নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" হিজাব ইসলামের বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয় তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ থাকছে " - কর্ণাটক হাইকোর্ট ।

১৫ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪২


ছবি - anandabazar.com

" ইসলাম ধর্মে হিজাব বাধ্যতামূলক বা অপরিহার্য বিষয় নয় তাই এ ক্ষেত্রে ভারতীয় সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার রক্ষাকবচ প্রযোজ্য নয়" - হিজাব মামলার রায়ে এ কথাই বলেছে কর্নাটক হাইকোর্ট । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে তৈরি হওয়া যাবতীয় বিতর্ক ঘিরে আজ এ রায় দিল কর্ণাটক হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে আদালতে যে সমস্ত আবেদন জমা পড়েছিল, আজ মঙ্গলবার (১৫ ই মার্চ) সেসব খারিজ করে দেন আদালত। আদালত জানান, হিজাব ইসলামের বাধ্যতামূলক কোন ধর্মীয় অনুশীলন নয়।

কর্ণাটক সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তার পর থেকেই ওই রাজ্যে হিজাব ইস্যুতে মুসলিমদের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলো রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করেছিল। লাগাতার প্রতিবাদের জেরে বেশ কয়েক দিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন কয়েকজন মুসলিম ছাত্রী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা যাবে না, এই মর্মেই সেসব মামলা করা হয়েছিল এবং এ নিয়ে সরব হয় বিরোধী দলগুলোও। ওই মামলাতেই আজ কর্ণাটক হাই কোর্ট রায় দিয়েছে যে," হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয় এবং প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ড্রেস কোড থাকতেই পারে"।

প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক ভারতের বাইরেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই, বিখ্যাত ফুটবলার পল পোগবা পর্যন্ত এই ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন। তাছাড়াও এ প্রসঙ্গে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন কর্নাটকের বিরোধী নেতা সিদ্দারামাইয়া, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক টুইটে রাহুল গান্ধী বলেন," শিক্ষার পথে হিজাবকে বাধা হিসাবে তুলে ধরে আমরা মেয়েদের ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নিচ্ছি। মা সরস্বতী কিন্তু সকলকেই বিদ্যা দান করেন, তিনি বিভেদ করেন না" । এমনকী হিজাব বিতর্কে ভারতের সমালোচনা করে আমেরিকাও। তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এই বিষয়ে কারো কোন উসকানিমূলক মন্তব্য মেনে নেয়া হবে না।


ছবি - swadeshpratidin.com

ক্লাসে হিজাব পরার নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করা শিক্ষার্থীদের জন্য আদালতের এই রায় একটি বিশাল ধাক্কা এবং সাথে সাথে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যও। নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে পাঁচটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল। এই রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে কর্ণাটক রাজ্য সরকার রাজধানী ব্যাঙ্গালুরুতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এক সপ্তাহের জন্য বড় ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। ম্যাঙ্গালোরেও ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। উদুপিতে আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে।

এর আগে, গত মাসে কর্ণাটক হাইকোর্ট অস্থায়ীভাবে হিজাব এবং গেরুয়া ওড়নাসহ সব ধরনের ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করেছিল।এদিকে আদালতের এই সিদ্ধান্তকে তাৎক্ষণিক ভাবে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনিজমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি বলেন,"দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই আমি। আদালতের আদেশ মেনে সবাইকে শান্তি বজায় রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল কাজ হচ্ছে পড়াশোনা করা, তাই সবকিছু পাশ চাপিয়ে তাদের পড়ালেখা করতে হবে"।

এখন এ রায়ের ফলে রাজ্যের শিক্ষা সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, সরকারি কলেজগুলি নিজস্ব পোশাকবিধি চালু করতে পারে। কর্নাটক শিক্ষা আইন ১৯৮৩-এর পোষাক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, " কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করে দেওয়া পোশাক পরেই পড়ুয়াদের কলেজে আসতে হবে। তবে যে-সব কলেজে কোনও পোশাকবিধি নেই, সেখানে এমন পোশাক পরা যাবে না যাতে শিক্ষাঙ্গনের ভারসাম্য, ঐক্য এবং শৃঙ্খলা নষ্ট হয়"। রাজ্যে চলতি হিজাব-বিতর্কে ইতি টানতেই সরকারি কলেজে পোশাক নির্দেশিকা জারি করল কর্নাটক সরকার।

এখানে উল্লেখ্য যে, ঘটনার সূত্রপাত কয়েক সপ্তাহ আগে। রাজ্যের উদুপি জেলায় একটি সরকারি কলেজে ছয় ছাত্রীকে হিজাব পরে ক্লাস করতে বাধা দেওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হন ছাত্রীরা। পরে বিতর্কের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে আরও কয়েকটি কলেজে। ওই জেলার সৈকত-শহর কুন্দাপুরের একটি কলেজে হিজাব পরে আসা কয়েক জন ছাত্রীকে ক্লাস করতে বাধা দেওয়া হয়। ছয় ঘণ্টা ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা এবং পরের দিনও একই ভাবে তাঁদের ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওই ঘটনার প্রতিবাদে কুন্দাপুরের ভান্ডারকর আর্টস এবং সায়েন্স ডিগ্রি কলেজের গেটে ৪০ জন ছাত্রী হিজাব পরে প্রতিবাদ জানান। হিজাব না খোলায় তাঁদের ক্লাসে ঢুকতে দেননি কলেজ প্রশাসন । অন্য দিকে হিজাবের পাল্টা হিসাবে অন্তত শ’খানেক ছাত্র গেরুয়া শাল পরে বিক্ষোভ দেখান। এই প্রসঙ্গে ভান্ডারকর কলেজের অধ্যক্ষা নারায়ণ শেঠি বলেছেন," আমি সরকারি কর্মচারী। সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলতেই হবে। কলেজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে চাই। শুনেছি কিছু পড়ুয়া গেরুয়া শাল গায়ে দিয়ে ক্লাসে ঢুকতে চেয়েছিল। এ ভাবে ধর্মের নামে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হলে আমাকেই দায়ী করা হবে"। আর তাই তা কখনো করতে দেয়া হবেনা।

ভারত একটি স্বাধীন-সাবভৌম ও ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ । সেই হিসাবে এ রায় তার ধর্ম নিরপেক্ষতাকেই প্রমাণ করে। তবে একটা কথা ঠিক যে, হিজাব নিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের যে নির্দেশনা-দৃষ্টিভংগী বা রায় দিয়েছে তার সাথে ইসলামের নির্দেশনা ও দৃষ্টিভংগীর -" পর্দা " - শুধু নারীর জন্য নয় বরং নর-নারী উভয়ের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। লিংক - Click This Link ব্যাপক প্রার্থক্য রয়েছে। আবার এটাও ঠিক, ধর্মে যাই বলা থাকুক না কেন সকল দেশের সকল নাগরিককে দেশের প্রচলিত আইন-কানুন মেনে চলতে হয় এবং তা মেনে চলা বাধ্যতামূলকও বটে।

সর্বশেষ , কর্নাটক হাইকোর্টের হিজাব মামলার রায়ে সন্তুষ্ট নন মামলাকারীরা। আর তাই তারা বলেছেন, এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন তারা। এদিকে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। আবার এ রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশের একাধিক রাজনীতিবিদ।

তথ্যসূত্র - আনন্দবাজার ও এনডিটিভি।

=======================================================
ভারত প্রাসংগিক আরকটি পোস্ট -

আল কোরআন এর ২৬ টি আয়াত বাতিল চেয়ে আদালতে দায়ের করা রিট বাতিল করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
- Click This Link

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঈমান ফসড়ি টুপিতে নয়। ঈনান থাকে দিলে, কলবে

১৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই , আপনার শের ও মন্তব্যের জন্য।

কথায় আছে , " আগে দর্শনদারী তারপরে গুণ বিচারী"। ঈমান ফসড়ি টুপিতে থাকেনা থাকে মানুষের কলবে (মনে) তা ঠিক তবে ঈমান-আমলের এক অন্যতম অনুষংগ টুপি ।এটাও অস্বীকারের কোন উপায় নেই।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ঈমান দাড়ি টুপিতে না, ঈমান থাকে দিলে, ক্কলবে

১৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: জী ভাইজান , একদম সহিহ (সঠিক কথা) বাত।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩১

নতুন বলেছেন: কোরানের ৩ আয়াতের শ্বালীন পোষাক পরিধানের উপরে বর্তমানের পুরুষ মোল্যারা ৩ কোটির উপরে আয়াত লিখেছে কিভাবে নারী পোষাক পরিধান করবে, কি কি পোষাকের কারনে নারীরা জাহান্নামি হবে ব্লা ব্লা ব্লা.....

এক ছাত্রীকে বলতে শুনেছি সে হিজাব আগে তারপরে পড়াশুনা..... মোল্যারা নারীদের কতটা মগজ ধোলাই করলে এক ছাত্রী এমন কথা বলতে পারে।

শিক্ষা না নিয়ে যদি নারীকে কাপড় দিয়ে ঢেকে ঘরের বসে থাকার উপরে উদ্ভধ্য করা হয় তখন পরের পযন্ম কেমন হবে সেটাই ভাবছি।

১৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

কোরানের ৩ আয়াতের শ্বালীন পোষাক পরিধানের উপরে বর্তমানের পুরুষ মোল্যারা ৩ কোটির উপরে আয়াত লিখেছে কিভাবে নারী পোষাক পরিধান করবে, কি কি পোষাকের কারনে নারীরা জাহান্নামি হবে ব্লা ব্লা ব্লা....

- যে কোন কিছুই অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ । তা সে ধর্মই হোক বা অন্য কিছু । যে পোশাক বা যা কিছু শালীন-মার্জিত (সীমারেখা বলা আছে ) তার বাইরের যে কোন কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ইসলামে নূন্যতম যে ড্রেসকোডের কথা বলা আছে , মুসলমানদের তা মেনে চলার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে।

এক ছাত্রীকে বলতে শুনেছি সে হিজাব আগে তারপরে পড়াশুনা..... মোল্যারা নারীদের কতটা মগজ ধোলাই করলে এক ছাত্রী এমন কথা বলতে পারে।শিক্ষা না নিয়ে যদি নারীকে কাপড় দিয়ে ঢেকে ঘরের বসে থাকার উপরে উদ্ভধ্য করা হয় তখন পরের পযন্ম কেমন হবে সেটাই ভাবছি।

- এভাবে বললে সে ঠিক বলেনি ।দুনিয়ায় বেচে থাকার জন্য অভিযোজন (পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে চলা) ও গুরুত্বপূর্ণ। আর শীত প্রধান দেশে না চাইলেও সারা শরীর ঢেকে চলে , সেখানে ধর্ম বিবেচ্য বিষয় নয় । বিষয় হলো পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলা । আর গরম প্রধান দেশে সাইবেরিয়ার কাপড় পড়লে এমনিতেই মরে যাবে গরমে । কাজেই বাস্তবতা অনুযায়ী চলাই ভাল ।

এই জন্যই কথায় আছে, " জীবন যখন যেখানে যেমন , কখনো পাজেরোয়- কখনো নৌকায়"।

পাজেরো পানিতে অচল আর শুকনায় নৌকা । এটা না বুঝলে সমস্যা।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক যুগে ইসলাম পুরোপুরি কে মানছে বলুন?
না সমাজ, না রাষ্ট, না মুসলিম? কেহ মানছে না। মেনে চলছে না।

১৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

এই আধুনিক যুগে ইসলাম পুরোপুরি কে মানছে বলুন? না সমাজ, না রাষ্ট, না মুসলিম? কেহ মানছে না। মেনে চলছে না।

- আপনি ঠিক বলেছেন ভাই , আমরা কেউই পুরোপুরি ধর্ম মানছিনা এবং তা এখন সম্ভবও না ।কারন, দুনিয়ায় বেঁচে থাকার জন্য আমাদের অভিযোজন (পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে চলা) ও গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা তা না পারি তাহলে আমরা সমাজে চলতে পারব না।

তার জন্য (জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ) ত্যাগ-সমঝোতা জরুরী তবে ধর্মের মূল বিষয়গুলোও মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে আমাদের । এটাও মনে রাখা উচিত।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সোবুজ বলেছেন: ভারত ইসলাম ধর্ম অনুসারে চলে না ।ভারত চলে সংবিধান মতো।এই রায় যদি সংবিধান বিরোধী হয় তবে এই রায় টিকবে না।আইনি লড়াই এখনো শেষ হয় নাই।আরো অনেক পথ বাকি।

১৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোবুজ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য

ভারত যদিও দাবী করে ধর্ম নিরপেক্ষ রাস্ট্র হিসাবে তবে ভারত তা নয়। অতীতে ভারত বিশেষ করে কংগ্রেস শাসনামলে কিছুটা হলেও নিরপেক্ষ হিসাবে শাসন করেছে তবে এখন মোদি- অমিত শাহ এর আমলে তা ত্যাগ করে চরমপন্থী হিসাবেই প্রকাশ পাচ্ছে।

যদিও সংবিধান অনুযায়ী তা এখনো ধর্ম নিরপেক্ষ রাস্ট্র। আর সংবিধান বলেন,শাসন বলেন আর বিচারই বলেন সব কিছু সবসময়ই শাসকের ইশারায়ই চলে। শাসক যেভাবে চাইবেন সেভাবেই বিচারক রায় দিবেন। এখানে ন্যায়-অন্যায়ের প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হল শাসক কি চায়।

আর এর নজির ত কিছুদিন আগেই দেখা গেছে বাবরি মসজিদ এর বিচারের রায়ে।

তারপরও সাধারণ মানুষ এখনো বিচারে- আইনে ভরসা করে। আর তাইতো তারা ছুটে যায় বিচারকের কাছে।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

নাহিদ ২০১৯ বলেছেন: রাষ্ট্র নিজেই যখন সাম্প্রদায়িকতা প্রমোট করে তখন আইন-আদালতও তার দিকে ঈষৎ ঝুঁকে পড়ে। সম্প্রতি সময়ে ভারতের ক্ষেত্রে তাই হচ্ছে।

১৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নাহিদ ২০১৯ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

এক সময় ভারত বিশেষ করে কংগ্রেস শাসনামলে কিছুটা হলেও ধর্ম নিরপেক্ষ হিসাবে শাসন করেছে তবে এখন মোদি- অমিত শাহ এর আমলে তা ত্যাগ করে চরমপন্থী হিসাবেই প্রকাশ পাচ্ছে।

যদিও সংবিধান অনুযায়ী তা এখনো ধর্ম নিরপেক্ষ রাস্ট্র। আর সংবিধান বলেন,শাসন বলেন আর বিচারই বলেন সব কিছু সবসময়ই শাসকের ইশারায়ই চলে। শাসক যেভাবে চাইবেন সেভাবেই বিচারক রায় দিবেন। এখানে ন্যায়-অন্যায়ের প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হল শাসক কি চায়।

ভারতের এখনকার শাসকরা কি চায় এর নজির ত কিছুদিন আগেই দেখা গেছে বাবরি মসজিদ এর বিচারের রায়ে। হিজাবের মামলার রায় ও তাই হচ্ছে এবং হবে যা শাসকরা চাচ্ছেন।

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতের কোন আদালত থেকে মুসলমানদের ব্যাপারে এই ধরণের রায় আসাটাই স্বাভাবিক। বাবরী মসজিদ ভাঙার মামলায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দীর্ঘ ২৮ বছর পর আদালত রায় দিল, এর পিছনে কোনো চক্রান্ত ছিল না।

তা হলে বাবরি মসজিদ ভাঙল কে? বিচারক রায়ে বলেছেন, কিছু অসামাজিক লোক, যারা মসজিদের পিছন থেকে এসে বাবরি মসজিদের মাথায় চড়ে যায়, তারাই ভেঙেছে। রায় অনুযায়ী, বাবরি মসজিদ ভাঙার দায় কিছু নামহীন অসামাজিক লোকের উপরই বর্তেছে। প্রায় তিন হাজার লোক এই ঘটনায় নিহত হয়।

১৬ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

ভারতের কোন আদালত থেকে মুসলমানদের ব্যাপারে এই ধরণের রায় আসাটাই স্বাভাবিক। বাবরী মসজিদ ভাঙার মামলায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দীর্ঘ ২৮ বছর পর আদালত রায় দিল, এর পিছনে কোনো চক্রান্ত ছিল না।

- ভাই এ ব্যাপারে আসলে এতটুকুই বলা যায়, " বিচার হয় ক্ষমতাসীনদের মর্জিতে " বিপরীত দিকে " বিচারে বাণী নিভৃতে কাঁদে অসহায়ের অশ্রুজলে" । বাবরী সারা দুনিয়া যদিও দেখেছে বাবরী মসজিদ ভাংগায় কার ইন্দন ছিল বা কারা তা ঘটিয়েছে ।তবে দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে, বিচারক এ ব্যাপারে কে বা কারা দায়ী তা কোনভাবেই বের করতে পারেনি।তবে এটাই হওয়ার কথা ছিল মোদীর আমলে।

তা হলে বাবরি মসজিদ ভাঙল কে?

- এটা ভাই কোটি টাকার প্রশ্ন । তবে এ ব্যাপারে একটা ছবির কথা মনে পড়ে গেল " No One Killed Jessica " । এ ছবিতে ক্ষমতাসীন লোকের কিছু চামচা Jessica কে হত্যা করে তবে বিচার প্রক্রিয়ায় তা কো ভাবেই প্রমাণ করা যায়নি এবং অভিযুক্ত সবাই বেকসুর খালাস পায়। সাদা চোখে দেখলে এতে বিচারকের কোন দায় নেই কারন সাক্ষ্য প্রমানে তারা সবাই নির্দোষ প্রমাণিত হয় তবে পিছনের কারন দেখলে দেখা যায় কিভাবে বিচারের গতিপথ বদলে দেয়া হয়েছে। বাবরি মসজিদের
ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে যা এর পিছনের লোকেরা চেয়েছে।

বিচারক রায়ে বলেছেন, কিছু অসামাজিক লোক, যারা মসজিদের পিছন থেকে এসে বাবরি মসজিদের মাথায় চড়ে যায়, তারাই ভেঙেছে। রায় অনুযায়ী, বাবরি মসজিদ ভাঙার দায় কিছু নামহীন অসামাজিক লোকের উপরই বর্তেছে। প্রায় তিন হাজার লোক এই ঘটনায় নিহত হয়।

- আসলেই যারা বাবরি মসজিদ ভেংগেছে তারা অসমাজিক :( লোকই । কারন , যদি সামাজিক হত তবে এরকম জঘন্য কাজ করতে পারতনা। তবে বিচার যখব ক্ষমতাসীনদের বগলদাবায় থাকে এবং বিচারকের বিবেক থাকে তাদের কাছে বন্দী তখন এর থেকে ভাল কিই বা আশা করা যায়?

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিবিসি কলেজটির অধ্যক্ষ রুদ্র গৌড়া বলেন, স্কুলে প্রায় ৭০ জন মুসলিম শিক্ষার্ধী আছে তারা কোন সমস্যা বাদেই ইউনিফর্মের নিয়ম মেনে চলছে, "শুধু ৬ জন মেয়ে জানুয়ারীতে স্কুল খোলার পর উদ্দেশ্যমূলকভাবে সমস্যা সৃষ্টি করছে।"

কিন্তু আপনি বলছেন ৪০ জন।


পর্দা ইসলামের বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয় তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ থাকছে " - কর্ণাটক হাইকোর্ট ।
কারন কোন স্কলার কোন আলেমই কোরান হাদিস খুলে দেখিয়ে আদালতে প্রমান দিতে পারেনি।

এ মতের পক্ষে সবচেয়ে জোরালো যুক্তি হচ্ছে - পর্দা লংঘন করার অপরাধের কোনো শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয় নি কোরান হাদিস বা কোন কিতাবে।
কোরান হাদিস এমনকি জ্বাল হাদিসেও মেয়েদের চুল ঢেকে রাখার কোন আদেশ খুজে পাওয়া যায় না।
পর্দা মানা ইসলামে খুব গুরুত্বপূর্ণ হলে পর্দা না করা নারীর জন্য শাস্তির বিধান থাকার কথা।
চুরি, বেনামাজি, জেনা এমনকি মামুলি গীবৎ পরচর্চার মত তুচ্ছ অপরাধে শাস্তির কথা পর্যন্ত কিতাবে আছে। কিন্তু পর্দা না মেনে চলা মহিলার জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই। হলি কোরান ও লক্ষ লক্ষ সহি হাদিস জাল হাদিস কোথাও নেই।
আছে শুধু হুজুরদের ওয়াজে। কোরানের মনগড়া অনুবাদের অপব্যাখ্যা করতে করতে পর্দাকে বর্তমানে নামাজ রোজার মত ফরজ বলছে।

১৬ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

বিবিসি কলেজটির অধ্যক্ষ রুদ্র গৌড়া বলেন, স্কুলে প্রায় ৭০ জন মুসলিম শিক্ষার্ধী আছে তারা কোন সমস্যা বাদেই ইউনিফর্মের নিয়ম মেনে চলছে, "শুধু ৬ জন মেয়ে জানুয়ারীতে স্কুল খোলার পর উদ্দেশ্যমূলকভাবে সমস্যা সৃষ্টি করছে।" কিন্তু আপনি বলছেন ৪০ জন।

- ঘটনার শুরু হয়েছে ৬ জন শিক্ষার্থীকে ঘিরে এটা ঠিক আছে পরে এর প্রতিবাদে বাকিরা শরীক হয়েছে - এমনটাই খবরের কাগজে প্রকাশ। তবে তা সংখ্যায় সমস্যা নয় , সমস্যা নৈতিকতায় । আর শুধু ৬ জন মেয়ে কোন খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এর প্রতিবাদ করেছে ব্যাপারটা এমন নাও হতে পারে। তবে ক্ষমতাসীনরা চাইলে যে কোন কিছুই যে কোন ভাবে প্রমাণ করতে পারে , এ ব্যাপারে কি বলার আছে বা বাকীদের কিছু করার সুযোগ সীমিতই হয়ে পড়ে।


পর্দা ইসলামের বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয় তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ থাকছে " - কর্ণাটক হাইকোর্ট ।
কারন কোন স্কলার কোন আলেমই কোরান হাদিস খুলে দেখিয়ে আদালতে প্রমান দিতে পারেনি।


- আদালতে সঠিক তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি ব্যাপারটা এমন না হওয়ার কি কোন কারন থাকতে পারে আপনার মতে? তবে আপনি যতই যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন বিচারের রায় সবসময় ক্ষমতাসীনদের চাওয়ার উপর নির্ভর করে। এখানেও তাই হয়েছে যা ভারতের ক্ষমতাসীনরা চেয়েছেন।

এ মতের পক্ষে সবচেয়ে জোরালো যুক্তি হচ্ছে - পর্দা লংঘন করার অপরাধের কোনো শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয় নি কোরান হাদিস বা কোন কিতাবে।কোরান হাদিস এমনকি জ্বাল হাদিসেও মেয়েদের চুল ঢেকে রাখার কোন আদেশ খুজে পাওয়া যায় না।
পর্দা মানা ইসলামে খুব গুরুত্বপূর্ণ হলে পর্দা না করা নারীর জন্য শাস্তির বিধান থাকার কথা।
চুরি, বেনামাজি, জেনা এমনকি মামুলি গীবৎ পরচর্চার মত তুচ্ছ অপরাধে শাস্তির কথা পর্যন্ত কিতাবে আছে। কিন্তু পর্দা না মেনে চলা মহিলার জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই। হলি কোরান ও লক্ষ লক্ষ সহি হাদিস জাল হাদিস কোথাও নেই।
আছে শুধু হুজুরদের ওয়াজে। কোরানের মনগড়া অনুবাদের অপব্যাখ্যা করতে করতে পর্দাকে বর্তমানে নামাজ রোজার মত ফরজ বলছে।


- পর্দার ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের সুরা আরাফ, আয়াত ২৬ এ বলা হয়েছে, " হে বনী আদম! অবশ্যই আমরা তোমাদের জন্য পোষাক নাযিল করেছি, তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকা ও বেশ-ভূষার জন্য। আর তাকওয়ার পোষাক, এটাই সর্বোত্তম। এটা আল্লাহ্‌র নিদর্শনসমূহের অন্যতম, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে "।

আল কোরআনের যে কোন একটি আয়াতই মানুষের মেনে চলার জন্য যথেষ্ট। আল কোরআনের অনেক জায়গায়ই মার্জিত পোষাকের ব্যাপারে বলা হয়েছে। আবার ধর্মে নিষেধ আছে যে কোন ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করার ও সর্বদা মধ্যপন্থা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। এখন আমাদের মাঝে কিছু কিছু মানুষ যে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেনা এমনটাও নয়। তবে সাধারন মানুষের বাড়াবাড়ি আর বিচারের বাড়াবাড়ি (ভূল বিচার বা আইনের অপব্যাখ্যা ) এক নয় । কারন, বিচারক হল জনগনের ভরসার শেষ জায়গা। এখানে স্ফটিকের ন্যায় পরিষ্কার থাকা হওয়া/হওয়া উচিত। কোন ধুসরতা থাকা উচিত নয়।

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৫১

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

১৬ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই , আপনার পোষ্ট পড়া এবং মন্তব্যের জন্য।

১০| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০৬

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: যা যাই করুক যাই হোক শান্তি ফিরুক । হিন্দু মুসলিম মিলেমিশে চলুক পড়াশুনা করুক। তবে আমার মনে হয় ভারতে কিছু মুসলিম অযথাই ভেজাল সৃষ্টি করছে। পিছনে বিজেপির ভালো একটা ইন্ধন আছে।

১৬ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ তানীম আব্দুল্লাহ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

যা যাই করুক যাই হোক শান্তি ফিরুক । হিন্দু মুসলিম মিলেমিশে চলুক পড়াশুনা করুক। তবে আমার মনে হয় ভারতে কিছু মুসলিম অযথাই ভেজাল সৃষ্টি করছে। পিছনে বিজেপির ভালো একটা ইন্ধন আছে।

- আপনি সঠিক বলেছেন। সাধারন মানুষ হিসাবে আমাদের চাওয়া একটুকুই , সকল ভেদাভেদ-রাজনীতি-ভুল বুঝাবুঝি ভূলে সকল ধর্মের মানুষ যার যার ধর্ম পালন করুক কোন বাঁধা ব্যতীত থাকুক মিলেমিশে। কারন, সকল কিছুর আগে আমরা সবাই মানুষ।

তবে সমস্যা একটাই , সবসময় ও বর্তমান দুনিয়ায় কিছু মানুষ সবসময় ধর্মকে তাদের নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ-দূরত্ব তৈরী করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে যার সর্বশেষ সংযোজন মোদীর বিজেপী। ধর্মীয় বিভেদকে পুজি করেই মোদী এখন ভারতের ক্ষমতায় এবং তারা ধ্বংস করে দিচছে এ উপমহাদেশের হাজার বছরের ধর্মীয় সহনশীলতাকে।

১১| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে একটা গোপন সত্য কথা বলি- ধর্ম থেকে যে যত দূরে থাকে সে তত ভালো থাকে।

১৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।


আপনাকে একটা গোপন সত্য কথা বলি- ধর্ম থেকে যে যত দূরে থাকে সে তত ভালো থাকে।

- এটা হয়ত কারো জন্য ঠিক হতে পারে আবার কারো কাছে নয়। কারন, ধর্ম থেকে দূরে গিয়ে মানুষের জীবনের দিকনির্দেশনার জন্য ধর্ম থেকে ভাল আর কিছু পাওয়ার কথা না বা এর থেকে ভাল আর কি আছে যা মানুষকে নীতি-নৈতিকতা, পাপ-পূণ্যের কথা বলবে?

ধর্ম মানুষকে মানবিক হতে বলে, সৎ পথে চলতে বলে,অন্যায় বর্জন করতে বলে। বলে অসহায়কে সহায়তা করতে এবং নিয়ম-নীতির মাঝে জীবন অতিবাহিত করতে। তাহলে ধর্মের মাঝে খারাপটা কোথায়?

এখানে খারাপ হল কিছু মানুষের মানষিকতা ও ধর্মের অপব্যবহার বা ধর্মকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উপায় হিসাবে ব্যবহার করা। আর এই দায় ধর্মের নয় ব্যক্তির।

কাজেই আমার মনে হয়না ধর্মকে বাদ দিয়ে মানুষ খুব বেশী ভাল থাকতে পারবে যা ধর্মের মাঝে থেকে সম্ভব।

১২| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:৫২

বিটপি বলেছেন: হিজাব ইসলামের বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয় - কোন যুক্তির ভিত্তিতে হাইকোর্ট এরকম দারণা করতে পারল? মোদীর দেশে আইনের শাসন বলতে কি কিছু আছে? আমাদের দেশে এরকম মামলা হলে কোর্ট কি এরকম ফালতু মন্তব্য করতে পারত?

১৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বিটপি ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

হিজাব ইসলামের বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয় - কোন যুক্তির ভিত্তিতে হাইকোর্ট এরকম দারণা করতে পারল?

- এটাকে বলে কর্তার ইচছায় কর্ম । সারা দুনিয়ায়ই ক্ষমতাসীনরা যেভাবে চায় আইনের ব্যাখ্যা কিংবা বিচারের রায় সেভাবেই হবে - এতে আর কি বলার :( আছে।

মোদীর দেশে আইনের শাসন বলতে কি কিছু আছে? আমাদের দেশে এরকম মামলা হলে কোর্ট কি এরকম ফালতু মন্তব্য করতে পারত?

- ভারতে এখন মোদী-অমিত যা চাচছে তাই হচছে এবং দেশও সেভাবেই চলছে। আর মোদীর এর সাম্প্রদায়িকতা ম্যাজিকের ন্যায় কাজ করছে এবং দিনে দিনে তা আরও শক্তিশালী হচছে। আর তাইতো ভারতে এখন মোদীর জয়জয়কার।

১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩০

কালো যাদুকর বলেছেন: খোদ মার্কিন মুল্লুকে হিজাব পড়ে মেয়েরা দিব্বি ক্লাস করছে। কোন সমস্যা হচ্ছে না। কিন্ত্তু মোদির ভারতে হচ্ছে। ইন্দিরা বা রাজীব গান্ধীর ভারতে এটা কোন সমস্যা ছিল না। কাজেই কোর্টের এই রায় কতটা গ্রহনযোগ্যতা পাবে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। সাধারনত কোন বিশেষ বিষয়ে রায়ের প্রোয়জন হলে, এক্সপার্ট উইটনেস ডাকা হয়। এই বিচারে কাকে ডাকা হয়েছিল? আমি জানি না। এসব ব্যাপারে মুসলিম স্কলারদের ওপিনিওয়ন নেয়া হলে বিচারের গ্রহনযোগ্যতা বাড়তো। দেখা যাক সুপ্রিম কোর্টে কি ডিসাইট করে। আমি ভাগ্যবান যে মোদির মত একজন রাস্ট্রপ্রধানের অধিনে জীবন পার করতে হচ্ছে না। ভারতের মুসলিমদের ভাগ্য আপাতত কোর্টের হাতেই গচ্ছিত। আশা করছি সুবিচার হবে। আশা করতে তো দোষ নেই! মানুষ আশা নিয়েই বাঁচে।

১৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কালো যাদুকর ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

খোদ মার্কিন মুল্লুকে হিজাব পড়ে মেয়েরা দিব্বি ক্লাস করছে। কোন সমস্যা হচ্ছে না। কিন্ত্তু মোদির ভারতে হচ্ছে। ইন্দিরা বা রাজীব গান্ধীর ভারতে এটা কোন সমস্যা ছিল না।

- ইউরোপ-আমেরিকা এবং ভারত এক নয় এবং ভারত যদিও দাবী করে ধর্ম নিরপেক্ষ রাস্ট্র হিসাবে তবে মোদির ভারত তা নয়। অতীতে ভারত বিশেষ করে কংগ্রেস শাসনামলে কিছুটা হলেও নিরপেক্ষ হিসাবে শাসন করেছে তবে এখন মোদি- অমিত শাহ এর আমলে তা ত্যাগ করে চরমপন্থী হিসাবেই প্রকাশ পাচ্ছে।

কাজেই কোর্টের এই রায় কতটা গ্রহনযোগ্যতা পাবে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। সাধারনত কোন বিশেষ বিষয়ে রায়ের প্রোয়জন হলে, এক্সপার্ট উইটনেস ডাকা হয়। এই বিচারে কাকে ডাকা হয়েছিল? আমি জানি না। এসব ব্যাপারে মুসলিম স্কলারদের ওপিনিওয়ন নেয়া হলে বিচারের গ্রহনযোগ্যতা বাড়তো। দেখা যাক সুপ্রিম কোর্টে কি ডিসাইট করে। আমি ভাগ্যবান যে মোদির মত একজন রাস্ট্রপ্রধানের অধিনে জীবন পার করতে হচ্ছে না। ভারতের মুসলিমদের ভাগ্য আপাতত কোর্টের হাতেই গচ্ছিত। আশা করছি সুবিচার হবে। আশা করতে তো দোষ নেই! মানুষ আশা নিয়েই বাঁচে।

- রাস্ট্রের সংবিধান বলেন,শাসন বলেন আর বিচারই বলেন তৃতীয় বিশ্বের দেশে (যদিও ভারত নিজেকে সুপার পাওয়ার হিসাবে ভাবে) সব কিছু সবসময়ই শাসকের ইশারায়ই চলে। শাসক যেভাবে চাইবেন সেভাবেই বিচারক রায় দিবেন। এখানে ন্যায়-অন্যায়ের প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন নয় সাক্ষী-সাবুদের প্রশ্ন হল শাসক কি চায়।শাসক যেভাবে চায় বিচার প্রক্রিয়া সেভাবেই আগায় এবং শেষে বিচারকের ফরমায়েসী রায়ও তাই হয় যা সত্য থেকে অনেক দূরে এবং শাসকের মর্জি অনুযায়ী। সাধারন মানুষের এটাই নিয়তি। এখন দেখার বিষয় আপিলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত কি রায় দেয়।

১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩২

ছদকার ছাগল বলেছেন: পানির বোতলটা আমার হাতে ধরা । এক ঢোক পানি মুখে নিয়ে বসে আছি। আমার ড্রাইভারের নাম জাকির। লম্বা দোহারা গড়ন, বেশ চটপটে সুদর্শন যুবক। আট দশটা মানুষের মধ্যে ওকে খুব সহজে খুঁজে নেওয়া যায় ওর লম্বা শরীরের কারণে। ও মানুষটা যেমন দীর্ঘ চোখগুলোও বড় বড়। ওর সচেতন চোখ আমার দিকে বারংবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে। আমি পানির বোতল ধরে মুখে এক চুমুক পানি নিয়ে বসে আছি। গিলতে পারছি না। ঝিমুনি আসছে থেমে থেমে, আমি জোর করে পৃথিবীর ব্যস্ততা দেখছি।
পিজি হাসপাতালের নিউরো, গ্যাস্ট্রোলজি, অনকোলজি, মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বাঘা বাঘা ডাক্তারের একটা বড় টিম আমাকে নিয়ে বসেছে। ডাক্তারদের চেহারা দেখে রোগ ঠাহর করার বিষয় থাকলেও পরিচিত ডাক্তাররা একটা চোরাচোরা ভাব ধরে রাখে। সত্যও বলে না আবার মিথ্যাও বলে না, মাঝামাঝি একটা জায়গায় মন্তব্য করতে চায়। গত দু’দিন যাবৎ এই হাসপাতাল ঐ হাসাপাতালে ঘোরাফেরা করছি। হঠাৎ করে। আমার ছোট ভাইটি থাকে অকল্যান্ডে। গত কয়েক মাস যাবৎ খাবার দাবারে সমস্যা হচ্ছে। আমি এমনিতেই কম খাওয়া মানুষ। কয়েক লোকমা হলেই আমার চলে যায়। পেশাগত ব্যস্ততা। বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তিটাকে আগলে রেখে শেষপর্যন্ত ধরে রাখা। নতুন বিনিয়োগের জন্য ১৯০ কোটি টাকায় বিক্রি করার সব কাজ সম্পন্ন করা । টাকা ভাই-বোনদের কাছে হস্তান্তর করা। কত হ্যাপা তার মধ্যে আবার এই চিনচিনে ব্যাথাটাকে ভুলেই বসেছিলাম।
ছোট ভাই বিদেশ থেকে এসে সরাসরি নিয়ে গেলো ডাক্তারের কাছে। ৫ মিনিটের একটা এন্ডোসকপির কথা বলে প্রায় ১৫ মিনিটের বিভিষীকাময় অভিজ্ঞতা। মোটা এক নল জেল মেখে দিয়ে মুখে পুড়ে দিলো, গলা ভরে কাশি আসলেও কাশতে পারি না, মুখ ভরে বমি আসবে আসবে ভাব, সেই সুযোগ নেই। ১৫ মিনিটের এক অসহনীয় সময়ের ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা সবাই। যুগ এখন আধুনিক, পেটের ভেতরের সকল কলকব্জা মনিটরে ভেসে উঠে। কোথায় কোথায় নড়ছে, চললে, কিভাবে চলছে সব ক্যামেরার চোখ দিয়ে মনিটরে ভেসে উঠে। ডাক্তারদের
দাঁতভাঙ্গা শাস্ত্রীয় শব্দের ফাঁকফোকড় গলে বুঝতে পারছিলাম- সামথিং রং।
ডাক্তার এক বন্ধু তিরস্কার করলো অনেকক্ষণ। তুমি এত মানুষের চিকিৎসার তদবীর করো। নিজের খবর রাখো না কোনদিন?
আমি হেলায় চলা মানুষ অবহেলা করেছিলাম। মাস ছয়েক। ডাক্তাররা অবশ্য পেট ব্যাথার জন্য এন্টাসিড লিকুইড দিয়েছিলো। শক্ত খেতে পারার ক্ষমতাটা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়েছে। কেক ইজ ওকে। পায়েস নাক ডুবিয়ে খেতে পারি। পেট্টিস ইজ টায়ারসাম। এভাবেই তো চলছিলো।
এন্ডোসকপির পরে আরও পরীক্ষা, ভালো করে বুঝবার জন্য। ডাক্তাররা বেশি কিছু বললো না আমাকে। খাদ্যনালীতে আলসার থেকে ক্যানসারাস সামথিং গ্রো করেছে, এবং এটার গ্রোথ র‌্যাপিড। ছড়িয়ে যাচ্ছে। সার্জারি করতে হবে। যত শীগ্রই ভর্তি হব তত ভালো হয়।
আমি জানি আমার ক্যানসারটা বেশ ছড়িয়ে গেছে। আমার ওজন ফল করছে দিনকে দিন। শরীরের প্রতি আমার যে অবিচার ছিলো আজ তা
কড়ায় গন্ডায় ফিরিয়ে দিয়েছে। ব্যাংকে রাখা সম্পদ হিসেব করে দেখলাম ১২০ কোটি টাকার মত আছে। আমার সন্তানদের জন্য ওয়েল এনাফ। ওরা খেয়ে পড়ে বেঁচে বর্তে যেতে পারবে। হায়াত মউত তো আল্লাহর হাতে। টাকা থাকলেই মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। টাকা মানুষ বাঁচাতে পারলে পৃথিবীর ধনী মানুষ কখনো মরে যেত না। তবে ধনী মানুষরা চিকিৎসা করার সৌভাগ্যটুকু পায়, এটাই ঢের।
আমার হাতে পানি ধরা আছে। ঢোক গিলতে বড্ড কষ্ট হয়। পানি মুখে নিয়ে বসে আছি, কোন এক অদৃশ্য বাঁধ আমার গলায় চেপে আছে। দুদিন পর সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশ্য যাত্রা দেব। এখন দেশটা কেমন যেন মায়ায় জড়িয়ে নিচ্ছে আরও। এই রাস্তা, এত মানুষের ব্যস্ততা, এত অপরিচিত মুখ সবার প্রতি কেমন যেন একটা মায়ায় জড়ানো বিরহের, বিদায়ের সুর পাচ্ছি।
হবে কী আবার দেখা !! ইন শা আল্লাহ !

১৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ছদকার ছাগল ভাই, কি বলব ?

- বুঝতেছিনা ।

আমি জানিনা আপনি যা বলেছেন , তা কি আপনার জীবনের সত্য ঘটনা নাকি মোদি-অমিত শাহের মত রং চং মাখানো ?

দোয়া করি তা যেন সত্যি না হয় । আর যদি সত্যিই তা আপনার জীবনেরই জীবন প্রবাহ হয়ে থাকে তবে তা বড়ই বেদনা ও দুঃখের।

আর যদি সত্যিই তাই হয় ১২০ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা (যা আমার নিকট ১ হাজার ২০ কোটি মাইল দূরের ব্যাপার) আছে তবে পিজিতে কেন যাওয়া তাই আমার মাথায় আসেনা? আমাদের দেশেই বিশ্বমানের হাসপাতাল ( এভারকেয়ার- বসুন্ধরায়, ইউনাইটেড - গুলশানে ,স্কয়ার হাসপাতাল - কলাবাগান/পান্থপথ) সহ আরো আছে আজগর আলী- পুরাতন ঢাকায়। যেখানে পেতে পারেন ভাল মানের সেবা। আর এন্ডোস্কোপি আসলেই খুব বেদনাদায়ক ।

দয়াময়ের কাছে প্রার্থনা রইলো আপনার আশু রোগমুক্তির এবং মন পছন্দ সব কিছু খাওয়ার সুযোগ (যদি সত্যি সত্যি এরকম টা হয়ে থাকে ) ।

১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: হিজাব নিষিদ্ধ করার এই রায় নিরপেক্ষা নয়-স্রেফ সাম্প্রদায়িক, মুসলিম বিদ্বেষী রায়। ইন্ডিয়াতে গেরুয়া পরে সংসদে যেতে পারে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারে, গেরুয়া পরে জয় শ্রীরাম শ্লোগান দিয়ে মুসলমান হত্যা করতে পারে - কিন্তু মুসলমান মেয়েরা হিজাব পরতে পারবেনা-এটা কেমন আইন!

১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

হিজাব নিষিদ্ধ করার এই রায় নিরপেক্ষা নয়-স্রেফ সাম্প্রদায়িক, মুসলিম বিদ্বেষী রায়। ইন্ডিয়াতে গেরুয়া পরে সংসদে যেতে পারে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারে, গেরুয়া পরে জয় শ্রীরাম শ্লোগান দিয়ে মুসলমান হত্যা করতে পারে - কিন্তু মুসলমান মেয়েরা হিজাব পরতে পারবেনা-এটা কেমন আইন!

- ভাই, এটাকে বলে কর্তার ইচছায় কর্ম । সারা দুনিয়ায়ই ক্ষমতাসীনরা যেভাবে চায় আইনের ব্যাখ্যা কিংবা বিচারের রায় সেভাবেই হবে - এতে আর কি বলার :( আছে। ভারতে এখন মোদী-অমিত যা চাচছে তাই হচছে এবং দেশও সেভাবেই চলছে। আর মোদীর এই সাম্প্রদায়িকতা ম্যাজিকের ন্যায় কাজও করছে কোন কোন মানুষের মাঝে এবং দিনে দিনে এই ধারনা আরও শক্তিশালী হচছে। আর তাইতো ভারতে এখন মোদীর জয়জয়কার । এদিকে মোদী ম্যাজিক ও কারিশমার কাছে হার মেনে ধর্ম নিরপেক্ষ কংগ্রেস চলে যাচছে যাদুঘরে আর বাড়ছে ভারতে সাম্প্রদায়িক মনোভাব এবং এর সবটাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে।

১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: হিজাব নিয়ে এতো হই হড্ডোগলের কিছুই নাই , যার ইচ্ছা পরবে যার নাই সে পরবে না । ব্যাস !!!!

একটুকড় কাপর একটা মানুষের ধর্মীয় পরিচয় নয় !!! আরবীতে হিজাব ইংলিশে স্কার্ফ ব্রিটিশ অনেক রমনী স্কার্ফ পরে । তো আরবী তে হিজাব বলে পরলেই যে ধর্মের সব কাজ হয়ে গেলো এমনো না । আব্রু রক্ষার্থে হিজাব না দৃষ্টি সংযোত করার উপর বারবার বলা হয়েছে কোরানে !!!

আপনার লিংগো খানা যদি উত্থান রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে হিজাব কেনো বস্তার মধ্যে নারীদের লুকিয়ে রাখলেও আপনি বস্তা ঠ্যালা শুরু করবেন । তাই লিংগের উত্থান রোগের চিকিৎসা করান। হিজাব হিজাব বলে না চিল্ল্যায়ে ।

আর নারীদের ও বলি আই এম আ হিজাবি গার্ল, এই না হারামী দুনিয়া গান গেয়ে নৃত্য না করে স্বাভাবিক থাকুন, স্বাভাবিক থাকার জন্য যা প্রয়োজন তাই করুন । এক খানা কাপোরের টুকরা পরেই ভাব দেখাতে শুরু করেন আপনি জান্নাতের সর্দারের সেক্রেটারি হয়ে গেছেন ,

১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই ,আপনার চরম মন্তব্যের জন্য।

হিজাব নিয়ে এতো হই হড্ডোগলের কিছুই নাই , যার ইচ্ছা পরবে যার নাই সে পরবে না । ব্যাস !!!!

- তাহলেত আর এ সমস্যাই তৈরী হতনা। মুসলমান মেয়েরা হিজাব আজ মোদীর আমলে বা এই ঘটনা ঘটানোর জন্য পড়েছে এমন নয় । হিজাব মুসলমানদের-ইসলামের এক অনুষংগ। কাজেই , মুসলমানদের তার পরার স্বাধীনতা থাকলে কি আর এত ঘটনা ঘটত ভাইজান?

এক টুকড়া কাপর একটা মানুষের ধর্মীয় পরিচয় নয় !!! আরবীতে হিজাব ইংলিশে স্কার্ফ ব্রিটিশ অনেক রমনী স্কার্ফ পরে । তো আরবী তে হিজাব বলে পরলেই যে ধর্মের সব কাজ হয়ে গেলো এমনো না । আব্রু রক্ষার্থে হিজাব না দৃষ্টি সংযোত করার উপর বারবার বলা হয়েছে কোরানে !!!

- প্রথম যা বললেন তার থেকে এখানে আবার উল্টা দিকে যাত্রা করলেন। ছেড়ে দেন হিজাব ধর্মীয় প্রতিক, মানুষের সতর (দেহ/লজ্জাস্থান) ঢাকার আবরণ হিসাবে মেনে নেন তা । এখন আসেন সতর (দেহ/লজ্জাস্থান) ঢাকার ব্যাপারে , এটা কতটুকু ? এ ব্যাপারে একেক জনের দৃষ্টিভংগী একেক রকম । এখানে মালাইকা আরোরার দৃষ্টিভংগী কিংবা আরো আধুনিক যারা তাদের কাছে আরো বেশী কিছু এর সাথে মুসলমানদের সতরের ( দেহ/লজ্জাস্থান) দৃষ্টিভংগী কখনো এক হবেনা। কাজেই দিননা যে যেমন ভাবে তার দেহ/লজ্জাস্থান ঢেকে চলতে চায় তার স্বাধীনতা । আপনি কেন আইনের মারপ্যাচে তার মৌলিক অধিকার রদ করতে চাচছেন?

আপনার লিংগো খানা যদি উত্থান রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে হিজাব কেনো বস্তার মধ্যে নারীদের লুকিয়ে রাখলেও আপনি বস্তা ঠ্যালা শুরু করবেন । তাই লিংগের উত্থান রোগের চিকিৎসা করান। হিজাব হিজাব বলে না চিল্ল্যায়ে ।

- ভাই , কি বলব ? তবে এতটুকুই বলবো, লিংগ উত্থান রোগ নয় এটা সৃষ্টির ধর্ম বরং লিংগ উত্থিত না হওয়াই রোগের এবং তা না খাড়ালে :P সৃষ্টি হবেনা। লিংগের সাথে আপনি হিজাব মিলিয়ে আপনি আসলে মূল বিষয় থেকে অন্যদিকে চলে গেলেন। হিজাবের কাজ লিংগের উত্থান রোধ নয়, হিজাবের কাজ মেয়েদের সম্ভ্রম-সম্মান-মর্যাদার হেফাজত। দুইয়ের কাজ এবং এলাকা আলাদা আলাদা ভাই।

আর নারীদের ও বলি আই এম আ হিজাবি গার্ল, এই না হারামী দুনিয়া গান গেয়ে নৃত্য না করে স্বাভাবিক থাকুন, স্বাভাবিক থাকার জন্য যা প্রয়োজন তাই করুন । এক খানা কাপোরের টুকরা পরেই ভাব দেখাতে শুরু করেন আপনি জান্নাতের সর্দারের সেক্রেটারি হয়ে গেছেন ,

- ভাই, আপনার কি মনে হয়? বিকিনি গার্ল থেকে হিজাবী গার্ল কিছুটা হলেও ভাল মনে হয় আমার নিকট - আপনার নিকট কি তা মনে হয়না? পোষাক যেহেতু মানুষের মৌলিক অধিকার, যার ব্যাপারে সবাই একমত এবং যার যা ইচছা তার পরার-করার স্বাধীনতা আধুনিকতার দাবী তাহলে দিননা ছেড়ে যার যার ইচছার উপর । তাহলে কেউ বিকিনি পড়বে আর কেউ পড়বে হিজাব , যার যেমন রুচি। তাহলে ত আর কোন সমস্যাই থাকেনা।

১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মুদি সরকার এই সব করেই যাবে। তবুও মুসলিমদের হাল ছেড়ে দিলে চলবেনা।

১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

মুদি সরকার এই সব করেই যাবে। তবুও মুসলিমদের হাল ছেড়ে দিলে চলবেনা।

সারা দুনিয়ায়ই ক্ষমতাসীনরা যেভাবে চায় আইনের ব্যাখ্যা কিংবা বিচারের রায় সেভাবেই হবে - এতে আর কি বলার :( আছে। ভারতে এখন মোদী-অমিত যা চাচছে তাই হচছে এবং দেশও সেভাবেই চলছে। আর মোদীর এই সাম্প্রদায়িকতা মানষিকতা ম্যাজিকের ন্যায় কাজও করছে সারা ভারতে, কোন কোন মানুষের মাঝে এবং দিনে দিনে এই ধারনা আরও শক্তিশালী হচছে। আর তাইতো ভারতে এখন মোদীর জয়জয়কার । এদিকে মোদী ম্যাজিক ও কারিশমার কাছে হার মেনে ধর্ম নিরপেক্ষ কংগ্রেস চলে যাচছে যাদুঘরে আর বাড়ছে ভারতে সাম্প্রদায়িক মনোভাব এবং এর সবটাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে।

আর মুসলমানরা বড়জোর আদালতে যেতে পারবে তবে রায় কি হবে তার নজির যদিও সবার সামনে তারপরও বিচারকের উপর ভরসা রাখা ছাড়া আর কোন পথ খোলাও নেই তাদের সামনে ।

১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: ভারত এখন ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ নয়, কোন এককালে হয়তো ছিল। এখন এই ব্যাপারটি সুপ্রিম কোর্টে গেছে এবং আমার মনে হয় সেখানে হাইকোর্টের রায় বাতিল বা স্থগিত করে দেবে। কারন এর কারনে ভারতে যে অরাজকতা সৃষ্টি হবে সেটি সামলানোর ক্ষমতা মোদি সরকারের নেই। দেখা যাক সামনে কি হয়।

১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ইমরান আশফাক ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভারত এখন ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ নয়, কোন এককালে হয়তো ছিল।

ধর্ম বৈচিত্রের দেশ ভারত এক সময় বিশেষ করে কংগ্রেস শাসনামলে কিছুটা হলেও ধর্ম নিরপেক্ষ হিসাবে শাসিত হয়েছে, শাসন করেছে তবে এখন মোদি- অমিত শাহ এর আমলে তা ত্যাগ করে চরমপন্থী হিসাবেই প্রকাশ পাচ্ছে।

এখন এই ব্যাপারটি সুপ্রিম কোর্টে গেছে এবং আমার মনে হয় সেখানে হাইকোর্টের রায় বাতিল বা স্থগিত করে দেবে। কারন এর কারনে ভারতে যে অরাজকতা সৃষ্টি হবে সেটি সামলানোর ক্ষমতা মোদি সরকারের নেই। দেখা যাক সামনে কি হয়।

- যদিও সংবিধান অনুযায়ী তা এখনো ধর্ম নিরপেক্ষ রাস্ট্র তবুও এখন তার সাম্প্রদায়িকতার মনোভাবই প্রকট হচছে এবং এর সবটাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে।। আর সংবিধান বলেন,শাসন বলেন আর বিচারই বলেন সব কিছু সবসময়ই শাসকের ইশারায়ই চলে। শাসক যেভাবে চাইবেন সেভাবেই বিচারক রায় দিবেন। এখানে ন্যায়-অন্যায়ের প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হল শাসক কি চায়।

ভারতের এখনকার শাসকরা কি চায় এর নজির ত কিছুদিন আগেই দেখা গেছে বাবরি মসজিদ এর বিচারের রায়ে। হিজাবের মামলার রায় ও তাই হচ্ছে এবং হবে যা শাসকরা চাচ্ছেন।

১৯| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশের প্রায় সব স্কুল কলেজে নামাজের ব্যবস্থা আছে এখন হিন্দু ছাত্রছাত্রীরা যদি পূঁজা অর্চনা করার ব্যবস্থা চায় তখন এটাকে কিভাবে নিবে পোস্টকারী ও অনেক মন্তব্যকারী?

১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নূর আলম হিরণ ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

বাংলাদেশের প্রায় সব স্কুল কলেজে নামাজের ব্যবস্থা আছে এখন হিন্দু ছাত্রছাত্রীরা যদি পূঁজা অর্চনা করার ব্যবস্থা চায় তখন এটাকে কিভাবে নিবে পোস্টকারী ও অনেক মন্তব্যকারী?

- ভাই মুসলমানদের দৈনিক ৫ বার প্রার্থনা করতে হয় তার জন্য স্কুল কলেজে নামাজের ব্যবস্থা আছে এটা আপনি ভূল বলেন নি। অন্যদিকে আমার দেখা সব স্কুল কলেজেই হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয় মহাসমারোহে (স্বরস্বতী পূজা,কালী পূজা, জন্মাষ্ঠমী, দোল পূর্নিমা-দীপাবলী ইত্যাদি) । আর এসব করা হয় মহাসমারোহে যেখানে মুসলমানদের নামাজ হয় নিরবে। এতে মুসলমানরা কোন রকম আপত্তি করতে দেখিনি বরং তাদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণই দেখে এসেছি যুগ যুগ ধরে এবং আমার মনে হয় আপনিও তাই দেখে আসছেন।

সমস্যা ভাই পালনীয় বিষয়ে নয় , সমস্যা হয় যখন কোন বিষয়ে রাজনীতি জড়ায় বা তার রাজনীতিকরন হয় -তখন। যেমনটা এখন হিজাব নিয়ে করা হচছে।

২০| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন:

১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দূর আকাশের নীল তারা ভাই ,

আপনি কি অনেক অনেক -----------------------------

২১| ১৬ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

জ্যাকেল বলেছেন: ভারত দিন দিন পিছে যাইতেছে।

১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জ্যাকেল ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনি যা বলেছেন তা একরকম সঠিক । তবে এর দায় যতটা ভারতের তার চেয়ে বেশী এর শাসকদের।

তার কারন , তারাই ভারতকে পিছে টানছে সাম্প্রদায়িকতার রশি দিয়ে।

২২| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:০৪

সাসুম বলেছেন: ব্লগ পড়লাম অনেক জ্ঞান নিলাম এবং পোস্টের কমেন্ট পড়ে আরো জ্ঞান নিয়ে চলে যাওয়ার আগে একটা কমেন্ট করার লোভ সাম্লাইতে পারলাম না।

জামান সাহেব, আপনি কেন এই রায় মেনে নিচ্ছেন রাষ্ট্রীয় রায় বলে??? একটা নরমাল আদালত কখনোই এই ধরনের রায় দেয়ার অধিকার রাখেনা।


স্কুল ইউনিফর্মের সাথে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার অধিকার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আছে নাকি - এইটা ছিল কর্নাটক হাইকোর্টের কাছে প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্যে এরা যে লজিক দিসে সেটা দুনিয়ার জুডিশিয়ারির ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে আর্গুমেন্টগুলার একটা।

হাইকোর্টের রায়ের মূল কথা হচ্ছে যেহেতু তাদের মতে হিজাব ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় অংশ না, সেহেতু এটা নিষিদ্ধ করার অধিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আছে। এইখানে প্রথম সমস্যা হচ্ছে সেক্যুলার কোর্টের কোন এখতিয়ার নাই ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেওয়ার।

কোর্টের কাজ হচ্ছে এইটা ডিটারমিন করা যে আপনার রিলিজিয়াস ফ্রিডমের এক্সপ্রেশন অন্য কারো ফ্রিডমে বাধা দিচ্ছে নাকি।

যেমনঃ শিখদের কথা বলা যায়। ইন্ডিয়ান মিলিটারি থেকে শুরু করে পুলিশ সবার ইউনিফর্মেই শিখদের পাগড়ি ইনক্লুড করার ব্যবস্থা আছে। এখানে লজিক দেয়া যায় যে এইটা শিখিইজমের অত্যাবশ্যকীয় অংশ। ফাইন, কিন্তু সেই ক্ষেত্রেও কথা আছে। খালসা পুরুষ শিখদের পাচটা জিনিস সব সময় সাথে রাখতে হয়, ফাইভ কে বলে এদের, এর মধ্যে একটা হচ্ছে কিরপান (ছোট তলোয়ার বেসিকালি)। দুনিয়ার কোন কোর্ট এই রায় দিবে না যে, এইটা যেহেতু শিখিজমের অত্যাবশ্যকীয় অংশ, সুতরাং আপনি এইটা সাথে নিয়ে প্লেনে উঠতে পারবেন।

এই 'এসেনশিয়াল পার্ট অফ রিলিজিয়ন' এই আর্গুমেন্টটাই আনা হইছে ইচ্ছামত রায় দেয়ার জন্যে এবং এইটা খুব নগ্ন ভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে এবং হচ্ছে।

এখন আপনি এটা মেনে নিছেন, কারন আপনি দুই দিন পর যখন প্রেসার করে আহমাদিয়া দের কে বা শিয়া দের কে অমুস্লিম ঘোষণা করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করবেন তখন আমাদের এই সরকার কে বলতে পারবেন এরা ইসলামের আসল রুলস ফলো করেনা বা ইসলামের রুলসে শিয়া বা আহমদিয়া রা নাই ।

কিংবা দুই দিন পর, এই ভারতের আদালত বলে বসবে ইসলামে গরু খাওয়ার কথা বাই ডিফল্ট কোথাও নাই, সো গরু খাওয়া ভারতে বন্ধ করলে এটাও অপরাধ না, এবং আপ্নারে ঠিক সেইম ভাবে আদালতের রায় মানতে বাধ্য করা হবে।

এই যে রাষ্ট্রীয় ভাবে আদালত দিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দমিয়ে রাখা - এটাই এই রায়ের সবচেয়ে বাজে দিক।

একটা সেকুলার রাষ্ট্র কিংবা নন ধার্মিক রাষ্ট্রের আদালত কোন ভাবেই ঠিক করে দিতে পারবেনা হিজাব বা নিকাব কি ইসলামের মূল জিনিষ কিনা। এটা করার অধিকার আছে একমাত্র ইসলামের সর্বোচ্চ সংস্থার , ভারতের ক্ষেত্রে ধরলে দেওবন্দ আলেম দের। তারা যেহেতু রায় দেয়নাই, সো এই রায়ের ভেলিডিটি প্রশ্নবোধক।

এই রায়ে রাষ্ট্রীয় একটা প্রেসার পয়েন্ট খুজে পাওয়া যায় যাতে করে নির্যাতিত দের আরো দমিয়ে রাখা যায়।

ভয়ানক ব্যাপার হচ্ছে সেক্যুলার কোর্টের ধর্ম নিয়া ফতোয়াবাজি ধর্মীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যাবে। দুনিয়ার সব ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন মত ও দল আছে, এখন, কোর্ট যে ইন্টারপ্রেটেশন দিতেসে সেইটাতে আপনি বিশ্বাস করেন না, অন্যটায় বিশ্বাস করেন। তখন কী হবে?

এই যে আপনি আপনার পছন্দমত ইন্টারপ্রেটেশন রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন, যেটা একটা সাংবিধানিকভাবে সেক্যুলার স্টেটের জন্যে মারাত্মক ভয়। আপনি রাষ্ট্র কে ইউজ করছেন ধর্মকে মেনিপুলেট করার জন্য।


এই কারনে ভারতের আদালতের এই রায়ের বিরোধিতা করতে হবে।

ভারত দুনিয়ার সবচে বড় গণতন্ত্র থেকে দিন দিন পেছন দিকে যাইতে যাইতে এখন আপনাদের স্বপ্নের বিশ্বের মত একটা ধার্মিক শুয়োরের রাস্ট্রে পরিনত হচ্ছে, তফাত হচ্ছে আপ্নারা চান ইসলাম, তারা চায় হিন্দুইজম।


এই রায় একটা বাজে রায়, এই রায় এর বিরোধীতা করলাম।

১৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই ,অনেক দিন পর পোস্ট পড়ে চলে যেতে যেতে করা আপনার মন্তব্যের জন্য।

ব্লগ পড়লাম অনেক জ্ঞান নিলাম এবং পোস্টের কমেন্ট পড়ে আরো জ্ঞান নিয়ে চলে যাওয়ার আগে একটা কমেন্ট করার লোভ সাম্লাইতে পারলাম না।

- কোথায় ছিলেন? ঠিক আছেন কি আপনি ?
অনেক দিন কোন সাড়া নেই (মন্তব্য নেই ) আপনার । চিন্তায় ছিলাম সুস্থতা নিয়ে। মন্তব্য দেখে ভাল লাগলো তবে ভাল আছেন কিনা জানালে খুশী হবো।

জামান সাহেব, আপনি কেন এই রায় মেনে নিচ্ছেন রাষ্ট্রীয় রায় বলে??? একটা নরমাল আদালত কখনোই এই ধরনের রায় দেয়ার অধিকার রাখেনা।

- আজকাল অনেকেই এমন অনেক কিছু করে যার করার এখতিয়ার তার নেই সাধারনত তার তা করার কথা নয়। আর রাষ্ট্রের শাসন বিভাগ যখন আইন-বিচার বিভাগকে নিজের স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করে তখন এরকম অনেক কিছুই অধিকারের এলাকা বর্হিভূত কাজ করে থাকে এবং রাষ্ট্রের সাধারন নাগরিক হিসাবে তা মেনে চলার বাধ্যবাধকতাও থাকে।

স্কুল ইউনিফর্মের সাথে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার অধিকার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আছে নাকি - এইটা ছিল কর্নাটক হাইকোর্টের কাছে প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্যে এরা যে লজিক দিসে সেটা দুনিয়ার জুডিশিয়ারির ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে আর্গুমেন্টগুলার একটা।

- আবারো সেই একই কথা, শাসন বিভাগের মর্জি তথা কর্তার ইচছায় কর্ম(ক্ষমতাসীনরা যেভাবে চাইবে বিচারের গতিপথ-রায় সেভাবেই হবে) ন্যায়-অন্যায়ের প্রশ্ন মূল্যহীণ।

হাইকোর্টের রায়ের মূল কথা হচ্ছে যেহেতু তাদের মতে হিজাব ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় অংশ না, সেহেতু এটা নিষিদ্ধ করার অধিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আছে। এইখানে প্রথম সমস্যা হচ্ছে সেক্যুলার কোর্টের কোন এখতিয়ার নাই ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেওয়ার।

- ধমীয় বিষয়ে রায়ের জন্য সিভিল কোর্ট নয় রিলিজিয়াস কোর্ট দরকার এবং এরকম একটা বিষয়ে দরকার এর সংগে সম্পর্কিত জানাশোনা আলেমদের মতামতও । প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রেসকোড বা পোশাকের নির্দেশিকা দেয়ার আছে এটা ঠিক তবে তা করাও হয় সাধারনত সেই সমাজের সামাজিকতা-লোকাচার ও সংস্কৃতির দিকে লক্ষ্য রেখে। আর এখানে যা হয়েছে তা করা হয়েছে রাজনীতির দিকে তাকিয়ে ।

কোর্টের কাজ হচ্ছে এইটা ডিটারমিন করা যে আপনার রিলিজিয়াস ফ্রিডমের এক্সপ্রেশন অন্য কারো ফ্রিডমে বাধা দিচ্ছে নাকি। যেমনঃ শিখদের কথা বলা যায়। ইন্ডিয়ান মিলিটারি থেকে শুরু করে পুলিশ সবার ইউনিফর্মেই শিখদের পাগড়ি ইনক্লুড করার ব্যবস্থা আছে। এখানে লজিক দেয়া যায় যে এইটা শিখিইজমের অত্যাবশ্যকীয় অংশ। ফাইন, কিন্তু সেই ক্ষেত্রেও কথা আছে। খালসা পুরুষ শিখদের পাচটা জিনিস সব সময় সাথে রাখতে হয়, ফাইভ কে বলে এদের, এর মধ্যে একটা হচ্ছে কিরপান (ছোট তলোয়ার বেসিকালি)। দুনিয়ার কোন কোর্ট এই রায় দিবে না যে, এইটা যেহেতু শিখিজমের অত্যাবশ্যকীয় অংশ, সুতরাং আপনি এইটা সাথে নিয়ে প্লেনে উঠতে পারবেন।
এই 'এসেনশিয়াল পার্ট অফ রিলিজিয়ন' এই আর্গুমেন্টটাই আনা হইছে ইচ্ছামত রায় দেয়ার জন্যে এবং এইটা খুব নগ্ন ভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে এবং হচ্ছে।


- ভারতে বিশেষ করে এখন মোদী-অমিতের আমলে যা করা হচছে তা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধেই এসব ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সেটারই (মুসলমানদের বিরুদ্ধে ) সর্বশেষ নজির দেখতে পাবেন ১১ মার্চ ২০২২ শে মুক্তি পাওয়া The Kashmir Files নামক ০২ ঘন্টা ৫০ মিনিটের Historical film এ। সিনেমাটিতে মুসলমানদের নিয়ে এমন অনেক তথ্য দেখানো হয়েছে যা শুধু মিথ্যা নয় চরম মিথ্যা এব ইতিহাস জানা যে কারোর ই এমন মিথ্যাচার মেনে নিতে কষ্ট হবে । তবে যেহেতু তা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষায় হয়েছে এবং সরকার তাকে সাপোর্ট করছে তখন ইতিহাসের গতিপথ বদলে গেছে জেনেও সাধারন মানুষের কিছু করার থাকেনা।

এখন আপনি এটা মেনে নিছেন, কারন আপনি দুই দিন পর যখন প্রেসার করে আহমাদিয়া দের কে বা শিয়া দের কে অমুস্লিম ঘোষণা করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করবেন তখন আমাদের এই সরকার কে বলতে পারবেন এরা ইসলামের আসল রুলস ফলো করেনা বা ইসলামের রুলসে শিয়া বা আহমদিয়া রা নাই । কিংবা দুই দিন পর, এই ভারতের আদালত বলে বসবে ইসলামে গরু খাওয়ার কথা বাই ডিফল্ট কোথাও নাই, সো গরু খাওয়া ভারতে বন্ধ করলে এটাও অপরাধ না, এবং আপ্নারে ঠিক সেইম ভাবে আদালতের রায় মানতে বাধ্য করা হবে। এই যে রাষ্ট্রীয় ভাবে আদালত দিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দমিয়ে রাখা - এটাই এই রায়ের সবচেয়ে বাজে দিক।

- তাই হবে বা হচছে যেভাবে আপনি বলেছেন এবং উনারা (ক্ষমতাসীনরা) চাচছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের (মুসলমানদের) বিরুদ্ধে।

একটা সেকুলার রাষ্ট্র কিংবা নন ধার্মিক রাষ্ট্রের আদালত কোন ভাবেই ঠিক করে দিতে পারবেনা হিজাব বা নিকাব কি ইসলামের মূল জিনিষ কিনা। এটা করার অধিকার আছে একমাত্র ইসলামের সর্বোচ্চ সংস্থার , ভারতের ক্ষেত্রে ধরলে দেওবন্দ আলেম দের। তারা যেহেতু রায় দেয়নাই, সো এই রায়ের ভেলিডিটি প্রশ্নবোধক।এই রায়ে রাষ্ট্রীয় একটা প্রেসার পয়েন্ট খুজে পাওয়া যায় যাতে করে নির্যাতিত দের আরো দমিয়ে রাখা যায়।

- যে কোন রাষ্ট্রেরই (রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের বা শাসকদলের) ক্ষমতা সীমাহীন। তারা চাইলে যা খুশী তাই করতে পারে। কাগজে-কলমে দিনকে রাত ও রাতকে-দিন ও করতে পারে। যদিও তাদের তৈরী রাতে তখন রাতের আধার কিংবা দিনের আলো থেকেও থাকে।

একটা সেকুলার রাষ্ট্র কিংবা নন ধার্মিক রাষ্ট্রের আদালত কোন ভাবেই ঠিক করে দিতে পারবেনা হিজাব বা নিকাব কি ইসলামের মূল জিনিষ কিনা। এটা করার অধিকার আছে একমাত্র ইসলামের সর্বোচ্চ সংস্থার , ভারতের ক্ষেত্রে ধরলে দেওবন্দ আলেম দের। তারা যেহেতু রায় দেয়নাই, সো এই রায়ের ভেলিডিটি প্রশ্নবোধক।

- প্রশ্ন অনেক ই আছে এবং আছে ক্ষোভ ও । আর আদালত কি পারে বা না পারে তার নজির বাবরী মসজিদ মামলার রায়ে দেখা গিয়েছে। এ ব্যাপারে কিই বা বলার আছে।

এই রায়ে রাষ্ট্রীয় একটা প্রেসার পয়েন্ট খুজে পাওয়া যায় যাতে করে নির্যাতিত দের আরো দমিয়ে রাখা যায়।
ভয়ানক ব্যাপার হচ্ছে সেক্যুলার কোর্টের ধর্ম নিয়া ফতোয়াবাজি ধর্মীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যাবে। দুনিয়ার সব ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন মত ও দল আছে, এখন, কোর্ট যে ইন্টারপ্রেটেশন দিতেসে সেইটাতে আপনি বিশ্বাস করেন না, অন্যটায় বিশ্বাস করেন। তখন কী হবে?


- কিছুই হবেনা । তাই হবে যা রাষ্ট্র (শাসকরা) চায় । আর তাদের এ চাওয়ার ক্ষেত্রে (ন্যায়-অন্যায়- ব্যক্তি কিংবা ধর্মীয় স্বাধীনতা-নির্যাতিত ) এসব বিবেচ্য বিষয়ও নয়।বিবেচ্য বিষয় হলো শাসকের চাওয়া।

এই যে আপনি আপনার পছন্দমত ইন্টারপ্রেটেশন রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন, যেটা একটা সাংবিধানিকভাবে সেক্যুলার স্টেটের জন্যে মারাত্মক ভয়। আপনি রাষ্ট্র কে ইউজ করছেন ধর্মকে মেনিপুলেট করার জন্য।

- :( :(( :( :((

এই কারনে ভারতের আদালতের এই রায়ের বিরোধিতা করতে হবে।
ভারত দুনিয়ার সবচে বড় গণতন্ত্র থেকে দিন দিন পেছন দিকে যাইতে যাইতে এখন আপনাদের স্বপ্নের বিশ্বের মত একটা ধার্মিক শুয়োরের রাস্ট্রে পরিনত হচ্ছে, তফাত হচ্ছে আপ্নারা চান ইসলাম, তারা চায় হিন্দুইজম।এই রায় একটা বাজে রায়, এই রায় এর বিরোধীতা করলাম।


- আমরা সাধারন মানুষ শুধু তাই করতে পারব তবে এর বিরোধীতার সাথে সাথে আশা করব সর্বোচ্চ আদালতে ন্যায় বিচারের। কারন, বিচারকরা ই সাধারন মানুষের সর্বশেষ আশার জায়গা ।এটাও আশা করি সর্বোচ্চ আদালত তার রায় দেবার আগে মুসলিম আলেমদের সাথে এ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেই তার রায় ঘোষণা করবেন।

আপনাকে আবার ধন্যবাদ চমতকার আলোচনার জন্য । আশা করি সাথে - পাশে থাকবেন সবসময়। সাহায্য করবে জানার সীমাবদ্ধতা দূরীকরনে ও সত্য জানতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.