নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"করোনা নিয়ন্ত্রনে কঠোর লকডাউন " - শুরু হচছে আগামীকাল ১ লা জুলাই থেকে ,মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। কি করা যাবে বা যাবেনা আর কি করবে,কোথায় যাবে গরীব মানুষ ?

৩০ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৫৪



২০২০ সাল থেকে নতুন এক ভাইরাস পুরো পৃথিবীকে অস্থির করে তুলেছে। নতুন এ ভাইরাসকে বলা হচ্ছে সার্স-কোভিড-২। পুরো নাম সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস-২। নাম অনেক বড় হলেও ভাইরাসটি কিন্তু অতিক্ষুদ্র। এর দৈর্ঘ্য মাত্র ১২০ ন্যানোমিটার অর্থাৎ ১ মিটারের ১০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ। সহজভাবে বলা যায়, একটি আলপিনের ডগায় ১০ কোটি এ ভাইরাস কণা অনায়াসে স্থান করে নিতে পারে। এর থেকে মাত্র কয়েক শ’ ভাইরাস কণা সংক্রমিত করতে যথেষ্ট। আর একবার সংক্রমিত হলে এবং রোগের লক্ষণ দেখা দিলে ওই রোগকেই বলা হয় "কোভিড-১৯"।

করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে দেশে দেশে চলেছে - চলছে লকডাউন। তাই মানুষকে থাকতে হচছে-হয়েছে ঘরবন্দী। কোটি কোটি মানুষ কোয়ারেন্টিনে, আইসোলেশনে।এক বছরের বেশী হয়ে গেলেও প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবা শেষ হয়ে যায়নি। বরং নিত্যনতুন রূপ ধারণ করে নিজের বিস্তার ঘটিয়ে চলেছে করোনাভাইরাস। ঘন ঘন রূপ বদলানো এ ভাইরাসের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। এর শত শত সাধারণ রূপান্তর ইতোমধ্যে ঘটেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশেও হঠাত করেই বেড়ে গেছে করোনার আক্রমণ । করোনা মোকাবিলায় সরকার আগামী কাল ১ লা জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সারা দেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ বা কঠোর লকডাউন জারি করতে যাচছে। বলা হয়েছে, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেনা এবং যারা বিধিনিষেধ মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জনবহুল আমাদের দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের জারি করা সাত দিনের বিধিনিষেধের সময়ে পালনের জন্য যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা কতটুকু প্রতিপালিত হবে তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও সরকারের প্রচেষ্টার কোন ত্রুটি নেই জনগনকে নিরাপদ রাখার চেষ্টায় । তারপরও কিছু প্রশ্ন থেকেই যায় - বাংলাদেশের মতো গরীব এবং অধিক জনসংখ্যার দেশে সর্বাত্মক লকডাউন কি সম্ভব বা যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থান কি হবে এই ৭ দিনে? করোনা ভাইরাসের বিস্তার ও সংক্রমণ রোধে ঘরবন্দি বা সংগনিরোধের কোন বিকল্প যদিও নেই তারপরেও এই প্রশ্নও আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে ,যারা ছোট একটা ঘরে বা রুমে অনেক মানুষ (৩-৮ জন) থাকে তারা কিভাবে এতটা সময় ঘরে থাকবে?

আমাদর দেশের চরম দরিদ্র,গরীব শ্রমজীবী মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশের ঘরে কোন খাদ্যের মজুত থাকেনা বা তারা দিন আনে দিন খায়।আর তাদের সঞ্চয়ও তেমন থাকেনা যাতে করে তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিষ একসাথে অনেক কিনে নিবে। অতি কষ্টে জীবন অতিবাহিত করতে হয় তাদের। অতিবৃষ্টি, বন্যা কিংবা ঝড়ের দিনগুলোতে এসব মানুষের জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে যায়। গত কয়েক সপ্তাহ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে জনসমাগম এমনিতেই সীমিত হয়ে আসছিল, আর তাদের জীবন-জীবিকার ফাকফোকর গুলিও স্পষ্ট হচ্ছিল। শহরের মোড়ে মোড়ে ডালি-কোদাল নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা গরীব মানুষগুলোর মুখচ্ছবিই অনেক কথা বলে দেয় আমাদের দেশের। এখন প্রশ্ন - এই ৭ দিন তাদের কীভাবে চলবে? এ লকডাউন শেষ হওয়ার পরও ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মপরিবেশ স্বাভাবিক হতে আরও কতদিন লাগবে, আমরা জানি না। দীর্ঘ সময়ের এই ধাক্কা শ্রমজীবী মানুষ সামলাবে কীভাবে? করোনা ভাইরাসের কারনে অনেক পোশাক কারখানার রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়েছে। এর ধাক্কা সেখানে কর্মরত অনেক পোশাক শ্রমিকের জীবন ও জীবিকার ওপর পড়ছে এবং পড়বে।তারাই-বা কীভাবে চলবে?

করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়েও ভাবতে হবে। আর দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থার বিকল্প নেই।এই সময়ে সামান্য সহযোগিতায় তাদের হতে পারে অসামান্য উপকার। একই সঙ্গে গরীব মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের রেশন ব্যবস্থা চালু করার ব্যাপারে সরকার নিতে পারে উদ্যোগ।কারন, ঘরে যদি নূন্যতম খাবারের সংস্থান না থাকে, তাহলে ঘরবন্দি, স্বেচ্ছা অবরোধ বা সংগনিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করা সম্ভব হবে না। জাতীয় পর্যায়ে করোনা মোকাবিলার স্বার্থেই কেবল নয়, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা থেকেই আপৎকালে তাদের খাবার ও ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে।

যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য উত্তম পরিকল্পনার সাথে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সমর্থনকারী উপাদানের জোগানও জরুরী। উত্তম পরিকল্পনাও ভাল ফল বয়ে আনবে না যদি তা বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ সামগ্রীর জোগান নিশ্চিত করা না হয়।অসুখ নিরাময়ের জন্য ওষুধ বা সার্জারী লাগে, তবে অংগহানী সব সময় সমাধান নয়। তেমনি মহামারীকালে বিপর্যয় এড়ানোর উত্তম পথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার। চীনে শুরু হয়েছিল করোনা ভাইরাস কিন্তু সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকায় সে দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে খুব সহজেই। পাশের দেশ ভিয়েতনাম, উত্তর কোরিয়া একই সাফল্য দেখিয়েছে জনগণের যথেচ্ছতাকে সামাল দিয়ে। বাংলাদেশে অনেকবার লকডাউন ঘোষণা করেও এ ক্ষেত্রে খুব বেশী সাফল্য লাভ করা সম্ভব হয়নি জনগণের অসহযোগীতা এবং যথাযথভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অভাবে।চরম সৌভাগ্যধারী সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা ছাড়া বর্তমানে দেশে আর বাকী সবার জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে। ঘোষিত লকডাউন তাদের জীবন-জীবিকাকে আরও সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।

ঈদের আগের এ লকডাউনে ভাবনায় পড়ে যাবে ছোট বড় সব ব্যবসায়ীা। শ্রমজীবী ও পেশাজীবীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে। বেতন ও বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েবেন বেসরকারি চাকরিজীবীরা। দুশ্চিন্তায় পড়বে তৈরি পোশাকসহ দেশের সব রপ্তানি খাত। একদিকে অর্ডার বাতিলের শঙ্কা, অন্যদিকে সময়মতো শ্রমিকের বেতন-বোনাস পরিশোধের চাপে নানামুখী অবস্থার উদ্ভব ঘটতে পারে। ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও শ্রমজীবীদের আশঙ্কা এবং পরিকল্পনা সমন্বয়হীনতা'য় (যদি ঘটে) এ লকডাউন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলতে পারে। বাড়ি ফেরার হুড়োহুড়িতে যেমন সংক্রমণ বাড়বে, তেমনি ঈদের আগে সবকিছু বন্ধ থাকলে তৈরি হবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা। লকডাউন না দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত হলে তাতে বেশি সুফল পাওয়া যেত বলে অনেকেই মনে করেন। যেখানে সরকার স্বাস্থ্যবিধি পালন অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরার নির্দেশনা (যদিও আমাদের মত জনবহুল দেশে তা মেনে চলা খুবই কঠিন ) ই যথাযথ বাস্থবায়ন করতে পারেনি সেখানে সর্বাত্মক লকডাউন কতটুকু বাস্থবায়ন হবে এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকলেও একটা ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই,তা হলো - এই ৭ দিনের লকডাউন গরীব ও শ্রমজীবি মানুষের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এবং দেশের অর্থনীতিতেও তা নেতিবাচক ভূমিকা ফেলবে । আর তাই দেশের অর্থনীতির বিপর্যয় এড়াতে এবং জনগনের জীবন-যাত্রা স্বাভাবিক রাখতে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের আইনের আওতায় রাখার বিধান রেখে সবকিছু চালু রাখার কথাই ভাবা উচিত সরকারের।

পরিশেষে একথা বলা যায় যে,কিছু ক্ষেত্রে লকডাউনে দেওয়া যেতে পারে। তবে মানুষের জীবিকা, বেঁচে থাকার চিন্তাও করতে হবে সরকারকে। রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে অংশীদার করতে হবে করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে।আর এভাবেই সকল মানুষের অংশগ্রহনে আমরা করোনা মোকাবেলায় সফল হতে পারব।

আজ বুধবার (৩০/০৬/২০২১) সকালে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিম্নোক্ত শর্তাবলী সংযুক্ত করে ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত নিম্নোক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো -সর্বাত্মক এ লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ-বিজিবির সাথে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনীও।প্রজ্ঞাপনে যা বলা হয়েছে -

১. সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

২. সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ সকল প্রকার যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলও বন্ধ থাকবে।

৩. শপিংমল/মার্কেটসহ সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

৪. সকল পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৫. জনসমাবেশ হয় এই ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

৬. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৭. ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৮. আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদান সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।

৯. পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, কার্গো ভেসেল এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।

১০. বন্দরসমূহ (বিমান, সমুদ্র ও স্থল) এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিস এই নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।


তথ্যসূত্র - naya-diganta (৩০/০৬/২০২১)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে
৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত মহল্লা ও অলি-গলির চা ও পানের
দোকানও বন্ধ থাকবে।

০১ লা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই, যদিও ইতিমধ্যেই আমরা কঠোর লকডাউনের সর্বশেষ আপডেট জেনে গেছি (‍লকডাউন’ দেখতে এসে রাজধানীতে আটক ৪ শতাধিক),এ থেকে ধারনা করা যায় যে, শুধু দেখতে এসে যদি এত জন আটক হয় তাহলে মোট কতজন বাহিরে এসেছে মানে কঠোর লক ডাউন কে টাটা-বাইবাই বলেছে।

আসলে জনবহুল আমাদের এই দেশে মহল্লা ও অলি-গলির চা ও পানের দোকান বন্ধ রাখা তথা মানুষ কে ঘরে রাখা একটু কঠিন কাজই।কারন,সরকার শুধু তার কাজ করছে আর জনগনকে ভাবতে হচছে তার মৌলিক চাহিদা পূরণের। সরকার যদি সবাইকে ঘরে রাখতে চায় তাহলে আগে সবার জন্য নূন্যতম খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। যা সরকারের জন্য কঠিন কাজ । আবার জনগণের ও সেই অবস্থা নেই সব কিছুর ব্যবস্থা করার।

আর তাই টম-জেরী খেলা চলতেই থাকবে ,কাজের কাজ হবেনা খুব একটা।

২| ৩০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লগডাউন বললেই ভাড়াটিয়ারা ভাড়া দেয় বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আমার খরচগুলিতো লগডাউন মানে না। ইউটিলিটি বিল দিতে হচ্ছে, বাচ্চাদের স্কুলের বেতন বন্ধ নেই, ব্যাংকের কিস্তি চালু......

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

লকডাউনে স্কুল বন্ধ সত্য তবে স্কুলের বেতন বন্ধ নেই। ইউটিলিটি বিল দিতে হবে যথাসময়ে না দিলে জরিমানা সহ ভুতুরে বিলের আগমন।কাজ-কাম বন্ধ হতে পারে তবে খাওয়া-দাওয়া বা জীবনের বাকি প্রয়োজনের একটাও বাদ যাচছেনা এবং এই প্রয়োজনগুলি কিভাবে-কোথা থেকে পূরণ হবে তারও কোন দিকনির্দেশনা নেই। সাধারন জনগনের :(( ত্রাহি মধুসূধন অবস্থা।আর এদের মাঝে সরকারের কিছু সুবিধাভোগী (সরকারী চাকুরীজীবি) মানুষ আছে মহাসুখে।

আমজনতা চোষা আমের আটির মত ছেড়া-বেড়া অবস্থায় আছে,যাদের সামনে ভাল কোন কিছুই দেখা যাচছেনা শুধু অন্ধকার ভবিষ্যত ছাড়া।

৩| ৩০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহামমদ কামরুজজামান,




সবটা মিলিয়ে একটা জটিল অবস্থা নিশ্চিত।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আসলেই ভাই,সব কিছু মিলিয়ে একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থা নিশ্চিত এবং তার সাথে অন্ধকার ভবিষ্যত যদিনা আলৌকিক কিছু ঘটনা না ঘটে ।

৪| ৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:১৪

জুন বলেছেন: বাজার খোলা থাকবে সকাল সন্ধ্যা, ব্যাংক কার্যক্রম চলবে কয়েক ঘন্টা, শিল্প কারখানা খোলা থাকবে, এরা তো যাতায়াত করবে। সেইভাবে কি কঠোর লক ডাউন সম্ভব বুঝতে পারছি না।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন জুন, আপনার মন্তব্যের জন্য।

লকডাউনের সর্বশেষ আপডেট, (‍লকডাউন’ দেখতে এসে রাজধানীতে আটক ৪ শতাধিক),এ থেকে ধারনা করা যায় যে, শুধু দেখতে এসে যদি এত জন আটক হয় তাহলে মোট কতজন বাহিরে এসেছে মানে কঠোর লক ডাউন কে টাটা-বাইবাই বলেছে।

কঠোর লকডাউনের কিছু ছবি - যা অনেক কথা বলে




৫| ৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
"লকডাউনে রিক্সাবাদে সব যানবাহন বন্ধ থাকবে"
কঠিন লকডাউনে যদি রিক্সা চালু থাকে
তা হলে সেই রিক্সায় কি ভিনগ্রহের মানুষ
না অন্য প্রাণিরা যাতায়াত করবে !!

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই ,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য ।

ভাইজান, শুধু " রিক্সাবাদ নয় গাড়ীবাদ " জিন্দাবাদ ও বটে -



৬| ৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লক ডাউনের চেয়ে বেশী দরকার টিকা।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য ।

আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন। সরকারী তথা দরবেশ বাবাকে একচেটিয়া সুযোগ না দিয়ে টিকার বাজার বেসরকারি ভাবেও খুলে দেয়া উচিত।এতে করে টিকা মানুষ পয়সা দিয়ে কিনে দিতে পারবে। সবাই ত আর সরকারের কাছ থেকে টিকা পাবেনা বা সরকারও সবাইকে টিকা বিনাপয়সায় দিবেনা। মাঝে থেকে কেউ একজনকে সুযোগ করে দিতে গিয়ে সারা দেশের মানুষ ধুকছে।

টিকা আমদানির জন্য আরো কয়েকটা প্রতিষ্ঠানকে সরকার অনুমতি দিতে পারে,যাতে করে সাধারন মানুষ নিজ পয়সায় মন
পছন্দ টিকা দিতে পারে। এর ফলে ,করোনা নিয়ন্ত্রনের পাশা-পাশি দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমও গতিশীল হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.