নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" আল কোরআন " - সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী গ্রন্থ এবং মানব জাতির মুক্তির আলোকবর্তিকা। ( আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব ১২)।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১০


ছবি - wallpapercave.com

দুনিয়ায় প্রচলিত সকল ধর্ম একটি অনুশাসন, একটি জীবন/শাসনব্যবস্থা। মানুষের সমগ্র জীবনের সার্বিক কল্যাণের দিকনির্দেশনা রয়েছে ধর্মীয় অনুশাসনের মাঝে। মানুষের মন অনেক কিছু পেতে বা করতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সে ইচ্ছার বাস্তবায়ন সামজিক নিয়ম-নীতির মাঝে ও ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে থেকেই করতে হবে - এটাই সকল ধর্মের মূল কথা। ধর্মীয় অনুশাসন কিংবা সামাজিক শিষ্টাচার মোতাবেক যদি নিজেকে কোনো ব্যক্তি পরিচালিত না করে, নিজেকে নিজে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে তখনই সৃষ্টি হয় পারিবারিক-সামাজিক বিপত্তি ও বিশৃঙখলা । মানুষ সামাজিক জীব। এ সমাজ-সামজিকতা, রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার একদিনে গঠিত হয় নাই,তার পিছনে রয়েছে হাজার হাজার বছরের পরিশ্রম-অনুশাসন ও জ্ঞানী-গুনীদের সাধনা। বহুসময় ধরে তিলে তিলে গড়ে উঠা সমাজ-সভ্যতা এখন কার্যত আধুনিকতার নামে বিলীন হতে বসেছে।কথিত আধুনিকতার নামে মানুষের জীবনে উচ্ছৃঙ্খলতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ধর্মের বন্ধন শিথিল হয়ে যাচছে । এর ফলে যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ও ঘুষ-দুর্নীতির মত অপরাধ সমাজে মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়েছে পাশাপাশি আরো অন্যান্য অপরাধের সৃষ্টি করছে। অথচ দুনিয়ায় প্রচলিত সব ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থেই ন্যায়ের প্রতিপালন ও অন্যায়ের অনুসরন না করা তথা পরিহারের কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে আধুনিককালে মানুষ এখন ধর্মকে ও ধর্মীয় বিধি বিধানকে নিজেদের জীবনে অবশ্যপালনীয় বিষয় বলে গণ্য করতে চাচছেনা। মানুষের নিকট ধর্ম এখন ঐচ্ছিক বিষয় হয়ে গেছে। ধর্ম পালনে শিথিলতার ফলে আমাদের সমাজে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সমাজে ও পরিবারের বন্ধন শিথিল হয়ে যাছছে এবং অভ্যন্তরীণ শিষ্টাচারবহির্ভূতভাবে পরপুরুষ বা পর নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচছে। পরিবারের সদস্যদের মাঝে আন্তরিকতা কমে যাচছে ফলে উৎপত্তি হচছে পারিবারিক বিপর্যয়ের। আর তাইতো পত্রিকা খুললেই দেখা যাচ্ছে, পরকীয়ার কারণে মা কর্তৃক সন্তান খুন, বাবা কর্তৃক ছেলে খুন, স্বামী কর্তৃক স্ত্রী খুন, স্ত্রী কর্তৃক স্বামী খুন। এমনকি, বাবা কর্তৃক মেয়েকে ধর্ষণ,শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূকে ধর্ষণ প্রভৃতিসহ চরমভাবে ঘৃণা করার মতো অনেক নারকীয় ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত আমাদের আশে-পাশে। বিস্তার লাভ করছে সমকামিতার মত ঘৃণ্য কাজেরও।

পৃথিবী যখন পাপে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে তখনই তাতে মহামারী শুরু হয়। পবিত্র কুরআন শরিফের ভাষ্য মতে এ কথাটি সত্য। মানুষ পাপ করলে পরকালে অত্যন্ত মন্দ পরিণাম হবে,এটা সবারই কম-বেশি জানা। তবে পৃথিবীর জীবনেও পাপের কারণে ভোগ করতে হয় মন্দ পরিণাম। কোরআন ও হাদিসে এ কথা বার বার বলা হয়েছে। পৃথিবীতে যত বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তার সব কিছু মানুষের পাপের ফসল। খরা, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, প্লাবন, মহামারি প্রভৃতির মূল কারণ হলো পাপ ও গুনাহ। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,"মানুষের কৃতকর্মের ফলে জলে-স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, যাতে তিনি তাদেরকে তাদের কিছু কর্মের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে"। (সুরা রুম, আয়াত - ৪১)

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক মানবজাতিকে বহুবার অশ্লীলতা, অনাচার ও অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন দুনিয়ায় মানুষের দ্বারা সংগঠিত সকল কাজের সুক্ষাতিসুক্ষ হিসাব তিনি নিবেন। এ প্রসংগে মহান আল্লাহ আল কোরআনে, " আল্লাহর জন্যই যা আছে আসমানসমূহে ও যা আছে যমীনে। তোমাদের মনে যা আছে তা প্রকাশ কর বা গোপন রাখ, আল্লাহ সেগুলোর হিসেব তোমাদের কাছ থেকে নিবেন । অতঃপর যাকে ইচ্ছে তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছে শাস্তি দিবেন আর আল্লাহ সব কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান "। (সুরা আল বাকারা, আয়াত - ২৮৪)।

জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে ও অশ্লীলতাকে রোধ করার জন্য আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত জীবনব্যবস্থা, ইসলাম পারিবারিক ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আর ইসলামের দৃষ্টিতে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলোকে নিয়ে মহান আল্লাহপাক নাজিল করেছেন এক কিতাব - আল কোরআন। যেখানে মানবজাতির জন্য রয়েছে সংবিধান তথা পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এ বানী মানবজাতির হেদায়েত স্বরুপ এবং জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের জীবনে যা কিছু প্রয়োজন তার সব কিছুর দিকনির্দেশনা আল কোরআনে রয়েছে।

মানুষের এক জীবনে যা দরকার, তার সবই সাজানো রয়েছে আল কোরআনের পরতে পরতে। সুস্থ সুন্দর সুখী পরিতৃপ্ত জীবনের জন্যে যা প্রয়োজন, আল কোরআনের পাতায় পাতায় রয়েছে তারই দিক-নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে মানব জীবনের করণীয় কাজের দিকনির্দেশনার পাশাপাশি মানবজাতির প্রতি উপদেশ স্বরুপ বেশ কিছু আয়াত আছে। আসুন আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানি -


ছবি - sangbadchorcha.com


আল কোরআনের উপদেশাবলী

১। লজ্জা ও শালীনতার সঙ্গে চলো।(সুরা নুর, আয়াত - ৩০ & ৩১)।

"মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার"।


২। মা-বাবার ঘরে প্রবেশের আগেও অনুমতি নাও।(সুরা নুর, আয়াত - ৫৮ & ৫৯)।

"হে মুমিনগণ, তোমাদের ডানহাত যার মালিক হয়েছে এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি তারা যেন অবশ্যই তিন সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে। ফজরের সালাতের পূর্বে, দুপুরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখ, এবং ‘ইশার সালাতের পর; এই তিনটি তোমাদের (গোপনীয়তার)সময়। এই তিন সময়ের পর (অন্য কোন সময়ে বিনা অনুমতিতে আসলে) তোমাদের এবং তাদের কোন দোষ নেই। তোমাদের একে অন্যের কাছে যাতায়াত করতেই হয়। এভাবে আল্লাহ তোমাদের উদ্দেশ্যে তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।আর তোমাদের সন্তান-সন্ততি যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়, তখন তারাও যেন অনুমতি প্রার্থনা করে যেমনিভাবে তাদের অগ্রজরা অনুমতি প্রার্থনা করত। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়"।

৩। বিনম্র হয়ে চলাফেরা করো । (সুরা ফোরকান, আয়াত - ৬৩)।

"রহমান-এর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মুর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, সালাম''।

৪। মানুষের প্রতি দয়া করো।(সুরা কাসাস, আয়াত - ৭৭)।

"আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছেন, তদ্বারা পরকালের গৃহ অনুসন্ধান কর, এবং ইহকাল থেকে তোমার অংশ ভূলে যেয়ো না। তুমি অনুগ্রহ কর, যেমন আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করতে প্রয়াসী হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ অনর্থ সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না"।

৫। সংকটকালেও আল্লাহর পথে অটল থাকো । (সুরা ফোরকান, আয়াত - ৮৭)।

ইরশাদ হয়েছে,"তোমার প্রতি আল্লাহর আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর তারা যেন তোমাকে কিছুতেই সেগুলো থেকে বিমুখ না করে। তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রতি আহ্বান করো এবং কিছুতেই মুশরিকদের দলভুক্ত হইয়ো না"।

৬। সমকামিতা জঘন্যতম অপরাধ।(সুরা আনকাবুত, আয়াত - ২৯)।

"তোমরা কি পুংমৈথুনে লিপ্ত আছ, রাহাজানি করছ এবং নিজেদের মজলিসে গর্হিত কর্ম করছ? জওয়াবে তাঁর সম্প্রদায় কেবল একথা বলল, আমাদের উপর আল্লাহর আযাব আন যদি তুমি সত্যবাদী হও"।

৭। সৎ কাজের আদেশ করো।(সুরা লোকমান, আয়াত - ১৭)।

"হে বৎস, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ"।

৮। মানুষকে অবজ্ঞা কোরো না । (সুরা লোকমান, আয়াত - ১৮)।

"অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না"।

৯। কণ্ঠস্বর নিচু রাখো । (সুরা লোকমান, আয়াত - ১৯)।

"পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর"।

১০। নারী অশালীনভাবে নিজেকে প্রদর্শন করবে না।(সুরা আহজাব, আয়াত - ৩৩)।

"তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে ।পূর্ববর্তী জাহেলি (বর্বর) যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে"।

মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে আল কোরআনের আলোকে জীবন গড়ার ও চলার তওফিক দান করুণ

চলবে -
===============================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -

আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ১১ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ১০ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৯ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৮ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৭ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৬ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৫ Click This Link
আল কোরআন সংকলন-সংরক্ষণের ইতিহাস - Click This Link
আল কোরআন এর ২৬ টি আয়াত বাতিল চেয়ে আদালতে দায়ের করা রিট বাতিল করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
- Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৪ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৩ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ২ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ১ Click This Link

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:



কোরান শরীফ'এর অনুশাসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার অনেক আগেই এসব অনুশাসন আরবদের মাঝে ৩/৪ হাজার বছর থেকে প্রচলিত ছিলো; কোরানে লিপিবব্ধ 'বেষ্ট প্রেকটিশগুলো ইহুদীদের মাঝে চালু ছিলো'; এসব অনুশাসন সামন্তবাদের সময়ও চালু ছিলো; সেখান থেকে এগুলো নিয়ে কোরানের অংশ করা হয়েছে। এখন আরবে এর থেকেও উন্নতমানের অনুশাসন চলছে, উহার নাম, "সংবিধান"।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

কোরান শরীফ'এর অনুশাসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার অনেক আগেই এসব অনুশাসন আরবদের মাঝে ৩/৪ হাজার বছর থেকে প্রচলিত ছিলো; কোরানে লিপিবব্ধ 'বেষ্ট প্রেকটিশগুলো ইহুদীদের মাঝে চালু ছিলো'; এসব অনুশাসন সামন্তবাদের সময়ও চালু ছিলো; সেখান থেকে এগুলো নিয়ে কোরানের অংশ করা হয়েছে। এখন আরবে এর থেকেও উন্নতমানের অনুশাসন চলছে, উহার নাম, "সংবিধান"।

- সামাজিক অনুশাসন,রীতি-নীতি যে কোন সমাজেই গড়ে উঠে ।

সেই হিসাবে আল কোরআন নাজিলের পূর্বে আরবে অনুশাসন বা করণীয়-পালনীয় বিষয় সম্পর্কে কোন নিয়ম-কানুন পালনের জন্য "সংবিধান" প্রচলিত ছিলনা , এমন নয়। নিয়ম-নীতি "সংবিধান" অবশ্যই ছিল এবং তা তারা পালনও করত। তবে আল কোরআন নাজিল হওয়ার আগে যেমনটা করত তা থেকে কিছুটা ভিন্নতা তৈরী হয় করনীয়-পালনীয় বিষয়ে - এই যা।

যেমন - আগেও তারা মক্কা শরীফে প্রার্থনার জন্য উপস্থিত হত তবে একেশ্বরবাদের নয় বহু ঈশ্বর তথা গোত্র ভিত্তিক তথা একেক জন একেক মূর্তির পুজা করত। আল কোরআন নাজিলের পর সেখানে মূর্তি পুজার পরিবর্তে আল্লাহর উপাসনা তথা প্রার্থনা শুরু হয়।

আবার, ইহুদিরা যেহেতু আসমানী কিতাব প্রাপ্ত হয়েছে এবং তাদের একজন পয়গম্বর (নবী আঃ) ও ছিল এবং সে কিতাব ও নবী আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত , সেই হিসাবে ইহুদি ধর্মের অনেক কিছুই ইসলাম ধর্মের মাঝে প্রভাব রেখেছে। এটাকে অনেকটা ধর্মের পরিবর্তিত রুপ বলা যায়। কারন, ইহুদি ধর্ম - ইসলাম ধর্ম তথা সকল আব্রাহামিক ধর্ম গুলোর মুলসূর একই (আল্লাহ এক) এবং করণীয়-পালনীয় বিষয়গুলোর মাঝে অনেক ব্যাপারেই সাদৃশ্য রয়েছে। নির্দেশ রয়েছে সকল ধর্ম ও তাদের নিয়ম-নীতি ও নবীকে মান্য করার।

আবার , সামন্তবাদের সময় তথা বিভিন্ন রাজা-বাদশা-জমিদার'রা তাদের শাসন কার্য পরিচালনার সুবিধার্থে নানা রকম নিয়ম-নীতি তথা সংবিধান প্রণয়ন করেছে,তবে এগুলো ছিল শুধু তাদের অধীনস্থ এলাকা বা তাদের প্রজা তথা সীমিত এলাকা ও সময়ের জন্য। আর তাইতো দেখা সেই সব সংবিধান নিয়ম-নীতি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তীত হয়।এদিকে , আরবে (নানা দেশে) যে শাসন চলছে তাও চলছে তাদের নিজ নিজ দেশের জনগন ও শাসনের সুবিধার্থে প্রণীত বিধান অনুযায়ী। তবে ধর্মীয় বিধান-সংবিধান একই ছিল-আছে-থাকবে।আবার , হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর পূর্বে যে সকল নবী এসেছিলেন তারাও ছিলেন এলাকা ভিত্তিক এবং তাদের প্রচার সীমাবদ্ধ থাকত শুধু নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মাঝে। আর হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এসছেন,প্রেরিত হয়েছেন সারা দুনিয়ার সকল সমাজ-মানুষের জন্য।

আল কোরআন নাজিলের পর থেকে দুনিয়া ধ্বংসের (কেয়ামত) আগ পর্যন্ত একই থাকবে। তাতে কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন, সংযোজন কিংবা বিয়োজন হবেনা । আবার ,আল কোরানের সংবিধান শুধু নির্দিষ্ট এলাকার জন্য নয় বরং তা সারা দুনিয়ার সকল মুসলমানের জন্য একই রকম ভাবে পালনীয়-মাননীয়। এটা এমন নয় যে আরবদের জন্য একরকম, অনারবদের জন্য অন্যরকম । এর পালনীয় করনীয় সারা দুনিয়ায় একই রকম। এখানেই বাকী সব সংবিধান থেকে ইসলাম ধর্মের সংবিধানের প্রার্থক্য।

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @সোনাগাজী

কোরান শরীফ'এর অনুশাসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার অনেক আগেই এসব অনুশাসন আরবদের মাঝে ৩/৪ হাজার বছর থেকে প্রচলিত ছিলো

এটা যদি হত তবে তো কোরানের অনুশাসন মানতে আরবদের তো এত গড়িমসি করবার কথা না তাইলে তো পয়গম্বর নবী মুহাম্মদ সাঃ কেও আরবরা মেনে নিতে প্রথম দিকে এতটা আপত্তি করত না । আর সংবিধানকে এত উন্নত বলবার কিছু নেই , ধর্মের অনুশাসনের সাথে তো কেবল সামাজিকতা নয় আধ্যাত্মিকতারও সংযুক্তিতা আছে তাই এখানে সংবিধানকে তুলনা করবার কিছু নেই ।

সংবিধান নিজেও ধর্মীয় অনুশাসন থেকে কিছুটা হলেও উদ্ভূত আর এখানেও অনেক অসংগতি আছে ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নিবর্হণ নির্ঘোষ ভাই, আপনার @ সোনাগাজী ভাইয়ের প্রতি মন্তব্যের জন্য।

সংবিধান নিজেও ধর্মীয় অনুশাসন থেকে কিছুটা হলেও উদ্ভূত আর এখানেও অনেক অসংগতি আছে ।

যদিও @ সোনাগাজী তারপরও,

- মানব রচিত সংবিধানে তাই প্রাধান্য পায় বা তার মতবাদই প্রতিফলিত হয় যা প্রণয়েতা চায় এবং তার মূল বিষয় থাকে শাসকের তথা প্রণয়েতার সুবিধা।

অপরদিকে,ধর্মীয় অনুশাসন তথা সংবিধান রচিত হয়-হয়েছে মহান সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক এবং সকল মানুষের কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে । কাজেই , এ দুয়ের মাঝে প্রার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:


@নিবর্হণ নির্ঘোষ ,

যখন মানুষ গড়ে কম জ্ঞানের সমাজে ছিলো, তখন তারা গোত্রে গোত্রে বিভক্ত ছিলো; সব গোত্রের নিজস্ব নিয়মাবলী ও কালচার ছিলো। এই গোত্রীয় 'বেস্ট প্রেকটিস'গুলোকে আল্লাহের নামে চালু করা হয়েছে, উহাকেই নাম দেয়া হয়েছে ধর্ম। গোত্র থাকায় তারা নবীদে মানতো না, সেজন্য যুদ্ধ হয়েছে, যুদ্ধে জয়ী হয়েই নবী মোহাম্মদ (স; ) নবী হয়েছেন, পরাজিত হলে উহা ওখানেই থেমে যেতো।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সোনাগাজী ভাই, যদিও @নিবর্হণ নির্ঘোষ ,

যখন মানুষ গড়ে কম জ্ঞানের সমাজে ছিলো, তখন তারা গোত্রে গোত্রে বিভক্ত ছিলো; সব গোত্রের নিজস্ব নিয়মাবলী ও কালচার ছিলো। এই গোত্রীয় 'বেস্ট প্রেকটিস'গুলোকে আল্লাহের নামে চালু করা হয়েছে, উহাকেই নাম দেয়া হয়েছে ধর্ম। গোত্র থাকায় তারা নবীদে মানতো না, সেজন্য যুদ্ধ হয়েছে, যুদ্ধে জয়ী হয়েই নবী মোহাম্মদ (স; ) নবী হয়েছেন, পরাজিত হলে উহা ওখানেই থেমে যেতো।

তারপরও - এটা মনে হয়না সঠিক ধারনা।

কোন যুদ্ধই মুসলমানরা শুরু করেনি। মুসলমানরা বিরোধীদের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের মোকাবিলা করেছে , এর ফলে বিজয়ী দল কিছুটা সুবিধা পেয়েছে ধর্ম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে - এটা ঠিক।

তবে যুদ্ধে জয়ী যুদ্ধে জয়ী হয়েই নবী মোহাম্মদ (সঃ) নবী হয়েছেন ও পরাজিত হলে উহা ওখানেই থেমে যেতো - এটা আপনার সম্পূর্ণ ভুল ধারণ। এখানে তাই হয়েছে, যেভাবে আল্লাহ পাক চেয়েছেন।

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আল কোরআন " - সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী গ্রন্থ এবং মানব জাতির মুক্তির আলোকবর্তিকা। সহমত, কিন্তু লেখাটা দীর্ঘ করে ফেলেছেন। কুরআন নিয়ে কিছু লিখতে হলে কংক্রিট লিখতে হয়।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাখাওয়াত হোসেন বাবন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী গ্রন্থ এবং মানব জাতির মুক্তির আলোকবর্তিকা। সহমত, কিন্তু লেখাটা দীর্ঘ করে ফেলেছেন। কুরআন নিয়ে কিছু লিখতে হলে কংক্রিট লিখতে হয়।

- লেখার বিষয়ের সাথে সহমতের জন্য শুকরিয়া তবে মূল বিষয়ের আগে (আল কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা) সূচনা বা প্রারম্ভিক
বক্তব্য আপাত কিছুটা দীর্ঘ বলে মনে হয় এটা সত্যি তবে তা আমাদের আলোচ্য বিষয়ের সাথে প্রাসংগিক হিসাবেই এসেছে।

আর, আল কুরআনে আমাদের নিজ থেকে কিছু সংযোজন-বিয়োজনের কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয়না। আবার , এটাও ঠিক আমরা যারা অনারব (আরবী কম বুঝি বা বুঝিইনা) তাদের জন্য বাংলা তর্জমা ব্যতীত অন্য কোন পথও খোলা নেই যাতে করে আল কোরআনের মর্মার্থ অনুধাবন করা যায়। আর সব সময়ই ব্যাখ্যার সময় শব্দ বিন্যাস কিংবা বাক্য চয়ন একেবারে নির্ভুল হয়না। কিছুটা এদিক সেদিক হয় বা কিছু অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার হয় বিষয়ের যথার্থতা ফুটিয়ে তোলার জন্য তবে মূল বিষয়ের কোন পরিবর্তন কিন্তু হয়না। মূল বিষয় ঠিকই থাকে।

তারপরও যদি আপনার মনে হয় আয়াতের ব্যাখ্যায় কোথাও শব্দের বাহুল্য ব্যবহার হয়েছে ,দয়া করে বললে তা সংশোধন করে নিব।

আবারো ধন্যবাদ ভাই।

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন রসূলের (সা) একটি মোজেজা যেটা কেয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। অন্যান্য নবী বা রসুলের মোজেজা ছিল অল্প সময়ের জন্য।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

কোরআন রসূলের (সাঃ) একটি মোজেজা যেটা কেয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। অন্যান্য নবী বা রসুলের মোজেজা ছিল অল্প সময়ের জন্য।

- আপনি একদম সঠিক বলেছেন।

কেয়ামত পর্যন্ত আল কোরআন সেই রকমই থাকবে বা অবিকল-অবিকৃত হিসাবেই থাকবে, কারন - মহান আল্লাহপাক আল কুরআন নাজিল করেছেন এবং তিনিই এর সংরক্ষণ করবেন।

আর বাকী নবী-রাসুল (সাঃ) রা নির্দিষ্ঠ এলাকা কিংবা কিছু মানুষের জন্য আর নবী (সাঃ) বিশ্ব মানবতা তথা সারা বিশ্বের জন্য এবং কেয়ামত স্থায়ী। কারন, তার পরে আর কোন রাসুল কিংবা ধর্ম আসবেনা।

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:


@সাড়ে চুয়াত্তর ,

মুসলিম এলাকা যত বেশী দরিদ্র হবে, যত বেশী জ্ঞানের অভাবে ভুগবে, কোরান নিয়ে ততবেশী সময় নিয়ে আলোচনা চলবে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: @ সোনাগাজী ভাই ,

মুসলিম এলাকা যত বেশী দরিদ্র হবে, যত বেশী জ্ঞানের অভাবে ভুগবে, কোরান নিয়ে ততবেশী সময় নিয়ে আলোচনা চলবে।

- আপনি যা বলেছেন, তা কি আপনি সিউর :-< যে এরকম টাই হচছে কিংবা হবে?

৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই গোত্রীয় 'বেস্ট প্রেকটিস'গুলোকে আল্লাহের নামে চালু করা হয়েছে, উহাকেই নাম দেয়া হয়েছে ধর্ম।[/sb

খাদ থেকে যাচ্ছে । সেইসব বেস্ট প্র্যাকটিসকে যদি ধর্ম বলা হয় তবে তো বলতে হয় কোরাণকে মেনে নিতেও তাঁদের কোন সমস্যা হবার কথা ছিল না । তাদের নবী না মানার কারণ যে গোত্র এটাও তো বিশ্বাসযোগ্য না কারণ এর আগেও যারা নবী ছিল তাঁদের বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের পেছনে কখনও গোত্রপ্রথা কাজ করেনি । হ্যাঁ অনেক নবী এসেছিল গোত্রদের মধ্যে কিন্তু অনেক নবী তো গোষ্ঠীদের মধ্যে ও সাম্রাজ্যের মধ্যেও এসেছিল সেখানে বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের পেছনে গোত্র কাজ করেছে বলে কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না ।

আর পয়গম্বর সাঃ বিরুদ্ধে তো কুরাইশ গোত্রের মানুষও যুদ্ধ করেছিল , এখানেও তো আপনার কথার খাদ থেকে যায় ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: @ সোনাগাজী এই গোত্রীয় 'বেস্ট প্রেকটিস'গুলোকে আল্লাহের নামে চালু করা হয়েছে, উহাকেই নাম দেয়া হয়েছে ধর্ম।

- ধর্মের ব্যাপারে এইভাবে নিজস্ব দৃষ্টিভংগিতে ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ খুবই কম।
তারপরেও আমাদের মাঝে অনেকেই এ কাজটা করে থাকে নিজেকে আধুনিক কিংবা জ্ঞানী প্রমাণের জন্য , যা মোটেই উচিত নয়।

খাদ থেকে যাচ্ছে । সেইসব বেস্ট প্র্যাকটিসকে যদি ধর্ম বলা হয় তবে তো বলতে হয় কোরাণকে মেনে নিতেও তাঁদের কোন সমস্যা হবার কথা ছিল না

- সমস্যা তখনই হয় ভাই, যখন তাদের স্বার্থ-মত-পথের সাথে মিলেনা। সামলোচনার জন্য যে কোন কিছুরই সমালোচনা করা যায় তবে বাস্তবতা অন্য কিছু বলে।

৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মুসলিম এলাকা যত বেশী দরিদ্র হবে, যত বেশী জ্ঞানের অভাবে ভুগবে, কোরান নিয়ে ততবেশী সময় নিয়ে আলোচনা চলবে।

স্পেন ও বসরা যখন শিল্পে , জ্ঞান , ধনে সমৃদ্ধ ছিল তখনও তো কোরান নিয়ে আলোচনা হত । অনেক বেশিই হত ! এমনকি আব্বাসীয় সাম্রাজেও তো হত !!

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: - কি বলব :( , বলার কিছুই নাই।

৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:


@নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন:

স্পেন ও বসরা যখন শিল্পে , জ্ঞান , ধনে সমৃদ্ধ ছিল তখনও তো কোরান নিয়ে আলোচনা হত । অনেক বেশিই হত ! এমনকি আব্বাসীয় সাম্রাজেও তো হত !!

আব্বাসীয়রা কি আজকের আফগানিস্তান থেকে বেশী জ্ঞানী ছিলো?

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: @ সোনাগাজী ভাই,

আব্বাসীয়রা কি আজকের আফগানিস্তান থেকে বেশী জ্ঞানী ছিলো?

- আপনার ধারনা কি আব্বাসীয়দের সম্পর্কে ?
তারা কি পিগমি :( ছিল ?

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:


@নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন , "... স্পেন ও বসরা যখন শিল্পে , জ্ঞান , ধনে সমৃদ্ধ ছিল তখনও তো কোরান নিয়ে আলোচনা হত । অনেক বেশিই হত ! এমনকি আব্বাসীয় সাম্রাজেও তো হত !! "

আব্বাসীয়রা কি আজকের আফগানিস্তান থেকে বেশী জ্ঞানী ছিলো? এখন স্পেনে কোরান নিয়ে কেমন আলাপ হচ্ছে? আপনি স্পেন গিয়েছিলেন?

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সোনাগাজী ভাই @ নিবর্হণ নির্ঘোষ ভাই,

তারপরও,
আব্বাসীয়রা কি আজকের আফগানিস্তান থেকে বেশী জ্ঞানী ছিলো?

- নিরপেক্ষ ভাবে ইতিহাস ঐতিহ্যের অনুসন্ধান করলে আপনি নিজেই এর জবাব পেয়ে যাবেন।

এখন স্পেনে কোরান নিয়ে কেমন আলাপ হচ্ছে?

- সামাজিক কৃষ্টি-সংস্কৃতির পরিবর্তনের সাথে সাথে ইতিহাস ঐতিহ্যের ও পরিবর্তন হয়। স্পেন যখন মুসলমানদের অধীনে ছিল তখনকার সামাজিক রীতি-নীতির সাথে এখনকার স্পেনের কৃষ্টি-সংস্কৃতির পরিবর্তন মেনে নিতেই হবে। আর ইউরোপের দেশ হিসাবে এবং যারা মুসলিম হিসাবে আছেন তারা অবশ্যই আল কোরআনের চর্চা করেন মেনে চলেন।

আপনি স্পেন গিয়েছিলেন?

- আমিও স্পেনে যাইনি ভাই।

আপনাকে জানার জন্য যেমন আমেরিকা নামক দেশে যাওয়ার দরকার নেই। আপনাকে যেমন আপনার প্রাত্যহিক কাজ-আচরনের মাধ্যমে জানা যায় ঠিক তেমনি স্পেন সম্পর্কে জানার জন্য স্পেনে যাওয়ার কি দরকার আছে ভাই? সভ্যতার অগ্রগতির ফলে এখন মানুষের কোন কিছুই জানার বাইরে থাকেনা ।আর জানার অনেক দূরবর্তী দূরত্ব কোন বিষয়ই নয়।জানার ইচছাটাই যথেষ্ট।

১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @ সোনাগাজী

হাজারগুণ বেশি জ্ঞানী ছিল নয় কি ? না হলে সেই সময় আমরা আরব জগতের বহু জ্ঞানী পেলাম কী করে ?

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হাজারগুণ বেশি জ্ঞানী ছিল নয় কি ? না হলে সেই সময় আমরা আরব জগতের বহু জ্ঞানী পেলাম কী করে ?

- সঠিক।

১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @সোনাগাজী

আমি মুসলিম শাসনে থাকা আন্দালুসিয়া ওরফে স্পেনের কথা বলছি । আর আমি স্পেনে না যাই আপনি নিজেও তো সেই সময়ের আরব সমাজে যান নাই তাই না ? জেনেছেন তো পড়ে । কোরান নিয়ে আলোচনা না হলে কেন এত এত থিসিস বের হচ্ছে ? এবার কী এটা বলবেন যে আমি গিয়ে দেখেছি কি না যে থিসিস লেখা হচ্ছে , তবে বলি থিসিস প্রকাশ হলেই তো জানতে পাচ্ছি ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: @সোনাগাজী ,
আমি মুসলিম শাসনে থাকা আন্দালুসিয়া ওরফে স্পেনের কথা বলছি । আর আমি স্পেনে না যাই আপনি নিজেও তো সেই সময়ের আরব সমাজে যান নাই তাই না ? জেনেছেন তো পড়ে । কোরান নিয়ে আলোচনা না হলে কেন এত এত থিসিস বের হচ্ছে ? এবার কী এটা বলবেন যে আমি গিয়ে দেখেছি কি না যে থিসিস লেখা হচ্ছে , তবে বলি থিসিস প্রকাশ হলেই তো জানতে পাচ্ছি ।

- :( ,

১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:


@নিবর্হণ নির্ঘোষ , আমি মুসলিম শাসনে থাকা আন্দালুসিয়া ওরফে স্পেনের কথা বলছি । "

-সামন্তবাদে মানুষ মেরে অন্য দেশ দখল করেছিলো আরবেরা , ওরা জ্ঞানী ছিলো না, ছিলো তালেবানদের মতো উজবুকেরা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: @ সোনাগাজী ভাই ,

-সামন্তবাদে মানুষ মেরে অন্য দেশ দখল করেছিলো আরবেরা , ওরা জ্ঞানী ছিলো না, ছিলো তালেবানদের মতো উজবুকেরা।

- কি বলব , বলার ভাষা নেই ।

শুধু বলব ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনার সময় নির্মোহ ও পক্ষপাত মুক্ত থাকা জরুরী।

১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @সোনাগাজী

ভাই আমি সেই সময়কার জ্ঞানসমাজ নিয়ে কথা বলছি শাসন নিয়ে না , " মুসলিম শাসন " শব্দদ্বয় ব্যবহার করেছি বলে এই না আমি শাসন নিয়ে বলছি । শাসন নিয়ে বললেন যখন তবে বলতে হয় রেঁনেসার সময়ও সামন্তবাদ ছিল এবং সেই সময় সাম্রাজ্যবাদ ছিল তাহলে তখনও জ্ঞানী থাকবার কথা না । দেকার্ত , কান্ট এরা জ্ঞানী ছিল না ।

তো আপনার কাছে জ্ঞানী কারা ?

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: জ্ঞানী কারা ?[/sb

১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আজকের মানুষ মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ; আগেও জ্ঞানী মানুষ ছিলো গ্রীসে, ইতালী ও পুর্ব ইউরোপে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আজকের মানুষ মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ; আগেও জ্ঞানী মানুষ ছিলো গ্রীসে, ইতালী ও পুর্ব ইউরোপে।

- তাদের মাঝে কি মুসলমান কেউ ছিল-আছে?

না সবাই অমুসলিম ছিল-আছে?

১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যেইসব অঞ্চলের নাম বললেন সেখানে যেন সামন্তবাদ , ঔপনিবেশিকতা , সাম্রাজ্যবাদ ছিল না ? আপনি যেভাবে যেকোন কিছুতেই সামন্তবাদ টেনে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় চলে যান এবং ইতিহাসে লিখা আছে এমন জ্ঞানী সমাজকেও জ্ঞানী বলে মানেন না তো এইসব অঞ্চলের বেলায়ও মানবার কথা না । আপনি দেখি স্বদিক থেকেও সাংঘর্ষিক !

ইতিহাসের সবচেয়ে জ্ঞানী সমাজ এখন থাকলে বলতে হয় এখনও কোরাণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে । এবং হবেই !

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নিবর্হণ নির্ঘোষ ভাই,

আল কুরআন টিকে থাকবে যুগ যুগ ধরে, তাকে নিয়ে আলোচনা/রিসার্চ হবে জ্ঞানী-গুনীদের মাঝে আর তার সমালোচনা ও দোষত্রুটি খুজতে গিয়ে একটা সময় যাবে হারিয়ে যাবে অনেকেই। এই সহজ কথাটাই কিছু গেয়ানী মানুষ বুঝতে চায়না ,সমস্যা এখানেই।

১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



@নিবর্হণ নির্ঘোষ, ""ইতিহাসের সবচেয়ে জ্ঞানী সমাজ এখন থাকলে বলতে হয় এখনও কোরাণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে । এবং হবেই ! "

-১৯০ কোটী মুসলমানের মাঝে ১৫০ কোটীই নীচুমানের জীবন যাপন করছে বিশ্বে; এদের জ্ঞান নেই, পড়ালেখা নেই, নিয়মিত কাজ নেই, অর্থনীতিতে পেছনে, রাজনীতিতে পেছনে; ফলে, এদের জন্য রূপকথাই জীবন, কোরান বেঁচে থাকবে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: -১৯০ কোটী মুসলমানের মাঝে ১৫০ কোটীই নীচুমানের জীবন যাপন করছে বিশ্বে; এদের জ্ঞান নেই, পড়ালেখা নেই, নিয়মিত কাজ নেই, অর্থনীতিতে পেছনে, রাজনীতিতে পেছনে; ফলে, এদের জন্য রূপকথাই জীবন, কোরান বেঁচে থাকবে।

সোনাগাজী ভাই , জীবন যাপনের মনের সংজ্ঞা একেক জনের নিকট একেক রকম হতে পারে । আপনার কাছে যা মানের বলে বিবেচিত অন্য অনেকের নিকট তা মানের বলে বিবেচিত নাও হতে পারে।



১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া, লিবিয়া, পাকিস্তান, সুদান, মিশর, মরক্কো বাংলাদেশ, ইত্যাদি সব সময় এই ধরণের খারাপ অবস্হায় থাকবে; এসব দেশের মানুষ কখনো "সঠিক শিক্ষা পাবে না"; মাদ্রাসা ও কোরান ভিত্তিক জীবন এসব দেশেচলটে থাকবে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া, লিবিয়া, পাকিস্তান, সুদান, মিশর, মরক্কো বাংলাদেশ, ইত্যাদি সব সময় এই ধরণের খারাপ অবস্হায় থাকবে; এসব দেশের মানুষ কখনো "সঠিক শিক্ষা পাবে না"; মাদ্রাসা ও কোরান ভিত্তিক জীবন এসব দেশেচলটে থাকবে।

ভাই,
- আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া, লিবিয়া, পাকিস্তান, সুদান, মিশর, মরক্কো তাদের সমাজের জীবন ধারা যেভাবে চলছে তাতে ধর্মের দায় থেকে বিশ্ব মোড়ল তথা আপনার দৃষ্টিতে যারা খুবই ভাল জীবন যাপন করে তাদের দায় কোন ভাবেই কম নয়।

বাংলাদেশের শুধু সমস্যা ধর্মের নয় ।এখানে এর সমস্যা আরো অনেক জটিল । আপনি সেদিকে আলোকপাত করেন। খুজে পাবেন আমার সোনার বাংলার আসলে সমস্যা কোথায়?

আর , মাদ্রাসা ও কোরান ভিত্তিক শিক্ষা কি আপনার মতে খুবই খারাপ? তা কি কোনভাবেই সভ্যতার অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারেনা?

১৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:



আজকের মানুষের জ্ঞানের তুলনায়, ধর্মীয় শিক্ষা "বাল্যশিক্ষা" থেকে ছোটমানের শিক্ষা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আসলেই :P কি তাই ?

২০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @সোনাগাজী

এবার প্রসঙ্গ পাল্টে আরেক ট্র্যাকে গেলেন ! নাহ আপনি দেখছি প্রসঙ্গ ব্যাপারটাই বোঝেন না ।

যেযস মুসলিম দেশে এমন পরিস্থিতি তার পেছনে নব্য সাম্রাজ্যবাদ দায়ী তা তো এই যুগের অনেক জ্ঞানীই বলছে তাই না ? আপনি কী তা দেখেন নাই ? তারা রূপকথায় থাকে না থাকেন আপনি ! তারা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারে যে তাঁদের এই অবস্থার জন্য দায়ী নব্য সাম্রাজ্যবাদীতা । আর হ্যাঁ কোরান বাঁচবে , অবশ্যই বাঁচবে ।

আর দয়া করে প্রাসঙ্গিকতায় থাকেন !

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @সোনাগাজী,

আর দয়া করে প্রাসঙ্গিকতায় থাকেন !

- সমস্যা সেখানেই ভাইজান। আলোচনা যেখানে বা যে বিষয়ে শুরু হয় চাঁদগাজী কিংবা সোনাগাজী ভাইয়ের আলোচনা তার ধারে কাছেও থাকেনা।

আমাদের এখানে আলোচ্য বিষয় ছিল আল কোরআনের উপদেশাবলী, যেখানে আলোচনা হতে পারত লেখায় যে কয়টা আয়াতের কথা বলা হয়েছে সেগুলোর উপর এবং আধুনিক যুগের সমাজেও এসব আয়াতের উপযোগীতা বা গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু।

তবে আফসোস, আমাদের ভাইয়ের আলোচনা এসবের ধারে কাছেও নেই ।

২১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আজকের মানুষের জ্ঞানের তুলনায়, ধর্মীয় শিক্ষা "বাল্যশিক্ষা" থেকে ছোটমানের শিক্ষা।

এই কথাটা যে ভুল তার বড় প্রমাণ আপনি নিজেই ! কারণ আপনি আধুনিক শিক্ষা বা ধর্ম নিরপেক্ষ শিক্ষার পক্ষে হলেও আপনার আধুনিক শিক্ষার জ্ঞানই নেই বিশেষ করে ইতিহাস নিয়ে আপনার জ্ঞান ছোটমানের চাইতেও কম !

আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া, লিবিয়া, পাকিস্তান, সুদান, মিশর, মরক্কো বাংলাদেশ, ইত্যাদি সব সময় এই ধরণের খারাপ অবস্হায় থাকবে; এসব দেশের মানুষ কখনো "সঠিক শিক্ষা পাবে না"; মাদ্রাসা ও কোরান ভিত্তিক জীবন এসব দেশেচলটে থাকবে।

আগে আপনি সঠিক শিক্ষা সঙ্গায়িত করেন তারপর বলেন । আপনার কথা দেখে বোঝাই যাচ্ছে আপনি সঠিক শিক্ষা বলতে কী বোঝাচ্ছেন তা আপনি নিজেই জানেন না । আর সময়ের আবর্তনে অনেক অনুমান টিকে না তাই এত খুশি হবেন না নিজের অনুমানের ওপর এত আস্থা রাখবেন না , অনুমানের ওপর বেশি আস্থা রাখাটা ঠিক না আপনি তো অর্থনীতি সম্পর্কে নিজেকে বেশি জ্ঞানী মনে করেন তো আপনার জানা উচিত অনুমান যে বেশিরভাগ সময় সঠিক হবে এমন কোন কথা নেই !

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নিবর্হণ নির্ঘোষ @সোনাগাজী ভাই ,

+ আমিও,
সঠিক শিক্ষা !!!!!!!!!!!!!!!!!!!! বলতে আপনি কি বুঝেন সোনাগাজী ভাই?

যদি একটু ব্যাখ্যা করেন , তাহলে বুঝতে পারতাম।

২২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৪

নতুন বলেছেন: সামাজিক ব্যবস্থা বড় হবার পরে মানুষ সমাজের জন্য আইন তৌরি করেছিলো, অনেক আইন আছে। সেইগুলি অনেকটাই এখন ফানি লাগবে।


তেমনি ১৪০০ বছর আগের আইনে, অনেক কিছুই আছে যেটা বর্তমানে মানুষ অমানবিক বলেই ভাবতে শুরু করেছে।
আগের আইনে দাস/ দাসী রাখা নিষেধ করা হয় নি।
দাসীর সাথে সহবাস বৈধ।
স্বামী স্ত্রী দুজন যুদ্ধবন্ধি হলে স্ত্রী দাসি হিসেবে গন্য হতো এবং তাকে যার ভাগে দেওয়া হতো তিনি তার সাথে সবকিছুই করার মালিক হতেন।
আগের আইনে বিয়ের জন্য স্ত্রীর অনুমুতির দরকার নাই।
স্বামী মুখে ৩ তালাক দিলেই বিয়ে বাতিল।
৪টা পযন্ত বিয়ের অনুমুতি আছে।
ধর্ম থেকে বেরহয়ে গেলে তার কঠিন সাজা আছে।

কোড অফ হাম্মুরাবি সম্পর্কে পড়ে দেখবেন। এই রকমের সামাজিক আইন অনেক আগেই মানুষ তৌরি করেছিলো। আর যত দিন যাবে ততই নতুন নিয়মে কিছু না কিছু পাল্টে যাবে। কারন কিছু জিনিস মানুষ পছন্দ করবেনা।

ব্লগার রেজোওয়ানা এই বিষয়ের লেখাটা পড়তে পারেন। Click This Link

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।

সামাজিক ব্যবস্থা বড় হবার পরে মানুষ সমাজের জন্য আইন তৌরি করেছিলো, অনেক আইন আছে। সেইগুলি অনেকটাই এখন ফানি লাগবে।

- সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে সামজিকতারও (রীতি-নীতি) পরিবর্তন হয় । এটা সত্যি।


তেমনি ১৪০০ বছর আগের আইনে, অনেক কিছুই আছে যেটা বর্তমানে মানুষ অমানবিক বলেই ভাবতে শুরু করেছে।

- নিরপেক্ষ ভাবে ও তকনকার সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিলে তা আর অমানবিক বলে মনে হবেনা।


আগের আইনে দাস/ দাসী রাখা নিষেধ করা হয় নি। দাসীর সাথে সহবাস বৈধ। স্বামী স্ত্রী দুজন যুদ্ধবন্ধি হলে স্ত্রী দাসি হিসেবে গন্য হতো এবং তাকে যার ভাগে দেওয়া হতো তিনি তার সাথে সবকিছুই করার মালিক হতেন।

- দাসপ্রথার প্রচলন ইসলাম থেকে আসেনি। ইসলামের প্রাথমিক যুগ বা ইসলাম পূর্ব যুগে দাস-দাসী রাখা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ছিলো। দাস প্রথা যুগ যুগ ধরে সকল সমাজে প্রচলিত ছিল এবং সেই সময়কার সভ্যতার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলো দাসপ্রথা। ইসলামে প্রাচীনকালে যে-সকল প্রন্থায় দাস বানানো হতো তার সকল উৎস বন্ধ করে দিয়ে শুধুমাত্র একটি উপায়ে উন্মুক্ত রেখেছে, তা হলো শরিয়ত সম্মত যুদ্ধ বা জিহাদ। ইসলামে দাসপ্রথা সংস্কার এতই মৌলিক ছিলো, যার পরিণতিতে দাসপ্রথা ক্রমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।


ইসলামে কোনো স্বাধীনব্যক্তিকে দাস বানানো হারাম। কেউ স্বাধীন ব্যক্তিতে দাস করলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার বিরুদ্ধে হবে। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,"আমি কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হবো। ১. যে আমার নামে শপথ করে অতঃপর বিশবাসঘাতকতা করে। ২. যে কোন স্বাধীন ব্যক্তিকে (ক্রীতদাস হিসেবে) বিক্রি করে তার মূল্য ভক্ষণ করে।৩. যে কোন মজুরকে নিযুক্ত করে তার থেকে পরিপূর্ণ কাজ গ্রহণ করে অথচ তার পারিশ্রমিক প্রদান করেনা ''।( সহিহ বুখারি শরীফ, হাদিস নং- ২২২৭)।

অনেকেই অভিযোগ করেন, ইসলাম কেন অন্যান্য সামাজিক ব্যাধির মতো এই দাসপ্রথাকে চিরবিলুপ্ত করে দেয়নি ?

কারন - ইসলামের আগমন এমন সময় হয়েছে যখন দাসপ্রথার দৃষ্টিভঙ্গী বর্তমান সময়ের মতো ছিলো না। দাসপ্রথার উপর তখন অর্থনীতি অনেককাংশেই নির্ভর করতো। তাই হুট করেই ইসলাম দাসপ্রথাকে নিষিদ্ধ করতে পারেনি। কিন্তু দাসপ্রথার উৎস সমূহের সমস্থ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। কেবল মাত্র শরিয়ত সম্মত জিহাদে যুদ্ধবন্দীনিদের বন্দী করার বিধান দেওয়া আছে। কেননা, ইসলামে জিহাদ যেহেতু চলমান প্রক্রিয়া, তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে যুদ্ধবন্দীদের দাসপ্রথা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত ঘোষণা করেনি, যাতে কাফিরদের মোকাবেলায় যুদ্ধনীতি বা রাজনৈতিক নীতিতে ইসলামে কোনো স্থবিরতা না থাকে।

এছাড়া ইসলামের আগমনের সময় দাসপ্রথা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ছিলো। তখন প্রায় মানুষের দাস ছিলো বা তার নিজেদের দৈনিন্দন কাজের জন্য দাস-দাসী রাখা হতো। এই দাসদের মধ্যে অনেকেই জানতোনা তাদের আসল ঠিকানা কোথায়, কোথায় থেকে এসেছে। কেননা তখন কেনা-বেচার মাধ্যমে একজন স্বাধীন মানুষকে দাস বানানো হতো। দাস-দাসীদের ছিলোনা কোনো বাসস্থান, তাদের বরণ-পোষণ সব কিছুরই দায়িত্ব ছিলো মনিবের। এমতঅবস্থায় দাসপ্রথা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হলে এসব দাস-দাসীদের ভরণ-পোষণ, বাসস্থানের নিশ্চয়তা থাকতো না। সুতরাং নানাবিধ সমস্যার কারণে ইসলাম দাসপ্রথাকে চিরতর বন্ধ করে দেয়নি। তবে দাস-দাসী আসার উৎসগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ, ইসলাম দাসপ্রথাকে এমনভাবে সংস্কার করেছে যার ফলে দাসপ্রথা চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে ইসলাম থেকে।


আগের আইনে বিয়ের জন্য স্ত্রীর অনুমুতির দরকার নাই। স্বামী মুখে ৩ তালাক দিলেই বিয়ে বাতিল। ৪টা পযন্ত বিয়ের অনুমুতি আছে। ধর্ম থেকে বেরহয়ে গেলে তার কঠিন সাজা আছে।

- এই প্রতিটা বিষয়েই ইসলামের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। আছে এর পিছনের কারনের ব্যাখ্যাও। কাজেই , যে কোন বিষয়েই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাওয়ার পরের মন্তব্যই যথার্থ বলে বিবেচিত হতে পারে। আংশিক বা অংশবিশেষ নিয়ে মন্তব্য কোন ভাবেই কোন বিষয়ের পূর্ণরূপ ফুটিয়ে তোলেনা।

কোড অফ হাম্মুরাবি সম্পর্কে পড়ে দেখবেন। এই রকমের সামাজিক আইন অনেক আগেই মানুষ তৌরি করেছিলো। আর যত দিন যাবে ততই নতুন নিয়মে কিছু না কিছু পাল্টে যাবে। কারন কিছু জিনিস মানুষ পছন্দ করবেনা।

- সামজিক নিয়ম-নীতি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন হচছে - হবে। আর ধর্মীয় নিয়ম-নীতির মূল বিষয় ঠিকই থাকবে (ঈমান-আকীদা) তবে সেখানে ব্যাখ্যা -বিশ্লেষণে কিছুটা পরিবর্তন হবে। (যেমন - করোনা কালীন সময়ে মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ ছিল । এমনকি জুম্মার নামাজও বন্ধ ছিল । অথচ ধর্মের নির্দেশনায় কোন ভাবেই কোন নামাজ ছাড়া যাবেনা আর জুম্মার নামাজ ত নয়ই । আবার, যখন মসজিদ খুলেছে তখন সামাজিক দূরত্ব ১.৫ মিটার বজায় রেখে জামাত আদায় করেছে, যা সাধারন সময়ে কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়)।

২৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: বর্তমানে বিশ্বে ৪২০০ ধর্ম চলমান আছে এবং এর সবাই ভাবে তার ধর্মই শ্রেষ্ঠ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই , আপনার ছোট তবে চমতকার মন্তব্যের জন্য ।

বর্তমানে বিশ্বে ৪২০০ ধর্ম চলমান আছে এবং এর সবাই ভাবে তার ধর্মই শ্রেষ্ঠ।

- আপনি ঠিকই বলেছেন।

সকল ধর্মের অনুসারীদের নিকটই তাদের ধর্মই শ্রেষ্ঠ।
এ যেন অনেকটা সকল বাবা-মায়ের নিকটই তাদের সন্তান রাজপুত্র কিংবা রাজকন্যার মত।

আর ধর্ম হলো কিছু মৌলিক বিশ্বাসের সমস্টি। যার বিশ্বাসের জোর যত বেশী সে ততটা ধার্মিক বলে বিবেচিত হন।

২৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:


এককভাবে শক্তিশালী ধর্ম সৃষ্টি করেছে ইহুদী জাতি ওনবী মুসা(আ: ) মিলে; ইহুদী ধর্ম, খৃষ্টান ধর্ম ও ইসলাম এসেছে ওখান থেকে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই , আপনার এ মন্তব্যের জন্য ।

এককভাবে শক্তিশালী ধর্ম সৃষ্টি করেছে ইহুদী জাতি ওনবী মুসা(আ: ) মিলে; ইহুদী ধর্ম, খৃষ্টান ধর্ম ও ইসলাম এসেছে ওখান থেকে।

- এ ব্যাপারটা আপনি অনেকটাই সঠিক বলেছেন।

সকল আব্রাহামিক ধর্মের (ইহুদী ধর্ম, খৃষ্টান ধর্ম) সর্বশেষ সংস্করণ সবচেয়ে আধুনিক রূপই হলো ইসলাম। আর তাইতো দেখা যায় , ইসলামে সেসব ধর্মের ও তাদের করনীয়-বর্জনীয় অনেক বিষয়ের সাথেই ইসলামের সাদৃশ্য রয়েছে এবং আল কুরআনে তাদের ব্যাপারেও আলোকপাত করা হয়েছে।

২৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: কোরআন পড়েছি। বাংলা অনুবাদ পড়েছি। আমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

কোরআন পড়েছি। বাংলা অনুবাদ পড়েছি। আমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

- স্কুল-কলেজ বা শিক্ষালয়ে অনেকেই যায় তাই বলে সবাই তা সফল ভাবে শেষ করতে পারেনা বা সবাই পরীক্ষায় পাসও করেনা । তারাই পাস করে যারা শ্রেণীকক্ষে পাঠে মনোযোগ দেয়, শিক্ষকের আদেশ-নিষেধ অনুরকন-অনুসরন করে তা সঠিক ভাবে করে।

কাজেই , আল কোরআন শুধু পড়ার জন্য পড়লে পরিবর্তন আশা করা যায়না। এর জন্য দরকার যথার্থ অনুধাবন ও অনুসরন। তবেই পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ।

২৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



চমৎকার পোস্ট। ধন্যবাদ। +

কোথাও কুরআনের আলোচনা দেখলেই কারও কারও রীতিমত সেখানে ঝাপিয়ে পড়ে গন্ডগোল বাধানোর চেষ্টাটা উপভোগ্য বটে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন নকিব ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য

চমৎকার পোস্ট। ধন্যবাদ। +

-শুকরিয়া ভাই।

কোথাও কুরআনের আলোচনা দেখলেই কারও কারও রীতিমত সেখানে ঝাপিয়ে পড়ে গন্ডগোল বাধানোর চেষ্টাটা উপভোগ্য বটে।

- কিছু মানুষের এ বিষয়ে কিছুটা এলার্জি আছে থাকবে। এটা মেনে নিয়েই আমাদের চলতে হবে।

এটাই জীবন, মানব জীবন।

২৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭

নতুন বলেছেন: আগের আইনে দাস/ দাসী রাখা নিষেধ করা হয় নি। দাসীর সাথে সহবাস বৈধ। স্বামী স্ত্রী দুজন যুদ্ধবন্ধি হলে স্ত্রী দাসি হিসেবে গন্য হতো এবং তাকে যার ভাগে দেওয়া হতো তিনি তার সাথে সবকিছুই করার মালিক হতেন।

- দাসপ্রথার প্রচলন ইসলাম থেকে আসেনি। ইসলামের প্রাথমিক যুগ বা ইসলাম পূর্ব যুগে দাস-দাসী রাখা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ছিলো। দাস প্রথা যুগ যুগ ধরে সকল সমাজে প্রচলিত ছিল এবং সেই সময়কার সভ্যতার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলো দাসপ্রথা। ইসলামে প্রাচীনকালে যে-সকল প্রন্থায় দাস বানানো হতো তার সকল উৎস বন্ধ করে দিয়ে শুধুমাত্র একটি উপায়ে উন্মুক্ত রেখেছে, তা হলো শরিয়ত সম্মত যুদ্ধ বা জিহাদ। ইসলামে দাসপ্রথা সংস্কার এতই মৌলিক ছিলো, যার পরিণতিতে দাসপ্রথা ক্রমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।


তার মানে হলো ইসলাম ঐ যুগের জন্য উপযোগী ছিলো। যদি ভবিষ্যতের জন্য ভাবনা থাকতো হবে দাস/দাসী হারাম করা হতো। সাহাবীরা যুদ্ধে স্বামীকে হত্যা করে স্ত্রীকে দাসী হিসেবে গনিমতের মাল হিসেবে পেয়ে তার সাথে ঐ রাতেই সঙ্গম করতো না।


আগের আইনে বিয়ের জন্য স্ত্রীর অনুমুতির দরকার নাই। স্বামী মুখে ৩ তালাক দিলেই বিয়ে বাতিল। ৪টা পযন্ত বিয়ের অনুমুতি আছে। ধর্ম থেকে বেরহয়ে গেলে তার কঠিন সাজা আছে।

- এই প্রতিটা বিষয়েই ইসলামের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। আছে এর পিছনের কারনের ব্যাখ্যাও। কাজেই , যে কোন বিষয়েই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাওয়ার পরের মন্তব্যই যথার্থ বলে বিবেচিত হতে পারে। আংশিক বা অংশবিশেষ নিয়ে মন্তব্য কোন ভাবেই কোন বিষয়ের পূর্ণরূপ ফুটিয়ে তোলেনা।


যদি ইসলামী আইন সর্বকালের জন্য হতো তবে বুঝতো যে ভবিষ্যতের মানুষ ৩ তালাক মুখে দিলেই মানবেনা তখন বর্তমানের মত আইনের ব্যবস্থা থাকতো।

তেমনি ১৪০০ বছর আগের আইনে, অনেক কিছুই আছে যেটা বর্তমানে মানুষ অমানবিক বলেই ভাবতে শুরু করেছে।
- নিরপেক্ষ ভাবে ও তকনকার সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিলে তা আর অমানবিক বলে মনে হবেনা।ন নিয়ম থাকতো।


যেই জিনিস ১৪০০ আগে মানবিক এবং বর্তমানে অমানবিক মনে হয় সেটা যুগের পরিক্ষায় উর্তীন হতে পারেনাই। ভবিষ্যতে সেটা বাতিল হয়ে যাবে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি মন্তব্যের জন্য ।


যেই জিনিস ১৪০০ আগে মানবিক এবং বর্তমানে অমানবিক মনে হয় সেটা যুগের পরিক্ষায় উর্তীন হতে পারেনাই। ভবিষ্যতে সেটা বাতিল হয়ে যাবে।

আপনার পুরো মন্তব্যের প্রতিটারই যথাযথ জবাব আছে এবং ইসলাম যুগ-কালোত্তীর্ণ ধর্ম এতেও কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। ১৪০০ বছর আগে ইসলাম শুরু হয়েছে আরো হাজারো-লাখো বছর টিকে থাকবে । আমি-আপনি থাকব না ।

**দাসপ্রথা সমাজে এখন প্রচলিত নেই,কাজেই দাসীর সাথে যৌন সঙ্গম কিংবা আরো সব বিষয়ে এখন আলোচনায় খুব বেশী কিছু লাভ করার অবকাশ আছে বলে মনে হয়না ।

**বিবাহ/বহু বিবাহ- তালাকের ব্যাপারে ধর্মে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে কাজেই , এ বিষয়েও জানা বুঝার অবকাশ আছে।
আমাদের শুধু আমাদের ধর্মের মূল বিষয়-অবশ্য (ঈমান-নামাজ-রোজা-যাকাত-হজ) পালনীয় বিষয় গুলির দিকে মনোযোগ ও পালন করা উচিত ।

আর এর বাইরে আরো যেসব বিষয়ে (বিবাহ/বহু বিবাহ- তালাকের-দাস-অবৈধ যৌনতা) কোন সমস্যা তৈরী হলে মুফতি কিংবা আলেমদের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.