করিয়াছে নারী"।আর নারী ছাড়া নর এবং নর ছাড়া নারী মূল্যহীন অসম্পূর্ণ । কাজেই উভয়ে মিলে বা যখন উভয়েই একসাথে একই তাল-লয়-সুরে বাজবে তখনই সংসার সুখের হবে ,জীবন হবে মধুময় আর তা না হলে কি হবে? হবে নরকের মিনি ভার্সন।
আর ++ কাকে দিলেন বুঝিনি?
রানার ব্লগের প্রশ্নের জন্য না আমার প্রতি রাগ করে?
৩৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
নতুন বলেছেন: "নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা " - কোনটা নারীর জন্য অধিক সম্মান ও মর্যাদার এবং মানব জাতির জন্য কল্যাণের
নারীকে ৩ মাস ইদ্দত পালন করতে বলেছে জরায়ুর পবিত্রতার জন্য না। বরং আগের স্বামী হতে সে গর্ভবতী হয়েছে কিনা সেটা বোঝার জন্য।
আগের দিনে ডিএনএ টেস্টের বিষয়টা জানতো না তাহলে বলতো তালাকের বিয়ের করলে নারীর সন্তান জন্মের পরে আগের স্বামীর সাথে ডিএনএ টেস্ট করিয়ে নিতে। হাদিস থাকতো ডিএনএ টেস্ট কত দিনের মধ্যে করতে হবে, কোন হাত থেকে রক্ত নিতে হবে, ইত্যাদি....
বর্তমান জামানায় অনেক কিছুই সম্ভব যেটা ১৪০০ বছর আগে মানুষ জানতো না তাই তখনকার আইডিয়া এখন অনেকটাই বাতিল। এখন অনেক ভালো পদ্বতী আছে ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য দুঃখিত।
ভাই এখানে আসলে বেসিক জিনিষটা দেখেন। কারন যাই হোক, তালাক বা স্বামী মারা যাওয়া যাই হোকনা কেন এ ক্ষেত্রে নারীকে পুনরায় বিয়ে করতে কিছু দিন অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে আল কোরআনে। কেন পরবর্তীতে বিজ্ঞান এটার যথার্থতা খুজে পেয়েছে। এখন ব্যাখ্যা একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে তবে তার প্রয়োজনীয়তা কেউ অস্বীকার করেনি বা করতে পারেনি।
আর সভ্যতার বিবর্তনে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হবে এবং তা মানুষের জীবনকে সহজ করে দিবে সবই ঠিক আছে। তবে আল কোরআনে যা বলেছে মানে বেসিক যে জিনিষ সেটা কিন্তু পালটে যাচছেনা । মানে হল , আপনি-আমি ধর্ম মানলে মেয়েদের নির্ধারিত সময় পরেই বিয়ে করতে হবে আর ধর্ম না মানলে একজন রেখে ও আরেকজনের সাথে সম্পর্ক গড়তে পারবে।এটা যার যার অভিরুচি।
৩৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯
সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমি এই লেখা টা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছিলাম না, কিন্তু না করে পারলাম না। প্রথমত বলে রাখি, ব্লগে কিছু ব্যক্তি আছে নীল আকাশের মত যাদের এইসব আজেবাজে জিনিস বেশ ভাল লাগবে। আমি ব্লগার রানার সাথে পুরোপুরি একমত। আপনাদের ইসলাম কেমন আমি বলি, হাদিসে আছে এক পতিতা একটা মুমুর্ষু কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিল। এখন আমাদের দেশের আপনাদের মত ইসলামিক পাবলিক কোন মেয়ে এক কুকুরকে পানি খাওয়ালে প্রথমেই খুজবেন মেয়েটা পর্দা করা অবস্থায় ছিল কিনা, না থাকলে বলবেন আগে পর্দা কর, তারপর বলবেন মানুষ বাচে না আসছে কুত্তা রে পানি খাওয়াতে। সোজা কথায় আপনাদের মত মানুষগুলো আগে মেয়েদের পতিতা বানান তারপর তারে ইসলামের জ্ঞ্যান দেন। এতই ফালতু মানষিকতা আপনাদের। উপরের মন্তব্য গুলতে অনেক ব্লগার বেশ কিছু নারী বিজ্ঞানীর কথা বলেছেন। আপনি এদের কি কি যে উত্তর দিলেন, একটা সবচেয়ে বিরক্তিকর লাগছে, টাকা ছাড়া টিকা পাওয়া যায় না, আপনি হচ্ছেন কুয়োর ব্যাঙ। জানবেন কেমনে পোলিও এইডস আরও গুরুত্বপুর্ন টিকা কম দামে পারলে বিজ্ঞানীরা দিয়ে দেয়। কিন্তু আপনার মত মার্কা মারা পাবলিক গুলো হচ্ছে ইরানের খোমেনির মত, যাদে কাছে করোনা ভাইরাস হচ্ছে আল্লাহর অভিশাপ, এইটা ইহুদিদের হবে। এইডস নিয়ে আপনাদের মন্তব্য হচ্ছে সমকামিদের এইসব আযাব, বিজ্ঞানীরা কখনো এইসব আখাউরা ভাবে চিন্তা করে না। এরা সবার জন্যই ভাবে। কারণ খুজে কার্যকরন বের করতে চায়।
আপনি আপনার লেখায় জরায়ু নিয়ে বলছেন যে চার মাস পর জরায়ু ঠিক হয়ে যায়, আগে বিজ্ঞান জানবেন তারপর কথা বলবেন। মেয়েদের ঋতু চক্র নিয়ে একটু পড়াশুনা করবেন। মেয়ে দেখলেই হুজুর খাড়ায়ে তাল হয়ে গেলে সমস্যা। একটা শুক্রানু ডিম্বানু কে নিষিক্ত করার পর আর নতুন করে কোন শুক্রানু ঢুকতেই পারবেন না মেয়েদের জরায়ুতে। আর এই নিষিক্ত হয়ার পর কোন ডিম্বাশয় আর শুক্রানু গ্রহন করে না, ২০০০ সালের দিকে জাপানি বিজ্ঞানীরা কেন একটা শুক্রানু দ্বারা ডিম্বানু দ্বারা নিষিক্ত হওয়ার পর আর নতুন করে শুক্রানু জরায়ুতে প্রবেশ করতে আপ্রেন এই নিয়ে গবেষনার কারণে নোবেল প্রাইজ পান। আর পিরিয়ড তখনই হয় যখন ডিম্বাশয় কোন শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত হয় না। আগে জেনে এসে তারপর মন্তব্য করবেন।
এখন একটা মেয়ে একাদিক পুরুষের সাথে সঙ্গম করলে এর বাবা কে বের করতে আপনি ইমাম হানিফা (র) এর যুক্তি দেখালে বলব আপনি এখনও বিজ্ঞান জানেন না, না জেনেই আরিফ আজাদের মত মার্কা মারা বিজ্ঞান আর ধর্ম নিয়ে এক খিচুরি লিখছেন। ডিএনএ টেস্ট করলেই বুঝা যায়, এর বাবা কে? এইটা তো গেল বেশ সহজ ব্যাখ্যা। লিখছেন নারি স্বাধীনতা মানে হচ্ছে আপনাদের কাছে ইনায়ে বিনায়ে একটা মেয়ে কেম বোরকা পড়ে না, কেন একটা মেয়ে চাকরি করবে, কেন একটা মেয়েকে পিটানো যাবে না- কারণ বৌ পিটানো ফরয। আরও নোংরা ভাবে বললে নারী স্বাধীনতা মানে হচ্ছে পতিতা, বিকিনি পরা মেয়ে। আপনাদের মত বাঝে লোকের কারনেই মেয়েরা এখনও এই দেশে সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরেল মন্তব্য করেন- এই মেয়ে বাঝে, এত রাতে কিসের কাজ। কিন্তু আপনারা তো জীবনে বুঝবেন না, যে মেয়েদের সন্ধ্যার পর আসতে নে দেয়ার কারণে, সন্ধ্যার সময় ছেলেরাও বাইরে বের হতে ভয় পায়। কারণ মাথায় কাজ করে, ছেলেদের নিরাপত্তা নিজেরা নিতে পারবে, যেহেতু মেয়েদের ঘরেই আটকায়ে রাখি সন্ধ্যার পর, তাই আর বাড়তি সামাজিক নিরাপত্তার দরকার নাই। আমি বাজি ধরে বলতে পারি, শুধু মেয়েগুলো সন্ধ্যার পর নির্বিঘ্নে বাসায় ফিরুক, দেশের সকল ছিনতাই, রাতে ডাকাতি বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ ওদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমরা রাস্তাঘাট আরও নিরাপদ করার চেষ্টা করব। আপনি, নীল আকাশের মত ছাগু এইসব বুঝবেন না।
ফালতু
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য দুঃখিত।
মন্তব্য বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসংগিক হওয়া দরকার।"ধান বানতে শিবের গীত" - গাইলে না হবে ধান বানা আর না হবে শিবের গীত। জগাখিচুড়ি হবে ভাই।
নারী স্বাধীনতা অর্থ হলো, "নারীর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং নিজের সুস্থ চিন্তার সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারা।নারী স্বাধীনতা মানে হল নারী তার জীবনে পবিত্রতা,সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচবে এবং পরিবারে ও সমাজে তার যোগ্যতা-সামর্থ্য অনুযায়ী ভুমিকা রাখবে"। এটাই প্রকৃত নারী স্বাধীনতা।এখন এটা নারীকে অর্জন করে নিতে হবে তার মেধা-যোগ্যতা-কর্ম দিয়ে।এটাই আমার লেখার মুল বিষয়।
**আপনি বলেছেন - এতই ফালতু মানষিকতা আপনাদের। উপরের মন্তব্য গুলতে অনেক ব্লগার বেশ কিছু নারী বিজ্ঞানীর কথা বলেছেন। আপনি এদের কি কি যে উত্তর দিলেন, একটা সবচেয়ে বিরক্তিকর লাগছে, টাকা ছাড়া টিকা পাওয়া যায় না, আপনি হচ্ছেন কুয়োর ব্যাঙ।আপনি, নীল আকাশের মত ছাগু এইসব বুঝবেন না - ঠিক বলেছেন ভাই ,আমি কুয়োর ব্যাঙ,ছাগু,গুহাবাসী।আমার জানার পরিধী সীমিত। আর যে যতটুকু বা যার জ্ঞান যতটুকু সে ততটুকুই বলবে।আমি দেখেছি এবং জানি এ দুনিয়ার কোন কিছুই মূল্য (টাকা)ছাড়া মিলেনা ।তা টিকা কি আর কিছু। এখন আপনার যদি সব কিছু / কিছু বিনাপয়সায় পাওয়ার কিছু অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আমি বা বাকীদের সাথে আপনার ধারনা মিলবেনা এটাই স্বাভাবিক।
** আপনি বলেছেন - এখন একটা মেয়ে একাদিক পুরুষের সাথে সঙ্গম করলে এর বাবা কে বের করতে আপনি ইমাম হানিফা (র) এর যুক্তি দেখালে বলব আপনি এখনও বিজ্ঞান জানেন না, না জেনেই আরিফ আজাদের মত মার্কা মারা বিজ্ঞান আর ধর্ম নিয়ে এক খিচুরি লিখছেন। ডিএনএ টেস্ট করলেই বুঝা যায়, এর বাবা কে? - ওকে ভাই । করেন যতখুশী ডিএনএ পরীক্ষা আর জানুন কে এই বাচচার বাবা ??
** আপনি বলেছেন - ফালতু । - আপনার এই মূল্যায়নের জন্য আবারো আপনাকে ধন্যবাদ।অন্তত এই মন্তব্য করার আগে এবং এই জবাব দেখার পরে আপনাকে আরেকবার অনুরোধ করব পুরো পোস্টটি আরেকবার ভালভাবে পড়ার জন্য। আল্লাহ আপনাকে সঠিক ভাবে জানার বুঝার এবং সঠিক বিষয় উপলব্ধি করার তওফিক দিন।
৩৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৪
নীল আকাশ বলেছেন: নীল আকাশের মত ছাগু
@সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদঃ স্টূপিডের মতো ট্যাগিং করেছেন কেন আমাকে? যুক্তিতে না পেরে ট্যাগিং করে স্টূপিডরা।
আজকে এখানে আমি সাবধান করে দিলাম ভবিষ্যতে এইধরণের কোন ট্যাগিং করা নিয়ে।
না হলে এটা নিয়ে আমি ব্লগ অথরিটির কাছে যাবো।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নীল আকাশ ভাই,
ছেড়ে দেন । কি লাভ এসব বলে ।কেবল তাদের উপেক্ষা করুন আর প্রার্থনা করুন জগতের সকলের জন্য ( যে যেই ধর্মের অনুসারীই হোক না কেন) যাতে আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে সঠিক জিনিষ টা জানতে বুঝতে পারি।
আর জগতে ক্ষমাই সবচেয়ে বড় মানব ধর্ম ।আর জ্ঞানী এবং উদার মনের মানুষ সবসময় ই দয়ালু এবং ক্ষমাশীল হয় ।তারা কাউকে অসম্মান বা কারো মনে আঘাত দেয়না । কারন ,আল্লাহ/ঈশ্বর/বিশ্ববিধাতা বলেন -"করো মনে দিয়োনা আঘাত,সে আঘাত লাগে কাবার গাঁয়"।
৪০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২
সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: নীল আকাশ ট্যাগিং দেয়ার জন্য দুঃখিত।
তবে এই পোস্টে যেখানে ইনায়ে বিনায়ে পশ্চিমা মেয়েদের সাথে মুসলিম মেয়েদের তুলনা করে হয়েছে এইটা খুবই জঘন্য ছিল। দুইটা সম্পুর্ন ভিন্ন জিনিস। এইগুলো ক্রিটিকাল রিসনিং এ ফ্যালাসীর মধ্যে পড়ে। আলোচনা হতে হবে একই মানদণ্ডে দুইটা জিনিসের মধ্যে। দুই সংস্কৃতি, দুই ধর্ম যেইখানে সম্পুর্ন আলাদা, সেইখানে মুসলিম মেয়েদের জরায়ু পবিত্র বলে একটা কথা বলে দেয়া, কতটা নোংরা সেইটা না বুঝলে কিচ্ছু করার নাই।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ ভাই, মুসলিম মেয়েদের সাথে যে তুলনা তা একজন সম্মানিত এবং সফল ইহুদী ডাক্তার (মানুষের) যিনি পেশাগতভাবে সাফল্যের সাথেই জীবন পার করেছেন। আমার মত ফালতু মানুষ নন। আর এটা তার উপলব্ধি যেটা কাজের মাধ্যমে তিনি অজ'ন করেছেন। আগের মন্তব্য এ বলেছি,আবারও বলছি- পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তার পর মন্তব্য করেন। আর তুলনামুলক আলোচনা কি তা জানতে চাইলে জানতে পারেন। তা কাউকে ছোট বা বড় করার জন্য করা হয়না। তা করা হয় দুটি জিনিসের মাঝ থেকে ভালটা বেছে নেয়ার জন্য। এখানে যার যা বৈশিস্ট্য বা ভাল মন্দ তাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত এ আশা হয়,আলাদা ভাবে কিছু প্লাস- মাইনাস করে নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশ থেকে যত নারী আরবদেশে গেছেন, তারা প্রতিডিন হজ্ব করছেন ওখানে। আপনার কেহ গেছেন? আমাদের গ্রামের মেয়ে গিয়েছিলো!