নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" ধর্মহীনতা\' বা স্রষ্টায় অবিশ্বাস দোষনীয় নয় এটা যার যার নিজস্ব ব্যাপার " - তবে কারো ধর্মানুভূতিতে বা কাউকে আঘাত করে নাস্তিকতা নয়।(মানব জীবন - ১৮)।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:১৩

উৎসর্গ -"ব্লগার নতুন " ভাই সহ তাদেরকে যারা সবসময় ন্যায়-অন্যায়ের মাঝে থেকে ন্যায়কে ও জ্ঞানী - গুনীদের থেকে ভালো জিনিসটা জানার-বুঝার-গ্রহনের চেস্টা করেন।


ছবি - kalerkantho.com

সৃষ্টিকর্তা-আল্লাহ -ভগবান-ঈশ্বরে যাদের বিশ্বাস আছে এবং যারা বিশ্বাস করে মৃত্যুর পরেও আরেক জীবন আছে এবং সেখানে সবাই তাই পাবে যা তারা এ দুনিয়ায় করেছে এবং যার যার ধর্ম জীবন ও ধর্মগ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস আছে তাদের বলা হয় আস্তিক বা ধার্মিক। আর আস্তিক শব্দটির বিপরীত শব্দ হলো নাস্তিক ।

সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে ,তার প্রেরিত প্রতিনিধিদের,তার নির্দেশিত জীবন ও ধর্মগ্রন্থের প্রতি অবিশ্বাসীদের বলা হয় নাস্তিক। আর নাস্তিকরা নিজেদের মুক্তমনা পণ্ডিত ও জ্ঞানী ভেবে থাকেন। বস্তুত তাদের জ্ঞান অশিক্ষিতদের জানার চেয়েও সীমিত।এখানে অশিক্ষিত বলতে অক্ষরজ্ঞান বিহীন অথবা আনুষ্ঠানিক শিক্ষালাভ করেননি এমন ব্যক্তিকে বোঝায়। একজন অশিক্ষিত ব্যক্তিও তার সহজাত জ্ঞান দিয়ে স্রষ্টার অস্তিত্ব খুঁজে পান আর তাই একজন স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির নাস্তিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও উপলব্ধি করতে সক্ষম যে, " এ পৃথিবীতে তার আগমন নিছক উদ্দেশ্যবিহীন নয়"।অথচ নাস্তিকতার দাবিদাররা (তথা কথিত শিক্ষিতরা) কোন কিছুতেই স্রষ্টার অস্তিত্ব খুঁজে পাননা ।স্রষ্টাকে ছেড়ে তারা তা খুজে বেড়ান অন্য কিছুর মাঝে ।

পৃথিবী নামক গ্রহটি সৌরজগতের অন্তর্ভুক্ত। সূর্য নামক নক্ষত্রকে পৃথিবী ও অপর কিছু গ্রহ নির্ধারিত নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে আবর্তন করছে। আবার পৃথিবীকে আবর্তন করছে চাঁদ নামক উপগ্রহটি। সৌরজগতের অপর অনেক গ্রহের এক বা একাধিক উপগ্রহ রয়েছে। পৃথিবীর ভূমি, পানি, নদী-নালা, খাল-বিল, পাহাড়-পর্বত, ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা-প্লাবন, আলো-বাতাস, দিবা-রাত্রি, গাছপালা, তরুলতা, জীবজন্তু সব কিছু নিয়মনীতি পালন করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

যেমন- পৃথিবী নিজ অক্ষের ওপর আবর্তিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যকে আবর্তন করছে। পৃথিবীর নিজ অক্ষের আবর্তনের ফলে দিবা-রাত্রি ও জোয়ারভাটা হয়, অপর দিকে কক্ষপথে সূর্যকে আবর্তনের কারণে ঋতু পরিবর্তন ও দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। পৃথিবীতে মানুষের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য পানির তিনটি রূপ রয়েছে। কঠিন, তরল ও বায়বীয়। সূর্যের তাপে পানি বায়বীয় রূপ ধারণ করে মেঘে পরিণত হচ্ছে। মেঘ আবার বৃষ্টি হয়ে পৃথিবীর গাছপালা ও তরুলতাকে সজীব করে তুলছে। বায়বীয় পানি পাহাড়ের চূড়ায় বরফ হয়ে কঠিন আকার ধারণ করছে। সূর্যের তাপে গলে নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পৃথিবীর বর্জ্য সাগরে নিয়ে ফেলছে। পৃথিবীর বর্জ্য সাগরে পড়ার পরক্ষণেই সাগরের পানির লবণাক্ততার কারণে দূষণমুক্ত হচ্ছে। পৃথিবীতে বসবাসরত মানুষসহ সব জীবজন্তুর জীবনধারণের জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য। মানুষসহ সব জীবজন্তু অক্সিজেন গ্রহণ করছে এবং কার্বনডাই অক্সাইড নিঃসরণ করছে। অপর দিকে গাছপালা ও তরুলতা কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহণ করছে ও অক্সিজেন নিঃসরণ করছে। পৃথিবী ও বিশ্বজগতের সব কিছু মানুষের কল্যাণে একজন সৃষ্টিকর্তা এককভাবে সৃষ্টি করেছেন। এ কারণেই পৃথিবী ও বিশ্বজগতের সব কিছু নিয়মনীতি ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তা দু’জন হলে পৃথিবী ও বিশ্বজগতের নিয়মনীতি ও শৃঙ্খলা কি ধরে রাখা যেত? এক সৃষ্টিকর্তা এককভাবে পৃথিবী ও বিশ্বজগতের সব কিছু সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রণের কারণেই মানুষের জীবনধারণের উপযোগী অক্সিজেন ও বিশুদ্ধ পানির অফুরন্ত ভাণ্ডার নিঃশেষিত হচ্ছে না।

সৃষ্টিকর্তার নির্ধারিত নিয়মে পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে দূষিত পানি বিশুদ্ধ হচ্ছে এবং পৃথিবীতে অক্সিজেন ও কার্বনডাই অক্সাইডের ভারসাম্য রক্ষিত হচ্ছে। প্রকৃতির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে দেখা যায়, পৃথিবীর কোনো কিছুই অপ্রয়োজনীয় নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী সাপ বছরে একবার খোলস পাল্টায়। খোলসটি পরিবর্তনের পর পরিত্যক্ত আবরণটি সাপের কাছে অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু দেখা যায়, ক্ষুদ্র প্রাণী পিঁপিলিকা খোলসটির বিভিন্ন খণ্ড দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নিজ গৃহে নিয়ে ভবিষ্যতের খাদ্য হিসেবে মজুদ করছে। মানুষ ও বিভিন্ন জীবজন্তু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে প্রাত্যহিক যে বর্জ্য পরিত্যাগ করছে; তাতে দেখা যায় পোকামাকড়সহ অসংখ্য জলজ ও স্থলজ প্রাণীর জীবন ধারণের উপকরণ রয়েছে। এমন হাজারও উদাহরণ রয়েছে আমাদের চারপাশে।

আমাদের দেশের সংবিধানেও প্রতিটি নাগরিককে আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা সাপেক্ষে যে কোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার দেয়া হয়েছে। এ অধিকার একজন নাগরিকের কোনো ধর্ম পালন না করার অধিকার খর্ব করে না। আমাদের মূল দণ্ড আইন দণ্ডবিধিতে যে কোনো ধর্মাবলম্বীর ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা বা ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ীও ইন্টারনেট ও কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দণ্ডনীয় অপরাধ।


আমাদের দেশের ৯০ ভাগের বেশি লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং ঐতিহাসিকভাবে আমাদের দেশের জনমানুষ ধর্মপ্রবণ। বাঙালি জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার রচিত একটি গানে ব্যক্ত করেন," মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই/ যেন গোরে থেকেও মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই"। তার গানের মধ্যে সন্নিবেশিত এ বাক্যে ধর্মের প্রতি তার প্রগাঢ় বিশ্বাসের অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে। তিনি আমাদের জাতীয় কবি এবং তার মৃত্যু পরবর্তী এ দেশের মানুষ তার রচিত গানে ব্যক্ত আকাংখা পূরণে তাকে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাধিস্থ করেন। আমাদের জাতীয় কবির মনোবাঞ্ছা ও আকাংখার বিপরীত বক্তব্য আমাদের দেশের বরেণ্য একাধিক কবি সাহিত্যিক তাদের রচনায় তুলে ধরেছেন যা অপামর দেশবাসীর বিশ্বাসে আঘাত হানার শামিল। বাক-স্বাধীনতার কথা বলে এসব ধর্মবিরোধী বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

একজন মুসলমানকে ইসলামের পাঁচটি মূল বিষয় , যথা - ঈমান(কালেমা), নামাজ, রোজা,হজ ও যাকাত এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের জন্য দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য মুসলমানদের উপাসনালয় মসজিদ হতে প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে আহ্বান করা হয়। ধর্মপ্রাণ যেকোনো মুসলিমের কাছে আজানের ধ্বনি অতি মধুর। আর তাই দেখা যায়, সভা বা যেকোনো অনুষ্ঠান চলাকালীন আজানের ধ্বনি শোনা গেলে আজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত সভা বা অনুষ্ঠানের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। মহিলাদের দেখা যায় আজানের বাণীর প্রতি সম্মানের বহিঃপ্রকাশে মাথা উন্মুক্ত থাকলে তা শাড়ির আঁচল বা ওড়না দিয়ে আবৃত করে নেয়।

আজানের ধ্বনি যে এ দেশের জনমানুষের কাছে সুমধুর এরই বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পাই বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান মহা কবি কায়কোবাদ রচিত ‘আযান’ কবিতায়। কবিতাটিতে তিনি বলেন, "কে ওই শোনাল মোরে আযানের ধ্বনি, মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর, আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনি, কি মধুর আযানের ধ্বনি"।

এখন কায়কোবাদের কাছে আজানের ধ্বনি মধুর ঠেকলেও আমাদের দেশেরই অন্য কারো কাছে আজানের মধুর ধ্বনি উপদ্রব এবং কাকের কা কা শব্দ ।এখন তার দৃষ্টিভঙ্গি একদিকে যেমন তার নীচু মানসিকতার পরিচায়ক অপরদিকে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমানুষের ধর্মানুভূতির ব্যাপারে নেতিবাচক। তার কাব্যে উল্লিখিত বাক্যটি আমাদের দেশের দণ্ডবিধি অনুযায়ীও শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।

নাস্তিকরা দুই ধরনের হয় ।

এক - এ জাতীয় নাস্তিকেরা তারা তাদের নাস্তিকতার বহিঃপ্রকাশে কখনো কোনো ধরনের অবমাননাকর ও আপত্তিকর বাক্য ব্যবহার করে না বা কোন ধর্মকে অবমাননা কর কিছু বলেনা যদিও তারা কোন ধর্ম পালন করেনা।

দুই - এ জাতীয় নাস্তিকেরা তারা তাদের নিজেদের মহাজ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় অপরের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে এমন অবমাননাকর ও আপক্তিকর বক্তব্যের প্রকাশ ঘটায় যা প্রকৃতপক্ষে ইচ্ছাকৃত বা বিদ্বেষপূর্ণভাবে কটাক্ষের নামান্তর।


একজন আস্তিকের মধ্যে নৈতিকতা, নীতিজ্ঞান ও মূল্যবোধ প্রবল। পক্ষান্তরে একজন নাস্তিকের মধ্যে নৈতিকতা, নীতিজ্ঞান ও মূল্যবোধ শিথিল। এ শিথিলতার কারণে অতিসহজেই তাদের অনেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েন।


ছবি - pinterest.com

বাক স্বাধীনতা (মত প্রকাশ) এর ব্যাপারে পাশ্চাত্য কী বলে -

বাক স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার । মৌলিক অধিকার দাবির মূল কথা হলো- মানুষের সম্মান, মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বকে একনায়কতন্ত্র, নির্মম স্বৈরতন্ত্র ও নির্দয় সাম্যবাদের প্রভাব থেকে হেফাজতের ব্যবস্থা করা, সসম্মানে জীবনের গ্যারান্টি দেয়া, তার ব্যক্তিগত যোগ্যতার উন্মেষ ঘটানো এবং চিন্তা ও কর্মের স্বাধীনতার এমন এক পরিমণ্ডলের ব্যবস্থা করা, যা রাষ্ট্র ও সমাজের অন্যান্য ব্যক্তির হস্তক্ষেপ থেকে নিরাপদ থাকবে।

পাশ্চাত্যের পণ্ডিতরা মৌলিক মানবাধিকারের বিবর্তনশীল ইতিহাসের সূচনা করেন খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতকের গ্রিস থেকে। এরপর খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতকে রোমান সাম্রাজ্যের পতন থেকে এক লাফে খ্রিষ্টীয় একাদশ শতকে প্রবেশ করেন। ষষ্ঠ থেকে দশম শতক পর্যন্ত ৫০০ বছরের ইতিহাস থেকে তারা মুখ ঘুরিয়ে নেন এ জন্য যে, সেটি ছিল ইসলামী সভ্যতার স্বর্ণযুগ।গ্রিক দার্শনিকরা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিলেও তাদের লেখালেখিতে মানবীয় সমতা ছিল অনুপস্থিত। তারা মনুসংহিতার মতো সমাজকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করে এবং শাসন কর্তৃত্ব শুধু দার্শনিকদের প্রদান করেন। প্লেটো ও এরিস্টটল গণতন্ত্রের বিপক্ষে ছিলেন এবং ন্যায়বিচারকে শ্রেণিভিত্তিক করেন। এরিস্টটল তো এমনও বলেছেন, " ন্যায়বিচার হচ্ছে সেই গুণ যার সাহায্যে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ মর্যাদা অনুযায়ী এবং আইন অনুসারে অধিকার লাভ করে"।

এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রথমে সোচ্চার হন দার্শনিক যেনো। তিনি বলেন,"প্রাকৃতিক বিধান হচ্ছে চিরন্তন। তার প্রয়োগ কোনো বিশেষ রাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপরই নয়, বরং প্রতিটি মানুষের ওপর হয়ে থাকে। এটি নিরপেক্ষ আইনের চেয়ে উচ্চতর এবং ন্যায় ইনসাফের সেসব মৌলিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকে"। ‘চেতনার চোখ’ দিয়ে তা সুস্পষ্টভাবে দেখা যেতে পারে। এ আইনের অধীনে অর্জিত প্রাকৃতিক অধিকারগুলো কোনো বিশেষ রাষ্ট্রের বিশেষ নাগরিকদের পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়, বরং যেকোনো স্থানে বসবাসকারী মানুষ কেবল মানুষ ও বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষ হওয়ার ভিত্তিতে তা লাভ করে থাকে (Cranston M/Human Rights Today/ London. 1964) রোমের বিখ্যাত আইনবিদ খ্রিষ্টধর্মের অনুসারী সিসেরো এই মতবাদের সমর্থনে বলেন, ‘এই বিধান সর্বদা অপরিবর্তনীয় এবং এর বদল করা অপরাধ।’

মৌলিক অধিকার আন্দোলনের সূচনা হয় ব্রিটেনে রাজা ও পার্লামেন্টের ক্ষমতার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। ১২১৫ সালে ম্যাগনাকার্টা ছিল ঐতিহাসিক দলিল। যদিও কোনো কোনো সমালোচকের মতে সেটি ছিল রাজন্যবর্গের, জনগণের নয়, স্বার্থরক্ষার দলিল। ১৪ থেকে ১৬ শতক পর্যন্ত ইউরোপ প্লাবিত হয় মেকিয়াভেলির দর্শনে, যার মূল মনোযোগ ছিল রাজাদের শক্তি বৃদ্ধি। উপমহাদেশের রাজতন্ত্রেও ছিল একই অবস্থা। চাণক্য, রাজা চন্দ্র গুপ্তকে মন্ত্রগুপ্তির দীক্ষা দিয়েছিলেন। শুধু রাজা ও মন্ত্রী চার কানই জানবে ওই মন্ত্র। ‘ষট্ট কর্ণাশ্ছিদ্যতে মন্ত্র’ : অর্থাৎ চার কান পেরিয়ে ছয় কানে গেলেই মন্ত্রের দফারফা। ১৭ শতকে মানুষের প্রকৃতিগত অধিকারের ধারণা ফিরে আসে। ফরাসি দার্শনিক দেনিস দিদেরোঁ ন্যাচারাল রাইটকে প্রকৃতি প্রদত্ত অধিকার হিসেবে গণ্য করেন। তার মতে, মানুষ একটি সার্বভৌম সদিচ্ছা (Universal Will) দ্বারা পরিচালিত হয়, যার মাধ্যমে সে ভালো-মন্দ বুঝতে পারে। এরপর লক, রুশো, হবস তাদের সামাজিক চুক্তির মতবাদ দিয়ে এসব সমর্থন করেন। এর পরিণতিতে ফরাসি মানবাধিকারের ঘোষণা, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা পিতৃবর্গ খ্রিষ্টধর্মের অনুসারী ছিলেন। ১৭৭৬ সালের ১২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া সনদে জেমস ম্যাডিসন রচিত অধিকার সনদ ঘোষিত হয়, যাতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং আদালতের আশ্রয় লাভের গ্যারান্টি দেয়া হয়। টমাস জেফারসন রচিত ঘোষণায় বলা হয়, সব মানুষ সৃষ্টিলগ্নে সমান। তারা জন্মগতভাবে ঈশ্বর প্রদত্ত অপরিত্যাজ্য অধিকার পায়। এসবের মধ্যে রয়েছে জীবন, স্বাধীনতা ও সুখের সন্ধানের অধিকার।ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র মানুষের মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে এসব যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলেও ফরাসি ও ব্রিটিশ উপনিবেশের মানুষদের জন্য তা প্রযোজ্য ছিল না। আমেরিকায় রেড ইন্ডিয়ানদের নির্মূল করা হচ্ছিল ওই সময়ই এবং দাসপ্রথা ছিল চরমে।

এখন এখানে প্রশ্ন হচ্ছে প্রকৃতি মানে কী? রবীন্দ্রনাথও বলেছেন, "এক আত্মা অপর আত্মার সাথে সম্পর্ক করতে চায়"। কিন্তু কেন, কার নির্দেশে, আত্মার স্রষ্টাই বা কে, সে সম্পর্কে তিনি নিরুত্তর ছিলেন।

আজ সারা দুনিয়াজুড়েই মানবাধিকার তথা নানা অধিকারের ক্ষেত্রে মানুষ চরম হতাশ। সর্বত্র আলোচনার বিষয় একচ্ছত্র রাজতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়ে দেয়া হলেও কথিত নির্বাচিত সংসদের গর্ভ থেকে যে একনায়কতন্ত্র জন্ম নিয়েছে, তাকে কিভাবে বশীভূত করা যায়? সারা দুনিয়া জুড়ে আদালতের ক্ষমতাও খর্ব হয়ে গেছে।এ বিষয়ে ইসলামের অবস্থানটা জেনে নেয়া প্রয়োজন।


ছবি - banglatribune.com

বাক স্বাধীনতা (মত প্রকাশ) এর ব্যাপারে ইসলাম যা বলে -

নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন আল্লাহ মনোনীত একমাত্র দ্বীন প্রচার ও প্রসার শুরু করলেন, সেখানে থেকেই প্রকৃত সভ্যতার শুরু। সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, দাসপ্রথার বিলোপ, সাম্য ও মানবাধিকার কায়েম, নারীমুক্তি সবই তিনি করেছেন আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে। মহান স্রষ্টা মানুষের জন্য শুধু এ পৃথিবীতে আলো, বাতাস, পানি, খাদ্যসহ জীবন ধারণের যাবতীয় উপকরণই দান করেননি বরং সামাজিক জীবন পরিচালনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানও দিয়েছেন। মানুষকে দুনিয়ায় পাঠানোর আগে তাকে অধিকার ও কর্তব্যের চেতনাশক্তি দিয়েছেন। এই শক্তির নামই বোধশক্তি বা Common sense.

এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, " শপথ আত্মার এবং তার সুঠাম গঠনের।তারপর তাকে তার সৎকাজের এবং তার অসৎ-কাজের জ্ঞান দান করেছেন। সে-ই সফলকাম হয়েছে, যে নিজেকে পবিত্র করেছে এবং সে ব্যর্থ হবে, যে তাকে কলুষিত করবে" (সূরা আশ শামস ,আয়াত - ৭ - ১০)। এই পৃথিবীতে আগমনকারী প্রথম মানব তার জীবনের সূচনা করেছিলেন জ্ঞানের আলো দিয়েই- " এবং তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন, তারপর সে-সকল ফিরিশতাদের সম্মুখে পেশ করলেন এবং বললেন, ‘এই সমুদয়ের নাম আমাকে বলে দাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও"। (সূরা বাকারা,আয়াত - ৩১)।


জগতের প্রত্যেক আত্মার সাথে আল্লাহ বৈঠক করে শপথ করিয়েছিলেন এবং তার রূহ থেকে ফুঁকে দিয়েছেন ও দিচ্ছেন।এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, " যারা আল্লাহর সাথে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত "।(সূরা বাকারা,আয়াত - ২৭) ।আর এই চেতনাশক্তিই হচ্ছে প্রাকৃতিক মতবাদ বা ইউনিভার্সাল উইল।

ইসলাম তার চিন্তা ও কর্মের ব্যবস্থায় অধিকার অর্জনের পরিবর্তে ফরজ অর্থাৎ অপরিহার্য কর্তব্য সম্পাদনের প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করেছে। অপরিহার্য কর্তব্য সঠিকভাবে পালিত হলে অধিকারের প্রশ্ন থাকতেই পারে না। কুরআনুল করিম মানব সম্প্রদায়কে বিভিন্ন জাতিকে, নবী-রসূলগণকে, ব্যক্তিগণকে, কাফের, মুশরিক ও মুমিনদেরকে যেখানে যেখানে সম্বোধন করেছে; সেখানেই তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এবং এই দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের ভিত্তিতেই দুনিয়া ও আখেরাতের কৃতকার্যতা ও উন্নতি লাভের অঙ্গীকার করেছে। আল্লাহ মৃত্যু ও জন্ম সৃষ্টি করেছেন এ জন্য যে, মানুষ দুনিয়ায় কতটা সফলতা অর্জন করতে পারে, তা যাচাই করতে।

আর তাই অন্য ধর্মের বা অন্য মতবাদের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা হলো পরমতসহিষ্ণুতা বা অন্যের মতবাদ বা ধর্মকে সম্মান করা ,আঘাত নয় । পরমতসহিষ্ণুতার পরিধি ইসলামে কত ব্যাপক ও বিস্তৃত এর ধারণা আমরা প্রিয় নবী ( সাঃ ) এর একটা জীবনচরিত থেকে পেতে পারি। তাঁর জীবনচরিত ছিল উদারতা, শান্তিপূর্ণ সমঝোতা ও পরমতসহিষ্ণুতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। জন্মভূমি মক্কাবাসীর ঠাট্টা-বিদ্রুপ, অত্যাচার-নির্যাতন চরমে পৌঁছালেও তিনি কিছুতেই সহিষ্ণুতা হারাননি। হিজরতের পর রাসূল ( সাঃ ) মক্কা ও তায়িফ বিজয়ের সময় যে অতুলনীয় ক্ষমার আদর্শ প্রদর্শন করেছেন, বিশ্বের ইতিহাসে এর কোনো দৃষ্টান্ত নেই। ঐতিহাসিক সৈয়দ আমীর আলীর ভাষায়," বিজয়ের মুহূর্তে রাসূলুল্লাহ সা: সব যন্ত্রণা ভুলে গেলেন, সব অত্যাচার ক্ষমা করেন এবং মক্কাবাসীর প্রতি সর্বজনীন ক্ষমা ঘোষণা করেন। কোনো গৃহ লুণ্ঠিত হলো না বা কোনো স্ত্রীলোক অপমানিত হলো না"।

আমাদের সামাজিক-জাতীয় জীবনেও শান্তিশৃঙ্খলা সুরক্ষায় পরমত সহিষ্ণুতার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি মানবজাতির একটি মহৎ গুণ। যে সমাজে শান্তিপূর্ণ সমঝোতা ও পরমতসহিষ্ণুতার চর্চা যত বেশি, সে সমাজে অপরাধ প্রবণতা তত কম। নবী করিম ( সাঃ ) বলেছেন, " আল্লাহর অনুগ্রহের মধ্যে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার ক্ষমতা দান সবচেয়ে বেশি মূল্যবান" (বুখারি শরীফ)। ইসলামের আলোকে ধৈর্য, সংযম, উদারতা ও সহিষ্ণুতা মানুষের ঈমানকে পরিপক্ব করে। ঈমানের যতগুলো শাখা-প্রশাখা রয়েছে, তার মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা অন্যতম।

পরমতসহিষ্ণুতার ব্যাপারে আল কোরআনে বলা হয়েছে," আর ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত করুন তা দ্বারা যা উৎকৃষ্ট; ফলে আপনার ও যার মধ্যে শক্ৰতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত"।(সূরা হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত), আয়াত - ৩৪) ইসলামেপরমতসহিষ্ণুতার আদর্শকে কঠোরভাবে পালন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


ছবি - jugantor.com

ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও পরমতসহিষ্ণুতার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো -

১।শত্রুর হাত থেকে অমুসলিমদের রক্ষা করা।
২। অমুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা।
৩। তাদের ধন-সম্পদ ও প্রাণের নিরাপত্তা দান।
৪। স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি তাদের হাতেই ন্যস্ত থাকা।
৫।পূজা-অর্চনা থেকে পাদ্রি-পুরোহিতদের পদচ্যুত না করা।
৬। তাদের ধর্মীয় প্রতীক (ক্রুশ ও মূর্তি) বিনষ্ট না করা।
৭। তাদের কাছ থেকে উশল নেয়া হবে না।
৮। তাদের অঞ্চলে অভিযান প্রেরণ করা হবে না।

অমুসলিমদের প্রতি মানবিক আচরণ এবং সম্প্রীতির সম্পর্ক পৃথিবীর সব ভূখণ্ডে ইসলামের শান্তিকামিতার আদর্শকে ছড়িয়ে দিয়েছিল। পরমতসহিষ্ণুতার এত বাস্তব উদাহরণ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা মতবাদে কখনো খুঁজে পাওয়া যাবে না।

মানুষের তার নিজস্ব শিক্ষা, বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানলব্ধ পাণ্ডিত্যের কূপমণ্ডূকতায় আবদ্ধ না থেকে পাশাপাশি অন্যান্য বুদ্ধিমান বিবেকসম্পন্ন জ্ঞানী লোকের পাণ্ডিত্যের অভিজ্ঞতা ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, পারস্পরিক মতামতের সারবত্তা ও যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করা ও বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে সঠিক যুক্তিযুক্ত যা প্রমাণিত হবে তা সর্বান্তকরণে মেনে নেয়ার মানসিকতা নিজের মধ্যে সৃষ্টি করাই হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা। একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ পরমতসহিষ্ণু হতে হলে তাকে অনেক উদার হতে হয়।আর রাষ্ট্র বা ধর্মীয় যেকোনো বিষয়ে সংলাপ, আলাপ-আলোচনা, পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে অপরের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে সহিষ্ণুতার সঙ্গে শান্তিশৃঙ্খলা ও ঐক্য-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব কাউকে আঘাত করে বা কাউকে ছোট করে নয়। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে আমাদের নিজ অধিকার ও কর্তব্যের সীমারেখা সম্পর্কে জানার-বুঝার-মেনে চলার তওফিক দান করুন এবং সুন্দর ও শুশৃংখল সমাজ বির্নিমানে আমাদেরকে অবদান রাখার তওফিক দান করুন।

==============================================================

তথ্যসূত্র - আল কোরআন,হাদীস ও উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

জি এইস মেহেদী বলেছেন: কোরআন হাদীস মুসলিমদের একমাএ দর্শন,, কারও নিজস্ব দর্শন থাকলে সে নাস্তিক হবেই এটাই স্বাভাবিক,, যেমনটা চাঁদ গাজী এবং কামাল১৮

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জি এইস মেহেদী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের তাদের নিজ নিজ ধর্মের নিয়ম-কানুন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে যেমনটা মুসলমানদের জন্য ইসলামের নিয়ম নীতি।এখানে ব্যক্তি-বিশেষের কোন নিজস্ব মত বা মতবাদের স্থান নেই।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: ধর্ম পালন করা আর পালন না করা এটা কোন দোষনিয় বিষয় নয় কিন্তু এই দুই পক্ষের উগ্রতা দোষোণীয় ও ক্রিমিনাল এ্যক্ট !!!

জি এইস মেহেদী@ নাস্তিকতা অপরাধ নয় কিন্তু উগ্রতা অপরাধ, কেউ তার নিজ দর্শন প্রকাশ করছে এতে আপনি বিভ্রান্ত হলে সেটা তার সমস্যা নয় সমস্যা আপনার!!!! নিজের ঈমান পক্ত না করে অন্যের বিশ্বাস নিয়ে উগ্রতা দেখানকেই সন্ত্রাসবাদ বলে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

ধর্ম মানা কিংবা না মানা এ দু ব্যাপারেই কেউ কারো উপর জোর করা না ধর্ম না দেশের প্রচলিত আইন, উভয়েই সমর্থন করেনা।

যে কোন ব্যাপারে উগ্রতা সর্বদা পরিতাজ্য এবং মধ্যমপন্থাই সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা বা পথ তা সে ধর্মনীতি কিংবা সমাজনীতি যাই হোক না কেন।আর একজন প্রকৃত মুসলমান কখনোই অন্যের উপর জোর করতে পারেন না।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আজকের বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন ধর্ম হচ্ছে হিন্দুধর্ম, ৫ হাজার বছরের রূপকথা, মিথ্যা ও অজ্ঞতা ইহাতে আছে; মহাভারত, রামায়ন পড়লে ইহা পরিস্কার বুঝা যায়; কিন্তু উহা চলছে।
অন্য আরেক রূপকথা ও মিথ্যার ধর্ম ছিলো গ্রিক ধর্ম; গ্রীকেরা শিক্ষিত হওয়ার পর, তারা ইহাকে ফেলে দিয়ে, কম রূপকথা ধর্ম, খৃষ্টান ধর্মকে মেনে নিয়েছিলো; আজকাল উহাকেও সামাজিক ট্রেডিশন হিসেবে নিয়েছে, ইহার কোন ভুমিকা তাদের জীবনে নেই।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই , আপনার কিছুটা হলের সুস্থির এবং আলোচিত বিষয় ও প্রাসংগিক মন্তব্যের জন্য ।

ভাই একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে - এ দুনিয়ায় সকল ধর্মের মূল সূর বা বিষয় হল মানুষকে একটা নিয়ম-নীতির মাঝে পরিচালিত করা । মানে হল ভাল কাজের আদেশ আর খারাপ কাজের নিষেধই মূলতঃ ধর্মের মূল বিষয়।

আর এই মূল বিষয় চর্চা করার জন্য মানুষকে কিছু ত্যাগ ও সমঝোতা করতে হয়। আর এ জন্যই সকল ধর্মে ভাল (ত্যাগের) কাজের জন্য পুরস্কার আর খারাপ কাজের জন্য শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ধর্মকে আপনি -আমি যদি এতটুকু এবং এভাবেই দেখি , তাহলে দেখবেন জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে। আর তা না করে শুধু শুধু জটিলতা তৈরী করলে তাতে আরো জটিলতা বাড়বে বৈ কমবেনা।

আর এক জীবনে ধর্ম কে বাদ দিয়ে আপনি - আমি অতিরিক্ত কি অর্জন করতে পারব যা ধর্মে বলা নেই ? আবার ধর্ম কে ছেড়ে দিয়ে আপনি এর থেকে ভালো আর কাকে বা কোন জিনিষকে ধরতে/মানতে চাচছেন ?

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

নতুন বলেছেন: জি এইস মেহেদী বলেছেন: কোরআন হাদীস মুসলিমদের একমাএ দর্শন,, কারও নিজস্ব দর্শন থাকলে সে নাস্তিক হবেই এটাই স্বাভাবিক,, যেমনটা চাঁদ গাজী এবং কামাল১৮

নাস্তিকতার চেয়েও ভয়ংকর রোগ হইলো ভন্ডামী। সেটাতে আমাদের উপমহাদেশের সকল ধর্মের বেশিরভাগ মানুষই আক্রান্ত।

বেশির ভাগই এখন নামে ধর্মের অনুসারী কিন্তু কাজে ধর্ম পালন করেনা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

একদম সঠিক বলেছেন ভাই " নাস্তিকতার চেয়েও ভয়ংকর রোগ হইলো ভন্ডামী " - মানে হলো মুখে এক আর মনে আরেক । এরা হলো মোনাফেক। আর মোনাফেকদের ব্যাপারে ইসলামে কঠোর হুশিয়ারী দেয়া আছে যে , তাদের স্থান হবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন অংশে। আর রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত-কাজও ইসলামে নিন্দনীয় । ধর্ম পালন করার বিষয়, দেখানোর নয়।

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



গ্রীক ও হিন্দু ধর্মের পর, যেসব বড় ধর্ম এসেছে, সেগুলোতে রূপকথা ও অজ্ঞতা কম কেন? কারণ, সময়ের সাথে মানুষ জ্ঞান লাভ করেছে, ফলে পুরোপুরি রূপকথা যোগ করেনি; সেটার উদাহরণ হলো ইহুদী ধর্ম। ইহুদী ধর্মের লেখক নবী মুসা (আ: ), তিনি শিক্ষিত হওয়ায় রূপকথা ও অজ্ঞতা কম ইহুদী ধর্মে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই , হয়ত তাই সঠিক যা আপনি বলেছেন তবে একটা জিনিষ আপনি ধর্মের মূল বিষয়টাই অস্বীকার করছেন মানে হল ধর্মকে আপনি যে রূপকথা হিসাবে প্রতিভাত বা প্রমাণ করতে চাচছেন এটাই সমস্যা।

আপনি ধর্মকে না মানেন সমস্যা নেই কিন্তু ধর্মকে গাল-গল্পের সাথে তুলনা - একজন বিবেবকবান মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেন - এ ধারনা কতটুকু মানসম্পন্ন বা গ্রহনযোগ্য?

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০৫

নতুন বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা-আল্লাহ -ভগবান-ঈশ্বরে যাদের বিশ্বাস আছে এবং যারা বিশ্বাস করে মৃত্যুর পরেও আরেক জীবন আছে এবং সেখানে সবাই তাই পাবে যা তারা এ দুনিয়ায় করেছে এবং যার যার ধর্ম জীবন ও ধর্মগ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস আছে তাদের বলা হয় আস্তিক বা ধার্মিক। আর আস্তিক শব্দটির বিপরীত শব্দ হলো নাস্তিক ।

এর পাশে আরেকটা শব্দ আছে সেটা হইলো। Agnosticism

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই , আস্তিক এবং নাস্তিক এর সাথে অজ্ঞাবাদ (অজ্ঞেয়বাদ হচ্ছে এমন একটি দার্শনিক চিন্তা বা মতবাদ বা ধারণা যেখানে বলা হয় যে কোনো ঈশ্বর বা কোনো পরমসত্ত্বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বা নিরস্তিত্ব মানুষের অজানা এবং এটি তাদের দ্বারা কখনো জানা সম্ভব হবেনা।অজ্ঞেয়বাদ হচ্ছে মানবজাতি কখনো ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা যে আছেন এটি শক্তভাবে প্রমাণ করতে সমর্থ হবেনা আবার ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা যে নেই এটিও শক্তভাবে নিশ্চিত করতে অসমর্থ থেকে যাবে।অজ্ঞেয়বাদ হচ্ছে যুক্তি ও জ্ঞানের সমন্বয়ে গঠিত একটি ধারণা, এটি কোনো ধর্ম নয়। এটি ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেনা আবার স্বীকারও করেনা ) ঠিক আছে ।

অজ্ঞাবাদকে ধর্মনিরপেক্ষতা (যে ধর্ম নিয়ে পুরো-পুরি উদাসীন)বাদ ও বলা যায়। এটার সাথে নাস্তিকতাবাদ অনেকটাই মিলে তবে পুরোপুরি নয়।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সব ধর্মই লিখেছেন মানুষ; সামন্ত যুগে মানুষ যতটুকু জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন, সেটুকুই তাদের পক্ষে লেখা সম্ভব হয়েছিলো; ফলে সবচেয়ে পুরাতন ধর্মগুলো ছিলো ভুল ধারণা, রূপকথা ও অজ্ঞতায় ভরা। আজকের মানুষ শিক্ষিত ও জ্ঞানী, সেজন্য তারা আর ধর্ম সৃষ্টি করছে না, তারা সায়েন্সের বই লিখছেন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই , বিজ্ঞান আর ধর্মের সম্পর্ক সাংঘর্ষিক নয় বরং সহায়ক ও পরিপূরক। ধর্ম মানুষকে জানতে বলেছে আর বিজ্ঞান মানুষকে বিশ্লেষণ / অনুসন্ধান করা শিখিয়েছে । প্রার্থক্য এতটুকুই ।

তবে, এখানে আরো একটু প্রার্থক্য আছে বিজ্ঞান মানুষকে যা কিছু দিচছে বা বলছে তা শুধু তার এক জীবনে ই সীমাবদ্ধ আর ধর্ম যা বলছে বা দিচছে তা দুনিয়ার সাথে পরকালের ও বিষয় আছে (তবে অনেকের মতে মরনের পরে বা পরকাল বলে কিছু নেই ,তাদের কথা ভিন্ন )।

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধর্ম নিয়ে পোষ্ট দিলে, উহা নিয়ে আলাপ হবে, মন্তব্য হবে; পোষ্ট আসছে "পাবলিক ডোমেইনে", আলোচনা হচ্ছে "পাবলিক ডোমেইনে", কোনকিছু "নিজস্ব" থাকছে না। পোষ্ট দেয়ার পর, আলোচনা হলে, আলোচনায় খুশী হওয়ার কথা, কিংবা মনে কষ্ট পাবার কথা; মনোকষ্ট থেকে দুরে থাকার উপায় হলো ধর্ম নিয়ে পোষ্ট না দেয়া।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা, যুক্তি-তর্ক মানুষকে সঠিক জিনিষ জানতে-বুঝতে সহায়তা করে এবং জানার এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় বা পথ। তবে এ ক্ষেত্রে খোলা মন নিয়ে এবং ব্যক্তিগত রাগ-অনুরাগ-বিরাগ বিবর্জিত হয়ে আলাপ আলোচনা (নিজের থেকে বেশী জানা বুদ্ধিমান বিবেকসম্পন্ন জ্ঞানী লোকের পাণ্ডিত্যের অভিজ্ঞতা ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, পারস্পরিক মতামতের সারবত্তা ও যৌক্তিকতা পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে সঠিক যুক্তিযুক্ত যা প্রমাণিত হবে তা সর্বান্তকরণে মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে) করা জরুরী।

না হলে সকল আলোচনাই অর্থহীন ও নিরর্থক প্রতিভাত হবে ।

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "...আর এই মূল বিষয় চর্চা করার জন্য মানুষকে কিছু ত্যাগ ও সমঝোতা করতে হয়। আর এ জন্যই সকল ধর্মে ভাল (ত্যাগের) কাজের জন্য পুরস্কার আর খারাপ কাজের জন্য শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ..."

-ধর্ম একটি পুরাতন ও ভুল সমাজ বিজ্ঞান, যা আজকের সমাজ ব্যবস্হাকে পেছনে টানছে। ধর্ম নয়, মানুষকে দেশের সংবিধান মানতে হবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই , আপনার এ ধারনার সাথে অনেকেই হয়ত একমত হবে তবে বেশীরভাগ মানুষই যে একমত হবেনা এটা নিশ্চিত । আর মানুষের তৈরী সংবিধান ?

সেটা ত একেক সরকার একেক ভাবে (যেভাবে যার সুবিধা হয় সেভাবেই তাকে ব্যবহার করে বা তৈরী করে বা কাটা-ছেড়া করে) যদিও বানায় তবে আধুনিক রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে দেশে প্রচলিত সংবিধান সবাইকে মেনে চলতে হবে এটা ঠিক আছে।

১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধর্ম কোন নবী, অবতার বা সৃষ্টিকর্তার ভাবনা নয়, এগুলো আদি মানুষের সমবেত চিন্তাভাবনা, গল্প, নিয়ম-কানুন, রীতিনীতি, রূপকথা, ট্রেডিশন; নবী ও অবতারেরা এগুলোর সংকলন করেছেন মাত্র; এবং ইহাতে আপনার মতো মানুষেরও ইনপুট যোগ হচ্ছে প্রতিদিন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হয়তো হ্যা হয়তোবা না । আমরা সাধারন মানুষ যতটুকুই বা জানি এই জীবন-জগৎ সম্পর্কে ।

১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মহাভারত থেকে: "কিমিন্দিম মুনি পুত্র লাভের জন্য "হরিণ' হয়ে সংগমেলিপ্ত অবস্হায়, রাজা পান্ডুর তীরে প্রাণ হারায়"!
-ইহা আপনি বিশ্বাস করেন?

তোরাহ থেকে: "মুসা (আ: ) ফেরাউনের সামনে নিজের লাঠি মাটিতে রাখলেন, ইহা সাপে পরিণত হলো ।"
-ইহা আপনি বিশ্বাস করেন?

ইসলামিক গল্প হতে: "নবী (স: ) হেঁটে যাবার সময় দেখলেন, কিছু শিকারী একটা হরিণকে বেঁধে রেখেছে, হরিনীটি নবীকে বললেন, "আমার বাচ্চা" আছে ।"
-আপনি ইহা বিশ্বাস করেন?

এগুলো রূপকথা নয়?

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আপনি যেভাবে এগুলি কে মূল্যায়ন করবেন সেগুলি আপনার কাছে সেভাবেই ধরা দিবে।

এগুলি ধর্ম বিশ্বাসীদের কাছে নবী-রাসুলদের মোজেজা (আলৌকিক ক্ষমতা) আর সাধারন মানুষের কাছে রূপকথা -গালগল্প কিংবা যাদু।

১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২১

কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকা বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন ছিল।তাই তারা জানতো না দাসপ্রথা অনেক আগেই রহিত হয়ে গেছে।আমাদের নবী বিদায় হজের ভাষনে স্পস্ট ভাষায় বলেন ,আজথেকে দাস প্রথা রহিত,এখনথেকে কাজের বিনিময়ে খাদ্য এই প্রথা চালু হলো।দাসরা কোথায় যাবে তাই তারা তোমাদের বাড়িতেই থাকবে।আর নারী দাসিদের যৌবনের দেখভাল করবে,যাতে তারা যৌবন চালায় কষ্টে না থাকে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্য এর জন্য।৷৷ আপনার ব্যাখ্যা চমতকার হয়েছে, যদিও এরকম টা কোথাও পাইনি বা কোন বই পুস্তক এও পড়িনি। তবে আপনি যেহেতু বলছেনঃ তাহলে এমনটা হলেও হতে পারে।

১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার ধারনা এই লেখাগুলি আপনি বিভিন্ন যায়গা থেকে কপি করে করে এক সাথে করে তৈরি করেন। আমার ধারনা ভুলও হতে পারে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই , এ জাতীয় একটা পোস্ট লেখার জন্য এবং ক্ষেত্রে অনেক কিছু জানতে এবং অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হয় । সামান্য একটা বাক্য বা শব্দের এদিক-সেদিক ব্যবহার বিপর্যয় ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। আর তাই নিজের ধারনার সাথে সাথে এ বিষয়ে আরো জানার জন্য সংবাদপত্র-সম্পাদকীয়-ম্যাগাজিন এবং এসব বিষয়ে যারা জ্ঞানী তাদের মতামত জানার জন্য অনেক কিছু পড়তে হয় এবং এ সব কিছু মিলিয়েই একটা পোস্ট।

এখন আপনি যদি তাকে কপি-পেষ্ঠ বলেন তবে তা যথার্থ নয় বা হবেনা আবার আমি যে তথ্যের জন্য অনেক জায়গা থেকে সাহায্য নেই এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই। আর আমি তাদের কাছ থেকে বিষয়ের ব্যাপারে ধারনা নেই তবে লেখা আমি নিজের মত করে লেখি।

১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীতে যতদিন ধর্ম থাকবে তত দিন ক্যাচাল, মারামারি হানাহানি বন্ধ হবে না।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই যতদিন পৃথিবী আছে ধর্মও ততদিন থাকবে তবে পৃথিবী ধ্বংসের (কেয়ামতের আগে - আল কোরআন অনুসারে ) আগে পৃথিবী থেকে ধর্ম উঠে যাবে মানে হল তখন আর কেউ ধর্ম মানবেনা বা মানুষের জীবনে ধর্মের কোন আবেদন থাকবেনা। তখন আবার এখন যে ধরনের ক্যাচাল দেখছেন সে ধরনের ক্যাচাল থাকবেনা ।তখন সারা দুনিয়ায় শুরু হবে ধর্ম বিহীন অন্য আরেক রকমের ক্যাচাল।

১৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব ধর্মই শান্তির কথা বলে। ন্যায় এবং নীতির কথা বলে । মানুষই নিজের মত ব্যাখা ধর্মের প্রয়োগ করে

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, আপনার ছোট তবে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

সেটাই ভাই, আমরা না বুঝে ব্যক্তির সবকিছুর দোষ ধর্মের উপর চাপিয়ে দিয়ে রেহাই পেতে চাই বা স্বার্থ হাসিল করতে চাই।

ধর্ম মানুষকে মানবিক হতে এবং নিয়ম-নীতি মেনে চলতে এবং মানুষের সাথে মিলে-মিশে থাকতে ও স্রষ্টার সৃষ্টির সেবা করতে বলে। এখন আমরা কিছু মানুষ অতি উৎসাহে মানুষকে আঘাত করি বা কটু কথা বলি - এটা কখনোই কোন ধর্মে না বলে না সমর্থন করে।

১৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৩:২২

কামাল১৮ বলেছেন: আমি রোজ পাই।মুমিনরা লাইভে এমন কথাই বলে।আমি আজকাল মুমিনদের লাইভ শুনে ইসলাম শিখছি।নাস্তিকদের সাথে তর্কের সময় তারা এই যুক্তি দিয়ে নাস্তিকদের দাঁত ভেঙ্গে দেয়।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কামাল ভাই, দেখবেন-শুনবেন,যাচাই-বাছাই করবেন এবং যা আপনার মন যথার্থ বলে রায় দিবে তাই গ্রহন করবেন এটাই সকল ধর্মে বলা আছে এবং এটাই শ্রেষ্ঠ বা গ্রহণযোগ্য পথ কারো অন্ধ অনুকরণ-অনুসরণ নয়।

আস্তিক - নাস্তিক দের (দুই ধরনের মতবাদ ) দ্বন্দ্ব মানব সভ্যতার শুরু থেকে ছিল ,আছে ও থাকবে । তাকে আমি-আপনি পরিহার করতে পারব না । তবে সবসময় উভয়েরই মনে রাখতে তাদের সীমা রেখাকে। বিষয়টা এটাই।

১৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৫:১০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অন্য কারো ধর্মানুভূতিতে বা কাউকে আঘাত করে ইসলামও নহে |

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ স্বামী বিশুদ্ধানন্দজী, আপনার ছোট তবে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

ইসলাম বলে, "কারো মনে দিওনা আঘাত,সেই আঘাত লাগে কাবার গায় "। কারো উপর জোর-জবরদস্তী ইসলামে সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।এটা যে বা যারা না মানে তারা প্রকৃত ঈমানদারও নয়।

ধর্ম মানুষকে মানবিক হতে এবং নিয়ম-নীতি মেনে চলতে এবং মানুষের সাথে মিলে-মিশে থাকতে ও স্রষ্টার সৃষ্টির সেবা করতে বলে। এখন আমরা কিছু মানুষ যদি অতি উৎসাহে বিরুদ্ধ মতের মানুষকে আঘাত করি বা কটু কথা বলি - এর দায় ধর্মের নয় ব্যক্তির এবং এটা কখনোই কোন ধর্মে বলে না এবং সমর্থনও করেনা।

১৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: বৃধ্যার রাস্তায় কাটা রাখা, হরিনের কথা বলা এইগুলা নবীকে এক্সট্রা লাইম লাইটে আনার এক ধরনের হাস্যকর অপচেষ্টা

হাদিসে এই দুই ঘটনার কোন রেফারেন্স নাই। এইগুলা রুপকথা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রানার ব্লগ ভাই, যে কোন ব্যাপারে মানুষ কিছুটা বাড়িয়ে বলে বা কিছুটা অতিরিক্ত যোগ করে বলে , এ ব্যাপারে হয়ত এরকম হতে পারে (তবে আমাদের কাছে যেহেতু কঠিন প্রমাণ নাই তাই এ ব্যাপারে কিছু সরাসরি বলাও ঠিক না )।

ধর্মের যে কোন ব্যাপারে আমাদেরকে প্রথমে কোরআনে দেখতে হবে । কোরানে যদি থাকে তবে তাতে কোন প্রশ্ন ছাড়াই তা মেনে চলার বাধ্য বাধকতা থাকে । আল কোরআনে না থাকলে হাদীসে দেখতে হবে তারপর ইজমা-কিয়াস । আর এ চারটিতে না থাকলে বাকীগুলিতে কিছুটা হলেও প্রশ্ন চলে আসে। এখন আমাদের দেখতে হবে আপনার উল্লেখিত বিষয় দুটির ব্যাপারে আল কোরআন বা হাদিসে কি বলা আছে ?

১৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং শুকরিয়া পড়ার জন্য।

২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৭

নতুন বলেছেন: আসেন ধর্ম নিয়ে শুরুর কথা বলি।

ধর্ম নিয়ে কথা বলতে গেলে আগে সবাইকে মনে করিয়ে দিতে হয় যে ধর্মের ভিক্তিটা কোথায়?

প্রমানিত কিছুর উপরে ভিক্তি করে ধর্ম বিশ্বাস এসেছে কি? না কি পুরোটাই বিশ্বাস?

যদি বিশ্বাস হয় তবে সেটা ১০০% সত্যি হবার সম্ভবনা কতটুকু?

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

ধর্মের ভিত্তি কোথায় বা কি ?
- ধর্মের ভিত্তি হলো বিশ্বাস (কোন প্রশ্ন ছাড়াই) ।

ধর্ম বিশ্বাস কি প্রমানিত কিছুর উপর ভিত্তি করে এসেছে ?

- না । ধর্ম প্রমানের মাধ্যমে নয় বিশ্বাসের মাধ্যমে টিকে আছে এবং চলছে।

যদি বিশ্বাস হয় তবে সেটা ১০০% সত্যি হবার সম্ভবনা কতটুকু?

- ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে শতভাগ তবে বিজ্ঞানে তত্ত্ব বা সূত্র অনুসারে প্রমাণ করা মুশকিল।

২১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম এবং ধার্মিকদের আমি ভয় পাই। এরা বড় হিংস্র।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজীন নুর ভাই,

প্রকৃত বা আসল ধার্মিক কখনো অন্যকে না আঘাত করে না অন্যকে আঘাত করা সমর্থন করে। এগুলি যারা করে (যারা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা দেশের প্রচলিত আইন এবং ধর্মিয় আইনেই দোষী বা অপরাধী) তারা সবসময়ই অপরাধী।

২২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৩:৫৯

জি এইস মেহেদী বলেছেন: চাদগাজী লিখেছেন নবী (সাঃ) সাথে হরিণের কথপোকথন আসলে এটার কোন উপযুক্ত দলিল কোথায়ও পাওয়া যায় নি,, সুতরাং এটা দুর্বল শোনা কথা,,, কোরআন এবং হাদীস এ যা আছে আপনাকে সেটাই মানতে হবে এর বাহিরে কিছু না,,, তবে ইজমা কিয়াস এর ব্যাপার স্যপার থাকে যেটা আপনাকে উপস্থিত বুদ্ধিতে কাজ করতে আলেমদের সাথে নিয়ে একা একা নয় ,,, আপনি বলতেছেন হিন্দু ধর্ম পুরাতন ধর্ম,,তাইলে আপনাকে আদম আঃ এর দুই পুএ ইতিহাস পড়তে হবে এর পর পর্যায় ক্রমে সব নবীদের জীবনী পড়তে হবে,, সব নবীদের একটা বানী ছিলো আল্লাহ এক অদ্বিতীয় তাঁর কোন মুখাপেক্ষী নাই,, যখন যে নবী আসছে সে নবীর নাম সাথে ছিলো,,, নবীরা কেন আসছিলো,, কোন আল্লাহ তাদের নবী হিসেবে দুনিয়াতে পাঠালেন এইটা আপনাকে জানতে হবে পড়তে হবে,, আল্লাহ রাসুল এর জীবনী টা পড়ুন,, তাইলে তো জানতে পারবেন,, সবকিছু,, হিন্দু ধম কোন ধর্ম নয় আসলে এইটা অবুঝ লোকের কিছু শিরক যা আল্লাহর সাথে মুখাপেক্ষী করার সমান,, প্রতিমা পুজা,, ভক্তি,, মাটির পুতুল কে চুমু দিয়ে পানিতে বিসর্জন আসলে এইটা ভাবলেও তবে মনে বাজনা বাজার কথা এরা কেমন প্রতিপালক যারা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করতে পারে না,,, আপনি সুরা ইবরাহীম পড়ুন আশা করি উপকার পাবেন । নাস্তিকতা করতে।করতে চরম লেভেলে পৌছে গেছেন,,, আপনি বাজারে দাড়িয়ে বলতে পারবেন আমি নাস্তিক??? আমি জানি আপনি বলতে পারবেন না,, ঘুরেফিরে ইসলামের নীড়ে ফিরে যাবেন আর বলবেন আর হ্যা আমার কিছু দর্শন আছে,, আসলে ভাই নিজেকে বদলান,,, এসব উল্টা পাল্টা কথা লিখিয়েন না,, হয়তোবা পশ্চিমা কালচার স্পর্শ করার কারণে বদলে গেছেন,, অনুরোধ থাকবে যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন তবে গ্রামে আসুন,, বসবাস শুরু করুন আশা করি উপকার আসবেই আপনি বদলে যাবেন আগামীতে ইনশাআল্লাহ

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জি এইস মেহেদী ভাই , মহান আল্লাহপাক আমাদের সকলকে সহনশীল হওয়ার এবং সঠিক পথ-মত অনুসরন করার তওফিক দান করুন।

২৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:০৪

এভো বলেছেন: " ধর্মহীনতা বা স্রষ্টায় অবিশ্বাস দোষনীয় নয় এটা যার যার নিজস্ব ব্যাপার " - তবে কারো ধর্মানুভূতিতে বা কাউকে আঘাত করে নাস্তিকতা নয়।
সত্য কথা বলেছেন -- ধর্ম অবমাননা করার অধিকার নাস্তিকদের নেই --- তবে এটা আস্তিকদের অধিকার

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এভো ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই, এ অধিকার আস্তিক-নাস্তিক কারোরই :(( নাইগো ভাইজান। এখন কেউ যদি গায়ের জোরে বা নিজ উদ্যোগে কিছু করে তাহলে এর দায় তারই ,অন্যকারো বা ধর্মের নয়।

২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:১৭

সাসুম বলেছেন: একজন আস্তিকের মধ্যে নৈতিকতা, নীতিজ্ঞান ও মূল্যবোধ প্রবল। পক্ষান্তরে একজন নাস্তিকের মধ্যে নৈতিকতা, নীতিজ্ঞান ও মূল্যবোধ শিথিল। এ শিথিলতার কারণে অতিসহজেই তাদের অনেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েন।[/sb

আপনার এই পোস্টে মন্তব্য করার জন্য লগ ইন করলাম ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও।

আচ্ছা, কাম্রুজ্জামান ভাই, আপনি কি মাঝে মাঝে মাদক , গাঞ্জা , হিরোইন , এল এস ডি বা এ জাতীয় কোন কিছু গ্রহন করেন?

মানে একটা বিশাল লিখা লিখলেন, আলোচনা করতে ইচ্ছে হয় এমন। হুট করে লিখার মাঝে এমন সব হাস্যকর, ঠাট্টা মস্করা করা আর উদ্ভট গোজামিল্ মার্কা এক্সপ্লেনেশান আনেন- হাসতে হাসতে লুংগি খুলে যায়।

মানে আজতক শুনেছেন- কোন নাস্তিক কোন ধর্মের মসজিদ মন্দিরে আগুন দিতে? কাউকে কোন নাস্তিক খুন করতে? কাউকে হুমকি দিতে? কোন নাস্তিক ইলজিকাল আন্ধা আকাশ বাতাস কাপিয়ে দেয়া থিউরিতে বিলিভ করতে শুনেছেন কখনো? দুনিয়ার সবচেয়ে আস্তিক দেশগুলার নীতিবোধ, মূল্যবোধ আর নৈতিকতা কেন নাস্তিক দেশ গুলার চেয়ে হাজারে লাখে কোটিতে কম? কেন নাস্তিক দেশ গুলা খারাপ থাকেনা ? কেন আস্তিক দেশ গুলা নাস্তেক দেশ আর নাস্তেক দেশের মায়াবী মানুষের দিকে তাকায় থাকে আর একটা শান্তির জীবনের জন্য নাস্তেক মানুষ দের কাছে যেতে চায়?

মানে- ধরেন একটা জরিপ করা হল- বাংলাদেশের সব মানুষ কে আস্তিক দেশ ফাকিস্তান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, ইন্ডিয়া, এসব দেশে অথবা নাস্তিক সুঈডেন, নরওয়ে, ফ্রান্স, জার্মানি এসব দেশে যাওয়ার সুযোগ এবং থাকার সুযোগ দেয়া হবে। বাংলাদেশের আস্তিক রা কোন দেশ বা কোন সমাজ বেছে নিবে? কেন নাস্তিক দের বেছে নিবে তারা? কেন নাস্তিক দের আইন আর শাসন আর সমাজে তারা নিরাপদ বোধ করবে ? কেন আস্তিক বাংগালি মোসলমান মনে করবে নাস্তেক দেশে তারা নিরাপদ থাকবে ??

আপনার যুক্তিরমতে, নৈতিকতা, নীতিজ্ঞান ও মূল্যবোধ হীন নাস্তেক সমাজে কেন যাওয়ার জন্য দুনিয়ার সকল আস্তিক উঠে পড়ে লাগে? কেন নাস্তেক দের গাইলায় আবার তাদের গড়ে তোলা সমাজে বাস করার জন্য মার্ডার করে ফেলতেও রাজি আস্তিক রা? কেন কেন কেন ??

মানে মনে যা চায়, তাই বলে দিলেন? আপনার আস্তিক ভাইরা মন্দির ভাংছে, মুর্তি ভাংছে, হিন্দু খুন করছে, হিন্দু নারী ধর্ষন করছে গত ৩ দিনে। আপ্নার লেখায় কোথাও এই ঘটনার প্রতিবাদ তো দূরের কথা, আপনি আসছেন নাস্তেক নাসারা পিটাইতে।

মানে ভাই, আপনার আল্লাহ খোদা থাকলে, মানুষ হলেও তো এই অন্যায় এর প্রতিবাদ করার কথা।

ঘর পোড়ার মধ্যে আপ্নারা দিবেন আলু পোড়া। আপ্নারাই জান্নাতের পাখি, আপ্নারাই আসল সহিহ মানুষ।

আর বাক স্বাধীনতা??? হাহাহহা

আপনার জ্ঞানের, জানার অনেক অনেক বাকি এখনো। আপনার মনের মত ইসলামিক বাক স্বাধীনতার সংজ্ঞা বানালে তো হবেনা। এম্নেস্টি ইন্টারন্যাশ্নাল এর সাইটে পড়ে আসেন বাক স্বাধীনতা কাকে বলে এবং তার সংজ্ঞা কি । আপনার সেটা মানা আর না মানার কিছু যায় আসে না, কারন দুনিয়ার আপনার চেয়ে তাবত বেশি জ্ঞানের অধিকারী জ্ঞানী গুনীরা সেটাকে মেনে নিয়েছে এবং সেটাকে এস্টাব্লিশ করেছে।

আপ্নি বলেছেনঃ

মানুষের তার নিজস্ব শিক্ষা, বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানলব্ধ পাণ্ডিত্যের কূপমণ্ডূকতায় আবদ্ধ না থেকে পাশাপাশি অন্যান্য বুদ্ধিমান বিবেকসম্পন্ন জ্ঞানী লোকের পাণ্ডিত্যের অভিজ্ঞতা ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, পারস্পরিক মতামতের সারবত্তা ও যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করা ও বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে সঠিক যুক্তিযুক্ত যা প্রমাণিত হবে তা সর্বান্তকরণে মেনে নেয়ার মানসিকতা নিজের মধ্যে সৃষ্টি করাই হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা। একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ পরমতসহিষ্ণু হতে হলে তাকে অনেক উদার হতে হয়।আর রাষ্ট্র বা ধর্মীয় যেকোনো বিষয়ে সংলাপ, আলাপ-আলোচনা, পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে অপরের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে সহিষ্ণুতার সঙ্গে শান্তিশৃঙ্খলা ও ঐক্য-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব কাউকে আঘাত করে বা কাউকে ছোট করে নয়।

আপনি নিজেই তো নাস্তিক দের ছোট করলেন, অপমান করলেন, নীতি নৈতিকতা হীন, মূল্যবোধ হীন বলে রায় দিয়ে দিলেন। এই যে নিজে নিজের মত বিরুদ্ধ লিখা লিখেন, আপনার একবার ও কি মনে হয় না এই সব অখাদ্য না লিখতে? একই লিখায় একবার রায় দিলেন দুনিয়ার তাবত নাস্তেক না কম জ্ঞানী, কম বুদ্ধি ওয়ালা, কম নীতি নৈতিকতা ওয়ালা, কম মূল্যবোধ ওয়ালা আবার একই লেখার শেষে বললেন- অন্যকে ছোট করা ঈমানের পরিচয় নয় বা পরমসহিষ্ণুতা নয়। এই যে কন্ট্রাডিকশান এটা মাথায় আসেনা আপনার লিখার সময় বা শেষে ?

এবার আসেন কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাতের বিষয়ঃ আপনার অনুভূতি এত নড়বড়ে কেন? আপনার আল্লাহ খোদা বা ধর্ম তো - নাস্তিক এর এক কথায় নড়ে যাওয়ার কথা না। তাহলে কল্লা ফেলতে চলে আসেন কেন আপ্নার আল্লা খোদার মন্মতো কোন কিছু বলতে না চাইলে ? কেন আপনার আল্লার নিজের প্রমিজ করা ধর্ম গ্রন্থ আরেক ধর্মের মূর্তির কাছে গেলে আপনার ধর্ম গ্রন্থের কাপাকাপি শুরু হয়ে যায় ? আপনার ধর্ম গ্রন্থের রক্ষার বিধান আর দায়িত্ব তো আপনার খোদা নিজ হাতে নিয়েছেন, কোথাও কারো ঘর বাড়ি বা খুন ধর্ষন ক্করে রক্ষা করতে বলে নাই। কেন আপনি ট্রিগার্ড হচ্ছেন? আর আপনার ধর্ম গ্রন্থ দিয়ে আরেক ধর্মের মূর্তির পায়ে রেখে আসার জন্য তাদের ধর্মের অপমান হয়েছে এই কারনে এখন সেই ধর্মের লোকজন ধর্ম অবমাননার জন্য আপনার বাসা বাড়ি, মসজিদে হামলা চালালে, আপনাকে খুন করলে বা আপনার মা বোন কে ধর্ষন করতে উদ্যত হলে আপনার প্রতিক্রিয়া কি হবে ? মেনে নিবেন আপনি?

সব সময় ধার্মিক হতে হয় না, মানুষ হতে হয়।

সব সময় ধর্ম ধর্ম করেন বলেই- আজকের এই দেশের , আপনার ধর্মের ধার্মিক দের এই অবস্থা। লজ্জা পান, ভুল স্বীকার করেন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৫৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার লগইন- মন্তব্যের জন্য।

আপনি আসেন না কেন নিয়মিত। আপনাকে মিস করি ভাইজান।

আপনার এই পোস্টে মন্তব্য করার জন্য লগ ইন করলাম ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও।

- তার জন্য বহুত বহুত শুকরিয়া ভাইজান।

আচ্ছা, কাম্রুজ্জামান ভাই, আপনি কি মাঝে মাঝে মাদক , গাঞ্জা , হিরোইন , এল এস ডি বা এ জাতীয় কোন কিছু গ্রহন করেন?
- নারে ভাই, যে কয়টা জিনিষ আপনি বলেছেন তার একটাও চেখে :P দেখিনি এবং চোখেও দেখিনি।

একজন আস্তিকের মধ্যে নৈতিকতা, নীতিজ্ঞান ও মূল্যবোধ প্রবল। পক্ষান্তরে একজন নাস্তিকের মধ্যে নৈতিকতা, নীতিজ্ঞান ও মূল্যবোধ শিথিল। এ শিথিলতার কারণে অতিসহজেই তাদের অনেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েন।

- যদি কেউ প্রকৃতই স্রষ্টায় বিশ্বাস করে তবে তাহলে তার বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই। আর সামজিক নিরাপত্তা শুধু ধর্মের উপর নির্ভর করেনা । এর সাথে আরো অনেক উপাদান জড়িত। অনেকগুলো উপকরন- উপাদানের মাঝে ধর্ম একটি বাকীগুলির অনুপস্থিতে ধর্ম যথার্থ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়।

আর বাক স্বাধীনতা

- এ দুনিয়ায় কোন কিছু শর্তহীন নয় । তা সে রাষ্ট্রীয় বাক স্বাধীনতা কিংবা ধর্মীয় বাক স্বাধীনতা।সকল প্রকার স্বাধীনতা ভোগের জন্য মানুষকে কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়।



১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সব সময় ধার্মিক হতে হয় না, মানুষ হতে হয়।সব সময় ধর্ম ধর্ম করেন বলেই- আজকের এই দেশের , আপনার ধর্মের ধার্মিক দের এই অবস্থা। লজ্জা পান, ভুল স্বীকার করেন।

- সাসুম ভাই,ধর্মের মূল সূর বা মূল বিষয়ই হলো মানবিকতা। পরমতসহিষ্ণুতা ধর্মের মূল সূর । কাউকে বিচার করার ভার বা কাউকে সাজা দেয়া-কারোর উপর হামলা-নির্যাতন করার জন্য ভাই ধর্ম না বলেছে না সমর্থন করেছে।

২৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৪০

নতুন বলেছেন: নাস্তিকতা করতে।করতে চরম লেভেলে পৌছে গেছেন,,, আপনি বাজারে দাড়িয়ে বলতে পারবেন আমি নাস্তিক??? আমি জানি আপনি বলতে পারবেন না,, ঘুরেফিরে ইসলামের নীড়ে ফিরে যাবেন আর বলবেন আর হ্যা আমার কিছু দর্শন আছে,, আসলে ভাই নিজেকে বদলান,,, এসব উল্টা পাল্টা কথা লিখিয়েন না,, হয়তোবা পশ্চিমা কালচার স্পর্শ করার কারণে বদলে গেছেন,, অনুরোধ থাকবে যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন তবে গ্রামে আসুন,, বসবাস শুরু করুন আশা করি উপকার আসবেই আপনি বদলে যাবেন আগামীতে ইনশাআল্লাহ

মেহেদী ভাইয়া যদি কেউ আমাদের দেশে গ্রামে এসে বলে তিনি নাস্তিক তবে কি হবে?

আপনার সামনে যদি কেউ্ বলে তিনি নাস্তিক আপনি কি করবেন?

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, মানুষের কাছে মানুষের পরিচয় আস্তিক - নাস্তিক হওয়া উচিত নয় বা বড় কথা নয় । মানুষের কাছে মানুষই শেষ কথা হওয়া উচিত।

আর আস্তিক - নাস্তিকের বিচারের ভার কিংবা কাউকে সাজা দেয়া কিংবা পুরস্কার দেয়া এসব সৃষ্টিকর্তার কাজ । আমাদের শুধু আমাদের উপর নির্ধারিত ও নির্দেশিত কাজ গুলোই করা উচিত কাউকে বিচার করা নয়।কারন, আমরা মানুষ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক বিচার করতে অক্ষম।

২৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
ধর্মের ভিত্তি কোথায় বা কি ?
- ধর্মের ভিত্তি হলো বিশ্বাস (কোন প্রশ্ন ছাড়াই) ।
ধর্ম বিশ্বাস কি প্রমানিত কিছুর উপর ভিত্তি করে এসেছে ?
- না । ধর্ম প্রমানের মাধ্যমে নয় বিশ্বাসের মাধ্যমে টিকে আছে এবং চলছে।
যদি বিশ্বাস হয় তবে সেটা ১০০% সত্যি হবার সম্ভবনা কতটুকু?
- ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে শতভাগ তবে বিজ্ঞানে তত্ত্ব বা সূত্র অনুসারে প্রমাণ করা মুশকিল।


৩ আব্রাহামিক ধর্মের কাহিনি অনুসারে সৃস্টিকর্তা মাত্র ২ জন মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোহ করেছেন।

১ মুসা আ: < তিনি তুর পাহারে আগুনের জ্বলতে দেখেছেন, উজ্জল আলোর ঝলকানিতে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি কিন্তু নিজের চোখে সৃস্টিকতাকে দেখেছেন বলে দাবি করেন নাই।

২য় রাসুল সা: < তিনি মেরাজে গিয়েছিলেন এবং ঐখানে পর্দার পাশ থেকে সৃস্টিকতার কথা শুনে এসেছেন, তিনি কিন্তু নিজের চোখে সৃস্টিকতাকে দেখেছেন বলে দাবি করেন নাই।

বাকি নবী বা রাসুলদের কাছে স্বপ্ন, গায়বী আওয়াজ,দেবদূত এসেছিলো।

What if these 2 Humans were Wrong?

মহাবিশ্বের বিশালতার তুলনায় পৃথিবি নামক গ্রহ কিছুই না। তার সৃস্টিকতা পৃথিবি সৃস্টির শুরু থেকে আজ পযন্ত ১৪৭ বিলিওন মানুষের মাঝে মাত্র ২ জনের সাথে সরাসরি কথা বলেছেন?

অনেক মানুষিক অবস্থা থাকে যখন মানুষ গায়েবী কথা শুনে, আওয়াজ শুনে, দেখে। এটাও তো তেমন কোন ঘটনা হওয়াই বেশি যৈক্তিক নয় কি?।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই , সাধারন বিশ্বাসে তাই হয়ত হওয়া উচিত তবে ধর্ম বিশ্বাসে এর কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয়না বা ধর্মে এর প্রতি অবিশ্বাস কে মেনে নেয়ে হয়না।

২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:১৯

এভো বলেছেন: ভাই, এ অধিকার আস্তিক-নাস্তিক কারোরই :(( নাইগো ভাইজান। এখন কেউ যদি গায়ের জোরে বা নিজ উদ্যোগে কিছু করে তাহলে এর দায় তারই ,অন্যকারো বা ধর্মের নয়।

আপনি সিরাত গ্রন্থের ঐ পৃষ্ঠাটির যে ফটোকপি দিয়েছি সেটা না পড়ে কেন মন্তব্যটা কোরলেন

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এভো ভাই , আপনার প্রেরিত পৃষ্ঠাটি দেখেছি ও পড়েছি ভাই।

তখন ইসলামের প্রারম্ভ বা শুরু এবং উল্লেখিত বিষয়টির আলোচনা শুধু এই পাতায়ই সীমাবদ্ধ নয়। এ বিশাল আলোচনার একটা
অসম্পূর্ণ অংশ মাত্র । আর যে কোন বিষয়ে পুরো বিষয়টা নিয়ে আলোচনা না করে শুধু একটা লাইন-প্যারা নিয়ে আলোচনায় সঠিক বিষয় প্রতিফলিত হয়না ও বিষয়ের বা সেই অর্থের অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নতুন ভাই , সাধারন বিশ্বাসে তাই হয়ত হওয়া উচিত তবে ধর্ম বিশ্বাসে এর কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয়না বা ধর্মে এর প্রতি অবিশ্বাস কে মেনে নেয়ে হয়না।

ধর্মের মুল ভিক্তিগুলি মানুষ ভুলে যায়।

বিশ্বের সমাজ এবং ধর্মের টাইমলাইন দেখলে বোঝা যায় যে সমাজ তার প্রয়োজনে ধর্মকে ব্যবহার করেছে। ক্ষমতাশীলরা ধর্মকে ব্যবহরার করেছে সাধারন মানুষকে একটা ইজমে প্রভাবে নিয়ন্ত্রন করতে।

গভীর ভাবে দুনিয়ার ধর্মের শুরু, সমাজের শুরু, ধর্মের ব্যবহার, ধর্ম নিয়ে রাজনিতি এই গুলি খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন ধর্ম আসলে মানুষের তৌরি হবার সম্ভবনা ৯৯.৯৯% আর ঐ ০.০১% সম্ভবনা রেখে দিলাম কারন আমরা এখনো সম্পর্ন কিছু জানিনা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই , হয়তো আপনার ধারনাই সঠিক বা সঠিক নাও হতে পারে তবে এটা সঠিক যে , সারা দুনিয়ায় শাসকরা-ক্ষমতাশীনরা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ধর্মকে প্রনিয়ত ব্যবহার অতীতেও যেমন করেছে,বর্তমানেও করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

তবে আমি যেটা বুঝি মানুষকে বা তার যথেচছাচার নিয়ন্ত্রনে রাখতে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আছে তা ধর্মের শুরু যেভাবেই হোক না কেন। কারন, মানুষ যদি নিয়ম-নীতির মাঝে না চলে তাহলে এখন সমাজের যে অবস্থা আছে তার থেকে আরো খারাপ অবস্থা হবে।

২৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

এভো বলেছেন: অসম্পূর্ণ অংশ মাত্র । আর যে কোন বিষয়ে পুরো বিষয়টা নিয়ে আলোচনা না করে শুধু একটা লাইন-প্যারা নিয়ে আলোচনায় সঠিক বিষয় প্রতিফলিত হয়না ও বিষয়ের বা সেই অর্থের অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অসম্পূর্ণ অংশ নহে , বরং এটা আপনার এড়িয়ে যাওয়ার অপচেষ্ঠা । এখানে অন্য ধর্মকে অবমাননা করার কথা স্পষ্ঠভাবে বলা হয়েছে । এটা নিয়ে তো ১০ পাতা লিখার কোন দরকার নেই । এটা সিরাত গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে ।
আপনি এই ধর্ম অবমাননা নিয়ে বিষদভাবে বলুন কারন আপনার এই পোষ্ঠ ধর্ম অবমাননা নিয়ে ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এভো ভাই , আপনাের মূল কথা বা সূর - ধর্ম অবমাননা করার অধিকার নাস্তিকদের নেই --- তবে এটা আস্তিকদের অধিকার

- আপনি রেফারেন্স দিয়েছেন-পড়েছেন এবং সিদ্ধান্তেও পৌছেছেন। এখন আপনি বলেন -আমি কি বলব?

যেখানে আল কোরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে -

ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কোন বিষয় নেই।ইসলামের মূল উৎস কোরআনে কারিম এবং হাদিসে পরধর্মের মানুষকে আপনের চেয়েও বেশি শ্রদ্ধা ও সম্মান করার কথা বলেছে। এ প্রসংগে নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়"। (সুনানে আবু দাউদ,হাদীস নং - ৫১২৩)।

সাম্প্রদায়িকতার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে।এ প্রসংগে আল্লাহতায়ালা বলেন, "দ্বীনের (ধর্মের) ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী `তাগুত'দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন"।(সূরা বাকারা,আয়াত - ২৫৬)।

এ প্রসংগে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে,"বলুন, হে কাফেরগণ, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও তার এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি তার এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা করে আসছ। তোমরা তার এবাদতকারী হবেনা, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের দ্বীন (ধর্ম ) তোমাদের জন্যে এবং আমার দ্বীন (ধর্ম) আমার জন্যে"।(সূরা কাফিরুন,আয়াত -১ - ৬)।

ধর্ম পালন করতে গিয়ে কেউ কোনোরূপ সীমা লঙ্ঘন কিংবা বাড়াবাড়ি করবে না।অন্য কেউ যদি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেও ফেলে তবে ভুলেও যেন কোনো ইমানদার এ ধরনের হীন ও জঘন্য কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত না করে। এ বিষয়টিই নসিহতস্বরূপ মুমিনদের উদ্দেশে আল্লাহতায়ালা বলছেন,"আর আল্লাহকে ছেড়ে যাদেরকে তারা ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না।কেননা তারা সীমলংঘন করে অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহকেও গালি দেবে।এভাবে আমরা প্রত্যেক জাতির দৃষ্টিতে তাদের কার্যকলাপ শোভিত করেছি,তারপর তাদের রব-এর কাছেই তাদের প্রত্যাবর্তন।এরপর তিনি তাদেরকে তাদের করা কাজগুলো সম্বন্ধে জানিয়ে দেবেন"।(সূরা আনআম,আয়াত - ১০৮)।

প্রকৃত মুসলমান কখনোই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত আসে এমন কোনো কাজ করতে পারে না ।এ প্রসংগে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,"কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব"। (সুনানে আবু দাউদ,হাদীস নং - ৩০৫২)। রাসুল (সাঃ) আরও বলেছেন, "অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেই ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে"। (সহিহ বোখারি,হাদীস নং - ৩১৬৬)।

এখন বাকী সিদ্ধান্তের ভার আপনার , আপনি কাকে অনুসরন করবেন এবং কোনটা মানবেন।

৩০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

এভো বলেছেন: প্রকৃত মুসলমান কখনোই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত আসে এমন কোনো কাজ করতে পারে না ।এ প্রসংগে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,"কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব"। (সুনানে আবু দাউদ,হাদীস নং - ৩০৫২)। রাসুল (সাঃ) আরও বলেছেন, "অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেই ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে"। (সহিহ বোখারি,হাদীস নং - ৩১৬৬)।

আরব ভুখন্ড হতে ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের বিতাড়িত করবো
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক
হাদিস নাম্বার: 3003
৩০০৩। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমরা মাসজিদে উপস্থিত ছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে বেরিয়ে এসে বললেনঃ ইয়াহুদীদের এলাকায় চলো। ‘আমরা তাঁর সাথে বের য়ে সেখানে গিয়ে পৌঁছলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে তাদেরকে ডেকে বললেনঃ হে ইয়াহুদী সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম কবূল করো শান্তিতে থাকবে। তারা বললো, হে আবুল কাসিম! আপনি পৌঁছে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আবার বললেনঃ তোমরা ইসলাম কবূল করো, নিরাপত্তা পাবে। তারা বললো, হে আবুল কাসিম! আপনি পৌঁছে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেনঃ এ দাওয়াত পৌঁছে দেয়াই আমার উদ্দেশ্য ছিলো। তৃতীয় বারও তিনি একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বললেনঃ জেনে রাখো! এ ভুখন্ডের মালিকানা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। আমি তোমাদের এ ভূখন্ড থেকে বিতাড়িত করতে চাই। সুতরাং তোমরা কোনো জিনিস বিক্রি করতে সক্ষম হলে বিক্রি করো। অন্যথায় জেনে রাখো! এ ভূখন্ডের মালিক আল্লাহ ও তাঁর রাসূল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (4442)
অধ্যায়ঃ ৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২১. ইয়াহুদী ও নাসারাদের আরব উপ-দ্বীপ থেকে বহিস্কার
৪৪৪২। যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) … জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমার কাছে উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, নিশ্চয়ই আমি ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায়কে আরব উপ-দ্বীপ থেকে বহিস্কার করবো। পরিশেষে মুসলমান ব্যতীত অন্য কাউকে এখানে থাকতে দেবো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ (4486)
অধ্যায়ঃ ৩৩। জিহাদ ও সফর
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২১. ইয়াহুদী ও নাসারাদের আরব উপ-দ্বীপ থেকে বের করে দেয়া
৪৪৮৬-(৬৩/১৭৬৭) যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ….. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমার কাছে উমর ইবনু খাত্তাব (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, নিশ্চয়ই আমি ইয়াহুদী ও খ্ৰীষ্টান সম্প্রদায়কে আরব উপ-দ্বীপ থেকে বের করে দেবো। তারপর মুসলিম ব্যতীত অন্য কাউকে এখানে থাকতে দেবো না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৪২, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৪৪)
যুহায়র ইবনু হারব ও সালামাহ্ ইবনু শাবীব (রহঃ) ….. উভয়েই আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে এ সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৪২, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
হাদিস নম্বরঃ (1607)
অধ্যায়ঃ ১৯/ যুদ্ধাভিযান
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী‏
পরিচ্ছদঃ ৪৩. আরব উপদ্বীপ হতে ইয়াহুদী-নাসারাদের বের করে দেওয়া প্রসঙ্গে
১৬০৭। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ আমি ইহুদী ও নাসারাদের আরব উপদ্বীপ হতে অবশ্যই বহিষ্কার করব। মুসলমান ব্যতীত অন্য কাউকে সেখানে বসবাস করতে দিব না।
সহীহ, সহীহা (১১৩৪), সহীহ আবূ দাউদ, মুসলিম
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সহি মুসলিম
বই- ১৯, হাদিস নং- ৪৩৬৬
আমি আরব ভুখন্ড হতে ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের বিতাড়িত করবো, এখানে থাকবে শুধুমাত্র মুসলিমরা।

■ সকল ইহুদিকে হত্যা করা হবে
পরিচ্ছদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে
১৩/১৮২৯। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত মুসলিমরা ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে। এমনকি ইহুদী পাথর ও গাছের আড়ালে আত্মগোপন করলে পাথর ও গাছ বলবে ‘হে মুসলিম! আমার পিছনে ইহুদী রয়েছে। এসো, ওকে হত্যা কর।’ কিন্তু গারক্বাদ গাছ (এরূপ বলবে) না। কেননা এটা ইহুদীদের গাছ।’’ (বুখারী-মুসলিম)
(1) সহীহুল বুখারী ২৯২৬, মুসলিম ১৫৭, ২৯২২, আহমাদ ৮৯২১, ১০৪৭৬, ২০৫০২
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■ ইহুদী নাসারাদের রাস্তার কিনারায় ঠেলে দিতে হবে
গ্রন্থের নামঃ সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
হাদিস নম্বরঃ (1602)
অধ্যায়ঃ ১৯/ যুদ্ধাভিযান (كتاب السير عن رسول الله ﷺ)
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
‏পরিচ্ছদঃ ৪১. আহলে কিতাবদের সালাম প্রদান প্রসঙ্গে
১৬০২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ইয়াহুদী-নাসারাদের প্রথমে সালাম প্রদান করো না। তোমরা রাস্তায় চলাচলের সময় তাদের কারো সাথে দেখা হলে তাকে রাস্তার কিনারায় ঠেলে দিও।
সহীহ, সহীহা (৭০৪), ইরওয়া (১২৭১), মুসলিম, বুখারী আদাবুল মুফরাদ, ২৮৫৫ নং হাদীসটির আলোচনা আসবে।
ইবনু উমার, আনাস ও আবূ বাসরা আল-গিফারী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■ মুশরিকদের সাথে বসবাস করা নিষেধ
গ্রন্থের নামঃ সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
হাদিস নম্বরঃ (1605)
অধ্যায়ঃ ১৯/ যুদ্ধাভিযান
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
পরিচ্ছদঃ ৪২. মুশরিকদের সাথে বসবাস করা নিষেধ
১৬০৫। আবূ মুআবিয়ার হাদীসের মত হাদীস হান্নাদ-আবদাহ হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু আবৃ খালিদ হতে, তিনি কাইস ইবনু আবূ হাযিম (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত আছে। তবে এই সূত্রে জারীর (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই এবং এটিই অনেক বেশি সহীহ। সামুরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
আবূ ঈসা বলেন, ইসমাঈলের বেশিরভাগ সঙ্গী তার হতে, তিনি কাইস ইবনু আবূ হাযিমের সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ছোট বাহিনী পাঠান। এ সূত্রেও জারীরের উল্লেখ নেই। আবূ মুআবিয়ার হাদীসের মত হাদীস হাম্মাদ ইবনু সালামা-হাজ্জাজ ইবনু আরতাত হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু আবূ খালিদ হতে, তিনি কাইস হতে, তিনি জারীর (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
আমি ইমাম বুখারীকে বলতে শুনেছি, সঠিক কথা হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কাইসের বর্ণনাটি মুরসাল। সামুরা ইবনু জুনদাব (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মুশরিকদের সাথে তোমরা একত্রে বসবাস কর না, তাদের সংসর্গেও যেও না। যে মানুষ তাদের সাথে বসবাস করবে অথবা তাদের সংসর্গে থাকবে সে তাদের অনুরূপ বলে বিবেচিত হবে।”
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■ অমুসলিমদের সংস্পর্শ
গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)
হাদিস নম্বরঃ ৪৮৩২
১৯. যার সংস্পর্শে বসা উচিত
৪৮৩২। আবূ সাঈদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি মু‘মিন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারো সঙ্গী হবে না এবং তোমার খাদ্য যেন পরহেযগার লোকে খায়।(1)
হাসান।
(1). তিরমিযী, আহমাদ।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)

গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৯/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
হদিস নম্বরঃ ২৭৮৭
১৮২. মুশরিকদের এলাকায় অবস্থান সম্পর্কে
২৭৮৭। সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কেউ কোনো মুশরিকের সাহচর্যে থাকলে এবং তাদের সাথে বসবাস করলে সে তাদেরই মতো।(1)
(1). সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■ মুসলিম অপরাধী হলেও জান্নাতি
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ (2327)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১০. আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ – ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩২৭-(৫) আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বানী ইসরাঈলের মধ্যে জনৈক ব্যক্তি নিরানব্বই জন মানুষ হত্যা করেছিল। তারপর সে শার‘ঈ বিধান জানার জন্য একজন আল্লাহভীরুর কাছে জিজ্ঞেস করল, এ ধরনের মানুষের জন্য তাওবার কোন অবকাশ আছে কিনা? তিনি বললেন, নেই। তারপর সে তাকেও (‘আলিমকেও) হত্যা করল। এভাবে সে লোকদেরকে অনবরত জিজ্ঞেস করতে থাকল। এক ব্যক্তি শুনে বলল, অমুক গ্রামে গিয়ে অমুককে জিজ্ঞেস করো। এমন সময়েই সে মৃত্যুমুখে পতিত হলো এবং মৃত্যুর সময় সে ওই গ্রামের দিকে নিজের সিনাকে বাড়িয়ে দিলো। তারপর রহমাতের মালাক (ফেরেশতা) ও ‘আযাবের মালাক পরস্পর ঝগড়া করতে লাগল, কারা তার রূহ নিয়ে যাবে। এমন সময় আল্লাহ তা‘আলা ওই গ্রামকে বললেন, তুমি মৃত ব্যক্তির কাছে আসো। আর নিজ গ্রামকে বললেন, তুমি দূরে সরে যাও। অতঃপর আল্লাহ মালায়িকাহকে (ফেরেশতাদের) বললেন, তোমরা উভয় দিকের পথের দূরত্ব পরিমাপ করে দেখো। মাপের পর মৃতকে এ গ্রামের দিকে এক বিঘত নিকটে পাওয়া গেল। সুতরাং তাকে ক্ষমা করে দেয়া হলো। (বুখারী, মুসলিম)(1)
(1) সহীহ : বুখারী ৩৪৭০, মুসলিম ২৭৬৬, ইবনু মাজাহ ২৬২২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৫৮৩৬, শু‘আবূল ঈমান ৬৬৬৩, ইবনু হিব্বান ৬১৫, সহীহাহ্ ২৬৪০, সহীহ আত্ তারগীব ৩১৫১, সহীহ আল জামি‘ ২০৭৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৭৭/ পোশাক
হাদিস নম্বরঃ (5827)
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৭৭/২৪. সাদা পোশাক প্রসঙ্গে
৫৮২৭. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলাম। তাঁর পরনে তখন সাদা পোশাক ছিল। তখন তিনি ছিলেন নিদ্রিত। কিছুক্ষণ পর আবার এলাম, তখন তিনি জেগে গেছেন। তিনি বললেনঃ যে কোন বান্দা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বলবে এবং এ অবস্থার উপরে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললামঃ সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে? তিনি বললেনঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে তবুও? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে তবুও। আমি বললামঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও? তিনি বললেনঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও। আবূ যারের নাক ধূলি ধুসরিত হলেও। আবূ যার যখনই এ হাদীস বর্ণনা করতেন তখন আবূ যারের নাসিকা ধূলাচ্ছন্ন হলেও বাক্যটি বলতেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ ইমাম বুখারী) বলেনঃ এ কথা প্রযোজ্য হয় মৃত্যুর সময় বা তার পূর্বে যখন সে তাওবাহ করে ও লজ্জিত হয় এবং বলে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’, তখন তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (১২৩৭) (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
অধ্যায়ঃ ৩৮/ ঈমান
হাদিস নাম্বার: 2644
২৬৪৪৷ আবূ যার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জিবরীল (আঃ) আমার নিকট এসে এই সুসংবাদ দেন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সাথে কিছু শারীক না করে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি প্রশ্ন করলাম, সে যদি ব্যভিচার করে থাকে, সে যদি চুরি করে থাকে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ (তবুও সে জান্নাতে যাবে)।
সহীহঃ সহীহাহ (৮২৬), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে আবূদ দারদা (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ
হাদিস নাম্বার: 7001‏
৭০০১। ইউসুফ ইবনু রাশিদ (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন যখন আমাকে সুপারিশ করার অনুমতি দেওয়া হবে তখন আমি বলব, হে আমার প্রতিপালক! যার অন্তরে এক সরিষা পরিমাণ ঈমান আছে, তাকে তুমি জান্নাতে দাখিল করো। তারপর তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করা হবে। তারপর আমি বলব, তাকেও জান্নাতে প্রবেশ করাও, যার অন্তরে সামান্য ঈমানও আছে। আনাস (রাঃ) বলেনঃ আমি যেন এখনো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতের আঙুলগুলো দেখছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (168)
অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৩৯. অহংকারের বিবরণ ও তা হারাম হওয়া
১৬৮। মিনজাব ইবনু হারিস আত তামীমী ও সুয়ায়দ ইবনু সাঈদ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমান ঈমান থাকবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। আর যে ব্যাক্তির অন্তরে এক সরিষার দানা পরিমাণ অহমিকা থাকবে সেও জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■ মৃত্যুর আগে নবীর শেষ ওয়াসিয়ত
মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর মুহাম্মদ সেই শেষ সময়েও একটি অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক ওয়াসিয়ত করে গিয়েছেন। যা হচ্ছে, অমুসলিম মুশরিকদের আরব থেকে বিতাড়িত করতে। মৃত্যুর আগেই তিনি তার সাম্প্রদায়িকতার বিষ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি।

গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
অধ্যায়ঃ ৪৮/ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ ১৯১৭. প্রতিনিধি দলকে উপঢৌকন প্রদান
১৯১৬. পরিচ্ছেদঃ জিম্মিদের জন্য সুপারিশ করা যাবে কি এবং তাদের সাথে আচার-আচরণ
২৮৩৮। কাবীসা (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি (কোন এক সময়) বললেন, বৃহস্পতিবার! হায় বৃহস্পতিবার! এরপর তিনি কাঁদতে শুরু করলেন, এমনকি তাঁর আশ্রুতে (যমিনের) কঙ্করগুলো সিক্ত হয়ে গেল। আর তিনি বলতে লাগলেন, বৃহস্পতিবারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রোগ যাতনা বেড়ে যায়। তখন তিনি বললেন, তোমার আমার জন্য লিখার কোন জিনিস নিয়ে আস, আমি তোমাদের জন্য কিছু লিখিয়ে দিব। যাতে এরপর তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট না হয। এতে সাহাবীগণ পরস্পর মতপার্থক্য করেন। অথচ নাবীর সম্মুখে মতপার্থক্য সমীচীন নয়। তাদের কেউ কেউ বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া ত্যাগ করেছেন?’
তিনি বললেন, ‘আচ্ছা’ আমাকে আমার অবস্থায় থাকতে দাও। তোমরা আমাকে যে অবস্থার দিকে আহবান করছো তার চেয়ে আমি যে অবস্থায় আছি তা উত্তম। ’ অবশেষে তিনি ইন্তেকালের সময় তিনটি বিষয়ে ওসীয়ত করেন। (১) মুশরিকদেরকে আরব উপদ্বীপ থেকে বিতাড়িত কর, (২) প্রতিনিধি দলকে আমি যেরূপ উপঢৌকন দিয়েছি তোমরাও আনুরূপ দিও (রাবী বলেন) তৃতীয় ওসীয়তটি আমি ভুলে গিয়েছি। আবূ আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ও ইয়াকুব (রহঃ) বলেন, আমি মুগীরা ইবনু আবদুর রাহমানকে জাযীরাতুল আরব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, তাহল মক্কা, মদিনা ইয়ামামা ও ইয়ামান। ইয়াকূব (রহঃ) বলেন, ‘তিহামা আরম্ভ হল ‘আরজ থেকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এভো ভাই, আপনার বিশদ শেয়ার এবং তথ্যের জন্য।

৩১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নতুন বলেছেন: তবে আমি যেটা বুঝি মানুষকে বা তার যথেচছাচার নিয়ন্ত্রনে রাখতে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আছে তা ধর্মের শুরু যেভাবেই হোক না কেন। কারন, মানুষ যদি নিয়ম-নীতির মাঝে না চলে তাহলে এখন সমাজের যে অবস্থা আছে তার থেকে আরো খারাপ অবস্থা হবে।

মানুষ আদতে ভালো, অনেক দ্বীপ, পাহাড়ী এলাকাতে মানুষ যথেস্ট ভালো থাকে তারা যেই ধর্মেরই অনুসারী হউক না কেন। শহরের জীবন মানুষের চাহিদা বাড়ীয়ে দেয়। সেই চাহিদা মেটাতেই অনেকেই খারাপ পথ বেছে নেয়।

ধর্ম ভয় মানুষকে এখন আর খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে পারেনা। যদি পারতো তবে বাংলাদেশের মতন মুসলিম সংখ্যাগরিস্ট দেশ দূনিতি ভ্যাজালে প্রথম হতো না।

মানবীয় বোধ থাকলে মানুষ অপরের উপরে খারাপ কাজ করতে পারেনা। সেটা যারা ধর্ম পালন করেনা তারাও মানবীয় বোধ থেকেই অপরের উপর খারাপ কাজ করেনা।

ধর্ম দরিদ্র মানুষের সান্তন মুলক কাজ করে। ক্ষমতাশীলেরা ধর্মের থোরাই কেয়ার করে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, ভাল না থাকার জন্য মানুষের লোভ ও অসীম চাহিদাই অনেকাংশে দায়ী এটা অনেকটা সত্যি । বর্তমানে বিজ্ঞানের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ফলে মানুষের জীবন ধারনে অনেক পরিবর্তন এসেছে এবং হয়েছে আর তার সাথে মিডিয়া (রেডিও-টিভি-খবরের কাগজ -সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) র মাধ্যমে সারা দুনিয়ার সব কিছু মানুষ জেনে যাচছে। এর ফলে অলিখিত ভাবেই মানুষে মানুষে প্রতিযোগীতা তৈরী হচছে এবং কে কত ভাল থাকবে ,কে কতটা ভাল জীবন যাপন করবে , কে কতটা সাফল্য অর্জন করবে এ নিয়ে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগীতা প্রতিটা মানুষের মাঝে চলতে থাকে । আর এসকল ক্ষেত্রে মানুষের নিকট ন্যায়-অন্যায় বোধের পরিবর্তে দুনিয়ার সাফল্যই মূল বলে মনে করে। আর সেই সাফল্যের জন্য ভাল-খারাপ যাচাই না করে, বিবেকের কথা শুনে ,ধর্মকে এড়িয়ে চলা শুরু করে।

আর এসব করতে করতে কখন যে একটা মানুষের নিকট থেকে সকল মানবীয় গুনগুলো হারিয়ে গিয়ে অমানুষ হয়ে পড়ে তা সে নিজেও জানেনা।আর যেহেতু যথাযথভাবে ধর্ম পালন করেনা বা মেনে চলেনা কাজেই ধর্মও আর তাদের জীবনে কোন ভূমিকা রাখতে পারেনা।
এটাও ঠিক হয়ত যে ধর্ম দরিদ্র মানুষকে সান্তনা দেয় বা দরিদ্র মানুষ ধর্ম থেকে সান্তনা খুজে নেয় যেহেতু তাদের সেই ক্ষমতা নেই অন্যায় ভাবে কিছু করার। আর তাই হয়ত দরিদ্র মানুষ পয়সাওয়ালা লোকদের থেকে বেশী ধার্মীক হয়।

৩২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

নিমো বলেছেন: ধর্মানুভূতিটা ঠিক কি (এটা কি কেবল নির্দিষ্ট কোন ধর্মের জন্য নাকি সকল ধর্মের জন্য) ? এটা কিভাবে আহত, নিহত বা আঘাত প্রাপ্ত হয় ? এটা কিভাবে বা কার বা কাদের দ্বারা নির্ধারিত হয় ? এখন 'ক' ধর্মের ভাষ্য অনুযায়ী অন্য সকল ধর্ম বেঠিক। এক্ষেত্রে বাকী ধর্মের অনুসারীদের ধর্মানুভূতি আহত, নিহত বা আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি ?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নিমো ভাই,

আসুন আমরা দেখি, অনুভূতি কি ?

অনুভূতি হলো মানুষেরর মনের একটি অবস্থা বা আবেগ, অনুরাগ-বিরাগ ইত্যাদি। এটি ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয়ই হতে পারে।

ধর্মানুভূতিটা আসলে কি?

এটা একটা কোটি টাকার প্রশ্ন ।ধর্মের ব্যাপারে মানুষের যে আবেগ, অনুরাগ-বিরাগ ইত্যাদি তাই ধর্মানুভূতি হওয়ার কথা । দুনিয়ায় যেহেতু নানা রকম ধর্ম আছে কাজেই একেক জনের ধর্মানুভূতি একেক রকম।

এটা কিভাবে আহত, নিহত বা আঘাত প্রাপ্ত হয় ?

একজন মুসলমানের মন্দির দেখে তার ধর্মানুভূতি আঘাত প্রাপ্ত হতে পারে আবার একজন হিন্দুর মুসলমানদের মসজিদ দেখে । কারন এদের উভয়ের ধর্মীয় বিশ্বাসে প্রার্থক্য রয়েছে।

যদিও আমরা প্রায় সবাই এখন ব্যক্তিজীবনে ইসলামের / ধর্মের মূল অনুশাসনগুলো (মৌলিক বিষয়) ঠিকমতো পালন করি না। কিন্তু ইসলাম নিয়ে একটু এদিক-সেদিক কথা কথা বললেই আমাদের অনুভূতির চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যেমন, ধরা যাক, ঘুষ ও দুর্নীতি। এর বিরুদ্ধে ইসলামের অবস্থান পরিস্কার। তাহলে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ বারবার চ্যাম্পিয়ন হয় কী করে? নিশ্চয়ই আমরা ইসলামের বাণী যথাযথ অনুসরণ করি না । দুর্নীতি আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। এমন কোনো খাত নেই যেখানে দুর্নীতি নেই। এ বিষয়গুলি নিয়ে আমরা কেউ তেমন কিছু বলিনা অথচ এগুলি নিয়েই বেশী বেশী বলা উচিত।

আবার , আমরা যখন ঘুষ খাই, কালোবাজারি করি, মিথ্যা বলি, অপরকে গালাগাল দিই, পরনিন্দা-পরচর্চা করি, তখন আমাদের ইসলাম / ধর্ম থাকে কোথায়? আর তাই আমারো মনে প্রশ্ন জাগে,আমাদের ধর্মানুভূতিটা আসলে কী, এটা থাকে কোথায়? রাজনীতির মাঝে, নাকি মনের ভেতরে? যদি রাজনীতির মাঝে থাকে তাহলে কি আমাদের মনটাও রাজনৈতিক ?

আবার, আমার মনে হয় - ধর্মানুভূতির ক্ষেত্রে ক/খ/গ/ঘ সব ধর্মের অনুসারীদেরই ধর্মানুভূতিই আহত, নিহত বা আঘাত প্রাপ্ত হয় তবে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে (অনুকুল পরিবেশে ) একেক জায়গায়/দেশে একেক জনের ধর্মানুভূতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.