নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? ( আমজনতার সমসাময়িক ভাবনা - ৬ )।

১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪


ছবি - kalerkantho

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন - বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে কোটিপতি বেড়েছে ৫ গুণ । দেশে এলিট এ (কোটিপতি) ক্লাবের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে এখন ১ লাখ ১০ হাজার ১৯২ জন।

করোনা মহামারী ও পরিবর্তীত আরো কিছু বিশ্ব পরিস্থিতির কারনে গত কয়েক বছর যাবত সারা বিশ্বেই চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। তীব্র আর্থিক সংকট চলছে বাংলাদেশেও। তার মধ্যেই সোনার বাংলায় হু হু করে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেব বলছে, দেশে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা বিশেষ করে গত ১৪ বছরের (২০০৯ - ২০২২ /২৩ মার্চ ) কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৯২ হাজার, যা শতকরা হিসাবে প্রায় পাঁচগুণ। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর শেষে এই সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার। ২০২২ ডিসেম্বরে এসে এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৭ জন। আর গত তিন মাসে এ সংখ্যা ২৪৫ জন বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ১৯২ জন। তবে কোটিপতির সংখ্যা বাড়লেও ক্ষুদ্র আমানতকারীদের আমানত বাড়েনি, বরং তুলনামূলকভাবে কমে গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৩/০৬/২৩) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ প্রতিবেদনটি প্রতি তিন মাস পরপর প্রকাশ করে থাকে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, ক্ষুদ্র আমানতকারীদের সংখ্যা না বাড়ার অর্থই হলো দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়ে গেছে। এর ফলে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। অপর দিকে গরিবরা আরো গরিব হচ্ছে। ক্ষুদ্র আমানতকারীদের আমানতের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ক্ষুদ্র আমানতকারীরা তাদের আয়ের সাথে ব্যয় সমন্বয় করতে পারছেন না। সবধরনের পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। সেই সাথে বেড়েছে পরিবহন ব্যয়। এর পাশাপাশি বাসা ভাড়াসহ বিদ্যুতের দাম। সবমিলে জীবন যাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এর ফলে আগে একই আয় দিয়ে যে পরিমাণ পণ্য পাওয়া যেত, এখন তা দিয়ে কম পাওয়া যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো হচ্ছে রেশনিং করে অর্থাৎ কম ব্যয় করে। আয়ের সাথে ব্যয় সমন্বয় করতে না পারায় তারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। এতে গরিব আরো গরিব হয়ে পড়বে বলে তারা আশঙ্কা করেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষুদ্র আমানতকারীদের সংখ্যা তুলনামূলক না বাড়ায় বলা যায় দেশে সম্পদের বণ্টন ঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে গরিবরা আরো গরিব হচ্ছে অন্যদিকে এক শ্রেণীর মানুষ দ্রুত সম্পদশালী হচ্ছে। এর ফলে সমাজে ধনী-গরিবের বৈষম্য বেড়েই চলছে। এর কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছরে নিত্য ব্যবহার্য ভোগ্যপণ্যের দাম সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। মানুষ আয়ের সাথে ব্যয় মেলাতে পারছে না। যে পরিমাণ আয় করছে সংসারের ব্যয় হচ্ছে তার চেয়ে বেশি। বাড়তি ব্যয় মেটাতে মানুষ তাদের সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্সের (২০১৯) তথ্য মতে ,অতিধনীর বৃদ্ধির হারের দিক থেকে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বে প্রথম। এখন দেখা যাচ্ছে, ধনী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির হারের দিক থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে যার অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। প্রতিবেদনে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধনী বৃদ্ধির হারে শীর্ষে থাকবে, এমন ১০টি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। সে তালিকায় শীর্ষে ছিল নাইজেরিয়া। এর পরের অবস্থানে মিসরের যেখানে ধনী বাড়বে সাড়ে ১২ শতাংশ হারে। তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশের পরে ছিল যথাক্রমে ভিয়েতনাম, পোল্যান্ড, চীন, কেনিয়া, ভারত, ফিলিপাইন ও ইউক্রেন। জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ হলেও নাইজেরিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে পরিচিত এবং মিশর দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও সে দেশের অথনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ এবং সেও দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে পরিচিত।

তবে ওয়েলথ-এক্সের প্রতিবেদনে দেশে ধনী ও অতিধনীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধির চিত্র উঠে এলেও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে দরিদ্র মানুষের আয়ে বড় ধরনের বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার বিপরীত চিত্রও রয়েছে। আবার অনেকে মনে করছেন, এই ধনীদের বড় অংশের উত্থান ঘটছে স্বজনতোষী পুঁজিবাদ বা ক্রোনি ক্যাপিটালিজম, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ঠিকাদারি কাজ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে।


ছবি - Getty Images

এদিকে বাংলাদেশে শুধু কোটিপতির সংখ্যাই বাড়ছে না তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণও। বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ছয়গুণের বেশি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের আকার প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা থাকলেও এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের খেলাপি ঋনের পরিমান ২২ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে এখন ১ লাখ ৩২ হাজার ৬২০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাবে এই পরিমাণ প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা। কারণ সন্দেহজনক ঋণ, আদালতের আদেশে খেলাপি স্থগিতাদেশ থাকা ঋণ, পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করা ঋণকেও তারা খেলাপি দেখানোর পক্ষে।

খেলাপি ঋণ কি ?

যখন কোনো কারণে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর কোনো ঋণ বা ঋণের কিস্তি ফেরত পাওয়া যায় না বা সম্ভব হয় না; তখন ওই ঋণকে খেলাপি ঋণ বলে। বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতি তথা ব্যাংক খাতের প্রধান সমস্যা এই খেলাপি ঋণ। অনেক পদ্ধতি, কৌশল ও প্রচেষ্টা অবলম্বনের পরও তা আজও হাতের নাগালের বাইরে। সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতের ১২-১৩ শতাংশই ঋণ খেলাপি হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে লাখো কোটিতে পৌঁছেছে অনেক আগেই। আর এই লাগামহীন খেলাপি ঋণের জন্যই অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে একধরনের বন্ধ্যত্ব ।

খেলাপি ঋণের সমস্যা কি ?

খেলাপি ঋণের জন্য সাধারণত ব্যাংকে যখন টাকার পরিমাণ কমে যায়, আমরা সেটাকে তারল্য সংকট বলি। আর যখন তারল্য সংকট হয় তখন ব্যাংকের ঋণ দেয়ার সক্ষমতাও কমে যায়। তখন যারা বিনিয়োগে যেতে চান তারা ঋণ পান না, তাই বিনিয়োগে যেতে পারেন না। আর বিনিয়োগ কমে গেলে অর্থনীতির ওপর নানা প্রভাব পড়ে,ফলে অর্থনীতির গ্রোথ কমে যায়। কমে যায় কর্মসংস্থানের সুযোগ। এমনকি অবকাঠামোগত উন্নয়নেও পড়ে এর বিরূপ প্রভাব। সামান্য মাত্রায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পরিবর্তন করতে গেলেও তখন অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়।

কেন বাংলাদেশে বাড়ছে ঋণখেলাপি -

আমাদের অর্থনীতিতে অভিশপ্ত খেলাপি ঋণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। কী কারণে সৃষ্টি হয়েছে এই খেলাপি ঋণের; আসুন, সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

১। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা,রাজনৈতিক নেতা ও ব্যাংকের পরিচালকদের প্রভাব।
২। পর্যাপ্ত জামানতের অভাব।
৩। খরা-বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
৪। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব।
৫।মামলা নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রত।

বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং আইনজীবীরা বলছেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশে কিছু আইন থাকলেও এসব প্রয়োগের অভাব রয়েছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে ব্যাংকিং খাতেও খেলাপিদের বিরুদ্ধে কখনোই খুব কঠোর ব্যবস্থা তো নেয়া হয়নি, বরং তারা বরাবর নানা রকমের সুবিধা পেয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন,"যারা বড় বড় অংকের ঋণ খেলাপি হয়েছেন, তাদের কখনো শাস্তি হয়েছে বলে আমি শুনিনি। যেসব ব্যাংক এর সাথে জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশ ব্যাংককে খুব কড়া ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ফলে খেলাপি ঋণ নিয়ে কারও মধ্যে কোন ভয় থাকে না"।

বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ কমাতে নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও এটার জন্য যে ধরনের দৃঢ় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন, সেটার ঘাটতি আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াতেও অনেক ধরনের দুর্বলতা আছে বলে বলছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ডিস্টিংগুইশড ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন,"ঋণ খেলাপিদের অনেকেই বেশ শক্তিশালী। তারা এটা করে পালিয়ে যাচ্ছেন, আবার কেউ কোন রকমের বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন না, কেউ আইনের মুখোমুখি হলেও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে কোন সমাধান হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকও যেসব উদ্যোগ মাঝে মাঝে নেয়, সেগুলো স্বাধীনভাবে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা নানারকম বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হন"।

অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলছেন, "আইন আছে বেশ কিছু, কিন্তু সেগুলোর অনেক দুর্বলতা আছে। এমনকি টাকা পাচারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মাত্র ১২ বছর। কিন্তু সমস্যা হলো, আইন যেটুকু আছে, সেটারও প্রয়োগ নেই। সেই কারণে অনেকে মনে করেন, তারা ব্যাংকের ঋণের টাকা ফেরত না দিলেও কিছু হবে না। অনেকে এভাবে টাকা দেশের বাইরেও নিয়ে যান"।


খেলাপি ঋণ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?

১। নৈতিকতার চর্চা করা।
২। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক নিয়োগ তথা রাজনৈতিক নেতা মুক্ত এবং ব্যাংক পরিচালকদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা।
৩। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একসাথে মিলে কাজ করতে হবে।
৪। কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সব ব্যাংককে শুধু খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য আলাদা করে মনিটরিং সেল গঠন করা।
৫। সঠিকভাবে তথ্য যাচাই-বাছাই করে ঋণ প্রদান এবং বিতর্কিত ঋণের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ।
৬। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং পেশাদার ও সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।
৭। ঋণ প্রদানে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা।
৮। অর্থ ঋণ আদালতসহ আইনি প্রক্রিয়া আরও উন্নত ও সংস্কার করা।
৯। খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের তালিকা সম্মুখে প্রকাশ এবং ভবিষ্যতে তাদের ঋণ প্রদানে বিরত থাকা।
১০। ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তির সঠিক চলতি বাজারমূল্য নিরূপণ করা।
১১। একই খাতে বেশি ঋণ না দিয়ে বিভিন্ন খাতে ঋণ প্রদান করা।


জবাব দিহীতা -

আমার এ লেখার উদ্দেশ্য ব্যক্তি-সরকারের সমালোচনা কিংবা দেশের নীতি নির্ধারনী বিষয় নিয়ে আলোচনাও নয় কিংবা কাউকে দূর্নীতিপরায়ন বলা বা কারো আয় রোজগার নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনও নয়। এ পোস্টে আমি শুধু দেশ-বিদেশের সংবাদপত্রের খবরের শিরোনাম এবং পর্যবেক্ষণ বা অভিমত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আর, তারাও (ব্যাংক/সংবাদপত্র) তাই তুলে ধরতে চেয়েছে যা আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত ঘটছে। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসাবে এবং একজন মানুষ হিসাবে দেশকে নিয়ে আর সবার মত আমিও ভাবি তবে তা হয়ত চেতনাধারী কিংবা অন্য পারিবারিক সুবিধাভোগী/উত্তরাধীকারীদের মত করে বলতে যাইনা কিংবা রাষ্ট্র থেকে তাদের মত সুযোগ সুবিধার জন্য আকাংখিতও নই ।যদিও তাদের সবারই মুখে একই কথা দেশ ও জনসেবা (যদিও বাস্তবতা ভিন্ন) এবং তার জন্য দলে দলে কাড়াকাড়ি-কামড়াকামড়ি, যা আমরা করতে পারিনা। কারন , আমরা খুবই সাধারন মানুষ ,যাকে বলে আমজনতা। আর তাই এ লেখার সাথে রাজনীতির কোন সম্পর্ক বা সরকারের কোন নীতির সমালোচনার সংযোগ খুজবেনা না দয়া করে। আর সরকারের বা তার নীতির সমালোচনা আমার মত সাধারন মানুষের সীমার বাইরে। তবে দেশের একজন সচেতন ও সাধারন নাগরিক হিসাবে দেশের ভাল-মন্দ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাই,এতটুকুই।

========
তথ্যসূত্র -

১। ১৪ বছরে কোটিপতি ৫ গুণ বেড়েছে দেশে - https://mybangla24.com/newspapers/naya-diganta
২। দেশে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে - Click This Link
৩। Bangladesh Economy: তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যেই বাংলাদেশে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা - Click This Link
৪। দেশে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা - Click This Link
৫। কোটিপতির সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে - https://www.banglatribune.com/business/
৬। ওয়েলথ-এক্সের প্রতিবেদন - ধনী বৃদ্ধির হারে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ - https://www.prothomalo.com/bangladesh/
৭। করোনার বছরে কোটিপতি বেড়েছে ১১৬৪৭ জন - Click This Link
৮। বাংলাদেশ কেন খেলাপি ঋণ কমাতে পারছে না? - https://www.bbc.com/bengali/articles/
৯। খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ বছরে ৩ গুণ বেড়েছে: সিপিডি - Click This Link
১০। লাগামহীন খেলাপি ঋণ পরিত্রাণের উপায় কী - Click This Link

==================================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -

৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯

অধীতি বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লেখা। মধ্যম আয়ের মানুষজন ভবিষ্যৎ সঞ্চয়ের জন্য এখন আগের তুলনায় কিছুই রাখতে পারতেছে না। ফলে একটা অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে এবং জরুরি অবস্থায় মানুষ প্রয়োজনীয় সেবা হারাচ্ছে সঞ্চয়ের অভাবে।

১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ অধীতি ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

গুরুত্বপূর্ণ লেখা। মধ্যম আয়ের মানুষজন ভবিষ্যৎ সঞ্চয়ের জন্য এখন আগের তুলনায় কিছুই রাখতে পারতেছে না। ফলে একটা অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে এবং জরুরি অবস্থায় মানুষ প্রয়োজনীয় সেবা হারাচ্ছে সঞ্চয়ের অভাবে।

- লেখার বিষয় গুরুত্বপূর্ণ কিনা এ বিষয়ে কিছু বলা যায়না তবে এটা বলা যায় যে, এখন আমাদের দেশে একটা বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ । তা হলো জী হুজুর, জী হুজুর বলা। আপনি যদি কেন হুজুরও বলেন তাহলেও বিপদ আসতে পারে।

আর আমজনতা বর্তমানে চোখ-কান-নাক-মুখ বন্ধ করে , খেয়ে-না খেয়ে কোন রকমে মরতে মরতে বেঁচে আছে। তার মাঝে তবুও সবাই শান্তনা খোজে যে, এত সব কিছুর মাঝে বেঁচে আছি তাই শুকরিয়া। সঞ্চয়কে বাই বাই বল।

২| ১৪ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

জগতারন বলেছেন:
মোহামমদ কামরুজজামান সাহেব,
আপনার ভাষা বুদ্ধিদীপ্ত, আপনি নিঃসন্দেহে দেশপ্রেমিক।
আপনার জন্য অশেষ শুভকামনা রইলো।

১৪ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জগতারন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

মোহামমদ কামরুজজামান সাহেব, আপনার ভাষা বুদ্ধিদীপ্ত, আপনি নিঃসন্দেহে দেশপ্রেমিক।

- ভাইজান, আমি দেশ প্রেমিক কিনা জানিনা :( তবে চেতনার প্রেমিক না।

আমি যে কোন ব্যাপারেই তার সুবিধা-অসুবিধা(ন্যায়-অন্যায়) বিচার করে দেখতে চাই এবং এ দুয়ের মাঝে আমি সুবিধা তথা ন্যায়'কেই বেছে নিতে চাই। আর তাইতো চেতনার পুজারী-অনুসারী না হয়েও জীবনে যে দু বার ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছি, সেই দুবার সকল প্রার্থীদের মাঝে ভাল-খারাপ বিচার করে তাদের প্রার্থীকেই ( আবদুল মতিন খসরু এবং সাহারা খাতুন) ভোট দিয়েছি। কারন, বাকী প্রার্থীদের থেকে আমার তাদেরকেই সব দিক থেকে যোগ্য ও ভাল মনে হয়েছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে চেতনার দলকে সমর্থন করিনা (আসলে আমি কোন রাজনৈতিক দলকেই সমর্থন করিনা)। তবে একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে গণতান্ত্রিক অধিকারের ফলে আমার উপর অর্পিত যে দায়িত্ব তা প্রয়োগে আমার অনীহা নেই (যদি ভোট দেয়ার সুযোগ পাই) এবং তখন আমার নিকট দল নয় প্রার্থীর যোগ্যতাই বিবেচ্য বিষয় বলে বিবেচিত হয় বা করে থাকি।

এখন , এর ফলে কেউ যদি আমাকে রাজাকার-দেশদ্রোহী (কারন - দেশে এখন এক দলের সমর্থক ও সুবিধাভোগীরাই দেশ প্রেমিক বাকী সব রাজাকার) কিংবা বিএনপি-জামাত বলে তাতেও আমার কিছু করার নেই। কারন - সবাই যে সব বিষয়ে একমত হবে এমনত নয়।

আপনার জন্য অশেষ শুভকামনা রইলো।

- ভাই আপনার জন্যও রইলো অশেষ শুভকামনা ।

৩| ১৪ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার এই লিখাটাকে আমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে জরুরী বলে মনে করি। অজস্র কারণ থাকলেও আমি সবকিছু একপাশে রেখে শুধু আমাদের নৈতিক চরিত্রকেই মূল সমস্যা বলে মনে করি। যতই বড় হচ্ছি, সময় যাচ্ছে, ততই এ জাতি সম্পর্কে আমার ধারনা নেতিবাচক হচ্ছে। যদিও ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও লোন নিয়ে সেটা পরিশোধ করতে না পারা এবং ইচ্ছেকৃতভাবে পরিশোধ না করা বিষয়দুটোকে আমি এক দৃষ্টিতে দেখি না। তবুও বলবো বাংলাদেশে টাকা মেরে দেয়ার উদ্দেশ্যে নানান মিথ্যে কাগজপত্র তৈরী করা এ জাতির লোকজনের অন্যন্য বৈশিষ্ট্য।

ক্যাপিটালিজমে কম-বেশী সমস্যা নেই সেটা বলছি না তবে সেটাকে কমিয়ে আনা সম্ভব সে জন্য প্রশাসনের সদিচ্ছার প্রয়োজন। আপনি আপনার লিখায় প্রশাসনকে ইচ্ছেকৃতভাবে কেন এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন সেটা আমি বুঝতে পারি, তবে সমস্যা সেখানেই। আমাদের প্রশাসন দুর্নীতিগ্রস্থ। বিষয়গুলো কোন সুর্নিদিষ্ট রাজনৈতিক দলের সমস্যা নয়, এটা অনেকটাই জাতিগত সমস্যা। ধন্যবাদ।

১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ইফতেখার ভূইয়া ভাই, আপনারচমতকার মন্তব্যের জন্য।

আপনার এই লিখাটাকে আমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে জরুরী বলে মনে করি। অজস্র কারণ থাকলেও আমি সবকিছু একপাশে রেখে শুধু আমাদের নৈতিক চরিত্রকেই মূল সমস্যা বলে মনে করি। যতই বড় হচ্ছি, সময় যাচ্ছে, ততই এ জাতি সম্পর্কে আমার ধারনা নেতিবাচক হচ্ছে। যদিও ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও লোন নিয়ে সেটা পরিশোধ করতে না পারা এবং ইচ্ছেকৃতভাবে পরিশোধ না করা বিষয়দুটোকে আমি এক দৃষ্টিতে দেখি না। তবুও বলবো বাংলাদেশে টাকা মেরে দেয়ার উদ্দেশ্যে নানান মিথ্যে কাগজপত্র তৈরী করা এ জাতির লোকজনের অন্যন্য বৈশিষ্ট্য।

- আবারো ধন্যবাদ ভাই, আমার লেখা পড়া ও এর বিষয়বস্তুকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করার জন্য।

ভাই আপনি এই কথাটা ঠিকই বলেছেন, এখন আমাদের নৈতিকতাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। বেশীরভাগ মানুষের মাঝে এখন নীতি কিংবা নৈতিকতার ছিটে-ফোটাও অবশিষ্ঠ নেই ভোগবাদের কল্যাণে । তার সাথে সাথে আরো বড় যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা হলো আধুনিক হতে গিয়ে ধর্মের যাবতীয় বিধিবিধানকে অস্বীকার করা বা মেনে না চলার প্রবণতা। এখন সেই সবচেয়ে বড় আধুনিক , যে ধর্মকে যত বেশী মেনে না চলবে কিংবা ধর্মের বিরুদ্ধে যত বেশী বলতে পারবে। অথচ এই ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনে-অনুসরন করেই মানুষ কিছুটা হলেও নীতি - নৈতিকতার সম্পর্কে জানতে ও মেনে চলার উৎসাহ পেত।

মানুষ এখন নীতি - নৈতিকতা ভূলে অন্ধের মত শুধু স্বার্থের পিছনে ছুটছে। এখন সবারই এখন আশা কি করে আরো বেশী কিছু পাওয়া যায় যার যার অবস্থানে । আর এতে করে সমাজ-সংসার-দেশে চলছে এক অস্থির পরিস্থিতি।আর সেই অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ যেমন নিচছে শাসক-প্রশাসক-রাজনৈতিক দল-ব্যবসায়ী ঠিক তেমনি তাদের মত এ সুবিধা নিতে চাচছে সাধারণ জনগণও। এর ফলে দেশের কোন কিছুই আর ঠিক মত চলছেনা।

এর থেকে বের হওয়ার যে কি পথ বা কিভাবে দেশ ও জাতি এ পাপ পথ থেকে বের হবে তা জানা নেই।

ক্যাপিটালিজমে কম-বেশী সমস্যা নেই সেটা বলছি না তবে সেটাকে কমিয়ে আনা সম্ভব সে জন্য প্রশাসনের সদিচ্ছার প্রয়োজন। আপনি আপনার লিখায় প্রশাসনকে ইচ্ছেকৃতভাবে কেন এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন সেটা আমি বুঝতে পারি, তবে সমস্যা সেখানেই। আমাদের প্রশাসন দুর্নীতিগ্রস্থ। বিষয়গুলো কোন সুর্নিদিষ্ট রাজনৈতিক দলের সমস্যা নয়, এটা অনেকটাই জাতিগত সমস্যা। ধন্যবাদ।

- সরকারের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন হয়-করে প্রশাসন। এ জন্য নিয়োগ কর্তৃপক্ষের সব সময় সঠিক জায়গায় সঠিক ও দক্ষ লোক নিয়োগের প্রয়োজন হয়, যারা সবসময় সকল প্রকার রাগ- অনুরাগ-বিরাগের বাইরে থেকে ন্যায়ের সাথে তাদের প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ ও সরকারের নীতিসমুহ বাস্তবায়ন করবে। এ ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষেরও নৈতিক অবস্থান একটা জরুরী বিষয়। বর্তমানে এই নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, প্রশাসনিক লোক নিয়োগ ও প্রশাসনিক ক্ষমতার প্রয়োগের প্রক্রিয়ার কোন একটি সুচকও যাথার্থ নেই এবং নেই নৈতিকতার প্রয়োগও। এখন সবাই রাজা যার যার অবস্থানে।

একটা দেশের সরকার যখন নানা কারনে তার নৈতিক অবস্থান হারিয়ে ফেলে, তখন প্রশাসনও সেই জায়গা থেকে সুবিধা নিতে উঠে পড়ে লাগে। তখন সরকার যেমন প্রশাসন ব্যবহার করে তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়, ঠিক তেমনি প্রশাসনও সরকারের মাঝের অস্থির অবস্থার সুযোগে সরকার-সমাজ থেকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নিতে চায়। এখানে এটা অনেকটা চক্রাকার বা বৃত্তের মত হয়ে যায়। যার থেকে বের হওয়ার পথ থাকেনা, প্রশাসন ও সরকার উভয়ের সামনেই। সমস্যা এটাই।

আর এই চক্র বা বৃত্তের বিষময় ফল ভোগ করে সাধারন জনগণ।

ধন্যবাদ ভাই আবারো আপনাকে চমতকার মন্তব্যের জন্য।

৪| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১২

কামাল১৮ বলেছেন: বড় টাকার মালিকরা ছোট টাকাওয়লাদের টাকা খেয়ে ফেলে।এ এক জটিল হিসাব।বিস্তারিত লিখলে অনেক লম্বা হবে।

১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

বড় টাকার মালিকরা ছোট টাকাওয়লাদের টাকা খেয়ে ফেলে।এ এক জটিল হিসাব।বিস্তারিত লিখলে অনেক লম্বা হবে।

- এটাই খাদ্যশৃংখলের মূল বিষয়। প্রকৃতির মাঝে একেকটা একেক জনকে খেয়ে বেঁচে থাকবে,এটাই নিয়ম।

যেমন - পোকা-মাকড়কে খাবে ব্যাঙ

৫| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি নিজের চোখে দেখেছি, বড় কালো ব্যাগ ভরতি টাকা এসে দিয়ে যাচ্ছে।
সেই টাকা বিভিন্ন নামে ব্যাংকে রাখা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন থেকে বিভিন্ন নামে ট্রেড লাইসেন্স করা হয়েছে। অথচ বাস্তবে সেই নামের কোনো অফিস নেই। সীমাহীন টাকা।

১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।


আমি নিজের চোখে দেখেছি, বড় কালো ব্যাগ ভরতি টাকা এসে দিয়ে যাচ্ছে। সেই টাকা বিভিন্ন নামে ব্যাংকে রাখা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন থেকে বিভিন্ন নামে ট্রেড লাইসেন্স করা হয়েছে। অথচ বাস্তবে সেই নামের কোনো অফিস নেই। সীমাহীন টাকা।

- ভাই আমরা সবাই কিছু না কিছু দেখছি। সেই দেখার ব্যাখ্যা ঘটনার পিছনে যে সুবিধাভোগী তার ব্যাখ্যা হবে একরকম। আবার একই ঘটনায় যে ভুক্তভোগী তার ব্যাখ্যা হবে সম্পূর্ণরূপে আলাদা। এদিকে , সমালোচনাকারী কিংবা বিরোধীদের সেই ব্যাখ্যা হবে আরেক রকম এবং নিরপেক্ষ লোকের ব্যাখ্যা হবে তাদের সবার থেকে আরও আলাদা।

দেখেন ভাই, ঘটনা একই তবে সবার ব্যাখ্যা আলাদা আলাদা। এর কারন কি?
এর কারন হলো - যার যার স্বার্থ কিংবা দৃষ্টিভংগী।
কেউ স্বার্থের কারনে মিথ্যা বলবে আবার কেউ তার নিজস্ব দৃষ্টিভংগীতে ব্যাখ্যা করবে সত্য ভুলে (দল কানা-রাত কানা কিংবা নীতি-নৈতিকতা ভুলে)। এখানে সবাই বলবে সেই সঠিক , যার যার জায়গায়।

এখন রাজিব ভাই - আপনি যা টাকার ব্যাগ হিসাবে দেখেছেন তা কারো কারো হয়ত প্রমাণিত (ধরা :(( পড়লে) হবে সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ছাপানো কাগজ কিংবা পুরনো কাপড় চোপড় যা সে শ্বশুর বাড়ী থেকে :P বিয়ের সময় পেয়েছিল। আর যদি বিরোধী দলের হয় তাহলে সেই ছাপানো কাগজ কিংবা পুরনো কাপড়ই হয়ে যাবে গাজা কিংবা জাল টাকা।

কাজেই ভাই এ শুধু স্বার্থ কিংবা দৃষ্টিভংগীর ব্যাপার।

৬| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০০

বিষাদ সময় বলেছেন: অত্যন্ত শ্রমসাধ্য এবং একটি বিশ্লষণমূলক পোষ্ট।
ঋণ খেলাপী নিয়ে যে বক্তব্য সেখানে দ্বিমত করার তেমন কোন অবকাশ নেই। কিন্তু কোটিপতি এবং ক্রয় ক্ষমতা নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন। সেখানে আমার্ একান্ত নিজশ্ব কিছু মতামত ব্যাক্ত করি-
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন - বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে কোটিপতি বেড়েছে ৫ গুণ । দেশে এলিট এ (কোটিপতি) ক্লাবের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে এখন ১ লাখ ১০ হাজার ১৯২ জন।

১৪ বছরে মূল্যস্ফীতি বা টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় তিনগুন-সে হিসাবে এমনিতেই কোটিপতি বাড়ার কথা তিনগুন।
দূর্নীতি তো রয়েছেই কিন্তু ২০০৮ সালের পর জমি এবং ফ্ল্যাটের দাম যে অকল্পনীয় ভাবে বেড়েছে তাতে ঢাকা, চট্টগ্রাম বা সিলেটে যে ব্যাক্তিরই ভাল জাগায় জমি ছিল তারা সবাই এখন কয়েক কোটিপতি, ডেভলাপার কে জমি দিয়ে সাইনিং মানি বা ভাল পজিশনের দোকানের কোটি টাকা সেলামী পাওয়া এখন কোন ব্যাপারই না। তাই কোটিপতি হিসাবের চিন্তাটা যদি শুধু দূর্নীতিতে আবদ্ধ রাখি তবে মনে হয় সেটা একটু সংকীর্ণ হয়ে যাবে। তবে প্লট-ফ্ল্যটের দাম ্এ রকম অস্বাভাবিক উলম্ফন এর পিছনে দূর্নীতি একটা কারণ অপর আরেকটি কারণ মনে হয় ৯/১১ এর পর বাঙালী প্রবাসীদের প্রবাসে অবস্থানের অনিশ্চয়তা।

গত এক বছর এর কথা বাদ দিলে আমার মনে হয় বেশির ভাগ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সাথে মূল্যস্ফীতি সমঞ্জস্যপূর্ণই ছিল। কিন্তু সেভিংস এর পরিমাণ কম হওয়ার অন্যতম একটি কারণ মানুষের ভোগবাদীতা। গত এক দশকে মানুষের মন মানসিকতা যেভাবে ভোগবাদের দিকে গেছে বা নেয়া হয়েছে তা ভয়াবহ।
আমর কাছে অর্থনীতির সবচেয়ে ভয়ংকর দিকটি মনে হয়েছে ধীরে ধীরে মধ্যবিত্ত্ব সমাজের বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাওয়া।

অনেক বড় মন্তব্য হয়ে গেল সে জন্য দুঃখিত। ধন্যবাদ।


১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বিষাদ সময় ভাই, আপনার চমতকার বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্যের জন্য ।

অত্যন্ত শ্রমসাধ্য এবং একটি বিশ্লষণমূলক পোষ্ট।

- নেই কাজত খই বাছি ভাই :( , আমজনতার আর কিইবা করার আছে এখন বলেন । কারন , সময় এখন বিষাদের। তারপরও শুকরিয়া ভাই লেখা পড়ার জন্য।

ঋণ খেলাপী নিয়ে যে বক্তব্য সেখানে দ্বিমত করার তেমন কোন অবকাশ নেই। কিন্তু কোটিপতি এবং ক্রয় ক্ষমতা নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন। সেখানে আমার্ একান্ত নিজশ্ব কিছু মতামত ব্যাক্ত করি-
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন - বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে কোটিপতি বেড়েছে ৫ গুণ । দেশে এলিট এ (কোটিপতি) ক্লাবের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে এখন ১ লাখ ১০ হাজার ১৯২ জন।

১৪ বছরে মূল্যস্ফীতি বা টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় তিনগুন-সে হিসাবে এমনিতেই কোটিপতি বাড়ার কথা তিনগুন। দূর্নীতি তো রয়েছেই কিন্তু ২০০৮ সালের পর জমি এবং ফ্ল্যাটের দাম যে অকল্পনীয় ভাবে বেড়েছে তাতে ঢাকা, চট্টগ্রাম বা সিলেটে যে ব্যাক্তিরই ভাল জাগায় জমি ছিল তারা সবাই এখন কয়েক কোটিপতি, ডেভলাপার কে জমি দিয়ে সাইনিং মানি বা ভাল পজিশনের দোকানের কোটি টাকা সেলামী পাওয়া এখন কোন ব্যাপারই না। তাই কোটিপতি হিসাবের চিন্তাটা যদি শুধু দূর্নীতিতে আবদ্ধ রাখি তবে মনে হয় সেটা একটু সংকীর্ণ হয়ে যাবে। তবে প্লট-ফ্ল্যটের দাম ্এ রকম অস্বাভাবিক উলম্ফন এর পিছনে দূর্নীতি একটা কারণ অপর আরেকটি কারণ মনে হয় ৯/১১ এর পর বাঙালী প্রবাসীদের প্রবাসে অবস্থানের অনিশ্চয়তা।


- ভাই ,হাজার-লক্ষ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ কারো কারো কাছে কোন ব্যাপারই নয় তবে বাজারে যাওয়ার সময় কিংবা মাস শেষে আমরা টের পাই ১০০ টাকাই কত মূল্যবান।

আর কোটিপতির সংখ্যা ?

এ সংখ্যাত ভাই ব্যাংকের হিসাবে। এর বাইরে যারা আছে তাদের সংখ্যা কত হবে তা আমাদের ধারনার বাইরে। আর তার নজির কিছুটা দেখা গিয়েছিল দূর্নীতিবিরোধী কয়েক দিনের অভিজানের সময়। যখন দেখছে কেচো খুড়তে গিয়ে সাপ নয় :( ডাইনোসর বের হচছে তখন সব মাটি চাপা দিয়ে সিমেন্টিং করে দিয়েছে যাতে তা আর বের না হতে পারে।
আপনি যদি বর্তমানে রাজধানী-বিভাগীয় শহর-জেলা শহর-থানা শহর বাদ যদি গ্রাম পর্যায়েরও সুবিধাভোগী যে কাউকে জাপটে ধরেন (নেতা ত বাদ ড্রাইভার ও চতুর্থ শ্রেণীর কাউকে ধরলেও) তাহলে দেখবেন কুটি টাকা কোন ব্যাপার না । শয়ে শয়ে কুটি টাকা বেড়োতে থাকবে গুনে শেষ করতে পারবেন না। এমন একটা অবস্থা।

আর এসব দূর্নীতি নয় ভাই । এসব হলো তাদের হক । কারন , তারা দেশপ্রেমিক এবং দেশ তাদের পারিবারিক সম্পদ । দেশের ভালর জন্যই তাদের এত সম্পদ জরুরী। কারন , তারা ভাল থাকলেই দেশ ও দেশের মানুষ ভাল থাকবে।


গত এক বছর এর কথা বাদ দিলে আমার মনে হয় বেশির ভাগ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সাথে মূল্যস্ফীতি সমঞ্জস্যপূর্ণই ছিল। কিন্তু সেভিংস এর পরিমাণ কম হওয়ার অন্যতম একটি কারণ মানুষের ভোগবাদীতা। গত এক দশকে মানুষের মন মানসিকতা যেভাবে ভোগবাদের দিকে গেছে বা নেয়া হয়েছে তা ভয়াবহ। আমর কাছে অর্থনীতির সবচেয়ে ভয়ংকর দিকটি মনে হয়েছে ধীরে ধীরে মধ্যবিত্ত্ব সমাজের বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাওয়া।

- মানুষের মাঝে নীতি - নৈতিকতা হারিয়ে যাচছে তার জায়গা দখল করছে লোভ ও ভোগের মানষিকতা।আর দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার চাপে মধ্যবিত্ত দিশেহার আর গরীবের কথা বলারই কি আছে। এ উভয় শ্রেণীই এক হয়ে যাবে কিছুদিনের মাঝে।

অনেক বড় মন্তব্য হয়ে গেল সে জন্য দুঃখিত। ধন্যবাদ।

- ভাই, সময় নিয়ে পড়েছেন ,মন্তব্য করেছেন । তারমানে দেশ নিয়ে কিছুটা হলেও ভাবেন আমার মট যদিও আমাদের করার সুযোগ খুবই সীমিত কিংবা কোন সুযোগই নেই শুধু দেকে যাওয়া ছাড়া।

আবারো ধন্যবাদ ভাই।

৭| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহামমদ কামরুজজামান,




সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ?
পরিসংখ্যান তো সে কথাই বলে। আর তা না হলে দেশটি সোনার বাংলা হবে কি করে ??????????? :(

১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।

সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? -
পরিসংখ্যান তো সে কথাই বলে। আর তা না হলে দেশটি সোনার বাংলা হবে কি করে ??????????? :(


- একদম ঠিক কথা বলেছেন।

যদি দেশে সোনার ছেলেদের (কোটিপতি ও ঋণ খেলাপি লোকদের ) সংখ্যা না বাড়ে তাহলে কিভাবে দেশটি সোনার :( বাংলা হবে ।

৮| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


খেলাপি ঋন নিয়ে খুব বেশী উদবেগ দেখা যায়।
বাংলাদেশে সরকারি ব্যাঙ্কের খেলাপি ঋন ২০-২২% মত যা উদ্বেগজনক। এটা একদিনে হয় নি, সাইফুর রহমানের আমলের ঋনের বোঝা বর্তমানের সাথে যুক্ত হয়ে এখনো টানতে হচ্ছে রাষ্ট্রকে। তবে বিভিন্ন কারনে বর্তমানে কয়েক বছর ধরে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বেসরকারি খাতে ঋন প্রদান বন্ধ আছে।
বর্তমানে ব্যাঙ্কিং খাতের সব ঋনই বেসরকারি খাতের। বেসরকারি খাতের খেলাপি ঋন খুবই কম। ৫.৫% মাত্র। (আইএমেফের বিপদ সীমা ১০%) বিদেশী ব্যাঙ্কে ৪%


বর্তমানে নিউজ মিডিয়াতে সত্য খুজে বের করা রিতিমত দুরুহ কাজ।
একটি সঠিক সংবাদকেও ওরা এমনভাবে ধোয়াশা শৃষ্টি করে রাখে যাতে সঠিক সংবাদটিকে সন্দেহজনক ভাবে উপস্থাপন করার কারনে মিথ্যা গুজবকারিদের পক্ষে যায়।


সারা বছর সোশাল মিডিয়াতে একটি বাংলাদেশ বিরোধী সংগবদ্ধ চক্র গুজব ছড়াচ্ছিল যে অতরিক্ত ঋন নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাঙ্কগুলো দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। প্রথমআলো হাবিজাবি রিপোর্ট করে গুজবে ঘি ঢালছিল।

কিন্তু বছর শেষে দেখা গেছে কোন ব্যাঙ্কই দেউলিয়া হয় নি।
অক্টোবর নভেম্বর ১ বা ২ মাসে কিছু ব্যাঙ্কের লিকুইডিটি কমে গেছে, কমতে পারে সমস্যা কি?
এসআলম ব্যাঙ্কটির সিংহভাগ মালিক, ব্যাঙ্কের আইন মেনে মালিকপক্ষের লোক বেশী ঋন নিলে সমস্যটা কি? ফেরত তো দিবেই। যে মালিক সে নিজের পায়ে কুড়াল মারবে নাকি? নিজের স্বার্থ নিজে দেখবেই। মিডিয়া দেখবে না।

অর্থনীতি বা ব্যাঙ্কের হিসাব দুই মাসের অবস্থা দেখে বিবেচনা করা যায় না। বছরের হিসাবই মেইন।
২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে অধিকাংশ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে।
বছর শেষে ব্যাংকগুলোর মুনাফার হিসাবে দেখা যায়, অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
ব্যাঙ্কগুলোর স্টাফদের বেতন বৃদ্ধি পেয়ে লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিটি ব্যাঙ্ক নতুন নিয়োগ দিচ্ছে।
ব্যাঙ্ক খাত রুগ্ন হলে এসব কি সম্ভব হোত?



ব্যাংকগুলো থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসে ।

বহুল আলোচিত ইসলামী ব্যাংকের মোট পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা।
আগের বছর ২০২১ সালে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২১১ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ১৪৭ কোটি টাকা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৮৪৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৭২২ কোটি টাকা।

যমুনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৩০ কোটি টাকা। আগের বছর ছিল ৭০০ কোটি টাকা।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৫০১ কোটি টাকা। এনআরবি

কমার্শিয়াল ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৪৫৫ কোটি টাকা। আগের বছর ছিল ৪০৫ কোটি টাকা।

সাউথইস্ট ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালে মুনাফা ছিল ১ হাজার ১৬ কোটি টাকা।

সোনালী ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আগের বছর মুনাফা ছিল ২ হাজার ২১ কোটি টাকা।

ইউনিয়ন ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। ২০২১ সালে মুনাফা ছিল ৩৬০ কোটি টাকা।

ছয় মাসে সিটিজেন ব্যাংক মুনাফা করেছে ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

ধন্যবাদ।

১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই, আপনার চমতকার,তথ্যবহুল ও দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ।

যে কোন বিষয়েই তথ্য বরাবরই বিশেষ কিছু এবং তা হওয়া উচিত প্রকৃত বা সঠিক তথ্য। গোজা মিল বা বেঠিক তথ্য যে কোন কিছুর প্রকৃত অবস্থান লুকিয়ে রাখে যা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারেনা।

যাই হোক , আপনি বলেছেন - খেলাপি ঋন নিয়ে খুব বেশী উদবেগ দেখা যায়। বাংলাদেশে সরকারি ব্যাঙ্কের খেলাপি ঋন ২০-২২% মত যা উদ্বেগজনক। এটা একদিনে হয় নি, সাইফুর রহমানের আমলের ঋনের বোঝা বর্তমানের সাথে যুক্ত হয়ে এখনো টানতে হচ্ছে রাষ্ট্রকে। তবে বিভিন্ন কারনে বর্তমানে কয়েক বছর ধরে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বেসরকারি খাতে ঋন প্রদান বন্ধ আছে। বর্তমানে ব্যাঙ্কিং খাতের সব ঋনই বেসরকারি খাতের। বেসরকারি খাতের খেলাপি ঋন খুবই কম। ৫.৫% মাত্র। (আইএমেফের বিপদ সীমা ১০%) বিদেশী ব্যাঙ্কে ৪%

- ভাই অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে আর কত দিন। আর কতকাল বিএনপি-জামাতের দোষ বলে যে কোন সমস্যার পাশ কাটিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে?
এক যুগের বেশী সময় পার করে এখনও যদি যে কোন কাজের দায়িত্ব না নেন তাহলে আর কবে বা আর কত যুগ পরে বা আর কত কাল শাসন ক্ষমতার সুযোগ পেলে সব কিছুতে বিএনপি-জামাতকে টানা বন্ধ হবে?

মৃত সাইফুর রহমানকে যদি টেনেও আনেন , তাহলে তখন খেলাপী ঋন ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা আর এখন যা ১ লাখ ৩২ হাজার ৬২০ কোটি টাকা (যদিও বাস্তব এর পরিমান ৩ লাখ কোটি টাকার উপরে)।

এখন এগুলিও কি বিএনপি-জামাতের কারসাজি? নাকি আমাদেরই লোভের বলি?

বর্তমানে নিউজ মিডিয়াতে সত্য খুজে বের করা রিতিমত দুরুহ কাজ। একটি সঠিক সংবাদকেও ওরা এমনভাবে ধোয়াশা শৃষ্টি করে রাখে যাতে সঠিক সংবাদটিকে সন্দেহজনক ভাবে উপস্থাপন করার কারনে মিথ্যা গুজবকারিদের পক্ষে যায়।

- যেভাবে সব কিছুতে মানুষকে চেপে ধরা হচছে , কোন বিষয়ে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে - সেখানে এর থেকে ভাল কি আশা করা যেতে পারে ভাই বলেন?

কিন্তু বছর শেষে দেখা গেছে কোন ব্যাঙ্কই দেউলিয়া হয় নি। অক্টোবর নভেম্বর ১ বা ২ মাসে কিছু ব্যাঙ্কের লিকুইডিটি কমে গেছে, কমতে পারে সমস্যা কি? এসআলম ব্যাঙ্কটির সিংহভাগ মালিক, ব্যাঙ্কের আইন মেনে মালিকপক্ষের লোক বেশী ঋন নিলে সমস্যটা কি? ফেরত তো দিবেই। যে মালিক সে নিজের পায়ে কুড়াল মারবে নাকি? নিজের স্বার্থ নিজে দেখবেই। মিডিয়া দেখবে না।

অর্থনীতি বা ব্যাঙ্কের হিসাব দুই মাসের অবস্থা দেখে বিবেচনা করা যায় না। বছরের হিসাবই মেইন। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে অধিকাংশ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে।বছর শেষে ব্যাংকগুলোর মুনাফার হিসাবে দেখা যায়, অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।ব্যাঙ্কগুলোর স্টাফদের বেতন বৃদ্ধি পেয়ে লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিটি ব্যাঙ্ক নতুন নিয়োগ দিচ্ছে।ব্যাঙ্ক খাত রুগ্ন হলে এসব কি সম্ভব হোত?


- কি বলব ভাই ?
বলার কোন কিছু নাই।
শুধু বলব, " উপুর করে ঢেলে দে মা ,লুটে পুটে খাই"।

কাগুজে হিসাব আর বাস্তবের হিসাব যে আকাশ পাতাল ফারাক । সমস্যাটা এখানেই। কোন ব্যাংক বন্ধ কিংবা দেউলিয়া হয়নি - আপনি এটা সঠিক বলেছেন তবে আসলে প্রকৃত ঘটনা কি তা আপনিও ভাল জানেন । তবে সত্য কথা স্বীকারের সৎ সাহস নেই, এটাই বেদনার।

ব্যাংকগুলো থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসে ।

বহুল আলোচিত ইসলামী ব্যাংকের মোট পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। আগের বছর ২০২১ সালে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা।রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২১১ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ১৪৭ কোটি টাকা।মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৮৪৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৭২২ কোটি টাকা। যমুনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৩০ কোটি টাকা। আগের বছর ছিল ৭০০ কোটি টাকা।সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৫০১ কোটি টাকা। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৪৫৫ কোটি টাকা। আগের বছর ছিল ৪০৫ কোটি টাকা।
সাউথইস্ট ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালে মুনাফা ছিল ১ হাজার ১৬ কোটি টাকা। সোনালী ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আগের বছর মুনাফা ছিল ২ হাজার ২১ কোটি টাকা।ইউনিয়ন ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। ২০২১ সালে মুনাফা ছিল ৩৬০ কোটি টাকা। ছয় মাসে সিটিজেন ব্যাংক মুনাফা করেছে ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ধন্যবাদ।


- কি বলব হাসান ভাই,

আপনি যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তাই সঠিক হোক - এই চাওয়া । দূর্মুখদের মুখে ঠাডা পড়ুক যারা দেশকে প্রতিনিয়ত দেউলিয়া কিংবা শ্রীলংকা বানিয়ে দিচছে।

আর বললে অনেক কিছুই বলতে হয়, যা হয়ত অনেকেরই নিকট ভাল লাগবেনা কিংবা শুধু শুধু নিজেদের মাঝে ভূল বুঝা-বুঝি তৈরি হবে ।অথবা হয়ত পড়ব কারো রোষানলে,যাতে করে নিজের ও পরিবারের জীবন হয়ে যেতে পারে তছনছ হামলা-মামলায়। কি দরকার ভাই এত সব ঝামেলায় জড়ানোর। যেখানে আমার আপনার হাতে এসব সমস্যার কোন সমাধান নেই এবং না আমরা কোন পলিসি মেকার।

কাজেই সব ভুলে এত টুকুই বলি - Cool Mango Pepole Cool ," No problem any where. All is well "

আসুন, শুধু বেঁচে থাকি এবং শুকরিয়া আদায় করি এই জন্য যে আমি-আপনি জীবিত আছি।
কারন - আমার আপনার মত অনেকেই নাই হয়ে গেছে এ দুনিয়া থেকে।

আবারো ধন্যবাদ হাসান ভাই।

দয়া করে কোন কিছুই ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। যা বলেছি এসবই শুধু নিজেদের মাঝে কিছু আলোচনা বা ধারনা শেয়ার করার জন্য মাত্র। সরকার কিংবা প্রশাসনের সমালোচনা বা আপনার মন্তব্যের বিরোধীতা নয়। তারপরও যদি আমার কোন একটি কথায় আপনি মনে এতটুকু আঘাত পান বা মনে কষ্ট অনুভব করেন তাহলে অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী। দয়া করে মাফ করে দিবেন।

৯| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লিখেছেন। বিস্তারিত মন্তব্যে যেতে পারলাম না বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শের :P জা (দৌড়া , বাঘ আইল ) তপন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।

ভাল লিখেছেন। বিস্তারিত মন্তব্যে যেতে পারলাম না বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

- ধন্যবাদ ও শুকরিয়া ভাইজান পড়া ও পড়ার প্রতিদান মন্তব্যের জন্য।

আমিও দুঃখিত ভাই, আপনার নিকট থেকে বিশদ না জানতে পারার কষ্টে (দরকার নাই ভাই , বেশী কিছু বলার। যা বলেছেন তাই ঠিক আছে। কিছু বলতে গিয়ে কোথা থেকে কি হয়ে যায়, বলা যায়না।আর তাই আমরা সবাই চুপ থাকি আর মনে মনে বলি, "Cool,Mango Pepole Coo.No problem any where. All is well "।

১০| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


করোনার পর পৃথিবীর সর্বত্র কোটিপতিরা আরো বেশী কোটিপতি হয়েছে ধনসম্পদ বেড়েছে।
বাংলাদেশে হয়েছে উল্টোটা। বাংলাদেশে কোটিপতির সংখা বেড়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ৫০ গুন বড় হয়েছে, কোটিপতির সংখা তো বাড়বেই।
সব হিসেবেই বাংলাদেশ বর্তমানে ডেনমার্ক কাতার মালয়েশীয়া বা সিংগাপুরের চেয়েও বৃহৎ ইকোনমি।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (CEBIR), ব্লুমবার্গ ‘ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট’-এর ‘দ্য টপ হেভি গ্লোবাল ইকোনমি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপির আকার হিসাব করা হয়েছে ৪২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার (429 b)।
অবস্য আইএমফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের হিসেবে জিডিপি ভিত্তিক অর্থনীতির ভলিয়ুম আরো বেশী দেখায় ৩৪ তম। (imf 460 b, w bank 416 b)



এদেশে কাষ্টোমারের অভাব নেই
বাংলাদেশে কনজুমার মার্কেট (ভোক্তা বাজার) কত বিশাল জানেন?

বাংলাদেশ গত বছর বিশ্ব ভোক্তা বাজার তালিকায় ১৬ তম অবস্থানে থাকলেও ২০৩০ সালে নবম স্থানে উঠে আসবে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ১১ তম থেকে ১৪ তম এবং জার্মানি অষ্টম থেকে ১২ তম অবস্থানে নেমে যাবে।
বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হতে চলেছে বলে জানিয়েছে এইচএসবিসি হোল্ডিংস।
ব্লুমবার্গ প্রতিবেদন অনুসারে, এইচএসবিসি-র বিশ্লেষণ অনুসারে এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়াও ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে চতুর্থ স্থান দখল করবে।
এশিয়া প্যাসিফিকের ইক্যুইটি স্ট্র্যাটেজি বিভাগের প্রধান হেরাল্ড ভ্যান ডার লিন্ডের নেতৃত্বে বিশ্লেষকরা জানান, ২০৩০ সাল আসতে আসতে বাংলাদেশ এশিয়ার দ্রুততম বর্ধনশীল ভোক্তা বাজার হবে। একই ভাবে দ্রুত আগাবে ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়া।
ব্লুমবার্গ ও এইচএসবিসি হোল্ডিংস এর বিশ্লেষকরা স্থিতিশীল ক্রয় ক্ষমতার সমতা বা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি (পিপিপি)-র সাপেক্ষে এই বিশ্লেষণ করেছেন।

মোহাম্মদপুর বাজারের ভেতর আমার নিজ চোখে দেখা লুঙ্গি পরা এক সব্জি বিক্রেতা ফুটপাতে বসার জন্য সালামি দিতে হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা। সে বলেছে প্রচুর কাষ্টমার, সমস্যা নেই টাকা উঠে আসবে। সে কোটিপতি নয় কিন্তু হইতে কতদিন?

১৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই, আপনার প্রতি মন্তব্যের জন্য ।

করোনার পর পৃথিবীর সর্বত্র কোটিপতিরা আরো বেশী কোটিপতি হয়েছে ধনসম্পদ বেড়েছে। বাংলাদেশে হয়েছে উল্টোটা। বাংলাদেশে কোটিপতির সংখা বেড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ৫০ গুন বড় হয়েছে, কোটিপতির সংখা তো বাড়বেই।-----

- সময় ও পরিবেশের সাথে সাথে অর্থনীতির আকার - আয়তন বাড়বে , এটাই স্বাভাবিক। তবে সমস্যা হয় তখনই যখন বাড়ার প্রসেসে কোন গোলমাল হলে । এছাড়া অর্থনীতির আকার - আয়তন না বাড়লে তা দেশ ও দশের জন্য বিপদ ও বটে।

এদেশে কাষ্টোমারের অভাব নেই । বাংলাদেশে কনজুমার মার্কেট (ভোক্তা বাজার) কত বিশাল জানেন? ------------- মোহাম্মদপুর বাজারের ভেতর আমার নিজ চোখে দেখা লুঙ্গি পরা এক সব্জি বিক্রেতা ফুটপাতে বসার জন্য সালামি দিতে হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা। সে বলেছে প্রচুর কাষ্টমার, সমস্যা নেই টাকা উঠে আসবে। সে কোটিপতি নয় কিন্তু হইতে কতদিন?

- এই যে আপনার দেয়া তথ্যের আলোকেই বলছি , "এসব কি অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মে পড়ে বা বৈধ'' ?
এ ব্যাপারে আপনি কি মনে করেন?

১১| ১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ইসলামী ব্যাঙ্ক সরকার দখল করেছে বলে গুজব চারিদিকে।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুদ্ধাপরাধী জামাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২০১১ সাল পর্যন্ত একরকম নির্বিঘ্নে ব্যাংকটি পরিচালনা করে আসছিল।
২০১১ সালের নভেম্বরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নতুন নিয়ম করে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে পরিচালক হতে হলে ওই পরিচালকের হাতে কোম্পানিটির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। সারা বিশ্বেই এই নিয়ম।
এ বিধান করার পর ব্যাংকটিতে জামায়াতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যে অনেকটা ভাটা পড়ে। আর ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০১৭ সালে শেয়ারবাজার থেকে শেয়ার কিনে ব্যাংকটির মালিকানায় চলে আসে চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপটি। সংগত কারনেই বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হলেন এস আলম গ্রুপের মাসুদ সাহেবের ছেলে আহসানুল আলম মারুফ।

১৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই, আপনার প্রতি মন্তব্যের জন্য ।

ইসলামী ব্যাঙ্ক সরকার দখল করেছে বলে গুজব চারিদিকে ----------------------------------------------------------------------------- ------------ ২০১৭ সালে শেয়ারবাজার থেকে শেয়ার কিনে ব্যাংকটির মালিকানায় চলে আসে চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপটি। সংগত কারনেই বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হলেন এস আলম গ্রুপের মাসুদ সাহেবের ছেলে আহসানুল আলম মারুফ।

- ভাই কি বলব বলেন ?

যা বলার আপনি বলে দিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে মিডিয়ায় প্রতিদিনই কোন কোন খবর আসছে । কাজেই , আমি কিছু বললেও তা গ্রহনযোগ্য হবেনা আপনার নিকট এবং আপনি সব কু-যস রেখে-ঢেকে বললেও সত্যি পরিবর্তন হয়ে যাবেনা। তবে একটা কথা ঠিক - আপনি আমি কিছুই করতে পারবনা কিংবা তাই হবে যা হওয়ার।

কি আর করা ভাই। আমরা শুধু তাই করতে পারি, " wait & see "।
তাই নয় কি?

১২| ১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আইয়ুব বাচ্চু সাহেবের তিন পুরুষ গানটি মনে পড়ল।

১৯ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।

আইয়ুব বাচ্চু সাহেবের তিন পুরুষ গানটি মনে পড়ল।

- জী ভাইজান , মনে অনেক কিছুই পড়ে এবং সাথে সাথে মন পুড়েও কিছু বলতে না পারার কষ্টে।

১৩| ১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮

ধুলো মেঘ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,
ইসলামী ব্যাংক নিয়ে যা বললেন, তা কয় পারসেন্ট সত্য? প্রথম আলো পত্রিকার নাম শুনলে তো আপনাদের শরীরে আগুন জ্বলে। এই পত্রিকায় ইসলামী ব্যাংক নিয়ে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে, তার কয়টিকে আপনি অসত্য বলে প্রমাণ করতে পারবেন? যদি না পারেন, তাহলে ওয়াদা করেন সামুতে এসে এসব ফালতু চাপাবাজি আর কখনও করবেন না।

https://www.prothomalo.com/opinion/column/0cny8abl3n

ইসলামী ব্যাংক সরকার দখল করলেও ভালো ছিল। যা করেছে, তা ইতিহাসের পাতা দেশের অর্থনীতি ধংসের হিংসাত্মক প্রতিশোধ হিসেবে স্মরণ রাখবে। জামায়াতীদের ফাঁসি দিয়েও হিংসা কমেনি। তাদের সমর্থকদের তিলে তিলে গড়ে তোলা একটা ব্যাংক, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছিল, সেটাকে লাল বাতি দেখিয়ে দিতে হল।

২০ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ধুলো মেঘ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

যদিও মন্তব্য @ হাসান কালবৈশাখী, তারপরও এতটুকুই বলবো -


আমরা প্রত্যেকেই কিছু কিছু না বা কাউকে কাউকে ভালবাসি বা তার অনুসারী । তবে যে যাই করি যে কোন বিষয়ে অন্ধ অনুসরন কিংবা সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকতে চাওয়া কিংবা সত্যকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা ঠিক নয় ।

বরং সত্যকে সত্য বলা ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলার মাঝেই অনুসরন-অনুকরনের যথার্থতা প্রমাণিত হয়।

১৪| ১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২০ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব নুর ভাই,

আবার আসার জন্য।

১৫| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ইসলামী ব্যাংক নিয়ে যা বললেন, তা কয় পারসেন্ট সত্য?
@ ধুলো মেঘ - সত্যা নিয়ে সন্দেহ নেই। ইহা প্রথম আলোর লেখার শেষ অংশ থেকেই নিয়েছি।
ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা ছেড়ে দিল আইসিবি

২১ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হাসান ভাই আবারো ধন্যবাদ @ ধুলো মেঘ এর জন্য ।

সত্যা নিয়ে সন্দেহ নেই। ইহা প্রথম আলোর লেখার শেষ অংশ থেকেই নিয়েছি।

- এর পিছনে কারন কি হতে পারে ভাই?

আপনার কি মনে হয় - ইসলামী ব্যাংক এখন আগের থেকে ভাল আছে না খারাপ ? (নিরপেক্ষ মতামত আশা করছি)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.