নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বিবাহ" - পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ও বৈধ প্রথা, যা যুগ যুগ ধরে মানবজাতির বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় সাহায্য করে চলছে । ( মানব জীবন - ৫ ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৬


ছবি - m.somewhereinblog.net

বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন যাতে দুটি মানুষ পরস্পর পরস্পরের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে।বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি রীতি বা প্রথা যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ও সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।
সৃষ্টির শুরুতে মানুষ ছিল প্রাণিজগতের আর দশটা প্রাণীর মত সাধারণ একটি প্রাণী যারা বনে-জংগলে ,গুহা মানব হিসাবে বিচরন করত। পরবর্তীতে সভ্যতার বিবর্তন এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষ হয়ে উঠেছে সমস্ত পৃথিবীর শাসক ।আজ মানুষ নিজেই অসীম ক্ষমতাশালী।আজ মানুষ শুধু কেবল নতুন নতুন অনেক কিছু সৃষ্টি করতেই চাইছে না বরং পৃথিবীর সকল ক্ষমতাগুলোকেও নিজের আয়ত্তে আনবার জন্য সে বদ্ধপরিকর এবং সমাজে প্রচলিত অনেক রীতি-নীতি-মূল্যবোধ ধ্বংসও করছে বা করার চেষ্টা করছে।আর এত সব কিছুর মাঝেও সেই আদিম যুগের গুহাবাসী পূর্বপুরুষ থেকে একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক সমাজেও পৃথিবীর সবচেয়ে আদিম ও বৈধ প্রথা যা মানবজাতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলছে "বিবাহ" তার ধংস হয়নি বা বিলোপ সাধন করতে পারেনি । যদিও আধুনিক সমাজে বিবাহ নিয়ে নানা বিরোধী মতবাদ বা নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা (লিভ ইন-লিভ টুগেদার) চলছে তারপরেও আপন মহিমায় বিবাহ প্রথা আজো টিকে আছে এবং যতদিন পৃথিবী আছে ততদিন তা টিকেও থাকবে।


ছবি - bn.al-shia.org

বিবাহ কি - বিবাহ হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি, যার মাধ্যমে দু’জন (নর-নারী) মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়।বিভিন্ন দেশে জাতি-সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।বিবাহ হল একটি বৈশ্বিক সার্বজনীন প্রথা বা সংস্কৃতি। কিছু সংস্কৃতিতে, যে কোনও প্রকারের যৌন কর্মকাণ্ডে প্রবৃত্ত হওয়ার পূর্বে বিবাহ সম্পন্ন করাকে বাধ্যতামূলক হিসেবে পরামর্শ দেওয়া হওয়া অথবা বিবেচনা করা হয়। বিবাহ সাধারণত কোনও রাষ্ট্র,সংস্থা,ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ,আদিবাসী গোষ্ঠী,কোনও স্থানীয় সম্প্রদায় অথবা দলগত ব্যক্তিবর্গের দ্বারা স্বীকৃত হতে পারে। একে প্রায়শই একটি চুক্তি হিসেবে দেখা হয়।

সাধারণত আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মীয় অথবা ধর্মনিরপেক্ষ আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। বৈবাহিক কার্যক্রম সাধারণত দম্পতির মাঝে সমাজ-স্বীকৃত বা আইনগত দায়িত্ববোধ তৈরি করে, এবং এর মাধ্যমে তারা বৈধভাবে স্বেচ্ছায় সন্তান-সন্তানাদির জন্ম দিতে পারে। বিশ্বের কিছু স্থানে, পরিবার-পরিকল্পিত বিবাহ, শিশু বিবাহ, বহুবিবাহ এবং জোরপূর্বক বিবাহ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে পালিত হয়। বলা বাহুল্য, আন্তর্জাতিক আইন ও নারী অধিকার বিষয়ক উদ্যোগের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখিত বিবাহ রীতি গুলো এখন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আইনগত স্বীকৃতির ক্ষেত্রে, অধিকাংশ সার্বভৌম রাষ্ট্র ও অন্যান্য বিচারব্যবস্থায় বিবাহকে দু'জন বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যে সীমিত করেছে এবং এদের মধ্যে হাতে গোনা কিছু রাষ্ট্র বহুবিবাহ, শিশুবিবাহ এবং জোরপূর্বক বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। আবার বিংশ শতাব্দীতে এসে, অনেক রাষ্ট্র সমলিঙ্গীয় বিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে এদেরকে আইনগত স্বীকৃতিও দিয়েছে।



ছবি - rodoshee.com

ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ এবং এর প্রয়োজনীয়তা - মানবজীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মানুষের যৌন জীবনকে সামাজিক প্রক্রিয়ার মধ্যে আবদ্ধ করা এবং বন্য পশুর সাদৃশ্য অবস্থা থেকে মানবসমাজকে রক্ষা করা। এই কঠিন সমস্যার লাগাম টেনে এবং জটিল চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ইসলাম ধর্মে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে একটি সম্পর্ক তৈরি করেছে এবং এটিকে একটি নিয়ম-পদ্ধতির আওতায় এনেছে। ইসলাম যৌন জীবনকে মেনে নিয়ে এর জন্য যুক্তিসংগত যাবতীয় আইন ও পদ্ধতি তৈরি করেছে এবং বিয়ের মতো একটি কল্যাণকর ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে। সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য পরিবার গঠনের উদ্দেশ্যে বিবাহবন্ধন হলো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রথা।

ইসলামে বিবাহ ছাড়া যৌন জীবনযাপনের কোনো সুযোগ নেই এবং তা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। বিবাহ হচ্ছে একমাত্র উপায়, যার মাধ্যমে একজন নারী ও পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসেবে স্থায়ী বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। বিবাহ অনেক লোকের উপস্থিতি ও সাক্ষ্য-প্রমাণভিত্তিক একটি উন্মুক্ত ঘোষণা, যার মাধ্যমে নারী-পুরুষ নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ও দায়িত্ব বরণ ও গ্রহন করে নেয়। মানব সৃষ্টির শুরু থেকে ইসলামের এই বিধান চালু ছিল এবং এখনো একই বিধান কার্যকর আছে। বিবাহ পদ্ধতির বিধান দিয়েই ইসলাম ছেড়ে দেয়নি, বরং কাকে বিয়ে করা বৈধ বা হালাল, কাকে বিয়ে করা অবৈধ বা নিষিদ্ধ তারও একটা তালিকা ঘোষণা করেছে।


ছবি - muslimmarrige.com

ইসলামী বিবাহ রীতি -

ইসলাম ধর্মে বিবাহের মাধ্যমে নারী ও পুরুষের মধ্যকার যৌন সম্পর্কের অনুমতি রয়েছে। ইসলামী বিবাহরীতিতে পাত্র পাত্রী উভয়ের সম্মতি এবং বিবাহের সময় উভয়পক্ষের বৈধ অভিভাবক বা বাড়িওয়ালীর উপস্থিতি ও সম্মতির প্রয়োজন। ইসলামী বিবাহে যৌতুকের কোন স্থান নেই। বিয়ের পূর্বেই পাত্রের পক্ষ হতে পাত্রীকে পাত্রীর দাবি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বা অর্থসম্পদ বাধ্যতামূলক ও আবশ্যকভাবে দিতে হয়, একে দেনমোহর বলা হয়। এছাড়া বিয়ের পর তা পরিবার পরিজন ও পরিচিত ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে দেয়াও ইসলামী করনীয় সমূহের অন্তর্ভুক্ত।ইসলামী বিধান অনুযায়ী, একজন পুরুষ সকল স্ত্রীকে সমান অধিকার প্রদানের শর্তে তার প্রয়োজন ও চাহিদা অনুসারে সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারে। আর সমান অধিকার দিতে অপারগ হলে শুধু একটি বিয়ে করার অনুমতি পাবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে একাধিক বিয়ের অনুমতি নেই। তবে, স্বামী মারা গেলে কিংবা তালাক দেয়ার পরে নির্দিষ্ঠ সময় (ইদদত পালন)পর চাইলে একজন নারী পুনরায় বিয়ে করতে পারবে তবে এক স্বামী থাকা অবস্থায় একাধিক স্বামী বা বিয়ের অনুমতি নেই। ইসলামে একজন মুসলিম একজন অমুসলিমকে বিয়ে করতে পারবে যদি উক্ত অমুসলিম ঈমান আনে (ইসলাম গ্রহণ করে)।


ছবি - muslimmarrige.com

কাকে বা কাদেরকে বিয়ে করা যাবে -পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক বলেন, "তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদের, তোমাদের মেয়েদের, তোমাদের বোনদের, তোমাদের ফুফুদের, তোমাদের খালাদের, ভাতিজিদের, ভাগ্নিদের, তোমাদের সেসব মাতাকে যারা তোমাদের দুধ পান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদের, তোমাদের শাশুড়িদের, তোমরা যেসব স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অন্য স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদের, আর যদি তোমরা তাদের সঙ্গে মিলিত না হয়ে থাকো, তাহলে তোমাদের ওপর কোনো পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদের এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা (তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে)"। (সুরা নিসা, আয়াত - ২৩)

বিবাহের শর্ত - ইসলাম বিবাহের বিধান দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, বিবাহের শর্তও বাতলে দিয়েছে ইসলাম। বিবাহের শর্ত দুটি—ইজাব ও কবুল। বিবাহের পক্ষদ্বয়, নারী ও পুরুষের বা তাদের অভিভাবক অথবা প্রতিনিধিদের ইজাব-কবুলের মাধ্যমে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। ইজাব অথবা কবুল যেকোনো পক্ষ থেকে হতে পারে। ইজাব-কবুল মৌখিক অথবা লিখিত আকারে হতে পারে। ইজাব-কবুলের শর্তাবলি সুস্পষ্ট অর্থজ্ঞাপক হতে হবে।

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য পাত্র ও পাত্রীকে -

১। মুসলমান, বালিগ ও বুদ্ধিজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
২। তাদের স্বেচ্ছাসম্মতিতে বিবাহ অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং ইজাব-কবুল নিজ কানে শুনতে হবে। (তবে অভিভাবক বা প্রতিনিধির মাধ্যমে বিবাহ অনুষ্ঠিত হলে তা নিজ কানে শোনা আবশ্যক নয়)।
৩। বিবাহের জন্য অন্তত দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিমান মুসলিম পুরুষ অথবা একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিসম্পন্ন মুসলিম পুরুষ এবং দুজন প্রাপ্তবয়স্কা ও বুদ্ধিসম্পন্ন মুসলিম নারীকে সাক্ষী থাকতে হবে। বিবাহের এই শর্তগুলো মানার পরও অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দেনমোহর।
৪। পুরুষ ও শরী‘আতের বিধান প্রযোজ্য (প্রাপ্তবয়স্ক) এমন দুজন সাক্ষ্যের সাক্ষী ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হবে না।
৫- স্বামী-স্ত্রী উভয়ে বিবাহ বন্ধনে শরী‘আতের নিষেধাজ্ঞামুক্ত থাকা (অর্থাৎ যাদের সাথে বিয়ে হারাম তাদের অন্তর্ভুক্ত না হওয়া)।

বিবাহবন্ধন উপলক্ষে স্বামী বাধ্যতামূলকভাবে স্ত্রীকে নগদ অর্থ, সোনা-রুপা বা স্থাবর সম্পত্তির আকারে যে মাল প্রদান করে তাকে মোহর বলে। দেনমোহর প্রদান স্বামীর ওপর বাধ্যতামূলক কর্তব্য। এটি স্ত্রীর অধিকার। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক বলেন, "তোমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নারীদের তাদের মোহর প্রদান করো"। (সুরা - নিসা, আয়াত -৪)

এভাবে ইসলামী শরিয়ত নানা শর্ত ও আইনের আওতায় বিবাহকে সামাজিক সুরক্ষার একটি বিধান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সব ধরনের অবৈধ যৌন অনাচারকে বিবাহের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করেছে। বিবাহই হচ্ছে একজন মানুষের সুশৃঙ্খল যৌন জীবনযাপনের একমাত্র হাতিয়ার। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন চান, বৈবাহিক জীবনযাপনের মাধ্যমে মানুষ তার দৈহিক ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করবে। প্রশান্ত চিত্তে সে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থেকে একটি সুন্দর সমাজ গঠনে যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। এভাবে সমাজ হয়ে উঠবে সুন্দর ও কল্যাণের মহিমায় ভাস্বর।

বিবাহের উপকারীতা - বিয়ের বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে। যেমন—

১. গুনাহ ও পাপাচার থেকে নিজেকে সংবরণ করার মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়ে ঈমান, ইসলাম ও সতীত্ব রক্ষা করতে পারে।
২. নারী জাতির তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণ হয়।
৩. নারীর সম্মানজনক জীবন-জীবিকা সহজ হয়।
৪. পুরুষ একজন আমানতদার নির্ভরযোগ্য সঙ্গিনী লাভ করে।
৫. বৈধ পন্থায় মানব বংশের বিস্তার হয়।
৬. সৃষ্টিগত ও স্বভাবজাত যৌন চাহিদা পূরণের বৈধ ও নিরাপদ ব্যবস্থা হয় বিয়ের মাধ্যমে।
৭. নারী-পুরুষ উভয়ের মানসিক স্বস্তি, তৃপ্তি ও প্রফুল্ল অর্জন হয়, যা বিয়ে ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে সম্ভব নয়।
৮. নবীজি (সা.)সহ সব নবীর একটি মহৎ সুন্নত বাস্তবায়ন করা হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং ১৪০০)
৯. মানবশিশু তাদের প্রকৃত পরিচয় লাভ করে সঠিক লালন-পালন ও পৃষ্ঠপোষকতার উপর।
১০. বিয়ের দ্বারা রিজিকে বরকত ও জীবনে প্রাচুর্য আসে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, "তোমরা বিয়ে করো, স্ত্রীরা স্বীয় ভাগ্যে তোমাদের কাছে সম্পদ টেনে আনবে" (মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস - ১৪০২)
১১. অবিবাহিত থাকলে মানসিক বা শারীরিক রোগ ও জটিলতা তৈরির আশঙ্কা থাকে।
১২. অবাধ ও অবৈধ যৌনতা এইডসের মতো মারণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার পথ খুলে দেয়।আর বিয়ে তা থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দেয়।
১৩. অবৈধ যৌন সম্পর্ক সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট করে।
১৪. বিয়ে মানুষকে সংসারী করে। ফলে পুরুষরা দায়িত্বসচেতন ও কর্মমুখী হয়। ভোগের মানসিকতা দূর হয়। তদ্রূপ নারীরাও দায়িত্বসচেতন ও বাস্তবমুখী হয়।
১৫. স্বামী-স্ত্রী একে অন্যকে উৎসাহ দিয়ে সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণের পথ সুগম করে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নবুয়ত লাভের সময় আকস্মিক ওহিপ্রাপ্তিতে ভয় পেলে খাদিজা (রা.) তাঁকে অভয় দেন এবং তাঁর পাশে থাকার ঘোষণা দেন।

বিবাহে যেসব কাজ সুন্নাত ও যেসব কাজ হারাম:

১।সকল মুসলমানের জন্য একটি বিয়ে করা সুন্নাত।
২।বিয়ের খিতবা তথা প্রস্তাব দেওয়া কন্যাকে সতর ব্যতীত অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভালোভাবে দেখা মুস্তাহাব, যাতে তাকে বিয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলে, তবে নির্জনে দেখতে পারবে না। এমনিভাবে কনেও হবু বরকে ভালোভাবে দেখা মুস্তাহাব।
৩।বিয়ের প্রস্তাবকারী বরের পক্ষে মেয়েকে দেখা সম্ভব না হলে সে একজন বিশ্বস্ত নারী পাঠাবে, তিনি ভালোভাবে দেখে তাকে মেয়ের গুণাবলী বর্ণনা করবে।
৪।কেউ কোনো মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিলে উক্ত প্রস্তাবকারী তার প্রস্তাব ফিরিয়ে নেওয়া বা তাকে দেখার অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত অন্য কেউ উক্ত মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হারাম।
৫।যেসব নারী তিন ত্বালাক ব্যতীত বায়েন ত্বালাকের ইদ্দত পালনরত তাদেরকে স্পষ্ট বা ইশারায় বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া বৈধ।তবে রাজ‘ঈ তালাকের ইদ্দত পালনকারী নারীকে স্পষ্ট বা ইশারায় বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হারাম।
৬।জুম‘আর দিন (শুক্রবার) বিকেলে বিয়ে পড়ানো সুন্নাত। কেননা আসরের সালাতের পরের সময় দো‘আ কবুল হয় এবং সম্ভব হলে মসজিদে বিয়ে পড়ানো সুন্নাত।

** বিভিন্ন ধর্মের বিবাহরীতি


ছবি - bn.wikipedia.org

হিন্দু বিবাহরীতি -

হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, বিবাহে ছেলে মেয়েটির সমস্ত পালন-পোষণের দ্বায়িত্ব নেয় এবং মেয়েটি তাদের সংসারের খেয়াল রাখার দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে। এইভাবে তারা দুই আলাদা আলাদা মানুষ এক হয়ে নিজেদের বংশ এগিয়ে নিয়ে যায়। বিবাহের লক্ষ হল সংসার ও সন্তানের লালনপালন করে বংশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর এর জন্য একই সময়ে বাইরে থেকে দরকারী জিনিস উপার্জন করে আনা আর ঘরের ভেতরে সংসারের কাজ সামলাতে হয়। যেহেতু একজন মানুষ একই সময়ে এই দুটো কাজ করতে পারে না তাই দুটো কাজ দুজনের মধ্যে বন্টিত হয়ে যায়।যেহেতু পুরুষ বেশি বলবান হয় প্রাকৃতিকভাবেই আর মেয়েরা কোমল প্রকৃতির হয় এবং তাদের গর্ভে সন্তান জন্ম নেয় তাই বাইরে থেকে সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস উপার্জনের দ্বায়িত্ব পুরুষ নেয় আর ঘরে সংসারের দেখাশোনার দ্বায়িত্ব স্ত্রী নেয়। এইরকমভাবে হলেই সংসার সুস্হভাবে বেড়ে ওঠে ও সন্তানের সুন্দর দেখাশোনার মাধ্যমে বিবাহে বংশবিস্তারের উদ্দেশ্য সফল হয়। দুইজনের মধ্যে ভালবাসা থাকলেই এই কাজগুলো বাধাহীনভাবে সম্পন্ন হয় কিন্তু দুইজনের মাঝে তৃতীয় কেউ আসলে সেই দুইজনের ভালবাসায় ফাটল তৈরী হয়।আর তাতে আগের কাজগুলো করার দ্বায়িত্ববোধ মন থেকে মিটতে শুরু করে। কষ্ট-হিংসার সৃষ্টি হয়।তাতে সংসারের ক্ষতি হয় যার ফলে সন্তানেরও পালন ঠিকভাবে হতে পারে না। আর এখানেই বিবাহের উদ্দেশ্য বিফল হয়ে যায়।এতে পরকীয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে তাই বিয়ের উদ্দেশ্যকে রক্ষা করতেই বিয়ে শুধু দুইজনের মাঝেই হয়।
হিন্দু বিয়ে



** আবহমান কাল থেকে সনাতন ধর্মীয় বিয়ের রীতিনীতি চলে আসছে । হিন্দু বিয়ে বেশ কয়েকটি আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সনাতন ধর্মীয় বিয়ে রীতি -

প্রথমত পাত্র-পাত্রীর সম্মতিতে একে অপরকে পছন্দের ভিত্তিতে অভিভাবকরা পঞ্জিকা থেকে শুভ দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন। বিয়ের ক্ষেত্রে শুভ দিনক্ষণ বলতে পঞ্জিকায় বিয়ের যে দিন উল্লেখ থাকে তাকেই বোঝায়।বিয়ের দিন ঠিক করার অর্থ হল পাত্রের পক্ষ থেকে পাত্রীকে বাগদান করা। আর বাগদান করা মানে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা।

বাগদান অনুষ্ঠানে পাটিপত্র করা হয়। এই পাটিপত্র উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে পুরোহিত লেখেন। পাটিপত্রে বর-কনের স্বাক্ষর থাকে। এরপর কোনো পক্ষের অসম্মতি প্রকাশ করার সুযোগ থাকে না।সাধারণত আশির্বাদ আসরে পাটিপত্র করা হয়। তবে অনেকে পাটিপত্র করে না। এরপর আসে আশির্বাদ আসর। এর প্রধান উপকরণ ধান, দূর্বা, প্রদীপ, চন্দন, পান, সুপারি ও বড় মাছ। পঞ্জিকা অনুসারে শুভদিন দেখে আশির্বাদ করা হয়।

বরপক্ষ কনেকে এবং কনেপক্ষ বরকে আশির্বাদ করে। আশির্বাদে অনেকে উপঢৌকনও দিয়ে থাকেন। বর-কনের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়, সেই প্রার্থনাই করা হয় আশির্বাদ অনুষ্ঠানে।আশির্বাদের পর আসে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের জন্যও দিনক্ষণ আছে। এখানেও শুভ দিনক্ষণ দেখে গায়ে হলুদের জন্য হলুদ কোটা হয়। ৫ বা ৭ জন সধবা স্ত্রীলোক মিলে হলুদ কোটে। এই হলুদই পরে গায়ে হলুদের দিন গায়ে মাখানো হয়।

গায়ে হলুদের পর এবার বিয়ের অনুষ্ঠান। দুই পর্বের অনুষ্ঠানে একটি ‘সাজ বিয়ে’ অন্যটি ‘বাসি বিয়ে’। দুটি আসরই কনের বাড়িতে বসে। তবে কোনো কোনো সময় বাসি বিয়ে বরের বাড়িতেও হয়ে থাকে।‘সাজ বিয়ে’ বিয়ের মূল পর্ব। এই পর্বেই কনে আর বরকে ৭ বার প্রদক্ষিণ করে বরণ করে নেয়। বরণ শেষে বর-কনে দুজনের দিকে শুভ দৃষ্টি দেয়, একই সময় মালা বদল করা হয়। পরে পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করে বর-কনের ডান হাত একত্রে করে কুশ দিয়ে বেধে দেন।

এরপর ‘বাসি বিয়ে’র পর্ব । বাসি বিয়েতে বিভিন্ন দেবদেবীর অর্চনা শেষে বর, কনের কপালে সিঁদুর দিয়ে দেয়। তারপর উভয় মিলে ৭ বার অগ্নি দেবতা প্রদক্ষিণ করেন।এভাবেই বিয়ের আসরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।


ছবি - journaleye24.com

খ্রিস্টীয় বিবাহরীতি

পাত্রী নির্বাচন - খ্রিস্টান সমাজে সাধারণত প্রথমে পাত্রী দেখা হয়। প্রথমত বরপক্ষই কনে নির্বাচন করে। বরপক্ষ কনে নির্বাচন করে কনের চরিত্র, দোষ-গুণ, বংশ পরিচয় জেনে নেয়।
পাত্রীকে প্রস্তাব - শুভদিন দেখে বরপক্ষ কনের বাড়ি যায়। সাধারণত পাশের কোনো আত্নীয়ের বাড়ি গিয়ে তার সঙ্গে কনের বাড়ি যায় এবং তাদের উদ্দেশ্যের কথা জানায়।
বাগদান - বরপক্ষের প্রস্তাবে কনেপক্ষ রাজি হলে বাগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোথাও এ অনুষ্ঠানকে ‘পাকা দেখা’ও বলে। ভাওয়ালে এ অনুষ্ঠানকে ‘পানগাছ’ অনুষ্ঠান বলে। বাগদান উপলক্ষে পান, সুপারি, বিজোড় সংখ্যক মাছ নিয়ে যাওয়া হয়।
বাইয়র - এই অনুষ্ঠানে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে যায়। যা আগেই কথা বলে ঠিক করে রাখা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বর-কনে সবার আশির্বাদ গ্রহণ করে।
নাম লেখা - বিয়ের ৩ সপ্তাহ আগে কনের বাড়িতে পুরোহিতের কাছে বর-কনে নাম লেখান। অনেকে এ অনুষ্ঠানে আতসবাজি ও বাজনার আয়োজন করে।
বান প্রকাশ - এই অনুষ্ঠানে বর-কনে বিয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। মন্ডলীর বিধি অনুযায়ী এ সময় বিয়ের ক্লাস করতে হয়। এটি বিয়ে পূর্ব ব্যাধতামূলক ক্লাস ব্যবস্থা।
অপদেবতার নজর - নাম লেখা থেকে শুরু করে বিয়ের আগ পর্যন্ত বর-কনেকে অতি সংযমী জীবন করতে হয়। অনেকে এ সময় ভূত-প্রেত ও অপশক্তির নজর থেকে রক্ষার জন্য ‘রোজারি মালা’ বা ‘জপমালা’ গলায় পরেন।
কামানি বা গা-ধোয়ানী - বিয়ের আগের রাতের অনুষ্ঠানকে গা-ধোয়ানী বলে। অনেক খ্রিস্টান সমাজে এই দিন গায়ে হলুদ মাখিয়ে জাকজমকের সঙ্গে অনুষ্ঠান করা হয়।
কনে তোলা - বিয়ের দিন ভোরে বাদকদলসহ বরের আত্মীয়-স্বজন কনের বাড়ি গিয়ে কনেকে নিয়ে আসে। কনেকে ঘর থেকে আনার সময় তার হাতে পয়সা দেওয়া হয়। কনে বাড়ি থেকে আসার সময় সেই পয়সা ঘরের মধ্যে ছুড়ে ফেলে। এর অর্থ হল যদিও সে বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছে, তারপরও বাড়ির লক্ষী ঘর থেকে চলে যাচ্ছে না।
গির্জার অনুষ্ঠান - শুরুতে গির্জার প্রবেশ পথে যাজক বর-কনেকে বরণ করে নেয়। তারপর বর-কনে দুজনের মধ্যে মালা বদল করা হয়। এরপর কনের সিঁথিতে সিদুর পরিয়ে দেওয়া হয়।
ঘরে তোলা - এই অনুষ্ঠানে উঠানের দিকে মুখ করে বড় পিঁড়ির উপরে বর-কনেকে দাঁড় করানো হয়। এরপর বর-কনে সাদা-লাল পেড়ে শাড়ির উপর দিয়ে হেঁটে ঘরে ওঠে। এ সময় বর ও কনে একে অপরের কনিষ্ঠ আঙুল ধরে থাকে।



সকল ধর্মেই নারী-পুরুষের মাঝেই বিবাহ সংঘটিত হ্য় আর তাই সার্বজনীন। আর যা সার্বজনীন তাই সত্য ও সুন্দর । আর বিয়ের মাঝে রয়েছে মানব জাতীর জন্য কল্যাণ এবং এর মাধ্যমেই মানব জাতীর বংশরক্ষা এবং পবিত্রতা রক্ষা হয়।তাই মানব জাতির কল্যাণে বিয়ের ভুমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম।

বিবাহের মাধ্যমে একটি পরিবারের সূত্রপাত হয়। এছাড়া বিবাহের মাধ্যমে বংশবিস্তার ও উত্তরাধিকারের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিবাহের মাধ্যমে পরস্পর সম্পর্কিত পুরুষকে স্বামী (পতি) এবং নারীকে স্ত্রী (পত্নী) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। স্বামী ও স্ত্রীর যুক্ত জীবনকে "দাম্পত্য জীবন" হিসাবে অভিহিত করা হয়। বিভিন্ন ধর্মে বিবাহের বিভিন্ন রীতি প্রচলিত। একইভাবে বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন প্রথায় বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বিবাহ মূলত একটি ধর্মীয় রীতি হলেও আধুনিক সভ্যতায় এটি একটি আইনি প্রথাও বটে। দুনিয়ায় প্রচলিত সকল ধর্ম মতেই বিবাহবহির্ভুত যৌনসঙ্গম অবৈধ বলে স্বীকৃত এবং ব্যাভিচার হিসাবে অভিহিত একটি পাপ ও অপরাধ।যদিও বর্তমানে কিছু কিছু রাস্ট্রে সমকামিতাকে আইনি কাঠামো দিয়েছে এবং সমলিংগের মাঝে বিয়ে বিয়েকে বৈধতা দেয়ার চেস্টা করা হয়েছে, তারপর ও কোন সমাজে,পরিবারে এ বিকৃত রুচির মানুষকে বা এ বিকৃত প্রথাকে মুলধারা হিসাবে বিবেচনা করা হয়না।কাজেই একজন নারী এবং একজন পুরুষের মাঝেই বিয়ে সংঘটিত হয় এবং এটাই প্রতিষ্ঠিত। আর এতেই মানব জাতির কল্যাণ নিহিত।


চলবে -
====================================================================

পূর্ববর্তী পোস্ট -

মানব জীবন - ৪ " মাতৃত্ব " - Click This Link
মানব জীবন - ৩ Click This Link
"নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা "
মানব জীবন - ২ " মাতৃগর্ভ (জরায়ু)"- Click This Link
মানব জীবন - ১ "মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা"- Click This Link


তথ্যসূত্র -**উইকিপিডিয়া।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৬

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: অনেক তথ্য বহুল লেখা...

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মাসুদুর রহমান (শাওন) ভাই, আপনার প্রথম মন্তব্যের জন্য।


শুধুমাত্র বিশদ ভাবে জানা-বুঝার চেষ্টা করার পরিণতিতে এ ---

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০০

সাসুম বলেছেন: বিবাহ" - পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ও বৈধ প্রথা, যা যুগ যুগ ধরে মানবজাতির বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় সাহায্য করে চলছে
হেডলাইন এর সাথে দ্বিমত প্রকাশ করছি।

বংশাক্রুনমিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ই কি বিয়ে? কেন বিয়ে ছাড়া কি বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হয় না?

বিয়ে একটা প্রাচীন মানব পন্থা। সকল ধর্মেই এর অস্তিত্ব আছে। বিয়ের প্রচলন এখনো মানব সভ্যতা থেকে উঠে যায় নাই কারন এর সাথে জড়িত অর্থ এবং সম্পদ এর বন্টন। এই অর্থ আর সম্পদ এর বন্টন এর নিয়ম চালু না থাকলে বিয়ের প্রথাও আস্তে আস্তে উঠে যাবে।

প্রকৃতি তার নিয়মেই বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। সময়ের সাথে , যুগের সাথে। এই দুনিয়ের কোটি কোটি স্পিসিস এর মাঝে একমাত্র মানব এর মাঝেই বিয়ের প্রচলন কারন মানব এর মাঝেই আছে সম্পদ তার অফস্প্রিং এর মাঝে বিকিয়ে যাওয়ার নিয়ম।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনি কিছু মতামত বা প্রশ্ন করেছেন -

- হেডলাইন এর সাথে দ্বিমত প্রকাশ করছি।

**ঠিক আছে ।আপনার দ্বিমত প্রকাশ করা সঠিক এবং যথার্থ আপনার নিজস্ব দৃষ্টিভংগি দ্বারা।সকল বিষয়ে সবাই একমত হবে বা সবার মতামত একরকম হবে তা আশা করা বোকামী।

-বংশাক্রুনমিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ই কি বিয়ে? কেন বিয়ে ছাড়া কি বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হয় না?

** বিবাহের অনেকগুলি কারনের মাঝে এটা একটা অন্যতম কারন।এর ফলে মানব জন্মের বৈধতা রক্ষা হয়।বিয়ে ছাড়া বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা হয়ত রক্ষার বিকল্প পথ আছে বা থাকতে পারে তবে তা সমাজে কতটা গ্রহনযোগ্য তা বিশাল
প্রশ্ন সাপেক্ষ।

- অর্থ আর সম্পদ এর বন্টন এর নিয়ম চালু না থাকলে বিয়ের প্রথাও আস্তে আস্তে উঠে যাবে।

** আপনার এ ধারনা হয়ত ঠিক হয়ত না ।কারনা নর-নারীর একসাথে জীবন কাটানো এবং যৌন জীবন যাপনের জন্য এখন
পর্যন্ত বিবাহের বিকল্প যা কিছু প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে তার গ্রহনযোগ্যতা সমাজে নেই বা শূন্যের কোটায়।তবে অর্থ -সম্পদ ও একটা কারন বিয়ের তবে তা গৌণ,মূখ্য নয়।

- প্রকৃতি তার নিয়মেই বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে।

** মানব জন্মের বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা বিয়ের মাধ্যমেই প্রকৃতি রক্ষা করে চলছে যুগ যুগ ধরে।এ ছাড়া অন্য কোন পথ আছে আপনার দৃষ্টিতে ,যদি তা শেয়ার করতেন আমাদের মাঝে তাহলে জানতে পারতাম।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বিয়ে নিয়ে অত্যন্ত সুন্দর ও ব্যাখ্যা সহ একটি পোস্ট দিয়েছেন। বিয়ে বাড়িতে আমার মজার মজার অভিজ্ঞতা আছে। করোনা প্রকোপের কারণে এখন বিয়ের অনুষ্টান হয়তো তেমন করে আর হচ্ছে না, কিন্তু গত দশ - পনেরো বছর যাবত বিয়ের অনুষ্টান দেখার মতো গল্প করার মতো খরচ হয়েছে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য। পোস্টে লাইক +++

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ঠাকুরমাহমুদ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

বিয়ে !!! বাক্যটি শুনলেই যুবক-যুবতির মনে ভবিষ্যতের সুখ-স্বপ্ন ,নিজের একটি পরিবার, ছেলে-মেয়ে কত কিছু ভেসে আসে পোড়া এই চোখে ও বেহায়া এই মনে।

আহা বিয়ে !!!! এর সাথে কত আনন্দ-রোমাঞ্চ-উত্তেজনা জড়িয়ে থাকে যা কিছুদিন আমাদেরকে ভূলিয়ে রাখে জীবনের নানা-রকম জটিলতা,টানাপোড়ন থেকে নর-নারী নির্বিশেষে।অনেক দিনের আশা ,আকাংখা -ভালবাসার সমাপ্তি হয় বিয়ের মাধ্যমে যদি ভালয় ভালয় সবকিছু হয় ।আর তা যদি ভালোয় ভালোয় না হয় তা হলে বিবাহ-জীবন হয়ে উঠে বিষময় বিবাহের পরে।

বিয়ে বাড়িতে আমাদের সবারই মজার মজার অভিজ্ঞতা হয় তবে নিজের বিয়েটাই হয়েছে বা হয় সবচেয়ে নিরানন্দে।

ভাই আপনাকে আবারো ধন্যবাদ আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পরিশ্রমী এবং তথ্যবহুল পোস্ট। কিন্তু ভাইয়া একটু দুঃখ থেকে গেল। না জেনে কাজটা করে ফেলেছি।এখন জেনে তো আর নতুন করে কিছু করার উপায় নাই নাকি আপনি কি বলেন? হেহেহে.....

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরি ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আহা দুঃখ ! ব্যাপোক দুঃখ !! না জেনে বিয়ে করার দুঃখ!!!

এ দুঃখ জীবনেও ঘোচবার নয় ভাই। আর কিছু কিছু জিনিষ এমনই হয় ,আগে থেকে সব কিছু জেনে তার পর করা যায়না।আর জানার কোন শেষ নাই ,জানা থাকলে কামে লাগতে পারে জীবনের যে কোন সময় (অপশন :P বা সুযোগ যে কোন সময় চলে আইবার পারে/এমন না যে একবার করছি বিধায় আর করবার পারুম না)।
এছাড়াও জানা থাকলে, নিজের বংশধরদের প্রয়োজনেও কাজে লাগানো যাবে ভাই জান। নিজের সময় যা কিছু অজানা/অপুরণীয় ছিল তাদের সময় তা আমরা পুরণ করে দিতে পারি।এতে নিজের না পাওয়ার বেদনা অনেকটা লাঘব হতে পারে।

আর বিয়ে !! আহা বিয়ে !!!! নিজের বিয়েটা হয়েছে বা হয় সবচেয়ে নিরানন্দে,তাই বলেকি বাকীরা আনন্দ করবেনা তাকি হয় ভাইজান।কারন,এর সাথে কত আনন্দ-রোমাঞ্চ-উত্তেজনা জড়িয়ে থাকে যা কিছুদিন আমাদেরকে ভূলিয়ে রাখে জীবনের নানা-রকম জটিলতা,টানাপোড়ন থেকে নর-নারী নির্বিশেষে আর দেয় খালি মজাই মজা।অনেক দিনের আশা ,আকাংখা -ভালবাসার সমাপ্তি হয় বিয়ের মাধ্যমে যদি ভালয় ভালয় সবকিছু হয় ।জীবনের সকল বিষময়তা পরিহারের জন্য এবং এক থেকে বহু হওয়ার জন্য ভালভাবে বিবাহের বিশদ জেনে রাখা B-)) আবশ্যক ।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৯

সাসুম বলেছেন: সভ্যতায় আজকের হোমো স্যাপিয়েন্স এসেছে ২ লক্ষ বছরের বেশি কিছু সময় হবে কিন্তু বিয়ে বা মেরিজ ইন্সটিটুশান এর চালু হয়েছে এই তো সেদিন।

বিয়ের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল- ইকোনমিকাল এবং গোত্রে গোত্রে বন্ধন বা শত্রুতা মুক্ত থেকে একত্রে বসবাস করার যায়গা থেকে, এখানে লাভ বা একত্রে কঞ্জুগাল লাইফ লিড করা মূল উদ্দেশ্য কখনোই ছিলনা। মানুষ যখন সম্পদ এর বন্টন বা মারা যাওয়ার পর সম্পদ এর উত্তারাধিকার নির্ধারন করার দরকার পড়ল তখন ই সন্তান বা ব্লাড লাইন কে প্রাধান্য দেয়ার জন্য বিয়ের নামক ইন্সটিটিশান এর প্রয়োজন পড়ল। এর আগে থেকেই তো প্রকৃতি টিকিয়ে রেখেছে সভ্যতা আর বংশানুক্রম !

লাভ বা ভালোবাসা থেকে একত্রে বসবাস করার চিন্তা এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় না, যদি এটাই মূল উদ্দেশ্য হত তাহলে এরেঞ্জ মেরেজ থাক্ত না।

বিয়ে একটা সামাজিক ট্রেডিশান, এখানে মূলত ইকোনমিক এবং গোত্রগত সংহতি বজার রাখাই আসল এবং মূল উদ্দেশ্য ছিল। কালের পরিক্রমায় এটা একটা ইন্সটিটিউশান এ রুপ নিয়েছে।

অনেক দিন পর ব্লগে যুক্তিগত আলোচনায় অংশ নিলাম। আজকাল ব্লগ এ কোয়ালিটি লিখা পাওয়া যায়না বিধায় আসা হয় না। এখন ভাবছি মাঝে মাঝে এসে আলাপ আলোচনা খারাপ না। ভাল থাকবেন

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই,আবারো আসার জন্য এবং আপনার মন্তব্যের জন্য।

-সভ্যতায় আজকের হোমো স্যাপিয়েন্স এসেছে ২ লক্ষ বছরের বেশি কিছু সময় হবে কিন্তু বিয়ে বা মেরিজ ইন্সটিটুশান এর চালু হয়েছে এই তো সেদিন।

** ইসলাম ধর্মমতে হযরত আদম (আঃ) এবং হযরত হাওয়া (আঃ) কে আল্লাহ যখন দুনিয়াতে প্রেরণ করেন তার পর থেকে তাদের যমজ (জোড়ায়-জোড়ায় / একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে) সন্তান জন্ম নেয় ।তার পর মহান আল্লাহপাকের নির্দেশে এক জোড়ের ছেলের সাথে অন্যজোড়ের মেয়ের বিয়ের মাধ্যমে পৃথিবীতে বিয়ের সূচনা। তখন তারা যদিও ভাই-বোন হিসাবে ছিল তার পরেও পৃথিবীতে মানব বংশবিস্তার এর জন্য এটাই ছিল একমাত্র পথ। আর এতে করে পৃথিবীতে মানব বংশবিস্তার শুরু হয় এবং পরবর্তীতে ভাই-বোনের মাঝে বিয়ের সম্পর্ক নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়।

-মানুষ যখন সম্পদ এর বন্টন বা মারা যাওয়ার পর সম্পদ এর উত্তারাধিকার নির্ধারন করার দরকার পড়ল তখন ই সন্তান বা ব্লাড লাইন কে প্রাধান্য দেয়ার জন্য বিয়ের নামক ইন্সটিটিশান এর প্রয়োজন পড়ল।

** তাও যদি ধরে নেই সম্পদ তথা উত্তারাধিকারের জন্য বিয়ে প্রয়োজন হয়ে দেখা দেয় তাহলে এখানে প্রশ্ন থেকে যায় এসব প্রশ্নের আগে বড় যে প্রশ্ন - সেটা যে সম্পদ এবং উত্তারাধিকারের জন্য বিয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল সে কিভাবে
জন্মেছে? সে কি কোন নারীর গর্ভে জন্মেছে ,যদি তাই হয় তাহলে সেকি জারজ (অবৈধ )সন্তান ছিল বা তার জন্ম কিভাবে হয়েছিল ? কারন সম্পদ মানুষ রোজগার করে পরিণত বয়সে এবং সম্পদ অর্জনের পরেই এবং তার জীবনঅবসানের পর তার উত্তারাধিকারের প্রশ্ন আসে।

- লাভ বা ভালোবাসা থেকে একত্রে বসবাস করার চিন্তা এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় না, যদি এটাই মূল উদ্দেশ্য হত তাহলে এরেঞ্জ মেরেজ থাক্ত না।

** এরেঞ্জ মেরেজ বা বিয়ে ছিল-আছে-থাকবে ।ভালবাসা আধুনিক যুগে ভালবাসা তথা মত-মনের মিল হিসাবে (লিভ ইন-লিভ /লিভ টুগেদার ) সবই আছে করছে। তার পরেও নাতি-পুতি (বিগত যৌবনা হওয়ার পর ) নিয়ে বিয়ে করে মরার আগে যাতে চেষ্টা থাকে সারা জীবনের অবৈধ সম্পর্কটাকে বৈধতা দেয়ার।

- বিয়ে একটা সামাজিক ট্রেডিশান, এখানে মূলত ইকোনমিক এবং গোত্রগত সংহতি বজার রাখাই আসল এবং মূল উদ্দেশ্য ছিল। কালের পরিক্রমায় এটা একটা ইন্সটিটিউশান এ রুপ নিয়েছে।

**এটা আংশিক সত্য।বিয়ে একটা বৈধ ও আইনি প্রথা এবং মাধ্যম যা অনাদি কাল থেকে চলে আসছে টিকে আছে।

যুক্তি দ্বারা প্রমাণ করা যায় যে ," মানুষ ঘাস খায় আবার মানুষ পোকামাকড়ও খায়"।তবে বাস্তবতা আলাদা । আমরা যুক্তিতে বিশ্বাসী কিন্তু বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগেও দুনিয়ায় অনেক বিষয় আছে যা আজো তা প্রমাণীত হয়নি বা যুক্তি দ্বারা প্রমাণ করা যায়নি ।তাই সব কিছু যুক্তি দিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করা বৃথা।

সব শেষে বিয়ে ছিল-আছে-থাকবে ।তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ছুড়ে ফেলে একসাথে বলি " বিয়ে ,আহা বিয়ে!! মজার বিয়ে"।এত মজা আপনি আমি বিয়ে ছাড়া আর কোথায় পাব ভাই বলেন?

আবারো ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৬

নতুন বলেছেন: উপরে সাসুম ভাই আসল কথাটা বলেছেন সম্পত্তিবন্টনের প্রয়েজন সব চেয়ে বড় কারন বিয়ের প্রথা চালুর পেছনে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনি যেহেতু সামুস ভাইয়ের মন্তব্যেকে রেফারেন্স হিসবে দিয়েছেন তাই সামুস ভাইয়ের মন্তব্যের জবাব টাই হুবুহু আপনাকে কপি করে দিলাম (কিছু মনে :P না করি )

-সভ্যতায় আজকের হোমো স্যাপিয়েন্স এসেছে ২ লক্ষ বছরের বেশি কিছু সময় হবে কিন্তু বিয়ে বা মেরিজ ইন্সটিটুশান এর চালু হয়েছে এই তো সেদিন।

** ইসলাম ধর্মমতে হযরত আদম (আঃ) এবং হযরত হাওয়া (আঃ) কে আল্লাহ যখন দুনিয়াতে প্রেরণ করেন তার পর থেকে তাদের যমজ (জোড়ায়-জোড়ায় / একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে) সন্তান জন্ম নেয় ।তার পর মহান আল্লাহপাকের নির্দেশে এক জোড়ের ছেলের সাথে অন্যজোড়ের মেয়ের বিয়ের মাধ্যমে পৃথিবীতে বিয়ের সূচনা। তখন তারা যদিও ভাই-বোন হিসাবে ছিল তার পরেও পৃথিবীতে মানব বংশবিস্তার এর জন্য এটাই ছিল একমাত্র পথ। আর এতে করে পৃথিবীতে মানব বংশবিস্তার শুরু হয় এবং পরবর্তীতে ভাই-বোনের মাঝে বিয়ের সম্পর্ক নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়।

-মানুষ যখন সম্পদ এর বন্টন বা মারা যাওয়ার পর সম্পদ এর উত্তারাধিকার নির্ধারন করার দরকার পড়ল তখন ই সন্তান বা ব্লাড লাইন কে প্রাধান্য দেয়ার জন্য বিয়ের নামক ইন্সটিটিশান এর প্রয়োজন পড়ল।

** তাও যদি ধরে নেই সম্পদ তথা উত্তারাধিকারের জন্য বিয়ে প্রয়োজন হয়ে দেখা দেয় তাহলে এখানে প্রশ্ন থেকে যায় এসব প্রশ্নের আগে বড় যে প্রশ্ন - সেটা যে সম্পদ এবং উত্তারাধিকারের জন্য বিয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল সে কিভাবে
জন্মেছে? সে কি কোন নারীর গর্ভে জন্মেছে ,যদি তাই হয় তাহলে সেকি জারজ (অবৈধ )সন্তান ছিল বা তার জন্ম কিভাবে হয়েছিল ? কারন সম্পদ মানুষ রোজগার করে পরিণত বয়সে এবং সম্পদ অর্জনের পরেই এবং তার জীবনঅবসানের পর তার উত্তারাধিকারের প্রশ্ন আসে।

- লাভ বা ভালোবাসা থেকে একত্রে বসবাস করার চিন্তা এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় না, যদি এটাই মূল উদ্দেশ্য হত তাহলে এরেঞ্জ মেরেজ থাক্ত না।

** এরেঞ্জ মেরেজ বা বিয়ে ছিল-আছে-থাকবে ।ভালবাসা আধুনিক যুগে ভালবাসা তথা মত-মনের মিল হিসাবে (লিভ ইন-লিভ /লিভ টুগেদার ) সবই আছে করছে। তার পরেও নাতি-পুতি (বিগত যৌবনা হওয়ার পর ) নিয়ে বিয়ে করে মরার আগে যাতে চেষ্টা থাকে সারা জীবনের অবৈধ সম্পর্কটাকে বৈধতা দেয়ার।

- বিয়ে একটা সামাজিক ট্রেডিশান, এখানে মূলত ইকোনমিক এবং গোত্রগত সংহতি বজার রাখাই আসল এবং মূল উদ্দেশ্য ছিল। কালের পরিক্রমায় এটা একটা ইন্সটিটিউশান এ রুপ নিয়েছে।

**এটা আংশিক সত্য।বিয়ে একটা বৈধ ও আইনি প্রথা এবং মাধ্যম যা অনাদি কাল থেকে চলে আসছে টিকে আছে।

যুক্তি দ্বারা প্রমাণ করা যায় যে ," মানুষ ঘাস খায় আবার মানুষ পোকামাকড়ও খায়"।তবে বাস্তবতা আলাদা । আমরা যুক্তিতে বিশ্বাসী কিন্তু বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগেও দুনিয়ায় অনেক বিষয় আছে যা আজো তা প্রমাণীত হয়নি বা যুক্তি দ্বারা প্রমাণ করা যায়নি ।তাই সব কিছু যুক্তি দিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করা বৃথা।

সব শেষে বিয়ে ছিল-আছে-থাকবে ।তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ছুড়ে ফেলে একসাথে বলি " বিয়ে ,আহা বিয়ে!! মজার বিয়ে"।এত মজা আপনি আমি বিয়ে ছাড়া আর কোথায় পাব ভাই বলেন?

ধন্যবাদ নতুন ভাই, ভালো থাকবেন।

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টটির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন বুঝাই যাচ্ছে।

বিয়ে কিছু না। আসল সংসার জীবন শুরু হয় সংসারে সন্তান এলে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

বিয়ে আসলে একটা বিশাল দায়িত্ব-কর্তব্যময় জীবনের সুচনা মাত্র । তিন অক্ষরের একটি বাক্য কিন্তু এর আবেদন ও প্রভাব মানুষের জীবনে ,সমাজে বিশাল । বিবাহের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অজানা-অপরিচিত দুটি মানুষের সবচয়ে আপনজন হিসাবে এ দুনিয়ায় পথচলা শুরু হয় আর পরিপূর্ণতা পায় সন্তানের মাধ্যমে ।সন্তান স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সেতু বন্ধন এবং সংসারে সুখের আধার।আর বৈধ সন্তানের জন্ম প্রক্রিয়া শুরু হয় বিয়ে নামক প্রথার মাধ্যমেই।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২

বলেছেন: পোস্টে লাইক +++++


Same Sex - বিবাহ নিয়ে কিছু লেখেন ।।।


২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ল ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

Same Sex - ভাই এই জিনিষটাই কেমন যেন!!! নিরপেক্ষভাবে শুধু মন দিয়ে,বিবেক ব্যবহার করে এ ব্যাপারটা নিয়ে একটু ভাবেন, দেখেন কেমন অনুভব করেন। এ ব্যাপারটা ভাবলেই ভাই গা গুলায়,বমি পায় তাই আমি আসলে এ ব্যাপারে আপনার অনুরোধ রাখতে না পারার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ।

আর এ ব্যাপারে,অনেকর ই নানা রকম ব্যাখ্যা-যুক্তিতর্ক আছে এবং থাকবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি তা শুধু সমর্থন করিনা তা নয় এ ব্যাপারটা আমার নিকট চরম নিকৃষ্ঠ একটা কাজ বলে মনে হয়।আর নেটের কল্যাণে এসবের অনেক কিছুই আপনি আমি চাইলেই দেখতে পারি।

এসব Same Sex ছবি আপনি শুধু কামের মনোভাব ছেড়ে দিয়ে একবার মন দিয়ে দেখতে চেষ্টা করুন দেখবেন জীবনভর এ বিভৎস ব্যাপারটা আপনার মনে আসলেই বমি আসবে।নীতি-নৈতিকতার কথা বাদই দিলাম।

আর দুনিয়ার প্রচলিত কোন ধর্মেই এ বিকৃত মানষিকতাকে সমর্থন করেনা এবং তার জন্য কঠোর শাস্তির বিধানের ঘোষনা দেয়া আছে।

৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৪

সোহানী বলেছেন: আসলাম আপনার পোস্টে একটু প্যাচ ধরতে......!!!!!

আপনি বলেছেন, সমান অধিকার ও চাহিদা পূরনের স্বার্থে একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারে। কোথাও স্ত্রীর অনুমতি বা এ ধরনের কিছুর কথা উল্লেখ করেন নাই। এইটা কি আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত ব্যাখা দিসেন? জানতে চাই।



আপনাদের জন্য মাঝে মাঝে খুব দু:খ হয়। আপনার শুধু পুরুষ মানুষই হয়ে জীবন পার করলেন, মানুষ হিসেবে নয়। একাধিক বিয়ে যেমন একজন পুরুষের অপমান তেমনি একটি নারীর কত বড় অপমান বা অমানুষত্বের কাজ তা বোঝার মতো আল্লাহ্ আপনােদেরকে তৈাফিক দান করুক। আমিন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী, আপনার মন্তব্যের জন্য।

- আপনি বলেছেন, আসলাম আপনার পোস্টে একটু প্যাচ ধরতে......!!!!!

** বোন ,খোলা মনে আলোচনার ফলে দুনিয়ার সকল সমস্যার সমাধান মিলে ,মনে প্যাচ রেখে সম্ভব না।

-সমান অধিকার ও চাহিদা পূরনের স্বার্থে একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারে। কোথাও স্ত্রীর অনুমতি বা এ ধরনের কিছুর কথা উল্লেখ করেন নাই। এইটা কি আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত ব্যাখা দিসেন? জানতে চাই।

**বহুবিবাহ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,'"আর যদি তোমাদের এ আশঙ্কা থাকে, যে তোমরা এতিম (মহিলা)-দের সাথে ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে সাধারণ নারীদের মাঝ থেকে তোমাদের যাঁদের ভাল লাগে, তাঁদের দুইজন, তিনজন কিংবা চারজনকে বিয়ে করে নাও। কিন্তু যদি তোমাদের এই ভয় হয়, যে তোমরা ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে তোমাদের জন্য একজনই যথেষ্ট। কিংবা যে তোমাদের ডান হাতের অধিকারভূক্ত; তাঁকেই যথেষ্ট মনে করে নাও। সীমালঙ্ঘন থেকে বেঁচে থাকার জন্য এটাই হচ্ছে সহজতর পন্থা।" (সুরা নিসা ৪,আয়াত - ৩)।

ইসলামিক বিবাহের আইনমতে, সুন্নি এবং শিয়া পুরুষরা বহুবিবাহ করতে পারে। এর ফলে পুরুষরা একইসাথে সর্বোচ্চ চারটা সহ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারবে। তবে বিপরীত ক্রমে একই নারী একাধিক স্বামী রাখতে পারবেন না।
তবে এ বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনার আগে এর প্রেক্ষাপট জানা জরুরী।

১।এই আয়াত প্রথম নাজিল হয় উহুদের যুদ্ধের পর, সেসময় অনেক পুরুষ মারা যায়। ফলে অনেক নারী বিধবা এবং এতিম হয়ে যান। অনেকে বলেন, এই আয়াত নাজিল হওয়ার অন্যতম কারণ, নবী ও ইসলামের জন্য মৃত্যুবরণ করা স্বামী হারানো বিধবা নারী ও পিতা হারানো অনাথ সন্তানের জন্য আল্লাহ উদ্বিগ্ন হওয়ায় এই আয়াত নাজিল করেছেন। যাতে করে অনাথ সন্তান বা বিধবা নারীরা একটা আশ্রয় পায়। এখানে যৌনতা বা পুরুষ শাসিত সমাজ সংক্রান্ত কিছু নেই।

২।ইসলামের উত্থানের পুর্বে, আরবীয় উপদ্বীপে পুরুষ এবং নারী উভয়ই বহুবিবাহে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল। তবে একজন পুরুষ একজন নারীর সাথে সারাজীবন বিবাহ বন্ধনে ছিলেন, এমনটাও বিরল ছিল না। তখনকার আরবের সমসাময়িক কালে বিবাহ তে মার্তৃপ্রথা নিয়ম কাজ করত। মেয়েরা মায়ের সাথে থাকত, স্বামীই মেয়ের ঘরে থাকত, সহবাস করত এবং সন্তান মার্তৃবংশের নামেই পরিচিত হত। ছেলে এবং মেয়ে যেই বহুগামিতা বা বহুবিবাহ করুক না কেন, উভয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ থাকত।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সেসময় একজন পুরুষ একাধিক নারীকে কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়া ইচ্ছামত বিবাহ করতে পারতেন। এই প্রথার বিলুপ্তি ঘটে কুরানের এই আয়াত নাজিলের পরে। জাহেলিয়া আরবে একজন পুরুষ কয়টা বিবাহ করবে, তার কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। তৎকালীন মার্তৃতান্ত্রিক সময়ে পুরুষ রাজনৈতিক ও শক্তিশালী পরিবারগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বহুবিবাহ করত।এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন, তৎকালীন সময়ে বিবাহ শুধুমাত্র ধর্মীয় বাঁধন ছিল না বরং চুক্তিমুলক ছিল।

বোন এখানে একটা বিষয় যে ,বেশিরভাগ মুসলিমই এই চর্চাকে সমর্থন করলেও, তারা এটাকে বাস্তব জীবনে খুব একটা প্রয়োগ করে না।হযরত মুহম্মদ (সঃ) সময়ে এবং ইসলামের শুরুতে পুরুষের বহুবিবাহকে সমর্থন করা হত বলে, মুসলিমরা এই বিবাহকে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে সমর্থন করে। তবে অনেক দেশ আইনের মাধ্যমে এই বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।আর পুরুষরাও একসাথে চার বিয়ে করে বা করছে তা খুব বেশী নয় তবে রাজা-বাদশাহ দের ব্যাপার আলাদা।

এবং আরো অনেক শর্ত এর সাথে জড়িত।যেগুলো আলোচনার জন্য একটা পোস্ট ।সময় করে " মুসলিমদের চার বিয়ের অনুমতি প্রদানের কারন , প্রেক্ষাপট ও বর্তমান বাস্তবতা" নিয়ে একটি পোস্ট দিব ।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।



১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আল্লাহ কিতাবে বলেছেন
মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় শৃষ্টি করা হয়েছে।

কিন্তু আপনি তো ইসলামের দোহাই দিয়ে একাধিক বিবাহকে উৎসাহ দিলেন

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।

-আপনি তো ইসলামের দোহাই দিয়ে একাধিক বিবাহকে উৎসাহ দিলেন ।

** আমার পোস্টে বলা হয়েছে "ইসলামী বিধান অনুযায়ী, একজন পুরুষ সকল স্ত্রীকে সমান অধিকার প্রদানের শর্তে তার প্রয়োজন ও চাহিদা অনুসারে সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারে। আর সমান অধিকার দিতে অপারগ হলে শুধু একটি বিয়ে করার অনুমতি পাবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে একাধিক বিয়ের অনুমতি নেই।

বহুবিবাহ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,'"আর যদি তোমাদের এ আশঙ্কা থাকে, যে তোমরা এতিম (মহিলা)-দের সাথে ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে সাধারণ নারীদের মাঝ থেকে তোমাদের যাঁদের ভাল লাগে, তাঁদের দুইজন, তিনজন কিংবা চারজনকে বিয়ে করে নাও। কিন্তু যদি তোমাদের এই ভয় হয়, যে তোমরা ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে তোমাদের জন্য একজনই যথেষ্ট। কিংবা যে তোমাদের ডান হাতের অধিকারভূক্ত; তাঁকেই যথেষ্ট মনে করে নাও। সীমালঙ্ঘন থেকে বেঁচে থাকার জন্য এটাই হচ্ছে সহজতর পন্থা।" (সুরা নিসা ৪,আয়াত - ৩)।

ইসলামিক বিবাহের আইনমতে, সুন্নি এবং শিয়া পুরুষরা বহুবিবাহ করতে পারে। এর ফলে পুরুষরা একইসাথে সর্বোচ্চ চারটা সহ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারবে। তবে বিপরীত ক্রমে একই নারী একাধিক স্বামী রাখতে পারবেন না।
তবে এ বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনার আগে এর প্রেক্ষাপট জানা জরুরী।

১।এই আয়াত প্রথম নাজিল হয় উহুদের যুদ্ধের পর, সেসময় অনেক পুরুষ মারা যায়। ফলে অনেক নারী বিধবা এবং এতিম হয়ে যান। অনেকে বলেন, এই আয়াত নাজিল হওয়ার অন্যতম কারণ, নবী ও ইসলামের জন্য মৃত্যুবরণ করা স্বামী হারানো বিধবা নারী ও পিতা হারানো অনাথ সন্তানের জন্য আল্লাহ উদ্বিগ্ন হওয়ায় এই আয়াত নাজিল করেছেন। যাতে করে অনাথ সন্তান বা বিধবা নারীরা একটা আশ্রয় পায়। এখানে যৌনতা বা পুরুষ শাসিত সমাজ সংক্রান্ত কিছু নেই।

২।ইসলামের উত্থানের পুর্বে, আরবীয় উপদ্বীপে পুরুষ এবং নারী উভয়ই বহুবিবাহে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল। তবে একজন পুরুষ একজন নারীর সাথে সারাজীবন বিবাহ বন্ধনে ছিলেন, এমনটাও বিরল ছিল না। তখনকার আরবের সমসাময়িক কালে বিবাহ তে মার্তৃপ্রথা নিয়ম কাজ করত। মেয়েরা মায়ের সাথে থাকত, স্বামীই মেয়ের ঘরে থাকত, সহবাস করত এবং সন্তান মার্তৃবংশের নামেই পরিচিত হত। ছেলে এবং মেয়ে যেই বহুগামিতা বা বহুবিবাহ করুক না কেন, উভয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ থাকত।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সেসময় একজন পুরুষ একাধিক নারীকে কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়া ইচ্ছামত বিবাহ করতে পারতেন। এই প্রথার বিলুপ্তি ঘটে কুরানের এই আয়াত নাজিলের পরে। জাহেলিয়া আরবে একজন পুরুষ কয়টা বিবাহ করবে, তার কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। তৎকালীন মার্তৃতান্ত্রিক সময়ে পুরুষ রাজনৈতিক ও শক্তিশালী পরিবারগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বহুবিবাহ করত।এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন, তৎকালীন সময়ে বিবাহ শুধুমাত্র ধর্মীয় বাঁধন ছিল না বরং চুক্তিমুলক ছিল।

ভাই এখানে একটা বিষয় যে ,বেশিরভাগ মুসলিমই এই চর্চাকে সমর্থন করলেও, তারা এটাকে বাস্তব জীবনে খুব একটা প্রয়োগ করে না।হযরত মুহম্মদ (সঃ) সময়ে এবং ইসলামের শুরুতে পুরুষের বহুবিবাহকে সমর্থন করা হত বলে, মুসলিমরা এই বিবাহকে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে সমর্থন করে। তবে অনেক দেশ আইনের মাধ্যমে এই বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।আর পুরুষরাও একসাথে চার বিয়ে করে বা করছে তা খুব বেশী নয় তবে রাজা-বাদশাহ দের ব্যাপার আলাদা।

এবং আরো অনেক শর্ত এর সাথে জড়িত।যেগুলো আলোচনার জন্য একটা পোস্ট দরকার ।সময় করে " মুসলিমদের চার বিয়ের অনুমতি প্রদানের কারন , প্রেক্ষাপট ও বর্তমান বাস্তবতা" নিয়ে একটি পোস্ট দিব ।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অন্য ধর্মের বিবাহ কি বৈধ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুলইসলা০৬০৪, ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।

যার যার ধর্ম অনুসারে তার তার বিয়ে বৈধ । বিয়ে বৈধতার স্বীকৃতি হল সামাজিক ভাবে সবার জানার মাধ্যমে।

তবে আপনার প্রশ্ন যদি হয় ,মুসলমানরা অন্য ধর্মের অনুসারীদের বিয়ে করতে পারে কিনা বা সে বিয়ে বৈধ কিনা ?

তাহলে - ইসলামে একজন মুসলিম একজন অমুসলিমকে (ছেলে-মেয়ে যেই হোক না কেন) বিয়ে করতে পারবে যদি উক্ত অমুসলিম ঈমান আনে (ইসলাম গ্রহণ করে)।

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আবার আসা এবং আপনার প্রতি মন্তব্যের জন্য।

কৌতুহলই আমাদের সামনে এগিয়ে নেয় এবং নতুন নতুন জিনিষ জানতে সাহায্য করে।আর জানার জন্য কৌতুহল তথা আগ্রহ জরুরী ।আপনার জানার আগ্রহের জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ভাই।

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা। আজ মানবজমিনে দেখলাম এক সেলেব্রেটির তিন সন্তানের বাবা তিনজন

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই, নারী-পুরুষ যেই হোক এবং যত খারাপই হোক আমার মনে হয় , কেউই একের অধিক বিয়ে আনন্দের সাথে করেনা।আমি
বিশ্বাস করি সবাই চেষ্টা করেন প্রথম বিবাহ টিকিয়ে রাখতে বা একজনের সাথেই জীবন কাটাতে কিছু বিকৃত রুচির মানুষ ছাড়া।তবে অবস্থা, পরিস্থিতির কারনে হয়ত শেষ পর্যন্ত বিবাহ বিচছেদে বাধ্য হয় এবং একাধিক বিয়ে করে তবে তার কারন খুজতে গেলে অনেক করুন কাহিনীই বেরিয়ে এ ঘটনার পিছনে এবং দেখা যাবে তারা কেউ এতে মানষিক ভাবে খুশী নয়।

কাজেই যে কোন বিষয় মূল্যায়ন করতে গেলে তার প্রেক্ষাপট বা পিছনের কারন তথা ইতিহাস জানা জরুরী।

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:১৮

সাসুম বলেছেন: লেখক কে ধন্যবাদ। যাই হোক, ফিরে এলাম দেখার জন্য কে কি কমেন্ট করেছেন।

যাই হোক, একটা ছোট্ট কমেন্ট করে যাই সোহানী আপার প্রতিউত্তরে,
সকল ধর্মকেই প্রভাবশালীরা তাদের মত করে ইউজ করেছে। যেহেতু পুরুষ রাই সব সময় প্রভাবশালী ছিল, সো নিয়ট গুলাও তারা তাদের মত করেই তৈরি করবে। আমাদের মহিলাদের সৌভাগ্য মাত্র ৪ টা করার পারমিশান দিয়েছে, যদি এই সংখ্যা ৪০ টা হত কি করত উনারা?

ধর্ম মানুষ আনেনি, মানুষ এনেছে ধর্ম।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই, আপনার প্রতি মন্তব্যের জন্য।

-সকল ধর্মকেই প্রভাবশালীরা তাদের মত করে ইউজ করেছে। যেহেতু পুরুষ রাই সব সময় প্রভাবশালী ছিল, সো নিয়ট গুলাও তারা তাদের মত করেই তৈরি করবে। আমাদের মহিলাদের সৌভাগ্য মাত্র ৪ টা করার পারমিশান দিয়েছে, যদি এই সংখ্যা ৪০ টা হত কি করত উনারা?

**বহুবিবাহ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,'"আর যদি তোমাদের এ আশঙ্কা থাকে, যে তোমরা এতিম (মহিলা)-দের সাথে ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে সাধারণ নারীদের মাঝ থেকে তোমাদের যাঁদের ভাল লাগে, তাঁদের দুইজন, তিনজন কিংবা চারজনকে বিয়ে করে নাও। কিন্তু যদি তোমাদের এই ভয় হয়, যে তোমরা ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে তোমাদের জন্য একজনই যথেষ্ট। কিংবা যে তোমাদের ডান হাতের অধিকারভূক্ত; তাঁকেই যথেষ্ট মনে করে নাও। সীমালঙ্ঘন থেকে বেঁচে থাকার জন্য এটাই হচ্ছে সহজতর পন্থা।" (সুরা নিসা ৪,আয়াত - ৩)।

ইসলামিক বিবাহের আইনমতে, সুন্নি এবং শিয়া পুরুষরা বহুবিবাহ করতে পারে। এর ফলে পুরুষরা একইসাথে সর্বোচ্চ চারটা সহ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারবে। তবে বিপরীত ক্রমে একই নারী একাধিক স্বামী রাখতে পারবেন না।
তবে এ বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনার আগে এর প্রেক্ষাপট জানা জরুরী।

১।এই আয়াত প্রথম নাজিল হয় উহুদের যুদ্ধের পর, সেসময় অনেক পুরুষ মারা যায়। ফলে অনেক নারী বিধবা এবং এতিম হয়ে যান। অনেকে বলেন, এই আয়াত নাজিল হওয়ার অন্যতম কারণ, নবী ও ইসলামের জন্য মৃত্যুবরণ করা স্বামী হারানো বিধবা নারী ও পিতা হারানো অনাথ সন্তানের জন্য আল্লাহ উদ্বিগ্ন হওয়ায় এই আয়াত নাজিল করেছেন। যাতে করে অনাথ সন্তান বা বিধবা নারীরা একটা আশ্রয় পায়। এখানে যৌনতা বা পুরুষ শাসিত সমাজ সংক্রান্ত কিছু নেই।

২।ইসলামের উত্থানের পুর্বে, আরবীয় উপদ্বীপে পুরুষ এবং নারী উভয়ই বহুবিবাহে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল। তবে একজন পুরুষ একজন নারীর সাথে সারাজীবন বিবাহ বন্ধনে ছিলেন, এমনটাও বিরল ছিল না। তখনকার আরবের সমসাময়িক কালে বিবাহ তে মার্তৃপ্রথা নিয়ম কাজ করত। মেয়েরা মায়ের সাথে থাকত, স্বামীই মেয়ের ঘরে থাকত, সহবাস করত এবং সন্তান মার্তৃবংশের নামেই পরিচিত হত। ছেলে এবং মেয়ে যেই বহুগামিতা বা বহুবিবাহ করুক না কেন, উভয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ থাকত।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সেসময় একজন পুরুষ একাধিক নারীকে কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়া ইচ্ছামত বিবাহ করতে পারতেন। এই প্রথার বিলুপ্তি ঘটে কুরানের এই আয়াত নাজিলের পরে। জাহেলিয়া আরবে একজন পুরুষ কয়টা বিবাহ করবে, তার কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। তৎকালীন মার্তৃতান্ত্রিক সময়ে পুরুষ রাজনৈতিক ও শক্তিশালী পরিবারগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বহুবিবাহ করত।এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন, তৎকালীন সময়ে বিবাহ শুধুমাত্র ধর্মীয় বাঁধন ছিল না বরং চুক্তিমুলক ছিল।

ভাই এখানে একটা বিষয় যে ,বেশিরভাগ মুসলিমই এই চর্চাকে সমর্থন করলেও, তারা এটাকে বাস্তব জীবনে খুব একটা প্রয়োগ করে না।হযরত মুহম্মদ (সঃ) সময়ে এবং ইসলামের শুরুতে পুরুষের বহুবিবাহকে সমর্থন করা হত বলে, মুসলিমরা এই বিবাহকে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে সমর্থন করে। তবে অনেক দেশ আইনের মাধ্যমে এই বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।আর পুরুষরাও একসাথে চার বিয়ে করে বা করছে তা খুব বেশী নয় তবে রাজা-বাদশাহ দের ব্যাপার আলাদা।

এবং আরো অনেক শর্ত এর সাথে জড়িত।যেগুলো আলোচনার জন্য একটা পোস্ট ।সময় করে " মুসলিমদের চার বিয়ের অনুমতি প্রদানের কারন , প্রেক্ষাপট ও বর্তমান বাস্তবতা" নিয়ে একটি পোস্ট দিব ।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: অনেক তথ্য বহুল লেখা। তবে কিছু ধর্মীয় তথ্য উল্লেখ করলে ভালো হতো।
সোহানী বলেছেন: আপনি বলেছেন, সমান অধিকার ও চাহিদা পূরনের স্বার্থে একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারে। কোথাও স্ত্রীর অনুমতি বা এ ধরনের কিছুর কথা উল্লেখ করেন নাই। এইটা কি আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত ব্যাখা দিসেন? জানতে চাই
ইসলামে আগের স্ত্রীর অনুমতি ব্যাতিরেকে সম্ভবত আরেকটা বিয়ে করার পারমিশন নেই।
দেশের ভিতরে করলে সরাসরি স্ত্রী কেস করে দিতে পারেন।
সব স্ত্রীকে একই দৃষ্টিতে সমভাবে সমান সুবিধা দিয়ে রাখতে না পারলে একের অধিক বিয়ে না করতে বলা হয়েছে ইসলামে। এটাই হচ্ছে আসল নিয়ম।
ধন্যবাদ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

বহুবিবাহের বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনার আগে এর প্রেক্ষাপট জানা জরুরী।অনেক গুলো কারন ও শর্তের অধীনে একের অধিক বিয়ে অনুমতি ইসলামে দেয়া হয়েছে যেখানে প্রথম স্ত্রীর বর্তমানে ২য় বিয়ের জন্য তার অনুমতি সহ অনেকগুলি শর্ত জড়িত।

**বহুবিবাহ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,'"আর যদি তোমাদের এ আশঙ্কা থাকে, যে তোমরা এতিম (মহিলা)-দের সাথে ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে সাধারণ নারীদের মাঝ থেকে তোমাদের যাঁদের ভাল লাগে, তাঁদের দুইজন, তিনজন কিংবা চারজনকে বিয়ে করে নাও। কিন্তু যদি তোমাদের এই ভয় হয়, যে তোমরা ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে তোমাদের জন্য একজনই যথেষ্ট। কিংবা যে তোমাদের ডান হাতের অধিকারভূক্ত; তাঁকেই যথেষ্ট মনে করে নাও। সীমালঙ্ঘন থেকে বেঁচে থাকার জন্য এটাই হচ্ছে সহজতর পন্থা।" (সুরা নিসা ৪,আয়াত - ৩)।

ভাই আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:



জামান, চার বিয়ের বিষয়টা সেই আইয়ামে জাহেলিয়াতের সময়ের ঘটনা ।
আর এখন ২০২১ এসেও কেনো এই টপিক নিয়ে বার বার লেখা হয়!!!

জামানের কি এরকম কোনও প্ল্যান আছে চারটা বিয়ে করবে ??
এট লিস্ট এট এ টাইম দুইটা ? আই ডোন্ট থিংক সো ।
জামান কি তার মেয়ে বা বোনকে কারো চার ওয়াইফের একজন হিসেবে দেখেতে চায় ?
আই বিলিভ নিশ্চয়ই না । ইফ সো, তাহলে কেনো বার বার লেখায় এটা চলে আসছে ।
কেনো এটাকে প্রমোট করা হচ্ছে । লাস্ট ফিউ মান্থস সো ম্যানি পোষ্ট ফর দিজ ।

ইউ সেইড, আবারও এটা নিয়ে বিস্তারিত পোষ্ট দিবে, প্লীজ ডোন্ট ।
সবাই জানে কেনো কোন প্রেক্ষিতে বলা হয়েছিলো আর বর্তমানে এটা সম্ভভ কি না, উচিৎ কিনা এটাও সবাই জানে ।
We should say a big NO for four marriages.
No point to legitimate this issue again.
Please move on and write something else.



২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মিরোরডডল , আপনার প্রতি মন্তব্যের জন্য।

-জামান, চার বিয়ের বিষয়টা সেই আইয়ামে জাহেলিয়াতের সময়ের ঘটনা ।
আর এখন ২০২১ এসেও কেনো এই টপিক নিয়ে বার বার লেখা হয়!!!


**আসলে এই বিষয়টা নিয়ে সবাই যার যার ইচছামত ব্যাখ্যা-বিবৃতি-বা বলে ইসলামকে, তার একটি নিয়ম নীতিকে হেয় করার জন্য।অথচ চার বিয়ের অনুমতি প্রদানের কারন , প্রেক্ষাপট এবং বাস্তবতা প্রসংগে কেউ বলেন না ।আর এ ব্যাপারটা
সম্পূর্ণভাবে ইসলামকে হেয় করার জন্যই বার বার উদাহরন হিসাবে টানে।

বোন,এখানে একটা বিষয় যে ,ইসলামি শরীয়তের উৎস হিসাবে কোরআনের স্থান প্রথম এবং একজন মুসলিমের কোরআনের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মেনে চলার দায় রয়েছে। তাই বেশিরভাগ মুসলিমই আল কোরআনের আদেশ এই চর্চাকে সমর্থন করলেও, তারা এটাকে বাস্তব জীবনে খুব একটা প্রয়োগ করে না।হযরত মুহম্মদ (সঃ) সময়ে এবং ইসলামের শুরুতে পুরুষের বহুবিবাহকে সমর্থন করা হত বলে, মুসলিমরা এই বিবাহকে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে সমর্থন করে। তবে অনেক দেশ আইনের মাধ্যমে এই বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।আর পুরুষরাও একসাথে চার বিয়ে করে বা করছে তা খুব বেশী নয় তবে রাজা-বাদশাহ দের ব্যাপার আলাদা।

-জামানের কি এরকম কোনও প্ল্যান আছে চারটা বিয়ে করবে ??

**" ভিক্ষা চাইনা কুত্তা সামলাও " - অবস্থা । একটা করেই খালি গান আহে " শাদী করগে ফাস গিয়ারে ভাই,শাদী করগে ফাস গিয়া" -
বিয়ার আগে যদি কাউকে রির্হাসেল হিসাবে সংসার করতে দিত তাহলে কেউ স্বেচ্ছায় বিয়ে নামক বড়ি গিলত (করতে) বলে লয়না। সংসারে এত ঝামেলা,পেরেশানীতে একটা নিয়েই সহ্য হয়না আবার একের অধিক!!! পারলে এটাই কাউকে দিয়া :(( দিতাম ,এটা ত আর সম্ভব না তাই উনাকেই (পুরানো এবং একমাত্র) বউ (একসময় তাকে বাবলী হিসাবে কল্পনা করে অলীক সুখ স্বপ্নে বিভোর ছিলাম ) নিয়ে জীবন কাটাই ,এটাই ভাল।এত সুখ এখন আর সয়না বোন ।

-ইউ সেইড, আবারও এটা নিয়ে বিস্তারিত পোষ্ট দিবে, প্লীজ ডোন্ট ।
সবাই জানে কেনো কোন প্রেক্ষিতে বলা হয়েছিলো আর বর্তমানে এটা সম্ভভ কি না, উচিৎ কিনা এটাও সবাই জানে ।


** বোন মেনে নিলাম আপনার কথা আর ভুলে গেলাম আমি এ বিষয়ে।

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১

সোহানী বলেছেন: জনাব কামরুজজামান সাহেব, যে যুগের কথা উল্লেখ করেছেন সে যুগে মেয়েদেরকে মাটিতে পুতে ফেলা হতো। সে রকম একটি পরিবেশে বিষয়টিতে সমর্থনের একটি ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু ২০২১ সালে এসে এ নিয়ে সমর্থন হাস্যকর, অপমানকর এবং চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচয়।

এর আগেও আপনি নারীর জড়ায়ুর স্বাধীনতা নিয়ে আনএ্যাক্সেপ্টবল কথা বলেছেন। এবং বিশ্বয়ের সাথে লক্ষ্য করছি আপনার লিখালিখির মূল বিষয় নারীদেরকে ধর্মের আড়ালে হেয় করা, অপমান অপদস্থ করা। একজন গ্রাম্য অশিক্ষিত মাদ্রাসার কোন শিক্ষক বা ওয়াজে কোন আধা শিক্ষিত কোন হুজুর কথাগুলো বললেও হজম করতেও কষ্ট হয়। সেখানে সামহোয়ারের মতো আধুনিক প্লাটফর্মে এ কথাগুলো বড্ড হাস্যকর। এর আগেও আপনার আরেকটি লিখার প্রতিবাদ করেছিলাম। যদিও জানি, আপনাকে সমর্থন দেবার মতো অনেক পুরুষ এখনো আছে। কিন্তু তার বিপরীতে আরো অনেকে্ই আছেন এবং থাকবেন, এটাই আমি বিশ্বাস করি। আর এ কারনেই বেশীরভাগ নারীই শুধূমাত্র পুরুষের মনোরন্জনের জন্য বা জড়ায়ুর পিন্ড বা সেক্সডল নয় একজন সত্যিকারে মানুষ হয়ে বেচেঁ আছে।

আর দয়া করে চার বিয়ের সমর্থন নিয়ে ইনেয়ে বিনিয়ে আরেকটি পোস্ট না দিয়ে ইসলামের অনেক বিষয় আছে যেখান থেকে তরুন সমাজ কিছু শিখতে পারবে তা নিয়ে লিখুন। যারা সেক্স ম্যানিয়াক তারা ইচ্ছে হলে চারটা কেন চারশ বিয়ে (আরব/আফ্রিকান দেশগুলো তা করছে) করুক। কিন্তু এ নিয়ে নিজের ইচ্ছার প্রতিফলনের জন্য অন্যদের প্রলুব্ধ করে লিখার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। (উপদেশ দিতে চাই না কিন্তু এ বিষয় নিয়ে সামহোয়ারে এতো বেশী লিখালিখি হয়েছে যে দেখতেও বিরক্ত লাগে)।

আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত করুক, জ্ঞানদান করুক, মেয়েদেরকে মানুষ ভাবার তৈাফিক দান করুক। আমিন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

আজ এখন একটু বেশী চেতা লাগতাছে :P বহিন আপনারে, চেতেন কেললা এত?বেশী চেতা শরীর-মনের জন্য বালানা।

-জনাব কামরুজজামান সাহেব, যে যুগের কথা উল্লেখ করেছেন সে যুগে মেয়েদেরকে মাটিতে পুতে ফেলা হতো। সে রকম একটি পরিবেশে বিষয়টিতে সমর্থনের একটি ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু ২০২১ সালে এসে এ নিয়ে সমর্থন হাস্যকর, অপমানকর এবং চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচয়।

**আমি জানিনা ,আপনি পুরো পোস্ট পরেই মন্তব্য করছেন কিনা।আমার পুরো পোস্টে চার বিয়েকে সমর্থন করে একটি কথাও নেই।বোন,এখানে একটা বিষয় যে ,ইসলামি শরীয়তের উৎস হিসাবে কোরআনের স্থান প্রথম এবং একজন মুসলিমের কোরআনের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মেনে চলার দায় রয়েছে। তাই বেশিরভাগ মুসলিমই আল কোরআনের আদেশ এই চর্চাকে সমর্থন করলেও, তারা এটাকে বাস্তব জীবনে খুব একটা প্রয়োগ করে না।হযরত মুহম্মদ (সঃ) সময়ে এবং ইসলামের শুরুতে পুরুষের বহুবিবাহকে সমর্থন করা হত বলে, মুসলিমরা এই বিবাহকে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে সমর্থন করে। তবে অনেক দেশ আইনের মাধ্যমে এই বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।আর পুরুষরাও একসাথে চার বিয়ে করে বা করছে তার নজীর খুব বেশী নয় তবে রাজা-বাদশাহ দের ব্যাপার আলাদা।
আসলে এই বিষয়টা নিয়ে সবাই যার যার ইচছামত ব্যাখ্যা-বিবৃতি-বা বলে ইসলামকে, তার একটি নিয়ম নীতিকে হেয় করার জন্য।অথচ চার বিয়ের অনুমতি প্রদানের কারন , প্রেক্ষাপট এবং বাস্তবতা প্রসংগে কেউ বলেন না ।আর এ ব্যাপারটা
সম্পূর্ণভাবে ইসলামকে হেয় করার জন্যই বার বার উদাহরন হিসাবে টানে।

এর আগেও আপনি নারীর জড়ায়ুর স্বাধীনতা নিয়ে আনএ্যাক্সেপ্টবল কথা বলেছেন। এবং বিশ্বয়ের সাথে লক্ষ্য করছি আপনার লিখালিখির মূল বিষয় নারীদেরকে ধর্মের আড়ালে হেয় করা, অপমান অপদস্থ করা।

** আপনাকে আবারো নিরিবিলি ,ভালভাবে এবং ভালবেসে সেই পোস্টটি আরেকবার পড়ে দেখার অনুরোধ করব। আংশিক বা অংশবিশেষ নিয়ে মন্তব্যে পুরো বিষয়ের অপব্যাখ্যা করা যায় সঠিক মূল্যায়ন করা হয়না।

-আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত করুক, জ্ঞানদান করুক, মেয়েদেরকে মানুষ ভাবার তৈাফিক দান করুক। আমিন।

আল্লাহ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের সকলকে তাদের সম্মান-মর্যাদা নিয়ে প্রকৃত মানুষ হিসাবে বেচে থাকার তওফিক দান করুন-আমিন।

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি প্রতিউত্তরে কোরানের আয়াত দিয়েছেন

বহুবিবাহ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,
'"আর যদি তোমাদের এ আশঙ্কা থাকে, যে তোমরা এতিম (মহিলা)-দের সাথে ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে সাধারণ নারীদের মাঝ থেকে তোমাদের যাঁদের ভাল লাগে, তাঁদের দুইজন, তিনজন কিংবা চারজনকে বিয়ে করে নাও।

কিন্তু যদি তোমাদের এই ভয় হয়, যে তোমরা ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে তোমাদের জন্য একজনই যথেষ্ট। কিংবা যে তোমাদের ডান হাতের অধিকারভূক্ত; তাঁকেই যথেষ্ট মনে করে নাও" (সুরা নিসা ৪,আয়াত - ৩)।

ডান হাতের অধিকারভূক্ত, এরা কারা দাসী?
কোরানের আয়াত অনুসারে ইসলামে দাসী ভোগ বৈধ?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্য এর জন্য।৷৷ একই বিষয়ে আপনার আগের মন্তব্যে বিস্তারিত বলা হয়েছে। কাজেই সেটা আরেকটু ভালভাবে দেখার অনুরোধ রইল। তাহলে আপনার জবাব পেয়ে যাবেন। আবার আসার এবং পুনরায় মন্তব্য করার জন্য।

১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০০

করুণাধারা বলেছেন: আপনার সাথে অনেক বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করি, সময় করে আবার আসার চেষ্টা করব আলোচনার জন্য।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন করুনাধারা,আপনার মন্তব্য এর জন্য।।৷৷ মানুষ মাত্রই মত- মনের অমিল থাকবেই। আর আলোচনার মাধ্যমে জগতের সকল সমস্যার সমাধান হয়।আর আলোচনার জন্য বান্দা সবসময় প্রস্তুত। জানা- বুঝার জন্য আলোচনার কোন বিকল্প নেই।

২০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

নতুন বলেছেন: ** ইসলাম ধর্মমতে হযরত আদম (আঃ) এবং হযরত হাওয়া (আঃ) কে আল্লাহ যখন দুনিয়াতে প্রেরণ করেন তার পর থেকে তাদের যমজ (জোড়ায়-জোড়ায় / একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে) সন্তান জন্ম নেয় <<<<<<আর এতে করে পৃথিবীতে মানব বংশবিস্তার শুরু হয় এবং পরবর্তীতে ভাই-বোনের মাঝে বিয়ের সম্পর্ক নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়।


ভাই অন্ধবিশ্বাসী হলে যুক্তির কোন দরকার নাই। :)

আর চার বিয়ের পক্ষে মতামত দিচ্ছেন!!!

আপনি নিজে একটু ভেবে দেখেছেন কি নারীর মনের কি অবস্থ হয় ৪ বিয়ের সংসারে থাকতে?

যেকোন

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত

-ভাই অন্ধবিশ্বাসী হলে যুক্তির কোন দরকার নাই।

*একদম সঠিক।কিছু বিষয়ে আপনাকে অন্ধবিশ্বাসী হতে হবে এবং মানতে হবে ।বিশেষ করে ধর্মের যেসব বিষয় কোরান-হাদীসের দ্বারা প্রমানীত সে সব বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা ভিন্ন মতামতের কোন সুযোগ নেই।

- আর চার বিয়ের পক্ষে মতামত দিচ্ছেন!!!

* চার বিয়ের পক্ষে একটি কথাও নেই আমার লেখায়।আবারো একটু ভালভাবে পুরো লেখা পড়ার অনুরোধ রইল।

আর চার বিয়ে আপনার-আমার আশে পাশে কেউ কি করে বা দেখেছেন? ইসলামি শরীয়তের উৎস হিসাবে কোরআনের স্থান প্রথম এবং একজন মুসলিমের কোরআনের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মেনে চলার দায় রয়েছে। তাই বেশিরভাগ মুসলিমই আল কোরআনের আদেশ এই চর্চাকে সমর্থন করলেও, তারা এটাকে বাস্তব জীবনে খুব একটা প্রয়োগ করে না।হযরত মুহম্মদ (সঃ) সময়ে এবং ইসলামের শুরুতে পুরুষের বহুবিবাহকে সমর্থন করা হত বলে, মুসলিমরা এই বিবাহকে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে সমর্থন করে। তবে অনেক দেশ আইনের মাধ্যমে এই বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।আর পুরুষরাও একসাথে চার বিয়ে করে বা করছে তার নজীর খুব বেশী নয় তবে রাজা-বাদশাহ দের ব্যাপার আলাদা।

ভাই আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ।

২১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫২

সাসুম বলেছেন: আমার একটা কোশ্চেন আছে- ইস্লামের শুরুতে মানে ১৪০০ বছর আগে যখন বিভিন্ন ফায়সালা হচ্ছিল জায়েজ আর না জায়েজ এর তখন কিন্তু সরাসরি দাসী দের কে সেক্স স্লেভ হিসেবে ইউজ করা ডাইরেক্ট হারাম ঘোষণা করা হয় নি। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যখন মানুষ বুঝতে পারল এটা একটা অপরাধ, মানুষ কে মানুষ হিসেবে বিচার করা দরকার দাস বা দাসী হিসেবে নয়, তখন কিন্তু আলেম ওলামা রা এই প্রথা টা রহিত করলেন। যেটা ইস্লামের সম্মান আর মান বাড়াতে অনেক সাহায্য করেছে।

কিন্তু এখন ২০২১ এ এসেও কেন আমরা নারীকে শুধুমাত্র সেক্স সিম্বল হিসেবে বিবেচনা করছি, বা একটা পুরুষ ৪ টা নারী ইউজ করতে পারবে এই সিস্টেম টা চালু রাখছি বা নারী কে কেন মানুষ হিসেবে দাম দিচ্ছিনা ? নারী / পুরুষ- দুটো স্পিসিস ই মানুষ। কেন ৪ টা বিয়ের প্রথা এখনো চালু রেখে নারী কে অপমান করছি? এই প্রথার বিরুদ্ধে গেলে কেন আমাদের কে মানুষ নাস্টেক বা কাফের হিসেবে বিবেচনা করে কল্লা ফেলতে চলে আসে ?

কেন আমরা এখন এই যে ৪ টা বিয়ের মত একটা অপরাধ কে শুধুমাত্র ধর্মের দোহাই দিয়ে জায়েজ করে নিচ্ছি? যদি ধর্মের দোহায় দিয়ে জায়েজ করতেই হত, তাহলে কেন আমরা দাস বা দাসী দের কে সেক্স স্লেভ হিসেবে ইউজ করছিনা এখনো? কেন আলেম ওলামা দের ইজমা কিয়াস এর কারনে দাস দাসী প্রথা রহিত করা মেনে নিয়েছি?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই,আবারো আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য এবং দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত।

ইসলামের শুরুতে বা আরব সমাজে মানুষ বেচা-কেনা হত দাস-দাসী হিসাবে এবং তাদের কোন রকম মানবিক বা মৌলিক অধিকার ছিলনা। ইসলামই তাদের প্রতি মানবিক আচরন করে এবং মানুষ হিসাবে তাদের কিছু অধিকার দেয়।পরবর্তীতে দাস প্রথা নিষিদ্ধ হয় এবং ইজমা-কিয়াস এর মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাদের মানবিক সব অধিকার মেনে নেয়া হয়।

ইসলামি শরীয়তের উৎস হিসাবে কোরআনের স্থান প্রথম এবং একজন মুসলিমের কোরআনের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মেনে চলার দায় রয়েছে।আল কোরআনে যে বিষয়ে পরিষ্কার দিকনির্দেশনা রয়েছে সেখানে কোন অতিরিক্ত কোন ব্যাখ্যা (ইজমা-কিয়াস ) গ্রহনযোগ্য না।যে বিষয়ে আল কোরআনে পরিষ্কার বলা নেই সেখানেই বা সেই সব ব্যাপারে হাদীস-ইজমা-কিয়াস প্রযোজ্য।
তাই বেশিরভাগ মুসলিমই আল কোরআনের আদেশ এই চর্চাকে সমর্থন করলেও, তারা এটাকে বাস্তব জীবনে খুব একটা প্রয়োগ করে না।হযরত মুহম্মদ (সঃ) সময়ে এবং ইসলামের শুরুতে পুরুষের বহুবিবাহকে সমর্থন করা হত বলে, মুসলিমরা এই বিবাহকে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে সমর্থন করে। তবে অনেক দেশ আইনের মাধ্যমে এই বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।আর পুরুষরাও একসাথে চার বিয়ে করে বা করছে তার নজীর খুব বেশী নয়

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ভাই।

২২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত
-ভাই অন্ধবিশ্বাসী হলে যুক্তির কোন দরকার নাই।
*একদম সঠিক।কিছু বিষয়ে আপনাকে অন্ধবিশ্বাসী হতে হবে এবং মানতে হবে ।বিশেষ করে ধর্মের যেসব বিষয় কোরান-হাদীসের দ্বারা প্রমানীত সে সব বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা ভিন্ন মতামতের কোন সুযোগ নেই।


আদম আ: এবং হাওয়া আ: এর সন্তানেরা জোড়ায় জোড়ায় হতো এটা কি কোরানে আছে? থাকলে একটু রেফারেন্স দেবেন কি?

এটা কি হাদিসে আছে? থাকলে একটু রেফারেন্স দেবেন কি?

ইসলামে নারীদের মতামতের দাম দেয়নাই। তাই পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে ৪ বিয়ের ধর্মীয় নিয়মটাকে আমাদের দেশের পুরুষেরা তাদের সুবিধা মতন ব্যবহার করে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য

আল্লাহ তাআলা আল কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে সকল মানুষ আদম ও তাঁর স্ত্রীর বংশবিস্তারের ফসল।আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "হে মানবসম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে একটি প্রাণ হতে সৃষ্টি করেছেন ও তা হতে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যিনি তাদের দু’জন থেকে বহু নর-নারী (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন। সেই আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট চেয়ে থাক এবং জ্ঞাতি-বন্ধন ছিন্ন করাকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন"।(সূরা আননিসা ,আয়াত - ১)

আল্লাহ তাআলা আল কুরআনে আরো বলেছেন, "তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র সত্তা থেকে; আর তার থেকেই তৈরী করেছেন তার জোড়া, যাতে তার কাছে স্বস্তি পেতে পারে। অতঃপর পুরুষ যখন নারীকে আবৃত করল, তখন, সে গর্ভবতী হল। অতি হালকা গর্ভ। সে তাই নিয়ে চলাফেরা করতে থাকল। তারপর যখন বোঝা হয়ে গেল, তখন উভয়েই আল্লাহকে ডাকল যিনি তাদের পালনকর্তা যে, তুমি যদি আমাদিগকে সুস্থ ও ভাল দান কর তবে আমরা তোমার শুকরিয়া আদায় করব"।(সুরা আরাফ,আয়াত - ১৮৯ )

আদম মানবপ্রজন্মের পিতা হওয়ার ব্যাপারে এটি একটি স্পষ্ট প্রমাণ। আদম থেকেই মানবজাতির বংশ বিস্তৃত হয়েছে। পৃথিবীতে যত মানুষ রয়েছে আদম ও তার স্ত্রীই তাদের মূল।

হাদিসে এসেছে, আদম ও হাওয়ার গর্ভে প্রতিবার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নিত। তারা যখন বড় হত, ছেলেকে তার পূর্বে জন্ম-নেয়া মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়া হত। এবং মেয়েকে তার পূর্বে জন্ম-নেয়া ছেলের সাথে। এটা তখন বৈধ ছিল, যদিও তারা একই মায়ের সন্তান ছিল। এটা প্রয়োজনের কারণে বৈধ ছিল। তারা যখন সংখ্যায় বেড়ে গেল তখন ভাই-বোনের বিবাহ নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হল।

২৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

নতুন বলেছেন: হাদিসে এসেছে, আদম ও হাওয়ার গর্ভে প্রতিবার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নিত। তারা যখন বড় হত, ছেলেকে তার পূর্বে জন্ম-নেয়া মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়া হত। এবং মেয়েকে তার পূর্বে জন্ম-নেয়া ছেলের সাথে। এটা তখন বৈধ ছিল, যদিও তারা একই মায়ের সন্তান ছিল। এটা প্রয়োজনের কারণে বৈধ ছিল। তারা যখন সংখ্যায় বেড়ে গেল তখন ভাই-বোনের বিবাহ নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হল।

কোরানে বলা নায় যে প্রতিবার একটি ছেলে একটি মেয়ে হতো এবং তাদের বিয়ের তিতো এবং একটা সময় পরে সেটা নিষয়ে ধ করা হয়ছে।
হাদিসের রেফারেন্সটা যদি একটু দিতেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই,আবারো আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

এ ব্যাপারে পূর্বের মন্তব্যে বিশদ বলা হয়েছে। এর পরেও আপনি যদি সত্যিই আরো বিশদ জানতে চান তবে আপনাকে ফকিহ বা মোফাচছেরে কোরআনের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দিব । কারন এর বেশী আমার জানা নেই।

২৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই,আবারো আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
এ ব্যাপারে পূর্বের মন্তব্যে বিশদ বলা হয়েছে। এর পরেও আপনি যদি সত্যিই আরো বিশদ জানতে চান তবে আপনাকে ফকিহ বা মোফাচছেরে কোরআনের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দিব । কারন এর বেশী আমার জানা নেই।


যদি আপনি না জানেন যে সত্যিই সহী হাদিসে এসেছে কিনা তাহলে আপনি কিভাবে দাবি করেন? তাহলে ঐ অংশ সরিয়ে দিন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের ও পরামর্শের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.