নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" বিশ্বে সন্ত্রাসী ঘটনার ৯৪ শতাংশের সংগে জড়িত অমুসলিমরা " - রয়টার্স এবং ইসলামফোবিয়া প্রচারণার বাস্তবতা।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৮


ছবি - aa.com.tr

ইসলামফোবিয়া ( ইসলামভীতি বা ইসলামবিদ্বেষ বা মুসলিম-বিরোধী মনোভাব) হল নিন্দার্থে বা ব্যাঙ্গার্থে ব্যবহৃত একটি রাজনৈতিক শব্দ যার অর্থ হল ইসলামকে ভয় করা এবং মুসলমান ও ইসলামকে খারাপভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা। এর দ্বারা ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করাকেও বোঝানো হয়। ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি নেতিবাচক অনুভূতি প্রকাশ এবং ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি খারাপ মনোভাব উল্লেখ করতে ইসলাম বিরোধীরা এই শব্দের বহুল ব্যবহার করে থাকে ।

বর্তমানে, বিশ্বজুড়ে যে কোন সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য যেভাবে মুসলমানদের ঢালাওভাবে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয় , রয়টার্সের এক প্রতিবেদন সে ব্যাপারে নতুন করে ভাবার অবকাশ এনে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। আমেরিকার টেরোরিষ্ঠ রিসার্চ সেন্টারের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , " বিশ্বে যত সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে তার ৯৪ শতাংশের সংগে জড়িত অমুসলিমরা "।ওয়েব সাইটের প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী,আমেরিকায় সংঘটিত সন্ত্রাসী কাজের মধ্যে ৪২ শতাংশ লাতিন,২৪ শতাংশ বামমনা চরমপন্থী,৭ শতাংশ চরমপন্থী ইহুদি, ৬ শতাংশ মুসলিম, ৫ শতাংশ সমাজততন্ত্রী এবং বাকী ১৬ শতাংশ অন্যান্য গ্রুপের লোকদের দ্বারা সংঘটিত হয়।

তাছাড়াও, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা বিশ্লেষণ করেও প্রায় একই রকম তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোপোল।২০০৭ সাল থেকে পরবর্তী কয়েক বছরে ইউরোপের মাটিতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানটি একটি তালিকা প্রণয়ন ও গবেষনার যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচছে ইউরোপের মাটিতে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার মাত্র ০.৬ শতাংশ ঘটনার সাথে জড়িত মুসলিম সন্ত্রাসীরা ।

অথচ বাস্তবতা অস্বীকার করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর বিশ্বের দেশে দেশে অধিকাংশ জঙ্গি হামলার সঙ্গে মুসলমানরা জড়িত বলে অভিযোগ করে এবং সিএনএন, বিবিসি, স্কাইনিউজসহ বিশ্বের ইহুদি মালিকানাধীন প্রভাবশালী মিডিয়াগুলো প্রতিনিয়ত মুসলমানদের ওপর "জঙ্গি তকমা" দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে বিরামহীন ভাবে। তাদের টার্গেট যেন শুধু মুসলমান ও ইসলাম ধর্ম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা সন্ত্রাস বন্ধের নামে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছে এবং একাধিক মুসলিম রাষ্ট্রে চাপিয়ে দিয়েছে যুদ্ধ । সে কারনেই ইরাক, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী আক্রমণ করে কল্পিত সন্ত্রাস বন্ধের চেষ্টা করে তবে বাস্তবতা ভিন্ন। মুসলমানরা নয়, বরং সাদা বর্ণের খ্রিস্টান-ইহুদিরাই বিশ্বে বেশি সন্ত্রাস করছে। তারাই মানুষ হত্যা করে বর্বরোতার প্রমাণ দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা সংস্থার জরিপে সেই চিত্রই উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা যায় গত ১০ বছরে আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে যে হামলা হয়েছে তার শতকরা ৭১ ভাগ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীরা (সাদা চামড়া)। এরা খ্রিস্টান, ইহুদি এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। আর ওই হামলাগুলোর ২৬ শতাংশের সঙ্গে মুসলমানরা জড়িত বলে বলা হচ্ছে।

" অ্যান্টি-ডিফেম্যাশন লিগ " নিউইয়র্কভিত্তিক এই সংস্থা কাজ করে ইহুদিবিরোধী ও বিভিন্ন জাতিগত বিদ্বেষমূলক ঘটনা নিয়ে। সংস্থাটির গবেষণায় এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যতগুলো সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে সেগুলো মধ্যে ৭১ শতাংশ চালিয়েছে শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যবাদীরা। সেই দেশে মুসলিম চরমপন্থীদের হামলা হয়েছে ২৬ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালের তুলনায় গতবছর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।

এদিকে দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস অব অস্ট্রেলিয়া নামের স্বনামধন্য গবেষণা সংস্থাটি জানিয়েছে যে "এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে"। সিডনিভিত্তিক সংস্থাটির ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাস সূচক ২০১৮’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে (সারাবিশ্বে) উগ্র-ডানপন্থী দল ও ব্যক্তিরা ১১৩টি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।এতে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়- শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই হামলা হয়েছে ৫৯টি। আর সে বছর মারা গিয়েছেন ১৭ জন। ২০১৭ সালে ১২টি হামলা হয়েছে যুক্তরাজ্যে, ৬টি, সুইডেনে, গ্রিস ও ফ্রান্সে দুটি করে হামলা চালানো হয়েছে। একই বছরে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা হয়েছে ৩০টি। তাতে নিহত হয়েছেন ১৬ জন। সংস্থাটির হিসাব মতে নারকীয় এই সব হামলার অধিকাংশই পরিচালিত হয়েছে
"মুসলিমবিরোধী (ইসলামফোবিয়া) ভাবাবেগে আক্রান্ত উগ্র-ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা"।



ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতদের ছবি

ছবি - বিবিসি

তাছাড়া, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার সময় শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪ জন বাংলাদেশীসহ অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাও হয়েছে অমুসলিম শ্বেতাঙ্গ দ্বারা।

এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোর যারা শিকার হচ্ছেন তাদের ৯৫ শতাংশই মুসলিম।বিবিসির একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়টি দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে ৯৫% এর এ সংখ্যাটি মূলত মার্কিন সরকারের একটি ডকুমেন্ট থেকে এসেছে, যেটি ছিল তাদের ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার ২০১১ সালের রিপোর্ট।এতে বলা হয়েছে, "যেখানে ধর্ম সংক্রান্ত সন্ত্রাসী ঘটনাগুলো চিহ্নিত করা গেছে সেখানে গত পাঁচ বছরে ৮২%-৯৭% সন্ত্রাস সংক্রান্ত মৃত্যুগুলোর মধ্যে মুসলিমরাই ভুক্তভোগী হয়েছে"। ৯৫ শতাংশ মুসলমানদের আক্রমণের শিকার হওয়া প্রসংগে এরিন মিলার বলছেন," সব রকম তথ্যের উপর ভিত্তি করে বলা যায় ৯৫% সংখ্যাটি কিছুটা বেশি কিন্তু আনুমানিক সঠিক"।

ইসলামের নাম করে চালানো সন্ত্রাসবাদই বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলেও পরিসংখ্যান ভিন্ন তথ্য দেয়। এফবিআই ডেটাবেইস থেকে বের হওয়া একটা প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯৮০-২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ঘটা মাত্র ৬ শতাংশ সন্ত্রাসী ঘটনায় মুসলিম সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিল। যুদ্ধাক্রান্ত সিরিয়াকে বাদ দিলে ২০১৬-১৭ সালেও বিশ্বের মোট সন্ত্রাসী ঘটনার বেশির ভাগই ঘটেছে অমুসলিমদের দ্বারা (গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স ২০১৮) কিন্তু সন্ত্রাসের প্রধান শিকার আবার মুসলিমরাই।

তাছাড়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ কিছু গণহত্যার দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখব , এগুলোর কোনটার সাথেই মুসলমানদের দুরতম কোন সম্পর্ক ছিলনা বরং অনেক জায়গায় মুসলমানরাই সবচেয়ে বেশী ভূক্তভোগী ছিল -

১। আর্মেনীয় গণহত্যা (১৯১৫-১৯২৩) - ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯১৫-১৯১৬) তুরস্কে আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের জাতিগত পরিশুদ্ধি অভিযান ও গণহত্যার শিকার হওয়াকে বুঝানো হয়।

২। কাতিন গণহত্যা(১৯৪০) - সোভিয়েত স্বৈরশাসক জোসেফ স্তালিনের নির্দেশে সোভিয়েত গুপ্ত পুলিশ দ্বারা চালিত গণহত্যা। প্রায় ২২ হাজার সেনাকে হত্যা করা হয়েছিল।

৩। ইহুদি গণহত্যা (১৯৪১-১৯৪৫) - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নির্দেশে হিটলারের নাৎসি পার্টির পরিচালনায় জার্মান নাৎসি সামরিক বাহিনী দ্বারা ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উপর চালানো গণহত্যা।

৪। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে গণহত্যা (১৯৪৫) - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালের ৬ এবং ৯ আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃখজনক দুটি দিন।যুক্তরাষ্ট্রের পারমানবিক আক্রমনে যখন জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহর দুটি সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। অনুমান করা হয় যে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ফলে হিরোশিমাতে প্রায় ১৪০,০০০ লোক মারা যান। নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪,০০০ লোক মারা যান এবং পরবর্তীতে এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও ২১৪,০০০ জন।

৫। নানচিং গণহত্যা (১৯৩৭-১৯৩৮) - নানচিং গণহত্যা, যা ইতিহাসে নানচিং ধর্ষণ নামেও পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯৩৭–৩৮ সালে জাপানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত একটি গণহত্যা। এই গণহত্যা পরিচালনা করা হয়েছিল তৎকালীন চীনের রাজধানী নানচিং (১৯১২–৪৯) এর জনগণের উপর।

৬। আরাকান গণহত্যা (১৯৪২) - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানী বাহিনী ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে বার্মা আক্রমণ করে। এই আক্রমনে জাপানী বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমান ও ভারতীয় মুসলমানদের নির্যাতন, ধর্ষণ ও অত্যাচার করে।

আপনি-আমি কীভাবে ধর্মকে নেব সেটা আমাদের নৈতিকতার উপর নির্ভর করে। একই ফুল থেকে মৌমাছি নেয় মধু, আর মাকড়শা নেয় বিষ। একই চাকুতে কেউ আপেল কাটে, কেউ কাটে গলা। এটাই যদি না হয়, তাহলে কীভাবে একই কুরআন থেকে বিপরীত মেরুর ব্যাখ্যা দেয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো, আবার দেন একজন শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রচারক? একই ‘ধর্মগ্রন্থ’ থেকে কেউ পায় শান্তির ধর্ম আর কেউ পায় মানুষ হত্যার বৈধতা!


ছবি - banglatribune.com

ইসলামের নাম ভাঙিয়ে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে তাকে সন্ত্রাসী বলতে আর ইসলাম কে বর্বর বলতে আপত্তি করা হয় না মিডিয়াতে। কিন্তু সেই একই কাজ যদি অমুসলিম বা শ্বেতাঙ্গ কেউ করে থাকে, তবে গোড়াতেই তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়, নিদেনপক্ষে 'মাস শুটার'। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ১৫ মার্চ ২০১৯ তারিখের নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটো মসজিদের ঘটনা দেখা যাক। সেখানে আল-নূর মসজিদে মারা যান ৪১ জন আর লিনউড মসজিদে ৮ জন। হত্যাকারী একজন White Supremist অর্থাৎ শ্বেতাঙ্গরাই সর্বসেরা এই নীতির প্রচারক, নাম ব্রেন্টন ট্যারান্ট। তার ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস যা-ই হয়ে থাকুক না কেন, তার বন্দুকের গায়ে লেখা হরেক রকমের লেখনি (যেমন MALTA 1565, VIENNA 1683, CHARLES MARTEL, TOURS 732 ইত্যাদি) সব নির্দেশ করে মুসলিমদের উপর খ্রিস্টানদের ঐতিহাসিক বিজয়গুলোর। অথচ তার পরিচয় হিসেবে দায়ী করা হয়নি খ্রিস্টধর্মকে আবার গোড়াতে তাকেও চেষ্টা করা হয় মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিপন্ন করতে ।

ধর্ম নিয়ে অনেক অভিযোগেরই অনেকে উত্তর দিতে চায়, কিন্তু হয়ত দেয় না। কারন কি ? কারণ সেক্ষেত্রে ইসলামবিরোধীদের কাছ থেকে গালি খেয়ে বসতে পারে, বা ‘Trolled’ হতে পারে। আবার ধর্মের সমালোচনা করতে গেলেও সংবেদনশীলদের কাছে গালি খেয়ে বসে না তা নয়। অথচ এমনটা না হয়ে যদি একটি সুস্থ, সুন্দর আলোচনা হতো, তবে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ইসলামভীতি দূর করা কোনো ব্যাপার নয় । দরকার শুধু একটু চেষ্টা, একটু পড়াশোনা ও মানবিকতা। যদি আমার-আপনার পড়াশোনা করবার সুযোগ থাকে, আপনি-আমি কেন বসে রইবো? নিজে পড়ুন আর অন্যকে জানান। যদিও পৃথিবীটা এখন খুব খারাপ হয়ে পড়ছে , তবে তারপরও মানুষ স্বপ্ন দেখে এখনও একটি সুন্দর শান্তিময় দুনিয়ার।মানুষ স্বপ্ন দেখে একটি ইসলামফোবিয়ামুক্ত সুন্দর পৃথিবীর । সকল ধর্মের মানুষেরই ধর্মবিদ্বেষ আর হানাহানি অরাজকতামুক্ত এক পৃথিবীর আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত ।

পরিশেষে," যা তোমার নিজের কাছে কষ্টদায়ক আর ঘৃণ্য, সেটা তোমার প্রতিবেশীর প্রতি করবে না কোনোদিন" - এটাই হলো সকল ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের মূল কথা।


আমরা যদি ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের এই একটিমাত্র বাণীকে আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি তবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবী হয়ে উঠবে আরো সুন্দর ও শান্তিময়। মহান স্রষ্টা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সকলকে এক সুন্দর ও শান্তিময় পৃথিবী বির্নিমানে সহযোগী হওয়ার তওফিক দান করুন।


তথ্যসূত্র - Encyclopædia Britannica,উইকিপিডিয়া, বিবিসি বাংলা ,প্রথম আলো।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: বিশ্বের সর্বোচ্চ চুরির হার:
১। ডেনমার্ক এবং ফিনল্যান্ড (ক্রিশ্চিয়ান)
২। জিম্বাবুয়েয়ান (খ্রিস্টান)
৩। অস্ট্রেলিয়া (খ্রিস্টান)
৪। কানাডা (খ্রিস্টান)
৫। নিউজিল্যান্ড (খ্রিস্টান)
৬। ভারত (হিন্দু ধর্ম)
৭। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস (ক্রিশ্চিয়ান)
৮। ইউএস (খ্রিস্টান)
৯। সুইডেন (খ্রিস্টান)
১০। দক্ষিণ আফ্রিকা (খ্রিস্টধর্ম)

বিশ্বের সর্বোচ্চ পতিতাবৃত্তির দেশ:
১। থাইল্যান্ড (বৌদ্ধ ধর্ম)
২। ডেনমার্ক (খ্রিস্টধর্ম)
৩। ইতালিয়ান (খ্রিস্টান)
৪। জার্মান (খ্রিস্টান)
৫। ফ্রেঞ্চ (খ্রিস্টধর্ম)
৬। নরওয়ে (খ্রিস্টান)
৭। বেলজিয়াম (খ্রিস্টান)
৮। স্প্যানিশ (খ্রিস্টধর্ম)
৯। ইউকে (খ্রিস্টধর্ম)
১০। ফিনল্যান্ড (খ্রিস্টান)

পৃথিবীর সর্বোচ্চ অ্যালকোহল আসক্তি:
১। মোল্ডোভিয়া (খ্রিস্টান)
২। বেলারুশিয়ান (খ্রিস্টান)
৩। লিথুয়ানিয়া (খ্রিস্টান)
৪। রাশিয়া (খ্রিস্টান)
৫। চেক প্রজাতন্ত্র (খ্রিস্টান)
৬। ইউক্রেনীয় (খ্রিস্টান)
৭। অ্যান্ডোরা (ক্রিশ্চিয়ান)
৮। রোমানিয়া (ক্রিশ্চিয়ান)
৯। সার্বিয়ান (খ্রিস্টান)
১০। অস্ট্রেলিয়া (খ্রিস্টান)

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খুনের হার:
১। হন্ডুরাস (খ্রিস্টান)
২। ভেনেজুয়েলা (খ্রিস্টান)
৩। বেলিজ (খ্রিস্টান)
৪। এল সাভাদর (খ্রিস্টান)
৫। গুয়াতেমালা (খ্রিস্টান)
৬। দক্ষিণ আফ্রিকা (খ্রিস্টধর্ম)
৭। সেন্ট কিটস এবং নেভিস (ক্রিশ্চিয়ান)
৮। বাহামা (খ্রিস্টান)
৯। লেসোথো (ক্রিশ্চিয়ান)
১০। জামাইকা (খ্রিস্টান)

বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দল:
১। ইয়াকুজা (কোন ধর্ম নেই)
২। আগ্বেরাস (খ্রিস্টান)
৩। ওয়াহ সিং (খ্রিস্টান)
৪। জামাইকা বসএঁ (খ্রিস্টান)
৫। প্রাইমেরো (ক্রিশ্চিয়ান)
৬। দ্য আরিয়ান ব্রাদারহুড (খ্রিস্টান)

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাদক দল:
১। পাবলো এসকোবার - কলম্বিয়া (খ্রিস্টান)
২। আমাদো ক্যারিলো - কলম্বিয়া (ক্রিশ্চিয়ান)
৩। কার্লোস লিডার জার্মেন (খ্রিস্টান)
৪। গ্রিসেল্ডা ব্ল্যাঙ্কো - কলম্বিয়া (খ্রিস্টান)
৫। জোয়াকুইন গুজম্যান - মেক্সিকো (ক্রিশ্চিয়ান)
৬। রাফায়েল ক্যারো - মেক্সিকো (ক্রিশ্চিয়ান)

বুদ্ধিজীবীদের কাছে আমার প্রশ্নঃ....❓❓

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু কে করেছে❓
তারা কি মুসলিম ছিলো❓

কে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছে❓
তারা কি মুসলিম ছিলো❓

জাপানে

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই , আপনার তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য।

দেখা যাচছে মুসলমানরা আসলেই পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর এক জাতি । কারন তারা কোন কিছুতেই প্রথম হওয়ার অবস্থানে নেই।তবে একজায়গায় মুসলমানরা প্রথম স্থানে আছে, সেটা হলো নেতিবাচক প্রচারণার শিকার।

বাকী সব ধর্মের যে কেউ যত বড় অপরাধই করুক না কেন তাতে ধর্মের প্রলেপ পড়েনা বরং অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য যত রকম ফাক-ফোকর আছে তার সবগুলিরই ব্যবহার করা হয় । আর ইসলাম ধর্মের কেউ সামান্য অপরাধ করলেও তার দায়, দায়ী ব্যক্তির থেকে ধর্মের উপর বেশি করে চাপাতে সবাই উঠে পড়ে লেগে উঠে। সমস্যা এটাই।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৭

বিটপি বলেছেন: গণহত্যায় ১ নম্বরে যাদেরকে রাখলেন, সেই আর্মেনীয়রা কি মুসলিম ছিল? না। অটোমান সাম্রাজ্য যখন পশ্চিম এশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপকে মুস্লিমাইজ করার মিশনে নামে, তখন একমাত্র এই আর্মেনীয়রাই তাদের ঈমান বজায় রেখে খ্রিস্টান রয়ে যায়। এরই প্রতিহিংসায় অটোমান সাম্রাজ্য তাদের উপর কুকুরের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিশ্বের ইতিহাসে এটাই একমাত্র গণহত্যা বা জাতিগত নিধন, যা মুসলিমরা অমুসলিমদের উপর চালিয়েছে এবং মুসলিম বিদ্বেষীদের জন্য আলোচনার ভালো খোরাকে পরিণত হয়েছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বিটপি , আপনার মন্তব্যের জন্য।

ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং যা ঘটেছে তা কেউ কেউ অস্বীকার করলে বা নেতিবাচক প্রচারণা চালালে তা পরিবর্তন (সত্য মিথ্যা / মিথ্যা সত্য) হয়ে যায়না তবে বার বার প্রচার করা মিথ্যাকেও সাধারণ মানুষ একসময় সত্য হিসাবে ভাবতে বাধ্য হয়। আর্মেনিয় গনহত্যার পিছনে ধর্ম থেকে (রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের ফল হিসেবেই ঘটেছে। আঙ্কারার দাবি, আর্মেনীয়রা যখন রাশিয়ার পক্ষ নিয়ে অটোমান সরকারের বিরুদ্ধে তৎপর হয়, তখন গৃহযুদ্ধে তিন থেকে পাঁচ লাখ আর্মেনীয় ও একইসংখ্যক তুর্কি মারা যায় ) আঞ্চলিক রাজনীতিই বেশী দায়ী তবে ইসলামের বিরোধীরা তা ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করেন - এটাও সত্যি।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: সত্য সত্যই ,মিথ্যা মিথ্যাই !

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ওসেল মাহমুদ ভাই , আপনার ছোট কিন্তু কার্যকর মন্তব্যের জন্য।

আসলেই যা সত্য তা সত্যই, আর যা মিথ্যা - মিথ্যাই। তবে অবিরাম প্রচারণা অনেক সময় মিথ্যাকেও সত্য ভাবতে বাধ্য করে।

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইহুদি খ্রিস্টানরা মিডিয়া দখল করে এখন সহজেই মুসলমানদের নামে ইচ্ছাকৃতভাবে ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এবং মুসলমানদেরকেই জঙ্গী হিসেবে ট্যাগ করছে। ইতিহাস মুছা যায় না ওদের আসল রূপ পৃথিবী দেখেছি।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

যা মিথ্যা তা যদি অবিরাম প্রচার করতে থাকে সারা দুনিয়ায় , তাহলে একটা সময়ের পর সেই মিথ্যাকেই মানুষ সত্য ভাবতে বাধ্য হয়। ইহুদি খ্রিস্টানদের মিডিয়া তাই করছে দুনিয়াব্যাপী রাত-দিন মুসলমানদের বিরুদ্ধে।

মিডিয়ার ক্ষেত্রে মুসলমানরা পিছিয়ে আছে কারন তাদের সেইরকম মিডিয়া হাউজ নেই যতটা আছে ইহুদি খ্রিস্টানদের ।আবার ওদের আছে অলিখিত একতা। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ওরা সাবই একযোগে-একসাথে ক্ষতির জন্য লেগে থাকে, আর তাতে তারা সাহায্য পায় মুসলমানদের অনৈক্য ও বিভাজনের ফলে।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জুলভার্ন ভাইয়ের পরিসংখ্যানটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই, দুনিয়াব্যাপী মুসলমানদের আত্ম উপলব্ধির জন্য অনেক কিছুই চিন্তা করা উচিত তবে দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে,যাদের এই সব ব্যাপারে চিন্তা করা উচিত তারা সবসময় থাকে ভোগবিলাসে মত্ত । আবার তারা তাদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সাহায্য নেয় ইসলাম তথা মুসলিন বিরোধীদের । সমস্যা এখানেই।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মুসলিম নামধারী গ্রুপেরগুলিই প্রচরনা পায় বেশী। বলা উচিত প্রচার করা হয় বেশী।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

সমস্যা এটাই । মুসলমানরা যত ভাল কাজই করুক না কেন পশ্চিমা মিডিয়ায় তার প্রচার হয় খুব সামান্য তবে যদি কোন মুসলমানের সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি কারো চোখে পরে তাহলে তার পুরো দায় ইসলামের উপর দিয়ে এমনভাবে প্রচারণা শুরু করে যেন , এর থেকে বড় কোন অপরাধ পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোন দিন ঘটেনি।

৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সৌদী বাঁশের ভয়ে অনেক সুরা বাদ দিচ্ছে।তুরস্ক মরতে মরতে সোজা হচ্ছে।পাকিরা মৃত সাপ।ইরান যে কোন মুহর্তে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।আরেকটা বড় রকমের সন্ত্রাসী হামলা হলে অনেকের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিবে।ইসলাম ধর্মই হুমকির সন্মুখীন হবে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুলইসলাম০৬০৪ ভাই , আপনার ছোট কিন্তু ইসলামের ভবিষ্যতের নিয়ে মনে ভয় ধরা ও চিন্তা করার মত মন্তব্যের জন্য।

আপনার অংকিত ইসলাম-মুসলমানদের ভবিষ্যতের ছবি হয়ত ঠিকই আছে তবে এতটা সহজ-সরল নাও হতে পারে যতটা আপনি একেছেন বা বলেছেন।তবে এটা সত্যি যে, মুসলমানরা ও ইসলাম একটা সংকটকালীন সময় পার করছে এবং কিছু কিছু মুসলমান নামধারী মানুষের কার্যকলাপ ও পশ্চিমা মিডিয়ার অবিরাম নেগেটিভ প্রচারণায় ইসলাম ইমেজ সংকটেও ভূগছে। তবে সব কিছু সময়ে ঠিক হয়ে যাবে বলেই মনে হয়।

ধর্ম ছিল-আছে-থাকবে তবে হয়ত কিছুটা পরিবর্তীত ভাবে।

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয়টাই আমার ভালো লাগে না-
মানুষকে কেন মানুষ হিসেবে দেখেন না? হিন্দু মুসলিম বলে কেন তাদের আলাদা করেন?

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

" সবার উপরে মানুষ সত্য,তাহার উপরে নাই " - এ বাণী আমরা সবাই জানি তবে মানিনা।

যদিও কোন ধর্মেই মানুষে মানুষে বিভাজন সমর্থন করেনা এবং দুনিয়ার সব মানুষ একই মাতা-পিতা থেকেই এসেছে তার পরেও মানুষ নিজেদের স্বার্থে নানা ভাবে ভাগ হয়েছে জাতি-ধর্ম-গোত্র-দলে । আর এসব বিভাজনে ধর্ম থেকে মানুষের ব্যক্তিগত স্বার্থই বেশী ভূমিকা রাখে।

৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০২

সাসুম বলেছেন: আগেও বলেছি, এখনো বলছি- আপনি শুধুমাত্র মেয়াদ-উর্তীর্ণ গঞ্জিকা সেবন বাদ দিলে যথেষ্ট ভাল মানুষ এবং বেশ ভাল চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা রাখেন। বাট সমস্যা হল- গঞ্জিকা সেবন করে লিখতে বসার কারনে যা লিখেন তা নিতান্তই আবর্জনা। যদিও তালেবান সন্ত্রাসী প্রেমী আপনার আইডিওলজি অনুযায়ী একদম ঠিক্টাক আছে আপনার চিন্তা।

ঘটনা হল- আপ্নিও জানেন আমিও জানি সবাই জানি- যাদের কে নিয়ে লিখছেন তারা কি এবং কি রকম। আপনার এক গঞ্জিকা সেবনের পর তাদের কে মহান করার শত চেষ্টা কাজে আসবে কি আসবে না তা সময় বলে দিবে। আপনি ঠিক ভাল করেই জানেন- অস্ত্রের মুখে আর তলোয়ার এর মুখে শান্তি আসেনা। যদিও এ ছাড়া আর কল্লা ফালানো ছাড়া আর কোন উপায় জানা নেই আপনার।

যাই হোক- সামহোয়ার ইন হাটহাজারী তে বেশ ভাল ভাল লিখা আসছে। এগিয়ে যান। বেশ ভাল ধর্ম প্রচার হোক। জ্ঞান বিজ্ঞান আর সভ্যতার একদম পরিপূর্ণ হোমাসা করে ফেলা হচ্ছে। চারদিকে সহমত হুজুর তাকবিরের সাথে কদমে কদমে ঢেউ উঠছে জ্ঞানের। একদম আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, সোমালিয়া, লিবিয়া আর সালাফী সন্ত্রাসীদের দেশ আব্বায়ে হুজুর সৌদি আরবের মত সহীহ ধার্মিক দেশ বানিয়ে ফেলেন এই দেশ কে। দেশ ও যাচ্ছে সেদিকে। মাফিয়া গিরী টিকিয়ে রাখার জন্য বর্তমান সরকার ও একদম সহীহ শুদ্ধ মৌলবাদের দিকে ভালোবাসার সকল হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। জ্ঞান বিজ্ঞান দর্শন মেধা বাদ দিয়ে মাথায় ধর্মের আফিম দিয়ে ভরে দেয়া হচ্ছে একদম ছোট বেলা থেকে।
আপনাদের দিন একদম।

যাজাকাল্লাহ খায়রান।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার চরম ;) ও পরম আকাংখিত মন্তব্যের জন্য।

কেমন আছেন আপনি? মাঝে মাঝে ঢু মাইরেন ভাই। আপনাকে না দেখলে এবং কিছু কিছু পোস্টে আপনার মন্তব্য না পেলে অসম্পূর্ণ মনে হয় । তাই দয়া করে মাঝে মাঝে এসে ,মন্তব্য করে লেখার জন্য উৎসাহ রাখতে সাহায্য করবেন বলেই আমার বিশ্বাস।

আপনি বলেছেন " আগেও বলেছি, এখনো বলছি- আপনি শুধুমাত্র মেয়াদ-উর্তীর্ণ গঞ্জিকা সেবন বাদ দিলে যথেষ্ট ভাল মানুষ এবং বেশ ভাল চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা রাখেন। বাট সমস্যা হল- গঞ্জিকা সেবন করে লিখতে বসার কারনে যা লিখেন তা নিতান্তই আবর্জনা। "

- ভাই , আমি জীবনেও একটা বিড়িও খাইনাই গঞ্জিকা ত দূর কি বাত তাও আবার মেয়াদ-উর্তীর্ণ ।আর কথায় আছেনা ভাই, " সুজনে সুজশ গায় কুজশ ঢাকিয়া,কুজনে কুরব করে সুরভ নাশিয়া " । এখন, আমি সুজন কিনা জানিনা তবে যে কোন কিছুতে দুদিকটা (ভাল-খারাপ) দেখতেই আমি পছন্দ করি এবং তার থেকে যেটা মোটামুটি ভাল তাই গ্রহণ ও সমর্থন করি। এক্ষেত্রে আমার সাথে বাকী সবার মতের মিল যে হবে,এমন কোন কথা নেই । কারন , শতভাগ সমর্থন যেমন আশা করা যায়না তেমনি তা গ্রহণযোগ্যও নয় । কারণ যেখানেই শতভাগ সমর্থন বা নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকে তার পিছনেই থাকে নানা করুণ কাহিনী।

আপনি বলেছেন, "ঘটনা হল- আপ্নিও জানেন আমিও জানি সবাই জানি- যাদের কে নিয়ে লিখছেন তারা কি এবং কি রকম। আপনার এক গঞ্জিকা সেবনের পর তাদের কে মহান করার শত চেষ্টা কাজে আসবে কি আসবে না তা সময় বলে দিবে। আপনি ঠিক ভাল করেই জানেন- অস্ত্রের মুখে আর তলোয়ার এর মুখে শান্তি আসেনা। যদিও এ ছাড়া আর কল্লা ফালানো ছাড়া আর কোন উপায় জানা নেই আপনার। "

- আমরা যে যাই জানি সেই জানা হয়ত শতভাগ সঠিক নয় এবং যে অবস্থায় জানি সেটাও চিরস্থায়ী নয় । সময় ও অবস্থার সাথে সাথে তা পরিবর্তীত হয়ে থাকে। কাজেই জানার-বুঝার চেষ্টা মানুষের চিরন্তন ও বিশ্বজনীন। আবার, বিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে নানা রকম আধুনিক মরণাস্ত্র আবিষ্কারের ফলে এখন আর তলোয়ারে উপযোগীতা একরকম এটা আমরা জানি।আর মানুষ মারার ক্ষেত্রে তলোয়ার থেকে আধুনিক মরণাস্ত্র অনেক বেশী কার্যকর ও বহুল ব্যবহত এটাও আমরা সবাই দেখছি ।

আপনি বলেছেন, " যাই হোক- সামহোয়ার ইন হাটহাজারী তে বেশ ভাল ভাল লিখা আসছে। এগিয়ে যান। বেশ ভাল ধর্ম প্রচার হোক। জ্ঞান বিজ্ঞান আর সভ্যতার একদম পরিপূর্ণ হোমাসা করে ফেলা হচ্ছে। চারদিকে সহমত হুজুর তাকবিরের সাথে কদমে কদমে ঢেউ উঠছে জ্ঞানের। "

- ভাই, ধর্ম প্রচারক বা ধর্মের বিরোধীতাও নয় বরং আমাদের সকলকে ন্যায়কে ন্যায় এবং অন্যায়কে অন্যায় বলা উচিত । আবার, ধর্ম এবং বিজ্ঞান সাংঘর্ষিক নয় বরং তাদের অবস্থান পরিপূরক যদি আপনি-আমি দুটারই সঠিক ব্যবহার করতে পারি। ধর্ম মানুষকে জানতে-বুঝতে বলে । মানুষের সেই জানা ও বুঝার চেষ্টার ফলাফলই বিজ্ঞান । আবার ধর্ম মানুষকে নিয়ম-নীতি মেনে চলতে বলে আর সেই নিয়ম-নীতিগুলিই বিজ্ঞানের মূল সূত্র। যে যেভাবে বিচার করে ভাই।

১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জ্যাকেল বলেছেন: ইসলামের পথে মানুষ যাতে আসে না, সেই কারণে বাধা দেওয়া হইতেছে। তালেবান, আইএস এইসকল সংঘটন বারবার চোখের সামনে এনে বলা হইতেছে এরাই হইল ইসলাম ধর্মের এক্সাম্পল। আসলে এইসব কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেছে? চোখে পড়লেই বুঝা যায় যে এরা ইসলামের নাকি কুচক্রি জায়নবাদের।
জায়নবাদের লোকেরা বিশ্বের নব্বই শতাংশ ধন সম্পত্তির মালিক এবং তাদের হয়ে পর্ন ইন্ডাস্ট্রি হলিউড, বলিউড সহ বিশাল বিশাল প্রতিষ্টান কাজ করে চলেছে যার ফলে হালকা পাতলা ধারণা নিয়ে মেইন স্ট্রিম মিডিয়ার দেওয়া গু এরা মধু মধু মনে করে গিলতে থাকে।
এদের জন্য করুণা ছাড়া কিছু নাই।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জ্যাকেল ভাই , আপনার রূঢ় সত্য ও বাস্তব মন্তব্যের জন্য।

বর্তমান সময়ে যতগুলি মুসলিম দেশে অরাজকতা চলছে তার একটাও মুসলিমদের নিজেদের তৈরী নয় এবং এগুলি মুসলমানদের উপর সাম্রাজ্যবাদীদের চাপিয়ে দেয়া, যার ভূক্তভোগী মুসলমানরা। তারা তাদের অস্ত্র ব্যবসা ও দখলদারী বজায় রাখার জন্যই এসব অরাজকতা তৈরী করে এবং চলমান রাখে। এদিকে আবার তারা কখনো, " সর্প হইয়া দংশণ করে আবার উজা হয়ে ঝাড়ে " র মত দ্বিমুখী আচরণ করে ( তারাই তালেবান, আইএস তৈরী করে আবার কখনো তাদের ত্যাগ করে - আর এসবই করে তাদের নিজেদের স্বার্থে)।

এসব ক্ষেত্রে তাদের অর্থ ও মিডিয়া এবং কিছু মুসলমান নাম ধারী তাদের সহযোগী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৮

এ আর ১৫ বলেছেন: এক মুমিন সুন্দর করে একটা পরিসংখ্যান দিল দুনিয়ার বিভিন্ন নাস্তিক, স্বৈরশাসক ইত্যাদির হাতে কত মানুষ নিহত হয়েছে। এটা তুলে ধরে মুমিন প্রমান করতে চাইল, সেই তুলনায় মুসলমানরা ইসলামের নামে প্রায় কাউকেই হত্যা করে নি, আর তাই ইসলাম হলো একমাত্র সহিহ শান্তির ধর্ম , আর মুসলমানরা হলো দুনিয়ার সব চাইতে শান্তিপ্রিয় মানুষ। তো প্রথমেই মুমিনের দেয়া পরিসংখ্যানটা দেখা যাক :
মাওসেতুং (নাস্তিক)- ৭ কোটি ৮০ লাখ
হিটলার (খ্রিষ্টান)- ১ কোটি ৭০ লাখ
জোসেফ স্তালিন (নাস্তিক)- ২ কোটি ৩০ লাখ
লিওপন্ড-২ (খ্রিষ্টান)- ১ কোটি ৫০ লাখ
হাইভেকি তোশো (বৌদ্ধ)- ৫০ লাখ
পল পট (নাস্তিক)- ৩০ লাখ
কিম ইন-সাং (নাস্তিক)- ১৬ লাখ
মেনপিশটু হেইলি মারিয়াম (নাস্তিক)- ১৫ লাখ
জর্জ ডব্লিও বুশ (খ্রিষ্টান)- ১০ লাখ -
মোট: ১৪ কোটির কিছু বেশী
মুমিনের যুক্তি : মাও সেতুং , হিটলার ,স্টালিনরা যদি তাদের রাজনীতির নামে কোটি কোটি মানুষ হত্যা করতে পারে , তাহলে মুসলমানরা যদি কিছু মানুষ হত্যা করে থাকে , তাহলে দোষের কি আছে ? অর্থাৎ সেই মুমিন কিন্তু নিজের অতি চালাকিতে তার প্রিয় ইসলাম ধর্মকে হিটলারের পৈশাচিক ও বর্বর ফ্যাসিজমের সাথে তুলনা করে ফেলেছে , এবং সে প্রমান করেছে , ইসলাম ধর্ম, হিটলারের ফ্যাসিজমের মতই বর্বর (নাউযুবিল্লাহ)- কিন্তু সে বুঝতে পারে নি।
আচ্ছা , বলুন তো উক্ত মাওসেতুং বা হিটলার বা স্টালিন কোন ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করেছিল ? তারা যেটা করেছিল সেটা হলো সম্পূর্ন তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে। এবার বলুন তো দুনিয়ার কোন বিবেকবান লোক তাদের এই গনহত্যাকে সমর্থন করে ? কোন লোক তাদের এই গনহত্যাকে সঠিক কাজ বলে গণ্য করে ? কেউই তাদের গনহ্ত্যাকে সমর্থন করে না , দুনিয়ার সকল বিবেকবান লোক তাদের এই গনহত্যাকে ঘৃণা করে , আর কঠিন সমালোচনা করে। তাদের এসব কর্মকান্ডকে ধিক্কার জানিয়ে, সারা দুনিয়ায় লক্ষ লক্ষ বই লেখা হয়েছে , লেখা হয়েছে নিবন্ধ , খবর আর হয়েছে কঠিন সমালোচনা। দুনিয়ার কোন বিবেকবান লোকই মাওসেতুং বা হিটলার বা স্টালিনকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ তো দুরের কথা , একজন স্বাভাবিক বিবেক সম্পন্ন মানুষ বলেও স্বীকার করতে রাজি না। বরং সবাই বলে, তারা ছিল সবাই বর্বর , অসভ্য ও খুনি।

এখানে একটা বিষয় তথাকথিত মমিনদের বোঝানো যাচ্ছে না যে অমুসলিমদের ঐ সব কর্মকান্ড ধর্মের নামে নহে । সব শেষে নীচের দাবাই টা দেওয়ার পর তথাকথিত মমিনের মুখে কলুপ --

✔ ইয়াহিয়া খান একজন মুসলিম , তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল. মিডিয়া তাকে কখনো জংগি বলেনি বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ জুলফিকার আলী ভুট্টো একজন মুসলিম , তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল. মিডিয়া তাকে কখনো জংগি বলেনি বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ জেনারেল নিয়াজী একজন মুসলিম , তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল. মিডিয়া তাকে কখনো জংগি বলেনি বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ সাদ্দাম হোসেন একজন মুসলিম , তিনি ইরাকে কয়েক লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল. মিডিয়া তাকে কখনো জংগি বলেনি বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ তৈমুর লং একজন মুসলিম , তিনি সেই আমলে ১৫ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল যা ছিল পৃথিবীর মোট জনসংখার ৫ %. মিডিয়া তাকে কখনো জংগি বলেনি বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ সাদ্দাম হোসেন মুসলিম এবং ইরাণের খোমিনী মুসলিম, তারা পরস্পরের সাথে যুদ্ধ করে কয়েক লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল , মিডিয়া তাদের কে কখনো জংগি বলেনি, বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ সৌদী আরব মুসলিম দেশ এবং ইয়েমেন মুসলিম দেশ, তারা পরস্পরের সাথে যুদ্ধ করে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ হত্যা করেছে , মিডিয়া তাদেরকে কখনো জংগি বোলছে না , বোলছে না মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ নাইজেরিয়ার সেনাবাহিণী ও সরকার যারা মুসলিম তারা হাজার হাজার বোকাহারমকে হত্যা করেছে , মিডিয়া তাদের কখনো জংগি বা ইসলামী টেররিস্ট বলেনি ।
✔ সিরিয়া এবং ইরাকী সেনাবাহিণী ও সরকার যারা মুসলিম তারা হাজার হাজার আই এস আই কে হত্যা করেছে , মিডিয়া তাদের কখনো জংগি বা ইসলামী টেররিস্ট বলেনি ।

তাহা হোলে
১ ) জামাতীরা মুসলমান এবং ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যার সহযোগি -- তাহা হইলে তাহাদের কেন মুসলিম জংগী বা টেররিস্ট বলা হয় ?
২) তালেবানরা মুসলমান এবং তারা কয়েক লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে কিন্তু কেন তাদের কে মুসলিম জংগী বলা হয় ।
৩) আই এস আই রা মুসলমান এবং তারা কয়েক লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে কিন্তু কেন তাদের কে মুসলিম জংগী বলা হয় ।
৫) হরকাতুল জেহাদ , তেহেরিক ইসলাম , জেএনবি ইত্যাদি মুসলমান কিন্তু কেন তাদের কে মুসলিম জংগী বলা হয় ।
৬) বোকা হারাম এরা মুসলমান, তারা কয়েক লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে কিন্তু কেন তাদেরকে জংগী বলা হয় ????

ইয়াহিয়া ভুট্টো ৩০ লক্ষ মারলো তারা জংগী উপাধী পাইলো না তাহোলে কেন জামাতিরা পাইলো । সাদ্দাম তৈমুর লং রা লক্ষ লক্ষ মানুষ মারলো তারা জংগী উপাধী পাইলোনা পাইলো শুধু মোমিন মুসলমান তালেবান , রাজাকার , বোকাহারাম, আই এস আই রা !!!!!!!!! ইহা মোমিন মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদী নাসার ষড়যন্ত্র !!!!!

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এ আর ১৫ ভাই , আপনার তথ্যবহুল ও নাতিদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য।

আসলে, প্রত্যেক জিনিষেরই দুইটা দিক আছে,ভাল-খারাপ। আর এ দুনিয়ায় কোন মানুষই শতভাগ সঠিক নয় তা সে যেই ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। আর এই যে সব উপাধী (জংগী-আই এস-তালেবান) এগুলো নিজেদের স্বার্থে এবং প্রয়োজনেই তৈরী করা ও তাদের জন্য প্রচারণা চালানো হয় । যেখানে ধর্ম থেকে নিজ নিজ স্বার্থ ই বেশী প্রাধান্য পায়।

আর যে কোন ঘটনা-দূর্ঘটনায় ধর্মকে ব্যবহার করলে লাভের পরিমান বেশী বলে মনে হয় সেখানেই ধর্মকে একটা পক্ষ হিসাবে দাড় করিয়ে দেওয়া হয় । তা সে ইসলাম কিংবা অন্য ধর্ম যাই হোক না কেন।


ইয়াহিয়া ভুট্টো ৩০ লক্ষ মারলো তারা জংগী উপাধী পাইলো না তাহোলে কেন জামাতিরা পাইলো । সাদ্দাম তৈমুর লং রা লক্ষ লক্ষ মানুষ মারলো তারা জংগী উপাধী পাইলোনা পাইলো শুধু মোমিন মুসলমান তালেবান , রাজাকার , বোকাহারাম, আই এস আই রা !!!!!!!!! ইহা মোমিন মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদী নাসার ষড়যন্ত্র !!!!!

- কি কমু ভাই :( কওয়ার ভাষা নাই। আমারও আপনার মত প্রশ্ন - কেন ? কেন ? কেন ?

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪১

পুকু বলেছেন: ভাই এই বস্তাপচা পুরানো তাল আর কত বাজাবেন।সাম্প্রতিক বাংলাদেশে দূর্গাপুজার সময় ঘটে যাওয়া মহান কীর্তিগুলো নিশ্চই নাসারা খুষ্টানরা এসে করে যায় নি ? কি বলেন?নাকি এবারো ধানাই পানাই করবেন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ পুকু ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই এই বস্তাপচা পুরানো তাল আর কত বাজাবেন।

- নারে ভাই, এ পুরনো তাল নয় নয়া তাল ।আর মাজে মাজে ঢোল বাজাতে হয় ,নাহলে ঢুলি তাল-লয়-সূর ভূলে যায় আর ঢোল হয়ে যায় লুজ টেমপার।

আর সাম্প্রতিক বাংলাদেশে দূর্গাপুজার সময় যা ঘটেছে তার ব্যাপারে আমার কিছুই বলার নেই। কারন, এ ব্যাপারে বলার জন্য দেশে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আছে । তারপরও যা ঘটেছে মিডিয়ার কল্যাণে আপনি যা দেখেছেন-শুনেছেন আমিও তাই দেখেছি-শুনেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.