নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" লন্ডনের ভূগর্ভে (মাটির নীচে) গোপন মাদ্রাসা " - একি সত্যি না শুধুই সামাজিক মাধ্যমের প্রচারণা ? যদি থেকেই থাকে তাহলে সে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী কারা এবং কি তাদের উদ্দেশ্য? ( কৌতুহল - ৬ )।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫২

উৎসর্গ এবং যে মন্তব্যের সূত্রে এই পোস্ট - হাসান মাহবুব ভাইকে এবং উনার মন্তব্য - আচ্ছা, আপনি তো অনেক বিদ্বান মানুষ। অনেক পড়াশোনা আপনার। তো আপনার কাছে একটা বিষয়ের ফয়সালা জানতে চাই। বৃটেনের মাটির নিচে গোপন মাদ্রাসা এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই। - এ বিষয়ে ব্লগে পোস্ট দেখার পর এর ব্যাপারে আমারও কৌতুহল ছিল আরও বিশদ জানার । আর সেই কৌতুহল এবং হাসান মাহবুব ভাইয়ের মন্তব্য থেকেই -


ছবি - flickr.com

শুরু হলো লন্ডনের ভূগর্ভস্থ মাদ্রাসার সাথে সাথে ভূগর্ভস্থ স্থাপনার ব্যাপারে জানার চেষ্টা -

ভূগর্ভস্থ স্থাপনা সাধারনতঃ কল্পকাহিনী অ্যাডভেঞ্চার ফিকশন মুভিতে বেশী দেখা যায়। সায়েন্স ফিকশন ঘরানার বা ফ্যান্টাসি ছবির এক অন্যতম অনুষংগ থাকে ভূগর্ভস্থ স্থাপনা যেখানে প্রায়শই নানা রকম জটিল ও আধুনিক বৈজ্ঞানিক কাজ-কর্ম চলে। তবে সভ্যতার উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশে মানুষ ভূমি থেকে আকাশে যেমন পাড়ি জমিয়েছে ঠিক তেমনি পাতালেও (ভূগর্ভে) যাওয়ার চেষ্টা করেছে এবং যাচছে । আর পরিণতিতেই ভূগর্ভের নীচে মানুষ নানান রকম স্থাপনা গড়ে তুলেছে তা আমাদের দেশে কিংবা বিদেশ সব জায়গায়তেই। ভূগর্ভস্থ স্থাপনা সারা পৃ্থিবীতে নতুন কিছু নয় এবং কম বেশী আমরা সবাই তা দেখে থাকি আমাদের আশে-পাশেও যেগুলো মাটির উপরে ও নীচে বিদ্যমান । যেমন - আমাদের দেশে গুলিস্তানে পাতাল মার্কেট কিংবা ষ্কয়ার হাসপাতাল-পান্থপথ যার সমতল ভূমি থেকে মাটির নীচে মনে হয় কমপক্ষে ৩ স্তর (তলা) আছে । আবার গ্রামীণ ফোনের হেড অফিসেও তাই দেখেছি এর নির্মাণকালে। আমরা সাধারণতঃ এসব স্থাপনা দেখি যা ভূমির উপর-নীচে বিদ্যমান এবং এসব নির্মান হয় জায়গার সর্বোত্তম ব্যবহার কিংবা ভবন নির্মানের নিয়ম নীতির কারনেই এবং এসব তৈরী করা হয় আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে।

বিশ্বজুড়ে কিছু ভূগর্ভস্থ স্থাপনা -

আবার, বিশ্বজুড়েই ভূগর্ভস্থ কিছু স্থাপনা গড়ে উঠেছে সম্পূর্ণরূপে মাটির নীচে সেগুলি হয় নানা রকম বিজ্ঞানের গবেষণার কাজে কিংবা রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর-নিরাপত্তার বিষয়ের সাথে জড়িত অথবা জটিল-গোপনীয় কোন কাজে ব্যবহারের জন্য বা যুদ্ধকালীন ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে । যেমন - ইরান পাহাড় ঘেরা একটি পারমাণবিক স্থাপনা / গবেষনাগার গড়ে তুলেছে ভূগর্ভস্থে যার প্রধান কারন হয়ত ইসরাইলের বোমার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার জন্য ।


সার্ন,সুইজারল্যান্ড।
ছবি - pixels.com

আবার , সার্ন ( CERN - European Council for Nuclear Research) হল বিশ্বের বৃহত্তম পদার্থবিদ্যা গবেষণাগার যা ১৯৫৪ সালে ইউরোপের ১২ টি দেশ কর্তৃক স্থাপিত জেনেভা শহরের পশ্চিমে ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড-এর মধ্যকার সীমান্তে অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভূগর্ভস্থ স্থাপনাও বটে (এটি প্রায় ২৭ কিলোমিটার ) । এই টানেল বিখ্যাত খুব বেশী বাজেটের LHC লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (বৃহৎ হ্যাড্রন সংঘর্ষক পৃথিবীর বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী কণা ত্বরক এবং মানবনির্মিত বৃহত্তম যন্ত্র।একে ইংরেজিতে Large Hadron Collider সংক্ষেপে LHC নামে ডাকা হয়) এবং হিগস বোসন (ঈশ্বরকণা) র অস্তিত্ব প্রমাণে । ঈশ্বরকণার খোঁজে সেখানে প্রতিনিয়ত তোলপাড় চলছে এবং জেনেভায় সার্নের গবেষণাগারে এ নিয়ে গবেষণা চলছে প্রায় দেড় দশক ধরে ও এর পেছনে খরচ করা হয়েছে শত শত কোটি ডলার।


ভূগর্ভস্থ ট্রেন স্টেশন , বেইজিং ।
ছবি - roar.media

এছাড়া চীনে রয়েছে বিশ্বের গভীরতম ও বৃহত্তম দ্রুতগতির পাতাল ট্রেনের ভূগর্ভস্থ স্টেশন যা বেইজিং ও ঝাংজিয়াকউ শহরের মধ্যে।স্টেশনটির নির্মাণকাজ ২০১৬ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৯ সালে। ভূগর্ভস্থ এই স্টেশন ভূসমতল থেকে ৩৩৫ ফুট মাটির নিচে ও ৩৬ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এবং মাটির নিচে এর তিনতলা কাঠামো রয়েছে। প্রকৌশলীরা দক্ষতা ও বিশেষ যত্নের সঙ্গে চীনের মহাপ্রাচীরের নিচে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল খনন করেছেন যাতে চীনের মহাপ্রাচীরের কোন ক্ষতি না হয়।


বিশ্ব বীজ সংরক্ষণাগার, নরওয়ে।
ছবি - istockphoto.com

আবার, নরওয়ের পাহাড়ের ভেতরে সারা বিশ্বের মূল্যবান সব বীজ সংরক্ষণ করে রাখার জন্যে ১০ বছর আগে নরওয়েতে তৈরি করা হয়েছে গ্লোবাল সীড ভল্ট। এসব বীজ রাখা আছে আর্কটিক অঞ্চলের স্ভালবার্ডে একটি পাহাড়ের ভেতরে ভূগর্ভস্থ বীজ সংরক্ষনাগারে।সারা বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও শস্যের বৈচিত্র্য ধরে রাখা খুবই জরুরী। খরা, বন্যা কিম্বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্যশস্য যাতে কখনো হুমকির মুখে না পড়ে সেকারণেই এই উদ্যোগ।এই গুদাম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগেই এটি অক্ষত থাকে। গুদামের ভেতরের তাপমাত্রা মায়নাস আঠারো ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সেখানে কোনো কোনো বীজ চার হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে থাকতে পারবে।


ইউরো টানেল,যুক্তরাজ্য।
ছবি - dreamstime.com

এদিকে ইউরো টানেল একটি ৫০.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল রেল সুড়ঙ্গ যা সাগরের তলদেশ দিয়ে বিস্তৃত। এটি যুক্তরাজ্যের ফোকস্টোন শহরকে ফ্রান্সের কোকুয়েলস শহরের সাথে যুক্ত করেছে। ইংলিশ চ্যানেলের উপসাগরের মধ্যে দিয়ে চ্যানেল টানেলটি নির্মিত হয়েছে। এর সর্বনিম্ন পয়েন্টের দৈর্ঘ্য ৭৫ মিটার। ৩৭.৯ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে টানেলটির সমুদ্রতলে যে পরিমাণ দৈর্ঘ্য তা বিশ্বের দীর্ঘতম। টানেলে তিনটি সুড়ঙ্গ রয়েছে যার দুটি দিয়ে ট্রেণ চলাচল করে এবং তৃতীয়টি মেরামত-সংরক্ষণ কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর নির্মাণ কাজ ১৯৮৮ সালে শুরু হয় এবং ১৯৯৪ সালে এই টানেল রেল চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। এই টানেল দিয়ে ইউরোস্টার নামীয় রেল পরিষেবা চালু রয়েছে। এছাড়া ইউরোটানেল শাটল রয়েছে যেটা দিয়ে মোটরগাড়ী ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। সমুদ্রতলে এধরনের সেবার দিক থেকে এটাই বিশ্বের সর্ববৃহৎ। টানেলের দুই প্রান্তে দুটি রেলস্টেশান রয়েছে এবং টানেল পাড়ি দিয়ে এক স্টেশান থেকে অন্যটিতে পৌঁছাতে প্রায় ৩৫ মিনিট সময় লাগে।

কাজেই ভূগর্ভস্থ স্থাপনা বিশ্বে নতুন কিছু নয় এবং সারা দুনিয়ার সবাই কমবেশী এর সাথে পরিচিত। তারপরেও যেহেতু লন্ডনের পাতাল স্থাপনার সাথে ইসলামের একটি বিষয় (মাদ্রাসা) জড়িত এবং অনেকেরই ধারনা হলো মাদ্রাসা মানে জংগী তৈরীর কারখানা তাই এ নিয়ে মাতামাতি বা কৌতুহল সবারই বেশী । আর এই কৌতুহল নিবারনের জন্যই আমার যাত্রা শুরু লন্ডনের ভূগর্ভের (পাতালের) গোপন মাদ্রাসার খোজে।

আমাদের আলোচ্য বিষয় লন্ডনের ভূগর্ভস্থ (মাটির নীচে) গোপন মাদ্রাসা -

আমাদের আলোচ্য বিষয়, "লন্ডনের মাটির নীচের গোপন মাদ্রাসা"র খোজে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে (সংবাদপত্র-গুগল-উইকিপিডিয়া-নিবন্ধ-প্রবন্ধ-বই) চালালাম চিরুনী অভিযান। এত সব আমার এত সব প্রচেষ্টা ব্যর্থই বলা যায় কারন, এ জাতীয় কোন মাদ্রাসা/মসজিদ/শিক্ষালয়ের সন্ধান পেলামনা যুক্তরাজ্যে (ইংল্যান্ডে) যদিও সেখানে প্রায় ২০০০ মসজিদ এবং ইসলামিক প্রার্থনা কক্ষ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। তবে, এ ব্যাপারে মোট তিনটি লেখা পাই । যেগুলো -

১। একটি লেখা পাই " সিলেট রিপোর্ট" নামের একটি অনলাইন পোর্টালে, যা প্রকাশ হয়েছে ২২ শে আগস্ট ২০১৭ সালে।

২। আরেকটি লেখা পাই "সবার জন্য ইসলাম" নামের আরেকটি অনলাইন পোর্টালে, যা প্রকাশ হয়েছে ৬ ই ডিসেম্বর ২০১২ সালে ।

৩। তৃতীয় লেখাটি পাই প্রফেসর ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান (Gen & Lap Surgeon- Prof of Surgery - ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল / চেয়ারম্যান , কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন ) এর লিখা "যে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুসলিম জাতি ও বিশ্বমানবতার মূল জ্ঞানে ভুল ঢুকানো হয়েছে" বইয়ে।

লিংক - Click This Link

১। সিলেট রিপোর্ট তাদের লেখায় এ লেখার সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে বা বলা হয়েছে, " প্রতিবেদনটি ভারতের উর্দু পাক্ষিক সাময়িকী ‘তামির-ই-হায়াত’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুবাদ"।

প্রতিবেদনটির মূল বিষয়বস্তু হলো, " ভারতের নওয়াব ছাতারীর দেখা এক স্থাপনা এবং তার কার্যক্রম"। প্রতিবেদনটি মূল বক্তব্য গুছিয়ে বাংলাদেশের দৈনিক ইনকিলাবে ২ রা এপ্রিল ১৯৯৮ ইং তারিখে " বৃটেনের মাটির তলায় খৃস্টানদের গোপন মাদ্রাসা" শিরোনামে প্রকাশ হয়। আর সেই আলোচ্য ঘটনাটি আজ থেকে শত বর্ষ আগের।

এবার শুরু হলো ভারতের 'নওয়াব ছাতারী'র সম্পর্কে তথ্য জানার প্রচেষ্টা। তবে তাতেও খুব সফল হয়েছি বলা যায়না তবে এতটুকু জেনেছি (তাও প্রথম সারির কোন সংবাদ মাধ্যমে উনার ব্যাপারে কোন তথ্য পাইনি), নওয়াব ছাতারী আলিগড়ের জমিদার ছিলেন।

২। " সবার জন্য ইসলাম" নামের পোর্টালে লেখার সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হ্যামফের (Hampher) নামক এক বৃটিশ গোয়েন্দার লেখা একটি ডায়েরী যা বিখ্যাত জার্মান পত্রিকা ইসপিগল পরবর্তীতে ডায়েরীটির লেখাগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে এবং ডায়েরী থেকে জানা যায় খৃস্টানরা এক মহা পরিকল্পনা গ্রহন করেছে ইসলামের বিরুদ্ধে এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পশ্চিমারা এ ধরনের মিশনে নেমে পড়েছেন ।

৩। তৃতীয় লেখাটি পাই প্রফেসর ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান তার লেখা "যে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুসলিম জাতি ও বিশ্বমানবতার মূল জ্ঞানে ভুল ঢুকানো হয়েছে" বইয়ে সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যথারীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হ্যামফের (Hampher) নামক এক বৃটিশ গোয়েন্দার লেখা একটি ডায়েরীকে।

পরবর্তীতে বাংলাদেশে বই হিসাবে, " ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নিয়োজিত এক ব্রিটিশ গোয়েন্দার ডায়েরী" নামে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী ২০০৬ সালে প্রকাশ করেন মোঃ এ আর খান ও এ জে আব্দুল মোমেন নামে দুইজন।

বৃটিশ গোয়েন্দার ডায়েরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা বইয়ে বলা হয়েছে -

১। পৃষ্ঠা নং ১৭ - আমাকে মুসলমানদের মধ্যে উপদল সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একজন গোয়েন্দা হিসাবে মিশর,ইরাক,হেজাজ ও ইস্তাম্বুলে প্রেরণ করা হয় । আমাদেরকে তথ্য-অর্থ-ম্যাপ-রাষ্ট্রপ্রধান-ইসলামী বিশেষজ্ঞদের তালিকা দেয়া হয়। ইসলামী খেলাফের কেন্দ্র ইস্তাম্বুলে পৌছে আমি স্থানীয় মুসলমানদের মাতৃভাষা তুর্কি শিক্ষা শুরু করি এবং সাথে সাথে তুর্কি ভাষার খুটিনাটি । আমি সেখানে পরিচিত হই মুহাম্মদ নামে এবং মসজিদে যাওয়া শুরু করি।
২। পৃষ্ঠা নং ১৮ - ইস্তাম্বুলে আমি আহম্মদ ইফেন্দি নামক একজন ইসলামী বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করি যিনি সবসময় হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জীবন-যাপন প্রণালী অনুসরন করতেন।একদিন আমি তাকে বললাম , আমার মা-বাবা-ভাই-বোন কেহ নাই এবং আমি এখানে এসেছি কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন গড়ে ইহকালের সাথে সাথে পরকালেরও ব্যবস্থা করতে। তারপর আহম্মদ ইফেন্দির মাধ্যমে আমি দুই বছরে কোরআন অধ্যয়ন শেষ করি।
৩। পৃষ্ঠা নং ২০ - দিনের কাজ শেষে আমি আসরের নামায পড়তে মসজিদে যেতাম এবং সেখানে মাগরিব নামায পর্যন্ত থাকতাম। তারপর আহম্মদ ইফেন্দির বাসায় যেতাম, সেখানে তিনি আমাকে আরবী ও তুর্কি ভাষায় উত্তমভাবে দুই ঘন্টা কোরআন শিক্ষা দিতেন।
৪। পৃষ্ঠা নং ২২ - প্রথম মিশনে আমি আরবী ও তুর্কি ভাষায় কুরআন ও শরীয়ত শিক্ষায় ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছিলাম, যার ফলে লন্ডনে ফেরার পর সফলতার দিক দিয়ে আমাকে ৩য় স্থান দেওয়া হয়।

- মন্ত্রণালয়ের সচিব আমাকে জানান পরবর্তী মিশনে আমার কাজ দুটি -

১। মুসলমানদের দুর্বল (বিশেষ করে জ্ঞানের) জায়গাগুলো খুঁজে বের করা।
২। ঐ পথে তাদের দেহে প্রবেশ করা ও তাদের জোড়াগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া কারন এটাই শত্রুকে পরাজিত করার মূল পথ।

৫। পৃষ্ঠা নং ৩২ - দ্বিতীয় মিশনে আমি বসরায় পৌছি এবং ইসলামের এক বিশিষ্ঠ ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলে উভয়ে মিলে কোরআনের নতুন ব্যাখ্যা দিতে শুরু করি।আমার উদ্দেশ্যে ছিল তাকে ভুল পথে পরিচালিত করা।
৬। পৃষ্ঠা নং ৬০ - ইস্তাম্বুলে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান। তারা দক্ষতার সাথে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। তারা মুসলমানদের সাথে মিলে-মিশে মাদ্রাসা খুলেছেন ------------

ব্রিটিশ গোয়েন্দার ডায়েরীর তথ্যকে সত্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে যেসব কারনে -

১। গোয়েন্দাদের সাথে মিলেমিশে মাদ্রাসা খোলা যেখানে মাদ্রাসার গুরুত্বেপূর্ণ পদগুলো তাদের দখলে থাকাই তা প্রমাণ করে।ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর ১৮৫০ সাল থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত ৭৭ বছরে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ২৬ জন অধ্যক্ষ ছিলেন খ্রিস্টান।
২। তাছাড়া সিলেবাসের পঠিত বিষয়ে ভুল ঢুকানোর বিষয়ে সাধারন জ্ঞানের প্রমাণ / মুসলিমরা নানা দল-উপদলে ভাগ হয়ে যাওয়া /ইসলামের প্রকৃত বিশেষজ্ঞদের রায় বদলে দেয়া ইত্যাদি।

সবার তথ্যসূত্র আলাদা আলাদা বা কিছু বিষয় এক হলেও মূল আলোচ্য বিষয় একই, যেখানে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে অন্য ধর্মের অনুসারীদের ইসলামের রীতি-নীতিতে অভিজ্ঞ করে তোলা হয়। পরবর্তীতে তাদের ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় যদিও তখন তাদের সমাজে-দেশে-বিশ্বে পরিচিতি হয় ইসলামী চিন্তাবিদ-আলেম হিসাবে এবং তারা তাদের অর্জিত এ জ্ঞান ব্যয় করেন ইসলামের ক্ষতির জন্য। তাদের ভাষ্যমতে, এ শিক্ষার সিলেবাসে এমন কিছু ভুল কৌশলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, যাতে সকল মাদ্রাসা ছাত্রগণই ভুল ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠে। এর ফলে তারা কোরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে ইসলামে বিভিন্ন রকম কোন্দলের সৃষ্টি করে, যার পরিণতিতে ইসলামে বিভিন্ন দল ও উপদলের সৃষ্টি হতে শুরু করে

এ সকল কাজে প্রতিবেদনে তাদের দুইটি উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে । যথা -

১। মুসলমানদের দুর্বল (বিশেষ করে জ্ঞানের) জায়গাগুলো খুঁজে বের করা।
২। ঐ দুর্বলতাগুলোকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম সমাজে প্রবেশ করা এবং তাদের ক্ষতি করা। এ অনেকটা মিশনারীদের কাজের মত এবং এ কাজের উদ্দেশ্যে তারা সারা দুনিয়ার মুসলিম দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।


মূল বিষয়ে সবার প্রতিবেদনেরই বিস্তারিত বিবরণ এরকম -

ভারতের আলীগড়ের একসময়ের নওয়াব ছাতারী, যিনি ভারতে বৃটিশ প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠায় ইংরেজদের সার্বিক সহযোগী ছিলেন। আনুগত্যের পুরষ্কার হিসাবে পরবর্তীতে তিনি উত্তর প্রদেশের গভর্ণর নিযুক্ত হন। উত্তর প্রদেশে অনেক ইংরেজ, কালেক্টরেট পদে বদলী হয়ে আসেন। ইংরেজদের সহযোগী হিসাবে ছাতারীর সাথে ঐ সব কালেক্টরদের বিশেষ বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। একবার বৃটিশ সরকার ভারতবর্ষের সকল গভর্ণরদের বৃটেনে ডেকে পাঠান। ঠিক ঐ সময়টিতে বৃটেনে অবস্থানরত ছাতারীর এক পুরাতন ইংরেজ বন্ধু, কালেক্টরেট ও কমিশনারের সাথে তার দেখা হয়ে গেলে তার কাছে "বৃটেনে বিশেষ কিছু কি আছে" যদি থেকে থাকে তবে তা পরিদর্শনের ইচ্ছা পোষন করেন। ঐ কমিশনার তখন ছাতারীকে বৃটিশ সরকারের লিখিত অনুমোদন স্বাপেক্ষে একটি বিশেষ স্থান পরিদর্শনে নিয়ে যান। বন্ধুর সহযোগিতায় লোকালয় থেকে বহু দূরে, এক গভীর অরণ্যে, সেনা ছাওনীর অভ্যন্তরে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতরে গড়ে উঠা একটি বিশাল মাদ্রাসা পরিদর্শন করার সৌভাগ্য লাভ করেন তিনি। সেখানে তিনি দেখতে পান, আরবী শিক্ষা ও ইসলামী জ্ঞানে বিশেষজ্ঞ তৈরী করার এক বিশাল কারখানা, যেখানে আধুনিক, উন্নত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোরআন, হাদিস, আরবী সাহিত্য ও ইসলামের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় সমূহ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বন্ধুর বদান্যতায়, তিনি আরো একটি বিষয় জানতে পারেন যে, ঐ মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও ছাত্রগণই, বৃটিশ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও খৃস্টান পাদ্রী। ওখান থেকেই বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে, গোয়েন্দাদেরকে বিশেষ মিশনে পাঠানো হতো মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে। সেখানে তারা নানা রকম ছলা-কলা ও কৌশলের আশ্রয় নিয়ে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, ছোট বাচ্চাদের কুরআনের গৃহশিক্ষক, মাদ্রাসার মুহাদ্দিস বা মুফতি হিসাবে ঢুকে পড়ত। যেহেতু তারা আরবী সাহিত্যে ও ইসলামী জ্ঞানে পারদর্শী, তাই নিয়োগ পেতে তাদেরকে তেমন কোন সমস্যায়ই পড়তে হতো না।

কাফিররা অনেক আগে থেকে মুসলমানদের দ্বীন ধ্বংসের চক্রান্ত শুরু করে। আজকাল দেখবেন, হঠাৎ নতুন নতুন অনেক কথিত আলেম তথা ইসলামী স্কলার গজিয়ে যায়। তারা এমন সব কথা বলে, এমন সব বিষয়ে অভিজ্ঞতা দেখায়, যা সাধারণ আলেমরা পারে না। তারা এমন সব নতুন নতুন তত্ত্ব দেয়, যা কুরআন-হাদীসের কোথাও খুজে পাওয়া যায় না। তারা ইসলামী লেবাস পরে থাকে, কিন্তু কথায় কথায় নবীজিকে, নবীজির পরিবারকে, সাহাবীগণ ও আউলিয়াগণকে কটাক্ষ করে। ইনিয়ে-বিনিয়ে নতুন নতুন কথা বলে মানুষ নতুন পথে পরিচালিত করতে চায়। কিন্তু সে সকল মওলানা, আলেম কিংবা ইসলামী স্কলারগুলো কোথা থেকে আসলো ?

তারা কি সত্যিই মুসলমান ? নাকি ব্রিটেনের ঐ গোপন মাদ্রাসা থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত খ্রিস্টান।

পুনঃশ্চ / আমার অভিমত - আলোচ্য ঘটনাটি অনেক আগের এবং আসলেই এ জাতীয় মাদ্রাসার অস্তিত্ত্ব আছে কি নেই তা এক বিশাল প্রশ্ন । কারন, আধুনিক কালে অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে এবং গুগল নামক দৈত্যের কল্যাণে এ বিষয় এত দিন কোন ভাবেই চাপা থাকত না বা সকল প্রকার প্রথম সারির গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য থাকত। আরও থাকত উইকিপিডিয়া নামক জ্ঞানের বইয়েও।

আবার, অন্য ধর্মের অনুসারীদের ইসলাম সম্পর্কে পড়া-জানা না দোষের না এতে ইসলামের অবমাননা হয়। কারন,অন্য ধর্মের অনুসারীদের ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা ও আগ্রহের কারনেই আজও অনেকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে বা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। অন্যদিকে, যে কোন দুইটি বিষয়ের মাঝে যখন তুলনামূলক আলোচনা (compartive study বা তুলনামূলক আলোচনা বিশ্ব জুড়েই আছে) হয় তখনই উভয়ের মাঝের ভাল-খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে জানা যায় এবং খারাপ বর্জন করার ও ভালকে গ্রহণ করার সুযোগ আসে আমাদের সামনে। এখন যদি অন্য ধর্মের (হিন্দু-ইয়াহুদী বা খৃস্টান) অনুসারীরা তাদের ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মের তুলনামূলক আলোচনা করে বা ইসলাম সম্পর্কে জানে এবং পরবতীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাহলে এতে আপাতভাবে কোন দোষের কিছু দেখা যায়না বরং তা মানব ধর্ম ইসলামের ই জয়-জয়কার। তাইতো আমরা দেখি, আমাদের ইসলামের মহাগ্রন্থ আল কোরআনের প্রথম বাংলার অনুবাদ একজন অন্য ধর্মের (হিন্দু) মানুষ করেছেন।

তবে, এসবই সম্ভব হবে যদি তারা সৎ ও জানার উদ্দেশ্যেই তা করেন। তবে এদের মাঝে কেউ কেউ যদি তাদের সেই জানাটাকে ইসলামের ক্ষতির জন্য ব্যবহার করেন বা সেই উদ্দেশ্যে জানার চেষ্টা করেন তবে তা ভিন্ন। আর সকল ধর্মেই জ্ঞান আহরনের কথা বলা হয়েছে । বলা হয়েছে সেই আহরিত জ্ঞানকে মানব কল্যাণের জন্য ব্যয় করতে। সাথে সাথে সকল ধর্মেই কর্মফলের (ভাল কাজের জন্য পুরষ্কার এবং খারাপ কাজের জন্য শাস্তি ) কথাও বলা হয়েছে ।

যারা মুখে এক আর অন্তরে আরেক ইসালমে তাদেরকে বলা হয়েছে তারা মুনাফিক। মুনাফিকের পরিচয় সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, " আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্র "। (সুরা বাকারা, আয়াত - ১৪) ।

তাদের ব্যাপারে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে, "তাদেরকে যখন বলা হয় আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার দিকে এবং রাসূলের দিকে আস, তখন মুনাফিকদেরকে আপনি আপনার কাছ থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখবেন "। (সুরা নিসা, আয়াত - ৬১).

ইসলামে মুনাফিকদের শাস্তির ব্যাপারে বলা হয়েছে -

"নিশ্চয় মুনাফিকগণ জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে, আর আপনি তাদের সাহায্যকারী হিসেবে কখনও কাউকে পাবেন না"। (সুরা নিসা, আয়াত - ১৪৫)

এ ব্যাপারে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে, "মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক মহিলা সকলেই পরস্পর অনুরূপ ভাবাপন্ন, তারা অন্যায় কাজের প্ররোচনা দেয় এবং ভাল ও ন্যায় কাজ হতে বিরত রাখে এবং কল্যাণকর কাজ হতে নিজেদের হস্ত ফিরিয়ে রাখে। এরা আল্লাহকে ভুলে গিয়েছে, ফলে আল্লাহও তাদের ভুলে গেছেন। এ মুনাফিকরাই হল ফাসেক"।(সুরা তওবা, আয়াত - ৬৭)

তাদের ব্যাপারে আরো বলা হয়েছে," আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ, মুনাফিক নারী ও কাফেরদেরকে জাহান্নামের আগুনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, এটা তাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাদেরকে অভিশাপ করেছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী শাস্তি। "।(সুরা তওবা, আয়াত - ৬৮)।


মহান আল্লাহপাক আমাদের সকলকে সকল বিষয়ে সঠিক জিনিষ জানার-বুঝার তওফিক দান করুন এবং মুনাফেকী থেকে হেফাজত করুন। সাথে সাথে ক্ষমা-মাগফেরাত ও সঠিক পথ দেখান তাদের যারা এ জাতীয় ঘৃণ্য কাজে নিজের অর্জিত এলেম (জ্ঞান) ব্যয় করেন।

জবাবদিহীতা/স্বীকারোক্তি - পুরো লেখাটাই আমার নিরপেক্ষভাবে এ বিষয়ে জানার জন্য ও তারই ফল। এই প্রচেষ্টায় কোথাও না আমি এ মতবাদের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কিছু বলেতে চেয়েছি। আমি নিজের চোখে কিছুই দেখিনি বা দেখা সম্ভবও নয় । আমার সামান্য কয়েক দিনের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র অনলাইনের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল , তাই এ বিষয়ে সব তথ্য জানা মোটেই সম্ভব নয়। আর তাই আমার লেখার বাইরে আরও অনেক তথ্য থাকতে পারে যা আমি জানিনা । এর বাইরে যদি কেউ কোন তথ্য (প্রমাণ সহ) জানেন তাহলে আমার জানার সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো এবং মন্তব্যের সাথে শেয়ার করলে আমরা সবাই সঠিক জিনিষ জানতে পারব ।

তথ্যসূত্র - সিএনএন,বিবিসি, সবার জন্য ইসলাম - ৬ ই ডিসেম্বর২০১২, সিলেট রিপোর্ট, ২২ শে আগস্ট ,২০১৭ এবং বই "যে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুসলিম জাতি ও বিশ্বমানবতার মূল জ্ঞানে ভুল ঢুকানো হয়েছে" - লেখক -প্রফেসর ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান ।
==============================================================

পূর্ববর্তী পোস্ট -

" কৌতুহল - ৫ " Click This Link
" পৃথিবীর কসাইখানা শিকাগো " - শিকাগোকে কেন পৃথিবীর কশাইখানা বলা হয় ?

" কৌতুহল - ৪ " Click This Link
মিনিকেট নামে কোন ধান নেই ॥ খাদ্যমন্ত্রী ॥ তবে মিনিকেটের নামে আমরা কি খাচছি এবং বাজারে মিনিকেট চাল নামে আসলে কি বিক্রয় হচছে ?

"কৌতুহল - ২ / ২ " - " ডারউইনের বিবর্তনবাদ " - মানুষ কি এপ-প্রাইমেট (বানর) থেকে এসেছে বা পৃথিবীতে মানুষের শুরু কিভাবে হয়েছে? এ ব্যাপারে ধর্ম ও বিজ্ঞানেরই বা কি অভিমত ?
Click This Link

"কৌতুহল - ২ / ১ " - " ডারউইনের বিবর্তনবাদ " - মানুষ কি এপ-প্রাইমেট (বানর) থেকে এসেছে বা পৃথিবীতে মানুষের শুরু কিভাবে হয়েছে? এ ব্যাপারে ধর্ম ও বিজ্ঞানেরই বা কি অভিমত ?
Click This Link

"কৌতুহল -১"- আমেরিকার প্রেসিডেন্টরা ২০ জানুয়ারি কেন শপথ নেন? Click This Link

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা বোঝাই দায়।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

কিছু কিছু ব্যাপারে আসলেই ধাধায় পড়ে যেতে হয় এবং সিদ্ধান্ত নেয়া মুশকিল হয়ে পড়ে,বিশেষ করে এ জাতীয় ব্যাপারে।

আর তাই এসব বিষয়ে যে কোন কিছু বলা-লেখা বা অনুসরন করার আগে অনেক কিছু জানা এবং নানা ভাবে যতটুকু সম্ভব যাচাই - বাছাই করেই কোন সিদ্ধান্তে আসা উচিত। কারন, এ জাতীয় বিষয়গুলি খুবই সংবেদনশীল এবং যে কারো সামান্য একটু ভূলেই অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
দেবতাদের সন্তুষ্টির জন্য পশুবলি দেয়ার প্রথাকে যারা বর্বরতা আর কুসংস্কার হিসেবে মনে করেন তারাই আবার কুরবানি কত মহান সে বিষয়ে নসিহত করেন, এটা কি হিপোক্রেসি নয়?

২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

আসসালামু আলাইকুম।

- ওয়ালাইকুমুস সালাম।

দেবতাদের সন্তুষ্টির জন্য পশুবলি দেয়ার প্রথাকে যারা বর্বরতা আর কুসংস্কার হিসেবে মনে করেন তারাই আবার কুরবানি কত মহান সে বিষয়ে নসিহত করেন, এটা কি হিপোক্রেসি নয়?

- প্রত্যেক ধর্মের পালনীয়-করণীয় বিষয়গুলির মাঝে মানুষের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়ের সাথে সাথে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষারও একটা ব্যাপার আছে , যা সৃষ্টিকর্তা সঠিকভাবে অবগত এবং এসবই মানুষ ও বাকীদের মংগলের জন্যই।

খাদ্য শৃংখলে আমরা দেখি , একটি জীব অন্য জীবনের বিনিময়ে বেচে থাকে এবং এর ফলেই খাদ্যশৃংখলে যুগ যুগ ধরে শৃংখলা চলে আসছে । এখন মানুষ যদি কোন কারনে প্রাণী (গরু-ছাগল-ভেড়া-দুম্বা) না খায় তাহলে খাদ্য শৃংখলা ভেংগে পড়বে এবং কোন প্রাণী হঠাৎ বেড়ে গিয়ে পরিবেশে অনেক সমস্যা তৈরী করবে।

যেমন - এর নমুনা দেখি, মোদির জামানায় তার রামরাজ্যে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ । সেখানে দেখেন গো মাতা নিয়ে বাড়াবাড়ির ফলে কত সমস্যার মুখোমুখি হচছে তারা । আবার অস্ট্রেলিয়ায় দেখেন ক্যাঙ্গারু ও উঠ নিয়ে কি পেরেশানীতে আছে।

কাজেই সৃষ্টিকর্তা নির্দেশিত কিছু বিষয় আছে আপাতভাবে যা খারাপ বলে মনে হতে পারে অনেকের (প্রাণী-পরিবেশবাদী ও নিরামিষাষী) মাঝে , তবে দীর্ঘমেয়াদে এর সুফলও না মানার কোন অবকাশ নেই।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:২৯

সাসুম বলেছেন: ডাক্তার মতিয়ারের গাঁজাখুরি বই যারা পড়তে চান

আপনাকে বিশাল ধন্যবাদ হামা ভাইর একটা সিম্পল প্রশ্নের রিপ্লাই না দিয়ে এত বড় একখানা রচনা লিখার জন্য।

এখন আমাকে বলবেন, আপনি জানাতে না চাইলেও আমি জোর করে জানতে চাই-

এই যে আপনি ৩ টা সোর্স থেকে সূত্র কালেকশান করলেন এবং ডেটা ও ইনফো মিলাইলেন এতে কি মনে হয় আপনার?? এই যে গাঁজাখুরি লজিক ও ইনফরমেশান এটাকে কি সত্য ধরার কোন উপায় আছে?

আপনি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন এই প্রশ্ন থেকে বাট আপনাকে আমি এড়াতে দিব না।

আপনি আমাদের কে জানাবেন, এই গাঁজাখুরি ঘটনা নিয়ে আপনি কি ভাবছেন। হামা ভাই ও আপনার কাছ থেকে ঠিক এটাই জানতে চাইছিল। আপনি এখানে এত বড় ঘটনা কই থেকে পাইছেন সেটা বর্ণনা করছেন বাট সেটা সত্য বা মিথ্যা বলে মনে হয় এমন কোন ভার্ডিক্ট আনেন নাই।

আপনি পড়ালেখা করা মানুষ, আপনি সচেতন মানুষ, আপনি আপনার এই নিজের লিখা পড়ার পরেই সাথে সাথে ভারডিক্টে চলে আসার কথা এই গাজাখুরি গল্প ধার্মিক কের আজগুবি কল্পনা নাকি সত্য ঘটনা।

আপনি কেন আমাদের পাঠক দের উপর ছেড়ে দিবেন সেটা যাচাই করার জন্য? আমরা চাইলেই তো গুগুল করে খুজতে পারি আপনার সেইম ইনফো।

আমার জানার ইচ্ছা, আপনি নিজে কি ভাবেন। তাইলে ঐসব অজমূর্খ ধার্মিক যারা এই গালগল্প বিলিভ করে তাদের দের সাথে আপনার চিন্তার তফাত করতে পারতাম।

এটা জানার ইচ্ছা রইল।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

ডাক্তার মতিয়ারের গাঁজাখুরি বই যারা পড়তে চান

- আমি তা গাঁজাখুরি বলবো না যদিও কিছু বিষয়ে বা লেখার সাথে আমার দ্বিমত আছে।

আপনাকে বিশাল ধন্যবাদ হামা ভাইর একটা সিম্পল প্রশ্নের রিপ্লাই না দিয়ে এত বড় একখানা রচনা লিখার জন্য।

- ভাই , আমি আমার জবাবে হাসান মাহবুব ভাইকে বলেছিলাম এ ব্যাপারে বিশদ জেনে একটা লেখা লিখব এবং জানার জন্য রচনা লেখা-পড়াকে আমি দোষের বলে মনে করিনা । আর আমার তাই আসে :P (রচনা লিকা), আই কিয়া কত্তাম - কইনচেন দেহি ;) আপনে।

এখন আমাকে বলবেন, আপনি জানাতে না চাইলেও আমি জোর করে জানতে চাই- এই যে আপনি ৩ টা সোর্স থেকে সূত্র কালেকশান করলেন এবং ডেটা ও ইনফো মিলাইলেন এতে কি মনে হয় আপনার?? এই যে গাঁজাখুরি লজিক ও ইনফরমেশান এটাকে কি সত্য ধরার কোন উপায় আছে? আপনি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন এই প্রশ্ন থেকে বাট আপনাকে আমি এড়াতে দিব না।

- আমি আপনের সাথে এহন খেলুম :(( না । যা বুঝার আমাকে-আপনাকে নিজের বিবেককে ব্যবহার করে জেনে ও মেনে নিতে হবে।

আপনি আমাদের কে জানাবেন, এই গাঁজাখুরি ঘটনা নিয়ে আপনি কি ভাবছেন। হামা ভাই ও আপনার কাছ থেকে ঠিক এটাই জানতে চাইছিল। আপনি এখানে এত বড় ঘটনা কই থেকে পাইছেন সেটা বর্ণনা করছেন বাট সেটা সত্য বা মিথ্যা বলে মনে হয় এমন কোন ভার্ডিক্ট আনেন নাই।

- আবারো ভাইজান , এই গাঁজাখুরি শব্দটাতে আমার একটু আপত্তি আছে । হয়ত এর সবগুলি তথ্য আমাদের কাছে সত্য বলে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট মনে হয়নি আবার এর সবটাই যে মিথ্যা তারও কোন যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।এখানে doubt of benefit যে কোন দিকে যাবে এ যার যার বিবেকের ব্যাপার (যেমন করেন ক্রিকেট আম্পায়ার) । একের নেয়া সিদ্ধান্ত অন্যের কাছে নির্ভুল মনে নাও হতে পারে।

আপনি পড়ালেখা করা মানুষ, আপনি সচেতন মানুষ, আপনি আপনার এই নিজের লিখা পড়ার পরেই সাথে সাথে ভারডিক্টে চলে আসার কথা এই গাজাখুরি গল্প ধার্মিক কের আজগুবি কল্পনা নাকি সত্য ঘটনা।

- আবার সেই doubt of benefit এ ফিরে আসি। আর তাই ------------

আপনি কেন আমাদের পাঠক দের উপর ছেড়ে দিবেন সেটা যাচাই করার জন্য? আমরা চাইলেই তো গুগুল করে খুজতে পারি আপনার সেইম ইনফো।

- একই বিষয়ে বিচারের রায় বিচারক ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আর এটাই নিয়ম কারন মানুষ ভেদে দৃষ্টিকোণ ভিন্ন হয়ে থাকে। আর ন্যায়-অন্যায় নির্ভর বিচারক-ব্যক্তির দৃষ্টিকোণের উপর। আর তাইতো একই অপরাধে কোন বিচারক কোন সাজা না দিলেও অন্য বিচারক সেই একই অপরাধে মৃত্যুদণ্ডও দিয়ে দেন । কারন, এ ব্যাপারে কোন সর্বজনীন নিয়ম নেই। এ(ন্যায়-অন্যায়-ভাল-খারাপ) যার যার মানষিকতার উপর নির্ভর করে।

আমার জানার ইচ্ছা, আপনি নিজে কি ভাবেন। তাইলে ঐসব অজমূর্খ ধার্মিক যারা এই গালগল্প বিলিভ করে তাদের দের সাথে আপনার চিন্তার তফাত করতে পারতাম।এটা জানার ইচ্ছা রইল।

- আমি এ রকম তথ্যের বিষয়ে জানার সাথে সাথে পরিপার্শ্বিক অবস্থা-বিষয়-তথ্যদাতার উপযুক্ততার প্রতিই নজর দিব। আর ইসলাম ধর্মেও বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে।আর এ বিষয়টা এমন নয় যে তাকে আমি বিশ্বাস না করলে ধর্মের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে কিংবা আমি ধর্মদ্রোহী হব। কারন । এগুলি ধর্মের মৌলিক বিষয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ ও অবশ্য পালনীয় কোন বিষয় নয়। আর এ বিষয়টা আমার নিকট বিতর্কিত বিষয় বলেই মনে হচছে যেখানে সত্য থাকলেও আরেকটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে নিয়ে জড়িত বিষয় আছে এবং এ ব্যাপারে একটু এদিক-সেদিক হলেই সামাজিক বিশৃংখলার অবকাশ থেকে যায়। কাজেই , এসব ব্যাপারে কথা বলতে (পক্ষে-বিপক্ষে) সবারই সতর্কতার সাথে কথা বলা উচিত।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সাসুম ভাই , আরেকটা বিষয় -

ইসলামের মৌলিক (অবশ্য পালনীয়) বিষয়ের ব্যাপারে (কালেমা-নামাজ-রোযা-যাকাত-হজ) আমি কোন আপোষে রাজী নই এবং এ ব্যাপারে পুরোপুরি ভাবে ধর্মে যা বলা আছে তাতে আমি বিশ্বাস এবং মানতে-পালন করতে চেষ্টা করি ।

আবার ইসলাম ধর্মের উৎস হিসাবে আল কোরআন-হাদীসে যা বলা আছে তাতেও সন্দেহ প্রকাশের অবকাশ মুসলমানদের কারোর জন্য কোন সুযোগ নেই। আল কোরআনে ও হাদীসে যা নেই সেগুলির ব্যাপারে ইজমা-কিয়াস পর্যন্ত না মানারও অবকাশ নেই। তবে এর বাইরের যে কোন বিষয়ে সমাজে প্রচলিত ও প্রায় সবার নিকট গ্রহনযোগ্য মতে চলতে আপত্তি নেই (যেমন - করোনা কালে মসজিদের জামাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে ফাকা ফাকা হয়ে দাড়ানো, যদিও ইসলামের নির্দেশ জামাতে কাধে কাধ মিলিয়ে , একের মাঝে অন্যের কোন ফাক না রেখে দাড়ানো ) ।

এর বাইরে , যে কোন বিতর্কিত বিষয়ে জড়ানোতে আমার আপত্তি আছে। কারন, বাকী সব বিষয়গুলি একজন সাধারন মুসলমানদের এখতিয়ারে বাইরে বলে আমি মনে করি। যেমন - যে কোন মাসলা - মাসয়েলের জবাব দিবেন ফকিহ কিংবা আলেমগণ , সাধারণ মানুষ নয়।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

ছদকার ছাগল বলেছেন: বিষয়টি যে শুধু সামাজিক মাধ্যমের প্রচারণা নয়, বরং অনেক আগে যখন সামাজিক মাধ্যমের উদ্ভব হয়নি তখনো বিভিন্ন বই, পত্রিকা ইত্যাদিতে ছাপা হত তা এই পোষ্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেল।

এই লেখায় লেখকের একটা বক্তব্যের সাথে আমি একমত নই। উনি বলেছেন এধরনের কিছু ঘটলে আমরা অবশ্যই মিডিয়ার মাধ্যমে তা জানতে পারতাম। মিডিয়া কে এখানে সর্বজান্তা এবং সদা সত্য প্রচারকারি হিসাবে ধরা হইলেই কেবল এই কথা বলা সম্ভব।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ছদকার ছাগল ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই, প্রথমেই বলেন - আপনি কেমন আছেন বা এখন আপনার শরীরের কি অবস্থা?

বিষয়টি যে শুধু সামাজিক মাধ্যমের প্রচারণা নয়, বরং অনেক আগে যখন সামাজিক মাধ্যমের উদ্ভব হয়নি তখনো বিভিন্ন বই, পত্রিকা ইত্যাদিতে ছাপা হত তা এই পোষ্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেল।

- তা শুধু সামাজিক প্রচারণা এমন নয় এটা সত্যি । কারন , এ ব্যাপারের তথ্য শুরু শতবর্ষ আগে তা যেভাবেই হোক।

এই লেখায় লেখকের একটা বক্তব্যের সাথে আমি একমত নই। উনি বলেছেন এধরনের কিছু ঘটলে আমরা অবশ্যই মিডিয়ার মাধ্যমে তা জানতে পারতাম। মিডিয়া কে এখানে সর্বজান্তা এবং সদা সত্য প্রচারকারি হিসাবে ধরা হইলেই কেবল এই কথা বলা সম্ভব।

- মত প্রকাশের অধিকার মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকারের মাঝে পড়ে । কাজেই এ ব্যাপারে সবার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে যে কোন বিষয়ে বা যে কারোর সাথে সহমত কিংবা ভিন্নমত পোষণ করার।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

ছদকার ছাগল বলেছেন: @ সাসুম, আপনি এত ওভার রিএক্ট করছেন কেন। ঘটনা সত্য হইতে পারে বা মিথ্যা হইতে পারে। জোর করে এটাকে সত্য বা মিথ্যা প্রমান করার চেস্টা করার মানেই হল কোন যায়গায় আপনি ইন্সিকিওরড ফিল করতেছেন। এইটা কাইন্ড অফ নন প্রফেশনাল এপ্রোচ।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ ছদকার ছাগল ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

@ সাসুম, আপনি এত ওভার রিএক্ট করছেন কেন। ঘটনা সত্য হইতে পারে বা মিথ্যা হইতে পারে। জোর করে এটাকে সত্য বা মিথ্যা প্রমান করার চেস্টা করার মানেই হল কোন যায়গায় আপনি ইন্সিকিওরড ফিল করতেছেন। এইটা কাইন্ড অফ নন প্রফেশনাল এপ্রোচ।

- মত প্রকাশের অধিকার মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকারের মাঝে পড়ে । কাজেই এ ব্যাপারে সবার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে যে কোন বিষয়ে বা যে কারোর সাথে সহমত কিংবা ভিন্নমত পোষণ করার।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: এই নিউজটা বেশ কিছুদিন যাবত সোস্যাল মিডিয়ায় দেখছি।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

এই নিউজটা বেশ কিছুদিন যাবত সোস্যাল মিডিয়ায় দেখছি।

- আমিও দেখেই জেনছি । আর এই দেখার ফলেই জানার চেষ্টা এবং চেষ্টার পরিণতিই এ লেখা।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:


গরু পানি খেতে টেমস নদীতে নেমেছে?

২৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

গরু পানি খেতে টেমস নদীতে নেমেছে?

- সব কিছুর মাঝে গরুকে দেখা আমার জানামতে এখন একজনের আছে সে হল মোদী । আর আরেক জনের ছিল সে হল প্রাক্তন ব্লগার চাঁদগাজী। তাদের উভয়েরই গরু ফোবিয়া ছিল-আছে । মানে হলো তারা সবকিছুতেই গরুতে মুক্তি খুজে এবং সব জায়গায়-সব কিছুতে গরুকে দেখে ।

সোনাগাজী ভাই , আপনারও কি গরু ফোবিয়া আছে ? যদিও গরু উপকারী প্রাণী ,কাজেই আপনার গরু ফোবিয়া থাকলেও খুব বেশী বিপদের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হয়।


৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধারণা করা হচ্ছে এটা ছাগুদের একটা মিথ্যাচার।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ গোফরান ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

এসব বিষয়গুলি আসলে এমনই হয়ে থাকে। কেউ কেউ নিজেকে প্রচারের জন্য কিংবা নিজেকে একটা কিছু প্রমাণ করার জন্য অথবা মানুষে- মানুষে বিভেদ তৈরির জন্য এসব প্রচারণা চালায়।

তবে, আমার মতে যে কারোরই এসব ব্যাপারে সাবধানতার সাথে প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত। কারন, তথ্যের সামান্য একটু এদিক- সেদিক ব্যবহারই অনেক কিছু সমস্যা তৈরী করতে পারে।

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:২০

দূরের যাত্রী বলেছেন: Click This Link

হ্যামফেরের ডায়েরি সত্য বলে বিশ্বাস করার আগে লম্বা রিসার্চ বাদ দিয়ে কষ্ট করে উইকিপিডিয়াতে সার্চ করলেই পারতেন।
Bernard Haykel of Harvard's Olin Institute for Strategic Studies describes the document as an anti-Wahhabi forgery, "probably fabricated by one Ayyub Sabri Pasha"

ডাক্তার মতিয়ারের কথা আর কী বলবো। আস্ত একটা ছাগল। বাকি সোর্স গুলোতো অরো রাবিশ।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:২৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দূরের যাত্রী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

এসব বিষয়গুলি আসলে এমনই হয়ে থাকে। কেউ কেউ নিজেকে প্রচারের জন্য কিংবা নিজেকে একটা কিছু প্রমাণ করার জন্য অথবা মানুষে- মানুষে বিভেদ তৈরির জন্য এসব প্রচারণা চালায়।

তবে, আমার মতে যে কারোরই এসব ব্যাপারে সাবধানতার সাথে প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত। কারন, তথ্যের সামান্য একটু এদিক- সেদিক ব্যবহারই অনেক কিছু সমস্যা তৈরী করতে পারে

আর, আমাদের সমাজে-জীবনে কিছু মানুষ আছে যারা হুজোগে মেতে উঠে ন্যায়-অন্যায় বিচার না করে এবং সত্য-তথ্য-উপাত্ত-বিষয়ের প্রাসংগিকতা- সম্ভাব্যতা- যৌক্তিকতা কিছুই বিবেচনায় না নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে এমন সব বিষয়ে যা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। অথচ তারাই বেখেয়াল থাকে অবশ্য পালনীয় বিষয়গুলির ব্যাপারে।

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: আমার জন্য বিষয়টা নতুন।

পড়লাম পুরো পোস্ট।
লিংকডগুলোতেও একবার ঘুরে আসলাম।

রাজিব ভাইর মন্তব্যটা ভালো দেখায়নি।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ফাহিম ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

সাথে সাথে ধন্যবাদ পুরো পোস্ট পড়ার জন্য ও।

- মত প্রকাশের অধিকার মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকারের মাঝে পড়ে । কাজেই এ ব্যাপারে সবার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে যে কোন বিষয়ে বা যে কারোর সাথে সহমত কিংবা ভিন্নমত পোষণ করার বা যে কিছু একটা বলার।

তবে এটাও ঠিক আমাদের সকলেরই অধিকার ভোগের ব্যাপারে যতটা সচেতন ঠিক ততটাই সচেতন থাকা উচিত এর মাত্রা( সীমার) র ব্যাপারেও।

১১| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার ছোট্ট একটা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এত বড় গবেষণা করে ফেলেছেন, সেজন্যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনার মধ্যে লেগে থাকার প্রবণতা এবং পরিশ্রমের সক্ষমতা আছে।

তবে আমার মনে হয়েছে কোনটা নিয়ে শ্রম দেয়া উচিত, আর কোনটা বকোয়াজ এই সেন্সটা আপনার ডেভেলপ করা উচিত।

তথ্যের সমষ্টি জ্ঞান,
আর তথ্যের গুণাবলী বিচার করার ক্ষমতা হচ্ছে প্রজ্ঞা।

আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আমার ছোট্ট একটা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এত বড় গবেষণা করে ফেলেছেন, সেজন্যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনার মধ্যে লেগে থাকার প্রবণতা এবং পরিশ্রমের সক্ষমতা আছে। তবে আমার মনে হয়েছে কোনটা নিয়ে শ্রম দেয়া উচিত, আর কোনটা বকোয়াজ এই সেন্সটা আপনার ডেভেলপ করা উচিত।

- আপনার অনুরোধ + আমার কৌতুহল = এই পোস্ট ।

আমি ব্লগ এ সম্পর্কিত লেখা দেখার পর কোন মন্তব্য করিনি তবে জানতে চেয়েছি আসল ব্যাপারটা । কারন, সঠিক ভাবে না জেনে কোন মন্তব্য করা উচিত নয়। আর তারপর আপনার অনুরোধ তার পরিপূর্ণতা ও লেখায় উৎসাহ যুগিয়েছে যা সবার সাথে পোস্ট হিসাবে শেয়ার করেছি। আর যে কোন বিষয়ে সঠিক ভাবে জানা + কিছু বলার যোগ্যতা বলা = জানার জন্য পরিশ্রম , এর আর কি বিকল্প আছে ?

আর তাই,ব্যাপারটা আপাতভাবেই মিথ্যা/ভূল (কারো কারো মতে গাজাখুরী) বলে মনে হলেও সেই মিথ্যা-ভুল যে আসলেই ভুল তা প্রমাণের জন্যই এ পরিশ্রম।

তথ্যের সমষ্টি জ্ঞান, আর তথ্যের গুণাবলী বিচার করার ক্ষমতা হচ্ছে প্রজ্ঞা।

- আপনি যথার্থ বলেছেন এ ক্ষেত্রে । তবে , মাঝে মাঝে অনেকেই ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায় (অকাজে বা আপাতভাবে কোন কাজে ভাল ফলাফলের সম্ভাবনা না থাকার পরেও ) । আর এ কাজটা করে , একদিকে যেমন নিজের জানার পরিধি (আলোচ্য বিষয়ের যথার্থতা প্রমাণ হয় ) বাড়ে অন্যদিকে এর ফলে কিছুটা হলেও পরিপার্শ্বিক উপকারও হয় হয়ত পরিমানে খুবই কম।

আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

- আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই , লেখা পড়া ও চমতকার মন্তব্যের জন্য।

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩

দূরের যাত্রী বলেছেন:


হাসান মাহবুব বলেছেন:

তবে আমার মনে হয়েছে কোনটা নিয়ে শ্রম দেয়া উচিত, আর কোনটা বকোয়াজ এই সেন্সটা আপনার ডেভেলপ করা উচিত।

সহমত।

৩০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ দূরের যাত্রী ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

তবে আমার মনে হয়েছে কোনটা নিয়ে শ্রম দেয়া উচিত, আর কোনটা বকোয়াজ এই সেন্সটা আপনার ডেভেলপ করা উচিত।

- আমিও আপনার সাথে একমত তবে, মাঝে মাঝে অনেকেই ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায় (অকাজে বা আপাতভাবে কোন কাজে ভাল ফলাফলের সম্ভাবনা না থাকার পরেও ) ।

কেন করে ?

তা এক বিশাল প্রশ্ন ।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এই বিষয়টা নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য সাথে সাথে কৃতজ্ঞতা পোস্ট পড়ার জন্য ।

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আমার মনে হয়, আপনি ৫ম শ্রেণীতে পড়ার সময় গরুর রচনা মুখস্হ করেছিলেন।

৩০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

জী ভাইজান , আপনি একদম সঠিক বলেছেন।

আর দেখেন আমার স্মৃতিশক্তি কত :P ভাল ।
৫ম শ্রেণীতে পড়ার সময়ের মুখস্হ রচনায় এখনো চলছে।
ভালত, ভালনা ? নাকি বলেন ?

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৩৬

জটিল ভাই বলেছেন:
অনুসন্ধানটা অনেকেই গোপনে চালাচ্ছিল। তবে আপনি সাহস করে প্রকাশ করায় অসংখ্য জটিলবাদ।

৩১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই , আপনার ছোট তবে জটিল মন্তব্যের জন্য।

অনুসন্ধানটা অনেকেই গোপনে চালাচ্ছিল। তবে আপনি সাহস করে প্রকাশ করায় অসংখ্য জটিলবাদ।

- আমার মনে হয়েছে,কৌতুহল নিবারণ কিংবা মন্তব্য করার পূর্বে জেনে-বুঝেই করা উচিত । আর তাই এই প্রচেষ্টা (আকাম - ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো) ।

১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১১

রাজীব নুর বলেছেন: মুন্সিগঞ্জ সদরের বিনোদপুর রাম কানাই উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের সিনিয়র বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় বণিক। দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছিলেন। প্রসঙ্গক্রমে ছাত্ররা দাবি করছিল স্যার বিজ্ঞান তো কোরাণ থেকে উৎপত্তি হয়েছে আর সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী হলো আমাদের পেয়ারে নবী মোঃ।

তখন স্যার বললেন, দেখ ধর্ম আর বিজ্ঞান আলাদা বিষয়। কোন ধর্ম থেকেই বিজ্ঞান উৎপত্তি হয়নি৷ ধর্ম হলো বিশ্বাস আর বিজ্ঞান প্রমাণিত বিষয়৷ আর বর্তমান যুগের ৯০% বিজ্ঞানী ইহুদি, খ্রিস্টান। তারাতো কোরান পড়েনা।

ব্যস আর যায় কোথায়। এতেই বাচ্চা পোলাপানের নুনুভূতি জাগ্রত হয়ে উঠলো। স্যারের বক্তব্য একজন গোপনে রেকর্ড করলো। সবাই প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ করলো, স্যার আমাদের ধর্ম আর নবীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর কথা বলছে, আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি মারাত্মক আহত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বললেন, উনাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হবে এবং ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হবে।

না না ৩ দিন সহ্য হবেনা। শুরু হয়ে গেলো বিক্ষোভ। বহিরাগত লোকজনদের খবর দেয়া হলো। ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, মালাউনের ফাঁসি চাই।

কি বুঝলেন? কোথায় যাচ্ছে দেশ? আর কোথায় যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম?
কি চিন্তা ভাবনা আর দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে এরা বড় হচ্ছে? এই বয়সেই এদের মগজ এমনভাবে ধোলাই করা হয়েছে এবং বিশ্বাসের ভাইরাস এদের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়েছে।

কেন এমন হচ্ছে? কারা করছে এদের মগজ ধোলাই? কি হবে আমাদের ভবিষ্যত? ধর্ম নিয়ে আর লিখতে ইচ্ছে করেনা। মনে হয় আমরা তলিয়ে যাচ্ছি অতল গহবরে। আমি এবং আমার মতো ২/৪ জন কি ঠেকাতে পারবো?

৩১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

মুন্সিগঞ্জ সদরের বিনোদপুর ------------------------------

আসলে বর্তমানে আমরা যে ছোট-বড় সবাই অসহিষ্ণু হয়ে উঠছি সেটা তারই প্রমাণ । আবার আমরা কেউ এখন বিবেক-নীতিবোধের জন্য বিবেকের কথা শুনতে রাজি নই বা বিবেক আমাদের লোপ পেয়ে যাচছে আর সেখানে আমাদের আবেগের বাহুল্য ঘটছে। আবেগের আতিশষ্যের ফলে আমার কেউই কোন বিষয়ে সত্য-মিথ্যার বিচার-বিবেচনা না করেই ঝাপিয়ে পড়ি ।এ যেন অনেকটা "চিলে কান নিয়েছে "শুনে চিলের পিছে দৌড়ানোর মত ।

আমরা চিলের পিছে সারাদিন দৌড়াতে রাজী আছি অথচ সামান্য একটু সময় ও মাথা খাটিয়ে কান তার জায়গায় আছে কি নেই - তা দেখতে কেউই রাজী নই। আর এ যদি ধর্মীয় কোন বিষয় হয় তাহলেত কোন কথাই নেই। যদিও এসব মানুষের বেশীর ভাগই হয়ত ধর্মের অবশ্য পালনীয় বিষয়গুলিই মানেনা কিংবা যথাযথ পালন করেনা। যার সর্বশেষ নজির দেখেন ভারতে। " কাশ্মীর ফাইলস " ছবি নিয়ে কেজরিওয়ালের মন্তব্যেকে যথাযথ ভাবে বিচার না করে কি ঝামেলাই না তৈরী করছে হনুমানের শিষ্যরা।

কি বুঝলেন? কোথায় যাচ্ছে দেশ? আর কোথায় যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম? কি চিন্তা ভাবনা আর দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে এরা বড় হচ্ছে? এই বয়সেই এদের মগজ এমনভাবে ধোলাই করা হয়েছে এবং বিশ্বাসের ভাইরাস এদের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়েছে।
কেন এমন হচ্ছে? কারা করছে এদের মগজ ধোলাই? কি হবে আমাদের ভবিষ্যত? ধর্ম নিয়ে আর লিখতে ইচ্ছে করেনা। মনে হয় আমরা তলিয়ে যাচ্ছি অতল গহবরে। আমি এবং আমার মতো ২/৪ জন কি ঠেকাতে পারবো?


- এ আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন ?

আমরা কেন এমন হচছি ? কোথায় আমাদের গন্তব্য ? আমরা কোথা থেকে নীতি-নৈতিকতা-সামাজিকতার শিক্ষা পাব ?

সমাজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান - ধর্মগুরু - দেশ নেতা কিংবা রাজনীতিবিদ ?

সব জায়গায়তেই ভেজাল ঢুকে গেছে। সবাই নিজ নিজ স্বার্থের পিছনে ঘুরছে এবং ন্যায়-অন্যায় বিচার করছে যার স্বার্থের ভিত্তিতে।

এ এক জটিল সমস্যা। এসব সমস্যার জন্য শুধু যে ধর্ম দায়ী এমন নয় আবার শুধু ধর্মেই এর মুক্তি মিলবে এমনও নয় ।

১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৪৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: দূরের যাত্রী বলেছেন:


হাসান মাহবুব বলেছেন:

তবে আমার মনে হয়েছে কোনটা নিয়ে শ্রম দেয়া উচিত, আর কোনটা বকোয়াজ এই সেন্সটা আপনার ডেভেলপ করা উচিত।

৩১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনালি কাবিন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

আমিও দূরের যাত্রী ভাই , হাসান মাহবুব ভাই এবং আপনার সাথে একমত।

আমাদের সকলেরই পরিশ্রম সেখানেই করা উচিত যেখানে পরিশ্রমের যথার্থতা আছে।

১৮| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:২৮

সোবুজ বলেছেন: লন্ডনে মসজিদের অভাব নাই।মাটির নিচে করার দরকার কি।ওখানে কারা নামাজ পড়ে।

৩১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোবুজ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

লন্ডনে মসজিদের অভাব নাই। মাটির নিচে করার দরকার কি।ওখানে কারা নামাজ পড়ে।

- ইউরোপের বাকী সব দেশ থেকে ইংল্যান্ডে অনেক বেশী মসজিদ এবং সকল ধর্মের অনুসারীরাই তাদের ধর্ম পালনে অনেক বেশী স্বাধীনতা ভোগ করে।

আর মাটির নীচে প্রয়োজনে মসজিদ বানাতে পারে তবে আলোচ্য প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তা সত্যের অপালাপ বলেই মনে হয়।

১৯| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:৩০

সোবুজ বলেছেন: মাদ্রাসা হবে

৩১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সোবুজ ভাই , হয়ত মসজিদ হয়তবা মাদ্রাসা । তা সে যাই হোক তা ইসলামের সাথেই সম্পর্কিত ।

২০| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ইসলাম ধর্ম একটি সুন্দর ভাল ধর্ম। সবাই মেনে চলা উচিত।
আমিও মেনে চলার চেষ্টা করি। ইসলাম কাহারো সমস্যা না।
সমস্যা ভন্ডদের রাজনৈতিক ইসলাম। যারা ধর্ম বেচে জিবিকা নির্বাহ করে, আর উচ্চাভিলাসি ধর্মজীবিরা দরিদ্র দেশের সেনাতন্ত্রের সহায়তায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে।

বর্তমান রাজনৈতিক ইসলামে কি এমন চালান আছে যে ষড়যন্ত্র করতে হবে।
চৌদ্দশ বছর আগে ইসলামের আবির্ভাবের শুরুতেই নিজের নিজেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে গেছে। কোনমতে মক্কা ও মদিনায় দখল করতে পেরেছিল তাও গলা কেটে বা যুদ্ধের মাধ্যমে। আদর্শ দিয়ে না। সামান্ন কটা মদিনাবাসিদের কোরানের আলো বিতরন করে মুসলমান বানাতে পারেনি। মদীনাবাসীদের গলাকেটে বাকিদের বিতাড়িত করে আর নারী-শিশুদের গনিমতের মাল বানিয়েছে।
মক্কাবিজয়ের পরও বেশিরভাগ মক্কাবাসী ইসলাম গ্রহণ করেনি।
বাহিরের কেউ ষড়যন্ত্র করে নি এরপরেও চার খলিফার তিনজন খলিফা নিজেদের ষড়যন্ত্রে নিজেদের হাতে নিহত।
এরপরে নবিজির মৃত্যুর পর একেক সাহাবি একএক তন্ত্র দিয়ে ইসলামকে সিয়া সুন্নি সহ ৭২ ভাগে ভাগ হয়ে চৌদ্দশ বছর অনেক দেশ দখল হয়েছে রাজনৈতিক ইসলামের নামে অনেক রাজতন্ত্র হয়েছে জঙ্গীতন্ত্র হয়েছে কিন্তু কোথাও ইসলাম হয়নি। তথাকথিত রাজনৈতিক ইসলামিরা এজাবৎ একটিও আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্র তৈরি করতে পারেনি।

ইসলামে এমন কি আছে যে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে হবে? পশ্চিমারা জঙ্গিদের ভয়ে কাতর!
জঙ্গিদের চোরাগুপ্ত হামলা কে ভয় পাওয়ার কি আছে? যা তাদের নিজেদের অস্ত্র নয়, চুরি করা বা চোরাই বাজার থেকে কেনা যুদ্ধাস্ত্র। নিজেরা অস্ত্র বানানো দূরের কথা এমনকি গুলিটাও না। গুলির পিতলা খোসাটাও বানাতে পারেনা তারা কি এমন মহাশক্তিরে বাপু। এদের বিরুদ্ধে কে ষড়যন্ত্র করবে?

লন্ডন বরং ইসলামী জঙ্গিদের নিরাপদ অভয়াশ্রম। যেকোন ইসলামি দেশের চেয়েও নিরাপদ অবস্থানে থেকে অনলাইনে প্রচলিত সভ্যতার বিরুদ্ধে সারাক্ষন বিষদগার করে যাচ্ছে। দেশের উদার নাগরিক অধিকারের সুযোগে লন্ডনে যেভাবে সহজে ইসলাম প্রচার করা যায় কোন মুসলিম দেশেও এত সহজে নিরাপদে এসব করা যায় না।
লন্ডন যুদ্ধাপরাধীদের পলাতক জঙ্গি খুনিদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। পলাতক বাচ্চু রাজাকারদের আস্তানা।
লন্ডনে এখন একের পর এক বিশাল বিশাল মসজিদ। শপিংমলগুলোতে হাটা দুষ্কর, কালো বোরকা গিজগিজ করে। লন্ডনের নগরপিতাও একজন পাকিস্তানি মুসলিম।

৩১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

ইসলাম ধর্ম একটি সুন্দর ভাল ধর্ম। সবাই মেনে চলা উচিত।আমিও মেনে চলার চেষ্টা করি। ইসলাম কাহারো সমস্যা না।
সমস্যা ভন্ডদের রাজনৈতিক ইসলাম। যারা ধর্ম বেচে জিবিকা নির্বাহ করে, আর উচ্চাভিলাসি ধর্মজীবিরা দরিদ্র দেশের সেনাতন্ত্রের সহায়তায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে।বর্তমান রাজনৈতিক ইসলামে কি এমন চালান আছে যে ষড়যন্ত্র করতে হবে।


- যে কোন ধর্মেই কোন সমস্যা নেই এবং ধর্ম কাউকে কিছু চাপিয়েও দেয়না। ধর্ম শুধু জীবনের চলার পথের দিকনির্দেশনা দেয় এবং ভাল কাজের জন্য পুরষ্কার ও খারাপ কাজের জন্য শাস্তির কথা বলে । আর ধর্ম মেনে চলার ব্যাপারেও সবার পূর্ণ স্বাধীনতার কথা বলা আছে এবং এ ব্যাপারে যে কোন জোর-জবরদস্তির ব্যাপারে নিষেধ আছে। এখন এই ধর্মকে যখন কেউ কেউ নিজ স্বার্থে ব্যবহার শুরু করে তখনই সমস্যার তৈরী হয়।


চৌদ্দশ বছর আগে ইসলামের আবির্ভাবের শুরুতেই নিজের নিজেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে গেছে। কোনমতে মক্কা ও মদিনায় দখল করতে পেরেছিল তাও গলা কেটে বা যুদ্ধের মাধ্যমে। আদর্শ দিয়ে না। সামান্ন কটা মদিনাবাসিদের কোরানের আলো বিতরন করে মুসলমান বানাতে পারেনি। মদীনাবাসীদের গলাকেটে বাকিদের বিতাড়িত করে আর নারী-শিশুদের গনিমতের মাল বানিয়েছে। মক্কাবিজয়ের পরও বেশিরভাগ মক্কাবাসী ইসলাম গ্রহণ করেনি।বাহিরের কেউ ষড়যন্ত্র করে নি এরপরেও চার খলিফার তিনজন খলিফা নিজেদের ষড়যন্ত্রে নিজেদের হাতে নিহত। এরপরে নবিজির মৃত্যুর পর একেক সাহাবি একএক তন্ত্র দিয়ে ইসলামকে সিয়া সুন্নি সহ ৭২ ভাগে ভাগ হয়ে চৌদ্দশ বছর অনেক দেশ দখল হয়েছে রাজনৈতিক ইসলামের নামে অনেক রাজতন্ত্র হয়েছে জঙ্গীতন্ত্র হয়েছে কিন্তু কোথাও ইসলাম হয়নি। তথাকথিত রাজনৈতিক ইসলামিরা এজাবৎ একটিও আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্র তৈরি করতে পারেনি।

- আসলে এ ব্যাপারে কি বলব? সাহাবীরা যদিও সকল সমালোচনার উপরে তারপরও কারো কারো কাজকর্ম সমালোচনার বাইরে নয় এবং এমন কাজও কেউ কেউ করেছেন যা কোনভাবেই ইসলামের মূল শিক্ষা ও নবীজির আদর্শের সাথে যায়না। আর যে কোন সম্প্রদায়েরই ক্ষতি নিজেরাই বেশী করে-করতে পারে অন্যদের থেকে।

ইসলামে এমন কি আছে যে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে হবে? পশ্চিমারা জঙ্গিদের ভয়ে কাতর!
জঙ্গিদের চোরাগুপ্ত হামলা কে ভয় পাওয়ার কি আছে? যা তাদের নিজেদের অস্ত্র নয়, চুরি করা বা চোরাই বাজার থেকে কেনা যুদ্ধাস্ত্র। নিজেরা অস্ত্র বানানো দূরের কথা এমনকি গুলিটাও না। গুলির পিতলা খোসাটাও বানাতে পারেনা তারা কি এমন মহাশক্তিরে বাপু। এদের বিরুদ্ধে কে ষড়যন্ত্র করবে?


- আমার মনে হয় , ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নেই এমনটা নয় তবে আলোচ্য প্রতিবেদনে যেভাবে বলেছে তা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

লন্ডন বরং ইসলামী জঙ্গিদের নিরাপদ অভয়াশ্রম। যেকোন ইসলামি দেশের চেয়েও নিরাপদ অবস্থানে থেকে অনলাইনে প্রচলিত সভ্যতার বিরুদ্ধে সারাক্ষন বিষদগার করে যাচ্ছে। দেশের উদার নাগরিক অধিকারের সুযোগে লন্ডনে যেভাবে সহজে ইসলাম প্রচার করা যায় কোন মুসলিম দেশেও এত সহজে নিরাপদে এসব করা যায় না। লন্ডন যুদ্ধাপরাধীদের পলাতক জঙ্গি খুনিদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। পলাতক বাচ্চু রাজাকারদের আস্তানা।লন্ডনে এখন একের পর এক বিশাল বিশাল মসজিদ। শপিংমলগুলোতে হাটা দুষ্কর, কালো বোরকা গিজগিজ করে। লন্ডনের নগরপিতাও একজন পাকিস্তানি মুসলিম।

- এ ভাল কি খারাপ, এর বিচার সময় ও সমাজ করবে। তবে এটা ঠিক যে ইউরোপের বাকী সব দেশ থেকে লন্ডনে ধর্ম পালনে সবাই অনেক বেশী স্বাধীনতা ভোগ করে।

আর ভাই , এটাও ঠিক যে লন্ডনে শুধু কালো বোরখাই গিজ গিজ করেনা বিকিনিও :P গিজ গিজ করে।

২১| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৫:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মাটির নিচে মাদ্রাসা করার দরকার হবে কেনো।

৩১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

মাটির নিচে মাদ্রাসা করার দরকার হবে কেনো।

- স্থানাভাবে দরকার হতে পারে তবে আলোচ্য প্রতিবেদনে যেমনটা বলা হয়েছে তেমনটা নাও হতে পারে।

২২| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:০৭

সাসুম বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: তবে আমার মনে হয়েছে কোনটা নিয়ে শ্রম দেয়া উচিত, আর কোনটা বকোয়াজ এই সেন্সটা আপনার ডেভেলপ করা উচিত।

এক্সাক্টলি এই কথাটাই বুঝাতে চেয়েও, এই কথাটি বলার পরেও উনি উনার যায়গা থেকে সরবেন না।

জামান ভাই! এই যে ইনফরমেশান এর দুনিয়া- এই দুনিয়ায় কোনটা বকোয়াজ আর গাঁজাখুরি আর কোনটা লেজিট - এই সেন্স টা ডেভেলপ করা একদম জরুরি!


আপনি আমাকে বললেন - ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে আপনার আপোষ নাই, কোরআন , হাদিস নিয়ে আপনার আপোষ নাই, ইজমা, কিয়াস নিয়েও আপোষ নাই, মোল্লা মৌলভীরা বল্লেও সেটা নিয়ে আপোষ নাই- আচ্ছা মানলাম।

তো আমার প্রশ্নটা ছিলঃ আজগুবি আর গাঁজাখুরি আর বকোয়াজ বিষয় গুলা নিয়ে আপনার আপোষ কেন? ইসলামের নাম আছে তাই?

৩১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

এক্সাক্টলি এই কথাটাই বুঝাতে চেয়েও, এই কথাটি বলার পরেও উনি উনার যায়গা থেকে সরবেন না।

- আপনার মত আমিও তা বুঝাতে চাই তবে " বুঝেনা সে বুঝেনা, তালগাছটা ছাড়েনা"।


জামান ভাই! এই যে ইনফরমেশান এর দুনিয়া- এই দুনিয়ায় কোনটা বকোয়াজ আর গাঁজাখুরি আর কোনটা লেজিট - এই সেন্স টা ডেভেলপ করা একদম জরুরি!

- সত্য-মিথ্যা অনেক সময় খুব সহজেই বুঝা যায় তারপরও সেই সহজ বিষয়টাকেই স্থান-কাল ভেদে সহজ করে বলাকেই আমি পছন্দ করি যা আপনি বা অনেকেই সরাসরি গাজাখুরী বলে দিবেন।

আপনি আমাকে বললেন - ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে আপনার আপোষ নাই, কোরআন , হাদিস নিয়ে আপনার আপোষ নাই, ইজমা, কিয়াস নিয়েও আপোষ নাই, মোল্লা মৌলভীরা বল্লেও সেটা নিয়ে আপোষ নাই- আচ্ছা মানলাম।

- মৌলিক বিষয় ( কালেমা-নামাজ-রোজা-যাকাত-হজ) আমার-আপনার কারোরই আপোষের সুযোগ নাই । বাকী বিষয়ে আমি পরিপার্শ্বিকতা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিতেই চাইব , আবেগে কিংবা হুযোগে নয়।

তো আমার প্রশ্নটা ছিলঃ আজগুবি আর গাঁজাখুরি আর বকোয়াজ বিষয় গুলা নিয়ে আপনার আপোষ কেন? ইসলামের নাম আছে তাই?

- এ ভাই আপোষ নয় কিংবা ইসলামের নাম জড়িত থাকার ফলে সব কিছু জায়েয হয়ে যাবে এমনও নয়। এ মধ্যপন্থা গ্রহণ করা । যেখানে যে কোন বিষয় আমি গ্রহণ করব আমার বিচারে ভাল বলে বিবেচিত হলে ,কখনো অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয় অথবা বর্জন করব নিরবে অন্যকে আঘাত করে নয়।

২৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: সকল ধর্মই নিজেকে পৃথিবীর প্রথম ধর্ম মনে করে।
তবে ঐতিহাসিক দিক দিয়ে সনাতন ব্রাহ্মণ ধর্মকে প্রথম ধর্ম মানা হয় (Google সার্চ করে দেখতে পারেন)। কিন্তু আমার মতে মানবিকতাই বিশ্বের প্রথম ধর্ম। ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী দেখলে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিন্দু ধর্মে মনু, ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মে আদম। কিন্তু আমরা ভালোভাবেই জানি যে পৃথিবীতে মানুষ একদিনে আসেনি অনেক পরিবর্তনের পর এসেছে। ধর্মগ্রন্থএর বদলে নিরপেক্ষভাবে ঐতিহাসিক দিক দিয়ে বিবেচনা করে প্রথম ধর্মের স্বীকৃতি দেওয়া বেশি যুক্তিযুক্ত হবে।

৩১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

সকল ধর্মই নিজেকে পৃথিবীর প্রথম ধর্ম মনে করে।

- এটাই কি ব্যাপার স্বাভাবিক নয় ? নিজেকে পাগলও কখনো পাগল বলেনা,বড়জোর বলে একটু আউলা :P ঝাউলা কিসিমের।

তবে ঐতিহাসিক দিক দিয়ে সনাতন ব্রাহ্মণ ধর্মকে প্রথম ধর্ম মানা হয় (Google সার্চ করে দেখতে পারেন)।

- হয়ত সঠিক , হয়ত নয় ।

কিন্তু আমার মতে মানবিকতাই বিশ্বের প্রথম ধর্ম।

- দুনিয়ায় প্রচলিত সকল ধর্মেরই মূল সূর মানবিকতা।

ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী দেখলে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিন্দু ধর্মে মনু, ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মে আদম। কিন্তু আমরা ভালোভাবেই জানি যে পৃথিবীতে মানুষ একদিনে আসেনি অনেক পরিবর্তনের পর এসেছে। ধর্মগ্রন্থএর বদলে নিরপেক্ষভাবে ঐতিহাসিক দিক দিয়ে বিবেচনা করে প্রথম ধর্মের স্বীকৃতি দেওয়া বেশি যুক্তিযুক্ত হবে।

- আপনার এই জানা বিতর্কিত এবং সঠিক নাও হতে পারে। ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্ম অনুসারে যদি আদম (আঃ) দুনিয়ার প্রথম মানব হয়ে থাকে তবে আপনার এ মত ধর্মের সাথে মিলেনা । আবার মানুষ দুনিয়াতে পরিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে , এ শুধু ভ্রান্ত ধারনাই নয় সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব ঘোষনার অবমাননাও বটে।বড়ই , পরিতাপের বিষয় সৃষ্টিকর্তাকে ও তার জীবন বিধানকে অস্বীকার করতে গিয়ে আমরা কিছু মানুষ নিজেদেরকে পশুদের সাথে তুলনা করে কি অর্জন করতে চাই তাই বুঝে আসেনা আমার ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.