নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" সহ শিক্ষা " - নর-নারীর সমতা কিংবা নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় কতটা সহায়ক ? এই ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভংগীই বা কি ? (মানব জীবন - ১২ )।

২৪ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫২


ছবি - prosancons.com

শিক্ষা হচ্ছে একজন মানুষের সার্বিক দক্ষতা ও সামগ্রিক উন্নয়ন। শিক্ষা মনুষ্যত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ ও জীবনের সামগ্রিক প্রস্তুতি গ্রহণে সাহায্য করে। মানবশিশু জন্মগ্রহণের পর পরই শিক্ষার হাতে খড়ি হয় পরিবারের মাধ্যমে। শিক্ষাজীবনে একজন শিক্ষার্থীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে প্রথমেই পরিচিতি ঘটে কিন্ডার গার্টেন অথবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে। শিক্ষা এমন একটি বিষয় যা ধনী-গরীব সবার জন্য প্রয়োজন এবং সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। শিক্ষা ছাড়া মানুষ অন্ধের শামিল।


ছবি - thehansindia.com

শিক্ষা কি - সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা। ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগতভাবে জ্ঞানলাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলে। তবে শিক্ষা হল সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের অব্যাহত অনুশীলন।মানুষের সমগ্র জীবনেই এবং কোন না কোন ভাবে কিছুনা কিছু প্রতিনিয়ত শিখছে।আর শিক্ষা অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে নীতি-নৈতিকতার প্রসঙ্গটিও এসে যায় স্বাভাবিকভাবেই। নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা অর্জন প্রকৃত শিক্ষা নয়। প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের মর্যাদা দুনিয়াতে সবসময় ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।শিক্ষা বলতে আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সনদভিত্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেই বুঝি বা বোঝাতে চাই। অথচ শিক্ষা শুধু সনদভিত্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিকই নয় আর আমাদের জীবনে প্রকৃত এবং সনদভিত্তিক শিক্ষা ,দুটিই প্রয়োজন।

যাঁরা নৈতিকতার চর্চা করতে চান, তাঁদের ছোটবেলার পাঠ্যবইতে পড়া খুব সহজ দুটি কথা মনে রাখতে পারলেই জীবনে প্রকৃত শিক্ষা অনেকটা অর্জিত হয়ে যায়। তা হলো -
১. সদা সত্য কথা বলবো।
২. সৎ পথে চলবো।


এ দুটি শিক্ষা যদি আমাদের মনে-প্রাণে গ্রহণ করা যায় এবং নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে যদি এর প্রতিফলন ঘটানো যায়, তাহলেই সত্যিকার শিক্ষায় আমরা শিক্ষিত হওয়ার পথে অনেকটা এগিয়ে যাব। ভালো-মন্দ বিচারের ধারণা থেকেই এসেছে নৈতিকতার শিক্ষা। দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শাখায়ই নৈতিকতার উপর জোর দেয়া হয়না। অথচ নৈতিকতার শিক্ষা বিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। নয়তো শিক্ষার্থীদের নিজেদেরই নৈতিকতার শিক্ষা গ্রহণে উদ্যোগী হওয়া উচিত।


ছবি - dnaindia.com

সুশিক্ষা কি - সুশিক্ষা বলতে সেই প্রকৃত শিক্ষা কে বোঝায় যা মানুষ বাস্তব ক্ষেত্রে এর পজিটিভ দিক গুলোর প্রয়োগ ঘটাতে পারে। অর্থাৎ আমরা বইয়ে যা পড়ছি - সত্য কথা বলতে হবে , ভাল কাজ করতে হবে। এগুলো যদি আমরা বাস্তবে প্রয়োগ দেখাতে পারি তবেই আমরা সুশিক্ষিত।আর পজিটিভ দিক উল্লেখ করার কারণ আমরা যা শিখব তার অপপ্রয়োগ সুশিক্ষা হতে পারে না। তাই আমরা যদি সফটওয়ার বানানো শিখি এবং তা বাস্তব ক্ষেত্রে মানব জাতির উপকারে কাজে লাগাতা পারি তবে এটি সুশিক্ষার একটি উদারহণ।

সহ-শিক্ষা বা কো- এডুকেশন কি - সহ-শিক্ষা বা কো- এডুকেশন এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে ছেলে-মেয়ে (পুরুষ ও মহিলা) রা পড়া- লেখার জন্য একইসাথে-একই জায়গায় সহ অবস্থান করে। এই শিক্ষা পরিবেশে ছেলে-মেয়ে বা পুরুষ-মহিলার একত্রে মেলা-মেশা, কথা-বার্তা, গল্প-গুজবে কোনরুপ প্রাতিষ্ঠানিক বাঁধা থাকে না।

ছাত্র সমাজ, দেশ ও জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার। দেশ ও জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার হতে হলে তাদেরকে অবশ্যই সৎ, মহৎ ও চরিত্রবান করে তুলতে হবে। আদর্শ ও চরিত্রবান মানুষ গড়ে তোলার একমাত্র স্থান হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশ্য শুরুটা হয় যার যার পরিবার থেকে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা লাভ করে বের হয়। এদের অনেককে দেখা যায় অসৎ চরিত্রের অধিকারী ও চরম দুর্নীতিবাজ হিসাবে। এখানে প্রশ্ন হল - উচ্চশিক্ষা লাভ করেও তারা কেন চরিত্রহীন হলো ? ধর্ষণ মামলার বেশীরভাগ আসামী যদি খুঁজে বের করা হয় তাহলে দেখা যাবে প্রায় সবাই শিক্ষিত লোক। এখানেও প্রশ্ন থেকে যায় ,শিক্ষিত হয়েও সে ধর্ষক হবে কেন? আবার দেখা যায় চরিত্রহীনতার জন্য যে বা যারাই দায়ী-এরাও সবাই শিক্ষিত। যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চরিত্রবান লোক বের হওয়ার কথা ছিল সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হচ্ছে চরিত্রহীন লোক। সে জন্য আজ সমাজের সবস্থানে চরিত্রহীনদের মহড়া। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চরিত্রহীন লোক বের হচ্ছে !!!! তাই বলে কি আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করব?

না, তা কখনও না এবং তা করাও উচিত না। এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কখনও দায়ী হতে পারে না, দায়ী করা যাবে না। তাহলে দায়ী কে ?সে ক্ষেত্রে যাকে দায়ী করা যায় তা হলো প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে।যেখানে মানুষকে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয় বা চেষ্টা করা হয় নৈতিকতার নয়।আবার সারা দুনিয়াব্যাপী বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় সহশিক্ষা চালু আছে। সেই সহশিক্ষা নামক মরণব্যাধিই আমাদেরকে চরমভাবে কলুষিত করছে। সহশিক্ষাই ছাত্রছাত্রীদেরকে অতি অল্প বয়সে চরিত্রহীন করছে।সহশিক্ষায় রয়েছে ছাত্রছাত্রীর অবাধ চলাফেরার ব্যবস্থা। সহশিক্ষায় ইসলামের পর্দার বিধানকে অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখা হয়, যারা পর্দা করে চলতে চায় তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়, যারা যত নগ্নভাবে চলে তাদেরকে ধন্যবাদ দেয়া হয়।

শিক্ষার মূল লক্ষ্যই হওয়া উচিত উত্তম চরিত্র গঠন করে ইহকালীন শান্তি ও মুক্তি লাভ করা। যে শিক্ষা ব্যবস্থায় চরিত্র নষ্ট হয়, অবাধ যৌনাচারের পথ দেখায় সেই শিক্ষা দ্বারা আমাদের লাভ কি? শিক্ষাকে মানুষের আত্মিক, নৈতিক, মানবিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য সহায়ক উচিত।শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতির উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না।

শিক্ষা অর্জন করা পুরুষের উপর যেমন ফরজ তেমনি নারীর উপরও শিক্ষা অর্জন করা ফরজ। নারীদের উচ্চশিক্ষা লাভ করতে ইসলামের কোনো বাধা নেই। নারীদেরকে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে ইসলাম সব সময় উৎসাহিত করে।তবে যে শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামের পর্দার বিধান লংঘন হয় সেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইসলাম সমর্থন করে না। নারী-পুরুষ আলাদা অবস্থানে থেকে পর্দা রক্ষা করে শিক্ষা অর্জন করবে-এটাই ইসলামের চিরন্তন বিধান। জ্ঞানার্জনের কোনো বিকল্প ইসলামে নেই।ইসলামের প্রাথমিক যুগে জ্ঞানচর্চার যে প্রবাহ শুরু হয়, নারীরাও সেখানে শামিল হয়েছিল।

শুরুতেই কোরআন মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে পড়তে ও জানতে। কোরআন অজ্ঞতাকে অভিহিত করেছে মহাপাপ রূপে। মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে জ্ঞানের পথে, মুক্তবুদ্ধির পথে। এমনকি বিশ্বাসের স্তরে পৌঁছার জন্যেও মানুষের সহজাত বিচারবুদ্ধির প্রয়োগকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে কোরআন। বৈষয়িক ও আত্মিক জীবনকেও একই সূত্রে গেঁথেছে কোরআন। সুস্পষ্টভাবেই বলেছে, আল্লাহর বিধান অনুসরণ করো। দুনিয়া ও আখেরাতে তুমি সম্মানিত হবে।

ইসলাম নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য না করে উভয়কে সমভাবে জ্ঞানার্জনের আদেশ দিয়েছে। কুরআনের নির্দেশও তাই।লেখাপড়া বিদ্যা শিক্ষা এবং জ্ঞান অর্জনের আদেশ দান করে আল্লাহ্ ঘোষণা করেছেন,"পড়ো! তোমার সৃষ্টিকর্তা প্রভুর নামে। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। পড়ো!আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। আর শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না"।( সূরা আলাক,আয়াত - ১-৫) এই আয়াত দিয়েই কোরআন নাজিলের সূচনা।

কুরআন সকল পাঠককেই আদেশ করছে পড়তে ,চিন্তা-গবেষণা করতে ,অনুধাবন করতে,এমনকি বিশ্ব প্রকৃতির মাঝে লুক্কায়িত বিভিন্ন নিদর্শন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে। আর তাইতো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাছে প্রথম যে ওহী নাযিল তার প্রথম শব্দ ছিল "ইকরা" অর্থাৎ পাঠ কর।

ইসলামের শিক্ষার আলোকে পুরুষদের মধ্য হতে যেমনি হযরত আবূ বকর(রাঃ),হযরত উমর (রাঃ),হযরত উসমান(রাঃ), হযরত আলী(রাঃ), ইবনে আব্বাস(রাঃ), ইবনে মাসউদ (রাঃ), ইবনে উমার (রাঃ) এবং হাসান বসরী (রাঃ), ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবূ হানীফা, ইমাম শাফেয়ী এর মত মহাপুরুষগণের আবির্ভাব ঘটেছিল, ঠিক তেমনি আয়েশা(রাঃ), হাফসা(রাঃ), শিফা বিনতে আব্দুল্লাহ (রাঃ), কারীমা বিনতে মিকদাদ(রাঃ), উম্মে কুলসুম (রাঃ) মত মহিয়সী নারীও আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। মোটকথা, ইসলামের নির্ধারিত সীমা ও গণ্ডির মধ্যে অবস্থান করেই সে যুগের মহিলাগণ আত্মসংশোধন এবং জাতির খিদমতের উদ্দেশ্যে দীনি-শিক্ষা লাভ করতেন এবং নিজ সন্তানদেরকে এমন আদর্শবান করে গড়ে তুলতেন, যাতে তাঁরা নিজেদের যুগের পথিকৃৎ রূপে কওমের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন।

পুরুষ সাহাবীগণ যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করতেন, তেমনি মহিলা সাহাবীগণও নিঃসংকোচে জ্ঞান অর্জন করতেন। সুতরাং সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে যেমন পুরুষ মুফতী ছিলেন, তেমনি ছিলেন মহিলা মুফতী। উমর, আলী, যায়েদ ইবন সাবিত, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম প্রমুখ পুরুষ সাহাবীদের ন্যায় আয়েশা সিদ্দীকা, উম্মে সালমা, হাফসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুন্না প্রমুখ মহিলা সাহাবীগণও ফতোয়ার গুরুদায়িত্ব পালন করতেন।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।’’ এ হাদীসে কুরআনের ‘ইলম শিক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে। আর এ শিক্ষা পুরুষদের ন্যায় মহিলাদের জন্য সমভাবে প্রয়োজন।

কুরআন ও হাদীসের আলোকে নারীশিক্ষা

কুরআন ও হাদীসে শুধু নারী শিক্ষার কথা পৃথকভাবে বর্ণনা করা হয়নি। শিক্ষা সম্পর্কে যে কথাই বলা হয়েছে, তা নর ও নারী উভয়ের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। নর ও নারীর জন্য আলাদাভাবে কোনো আলোচনা করা হয় নি। শিক্ষা প্রসঙ্গে যে নির্দেশগুলো দেয়া হয়েছে, তাতে সাধারণত পুরুষবাচক ক্রিয়াপদ ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন কুরআন মজীদে বলা হয়েছে, "তুমি পাঠ কর তোমার প্রভূর নামে" আবার হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, "তোমরা বিদ্যা অন্বেষণ কর"। এখানে এই নির্দেশ কেবল পুরুষের জন্য নয়, বরং নর ও নারী উভয়ের জন্যই সমভাবে প্রযোজ্য।

শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, প্রায় সকল বিষয়েই কুরআন ও হাদীসে সাধারণ নির্দেশগুলো এভাবে পুরুষবাচক ক্রিয়াপদ দ্বারা বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও এ দ্বারা নর ও নারী উভয়কেই সমভাবে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়,"তোমরা যথাযথভাবে নামায পড় ও যাকাত দাও এবং নামাযীদের সঙ্গে নামায আদায় কর"।(সুরা বাকারা,আয়াত - ৪৩)।এখানে ব্যবহৃত দু’টি ক্রিয়াপদই পুরুষবাচক। কিন্তু এর দ্বারা নর-নারী উভয়কেই নির্দেশ করা হয়েছে। কেননা নামায পড়া এবং যাকাত দেওয়া নর ও নারী উভয়ের জন্য ফরয।

শিক্ষা সম্পর্কে কুরআনের নির্দেশনা

শিক্ষা, জ্ঞান ও বুদ্ধির মূল উৎস হলেন আল্লাহ। নবী ও রাসূলগণের মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষের কাছে শিক্ষা ও জ্ঞান পৌঁছে। আল্লাহ হতে প্রাপ্ত শিক্ষা ও জ্ঞানের দ্বারা বুদ্ধির উন্মেষ ঘটে। এভাবে বিকশিত বুদ্ধি দ্বারা মানুষ চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করতে থাকে। মানুষের সামনে তখন আল্লাহর সৃষ্টি রাজ্যে লুক্কায়িত অনেক রহস্যের দ্বার উদ্ঘাটিত হয়। অজানা বহু বিষয় সম্পর্কে মানুষ জ্ঞান লাভ করে। সে অনেক কিছু আবষ্কিার করে এবং পৃথিবীকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলে। অতএব, আল্লাহ হতে প্রাপ্ত জ্ঞান বলেই মানুষ পৃথিবীকে সুশোভিত, সুসজ্জিত এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে সক্ষম হয়েছে।

মহান আল্লাহ সর্বপ্রথম মানব জাতির আদি পিতা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি রাজ্যের যাবতীয় জীবজন্তু, পশু-পক্ষী, বৃক্ষ-তরু, আসমান-যমীন, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী, সাগর-মহাসাগর, বস্তু-পদার্থ প্রভৃতি সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান দান করেছিলেন। তাঁর মগজে আল্লাহ সকল বিষয়ের মৌলিক জ্ঞানের বীজ রোপণ করেছিলেন। যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় আদম সন্তানেরা তাদের আদি পিতার মগজে রোপিত জ্ঞান উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করে থাকে। বিদ্যা শিক্ষা এবং জ্ঞান সাধনার মাধ্যমে তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত এ জ্ঞানের বিকাশ ঘটে।
এ মর্মেই মহান আল্লাহ আল কোরআনে বলেছেন,"আর তিনি আদমকে নামসমূহ সব শিক্ষা দিলেন তারপর তা ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। সুতরাং বললেন, ‘তোমরা আমাকে এগুলোর নাম জানাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’। তারা বলল, ‘আপনি পবিত্র মহান। আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের কোনো জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।"(সুরা বাকারা,আয়াত - ৩২-৩৩)।

নর-নারী নির্বিশেষে প্রত্যেকের জন্য লেখাপড়া করা, বিদ্যা শিক্ষা করা এবং জ্ঞান অন্বেষণ করা অপরিহার্য। কেননা এ ছাড়া মানুষের জীবনে পূর্ণতা লাভের জন্য আর কোনো বিকল্প পথ নেই। সুতরাং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা যে কত বেশি তা আর ব্যাখ্যা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।এ প্রসংগে মহান আল্লাহ আল কোরআনে বলেছেন,"তিনি যাকে চান প্রজ্ঞা দান করে। আর যাকে প্রজ্ঞা দেয়া হয়, তাকে অনেক কল্যাণ দেয়া হয়। আর বিবেক সম্পন্নগণই উপদেশ গ্রহণ করে।(সুরা বাকারা,আয়াত - ২৬৯) ।

আল্লাহ্ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্যে।আর ইবাদতের সারবস্তু হলো আল্লাহর ভয়।যাদের হৃদয়ে আল্লাহর ভয় আছে,তারাই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর ইবাদত করে।আর যারা জ্ঞানী, কেবল তারাই আল্লাহকে ভয় করে থাকে।এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন,"বান্দাদের মধ্যে কেবল জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে"(সুরা ফাতির,আয়াত - ২৮)।

যারা বিদ্যা শিক্ষা করে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে কেবল তারাই সৃষ্টি রাজ্যের রহস্য উপলব্ধি করতে পারে। তারা অনেক অজানা বস্তুকে জানতে পারে। আর যারা বিদ্যা শিক্ষা করে না, তারা এ থেকে চির বঞ্চিত। কাজেই বিদ্বান ও মূর্খ কখনও সমান হতে পারে না।মহান আল্লাহ্ তাআলা বলেন,"(সেই ব্যক্তি ভালো, নাকি) যে রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে এবং দাঁড়িয়ে ইবাদতে মশগুল থাকে ও পরকালের ভয় করে এবং তার পালনকর্তার রহমতের ব্যাপারে আশাবাদী? হে রাসূল আপনি বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না,তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।(সূরা আয-যুমার,আয়াত - ৯)।

যারা শিক্ষা অর্জন করে গভীর জ্ঞানের অধিকারী হয়, তাদের সম্মুখে সৃষ্টি রাজ্যের রহস্যাবলীর দ্বার উম্মোচিত হয়। একমাত্র বিদগ্ধ পণ্ডিত ব্যক্তিরাই এর সন্ধান পেয়ে থাকেন। মহান আল্লাহ এ প্রসঙ্গে ঘোষণা করেছেন,"নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং রাত ও দিনের বিবর্তনের মধ্যে রয়েছে বিবেকসম্পন্নদের জন্য বহু নিদর্শন।"(সূরা আল ইমরান,আয়াত - ১৯০)।তিনি আরো বলেন,"তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আসমান ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের বর্ণের ভিন্নতা। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য।(সূরা আর রুম ,আয়াত - ২২)

শিক্ষা সম্পর্কে হাদীসের নির্দেশনা

শিক্ষা সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের নির্দেশনার পাশাপাশি হাদীসেরও সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই নিজেকে একজন শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও মহান আল্লাহ তাঁকে মানবজাতিকে কিতাব, হিকমত, উত্তম চরিত্র ইত্যাদি শিক্ষা দেয়ার জন্য রাসূল হিসেবে মনোনীত করেছেন। তাঁর নবুয়তী জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে যেসব বাণী বিধৃত হয়েছে সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,"‘‘জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলানের উপর ফরয বা অপরিহার্য"।(ইবনে মাজাহ)।আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,"যে ব্যক্তি জ্ঞান অন্বেষণের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, মহান আল্লাহ তাদ্বারা তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন"।(আবূ বকর আহমদ ইবনুল হুসাইন আল্-বায়হাকী)।

নারীদের শিক্ষা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী। কেননা, নারী কখনো মা, কখনো বোন, কখনো ছাত্রী আবার কখনো পরিবারের কর্তী হিসেবে আবির্ভূত হন। তাছাড়া মা ই তার সন্তানের প্রথম শিক্ষক। সামগ্রিকভাবে সুশিক্ষিতা মা স্বভাবতই জ্ঞানী, চরিত্রবান, ব্যক্তিত্ব সম্পন্না, নিষ্ঠাবান, নম্র ও ভদ্র। শিক্ষিত মায়ের এসব গুণ আপনাআপনিই সন্তানের মধ্যে সঞ্চারিত হয়।নারীরা শুধু শিক্ষিত নয়, শিক্ষকও হতে পারেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা ছিলেন অন্যতম একজন শিক্ষক। এছাড়াও উম্মে সালমা, উম্মে হাবিবা, হাফসা, আসমা বিনতে আবু বকর, মায়মুনা, উম্মে হানী প্রমুখ মহিলা সাহাবিয়ার নাম প্রথম সারিতে এসে যায়।অতএব আল্-কুরআন ও সুন্নাহর এই অমোঘ নির্দেশের মধ্য দিয়ে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইসলাম নারী শিক্ষার উপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে। শিক্ষার অধিকার প্রদানের মাধ্যমেই ইসলাম নারীকে সুউচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে। কারণ, বিশ্বাসী ও জ্ঞানীদের উচ্চাসন দেবেন বলে আল্লাহ নিজেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আমাদের সমাজে প্রচলিত সহ শিক্ষার দিকে যদি আমরা দেখি তাহলে এর দুইটি দিক আমরা দেখতে পাব।এর যেমন উপকারী বা ভাল দিকও রয়েছে তেমনি অপকারী বা ক্ষতির আশংকা ও কম নয়।


ছবি - worldblaze.in

১। সহ শিক্ষার সুফল বা উপকারী দিক-

** কোন এক মনীষীর বাণী আছে "এই পৃথিবীতে কল্যানকর যা কিছু তৈরী হয়েছে তার অর্ধেক করিয়েছে নর আর অর্ধেক করিয়েছে নারী।" কাজেই নর-নারীর সহযোগীতায় পৃথিবী এগিয়ে যাবে আর সেই সহযোগীতার ভিওি গড়ে উঠতে পারে কো- এডুকেশনের মাধ্যমে।

** সহ-শিক্ষা কর্ম জীবনে সফলভাবে কাজ করার ভিত্তি গড়ে দেয়। ছেলে-মেয়ের পারস্পরিক মেলা-মেশার মধ্য দিয়ে তারা পরস্পরের প্রতি সহনশীল হওয়ার শিক্ষা পায় এবং উভয়ে উভয়কে ভালভাবে বুঝতে পারে যা তাদেরকে পরবর্তিতে কর্মজীবনে বিপরীত লিংগের সহকর্মীর সাথে সঠিক আচরন করতে সহায়তা করে"।

** সর্বোপরী "নার-নারী "র একের প্রতি অন্যের আকর্ষন দূর্নিবার। এ সৃষ্টির ই নিয়ম। উভয়েই বিপরীত লিংগের প্রতি আকর্ষিত হয় এবং উভয়ে উভয়ের সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে চায়।আর এই জানা ও বুঝার ক্ষেত্রে সহ-শিক্ষা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে ।


ছবি - stac.school.nz

এবার নজর দেই ক্ষতি বা কুফল এর দিকে -

** যেহেতু "নার-নারী "র একের প্রতি অন্যের আকর্ষন দূর্নিবার।আর এই সহ-শিক্ষা আগুনে ঘি ঢালার মত কাজ করবে।অপরিণত বয়স ও মানষিকতা,কৈশোরপ্রাপ্ত বা সুযোগ সন্ধানী ছেলে-মেয়েদের যখন এ সুযোগ মিলবে তখন একটা কিছু করবে এটা নিশ্চিত।তা ভাল খারাপ দু রকমই হতে পারে।আর এর প্রভাব ছেলে-মেয়ে উভয়ের জীবনেই সুদুরপ্রসারী প্রভাব ফেলে (এরকম বহু নজির আমাদের সমাজে বর্তমান)।কিশোর অপরাধ,কৈশোরে গর্ভধারন,অনাকাংখিত গর্ভধারন, অসম বয়সী সম্পর্ক, পরকীয়া এসবের বেশীরভাগের ই হাতে খড়ি হয় সহ-শিক্ষার মাধ্যমে।

** কোনো যুবক-যুবতী যুগলকে যদি অবাধ মেলামেশা ও সহাবস্থানের সুযোগ করে দিয়ে বলা হয়, তোমরা কেউ কারো প্রতি আকৃষ্ট হয়ো না- তাহলে এ উপদেশও কখনও ফলপ্রসূ হতে পারে না। সহশিক্ষার কুফল কি হতে পারে তা আর ব্যাখ্যা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সহশিক্ষা ব্যবস্থা গোটা মানবজাতিকে যে অকল্যাণ, অবক্ষয় এবং অশান্তি দান করেছে তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেও মানুষ এ থেকে মুক্তির কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ, মানব রচিত আইনে এ সমস্যার কোনো সমাধান নেই। আছে শুধু সমস্যা বৃদ্ধির অসংখ্য উপায়। সহশিক্ষা ব্যবস্থা মানব জাতির যে ভয়াবহ ও অপূরণীয় ক্ষতি করেছে তন্মধ্যে নৈতিক চরিত্রের অবনতি, দাম্পত্য জীবনে চরম অশান্তি, অসামাজিক ক্রিয়াকর্ম, যৌতুক প্রথা, তালাক, নারী ধর্ষণ, নারী হত্যা, মাদকদ্রব্যের অবাধ ব্যবহার, অযোগ্য সন্তানের প্রাদূর্ভাব, সামাজিক বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।সহশিক্ষার কারণে নৈতিক চরিত্রের যে অবনতি ও অবক্ষয় হয়েছে তা বর্ণনাতীত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েরা অবাধ মেলামেশার সুযোগ পায়। ফলে তারা উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠে।

** সহশিক্ষার কুফল হলো দাম্পত্য জীবনে অশান্তি। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রত্যেক ছেলে ও মেয়ে বহু ছেলেমেয়ের সাথে অবাধে কথা বলার এবং যথেচ্ছা মেলামেশার করা সুযোগ পায়। এ অভ্যাসের কারণে সহপাঠী ও সহপাঠিনী ছাড়াও বাইরের ছেলেমেয়েদের সাথে তাদের অবাধ মেলামেশা চলে। এদের মধ্যে যার সাথে তথাকথিত প্রেম জমে ওঠে, তার সাথে বিয়ে না হলে, বিবাহিত জীবনে স্বামী স্ত্রীকে এবং স্ত্রী স্বামীকে মেনে নিতে পারে না। সারা জীবন চলে পরস্পরের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝি। কেউ কাউকে মেনে নিতে পারে না। আবার প্রেমের বিয়ে হলে পরস্পরের মধ্যে আকর্ষণের চেয়ে বিকর্ষণই ঘটে বেশি। এভাবেই সৃষ্টি হয় গরমিল আর পরিণামে ঘটে পারিবারিক সহিংসতা, হত্যা-আত্মহত্যা, তালাকের মত বেদনাদায়ক ঘটনা ও মর্মান্তিক ঘটনা।

** সহশিক্ষার বদৌলতে মেলামেশার কারণে একই সময়ে একজন যুবক কিংবা যুবতী অনেকের সাথে সম্পর্ক গড়ার সুযোগ পায়। একই নারী বা পুরুষকে নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। কেউ আবার একজনের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের পর তাকে বাদ দিয়ে অপর একজনকে পেতে চায়। এর ফলে শুরু হয় রেষারেষি, এসিড নিক্ষেপ, খুন-খারাবি ইত্যাদি।অতএব, গোটা জাতিকে আল্লাহর গযব, অপূরণীয় ক্ষতি, ধ্বংস এবং বিপর্যয় থেকে সর্বস্তরে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা জাতীয় কর্তব্য।

সহ-শিক্ষা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?

আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করলে আমরা মাঝে মাঝে এমন কিছু ব্যাপার প্রত্যক্ষ করি যা ইসলাম কোনভাবেই অনুমোদন করে না। ছেলেমেয়েদের শালীনতা বর্জিত মেলামেশা এমন একটি পর্যায়ে ঠেকেছে যে, শুধু ইসলাম কেন, পরিবর্তনশীল দুনিয়ার কোনো ধর্মই একে অনুমোদন দিবে না। ইসলামী শরীয়তের অনুমোদিত উপায়ে লিংগ বৈষম্য মুক্ত হয়ে মানব সম্পদের অর্ধেক অংশ নারী জাতির উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রয়াস ইসলাম গোড়া থেকেই চালিয়ে আসছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও তৎপরতাকে ইসলাম কল্যাণকর মনে করেছে। তাই শিক্ষার মাধ্যমে নারী সমাজের উন্নয়ন ইসলামের একান্ত কাম্য।তবে তার সাথে সাথে যাতে নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা পায় সে ব্যাপারেও ইসলাম খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছে।আর তাই যুগের অবস্থার প্রতি খেয়াল রেখে মুসলিম নারীদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে এবং তাদেরকে ব্যভিচার, ধর্ষণ ও নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতেও হবে,এটাই ইসলামের নির্দেশ ।

ইসলাম সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত দ্বীন। এই মহান দ্বীনের অনুশাসন নারী জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর স্পর্শে এনেছে। আজ সারা বিশ্বে নারী শিক্ষা আন্দোলন জেগে উঠেছে। নারী চায় সমাজে পুরুষের পাশাপাশি সমান অধিকার। ইসলামও নারীর এই অধিকারকে অস্বীকার করে না বরং স্বাগত জানায়। পুরুষ জাতির পাশে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করার জন্য নারী জাতি শিক্ষাঙ্গনে প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জনের নিমিত্তে প্রবেশ করে। শিক্ষাঙ্গনে নারীর এই প্রবেশে ইসলাম বাধা দেয়নি।

এখন সারা মুসলিম জাহানে নারী তাদের ন্যায্য অধিকার প্রায় সাবলীলতার সঙ্গে ভোগ করছে। তারা সব রকমের বিদ্যা নিকেতনে সমাজের প্রয়োজনীয় জ্ঞানর্জনে নিয়োজিত আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নারী জাতির যাতায়াত এখন প্রায় অবাধ। নারী এখন শিক্ষিকা, বিজ্ঞানী, ডাক্তার, প্রকৌশলী, নার্স, সমাজসেবী, বৈজ্ঞানিক। নারী এখন তাদের কাজ পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করার জন্য প্রস্তুত। শিক্ষাঙ্গনে নারীর স্বাভাবিক যাতায়াত নিশ্চিত না হলে সমাজের সর্ব প্রকার উন্নতিতে পুরুষকেই হাত লাগাতে হবে, তার ফলে পুরুষের এই প্রচেষ্টা পুরোপুরিভাবে কোনো দিনই সার্থকতা লাভ করতে পারবে।পারবেনা। ইসলামে নারীর এই স্বাধীনতা খর্ব করার নীতি নেই। নারী তার প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জনের জন্য শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করবে এবং তার এই প্রবেশকে ইসলাম স্বাগত জানায়। তবে লজ্জাই নারীর ভূষণ। নারী যদি লজ্জা বিসর্জন দিয়ে সমাজের কাছ থেকে জোর করে তার অধিকার পেতে চায়, তবে ইসলাম তার এই কাজেই বাধ সাধবে। শালীনতা বিবর্জিত কোনো কাজই ইসলাম অনুমোদন করে না। ইসলাম উদার নীতি পোষণ করে, কিন্তু এই উদারতার সুযোগ নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টিকে ইসলাম কঠোরভাবে সমালোচনা করে। শিক্ষা অন্বেষণের দোহাই দিয়ে কোনো নারীকেই তার শালীনতা ও সতীত্ব বিসর্জন দেওয়াকে কিছুতেই অনুমোদন করে না। শিক্ষার পবিত্র অন্বেষণকে ইসলাম সর্বদা উৎসাহ দিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতেও দেবে তবে তা নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করেই।


ছবি - soundvision.com

আমাদের মুসলিম মেয়েরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতা জ্ঞানী-গুণী মা বোনেরা তথাকথিত প্রগতিবাদী সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রতি দূর্নিবার আকর্ষণে মোহাবিষ্ট হয়ে শাশ্বত সুন্দর জীবনাদর্শ ইসলামী আইনকে কুসংস্কার ও ইসলামের নির্দেশিত পর্দাকে অবরোধ বলে অবজ্ঞা করে দূরে সরে থাকছেন। তাঁরা বুঝতেছে না যে, ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণেই এবং এ জীবনাদর্শ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবেই আজকে নারী সমাজের অধিকার ও মর্যাদা সাধারণভাবে ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। মানব রচিত মতবাদ ও চিন্তা-চেতনার ধারক-বাহকরা নারীর সম্মান ও মর্যাদা যথাযথভাবে রক্ষা করতে পারছেনা।

ইসলামের দৃষ্টিতে সহ-শিক্ষা নিষিদ্ধ নয় তবে তা ইসলামের পর্দা প্রথার সাথে মিলেনা।আর তাই আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন- "হে নবী! আপনি মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য উত্তম। নিশ্চয়ই তারা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।আর ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও"। (সুরা আল নূর,আয়াত - ৩০-৩১ )

নবী করিম (সঃ) বলেছেন- " মহিলারা হলো পর্দায় থাকার বস্তু। সুতরাং, তারা যখন (পর্দা উপেক্ষা করে) বাইরে আসে তখন শয়তান তাদেরকে (অন্য পুরুষের দৃষ্টিতে) সুসজ্জিত করে দেখায়"। (তিরমিযী শরীফ, মেশকাত শরীফ)


ছবি - muslimvillage.com

তাই সহ-শিক্ষার ব্যাপারে ইসলামিক দৃষ্টিভংগি হলো - " ছেলে-মেয়েরা পৃথক পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থেকে শিক্ষা গ্রহন করবে। আর কারো যদি সে সুযোগ না থাকে তবে পরিপুর্ন পর্দা অবলম্বন করে জ্ঞান অর্জন করবে "।

সব শেষে ,সব কিছুরই ভাল-খারাপ দুটি দিক আছে। এ দুনিয়ায় কোন কিছুই শতভাগ ভাল না আবার শতভাগ খারাপ ও না।যে কোন কিছুর ভাল খারাপ নির্ভর করে তার প্রয়োগ ও পরিমিতি বোধের উপর।যদি ছেলে-মেয়ে (নারী-পুরুষ) উভয়ে উভয়ের উপর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হ্য় ও সম্মান প্রদর্শন করে, যাবতীয় পংকিলতা ও পাপাচার থেকে নিজেদের হেফাজত করে এবং উভয়ে উভয়কে সহযোগীতার মনোভাব নিয়ে সহযোগীতা করে তাহলে সহ-শিক্ষা হতে পারে নিজেকে / দুনিয়াকে ভাল কিছু দেয়ার মাধ্যম হিসাবে।

আর তা যদি না হয় তবে সহ-শিক্ষা হতে পারে উভয়ের জীবনের জন্য এক অভিশাপ ।ব্যাপারটা এমন,নিয়ম মেনে-পরিমাপমত ও সঠিক ঔষধ খেলে ঔষধে অসুখ খেয়ে ফেলে আর তা না করে বেঠিক, অনিয়মিত ও অপরিমিত ঔষধ খেলে ঔষধে জীবন খেয়ে ফেলে।


চলবে -

তথ্যসূত্র - আল কোরআন,হাদীস।
=========================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -

মানব জীবন - ১১ " শিক্ষা " - Click This Link
মানব জীবন - ১০ "পরিবার " - Click This Link
মানব জীবন - ৯ "বিবাহের পরে" - Click This Link
মানব জীবন - ৮ " মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য " - Click This Link
মানব জীবন - ৭ " তালাক " - Click This Link
মানব জীবন - ৬ "দেনমোহর - স্ত্রীর হক" - Click This Link
মানব জীবন - ৫ "বিবাহ" - Click This Link
মানব জীবন - ৪ " মাতৃত্ব " - Click This Link
মানব জীবন - ৩ Click This Link
"নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা "
মানব জীবন - ২ " মাতৃগর্ভ (জরায়ু)" - Click This Link
মানব জীবন - ১ "মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা"- Click This Link

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

নতুন বলেছেন: নারীদের ঘরের বাইরে আসার কোন দরকার আছে কি?

নারীরা আরবি শিখবে, কোরান শিখবে, পর্দা করবে। বালেগ হলে বিবাহ করবে। স্বামী ৪ টা পযন্ত বিবাহ করলেও তার খেদমত করবে।

স্বামী মারধোর করলে মেনে নেবে কিন্তু কখনো স্বামীর গায়ে হাত তুলতে পারবেনা। বছর বছর সন্তান নেবে। স্বামীর জন্য রান্না করবে। যখন স্বামী বিছানায় ডাকবে তখনই স্বামীর কাছে যাবে নতুবা ফেরেস্তারা অভিসাপ দেবে।

নারীর বিজ্ঞান শিক্ষার দরকার কি? নারীদের সৃস্টিই করা হয়েছে পুরুষের অধীনে থাকার জন্য। স্বামীর সেবা করকার জন্য। :|

২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আসলেই কি তাই? নারীর শিক্ষার কি দরকার? কোন দরকারই নেই ।

আর ভাই , আমার সীমিত জানায় কোথাও দেখিনি ইসলাম নারীকে মারধর করতে, বছর সন্তান নিয়ে কিংবা স্বামীর জন্য রান্না করে জীবন অতিবাহিত করতে বলেছে।

ইসলামী শরীয়তে মানব সম্পদের অর্ধেক অংশ নারী জাতির উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রয়াস ইসলামের প্রথম থেকেই চালিয়ে আসছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও তৎপরতাকে ইসলাম কল্যাণকর মনে করেছে। তাই শিক্ষার মাধ্যমে নারী সমাজের উন্নয়ন ইসলামের একান্ত কাম্য।তবে তার সাথে সাথে যাতে নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা পায় সে ব্যাপারেও ইসলাম খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ভাই মূল বিষয় এটাই ।আর কিছু নয়।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২৬

সাসুম বলেছেন: ধর্ম নিয়ে সাধারণত করিনা কারন আমাদের জ্ঞান সীমিত। তাই ক্যাচাল গালিতে রুপান্তর হয়। আমরা খালি নিজেদের ছোট্ট পুকুর কে চিন্তা করি, সমুদ্র কে ভাবার টাইম নেই। কিন্তু এই চরম বিদ্বেষী পোস্ট দেখে চুপ থাকতে পারলাম না-


আপনার এই পোস্ট মতে- সহশিক্ষা সকল অপকর্ম আর সমস্যার এক্মাত্র কারন। আপনি এটাকে বের করেছেন বাংগু ল্যান্ড এর হিসাবে। আপনি ধর্ষনের কারন হিসেবে তুলে এনেছেন সহশিক্ষা কে যদিও বাংগু ল্যান্ড এ মাদ্রাসায় সারা রাত ধরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চলা হুজুর দের চলা বাচ্চা ধর্ষন আবার আপনার লিখায় অনুপস্থিত।

আপনি সহ শিক্ষা কে তুলনা করেছেন দুনিয়া ধ্বংসের কারন হিসেবে , এটাকে দেখছেন আপনার নিজের ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বাট দুনিয়ার বাকি সব দেশ এই সব ১৪০০ বছর আগের কুসংস্কার বাদ দিয়ে সহ শিক্ষা নিয়েই দিন দুনিয়ার প্রভূত উন্নতি করে ফেলেছে এবং দুনিয়ায় ছড়ি ঘুরাচ্ছে।

শিক্ষার মানেই হচ্ছে- আচরনের কাংখিত পরিবর্তন এবং সে অনুযায়ী জীবন গঠন। অথচ, আপনি শিক্ষিত হয়ে মানব জাতিকে দুইটা আলাদা শাখায় আলাদা আলাদা করে ফেলেছেন আপনার ধর্ম বিশ্বাস দিয়ে।

দুনিয়ার আর কোন জাতি এরকম কুচিন্তা নিয়ে চলেনা এক্মাত্র বাংগু ল্যান্ড ছাড়া। যার কারনে আমাদের দেশে চারদিকে এখন আরিফ আজাদে ভর্তি।

নারী পুরুষ একসাথে শিক্ষা লাভ করলে তাদের চরিত্রহরন হয়- এই বুদ্ধি যার মাথা থেকে বের হয়- তার লিখা আমাদের সমাজ, জীবন ও সর্বোপরি আমাদের উন্নত করতে কি পরিমান সাহায্য করতে পারে??

এই চিন্তা এক্মাত্র চরম মৌলবাদী জংগি ভাবাপন্ন না হলে কারো পক্ষেই করা পসিবল না। এক্মাত্র আফগানিস্তান এর তালেবান বা নাইজেরিয়ার আল শাবাব দের মাঝেই এমন চিন্তা পাওয়া যায়।

আপনার লিখার- এক যায়গায় দেখিয়েছেন- ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা। এটা একটা ঢাহা মিথ্যে কথা, ইসলাম আর মোসলমান দের কাছে নারী জাস্ট একটা সেক্স আইটেম ছাড়া আর কিছু না, যদি তাই হত- কোন কালেই, এক পুরুষের জন্য একের অধিক নারী বা যুদ্ধের পর পুরুষ দের কাছে নারী দের কে গনিমতের মাল হিসেবে মাগনা দেয়া হত না। ইস্লামের যদি কোন কদর্য রূপ থেকে থাকে সেটা হল- নারীদের প্রতি তাদের ব্যবহার এবং নারীদের কে করা হাজার বছর ধরে চলা অপমান।
নারী পুরুষ ২ জন সমান এটা ইসলাম ধর্মের আলোকে বলা মানে ইসলাম কেই অপমান করা।


আপনার লিখার আরেক টা বড় ভুল-

ইসলাম সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত দ্বীন। এটা আপনার কাছে সত্য, বাট সামগ্রিক ভাবে এটা এক্টা ডাহা মিথ্যে পরিসংখ্যান। ইসলাম এবং এই ধর্ম অবলম্বনকারীরাই সারা বিশ্বের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা জাতি- সেটা টাকা পয়সায়, জ্ঞান বিজ্ঞানে হোক, আবিস্কারে হোক, শক্তিমত্তায় হোক, বুদ্ধিতে হোক। এক্মাত্র অনিয়ন্ত্রিত জন্ম গ্রহন ছাড়া আর কোন যায়গা দিয়ে তারা এগিয়ে নেই।

ইসলাম ও মোসল্মান জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে এবং দুনিয়া এগিয়ে চলেছে শত বছর সামনে রেখে আর ইসলাম ও মুস্লিম রা চলেছে ১৪০০ বছর পেছনে- এটাই আজকের ইসলাম ও মুসলিম দের পতনের কারন। মার খেয়ে যাওয়ার কারন।


এই কারনে- ইসলাম ও মোসলমান দের মুক্তির এক্মাত্র উপায়- জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষা আর লজিকাল চিন্তায় নিজেদের কে উন্নত করা। সহশিক্ষা খালি সেক্স করতে আর চরিত্র নস্ট করতে শিক্ষা দেয়- এই ভাবনা নিয়ে যতদিন সমাজ আর দেশ আগাবে ততদিন খালি পেছনেই যেতে থাকবে সভ্যতা। যদিও তাতে অন্যদের কিছু যায় আসেনা, কারন সমাজ আর সময় মোসলমান দের জন্য তো আর বসে থাকবেনা! তারা এগিয়ে যাবে।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম অনেক বছর আগে লিখেছিলেন, 'বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনও বসে/ বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি, ফিকাহ ও হাদিস চষে। "


২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই, আপনার চমতকার ও দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য।

তবে আপনার চমতকার ও দীর্ঘ মন্তব্যের জবাবে একটা উদাহরন দিয়েই দিতে চাই -

" মরফিন " -কে একটা মেডিসিন হিসাবে জানে ডাক্তার / আর নেশাখোর চিনে নেশার উপকরন হিসাবে।

যেই মরফিনকে ডাক্তার ব্যবহার করে জীবন সংশয়ে থাকা রোগীর জীবন বাঁচানোর জন্য আর সেই মরফিনকে নেশাখোর ব্যবহার করে জীবন ধ্বংসের তথা নেশার উপকরন হিসাবে।

জিনিষ একই তবে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ভিন্ন । যে যেভাবে বিচার করে বা ব্যবহার করে।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

নতুন বলেছেন: https://www.manobkantha.com.bd/national/411484/

মাদরাসায় ১৫ মাসে ৬২ শিশু বলৎকার, ৩ জনের মৃত্যু

তাহলে মাদ্রাসা কে সমকামীতার সুতিকাগার বলতে পারি আমরা কি বলেন?

https://en.wikipedia.org/wiki/Catholic_Church_sexual_abuse_cases
Catholic Church sexual abuse cases

https://www.freep.com/story/news/local/michigan/wayne/2021/04/07/canton-sexually-exploitation-temple-shaleish-patel/7125710002/
How the man at temple sexually exploited children for years, until they spoke up


আপনার হাতে গুগুল আছে একটু সার্চ করে দেখুন ধর্মীয় গুরুরা কেমনে শিশুদের যৌন নিপিড়ন করছে।

তাহলে উপরে মসজিদ/মাদ্রাসা, চার্চ, হিন্দু মন্দিদের গুরুরা যেহেতু শিশুদের নিপিড়নে লিপ্ত তাই ঐখানে শিশুদের পাঠানো বন্ধ করা উচিত সবার তাই না?

২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার আবার ফিরে আসা এবং প্রতিমন্তব্যের জন্য।

ভাই,পৃথিবীতে প্রচলিত কোন ধর্মেই অবাধ যৌনতা,শারীরিক নিপীড়ন কিংবা কোন অন্যায় সমর্থন করেনা।আর যে কোন ব্যক্তি - তা সে ধর্মগুরু,প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী-কর্মকর্তা কিংবা সাধারণ মানুষ যেই হোক না কেন তার পাপের দায় কোন প্রতিষ্ঠানের বা ধর্মের নয়।প্রতিটি মানুষের যে কোন কাজ ভাল বা খারাপ কাজ যাই হোকনা কেন এ দায় সম্পূর্ণভাবে তার।এর জন্য প্রতিষ্ঠান বা ধর্ম কোন ভাবেই দায়ী নয়।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




শিক্ষা, দর্শন, হিউম্যনা ডেভেলোপমেন্ট, সোস্যাল সায়েন্স, এইসব ধারণের কোন বিষয়ে কি আপনার পিএইচডি আছে, নাকি মোকছেদুল মোমেনিন'এর পাঠক?

শিক্ষা নিয়ে লিখতে হলে, অনেক বছরের একাডেমিক অভিজ্ঞতা থাকতে হয়!

২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মহামহিম হুজুরে আলা চাঁদগাজী ভাই, প্রথমেই শুকরিয়া মডারেটরদেরকে আপনাকে সংগনিরোধ (প্রতিবন্ধক) থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য এবং খুশী আপনাকে আবার সামুতে ফিরতে দেখে এবং মন্তব্যের জন্য।

?? - শিক্ষা, দর্শন, হিউম্যনা ডেভেলোপমেন্ট, সোস্যাল সায়েন্স, এইসব ধারণের কোন বিষয়ে কি আপনার পিএইচডি আছে, নাকি মোকছেদুল মোমেনিন'এর পাঠক?

!! -না, মহামহিম হুজুরে আলা, এত বড় ডিগ্রি থাকলে আমি কি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে (বিনা পয়সায় লেখা) সামুতে লিখতাম।এসব যদি থাকত তাহলে ত অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে পয়সার বিনিময়ে লিখতাম বা লেকচার দিতাম বড় বড় জায়গায় ।আর "মোকছেদুল মোমেনিন " খারাপ না ভাই একটু মনোযোগ দিয়ে এবং ধৈর্যধারণ করে পড়ে দেখতে পারেন। কাজে লাগবে । আর এ বই দুনিয়ায় প্রচলিত অনেক বই থেকেই ভাল ভাই,এটা নিশ্চিত।

?? - শিক্ষা নিয়ে লিখতে হলে, অনেক বছরের একাডেমিক অভিজ্ঞতা থাকতে হয়!

!! - মহামহিম হুজুরে আলা, অনেক বছরের একাডেমিক অভিজ্ঞতা নেই তবে দেশে প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতি সম্পর্কে কিছুটা ধারনা আছে এবং দেশে প্রচলিত সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার এবং বের হওয়ার তওফিক আল্লাহ দিয়েছেন।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: সত্য কথা সৎপথ বড় কঠিন কথা,বলে শেখানো যায় না।ব্যবহারে শেখাতে হয়।বাবা মা সারাদিন মিথ্যা কথা বলবে আর ছেলে মেয়েদের বলবে সত্যকথা বলতে,কিছুতেই কিছু হবে না।শিখিয়ে হবে না,সমাজে মিথ্যা না বলার কালচার চালু করতে হবে।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই আপনি। আমাদের কারোরই মূল বিষয়ে বা বিষয়ের গভীরে ভাবার অবকাশ নাই। সবাই শুধু বলতে চায় বা সমালোচনা করতে চায় অথচ সমস্যার প্রকৃত কারন ও প্রতিকারে কারোর আগ্রহ নেই।

আমরা সবাই সুযোগসন্ধানী এবং নিজের লাভের জন্য যে কোন খারাপ কাজ করতে ভাবিনা অথচ অন্যের নিকট থেকে শতভাগ সাধুতা আশা করি । সমাজের প্রতিটা জায়গায় ,প্রতিটা মানুষ দ্বিমুখী আচরণ করে অথচ শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের দোষভার ধর্মের উপর চাপিয়ে তা থেকে বাঁচতে চাই।

অথচ দুনিয়ায় প্রচলিত সব ধর্মেই ন্যায় করতে-সত্য কথা বলেতে এবং অন্যায় পরিত্যাগ করতে-মিথ্যা কথা না বলতে বলা হয়েছে। ধর্মের বিপুল-বিশাল কোন নিয়ম কানুনই আমাদের জীবনে প্রয়োজন নেই যদি আমরা - ১। সদা সত্য কথা বলি ২। সবসময় সৎ পথে চলি।

আর এর চর্চা আমাদের সবার ব্যক্তি তথা পরিবার থেকে শুরু করতে হবে , সামাজিক ভাবে পালন করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তা প্রয়োগের চেষ্টা করতে হবে ।তবেই হয়ত আমরা সবচয়ে বড় ধর্মপ্রাণ তথা মানবধর্মের অনুসারী হতে পারব।আর তা না হলে কোন ধর্মই আমাদের জীবনে কোন ভূমিকা বা প্রভাব রাখতে পারবেনা।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি মৌচাকে ঢিল মারতে ওস্তাদ। আপনার সাহস আছে।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনি আমি সবাই বলতে চাই এবং আশা করি সবাই আমার কথা শুনবে অথচ অন্যের কথা আমরা কেউই শুনতে চাইনা আর তাতে যদি ধর্মের কিছুটা যোগ থাকে তাহলেত আর কথাই নেই। কোন কিছু যাচাই-বাছাই না করে রে-রে-রে করে তেড়ে আসে।অথচ বিষয়ের গভীরে কেউ যেতে চায়না।

আর দুনিয়ায় কারো সমালোচনা করাই সবচেয়ে সহজ কাজ আর পালন করা সবচেেয়ে কঠিন। তাই আমরা সবাই সহজ কাজটাই করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি ,কঠিন কে নয় । অথচ চলার পথে কঠিনকে মোকাবেলা তথা জানও জরুরী,এটা ভুলেও মানতে চাইনা।

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৯

নতুন বলেছেন: সূরা আন নিসা – Surah An-Nisaa
আয়াত নং-৩৪

“পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে।

সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযাতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাযাত করেছেনে। আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান।”

হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেন,
“এক স্ত্রীলোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে এসে স্বীয় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, তার স্বামী তাকে থাপ্পর মেরেছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিশোধ নেওয়ার হুকুম দিয়েই ফেলেছেন এমন সময় এই আয়াত নাজিল হয়। সুতরাং প্রতিশোধ গ্রহণ করতে বিরত রাখা হয়।


নারীদের জন্য পুরুষ যেহেতু খরচ করে তাই তাদের উপর পুরুষের অধিকার আছে। যদি স্ত্রী কথা না শোনে তবে স্ত্রীকে মারধর পযন্ত করা যাবে!!! কিন্তু স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী কিছু বলতে পারবেনা।


রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,تزوجوا الودود الولود ، فإني مكاثر بكم الأمم يوم القيامة“তোমরা অধিক সন্তানের প্রসবনী ও স্বামীদের অধিক ভালোবাসে এ ধরনের মেয়েদের বিবাহ কর, কারণ, কিয়ামতের দিন আমি আমার উম্মত বেশি হওয়ার কারণে আল্লাহর দরবারে গর্ব করব।”(আবু দাউদ, নাসায়ী। হায়াতুল মুসলিমিন, পৃষ্ঠা-১৮৯)


অধিক সন্তান নেওয়া এবং জন্মনিয়ন্ত্রন না করাই ইসলাম উতসাহিত করে।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার আবার ফিরে আসা এবং প্রতিমন্তব্যের জন্য।

আল কোরআনে বলা হয়েছে, "পুরুষরা নারীদের কর্তা ,কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং এজন্য যে, পুরুষ তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে , কাজেই পূণ্যশীলা স্ত্রীরা অনুগতা এবং লোকচক্ষুর আড়ালে আল্লাহর হেফাযতে তারা হেফাযত করে । আর স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর এবং তাদেরকে প্রহার কর । যদি তারা তোমাদের অনুগত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অন্বেষণ করো না । নিশ্চয় আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, মহান"।(সূরা আন নিসা ,আয়াত নং-৩৪)।

- -- সেসব স্ত্রীলোক, যারা স্বামীদের আনুগত্য করে না কিংবা যারা এ ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করে। আল্লাহ তা'আলা তাদের সংশোধনের জন্য পুরুষদেরকে যথাক্রমে তিনটি উপায় বাতলে দিয়েছেন -

১। প্রথম পর্যায়ে তাদের সংশোধনের জন্য নরমভাবে তাদের বোঝাবে। যদি তাতেও বিরত না হয়, তবে -

২। দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের বিছানা নিজের থেকে পৃথক করে দেবে। যাতে এই পৃথকতার দরুন সে স্বামীর অসন্তুষ্টি উপলব্ধি করে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হতে পারে। তারপর যদি তাতেও সংশোধন না হয়, তবে -

৩। মৃদুভাবে মারবে, তিরস্কার করবে। আর তার সীমা হল এই যে, শরীরে যেন সে মারধরের প্রতিক্রিয়া কিংবা যখম না হয়। কিন্তু এই পর্যায়ের শাস্তি দানকেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করেননি, বরং তিনি বলেছেনঃ ভাল লোক এমন করে না। [ইবন হিব্বানঃ ৯/৪৯৯, নং ৪১৮৯, আবু দাউদঃ ২১৪৬, ইবন মাজাহঃ ১৯৮৫] যাইহোক, এ সাধারণ মারধরের মাধ্যমেই যদি সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, তবুও উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেল।

এ আয়াতে যেমন স্ত্রীদের সংশোধনকল্পে পুরুষদেরকে তিনটি অধিকার দান করা হয়েছে, তেমনিভাবে আয়াতের শেষাংশে একথাও বলা হয়েছে যে, যদি এ তিনটি ব্যবস্থার ফলে তারা তোমাদের কথা মানতে আরম্ভ করে, তবে তোমরাও আর বাড়াবাড়ি করো না এবং দোষ খোঁজাখুঁজি করো না, বরং কিছু সহনশীলতা অবলম্বন কর।

এক সাহাবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, "হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক আছে ? রাসূল বললে, তুমি খেতে পেলে তাকেও খেতে দেবে, তুমি পরিধান করলে তাকেও পরিধেয় বস্ত্র দেবে, তার চেহারায় মারবে না এবং তাকে কুৎসিৎও বানাবে না, তাকে পরিত্যাগ করলেও ঘরের মধ্যেই রাখবে"। (আবু দাউদ শরীফ,হাদীস নং - ২১৪২ )।

ভাই দুনিয়ার প্রতিটা জিনিষই পর্যায়ক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে হয়ে থাকে।এখানেও আল্লাহ তাই বলেছেন। আপনি দেখেন আমরা তা না মানার কারনেই এখন তালাকের হার কি পরিমাণ বেড়েছে।ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে এখন আর কেউ সে নর কিংবা নারী সহনশীলতা বা ধৈর্য ধরে কিছু ভাবতে বা করতে চাইনা।সবাই পান থেকে চুন খসলেই শেষ ধাপ বা তালাকের মত কঠিন
সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই। আর এসব থেকে রক্ষার জন্য এবং পরিবার টিকিয়ে রাখার জন্যই আল্লাহ পর্যায়ক্রমিক ভাবে এ কাজ গুলি করতে বলেছেন।

আয়াতের শেষাংশে এ কথাও বলা হয়েছে, "আর একথা খুব ভাল করে জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদেরকে (পুরুষদেরকে) নারীদের উপর তেমন কোন উচ্চ মর্যাদা দান করেননি। আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব তোমাদের উপরও বিদ্যমান রয়েছে, তোমরা কোন রকম বাড়াবাড়ি করলে তার শাস্তি তোমাদেরকেও ভোগ করতে হবে। অর্থাৎ তোমরাও সহনশীলতার আশ্রয় নাও; সাধারণ কথায় কথায় দোষারোপের পন্থা খুঁজে বেড়িয়ো না। আর জেনে রেখো আল্লাহর কুদরত ও ক্ষমতা সবার উপরেই পরিব্যাপ্ত।

পরিশেষে এটা বলা যায় ,স্ত্রী যদি মনে করে তার উপর অত্যাচার হচ্ছে, সে সব সময়ই আইনের শরণাপন্ন হতে পারবে । এই আয়াতে তিন ধাপে পারিবারিক কলহ মেটানোর যে ফর্মুলা দেয়া হয়েছে সেটা বরং রাগের মাথায় স্ত্রীকে মারধর করার বিরোধিতা করেই হয়েছে,এটা আমরা বুঝতে চাইনা বা এর অপব্যাখ্যা করি । বর্তমানে সমাজে এবং আমরা যারা হঠাৎ করে রেগে তাদের স্ত্রীকে মারধর করে বা করি, কুরআনে বর্ণিত ধাপগুলো মেনে চললে আর হাদিসের নির্দেশগুলো মনে রাখলে – তাদের মাথা এমনিতেই ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আসত, মারপিট করা লাগত না। এটাই ভাই মূল কথা।

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৬

নতুন বলেছেন: তবে হ্যাঁ, ছেলে মেয়ে বিয়ের ক্ষেত্রে দেরি করা ঠিক নয়। কেননা, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه

তোমাদের মাঝে যার কোন (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোন পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)


ছেলে মেয়ে বালেগ হলেই বিবাহ দেবার কথা রাসুল সা: বলেছেন নতুবা কন্যার পাপের দায়ভার পিতার উপরে বর্তাবে।

ইসলামে নারীদের স্কুলে বা কলেজে পড়ার কথা বলেনাই। ডাক্তার ইন্জিনিয়ার হবার কথা কোথাও বলেছনে? কোথাও নারীর উচ্চ শিক্ষার কথা বলেছে? এমন হাদিস বা কোরানের আয়াতের কথা এখনো শুনিনাই।

আপনি কেন নারীর এতো শিক্ষার কথা বলছেন? নারীদের বালেগ হলেই বিবাহ দিন, বেশি সন্তান নিতে উতসাহিত করুন।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই ছেলে-মেয়ে বালেগ (সাবালক /প্রাপ্তবয়স্ক) হলে তার বিয়ে দেয়া বা বিয়ে করানো বাবা-মায়ের নৈতিক দায়িত্ব ।পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে যা ১৮ বছরের পর মাতা-পিতার দায়মুক্তি সেখানে ইসলামে তা মাতা-পিতার দায় এবং দায়িত্ব। কারণ, বিয়ের মত এত বড় সিদ্ধান্ত ছেলে-মেয়েরা নিজেরা নিতে গেলে তাতে ভূলের সম্ভাবনা থাকে । আর এর ফলে ছেলে-মেয়ে উভয়ের জীবন তথা উভয়ের পরিবার ভূক্তভোগী হবার সম্ভাবনা থাকে ।

আর তাই ইসলাম তা বাবা-মায়ের দায় এবং দায়িত্ব হিসাবে নির্ধারণ করে দিয়েছে তা মানব জাতির কল্যাণের জন্য।

নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে পোস্টে বিশদ বলা হয়েছে।আর নারীদের শিক্ষা আমাদের নিজেদের তথা ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন এবং এ ব্যাপারে ধর্মের উৎসাহ আছে বিধিনিষেদ নয় । ধর্ম শুধু নারীকে বাহিরে শালীন ভাবে তথা তার সম্মান-সম্ভ্রম-মর্যাদা রক্ষা করে চলতে বলেছে । এতটুকুই ভাই।

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:০১

নতুন বলেছেন: যে স্ত্রী স্বামী-সহবাসে অস্বীকৃতি জানায়, ফেরেশতারা তাকে সর্বদা অভিশাপ দেয়

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'যখন কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে স্বীয় শয্যা গ্রহণ বা দৈহিক মিলনের জন্য আহবান জানায়, কিন্তু স্ত্রী তা অস্বীকার করায় স্বামী তার ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে রাত কাটায়, তখন ফিরিশতাগণ সকাল পর্যন্ত ঐ স্ত্রীর ওপর অভিশাপ দিতে থাকে'। [সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৩২৪৬]

অনেক মহিলাকেই দেখা যায় স্বামী-স্ত্রীতে একটু খুনসুটি হলেই স্বামীকে শাস্তি দেওয়ার মানসে তার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা বন্ধ করে বসে। তাদের উপরে ফেরেস্তারা অভিশাপ দিতে থাকে।

বোঝেন স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ন । ফেরেস্তাগন তাদের গুরুত্বপূর্ন কাজ বাদ দিয়ে যদি অভিস্বাপ দিতে আসে তবে এটা স্বামীর অধিকার কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ?? - অনেক মহিলাকেই দেখা যায় স্বামী-স্ত্রীতে একটু খুনসুটি হলেই স্বামীকে শাস্তি দেওয়ার মানসে তার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা বন্ধ করে বসে। তাদের উপরে ফেরেস্তারা অভিশাপ দিতে থাকে।বোঝেন স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ন ?


- |-) বুঝতে চেষ্টা করছি ভাই। এ বড়ই জটিল মামলা :( একটু সময় লাগবে বুঝতে!!!! আবার আসব -

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩১

নতুন বলেছেন: পরিশেষে এটা বলা যায় ,স্ত্রী যদি মনে করে তার উপর অত্যাচার হচ্ছে, সে সব সময়ই আইনের শরণাপন্ন হতে পারবে ।

হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেন,
“এক স্ত্রীলোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে এসে স্বীয় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, তার স্বামী তাকে থাপ্পর মেরেছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিশোধ নেওয়ার হুকুম দিয়েই ফেলেছেন এমন সময় এই আয়াত নাজিল হয়। সুতরাং প্রতিশোধ গ্রহণ করতে বিরত রাখা হয়।

কোরানে স্ত্রীকে মৃদু প্রহারের কথা বলেছে কিন্তু স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া যাবেনা সেটাও হাদিসে আছে।

আপনি স্বামী মারধোর করলে তাকে স্ত্রী ফেরত মারতে পারবে এমন হাদিস দেখাতে পারবেন? বা স্বামীকে রাসুল সা: সাজা দিয়েছেন তার একটা হাদিস দেখাতে পারবেন?

২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই আল কোরআনে যা বলা হয়েছে তা তখনই কার্যকরী হয় বা করে যেখানে শরীয়াভিত্তিক আইন এবং শাসন প্রচলিত।


??? - কোরানে স্ত্রীকে মৃদু প্রহারের কথা বলেছে কিন্তু স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া যাবেনা সেটাও হাদিসে আছে।
আপনি স্বামী মারধোর করলে তাকে স্ত্রী ফেরত মারতে পারবে এমন হাদিস দেখাতে পারবেন? বা স্বামীকে রাসুল সা: সাজা দিয়েছেন তার একটা হাদিস দেখাতে পারবেন?


---- পবিত্র কুরআনে কেসাস বা বদলা / অন্যায়ের প্রতিবিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে, "আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে প্রাণের বদলে প্রাণ, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান, দাঁতের বদলে দাঁত এবং জখমের বদলে অনুরূপ জখম। তবে যে ক্ষমা করে, তাতে তার পাপমোচন হবে। আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তা অনুসারে যারা বিধান দেয় না (বিচার ফয়সালা করে না), তারাই জালেম"। (সুরা আল-মায়েদা,আয়াত - ৪৫)

আশা করি ভাই আপনার জবাব এখানে এই আয়াতে পেয়েছেন বা পাবেন।

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই ছেলে-মেয়ে বালেগ (সাবালক /প্রাপ্তবয়স্ক) হলে তার বিয়ে দেয়া বা বিয়ে করানো বাবা-মায়ের নৈতিক দায়িত্ব ।পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে যা ১৮ বছরের পর মাতা-পিতার দায়মুক্তি সেখানে ইসলামে তা মাতা-পিতার দায় এবং দায়িত্ব। কারণ, বিয়ের মত এত বড় সিদ্ধান্ত ছেলে-মেয়েরা নিজেরা নিতে গেলে তাতে ভূলের সম্ভাবনা থাকে । আর এর ফলে ছেলে-মেয়ে উভয়ের জীবন তথা উভয়ের পরিবার ভূক্তভোগী হবার সম্ভাবনা থাকে ।

আর তাই ইসলাম তা বাবা-মায়ের দায় এবং দায়িত্ব হিসাবে নির্ধারণ করে দিয়েছে তা মানব জাতির কল্যাণের জন্য।

নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে পোস্টে বিশদ বলা হয়েছে।আর নারীদের শিক্ষা আমাদের নিজেদের তথা ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন এবং এ ব্যাপারে ধর্মের উৎসাহ আছে বিধিনিষেদ নয় । ধর্ম শুধু নারীকে বাহিরে শালীন ভাবে তথা তার সম্মান-সম্ভ্রম-মর্যাদা রক্ষা করে চলতে বলেছে । এতটুকুই ভাই।


ভাই মেয়ে বালেগ হওয়া শুরু হয় ১১ বছর থেকে। ইসলামের নিদেশ ১১ এর পরে বিয়ে দিতে। ( উপরে হাদিস দিয়েছি)

আপনি একটা মেয়েকে ১১/১২ তে বিয়ে দিবেন। তারপরে স্বামীর সাথে সংসার শুরু করবে।

ইসলাম বেশি সন্তান নিতে উতসাহ দেয় ( উপরে হাদিস দিয়েছি)

তারপরে কত নারী স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পযন্ত যেতে পারবে? ডাক্তার ইন্জিনিয়ার হবার সপ্বন দেখতে পারবে?

ইসলাম কখনোই নারীদের বর্তমানের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ডাক্তারম ইন্জিনিয়ারিং পড়া বা বিজ্ঞানী হবার মতন পরিবেশ তৌরি করার নির্দেশ দেয় নাই।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ছেলে-মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা - বিবাহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বয়সের কথা ইসলাম বলে নি। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, " হে যুবসমাজ! তোমাদেরমধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিবাহ করা কর্তব্য। কেননা বিবাহ হয় দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যার সামর্থ্য নেই সে যেন রোজা পালন করে। কেননা রোজা হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম। (বুখারী শরীফ ,হাদীস নং - ৫০৬৫)

উক্ত হাদিস থেকে বুঝা যায়, কোন ব্যক্তি সামর্থ্যবান হলেই বিয়ে করে নেয়া উচিত। আর যেহেতু ব্যক্তি হিসেবে শক্তি সামর্থ্য ভিন্ন হয়ে থাকে,অনেকে অল্প বয়সেই সামর্থ্যবান হয়ে যায়, অনেকের একটু সময় লাগে, তাই যৌক্তিকতার দাবী হল, এর জন্য বয়স ঠিক না করা। এজন্য ইসলামে বিয়ের বয়স নির্ধারণ করা হয় নি।তার মানে এই না যে ইসলাম নাবালক / অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েকে বিয়ে দিতে বা করাতে উৎসাহ করেছে।

বিয়ে মানে ছেলে-মেয়ের শুধু যৌন জীবন যাপন ই নয় ।তার সাথে অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য জড়িত । বিয়ে সেই করবে যে এই সব দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সম্যক অবগত এবং পারিবারিক-সামাজিক সব দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করতে সক্ষম।

ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের বালেগ হওয়ার বয়সসীমা ও আলামত শরীয়তের পক্ষ থেকে নির্ধারিত রয়েছে। কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে বালেগ হওয়ার নির্দিষ্ট আলামত পাওয়া গেলে বা নির্দিষ্ট বয়সসীমায় পৌঁছলেই তাকে বালেগ গণ্য করা হবে এবং তখন থেকেই শরীয়তের হুকুম-আহকাম তার উপর প্রযোজ্য হবে।
ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত হল -
ক) স্বপ্নদোষ হওয়া।
খ) বীর্যপাত হওয়া।
গ) দাঁড়ি বা গোঁফ উঠা।
আর মেয়েদের বালেগ হওয়ার আলামত হল -
ক) হায়েয (ঋতুস্রাব) আসা।
খ) গর্ভধারণ করা।
গ) স্তন বড় হওয়া।

বালেগ হওয়ার উপরোক্ত নির্দিষ্ট আলামত যদি কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে উভয়ের বয়স যখন হিজরী বর্ষ হিসাবে পনেরো বছর পূর্ণ হবে তখন প্রত্যেককে বালেগ গণ্য করা হবে এবং পনেরো বছর পূর্ণ হওয়ার পর কোনো আলামত পাওয়া না গেলেও সে বালেগ বলেই বিবেচিত হবে। (আল ইনায়া শারহুল হেদায়া ৮/২০১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১৫৩; তাফসীরে কুরতুবী ১২/১৫১)

এখানে আরেকটি বিষয় ,যেমন আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে যেমন ছেলে-মেয়ের সাবালক হওয়ার বয়সের যেই তারতম্য আছে ইসলামে তা নেই।এখানে বয়সকে একটা স্ট্যান্ডার্ড পয়েন্ট বলা যায়। তার মানে এই না যে সব ছেলে-মেয়ে ১৫ বছর হলেই বিয়ে করে বা দেয়।যেমন - আমাদের দেশের আইনে ছেলে-মেয়ের বিয়ের জন্য বয়সের ক্ষেত্রে মেয়ে ১৮ (তবে বাবা-মা চাইলে ১৬ বছর বয়সেও বিয়ে দিতে পারবেন,এটা আইন দ্বারা স্বীকৃত ) এবং ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ ।

তার মানে এইনা যে সকল ছেলে-মেয়ে ১৮/২১ শে ই বিয়ে করে নেয়। এটা আইন দ্বারা স্বীকৃত একটা সীমারেখা মাত্র।ঠিক সেভাবে ইসলামে ১৫ বছর বয়সও একটা অনূণ্য সীমারেখা ।

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:২৮

সাসুম বলেছেন: আমি আগেই বলে রেখেছিলাম- এই ধরনের আরিফ আজাদময় আলোচনায় আমি অংশ নেই না কারন ফান্ডামেন্টাল যায়গা টাতেই সমস্যা তাই। তারপরেও ২/১ কথা এসে গেছে তাই আপনার পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম।

আমার কমেন্ট এর সূত্র ধরেই আবারো- ইস্লামের ফান্ডামেন্টাল কনফ্লিক্ট এর এক্মাত্র যে যায়গা টা তা হল নারীকে মানুষ হিসেবে গন্য না করে শুধুমাত্র সেক্স সিম্বল বা রিপ্রডাক্টিভ সিম্বল হিসেবে গন্য করা। এটাকে আসলে ইস্লামের ফান্ডামেন্টাল দুর্বলতা বলতেও আমি রাজি নই। কারন- এটা সমাজের মাঝেই যুগ যুগ ধরে চলে আসা অন্যায় গুলোর একটা। হোক সেটা কন্যা সন্তান কে পুতে ফেলা কিংবা বাপের সম্পদে মেয়ের কম অধিকার, পুরুষের একের পর এক বিয়ে করে যাওয়া, যখন ইচ্ছে যাকে ইচ্ছে পছন্দ হয় তাকে ধরে বিছানায় নিয়ে যাওয়ার বাসনা, কিংবা যুদ্ধ বন্দি হলে তাকে গনিমতের মাল হিসেবে ইচ্ছে মত সেক্স স্লেভ বানানো, কিংবা দাসী বান্দী দেরকে মানুষ মনে না করে তাদের কে সেক্স স্লেভ কিংবা শুধু অপ্রেসড করা- এসব কিন্তু ইসলাম হুট করেই জারি করে নাই। এটা সভ্যতা শুরু থেকেই চলে আসছে।

আপনি যদি ১৭৫৫ বিসি ( মানে ইস্লামের আবির্ভাবের ২৩৫০ বছর আগের কথা) রাবি কোড এর দিকে তাকান তাহলে দেখতে পাবেন ব্যাবিলনের সম্রাট রা তাদের আইন অনুযায়ী নারীদের কে আর দাস দাসী দের কেও সেইম ভাবে দমিয়ে রাখত। একটা নারীর জীবনের মূল্য ছিল ২০ টা সিলভার এর মূদ্রা, কিংবা কারো খুনের বদলা নিতে চাইলে তাকে শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে তার মেয়েকে খুন করা কিংবা কেউ যদি কোন নারীকে খুন করে কিংবা আঘাত করে তাহলে ২০/৩০ টা সিল্ভার দিয়ে দিলেই সাজা শেষ, অপরদিকে সেই একই কাজ কোন নারী করলে কোন পুরুষের প্রতি তার সাজা মৃত্যুদণ্ড।

নারীকে মানুষ হিসেবে মনে না করা সেই প্রাচীন সমাজ থেকেই চলে আসছে।

তাহলে একটা কথা হতে পারে- ইসলাম নিয়ে কেন এত সমস্যা? কারন- দুনিয়াতে এখন পর্যন্ত যত ধর্ম এসেছে এর মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি কিন্তু জীবন বিধান এর সাথে রিলেটেড ধর্ম গুলোর অন্যতম হল ইসলাম।
এখন, এখানে যখন নারীদের কে মানুষ হিসেবে গন্য না করে গরু ছাগল এর মত বিবেচনা করা হয়, তখন প্রশ্ন আসেই।

ইস্লামের একটা বড্ড মিথ্যা কথা হচ্ছে- নারীদের কে সম্মান দেয়া। এর চেয়ে ঢাহা মিথ্যে কথা সম্ভবত ইস্লামে আর ২য় টা নেই।

সো, ইসলামের অনুসারীরা যখন নারীদের কে দমিয়ে রাখতে চাইবে, কিংবা তাদের কে ১১ বছরে হায়েজ প্রাপ্ত হলে বিয়ে দিতে উঠে পড়ে লাগবে কিংবা নাইজেরিয়া সিরিয়া তে বাচ্চা মেয়েদের স্কুল থেকে তুলে নিয়ে সেক্স দাসী বানাবে কিংবা আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে বোমা মারবে কিংবা কোন কোন মেয়ে স্কুলে যায় বা ঘরের বাইরে যায় তার তালিকা করে তুলে নিয়ে যাবে কিংবা বাংলাদেশে ক্লাস ৫ পাশ করেই সর্বোচ্চ ইসলাম ধর্মীয় নেতার কথা অনুযায়ী বিয়ে দিতে হবে কিংবা যারা ঘরের বাইরে কাজ করে সেই সব মেয়েদের কে পতিতা বা মাগী হিসেবে গন্য করবে এসব অবাক করা বিষয় নয়।

কিংবা, আপনার আজকের এই যে নারীদের আলাদা আলাদা করাও অবাক করা বিষয় নয়। কারন- এটাই আমাদের ইসলাম। এটাই ইসলামে নারী দের কে দেয়া প্রাপ্য অধিকার।
সো, আজকের পর আগামি কাল যখন আপনি বলবেন- ৯ বছর বয়স হলেই মেয়েকে ধরে বিয়ে দিয়ে দাও, কিংবা ক্লাস ৫ পাশ করলেই এনাফ কিংবা আমি এক পুরুষের একের পর নারী লাগবে, কিংবা মেয়ে মানেই খালি সেক্স আর বাচ্চা পয়দা করার মেশিন- তাতেও কারো কিছুই আসবে যাবেনা। কারন- এটাই আমাদের ধর্মের নারীদের প্রতি বানী। আমরা সেভাবেই চলব।

তবে আমার একটা আশা আছে- আপ্নারা যেভাবে সমাজ সংস্কারে এগিয়ে এসেছেন, যেভাবে আরিফ আজাদ রা আজকে দেশের সেরা বিজ্ঞানী, মনীষি কিংবা যেভাবে আমাদের ব্লগের কালা কুত্তার পুটকিতে জিন ভুত দেখা পদার্থ বিজ্ঞানীরা সমাজের আলোর দর্পন- সে দিন আর বেশি দূরে নাই যেদিন আমাদের ঢাকায় ও তলোয়ার আর কালো পতাকা গুলিস্তানের ০ পয়েন্টে উড়বে পত পত করে।

সারা দেশে খেলাফত আর শরীয়া আইন কায়েম হবে। কোন নারীকে ঘরের বাইরে দেখা গেলেই, নেকাব বা চোখ খোলা দেখলেই সাথে সাথে কতল করা হবে। মোদ্দা কথা, ঠিক যেমন করে আমরা স্লোগান দিতাম- আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান- এটা পরিপূর্ন ভাবে কায়েম হয়ে যাবে।

আমীন।

২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই, আপনার আবার ফিরে আসার ও নাতিদীর্ঘ প্রতিমন্তব্যের জন্য।

আপনার কল্পলোকের স্বপ্ন রাজ্যের চমতকার সৌন্দর্যময় ছবি একেছেন। তার জন্য একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন।

আর একটা কথা, বর্তমানে আপনার আশেপাশের পরিবার-সমাজ-দুনিয়ায় মুসলমান নারীদের যে খারাপ পরিস্থিতি চলছে তার গুনগত মানের পরিবর্তনের জন্য আপনার পক্ষে করণীয় বা এর থেকে ভাল কি অপশন (মতবাদ) আছে আপনার কাছে তা যদি সমাজের নারীদের সামনে (আপনার মতবাদ কি শুধু নারী স্বাধীনতার জন্য না কি সমাজের সবার এবং সবকিছুর জন্য তা জানিনা) তুলে ধরতেন তাহলে নারীদের সামনে বিকল্প একটা পথ/মতের তথা মুক্তির দেখা মিলত আর কোন কোন অতি আধুনিক রমণী হয়ত দলে দলে আপনার মতবাদে আস্থা ও বিশ্বাস করে ( আপনার মতে - ইস্লামের ফান্ডামেন্টাল দুর্বলতা ) থেকে রক্ষা পাবার চেষ্টা করত।

?? -ইস্লামের একটা বড্ড মিথ্যা কথা হচ্ছে- নারীদের কে সম্মান দেয়া। এর চেয়ে ঢাহা মিথ্যে কথা সম্ভবত ইস্লামে আর ২য় টা নেই।

আপনার কাছে এবং মতে, নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় ইসলামের থেকে ভাল কি অপশন আছে তা যদি মেহেরবাণী করে ঘোষনা করতেন তাহলে আধুনিক নারীরা তাদের মুক্তি ও স্বাধীনতা রক্ষায় আধুনিক কালে একজন হ্যামিলনের বাঁশিওলা পেত ।

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই আল কোরআনে যা বলা হয়েছে তা তখনই কার্যকরী হয় বা করে যেখানে শরীয়াভিত্তিক আইন এবং শাসন প্রচলিত।
??? - কোরানে স্ত্রীকে মৃদু প্রহারের কথা বলেছে কিন্তু স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া যাবেনা সেটাও হাদিসে আছে।
আপনি স্বামী মারধোর করলে তাকে স্ত্রী ফেরত মারতে পারবে এমন হাদিস দেখাতে পারবেন? বা স্বামীকে রাসুল সা: সাজা দিয়েছেন তার একটা হাদিস দেখাতে পারবেন?
---- পবিত্র কুরআনে কেসাস বা বদলা / অন্যায়ের প্রতিবিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে, "আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে প্রাণের বদলে প্রাণ, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান, দাঁতের বদলে দাঁত এবং জখমের বদলে অনুরূপ জখম। তবে যে ক্ষমা করে, তাতে তার পাপমোচন হবে। আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তা অনুসারে যারা বিধান দেয় না (বিচার ফয়সালা করে না), তারাই জালেম"। (সুরা আল-মায়েদা,আয়াত - ৪৫)
আশা করি ভাই আপনার জবাব এখানে এই আয়াতে পেয়েছেন বা পাবেন।


আপনি হাদিসটা পুরোপুরি পড়েন নাই। এখানে স্ত্রী স্বামী তাকে মেরেছিলো তার বিচার চাইতে এসেছিলো এবং সেটার বিচার করার সময় উপরের নিদের্শ আসে। যে স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া যাবে না। এখানে কিসাস চলবেনা।

আর যখন বলা হয় যে বালেগ হবার পরে গুনাহ করলে সেটার দায়াভার বাবার কাথা পড়বে সেটা সামাজিক/ধর্মীয় ভাবে উতসাহিত করা হয় যে নারী বালেগ হলেই বিবাহ দেয়া।

ইসলাম নারীদের ১১/১২ হলেই বিয়ে দিতে উতসাহিত করে। নারীদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে বলে না।

আপনি আসল সহী ইসলামী পন্হায় নারীদের জীবন জাপন করতে উতসাহিত করুন।

২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই,আবার ফিরে আসার ও দীর্ঘ প্রতিমন্তব্যের জন্য সাধুবাদ।

ছেলে-মেয়েকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং তাদের ভাল মানুষ তথা নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া বাবা-মায়ের নৈতিক দায়িত্ব। বাবা-মায়ের অবহেলা বা সঠিক শিক্ষার অভাবে ছেলে-মেয়ে যদি খারাপ কাজ করে এর দায় বাবা-মা এড়াতে পারেনা।এর জন্য যে নারীদের ১১/১২ হলেই বিয়ে দিতে হবে এমন কথা নয় তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা নয় এবং এমন যে (বাল্যবিবাহ) হয়না তাও নয় ।

আর আপনি-আমি যদি বাল্যবিবাহর দিকে তাকাই এবং প্রতিটা বাল্যবিবাহের কারন অনুসন্ধান বা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব যে সেখানে ধর্মের ভূমিকার চেয়ে বাবা-মায়ের অর্থনৈতিক অবস্থান বা দারিদ্রতাই মূল কারন। কোন বাবা-মাই তা সে যে কোন ধর্ম মানুক কিংবা না মানুক তার কন্যাকে বাল্যবিবাহ দিতে চায়না যদিনা সর্বগ্রাসী অভাব থাকে। আর ভাই, যেখানে অভাব থাকে সেখানে কোন ধর্মই কাজ করেনা তা সে ইসলামই হোক কিংবা মানব ধর্ম যাই হোকনা কেন।

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮

সাসুম বলেছেন: আপনার কাছে এবং মতে, নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় ইসলামের থেকে ভাল কি অপশন আছে তা যদি মেহেরবাণী করে ঘোষনা করতেন তাহলে আধুনিক নারীরা তাদের মুক্তি ও স্বাধীনতা রক্ষায় আধুনিক কালে একজন হ্যামিলনের বাঁশিওলা পেত

নারীকে তার নিজের মত চলতে দেয়া, নারী ও পুরুষের মত আরেক টা মানব সম্প্রদায়- এটা আগে করতে দেন। নারী অধিকার না, সম অধিকার। যেটা উন্নত সভ্যতা গুলো করে থাকে আর কি।

নারীকে শুধু পুরুষের কামনা বাসনা আর বাচ্চা পয়দা করার মেশিন হিসেবে চিন্তা না করে- পুরুষের মতই জাস্ট আরেকটা মানব সত্তা হিসেবে চলার সুযোগ দেন তাতেই চলবে। আপনি শুধু বাধা না দিলেই আপাতত চলবে, বাকিটা সময় ঠিক করে নিবে।

বিঃদ্রঃ আমাকে নারীবাদি ভাবার কোন কারন নেই। আমাকে কেউ নারীবাদি ট্যাগ দিলে নরকের পাহারাদার ও হো হো করে হেসে উঠবে এই জোক্স এ।

২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সাসুম ভাই, মানুষ (নর-নারী) যখন প্রকৃত শিক্ষা তথা নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তার করণীয় কাজ করবে এবং নিজের অধিকার ও কর্তব্যের সীমারেখা মেনে চলার পাশাপাশী অন্যের অধিকার ও কর্তব্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে তখন দুনিয়া এমনিতেই সুন্দর ও বাসযোগ্য হয়ে উঠবে ।তার জন্য কোন ধর্মেরও তেমন দরকার নেই।তারপর ও ধর্ম তার অনুসারীদের কিছু পালনীয় এবং বর্জনীয় বিষয়ে আদেশ দেয় এবং নিষেধ করে কিন্তু তা পালনে কাউকে বাধ্য করেনা।

আবার ধর্ম মানুষকে সহনশীল তথা অন্যের অধিকার ও কর্তব্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে ও সহনশীল হতেই শিখায় এবং বলে।

--- বিঃদ্রঃ আমাকে নারীবাদি ভাবার কোন কারন নেই। আমাকে কেউ নারীবাদি ট্যাগ দিলে নরকের পাহারাদার ও হো হো করে হেসে উঠবে এই জোক্স এ।

- ভাই ,চিন্তায় :( ফালাই দিলেন!!!! নরকের পাহারাদার এর সাথে আপনার জানা-শোনা আছে ,এ জেনে ত ভয় লাগছে :P ।কখন আবার আমাকে ধরে বেঁধে (ভূলিয়ে-ভালিয়ে) নিয়ে তার নিকট দিয়ে আসেন এটা বলা যায়না।তাই আপনার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। ভাই মাপ করে দেন আমাকে ,আর কিছু বলুম না আপনাকে।

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২০

নতুন বলেছেন: রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه
তোমাদের মাঝে যার কোন (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোন পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)


লেখক বলেছেন: নতুন ভাই,আবার ফিরে আসার ও দীর্ঘ প্রতিমন্তব্যের জন্য সাধুবাদ।
ছেলে-মেয়েকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং তাদের ভাল মানুষ তথা নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া বাবা-মায়ের নৈতিক দায়িত্ব। বাবা-মায়ের অবহেলা বা সঠিক শিক্ষার অভাবে ছেলে-মেয়ে যদি খারাপ কাজ করে এর দায় বাবা-মা এড়াতে পারেনা।এর জন্য যে নারীদের ১১/১২ হলেই বিয়ে দিতে হবে এমন কথা নয় তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা নয় এবং এমন যে (বাল্যবিবাহ) হয়না তাও নয়
আর আপনি-আমি যদি বাল্যবিবাহর দিকে তাকাই এবং প্রতিটা বাল্যবিবাহের কারন অনুসন্ধান বা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব যে সেখানে ধর্মের ভূমিকার চেয়ে বাবা-মায়ের অর্থনৈতিক অবস্থান বা দারিদ্রতাই মূল কারন। কোন বাবা-মাই তা সে যে কোন ধর্ম মানুক কিংবা না মানুক তার কন্যাকে বাল্যবিবাহ দিতে চায়না যদিনা সর্বগ্রাসী অভাব থাকে। আর ভাই, যেখানে অভাব থাকে সেখানে কোন ধর্মই কাজ করেনা তা সে ইসলামই হোক কিংবা মানব ধর্ম যাই হোকনা কেন।


তাহলে উপরের হাদিসের নির্দেশেের সম্পর্কে আপনার কি? এখানে বালেগ হবার পরেই বিয়ে দিতে বলেছে এবং সাথে সতর্ক করেছে যে যদি মেয়ে পাপ করে তবে দায় পিতার।

আর উপরের আপনার ব্যক্ষা হইলো দারিদ্রতার কারনে বাল্য বিবাহ হয়। !!

কিন্তু ইসলামের নির্দেশ টা তো বালেগ হইলেই মেয়ে কে বিবাহ দিতে হবে।

২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, মূল বিষয় সঠিক (এখানে বালেগ হবার পরেই বিয়ে দিতে বলেছে এবং সাথে সতর্ক করেছে যে যদি মেয়ে পাপ করে তবে দায় পিতার।) তবে আপনি একটা জিনিষ হয়ত ভুলে গেছেন,এখানে শুধু মেয়েদের কথা বলা হয়নি। ছেলে - মেয়ে উভয়ের কথাই বলা হয়েছে।

আর আপনি যদি আমাদের দেশের সংবিধানের বা আইনের ধারার দিকে তাকান তাহলে দেখবেন একটা আইনের কতগুলি ধারা বা উপধারা আছে (আইনের ব্যাখ্যা)।যেখানে মুল বিষয় ঠিক থাকে তার পর ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ব্যাখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে বা যায়।

এখানেও বালেগ হওয়ার পর ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিতে বলা হয়েছে তবে এর ব্যাখ্যাও আছে। এখন আমরা যে যেভাবে ব্যাখ্যা করি তার গতিপ্রকৃতিও সেই রকম (যার যার মন মত) হবে।

১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই, <<<<<<<<<<<<<
আপনার কাছে এবং মতে, নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় ইসলামের থেকে ভাল কি অপশন আছে তা যদি মেহেরবাণী করে ঘোষনা করতেন তাহলে আধুনিক নারীরা তাদের মুক্তি ও স্বাধীনতা রক্ষায় আধুনিক কালে একজন হ্যামিলনের বাঁশিওলা পেত ।


বর্তমানে এই মডেল বিশ্বেই প্রচলিত আছে।
* নারীকে শিক্ষা দিন, নুনতম ১২ শ্রেনী পযন্ত তার পরে বিয়েতে উতসাহিত করুন( শিক্ষিত মা শিক্ষিত জাতী দিতে পারে)
* নারীকে তার ইচ্ছা মতন পোষাক পড়তে দিন। ( কোন নারী উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় চলতে পছন্দ করেনা, তারা সুন্দর পোষক পড়তে চায়)
* নারীর চরিত্র হাইমেন নামক একটা পর্দার উপরে বেইড কইরা চিন্তা কইরেন না। ( নারীও একজন পুরুষের মতন মানুষ)
* নারীকে আর ১০ জন পুরুষের মতন সমাজে চলাফেরা, কাজ করার স্থান দিন।
* যারা নারীর উপরে অত্যাচার করে তাদের বিচার করুন। ( রাস্তায় ইভ টিজারের বিচার হলে কোন ছেলে এই কাজ করবেনা, সভ্য দেশে রাস্তায় মেয়েদের টিজ করলে পুলিশে অভিজগ করলে তার বিচার হয়, আমাদের দেশে হয় না)
*

২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই,

১। ইসলাম নারীর শিক্ষায় উৎসাহ দেয় প্রতিবন্ধকতা পরিহার করতে বলে (কারন শিক্ষিত সচেতন মা সুশিক্ষিত ছেলে-মেয়ে)।
২। পোশাকের ব্যাপারে শালীনতা বজায় রাখতে তথা শালীন হতে বলে (তা নারীর সম্মান ও মর্যাদার জন্যই)।
৩।ইসলামে নারীর চরিত্রকে সবার উপরে স্থান ( কারন চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান) দেয় এবং অবাধ যৌন জীবন সমর্থন করেনা তা সে নর কিংবা নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই।
৪।প্রয়োজনে চলাফেরায় কোন বিধি-নিষেধ দেয়না (শুধু তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় এবং বাহিরে শালীনভাবে যেতে বলে) । ৫। তার উপর কোন প্রকার শারিরীক নির্যাতন বা অত্যাচার ইসলাম সমর্থন করেনা।

এ সবই ইসলামে আছে তবে ব্যাখ্যায় বা প্রয়োগে হয়ত কিছুটা এদিক সেদিক।

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৪

সাসুম বলেছেন: নরকের পাহারাদার দের সাথে আমার জানাশোনা আছে, একচুয়ালি আমার না মোটামুটি বাংগালির জানাশোনা আছে।

কারন, বাংগালির চেয়ে বেশি পাপী কেউ হতে পারেনা, এবং বাংগালির মত কুট ও কেউ হতে পারবেনা। সো, এই পজিশান বাংগালিই পাবে।

আবার ধর্ম মানুষকে সহনশীল তথা অন্যের অধিকার ও কর্তব্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে ও সহনশীল হতেই শিখায় এবং বলে।


এটা মনে হয় সঠিক না, কারন বেশির ভাগ ধর্মেই ধর্ম কায়েম করার কথা বলা হয়েছে, মানে আপ্নে আসতে না চাইলেও আমার ধর্মে জোর করে, অস্ত্রের মুখে আমার ধর্মে নিয়ে আসার ফরমায়েশ রয়েছে। ইভেন না আসতে চাইলে জেনোসাইড ও করা হয়েচ্ছে, এমন হাজার হাজার এক্সাম্পল আছে।
তাই, আপনার এই কথাটা একদম মানতে পারলাম না।


আর আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে করা আপনার মন্তব্য ই কিন্তু আমি বলতে চেয়ে এসেছি।

নারীকে পুরুষের মনোরঞ্জন এর উপাদান না ভেবে, মানব এর দুইটা পার্ট ( নর ও নারী ) এর একটা ভেবে তাকে তার মত চলতে দিলেই হয়। পুরুষ যেমন তার ভাল মন্দ বুঝতে পারার মত ব্রেণ আছে, নারীর ও সেইম। জাস্ট পুরুষ হয়ে ইন্টারফেয়ার না করলেই চলবে।

এটাই কিন্তু হয়ে আসছে উন্নত দেশ গুলোতে। আমার বাসার নীচে ডেইলি সকাল ৪.৩০ থেকে মেয়েরা জগিং এ বের হয়, কখনো কোন মেয়ে হ্যারেস্মেন্ট বা বুকে ওড়না কই এটা শুনতে হয় নি। কোন ছেলে কখনো উত্যক্ত করে নি। কেউ বলেনি, তোমার মাথায় হিজাব কই, কিংবা কেন পুরুষ মাহরাম ছাড়া জগিং করতে বেড়িয়েছ।

এটাই উন্নত জাতি ও সভ্যতার লক্ষন। এবং মানব হিসেবে এটাই সবার চাওয়া। এখন আপনি যখন মানুষ কে মানুষ হিসেবে গন্য করবেন নারী বা পুরুষ হিসেবে না তখন কিন্তু সমাজে সাম্যবস্থা আসবে।

আর নীতি নৈতিকতাঃ এটা যার যার সমাজে তার তার মত। এটা ঠিক ব্যাক্তি স্বাধীনতার মতই , আপনি কারো ক্ষতি করতে পারবেন না তবে নিজের মত চলতে পারবেন। ইউ এস এ এর- ফার্স্ট এমেন্ডমেন্ড এ একটা আইন আছে। আপনি অন্যের ক্ষতি না করে নিজের মত চলার ১০০% স্বাধীনতা আছে আপনার। এটাই হল সভ্যতা। ( বিঃদ্রঃ আমি বলছিনা, ইউ এস এ ১০০% ঠিক সভ্যতা, জাস্ট বুঝাতে চাইলাম যার যার নিজের মত চলাই অন্যকে ক্ষতি বা বিব্রত না করে আসল সভ্যতা)

এটা করতে দিতে হবে। আমার দেশের একটা মেয়ে স্কুলে পড়বে বা ইউনিতে পড়বে রাতের ৩.৩০ টায় বের হবে না রেল স্টেশনে শুয়ে থাকবে, বিকিনি পড়বে না বোরকা পড়বে এটা নারীর নিজের উপরে ছেরে দিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। আর ঝামেলা থাকেনা।

এটাই হওয়া উচিত।

২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সাসুম ভাই,

আমরা যদি ধর্ম ছেড়ে দিয়ে নিরপেক্ষ (যদিও পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয় বলে বহুল প্রচলিত মতবাদ আমরা জানি ) ভাবে দেখি এবং সেটা ইউরোপ কিংবা আমরিকার সামাজিক প্রেক্ষাপটেও বিচার করি তাহলে কি সেখানে নারীদের শতভাগ স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা আমরা দেখি বা নারীরা পায়?

১। ইসলাম নারীর শিক্ষায় উৎসাহ দেয় প্রতিবন্ধকতা পরিহার করতে বলে (কারন শিক্ষিত সচেতন মা সুশিক্ষিত ছেলে-মেয়ে)।
২। পোশাকের ব্যাপারে শালীনতা বজায় রাখতে তথা শালীন হতে বলে (তা নারীর সম্মান ও মর্যাদার জন্যই)।
৩।ইসলামে নারীর চরিত্রকে সবার উপরে স্থান ( কারন চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান) দেয় এবং অবাধ যৌন জীবন সমর্থন করেনা তা সে নর কিংবা নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই।
৪।প্রয়োজনে চলাফেরায় কোন বিধি-নিষেধ দেয়না (শুধু তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় এবং বাহিরে শালীনভাবে যেতে বলে)। ৫। তার উপর কোন প্রকার শারিরীক নির্যাতন বা অত্যাচার ইসলাম সমর্থন করেনা।

স্বাধীনতার সংগা এবং এর প্রয়োগ ও ভোগে দেশে দেশে ভিন্নতা বা পার্থক্য রয়েছে. আর সারা দুনিয়ায় এবং মানব জীবনের কোন স্বাধীনতাই শর্তহীন নয়।এখন এটা আমেরিকা,চীন,ইউরোপ কিংবা বাংলাদেশ যেখানেই হোক না কেন। এ সবই ইসলামে আছে এবং এসবের সুফল ও কুফলও বলা হয়েছে তবে ব্যাখ্যায় বা প্রয়োগে হয়ত কিছুটা এদিক সেদিক।

১৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৭

সাসুম বলেছেন: আজকে ইউরোপ আম্রিকার চীন বা জাপান কোরিয়ার রাত ৩ টায় একটা মেয়ে বিকিনি পড়ে নিজের খেয়াল খুশিমত রাস্তায় হেটে বেড়াতে পারবে। এবং পারে ( এটা সত্য, আমি নিজ চোখে দেখি ডেইলি ভোররাতে আমার বাসার নীচ দিয়ে মেয়েরা জগিং এ যায় )
কেউ তাদের নিয়ে টু শব্দটি করে না। কারন এটাই তাদের শিক্ষা। অন্যের প্রতি সম্মান দেখানো কিংবা কেউ বলে খাঙ্কে মাগে ওরনা কই, কারন তারা আগে মানুষ পরে পুরুষ নারী।

আপনার দেশে কি এটা পসিবল? একটা মেয়ে রাতে শহরে বা গ্রামে বের হতে পারবে?? তার মানে আপনার এতদিনের ধর্মীয় শিক্ষা আর সামাজিক শিক্ষা পুরোপুরি ভুল। ইউরোপ আম্রিকার যদি শতভাগ নিরাপত্তা নাও থাকে অন্তত ৭০ ভাগ্ম বা ৮০ ভাগ বা ৯০ ভাগ আছে।

আপনার দেশ আর ধর্মীয় শিক্ষায় এটা ১% ও নেই। এটা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মালেশিয়া, ইরান, ইরাক, সৌদি, কাতার, ওমান, কুয়েত, দুবাই বা যে কোন মুসলিম দেশে পসিবল?? কোন নারী পারবে ক্ষতি না হওয়ার ভয় করে নিজের মত করে ঘর থেকে বের হতে?

বাট উন্নত দেশ গুলাতে তো ঠিকই পারছে! বিধর্মী আর ধর্মহীন দেশ গুলাতে তো কোন সমস্যাই নেই!

তাহলে আমি কি করে বল্ব, আপনি সঠিক ?? আমি কি করে বল্ব, আপনার মতবাদ ঠিক??

২৬ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই আপনার কথা ঠিক আছে ।

ধর্ম শুধু মানুষকে বলতে পারবে , ধর্মগুরু মানুষকে বুঝাতে পারবে কিন্তু পরিবর্তন আসতে হবে যার যার নিজ থেকে/ভিতর থেকে।যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ নিজ থেকে পরিবর্তিত না হবে ,সব কিছুর উপর মানবিকতাকে স্থান দিতে না শিখবে ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্ম মানুষের জীবনে কোন প্রভাব বা ভূমিকা রাখতে পারবেনা।

আর এসব সমস্যার জন্য ধর্ম দায়ী নয় ,দায়ী আমরা যাদের মাঝে ধর্ম কিংবা মানবিকতা থেকে লোভ-লালসা এবং ব্যক্তিগত স্বার্থই বেশী প্রাধান্য পায়।

১৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

সাসুম বলেছেন: আপনার সাথে আলোচনা করে মজা পাচ্ছি। কন্টিনিউ করছি তাই-

আপনার মতে ধর্ম মানুষ কে বলবে কিন্তু পরিবর্তন আসতে হবে মানুষ এর ভেতর থেকেই ইন্টারেস্টিং।

এটা শুধু ইস্লামিক দেশ বা মোসলমান দের জন্য খাটে কেন? বিধর্মী কিংবা ধর্মহীন দেশ গুলাতে কেন তারা ধর্ম প্রচার ছাড়াই কিংবা ভিন্ন ধর্ম মতাবলম্বী হয়েও মানুষ হতে পেরেছে অথচ আমরা পারি নাই? যদি আমাদের ধর্ম, আমাদের নিজেদের কে মানুষ করতে না পারে, তাহলে কোথায় পারবে?

কেন উন্নত সভ্যতা গুলো ধর্ম প্রচার ছাড়াই বা দ্ভিন্ন ধর্মের হয়েও একটা মেয়েকে মানুষ হিসেবে সম্মান দিচ্ছে? রাস্তায় একা পেয়ে আক্রমন করছে না। রেপ করছে না। হেরেস্মেন্ট করছে না।

কেন? কোন যুক্তিতে? কোন কারনে? সেসব উন্নত দেশ গুলো কিন্তু বেশিরভাগ আব্রাহামিক ধর্মের লোকদের আধিক্য। যাদের আমাদের ইসলাম এর সাথে শেষ নবী বাদে অনেক অংশে মিল।

আমাদের ইস্লামিক দেশ গুলো পারছেনা কেন? কেন আমরা এত ধার্মিক ও ধর্ম দিয়ে সমাজ চালাতে চেস্টা করার পরেও এখনো অমানবিক হয়ে রয়েছি? এর কারন কি বলে মনে করেন?

২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: প্রথমই দুঃখ প্রকাশ করছি, দেরীতে উত্তর দেওয়ার জন্য ।

** আপনার সাথে আলোচনা করে মজা পাচ্ছি। কন্টিনিউ করছি তাই -

-- ভাই, আমিও আপনার এবং নতুন ভাইয়ের সাথে যুক্তি-তর্ক চালিয়ে অনেক কিছু জানতে পারছি। আসলে বতমানে আমরা সবাই বড়ই অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি এবং কেউ কাউকে সহ্য করা ,ধৈর্য্য ধরে কারো সাথে কথা বলা, বিরোধীতা বা বিরোধীমত সহ্য না করা , যুক্তি-তর্কের ধার না ধরা,সমালোচনা বরদাশত না করা ইত্যাদি নানা দোষে দুষ্ঠ হয়ে পড়েছি আমরা।অথচ সমালোচনা হতে পারে নিজেকে জানার-বুঝার শ্রেষ্ঠ পথ,পারস্পরিক আলাপ আলোচনা-যুক্তি-তর্ক হতে পারে যে কোন বিষয়ে নিজের জানাকে ঝালিয়ে নেয়ার সবচেয়ে ভাল উপায়,এগুলি আমরা ভূলে সবাই "মুই কি হনুরে" বা "আমি সব জানি" ভাবের উপর ভাবের জগতে বসবাস করি।আর এজন্যই সারাদুনিয়ায় এখন মানুষের এ দূরবস্থা।

**আপনার মতে ধর্ম মানুষ কে বলবে কিন্তু পরিবর্তন আসতে হবে মানুষ এর ভেতর থেকেই ইন্টারেস্টিং।এটা শুধু ইস্লামিক দেশ বা মোসলমান দের জন্য খাটে কেন? বিধর্মী কিংবা ধর্মহীন দেশ গুলাতে কেন তারা ধর্ম প্রচার ছাড়াই কিংবা ভিন্ন ধর্ম মতাবলম্বী হয়েও মানুষ হতে পেরেছে অথচ আমরা পারি নাই? যদি আমাদের ধর্ম, আমাদের নিজেদের কে মানুষ করতে না পারে, তাহলে কোথায় পারবে?

-- ভাই, এই প্রশ্নের জবাবটা যদি এভাবে হয় - মানুষের ভাল তথা পরিবর্তন মানুষের ভিতর থেকেই আসে। এখন মানুষের ভিতর কিভাবে পরিবর্তন আসবে?
একটা মানুষ যখন জন্মায় তার উপর তার বাবা-মায়ের জেনেটিক প্রভাব থাকে।বাবা-মায়ের জেনেটিক প্রভাবের ফলে জন্মের সাথে সাথেই সে কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য প্রাপ্ত হয় ,যদিও সে তখন কিছুই বুঝেনা ।তার পর ধীরে ধীরে যখন বড় হয় তখন তার বাবা-মা,পরিবারের বাকী সদস্য,আশেপাশের সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রচলিত নিয়ম-কানুন থেকে দেখে-শুনে ,ঠেকে-ঠকে যা কিছু শিখে তাই তাকে সে ভাবে গড়ে তুলে এবং উঠে যেখানে ধর্মের প্রভাব খুবই কম বা নেই বললেই চলে।
এখন আপনি-আমি যদি আমাদের পরিবারে-সমাজের চারপাশে দেখি তাহলে দেখব,সবজায়গায় অনৈতিকতা তথা খারাপের জয়জয়কার। ভাল যে নেই তা নয় তবে খারাপের ভীরে ভাল হারিয়ে যাওয়ার মত।একজন মানুষের যদি পরিবার-সমাজ-বন্ধুবান্ধব তথা আশেপাশের সবাই মোটামুটি খারাপ হয় তাহলে সেই পাপ না করা কিংবা বাচচা মানুষেরও ভাল হওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে যায়।আর ধর্ম সম্পর্কেত আমরা জানতে জীবনের অনেকটা সময় পরে ,মোটামুটি বড় হওয়ার পরে (৭/১০ বছরে)।আর যখন ধর্ম সম্পর্কে কিছু জানি ততদিনে আমাদের মনের গভীরে আশে-পাশের পরিবেশের গভীর প্রভাব পড়ে যায়।পরে আর তার থেকে আমরা বেরিয়ে ধার্মিক কিংবা মানবিক হিসাবে নিজেকে তৈরী করতে কিংবা বদলাতে পারিনা।

- আমরা যদি সমাজের মানুষের দিকে বা দেশের দিকে তাকাই তাহলে দেখব যে, একটা দেশ আইন-শাসন-বিচার বিভাগের
সমন্বয়ে চলে।আইন বিভাগ (সার্বভৌম সংসদ) শুধু আইন প্রণয়ন করে,আইনের বাস্তবায়নের (পুলিশ,র্যাব,বিডিআর,আর্মি,আনসার ) দায় শাসন বিভাগের ।আর মানুষ জন্মগত ভাবে স্বাধীনচেতা।সে বাধ্য না হলে কাউকে মানতে বা কোন নিয়ম কানুন অনুসরন করতে চায়না । আর তাই আইন না মানার জন্য নাগরিকদের শাস্তি দেয়ার জন্য রয়েছে বিচার বিভাগ।আর ৩ বিভাগের সমন্বয় এবং যথাযথ দায়িত্ব পালনের ফলেই একটি দেশ - জাতি সুসভ্য,সুনাগরিক ও মানবিক হিসাবে গড়ে উঠে।এখানেও ধর্মের প্রভাব খুবই কম নাগরিকের জীবনে।

- এবার দেখি ধর্মের দিকে - ধর্মকে যদি আইন বিভাগ ধরি (যা মহান সার্বভৌম আল্লাহ কর্তৃক এবং সংবিধান তার আল কোরআন -হাদিস),তাহলে আমরা দেখব এখানে শাসন বিভাগ বর্তমানে (খোলাফায়ে রাশেদীন তথা ইসলামী শাসন কিংবা শাসক) অনুপস্থিত।আর যেখানে শাসন বিভাগ অনুপস্থিত থাকে সেখানে জন্মগত ভাবে স্বাধীনচেতা মানুষ ধর্ম প্রণীত নিয়ম নীতি মেনে চলতে চাইবেনা বা পুরোপুরী মানবেনা।আর যেহেতু শাসন বিভাগ নেই তাই এখানে বিচার বিভাগ ও নেই(যদিও বিচার হবে একসময় এবং স্বয়ং আল্লাহ বিচারক হয়ে বিচার করবেন,তবে তা এখনি নয় - পরকালে) তাই মানুষ শুধু ততটুকুই ধর্ম মানে বা মানতে চায় যা সে চায় বা যাতে তার আগ্রহ তথা স্বার্থ আছে বলে মনে করে।আর এতসবের মাঝে নিরপেক্ষভাবে বিচার করে দেখেন ধর্ম কিভাবে এবং কতটুকু পারবে আমাদেরকে মানবিক বা ধার্মিক করতে?কারণ,এখানে কেউ আমাকে হাতে ধরে বা বুঝিয়ে বলার নেই ধর্মের বা মানবিকতার ব্যাপারে।আর যদিও কেউ কেউ কিছু বলে দেখা যায় সে তার নিজস্ব আগ্রহের বিষয় বা স্বার্থগত বিষয়েই বলে। বাকী সব বিষয়ে নীরব থাকে।

আর তাইতো আমারা নামে মুসলমান হয়েও মানবিক বা ধার্মিক হতে পারছিনা

২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, ধর্ম নিয়ে একটা পোস্ট অনেক অনেক দিন ধরে লিখতে চেষ্টা করছি।আপনার এবং নতুন ভাইয়ের আগ্রহ দেখে সেই পোস্টটি আগামী সপ্তাহে দিব আশা করি , ইনশাআল্লাহ। এপোস্টের মত সেখানেই আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহন আশা করি। অগ্রিম আমন্ত্রণ রইল।

২০| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নতুন ভাই

১। ইসলাম নারীর শিক্ষায় উৎসাহ দেয় প্রতিবন্ধকতা পরিহার করতে বলে (কারন শিক্ষিত সচেতন মা সুশিক্ষিত ছেলে-মেয়ে)।
২। পোশাকের ব্যাপারে শালীনতা বজায় রাখতে তথা শালীন হতে বলে (তা নারীর সম্মান ও মর্যাদার জন্যই)।
৩।ইসলামে নারীর চরিত্রকে সবার উপরে স্থান ( কারন চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান) দেয় এবং অবাধ যৌন জীবন সমর্থন করেনা তা সে নর কিংবা নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই।
৪।প্রয়োজনে চলাফেরায় কোন বিধি-নিষেধ দেয়না (শুধু তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় এবং বাহিরে শালীনভাবে যেতে বলে) ৫। তার উপর কোন প্রকার শারিরীক নির্যাতন বা অত্যাচার ইসলাম সমর্থন করেনা।

এ সবই ইসলামে আছে তবে ব্যাখ্যায় বা প্রয়োগে হয়ত কিছুটা এদিক সেদিক।


আপনি বুঝতে পারছেন যে পরিবর্তন দরকার আছে কিন্তু তাল গাছটা ছাড়তে পারছেন না।

ধর্মের কট্টর অনুসরন না করলেও মানুষ ভালো হতে পারে এটা বুঝতে পারলেই আমার মতামত।

আমাদের দেশের নারীরা যথেস্ঠ স্বালীন পোষাক পরে, তাদের স্কুলে, কলেজে যেতে দিতে হবে, তাদের ধর্ম শিক্ষা দিন কোন সমস্যা নাই্ কিন্তু বর্তমানে পুরুষত্রান্তিক সমাজ ধর্মকে ব্যবহার করে নারীর উপরে নিয়ন্ত্রন বজায় রাখতে চায়।

উপরে হাদিস দিয়েছি যে স্বামী অসন্তুন্স থাকলে ফেরেস্তারা সারারাত অভিষাপ দেয়.... এই জাতীয় হাদিস বর্তমানে ওয়াজের প্রধান টপিক।

২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: * *আপনি বুঝতে পারছেন যে পরিবর্তন দরকার আছে কিন্তু তাল গাছটা ছাড়তে পারছেন না।

-- ধন্যবাদ নতুন ভাই।আসলে এ আমাদের জন্মগত অভ্যাস। একান্ত বাধ্য না হলে আমরা কেউ বিচার মানতে চাইনা।আর তাল গাছটা কিভাবে ছাড়ব বলেন? কত দিনের সেই তালগাছ,কত শত সুখ-দুখের সাথী আর তার সাথে সাথে এটা একটা সম্পদ বা প্রয়োজনীয় জিনিস যা বিপদের দিনে কাজে আসবে। এই জন্য তা ছাড়া কষ্টকর বা ছাড়তে চায়না কেউ।তারপরেও আপনার যুক্তি-তর্ক তথা বিচারে তৃপ্ত হয়ে দিলাম তালগাছটা ছেড়ে ।আর আসুন আমরা সবাই মিলে এমন এক সমাজ গড়ে তুলি যেখানে মানবীয় তথা মানব ধর্মের জয়-জয়কার হবে ,পশুপ্রকৃতির নয়।যেখানে আমরা সবাই হবো মানবিক এবং চর্চা করবো মানবতার।

ভাই, ধর্ম নিয়ে একটা পোস্ট অনেক অনেক দিন ধরে লিখতে চেষ্টা করছি।আপনার এবং সাসুম ভাইয়ের আগ্রহ দেখে সেই পোস্টটি আগামী সপ্তাহে দিব আশা করি , ইনশাআল্লাহ। এপোস্টের মত সেখানেই আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহন আশা করি। অগ্রিম আমন্ত্রণ রইল।

২১| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬

সাসুম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ । কিন্তু আমার প্রশ্ন আর আপনার উত্তর আলাদা হয়ে গেল।

আমার জানার ছিলঃ উন্নত সভ্যতা গুলো কেন এবং কি করে আমাদের ইসলাম ও মুসলিম দের সেরা আইন না মেনেও কিংবা ধর্ম হীন থেকেও কিংবা অন্য আব্রাহামিক ধর্ম বিশ্বাসী হবার পরেও তারা সভ্য আর আমরা যেখানে আইন আছে কিন্তু ইস্লামী শরিয়া নেই তারা অসভ্য কেন? এটার উত্তরে আপনি বলেছেন- আমাদের ইস্লামী শাসন নেই।

কিন্তু, তাহলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মালেশিয়া, ইরান, ইরাক, সৌদি, কাতার, ওমান, কুয়েত, দুবাই , নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া, সিরিয়া, লেবানন সহ সকল টাকা পয়সার দিক থেকে উন্নত বা গরিব যেই দেশ ই হোক না কেন- তারা সভ্য নয় কেন?
বিধর্মী ও ধর্ম হীন রা যদি নারীদের কে রক্ষা করতে পারে অসভ্যতার হাত থেকে, তাহলে আমাদের ধর্ম ও আইন কেন পারছে না?? তাহলে কি আমাদের প্রয়োগ ও প্রচার এবং সিস্টেম এ সমস্যা?

আজকে একটা ইস্লামী দেশে একটা নারী মানুষ হিসেবে , মানব স্পিসিস এর একটা ভাইটাল পার্ট হিসেবে যে অধিকার ও সুযোগ পায় সেটা ইস্লামী সমাজ ও শাসন ব্যবস্থায় পায় না কেন?? আমার বড় আকারের প্রশ্ন ছিল এটাই।

এটার একটা বড় কারন কিন্তু আমি দেখাতে পারি ভাই-

সভ্যতার একদম শুরু থেকেই ধর্ম ছিল। কেন ছিল? কারন মানুষ যখন থেকে বুঝতে শিখলো তখন থেকে তারা আর গরু ছাগল এর মত বুদ্ধিহীন ছিলনা। তাদের কে পরিচালনা করার জন্য ধর্ম লাগতই। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ধর্ম এত বেশি প্রভাব বিস্তার শুরু করলো যে, সেটা হুমকি হয়ে উঠলো সভ্যতার জন্য। একটা গাছের গায়ে অল্প পরগাছা ভাল, কিন্তু যখন সেই পরগাছা আসল গাছটাকেই আড়াল করে দেয় সূর্যের আলো থেকে- তখন সেটাকে কেটে ফেলতে হয়। নাহলে আসল গাছ টার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে, মোট কথা আগাছা বা পরগাছা কে নিয়ন্ত্রনে রাখতে হয়।

উন্নত দেশ গুলো- ধর্ম কে নিয়ন্ত্রনে রেখেছে বা রাখতে পেরেছে। আমাদের ইস্লামিক দেশগুলো সেটা পারেনি বিধায় এই দুরবস্থা।

আমাদের কে একটা জিনিষ সবার আগে মানতে হবে- মানুষের জন্য ধর্ম এসেছে। ধর্মের জন্য মানুষ নয়।

মানবাধিকার হোক সেটা পুরুষ বা নারী সমান সবার জন্য ( এই কথা বলে আমি নিজের একটা মতবাদ এর সাথে দ্বিমত করছি, একচুয়ালি মানবাধিকার জিনিষ টা ভেগ একটা জিনিষ। এই দুনিয়ার প্রতিটা প্রাণের সমান অধিকার, মানব বলে আমাদের আলাদা বেশি কোন অধিকার থাকার কথা না, বাট আজকের তর্কের খাতিরে আমি মানবাধিকার কে মেনে নিচ্ছি)

এই নারী এবং পুরুষ কে সমান মানব হিসেবে যতদিন আমরা মেনে নিতে না পারব- ততদিন কিন্তু আমাদের অবনতি হতেই থাকবে।

আমরা সহশিক্ষা অফ করি আর চালু করি- আপনার শিক্ষা হতে হবে এমন যাতে একজন আরেকজঙ্কে মানুষ হিসেবে জ্ঞান করে, নারী বা পুরুষ হিসেবে না)
আমার কোম্পানিতে ( বিদেশে ডর্ম থাকে ) ওয়ার্কার দের থাকার যায়গা আছে। ডর্ম এ নারী পুরুষ আলাদা আলাদা থাকে। একই রুমে, রুমমেট হিসেবে। কখনো কোন পুরুষ এর বিরুদ্ধে কোন নারী হেরেসেমেন্ট এর অভিযোগ আনে নাই আজ ৩ বছর ধরে আছি এই কোম্পানিতে) কখনো শুনি নাই কেউ কাউকে সেক্সুয়াল বা অন্য কোন হেরেস্মেন্ট করছে। এবং এর মানে এই না তারা রাতদিন খালি একে অপরের সাথে লাগালাগি করে, বরঙ এরা এসব দিক থেকে আমাদের বাংগালিদের থেকে ও অনেক সভ্য ।

তার মানে, একটা জিনিষ সিউর, আমাদের আইন, শিক্ষা ও ধর্মের প্রচার ও প্রয়োগে সমস্যা আছে বিধায় আমরা আজকে এই অবস্থায়।

২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ** তার মানে, একটা জিনিষ সিউর, আমাদের আইন, শিক্ষা ও ধর্মের প্রচার ও প্রয়োগে সমস্যা আছে বিধায় আমরা আজকে এই অবস্থায়

-- একদম সঠিক এবং তার সাথে মানসম্মত শিক্ষা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।উন্নত দেশ গুলো নাগরিক জীবন তথা ধর্ম কে নিয়ন্ত্রনে রেখেছে বা রাখতে পেরেছে মানবিকতা তথা নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যা মুসলিমদের মাঝে নেই।

আর তার সাথে উন্নত দেশ গুলো যেখানে মানব ধর্ম তথা নাগরিক জীবনকে সুখী সমৃদ্ধশালী করতে সবসময় চেষ্টা করে সেখানে মুসলিম দেশের মুসলিম নামধারী শাসকরা ধর্মের শিক্ষা ভূলে গিয়ে ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ তথা ভোগ বিলাসে মত্ত থাকে এবং ধর্মকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে সমাজে বিভাজন তৈরী করে তা থেকে ফায়দা লুটতে গিয়ে পুরো সমাজ-দেশে এক হ-য-ব-র-ল অবস্থা তৈরী করে। যার ফলে মুসলিম দেশগুলিতে এত দুরবস্থা।

আর এসব ক্ষেত্রে ধর্মের ভূমিকা নেই বললেই চলে সেখানে শুধু শাসকের স্বার্থই রক্ষিত হয় ধর্মের নিয়ম-নীতি নয়।

২২| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৪

সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন: ** তার মানে, একটা জিনিষ সিউর, আমাদের আইন, শিক্ষা ও ধর্মের প্রচার ও প্রয়োগে সমস্যা আছে বিধায় আমরা আজকে এই অবস্থায়।

-- একদম সঠিক এবং তার সাথে মানসম্মত শিক্ষা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।উন্নত দেশ গুলো নাগরিক জীবন তথা ধর্ম কে নিয়ন্ত্রনে রেখেছে বা রাখতে পেরেছে মানবিকতা তথা নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যা মুসলিমদের মাঝে নেই।

আর তার সাথে উন্নত দেশ গুলো যেখানে মানব ধর্ম তথা নাগরিক জীবনকে সুখী সমৃদ্ধশালী করতে সবসময় চেষ্টা করে সেখানে মুসলিম দেশের মুসলিম নামধারী শাসকরা ধর্মের শিক্ষা ভূলে গিয়ে ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ তথা ভোগ বিলাসে মত্ত থাকে এবং ধর্মকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে সমাজে বিভাজন তৈরী করে তা থেকে ফায়দা লুটতে গিয়ে পুরো সমাজ-দেশে এক হ-য-ব-র-ল অবস্থা তৈরী করে। যার ফলে মুসলিম দেশগুলিতে এত দুরবস্থা।

আর এসব ক্ষেত্রে ধর্মের ভূমিকা নেই বললেই চলে সেখানে শুধু শাসকের স্বার্থই রক্ষিত হয় ধর্মের নিয়ম-নীতি নয়।[/sb

এখানে আরেক টা বিষয় উঠে আসে ভাইজান-

এই উন্নত সভ্যতার দিকে তাকালে আমরা একটা জিনিষ দেখতে পাই- তারা কিন্তু ধর্ম ভিত্তিক সমাজ গড়ার চেয়ে মানব ভিত্তিক সমাজ ও রাস্ট্র গড়ার দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। তারা নারী হোক আর পুরুষ হোক সম অধিকার নিশ্চিত করেছে।

সঠিক এমন সমান শিক্ষা ও ফ্যাসিলিটি বিনির্মান এর কারনের আজকের তাদের সমাজে নারী হোক আর পুরুষ হোক সমান অধিকার পাচ্ছে। এমন না এটা পসিবল হয়েছে ধর্ম শিক্ষা দিয়ে বা ধর্মীয় আইন দিয়ে।

এখন, সেইম আমাদের ইসলামিক বা মুসলিম দেশে সেইম কাজ করতে গেলে আমরা যখন ধর্ম কে টেনে আনি কিংবা নারী পুরুষ বিভেদ ক্রিয়েট করি বা আলাদা আলাদা ভাবে বিচার ও যাচাই করতে নেমে যাই তখনই সকল সমস্যার শুরু হয়!

ধর্ম কায়েম না করে, আগে মনুষ্যত্ব কায়েম করাটাই উন্নতির একমাত্র উপায় এবং বিধর্মী এবং অধার্মিক রা সেটা করে দেখিয়েছে। আমরা শুধু ধর্ম কায়েম করাতেই লেগে আছি।


বিঃদ্রঃ আপনার নিউ পোস্টের অপেক্ষায় আছি। আশা করি বেশ ভাল আলোচনা হবে। আপনার সাথে আলোচনা করে মজা পেয়েছি। কারন- আপনি লজিকাল উত্তর দিয়েছেন এবং লজিকাল ভাবেই চিন্তা করছেন আপাতত !

২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ** এই উন্নত সভ্যতার দিকে তাকালে আমরা একটা জিনিষ দেখতে পাই- তারা কিন্তু ধর্ম ভিত্তিক সমাজ গড়ার চেয়ে মানব ভিত্তিক সমাজ ও রাস্ট্র গড়ার দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। তারা নারী হোক আর পুরুষ হোক সম অধিকার নিশ্চিত করেছে।

- যখন কোন মানুষ-শাসক-কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত স্বার্থ ভুলে গিয়ে ( ব্যক্তিগত স্বার্থ ভূলতে উন্নত মানষিকতা,দারিদ্র্যতামুক্তি,
সম্পদের সুষম বনটন,সুশিক্ষা এবং সহনশীল মানষিকতা জরুরী ) অন্যের স্বার্থ তথা সুযোগ সুবিধাকে প্রাধান্য দিতে শিখে তখন স্বাভাবিকভাবেই পরিবেশ-সমাজ-পরিপাপার্শ্বিকতার মাঝে পজেটিভ পরিবর্তন আসে।তখন তাদের কাছে নারী-পুরুষ বা ধর্মী- বিধর্মী বিষয় থাকেনা।তাদের কাছে মানব ধর্মই বড় ধর্ম হিসাবে আর্বিভূত হয়। এখানেও ধর্মের করণীয় সীমিত ।কারন,ধর্মের অপব্যাবহার যেখানে নেই সেখানে সব কিছুই সুন্দর।

ধর্মের যথাযথ ব্যবহার সুন্দর সমাজ নির্মাণে সহায়ক আর এর অপব্যবহার সমাজে বিশৃংখলা তথা অশান্তির মূল কারন। আর দায় যদিও ধর্মের নয় প্রয়োগকারীর তবুও সাধারনভাবে সবাই ধর্মের উপরই দায় চাপিয়ে পার পেতে চায় সকল অন্যায় থেকে ।এটাই সমস্যা।

২৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:৪১

সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন:
ধর্মের যথাযথ ব্যবহার সুন্দর সমাজ নির্মাণে সহায়ক আর এর অপব্যবহার সমাজে বিশৃংখলা তথা অশান্তির মূল কারন। আর দায় যদিও ধর্মের নয় প্রয়োগকারীর তবুও সাধারনভাবে সবাই ধর্মের উপরই দায় চাপিয়ে পার পেতে চায় সকল অন্যায় থেকে ।এটাই সমস্যা।


আপনার এই মতের সাথে একমত নই। আমার উপরের কমেন্টে বার বার দেখিয়েছি এবং বুঝাতে চেস্টা করেছি ধর্মের ব্যবহার ও প্রয়োগ ছাড়াই নন মুসলিম ও অধার্মিক কান্ট্রি গুলো উন্নতি করছে আমাদের চেয়ে অনেক বেটার ভাবে। তারা ধর্ম কায়েম এর চেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে মানবতা ও মানুষের অধিকার কায়েমে। তারা নারী পুরুষ হিসেবে না দেখে সম অধিকার রুলস প্রয়োগ করে সভ্য হয়েছে।

আমাদের কে কেন ধর্ম প্রয়োগ করতে হবে জোর করে, আর সেটার অপ ব্যবহার এর ফলে আবার বিশৃঙ্খলা টেনে আনতে হবে? এরপর আবার সেটা প্রয়োগ কারীর দোষ বা অপরাধ হলেও সেটার দায় এসে পরে ধর্মের উপর। তো উন্নত সভ্যতার মত, ফার্স্ট প্লেসে ধর্ম কে টেনে না আনলেই তো হত! তাহলে তো আর ধর্মের অপ প্রয়োগ ও হত না, অশান্তি ও লাগত না! আমার বক্তব্য এটাই ছিল!

২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সাসুম ভাই,আপনার বক্তব্য সঠিক।

যখন কোন সমাজে মানবতা তথা একের প্রতি অন্যের সহনশীলতা-সহানুভূতি-সহমর্মিত এই মানবিক গুনাবলীর চর্চা হবে বা হয় এবং যে কোন বিষয়ে নিজের সুবিধা থেকে অন্যের সুবিধা-অসুবিধাকে বড় করে দেখা হয় সেখানে এসব সমস্যা থাকেনা। আর এসবের জন্য শুধু ধার্মিক হওয়া বা ধর্মকে বাদ দেওয়ার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব না।

এরকম মানবিক পরিবেশ তৈরী করতে যে সব উপকরন দরকার তার মাঝে ধর্ম একটি উপাদান এটা সত্য ।একজন মানুষকে মানবিক হতে হবে এটা সত্যি তবে এর জন্য ধর্মের আগে বাবা-মা-পরিবারে ভূমিকা, সামাজিক পরিবেশ ,অর্থনৈতিক অবস্থা,শিক্ষা-রীতি-নীতি-মূল্যবোধ,রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা,সম্পদের সুষম বন্টন এবং সব শেষে ধর্মের স্থান। ধর্মের আগের সবগুলি সূচক যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে একজন মানুষ বা সমাজ স্বাভাবিকভাবেই মানবিক ও ধার্মিক হয়ে যায় । আর যদি সে সূচক গুলি যথাযথ কাজ না করে তাহলে সেখানে ধর্ম কোন ভূমিকাই রাখতে পারেনা ,তা সে যেই ধর্মই হোক না কেন।

২৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: *<<<<<<<<<<<<<

আর আসুন আমরা সবাই মিলে এমন এক সমাজ গড়ে তুলি যেখানে মানবীয় তথা মানব ধর্মের জয়-জয়কার হবে ,পশুপ্রকৃতির নয়।যেখানে আমরা সবাই হবো মানবিক এবং চর্চা করবো মানবতার।


অবশ্যই চায় ভালো থাকতে। কিন্তু আমাদের সমাজের মানুষের জ্ঞান অনেক কম। এরা সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান পড়েনা। এদের কোন নিজেস্ব জীবন দর্শন নেই।

আমাদের দেশে যেটা চলছে সেটা বর্বর যুগের ধারা। আধুনিক দর্শন এখানে নেই।

এক নারী যেই পোষাক পরুক তার উড়না ধরে টান দেওয়া অপরাধ এটা বোঝার মতন ঘিলু অনেকেরই নাই। আর তাদের বিরুধ্দে প্রতিবাদ মানুষ করেনা কারন তাদের ক্ষমতা আছে।

নারীদের নিয়ন্ত্রনের জন্য এখনো আমাদের সমাজ ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

একজন নারীকে শিক্ষিত করতে পারলে জাতী শিক্ষিত হবে। কিন্তু একজন শিক্ষিত নারী আপনার সকল কথা মুখ বুজে সহ্য করবেনা। তাকে সন্মান করতে হবে, প্রাধান্য দিতে হবে তাকে জীবনের সঙ্গী হিসেবে নিতে হবে দাসী হিসেবে না এটা এখনো আমাদের সমাজের বেশির ভাগ পুরুষই মেনে নিতে পারেনা।

আমাদের দেশের মানুষ নামে ধামিক কিন্তু কাজে ভন্ড, নতুবা ঘুষ, ভ্যজাল আর দূনিতি এতো ব্যাপক ভাবে আমাদের সমাজকে আক্রান্ত করতো না।

দূনিতি বাজ মানুষ যখন নারীকে পর্দা করে ঘরে থাকতে বলে তখন সেটা ধর্মের নির্দেশ মানতে না বরং তাকে নিয়ন্ত্রনের জন্যই বলে।

বাইরের দেশে বির্ধমী দেশে নারীদের রাস্তার পাশে ইভটিজিং করেনা কারন সেখানে আইনের শাসন আছে। আমাদের দেশে নাই।

দেশের মানুষকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারলে নিজে থেকেই র্দনিিতি কম করবে। আইন মেনে চলবে।

তখন সবাই সুন্দর সমাজে বাস করবে।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, এই বিষয়টাই আমিও বলছি বা বলতে চাচছি। আমরা যতটা না ধার্মিক তার চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশী বকধার্মিক (ভন্ড)।আমরা ধর্মকে বরাবরই ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করি বা করার চেষ্টা করি। আর এ সমস্যা শুধু ভাই আমাদের দেশেই নয় ।এ সমস্যা তৃতীয় বিশ্বের (গরীব) সব গুলো দেশেরই সমস্যা।এখানে ধর্ম-পোশাক-নারী বিষয় নয় ।বিষয় হল নিজেস্ব স্বার্থ হাসিল ।এর জন্য তারা অনেক রকম ভেক ধরার সাথে সাথে ধর্মকেও একটা উপায় হিসাবে আকড়ে ধরে।

একজন মানুষকে মানবিক করে গড়ে তুলতে ধর্মের আগে বাবা-মা-পরিবারে ভূমিকা, সামাজিক পরিবেশ ,অর্থনৈতিক অবস্থা,শিক্ষা-রীতি-নীতি-মূল্যবোধ,রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা,সম্পদের সুষম বন্টন এগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং সব শেষে ধর্মের স্থান। ধর্মের আগের সবগুলি সূচক যদি সঠিকভাবে কাজ করে মানে একজন মানুষ যদি ভাল পারিবারিক পরিবেশ,সুশিক্ষা,ভাল সমাজ এবং সামাজিকতা এবং তার মেধা ও যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ণ পায় তাহলে একজন মানুষ বা সমাজ স্বাভাবিকভাবেই মানবিক ও ধার্মিক হয়ে যায় । আর যদি সে সূচক গুলি যথাযথ কাজ না করে তাহলে সেখানে ধর্ম কোন ভূমিকাই রাখতে পারেনা ,তা সে যেই ধর্মই হোক না কেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.