নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" আল কোরআন " সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী গ্রন্থ এবং মানব জাতির মুক্তির আলোকবর্তিকা । (আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব ৬)।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৭


ছবি - shadow.com.bd

আল কোরআন নাজিলের শুরুতেই মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে পড়তে ও জানতে এবং যার শুরুই হয়েছে,"পড়ো! তোমার সৃষ্টিকর্তা প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন" ( সূরা আলাক,আয়াত - ১) এ আয়াত দিয়ে। কোরআন অজ্ঞতাকে অভিহিত করেছে মহাপাপ রূপে। কোরআনের প্রথম আয়াত নাজিলের পর ২৩ তম বছরে নাজিল হওয়া সূরা বাকারার আয়াত - ২৮১ আল্লাহ বলেছেন, "তোমরা সেই দিন সম্পর্কে সচেতন হও, যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহর কাছে ফিরিয়ে আনা হবে এবং তারপর প্রত্যেককেই তার কর্মফল পুরোপুরি প্রদান করা হবে। কারো ওপর কোনো অন্যায় করা হবে না"। প্রথম আয়াতে যেভাবে মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার নিরহংকার অবস্থার বিবরণ দেয়া হয়েছে, শেষ দিকের আয়াতেও একইভাবে বলা হয়েছে, কর্মের স্বাধীনতা দেয়া হলেও মানুষ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। তার কর্মের যথাযথ ফল সে পাবে। আমলনামায় সব কার্যকলাপ, ছোট-বড় সবকিছু রেকর্ড হয়েছে সুরক্ষিত প্রক্রিয়ায়। এই আমলনামার ভিত্তিতে শেষ বিচারের দিন কর্মফল পাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহ।

আমলনামা সম্পর্কে কুরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেন," আল্লাহর সঙ্গে যারা শরিক করে, এ শিরকের মাধ্যমে তারা নিজেরাই সত্য অস্বীকার করছে। অতএব শরিককারীরা কখনোই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণকারী হতে পারে না। শিরক ওদের সব আমল বরবাদ করে দিয়েছে। জাহান্নামেই থাকবে ওরা চিরকাল"। (সূরা তাওবা, আয়াত - ১৭)।

আমলনামা সম্পর্কে আল্লাহ কুরআনে আরো বলেন," আমি প্রত্যেক মানুষের আমলনামাকে (কর্মবিবরণের রেকর্ড) তার গলার সঙ্গে যুক্ত করেছি। মহাবিচার দিবসে এ রেকর্ড তার সামনে দৃশ্যমান করে বলব, ‘পড়ো তোমার আমলনামা। আজ তুমি নিজেই নিজের হিসাব-নিকাশের জন্যে যথেষ্ট"। (সূরা বনি ইসরাইল,আয়াত - ১৩-১৪)।

এখন আমার-আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে - কেন বিশ্বাস করব কোরআন আল্লাহর কালাম? কেন বিশ্বাস করব কোরআন মানুষের রচনা নয়? কেন বিশ্বাস করব যে, কোরআন অনুসরণ করলে আমি ভালো থাকব? কেন বিশ্বাস করব যে, কোরআন আমাকে পার্থিব জীবনেও সুখী ও প্রাচুর্যবান করতে পারে? অবশ্যই বিশ্বাস করার আগে প্রশ্ন করতে হবে। সবদিক থেকে খতিয়ে দেখতে হবে। জানতে হবে। বিশ্লেষণ করতে হবে। ভাবতে হবে। বিষয়ের গভীরে ডুবে যেতে হবে। বিচার করতে হবে মুক্তমন নিয়ে, বস্তুনিষ্ঠভাবে। তাহলেই আপনি সত্যে উপনীত হতে পারবেন। এ প্রসংগে আল কোরআনে বলা হয়েছে, "এই কিতাব জগত্গুলোর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ, এতে কোনো সন্দেহ নেই"।(সুরা সাজদা, আয়াত - ২)।

এ পবিত্র এবং মহাগ্রন্থ আল কোরআনে মানব জীবনের সব দিক-নির্দেশনার বর্ণনার পাশাপাশি মানবজাতীর প্রতি উপদেশ স্বরুপ বেশ কিছু আয়াত আছে।আসুন আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানি -


ছবি - samakal.com

১। কারো গোপন তথ্য অনুসন্ধান কোরো না এবং পরনিন্দা কোরো না।(সুরা বাকারা - আয়াত - ২৮৩)।

"আর যদি তোমরা সফরে থাক এবং কোনো লেখক না পাও তবে হস্তান্তরকৃত বন্ধক রাখবে । অতঃপর তোমাদের একে অপরকে বিশ্বস্ত মনে করলে, যার কাছে আমানত রাখা হয়েছে সে যেন আমানত প্রত্যার্পণ করে এবং তার রব আল্লাহ্‌র তাকওয়া অবলম্বন করে। আর তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না। আর যে কেউ তা গোপন করে অবশ্যই তার অন্তর পাপী। আর তোমরা যা কর আল্লাহ্‌ তা সবিশেষ অবগত"।

২। সব নবীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর।(সুরা বাকারা - আয়াত - ২৮৩)।

"রাসূল তার প্রভুর পক্ষ থেকে যা তার কাছে নাযিল করা হয়েছে তার উপর ঈমান এনেছেন এবং মুমিনগণও। প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহ্‌র উপর, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের উপর। আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে: আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি। হে আমাদের রব! আপনার ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্তাবর্তনস্থল"।

৩। সাধ্যের বাইরে কারো ওপর বোঝা চাপিয়ে দিওনা।(সুরা বাকারা - আয়াত - ২৮৬)।

"আল্লাহ্‌ কারও উপর এমন কোনো দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না যা তার সাধ্যাতীত । সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তারই, আর মন্দ যা কামাই করে তার প্রতিফল তার উপরই বর্তায়। ‘হে আমাদের রব! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের উপর তেমন বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না যার সামর্থ আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব, কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন "।

৪। তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না।(সুরা আলে ইমরান, আয়াত - ১০৩)।

"তোমরা সবাই আল্লাহর রশ্মিকে দৃঢ়ভাবে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে এবং তিনি তোমাদের হৃদয়ে দয়ার সঞ্চার করেন, ফলে তাঁর অনুগ্রহে তোমরা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে গেলে। তোমরা অগ্নিকুণ্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহই তোমাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের কাছে নিজের নিদর্শন তুলে ধরেন, যেন তোমরা সুপথ পাও"।

৫। তোমরা ক্রোধ সংবরণ কর ।(সুরা আলে ইমরান, আয়াত - ১৩৪)।

"তারাই সংযমী, যারা স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল অবস্থায় দান করে, যারা ক্রোধ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল। আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।"


ছবি - sangbadchorcha.com

আল কোরআনে রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য নিদর্শন।আর তাইতো আল কোরআনে বলা হয়েছে,"আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে আর একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের সঙ্গিনীদেরকে সৃষ্টি করেছেন,যাতে তোমরা ওদের নিকট শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও মায়া-মমতা সৃষ্টি করেছেন।চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে। আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্ৰ্য। এতে তো অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য।"(সুরা আর - রুম , আয়াত - ২১-২২)।

আল্লাহ পাক আমাদেরকে আল কোরআন জানার-বুঝার এবং আল কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার তওফিক দান করুন

চলবে -

===============================================================

পূর্ববর্তী পোস্ট -

আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৫ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৪ Click This Link
আল কোরআন সংকলন-সংরক্ষণের ইতিহাস - Click This Link
আল কোরআন এর ২৬ টি আয়াত বাতিল চেয়ে আদালতে দায়ের করা রিট বাতিল করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
- Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৩ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ২ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ১ Click This Link

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ আমাদের কোরআন মেনে চলার তৌফিক দান করুন।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই,আপনার পড়া এবং মন্তব্যের জন্য।

মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে কোরআন পড়ার-বুঝার এবং সে অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন।আমিন।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



বিশ্ব মানবতাকে মুক্তির সঠিক পথ একমাত্র আল কুরআনই দেখিয়েছে। +

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন নকিব ভাই,আপনার পড়া ও মন্তব্যের জন্য এবং পোস্টে আপনার মন্তব্য দেখলে খুব ভাল লাগে কারন আপনার লেখা পড়তে পড়তেই কিছু জানার-পড়ার-লেখার ইচ্ছা শুরু।

মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন দুনিয়ার সকল মুসলমানকে সঠিকভাবে কোরআন পড়ার-বুঝার এবং সে অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন এবং সাথে সাথে আমাকে-আপনাকেও আল্লাহ তওফিক দান করুন আলকোরআন মেনে চলার ।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোরান যেহেতু মানুষ পড়তে পারেন ও বুঝতে পারেন, ইহা অবশ্যই মানুষের লেখা।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, আপনার পড়া (যদিও আমি শিউর না যে আপনি পুরো পোস্ট পড়েছেন কিনা) ও মন্তব্যের জন্য।


মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন মানুষকে যেহেতু জ্ঞান-বিবেক-বুদ্ধি ও কর্মের স্বাধীনতা দিয়েছেন কাজেই যে কেউ চাইলেই পড়তে-লিখতে ও বুঝতে পারবে (যদি সে বুঝতে চায়)।আর ,আলকোরআন যেহেতু নবী করীম (সঃ) এর উপর নাজিল হয়েছে এবং সাহাবীরা তা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছেন তাই এভাবে দেখলে তা মানুষই লিখেছে তবে নবী-সাহাবী-তাবেঈ এবং ইতিহাসবিদরা তাই লিখেছেন, যে ঐশী বাণী আল্লাহ কর্তৃক নবীর উপর নাজিল হয়েছে।

এখন আল্লাহর কাছে এতটুকুই চাইতে পারি আমরা, দুনিয়ার সকল মুসলমানের সাথে সাথে আমাকে-আপনাকেও আল্লাহ তওফিক দান করুন আল কোরআন জানার-বুঝার ,মেনে চলার এবং সে অনুযায়ী আমল করার।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আল্লাহ সম্পর্কে আপনি যেসব আইডিয়া দিচ্ছেন, তার সাথে আফগানিস্তানের অবস্হা মিলিয়ে দেখুন: আল্লাহ'এর কোন ক্ষমতা থাকলে, এসব ঘটতে দিতো? আপনি লজিক্যালী ভাবতে পারলে, আপনার ভাবনায় যা আসবে, লজিক না বুঝলে, আপনার ভাবনার ফলাফল হতে পারে বেকুবী ধরণের কিছু।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

আল্লাহ না আপনার আমার ধারনায় প্রতিষ্ঠিত না আল্লাহ তার কাজের জন্য কারো কাছে জবাবদিহী করবে এবং তিনি তার প্রতিটা সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত । যদিও সেটা গভীর মাটির নীচের ছোট একটা পিপড়াও হয়।

আর আপনার মতে তথাকথিত যৌক্তিক মানুষদের সম্পর্কেই আল্লাহ বলেন, "পূর্ব ও পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোই সৎকর্ম নয়, কিন্তু সৎকর্ম হলো যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌, শেষ দিবস, ফেরেশ্‌তাগণ, কিতাবসমূহ ও নবীগণের প্রতি ঈমান আনবে। আর সম্পদ দান করবে তার ভালবাসায় আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত, মুসাফির, সাহায্যপ্রার্থী ও দাসমুক্তির জন্য এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দিবে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করবে । অর্থ-সংকটে, দুঃখ-কষ্টে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করবে। তারাই সত্যাশ্রয়ী এবং তারাই মুত্তাকী"। (সুরা বাকারা - আয়াত - ১৭৭) ।

ধর্মের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন,"দীন গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই , সত্য পথ সুস্পষ্ট হয়েছে ভ্রান্ত পথ থেকে। অতএব, যে তাগূতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনবে সে এমন এক দৃঢ়তর রজ্জু ধারন করল যা কখনো ভাঙ্গবে না । আর আল্লাহ্‌ সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী"। (সুরা বাকারা - আয়াত - ২৫৬)।

নবীদের প্রতি বিশ্বাসের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন "রাসূল তার প্রভুর পক্ষ থেকে যা তার কাছে নাযিল করা হয়েছে তার উপর ঈমান এনেছেন এবং মুমিনগণও। প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহ্‌র উপর, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের উপর। আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে: আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি। হে আমাদের রব! আপনার ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্তাবর্তনস্থল"।(সুরা বাকারা - আয়াত - ২৮৩)।

এখন সিদ্ধান্ত নেবার ভার আপনার আপনি কোন পথে যাবেন,কাকে বিশ্বাস করবেন?

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আল্লাহ যদি আমাদেরকে পড়ালেখার "তওফিক" দিয়ে থাকেন, তিনি আমাদের নবীকে (স: ) সবার আগে সেই "তওফিক" দিতেন; তিনি নবী মুসাকে (আ: ) লেখাপড়ার তওফিক দিয়ে থাকলে, আমাদের নবীকে(স: ) কেন দেননি?

বাংলাদেশকে দেখে কি আপনার মনে হচ্ছে না, গরীব বাচ্চার পড়ালেখার "তওফিক" মা'বাবার সামর্থের উপর নির্ভরশীল, আল্লাহের "তওফিক"এর উপর নয়।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

ভাই যদি আমরা মুসলিম হই তবে,আমাদেরকে প্রথমে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে হবে ।আর ইসলামের মূলভিত্তি পাঁচটি মধ্যে ঈমান সর্বপ্রথম ও অন্যতম। এটি ব্যতীত কোন মানুষ মুসলমান হতে পারেনা বা দাবী করতে পারেনা । চলুন তাহলে ঈমান সম্পর্কে কি বলা হয় -

ঈমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস । ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা সহ তার প্রতি আস্থাশীল হয়ে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা কে ঈমান বলে।আর ঈমান শুধু মুখে বলার নয় অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে মুখে উচ্চারণ করা ও আমলে পরিনত করার মাধ্যমে ঈমান পরিপূর্ণতা লাভ করে।

এখন দেখি যেসব বিষয়ের প্রতি ঈমান আনা আবশ্যক - ঈমানের প্রধান ৭ টি বিষয়ের উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করা ফরজ। এগুলো হলো –

১। না দেখা আল্লাহর প্রতি।
২। ফেরেশতা প্রতি।
৩। আসমানী কিতাব সমূহের প্রতি।
৪। নবী-রাসূলগণের প্রতি।
৫। আখেরাতের প্রতি।
৬। তাকদীর বা ভাগ্যের প্রতি।
৭। মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি।

আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন ব্যতীত কেউ ইহকাল-পরকালে সফলতা লাভ করতে পারবে না।ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হল মনুষ্যত্বের চালিকাশক্তি।

এখন বাকীটা আপনার বুঝার উপর।আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তওফিক দান করুন।

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪

এভো বলেছেন: " আল কোরআন " সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী গ্রন্থ এবং মানব জাতির মুক্তির আলোকবর্তিকা ।

এই বক্তব্যটা কোন নিরপেক্ষ রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে । হিন্দু,বৌদ্ধ, খৃষ্ঠান , ইহুদী সহ বাকি ৪৫০০ ধর্মের নীতি নির্ধারকরা কি এক মত এই রিসার্চের সাথে ।
কাইন্ডি রিসার্চ রেফারেন্স গুলো দিন প্লিজ ।
আপনার এই দাবিকে বলে চক্রাকার কুযুক্তি বা সারকুলার লজিক্যাল ফ্যালাসি -

উদাহরন
প্রশ্ন-১ বাইবেল যে সত্য তার প্রমাণ কী?
উত্তর-১ বাইবেল সত্য কারণ ঈশ্বর বলেছেন বাইবেল সত্য।
প্রশ্ন-২ ঈশ্বর যে সত্য তার প্রমাণ কী?
উত্তর-২ ঈশ্বর সত্য কারণ বাইবেলে লেখা আছে ঈশ্বর সত্য।

উপরের দাবী দুটো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, একটি দাবী আরেকটি দাবীকে সত্য প্রমাণ করতে চাচ্ছে। এই দাবী দুটো একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। এর কোনটাই প্রমাণিত নয়, তবে একটি আরেকটি দাবীর প্রমাণ হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছে। যুক্তিবিদ্যায় একে বলে চক্রাকার যুক্তি বা সার্কুলার লজিক। এটি একটি কুযুক্তি বা ফ্যালাসিই বটে।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এভো ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

যুক্তিবিদ্যা অনুসারে " মানুষ ঘাস খায়" বা " মানুষ ছাগল ও বটে " এটাও প্রমাণ করা যায়। যেমন - যুক্তিবিদ্যার যুক্তি অনুসারে " গরু ঘাস খায় ,মানুষ গরু খায় " সুতরাং মানুষ ঘাস খায় কিংবা " ছাগল একটি প্রাণী,মানুষ একটি প্রাণী" সুতরাং মানুষও ছাগল ।ভাই এসব যুক্তি মানুষের নিকট চলে ধর্মের নিকট নয়।

ভাই যদি আমরা মুসলিম হই তবে,আমাদেরকে প্রথমে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে হবে ।আর ইসলামের মূলভিত্তি পাঁচটি মধ্যে ঈমান সর্বপ্রথম ও অন্যতম। এটি ব্যতীত কোন মানুষ মুসলমান হতে পারেনা বা দাবী করতে পারেনা । চলুন তাহলে ঈমান সম্পর্কে কি বলা হয় -

ঈমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস । ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা সহ তার প্রতি আস্থাশীল হয়ে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা কে ঈমান বলে।আর ঈমান শুধু মুখে বলার নয় অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে মুখে উচ্চারণ করা ও আমলে পরিনত করার মাধ্যমে ঈমান পরিপূর্ণতা লাভ করে।

এখন দেখি যেসব বিষয়ের প্রতি ঈমান আনা আবশ্যক - ঈমানের প্রধান ৭ টি বিষয়ের উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করা ফরজ। এগুলো হলো –

১। না দেখা আল্লাহর প্রতি।
২। ফেরেশতা প্রতি।
৩। আসমানী কিতাব সমূহের প্রতি।
৪। নবী-রাসূলগণের প্রতি।
৫। আখেরাতের প্রতি।
৬। তাকদীর বা ভাগ্যের প্রতি।
৭। মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি।


আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন ব্যতীত কেউ ইহকাল-পরকালে সফলতা লাভ করতে পারবে না।ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হল মনুষ্যত্বের চালিকাশক্তি।

এখন বাকীটা আপনার বুঝার উপর।আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তওফিক দান করুন।

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সবচেয়ে কঠিন এক নম্বরটা
১। কারো গোপন তথ্য অনুসন্ধান কোরো না এবং পরনিন্দা কোরো না।
এইটা না মনতে আমরা সর্বদাই অতিউৎসাহি

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

" নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি মানুষের আকর্ষন দুর্নিবার " - মানুষকে যেটা করতে নিষেধ করা হয় সেটাই মানুষ অবচেতন ভাবে বেশী বেশী করতে চায়।এ যেন অনেকটা ," দেখিনা কি হয়" - টাইপের ।

তবে যদি আমরা মুসলিম হই তবে,আমাদেরকে প্রথমে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে হবে এবং ঈমান আনার পর যা আমাদের জন্য করণীয় তা করতে হবে আর বর্জনীয় (ইসলামী শরীয়ত মতে) তা আমাদের বর্জন করতে হবে।আর আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ কাজের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহী করব অন্য কেউ নয়।

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি যেসব সুরার কথা লিখছেন, এগুলো বাইবেলে মানুষ লিখেছিলেন; সেগুলোকে আরবেরা আরবীতে অনুবাদ করেছেন মাত্র।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

ভাই যদিআপনি-আমি মুসলিম হই তবে,আমাদেরকে প্রথমে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে হবে ।আর ইসলামের মূলভিত্তি পাঁচটি মধ্যে ঈমান সর্বপ্রথম ও অন্যতম। এটি ব্যতীত কোন মানুষ মুসলমান হতে পারেনা বা দাবী করতে পারেনা । চলুন তাহলে ঈমান সম্পর্কে কি বলা হয় -

ঈমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস । ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা সহ তার প্রতি আস্থাশীল হয়ে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা কে ঈমান বলে।আর ঈমান শুধু মুখে বলার নয় অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে মুখে উচ্চারণ করা ও আমলে পরিনত করার মাধ্যমে ঈমান পরিপূর্ণতা লাভ করে।

এখন দেখি যেসব বিষয়ের প্রতি ঈমান আনা আবশ্যক - ঈমানের প্রধান ৭ টি বিষয়ের উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করা ফরজ। এগুলো হলো –

১। না দেখা আল্লাহর প্রতি।
২। ফেরেশতা প্রতি।
৩। আসমানী কিতাব সমূহের প্রতি।
৪। নবী-রাসূলগণের প্রতি।
৫। আখেরাতের প্রতি।
৬। তাকদীর বা ভাগ্যের প্রতি।
৭। মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি।

আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন ব্যতীত কেউ ইহকাল-পরকালে সফলতা লাভ করতে পারবে না।ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হল মনুষ্যত্বের চালিকাশক্তি।

এখন বাকীটা আপনার বুঝার উপর।আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তওফিক দান করুন।

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

এভো বলেছেন: যুক্তিবিদ্যা অনুসারে " মানুষ ঘাস খায়" বা " মানুষ ছাগল ও বটে " এটাও প্রমাণ করা যায়। যেমন - যুক্তিবিদ্যার যুক্তি অনুসারে " গরু ঘাস খায় ,মানুষ গরু খায় " সুতরাং মানুষ ঘাস খায় কিংবা " ছাগল একটি প্রাণী,মানুষ একটি প্রাণী" সুতরাং মানুষও ছাগল ।ভাই এসব যুক্তি মানুষের নিকট চলে ধর্মের নিকট নয়।

এই জাতীয় কোন যুক্তি আমি দি নি বরং আপনি যে যুক্তি বা কথা দিয়ে আপনারন দাবিকে সত্য প্রমাণ করতে চাচ্ছেন সেটাকে বলে চক্রাকার কুযুক্তি বা সরকুলার লজিক্যাল ফেলাসি । ধর্মে নাকি ঐ ধরনের যুক্তি চলে না কিন্তু আপনি নিজে ধর্মকে গ্লোরিফাই করার জন্য চক্রাকার কুযুক্তি ব্যবহার করেছেন ।

আপনি তো মন্তব্য উত্তরের নামে গরুর রচনা লিখলেন মানি একই কথা ২ জায়গায় চালালেন , আমার প্রশ্নের উত্তর কি আপনার কাছে নেই -- আমার প্রশ্ন ছিল
" আল কোরআন " সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী গ্রন্থ এবং মানব জাতির মুক্তির আলোকবর্তিকা ।

এই বক্তব্যটা কোন নিরপেক্ষ রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে । হিন্দু,বৌদ্ধ, খৃষ্ঠান , ইহুদী সহ বাকি ৪৫০০ ধর্মের নীতি নির্ধারকরা কি এক মত এই রিসার্চের সাথে ।
কাইন্ডি রিসার্চ রেফারেন্স গুলো দিন প্লিজ ।

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, আপনার মন্তব্য এর জবাবে এ টুকুই বলব - সব কিছুর রেফারেন্স হয়না বা এ দুনিয়ায় অনেক কিছু আছে যা প্রমানিত নয় তবে তার অস্তিত্ত বিদ্যমান। এখন আপনি যদি আল কোরআন সব' শেষ ও শ্রেস্ট আসমানী কিতাব কেন এর রেফারেন্স চান তাহলে এর রেফারেন্স দিতে হলে আপনাকে আমাকে বসতে হবে,অনেক যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে যা এখানে ব্লগীয় মন্তব্য এর মাধ্যমে প্রমাণ করা সম্ভব নয়। আবার ইসলামের সাথে আপনি হিন্দু, বৌদ্ধ,খৃসটান,ইহুদী ধমে'র নীতি নিধা'রকদের মতামত চাচ্ছেন। ব্যাপার টা কি মিলে। কারন,ইসলাম তার অনুসারী দের জন্য বা যারা ঈমান এনেছে,আল্লাহর উপর, তার রাসুল এর উপর। যারা ঈমান আনেনি তাদের জন্য ইসলাম নয় ভাই।৷ এখন আপনার যদি মানব জাতির বলা নিয়ে আপত্তি থাকে তাহলে আপনি এভাবে বিষয় টা নিলে (মুসলিম জাতি,যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে) তাহলে হয়তোবা আপনার বুঝতে সহজ হবে।

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আল্লাহ শব্দটা মানুষ লিখেছেন; আল্লাহকে নিয়ে যিলিয়ন যিলিয়ন পাতা মানুষ লিখেছেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই,যে কোন মত বা মতবাদের অনুসারীদের আগে যে জিনিসটা কনফার্ম করতে হবে যে সে আসলে কি বা কে? এখন আমি - আপনি যদি নিজেদের মুসলিম জাতি হিসেবে পরিচয় দেই তাহলে মুসলমান হিসাবে ইসলামের মৌলিক বিষয় এর ব্যাপারে কোন প্রশ্ন না করেই মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থাকে।আর যদি আমার পরিচয় হয়,আমি মুসলিম নই অমুসলিম, তাহলে ইসলাম নিয়ে কথা বলার কোন অধিকার ই আমার থাকেনা।৷ এখন আগে আমাদের পরিচয় স্থির করা জরুরী যে আমি আসলে কে এবং কি?

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক।

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:২৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব নুর ভাই, মহান আল্লাহ আপনাকে ও সুখী - সুন্দর ও আনন্দময় জীবন উপহার দিন

১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:০২

কামাল১৮ বলেছেন: আসমানী গ্রন্থ বলতে কি বুঝায়?

২৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কালমাল১৮ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য।

আমি বিশ্বাস করি আপনি জানেন আসমানী কিতাব বা গ্রন্থ বলতে কি বুঝায় তারপরেও আপনি যেহেতু প্রশ্ন করছেন তাই তার জবাব -

ইসলাম ধর্মমতে মুসলমানগণ যে গ্রন্থগুলোকে আল্লাহ্প্রদত্ত গ্রন্থ বলে বিশ্বাস করেন সেইসব গ্রন্থকে আসমানী কিতাব বলা হয়। আসমানী কিতাব, সরাসরি আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয় অর্থ্যাৎ নবী-রাসূলগণ আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে যেসব কিতাব বা গ্রন্থ লাভ করেছেন সেসব ধর্মগ্রন্থকে আসমানি কিতাব বলা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.