নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহানবী (সাঃ) কি আসলেই সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বা কেন তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ? । ( মহানবীর জীবনচরিত - ৩ )।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

উৎসর্গ -"ব্লগার কামাল১৮ এবং ব্লগার চাঁদগাজী " - সহ সকল মুক্তমনা দাবীদার মানুষদেরকে যারা রসুল (সাঃ) এর শ্রেষ্ঠত্ম সম্পর্কে সন্দিহান ।

মহান আল্লাহপাক ফেরেশতা ও মানবকুল থেকেই নবী-রাসুল মনোনীত করেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, " আল্লাহ ফিরিশতাদের মধ্য থেকে মনোনীত করেন রাসূল এবং মানুষের মধ্য থেকেও - নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা। " (সুরা হজ, আয়াত - ৭৫) । আর মানুষদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষগণই নবী ও রাসুল হয়ে থাকেন। নবী-রাসুলরা আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত এবং তিনি তাঁদের সব ধরনের চারিত্রিক ও মানবিক দোষত্রুটি থেকে রক্ষা করেন। এ ব্যাপারে আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে বলেন, " অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত ও উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।" (সুরা সোয়াদ, আয়াত - ৪৭)।আল্লাহ প্রতিটি জাতির জন্য তাদের স্বজাতি থেকেই নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, " আমি তো তোমাকে সত্যসহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; এমন কোন সম্প্রদায় নেই যার নিকট সতর্ককারী প্রেরিত হয়নি"। (সুরা ফাতির, আয়াত - ২৪)।

পৃথিবীতে নবী-রাসুলদের আগমনের ধারাক্রম মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাধ্যমে শেষ হয়েছে। তাঁর পরে আর কোনো নবী-রাসুল আসবেন না। ফলে তিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সাঃ), তিনি নবীদের সর্দার এবং কিয়ামত পর্যন্ত আগত সব মানুষ ও জিনের জন্যও তিনি নবী। তিনি শেষ নবী। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। তাঁর সম্মান ও মর্যাদার সাক্ষ্য পবিত্র কোরআন সহ সব আসমানি গ্রন্থে রয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁকে সৃষ্টিজগতের জন্য কল্যাণস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। মহান আল্লাহপাক মহানবী (সাঃ) কে মানবতার মুক্তির দূত ও সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, " আর আমরা তো আপনাকে সৃষ্টিকুলের জন্য শুধু রহমতরূপেই পাঠিয়েছি "। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত - ১০৭)।

এ ছাড়াও কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রশংসায় বলেন,"হে নবী! অবশ্যই আমরা আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং আল্লাহর অনুমতিক্রমে তার দিকে আহবানকারী ও উজ্জ্বল প্রদীপরূপে "। (সুরা আহজাব, আয়াত - ৪৫ - ৪৬) ।

নবী-রাসুলদের কর্মপদ্ধতি ছিল উচ্চতর প্রজ্ঞা ও কল্যাণকামিতায় ভরপুর। পবিত্র কোরআনে নবী-রাসুল (সাঃ) দের মৌলিক চারটি কাজের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন,"তোমাদের মধ্যে একজন রাসুল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদেরকে তাঁর আয়াতগুলো পড়ে শোনান, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। অথচ এর আগে তারা সুস্পষ্ট গোমরাহিতে নিমজ্জিত ছিল"। (সুরা জুমুআ, আয়াত - ২) ।

আল্লাহ তাআলার পর তিনিই শ্রেষ্ঠ। তার মত আর কেউ নেই। তিনি সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। মাটির তৈরী সকল মানুষ, আগুনের তৈরী সকল জিন, নূরের তৈরী সকল ফেরেস্তা থেকে শ্রেষ্ঠ মাটির তৈরী এ মহামানব রাসূল (সাঃ)। যেমন সকল নূরের তৈরী ফেরেস্তার মাঝে হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) শ্রেষ্ঠ তেমনি মাটির তৈরী এ মহামানব রাসূল (সাঃ) সকল মাটির তৈরী পয়গম্বর, সকল মানুষ ও সকল জিন ও ফেরেস্তা থেকে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম। তার মত উত্তম ও শ্রেষ্ঠ কোন সৃষ্টি আল্লাহ তাআলা কখনো সৃজন করেন নি, কখনো করবেন ও না। রাসুল (সাঃ) মানুষ মাটির তৈরি, যেমন কোরআন তৈরি কাগজ-কালি দিয়ে কিন্তু কোরআনের একনাম নূর বা হেদায়াত, তেমনি রাসূল (সাঃ) ও রক্তে-মাংসে তৈরি শরীরের মানুষ, কিন্তু তিনি হেদায়াতের নূর বা আলো মহামানব, এবং তিনিই মহৎ চরিত্র মর্যাদা সর্বোচ্চ স্তরে অধিষ্টিত।

রাসূল (সাঃ) মানুষ ছিলেন এ ব্যাপারে কাফেরদেরও কোন সন্দেহ ছিল না তার প্রমানে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে - "অথবা তোমার একটি সোনার তৈরী ঘর হবে, অথবা তুমি আকাশে আরোহণ করবে, কিন্তু তোমার আকাশ আরোহণে আমরা কখনো ঈমান আনব না যতক্ষন তুমি আমাদের প্রতি এক কিতাব নাযিল না করবে যা আমরা পাঠ করব। বলুন, পবিত্র মহান আমার পালনকর্তা, আমি একজন মানব রাসূল ছাড়া কে? আর যখন মানুষের কাছে হিদায়াত আসে, তখন তাদেরকে ঈমান আনা থেকে বিরত রাখে কেবল তাদের এ কথা যে, আল্লাহ কি মানুষকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন? বলুন, ফিরিশতাগণ যদি নিশ্চিন্ত হয়ে যমীনে বিচরণ করত তবে আমরা আসমান থেকে তাদের কাছে অবশ্যই ফিরিশতা রাসূল করে পাঠাতাম "।(সূরা বনী ইসরাঈল-আয়াত - ৯৩, ৯৪, ৯৫)।


আল কোরআনের অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, " তারা আরো বলে যে, তাঁর কাছে কোন ফেরেস্তা কেন প্রেরণ করা হল না? যদি আমি কোন ফেরেস্তা প্রেরণ করতাম, তবে গোটা ব্যাপারটি খতম হয়ে যেত। এরপর তাদেররকে সামান্য অবকাশও দেয়া হত না। যদি আমি কোন ফেরেস্তাকে রাসূল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের রূপেই হত। এতেও সে সন্দেহই করত, যা এখন করছে"।(সূরা আনআম ,আয়াত -৮,৯)।

রাসূল (সাঃ) মানুষ ছিলেন এ ব্যাপারে কোন কাফেরেরও সন্দেহ ছিল না। মক্কার কাফেরদের আশ্চর্যের এটাইতো কারণ ছিল যে, আল্লাহ তাআলা কেন ফেরেস্তা ছাড়া মানুষকে রাসূল বানিয়ে পাঠালেন? এর জবাব আল্লাহ তাআলা কি সুন্দর শব্দে বলে দিলেন। যদি দুনিয়াতে মানুষের বদলে ফেরেস্তারা থাকতো তাহলে আল্লাহ তাআলা ফেরেস্তাই পাঠাতেন রাসূলরূপে। কিন্তু যেহেতু দুনিয়াতে মানুষ বাস করে তাই মানুষকেই পাঠানো হয়েছে রাসূল হিসেবে। এ সহজ কথাটি মক্কার কাফেররা বুঝতো না বলেই আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করে বুঝালেন।

মহানবী (সাঃ ) কে অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়েছে যা এ দুনিয়ার আর কোন মানুষ বা নবীকে দেয়া হয়নি ।হযরত জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ ) ইরশাদ করেন, "আমাকে এমন পাঁচটি বৈশিষ্ট্য প্রদান করা হয়েছে, যা এর আগে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি।
১।এক মাসের পথের দূরত্ব পর্যন্ত শত্রুপক্ষের অন্তরে আমার ভীতি সঞ্চারিত করে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে।
২। সমগ্র ভূখণ্ডকে আমার জন্য মসজিদ এবং পবিত্রকারী অর্থাৎ নামাজ ও তায়াম্মুমের উপযুক্ত বানানো হয়েছে।
৩।আমার জন্য গনিমতের মাল হালাল করা হয়েছে, যা এর আগে কোনো নবীর জন্য হালাল করা হয়নি।
৪। আমাকে মহান সুপারিশের দায়িত্ব দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে।
৫।পূর্বেকার সব নবী নিজ জাতির কাছেই প্রেরিত হতেন আর আমি পৃথিবীর সব মানুষের কাছে প্রেরিত হয়েছি।" (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং - ৫১২)।

অন্যদিকে মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর একটি উপাধি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া বা নবীদের সর্দার। আল্লাহ তাআলা তাঁকে সব নবী-রাসুলের ওপর নেতৃত্বের মর্যাদা দান করেন।কিয়ামতের দিন মহানবী (সাঃ ) নবী-রাসুলদের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। উবাই ইবনে কাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, " কিয়ামতের দিন আমি নবীদের ইমাম ও খতিব (মুখপাত্র) হব, আমি সবার সুপারিশকারী হব। এ কথা আমি অহংকার ছাড়াই বলছি "। (মিশকাত শরীফ, হাদিস নং - ৫১৩) ।

এ ছাড়া দুনিয়ার বিখ্যাত জ্ঞানী-গুণী মানুষ / মনীষীদের চোখেও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শ্রেষ্ঠত্ম প্রমাণিত -

১। স্যার জর্জ বার্নার্ড শ ‘দ্য জেনুইন ইসলাম’ বইয়ের প্রথম খণ্ডে লিখেছেন, " মুহাম্মদের ধর্মের প্রতি আমি সব সময় সুউচ্চ ধারণা পোষণ করি। কারণ এটি চমৎকার প্রাণবন্ত। আমার মনে হয়, এটিই একমাত্র ধর্ম, যা সদা পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রার সঙ্গে অঙ্গীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখে, যা প্রতিটি যুগেই মানুষের হৃদয়ে আবেদন রাখতে সক্ষম। আমি তাঁর (মুহাম্মদ) সম্পর্কে পড়াশোনা করেছি। চমৎকার একজন মানুষ। আমার মতে, খ্রিস্টবিরোধী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে অবশ্যই মানবতার ত্রাণকর্তা বলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, তাঁর মতো ব্যক্তির কাছে যদি আধুনিক বিশ্বের একনায়কতন্ত্র অর্পণ করা হতো, তাহলে তার সমস্যাগুলো তিনি এমন সাফল্যের সঙ্গে সমাধান করতেন, যা বহুপ্রতীক্ষিত শান্তি ও সুখ প্রতিষ্ঠা করত। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি, যে মুহাম্মদের ধর্মবিশ্বাস আগামী দিনের ইউরোপের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, যা এরই মধ্যে বর্তমান ইউরোপে গ্রহণযোগ্যতা পেতে শুরু করেছে "।

২। থমাস কার্লাইল ‘হিরোস, হিরো অ্যান্ড হিরো ওয়ার্কশপ অ্যান্ড হিরোইক ইন হিস্ট্রি’ বইতে লিখেছেন, " এই লোককে (মুহাম্মদ সাঃ) ঘিরে যে মিথ্যা (পশ্চিমা অপবাদ) পুঞ্জীভূত হয়ে আছে, যার ভালো অর্থ হতে পারে ধর্মান্ধতা, তা আমাদের নিজেদের জন্যই লজ্জাজনক"।

৩। মহাত্মা গান্ধী তাঁর ‘ইয়াং ইন্ডিয়া’ বইতে লেখেন, " আমি জীবনগুলোর মধ্যে সেরা একজনের জীবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম, যিনি আজও লক্ষ-কোটি মানুষের হৃদয়ে অবিতর্কিতভাবে স্থান নিয়ে আছেন। যেকোনো সময়ের চেয়ে আমি বেশি নিশ্চিত যে ইসলাম তলোয়ারের মাধ্যমে সেই দিনগুলোতে মানুষের জীবনধারণ পদ্ধতিতে স্থান করে নেয়নি। ইসলামের প্রসারের কারণ হিসেবে কাজ করেছে নবীর দৃঢ় সরলতা, নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা বিসর্জন দেওয়া, ভবিষ্যতের ব্যাপারে সতর্ক ভাবনা, বন্ধু ও অনুসারীদের জন্য নিজেকে চরমভাবে উৎসর্গ করা, তাঁর অটল সাহস, নির্ভয়তা, ঈশ্বর ও তাঁর (নবীর) ওপর অর্পিত দায়িত্বে অসীম বিশ্বাস। এসবই মুসলমানকে সব বাধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। যখন আমি মুহাম্মদের জীবনীর দ্বিতীয় খণ্ড বন্ধ করলাম, তখন আমি খুব দুঃখিত ছিলাম যে এই মহান মানুষ সম্পর্কে আমার পড়ার আর কিছুই বাকি থাকল না " ।

৪। ডঃ উইলিয়াম ড্রেপার তাঁর বই ‘হিস্ট্রি অব ইনটেলেকচুয়াল ডেভেলপমেন্ট ইন ইউরোপ’ বইয়ে লেখেন, " জাস্টিনিয়ানের মৃত্যুর চার বছর পর, ৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে আরবে একজন মানুষ জন্মগ্রহণ করেন, যিনি সবার চেয়ে মানবজাতির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। অনেক সাম্রাজ্যের ধর্মীয় প্রধান হওয়া, মানবজাতির এক-তৃতীয়াংশের প্রাত্যহিক জীবনের পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করা—এ সব কিছুই সৃষ্টিকর্তার দূত হিসেবে তাঁর উপাধির যথার্থতা প্রমাণ করে"।

৫। আলফানসো দ্য লে মার্টিনি তাঁর বই ‘দ্য হিস্ট্রি দ্য লে টেরকি’-তে লেখেন, " উদ্দেশ্যের মহত্ত্ব, লক্ষ্য অর্জনের উপায়গুলোর ক্ষুদ্রতা ও আশ্চর্যজনক প্রভাব যদি অসাধারণ মানুষের তিনটি বৈশিষ্ট্য হয়, তাহলে কে মুহাম্মদের সঙ্গে ইতিহাসের অন্য কোনো মহামানবের তুলনা করতে সাহস করবে? বেশির ভাগ বিখ্যাত ব্যক্তি শুধু সেনাবাহিনী, আইন ও সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন। তাঁরা যদি কিছু প্রতিষ্ঠা করে থাকেন সেটা কিছুতেই জাগতিক ক্ষমতার চেয়ে বেশি কিছু নয়, যা প্রায়ই তাঁদের চোখের সামনে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই মানুষটি শুধু সেনাবাহিনী, আইন, সাম্রাজ্য, শাসক, লোকবলই পরিচালনা করেননি; সেই সঙ্গে তৎকালীন বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জীবনকে আন্দোলিত করেছিলেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো তিনি দেব-দেবী, ধর্ম, ধারণা ও বিশ্বাসগুলো—এমনকি আত্মাগুলোকে পর্যন্ত আন্দোলিত করেছিলেন"।

৬। পৃথিবী বিখ্যাত বই ‘বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি’র লেখক মাইকেল এইচ হার্ট তাঁর বইতে বলেন, "মুহাম্মদকে সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থান দেওয়াটা অনেক পাঠককে আশ্চর্যান্বিত করতে পারে এবং অন্যদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে; কিন্তু ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সেক্যুলার ও ধর্মীয় উভয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ সফল ছিলেন। সম্ভবত ইসলামের ওপর মুহাম্মদের তুলনামূলক প্রভাব খ্রিস্টধর্মের ওপর যিশু ও সেইন্ট পলের সম্মিলিত প্রভাবের চেয়ে বেশি। আমি মনে করি, ধর্মীয় ও সেক্যুলার উভয় ক্ষেত্রে প্রভাবের এই বিরল সমন্বয় যোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই মুহাম্মদকে মানবেতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী একক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত করেছে"।

৭। বিশ্বখ্যাত বক্তা অ্যাডমন্ড বার্ক ভারতের সাবেক গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের ইমপিচমেন্ট (অভিশংসন/অভিযোগ) সংশ্লিষ্ট ভাষণে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাধ্যমে প্রবর্তিত ইসলামী আইনের প্রতি ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, " The Muhammadan Law is binding upon all, from the crowned head to the meanest subject. It is a law interwoven with a system of the wisest, the most learned and the most enlightened jurisprudence that has ever existed in the world "। বা "মুকুটধারী রাজা থেকে দীনতম প্রজা পর্যন্ত সবার ক্ষেত্রেই মুহাম্মদ প্রবর্তিত আইন সমানভাবে প্রযোজ্য। এ আইন হচ্ছে প্রাজ্ঞতম মনীষীদের চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে গ্রথিত পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানসমৃদ্ধ ও আলোকিত মানবিক আইনের ন্যায়শাস্ত্র, যা পৃথিবীতে এ পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি"।

৮। মানবসভ্যতার ইতিহাসে নারীর মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে যে ব্যক্তি জোরালোভাবে প্রথম সোচ্চার হন, মানবজীবনে নারীর অধিকার পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে ব্যক্তি অপরিসীম অবদান রাখেন, সত্যিকার অর্থে নারী জাগরণ ও নারী মুক্তির প্রবক্তা যে ব্যক্তি, তিনি হচ্ছেন হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)। মানব ইতিহাসে দেখা যায় তিনিই প্রকৃতপক্ষে প্রথম মহাপুরুষ, যিনি নারী জাতিকে প্রকৃত মর্যাদা ও অধিকার প্রদান করেছেন। এ ব্যাপারে মনীষী পিয়ের ক্রাবাইট (Pierre Crabite) বলেছেন,"Muhammad was the greatest champion of women’s rights the world has ever seen"। বা " মুহাম্মদ নারী অধিকারের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রবক্তা ছিলেন, যা পৃথিবীতে আর কখনো দেখা যায়নি"।

৯। আমেরিকার প্রখ্যাত মনসমীক্ষক জুলে মাসারম্যান তাঁর ‘হয়্যার আর দ্য লিডারস’ (Where are the leaders) নিবন্ধে বিভিন্ন মহৎ ব্যক্তির জীবনী বিশ্লেষণ করে নিবন্ধের উপসংহারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন , " Perhaps the greatest leader of all times was Muhammad" বা " সম্ভবত, সর্বকালের জন্য সবচেয়ে মহান নেতা হচ্ছেন মুহাম্মদ" ।

এ নিবন্ধটি টাইমস ম্যাগাজিনে ১৯৭৪ সালের ১৫ জুলাই প্রকাশিত হয়। এখানে উল্লেখ্য, জুলে মাসারম্যান একজন ইহুদি হওয়া সত্ত্বেও প্রথম স্থান দিয়েছেন হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে। তবে তিনি তাঁর ধর্মের নবী হজরত মুসা (আঃ) কে দ্বিতীয় স্থান দিয়েছেন।

মহানবী (সাঃ) মহামানব, যিনি শত্রু-মিত্র সবার কাছে প্রশংসার যোগ্য।আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, " একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে বললেন, হে বৎস! তোমার অন্তরে কারো সম্পর্কে হিংসা-বিদ্বেষবিহীন অবস্থায় যদি তুমি সকাল-সন্ধ্যা কাটাতে পারো, তবে তুমি তা করো। অতঃপর রাসুল (সাঃ) বললেন, হে বৎস! এটা আমার সুন্নাত। আর যে আমার সুন্নাতকে ভালোবাসল নিঃসন্দেহে সে আমাকে ভালোবাসল। আর যে আমাকে ভালোবাসল, সে বেহেশতে আমার সঙ্গেই থাকবে"। (মিশকাত শরীফ, হাদিস নং - ৩০)।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দুনিয়ার বিখ্যাত জ্ঞানী-গুণী মানুষ / মনীষীদের মনেও তার শ্রেষ্ঠত্ম সম্পর্কে সন্দেহ না থাকলেও পরিতাপের বিষয় হল মুসলমান নামধারী কিছু মানুষও মক্কার কাফেরদের মতই অভিযোগ করে নবীজী (সাঃ ) মূর্খ-অশিক্ষিত (নাউজুবিল্লাহ ) একজন মানুষ যিনি কোন শ্রেষ্ঠ মানুষ নন বা আমাদের মতই একজন সাধারন মানুষ। যদি আল্লাহতে বিশ্বাস থাকে তাহলে কোরআনের আয়াত অনুযায়ী বিশ্বাস করতে হবে নবীজী (সাঃ) শ্রেষ্ঠ মানুষ। আল্লাহ তাআলার পরই নবী (সাঃ ) শ্রেষ্ঠ। তার মত আর কেউ নেই। তিনি সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তিনি হেদায়াতের নূর বা আলো ও মহামানব, এবং তিনিই মহৎ চরিত্র মর্যাদা সর্বোচ্চস্তরে অধিষ্টিত এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

তথ্যসূত্র ও সহযোগীতায় - আল কোরআন,হাদীস ও উইকিপিডিয়া।
======================================================================

পূর্ববর্তী পোস্ট -

মহানবী (সাঃ) এর জীবনচরিত - ২ Click This Link
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মহামানব রাসূল (সাঃ) এর জ্ঞান (শিক্ষা) ও প্রজ্ঞা ।

মহানবী (সাঃ) এর জীবনচরিত - ১ Click This Link
" পবিত্র মাস রবিউল আউয়াল " সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মহামানব রাসূল (সাঃ) যিনি জন্মগ্রহণ করেন পবিত্র এ মাসে । ১২ ই রবিউল আউয়ালের তাৎপর্য ও করণীয় ।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



অপ্রয়োজনীয় আলাপ সালাপ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই অপ্রয়োজনীয় আলাপকেই প্রয়োজনের মোড়ক দেয়ার প্রচেষ্টা আরকি।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার নাম যোগ করাতে মন্তব্য বেড়ে যেতে পারে, অন্য কিছু বদলাবে না; ব্লগারেরা আমাদের নবী (স: ) সম্পর্কে আপনার থেকে আরো পরিস্কার ও সঠিক ধারণা রাখেন। আপনার লেখা সব সময় গরুর রচনার মতো শোনায়।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই , আপনার (নিজের সম্পর্কে নিজে এত উচ্চাশা পোষণের জন্য যে আপনার নাম যোগ করলেই একটা কিছু হয়ে যাবে ) মন্তব্যের জন্য ।

আপনার নাম নেয়া এ জন্য যে সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাকে সঠিক জিনিষ জানার-বুঝার তওফিক দেন এবং আপনার জন্য সর্বদাই শুভকামনা আমার।

আপনার জন্য বা আমাদের জন্য সৃষ্টিকর্তা যা নির্ধারন করে রেখেছেন তাই হবে ,তার বাইরে কিছুই হবেনা - আমরা যতই চেষ্টা করি।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:






নবী (স: ) প্রথম শক্তিশালী আরব সাম্রাজ্যের পত্তন ঘটান, বেদুইনদের হাজার হাজার গোত্রকে ঐক্যবদ্ধ করেন; বেদুইন সৈনিকেরা মানুষকে টুকরো টুকরা করে ফেলেছে, পারসিক ও বায়জান্টাইনরা, এমন কি অনেক আরবগোত্র নিচিহ্ন হয়ে গেছে; জেরুসালেমের বাহিরের ইহুদীদের কতল করে ফেলেছে বেদুইনরা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৩০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, আধুনিক রাষ্ট্রের অনুপস্থিতে শক্তিশালী গোত্র ব্যবস্থা চালু ছিল যা জাতি ভিত্তিক রাষ্ট্র তৈরী হওয়ার পর এবং সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।

আর ইসলামের প্রারম্ভে কিছু যুদ্ধ হয়েছে তবে কখনো কোথাও মুসলমানরা আগে কারো উপর হামলা করেনি বা হামলার চেষ্টাও করেনি। তারা সবসময় যুদ্ধ পরিহার করার চেষ্টা করেছে এবং যখন বাধ্য হয়েছে তখন যুদ্ধ করছে তবে তা সব তখনকার সময়ের যুদ্ধের রীতি-নীতি মেনেই করছে। আর বিজিত এলাকায় কখনো কোন ধ্বংসযজ্ঞ চালায় নি । বরং সবার জান মালের হেফাযত করেছে এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা চালু করেছে।

আর ইহুদিদের ব্যাপারে যা বলেছেন তা একপেশে। ইহুদিরা বরাবরই বিশ্বাসঘাতক এক জাতি । তারা সবসময় তাদের ছাড়া বাকী সবার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। যত ইহুদি মুসলমানদের হাতে মারা গিয়েছে তার থেকে কয়েকগুন বেশী মারা গিয়েছে ইউরোপে ।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আল্লাহের কোন ক্ষমতা থাকলে, আমাদের দেশে মুসলমানেরা মুসলমানদের হত্যা করতো না (১৯৭১ ) ও আফগানিস্তানের মানুষকে এত কষ্ট করতে হতো না, মুসলিম দেশে "টোকাই" থাকতো না।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান, আমার-আপনার পাপের দায় সৃষ্টিকর্তার উপর চাপাতে পারেন তবে তাতে নিজেদের দায়মুক্তি ঘটেনা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ কিংবা আফগানিস্তানে যা হয়েছে তাতে ধর্ম এবং সৃষ্টিকর্তার দায় কতটুকু ? এগুলি কিছু মানুষের (পাকি / আমেরিকান দের) লোভের ফসল।

আর আল্লাহর ক্ষমতা ? আপনি দেখতে চাইলে সব জায়গায়ই তার ক্ষমতা দেখতে পাবেন। আর যদি জেগে ঘুমিয়া থাকেন তাহলে না আপনাকে কেউ জাগাতে পারবে না কেউ আপনাকে কিছু বুঝাতে পারবে / দেখাতে পারবে।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪৬

জটিল ভাই বলেছেন: যারা অবিশ্বাস করেছে তুমি তাদেরকে সতর্ক কর বা না কর, তাদের পক্ষে উভয়ই সমান; তারা বিশ্বাস করবে না। (২: ৬)
যাদের ভাগ্যে হেদায়েত নেই, তাদের জন্য দাওয়াত কোনো কাজে আসবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বড়ই আশা ছিল যে, সবাই মুসলিম হয়ে যাক এবং সেই অনুপাতে তিনি প্রয়াসও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মহান আল্লাহ বললেন, ঈমান তাদের ভাগ্যেই নেই।(তাবারী/১: ২৫২)
যাদের ব্যাপারে তোমার পরওয়ারদেগারের সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হয়ে গেছে তারা ঈমান আনবে না। (১০: ৯৬)
যদিও কাফিরদের দাওয়াত দেয়া না-দেয়া সমান, তবুও কার ভাগ্যে ঈমান আছে তা শুধু আল্লাহই জানেন; তাই আমাদের উচিত- দাওয়াত দিয়ে যাওয়া। এটাই ছিল নবীর দায়িত্ব “পৌছে” দেয়া। (১৩:৪০)
মূলত আয়াতটি কুরাইশ নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে যারা কুফরের উপরই অটল ছিল! (১৪: ২৮)
আল্লাহ তাদের হৃদয় ও কানে মোহর মেরে দিয়েছেন, তাদের চোখের উপর আবরণ রয়েছে এবং তাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি। (২: ৭)
(তরজমা নেট হতে)

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই , আপনার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ।

সেটাই ভাই, যাদের ভাগ্যে হেদায়েত নেই, তাদের জন্য দাওয়াত কোনো কাজে আসবে না।আর হেদায়াত ত মহান আল্লাহ প্রদত্ত এবং নির্ধারিত নেয়ামত, যা সবার ভাগ্যে মিলেনা বা মিলবেনা।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫০

জটিল ভাই বলেছেন: যারা অবিশ্বাস করেছে তুমি তাদেরকে সতর্ক কর বা না কর, তাদের পক্ষে উভয়ই সমান; তারা বিশ্বাস করবে না। (২: ৬)
যাদের ভাগ্যে হেদায়েত নেই, তাদের জন্য দাওয়াত কোনো কাজে আসবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বড়ই আশা ছিল যে, সবাই মুসলিম হয়ে যাক এবং সেই অনুপাতে তিনি প্রয়াসও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মহান আল্লাহ বললেন, ঈমান তাদের ভাগ্যেই নেই।(তাবারী/১: ২৫২)
যাদের ব্যাপারে তোমার পরওয়ারদেগারের সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হয়ে গেছে তারা ঈমান আনবে না। (১০: ৯৬)
যদিও কাফিরদের দাওয়াত দেয়া না-দেয়া সমান, তবুও কার ভাগ্যে ঈমান আছে তা শুধু আল্লাহই জানেন; তাই আমাদের উচিত- দাওয়াত দিয়ে যাওয়া। এটাই ছিল নবীর দায়িত্ব “পৌছে” দেয়া। (১৩:৪০)
মূলত আয়াতটি কুরাইশ নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে যারা কুফরের উপরই অটল ছিল! (১৪: ২৮)
আল্লাহ তাদের হৃদয় ও কানে মোহর মেরে দিয়েছেন, তাদের চোখের উপর আবরণ রয়েছে এবং তাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি। (২: ৭)
(তরজমা নেট হতে)

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ জটিল ভাই , আপনার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ।

আল্লাহ যাদের হৃদয় ও কানে মোহর (বন্ধ) মেরে দিয়েছেন ও তাদের চোখের উপর আবরণ পরিয়ে দিয়েছেন (তাই তারা চোখ থেকেও অন্ধ এবং কান থেকেও বধির) এবং তারা হেদায়াতের বাইরে । আর তাদের জন্যই রয়েছে মহা শাস্তি।

মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে তার হেদায়াত নসীব করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন।

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার কাছে মনে হয় ভুরি ভুরি প্রমান আছে ।তা দুই একটা হাজির করুন।আগে দেখে নিন প্রমান আর দাবির ফারাক।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

যদি আপনি পোস্ট পড়ে থাকেন তাহলে সেখানে নবী (সাঃ) যে শ্রেষ্ঠ সে ব্যাপারে অনেক প্রমানই দেয়া হয়েছে। তারপরেও -

১। মহানবী (সাঃ) এর আগমনের সুসংবাদ দিয়ে ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ) বলেন, " আর আমি তোমাদের সঙ্গে বেশি কথা বলব না। কারণ এই বিশ্বের সম্রাট আসছেন এবং আমার মধ্যে কিছুই নেই"।

২। পার্সি ধর্মশাস্ত্রের ভবিষ্যদ্বাণী পার্সি বা জরথুস্ট্র ধর্মের প্রবর্তক জরথুস্ট্রের উদ্দেশে বলা হয়েছে, " আমি ঘোষণা করছি, হে প্রিয় জরথুস্ট্র, পবিত্র আহমদ নিশ্চয় আসবেন, যাঁর কাছ থেকে তোমরা সিচন্তা, সত্বাক্য, সৎকাজ ও বিশুদ্ধ ধর্ম লাভ করবে"।(John 14:30) (Zend, Avesta, part 1, Translated by Max Muller p 260)

৩। হিন্দুদের বেদে বলা হয়েছে, " ইদং জনা উপশ্রুত নরাশংস ভবিষ্যতে" , অর্থাৎ প্রশংসিত মানুষ পরবর্তী যুগের মানুষ হবে। নরাশংস অর্থ প্রশংসিত মানুষ। আর মুহাম্মদ অর্থও প্রশংসিত মানুষ। (অথর্ববেদ সংহতি ২০/১২৭/১; ২০ কাণ্ড-অনুবাদক-১৩ সুক্ত-১ শ্লোক)

আবার -

মন্টেগোমারি ওয়েট তাঁর " মুহাম্মদ ইন মক্কা " বইয়ে বলেছেন, " নিজ আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সব ধরনের কষ্ট সহ্য করা, তাঁকে যারা বিশ্বাস করত এবং নেতা হিসেবে অনুসরণ করত তাদের সুউচ্চ চারিত্রিক গুণাবলি এবং মুহাম্মদের অর্জনের বিশালত্ব - এ সব কিছুই তাঁর সততার তার শ্রেষ্ঠত্মর ই সাক্ষ্য দেয়"।

এখন মানা কিংবা না মানা আমাদের ব্যাপার ভাই।

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগল। শুভেচছা রইলো ভাই।

৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা পড়লাম। জানিয়ে গেলাম।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

জানলাম আপনি লেখাটা পড়েছেন এবং জেনে ভালো লাগল

১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে যে দুজনকে উতসর্গ করেছেন তাদের দুইজনকেই আমি পছন্দ করি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, পোষ্ট যে দুজনকে উৎসর্গ করছি সেই দুইজনকে আমিও ব্যাপোক পছন্দ করি ও ভালবাসি ।আর তাইতো আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠা তাদের সম্মানিত করার।

১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: লেখা পড়েছি- কিন্তু বিস্তারিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছি

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

ভাইজান, বিস্তারিত বলা জরুরী নয় বুঝাটাই জরুরী আর যতটুকু বলেছেন তাই যথেষ্ট।

১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আসলেই সৃষ্টির সেরা তিনি। লেখা ও উৎসর্গ চমৎকার হয়েছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

আসলেই ভাই , সেই দেখতে পাবে যার দেখার মত চোখ আছে ,সেই বুঝতে পারবে যে বুঝতে চায় । তবে বেশীরভাগ আমরা মানুষরা অন্যকে তার প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা না দিয়ে নিজেরা তাই পেতে চাই যা অন্যকে আমরা দেই না বা দিতে চাইনা। এটা একধরনের দ্বিমুখীতা আমাদের।

লেখা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগল , তার জন্য শুভেচছা। আর উৎসর্গ ? তা সম্মানিতকে সম্মান দেয়ার আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠা ভাই।

১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যে কেউই তার ইচ্ছমত তার বিশ্বাসকে বেছে নিতে পারে তাতে কারো কোন আপত্তি থাকার কথা না কিন্তু করো ধর্ম নিয়ে খোঁচা মারা অবশ্যই নিন্দনীয়; যা এই ব্লগে অনেকেই করছেন। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।

যদিও ধর্ম বিশ্বাস যার যার এবং ধর্ম মানা-না মানা ক্ষেত্রে সবারই পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে তারপরও কিছু কিছু জায়গায় দুদলই (ধর্ম মেনে চলা ও ধর্ম না মেনে চলা ) এবং অতি উৎসাহী কেউ কেউ জোর-জবরদস্তি বা হস্তক্ষেপ করে যা ধর্মে কখনো সমর্থন করেনা বা মেনেও নেয়না । এটা যদিও সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তির দায় তবে শেষপর্যন্ত তার দায় চাপে ধর্মের উপর যেহেতু তারা সেই কাজটা করে ধর্মের নামে। সমস্যা এটাই ।

মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সঠিক জিনিষ জানার-বুঝার-মানার তওফিক দিন, এটাই আমাদে চাওয়া হওয়া উচিত।

১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৬

নতুন বলেছেন: আপনী নূরের নবী না মানলে তো আরেক ঝামেলা তৌরি করলেন।

অবশ্য আগের এক পোস্টে রাসুল সা: এর জন্মের সময়ের কাহিনিতে উল্লেখ করেছেন যে তার জন্মের সময় ঘর আলোতে ভরে উঠেছিলো।

ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষ। কিন্তু যখন রাসুল সা: কে সুপারম্যান বলে দাবী করা শুরু করে মানুষ তখন অন্যরা তার খুত ধরা শুরু করবে সেটাই সাভাবিক।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।

আমাদের নবী (সাঃ) নুরের তৈরী নয় এটা যেমন সত্যি তেমনি তিনি আমাদের মত সাধারন মানুষ নন এটাও সত্যি। তিনি সাধারনের মাঝে কিছু অসাধারন বৈশিষ্ঠ্যের অধিকারী ছিলেন যা স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা তাকে দিয়েছেন। এখানে ঝামেলার কিছু নেই ভাইজান।

আর যে ব্যক্তি এই বিশ্বাস করবে যে, নবী (সাঃ) আল্লাহর নূর, মানুষ নন, তিনি গায়েবের খবর জানেন, সে আল্লাহ্ এবং রাসূলের (সাঃ) সাথে কুফরী করল। সে আল্লাহ্ ও তার রাসূলের দুশমন, বন্ধু নয়। কেননা তার কথা আল্লাহ্ ও রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, সে কখনো প্রকৃত মুসলিম হতে পারেন না ।

প্রথমেই বুঝতে হবে মানুষ কিসের তৈরী? কুরআনে কারীমের বিভিন্ন আয়াত এবং সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে একথা সুষ্পষ্ট প্রমাণিত যে, মানুষ মাটির তৈরী, নূর বা আগুনের তৈরী নয়।

এ প্রসংগে আল্লাহ্পাক পবিত্র কোরআনে বলেন," তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে"।(সূরা আর রাহমান, আয়াত - ১৫ -১৫)। অন্য আয়াতে আরো বলেন," স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক ফিরিশতাদেরকে বলেছিলেন, ‘নিশ্চয় আমি মাটি হতে মানুষ সৃষ্টি করব " ।(সূরা সোয়াদ,আয়াত - ৭১)।

আল্লাহ তায়ালার বাণী দ্বারা একথা সুষ্পষ্ট প্রমাণিত যে, মানুষ নূর বা আগুনের তৈরী নয়। বরং মাটির তৈরী।

তাছাড়া স্বয়ং নবী (সাঃ) বলেছে, " মানুষ মাটির তৈরী, ফেরেস্তা নূরের এবং জ্বিনজাত আগুনের তৈরী" (মুসলিম শরীফ হাদীস নং - ৫৩৪)।
আল্লাহ আরো বলেন,"আর আমরা আপনার আগেও জনপদবাসীদের মধ্য থেকে পুরুষদেরকেই পাঠিয়েছিলাম যাদের কাছে ওহী পাঠাতাম। তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনি? ফলে দেখতে পেত তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কী হয়েছিল? আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে তাদের জন্য আখেরাতের আবাসই উত্তম ; তবুও কি তোমরা বুঝ না? " (সূরা ইউসুফ,আয়াত - ১০৯)।

নবী (সাঃ) এর জন্মের সময় ঘর আলোকিত হয়েছিল তা মোজেজা আর নবী (সাঃ) মানুষ ছিলেন তবে মানবীয় দোষ-ত্রুটি মুক্ত এক মহামানব যাহার মাঝে মানবীয় সকল গুনেরই সমাবেশ ছিল - এতটুকুই।

১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২২

রানার ব্লগ বলেছেন: একটা প্রতিষ্ঠীত সত্যকে আপনারা বারবার চর্চা করে নিজেরাই প্রশ্নের সম্মুখীন করছেন। সেইম কাজ আওমিলিগ করছে।

মিস্টি খেতে অনেক মজা সবসময় অতি মাত্রায় খেলে শরীর খারাপ করে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

রবিউল আউয়াল মাস নবীর জন্ম মাস । এ মাসে নবীর শানে কিছু জানা-বুঝার-আমল করার চেষ্টা ধর্মপ্রান সবাই কিছুটা হলেও করেন এটা ঠিক তবে সত্যকে বিকৃত করা বা অতিমানবীয় কিছু করা কখনো সমর্থনযোগ্য নয় তা সে ধর্মীয় বা অন্য যে কোন ব্যাপারেই হোক না কেন।

১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০৩

রানার ব্লগ বলেছেন: রবিউল আউয়াল মাস নবীর জন্ম মাস এই মাস পালন করা নিয়েও হাজারো ক্যাওয়াজ আছে। তবে হ্যা ভালোবেসে কিছু করা আর অতি উৎসাহী হয়ে কিছু করার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য দৃশ্যমান হয়।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রানার ব্লগ ভাই, এটাই - পালনীয় বা পালন করা এবং দেখানোর মাঝে অনেক প্রার্থক্য। সত্যিকারের যারা ধার্মিক তারা লোক দেখানো নয় নিরবে-নিভৃতে মানে ও পালন করে।

আর ইসলামে বলা আছে রিয়া বা লোক দেখানো কাজ হারাম বা অবৈধ এবং এসব কাজ যারা করবে তাদের কোন এবাদত কবুল হবেনা এবং ধর্মে বাড়াবাড়ির কোন স্থান নেই ।

১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মহানবী (সাঃ) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব।
এটা কিছু অতি ধার্মিকদের কথা বার্তা। যেটা রসুল নিজেও কখনো দাবী করেন নি।
নূরের নবী, তার জন্মের সময় ঘর আলোতে ভরে উঠেছিলো।
কিন্তু বাস্তবতা হছে জন্মের সময় মায়ের দুধও জুটেনি, শৈসব কেটেছে পিতা-মাতা্র স্নেহ বিহীন, এক চাচার আশ্রয়ে

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

আপনি যদি প্রাসংগিক বিষয়ে দেখেন তাহলে মহানবী (সাঃ) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব - এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকেনা তবে তা নির্ভর করবে যার যার দৃষ্টিভংগীর উপর।

ডি জে হোগার্থ তাঁর ‘আরব’ বইয়ে বলেছেন, " গুরুত্বপূর্ণ অথবা তুচ্ছ, তাঁর (মহানবী (সাঃ) ) দৈনন্দিন প্রতিটি আচার-আচরণ একটি অনুশাসনের সৃষ্টি করেছে, যা লাখো-কোটি মানুষ বর্তমান কালেও সচেতনতার সঙ্গে মেনে চলে। মানবজাতির কোনো অংশ কর্তৃক আদর্শ বলে বিবেচিত আর কোনো মানুষকেই মুহাম্মদের মতো এত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করা হয়নি। খ্রিস্টধর্মের প্রতিষ্ঠাতার আচার-আচরণ তাঁর অনুসারীদের জীবনযাপনকে নিয়ন্ত্রণ করেনি। অধিকন্তু কোনো ধর্মের প্রতিষ্ঠাতাই মুসলমানের নবীর মতো এ রকম অনুপম বৈশিষ্ট্য রেখে যাননি।

নবী ( সাঃ) জন্মের সময় মায়ের দুধও জুটেনি, শৈশব কেটেছে পিতা-মাতা্র স্নেহ বিহীন, এক চাচার আশ্রয়ে - এতিম অসহায় একজন মানুষকে আল্লাহ এত সম্মান-মর্যাদা দিয়ে তাকে সম্মানিত করছেন - এটাইতো সৃষ্টিকর্তার মহিমা ভাই।

১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:১২

জি এইস মেহেদী বলেছেন: চাঁদগাজী এবং কামাল১৮ উনারা নাস্তিক,উনারা মুসলিম হয়ে নিজেদের মুসলিম দাবী করতে সংকোচ বোধ করে কারণ ছোটবেলার পারিবারিক মুসলমানিত্ব শিক্ষা টা পরিবার থেকে পায় নি,, মন্ডপের লাড্ডু আর মুরকি মুড়ি তাদের ভোজন রসদ ছিলো এজন্য তাদের মনটা লাড্ডুর মতো ঘুরাঘুরি করে এদিক সেদিক,,আপনাদের কি জানাযা হবে নাকি শ্বশানে পুড়ানো হবে,,, আপনারা সামু তে টিকে আছেন চাপার জোড়ে আর কিছু,, সত্যিই কথা কি জানেন আপনাদের অধিকাংশ ব্লগার ঘৃণা করে এসব কথা বার্তার জন্য ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জি এইস মেহেদী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

ভাই, আমাদের সমাজে বর্তমানে নামমাত্র মুসলিমের সংখ্যাই বেশী কাজের বা প্রকৃত মুসলিমের সংখ্যা খুবই কম। আবার কেউ কেউ আছেন ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ধর্মবিরোধীতাকে ব্যবহার করেন। যারা মুখে এক আর অন্তরে আরেক তাদেরকে ইসলামের পরিভাষায় মোনাফেক বলে - আর মোনাফেকদের ব্যাপারে মহান আল্লাহপাক বলেই দিয়েছেন তারা ক্ষমার অযোগ্য এবং তাদের স্থান জাহান্নামের সবচেয়ে নীচের স্তরে।

দয়াময় সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সঠিক ভাবে সঠিক জিনিষ জানার-বুঝার-মেনে চলার তওফিক দিন।

১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

নতুন বলেছেন: জি এইস মেহেদী বলেছেন: চাঁদগাজী এবং কামাল১৮ উনারা নাস্তিক,উনারা মুসলিম হয়ে নিজেদের মুসলিম দাবী করতে সংকোচ বোধ করে কারণ ছোটবেলার পারিবারিক মুসলমানিত্ব শিক্ষা টা পরিবার থেকে পায় নি,, মন্ডপের লাড্ডু আর মুরকি মুড়ি তাদের ভোজন রসদ ছিলো এজন্য তাদের মনটা লাড্ডুর মতো ঘুরাঘুরি করে এদিক সেদিক,,আপনাদের কি জানাযা হবে নাকি শ্বশানে পুড়ানো হবে,,, আপনারা সামু তে টিকে আছেন চাপার জোড়ে আর কিছু,, সত্যিই কথা কি জানেন আপনাদের অধিকাংশ ব্লগার ঘৃণা করে এসব কথা বার্তার জন্য ।

মেহেদী আপনি এদের দর্শন বুঝতে পারবেন না। ধর্মের অন্ধ অনুসরন করতে ব্রেনের ব্যবহার করতে হয় না।
বরং প্রশ্ন করতে মেধা খরচ করতে হয়।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, এটা ঠিক বলেছেন। ধর্মে জানতে-বুঝতে এবং ভাল ও খারাপের মাঝে ভিন্নতা অনুধাবন করে ভাল গ্রহন ও খারাপ পরিহার করতে বলেছে। আর এসব কিছু করার জন্যও প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা-জেরা- অনুসন্ধানের বিকল্প নেই।

তবে এসব ক্ষেত্রে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হতে হবে সৎ (জানার জন্য -ক্যাচালের জন্য নয়) ।আর উদ্দেশ্য সৎ হলে মহান আল্লাহ যে কারো জন্য তার জানা-বুঝা-চলার পথ সহজ করে দেন।

২০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

বিটপি বলেছেন: রাসূল (স) এবং একজন সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই - সূরা কাহাফের ১১০ নং আয়াতে তাই বলা আছে।

চাদ্গাজী এবং কামাল১৮ এর মত কমেন্টেটররা যে প্রশ্ন করেনাই, তাই আমি করছিঃ
- উনার ১১ টা বিয়ে করার দরকার হল কেন?
- ১০ টা বউ বর্তমান থাকতেও ওনার দাসী সহবতের প্রয়োজন হল কেন?
- বিয়ে করার জন্য অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী বেছে নিলেন কেন?
- নিজে ১১টা বিয়ে করে তার অনুসারীদেরকে চারটির বেশি বিয়ে করতে নিষেধ করলেন কেন?
- ইসলামের প্রচারের জন্য তাকে যুদ্ধ করতে হল কেন? অন্য কোন ধর্মের প্রসার তো যুদ্ধ করে হয়নি?

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন, সুরা কাহাফের ১১০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, " বলুন, আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষ, আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ একমাত্র সত্য ইলাহ। কাজেই যে তার রব-এর সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকাজ করে ও তার রব-এর ইবাদাতে কাউকেও শরীক না করে ।"

- এ আয়াতের ব্যাখ্যা - এ আয়াতকে দ্বীনের ভিত্তি বলা হয়ে থাকে, এখানে এমন দু'টি শর্ত বর্ণনা করা হয়েছে যার উপরই সমস্ত দ্বীন নির্ভর করছে। এক, কার ইবাদত করছে দুই, কিভাবে করছে। একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে হবে ইখলাসের সাথে। আবার সে ইবাদত হতে হবে নেক আমলের মাধ্যমে। আর নেক আমল হবে একমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রদর্শিত পথে আমল করলেই। মোদ্দাকথা, শির্ক ও বিদ’আত থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে এ আয়াতে সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে।

নবী (সাঃ) সম্পর্ক আপনার প্রতিটা প্রশ্নের যুক্তি-যুক্ত জবাব আছে তবে এই সবগুলির জবাবের জন্য আলাদা আলাদা পোস্ট দরকার।হয়ত ভবিষ্যতে কোন এক সময় আপনার সবগুলি প্রশ্ন নিয়ে একটা পোস্ট দিব । সেই পর্যন্ত দুঃখিত আপনার যতক্ষণ আপনার প্রশ্নের জবাব না দিচছি।

২১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

জি এইস মেহেদী বলেছেন: কামরুজ্জামান ক্যাচাল তো ওরাই করতেছে,, তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে কি করবেন,, ওরা হেদায়েত চাই না,, নাস্তিক ই থাকতে চাই,, ওরা পুরো পৃথিবীর জঞ্জাল

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: জি এইস মেহেদী ভাই , হেদায়াত মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত । কাজেই তিনি যার জন্য হেদায়েত নসীব করে রেখেছেন সে হেদায়েত হবে আর যার নসীবে নেই সে পাবেনা। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহপাকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

আমার-আপনার কিছু বলার বা করার নেই পরমত সহ্য করা ব্যতীত।

২২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৫

নতুন বলেছেন: ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষ। তাই বিশ্বের কোন নেতাই তার কাজের জন্য বির্তকের উদ্ধে নয়।

তাই আমি জ্ঞানী এবং বড় নেতাদের থেকে ভালো জিনিসটা গ্রহনের চেস্টা করি। যেটা আমার দর্শনের সাথে যায় না সেটা অনুসরন করি না।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, এমনটাই হওয়া উচিত এবং এক্ষেত্রে ধর্মের নির্দেশনাও তাই।

আমরা কিছু অতি উৎসাহী মানুষ বুঝে-না বুঝে কিংবা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে নিজেরা একটা কিছু ঘটিয়ে-করে ফেলি যা কোন ভাবেই ধর্ম সমর্থন করেনা।

তবে ধর্মে যুক্তি-তর্কের জন্য নিষেধ করেনি বরং জানার জন্য তাতে উৎসাহিত করা হয়েছে কারন এর ফলেই মানুষ সঠিক জিনিষটা জানতে পারে।

২৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজীর পোলা বলেছেন: যাকে উদ্দেশ্য করে পোস্ট করেছেন তিনি অপরাধ করে আমাদের এলাকা ছাড়া হয়েছেন। তাই সেই ক্ষোভে তিনি চাঁদগাজীর নাম ব্যবহার করে এসব করছেন। দয়া করে তার কারণে চাঁদগাজী নিয়ে কথা বলবেন না। আমাদের জন্য চাঁদগাজী অস্তিত্ব।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবে কেয়া বাত হে ভাই, চাঁদগাজী ভাই এই বয়সে এসেও বাপ বনগিয়া এবং চাঁদগাজীর পোলা ও আবি ব্লগার হো গিয়া - ইছে লিয়ে চাঁদগাজী ও চাঁদগাজীর পোলা (ভাই-ভাতিজা ) উভয়কেই আন্তরিক অভিনন্দন ।

মজা করলাম ভাই (ভাতিজা - যেহেতু চাঁদগাজীকে ভাই বলি )।

ধন্যবাদ চাঁদগাজীর পোলা ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।

ভাই ভারতীয় উপমহাদেশের ইংরেজ গভর্ণর রবার্ট ক্লাইভ ও বাপে তাড়ানো-মায়ে খেদানো পোলা আছিল কিন্তু নিজ যোগ্যতায় কি আকাম (কাম) করছিল দেখেছিলেন ? ২০০ বছর , পুরো ২০০ বছর ভারতবাসীকে পরাধীনতার শিকল পরিয়ে দিয়েছিল। তার বাপে-মায়ে তাড়ানোর ফলেই সে এত বিখ্যাত হয়েছিল বা হতে পেরেছিল।

আমাদের মহামতি হুজুরে আলা যদি সত্যি সত্যি এরকম কিছু করে পগাড় পাড় হয়ে থাকেন তাহলে তাকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত কারন এর ফলেই এ্যামেরিকা নামক দেশে আমাদের বাংগালীর প্রতিনিধিত্ব সম্ভব হয়েছে।

আর বিদ্যালয়টা কি আমাদের আলোচ্য চাঁদগাজী ভাইয়ের অবদান ?

২৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০

কানিজ রিনা বলেছেন: হা হা হা হাহা চাঁদগাজীর মাথায় ভিতরে টিউমার তাই তার জ্ঞানের পরিধি আর প্রসারিত হবে না। আমার তো মনে হয় প্রতিটা নাস্তিকেরই মাথায়

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কানিজ রিনা , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

যারা বেশী বেশী জ্ঞানী বা যাদের জ্ঞানের পরিধি বেশী তারা ব্যাপোক মেধাবী এবং কিছুটা আউলা-ঝাউলা চরিত্রের অধিকারী হয় - এটা জগতে প্রমাণীত। আর নাস্তিকেরা আসলেই অনেক জ্ঞেনী হয় বোন । আর তাইতো তারা কখন কি বলে তা তার নিজেরাই জানেনা বা কোথায় কি বলতে হবে তা ভূলে যখন যা মনে আসে তাই বলে ফেলে ।

এ " শাদীকা সাইড effect " (বাচচা হওয়া) এর মত " জ্ঞেন কা সাইড effect "

২৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১

কানিজ রিনা বলেছেন: হা হা হা হাহা চাঁদগাজীর মাথায় ভিতরে টিউমার তাই তার জ্ঞানের পরিধি আর প্রসারিত হবে না। আমার তো মনে হয় প্রতিটা নাস্তিকেরই মাথায়

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হাঃ ;) হাঃ B-) হাঃ :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.