নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উৎসর্গ এবং যে পোস্টের সূত্র ধরে এই লেখা - ব্লগার রাজীব নুর ভাইকে এবং তার লেখা " ধোঁয়া ও দোয়া " পোস্ট - লিংক Click This Link
ছবি - jagonews24.com
মহান আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেন, "তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে"। (সুরা মু’মিন,আয়াত -৬০)। উক্ত আয়াতে মানুষকে পরকালের সৌভাগ্য অর্জনে ইবাদাতের প্রতি মনোযোগী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ দোয়ার প্রকৃত অর্থ হলো চাওয়া । আর প্রয়োজনপূরণে আল্লাহর নিকট চাওয়াই ইবাদাত।
দোয়া কি বা দোয়া কাকে বলে -
দোয়া শব্দের অর্থ আল্লাহকে ডাকা, তার কাছে কিছু চাওয়া, প্রার্থনা করা অর্থাৎ বিনয়ের সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনা করাই হল দোয়া। কুরআন হাদিসে দোয়াকেও ইবাদাত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, " দোয়া-ই ইবাদত " । (তিরমিজি শরীফ )।
আমাদের সবারই আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়া এবং তার নৈকট্য লাভ করা ব্যতিত দুনিয়ার উন্নতি ও পরকালের মুক্তি কোনোভাবেই সম্ভব নয় বিধায় আমাদেরকে দোয়া করার মাধ্যমে তাঁর সঠিক ইবাদাত করতে হবে।এই দোয়াকে আল্লাহ তাআলা ইবাদত হিসেবে অভিহীত করেছেন এবং সাহায্য লাভের মাধ্যম বানিয়েছেন। কারণ দোয়া বা ইবাদাত ছাড়া মানুষের মুক্তির কোনো উপায় নেই।
ছবি - barta24.com
দোয়া কেন করতে হবে -
মানুষের সমস্ত ইবাদতের মূলবিষয় হচ্ছে, আল্লাহর নিকট তার বিনয় ও আনুগত্য প্রকাশ করা। আর প্রয়োজনের সময় বান্দা যখন আল্লাহর কাছে দুয়া করে তখন সে আল্লাহকে খুব কাছে অনুভব করে থাকে। আল্লাহ আমার ভাত নেই, আল্লাহ আমার টাকা নেই, আল্লাহ আমার অসুখটা ভালো করে দাও। তুমি ছাড়া আর কে-ই বা আমাকে সাহায্য করবে? ইত্যাদি শব্দে দুআর সময় বান্দা আল্লাহকে অত্যন্ত কাছে অনুভব করে। আল্লাহকে এভাবে স্মরণ করতে পারা হল ইবাদত। আল্লাহ তো সব সময় বান্দাকে দেখেন, তাঁর প্রয়োজন সম্পর্কে জানেন। কিন্তু বান্দার এ বিষয়ে অনুভূতি থাকে না। আল্লাহর স্মরণ যার যত বেশি হবে তিনি ততই কামেল বা বুযুর্গ হবেন। আর এই অনুভূতি দুআর মধ্যে যেভাবে প্রকাশ পায় অন্য ইবাদতে সেভাবে প্রকাশ পায় না। তাই দুআকেই ইবাদত বলা হয়েছে এবং দুআকে ইবাদতের সারবস্ত্ত বা মগজ বলা হয়েছে।
আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয় ব্যতীত দুনিয়া ও আখেরাতের যে কোন বস্ত্তই দুআর বিষয় হতে পারে। হাদীস শরীফে তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ বস্ত্তও আল্লাহর কাছে চাওয়ার কথা এসেছে,আর এই চাওয়াকেই দুআ বলা হয়। এটা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়।
দোয়া কবুলের পূর্ব শর্ত
দোয়া কবুলের অনেক শর্ত আছে। আল্লাহর উদ্দেশ্যে একমাত্র তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য খালেস দিলে দোয়া করতে হবে। দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে হারাম খাদ্য, বস্ত্র, পানীয় ইত্যাদি পরিহার করা। হালাল খাদ্য খাওয়া দুআ কবুল হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত । হারাম উপার্জনে নিজেকে সম্পৃক্ত করে যতই দোয়া করা হোক, তা আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয় না। যে মানুষ আসমানের দিকে হাত প্রশস্ত করে বলে, হে আমার প্রভু! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য ও পানীয় হারাম, তার পোশাক হারাম, তার জীবন-জীবিকাও হারাম। এমতাবস্থায় তার দোয়া কিভাবে কবুল হতে পারে?
হালাল উপার্জন এর সাথে সাথে আরো অন্যতম শর্ত হচ্ছে, বিনয় ও অক্ষমতা প্রকাশ করা। আমি অক্ষম, তুমি সক্ষম। আমি অধম, তুমি উত্তম। আমি কিছুই পারি না, তুমি সব পার। নিজের হীনতা ও দীনতাকে যে যত বেশি প্রকাশ করতে পারবে তার দুআ তত বেশি কবুল হবে। তাই দেখা যায়, অনেক মূর্খ লোকের দোয়াও কবুল হয়ে যায়। মজলুমের দুআ কবুল হওয়ার নিগুঢ় রহস্যও এখানেই। মজলুম ব্যক্তি মনের কষ্টে যখন দুআ করতে উদ্যত হয় তখন তার সামনে আর কোনো গায়রুল্লাহ বা মাধ্যম থাকে না। সরাসরি আল্লাহকে সে এমনভাবে বলতে থাকে যে, তার অনুভূতিতে আল্লাহ তখন একেবারে নিকটে থাকেন। তার মনের এই অবস্থার কারণে আল্লাহ তাআলা তার দুআ সাথে সাথে কবুল করে নেন।
ছবি - banglanews24.com
যাদের দোয়া কবুল হয় না
মহান আল্লাহর কাছে প্রিয় একটি আমল হচ্ছে তাঁর কাছে দোয়া করা। যারা আল্লাহর কাছে চায় আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। তারপরেও অনেক মানুষ এমন রয়েছে যাদের দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না। নিম্নে তাদের নিয়ে আলোচনা করা হলো -
১। হারাম ভক্ষণকারী - হারাম উপার্জনে নিজেকে সম্পৃক্ত করে যতই দোয়া করা হোক, তা আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয় না।দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে হারাম খাদ্য, বস্ত্র, পানীয় ইত্যাদি পরিহার করা।
২। দোয়া করে নিরাশ হয়ে যাওয়া - দোয়ার পর আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস রাখা যে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করবেন। নেতিবাচক কোনো চিন্তা না করা। অন্যথায় এ দোয়া বিফল হয়ে যেতে পারে। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন, " তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না"। (বুখারি শরীফ, হাদিস নং - ৬৩৪০)।
৩। আল্লাহপ্রদত্ত দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া - হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন, "সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই তোমরা সৎ কাজের জন্য আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করবে। তা না হলে আল্লাহ তাআলা শিগগির তোমাদের ওপর তাঁর শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। তোমরা তখন তাঁর কাছে দোয়া করলেও তিনি তোমাদের সেই দোয়া গ্রহণ করবেন না"। (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং - ২১৬৯)।
৪। আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা - আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা একটি বড় ধরনের পাপ (অপরাধ)। এই পাপের শাস্তি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জায়গাতেই ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে, "কোনো মুসলিম দোয়া করার সময় কোনো গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দোয়া না করলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে এ তিনটির কোনো একটি দান করেন। (১) হয়তো তাকে তার কাঙ্ক্ষিত সুপারিশ দুনিয়ায় দান করেন, (২) অথবা তা তার পরকালের জন্য জমা রাখেন এবং (৩) অথবা তার কোনো অকল্যাণ বা বিপদাপদ তার থেকে দূরে করে দেন। সাহাবিরা বলেন, তাহলে তো আমরা অনেক বেশি লাভ করব। তিনি বলেন, আল্লাহ এর চেয়েও বেশি দেন"। (আত-তারগীব, হাদিস নং - ১৬৩৩) ।
৫। অন্যমনস্ক হয়ে দোয়া করা - দোয়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে দোয়া না করা। আল্লাহ অবচেতন মনের দোয়া গ্রহণ করেন না। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, " তোমরা কবুল হওয়ার পূর্ণ আস্থা নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া কোরো। জেনে রেখো, আল্লাহ অমনোযোগী ও অসাড় মনের দোয়া কবুল করেন না "। (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং - ৩৪৭৯) ।
এতসব কিছু মেনে-জেনে-বুঝে যে বা যারা দোয়া করবে মহান আল্লাহপাক তার দোয়া কবুল করে নিবেন এবং তাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন। আর যারা কিছু না জেনে-বুঝে, ধর্মের বিধি-বিধান না মেনে নিজের খেয়াল খুশিমত জীবন যাপন করবে তাদের জন্য দোয়া কোন ভূমিকা পালন না করে ধোয়া হয়ে উড়ে যাবে।
পরিশেষে…
যেহেতু কুরআন-হাদিসে দোয়ার বিষয়ে বিশেষ তাগিদ দেয়া হয়েছে। সেহেতু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নামাজ-রোজা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, বিপদ-মুসিবতসহ দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ এবং পরকালের সফলতা লাভে আল্লাহর নিকট দোয়া করা উচিত।ঐ বান্দা কতই না উত্তম, যার প্রতিটি মুহূর্ত দুআয় পরিণত হয়ে গেছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দুআর হাকীকত ও দুআর মজা উপভোগ করার তাওফীক দান করুন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইহ ও পরকালীন সকল বিষয়ে আল্লাহ নিকট সাহায্য চাওয়ার তাওফিক দান করুন।
তথ্যসূত্র - আল কোরআন ও হাদীস।
===================================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
ঈমান ও আমল - ১১ Click This Link
" পবিত্র ও সম্মানিত মাস মহরম " - হিজরি সনের প্রথম মাস এবং পবিত্র আশুরা ।ইসলামে আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আশুরার দিনে করণীয় ও বর্জনীয় ।
ঈমান ও আমল -১০ Click This Link
("পবিত্র মাস জিলহাজ্জ"-জিলহাজ্জের প্রথম দশ দিন মুসলমানদের নিকট বছরের সেরা দশদিন-ঈমান ও আমলের জন্য)।
ঈমান ও আমল - ৯ Click This Link
(" শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা " - যা সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হাসিলে সাহায্য করে। পবিত্র রমজানের পর যা সকল মুসলমানেরই রাখা উচিত)।
ঈমান ও আমল - ৮ Click This Link
(আজ পবিত্র " লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত "। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলমানদের করণীয় ।)
ঈমান ও আমল - ৭ Click This Link
("যাকাত " ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়)।
ঈমান ও আমল - ৬ Click This Link
("রোযা" ইসলামের তৃতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যার বিনিময় বা প্রতিদান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন নিজেই দিবেন)।
ঈমান ও আমল - ৫ Click This Link
(" নামাজ " ইসলামের দ্বিতীয় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে পার্থক্যকারী সূচক হিসাবে বিবেচিত এবং মুসলমান মাত্রই দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে)।
ঈমান ও আমল - ৪ Click This Link
("ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ"- যার শুরুটা কালেমা বা ঈমানে। যা শুধু মুখে বলা নয়,অন্তরে বিশ্বাস ও কর্মে পরিণত করার বিষয়)।
ঈমান ও আমল - ৩ Click This Link
(তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব )।
ঈমান ও আমল - ২ Click This Link
("শুক্রবার - পবিত্র জুমা"- মুসলমানদের জন্য এক মর্যাদা ও ফজিলত পূর্ণ দিন এবং জুমার দিনের কতিপয় আমল )।
ঈমান ও আমল - ১ Click This Link
(যেসব আমলে মানুষের অভাব দূর হয় ও জীবন সুখের )।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
মানুষ মানুষের জন্য শুভকামনা করেন, ইহা মনের প্রশান্তি!
- আপনার মন্তব্যের এই অংশটুকু গ্রহনযোগ্য এবং ঠিক আছে বলে মনে হয় । কারন, অন্যের জন্য যখন মানুষ কিছু চায় বা দোয়া করে তখন একদিকে তা যেমন মানষিক প্রশান্তিময় অন্যদিকে তার কবুল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশী থাকে । কারন , কবি বলেছেন - " সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে "।
দোয়া বলতে ধর্মে যা আছে, এগুলো বেকুবদের জন্য শান্তির বাণী।
- আপনার মন্তব্যের এই অংশটুকু আমার নিকট আপত্তিজনক এবং গ্রহনযোগ্য নয় বলে মনে হয় । কারন, আপনি-আমি যদি ধর্ম মানি তবে ধর্মের নিয়ম-নীতি মেনে চলার বাধ্যবাধকতাও আমাদের উপর বর্তায় । আর যে কোন কাজের পর মানুষের উপলব্ধি বা মেনে নেয়া (confession) ,নিজের ভূল-ত্রুটি স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া - এসব সব ধর্মেই আছে এবং তা গ্রহনযোগ্য পথ ও পদ্ধতিও বটে।
যেমন - দেশের প্রচলিত একটি কথায় আছে , " শিশু না কাঁদলে মায়েও দিধ দেয়না " । এখানে মায়ের কিন্তু তার বাচচার প্রতি কম মায়া আছে এমন নয় তবে বাচচা যখন কেঁদে তার প্রয়োজনীয়তা জানান দেয় তখন মা সব কিছু ছেড়ে বাচচার দিকে নজর দেয়।
ঠিক একই রকম ভাবে, আল্লাহ আমাদের সবকিছু জানেন এবং পূরণ করেন তারপরেও যখন কেউ তার কাছে চায় বা দোয়া করে তখন তিনি তা পূরণ করতে অধিক সচেষ্ট হন ।
আবার,দুনিয়াতে দেখেন, আপনি-আমি যদি কারো অধীনে থাকি তাহলে তার কাছে কাতর হয়ে কিছু চাইলে বা ভাল আচরন করলে এবং নিজের প্রয়োজনীয়তা তার নিকট তুলে ধরলে সে তার সামর্থ্য অনুসারে আপনার-আমার জন্য অতিরিক্ত কিছু করতে চেষ্টা করেন । যদি আমরা আমাদের প্রয়োজনীয়তা তার নিকট তুলে না ধরি বা না বলি তাহলে সে হয়ত তাই আমার জন্য করবে যা আমার নিয়ম অনুসারে প্রাপ্য । এর বেশী সে আমার জন্য করবেনা যদিও সে অন্যকোন ভাবে আমাদের সমস্যা জানেও - তারপরেও । কারন , অহংকারীকে কেউ ভালবাসেনা।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
উডাহরণ: অসুস্হ মা'কে হাসপাতালে দেখতে গেলে, ছেলেময়েরা ভালোবাসা থেকে মায়ের জন্য সব ধরণের শুভকামনা করবেই করবে। এই শুভকামনা মায়ের মনোবল অবশ্যই বাড়াবে। কিন্তু রোগের বালাই নির্ভর করবে রোগীর অবস্হা ও চিকিৎসার উপর, মাঝখানে সৃষ্টিকর্তা ইত্যাদির কোন হাত নেই; দোয়া ইত্যাদি অক্ষমদের জন্য শান্ত্বনা মাত্র ও ভুল ধারণা।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
যে কারো জন্য যে কারো শুভকামনা আমাদের মানষিক প্রশান্তি দেয় এটা সত্যি তবে আমাদের জীবনের ভাল-খারাপ সব আল্লাহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত । আপনার-আমার রোগ সারানোর ক্ষমতা না কোন চিকিৎসকের আছে না কোন ঔষধের আছে ।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, " কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর নিকট রয়েছে, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন যা মাতৃজঠরে রয়েছে। কেহ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে এবং কেহ জানে না কোন স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ব বিষয়ে অবহিত "। ( সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত - ৩৪)।
মানুষের ভাল-খারাপ কেউ কিছু করতে পারবেনা যদি আল্লাহ ফয়সালা না করেন। মানুষ ভুল করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়া বিধি-বিধান ও সীমা লঙ্ঘন করে ফেলার পর যদি নিজের ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করে তাহলে সীমাহীন দয়া ও করুণার কারণে তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। এ প্রসঙ্গে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, " সুতরাং তাদের কৃতকর্মের মন্দ ফল তাদের উপর আপতিত হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা যুলুম করে তাদের উপরও শীঘ্রই আপতিত হবে তারা যা অর্জন করেছে তার মন্দ ফল এবং তারা অপারগ করতে পারবে না।তারা কি জানে না, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছে রিযিক প্রশস্ত করেন, আর সীমিত করেন? নিশ্চয় এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এমন সম্প্রদায়ের জন্য, যারা ঈমান আনে। বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ; আল্লাহ্র অনুগ্রহ থেকে হতাশ হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু"। (সূরা আয-জুমার, আয়াত - ৫১ - ৫৩)।
এখন ভাই আপনি-আমি কিভাবে নিব সৃষ্টিকর্তার এ বাণী তা আমাদের ব্যাপার।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ইলি বলেছেন: তিন বছর থেকে একই ভাবে একই জিনিস আল্লাহর কাছে চাইতেছি কই আল্লাহ তো আমার দোয়া কবুল করেনা। আমি যতবার আল্লাহর কাছে চাইছি এত বার যদি কোন মানুষের কাছে এই ভাবে চাইতাম নিশ্চয়ই সেই মানুষ বিনা শর্তে আমাকে তা দিয়ে দিত।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ইলি ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
ভাই কোনো মুসলিম যখন দোয়া করে তার যে সাথে সাথে ফলাফল দেখা যায় বা যাবে এমন নয় । প্রতিটা দোয়াই আল্লাহর কাছে গ্রহনীয় এবং তিনি অবশ্যই তাকে এ তিনটির যে কোনো একটি দান করেন।
১। হয়তো তাকে তার কাঙ্ক্ষিত সুপারিশ/চাওয়া দুনিয়ায় দান-পূরণ করেন।
২। অথবা তা তার পরকালের জন্য জমা রাখেন ।
৩। অথবা তার কোনো অকল্যাণ বা বিপদাপদ তার থেকে দূরে করে দেন।
আবার ভাই মানুষের (আমার-আপনার) ভাল-খারাপ কেউ কিছু করতে পারবেনা যদি আল্লাহ ফয়সালা না করেন। মানুষ হয়ত বিপদে আপানকে-আমাকে কিছুটা সহানুভূতি জানাতে পারবে তার বাইরে কিছু নয়।
আমরা ভুল করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়া বিধি-বিধান ও সীমা লঙ্ঘন করে ফেলার পর যদি নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করি তাহলে সীমাহীন দয়া ও করুণার কারণে তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। এ প্রসঙ্গে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, " সুতরাং তাদের কৃতকর্মের মন্দ ফল তাদের উপর আপতিত হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা যুলুম করে তাদের উপরও শীঘ্রই আপতিত হবে তারা যা অর্জন করেছে তার মন্দ ফল এবং তারা অপারগ করতে পারবে না।তারা কি জানে না, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছে রিযিক প্রশস্ত করেন, আর সীমিত করেন? নিশ্চয় এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এমন সম্প্রদায়ের জন্য, যারা ঈমান আনে। বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ; আল্লাহ্র অনুগ্রহ থেকে হতাশ হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু"। (সূরা আয-জুমার, আয়াত - ৫১ - ৫৩)।
এখন ভাই আপনি-আমি কিভাবে সৃষ্টিকর্তার এ বাণীকে গ্রহণ করব তা আমাদের ব্যাপার।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
দোয়া যদি কাজ করতো, ১ জন মানুষও মরতো না, সবাই বেঁচে থাকার জন্য দোয়া করেন; খলীফারা আজকেও জীবিত থাকতেন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য ।
মরণ এক অমোঘ ও স্থিরীকৃত বিষয় । প্রতিটা জীবিত প্রানীই তার জন্য প্রযোজ্য সময়ের সময়ের মরণের সাধ গ্রহণ করবে । এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। এবার আমি-আপনি যে যাই কিছু করিনা মরণ থেকে বাচার জন্য।
সৃষ্টির সময় থেকেই আল্লাহতায়ালা সীমিত বা নির্ধারিত হায়াত দিয়ে সকল জীবিত প্রানীকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। জীবনের একটি ধারাবাহিক পঞ্জিকাও রয়েছে। শৈশব, কৈশোর, যৌবন, প্রৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্য। জীবনের বর্ণিত ধাপগুলোর চলন, বলন ও আচরণের ভিন্ন ভিন্ন রীতিনীতি আছে। যা ইচ্ছাকৃতভাবে বা কোন ভাবেই কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না।
আর তাইতো, মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় কারও নেই। মৃত্যু সবারই অবধারিত। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, " পৃথিবীর সবকিছুই ধ্বংসশীল মহিমাময় মহানুভব পালন কর্তার সত্তা ছাড়া " (সূরা আররহমান, আয়াত-২৬)।
সুতারাং একমাত্র আল্লাহতায়ালার সত্তাই চিরন্তন ও চিরঞ্জীব আর বাকী সবই ক্ষণস্থায়ী।
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রতিটি একশনের লজিক্যাল ব্যাখ্যা আছে, রূপকথার কোন লজিক্যাল ব্যাখ্যা না থাকলেও চলে; ধর্ম সঠিক হলে, ইহারও লজিক্যাল ব্যাখ্যা থাকতো। আপনার কথায়ও লজিক থাকে না, আপনার গরুর রচনা দিয়ে নদীর রচনাও লেখা যায়, বটগাছে রচনাও লেখা যায়; আপনি যখন যা বলতে চান, বলতেই থাকেন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, এ-ই হুয়ি য়ে না বাত, ইত্না টাইম কি বাদ।
যে সত্যিকার ভাবে ঘুমায় তাকে জাগানো যায় তবে যে ঘুমের ভান করে পরে থাকে, তাকে কখনো জাগানো যায় না।
জানা-বুজার জন্য খোলা মন জরুরি। কেউ যদি প্রথমেই তার মন-বিবেক- চোখ বন্ধ করে যুক্তি হাতড়ে বেড়ায় তাহলে সে সারাজীবনেও কোন কিছুতেই যুক্তি খুঁজে পাবে না।
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনাকে আল্লাহ পাক উত্তম যাযা দান করুন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদূর রহমান সুজন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং পোস্ট পড়ার জন্য।
মহান আল্লাহ পাক আপনাকে ও উত্তম প্রতিদান দিন এবং আমাদের সকলকে তার যাবতীয় হুকুম - আহকাম মেনে চলার তাওফিক দান করুন। সাথে সাথে আমাদের সকল কে বেশি বেশি আমল ও দোয়া করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদের সকল আমল ও দোয়াগুলি কবুল করুন।
৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: ঈমান আমল আর দোয়ার কথা শুনলে শয়তানের শরীরে আগুন লাগে ।
ইহা তো চিরন্তণ সত্য !
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ অপু তানভীর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং পোস্ট পড়ার জন্য।
ভাই কষ্ট তখনই বেশী লাগে যখন আমরা মুসলমানরাই (জন্মসূত্রে ও নামে) যখন ইসলামের বেসিক জিনিষগুলি নিয়ে তুচছ-তাচছিল্য বা সমালোচনা করে অথবা অস্বীকার করে। একজন মুসলমান হিসাবে এসব জিনিষ অস্বীকার করার কোন সুযোগ না থাকার পরও কেন তারা এরকম করে তা বোধগম্য নয় । হতে পারে তারা অতি আধুনিক বা ধর্মে এলার্জি । তাই যদি হয় তাহলে তারা সরাসরি বললেই পারে আমি মুসলিম নই ,তাহলেই সব কিছু চুকে যায়।
আমি নামে মুসলিম অথচ আমার ধর্মে এলার্জি তাহলে তা হয়ে যায় দ্বিমুখীতা। আর ইসলামে দ্বিমুখীতার কোন স্থান নেই ।
৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধর্মের কথাই সত্য । ধর্ম যারা মানে তাদের জানার ঘাটতি আছে । আর যারা মানে না তাদের কথা না বলাই ভালো।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, আপনার ছোট বাস্তব মন্তব্যের জন্য এবং পোস্ট পড়ার জন্য।
- সারা দুনিয়া তৈরী-পরিচালনার পিছনে কেউ একজন আছে এবং তার নির্দেশিত নিয়ম নীতির সমষ্ঠিই ধর্ম । এখন একেক জাতি একেক রকম সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী বলে দুনিয়ায় নানা ধর্ম প্রচলিত । হিন্দু-বৌদ্ধ-ইসলাম যে নামেই ধর্ম পরিচিত হোক বা ভগবান-গড-আল্লাহ-যিশু যেই নামেই ডাকা হোক না কেন সব কিছুর মূল কথা মানবিকতা-নৈতিকতা-নিয়মনীতির মাঝে জীবন যাপন এবং মানবপ্রেম । এসবই সকল ধর্মের মূল কথা।
এখন , স্রষ্টা ও তার নির্দেশিত পথকে অস্বীকার করে মানুষ এর থেকে বড় বা ভাল কি অর্জন করতে পারবে তাই বুঝিনা । আর সকল ধর্মই মানুষকে জানতে-বুঝতে বলে । বলে খারাপ ত্যাগ করতে আর ভালকে আকড়ে ধরতে।আমিত ধর্ম বলতে তাই বুঝি ।এখন যারা এর বিরোধীতা করে তারা কি বুঝে করে সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন ।
৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: বেকুবরা দোয়ায় বিশ্বাস করে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
হয়ত আপনার ধারনাই সঠিক ভাই। যারা ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চলতে চায় বা চলে তারা কিছুটা বোকা বা বেকুবই হয়ে থাকে। এবং আপনার ভাষায় তথাকথিত বেকুব (বোকারা) ই দোয়ায় বিশ্বাস করে।
১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দোয়ার কার্যকারীতা নিয়ে মুসলিম দেশসমূহে জরিপ চালানো দরকার।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শূন্য সারমর্ম ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য
ভাই, স্রষ্টা-ধর্ম-ধর্মের নিয়ম কানুন বা পালনীয় বিষয়গুলি বা উপযোগীতা/কার্যকারীতা এগুলি কোন প্রশ্ন বা জরীপের বিষয় নয়। এগুলি কোন মানুষ প্রদত্ত বিষয় নয় যে জরিপ চালিয়ে এর উপযোগীতা বা কার্যকারীতা যাচাই করা যাবে। এগুলি হলো কোন প্রশ্ন ছাড়া পালনীয় বিষয়।
১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: পরিশ্রম করুণ সাফল্য আসবে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য ।
পরিশ্রম সাফল্য আসবে বা আসে এটা আমরা সাবই মোটামুটি জানি বা বিশ্বাসও করি। তবে পরিশ্রমেই যদি সব কিছু হত তাহলে বনের রাজা হত গাধা , সিংহ নয় । কারন, গাধার থেকে বেশী পরিশ্রম আর কোন প্রাণী করেনা,গাধার সাথে তুলনা করলে সিংহ ত সেই লেভেলের অকর্মা ।
আবার পরিশ্রমের ও রকমফের আছে।কঠিন পরিশ্রম ও স্মার্ট পরিশ্রম । এখন কে কোনটা করবে এটা তার ব্যাপার ।
তবে , স্রষ্টা মানুষকে সাফল্যের জন্য যে পরিশ্রমের কথা বলেছে তা স্মার্ট পরিশ্রম যেখানে সাফল্যের জন্য স্রষ্টা মানুষকে নির্দেশিকাও দিয়েছেন যাতে করে তারা নিশ্চিত সফলকাম হতে পারে। আর সেই সফলতার একটা অংশ হলো দোয়া।
১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দোয়া শব্দটি বাংলা শব্দ? শুভকামনা বা দোয়া কি সমার্থক শব্দ?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নূর আলম হিরণ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
- দোয়া আরবি শব্দ । ইসলামের পরিভাষায়, শব্দটির অর্থ 'আহবান' বা 'ডাকা', যা ইসলামে একটি বিশুদ্ধ মিনতি প্রক্রিয়া। এই আরবি শব্দটি থেকে বাংলায় অনুবাদ করলে দাড়ায় " ডাক বা তলব কর" এবং মুসলমানরা একে ইসলামী আইন হিসাবে এবং সওয়াব বিবেচনা করে পালন করে থাকে।
তার মানে হলো, দোয়া শব্দের অর্থ আল্লাহকে ডাকা, তার কাছে কিছু চাওয়া, প্রার্থনা করা অর্থাৎ বিনয়ের সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনা করাই হল দোয়া।
- অন্যদিকে, শুভকামনা শব্দের অর্থ মঙ্গল, কল্যাণ,কল্যাণকর, মঙ্গলসূচক । শুভাকামনা মানে কারও জন্য শুভকামনা করা বা কারো জন্য নিজ থেকে ভাল কিছু আশা করা। শুভ'কামনা করা' মানে নিজের কর্ম থেকে বা অন্য কারও কাছ থেকে কোনও কর্ম বা কোন কিছু সংঘটিত হওয়ার কিংবা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা। এ ইচ্ছাটা সম্পূর্ণ নিজের তাগিদে বা নিজের থেকে উৎসরিত।
তাই একথা বলা যায় যে, দোয়া হলো মুসলমানদের একটি পালনীয় এবং আবশ্যিক বিষয় যার তাগিদ-নির্দেশ ধর্মে দেয়া আছে ।আর শুভকামনা হলো সম্পূর্ণ ব্যক্তি ইচ্ছাধীন বিষয় - চাইলে যে কেউ যে কারো জন্য শুভকামনা করতে পারে তবে কেউ শুভকামনা না করলে তা করার জন্য কোন নির্দেশনা বা জোর নেই।
১৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:২৪
সাসুম বলেছেন: দোয়ায় কাজ হলে কিংবা যদি দোয়াতে সফল্কাম হওয়া যেত-
এই দুনিয়ার মর্দে মোজাহিদ দের দোয়াতে নাস্তেক নাসারা আম্রিকা ইস্রায়েল লন্ডন আর প্যারিস বহুত আগেই ধুলায় মিশে যেত আর দুনিয়ার মালিক হত ইবনে সৌদ আর এই বিশ্বের নাম চেঞ্জ করে- দা সৌদ এমিরাত অফ ইউনিভার্স রাখা হত।
অক্ষম আর অযোগ্যের এই এক সম্বল সেটা হইল দোয়া । একমাত্র বাংগুস্তানে দোয়ার দরকার হয়। উন্নত বিশ্বে - এই যে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সফল হচ্ছে, লাখো লাখো মানুষ ভাল করছে, কোটি কোটী টাকা কামাচ্ছে- সে সবের জন্য মেধা, শিক্ষা, পরিশ্রম দরকার হয় দোয়ার না।
দোয়া না থাকলে বাঙ্গুস্তান এর হুজুর রা না খেয়ে মরত। এই এক দোয়া করানর মধ্য দিয়ে ২/৪ টাকা পাওয়া যায় তা দিয়ে খেয়ে পরে বেচে আছে উনারা। এই জন্য এই আজগুবি গায়েবি অলৌকিক জিনিষ কে মহিমান্বিত করার চেস্টার কমতি নেই।
তবে, দোয়া বা মনের থেকে কারো শান্তি চাওয়াতে তো খারাপ কিছু নেই। বরং, কেউ আমার ভাল কামনা করছে এটা ভাবতেও ভাল লাগে যদিও তাতে বস্তুগত বা অবস্থান গত কোন পরিবর্তন আসেনা, আসার পসিবিলিটি ও নেই এবং বাকী জীবনেও আসবেনা।
আসল সত্য হলো- দোয়া হোক আর বদ্দোয়া হোক- এসব নিতান্তই মানুষের অক্ষমতার কারনে জাস্ট কিছু করতে না পারার হাহাকার।
দুনিয়ার সব চেয়ে বেশি ধার্মিক মানুষের বাস - বাংলাদেশে এবং তার চেয়ে বেশি ধার্মিক এর বসবাস সামহোয়ার ইন হাটহাজারি তে। কিন্তু এই যে এত বছর একটা মাফিয়া শত্রুতা করে সামু ব্লক কর রেখেছিল সেটা দোয়া বা বদদোয়া তে খোলা গেছিল? কিংবা এই যে গত ১ যুগে ভোট বিহীন নির্বাচনে মাফিয়া সরকার ক্ষমতা দখল করে রাখছে, দোয়া বদদোয়া তে সরকার ফালানো গেছিল? কিংবা এই যে চীন আল্লাহর কোরআন কারেকশান করে সেখান থেকে জিহাদ ও যুদ্ধ রিলেটেড সকল কিছু ডীলিট করে উইঘুর এ পড়ানোর কাজ করছে মোসলমান দের বাধ্যতামূলক - সেখানে কোটি কোটী মানুষের দোয়াতে কিছু হইছে? কিংবা পুরা মুসলিম জাহান এর বিলিয়ন মানুষের দোয়াতে ইস্রায়েল এর একটা ঊরুর মাঝের বক্রকেশ ছেড়া গেছে? না যায় নাই, যাবেনা। কিংবা দেশের বড় বড় নাস্তিক দের দোয়া বা বদদোয়া দিয়ে শায়েস্তা করা গেছে? যায় নাই, বরং আল্লাহর সৈনিক দের হাতে চাপাতি তুলে নিয়ে তাদের কল্লা ফেলে শায়েস্তা করতে হয়েছে।
সো, এইসব দোয়া মানসিক সান্ত্বনা ছাড়া আর অন্য কিছু নয় বৈ কি।
দোয়া একমাত্র বাঙ্গুস্তান এর মানুষদের শিক্ষা, ব্যাবসা আর সফলতার জন্য দরকার বাট উন্নত সভ্যতার মানুষদের জন্য দরকার নাই, কারন তারা জানে মেধা, পরিশ্রম আর শিক্ষা দিয়েই সেসব পসিবল।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই, আপনার নাতিদীর্ঘ ও একপেশে মন্তব্যের জন্য ।
ভাই , আমরা যদিও আমাদের তথা মানুষের সীমিত জীবনের সাথে পরিচিত তবে সত্যি হলো মানবজীবন অনন্ত, এটি একটি মহাসফর এবং এ দুনিয়া হলো সেই মহাসফরের একটা অংশমাত্র । মানব জীবন - রুহের জগৎ থেকে যার সূচনা, দুনিয়ার জীবন তার ভ্রমণ পরিক্রমা, বারজাখ (কবর) জীবন অন্তর্বর্তীকালীন সময়, আখিরাত তার চূড়ান্ত গন্তব্য। এই জীবনের কোনো শেষ নেই।
জন্মগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের দুনিয়ার জীবন শুরু হয়, মৃত্যুবরণের মাধ্যমে বারজাখ জীবনের সূচনা হয়, কিয়ামতের মাধ্যমে পরকালের প্রারম্ভ ঘটবে। একেকটি ধাপের সমাপ্তি অন্য ধাপের আরম্ভ মাত্র। পরকাল হলো চিরস্থায়ী। তাই মুমিন বা বিশ্বাসীদের জীবনে হারানোর কিছু নেই, হারানোর ভয়ও নেই, হতাশারও দরকার নেই। প্রয়োজন শুধু প্রতিটি ধাপে, প্রতিটি পর্যায়ে সব অবস্থায় যথাযথ কর্মটি সম্পাদন করা। যা সব মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হবে।
দুনিয়ার সাফল্য - ব্যর্থতার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন , " বরকতময় তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব যাঁর হাতে; আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য - কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম? তিনি পর্যক্রমশালী, ক্ষমাশীল "। (সুরা মুলক, আয়াত - ১-২)।
আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজিদে আরও বলেন, " আর আমরা তোমাদেরকে অবশ্যই পরিক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। আর আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদেরকে।যারা তাদের ওপর বিপদ আপতিত হলে বলে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) আমরা তো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।এরাই তারা, যাদের প্রতি তাদের রব-এর কাছ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ এবং রহমত বর্ষিত হয়, আর তারাই সৎপথে পরিচালিত।"(সুরা বাকারা, আয়াত - ১৫৫ - ১৫৭)।
আপনার সবগুলি অভিযোগ বা প্রশ্নের জবাব মহান আল্লাহ তাআলা এ দু আয়াতেই দিয়ে দিয়েছেন । এখন আপনি তা গ্রহণ করবেন বা বর্জন করবেন তা সম্পূর্ণরূপে আপনার ব্যাপার।
ভাই, যে কোন কিছু জানা-বুজার জন্য খোলা মন জরুরি বা যুক্তি-যুক্ত আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমেই সবচেয়ে ভাল উপায় বের হয়। এখন কেউ যদি প্রথমেই তার মন-বিবেক- চোখ বন্ধ করে ,একপেশে মনোভাব নিয়ে অন্ধযুক্তি হাতড়ে বেড়ায় তাহলে সে সারাজীবনেও কোন কিছুতেই যুক্তি খুঁজে পাবে না তা সে সৃষ্টিকর্তা বা ধর্ম যেটাই হোক না কেন ।
ভাই, পরিশ্রমে সাফল্য আসবে বা আসে এটা আমরা সাবই মোটামুটি জানি বা বিশ্বাসও করি। তবে পরিশ্রমেই যদি সব কিছু হত তাহলে বনের রাজা হত গাধা , সিংহ নয় । কারন, গাধার থেকে বেশী পরিশ্রম আর কোন প্রাণী করেনা,গাধার সাথে তুলনা করলে সিংহ ত সেই লেভেলের অকর্মা ।আবার পরিশ্রমের ও রকমফের আছে।কঠিন পরিশ্রম ও স্মার্ট পরিশ্রম । এখন কে কোনটা করবে এটা তার ব্যাপার । জীবনে পরিশ্রমের জন্য - সাফল্যের জন্য কোন পথ সবচেয়ে ভাল পথ - যে পথে চললে সাফল্য নিশ্চিত , তা জানা জরুরী।
আবার ,মানুষ কাজ করতে পারবে তবে ফলাফল তার হাতে নেই , এ শুধু আল্লাহর হাতে । এ ব্যাপারেমহান আল্লাহ বলেন, "হে ইমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ করো এবং দৃঢ়তা অবলম্বন করো আর আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো" (সুরা ৩ আলে ইমরান, আয়াত- ২০০)। স্রষ্টা মানুষকে সাফল্যের জন্য ধৈর্য ও পরিশ্রমের কথা বলেছেন এবং সাফল্যের জন্য স্রষ্টা মানুষকে কিছু নির্দেশিকাও দিয়েছেন যাতে করে তারা নিশ্চিত সফলকাম হতে পারে। আর সেই সফলতার একটা অংশ হলো দোয়া। ধর্মচর্চা, আত্মমূল্যায়ন, জীবনবোধ এবং বিশ্বাস, আশা ও ভালোবাসা সব প্রতিকূলতায় স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রেখে কাজ করলে মানুষের জীবনে সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ!
আর, রাজনীতি বা সরকার নিয়ে আমার কিছু বলার নেই ভাই। এ ব্যাপারে আপনি যা দেখেন আমিও হয়ত তাই দেখি তবে মন্তব্য অনর্থক।
১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:১৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: তালেবানের প্রথানমন্ত্রী জনগনকে বলেছে,খাদ্য আল্লার কাছে চাও,আল্লাহ খাদ্যের মালিক।আফগানরা যদি খাদ্য না পায় তবে বুজতে হবে তাদের দোয়া পড়া ঠিক হয় নাই।যেমন ঠিক হয় নাই ইয়েমেনের লোক জনের।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুলইসলাম০৬০৪ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
মহান আল্লাহপাক দুনিয়া ও আখেরাতের যে কোন বস্ত্তই তা যতই তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ হউক না কেন আল্লাহর কাছে চাওয়ার জন্য বলেছেন । আর এটা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়।
এখন আফগান প্রধানমন্ত্রী জনগনকে বলেছে,খাদ্য আল্লার কাছে চাওয়ার কথা বলেছেন ,এটা দোষের কিছু নয় বরং আল্লার দয়া , জনগনের দোয়া এবং সরকারের প্রচেষ্টার ফলেই তারা এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
আর ইয়েমেন -আফগানে কি হচছে,কেন হচছে বা কিভাবে এ সবের সমাধান হবে তা মহান আল্লাহ ভাল জানেন।
১৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: দোয়ায় কি ফল হবে সেটা মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা-তবুও আমরা তারই মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো। এটাই আমাদের বিশ্বাস।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই, আপনার ছোট তবে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ।
সেটাই ভাই । মানুষ শুধু তার কাজ করতে পারবে তবে ফলাফল তার হাতে নেই , এ শুধু আল্লাহর হাতে । স্রষ্টা মানুষকে সাফল্যের জন্য ধৈর্য ও পরিশ্রমের কথা বলেছেন এবং সাফল্যের জন্য স্রষ্টা মানুষকে কিছু নির্দেশিকাও দিয়েছেন যাতে করে তারা নিশ্চিত সফলকাম হতে পারে। আর সেই সফলতার একটা অংশ হলো দোয়া।
এ ব্যাপারেমহান আল্লাহ বলেন, "হে ইমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ করো এবং দৃঢ়তা অবলম্বন করো আর আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো" (সুরা ৩ আলে ইমরান, আয়াত- ২০০)।
ধর্মচর্চা, আত্মমূল্যায়ন, জীবনবোধ এবং বিশ্বাস, আশা ও ভালোবাসার সাথে সব প্রতিকূলতায় স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রেখে কাজ করলে মানুষের জীবনে সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ!
আর এটাই মুসলমানদের বিশ্বাস হওয়া উচিত।
১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৮
অগ্নিবেশ বলেছেন: এটা শুধু বিশ্বাস নয় এটা অন্ধবিশ্বাস। মুমিন মানেই নাকে দড়িবাধাঁ উট।
■ মুমিন হচ্ছে নাকে দড়ি বাধা উট
গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ভূমিকা পর্ব
পরিচ্ছেদঃ ৬. হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ি রাশিদীনের সুন্নাতের অনুসরণ।
২/৪৩। ইরবায ইবনু সারিয়াহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এমন হৃদয়গ্রাহী নাসীহাত করেন যে, তাতে (আমাদের) চোখগুলো অশ্রু ঝরালো এবং অন্তরসমূহ প্রকম্পিত হল। আমরা বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এতো যেন নিশ্চয়ই বিদায়ী ভাষণ। অতএব আপনি আমাদের থেকে কি প্রতিশ্রুতি নিবেন (আদেশ দিবেন)? তিনি বলেনঃ আমি তোমাদের আলোকিত দ্বীনের উপর রেখে যাচ্ছি, তার রাত তার দিনের মতই (উজ্জ্বল)। আমার পরে নিজেকে ধ্বংসকারীই কেবল এ দ্বীন ছেড়ে বিপথগামী হবে।
তোমাদের মধ্যে যে বেঁচে থাকবে সে অচিরেই অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। অতএব তোমাদের উপর তোমাদের নিকট পরিচিত আমার আদর্শ এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদ্বীনের আদর্শ অনুসরণ করা অবশ্য কর্তব্য। তোমরা তা শক্তভাবে দাঁত দিয়ে আকড়ে ধরে থাকবে। তোমরা অবশ্যই আনুগত্য করবে, যদি হাবশী গোলামও (তোমাদের নেতা নিযুক্ত) হয়। কেননা মুমিন ব্যাক্তি হচ্ছে নাসারন্ধ্রে লাগাম পরানো উটতুল্য। লাগাম ধরে যে দিকেই তাকে টানা হয়, সে দিকেই যেতে বাধ্য হয়।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৯৩৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইরবায ইবনু সারিয়াহ্ (রাঃ)
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নিবেশ ভাই, আপনার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ।
এটা শুধু বিশ্বাস নয় এটা অন্ধবিশ্বাস। মুমিন মানেই নাকে দড়িবাধাঁ উট।
- ভাই এ শব্দটা রূপকার্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
নাকে দড়িবাধাঁ উট যেমন তার পালকের ইচছায়ই চলে,সেখানে উঠের নিজস্ব কোন কিছু করার থাকেনা ঠিক তেমনি মুসলমান মাত্রই আল্লাহ এবং তার রাসুল (সাঃ) নির্দেশিত মত ও পথে চলবে। এ ব্যাপারে মুসলমানদের নিজস্ব কোন মতবাদ বা কোন কিছু নতুন করে সংযোজন-বিয়োজন করার কিছু নেই এবং পালনীয় বিষয়ের ব্যাপারে কোন প্রশ্নও করা যাবেনা।
তাদেরকে তাই করতে হবে ও সেভাবেই করতে হবে যেভাবে আল্লাহ এবং তার রাসুল (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন।
১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩১
অগ্নিবেশ বলেছেন: মুমিনরা যে অন্ধ বিশ্বাসী, স্বীকার করলেই মিটে যায়, কার কি বলার থাকে। কিন্তু এরা হচ্ছে রসালো মুসলমাল, শুধুই ত্যানা প্যাচাবে আর পিছলাবে কিন্তু স্বীকার করবে না।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো আপনাকে ধন্যবাদ অগ্নিবেশ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
মুসলমান মাত্রই আল্লাহ এবং তার রাসুল (সাঃ) নির্দেশিত মত ও পথে চলবে কোন প্রশ্ন এবং বিভ্রান্তি ছাড়া। এ ব্যাপারে মুসলমানদের নিজস্ব কোন মতবাদ বা কোন কিছু নতুন করে সংযোজন-বিয়োজন করার কিছু নেই এবং পালনীয় বিষয়ের ব্যাপারে কোন প্রশ্নও করা যাবেনা।সে হিসাবে আপনি-আমি যদি বলি মুমিনরা অন্ধ (না দেখা আল্লাহ ও তার বিধি নিষেধ ) বিশ্বাসী তাহলে তাও বলতে পারেন । কারন , ধর্ম প্রমাণের নয় ,নিঃশর্ত বিশ্বাস ও অবশ্য পালনীয় বিষয়।
আর , তাদেরকে তাই করতে হবে ও সেভাবেই করতে হবে যেভাবে আল্লাহ এবং তার রাসুল (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন।এখানে ত্যানা প্যাচানো বা পিছলানোর ব্যাপারের কোন অবকাশ ই নেই ভাই। ধন্যবাদ ভাই।
১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।হয়ত আপনার ধারনাই সঠিক ভাই। যারা ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চলতে চায় বা চলে তারা কিছুটা বোকা বা বেকুবই হয়ে থাকে। এবং আপনার ভাষায় তথাকথিত বেকুব (বোকারা) ই দোয়ায় বিশ্বাস করে।
আপনার পোষ্টের ৭ নং মন্তব্যের কারনে এই মন্তব্যটি করেছে। দুষ্ট ব্লগার এরা ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
পোষ্টের ৭ নং মন্তব্যে - " ঈমান আমল আর দোয়ার কথা শুনলে শয়তানের শরীরে আগুন লাগে । ইহা তো চিরন্তণ সত্য !"
- এটা কিন্তু রাজিব ভাই সত্যি ঠিকই । ইবলিশ শয়তান প্রতিনিয়ত আমাদেরকে ভাল কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখতে চায় এবং খারাপ দিকে চালাতে চায় । যেখানে বা যারাই ভাল কিছুর কথা বলে বা ভাল কাজ করে তখন শয়তানের গায়ে জ্বালা ধরে যায় । আর এই জন্যই আমাদের সবসময় চেষ্টা করার উচিত শয়তানের প্রতারণা থেকে বাচার এবং এ জন্য মহান আল্লাহ পাক সুরা ফাতিহায় শয়তানের ধোকা থেকে বেঁচে থাকার জন্য সবসময় সাহায্য চাওয়ার কথা বলেছেন । কাজেই দুষ্ট শয়তান থেকে রক্ষা পাবার জন্য আমাদের সকলকেই বেশী বেশী দোয়া করা উচিত।
১৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আমার জন্য দোয়া করেন। যদি দোয়ায় কাজ হয় তাহলে আপনার সব কথা মেনে নিবো। এবং হাতজোর করে ক্ষমা চাইবো।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
আমাদের প্রত্যকেরই প্রত্যকের জন্য দোয়া করা উচিত । আর কার দোয়া কখন কবুল হবে তা মহান মহান আল্লাহপাক ভাল জানেন। তাই আমাদের সকলেরই আশা ও পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে দোয়া করা উচিত এবং প্রতিনিয়ত ক্ষমা চাওয়া উচিত স্রষ্টার নিকট আমাদের সকল জানা-অজানা দোষ-ত্রুটির জন্য।
২০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: আইচ্ছা আমার মন্তব্য কি কাউকে উদ্দেশ্য করে ছিল? ধর্মের কথা শুনলে ইবলিস শয়তানের শরীর জ্বলে। এটা তো সত্য কথা। এখন এই কথা যদি কারো গায়ে লাগে বুঝতে হবে সেই একই দলভুক্ত।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ অপু তানভীর ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
পোষ্টের ৭ নং মন্তব্যে আপনি বলেছেন - " ঈমান আমল আর দোয়ার কথা শুনলে শয়তানের শরীরে আগুন লাগে । ইহা তো চিরন্তণ সত্য !"
- এটা কিন্তু অপু তানভীর ভাই আপনি সত্যি কথাই বলেছেন। ইবলিশ শয়তান প্রতিনিয়ত আমাদেরকে ভাল কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখতে চায় এবং খারাপ দিকে চালাতে চায় । যেখানে বা যারাই ভাল কিছুর কথা বলে বা ভাল কাজ করে তখন শয়তানের গায়ে জ্বালা ধরে যায় । আর এই জন্যই আমাদের সবসময় চেষ্টা করার উচিত শয়তানের প্রতারণা থেকে বাচার এবং এ জন্য মহান আল্লাহ পাক সুরা ফাতিহায় শয়তানের ধোকা থেকে বেঁচে থাকার জন্য সবসময় সাহায্য চাওয়ার কথা বলেছেন । কাজেই বিতাড়িত দুষ্ট শয়তান থেকে এবং তার দোসরদের (মানুষ রুপী শয়তান ও জিন রুপী শয়তান ) থেকে রক্ষা পাবার জন্য আমাদের সকলেরই বেশী বেশী দোয়া করা উচিত।
আর এ মন্তব্যকে নেগেটিভলি নেয়ার কিছু নেই কারোর । কারন , যেসব মানুষের বিবেক ও নৈতিকতা আছে তারা কখনো শয়তানের সহযোগী হয়না বা হতে পারেনা।
২১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬
অগ্নিবেশ বলেছেন: মুসলমান মাত্রই আল্লাহ এবং তার রাসুল (সাঃ) নির্দেশিত মত ও পথে চলবে কোন প্রশ্ন এবং বিভ্রান্তি ছাড়া। -- হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন। তাহলে যুক্তি বা প্রশ্ন যেখানে অচল সেখানে দোয়া করা ছাড়া আর কিইবা করার থাকে?? একসময় দেখবেন পুরো মুস্ললিমরাই দোয়ার জোরে ইহুদী নাসারাদের দয়া দাক্ষিন্যেই বেঁচে আছে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ অগ্নিবেশ ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
মহান আল্লাহপাক এবং তার রাসুল (সাঃ) নির্দেশিত মত ও পথে চলার পরেও যদি এরকম পরিস্থিতি সত্যিই তৈরী হয় তাহলে আপনাকে-আমাকে ভেবে নিতে হবে যে তা মহান আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে এবং তার নির্দেশিত । তাই হয়েছে যা আল্লাহপাক চেয়েছেন।
আর আল্লাহপাক যা কিছুই করেন না কেন তা আমাদের মংগলের জন্য করেন - এ ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই এবং তাতে সন্দেহ করলে ঈমান হারা হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
২২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ঈমান আমল আর দোয়ার কথা শুনলে শয়তানের শরীরে আগুন লাগে ।
ইহা তো চিরন্তণ সত্য ২
(কপি পেস্ট অপু ভাইয়া)
জাজাকাল্লাহ খাইরান
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কাজী ফাতেমা ছবি, আপনার মন্তব্যের জন্য (যদিও কপি পেস্ট অপু ভাইয়া)।
আপনি বলেছেন - " ঈমান আমল আর দোয়ার কথা শুনলে শয়তানের শরীরে আগুন লাগে । ইহা তো চিরন্তণ সত্য ২ !"
- বোন কাজী ফাতেমা ছবি, এটা আপনি সত্যি কথাই বলেছেন। ইবলিশ শয়তান প্রতিনিয়ত আমাদেরকে ভাল কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখতে চায় এবং খারাপ দিকে চালাতে চায় । যেখানে বা যারাই ভাল কিছুর কথা বলে বা ভাল কাজ করে তখন শয়তানের গায়ে জ্বালা ধরে যায় । যেসব মানুষের বিবেক ও নৈতিকতা আছে তারা কখনো শয়তানের সহযোগী হয়না বা হতে পারেনা। আর এই জন্যই আমাদের সবসময় চেষ্টা করার উচিত শয়তানের প্রতারণা থেকে বাচার এবং এ জন্য মহান আল্লাহ পাক সুরা ফাতিহায় শয়তানের ধোকা থেকে বেঁচে থাকার জন্য সবসময় সাহায্য চাওয়ার কথা বলেছেন । কাজেই বিতাড়িত দুষ্ট শয়তান থেকে এবং তার দোসরদের (মানুষ রুপী শয়তান ও জিন রুপী শয়তান ) থেকে রক্ষা পাবার জন্য আমাদের সকলেরই বেশী বেশী দোয়া করা উচিত।
২৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪
জটিল ভাই বলেছেন:
ঈমান আমল আর দোয়ার কথা শুনলে শয়তানের শরীরে আগুন লাগে ।
ইহা তো চিরন্তণ সত্য ৩
(কপি পেস্ট ছবি আভী)
জাজাকাল্লাহ খাইরান
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই , আপনার জটিল তবে সত্য মন্তব্যের জন্য (যদিও কপি পেস্ট ছবি আভী ৩)।
কি কমু !!!!!!!!!!!!! ভাই কইনছেন দেহি । জীবনে এত প্যারা (জটিলতা ) কেন ? আর ভাল লাগেনা এত প্যারা (জটিলতা) । সহজ কথা আমরা সবাই সহজ করে না বুঝে কেন এত জটিল ভাবে বুঝি ? জীবন কি শুধু জটিলতারই সমষ্ঠি?
নাকি বেশী জ্ঞেনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ?
যেমন টা শাদী কা সাইড এফেকট (বাচচা পয়দা)। কেন যে জীবনে এত জটিলতা , আপনে ভাই আসলেই জটিল ।
তার জন্যই বলি, " জটিল ভাই জিন্দাবাদ।জটিল ভাই এগিয়ে চলো - আমরা আছি তোমার সাথে "
২৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: তবে সত্যি বলতে কি আপনার আর নকিব সাহেবের ধৈর্য শক্তি দেখে আমি সত্যিই অবাক হই মাঝেমাঝে। এই যে এতো অসভ্য মন্তব্য মানুষ করে আপনাদের পোস্টে, তার পরেও কী চমৎকার মন্তব্যের প্রতি উত্তর দিচ্ছেন। অসভ্য মন্তব্য বলতে কিন্তু আমি মোটেই পোস্টের সমালোচনা কিংবা আপনার বিপক্ষের মন্তব্য গুলো বুঝাই নি। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কোন মন্তব্যের কথা বলছি, ঐ মন্তব্য গুলো ভাল প্রতি উত্তর ডিজার্ভ করে না, তারপর আপনি হাসি মুখে প্রতিউত্তর দেন।
এটা অনেক বড় একটি গুণ।
ভাল থাকুন সব সময়।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ অপু তানভীর ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
আপনার এ মন্তব্যের জবাবে আমি কি বলব অপু ভাই বুঝতেছিনা। শুধু এতটুকু বলব হিংসা কিংবা অধৈর্য থেকে ঔদার্য অনেক বেশী কার্যকর বলে আমি বিশ্বাস করি।
দয়াময়ের কাছে আপনার জন্য দোয়া, তিনি যেন আপনাকেও ভাল রাখেন সবসময়
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ মানুষের জন্য শুভকামনা করেন, ইহা মনের প্রশান্তি! দোয়া বলতে ধর্মে যা আছে, এগুলো বেকুবদের জন্য শান্তির বাণী।