নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ম পর্বের লিংক - Click This Link
২য় পর্বের লিংক - Click This Link
২য় পর্বের শেষে
তাওয়াফের বিবরণ
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক বলেন, " আর স্মরণ করুন, যখন আমরা কাবাঘরকে মানবজাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল করেছিলাম এবং বলেছিলাম, তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ করো। আর ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ দিয়েছিলাম তাওয়াফকারী, ই’তিকাফকারী, রুকু’ও সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘরকে পবিত্র রাখতে।(সূরা বাকারা,আয়াত - ১২৫)।
এ আয়াত থেকে বুঝা যায় তাওয়াফ কাবা নির্মাণের পর থেকেই শুরু হয়েছে। তাওয়াফ এর শাব্দিক অর্থ কোন কিছুর চতুর্দিকে ঘোরা। হজ্জের ক্ষেত্রে তাওয়াফ হল কাবা ঘরের চারপাশে ৭ বার প্রদক্ষিণ করা। পবিত্র কাবা ব্যতীত অন্য কোনো জায়গায় কোনো জিনিসকে কেন্দ্র করে তাওয়াফ করা হারাম। বায়তুল্লাহ শরীফ দৃষ্টির আওতায় এলে দোয়া করার অনুমতি রয়েছে। ওমর (রাঃ) যখন বায়তুল্লাহর দিকে তাকাতেন তখন নীচের দোয়াটি পড়তেন, "আল্লাহম্মা আনতাস্ সালাম ওয়া মিনকাস্ সালাম ফাহায়্যিনা রাব্বানা বিস্সালাম"।
তাওয়াফের শর্তসমূহ -
তাওয়াফের জন্য ৬টি শর্ত রয়েছে। এগুলো মধ্যে ৩টি শর্ত সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য। আর ৩টি শর্ত শুধুমাত্র হজের ফরজ রুকন তাওয়াফে জিয়ারাতের জন্যই প্রযোজ্য।
সর্বাবস্থায় পালনীয় ৩ শর্ত
১। মুসলমান হতে হবে।
২। তাওয়াফের নিয়ত অর্থাৎ তাওয়াফের ইরাদা বা ইচ্ছা থাকতে হবে।
৩। তাওয়াফ মসজিদে হারামের মধ্যে হতে হবে।
হজের জন্য পলনীয় ৩ শর্ত
১। তাওয়াফে জিয়ারত নির্দিষ্ট সময়ে হওয়া। আর তা হলো ১০ জিলহজ সুর্যোদয়ের পর থেকে ১২ জিলহজ সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত।
২। তাওয়াফ ইহরামের পরে হওয়া।
৩। আর উকুফে আরাফা অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পরে হওয়া (৯ জিলহজ)।
তবে হানাফী মাযহাব মতে তাওয়াফের শর্ত ৩টি, যথা -
১। তাওয়াফের নিয়ত করা।
২। তাওয়াফের ৭ চক্র পূর্ণ করা।
৩। মসজিদে হারামের ভিতরে থেকে কাবার চারপাশে তাওয়াফ করা।
তাওয়াফের ওয়াজিবসমূহ -
১। পবিত্রতা অর্জন করা (অযূ/গোসল করা)। মহিলাদের হায়েজ নেফাছ অবস্থায় তাওয়াফ করা জায়েজ নাই।
২। ছতর ঠিক রাখা অর্থাৎ যেটুকু ঢাকা প্রত্যেক পুরুষ-নারীর জন্য ফরজ।
৩। হাতীমের বাইরে থেকে তাওয়াফ করা।
৪। পায়ে হেঁটে তাওয়াফ করা। অক্ষম ব্যক্তি বিকল্প মাধ্যমে তাওয়াফ করতে পারবেন।
৫। হাজরে আস্ওয়াদ থেকে শুরু করে ডানদিকে অর্থাৎ বাইতুল্লাহর দরজার দিকে তাওয়াফ শুরু করা।
৬। এক নাগাড়ে বিরতিহীন ভাবে সাতবার চক্কর দিয়ে তাওয়াফ পূর্ণ করা।
৭। সাত চক্করে এক তাওয়াফ, এটা পূর্ণ হলে মাকামে ইবরাহীমের পিছনে গিয়ে দু’রাকআত সালাত আদায় করা। উপরোক্ত বিষয়গুলোর কোনো একটি ছুটে গেলে আবার তাওয়াফ করতে হবে। অন্যথায় দম বা কুরবানি করা ওয়াজিব।
তাওয়াফের সুন্নাত কার্যাবলী
১। হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করা।
২। তাওয়াফ শুরু করার আগে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করা।
৩। প্রত্যক চক্কর শেষে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা। ভিড়ের কারণে চুম্বন বা স্পর্শ করতে না পারলে তাকবিরে তাহরিমার মতো উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে ইশারা করা ও বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলা।
৪। যে তাওয়াফের পর সাঈ আছে সেই তাওয়াফের সময় ইযতিবা করা। অর্থাৎ গায়ের চাদরের এক মাথা বাম কাঁধের ওপর থেকে পিঠের পিছনে দিয়ে নিয়ে ডান বগলের নিচে দিয়ে এনে বুকের ওপর দিয়ে বাম কাঁধের ওপর দিয়ে পেছনে ফেলা।
৫। তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করা অর্থাৎ বীর দর্পে হেলে দুলে দ্রুত পায়ে চলা।
৬। পরবর্তী ৪ চক্কর রমল না করে স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করা।
৭। বিরতি না দিয়ে তাওয়াফের চক্করগুলো ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করা।
৮। তাওয়াফের সময় শরীর পরিধেয় বস্ত্র নাপাকি (নাজাসাতে হাকিকি) থেকে পবিত্র হওয়া।
৯। তাওয়াফ শেষে সুন্নাত হল যমযম পান করতে চলে যাওয়া, কিছু পানি মাথায় ঢেলে দেয়া, অতঃপর সম্ভব হলে পুনরায় হাজারে আসওয়াদ স্পর্শ করা। এরপর সাফা-মারওয়ায় সাঈ করতে চলে যাওয়া। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবেই করেছেন।
১০। তাওয়াফ করার সময় যদি জামা‘আতের ইকামত দিয়ে দেয় তখন সঙ্গে সঙ্গে তাওয়াফ বন্ধ করে দিয়ে নামাযের জামা‘আতে শরীক হওয়া এবং ডান কাঁধ ও বাহু চাদর দিয়ে ঢেকে ফেলা। নামাযরত অবস্থায় কাঁধ ও বাহু খোলা রাখা জায়েয নেই। সালাত শেষে তাওয়াফের বাকী অংশ পূর্ণ করা।
তাওয়াফ করার পদ্ধতি বা নিয়মাবলী -
তাওয়াফ শুরু করার পূর্বেই তালবিয়াহ পাঠ বন্ধ করে দেয়া। এরপর মনে মনে তাওয়াফের নিয়ত করা। নিয়ত না করলে তাওয়াফ শুদ্ধ হবে না। নিয়ম হল প্রথমে হাজারে আসওয়াদ (কাল পাথরের) কাছে যাওয়া,"বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার" বলে এ পাথরকে চুমু দিয়ে তাওয়াফ কার্য শুরু করা। কিন্তু রমজান ও হজ্জের মৌসুমে প্রচণ্ড ভীড় থাকে। বয়স্ক, বৃদ্ধ ও মহিলাদের জন্য পাথর চুম্বনের কাজটি প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের ভীড় দেখলে ধাক্কাধাক্কি করে নিজেকে ও অন্য হাজীকে কষ্ট না দিয়ে পাথর চুমু দেয়া ছাড়াই "হাজারে আসওয়াদ" থেকে তাওয়াফ শুরু করা। কাবাঘরের "হাজারে আসওয়াদ" কোণ থেকে মসজিদে হারামের দেয়াল ঘেষে সবুজ বাতি দেয়া আছে। এ রেখা বরাবর থেকে তাওয়াফ শুরু করে আবার এখানে আসলে তাওয়াফের এক চক্র শেষ হবে। এভাবে ৭ চক্র পূর্ণ করতে হবে।
অতঃপর তাওয়াফ শেষে এ মাকামে ইব্রাহীমের পেছনে এসে দু’রাকআত সালাত আদায় করা। ভীড়ের কারণে জায়গা না পেলে মসজিদে হারামের যে কোন অংশে এ সালাত আদায় যায়। মানুষকে কষ্ট দেয়া যাবেনা এবং যে পথে মুসল্লীরা চলাফেরা করে সেখানে সালাতে দাঁড়ানো উচিৎ নয়। সুন্নত হলো এ সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর প্রথম রাকআতে সূরা কাফিরূন এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ইখলাস পড়া। এরপর যমযমের পানি পান করতে যাওয়া মুস্তাহাব। পান শেষে যমযমের কিছু পানি মাথার উপর ঢেলে দেয়া সুন্নাত। নবী করীম (সাঃ) এমনটি করতেন।
এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে - যে তাওয়াফে রমল ও ইযতিবা রয়েছে, সে তাওয়াফ করার সময় নামাজ শুরু হলে গায়ের চাদর ঠিক করে নিতে হবে। নামাজের পর বাকি চক্কর সম্পন্ন করার জন্য পুনরায় ইযতিবা করে শুরু করা। আর চক্করের যে স্থানে থাকাবস্থায় ইকামত শুরু হবে, সেখানেই নামাজের প্রস্তুতি নেয়া। নামাজের পর সেখান থেকেই চক্কর সম্পন্ন করা। আর যারা হজ ও ওমরার জন্য তাওয়াফ করবেন, তাদের তাওয়াফে রমল এবং ইযতিবা নেই।
নারীদের তাওয়াফ
১। নারীরা পুরুষদের সাথে মিশ্রিত হয়ে তাওয়াফ করবেনা। যখন ভিড় কম থাকে তখন নারীদের তাওয়াফ করা বাঞ্ছনীয়। অথবা, একটু সময় বেশি লাগলেও দূর দিয়ে নারীরা তাওয়াফ করবে। পুরুষের ভিড়ে নারীরা হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করতে যাবে না।
২। ঋতুস্রাব অবস্থায় নারীরা তাওয়াফ করবে না। প্রয়োজন হলে হজ্জের সময়ে ঋতুস্রাব ঠেকানোর জন্য ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে, ব্যবহার করার বৈধতা রয়েছে। তাওয়াফের সময় নারীর জন্য কোনো রামল বা ইযতিবা নেই। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নারীদেরকে রামল ইযতিবা করতে বলেননি।
৩। হজ্জের ফরজ তাওয়াফের সময় যদি কারও ঋতুস্রাব চলে আসে এবং ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করা কোনো ক্রমেই সম্ভব না হয়, পরবর্তীতে এসে ফরজ তাওয়াফ আদায় করারও কোনো সুযোগ না থাকে, এমন পরিস্থিতিতে বিজ্ঞ ওলামাগণ ফতোয়া দিয়েছেন যে ন্যাপকিন দিয়ে ভালো করে বেঁধে তাওয়াফ আদায় করে নিতে পারে।
সাঈ করা
সাঈ অর্থ দৌড়ানো। কাবার অতি নিকটেই দু’টো ছোট্ট পাহাড় আছে যার একটি ‘সাফা’ ও অপরটির নাম ‘মারওয়া’। এ দু’ পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে মা হাজেরা শিশুপুত্র ইসমাঈল এর পানির জন্য ছোটাছুটি করেছিলেন। ঠিক এ জায়গাতেই হজ্জ ও উমরা পালনকারীদেরকে দৌড়াতে হয়। শাব্দিক অর্থে দৌড়ানো হলেও পারিভাষিক অর্থে স্বাভাবিক গতিতে চলা। শুধুমাত্র দুই সবুজ পিলার দ্বারা চিহ্নিত মধ্যবর্তী স্থানে সামান্য একটু দৌড়ের গতিতে চলতে হয়। তবে মেয়েরা দৌড়াবে না।সাঈর কাজটি ওয়াজিব। তবে কেউ কেউ এটা রুকন অর্থাৎ ফরয বলেছেন।
সাঈর শর্ত ও ওয়াজিবসমূহ
১। প্রথমে তাওয়াফ এবং পরে সাঈ করা।
২। সাফা থেকে শুরু করা এবং মারওয়া'য় গিয়ে শেষ করা।
৩। সাফা ও মারওয়া'র মধ্যবর্তী পূর্ণ দূরত্ব অতিক্রম করা। একটু কম হলে চলবে না।
৪। সাত চক্র পূর্ণ করা।
৫। সাঈ করার স্থানেই সাঈ করতে হবে। এর পাশ দিয়ে করলে চলবে না।
সাঈর সুন্নাত সমুহ
১। অযু অবস্থায় সাঈ করা ও সতর ঢাকা।
২। তাওয়াফ শেষে লম্বা সময় ব্যয় না করে সঙ্গে সঙ্গে সাঈ শুরু করা।
৩। সাঈর এক চক্র শেষ হলে লম্বা সময় না থেমে পরবর্তী চক্র শুরু করা।
৪। দু’টি সবুজ বাতির মধ্যবর্তী স্থানে পুরুষদের একটু দৌড়ানো।
৫। প্রতি চক্রেই সাফা ও মারওয়া পাহাড় দু’টিতে আরোহণ করা।
৬। সাফা ও মারওয়া পাহাড় এবং এর মধ্যবর্তী স্থানে যিকর ও দোয়া করা।
৭। সক্ষম ব্যক্তির পায়ে হেঁটে সাঈ করা।
মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করা -
সাফা থেকে মারওয়া'য় গিয়ে যখন ৭ চক্র পূর্ণ হবে তখন চুল কেটে আপনি হালাল হয়ে যাবেন। পুরুষেরা মাথা মুন্ডন করবে অথবা সমগ্র মাথা থেকে চুল কেটে ছোট করে নেবে। আর মহিলারা আঙ্গুলের উপরের গিরার সমপরিমাণ চুল কাটবে। চুল কাটা শেষে আপনি হালাল হয়ে গেলেন। ইহরামের কাপড় খুলে অন্য কাপড় পরবেন। ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ আপনার জন্য নিষিদ্ধ ছিল এগুলো এখন বৈধ হয়ে গেল।
চুলকাটা হজ্জ ও উমরা উভয় ইবাদতের ক্ষেত্রে ওয়াজিব। হাদী (পশু) জবেহ হয়েছে বলে নিশ্চিত হলে মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করতে হবে। তবে মুণ্ডন করাই উত্তম। পবিত্র কুরআনে মুণ্ডন করার কথা আগে এসেছে, ছোট করার কথা পরে।এ ব্যাপারে আল কোরআনে বলা হয়েছে, "অবশ্যই আল্লাহ তাঁর রাসূলকে স্বপ্নটি যথাযথভাবে সত্যে পরিণত করে দিয়েছেন , আল্লাহর ইচ্ছায় তোমরা অবশ্যই মসজিদুল-হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে মাথা মুণ্ডন করে এবং চুল ছেঁটে, নিৰ্ভয়ে। অতঃপর তিনি (আল্লাহ) জেনেছেন যা তোমরা জান নি। সুতরাং এ ছাড়াও তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন এক সদ্য বিজয়।(সূরা আল ফাতহ,আয়াত -২৭)।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজেও মাথা মুণ্ডন করেছিলেন। হাদিসে এসেছে, আনাস (রাঃ) বলেন, "রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মিনায় এলেন, জামরাতে এসে তিনি কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন। এরপর তিনি মিনায় তাঁর অবস্থানের জায়গায় এলেন ও কোরবানি করলেন। এরপর তিনি ক্ষৌরকারকে বললেন, নাও। তিনি হাত দিয়ে (মাথার) ডান দিকে ইশারা করলেন, অতঃপর বাম দিকে। এরপর মানুষদেরকে তা দিতে লাগলেন। (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং - ২২৯৮)। যারা মাথা মুণ্ডন করে তাদের জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রহমত ও মাগফিরাতের দোয়া করেছেন তিন বার। আর যারা চুল ছোট করে তাদের জন্যে দোয়া করেছেন এক বার। অন্য এক হাদিসে এসেছে,"আর তোমার মাথা মুণ্ডন কর, এতে প্রত্যেক চুলের বিনিময়ে একটি ছোয়াব ও একটি গুনাহের ক্ষমা রয়েছে"। (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং - ৩৪৮)।
মহিলাদের জন্য মাথা মুণ্ডনের কোন বিধান নেই। তারা তাদের মাথার চার ভাগের একাংশ চুলের অগ্রভাগ থেকে আঙ্গুলের উপরের গিরার সমপরিমাণ (অর্থাৎ এক ইঞ্চির একটু কম) চুল কেটে দেবে। মেয়েরা এর চেয়ে বেশী পরিমাণ চুল কাটবে না।
ক্ষৌর-কার্যের পর গোসল করে শরীরের ময়লা পরিষ্কার করে সেলাই করা কাপড় পরবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে।এভাবে প্রাথমিকভাবে হালাল হয়ে সেলাই করা কাপড় পরিধান, সুগন্ধি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে। তবে স্বামী-স্ত্রীর চুম্বন মিলন ইত্যাদি তখনও বৈধ হবে না। তাওয়াফে যিয়ারার পরই কেবল এসব সম্ভব হবে, যখন সম্পূর্ণরূপে হালাল হয়ে যাবে।
তাওয়াফে যিয়ারত
১০ জিলহজ্জের চতুর্থ আমল হল তাওয়াফে যিয়ারত। তাওয়াফে যিয়ারত ১০ তারিখেই সেরে নেয়া ভালো। কঙ্কর নিক্ষেপ-হাদী জবেহ-ক্ষৌর কার্য এ তিনটি আমল শেষ করে গোসল করে, সুগন্ধি মেখে সেলাইযুক্ত কাপড় পড়ে পবিত্র কাবার দিকে রওয়ানা হবেন। শুরুতে উমরা আদায়ের সময় যে নিয়মে তাওয়াফ করেছেন ঠিক সে নিয়মে তাওয়াফ করবেন। এ তাওয়াফটি হল হজ্জের ফরজ তাওয়াফ। এ তাওয়াফে রামল ও ইযতিবা নেই।
ইফরাদ হজ্জকারী তাওয়াফে কুদুমের পর সাঈ করে থাকলে এখন আর সাঈ করতে হবে না। কেরান হজ্জকারীও পূর্বে সাঈ করে থাকলে এখন আর সাঈ করতে হবে না। তবে তামাত্তু হজ্জকারীকে অবশ্যই সাঈ করতে হবে। কেননা তামাত্তু হজ্জকারীর ইতোপূর্বে সাঈ করে নেয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।
জমহুর ফুকাহার নিকট ১৩ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্বে তাওয়াফে যিয়ারত করে নেয়া উত্তম। তবে এরপরেও করা যেতে পারে এবং এর জন্য কোনো দম দিতে হবে না। ইমাম আবু ইউসুফ (রহঃ) ও ইমাম মুহাম্মদ (রহঃ.) এর অভিমতও এটাই। অর্থাৎ সাহেবাইনের নিকট তাওয়াফে যিয়ারত আদায়ের সময়সীমা উন্মুক্ত এবং বারো তারিখের পরে আদায় করলে কোনো দম দিতে হবে না।
মিনায় রাত্রিযাপন
তাওয়াফ-সাঈ শেষ করে মিনায় ফিরে আসতে হবে এবং ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাত মিনায় যাপন করতে হবে। ১২ তারিখ যদি মিনায় থাকা অবস্থায় সূর্য ডুবে যায় তাহলে ১২ তারিখ দিবাগত রাতও মিনায় যাপন করতে হবে। ১৩ তারিখ কঙ্কর মেরে তারপর মিনা ত্যাগ করতে হবে। মিনায় রাত্রিযাপন গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যোহরের সালাত মসজিদুল হারামে আদায় ও তাওয়াফে যিয়ারত শেষ করে মিনায় ফিরে এসেছেন ও তাশরীকের রাতগুলো মিনায় কাটিয়েছেন। ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, "ওমর (রাঃ) আকাবার ওপারে (মিনার বাইরে) রাত্রিযাপন করা থেকে নিষেধ করতেন"।
১১, ১২, ও ১৩ জিলহজ্জ কঙ্কর নিক্ষেপ প্রসঙ্গ
কঙ্কর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। কঙ্কর নিক্ষেপের দিন চারটি, যথা - ১০, ১১, ১২ও ১৩ জিলহজ্জ। ১০ জিলহজ্জ কেবল বড় জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয় যা ইতোপূর্বে সেরে নিয়েছেন। অন্যান্য দিন (১১,১২,১৩ তারিখ) তিন জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়। এ দিনগুলোয় কঙ্কর নিক্ষেপের প্রথম ওয়াক্ত শুরু হয় দুপুরে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর থেকে, চলতে থাকে দিবাগত রাতে সুবেহ সাদেক উদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত।
১১ তারিখের কঙ্কর নিক্ষেপ
১১ জিলহজ্জ সূর্য ঢলে যাওয়ার পর তিন জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করবে। প্রথমে ছোট জামরায় ৭ টি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। কাবা শরীফ বাম দিকে ও মিনা ডান দিকে রেখে দাঁড়াবেন। খুশুখুজুর সাথে আল্লাহর শিআর -নিদর্শনের- যথাযথ তাজিম বুকে নিয়ে একটি একটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন এবং ‘আল্লাহ আকবার’ বলে প্রতিটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। ছোট জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ শেষ হলে একটু সামনের এগিয়ে যাবেন। কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াবেন ও হাত উঠিয়ে দীর্ঘ মোনাজাত করবেন। ছোট জামরায় যা মসজিদে খায়েফের নিকটে ও মিনার দিক থেকে পদব্রজিদের রাস্তা হয়ে এলে, প্রথমে অবস্থিত।
১২ তারিখের কঙ্কর নিক্ষেপ
১২ জিলহজ্জ সূর্য ঢলে যাওয়ার পর থেকে কঙ্কর নিক্ষেপের সময় শুরু হয়, যা চলতে থাকে দিবাগত রাতে সুবহে সাদেক উদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত। ১১ তারিখের মত ১২ তারিখেও তিন জামরাতে, একই নিয়মে, কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে। জামরাতুল উলা ও জামরাতুল উস্তায় কঙ্কর নিক্ষেপের পর কেবলামুখী হয়ে যথা সম্ভব দীর্ঘক্ষণ দোয়া করবে। বড় জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপের পর মনে মনে অথবা মুখে উচ্চারণ করে বলবে- আল্লাহুম্মাজ’ আলহু হাজ্জান মাবরুরা, ওয়া যানবান মাগফুরা।অর্থ: ‘হে আল্লাহ এই হজ্জকে হজে মাবরুর বানাও, ও গুনাহ ক্ষমা করে দাও’
১৩ তারিখ কঙ্কর নিক্ষেপ
১২ জিলহজ্জ মিনায় থাকা অবস্থায় সূর্য ডুবে গেলে মিনাতেই রাত কাটাতে হবে এবং ১৩ তারিখ সূর্য ঢলে গেলে তিন জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করে মিনা ত্যাগ করতে হবে।
বিদায়ি তাওয়াফ
মক্কা ত্যাগের পূর্বে বিদায়ি তাওয়াফ আদায় করে নিতে হবে। মুতা‘আজ্জেল বা দ্রুতপ্রস্থানকারী হাজীগণ ১২ যিলহজ এবং মুতাআখখের বা ধীরপ্রস্থানকারী হাজীগণ ১৩ যিলহজ কঙ্কর নিক্ষেপ সম্পন্ন করবেন। তখনই তাদের হজের কার্যাদি শেষ হয়ে যাবে। তবে যদি তারা মক্কার অধিবাসী না হয়ে থাকেন, তাহলে বিদায়ী তাওয়াফ করা ছাড়া তাদের জন্য মক্কা থেকে বের হওয়া জায়েয হবে না। কারণ বাইরের লোকদের জন্য হজের বিদায়ী তাওয়াফ ওয়াজিব।রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বিদায়ি তাওয়াফ আদায় করেছেন ও বলেছেন, বায়তুল্লাহর সাথে শেষ সাক্ষাৎ না করে তোমাদের কেউ যেন না যায় (মুসলিম শরীফ,হাদিস নং - ২৩৫০)।
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন," ‘লোকদেরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে যে, বাইতুল্লাহ্র সাথে তাদের সর্বশেষ কাজ যেন হয় তাওয়াফ করা। তবে মাসিক স্রাবগ্রস্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে এটা শিথিল করা হয়েছে"।(মুসলিম শরীফ, হাদীস নং - ১৩২৮)।
মাসিক স্রাবগ্রস্ত মহিলা যারা তাওয়াফে যিয়ারত সম্পন্ন করে ফেলেছেন, তাদের জন্য সম্ভব হলে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন এবং পবিত্রতা অর্জন শেষে বিদায়ী তাওয়াফ করবেন। এটাই উত্তম। অন্যথায় তাদের থেকে এই তাওয়াফ রহিত হয়ে যাবে। কারণ বিদায় হজে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্ত্রী সাফিয়া (রাঃ) এর হায়েয এসে যাওয়ায় তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সে কি তাওয়াফে ইফাযা করেছে? তারা বললেন, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, ‘তাহলে সে এখন যেতে পারবে।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং - ৪৪০১ এবং মুসলিম শরীফ,হাদীস নং - ১২১১)।
বিদায়ি তাওয়াফের নিয়ম
বিদায়ী তাওয়াফ অন্য তাওয়াফের মতই। তবে এ তাওয়াফ সাধারণ পোশাক পরেই করা হয়। তাওয়াফ হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করতে হয়। এর সাতটি চক্করে কোন রমল নেই,ইযতিবাও নেই।তাওয়াফ শেষে ইচ্ছে হলে মুলতাযামে চেহারা, বুক, দুই বাহু ও দুই হাত রেখে আল্লাহর কাছে যা খুশি চাইবে। তাওয়াফ শেষ করার পর দু’রাক‘আত তাওয়াফের সালাত আদায় করে যমযমের পানি পান করবে । মাকামে ইবরাহীমের সামনে সম্ভব না হলে হারামের যেকোনো জায়গায় আদায় করবেন। এ তাওয়াফের পর কোন সা‘ঈ নেই।
বদলী হজ -
যদি কারও হজের ইচ্ছা থাকে এবং যথাসময়ে যথাযথ আয়োজন করে থাকেন, কিন্তু জীবন সংকটাপন্ন হয় এমন কোনো বাধাবিপত্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি ইত্যাদির কারণে তা সম্পাদন করতে না পারেন,তবে তিনি গুনাহগার হবেন না বরং বিশুদ্ধ নিয়তের কারণে আল্লাহ তাআলার কাছে তিনি হাজি রূপেই গণ্য হবেন। এ অবস্থায় বদলি হজের ব্যবস্থা ও অসিয়ত করে যাওয়া বাঞ্ছনীয়।
হজ সম্পাদনে নিজে শারীরিকভাবে অক্ষম হলে অন্য কাউকে দিয়ে বদলি হজ করানো যায়। বদলি হজে যিনি হজ সম্পাদন করেন, যিনি অর্থায়ন করেন এবং যাঁর জন্য হজ করা হয়, সবাই পূর্ণ হজের সওয়াব লাভ করবেন। যাঁরা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ আদায় করতে পারেননি, তাঁদের কর্তব্য হলো বদলি হজ করানোর জন্য অসিয়ত করে যাওয়া। অসিয়তকৃত বদলি হজ অসিয়তকারীর সম্পদ দ্বারা তা বণ্টনের পূর্বে প্রতিপালন করা বা সম্পাদন করানো ওয়ারিশদের জন্য ওয়াজিব।অসিয়ত না করে গেলেও কোনো ওয়ারিশ বা কেউ নিজ উদ্যোগে বা ব্যক্তিগতভাবে তা আদায় করতে বা করাতে পারবেন। এতেও মৃত ব্যক্তি দায়মুক্ত হবেন এবং বদলি হজ করনেওয়ালা, করানেওয়ালা ও আর্থিক সহযোগিতাকারী সবাই সওয়াবের অধিকারী হবেন।
জীবিত বা মৃত যেকোনো কারও বদলি হজ করানো যায়। আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধব অথবা পরিচিত-অপরিচিত যেকোনো কেউ যেকোনো কারও বদলি হজ করতে বা করাতে পারেন। বদলি হজ আদায় করতে বা করাতে যার জন্য বদলি হজ করা হবে বা করানো হবে, তার অনুমতি বা অবগতি প্রয়োজন নেই, তবে সম্ভবপর হলে তা উত্তম।
বদলি হজ সম্পাদনের আগে নিজের হজ আদায় করা শর্ত নয় বরং নতুনদের দ্বারা বদলি হজ করালে তার নিষ্ঠা আন্তরিকতা, আবেগ ও অনুরাগ বেশি থাকে তবে যার নিজের হজ অনাদায়ি রয়েছে, তিনি বদলি হজ করতে পারবেন না। বদলি হজ আত্মীয়-অনাত্মীয়, নারী-পুরুষ যেকোনো কেউ করতে পারেন। তবে বিজ্ঞ আলেম বা পরহেজগার লোক হলে উত্তম।
আগামী পর্বে সমাপ্য -
============
তথ্য উৎস -
১। আল কোরআন ।
২। হাদীস ।
৩। নামাজ-হজ্জ -অজিফা ও মাসয়ালা মাসায়েল গ্রন্থ (লেখক - আলহাজ মাওঃ আ ন ম আবদুল মান্নান)।
৪। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড " এর উদ্যোগে প্রকাশিত,"যিয়ারতে বাইতুল্লাহ" শীর্ষক গ্রন্থ ।
৫। হজ গাইড - (বাংলা), লিংক - http://banglahajjguide.blogspot.com/2013/07/
৬। ওমরাহ পালনের নিয়ম - https://www.obokash.com/how-to-perform-umrah
৭। হজযাত্রীদের জন্য অবশ্য পালনীয় কয়েকটি বিষয় - Click This Link
৮।হজ,ওমরাহ ও যিয়ারত গাইড- https://www.hadithbd.com/books/section/?book=25
==================================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
ঈমান ও আমল - ১৮/২ Click This Link
হজ্জ্ব - ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঈমান ও আমল - ১৮/১ Click This Link
" হজ্জ্ব " - ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত-বরকত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঈমান ও আমল - ১৭ - Click This Link
"লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত " - শুধু রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতই নয় শেষ দশকের সবগুলি বিজোড় রাতেই তার তালাশ করা উচিত । মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলমানদের করণীয় ।
ঈমান ও আমল - ১৬ Click This Link
" শান্তির ধর্ম ইসলাম " - আসুন এক নজরে দেখি ইসলাম কি এবং কেন ?
ঈমান ও আমল - ১৫ Click This Link
" পবিত্র মাস মাহে রমজান " - রহমত-বরকত-মাগফেরাতের এই মাসে কিছু আমলের অভ্যাস আমাদের সকলেরই করা উচিত।
ঈমান ও আমল - ১৪ Click This Link
" পবিত্র মাহে রমজান " - মাহে রমজানের ঐতিহাসিক পটভূমি , গুরুত্ব ও মর্যাদা ।
ঈমান ও আমল - ১৩ Click This Link
" পবিত্র মাস রজব " - রজব মাসের ফজিলত এবং আমল (করণীয়) ও বর্জনীয় ।
ঈমান ও আমল - ১২ Click This Link
" দোয়া " কি এবং কেন ? কাদের জন্য দোয়া শুধু ধোঁয়া বা কাদের দোয়া কবুল হয়না ?
ঈমান ও আমল - ১১ Click This Link
" পবিত্র ও সম্মানিত মাস মহরম " - হিজরি সনের প্রথম মাস এবং পবিত্র আশুরা ।ইসলামে আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আশুরার দিনে করণীয় ও বর্জনীয় ।
ঈমান ও আমল -১০ Click This Link
("পবিত্র মাস জিলহাজ্জ"-জিলহাজ্জের প্রথম দশ দিন মুসলমানদের নিকট বছরের সেরা দশদিন-ঈমান ও আমলের জন্য)।
ঈমান ও আমল - ৯ Click This Link
(" শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা " - যা সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হাসিলে সাহায্য করে। পবিত্র রমজানের পর যা সকল মুসলমানেরই রাখা উচিত)।
ঈমান ও আমল - ৮ Click This Link
(আজ পবিত্র " লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত "। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলমানদের করণীয় ।)
ঈমান ও আমল - ৭ Click This Link
("যাকাত " ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়)।
ঈমান ও আমল - ৬ Click This Link
("রোযা" ইসলামের তৃতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যার বিনিময় বা প্রতিদান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন নিজেই দিবেন)।
ঈমান ও আমল - ৫ Click This Link
(" নামাজ " ইসলামের দ্বিতীয় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে পার্থক্যকারী সূচক হিসাবে বিবেচিত এবং মুসলমান মাত্রই দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে)।
ঈমান ও আমল - ৪ Click This Link
("ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ"- যার শুরুটা কালেমা বা ঈমানে। যা শুধু মুখে বলা নয়,অন্তরে বিশ্বাস ও কর্মে পরিণত করার বিষয়)।
ঈমান ও আমল - ৩ Click This Link
(তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব )।
ঈমান ও আমল - ২ Click This Link
("শুক্রবার - পবিত্র জুমা"- মুসলমানদের জন্য এক মর্যাদা ও ফজিলত পূর্ণ দিন এবং জুমার দিনের কতিপয় আমল )।
ঈমান ও আমল - ১ Click This Link
(যেসব আমলে মানুষের অভাব দূর হয় ও জীবন সুখের)
০৮ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনেক কষ্ট করে লিখেছেন, বলেই পোষ্ট টি পড়লাম। এবং আপনাকে ধন্যবাদ।
- এই পোষ্ট (হজের) প্রায় ২ বছর আগে লেখা শুরু করি।তথ্যের বিশালতা এবং করণীয় কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এতটা সময় লেগেছে। এই লেখা যদি কারো নূন্যতম কাজে আসে তাহলে আমার কষ্ট সার্থক বলে মনে হবে। আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
আমি হজ্ব করবো।
- মহান আল্লাহপাকের কাছে চাওয়া, তিনি যেন আপনার মনের আশা পূরণ করেন।
২| ০৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কিন্তু সবার হজ কি কবুল হয়? মোল্লারা টাকার বিনিময়ে ভুলভাল ওয়াজ হজে যায়। এগুলো কি কবুল হবে?
০৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ গোফরান ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
কিন্তু সবার হজ কি কবুল হয়? মোল্লারা টাকার বিনিময়ে ভুলভাল ওয়াজ হজে যায়। এগুলো কি কবুল হবে?
- যে কোন করণীয় বিষয়েরি কিছু নিয়ম-নীতি থাকে। তা সে দুনিয়াবী কিংবা খোদায়ী যাই হোক না কেন। যেমন - পরীক্ষায় পাসের জন্য স্কুলের যথাযথ নিয়ম-নীতি মানার সাথে সাথে নির্দিষ্ঠ সংখ্যক দিন উপস্থিতির পাশাপাশি আরও অনেক বিষয় মেনে চললেই এক শ্রেণী থেকে আরেক শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়া যায় ঠিক তেমনি খোদাও হজ তথা যাবতীয় ইবাদত কবুলের জন্য কিছু করণীয়-বর্জনীয় বিষয় নির্দিষ্ঠ করে দিয়েছেন। যে বা যারা সেই বিষয়গুলো পরিপূর্ণভাবে পালন করবে ও মানবে তাদের হজ ও ইবাদত কবুল হতে পারে। আর যারা সে সব নিয়ম-নীতি,পালনীয় বিষয় যথাযথ অনুসরন না করে শুধু লোক দেখানোর জন্য করবে তাদের হজ ও ইবাদত কবুল নাও হতে পারে। অবশ্য আমরা কেউ বলতে পারব না কার ইবাদত ( হজ-নামাজ-রোজা-যাকাত-দান) কবুল হবে আর কার হবেনা। কারন কবুল করার ক্ষমতা শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাকের ।
মানুষ শুধু কায়োমন বাক্যে দোয়া কিংবা ইবাদত করতে পারে। ফলাফল আল্লাহর হাতে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক কষ্ট করে লিখেছেন, বলেই পোষ্ট টি পড়লাম।
এবং আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি হজ্ব করবো।