নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" পর্দা " - শুধু নারীর জন্য নয় বরং নর-নারী উভয়ের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের পর্দার বিধান - পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা।(মানব জীবন -১৪ )।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৫


ছবি - গুগল।

পর্দা ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান । কারন আল্লাহপাক মুমীন নর-নারী উভয়ের জন্য পর্দা ফরজ করেছেন।পবিত্র কোরআনের কয়েকটি সুরায় মহান আল্লাহপাক পর্দার বিধান সম্পর্কিত আয়াত নাজিল করার মাধ্যমে নর-নারী উভয়কে পর্দার আদেশ দিয়েছেন।তাই পর্দার বিধান মানা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ঈমানেরও দাবী।

পর্দা কি বা পর্দা বলতে কি বুঝায় - পর্দা শব্দটি মূলত ফার্সী। যার আরবী প্রতিশব্দ হিজাব । পর্দা বা হিজাবের বাংলা অর্থ- আবৃত করা, ঢেকে রাখা, আবরণ, আড়াল, অন্তরায়, আচ্ছাদান, বস্ত্রাদি দ্বারা সৌন্দর্য ঢেকে নেয়া, আবৃত করা বা গোপন করা ইত্যাদি। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, নারী-পুরুষ উভয়ের চারিত্রিক পবিত্রতা অর্জনের নিমিত্তে উভয়ের মাঝে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত যে আড়াল বা আবরণ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে তাকে পর্দা বলা হয়।আবার কেউ কেউ বলেন, নারী তার বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ রূপলাবণ্য ও সৌর্ন্দয পরপুরুষের দৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখার যে বিশেষ ব্যবস্থা ইসলাম প্রণয়ন করেছে তাকে পর্দা বলা হয়। মূলত হিজাব বা পর্দা অর্থ শুধু পোশাকের আবরণই নয়, বরং সামগ্রিক একটি সমাজ ব্যবস্থা, যাতে নারী-পুরুষের মধ্যে অপবিত্র ও অবৈধ সম্পর্ক এবং নারীর প্রতি পুরুষের অত্যাচারী আচরণ রোধের বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে।

ইসলামের দৃষ্টিতে পর্দা কেন বা ইসলামে পর্দার বিধান কি -

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ আদর্শ। জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামের দিক-নির্দেশনা রয়েছে। পোশাক-পরিচ্ছদের বিষয়েও ইসলামের মৌলিক দিক নির্দেশনা রয়েছে।পোশাক মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। লজ্জাস্থান আবৃত রাখা এবং সুন্দর ও পরিপাটি থাকার চাহিদা মানুষের স্বভাবজাত। তদ্রূপ শীত-গ্রীষ্মের প্রকোপ ও বাইরের ধুলোবালি থেকে শরীরকে রক্ষার জন্য তা একটি প্রয়োজনীয় আবরণ। তাই পোশাক আল্লাহ তাআলার নেয়ামত।পোশাক ব্যক্তিত্ব, আভিজাত্য, সভ্যতা ও লজ্জাশীলতার পরিচায়ক। মানুষ পোশাক পরিধানের তাগিদ অনুভব করেছিল সেই আদিম আমলেই। আদিম কাল থেকে আধুনিক কাল - সব যুগেই ছিল এবং আছে পোশাকের কদর। হোক না তা গাছের পাতা কিংবা সুতায় বোনা কাপড়। তাই লাজুকতায় বশীভূত হয়ে মানুষের লজ্জাস্থান ঢাকার প্রবণতা প্রাকৃতিক।ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় লেবাস বা পোশাক বলতে বুঝানো হয়, যা মানুষের সতর ঢেকে দেয়, লজ্জাস্থানকে আবৃত করে ফেলে। ফিকাহশাস্ত্রের সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘রদ্দুল মুহতারে’ বলা হয়েছে, ‘পোশাক তাকেই বলা হয়, যা লজ্জাস্থানকে ঢেকে রাখে।’ ন্যূনতম এতটুকু পরিমাণ পোশাক পরিধান করা ফরজ। কোরআনের ভাষ্য থেকেও পোশাকের এ সংজ্ঞা বোঝা যায়। কোরআন বলছে, "হে বনী আদম! অবশ্যই আমরা তোমাদের জন্য পোষাক নাযিল করেছি, তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকা ও বেশ-ভূষার জন্য। আর তাকওয়ার পোষাক , এটাই সর্বোত্তম। এটা আল্লাহ্‌র নিদর্শনসমূহের অন্যতম, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে"।(সুরা আরাফ, আয়াত- ২৬)।

ইসলাম মানুষের জন্য যে পোশাক মনোনীত করেছে, তার বিশেষ গুণ-বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সংক্ষেপে বলা যায়, ইসলামসম্মত পোশাক বলতে সেই পোশাককে বোঝায়, যা লজ্জাস্থান আবৃতকারী, মানানসই, সাদৃশ্যবর্জিত, ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, বিলাসিতা বিবর্জিত, অহংকারমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন ।

ইসলামসম্মত পোশাকের জন্য কিছু রূপরেখা রয়েছে।

১। পোশাকটি সতর আবৃতকারী হতে হবে। সতর আবৃতকারী পোশাক বলতে বোঝায়, যে পোশাক সতরের অঙ্গগুলো পুরোপুরি ঢেকে ফেলে। কাপড় এমন মসৃণ ও পাতলা হতে পারবে না, যাতে পোশাকের অভ্যন্তরের অঙ্গ দেখা যায়। কাপড় ঢিলাঢালা হওয়া উচিত। শর্টকাট, আঁটসাঁট পোশাক বিবস্ত্রতার নামান্তর।

২। পোশাক শালীন, সৌজন্যের পরিচায়ক ও সৌন্দর্যমণ্ডিত হওয়া চাই। জুতসই, মানানসই পোশাক পরিধানই ইসলামের দাবি। হাদিস শরিফে এসেছে ,"আল্লাহ সুন্দর। তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন"। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নং- ৯১) ।

৩। রেশমি কাপড় পরিধান করা যাবে না। এ বিধান পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য। নারীদের জন্য রেশমি কাপড় পরিধান করা বৈধ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন,"আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য রেশমি কাপড় এবং স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম; কিন্তু নারীদের জন্য তা হালাল"। (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং - ১৭২০)।

৪। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি ইসলাম সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি ও সুন্দরভাবে জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা। বিশেষত, পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধানের প্রতি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন।


পর্দা ইসলামের সার্বক্ষণিক পালনীয় অপরিহার্য একটি বিধান। কোরআন-সুন্নাহর অকাট্য দলীল প্রমাণাদির ভিত্তিতে নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি বিধানাবলীর মতো সুস্পষ্ট এক ফরয বিধান। আল্লাহ তায়ালাই এ বিধানের প্রবর্তক। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, "হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ"। (সূরা আহযাব,আয়াত - ৫৩) । এ আয়াতে বর্ণিত পর্দার হুকুমটি শুধু নবী-স্ত্রীদের সাথে নির্দিষ্ট নয়। বরং প্রতিটি ঈমানদার নর-নারীই পর্দার হুকুমের অন্তর্ভুক্ত।

পর্দার বিধানের প্রতি পূর্ণ সমর্পিত থাকাই ঈমানের দাবি। এ বিধানকে হালকা মনে করা কিংবা এ বিধানকে অমান্য করার কোনো অবকাশ নেই। কেননা ইসলামী শরীয়তের সুস্পষ্ট বিধানের বিরোধিতা করার অধিকার কারো নেই।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আল্লাহ এবং তার রাসূল কোনো বিষয়ের নির্দেশ দিলে কোনো মু’মিন পুরুষ কিংবা কোনো মু’মিন নারীর জন্য সে বিষয় অমান্য করার কোনো অধিকার থাকে না। আর যে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অমান্য করে সে অবশ্যই পথভ্রষ্ট।’ (সূরা আহযাব,আয়াত - ৩৬)।আর এ আয়াতের মাধ্যমে এ অকাট্যভাবে প্রমাণীত যে,পর্দা নর-নারী উভয়ের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।

ইসলামে পুরুষের পর্দার বিধান -

আমাদের সমাজে নারীর পর্দার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে।অথচ মহান আল্লাহপাক নারীর পাশাপাশী পুরুষদেরকেও পর্দার নির্দেশ দিয়েছেন।তবে নারী-পুরুষের পর্দার জন্য আল্লাহপাক প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা সীমানা নির্ধারন করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহতায়ালা নারীদের পর্দার আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন, এর বিশেষ তাৎপর্য অবশ্যই রয়েছে। সমাজের বেশিরভাগ ধর্ষণ, পরকীয়ায় পুরুষকেই অগ্রগামী দেখা যায়। তাই পুরুষ তার দৃষ্টি সংযত রাখলে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করলে সমাজ থেকে এ জাতীয় অশ্লীলতা ও পাপাচার অনেকাংশে কমে যাবে।

চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ ।পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক বলেছেন,"চরিত্রহীনা নারী চরিত্রহীন পুরুষদের জন্য, আর চরিত্রহীন পুরুষ চরিত্রহীনা নারীদের জন্য, চরিত্রবতী নারী চরিত্রবান পুরুষের জন্য, আর চরিত্রবান পুরুষ চরিত্রবতী নারীর জন্য। লোকেরা যা বলে তাত্থেকে তারা পবিত্র। তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা"।( সূরা আন নূর,আয়াত - ২৬)।

এ প্রসংগে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে আরো বলেন,"নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, সওম পালনকারী পুরুষ সওম পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী পুরুষ ও যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী নারী, আল্লাহ্‌কে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও আল্লাহ্‌কে অধিক স্মরণকারী নারী—তাদের জন্য আল্লাহ রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান"।(সূরা আল আহযাব - আয়াত - ৩৫) ।

এ আয়াতে মুমিন নর-নারীর জন্য মূলনীতি বলে দেয়া হয়েছে যে - আল্লাহ তাআলা মানবচরিত্রে স্বাভাবিকভাবে পরস্পরের মাঝে যোগসূত্র রেখেছেন। পবিত্র ও চরিত্রবান নারীদের আগ্রহ পবিত্র ও চরিত্রবান পুরুষদের প্রতি হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে পবিত্র ও চরিত্রবান পুরুষদের আগ্রহ পবিত্র ও চরিত্রবান নারীদের প্রতি হয়ে থাকে।স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেক চরিত্রবান নারী-পুরুষ নিজ নিজ আগ্রহ অনুযায়ী জীবনসঙ্গী খোঁজ করে নেয় এবং প্রাকৃতিক বিধান অনুযায়ী সেটাই বাস্তবরূপ লাভ করে। এ জন্য জীবনসঙ্গী ও সঙ্গিনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম পবিত্র ও সৎচরিত্রকে প্রাধান্য দিতে জোর তাকিদ দিয়েছে।

"সুন্দর চরিত্র ফুলের চেয়েও পবিত্র আর খারপ চরিত্র ময়লার চেয়েও অপবিত্র" সুন্দর চেহারা থাকলেই চরিত্র সুন্দর হয় না, কিন্তু সুন্দর চরিত্রের মানুষ সত্যিকারের সুন্দর মানুষ হয়।চরিত্র হলো এমন উত্তম স্বভাব যা মানুষকে মহৎ কর্মে উদ্বুদ্ধ করে। অনেকে বলেন, উন্নত চরিত্র এমন প্রশংসনীয়, যা মানুষকে পশুত্ব থেকে টেনে এনে সৃষ্টিকুলের সেরা আসন তথা আশরাফুল মাখলুকাতের মঞ্চে অধিষ্ঠিত করে। যে চরিত্রে মনুষত্বের যাবতীয় উত্তম গুণাবলীর সমাহার ঘটে, তাকেই প্রশংসনীয় চরিত্র বলে।


ছবি - bd-journal.com

চরিত্রবান পুরুষ বা চরিত্রবতী নারী তথা স্বামী-স্ত্রী এ দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ একে অপরের জন্য।একজন নারীর সংশ্রব ব্যতীত পুরুষের জীবনের পরিপূর্ণতা আসে না। সুখে-দুঃখে নারীই পুরুষের জীবনসঙ্গিনী। সুতরাং দাম্পত্য জীবনে এ নারী যদি পূত-পবিত্র সচ্চরিত্রবান হয়, তাহলে সংসার তথা মানব জীবন স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। সমস্যাসঙ্কুল জীবনেও শান্তির ফল্গুধারা বয়ে যায়। যে শান্তি নারী-পুরুষের বৈবাহিক জীবনের মাধ্যমে শুরু হয়। বিবাহিত জীবনে নেককার স্ত্রীর গুরুত্ব অত্যধিক। তাই ইসলাম স্ত্রীকে দিয়েছে সর্বোত্তম মর্যাদা।

একজন পূত-পবিত্র সচ্চরিত্রবান স্ত্রীর ওপর নির্ভর করে ব্যক্তি (পুরুষের) ,পরিবার ,সমাজ, রাষ্ট্রীয় ও পরকালীন জীবনের কল্যাণ ও সফলতা। আবার একজন নারীর জন্য স্বামী নির্বাচনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে মানুষের (পুরুষের) সেরা সম্পদ নেককার স্ত্রী। আবার নেককার স্ত্রীর জন্য সেরা সম্পদ হল আদর্শবান স্বামী। তাই একজন নারী ,স্ত্রী হিসেবে যে সব গুণ সম্পন্ন পুরুষকে বিয়ে করলে ব্যক্তি ,পরিবার তথা সমাজের জন্য মংগলজনক তার মাঝে নেককার স্বামীর যেসব চারিত্রিক গুন অন্যতম তাদের মধ্যে পর্দা একটি অন্যতম অনুসংগ ।


ছবি - গুগল।

আল্লাহপাক সুরা নূরে মুমিন পুরুষদেরকে দৃষ্টি অবনত রাখার মাধ্যমে পরনারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করতে নিষেধ করেছেন।মহান আল্লাহপাক বলেন ," হে নবী,মুমিন পুরুষদেরকে বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং পবিত্রতা রক্ষা করে চলে।এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম পন্থা।নিশ্চিয়ই তারা যা কিছু করেন আল্লাহ এ সম্পর্কে অবগত"। (সুরা নূর,আয়াত - ৩০)।এ প্রসংগে হযরত বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একবার হজরত আলী (রাঃ)-কে বললেন, " হে আলী! পরনারীর দিকে চোখ পড়ে গেলে দ্বিতীয়বার আর তাকিয়ো না। প্রথমবার অনিচ্ছায় চোখ পড়ে যাওয়ার কারণে তুমি ক্ষমা পাবে, কিন্তু দ্বিতীয়বার তাকানো তোমার জন্য জায়েজ নয়"। (মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিজি শরীফ)।

এ প্রসংগে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে আরো বলেন," হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও তাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না।এটিই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।যদি তোমরা গৃহে কাউকেও না পাও, তাহলে তোমাদেরকে যতক্ষণ না অনুমতি দেওয়া হয়, ততক্ষণ ওতে প্রবেশ করবে না। যদি তোমাদেরকে বলা হয়, ‘ফিরে যাও’ তবে তোমরা ফিরে যাবে; এটিই তোমাদের জন্য উত্তম। আর তোমরা যা কর, সে সম্বন্ধে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত"।(সুরা নূর,আয়াত - ২৭-২৮)।

রসুল (সঃ) একাধিক হাদিসে পুরুষদেরকে পর্দার নির্দেশ দিয়েছেন।মুসলিম শরিফে বলা হয়েছে,"কোন পুরুষ কোন পুরুষকে এবং কোন নারী কোন নারীকে যেন বিবস্ত্র অবস্থায় না দেখে"।আলোচ্য হাদিসে একজন পুরুষকে অপর পুরুষ এবং একজন নারীকে অপর নারী থেকেও পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও একাধিক হাদিসে একজন পরপুরুষ এবং পরনারীর দেখা সাক্ষাত করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। রসুল (সঃ) বলেন,"সাবধান!কোন পরপুরুষ যেন কোন পরনারীর সাথে নির্জনে দেখা ও অবস্থান না কর।(বুখারী শরীফ - ৩০০৬)। তারপর এর কুফল বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,"কেননা,যখনই তারা নিরিবিলিতে মিলিত হয় তখন শয়তান তাদের মাঝে তৃতীয়জন হয় এবং উভয়কে কুকর্মে মিলিত করার প্রচেষ্টায় তাদের পিছু লেগে যায়" ( তিরমিযি)।

রসুল (সঃ) আরও বলেন,"মহরামের অনুপস্থিতিতে কোন পুরুষ কোন নারীর সংগে নির্জনে দেখা করবেনা"( বুখারী শরিফ -১৮৬২)।অন্য একটি হাদিসে শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে হেফাজত থাকার জন্য পুরুষদেরকে সতর্ক করে বলেছেন,"স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন নারীর নিকট যেওনা।কারন শয়তান তোমাদের যে কোন একজনের মধ্যে রক্তের ন্যায় প্রবাহিত হবে"(তিরমিযি শরীফ)।

তারপরও স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন নারীর ঘরে যদি একান্তই প্রবেশের প্রয়োজন হয় এ ব্যাপারে আল্লাহপাক সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়ে বলেছেন,"হে ঈমানদারগন - স্বামীর অনুমতি ছাড়া কারওর গৃহে প্রবেশ করবেনা "(সুরা নূর - ২৮) আলোচ্য আয়াত থেকে বুঝা যায়,স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন নারীর ঘরে একান্তই প্রবেশের প্রয়োজন হলেও স্বামীর অনুমতি নেওয়া আবশ্যক হবে।কারন রসুল(সঃ) অনুমতি না নিয়ে কারও ঘরে উকি দিয়ে দেখলেও কঠিন শাস্তির ঘোষনা দিয়েছেন।

মোট কথা,ইসলামে নারীদের পাশাপাশী পুরুষদের জন্য ও পর্দা আবশ্যক করেছে যা উপরের আলোচনা হতে প্রতীয়মান হয়।পুরুষদের সহযোগীতা নারীদের জন্য পর্দা করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।তাই আল্লাহপাকের বিধান পর্দা পালনে পুরুষদেরকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

একজন পুরুষের জন্য নির্ধারিত কিছু সংখ্যক নারীকে দেখা ইসলামে জায়েজ বা বৈধতা রয়েছে। তারা হলেন -

১।মা (আপন ও সৎ মা উভয়) । ২।দাদী-পরদাদী। ৩।নানী-পরনানী । ৪।মেয়ে (বৈপাত্রেয়া ও বৈমামাত্রিয়া মেয়ে ও দুধ মেয়ে) ৫।নাতনী (দুধ মেয়ে ও বৈপাত্রেয়া মেয়ের মেয়ে )। ৬।বোন (আপন,বৈপাত্রেয়া ,বৈমামাত্রিয়া ও দুধ ফুফু )। ৭।ফুফু (আপন,বৈপাত্রেয়া ও বৈমামাত্রিয়া ) । ৮।খালা (আপন,বৈপাত্রেয়া, বৈমামাত্রিয়া ও দুধ খালা) । ৯।ভাতিজী। ১০। ভাগ্নী ।১১।দুধ মা (আড়াই বছরের মধ্যে যার দুধ পান করা হয়েছে) ১২। দুধ বোন ১৩।শাশুড়ি (শুধু আপন শাশুড়ি ) ১৪।ঔরসজাত ও দুধ পুত্রের বধু ১৫।অতি বয়সী মহিলা (যাদের প্রতি তাকালে আকর্ষন অনুভব হয়না )।


ছবি - jugantor.com

ইসলামে নারীর পর্দার বিধান -

ইসলাম বিশ্বজনীন এক ‍চিরন্তন ও শাশ্বত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামে রয়েছে নারীর সম্মান, মর্যাদা ও সকল অধিকারের স্বীকৃতি, রয়েছে তাদের সতীত্ব সুরক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক কর্মসূচী। তাদের সম্মান, মর্যাদা ও সতীত্ব অক্ষুন্ন রাখতেই ইসলাম তাদের উপর আরোপ করেছে হিজাব বা পর্দা পালনের বিধান। মূলত ‘হিজাব বা পর্দা’ নারীর সৌন্দর্য ও মর্যাদার প্রতীক। নারীর সতীত্ব ও ইজ্জত-আবরুর রক্ষাকবচ।পর্দা নারী-পুরুষ উভয়ের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার অতি সহজ ও কার্যকর উপায়।

ইসলাম পর্দা পালনের যে বিধান আরোপ করেছে তা মূলত অশ্লীলতা ও ব্যভিচার নিরসনের লক্ষ্যে এবং সামাজিক অনিষ্টতা ও ফেতনা-ফাসাদ থেকে বাঁচার নিমিত্তেই করেছে। নারীদের প্রতি কোনো প্রকার অবিচার কিংবা বৈষম্য সৃষ্টির জন্য করেনি।বরং তাদের পবিত্রতা ও সতীত্ব রক্ষার্থেই তাদের উপর এ বিধানের পূর্ণ অনুসরণ অপরিহার্য করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন," আর তোমরা নিজ ঘরে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন জাহেলী যুগের প্রদর্শনীর মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না। আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের অনুগত থাক। হে নবী-পরিবার! আল্লাহ তো শুধু চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে"। (সূরা আহযাব,আয়াত - ৩৩)

এ বিধান অনুসরণের মাধ্যমে হৃদয়-মনের পবিত্রতা অর্জন করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, "এ বিধান তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ"।(সূরা আহযাব,আয়াত - ৫৩)


ছবি - janomot.com

পর্দার গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন," হে নবী আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা ও মু’মিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের জিলবাবের একাংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু"। (সূরা আহযাব,আয়াত - ৫৯) ।এ আয়াতে নারীদের পর্দার সঙ্গে চলাফেরা করার গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে যে, পর্দার সহিত চলাফেরা করলে সবাই বুঝতে পারবে তারা শরীফ ও চরিত্রবতী নারী। ফলে পর্দানশীন নারীদেরকে কেউ উত্যক্ত করার সাহস করবে না।
এ জন্য পর্দা-বিধান ইসলামী শরীয়তের পক্ষ থেকে সাধারণভাবে সমাজ-ব্যবস্থার এবং বিশেষভাবে নবীর উম্মতের নারীদের জন্য অনেক বড় ইহসান। এ বিধানটি মূলত ইসলামী শরীয়তের যথার্থতা, পূর্ণাঙ্গতা ও সর্বকালের জন্য অমোঘ বিধান হওয়ার এক প্রচ্ছন্ন দলিল। মানব সমাজকে পবিত্র ও পঙ্কিলতামুক্ত রাখতে পর্দা বিধানের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে বর্তমান সমাজের যুবক ও তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা ও নারীজাতির নিরাপত্তার জন্য পর্দা-বিধানের পূর্ণ অনুসরণ এখন সময়ের দাবি।হাদীস শরীফেও পর্দার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন," নারী পর্দাবৃত থাকার বস্তু। যখন সে পর্দাহীন হয়ে বের হয় তখন শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়"। (তিরমিযী শরীফ - হাদীস নং - ১১৭৩) ।


অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আলী (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদা তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকটে ছিলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবীদের উদ্দেশ্যে) বললেন, মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম বিষয় কোনটি? তারা চুপ হয়ে গেলেন। (কেউ বলতে পারলেন না) ।অতপর আমি ফিরে এসে ফাতেমা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম বিষয় কোনটি ? তিনি বললেন, কোনো পরপুরুষ তাকে দেখবে না (অর্থাৎ নারী পর্দাবৃত থাকবে)। তারপর আমি ঐ বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, নিশ্চয় ফাতেমা আমার অংশ, সে সত্য বলেছে)। (মুসনাদুল বাযযার,হাদীস নং - ৫২৬) ।


ছবি - swadeshpratidin.com

হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর কথায় পর্দার গুরুত্ব পরিস্ফূটিত হয়। আর পারিপার্শ্বিকতার বিবেচনায় বিবেকের দাবীও তাই। এছাড়াও পর্দা পালনের মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় ও সম্মানিত হতে পারে।কেননা হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা পর্দানশীনদের ভালোবাসেন। আর কোরআনে বলা হয়েছে,"হে মানুষ! আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে , আর তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সে ব্যক্তিই বেশী মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে বেশী তাকওয়াসম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।"। (সূরা হুজুরাত,আয়াত - ১৩)

প্রকৃত অর্থে তাকওয়া সম্পন্ন বা মুত্তাকী হলো ঐ ব্যক্তি যে আল্লাহর নির্দেশসমূহ মেনে চলে। আর সর্বসম্মতিক্রমে পর্দা আল্লাহর সুস্পষ্ট নির্দেশ। যেহেতু পর্দা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য অবশ্য পালনীয় নির্দেশ সেহেতু পর্দা পালনের মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত ও মর্যাদা সম্পন্ন হতে পারে।



এছাড়াও পর্দা-বিধান সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করলে আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে, এ বিধানের পূর্ণ অনুসরণের মাধ্যমে নারী ও পুরুষের নৈতিক চরিত্রের হিফাযত হয়। পারিবারিক ব্যবস্থা সুরক্ষিত ও সুদৃঢ় হয়। কারণ, পর্দা পালনের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পরকিয়াবিহীন পবিত্র জীবন গঠিত হয় এবং চরিত্রহীনতা ও অবিশ্বাস তাদের থেকে বিদায় নেয়। তাই মুসলিম উম্মাহ অকপটে স্বীকার করতে বাধ্য যে, দুনিয়া ও আখিরাতে পর্দার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

একজন নারীর জন্য নির্ধারিত কিছু সংখ্যকপুরুষকে দেখা ইসলামে জায়েজ বা বৈধতা রয়েছে বা মুসলিম নারীরা যাদের সামনে পর্দা না করলেও চলবে বা নিজেকে প্রকাশ করতে পারবে -

মাহরাম পুরুষের সামনে নারীর পর্দা না করা জায়েয।নারীর জন্য মাহরাম হচ্ছে ঐসব পুরুষ যাদের সাথে উক্ত নারীর বৈবাহিক সম্পর্ক চিরতরে হারাম,সেটা ঘনিষ্ট আত্মীয়তার কারণে। যেমন ১। পিতা (যত উপরের স্তরে হোক না কেন) ২। সন্তান (যত নীচের স্তরের হোক না কেন) ৩। চাচাগণ ৪। মামাগণ ৫। ভাই ৬। ভাইয়ের ছেলে ,বোনের ছেলে কিংবা দুধ পানের কারণে (যেমন- নারীর দুধ ভাই) ৭।দুধ-মা এর স্বামী কিংবা বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে (যেমন- মায়ের স্বামী) ৮। স্বামীর পিতা (যত উপরের স্তরের হোক না কেন) ৯। স্বামীর সন্তান (যত নীচের স্তরের হোক না কেন)।

পর্দা প্রসংগে মহান আল্লাহতায়ালা আল কুরআনে বলেন," আর মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে, আর তারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তবে যা সাধারণত প্রকাশ হয়ে থাকে। আর তারা তাদের গলা ও বুক যেন মাথার কাপড় দ্বারা ঢেকে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীরা , তাদের মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনা রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে ফিরে আস , যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।(সুরা আন নুর,আয়াত - ৩১)।



ছবি - swadeshpratidin.com

বাইরে গমনকালীন নারীদের জন্য পর্দার বিধান -

নারীদের জন্য গৃহের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী বা নানা দরকারে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। এজন্য ইসলাম প্রয়োজনে নারীকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।এ প্রসঙ্গে সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, পর্দার বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার স্ত্রী হযরত সাওদা (রাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, প্রয়োজনে তোমাদেরকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। (বুখারী শরীফ,হাদীস নং- ৪৭৯৫) ।

মূলত ইসলাম একটি সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। তাই মানব প্রয়োজনের সকল দিকই ইসলামে বিবেচিত হয়েছে। তাই নারীকে এক্ষেত্রে পর্দাবৃত হয়েই বাইরে বের হতে হবে। কিছুতেই পর্দাহীনভাবে বের হওয়া যাবে না। এ প্রসঙ্গে বিশ্বনবী (সাঃ) বলেন," নারী পর্দাবৃত থাকার বস্তু, যখনই সে পর্দাহীনভাবে বের হয় তখন শয়তান তার দিকে উঁকি মেরে তাকায়"। (তিরমিযী শরীফ,হাদীস নং - ১১৭৩) ।

আবার পবিত্র কোরআনে নারীদেরকে বাইরে গমনকালীন মুহুর্তে পূর্ণ পর্দা পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালার সুস্পষ্ট নির্দেশ, "হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা এবং মু’মিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন (প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার সময়) তাদের (পরিহিত) জিলবাবের একাংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু"। (সূরা আহযাব,আয়াত - ৫৯)।এ আয়াতে নারীদেরকে বাইরে গমনের সময় তাদের পরিহিত জিলবাবের একাংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


ছবি - dhakapost.com

এ বিধানের ব্যাপারে সারকথা হলো, কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সর্বসম্মতিক্রমে হিজাব বা পর্দা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নর-নারী তথা মানব জাতির জন্য এক ফরয বিধান। সর্বাবস্থায় এ বিধানের প্রতি পূর্ণ সমর্পিত থাকা নর-নারী উভয়ের জন্য অপরিহার্য।পরিশেষে একথা বলা যায় যে,পর্দার বিধান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।সমাজ থেকে খারাপ আচরণ,পাপাচার-অনাচার, ধর্ষন,অবাধ যৌনতা ইত্যাদি রোধ করার ক্ষেত্রে পর্দা প্রথা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।পর্দা প্রথা অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজ,রাষ্ট্র থেকে এ জাতীয় অপরাধ নির্মুল করা সম্ভব ।মহান আল্লাহপাক নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে পর্দা প্রথার গুরুত্ব অনুধাবন করার ও পর্দা প্রথা অনুসরন করার তওফিক দিন।তওফিক দিন সকল ফেতনা ফ্যাসাদ থেকে নিজেকে হেফাজত করার এবং উন্নত ও নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হওয়ার তথা দেশ ও সমাজ থেকে সকল যেনা-ধর্ষন,ব্যাভিচার রোধ করার।

তথ্যসূত্র - আল কোরআন,হাদীস ও উইকিপিডিয়া

উৎসর্গ - " সে সকল মুসলিম নর-নারীকে " - যারা শতপ্রতিকূলতার মাঝেও ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলি পালনের চেষ্টা করেন।
=========================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -

মানব জীবন - ১৩ - "ধর্ম " Click This Link
মানব জীবন - ১২ " সহ শিক্ষা " Click This Link
মানব জীবন - ১১ " শিক্ষা " - Click This Link
মানব জীবন - ১০ "পরিবার " - Click This Link
মানব জীবন - ৯ "বিবাহের পরে" - Click This Link
মানব জীবন - ৮ " মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য " - Click This Link
মানব জীবন - ৭ " তালাক " - Click This Link
মানব জীবন - ৬ "দেনমোহর - স্ত্রীর হক" - Click This Link
মানব জীবন - ৫ "বিবাহ" - Click This Link
মানব জীবন - ৪ " মাতৃত্ব " - Click This Link
মানব জীবন - ৩ Click This Link
"নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা "
মানব জীবন - ২ " মাতৃগর্ভ (জরায়ু)"- Click This Link
মানব জীবন - ১ "মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা"- Click This Link

মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসল পর্দা না করে নারীরা কী সব পোষাক পরে পর্দার অপমান করতেছে বর্তমানে। আর পুরুষরা পর্দা মানে না। এরা দৃষ্টি অবনত করে না। কোন সুন্দরী সামনে দিয়া গেলে তাকাইয়া থাকে তাকাইয়া থাকে, গিলে খায় পা থেকে মাথা পর্যন্ত ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কাজী ফাতেমা ছবি, আপনার বাস্তব মন্তব্যের জন্য।

বর্তমানে ব্যক্তি স্বাধীনতা তথাকথিত নারী স্বাধীনতার জোয়ারে গা ভাসিয়ে কিছু কিছু নারী যে পোষাক পরে তা যেমন দৃষ্টিকটু তেমনি আবার কেউ কেউ পর্দার নামে যা পরে তাও মেনে নেয়া মুশকিল।কারন,তারা এমনভাবে পর্দাকে উপস্থাপন করে যা পর্দার মূল উদ্দেশ্যকেই রক্ষা করেনা।

আর পুরুষের পর্দা? আমাদের সমাজে একজন পুরুষের বদ্ধমূল ধারনা হল ,পর্দা নারীর জন্য,পুরুষের আবার পর্দা কিসের? অথচ তারা এটা বুঝতে চায়না যে, ইসালমে পর্দার বিধান উভয়ের জন্য এবং নারী থেকে পুরুষের পর্দা বেশী দরকার।আর পথ-ঘাটে বিশেষ করে গ্রামের মাতবর গোছের কিছু মানুষের এবং আমাদের আশেপাশের অনেকেই পরনারীর দিকে এমন ভাবে তাকায় যা দেখলে অনেক সময় নিজেকে পুরুষ হিসাবে ভাবতেও লজ্জা হয় ,আশেপাশের মানুষ লজ্জিত হয় তবে তারা লজ্জিত হয়না এবং তারা ব্যস্ত থাকে তাদের চোখের ও মনের বিকৃত চাহিদা পূরণ করতে।


২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

এভো বলেছেন: পর্দার আয়াত নাজিলের পটভূমি৷

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এভো ভাই , আপনার পর্দার আয়াত নাজিলের পটভূমি শেয়ারের জন্য।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: নাহ একদম ঠিক না পর্দা করবে কেবল নারী, পুরুষরা শরীর দেখিয়ে বেড়াবে। আজ বাসে দেখলাম একজন বেশভূষায় মাওলানা টাইপ লোক উঠেছেন গায়ের পাঞ্জাবিখানা ফিনফিনা পাতলা, তার বগলের পশম পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই , আপনার সরস :P মন্তব্যের জন্য।

আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে !!! কি দেখিলেন ভাই :(( ভাবতেই ঘা গুলিয়ে আসতেছে এই গরমের মাঝে।যদিও লেবাসে হুজুর ছিল তার পরেও জানতে মন চাচছে উনি কি পালোয়ান টাইপের ছিলেনে বা খুব সুদর্শন টাইপের কিছু ছিলেন?

আসলে ভাই , আমরা সবাই নামের মুসলমান যারা ধর্মের নিয়ম কানুন মানা থেকে ধার্মিক হিসাবে নিজেকে প্রচার করতেই বেশী আগ্রহ বোধ করি।আর আমাদের সমাজের বেশীরভাগ পুরুষের বদ্ধমূল ধারনাই হল ,পর্দা নারীর জন্য,পুরুষের আবার পর্দা কিসের?

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আল্লাহ তাআলা নারী ও পুরুষদের প্রতি পর্দা পালনের বিষয়টি কুরআনুল কারিমে সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘(হে নবি! আপনি) মুমিন (পুরুষদের) বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিচু করে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে, এটা তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে বিষয়ে অবগত।

এবং (হে নবি! আপনি) ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিচু রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তাছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে;
এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত দাসি, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা নূর : আয়াত ৩০-৩১

এটাই হলো আসল পর্দার বিধান। কিন্তু ভন্ড কাঠমোল্লারা তা মানতে চায় না। তারা ভাবে যে শুরু নারীরাই নাকি পর্দা করবে তারা গরুর মতো ঢেব ঢেব করে তাকিয়ে থাকবে।
আপনার লেখাটি ভালো লাগলো।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কামরুননাহার কলি , আপনার মন্তব্যের জন্য।

- কিন্তু ভন্ড কাঠমোল্লারা তা মানতে চায় না। তারা ভাবে যে শুরু নারীরাই নাকি পর্দা করবে তারা গরুর মতো ঢেব ঢেব করে তাকিয়ে থাকবে।

- ইসলামের পর্দার বিধান নর-নারী উভয়ের জন্য প্রযোজ্য এই কথাটা আমিও আসলে কোন হুজুরের কাছে কখনো শুনিনি।তারা যত ওয়াজ-নসিহত করে সব নারীর পর্দা নিয়ে বলে পুরুষের ব্যাপারে আশ্চর্যজনক ভাবে নিরব থাকে বা কিছুই বলেনা পুরুষের পর্দার ব্যাপারে।এখানে মনে হয় কিছু একটা থাকে তাদের মনে বা তাদের ফেভারে (যদিও আমি শিউর না)।

আর কিছু মানুষ তা সে হুজুর কিংবা না-হুজুর যুবক কিংবা বুড়ো এমন ভাবে X( আসলেই গরুর মত ঢাগর ঢাগর চোখে নারীর দিকে যেভাবে মায়াবী নজরে তাকিয়ে থাকে তাতে যে কারোরই মনে হতে পারে যে,নারী এ দুনিয়ার কোন জিনিষ নয় এবং সে জীবনের প্রথম নারী দর্শন করছে।তাদের দেখলে আসলেই কষ্ট হয়।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১১

নীল আকাশ বলেছেন: এখন পর্দার নামে মেয়েরা যা পরে সেটা দেখলে মেজাজ ঠিক রাখা খুব কঠিন হয়।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

আসলেই বর্তমানে কিছু কিছু নারী পর্দার নামে যে পোষাক পরে তা মেনে নেয়া মুশকিল।কারন,তারা এমনভাবে পর্দাকে উপস্থাপন করে যা পর্দার মূল উদ্দেশ্যকেই রক্ষা করেনা বা মূল উদ্দেশ্য (নিজেকে অন্যের সামনে আকর্ষনীয় ভাবে না তুলে ধরা ) ব্যহত হয় পর্দাকে তাদের শৈল্পিকভাবে উপস্থাপনের কারনে।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯

নতুন বলেছেন: ধর্মে শ্বালীন পোষাক পড়ার কথা বলতেই পারে।

কিন্তু ইসলামে পর্দার কথা বলে যেটা চাপিয়ে দিতে চেস্টা করছে সেটা জুলুম মাত্র।

উপরে এভো ভাই সহী হাদিস দিয়েছেন যে কোন পটভুমিতে পর্দার কথা এসেছে।

নারীদের নিয়ন্ত্রনের জন্য পর্দা একটা শক্তিশালী হাতিয়ার পুরুষের হাতে। সেটা ইসলামের শুরু থেকেই খুব ভালোভাবেই মুসলমানেরা ব্যবহার করে আসছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

ইসলাম কারো উপর কিছু চাপিয়ে দেয়নাই ভাই।ইসলাম শুধু চলার পথের দিক নির্দেশনা দিয়েছে মাত্র।এখন আপনি-আমি যদি এর ভূল ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা করি নিজেদের স্বার্থে তবে এর দায় ধর্মের নয় ব্যক্তির।

যেমন , এক জয়াগায় দেয়ালে লেখা ছিল, " এখানে প্রস্রাব করিবেন না, করিলে ৫০ টাকা জরিমানা " - এখন আমাদের মত বেশী জানা বনি আদম যদি সেই লেখাকে পড়ে," এখানে প্রস্রাব করিবেন না করিলে ৫০ টাকা জরিমানা " তবে এর দায় কার ভাই ?সেই ব্যক্তির না যে লেখেছে তার ? এখানে আপনি-আমি যদি দেখি তাহলে দু জনেই সঠিক।

একজন লিখেছে সে সঠিক আবার যে পড়েছে সেও তার দৃষ্টিভংগিতে সঠিক। সে ঠিকই পড়েছে এবং শিক্ষিতও বটে তবে শুধু মাত্রা জ্ঞানের অভাব (লেখার মাঝে যে । , "।!? এসব কিছু চিহ্ন আছে এবং এদের ব্যবহারে একটু এদিক সেদিক হলেই যে পুরো শব্দের অর্থই বদলে যাচছে এটা না সে জানে বা না কেউ তাকে বলেছে। সমস্যা এটাই ভাই।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

রানার ব্লগ বলেছেন: হা হা হা !!! পালোয়ান ছিলেন না কিন্তু বেশ নথর ছিলেন !!!! এই রকম দৃষ্য যে কেবল একদিন একজনার ব্যাপারে ঘটছে তা কিন্তু না এমন অনেকবারই ঘটেছে। আমার তখন জানতে ইচ্ছা হয় পর্দা কি কেবল নারির না পুরুষেরও আছে। জিজ্ঞাসা করি না ভয়ে নাজানি কে কোন দিক থেকে আল্লহু আকবর বলে ঘড়ে লাফিয়ে পরে মুমিন টিজিং এর অপরাধে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

- এখন বেশীরভাগ মানুষই কায়িক পরিশ্রমের অভাবে শারীরিক ভাবে সমৃদ্ধ (নাদুস-নুদুস-নথর) হয়ে উঠতেছেন। আর এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন। পথেঘাটে বিশেষ করে গাড়ীতে উঠলে এই ব্যাপারগুলো বড় দৃষ্টিকটু ভাবেই নজরে পড়ে।

তবে কি লাভ ভাই কাউকে কিছু বলে নিজের বিপদ ডেকে আনা।কারন এখন আধুনিক মানুষ কি ধার্মিক মানুষ যেই হোক না কেন সবাই অসহিষ্ণু হয়ে গেছে। কেউ না কাউকে মানতে চায় আর কেউ না কারো সমালোচনা সহ্য করতে চায়।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি বোরকা , নিকাব দ্বারা আবৃত মেয়েদের ছবি না দিয়ে ভেইলিং হিজাব ওয়ালা মেয়েদের ছবি কেন দিলেন ? ভেইলিং হিজাব তো খৃষ্ঠ ধর্মের রিচুয়াল , তাহোলে মাথায় সিঁদুর দেওয়া মেয়ের ছবি পোস্ট করলেন না কেন ভাই ?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এ আর ১৫ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই , ছবিতে কি হবে,ছবি ছবিই। নিকোবের নানা ধরন আছে এখন যে যেটা মানে বা চয়েজ করে। মূল বিষয়টা হলো ,শালীনতা রক্ষা করে চলা ।আর এই ছবি গুলিই আমার নিকট মানানসই মনে হয়েছে আমার লেখার বিষয়বস্তুুর সাথে । তবে আপনি বা অন্যকেউ যে আমার সাথে একমত হবেন যে এগুলিই সঠিক ছবি এমনও নয়।

আবার লেখার বিষয়বস্তুু যেহেতু মুসলমান ও ইসলামের সাথে সম্পর্কিত এবং ইসালামে যেহেতু শাখা-সিদুরের প্রচলন নেই সেহেতু মাথায় সিঁদুর দেওয়া মেয়ের ছবি নেই ভাইয়া।

৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: পর্দা প্রথা কখন এবং কি জন্য নাজিল হয়?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার প্রশ্নের জবাবের জন্য একটা পোস্ট দরকার।

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২০

কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ নিজেই বলেছে তার হাত আছে,আপনার ধারনার সাথে যায় না বলে অন্য ভাবে বুঝালেন।এতে বুঝা যায় আল্লার থেকে আমরা কোরান ভালো বুঝি।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারও আপনাকে ধন্যবাদ কামাল ভাই, যে ভাবে বুঝে। আপনি যা বুঝেছেন আমি হয়তোবা তা বুঝিনি। আমরা জানার চেস্টা করতে পারি শুধু তবে কেউ আমরা সব জানি এমন বলার সুযোগে নেই।

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় বিষয় গুলো নিয়ে আমি ভাবতে চাই না। ধর্মীয় বিষয় গুলো নিয়ে আমি ভাবতে চাই না। ধর্মীয় বিষয় গুলো নিয়ে আমি ভাবতে চাই না।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

- ধর্মীয় বিষয় গুলো নিয়ে আমি ভাবতে চাই না।

ধর্ম নিয়ে না ভাবলে সমস্যা নেই এবং কেউ আমাকে আপনাকে বাধ্যও করবেনা এ ব্যাপারে ভাবার জন্য।এ সম্পূর্ণভাবে আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

ইসলাম কারো উপর কিছু চাপিয়ে দেয়নাই ভাই।ইসলাম শুধু চলার পথের দিক নির্দেশনা দিয়েছে মাত্র।এখন আপনি-আমি যদি এর ভূল ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা করি নিজেদের স্বার্থে তবে এর দায় ধর্মের নয় ব্যক্তির।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ট্রেডিসনাল ড্রেসের দিকে দেখলেই বুঝতে পারবেন সব সমাজই শ্বালীন পোষাক তৌরি করেছে। তারা নারীদের বন্ধি করে রাখতে চায়না বলেই কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে চায়নি।

রাতে টয়লেটে যাবার সময় নারীদের চিনেতে পারার কারনে যদি এই সময়ে এসে ঐ একই রকমের পোষাক পড়ে নারীদের চলা ফেলা করতে হয় তবে সেটা অতান্ত দুখ:জনক।



আমাার ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রটা এমন যে আমি যদি দাবী করি যে বিশ্বের প্রায় সব দেশ, জাতী,ধর্ম, বর্নের মানুষ আমি দেখেছি সেটা খুব বেশি ভুল হবেনা।

আর আমার অভিঙ্গতা থেকে বলতে পারি সব সমাজের মানুষই শ্বালীন পোষাকই পড়ে, কিছু্ সমস্যাপূর্ন মানুষ সকল সমাজেই আছে কিন্তু সাধারন মানুষ সেটা অপছন্দই করে।

তাই নিচের ছবির মতন পোষাক পড়িয়ে নারীকে একজন সাধারন মানুষ হিসেবে পানি পানটাও করতে না দেওয়ার মতন পোষাককে সৃস্টিকতার নির্দেশনা বলে চাপিয়ে দেওয়া অবশ্যই জুলুম।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

-বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ট্রেডিসনাল ড্রেসের দিকে দেখলেই বুঝতে পারবেন সব সমাজই শ্বালীন পোষাক তৌরি করেছে। তারা নারীদের বন্ধি করে রাখতে চায়না বলেই কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে চায়নি।

- ভাই, আমাদের এখানের আলোচ্য বিষয় ছিল " ইসলামে পর্দার বিধান " যা শুধু দেশ-স্থান-কালের মাঝে সীমাবদ্ধ নয় বরং সারা দুনিয়ার সকল মুসলিম নর- নারীর জন্য ।এখন আমরা যদি " বিভিন্ন দেশের-জাতির ঐতিহ্যবাহী পোশাক" দিকে তাকাই তাহলে দেখব একই দেশে বিভিন্ন রকম ঐতিহ্যবাহী (গোত্র-ধর্ম-বর্ণ) পোষাক বর্তমান। যেমন - আমাদের দেশের জাতীয় পোশাক যদি দেখেনে তাহলে তার সাথে পাহাড়ি-উপজাতী দের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মিল খুজে পাবেন না।এটা একই দেশে জাতিতে জাতিতে, ধর্মে,গোত্রে নানা রকম হতে পারে। তবে সকল মুসলমানের জন্য সারা দুনিয়ায় ইসলামের জন্য কিছু ঐতিহ্যবাহী পোষাকে ব্যবহার থাকলেও দেশ-আবহাওয়ার তারতম্য ভেদে এখানেও ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

তবে সারা দুনিয়ার - সব জায়গার সকল মুসলমানের প্রতি ধর্মের একটাই নির্দেশনা , সতর (শালীনতা বা লজ্জাস্থান ) ঢেকে পোশাক পরা। এখন এর মাঝে কে কি ধরনের পোশাক পরবে বা সতর ঢেকে চলবে তাও আবার নির্ভর করে এবং পোশাকের উপর প্রভাব দেখা যায় যার যার সামজিক অবস্থান ও অর্থনৈতিক সামর্থ্যের উপর

১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২১

এভো বলেছেন: নতুন ভাই লিখেছেন --- রাতে টয়লেটে যাবার সময় নারীদের চিনেতে পারার কারনে যদি এই সময়ে এসে ঐ একই রকমের পোষাক পড়ে নারীদের চলা ফেলা করতে হয় তবে সেটা অতান্ত দুখ:জনক।
এখানে উল্লেখ্য তখন মুসলমানরা উম্মুক্ত স্থানে টয়লেট কোরতো এবং কোন ঘেরাও করা টয়লেট ব্যবহার কোরতো । মহিলরা সাধারণত রাতের বেলা উম্মুক্ত স্থানে টয়লেট করতে যেত, দিনের বেলা তাদের খুব সমস্যা হোত । হযরত উমর রা: পর্দার আয়াত নাজিল করার জন্য পড়াপিড়ি করলে ও রসুল সা: ওটাকে গুরুত্ব দেন নি , এর পর তিনি হযরত সাওদা আ: টয়লেট করতে যেতে দেখে বলতে থাকেন তিনি তাকে চিনে ফেলেছেন ------ এটার সমাধান হতে পারতে মহিলাদের জন্য টয়লেট বানানোর মাধ্যমে এবং সেটাই হোত আসল সমাধান । কেন টয়লেট বানাবার আইডিয়া আসলো না সেটা বোধগোম্য নহে এবং তখন বা তারো আগে বাধাই করা টয়লেট তখন পৃথিবীর বিভিন্ন কালচারে পাওয়া যায় এবং এমন কি ৭০০০ বৎসর আগের সিন্ধু সভ্যতা হরপ্পা- মহেনজোদারোতে টয়লেটের বন্দোবস্থ ছিল ।
মহিলদের কভার না করিয়ে টয়লেট বানালে সমস্যার সমাধান হোত ।
হযরত উমর রা: গর্ভের সাথে বোলতেন তিনি নাকি ২ আয়াত মহানবিকে দিয়ে আল্লাহর কাছে থেকে নাজিল করিয়েছেন ,, একটি হোল পর্দার আয়াত এবং অন্যটি হোল কেবলা মক্কা মুখি করার আয়াত ।

নতুন ভাইকে আরেকটা কথা বলি --- উনি যখন লগ ইন করেন তখন সব সময়ে ওনার নামটা একটিভ ব্লগারের লিস্টে ১ নম্বরে থাকে এবং এটা সব সময়ে হয় । এর পিছনে কি কোন কারন আছে ? ধন্যবাদ

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ এভো ভাই , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

আপনি যা বলেছেন, তা আংশিক ভগ্নাংশ মাত্র । যে কোন ব্যাপারে আংশিক তথ্য বা অসম্পূর্ণ তথ্য বা পুরো বাক্যের অংশবিশেষ যে কোন কিছুর সম্পূর্ণ অর্থ পরিবর্তন করে ফেলতে পারে।আর তাই যে কোন ব্যাপারে সঠিক জানা না থাকলে অনুমানের উপর মন্তব্য করতে বা অনুমানের উপর কিছু বলার ক্ষেত্রে ধর্মের নিষেধ রয়েছে।

আর আল কোরআন একেবারে নাজিল হয়নি - সুদীর্ঘ সময়ে নানা ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্ন আয়াত নাজিল হয়েছে এটা সত্য তবে উমর (রাঃ) মহানবিকে দিয়ে আল্লাহর কাছে থেকে নাজিল করিয়েছেন এমন কথা বলার আগে আরো সঠিক ভাবে জেনে নেয়ার অবকাশ রয়েছে ভাই।

১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৪

এভো বলেছেন: নতুন ভাইকে আরেকটা কথা বলি ---আপনি যখন লগ ইন করেন তখন সব সময়ে আপনার নামটা একটিভ ব্লগারের লিস্টে ১ নম্বরে থাকে এবং এটা সব সময়ে হয় । এর পিছনে কি কোন কারন আছে ? ধন্যবাদ

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এভো ভাই , পরিবারের উপরের দিকে তার নামই থাকে যিনি পরিবারে সবচেয়ে প্রবীণ।এদিকে ব্লগার হিসাবে নতুন ভাই ব্লগে লিখেছেন ১৫ বছর ৭ মাস । কাজেই নতুন ভাই -----

১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৮

নতুন বলেছেন: এভো বলেছেন: নতুন ভাইকে আরেকটা কথা বলি ---আপনি যখন লগ ইন করেন তখন সব সময়ে আপনার নামটা একটিভ ব্লগারের লিস্টে ১ নম্বরে থাকে এবং এটা সব সময়ে হয় । এর পিছনে কি কোন কারন আছে ? ধন্যবাদ

কারন আমি বর্তমানে এই ব্লগের সবচেয়ে নতুন ইউজার তাই আমার নাম সবার উপরে থাকে। ;)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই ব্লগে লিখেছেন ১৫ বছর ৭ মাস । কাজেই নতুন ভাই ----- :P চির নতুন

১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৩

এভো বলেছেন: আপনি যা বলেছেন, তা আংশিক ভগ্নাংশ মাত্র । যে কোন ব্যাপারে আংশিক তথ্য বা অসম্পূর্ণ তথ্য বা পুরো বাক্যের অংশবিশেষ যে কোন কিছুর সম্পূর্ণ অর্থ পরিবর্তন করে ফেলতে পারে
এখানে কোন কিছুই অনুমানের উপর বলা হয় নি , প্রথম মন্তব্যে হাদিস পেশ করেছি । মদিনাতে মুসলমানরা উম্মুক্ত স্থানে টয়লেট কোরতো । টয়লেটে ব্যবহার তারা জানতো না । যদি টয়লেট থাকতো তাহোলে হযরত সাওদা আ: রাতের বেলা কেহই দেখতে পেত না এবং পর্দার আয়াত নাজিল হোত না ।এই বিষয়টার সমাধাণ ছিল টয়লেট বানানো , বিশেষ করে মহিলাদের টয়লেট ।
আমি বলেছি হযরত উমর রা: গর্ব করে এমন দাবি করেছিলেন ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ এভো ভাই , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

- এখানে কোন কিছুই অনুমানের উপর বলা হয় নি , প্রথম মন্তব্যে হাদিস পেশ করেছি । মদিনাতে মুসলমানরা উম্মুক্ত স্থানে টয়লেট কোরতো । টয়লেটে ব্যবহার তারা জানতো না । যদি টয়লেট থাকতো তাহোলে হযরত সাওদা আ: রাতের বেলা কেহই দেখতে পেত না এবং পর্দার আয়াত নাজিল হোত না।এই বিষয়টার সমাধাণ ছিল টয়লেট বানানো ,বিশেষ করে মহিলাদের টয়লেট । আমি বলেছি হযরত উমর রা: গর্ব করে এমন দাবি করেছিলেন ।

- এভো ভাই, যদি আমরা হিযাব সংক্রান্ত সকল আয়াতের নাজিলের ক্রমধারা অনুসারে বিচার বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখতে পারবো কেবল মাত্র তখন ঐসকল আয়াতের ঐতিহাসিক পটভূমিকার দ্বারা হিযাব বলতে কি বুঝায় তা আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে উঠবে। তখন দেখা যাবে যে সুরা নুরের হিযাবের বিধি বিধানের আয়াত নাজিলের ২ বছর পূর্বে সুরা আযহাবে হিযাবের বিধিবিধানের আয়াত নাজিল হয়েছিলো। সুরা আযহাবের হিযাব সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয়েছিলো হিজরি পঞ্চম বছরে, আর সুরা নুরে বর্ণিত হিযাব সংক্রান্ত আয়াত হিজরি সপ্তম বছরে নাজিল হয়েছিল। ৩৩:৫৩ আয়াত এসেছিলো খন্দকের যুদ্ধের ঠিক পরবর্তী সময়ে । আর ২৪:৩০ আয়াত আয়েশা রাঃ এর ইকাফের ঘটনার পর পর ।

- ইসলামে পর্দার বিধান নাজিলের পটভূমি-

মদিনার মসজিদে নববীতে মুহাম্মদ সাঃ এর আলাদা কোন হুজরা ছিলোনা, তাই তিনি পালাক্রমে এক একদিন এক এক স্ত্রীর হুজরায় থাকতেন। জাজিরাতুল আরবে মদিনা রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠায়, মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীগণের হুজরা জনগণের সম্পত্তিতে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো। ক্রমবর্ধমান হারে লোকজন তাদের ধর্মীয়,রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যক্তিগত সমস্যা ইত্যাদির জন্য মুহাম্মদ (সাঃ) এর কাছে আসতো। এদের মধ্যে কেউ কেউ রাসুল (সাঃ )এর অধিকতর মনোযোগ লাভের জন্য তারা নবী পত্নীদের শরণাপন্ন হতেন। সে কারণে একদিকে নবীর পারিবারের ব্যক্তিগত জীবন যাপন দারুণ ভাবে বিঘ্নিত যেমন হচ্ছিলো, তেমন করে সব ধরনের মানুষের অবাধ প্রবেশের সুযোগে নবী-পত্নীদের পবিত্র চরিত্রের উপর মুনাফিকদের দ্বারা গুজব ছড়িয়ে দেবার সুযোগ সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা ছিলো। যা উম্মাহর মধ্যে বিভক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারতো। এই ধরণের সমস্যা দেখে ঘনিষ্ঠ সাহাবীয়ে কেরামদের মধ্যে কেউ কেউ এই উদ্ভূত সমস্যা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছিলেন। এইরূপ অবস্থা ঠেকানোর উদ্দেশ্যে স্বয়ং উমর (রাঃ) নবী পত্নী কন্যাদের প্রতি পর্দা করা প্রস্তাব মুহাম্মদ (সাঃ) এর কাছে উপস্থাপন করিয়েছিলেন। হযরত উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে তা আমরা জানতে পারি, তিনি বলেন, আমি নিবেদন করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনার কাছে ভালো-মন্দ লোক আসে, আপনি যদি উম্মুল মুমিনিনদের জন্য পর্দার নির্দেশ দিতেন। এরপরই আল্লাহ তা’আলা পর্দার আয়াত নাজিল করেন। বুখারী শরীফ,(হাদিস নং ১১৪৪ )।

উমর (রাঃ) এর ভাষ্য পড়ে মনে করার অবকাশ নাই যে, উমর (রাঃ) কথা শুনে মুহাম্মদ (সাঃ ) হুট করে করে নারীদের প্রতি পর্দার বিধান জারী করেন। ইসলাম প্রতিষ্ঠা কালীন ইতিহাসে দেখা যায় যে যখন আল্লাহর দ্বীন প্রচারকারী নবী (সাঃ ) এর জীবনে নতুন কোন সমস্যার উদ্ভব হয়েছে বা হবার আশংকা হয়েছে তখনই আল্লাহ তা’আলা সেই সমস্যা সমাধানের জন্য কখনো ওহী মারফত কখনও সাহাবীদের মারফতও নির্দেশনা দিতেন। মহাজ্ঞানী আল্লাহ তা’আলা কোন কিছু করতে চাইলে সে বিষয়ে তাঁর ইচ্ছা প্রকাশ মাত্র তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে সম্পাদন করার ক্ষমতাবান হওয়া স্বত্বেও তিনি এই ভাবে কিছু করেনি, নিয়ম নীতি এবং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি তাঁর মখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। এক আল্লাহর উপাসনা যা দ্বীন ইসলাম, সে দ্বীনও একদিনে প্রতিষ্ঠা করেননি, আল কোরআনকেও এক মুহুর্ত্যে সকল নির্দেশনা লিপিবদ্ধ কিতাবের মতো মুহাম্মদ (সাঃ ) হাতে ধরিয়ে দেননি, তেমন করে ইসলামের কোন হুকুম আহকাম মুসলিমদের উপর হঠাৎ করে একদিনে চাপিয়ে দেননি।

ইসলামের অন্যান্য হুকুম আহকামের মত পর্দার হুকুমটি এক মুহুর্ত্যে নাজিল হয়ে যায়নি। আল্লাহ যে কোন হুকুম প্রথমতঃ মুহাম্মদ (সাঃ ) কে পালন করতে নির্দেশন দেন এরপর তাঁর ঘরের মানুষদেরকে সে নির্দেশের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ করেন এবং পরবর্তীতে সারা মুসলিম সমাজকে সে নির্দেশের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ করেন। সে নির্দেশ আবার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধাপে ধাপে প্রতিষ্ঠা করেন। এর জন্য ইসলামকে মানব বান্ধব জীবন ব্যবস্থা বলা হয়ে থাকে।

এখন দেখেন, ভাই আপনি " ইসলামে পর্দার বিধান নাজিলের পটভূমি"র যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা কি যথার্থ?

আর টয়লেট ? একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমাদের আশে-পাশে এখনো লাখো লাখো মানুষ খোলা জায়গায় টয়লেট করে। তাহলে আপনার "মদিনাতে মুসলমানরা উম্মুক্ত স্থানে টয়লেট কোরতো । টয়লেটে ব্যবহার তারা জানতো না । যদি টয়লেট থাকতো তাহোলে হযরত সাওদা আ: রাতের বেলা কেহই দেখতে পেত না এবং পর্দার আয়াত নাজিল হোত না" বলা অনুসারে মুসলমানরাই টয়লেট ব্যবহার করতোনা বা জানতনা - এটা কতটুকু বাস্তব হতে পারে বলে মনে করেন?

১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হেজাব বোর্খা দাড়ী রাখা, এসব কোনটাই ইসলামের অংশ নয়। ইসলাম পুর্ব আরব বিধর্মি মুর্তিপুজপকদের তৎকালিন প্রথা।
মোহাম্মদ (স) আমলে মক্কা ইসরিব (মদিনা), সিরিয়া সহ মধ্য আরবে ইহুদি নাসারা কুরাইশ, মক্কার মুর্তিপুজক সবাই দাড়ী রাখতো।
মহিলারা আপাদমস্তক বড় একটি চাদর ছিল মুল পোশাক, কাপড় এত সস্তা ছিলনা।
ধনী অভিযাত খ্রিষ্টান ও ইহুদি মহিলারা পরতো বোর্খার মত হুড। পুরুষরাও লম্বা আলখেল্লা ও পাগড়ী পরতো। মুলত মরুভুমির রোদ ধুলোবালি থেকে রক্ষা করতেই এধরনের বস্ত্র।
পরে মোহাম্মদ (স) নেতৃত্বে মক্কা দখলের পর মুসলিম ও অমুসলিমদের আলাদা কোন ড্রেসকোড 'ইসলামি পোশাক' বা স্টাইল চালু করার আদেশ জারি হয় নি, যেভাবে আগে চলতো সেভাবেই।
মক্কাবাসি মুর্তিপুজকরা, মুসলিমরা ইহুদিরা সবই একই বেশভূষা।


নারীকে কতটুকু ঢাকতে হবে কোরান বা হাদিসে স্পেসিফিক ভাবে লিখিত কিছু পাওয়া যায় না। (চাদর টেনে গতর ঢাকতে বলা)
কোরান বা হাদিসে মহিলাদের চুল ঢাকার কোন আদেশ নেই। কিন্তু 'মুখ ঢাকা যাবে না' এই কথাটি স্পষ্ট লেখা আছে কোরানে।
এরপরও পলিটিক্যাল ইসলামের নামে লুটেরা দখদারদের মৌখিক হদিস ব্যাখ্যায় কোরান বিরোধী মুখঢাকা বোর্খা আর হেজাব চালু করা হয়।
দাড়ীও ইসলামি সাইনবোর্ড হিসেবে বাধ্যতামুলক করা হয়, পুরুষতান্ত্রিক রাজনৈতিক ইসলামের প্রয়জনে নারীদের উপর কঠিন বোর্খা নামক ইসলামি সাইনবোর্ড আরোপিত হয়।
যা ইসলামের মূল আদর্শের বিরুদ্ধে। কোরানের 'মুখ খোলা' আদেশের বিরুদ্ধে।


২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

- নারীকে কতটুকু ঢাকতে হবে কোরান বা হাদিসে স্পেসিফিক ভাবে লিখিত কিছু পাওয়া যায় না। (চাদর টেনে গতর ঢাকতে বলা)

ভাই, ইসলামের পর্দার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুসলিম উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত সকল মুসলিম নারীকে বিশেষ আভিজাত্য মর্যাদা দান করা, সাথে সাথে নর-নারী আচার ব্যবহার এবং পোশাকে শালীনতা শোভনতা রক্ষা করা। মানব সমাজ থেকে অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচার এবং এর থেকে উদ্ভূত না না প্রকার সামাজিক এবং আইনি সমস্যা থেকে রক্ষা করা।

এখন আমরা যদি মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকাই তাহলে দেখব,মরক্কোর নারীদের জিলাবা, পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর নারীদের আবাইয়া, ইরানী নারীদের চাদর এবং আফগান নারীদের বোরকার নাম হিযাব নয়। মূলতঃ পর পুরুষের চোখ থেকে নারীর শরীরকে পূর্ণ আড়াল করে রাখে, এমন পোশাক পরাকে হিযাব বলে।

- হিযাব নিজে একটি উদ্দেশ্য নয়, বরং শরীরের শরীয়ত নিষিদ্ধ অংশগুলো শালীন ভাবে আবৃত করার উপায় মাত্র। এই অর্থে সময় ও স্থানভেদে এর ধরন (জিলাবা, শাড়ি, বোরকা, আবাইয়া/সেমিজের সাথে উড়নি,স্কার্ফ, রুমাল, চাদর) বিভিন্ন রকম হতে পারে। যখন হিযাবের বা যে কোন ব্যাপারে আয়াত নাজিল হয়েছে বা কুরআনুল করীমে কখনো কখনো ওহী নাজিলের সমসাময়িক অবস্থার দিকে লক্ষ্য রেখে উপায়ও পদ্ধতি বাতলে দেয়া (তখনকার সময়ে আজকের মত সেলাই বিজ্ঞান এত উন্নত ছিলোনা, তদুপরি সে সময়ের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব করুণ ছিলো তখন দুবেলা পেট ভরে খাবার ক্ষমতা ছিলোনা স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাঃ ঘরে) হয়েছে। ঐ সময়ের চেয়ে উত্তম বা অনুরূপ অন্য কোন উপায় উদ্ভাবিত হলে ঐ পুরানো পদ্ধতি স্থায়ী ভাবে মানতে হবে এমন ধরা বাধা তাৎপর্য বা কথা ঐ সব আয়াতে নিহিত (বলা) নেই।

হিযাবের ব্যাপারে নাজিল আয়াতগুলি ধারাবাহিকভাবে এবং হাদিস পর্যালোচনা করলে বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে বুঝা যায় যে - ইসলামে প্রথম পর্যায়ে পর্দার বিধি বিধান নাজিল হয়েছিলো শুধুমাত্র নবী (সাঃ ) এর পরিবার এবং নবী (সাঃ ) আত্মীয় পরিবারের নারীদের উপর। তা কোন ভাবেই সাধারণ মুসলিম মহিলাদের উপর ছিলোনা। তবে , দ্বিতীয় পর্যায়ের পর্দার বিধি বিধান সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয়েছিলো সাধারণ মুসলিম মহিলাদের জন্য।

এই দুই পর্যায়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আনলে বুঝতে পারা যায় যে পর্দা করা সকল স্বাধীন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম মহিলাদের জন্য আবশ্যকীয় পালনীয় হলেও সে সব আয়াতে মুখ বা চেহারা আড়াল করার নির্দেশ ছিলোনা। মুখ বা চেহারা আড়াল করা নির্দেশ শুধুমাত্র নবীপত্নীগণ,কন্যাগণ এবং নবী (সাঃ) নিকট আত্মীয় স্বজনদের নারীদের প্রতি ছিলো। যেহেতু নবীপত্নী -কন্যাগণ জগতের সকল মুসলিম মহিলাদের রোল মডেল কাজেই কেউ যদি স্বেচ্ছায় সে ভাবে পালন করতে পছন্দ করেন তাহলে তা তিনি তা করতে পারেন, তাতে কেউ বাধা দিতে পারবেনা।

১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৮

নতুন বলেছেন: এখন আমরা যদি " বিভিন্ন দেশের-জাতির ঐতিহ্যবাহী পোশাক" দিকে তাকাই তাহলে দেখব একই দেশে বিভিন্ন রকম ঐতিহ্যবাহী (গোত্র-ধর্ম-বর্ণ) পোষাক বর্তমান। যেমন - আমাদের দেশের জাতীয় পোশাক যদি দেখেনে তাহলে তার সাথে পাহাড়ি-উপজাতী দের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মিল খুজে পাবেন না।এটা একই দেশে জাতিতে জাতিতে, ধর্মে,গোত্রে নানা রকম হতে পারে। তবে সকল মুসলমানের জন্য সারা দুনিয়ায় ইসলামের জন্য কিছু ঐতিহ্যবাহী পোষাকে ব্যবহার থাকলেও দেশ-আবহাওয়ার তারতম্য ভেদে এখানেও ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

তবে সারা দুনিয়ার - সব জায়গার সকল মুসলমানের প্রতি ধর্মের একটাই নির্দেশনা , সতর (শালীনতা বা লজ্জাস্থান ) ঢেকে পোশাক পরা। এখন এর মাঝে কে কি ধরনের পোশাক পরবে বা সতর ঢেকে চলবে তাও আবার নির্ভর করে এবং পোশাকের উপর প্রভাব দেখা যায় যার যার সামজিক অবস্থান ও অর্থনৈতিক সামর্থ্যের উপর।


দুনিয়াতে সব সমাজই স্বালীন পোশাক পড়ে। আর পোষাকের উদ্ভব হয় এলাকা ভেদে আবহাওয়ার প্রয়োজনে।

তাই এখানে একটা টাইপের পোষাক সবাইকে প্রিস্কাইব করা অবশ্যই ভুল ধারনা।

কোরানে যেমন বলেছে নামাজ কায়েম করো। ( এখানে পড়তে বলা হয়নাই) কিন্তু আমাদের মুসলমানেরা নামাজ পড়ারকেই বোঝে।

তেমনি কোরানে বলা হয়েছে শ্বালীন পোষাক পড়তে। সেটা সকল ধর্ম, সমাজ, জ্ঞানী মানুষই বলবে।

কিন্তু আমার কথা হইলো এই পোষাকের ব্যক্ষা করতে গিয়ে ইসলামী পন্ডিতেরা এটাকে কট্টর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। এবং উপরে একটা ছবি দিয়েছি যেখানে একজন নারী সাধারন মানুষের জীবন ধারনে জন্য প্রয়োজনিয় পানিটাও সাধারন মুক্ত মানুষের মতন পান করতে পারেনা।

এটা সম্পর্ন ভুল একটা জিনিস যেটা নারীকে নিয়ন্ত্রনের জন্য পর্দার অযুহাতে নারীদের উপরে চাপিয়ে দিয়েছে ইসলামী পুরুষ আলেমরা।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, ইসলামের পর্দার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুসলিম উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত সকল মুসলিম নারীকে বিশেষ আভিজাত্য মর্যাদা দান করা, সাথে সাথে নর-নারী আচার ব্যবহার এবং পোশাকে শালীনতা শোভনতা রক্ষা করা। মানব সমাজ থেকে অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচার এবং এর থেকে উদ্ভূত না না প্রকার সামাজিক এবং আইনি সমস্যা থেকে রক্ষা করা।

এখন আমরা যদি মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকাই তাহলে দেখব,মরক্কোর নারীদের জিলাবা, পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর নারীদের আবাইয়া, ইরানী নারীদের চাদর এবং আফগান নারীদের বোরকার নাম হিযাব নয়। মূলতঃ পর পুরুষের চোখ থেকে নারীর শরীরকে পূর্ণ আড়াল করে রাখে, এমন পোশাক পরাকে হিযাব বলে।

- হিযাব নিজে একটি উদ্দেশ্য নয়, বরং শরীরের শরীয়ত নিষিদ্ধ অংশগুলো শালীন ভাবে আবৃত করার উপায় মাত্র। এই অর্থে সময় ও স্থানভেদে এর ধরন (জিলাবা, শাড়ি, বোরকা, আবাইয়া/সেমিজের সাথে উড়নি,স্কার্ফ, রুমাল, চাদর) বিভিন্ন রকম হতে পারে। যখন হিযাবের বা যে কোন ব্যাপারে আয়াত নাজিল হয়েছে বা কুরআনুল করীমে কখনো কখনো ওহী নাজিলের সমসাময়িক অবস্থার দিকে লক্ষ্য রেখে উপায়ও পদ্ধতি বাতলে দেয়া (তখনকার সময়ে আজকের মত সেলাই বিজ্ঞান এত উন্নত ছিলোনা, তদুপরি সে সময়ের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব করুণ ছিলো তখন দুবেলা পেট ভরে খাবার ক্ষমতা ছিলোনা স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাঃ ঘরে ) হয়েছে। ঐ সময়ের চেয়ে উত্তম বা অনুরূপ অন্য কোন উপায় উদ্ভাবিত হলে ঐ পুরানো পদ্ধতি স্থায়ী ভাবে মানতে হবে এমন ধরা বাধা তাৎপর্য বা কথা ঐ সব আয়াতে নিহিত (বলা) নেই।

হিযাবের ব্যাপারে নাজিল আয়াতগুলি ধারাবাহিকভাবে এবং হাদিস পর্যালোচনা করলে বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে বুঝা যায় যে - ইসলামে প্রথম পর্যায়ে পর্দার বিধি বিধান নাজিল হয়েছিলো শুধুমাত্র নবী (সাঃ ) এর পরিবার এবং নবী (সাঃ ) আত্মীয় পরিবারের নারীদের উপর। তা কোন ভাবেই সাধারণ মুসলিম মহিলাদের উপর ছিলোনা। তবে , দ্বিতীয় পর্যায়ের পর্দার বিধি বিধান সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয়েছিলো সাধারণ মুসলিম মহিলাদের জন্য।

এই দুই পর্যায়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আনলে বুঝতে পারা যায় যে পর্দা করা সকল স্বাধীন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম মহিলাদের জন্য আবশ্যকীয় পালনীয় হলেও সে সব আয়াতে মুখ বা চেহারা আড়াল করার নির্দেশ ছিলোনা। মুখ বা চেহারা আড়াল করা নির্দেশ শুধুমাত্র নবীপত্নীগণ,কন্যাগণ এবং নবী (সাঃ) নিকট আত্মীয় স্বজনদের নারীদের প্রতি ছিলো। যেহেতু নবীপত্নী -কন্যাগণ জগতের সকল মুসলিম মহিলাদের রোল মডেল কাজেই কেউ যদি স্বেচ্ছায় সে ভাবে পালন করতে পছন্দ করেন তাহলে তা তিনি তা করতে পারেন, তাতে কেউ বাধা দিতে পারবেনা।

১৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৪

নতুন বলেছেন:

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হিযাবের আয়াতগুলির সকল পর্যায়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আনলে বুঝতে পারা যায় যে পর্দা করা সকল স্বাধীন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম মহিলাদের জন্য আবশ্যকীয় পালনীয় হলেও সে সব আয়াতে মুখ বা চেহারা আড়াল করার নির্দেশ ছিলোনা। মুখ বা চেহারা আড়াল করা নির্দেশ শুধুমাত্র নবীপত্নীগণ,কন্যাগণ এবং নবী (সাঃ) নিকট আত্মীয় স্বজনদের নারীদের প্রতি ছিলো। যেহেতু নবীপত্নী -কন্যাগণ জগতের সকল মুসলিম মহিলাদের রোল মডেল কাজেই কেউ যদি স্বেচ্ছায় সে ভাবে পালন করতে পছন্দ করেন তাহলে তা তিনি তা করতে পারেন, তাতে কেউ বাধা দিতে পারবেনা।

২০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

নতুন বলেছেন: যেহেতু নবীপত্নী -কন্যাগণ জগতের সকল মুসলিম মহিলাদের রোল মডেল কাজেই কেউ যদি স্বেচ্ছায় সে ভাবে পালন করতে পছন্দ করেন তাহলে তা তিনি তা করতে পারেন, তাতে কেউ বাধা দিতে পারবেনা।

ভাই আপনার যদি মনে হয় উপরের ছবিগুলোতে নারীরা রোল মডেল হওয়ার জন্য করতেছে তবো আমাার কিছুই বলার নাই। :|

নারীরা স্বাধীনতা চায়। তাদের উপুরে এটা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা আপনারা বুঝতে পারবেন না।

দেশের গরমে একজন নারী যে কত কস্টে কালো বোরকা পরে বাইরে ঘুরে বেড়ায় সেটা বোঝার মতন জ্ঞান মুসলমানের নেই।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নারীরা স্বাধীনতা চায়। তাদের উপুরে এটা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা আপনারা বুঝতে পারবেন না। দেশের গরমে একজন নারী যে কত কস্টে কালো বোরকা পরে বাইরে ঘুরে বেড়ায় সেটা বোঝার মতন জ্ঞান মুসলমানের নেই।

ভাই - কি বলব বলেন? বলার ভাষা নেই :( ।তবে এত টুকুই বলব মানুষের একজীবনে এর থেকে কস্টের বহু জিনিষ বিদ্যমান এবং মানুষের জীবনে সে কিছুই অর্জন করতে পারেনা কস্ট ব্যতীত।মানুষ তার জীবনে সামান্য পরিমান কিছুই পায়না কস্ট ছাড়া ।

২১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

এভো বলেছেন: সূরা নং ২৪ আন নূর (আলো) আয়াত নং ২৮-
“অতঃপর যদি তোমরা সেখানে কাউকে না পাও তাহলে তোমাদেরকে অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত তোমরা সেখানে প্রবেশ করো না। আর যদি তোমাদেরকে বলা হয়, ‘ফিরে যাও’ তাহলে ফিরে যাবে। এটাই তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র। তোমরা যা কর আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবগত।”

উক্ত আয়াতকে মোটামুটি পর্দা সম্পর্কিত প্রথম আয়াত বললে মনে হয় ভুল হবে না। এই আয়াতটির মানে হচ্ছে কারো অনুমতি ব্যতীত কেউ গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করবে না। যদি কেউ চলে যেতে বলে তাহলে চলে যেতে হবে। জোর জবরদস্তি করা যাবে না। এটা খুবই স্বাভাবিক।

সূরা নং ২৪ আন নূর (আলো) আয়াত নং ৩০-
“মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।”

এটা হল পর্দা সম্পর্কিত দ্বিতীয় আয়াত। মহান আল্লাহ তার প্রিয় রাসূলকে মুমিন পুরুষদের বলতে বলেছেন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি তথা চোখকে কন্ট্রোল করে। অর্থাৎ এমন জিনিস দেখবে না বা এমন কিছুর দিকে তাকাবে না যা তাদের যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এরপর রয়েছে লজ্জাস্থান মানে তাদের পুরুষাঙ্গের যেন হেফাযত করে, মানে সামলে রাখে। এটা পুরুষদের পর্দা।

আর পুরুষদের লোলুপ দৃষ্টি, যৌনবাক্য, যৌনস্পর্শ এবং যৌন আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নারীর পর্দা। এখন বিবেচ্য বিষয় কার পর্দা আগে? লোকালয়ে কোন হিংস্র জন্তু প্রবেশ করলে মানুষকে আক্রমণ করে, তখন হিংস্র জন্তুর ভয়ে মানুষ খাঁচায় বন্দী হয়ে থাকবে নাকি ওই জন্তুকে খাঁচায় বন্দী করবে?

মুমিনগণ কি এই পর্দা মেনে চলছে? যদি মুমিনগণ পর্দা মেনে চলে তাহলে নারীদের কি পর্দা তথা বোরকার দরকার আছে? মুমিন বান্দারা কোরান শরীফের এই পবিত্র আয়াত কতটা মেনে চলছে? এমন কোন মুমিন বান্দা আছে কি যে নারীদের দিকে তাকায় না? এমন কোন মুমিন বান্দা আছে কি যে নিজের পুরুষাঙ্গ শাসন করে? পুরুষাঙ্গ বাদ থাকুক, হাত, মুখ এগুলো কি কন্ট্রোল করে? বরং উস্কে দেয়।

তা হলে পর্দাটা আসলে আগে দরকার মুমিনদের। চোখ কন্ট্রোল করতে না পারলে মুমিনদের চোখে পট্টি বাধতে হবে। পুরুষদের পুরুষাঙ্গ কন্ট্রোল করা আয়ত্ত করতে হবে। আর পুরুষাঙ্গ কন্ট্রোল করতে না পারলে কি করা যায়? এটাকে তো পট্টি পরিয়ে লাভ নেই।তখন কর্তনই শ্রেয়।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এভো ভাই, মহান আল্লাহপাক নারীর পাশাপাশী পুরুষদেরকেও পর্দার নির্দেশ দিয়েছেন এবং নারী-পুরুষের পর্দার জন্য আল্লাহপাক প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা সীমানা নির্ধারন করে দিয়েছেন।

আবার মহান আল্লাহতায়ালা নারীদের পর্দার আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন, এর বিশেষ তাৎপর্য অবশ্যই রয়েছে। সমাজের বেশিরভাগ ধর্ষণ, পরকীয়ায় পুরুষকেই অগ্রগামী দেখা যায়। তাই পুরুষ তার দৃষ্টি সংযত রাখলে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করলে সমাজ থেকে এ জাতীয় অশ্লীলতা ও পাপাচার অনেকাংশে কমে যাবে।

এখন কোন মুসলমান (তা সে নারী কিংবা পুরুষ যেই হোক ) যদি সে ধর্মের বিধি বিধান না মানে এর দায় সব মুসলমানের নয় বা ধর্মেরও নয়। আর ধর্মে পাপ কাজের শাস্তি এবং ভাল কাজের পুরষ্কারের কথা বলা আছে।আরও বলা আছে ব্যক্তির পাপের দায় তারই ।কাজেই যে " যেমন কর্ম করবে সে তেমন ফল পাবে " এ ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।

২২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯

নতুন বলেছেন: ভাই - কি বলব বলেন? বলার ভাষা নেই :( ।তবে এত টুকুই বলব মানুষের একজীবনে এর থেকে কস্টের বহু জিনিষ বিদ্যমান এবং মানুষের জীবনে সে কিছুই অর্জন করতে পারেনা কস্ট ব্যতীত।মানুষ তার জীবনে সামান্য পরিমান কিছুই পায়না কস্ট ছাড়া ।

ভাই আমি নারীর স্বাধীনতা বলতো বিকিনি পরে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে বলিনি।

আমি চাই সাধারন মানুষের মতন বাচতে। আপনি যদি কস্ট করে ১ ঘন্টা আমাদের দেশে গরমের দিনে বোরকা পড়ে থেকে দেখতেন তবে বুজতে পারতেন।

আমি প্রতিবছর অনেক নারীকে বোরকা পড়ে গরমে অসুস্থ হতে দেখেছি কাছ থেকে। বিশ্বের নানান দেশের মানুষ। এমন কি আরব নারীরাও।

যেখানে আমি টিসার্ট পরে ঘামিয়ে ভিজে যাচ্ছি সেখানে একজন নারী ধর্মের নামে আপাদ মস্তক কাপড় ঢাকা হয়ে তাও কালো কাপড় যেটা রোদে আরো বেশি গরম শোষন করে পড়ে বাইরে কিভাবে থাকে এটা বুঝতে হলে মানুষ হতে হয়।

ওয়াজবাজ আলেমরা এটা বুঝতে পারবে না। :|

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই,একবার একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম, বোম্বের এক বিখ্যাত নায়িকার জীবনি বিষয়ে। সেখানে তিনি খুব সাবলীলভাবেই বলেছিলেন যে, তিনি জন্মের পর (বুঝ হওয়ার পর ) থেকে দেখেছেন তার মা ঘরে কোন কাপড় পড়তে না যদিও বাসার কাজের লোক সহ অনেকেই থাকত । তাই তিনিও কাপড়ের ব্যাপারে তেমন কিছু বোধ করেন না । যখন মন চায় বাসায় কাপড় পড়েন না হলে উলংগ থাকেন । এ ব্যাপারে ধরা বাধা কোন কিছু নেই এবং তার বাবা-মাও কিছু কখনো বলেন নি। কারন তারা উদার মনের মানুষ এবং ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

কল্পনা করুন সেখানে একটা মুসলিম পরিবারকে এবং তাদের ছেলেমেয়েকে,কি বোধ করবেন আপনি জানিনা? তবে আমি কখনো না তা মেনে নিব নে মেনে নিতে পারব।

একই ভালুক যখন গরমের দেশে থাকে তার জীবনচার একরকম হয় আবার সেই ভালুক যখন শীতপ্রধান দেশে বসবাস করে তার জীবনাচার আরেক রকম হয়। মানুষের বেলায়ও সেইরকম ।

আবার,নারী-পুরুষের জীবনাচারেও ব্যাপক প্রার্থক্য আছে দুনিয়ার সকল সমাজ ও রাষ্ট্রে। অতি শৈশবে বা শৈশবে ছেলে-মেয়েরা যখন একসাথে আমরা খেলাধুলা করতাম খেলা শেষে বা দিনশেষে বা বৃষ্টিে দিনে আমরা হাফ প্যান্ট খুলে ন্যাংটা হয়ে পুকুরে নেমে পড়তাম ।অথচ একটা মেয়ে যত ছোটই হোক বা লেখাপড়া না করুক তার পরেও সে আমাদের মত প্যান্ট খুলে ন্যাংটা হয়ে পুকুরে নামতনা । সে হয়ত তাদের ঘরে বা কলপাড়ে গিয়ে হাতমুখ ধোয়া বা গোসল করত। তাকে কিন্তু কেউ নিষেধ করেনি প্যান্ট খুলে ন্যাংটা হতে বা যৌনতার ব্যাপারেও তার হয়ত তখন কোন কিছু জানা নেই । আর শৈশবেই অবচেতন ভাবে একটা ছেলে-মেয়ের মাঝে কিছু বিষয় গড়ে উঠে আমাদের অজানতেই।

আবার কিছু বিষয় আছে নারীরা যেভাবে করতে পারে বা মেনে নিতে পারে পুরুষেরা তা পারবেনা আবার কিছু বিষয় আছে পুরুষেরা যেভাবে করবে তা নারী কখনো পারবেনা। কারন,তাদের উভয়ের দৈহিক গঠন এবং আচার-আচরন-আকৃতিতেও রয়েছে ব্যাপক প্রার্থক্য। তাই আপনি-আমি যেখানে টিসার্ট পরে ঘামে ভিজে যাব সেখানে একজন নারী হিযাব ব্যবহার করেও ভাল থাকবেন।

২৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১১

নতুন বলেছেন: আবার মহান আল্লাহতায়ালা নারীদের পর্দার আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন, এর বিশেষ তাৎপর্য অবশ্যই রয়েছে। সমাজের বেশিরভাগ ধর্ষণ, পরকীয়ায় পুরুষকেই অগ্রগামী দেখা যায়। তাই পুরুষ তার দৃষ্টি সংযত রাখলে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করলে সমাজ থেকে এ জাতীয় অশ্লীলতা ও পাপাচার অনেকাংশে কমে যাবে।

ধর্ষনের সাথে পর্দার সম্পর্ক নাই। আছে ক্ষমতার। ক্ষমতাসালীর মেয়েরা যেই পোষাকই পরুক না কেন তার ধর্ষনের সম্ভবনা খুবই কম।

পক্ষান্তরে দরিদ্র মানুষ ক্ষমতাহীন মানুষের নারীরা ধর্ষন স্বীকার বেশি হয়।

দেশে আগে সমাজের আইন ঠিক করেন। ধর্ষন খুব বড় একটা সমস্যা থাকবেনা।

ছেলেদের সঠিক সাজা, বিচার এবং শিক্ষা না দিয়ে সমগ্র নারী জাতীকে ঘরে বন্ধি করে নিয়ন্ত্রনের জন্যই পর্দাপ্রথা চলছে।

যেমনটা আমাদের দেশে এতো মুসলমান কিন্তু যৌতুক প্রথা নিয়ে কিন্তু তেমন কথা নেই। কারন এতে ভাল আছে তাই।

আমাদের ভন্ডামীর সাজা কেন নারীরা ভোগ করবে বলুন? কেন তাদের এই জুলুম মনে চলতে হবে?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমাদের ভন্ডামীর সাজা কেন নারীরা ভোগ করবে বলুন? কেন তাদের এই জুলুম মনে চলতে হবে?

- নতুন ভাই, তাইতো কবি বলেছেন, " নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি দিলে অধিকার হে বিধাতা"।

ভাই বিষয়টা ত এখানেই, কোন মুসলমান (তা সে নারী কিংবা পুরুষ যেই হোক ) যদি সে ধর্মের বিধি বিধান না মানে এর দোষ সব মুসলমানের নয় বা ধর্মেরও নয়। আর ধর্মে পাপ কাজের শাস্তি এবং ভাল কাজের পুরষ্কারের কথা বলা আছে।আরও বলা আছে ব্যক্তির পাপের দায় তারই ।কাজেই যে " যেমন কর্ম করবে সে তেমন ফল পাবে " এ ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।

২৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৭

এভো বলেছেন: আমি আগের মন্তব্যে একটা বাক্য ছিল --
আর পুরুষদের লোলুপ দৃষ্টি, যৌনবাক্য, যৌনস্পর্শ এবং যৌন আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নারীর পর্দা। এখন বিবেচ্য বিষয় কার পর্দা আগে? লোকালয়ে কোন হিংস্র জন্তু প্রবেশ করলে মানুষকে আক্রমণ করে, তখন হিংস্র জন্তুর ভয়ে মানুষ খাঁচায় বন্দী হয়ে থাকবে নাকি ওই জন্তুকে খাঁচায় বন্দী করবে?
এখানে যে প্রশ্নটা করা হয়েছে কার পর্দাটা আগে ? পুরুষ না নারির পর্দা আগে ? কোন লোকালয়ে হিংস্র জানোয়ার আক্রমণ করলে কি মানুষ খাঁচায় থাকবে না হিংস্র জানোয়ারটাকে খাঁচায় রাখবেন , কোন টা ?
হিংস্র জানোয়ার মানে পুরুষের চোখকে বেধে দিল তো সব সমস্যার সমাধান হয় ।
পুরুষের চোখ বাধা বা সংযোম চর্চার জন্য ইসলামে কি তরিকা আছে ? কোন তরিকাই নেই,পুরুষদের যৌন সংযোম বাড়ানোর চর্চার , তার বদলে ৪ টা বিয়ে করার সুযোগ আছে ।
ইসলাম ধর্মে পুরুষদের যৌন সংযোম চর্চার কোন তরিকাই নেই ,, কিন্তু হিন্দু ধর্ম কামচার্য রিপুদমন নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন যোগ আসন সহ বাক্ষ্মচার্য সাধনা সহ অনেক তরিকা আছে , বৌদ্ধ ধর্মে আছে ।
ইসলাম ধর্মে পুরুষদের চোখ নিয়ন্ত্রণের কথাটা শুধু টেক্স হিসাবে আছে এর কোন ইমপ্লিমেন্টেসন নেই , কোরানে হাদিসে কোন দিক নির্দেশনা নেই এটা চর্চা করার বা উৎসাহিত করার । কোন সাহাবা কেরামের জীবনিতে কাম তাড়না নিয়ন্ত্রণের কোন নজির আমরা পাই না , শুধু পাই ৪ বিবাহ করা ।
পরের জেনারেশনে দেখতে পাই ৪ টা বিয়ে এবং প্রতি বৎসর একটা তালাক দিয়ে নতুন বউ ঘরে আনার চর্চা ।
পবিত্র কোরানের শুধু বললো হে পুরুষ তোমরা চোখ সামলাও --- কিন্তু এটাকে কি ভাবে বাস্থবায়িত করতে হবে সেটার কোন দিক নির্দেশনা নেই ।
তাই বলুন প্রথমে পর্দাটা করবে পুরুষ না নারি ? বাস্তব চিত্র হোল পুরুষরা পর্দা করার ধার ধারে না এবং নারিদের বাধ্য করা হয় ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মহান আল্লাহতায়ালা নারীদের পর্দার আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন, এর বিশেষ তাৎপর্য অবশ্যই রয়েছে। সমাজের বেশিরভাগ ধর্ষণ, পরকীয়ায় পুরুষকেই অগ্রগামী দেখা যায়। তাই পুরুষ তার দৃষ্টি সংযত রাখলে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করলে সমাজ থেকে এ জাতীয় অশ্লীলতা ও পাপাচার অনেকাংশে কমে যাবে।

২৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই,একবার একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম, বোম্বের এক বিখ্যাত নায়িকার জীবনি বিষয়ে। সেখানে তিনি খুব সাবলীলভাবেই বলেছিলেন যে, তিনি জন্মের পর (বুঝ হওয়ার পর ) থেকে দেখেছেন তার মা ঘরে কোন কাপড় পড়তে না যদিও বাসার কাজের লোক সহ অনেকেই থাকত । তাই তিনিও কাপড়ের ব্যাপারে তেমন কিছু বোধ করেন না । যখন মন চায় বাসায় কাপড় পড়েন না হলে উলংগ থাকেন । এ ব্যাপারে ধরা বাধা কোন কিছু নেই এবং তার বাবা-মাও কিছু কখনো বলেন নি। কারন তারা উদার মনের মানুষ এবং ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কল্পনা করুন সেখানে একটা মুসলিম পরিবারকে এবং তাদের ছেলেমেয়েকে,কি বোধ করবেন আপনি জানিনা? তবে আমি কখনো না তা মেনে নিব নে মেনে নিতে পারব।
একই ভালুক যখন গরমের দেশে থাকে তার জীবনচার একরকম হয় আবার সেই ভালুক যখন শীতপ্রধান দেশে বসবাস করে তার জীবনাচার আরেক রকম হয়। মানুষের বেলায়ও সেইরকম ।<<<<<


এই সব উদাহরন বেতিক্রম কিন্তু বিশ্বের সাধারন সমাজে শ্বালীন পোষাকই গ্রহনযোগ্য। সেটাই বেশির ভাগ মানুষ মানে।

আমি শ্বালীনতা নিয়ে কোন প্রশ্ন করছিনা।

প্রশ্ন করছি ইসলামে পর্দা নিয়ে কে কতটুকু বাড়াবাড়ী করা হচ্ছে সেটা নিয়ে।

আপনি কি একটা দিন কয়েক ঘন্টার জন্য একটা কালো বোরকা পড়ে আমাদের দেশে সাধারন মেয়ের মতন বাইরে একটু চলাচল করে দেখবেন? আসলে এটা তাদের জন্য কতটা কস্টের?

আমি আরব দেশে কামলা দিচ্ছি আমি নিজে ৪০-৪৯ ডিগ্রি তাপের মাঝে মুসলিম নারীদের বাইরে দেখেছি তাদের মাথাঘুরে পড়ে যেতে দেখি প্রতি সামারেই তাদের জন্য প্যারামেডিক ডেকে তাদের সাহাজ্য করেছি।

আমাদের দেশেও নারীরা একই রকমের কস্ট সহ্য করে যাচ্ছে ধর্মের বাড়াবাড়ীর নামে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইগো ভাই, নতুন ভাই, একটু দুস্টামি করি মনে কিছু নিয়েন না :P। আপনাকে আমাকেও যদি একটা স্যানিটারি প্যাড,প্যান্টি এবং ব্রা পরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে মনে হয় আমরাও বেশী সময় সইতে পারবো না। আমার এটা বলার উদ্দেশ্যে হল, আসলে এটা বলতে চাওয়া যে,যার জন্য যা তার তাই করা উচিত। পুরুষ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করবে এবং নারী বাইরে শালিন পোশাক পরে যাবে। এতটুকুই।

২৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাইগো ভাই, নতুন ভাই, একটু দুস্টামি করি মনে কিছু নিয়েন না :P। আপনাকে আমাকেও যদি একটা স্যানিটারি প্যাড,প্যান্টি এবং ব্রা পরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে মনে হয় আমরাও বেশী সময় সইতে পারবো না। আমার এটা বলার উদ্দেশ্যে হল, আসলে এটা বলতে চাওয়া যে,যার জন্য যা তার তাই করা উচিত। পুরুষ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করবে এবং নারী বাইরে শালিন পোশাক পরে যাবে। এতটুকুই।

ভাই আমি বলেছি যে ওয়াজবাজ হুজুরেরা মানুষের কস্ট বুঝতে পারবেনা।

ধর্মের নামে জুলুম বন্ধ হউক।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, আপনি যে দৃষ্টিকোণ থেকে বলেছেন তা ঠিক আছে ।

তবে ভাই এখানে আরেকটা কথা আছে। দেখেনে আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় সাধারন (ঢিলেঢালা নিয়ম-কানুন) শিক্ষা ও ক্যাডেট (কঠোর নিয়ম-কানুন) শিক্ষা - এ দু ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে যদি তাকান তাহলে দেখবেন, সাধারন শিক্ষাব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের থেকে ক্যাডেট শিক্ষার্থীরা অনেক বেশী নিয়মানুবর্তী তাদের ব্যক্তিগত জীবনে এবং অনেক সফল তাদের পেশাগত জীবনে। আর এসব ই সম্ভব হয় তাদের কঠোর নিয়মানুবর্তীতার কারনে ।ক্যাডেট শিক্ষার্থীদের যেখানে তাদের ২৪ ঘন্টার প্রতিটা মিনিটের হিসাব তথা মূল্যায়ন হয় এবং কাজে লাগাতে চেষ্টা করে সেখানে সাধারন শিক্ষার্থীদের না আছে সময়জ্ঞান না আছে থাকে ভাল কোন ভবিষ্যত পরিকল্পনা। প্রার্থক্যটা এখানেই।

সামান্য কয়েক বছরের কঠোর নিয়মানুবর্তীতার কারনে একজন ক্যাডেট শিক্ষার্থীর যেখানে একটি উজ্জল ভবিষ্যৎ গড়ে উঠে ঠিক বিপরীতভাবে নিয়ম-নীতি ও সঠিক পরিকল্পনা না থাকার কারনে একজন সাধারন শিক্ষার্থীর সারা জীবন কাটে অনিশ্চিয়তায় ।

আর ঠিক এরকম ই হবে ধর্মীয় বিষয়েও।মানুষের সীমিত এ জীবনে যারা ধর্মের বিধিবিধান সঠিক ভাবে মানবে বা পালন করার চেষ্টা করবে তাদের জন্য রয়েছে পরকালে মংগল তথা ভাল কিছু আর যে মানবে না তার জন্য রয়েছে অনিশ্চিয়তার অন্ধকার।

২৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নতুন ভাই, আপনি যে দৃষ্টিকোণ থেকে বলেছেন তা ঠিক আছে ।

তবে ভাই এখানে আরেকটা কথা আছে। দেখেনে আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় সাধারন (ঢিলেঢালা নিয়ম-কানুন) শিক্ষা ও ক্যাডেট (কঠোর নিয়ম-কানুন) শিক্ষা - এ দু ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে যদি তাকান তাহলে দেখবেন, সাধারন শিক্ষাব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের থেকে ক্যাডেট শিক্ষার্থীরা অনেক বেশী নিয়মানুবর্তী তাদের ব্যক্তিগত জীবনে এবং অনেক সফল তাদের পেশাগত জীবনে। আর এসব ই সম্ভব হয় তাদের কঠোর নিয়মানুবর্তীতার কারনে ।ক্যাডেট শিক্ষার্থীদের যেখানে তাদের ২৪ ঘন্টার প্রতিটা মিনিটের হিসাব তথা মূল্যায়ন হয় এবং কাজে লাগাতে চেষ্টা করে সেখানে সাধারন শিক্ষার্থীদের না আছে সময়জ্ঞান না আছে থাকে ভাল কোন ভবিষ্যত পরিকল্পনা। প্রার্থক্যটা এখানেই।


নিয়ম মানা আর জুলুম করার মাঝে একটা পার্থক্য আছে। আমি জুলুম করার কথা বলেছি।

কোরানে কয়টা আয়াত আছে নারীর পর্দার ব্যাপারে? সেখানে বিষয়টা খুবই সহজ। শ্বালীন পোষাক পরা। কিন্তু বর্তমানে যেটা চলছে সেটা মোল্যাদের ব্যক্ষা। তারা নারীদের বন্ধি করে নিয়ন্ত্রন করতে চায়। তাই ধর্মের নামে এইসব চাপিয়ে দেয়।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

- নিয়ম মানা আর জুলুম করার মাঝে একটা পার্থক্য আছে। আমি জুলুম করার কথা বলেছি।

ইসলামে যে কোন বিষয়ে বাড়াবাড়ি করার জন্য নিষেধ করা আছে এবং যে কোন ব্যাপারে মধ্যপন্থা গ্রহনের কথা বলা আছে। আর ইসলামে ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে হুশিয়ারী করা হয়েছএ এবং ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নিষিদ্ধ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর বিদায় হজে বলেছেন, "তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোরো না, অতীতে যারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে তারাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে"। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহিষ্ণুতার সর্বশ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত হলো মানবতার মুক্তির দিশারি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লিখিত মদিনার প্রথম সনদ।

পবিত্র কোরআনেও মহান আল্লাহপাক এ বিষয়ে নিষেধ করেছেন। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, " দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি বা বাধ্য বাধ্যকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়েত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যে গোমরাহকারী তাগুতদেরকে অস্বীকার করেছে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাঙবার নয়। আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।( সূরা বাকারা,আয়াত - ২৫৬ )।

আর এসব হূশিয়ারী একজন মুমিনের জীবনের পোশাক তথা সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই আল কোরআনের আলোকে যেটা এবং যেভাবে আদেশ সেটাই মানা একজন মুসলিম নর-নারীর জন্য প্রযোজ্য।ধর্মের নামে অধর্ম কখনো পালনীয় বা আবশ্যকীয় বিষয় নয়।

২৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই কেউ যদি আপনাকে ধর্ষক , লুইচ্চা , যৌনতাড়না নিয়ন্ত্রণে অক্ষম , ধজ্জভংগ ই্ত্যাদি বলে ট্রিট করে বা আচরন দিয়ে আপনাকে ও সব বোঝাতে চায় তখন আপনি কি সেটা কে সহ্য কোরবেন বা মেনে নিবেন ?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ এ আর ১৫ ভাই , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

-ভাই কেউ যদি আপনাকে ধর্ষক , লুইচ্চা , যৌনতাড়না নিয়ন্ত্রণে অক্ষম , ধজ্জভংগ ই্ত্যাদি বলে ট্রিট করে বা আচরন দিয়ে আপনাকে ও সব বোঝাতে চায় তখন আপনি কি সেটা কে সহ্য কোরবেন বা মেনে নিবেন ?

- ভাই, আমি ধরে নিলাম এই কথা গুলো একজন মেয়ে একজন ছেলেকে বলেছে হয়ত তার পরিবেশ-পরিস্থিতি,ব্যক্তির আচরণ এবং আশা :P ভংগের কারনে বা যা সে চেয়েছে সেই ছেলেটি হয়ত তা পূরণ করতে পারেনি।আবার ছেলেটি হয়ত তার চাহিদা বা আচরন নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি / নিয়ন্ত্রন করেছে ধর্মীয় বিধি-নিষেধের কারনে বা অন্য কারনে।

এখানে দেখবার বিষয় - এর পিছনের আসল কারন কি বা কেন একটা মেয়ে একটা ছেলেকে এ জাতীয় কথা বলতে বাধ্য হলো ? কারন, কোন মেয়ে বা অন্যকেউ কোন কারন ছাড়াই কাউকে এ জাতীয় কথা বলবে বলে মনে হয়না।সেই ব্যাপারে যথাযথ কারন জানার পরেই এ ব্যাপারে কিছু মন্তব্য করা বা বলা উচিত বলে আমি মনে করি।

২৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

এ আর ১৫ বলেছেন: বোরকা নিকাব ইসলামের পোষাক নহে , তবে কোরানের গাইড লাইন অনুযায়ি শালিন পোষাক ইসলামের উপদেশ ।
আমাদের সামনে দিয়ে মার্জিত পোষাক শাড়ি সেলোয়ার কামিজ পড়ে কোন মেয়ে গেলে আমরা তার দিকে গভির ভাবে তাকাই না বা ওভার লুক করি ।
যখন কোন মহিলা বোরকা নিকাব পড়ে আপনাকে পরোক্ষভাবে মেসেজ দেয় -- যে যেহেতু আপনি একজন ধর্ষক , লুইচ্চা , লম্পট , যৌনতাড়না নিয়ন্ত্রণে অক্ষম ধজ্জভংগ পুরুষ , তাই আপনার হাত থেকে রক্ষা পেতে আমি নিজেকে বস্তা বন্দি করেছি ---- তখন কি আপনার নিজেকে ঐ সব বিশেষন গুলো ভাবতে কি অপমান বোধ করেন ? আপনি মার্জিত শাড়ি সেলোয়ার পড়া মেয়েদের সাথে কখনো খারাপ আচরন করেন নি , অতচ ঐ সব বোরকাধারিরা মনে করে বা মেসেজ দিচ্ছে , তারা যদি বোরকা না পড়ে তাহোলে আপনি তাদের ধর্ষন করবেন কারন আপনি লুইচ্চা, যৌনতাড়না নিয়ন্ত্রণে অক্ষম ।
তাই এই জিনিসটা কি পুরুষের জন্য অপমানজনক নহে ?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: - যখন কোন মহিলা বোরকা নিকাব পড়ে আপনাকে পরোক্ষভাবে মেসেজ দেয় -- যে যেহেতু আপনি একজন ধর্ষক , লুইচ্চা , লম্পট , যৌনতাড়না নিয়ন্ত্রণে অক্ষম ধজ্জভংগ পুরুষ , তাই আপনার হাত থেকে রক্ষা পেতে আমি নিজেকে বস্তা বন্দি করেছি ---- তখন কি আপনার নিজেকে ঐ সব বিশেষন গুলো ভাবতে কি অপমান বোধ করেন ?

- ভাই , আপনি যেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছেন সেইদিক থেকে তা হয়ত ঠিক তবে আপনি-আমি যদি এভাবে দেখি যে , " সে তাই করছে যা তার জন্য করা উচিত " - তাহলেই হয়ত এ মানষিকতার অবসান হয়ে যায়।

আবার,আমরা সবাই আমাদের জীবনে যা মূল্যবান বা দামী তা সবসময় সঠিকভাবে এবং নিরাপদে সংরক্ষণ করতে চাই। এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ঠিক সেভাবে একজন নারীর জন্য সবচেয়ে মূল্যবান তার সৌন্দর্য এবং ইজ্জত তথা সম্মান-সম্ভ্রম । কাজেই সে যদি তার যথাযথ হেফাজত করে বা সংরক্ষণ করে তবে এটাই তার জন্য সর্বোত্তম ।

এখানে যদি কেউ সেই রকম ( আপনি বর্ণিত ) চিন্তা ভাবনা করে তবে এর দায় যে করে তার সেই নারীর নয় যে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য পর্দা করেছে।কারন, একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের চিন্তা ভাবনা না নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে আর না সে আরেক জনের খারাপ চিন্তা-কাজের জন্য দায়ী।

৩০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০২

নতুন বলেছেন: ইসলামে যে কোন বিষয়ে বাড়াবাড়ি করার জন্য নিষেধ করা আছে এবং যে কোন ব্যাপারে মধ্যপন্থা গ্রহনের কথা বলা আছে। আর ইসলামে ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে হুশিয়ারী করা হয়েছএ এবং ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নিষিদ্ধ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর বিদায় হজে বলেছেন, "তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোরো না, অতীতে যারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে তারাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে"। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহিষ্ণুতার সর্বশ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত হলো মানবতার মুক্তির দিশারি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লিখিত মদিনার প্রথম সনদ।

পবিত্র কোরআনেও মহান আল্লাহপাক এ বিষয়ে নিষেধ করেছেন। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, " দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি বা বাধ্য বাধ্যকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়েত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যে গোমরাহকারী তাগুতদেরকে অস্বীকার করেছে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাঙবার নয়। আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।( সূরা বাকারা,আয়াত - ২৫৬ )।

আর এসব হূশিয়ারী একজন মুমিনের জীবনের পোশাক তথা সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই আল কোরআনের আলোকে যেটা এবং যেভাবে আদেশ সেটাই মানা একজন মুসলিম নর-নারীর জন্য প্রযোজ্য।ধর্মের নামে অধর্ম কখনো পালনীয় বা আবশ্যকীয় বিষয় নয়।


তাহলে তো পর্দার নামে বর্তমানে নারীদের উপরে যেটা হচ্চে সেটাতো অবশ্যই ধর্মের নামে বাড়াবাড়ী।

কোরানে ৩টা আয়াত আছে নারীদের শ্বালীন পোষাক গাইডলাইন দিয়ে।

বর্তমানে হাজার হাজার লাইন লেখা পাবের কিভাবে নারীরা পোষাক পড়বে তার উপরে। সবই পুরুষেরা লিখেছে। পুরুষেরা নারীদের নিয়ন্ত্রনের জন্য এতো কস্টকরে কোরানের ৩ আয়াতের উপরে ভর করে ৩ হাজার/৩ লক্ষ লাইন লিখেছে যাতে নারীরা ভয়ে থাকে পর্দার ভেতরে থাকে নিয়ন্ত্রনে থাকে।

দুনিয়াতে ইসলামী কায়দায় পর্দা করেনা কিন্তু শ্বালীন পোষাক পরে এমন নারীদের সংখ্যা সম্ভবত মোট মুসলিম নারীদের চেয়েও কম হবেনা।

কিন্তু তার পরেও পুরুষেরা নারীরা কি পরিধান করবে সেটা নিয়ে মাথা ব্যাথা।

ধর্মকে কঠিন করার জন্যই আস্তে আস্তে মানুষ ধর্মথেকে দুরে সরে যাবে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, সমস্যা এটাই - বাড়াবাড়ি।

যেখানে ধর্মের অতি অবশ্য পালনীয় বিষয়গুলি (কালেমা-নামাজ-রোজা) নিয়ে বেশীরভাগ মুসলমান উদাসীন সেখানে ধর্মের যে সব বিষয়গুলি নিয়ে বির্তক তৈরী করা যাবে সে সব বিষয়ে বেশীরভাগ নামধারী মুসলমানের আগ্রহ।

আপনি যদি ধারাবাহিক ভাবে মুসলমানদের ধরেন তাহলে দেখবেন শতকরা কতজন কালেমাগুলি সঠিক ভাবে বলতে পারে ,দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ কতজন পড়ে ,শতকরা কতজন রমজানের ৩০ টি রোজা রাখে ? যে ছবি দেখবেন তাতে আপনি হতাশই হবেন। অথচ এই মানুষগুলিই ধর্মের অবমাননার প্রতিবাদের নামে সবার আগে সামিল হয় ধ্বংসযজ্ঞে। আর তখন দোষ হয় ধর্মের।আপনি যদি শুধু আয়াতুল দু'আ কুনুত কতজন পারে তা ধরেন তাহলে আরও ভয়াবহ ছবি দেখবেন অথচ প্রতিদিন বিতর নামাজে তা আমাদের পড়তে হয়।

আমরা ইসলামের আইনের প্রধান প্রধান ধারা গুলি না মেনে না পালন করে উপ উপধারা গুলি নিয়ে বেশী মাতামাতি করতে ভালবাসি ।এটাই সমস্যা।আর এইসব কাজগুলি কারা করে? সেত আপনার আমার চোখের সামনেই।

৩১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

নতুন বলেছেন: তাহলে বর্তমানে ধর্মের কি অবস্থা এটা সম্পর্ক মোটামুটি ভালো ধারনা আপনার আছে।

বর্তমান বিশ্বে বেশির ভাগ ধর্মেরই এই একই অবস্থা।

সবাই নামে ধর্ম পালন করে। বাব দাদার ধর্ম সেটা সামাজিকতার খাতিরেই ছাড়তে চায় না। এবং যদি মৃত্যুরপরে জীবন থাকে তবে তো সমস্যায় পড়তে হবে সেটাও মাথায় থাকে তাই নামে ধর্ম পালন করে।

মানুষ এখন মৃত্যুর ভয়ে ভীত না। এটা ধর্মের ভয় কমাতে ভুমিকা রেখেছে। এখন মানুষ নামে ধর্ম পালন করে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, আমরা সবাই এখন নামের মুসলমান কামের না ।

আমরা সবাই দেখাতে (show off) ভালবাসি অথচ এটাই ইসলামে সবার আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা তাই বেশী বেশী করি বা করতে চেষ্টা করি যা করতে ধর্মে বারণ করা হয়েছে। আর তাই সবচেয়ে কম করি বা করতেই চাইনা (নামাজ-রোজা-অন্যের দোষ না খোজা ) যার জন্য বার বার তাগিদ দেয়া হয়েছে।

আর তাইতো ,সারা দুনিয়ায় এখন ধর্মের নামে এত অধর্ম আমরা দেখতে পাচছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.