নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - উইকিপিডিয়া
লেখার প্রেক্ষাপট - সোনাগাজী ভাইয়ের লেখা,"হিরো আলাম তো ভালোই ছিলো, এমপি হতে চায় কেন"? লিংক - Click This Link এবং গত কিছুদিন যাবত দেশে ঘটিত ঘটনাবলী।
বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী ও বিদেশে এমনকি জাতিসংঘেও যে নাম আলোচিত তা হলো ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম। আশরাফুল আলম সাঈদ, যিনি হিরো আলম নামে দেশে অধিক পরিচিত তিনি ১৯৮৫ সালের ২০ জানুয়ারি বগুড়া জেলার সদর উপজেলার এরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে ৭ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই তিনি জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা শুরু করেন। আর তাই হিরো আলম প্রথম দিকে নিজ গ্রাম এরুলিয়ায় সিডি বিক্রির কাজ করতেন এবং পরবর্তীতে স্যাটেলাইট টিভি সংযোগের (ক্যাবল পরিচালনা) ব্যবসায় নামেন। ক্যাবল সংযোগের ব্যবসা চলাকালে শখের বশে তিনি সঙ্গীত ভিডিও নির্মাণ শুরু করেন এবং বর্তমানে নিজ উদ্যোগে তিনি একজন বাংলাদেশী সঙ্গীত ভিডিও মডেল, অভিনেতা, লেখক (২০১৯ সালে একুশে বইমেলায় তার আত্মজীবনী “দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেবো” প্রকাশিত হয়, যেটি প্রকাশ করে তরফদার প্রকাশনী এবং বইটি সম্পাদনা করেন সৌরভ আলম সাবিদ) ,গায়ক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ব্যক্তি। তিনি একজন স্বাধীন শিল্পী হিসাবে কাজ করেন ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলিতে ভিডিও প্রকাশ করে থাকেন।
বেশীরভাগ মানুষের মতে, তার গানের গলার সুর বেসুরে । আর তাই সে সর্বাধিক আলোচিত - সমালোচিত। এখানে একটা কথা না বললেই নয় - সে কি এটিএন বাংলার (মাননীয়) চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান থেকে বেশী বেসুরে গান গায় , কিংবা (মাননীয়া ) মমতাজ বেগম (গায়িকা,রাজনীতিবিদ ও সংরক্ষিত নারী আসন-১৫ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্যা) থেকে বেশী ফাটাইয়া ফেলে বেসুরে গায়? আমরা যদি গায়ক মাহফুজুর রহমান কিংবা গায়িকা মমতাজ'কে সহ্য করতে পারি তাহলে গায়ক হিসাবে হিরো আলমকে নয় কেন? (মন চাইলে তার গান শুনব, না চাইলে শুনব না। কিচচা খতম।) নাকি তাদের আগে মাননীয়-মাননীয়া (তাদের কারো আছে টাকা, আর কারো আছে ক্ষমতাশীনের আর্শিবাদ) আছে, এই জন্য তাদের আমরা সহ্য করছি । আর হিরো আলম না মাননীয় কিংবা না আছে টাকা কিংবা না আছে ক্ষমতাশীনের আর্শিবাদ - আর তাই এই হিরো আলমকে লাথি-গুতা মারছি,সমালোচনা করছি হাত খুলে -প্রাণ ভরে ?
ছবি - সমকাল
বগুড়ার একটি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য, এক শতাংশ ভোটারের যে স্বাক্ষর জমা দিতে হয়, সেই তালিকায় স্বাক্ষর না মেলার অভিযোগে তার প্রার্থিতা যখন বাতিল করে দিয়েছিলেন জেলা রিটার্নিং অফিসার তখন সে রাগে ক্ষোভে বলেছিলেন,''এই দেশের রাজারা কখনো চায় না যে প্রজারা রাজা হোক। সেইরকম এমপি-মিনিস্টাররা কখনো চায় না যে সাধারণ মানুষ এমপি-মিনিস্টার হোক"। (বাণীতে - হিরো আলম) । অল্প শিক্ষিত হিরো আলম তখন যা বলেছে তা আসলে এদেশের প্রেক্ষাপটে শতভাগ সত্য এবং দেশটা এখন গুটি কয়েক ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের হাতের মোয়া (সম্পদ) হয়ে গেছে এবং জনগন হয়ে গেছে তাদের সেবাদাস। আর তাই, তারা যাই বলবে-করবে তাই সঠিক বাকী সবই বাকোয়াজ।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ রাষ্ট্রের যে কোন নাগরিকের সর্বপ্রথম মৌলিক মানবিক অধিকার। রাষ্ট্রের যে কোন নাগরিক কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে, বাংলাদেশের যে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্য এবং তা মৌলিক মানবাধিকারের পর্যায়েও পরে এবং তা নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করা সরকার-প্রশাসন-বিচার বিভাগ-ইসি প্রত্যেকেরই উচিত এবং ভোটাধিকার প্রাপ্ত যে কোন নাগরিকের নির্ভয়ে ও যে কাউকে তার ভোটাধিকার প্রয়োগও রাজনৈতিক ও মৌলিক মানবাধিকারের পর্যায়ে পড়ে। আর সেই নাগরিক অধিকারের বলেই দেশের প্রচলিত সকল আইন-শর্ত পূরন করেই হিরো আলম হয়েছিলেন সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী । সে অশিক্ষিত এবং টিটকার এই অযুহাতে ক্ষমতাশীনরা সহ দেশের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ তার সমালোচনায় মূখর। ব্যক্তি স্বাধীনতার মতবাদের উপর ভর করে যারা তার সমালোচনা করছে তারাও যে আরেক জনের মৌলিক অধিকার লংঘন করছে, সেটা তারা ভেবেও দেখছে না।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ( ১৯৭২ সনের নং আইন অনুযায়ী )
সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা -
সংবিধানের ৬৬ (১) ধারা অনুযায়ী - কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হইলে এবং তাঁহার বয়স পঁচিশ বৎসর পূর্ণ হইলে এই অনুচ্ছেদের (২) দফায় বর্ণিত বিধান-সাপেক্ষে তিনি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন।
সেই হিসাবে, হিরো আলমের পূর্ণ অধিকার আছে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার এবং জনগন যদি তাকে ভোট দেয় তবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং জনগনের সেবা করার(নাকি জনগনের সেবার অধিকার শুধু কয়েকটা পরিবারের পারিবারিক বিষয়। আর তারই ধারাবাহিকতায় সকল শর্ত পূরণ করেই, দেশের সকল প্রতিষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জনের মাঝেও ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ।
আবার - সংবিধানের ৬৬ (২) ধারা অনুযায়ী - সংসদে নির্বাচিত হইবার অযোগ্যতার শর্ত অনুসারে -
(২) কোন ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি
(ক) কোন উপযুক্ত আদালত তাঁহাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করে।
(খ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন।
(গ) তিনি কোন বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন।
(ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকেন ।
(ঙ) তিনি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া থাকেন ।
(চ) আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করিতেছে না, এমন পদ ব্যতীত তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
(ছ) তিনি কোন আইনের দ্বারা বা অধীন অনুরূপ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হন।
এর সবগুলোর কোন একটি শর্তও হিরো আলম ভেংগেছে বা এরকম কোন অন্যায় তার দ্বারা হয়েছে বলে (হিরো আলম না ব্যাংক লুটেরা, না দরবেশ বাবা, না সেঞ্চুরিয়ান কিংবা দলবাজ-তেলবাজ) আইন শৃংখলা বাহিনী, আদালত কিংবা প্রশাসন কারও কাছ থেকে এরকম কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। হিরো আলমের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও নমিনেশন পেপার জমাদানেও নানা ভাবে বাধার তৈরী হয়েছে । নির্বাচনে অংশগ্রহনের শুরুর পর্যায় থেকে প্রচারের সময় সে নানা ভাবেই হয়রানী সহ কয়েকবার শারিরীকভাবে নিগৃহিত হয়েছে একটি বিশেষ দলের সমর্থকদের দ্বারা যার সর্বশেষ পরিণতি হল নির্বাচন চলাকালে স্বতন্ত্র এমপি পদপ্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলা। (ভোটের ফলাফল - ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরাফাত পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট ) আর এ ঘটনায় দেশের সাধারন মানুষের সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,মূল ধারার খবরের কাগজ,দেশের রাজনীতিবিদদের সাথে সাথে আমেরিকা এমনকি খোদ জাতিসংঘও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এ জাতীয় ঘৃণ্য কাজ রোধ ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহববান জানিয়েছে।
অথচ সরকারের দাবী নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুসারে, সহিংসতা ছাড়া বাংলাদেশের যে কোন এলাকায় নির্বাচনে হিরো আলমের অংশগ্রহণ মৌলিক মানবাধিকার এবং তা নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করা শেখ হাসিনা (সরকার)-প্রশাসন-বিচার বিভাগ-ইসি প্রত্যেকেরই দায়িত্ব এবং তা করাও উচিত ছিল ।
এখানে তার প্রতি কারো কারো যে অভিযোগ/দাবী ছিল , ( সে টিক-টকার এবং এই আসনের স্থায়ী বাসিন্দা নন) সেখানেও একথা বলা যায় -
১। প্রথম অভিযোগ (সে টিক-টকার) - হিরো আলমের আগেও এমন অনেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে এবং বার বার হয়ে যাচছে যার যোগ্যতা ছিল শুধু ফাইট্টা যায় বলা পর্যন্ত কিংবা সংসদে গান গেয়ে শোনানো পর্যন্ত । এখন, কেউ যদি গান গেয়ে এবং বিশেষ বিবেচনায় (সংরক্ষিত নারী আসন) সংসদ সদস্য হতে পারে, তাহলে হিরো আলম নিজের যোগ্যতায় এবং সরাসরি জনগনের ভোটে কেন সংসদে জনগনের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেনা?
২। ১। দ্বিতীয় অভিযোগ (এই আসনের স্থায়ী বাসিন্দা নন)) - হিরো আলম কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন। আর তাই সে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে কিছু শর্ত পূরণ করে দেশের যে কোন সংসদীয় আসন-এলাকা থেকে নির্বাচন করতে পারেন।
বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণের শর্ত অনুসারে -
"কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করতে হলে সমর্থক হিসাবে ওই এলাকার (যে এলাকা কিংবা আসনে সে ভোট করতে চায়) মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষর বা টিপসহি থাকতে হবে। তবে পূর্বে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এটি প্রযোজ্য হবেনা। স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণের শর্ত অনুসারে সে এই শর্ত পূরণ করেই প্রার্থী হয়েছে। তাহলে - এখানে অনেকের কেন সমস্যা বোধ হবে হিরো আলমকে নিয়ে?
২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জারি করা গেজেটে এই বিধানটি সংযুক্ত করা হয়েছিল। (এই বিধানের পক্ষে তখনকার কমিশনের পক্ষ থেকে যুক্তি হিসাবে বলা হয়েছিল, নির্বাচনে প্রার্থীদের সংখ্যা সীমিত এবং যোগ্য প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এই বিধানটি সহায়ক হবে।)
তবে এই প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশের সাংবিধানিক এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ। তোফায়েল আহমেদ বিবিসি নিউজ বাংলাকে বলছেন, ''স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই যে ১ শতাংশ স্বাক্ষর রাখার বিধান রাখা হয়েছে, সেটা অনেকগুলো কারণেই মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।"
"প্রথমত, যিনি ভোটার, তার প্রার্থী হওয়ার অধিকার রয়েছে, সেটা ক্ষুণ্ণ হলো।
দ্বিতীয়ত, যে ভোটাররা সেখানে স্বাক্ষর করে সমর্থন করবেন, এটা তাদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। কারণ তিনি গোপন ব্যালটে ভোট দেবেন, অথচ এখানে কেন তাকে প্রকাশ্য করে দেয়া হচ্ছে যে, তিনি কাকে ভোট দেবেন। এটা তার অধিকার এবং তার জন্যও ক্ষতিকর''। তিনি আরো বলেন "আমি মনে করি, এখনো সময় আছে, যেসব ভুলত্রুটি হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সেসব সংশোধন করতে পারে'' ।
বর্তমানে (গত ১৫ বছরে) নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের মাঝে কোন আগ্রহ নেই বললেই চলে এবং দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিপরীতমূখী অবস্থানের কারনে প্রশাসন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা সীমাবদ্ধতার কারনে দেশের মানুষের সাথে সাথে দেশের বাইরের উন্নয়ন অংশীদার,দাতা,আমেরিকা-ইউ সহ সবাই শংকিত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত নিয়ে। এসব কারনে এবং গত ১৫ বছরে ক্ষমতাশীনদের নির্বাচন নিয়ে নানা রকম কারিকুরী ফলানোর কারনে দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের অধীনে নির্বাচন বর্জন করছে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে। সেখানে হিরো আলম সাহস করে আওয়ামী সরকারের অধীনে ভোটে দাড়িয়েছে।এতে করে সরকারের-প্রশাসনের উচিত ছিল তাকে তার প্রাপ্য অধিকার যাতে পেতে পারে তার ব্যবস্থা করা। সরকার প্রধান সহ তার দলের সবাই সারা দিন বলে চলছে, " তারা নিরপেক্ষ-গ্রহনযোগ্য নির্বাচন চায় ও আয়োজন করে। তাহলে হিরো আলমের অংশগ্রহনে তাদের সমস্যা কোথায় ছিল? নিরপেক্ষ-গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে হিরো আলম জিতলেও আওয়ামী সরকারের পতন হতনা কিংবা কোন ক্ষতি হতোনা লাভ ছাড়া। কারন - দেশের সব কিছুই যেখানে ক্ষমতাশীনদের অনুকূলে এবং ----
বিএনপি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসংখ্য মামলার আসামী ও সাজাপ্রাপ্ত হয়ে রাজনীতির বাইরে,তার ছেলে তারেক জিয়া অসংখ্য মামলার আসামী,সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাসিত। মির্জা ফখরুল,মির্জা আববাস খন্দকার মোশারফ,রিজভী,গয়েশ্বর রায়রা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত গত ১৫ বছর বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছে এবং যেখানে শেখ হাসিনার সাথে কারোর কোন তুলনা করার সুযোগ নেই এবং নেই কোন দৃশ্যমান নেতা যে নির্বাচনে যদি বিএনপি জিতে (এখনত তারা সকল প্রকার নির্বাচন বর্জন করেছে ) তাহলে কে হবে তাদের সংসদীয় দলের নেতা তথা সরকার প্রধান।
জাতীয় পার্টি - দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির কারিশমাটিক নেতা এরশাদ মৃত । জাতীয় পার্টি এখন দেবর-ভাবীর দ্বন্দ্বে জেরবার এবং এর বাকী নেতারা নিজেদের ভিতরই লড়ছে দেবর-ভাবীর পক্ষে-বিপক্ষে।
জামায়াত - জামায়াতের বেশীরভাগ নেতাই ফাসিতে ঝুলেছে এবং বর্তমানে আইনের মারপ্যাচে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলেও তারা জামায়াত নামে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবেনা। কাজেই ,এদিক থেকেও আওয়ামীলীগের কোন ভয় নেই।
বাকী সব রাজনৈতিক দলের ( ৩০ - ৫০ সংখ্যায় যাই হোক না কেন) দুই-একজন নেতা বাদে দেশব্যাপী তাদের কোন সেভাবে পরিচিতি নেই এবং তারা আছে নামে মাত্র যাদের আবেদন জনগনের নিকট সীমিত বা সেই সব দলের কার্যক্রম কাগজে-কলমে এবং ভোটের মাঠে প্রভাব নেই বললেই চলে এবং তারাও কেউ এখন দেয়না বা হয়না নির্বাচনে প্রার্থী (কারন - সবার মতে নির্বাচন এখন শুধু লোক দেখানো। একটি দলের প্রার্থী জয়ী হবে। এটাই এখন এ দেশের নিয়তি )।
অন্যদিকে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও এর প্রধান শেখ হাসিনার সাথে বর্তমানে দেশে কারোর কোন তুলনা করার কোন সুযোগ নেই। তিনি নিজেকে ওয়ান ম্যান আর্মি শো এর মত ইতিমধ্যেই এক অনন্য উচচতায় নিয়ে গেছেন যেখানে তার ধারে-কাছে কেউ নেই,না রাজনীতির ময়দানে ও না ক্ষমতার মঞ্চে । শেখ হাসিনার সমান কিংবা বিকল্প না তার দলে আছে না বাকীদের নিকট আছে। আর তার সাথে সাথে আছে তাহার বিশ্বস্ত সেনাপতিরা (শামীম ওসমান, কাদের,হানিফ,ইনু) যাহারা বিএনপির আলু-ফালু-মালু থেকে বহুগুন শক্তিশালী এবং যাদের প্রিয় কাজ ও কথাই হল - খেলা এবং খেলা হপ্পে খেলা।
এত বড় দল, বিশাল সুবিধাভোগী, ব্যাপক উন্নয়ন , সুসংগঠিত কর্মী ও বহু বিশ্বস্ত সেনাপতিরা থাকার পরও আওয়ামীলীগের কেন -
১। হিরো আলমের প্রার্থীতায় বাঁধা তৈরী করতে হবে বা তার উপর আক্রমণ করবে?
২। এ উপ নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখলে সরকাররের কি কিছু হারানোর ভয় ছিল ?
৩। নাকি, জনগনের উপর (ভোটাধিকার) তাদের বিশ্বাস নেই?
৪। কিংবা ,তাদের নেতা-সরকার প্রধানের মুখের কথা (নিরপেক্ষ-গ্রহনযোগ্য নির্বাচন) আর মনের কথা এক নয়?
৫। নাকি, যা দেখা যায়/যাচছে (মাঝে মাঝে কিছুটা ভাল করার চেষ্টা ) তার অনেক কিছুই সঠিক নয়?
আওয়ামী সরকার যেহেতু প্রায় ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে এবং তাদের দাবী অনুসারে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন তাদের হাত ধরে হয়েছে তাহলে আশা করা যায় নিরপেক্ষ ও ভয়-ডর বিহীন ভোটাধিকার পেলে জনগন আবার তাদের পূণরায় ক্ষমতায় আরোহনের জন্য রায় দিবে। কাজেই সরকারী দলের হাসি মুখেই যে কোন বিরোধী প্রাথীকে বরণ করা উচিত নয় কি?
নাকি, শুধু বিশেষ পরিবার ও তার অনুগতদের জন্যই দেশের জনগনের সেবাদান (রাজনীতি-নির্বাচন) প্রক্রিয়া?
বাকী সবাই, লে হালুয়া----------
জবাব দিহীতা - গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহ ও হিরো আলমের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা - সমালোচনার প্রেক্ষাপটেই এই লেখা। এখানে কে সত্যি বা কে ভাল বা খারাপ তা প্রমান কিংবা সরকারের নীতির সমালোচনা করা কিংবা সরকারের বিরোধীতা করার বিষয় নয় । পাঠককে এর সাথে রাজনীতির দূরতম কোন সম্পর্কও না খোজার বিনীত অনুরোধ রইলো। এ শুধুই একজন সাধারন মানুষ ও সচেতন নাগরিক হিসাবে হিরো আলম ইস্যুর পোস্টমর্টেম,যেখানে শুধু সঠিক জিনিসটা জানারই চেষ্টা।
তথ্যসূত্র
==========
১। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান। সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা - Click This Link
২। সংসদ নির্বাচন-নির্বাচনী আইন কি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে?- https://www.bbc.com/bengali/news-46436257
৩। হিরো আলম - https://bn.wikipedia.org/wiki/
৪। রুচির দুর্ভিক্ষে উত্থান হয়েছে হিরো আলমের - মামুনুর রশীদ - https://www.jugantor.com/entertainment/658858/
৫। হিরো আলমের ওপর হামলায় জাতিসংঘের উদ্বেগ - Click This Link
৬। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং - হিরো আলমের ওপর হামলার প্রসঙ্গে ম্যাথু মিলার যা বললেন -
লিংক - Click This Link
-
পূর্ববর্তী পোস্ট -
===============
৮। সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ কিংবা বিক্রি - সত্যিটা কি ? - Click This Link
৭।আমেরিকার ভিসা নীতি বনাম বাংলাদেশের ভিসা নীতি-এর পর কি হবে?-
Click This Link
৬। আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? - Click This Link
৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার ছোট তবে ------ মন্তব্যের জন্য।
হিরু আলমেরও নামেও উইকিপেজ আছে.... /
- জী ভাই।
হিরু আলম এখন দেশ-বৈদেশে পরিচিত এক মুখ। তার নাম উইকি'তে থাকবেনা এটা কেমন কথা
এদিকে, আপনি-আমি সারাজীবন কি করলাম বলেন?
আমাদের নামতো মনে হয় বউয়ের ডাইরিতেও নেই উইকি দূর কি বাত।
২| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
প্রামানিক বলেছেন: জিরো থেকে হিরো হওয়ার যোগ্যতা কয়জনের আছে।
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য। ।
জিরো থেকে হিরো হওয়ার যোগ্যতা কয়জনের আছে।
- হিরো আলম নিজের প্রচেষ্টায় জিরো থেকে হিরো হয়ে উঠছে । যার না আছে মাথার উপর কোন ছাতা কিংবা না আছে কোন বিশেষ কারো আর্শিবাদ ।
সে একজন প্রকৃত যোদ্ধা, অভাব ও প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে।
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: হিরু আলম নিজেই নিজের সাথে লড়াই করছে।কারো প্রতিদ্বন্দ্বী হবার মতো যোগ্য সে এখনো হয়ে উঠে নাই।
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
হিরু আলম নিজেই নিজের সাথে লড়াই করছে।কারো প্রতিদ্বন্দ্বী হবার মতো যোগ্য সে এখনো হয়ে উঠে নাই।
আমিও ভাই তাই বলতে চাচছি যে -
- হিরু আলম নিজের প্রচেষ্টায় জিরো থেকে কিছু হয়ে উঠার চেষ্টা করছেন, যার না আছে মাথার উপর কোন ছাতা কিংবা না আছে কোন বিশেষ কারো আর্শিবাদ।
এদিকে সে এতটা সক্ষমতা অর্জন করেনি যে সমাজে-দেশে প্রতিষ্ঠিত একটা রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকে পরাজিত করে ফেলবে। হয়ত কিছুটা ঝাকুনি দিতে পারবে ( কারন - এখন সেই দলকে কিংবা তাদের দলের প্রার্থীর সামনে-সাথে কেউ দাড়ায় না। ঝাকুনিত দূর কি বাত। আবার - দেশের জনগণ হয়ত রানা প্লাজার ঝাকুনির কথা ভূলে গেলেও সরকারী দল তা ভুলেনি) । আর তাইতো আওয়ামী লীগ কিংবা সরকার কোন রকমের ঝাকুনি সহ্য করতে রাজী নয়।
তা সে হিরুই হোক কিংবা বিরুই হোক।
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি মমতাজের সাথে কেন হইরো আলম আর মাহফুজুর রহমানকে তুলনা করলেন বুঝলাম না!!!!
মমতাজ মানুষ যেমন তেমন হতে পারেন কিন্তু গায়িকা হিসেবে তিনি যথেষ্ঠ মেধাবি।
তিনি উঠে এসেছেন নিন্মশ্রেণী থেকে, জীবনে বহু ফালতু ও নোংরা লিরিকের গান গেয়েছেন সেটা সত্য। কিন্তু তিনি আর মুজিব পরদেশী একসময়ে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পি ছিলেন, সেটা মুলত নিন্ম ও নিন্ম মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে। তিনি সর্বাধিক একক এলবাম করে গিনিজ বুকে নাম উঠিয়েছিলেন।
মনপুরা ছবিতে' আগে যদি জানতামরে বন্ধু' এই গান গায়ে তিনি তাঁর জাত চিনিয়েছেন।
তিনি শাহ আলমের যেসব গান গেয়েছেন তাঁর অনেকগুলো মাষ্টারপিস। এর মধ্যে আমার 'জনম দুখিনী মা' তো মা কে নিয়ে লেখা বাংলা গানের অন্যতম সেরা। বাংলা পালাগানে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তাঁর থেকে জনপ্রিয় শিল্পী আর আসেননি সম্ভবত।
মানুষ হিসেবে আমরা তাঁকে সম্মান না করতে পারি- কিন্তু শিল্পী হিসেবে তাঁকে আমাদের সম্মান করা উচিৎ।
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই, আপনার চমতকার ও বাস্তব মন্তব্যের জন্য।
আপনি মমতাজের সাথে কেন হইরো আলম আর মাহফুজুর রহমানকে তুলনা করলেন বুঝলাম না!!!!
- তুলনামূলক অধ্যয়ন বা আলোচনা কাউকে বড় বা ছোট করতে করা হয়না। করা হয় - কয়েকটা জিনিষের মাঝ থেকে সবচেয়ে সঠিক জিনিষটা বেঁছে নেওয়ার জন্য।
আমি হিরুর সাথে মাহফুজ কিংবা মমতাজের তুলনাও এই জন্যই করেছি।
মমতাজের আজকের অবস্থান এমনিতেই বা খুব সহজেই হয়নি। তার জন্য তার কঠোর পরিশ্রমের সাথে গানের প্রতি ভালবাসাই তাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
অপরদিকে, মাহফুজের জীবনে সবই আছে। অর্থ-সামাজিক অবস্থান। তার অবস্থা এমন নয় যে, হিরু কিংবা মমতাজের মত গান গেয়ে পেট চালাতে হবে কিংবা অবস্থান তৈরী করতে হবে। তবে , মাহফুজ গান ভালবাসে, আর এই ভালবাসা থেকেই সে গান গাইতে চায়। তবে এটাও ঠিক হয়ত তার গানের টাল-লয়-সুর ঠিক থাকেনা । তবে তাই বলে গানের প্রতি তার ভালবাসা মিথ্যা হয়ে যাবেনা। গাইতে গাইতে একসময় সেও গায়ক হয়ে উঠতে পারে যেমনটা হয়ে উঠেছে আজকের মমতাজ।
ঠিক তেমনি - হিরু আলম ভাল গায়না বা বেসুরে গায় এটাও ঠিক । তাই বলে গানের প্রতি তার ভালবাসা কিংবা তার প্রচেষ্টাটা মিথ্যা নয়।
তারা সবাই সংগ্রাম করছে নিজ নিজ জায়গা থেকে এবং একটা সময় কেউ সফল হয়েছে এবং কেউ সফল হবে - এটাই আমি বলতে চেয়েছি। আরও বলতে চেয়েছি মানুষ হিসাবে সবাইকেই সবার সম্মান করা উচিত তার সামাজিক কিংবা আর্থিক অবস্থান দেখে নয়।
মমতাজ মানুষ যেমন তেমন হতে পারেন কিন্তু গায়িকা হিসেবে তিনি যথেষ্ঠ মেধাবি। তিনি উঠে এসেছেন নিন্মশ্রেণী থেকে, জীবনে বহু ফালতু ও নোংরা লিরিকের গান গেয়েছেন সেটা সত্য। কিন্তু তিনি আর মুজিব পরদেশী একসময়ে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পি ছিলেন, সেটা মুলত নিন্ম ও নিন্ম মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে। তিনি সর্বাধিক একক এলবাম করে গিনিজ বুকে নাম উঠিয়েছিলেন। মনপুরা ছবিতে' আগে যদি জানতামরে বন্ধু' এই গান গায়ে তিনি তাঁর জাত চিনিয়েছেন।তিনি শাহ আলমের যেসব গান গেয়েছেন তাঁর অনেকগুলো মাষ্টারপিস। এর মধ্যে আমার 'জনম দুখিনী মা' তো মা কে নিয়ে লেখা বাংলা গানের অন্যতম সেরা। বাংলা পালাগানে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তাঁর থেকে জনপ্রিয় শিল্পী আর আসেননি সম্ভবত।
- মমতাজ যখন গান শুরু করে তার পর দীর্ঘদিন তার গান শুধু সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের কাছেই গ্রহনযোগ্য ছিল যারা মামুনের রশিদের মতে রুচির দূর্ভিক্ষের স্বীকার। তবে সে ধীরে ধীরে এবং অনেকটা সময় পর সমাজের মূলধারায় জায়গা করে নিয়েছে যেটা মাহফুজ কিংবা হিরুও পারবে একসময়। আমি শুধু তাই বলতে চেয়েছি। কাজেই - ----------
মানুষ হিসেবে আমরা তাঁকে সম্মান না করতে পারি- কিন্তু শিল্পী হিসেবে তাঁকে আমাদের সম্মান করা উচিৎ।
- আমাদের সবারই - মানুষ হিসাবেই সর্বপ্রথম যে কোন মানুষকে সম্মান করা উচিত । যদিও তার অনেক /সকল শারিরীক ত্রুটি কিংবা অক্ষমতা-দূর্বলতা থাকার-জানার পরেও।
তারপরে - বাকী সব গুন (ভাল শিল্পী - অর্থ - সামাজিক অবস্থান ) বিবেচ্য হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কারন - প্রত্যেকটা মানুষই সেরা এবং আইকনিক, তাদের নিজ নিজ জায়গায়।
৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০
ফেনা বলেছেন: খুবই ভাল একটা পোষ্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
তবে একটা কথা না বললেই হয় না। একবার কি ক্ষেয়াল করে দেখেছেন যে সিডি বিক্রেতা হিরো আলম নিজের প্রচেস্টায় আজ কোথায় চলে এসেছেন। তাকে সাধুবাদ জানাই। জীবনের লক্ষ্য আর পরিশ্রম থাকলে যে কোন উচ্চতায় যাওয়া যায় হিরো আলম আজ এইটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন।
*** চিন্তা করে দেখেন যে আজ হিরো আলমকে নিয়ে সারা দুনিয়াতে আলোচনা হচ্ছে। পৃথিবী শাসন করা আমেরিকা এমনকি খোদ জাতিসংঘ পর্যন্ত আলোচনা হচ্ছে।
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই, আপনার সুচিন্তিত, চমতকার ও বাস্তব মন্তব্যের জন্য।
খুবই ভাল একটা পোষ্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
- শুকরিয়া ভাই। ধন্যবাদ আপানাকেও বিষয়ের গভীরে যাওয়ার জন্য।
তবে একটা কথা না বললেই হয় না। একবার কি ক্ষেয়াল করে দেখেছেন যে সিডি বিক্রেতা হিরো আলম নিজের প্রচেস্টায় আজ কোথায় চলে এসেছেন। তাকে সাধুবাদ জানাই। জীবনের লক্ষ্য আর পরিশ্রম থাকলে যে কোন উচ্চতায় যাওয়া যায় হিরো আলম আজ এইটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন।
- হিরু আলম নিজের প্রচেষ্টায় জিরো থেকে কিছু হয়ে উঠার চেষ্টা করছেন, যার না আছে মাথার উপর কোন ছাতা কিংবা না আছে কোন বিশেষ কারো আর্শিবাদ এবং রয়েছে যার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব । তারপরেও সে অন্যের পয়সা না মেরে খেয়ে ,চুরি না করে পরিশ্রম করে সৎ পথে থেকে কিছু করার চেস্টায় আছে যা অনেকের নিকটই ভালো লাগছেনা।
কারন - তাদের মতে, দেশ সেবার মহৎ (নিজের জন্য সব কিছু নিয়ে নেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভাল পেশা) পেশা শুধু তাদেরই পারিবারিক সম্পত্তি (যাতে করে তারা বেশুমার ধনরাশি কুক্ষিগত করতে পারে )। সেখানে হিরু কিংবা বাকীদের প্রবেশ নিষেধ।
*** চিন্তা করে দেখেন যে আজ হিরো আলমকে নিয়ে সারা দুনিয়াতে আলোচনা হচ্ছে। পৃথিবী শাসন করা আমেরিকা এমনকি খোদ জাতিসংঘ পর্যন্ত আলোচনা হচ্ছে।
- অনেকেই বলছে হিরু আলম প্রচারের জন্য এই সব (ভোট-রাজনীতি) করছে।
এখন এখানে যে প্রশ্ন আসে তা হলো ভাইয়ে-ভাইয়ে যে কামড়া-কামড়ি করেছে কিছুদিন আগে কিংবা জামাই-বউ-ছেলে-মেয়ে-নাতি-পুতি দল বেধে যে দেশ সেবায় ঝাপিয়ে পড়ছে , তারা কিসের আশায় তা করছে?
যেখানে হিরু আলম নিজের পরিশ্রমের পয়সা খরচ করে দেশের-জনগনের সেবা করতে চায় সেখানে বাকীরা ব্যাংক-দেশ-জনগনেরটা লুট করে নিয়ে দেশ সেবার মহান পেশা চালিয়ে যায়।
তাদের তুলনায় হিরু আলমকে স্যালুট এবং তাকে নিয়ে দেশ বিদেশে আলোচনাও যথার্থ ।
আর বাকীদের উদ্দেশ্যে শুধু এতটকুই বলবো, " তোদের শরম নাইরে ------------------- "
৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১
জুন বলেছেন: হিরো আলম এমপি হলে সমস্যা কি বুঝলাম না। আমাদের কত জনপ্রতিনিধি যেমন ভাষায় কথা বলে আর আচরণ করে তাতে তো হিরো আলম এর সাথে কোন পার্থক্য দেখি না।
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন জুন , আপনার ছোট তবে চমতকার ও বাস্তব মন্তব্যের জন্য।
হিরো আলম এমপি হলে সমস্যা কি বুঝলাম না। আমাদের কত জনপ্রতিনিধি যেমন ভাষায় কথা বলে আর আচরণ করে তাতে তো হিরো আলম এর সাথে কোন পার্থক্য দেখি না।
- গত ২ মেয়াদের সংসদে কতজন মানুষ সংসদে প্রতিনিধিত্ত করছে, যারা ভালভাবে দু কথা বলতে পারে কিংবা দেশের সংবিধান ও সম-সাময়িক ঘটনাবলী সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখে সে এক বিশাল প্রশ্ন।
তবে তারা কথা বলতে পারুক কিংবা না পারুক তারা দেশের মহান সেবক ও মাননীয় সংসদ সদস্য - এটাই শেষ কথা।
সেই তুলনায় হিরু আলম হলো বগুড়ার ছাওয়াল। না সে মাননীয়, না সে কোন বিশেষ দলের।
আর তাইতো হিরুকে নিয়ে সমাজের হিরোদের এত সমস্যা।
আজ যদি এই বিশেষ দল থেকেই তাকে নমিনেশন দেয় ও সিলেকশন করা হয়, তাহলে সেও হয়ে যাবে এই দেশের মানুষের কাছে আইডল। যে কিনা জিরো থেকে হিরু হয়ে যাবে।
৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:১৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমাদের সমাজ পচে যাওয়া সমাজ। এখানে অর্থ, ক্ষমতা আর রুপের বড়াই দেখিয়েই সমাজের উচ্চু আসন ডাকাতি করে নেয়। সে সমাজে দিনমজুর, কিংবার খেটে খাওয়া মানুষের মূল্যায়ন আর কতোটুক হবে। আমরা যাদের সম্মন্বিত করে রেখেছি তাদের চরিত্র যদি কোন চরিত্র মাপার ম্যাশিনে মাপা যেতো দেখা যেতো কেমন!
আপনার পোস্টও মন্তব্য প্রতি মন্তব্য অনেক ভালো লেগেছে।
১৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন ভাই, আপনার চমতকার ও বাস্তব মন্তব্যের জন্য।
আমাদের সমাজ পচে যাওয়া সমাজ। এখানে অর্থ, ক্ষমতা আর রুপের বড়াই দেখিয়েই সমাজের উচ্চু আসন ডাকাতি করে নেয়। সে সমাজে দিনমজুর, কিংবার খেটে খাওয়া মানুষের মূল্যায়ন আর কতোটুক হবে। আমরা যাদের সম্মন্বিত করে রেখেছি তাদের চরিত্র যদি কোন চরিত্র মাপার ম্যাশিনে মাপা যেতো দেখা যেতো কেমন!
- ভাই , আমরা বাংগালী জাতি হিসাবে অনেক গর্ব করি। তার পিছনে কারন হিসাবে বলি যে, আমরা এমন এক জাতি যারা ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছি এবং যুদ্ধ করেছি স্বাধীনতার জন্য। অথচ আমরা একটুও পিছে ফিরে দেখিনা যে , দুনিয়াতে আমরাই একমাত্র জাতি নই যারা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পেয়েছে বা আরো নানা কারনে যুদ্ধ করেছে। দুনিয়ার সকল জাতিই যে কারনে যুদ্ধ করেছে তা অর্জিত হওয়ার পর তা আর সব কিছুর মত একটা অর্জন এবং অতীত মনে করে ভবিষ্যতের জন্য আরেক যুদ্ধ শুরু কর/করেছে। তা হলো দেশ গঠন-উন্নয়নের জন্য এবং তারা তাতে সফল হয়েছে । এতে করে তারা এগিয়ে যাচছে সভ্যতার পরিবর্তনের সাথে সাথে ।
এদিকে আমরা কি করছি?
আমরা এখন নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করছি,দেশের সম্পদ ধ্বংস করছি,দেশকে পিছনে টেনে নিয়ে যাচছি।অথচ আমাদের সবাই মিলে করার কথা ছিল দেশের উন্নয়নের যুদ্ধ আওয়ামীগ-বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টি কিংবা ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে। স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা নিজেদের স্বার্থে ভাগ করছি রাজাকার-দেশপ্রেমিকে। তৈরী করছি পরিবারে-সমাজে-দেশে বিভাজনের রাজনীতি নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে। এ বড়ই লজ্জার, জাতি হিসাবে অপমানের।
তবে এই লজ্জার কিংবা অপমান অপামর জনগনের তথা আমজনতার, আমাদের নেতাদের নয়। আর আমরা সবসময় বাকীদেরকে দেখি , নিজেকে নয় । সমস্যাটা এখানেই ভাই।
এই জন্যই গায়ক গেয়েছিলেন, " এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি" - যদিও গায়ক গেয়েছিলেন ভিন্ন অর্থে তবে এখন আসলে আমরা আমরাই। আমাদের মত একটা দেশও সারা দুনিয়ায় খুজে পাওয়া যাবেনা। কারন - আমরাই সেরা ।
আপনার পোস্টও মন্তব্য প্রতি মন্তব্য অনেক ভালো লেগেছে।
- শুকরিয়া ভাই। আপনার মন্তব্যেও ভাললাগা রইলো।
৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২০
বাকপ্রবাস বলেছেন: হিরো আলম অরুচিকর আমার কাছে, তবে আরাফাত এর সাথে যখন সে নির্বাচনে দাঁড়ায় তখন আমি তার পক্ষে। কারন সে হিংস্র নয়। অরুচি হলে আমি এড়িয়ে চলতে পারি, হিংস্র হলে আঘাত করবে, চাইলেও এড়াতে পারবনা।
১৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বাকপ্রবাস , আপনার সত্য ও বাস্তব মন্তব্যের জন্য।
হিরো আলম অরুচিকর আমার কাছে।
- ভাই,এটা দোষের কোন ব্যাপার নয়। সবার কাছে যেমন সবকিছু ভাল লাগেনা ঠিক তেমনি কাউকে কাউকে আমাদের ভালো লাগে আবার কাউকে খারাপ লাগে।এটা সকল মানুষেরই একটা বৈশিষ্ঠ্য । এ কারনেই আমাদের মানব জীবন এত বৈচিত্র্যময়। আর তাইতো এমন অনেক ঘটনা দেখা যায় আমাদের আশে পাশে - দুটো মানুষ বাহির থেকে বিপরীতমুখী দেখা যাওয়ার পরও তারা ভাল জুটি হয়ে যায় কিংবা একের নিকট অন্যে অনেক প্রিয় হয়ে উঠে।
তবে আরাফাত এর সাথে যখন সে নির্বাচনে দাঁড়ায় তখন আমি তার পক্ষে। কারন সে হিংস্র নয়। অরুচি হলে আমি এড়িয়ে চলতে পারি, হিংস্র হলে আঘাত করবে, চাইলেও এড়াতে পারবনা।
- ভাই, মানুষের অভ্যাস বা স্বভাব গড়ে উঠে পরিবার-শিক্ষা-আর্থিক অবস্থা-সামজিক পরিস্থিতি ও সমাজে তার অবস্থানের উপর।
যে মানুষের জীবনে স্বচছল পরিবারের সাথে সাথে ভাল শিক্ষা, ও স্বচছল আর্থিক অবস্থায় জীবন যাপন করে না চাইতেও কিছুটা স্বার্থপর (হিংস্র নয়-হিংস্র আমি এইজন্য বলব না যে, কোন মানুষই জন্মের সময় হিংস্র হয়না-থাকেনা। পরিবেশ- স্বার্থ তাকে স্বার্থপর হিসাবে গড়ে তোলে। আর তাই সে তার স্বার্থ রক্ষা করতে কুটিলতার আশ্রয় নিতে হয়। আর এই কুটিলতাই একসময় যখন সীমা ছাড়িয়ে যায় তখনই তাকে আমরা হিংস্রতা বলি )।
এখন, আমরা যদি আরাফাত এবং হিরু আলমের তুলনা করি - তাহলে দেখব , হিরু আলমের যেমন খারাপ করার সুযোগ কম ঠিক তেমনি তার ভাল করারও সুযোগ সীমিত (কারন-ভাল ও খারাপ করার জন্য যে প্রধান যোগ্যতা কিংবা উপকরন অর্থ তা হিরুর নেই। কাজেই সে ভাল-খারাপ যাই হোক না কেন , কিছু করার আগে শতবার ভাববে)।
অপরদিকে, আরাফাত!!!!!!!!!!!
সে সমাজের এলিট শ্রেণীর প্রতিনিধি যার টাকার সাথে সাথে আছে সমাজে ভাল অবস্থান এবং ক্ষমতাশীনদের আর্শীবাদ। কাজেই সে কোন কিছু করার আগে ভাববেনা।
কারন - তার যে কোন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মত দক্ষতা-যোগ্যতা(শিক্ষা-অর্থ-সামাজিক অবস্থান) সবই আছে।
হিরু-আরাফাতের মাঝে প্রার্থক্যটা এখানেই ভাই।
৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৫৬
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ভাল একটা পোষ্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
.............................................................................
হিরু আলমের কর্মকান্ড ও অন্যদের আচার আচরন নিরপেক্ষ
বিষ্ল ষন হবে ইতিহাসবিদের হাতে ।
একবার আওয়াজ উঠেছিল সংসদে সকল শ্রেণীর সাথে নিম্ন
শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে ।
.............................................................................
এলিট সমাজের চাপে পড়েতা এখন আর শোভন নয় ।
১৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল , আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাল একটা পোষ্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
- শুকরিয়া এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।
হিরু আলমের কর্মকান্ড ও অন্যদের আচার আচরন নিরপেক্ষ বিষ্ল ষন হবে ইতিহাসবিদের হাতে । একবার আওয়াজ উঠেছিল সংসদে সকল শ্রেণীর সাথে নিম্ন শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে ।
- আজকের ঘটিত যে কোন ঘটনাই আগামীকাল ইতিহাসের অংশ হয়ে যায় এবং ইতিহাস বড়ই নির্মম হয়েও ধরা দেয় যদিনা আমরা ইতিহাস (আগের করা ভুল ) থেকে শিক্ষা না নেই।
অপরদিকে, আমার মনে হয় হিরু আলমকে নিয়ে একসময় ইতিহাসে আলাদা একটা অধ্যায় রচিত হবে যেখানে তার সংগ্রাম মুখর দিনগুলি বাকীদেরকে টিকে থাকতে ও সংগ্রাম করতে উৎসাহ যোগাবে।
এলিট সমাজের চাপে পড়েতা এখন আর শোভন নয় ।
- ভাই নেতারা নিজেদেরকে ভাবে সিংহ আর আমজনতা-জনগণকে ভাবে গাধা। তাদের ধারনা গাধারা খাটবে আর তারা মজা লুটবে। কারন - তারা নেতা/সিংহ আর জনগণ গাধা/নিরিহ। যেখানে নেতা হলেই আরাম আয়েশের সাথে সাথে দেশ-জনগনের উপর তাদের পারিবারিক অধিকার হয়ে যায় সেখানে তারা কেন চাইবে গাধাদের উন্নয়ন তথা ভাল।
গাধারা গাধা থাকলেইনা তাদের আরাম আয়েশের সাথে সাথে নেতার পদ থাকবে।
হিরুর কত বড় সাহস, আমজনতা (গাধা) থেকে নেতা ঐবার চায়। মার লাথি--------------------
১০| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হিরো আলমকে পিটিয়ে আওয়ামীলীগ ভুল করলো। এটা না করলেও চলতো। বিশ্বের কাছে একটা খারাপ বার্তা গেছে। তবে আওয়ামীলীগ ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং করবেই আগামী নির্বাচনে। কিভাবে করবে সেটা নিয়েই পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে তারা। প্রশ্ন হোল যুক্তরাষ্ট্র কতটা সিরিয়াস নির্বাচনের ব্যাপারে।
১৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
হিরো আলমকে পিটিয়ে আওয়ামীলীগ ভুল করলো। এটা না করলেও চলতো।
- আওয়ামী লীগ যে কি এবং তারা গত ১৫ বছরে দেশের জন্য কি (দেশের উন্নয়ন- ঘরে ঘরে বিভাজন- আমজনতাকে শোষন-জন মনে আতংক- সাংবিধানিক/প্রশাসনিক দলীয়করন) কি করছে তা আজ দেশ-বিদেশের সবার কাছে দিবালোকের মত পরিষ্কার । সেখানে এক চুনোপুটি হিরো আলমকে মারা কি এমন হয়েছে ( সে কি মরে গেছে কিংবা সেত গুম কিংবা নিখোজ হয়নি), যেখানে দেশ বরেণ্য বহু মানুষ গুম করে কিংবা মেরে ফেলেও কিছু হয়নি। কাজেই এটা বলা যায় - আগের থেকে আওয়ামীলীগ কিছুটা হলেও ভাল হয়েছে। মেরে ফেলেনি হিরুকে।
বিশ্বের কাছে একটা খারাপ বার্তা গেছে। তবে আওয়ামীলীগ ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং করবেই আগামী নির্বাচনে। কিভাবে করবে সেটা নিয়েই পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে তারা। প্রশ্ন হোল যুক্তরাষ্ট্র কতটা সিরিয়াস নির্বাচনের ব্যাপারে।
- আমরা আমরাই ভাইজান। তাই করব যা আমাদের মন চায়। "আমরা কি ডরাই (আমেরিকার ভয়ে )সখি, যে ভিখারী রাগবে"।
সারা বিশ্ব জানে আমরা কি (জিনিষ), এ আর নতুন কি। আমরা কি ডরাই নাকি বিশ্বের (আমেরিকা-ইউ) কাউকে । নাকি আমরা তাদেরটা খাই-পড়ি ।
বেশী তেড়ি বেড়ি করলে , "আমরা তাদেরকে (আমেরিকা-ইউ) ভাতে মারব-পানিতে মারব , কাপড় বেচা বন করব ও তাদের থেকে কিছু কিনব না। সারা দুনিয়া হেরা ব্যতীত আরো অনেক দেশ আছে। আমরা তাগো কাছে যামু" ।
তোরা যে-যা বলিস ভাই - নির্বাচন সেভাবেই করুম যেভাবে আমাদের সুবিধা । তা থেকে একচুল ইদিক-সেদিক হবেনা।
১১| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:১১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ লেখা এবং প্রতিউত্তর আমার ভালো লেগেছে। অনেক তথ্য আছে যেগুলো আগে জানতামনা।
২০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ মশিউর রহমান ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ লেখা এবং প্রতিউত্তর আমার ভালো লেগেছে। অনেক তথ্য আছে যেগুলো আগে জানতামনা।
- শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
লেখার কোন একটি তথ্যও যদি আপনার ভাল ও জানার কাজে লেগে থাকে তাহলে আমার লেখা স্বার্থক।
১২| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: হিরো আলমকে যারা মেরেছে তারা অসভ্য বর্বর। হিরো আলম নিরীহ নির্বোধ মানুষ। সে ইডিয়ট। এমপি'তে যাবার যোগ্যতা আলমের নেই তবে সংসদে অনেকেই বসে আছে তাঁর থেকে অযোগ্য যেটা তাকে সাহস এবং অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে! হিরো আলম আসলে আমাদের দেশের প্রান্তিক মূর্খ জনগোষ্ঠীর রুচির খোরাক। হিরো আলম প্রধানমন্ত্রী হলে খারাপ হবে না, যোগ্য জাতি যোগ্য একজন নেতা পাবে।
২০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
হিরো আলমকে যারা মেরেছে তারা অসভ্য বর্বর। হিরো আলম নিরীহ নির্বোধ মানুষ। সে ইডিয়ট। এমপি'তে যাবার যোগ্যতা আলমের নেই তবে সংসদে অনেকেই বসে আছে তাঁর থেকে অযোগ্য যেটা তাকে সাহস এবং অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে! হিরো আলম আসলে আমাদের দেশের প্রান্তিক মূর্খ জনগোষ্ঠীর রুচির খোরাক। হিরো আলম প্রধানমন্ত্রী হলে খারাপ হবে না, যোগ্য জাতি যোগ্য একজন নেতা পাবে।
- যারা হিরো আলমকে সরাসরি মেরেছে তারা হয়ত খারাপ মানুষ নয় বা অসভ্য বর্বরও নয় তবে তারা যে ভাল মানুষ নয় এটা ঠিক। তবে যারা হিরুকে মারতে তাদের উৎসাহিত করেছে কিংবা দেশে সেরকম পরিবেশ তৈরীতে সহায়তা করছে তারা প্রকৃতই অসভ্য ও বর্বর।
হিরো আলমের অনেক কিছুরই (যোগ্যতা-শিক্ষা) ঘাটতি আছে তবে একটা জিনিষের ঘাটতি নেই বলে মনে হয়। আর তা হলো চেষ্টা। সে সবসময়ই চেষ্টা করছে কিছু না কিছু করার তার নিজের যোগ্যতায়। এই একটা দিক দিয়ে সে বাকী সবার থেকে আলাদা ও প্রশংসার দাবীদার।
হিরো আলম থেকে অনেক অযোগ্য লোক শুধু পারিবারিক কিংবা কারো আর্শিবাদের কারনে দেশের উপর সিনদাবাদের ভূতের মত চেপে বসে আছে। আর তাইতো হিরু আলমেরও মনে আশা জাগে , " উনারা যদি নেতা হতে পারে তবে আমি নই কেন" । আর তাইতো সেও নেতা হবার আশায় --------------
কোন জাতি যখন যোগ্য-ভাল মানুষের সংগ ছেড়ে খারাপকে আকড়ে ধরে তখন উপর ওয়ালা তাদের উপর শাস্তি হিসাবে অযোগ্য মানুষকেই তাদের নেতা হিসাবে মনোনীত করে দেন । আর এটাই এখন বাংলাদেশের নিয়তি হয়ে গেছে।
১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩
রানার ব্লগ বলেছেন: হিরুর নামে উইকি তে খোচা দিয়ে কিছুই পেলাম না ।
মমতাজ যথেষ্ট সুরেলা কন্ঠের অধিকারি ।
১৯ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
হিরুর নামে উইকি তে খোচা দিয়ে কিছুই পেলাম না ।
- আপনি যে কেন হিরুরে পাইতেছেন না বুঝলাম না। আমি ত পাইছি হিরুরে খুইজা উইকি তে -
From Wikipedia, the free encyclopedia
(Top)
Early life and career
Personal life
Filmography
Toggle Filmography subsection
Short films
Political activities
Toggle Political activities subsection
2018
2023
Charity
Legal issues
Toggle Legal issues subsection
2019
2022
References
Ashraful Alom (Bengali: আশরাফুল আলম; born 20 January 1985), better known as Hero Alom, is a Bangladeshi actor, producer, singer, model and politician.[3] He is not a member of the Bangladesh film industry, but he works as an independent artist who shares videos on Facebook and YouTube.[4][5][6][7][8][9][10] His YouTube channel has over 1.5 million subscribers.[11]
He is best known for his absurdist music videos, which often show him dancing with random women. These videos have made him a target of online trolling and the subject of memes in Bangladesh and other South Asian countries. In 2019, a Hindi play based on Alom, directed by NSD-graduate Mahesh Ruprao Ghodeswar, was staged in Ahmedabad and Mumbai.[12]
Early life and career
Earlier in his life, Alom used to sell Chanachur in a station. Later, Alom had been employed selling CDs and later started a satellite TV connection business. He began making music videos as a hobby.[8] Some of his music videos went viral in 2015, and Alom became a popular target of online trolling and a popular subject of memes in Bangladesh.[5][13][14] As of December 2018, Alom has acted in one feature film.[15]
Personal life
Alom currently lives in Erulia, near Bogra, with his wife, Sadia Akter Sumi, and their children, Alom and Kabir.
Filmography
Political activities
2018
In 2018 Alom decided to contest in 2018 Bangladeshi general election and he bought his candidature form for Bogra-4 constituency buying a Jatiya Party (E) nomination paper ahead of the 11th national elections,[20] but Jatiya Party denied him nomination. Later, he sought his candidacy as an independent candidate.[22] On 10 December High Court instructed Bangladesh Election Commission to accept his candidature form as the latter authority denied his candidature earlier and Alom contested in the election as an independent candidate.[23][24] His candidacy drew so much media attention that, in 2018, he became the 2nd Bangladeshi only behind Khaleda Zia to be in the top 10 in the category of people in 2018 google search trend in Bangladesh.[25][26] Eventually he lost in the election getting only 638 votes in his name and BNP candidate Mosharraf Hossain won the seat of that constituency.[27][28]
2023
He contested in the bypolls to both Bogra-6 and Bogra-4 as an independent, and lost Bogra-4 by only 834 votes.[29]
He contested again as an independent candidate on July 2023 in the Dhaka-17 parliamentary by-election following the death of Farooque and he have been attacked and beaten outside a polling centre.[30]
On July 17, 2023, Alom was assaulted by political opponents near a polling center at the Banani Bidyaniketan School and College. Alom stood as an independent candidate in the ongoing Dhaka-17 elections. The incident occurred at around 3:20 p.m. while Alom was visiting the polling center. According to reports, Alom was taking photos with his fans on the playground of the school when he was approached by a group of people who told him that it was not a place to shoot TikTok videos. The group then began to physically assault Alom, dragging him out of the building after he had entered the corridor. Alom was able to escape in a car. An officer at the scene said that Alom had been accompanied by around 50-60 people, and that law enforcement personnel had ejected them from the polling center to maintain order. The officer also said that the assault on the independent candidate took place outside the polling center premises.
The officer added that the police would collect video footage of the incident and investigate. He said that those responsible for the assault would be brought to justice.[31]
The United Nations high commission of Bangladesh showed their concerns over the actions and requested for his protection.[32]
Charity
Alom is heavily involved in charity works and he founded “Hero Alom Foundation”[33] which support free education for orphans and provides free ambulance,[34] shelter and expenses for homeless people.[35][36]
Legal issues
References
"About Hero Alom OFFICIAL". YouTube.
"Hero Alom OFFICIAL". YouTube. Retrieved 2023-05-06.
"Hero Alom confident of landslide victory in 2 Bogra constituencies". Dhaka Tribune. 2023-02-01. Retrieved 2023-02-01.
হিরো আলম দ্য গ্যাংস্টার' [ভিডিও]! [Alom the gangster hero]. Jugantor (in Bengali). 19 September 2016. Archived from the or
২০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, মমতাজ যে সুরেলা সুরেলা কন্ঠের অধিকারি এবং গায়িকা হিসাবে ভাল - এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই তবে আমাদের আলোচনার মূল বিষয়টাই ছিল একজন সংসদ সদস্য হিসাবে যোগ্যতার।
একজন সংসদ হিসাবে যোগ্যতার জন্য কি ভাল গান জানা কিংবা ভাল মানুষ হওয়া জরুরী, নাকি বিশেষ দল ও পরিবারের সদস্য হওয়া জরুরী? - এত টুকুই।
১৪| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:০৯
অহরহ বলেছেন: আরে ধুর!!!! এই বান্দরটার কথা আর শুনতে চাই না। এরচেয়ে ভালো আপনি টিকটক করেন।
২০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ অহরহ ( ভাই কিংবা বোন বললাম না কারন আমি জানিনা আপনি ভাই নাকি বোন), আমার লেখায় আপনার প্রথম মন্তব্যের জন্য।
আরে ধুর!!!! এই বান্দরটার কথা আর শুনতে চাই না।
- ভাই সবাই কিছুনা কিছু সবসময় বলি ও করি।
আমাদের বলা কথা কিংবা করা কাজ কখনো কখনো আমাদের আপনজনরাও শুনেনা কিংবা করা কাজকে সমর্থন করেনা। সেই হিসাবে আপনি যদি হিরো আলমের কথা না শুনতে চান তাহলে তা দোষের কোন ব্যাপার নয় এবং এই বিষয়ে কেউ আপনাকে বাধ্য করতেও পারবেনা।
এরচেয়ে ভালো আপনি টিকটক করেন।
- এই বাক্যটা বুঝিনাই ভাই, তাকি আপনি হিরোকে বলেছেন না আমাকে বলেছেন? এটা নিয়ে ভাবনায় আছি!!!!!!!!!!
- যদি হিরোকে বলে থাকেন, তাহলে বলব, " হিরো তাই করবে , যা করতে তার ভাল লাগে"। (সে শুধু টিক-টক নয় ,আরো বহু কিছু করছে )
-- আর যদি আমাকে বলে থাকেন, তাহলে আপনার সদয় অবগতির জন্য বলব - " আমি ভাই খুবই সাধারন একজন মানুষ, যার সারাটা দিন/সময় যায় পেট পুজার কারনে( জীবন-জীবিকার তাগিদে)। আর তাই, এসব টিকটকে না কোন আগ্রহ আছে না আমার সময় আছে।
ধন্যবাদ ভাই।
১৫| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
অহরহ বলেছেন: @ ভাইয়া......... সন্দেহ নেই আপনি একটা শিবির, আর তা না হলে ধাড়ি জামাত। কোন ইস্যু না পেয়ে এখন হিরো আলমের মত রুচি বিকৃত বানরের কাঁধে ভর করেছেন। আমরা কিন্তু সেই "রগকাটা" শিবিরের কথা ভুলে যাই নি।
২০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ অহরহ , আপনার ফিরতি মন্তব্যের জন্য।
@ ভাইয়া......... সন্দেহ নেই আপনি একটা শিবির, আর তা না হলে ধাড়ি জামাত। কোন ইস্যু না পেয়ে এখন হিরো আলমের মত রুচি বিকৃত বানরের কাঁধে ভর করেছেন। আমরা কিন্তু সেই "রগকাটা" শিবিরের কথা ভুলে যাই নি।
- ,অহরহ , আপনার ব্লগ বাড়ী থেকে ঘুরে এলাম। সেখানে যা দেখলাম আপনার ভাষ্য অনুসারে " আপনি একজন মুক্ত মনের মানুষ এবং সামুতে আপনার বয়স ১২ দিন (১ সপ্তাহ ৫ দিন) এবং লেখা প্রসব করেছেন ৩ টি এবং যা লিখেছেন (লেখার বিষয়-বানান-শব্দ চয়ন) তাতে কিছুটা হলেও আপনার পরিচয় ও সামুতে আপনার আসার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারনা করা যায় ( যদিও আপনি একজন বর্ণচোরা মানুষ হিসাবেই নিজেকে সামুতে নিবন্ধন করেছেন)। যে কোন বিষয়ে লিখতে গেলে প্রথমে সেই বিষয়ের সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্যের সাথে সাথে বানান-শব্দ চয়নের দিকে আরো নজর দেওয়ার প্রয়োজন হবে আপনার একজন ভালো ব্লগার হওয়ার জন্য এবং কারো বিষয়ে কিছু বলার আগে ভেবে-চিন্তে বলতে হবে সত্যাসত্য যাচাই পূর্বক।
এখন সেই আপনি যদি কারো সম্পর্কে হুট করে কিছু মন্তব্য করেন কিংবা কাউকে এমন কিছু বলে বসেন (বানর-জামাত-শিবির) যা আসলেই আপত্তিকর, তাহলে এতে করে অন্যের সাথে আপনার মন কষাকষি (ঝামেলা) তৈরী হতে পারে। কাজেই যে কোন মন্তব্য করার আগে এসব বিষয় আপনার মাথায় রাখা উচিত বলে আমি মনে করি। কি দরকার ভাই ঝামেলা তৈরী করে । দুনিয়াতে এমনিতেই ঝামেলার অভাব নেই।
বানর একটি নিরীহ প্রাণী যা হায়েনা-শুকর-শিয়াল থেকে শতগুনে ভাল এবং বিএনপি-জামাত-শিবির করা দোষের কোন ব্যাপার নয় ভাইজান। এ একজন সচেতন নাগরিক ও দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারও বটে। যে কারোরই সেই অধিকার আছে ,যে কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করার ও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার। এখন আপনি যদি তা না মানতে চান তাহলে আপনি যে তার গণতান্ত্রিক অধিকার অস্বীকার করছেন - এটা কি ভেবে দেখেছেন ( নাকি গায়ের জোরেই সব জায়েজ করে নিতে চাচছেন?
আমি ব্যক্তিগতভাবে দেশের কোন রাজনৈতিক দলকেই সমর্থন করিনা তবে আমি সুযোগ পেলে যাচাই বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীকে আমার গণতান্ত্রিক অধিকার (ভোট) দেই, যা রাষ্ট্র ও সংবিধান প্রদত্ত আমার গণতান্ত্রিক অধিকারও বটে। দেসেহর একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে দেশের ভাল-খারাপ নিয়ে ভাবি তবে কাউকে আঘাত করে নয় এবং সকল প্রকার সহিংসতার পথ এড়িয়ে। আপনি বোধ হয় আমার লেখাটা পুরোটা ভাল করে পড়েন নি। আমি সেখানে বলেই দিয়েছি লেখার প্রেক্ষাপট। কাজেই ----------
অনেক কিছুই বলে ফেললাম ভাই । রাগ করবেন না।
লেখা-কথা-কাজ ও মন্তব্যে আপনাকে অনেক উন্নতি করতে হবে সামুতে টিকে থাকার জন্য এবং একজন ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে উঠার জন্য।
ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ
১৬| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:৩৫
অহরহ বলেছেন: @ ভাইয়া, আপনি আবার প্রমান করলেন, " মুমিন মানেই বুদ্ধিহীন মোটা মাথা"
হা হা, আমার 'মিষ্টি কুমড়া' লেখাটি যে একটা মুমিনীয় satire পোষ্ট তা আপনি ধরতেই পারেন নি!? অযথাই বানান-ভুলের খিস্তি করলেন। এই আপনারাই আবার পরলৌকিক হাস্যকর খেজুর, মধু, দুধের নদী আর অপ্সরীর লোভে প্রতিপক্ষের রগ কেটে দেন। সেটা ঠিকই বুঝেন। জামাত-শিবির বলে কথা!! ধন্যবাদ।
২৩ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ অহরহ , আপনার ফিরতি মন্তব্যের জন্য।
: @ ভাইয়া, আপনি আবার প্রমান করলেন, " মুমিন মানেই বুদ্ধিহীন মোটা মাথা"
- শুকরিয়া ভাই। মুমিনদের সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মূল্যায়ন / রায়ে'র জন্য।
হা হা, আমার 'মিষ্টি কুমড়া' লেখাটি যে একটা মুমিনীয় satire পোষ্ট তা আপনি ধরতেই পারেন নি!? অযথাই বানান-ভুলের খিস্তি করলেন। এই আপনারাই আবার পরলৌকিক হাস্যকর খেজুর, মধু, দুধের নদী আর অপ্সরীর লোভে প্রতিপক্ষের রগ কেটে দেন। সেটা ঠিকই বুঝেন। জামাত-শিবির বলে কথা!! ধন্যবাদ।
- আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
নতুন বলেছেন: হিরু আলমেরও নামেও উইকিপেজ আছে....