নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বিদায় ও ফিরে দেখা - সাল ২০২৪" - আসুন দেখি বিদায়ী বছরের দেশ-বিদেশের আলোচিত কিছু ঘটনা ও ছবি।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩




ছবি - creativefabrica.com

''আবার, আবার সেই বিদায়-চুম্বন,
আলেয়ার আলো প্রায়,
আঁধারে ডুবায়ে যায়,
স্মৃতিটি রাখিয়া হায় করিতে দাহন''! -------------- ( কায়কোবাদ)।

--- সৃষ্টির স্বাভাবিক নিয়মে দিন মাস গড়িয়ে বছর আসে এবং বছর যায়। সেই নিয়ম মেনেই আর কয়েক ঘন্টা পরই আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিবে আরো একটি বছর যা আমাদের মাঝে ২০২৪ সাল নামে পরিচিত ছিল এবং আমাদের মাঝে আসবে নতুন এক বছর ২০২৫। নতুন এ বছর আমাদের সকলের জন্য নিয়ে আসুক অনেক আনন্দ-সাফল্য এবং দূর করে দিক ২০২৪ এর সকল হতাশা-ব্যর্থতার গ্লানি। থেমে যাক মানুষে মানুষে সকল হানা-হানি,হিংসা বিদ্বেষ এবং দেশ-দুনিয়া হয়ে উঠুক শান্তি-সন্ধি ও সম্প্রীতির আবাস। ২০২৪ সালের করা সমস্ত ভাল কাজের স্মৃতি মনে থাকুক এবং খারাপ কাজের বেদনা - স্মৃতি ভূলে ২০২৫ সালে সবার জীবন হয়ে উঠুক বিস্ময়কর ভাবে সুন্দর - শুভ নববর্ষ ২০২৫।




ছবি - ittefaq.com.bd

চলে যাবে ২০২৪ সাল, তবে তা আমাদের সবার মাঝে রেখে যাবে নানা রকম সুখ-দুঃখের স্মৃতি। এর মাঝে বাংলাদেশের মানুষের নিকট অন্যতম সেরা স্মৃতি হলো একটানা প্রায় ১৬ বছর স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করা হাসিনার ক্ষমতা ছেড়ে,দেশ ছেড়ে ভারতে পলায়ন। ২০১১ সালে আওয়ামীলীগ কর্তৃক নিরপেক্ষ-নিদর্লীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনী ব্যবস্থা বাতিলের পর থেকেই আওয়ামী লীগ যেভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করেছিল। - Click This Link দেশে নির্বাচন নিয়ে সরকারী দলের সাথে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমস্যার শুরু এবং এই সমস্যা গত ১৩ বছরে সমাধান না হয়ে দিন-দিন আরো গভীর হয়েছে। বিদায়ী ২০২৪ সালের শুরু থেকে ০৫ই আগস্ট পর্যন্ত দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে শেখ হাসিনার একতরফা-আমি-ডামি ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমস্যা এবং সরকারী চাকুরীতে কোঠা নিয়ে বৈষম্যের প্রতিবাদে ছাত্ররাও যখন সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে তখন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশ বেশ অস্থির পড়ে। অন্যদিকে জনতার আন্দোলনে ও রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আমলে না নিয়ে এবং নিরীহ ছাত্রদের কোঠা আন্দোলনকেও কঠোরভাবে দমনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সরকার-প্রশাসন বিগত ১৫ বছরের মত। ছাত্র সহ সকল রাজনৈতিক কর্মীকে গুলি-গ্রেফতার-হামলা-মামলা করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল হাসিনা। এমনিতেই একতরফাভাবে দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও এর সমমনা সহ বিরোধী সকলকে ছাড়াই এবং ইউরোপ-আমেরিকা-জাতিসংঘ সহ সকলের চাওয়া (নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন) কে পায়ে দলে সরকার নতুন বছরের শুরুতে ৭ জানুয়ারী ২০২৪ আয়োজন করে দেশের ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এ কারনে ১৬ বছরের ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগন আওয়ামীলীগের উপর ছিল মহা খাপ্পা।দেশের রাজনৈতিক এ অস্থিরতার সাথে সাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। আর তাইতো যখন ছাত্ররাও সরকারের বৈষম্যের প্রতিবাদে দল-মত ভুলে রাস্তায় নেমে আসে, তখন সারা দেশ তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে। যথারীতি স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার কারফিউ জারি করে এবং সিভিল প্রশাসনের সাথে পুলিশ-আর্মি-বিডিআর মোতায়েন করে এবং দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দেয়। দেশের জনগন কারফিউ সহ সকল ভয়-ভীতির উপরে উঠে নারী-পুরুষ,ছেলে-মেয়ে,যুবক-বৃদ্ধ নির্বিশষে অলআউট রাস্তায় নেমে আসে। ইতিমধ্যে দেশে কয়েক হাজার মানুষ মারা যায় পুলিশের গুলি সহ ক্ষমতাশীন দলের নেতা-কর্মীদের আক্রমণে। পরিবর্তীত অবস্থায় সেনাবাহিনী সরকারের পক্ষে জনগনের উপর গুলি চালাতে অস্বীকার করার সাথে সাথে সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা কারফিউ অমান্য করে ব্যাপকভাবে রাস্তায় নেমে আসে এবং গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকায় হাসিনার বাসভবন ও অফিসে হামলা চালায়। ক্ষমতা ধরে রাখার আর কোন উপায় না পেয়ে ৩৬ শে জুলাই তথা ০৫ই আগস্ট দুপুরে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে বিমান বাহিনীর বিমানে করে ভারতে পালিয়ে যান। এর ফলে বাংলাদেশে একটি সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয়। ৩ দিন দেশ সরকারবিহীন থাকার পরে ০৮ ই আগস্ট ছাত্র-জনতার দাবীর মুখে প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশ লাভ করে দ্বিতীয় বারের মত স্বাধীনতা।

২০২৪ সারা দুনিয়ায় বেশিরভাগ দেশই উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভুগেছে।এর পরও অনেক দেশে নির্বাচন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন আর যুদ্ধের মাঝেও নাগরিকরা তাদের রাজনৈতিক হিস্যা আদায়ে পিছপা হননি। বিগত কয়েক বছরে ডিম থেকে জ্বালানি পর্যন্ত প্রায় সব কিছুর দামই যেন আকাশ ছুঁয়েছে, যাতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন নাগরিকরা। তাদের বিক্ষুব্ধ মনোভাবে কারনে ক্ষমতা হারিয়েছেন অনেক দেশের রাজনৈতিক দল। কারন - মূল্যস্ফীতি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় এর দায় ক্ষমতাসীন দলগুলোর উপরেই পড়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণেই মার্কিন ভোটাররা এবার ডেমোক্রেটিক কমালার পরিবর্তে রিপাবলিকান ট্রাম্পকে বেছে নিয়েছেন। বৃটেন, পর্তুগাল এবং পানামাতেও ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ভোটাররা পার্লামেন্টে বিরোধী দলকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল ডিসেম্বরের শুরুতে দেশটিতে সামরিক আইন জারি করেন, তবে বিক্ষোভের মুখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হন এবং ক্ষমতাহারা হন। এছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান এবং ভারতের রাজনীতিকেও নাড়িয়ে দিয়েছে ভোটাররা মূল্যস্ফীতিতে জেরবার হয়ে।

অন্যদিকে দেশের বাইরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন/লেবানন সহিংস সংঘর্ষ,রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ,সিরিয়ায় বাসার আল আসাদের পতন ও দেশ ছেড়ে পলায়ন এবং আমেরিকার নির্বাচনে জিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আরোহন সহ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক বিবেচনায় ২০২৪ ছিল ঘটনাবহুল বছর। এসবের মাঝে আসুন বছর শেষে একনজরে দেখে নেই ২০২৪ সালের সেরা ও আলোচিত কিছু ঘটনাকে -





=========
২০২৪ এর বাংলাদেশ - স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির বছর। আওয়ামীলীগের পতন ও স্বৈরাচারী হাসিনার দেশ ছেড়ে ভারতে পলায়ন এবং নোবেল জয়ী ডাঃ মোহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসাবে দেশের দায়িত্ব গ্রহনের বছর।
=========

বাংলদেশের ক্ষমতার মসনদে ফের শেখ হাসিনা, গণ আন্দোলনে ক্ষমতাহারা এবং দৃশ্যান্তরালে শেখ হাসিনা -

৭ জানুয়ারি ২০২৪ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি,জামাত সহ বেশীরভাগ রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে আমেরিকা। কিন্তু সমস্ত কিছু নস্যাৎ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ফের সরকার গড়ে তাঁর দল আওয়ামী লীগ। ১০ জানুয়ারি টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মুজিবকন্যা। বিরোধী দল খোঁজার নির্বাচন নয়, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রত্যাবর্তনের আয়োজন https://mzamin.com/news.php?news=89627 )

২২ জুলাই ২০২৪ শেখ হাসিনা নিজ কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন,''আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানো হয়েছে, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছেন। শেখ হাসিনা পালায়নি, পালায় না''। এর ১৩ দিনের মাথায় তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। যার মধ্য দিয়ে অবসান হয় দেড় দশকের জুলুম-জালিয়াতির শাসন।

৩৬ শে জুলাই তথা ০৫ই আগস্ট সোমবার দুপুরে ১৬ বছরের একটানা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দল আওয়ামীলীগ ২০২৪ সালে গড়ে উঠা সম্পূর্ণ নতুন দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার দেয়া ১ - ০ গোলে পরাজিত হয়ে হাসিনা দলের প্রধান শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর সেনা-পুলিশ প্রহরায় (শতাব্দীর সেরা গোল কোনটি? ২০২৪ সালের ০৫ ই আগস্ট ছাত্র-জনতার দেয়া গোল, নাকি ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার দেয়া "ঈশ্বরের হাত" গোল? - Click This Link) গণভবন থেকেই হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে দেশ ছাড়ার আগে দোর্দন্ড প্রতাপে একটানা সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করেন হাসিনা। অথচ ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে তিনি ক্ষমতায় বসেছিলেন। এরপর একটানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসন সহ ২১ বছর দোর্দন্ড প্রতাপে দেশ শাসন করেন। অবশ্য জনগনের মতে, হাসিনা শাসন নয়, শোষন করেছেন তিনি দেশ ও জনগণকে এ সুদীর্ঘ সময়। শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে জনগনের ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ পাচার, দেশকে স্বজনতোষী পুঁজিবাদের কবলে ফেলা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা, ঋণের নামে ব্যাংক লুটের সুযোগ দেওয়া,আয়বৈষম্য চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াসহ হাজারো অভিযোগ রয়েছে। এসবের বিপরীতে তিনি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন ৭১ এর চেতনা (স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শেখ মুজিব),অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে। কিন্তু শেষ সময়ে অর্থনীতিকেও হাসিনা সরকার সংকটে ফেলেছিল। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কমে গিয়েছিল আশংকাজনক ভাবে, খেলাপি ঋণ বেড়ে গিয়েছিল ব্যাপকভাবে, সীমাহীন উর্ধগতিতে দ্রব্যমূল্য চলে গিয়েছিল সীমিত আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে।(শেখ হাসিনার একটানা ১৫ বছরের শাসন বনাম তথাকথিত আওয়ামী উন্নয়ন - Click This Link একদিকে স্বৈরাচারী হাসিনার স্বৈরশাসন,অন্যদিকে দেশ-দেশের সুধীজনদের নিয়ে নিত্যনতুন তাহার বিখ্যাত সব উক্তি - এসব কারনে সমাজের সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয়েই ছিল। সেটার বহিঃপ্রকাশ ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। উপলক্ষ তৈরি করে দেয় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের নিরিহ কোঠা সংস্কার আন্দোলনকে নিয়েই তিনি করে বসেন তাহার জীবনের সবচেয়ে সেরা তথা ব্লকব্লাস্টার উক্তি, '' মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে ''? Click This Link বৈষম্যবিরোধী নামে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমন্বয়কেরা প্রথমে ৯ দফা দাবি জানিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার ব্লকব্লাস্টার উক্তি ও আরও নানা কারনে ২ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ৯ দফা দাবিকে তারা এক দফায় রূপান্তর করেন। বলা হয়, সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও সরকারের পক্ষ হয়ে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানায়। পুলিশও আর গুলি করতে রাজি ছিল না। আর তাই শেখ হাসিনা ক্ষমতা রক্ষার শেষ চেষ্টা হিসেবে জনগনের বিরুদ্ধে নামিয়ে দেন তাঁর দেয়া অনৈতিক সুবিধাভোগী আওয়ামী নামক রাজনৈতিক দানবকে ।

শেখ হাসিনা ও ওবায়দুলের কাদেরের অনুমতি পেয়ে ৪ আগস্ট ঢাকার রাস্তায় এবং দেশজুড়ে রাজনৈতিক দানব (আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক) লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলে পড়েন হায়েনার মত। তাঁদের কারও কারও হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, অনেকের হাতে ছিল দেশীয় অস্ত্র। ওই দিন সংঘর্ষে নিহত হন অন্তত ১১৪ জন মানুষ। যদিও ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে আওয়ামী লীগ বেশি সময় রাজপথে টিকতে পারেনি। ওই দিনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ‘মার্চ টু ঢাকা’ বা ঢাকামুখী গণযাত্রার ডাক দেওয়া হয়। ৫ ই আগস্ট দুপুর নাগাদ স্পষ্ট হয়ে যায় যে সরকার নড়বড়ে হয়ে গেছে। সেনাবাহিনী হাসিনার সাথে থাকতে না চাওয়ার ফলে পদত্যাগ করে সেদিন বেলা আড়াইটায় হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা, আইনি সুরক্ষা ও প্রশাসনিক ক্ষমতা না থাকলে সকল ফেরাউনই সাধারন মানুষ থেকে অধম - Click This Link যিনি কদিন আগেই (১ আগস্ট) বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না। এর ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দল জিতে গেল হাসিনার দলের সাথে ১ - ০ গোলে এবং অবসান হলো অপ্রতিরোধ্য হাসিনা দলের বিজয় গাথা। শেখ হাসিনা দেশে থাকুন কিংবা পালিয়ে দাদাদের দেশে যান, বাকী জীবন তিনি দেশবাসীর নিকট থাকবেন স্বৈরাচারীর পরিচয়ে এবং মূর্তিমান আতংক হিসাবে,যাহার নিকট দেশ-জাতি কেহই কখনো নিরাপদ ছিলনা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বড় দলটি সবচেয়ে বেশী যে দাবী করে তা হলো, দেশের তারাই (আওয়ামীলীগ) একমাত্র দল, যারা গণতন্ত্রের জন্য নিবেদিত প্রাণ অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন কথা বলে। আওয়ামীলীগ নিজেদেরকে যে গণতন্ত্রের জন্য নিবেদিত প্রাণ বলে দাবি করে, সেই গণতন্ত্র তাদের দু পর্বের (শেখ মুজিব - শেখ হাসিনা) শাসনামলের কোনো পর্বেই স্বস্তিতে ছিল না।

স্বাধীনতার পর ক্ষমতা পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বা আওয়ামীলীগ সরকার তথাকথিত দ্বিতীয় বিপ্লবের নামে দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেন বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে। (বাকশাল-শেখ মুজিবুর রহমান যে কারণে বিতর্কিত এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন), Click This Link এবং
https://www.bbc.com/bengali/news-52062148

তাহার কন্যা শেখ হাসিনা - যিনি ম্যাকেয়াভেলীর রাজনৈতিক দর্শনকে ম্যাকেয়াভেলীর রাজনৈতিক দর্শন - শাসনক্ষমতার বৈধতা কোনো নৈতিকতার মাপকাঠিতে আবদ্ধ নয়,কর্তৃত্ব আর ক্ষমতাই এখানে মূল বিষয়। যার ক্ষমতা আছে সে-ই শাসন করবে, নৈতিকতা কাউকে ক্ষমতায় বসায় না। ক্ষমতা অর্জন আর ক্ষমতা রক্ষা করাই রাজনীতির মূলনীতি। ক্ষমতার উপযুক্ত ব্যবহার দিয়েই জনগণের আনুগত্য অর্জন করতে হয়। রাজনীতি মানেই হলো ক্ষমতা গ্রহণ আর সেই ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য যে কোন ধর্ম বা নৈতিকতার কথা আদৌ চিন্তা না করে শাসক তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য যা কিছু অনুকূলে তাই করে যাবে। তার মতে, রাষ্ট্র যদি চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করতে পারে তবে মাধ্যম যতই নিচ বা ঘৃণ্য হোক না কেন অর্জিত সাফল্যই মাধ্যমের যৌক্তিকতা প্রমাণ করবে। ধ্যান-জ্ঞান ও চর্চা করে নিজেকে ওয়ান ম্যান আর্মি শো এর মত আইন-শাসন-বিচার-প্রশাসনকে ব্যবহার করে নিজেকে স্বৈরতন্ত্রের প্রতিভু হিসাবে আর্বিভূত হয়েছিলেন যাহার নিকট দেশ কিংবা জনগনের কল্যাণ,ন্যায়-নীতি বিবেচ্য বিষয় নয় ক্ষমতাই মূখ্য বিষয় ছিল।( Bangladesh’s Quiet Slide Into Autocracy - The End of a Democratic Success Story ) লিংক - Click This Link


ছবি -un.org

ছবি : পিআইডি

হাসিনার দেশ ছেড়ে পলায়ন ও দৃশ্যপটে অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস

০৫ আগস্ট সোমবার ২০২৪, গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাবার আগের ১৬ বছরের শাসনামলে শেখ হাসিনার কঠোরভাবে বিরোধীমত দমন ও স্বৈরশাসনের ফলে আওয়ামীলীগ ও তাহার প্রশাসন পরিণত হয়েছিল দেশের গণশত্রুতে। ইতিহাসের এক অমোঘ-অনিবার্য পরিণতি অপেক্ষা করছিল হাসিনার জন্য। দেশ-বিদেশের সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল কখন-কোন সময় হাসিনা সরকারের পতনের ঘন্টা বাজবে এবং সাথে সাথে আওয়ামীলীগেরও সর্বনাশ হবে। অবশেষে গত ৩৬ শে জুলাই তথা ৫ আগস্ট ২০২৪ ছাত্র-জনতার বিপ্লব তথা গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। অপমানজনকভাবে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং ৩ দিন দেশ সরকারবিহীন থাকার পর ছাত্র-জনতার দাবী ও চাওয়ার মুখে ৮ ই অগাস্ট প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।




ইইউ দূতদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা

শেখ হাসিনা নিজেকে নিয়ে এমন ভাবত যে, সে না থাকলে বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়ে অচল হয়ে যাবে (শেখ হাসিনা বিহীন ১ মাসের বাংলাদেশ - কেমন কাটলো ডঃ ইউনুসের অধীনে - Click This Link ) এবং তাকে ছাড়া এই অভাগা জাতির কোন গতি নাই। তাই সে দিনরাত এক করে চেতনার গীতের সাথে সাথে উন্নয়নের জয়গান গেয়েছে সুদীর্ঘ সময় ,অভাগা জাতির সেবা করছে তাহার মনের মাধুরী মিশিয়ে এবং পাচার করেছে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা। আর তাহার সেই মনের মাধুরী মিশানো শাসন একটানা প্রায় ১৬ বছর সহ ২১ বছর দেখেছে-টের পেয়েছে বাংগালী জাতি। দেশে ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরেও শেখ হাসিনা এবং তাহার শাসনের সুবিধাভোগী, চেতনার পুজারী ও এক শ্রেণীর সুশীলরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে। তারা প্রতিনিয়ত ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচছে। যার ফলে দেখা গেছে বিচারক ক্যু,আনসার বিদ্রোহ, ডাক্তার ধর্মঘট,শ্রমিক বিদ্রোহ,ধর্মীয়/সাম্প্রদায়িক উষ্কানী সহ নানা ঘনঘটা। অন্তর্বর্তী সরকার বিচক্ষনতার সাথে এবং দেশে আপামর ছাত্র-জনতার সহযোগীতায় সে সব ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিয়ে হাটি-হাটি,পা-পা করে এগিয়ে চলছে শোষন-বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে।

২০২৪ সালে দেশের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী -


ছবি - bdarchive.com

পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে আলোচনায়

২০২৪ সাল শুরু হয় পাঠ্যপুস্তক সংক্রান্ত আলোচনা-সমালোচনায় ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক-বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ শীর্ষক সেমিনারে জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে আলোচনায় আসেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়। পরবর্তীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় আসিফ মাহতাবকে। ওই সেমিনারে তিনি অভিযোগ করেন, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এ সময় তিনি সপ্তম শ্রেণির ওই বইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের শরীফার গল্প অংশের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন।


ছবি - bing.com

ভারতের বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ

শেখ হাসিনার ক্ষমতা ত্যাগের পর থেকেই ভারত বাংলাদেশের সাথে অসহযোগীতা শুরু করে। আর এ কাজে ভারতীয় মিডিয়ার সাথে প্রশাসনও সমানতালে অংশগ্রহন করে। তারা হিন্দু-মুসলিম ইস্যু নিয়ে অপপ্রচার শুরু করে এবং তা প্রকট আকার ধারন করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তারের পর। দেশ বিরোধী অপতৎপরতার অভিযোগে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হন ২৫ নভেম্বর। এর পরের দিন চট্টগ্রামের আদালতপাড়ায় তার অনুসারীদের হাতে খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ।


ছবি - english.mathrubhumi.com

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এক সময় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা ছিলেন এবং ভারতে আশ্রয় নেয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বিভিন্ন সময়ে নানা প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।এমনকি, শিশু নির্যাতনসহ চারিত্রিক স্খলনজনিত অভিযোগও বেরিয়ে আসে তার বিরুদ্ধে। এমন এক ব্যক্তিকে আইনি প্রক্রিয়ায় নিতে বাধা ও বিভিন্ন উসকানিমূলক মন্তব্য ছড়ানোর প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সেখান থেকে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠে আসে। একই সঙ্গে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদ এবং খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবি করা হয়। Removed for indiscipline months ago: ISKCON distances itself from Chinmoy Krishna Das...... Click This Link



তাছাড়াও এই বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল কলকাতায় বাংলাদেশের তৎকালীন সংসদ সদস্য (ঝিনাইদহ-৪) আনোয়ারুল আজীম কে নৃশংসভাবে হত্যা। ১২ মে ভারতে গিয়ে পরদিন রাতে কলকাতার একটি বহুতল আবাসিক ভবনে তাঁকে হত্যার পর মরদেহ টুকরা টুকরা করা হয়। পরে কলকাতার দুটি স্থান থেকে কিছু হাড় ও মাংস উদ্ধার করা হয়। Click This Link



২০২৪ সালে বড় ধরনের ঘটনা-দুর্ঘটনার মধ্যে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে (সাততলা) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড অন্যতম যাতে নারী, শিশুসহ ৪৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।



বছরের শেষ দিকে এসে ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুরের হাইমচরে সারবাহী জাহাজে সাত খুনের ঘটনা ঘটে। জাহাজের কর্মীদের ঘুমানোর কক্ষে কক্ষে পড়ে ছিল দেহগুলো। পরে জাহাজের কর্মী আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর র‍্যাব জানায়, নিয়মিত বেতন-ভাতা ও ছুটি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আকাশ মণ্ডল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
https://www.dhakatimes24.com/2024/12/25/375500





সর্বশেষ ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এটা দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সে প্রশ্ন সামনে এলেও তদন্ত শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত সেটা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। https://www.voabangla.com/a/7914512.html এবং https://www.ittefaq.com.bd/712624/



বিদেশ



১। বছরজুড়ে আলোচনায় হজ

সারা পৃথিবী থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবে হজ পালন করতে যান। তবে ২০২৪ সালের হজ শোকাবহ হয়ে উঠেছে বহু মুসল্লির মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে এই বছর প্রায় ১৮ লাখ ৩০ হাজারের মতো হাজী এই তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন যার মধ্যে ১৬ লাখই এসেছিলেন বিদেশ থেকে। সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই বছর হজ পালন করতে গিয়ে ১৩০১ জন হাজির মৃত্যু হয়েছে। এবার সৌদি আরবে তাপমাত্রা ছায়ার মধ্যেই ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ছিল। এই পরিস্থিতিকেই একটা বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে অধিক সংখ্যায় হজযাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায়। এছাড়াও অনুমোদন ছাড়া হজে অংশ নেয়া, তীব্র সূর্যতাপ ও গরমের মধ্যে যথেষ্ট বিশ্রাম ছাড়া লম্বা দূরত্বে হাঁটার কারণে বেশিরভাগ হাজীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, ইন্দোনেশিয়াসহ ১০টি দেশের নাগরিক রয়েছেন।এবারের হজে বাংলাদেশেরও ৬৫ জন হাজী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এবার হজের সময় যে ছয়টি কারণে মক্কায় এতো মানুষ মারা গেছে - লিংক - Click This Link





২।২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের মাধ্যমে আবার হোয়াইট হাউসের পথে পাগলা ডোনাল্ড ট্রাম্প -

৫ নভেম্বর ২০২৪ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় আমেরিকায়। শুরুতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ৮২ বছরের জো বাইডেনকে প্রার্থী হিসেব বেছে নিয়েছিল ডেমোক্র্যাট। কিন্তু পরে নানা কারনে ভোটের লড়াই থেকে সরে যান বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে শামিল হন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হতে দেখা যায় কমলাকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচন জিতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটান তিনি।

২০২০ সালে জো বাইডেনের কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে হার না মানা মানষিকতার জোরে হত্যাচেষ্টা, অপরাধমূলক সাজা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পরিবর্তনের পরেও ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় থামাতে পারেনি। দারুণ প্রত্যাবর্তনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালে জয় ছিনিয়ে নেন ১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে। কমলা হ্যারিসের ২২৬টি ইলেকটোরাল ভোটের বিপরীতে ট্রাম্প সাতটি ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য সহ ৩১২টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। (Click This Link) ট্রাম্পের এই ভূমিধস জয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক স্মরণীয় ইতিহাস হয়ে থাকবে।১৩২ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! - Click This Link ২০শে জানুয়ারি ২০২৫(আমেরিকার প্রেসিডেন্টরা ২০ জানুয়ারি কেন শপথ নেন?- Click This Link) তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন।



৩। বিদ্রোহীদের হাতে পরাজিত হয়ে পালিয়ে দেশ ছাড়েন সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাসার আল আসাদ

২৭ নভেম্বর ২০২৪ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ভয়ংকর রূপ নেয়। আল কায়দার শাখা সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্বে আলেপ্পো দখল করে নেওয়ার ঘোষণা করে বিদ্রোহীরা। তারপর একে দারা, হোমসের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করার পর ৮ ডিসেম্বর রাজধানী দামাস্কাসে পৌঁছয় বিদ্রোহীরা। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীকে পিছু হঠতে বাধ্য করে তারা। পতন ঘটে আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের।

সিরিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের বিদ্রোহীদের মাত্র ১২ দিনের বিদ্যুৎগতির অগ্রাভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এবং তাহার নিষ্ঠুর ও দানবীয় সামরিক বাহিনীর অবিশ্বাস্য পরাজয় বিস্মিত করেছে পশ্চিমা বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক সব মহলকে। কিছু দিন আগেও বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার আল আসাদের বিজয় হয়েছে, কারণ তিনি তাদের প্রায় দমন করতে সফল হয়েছেন। দীর্ঘদিন শত চেষ্টা করেও বাশারের পতন ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে মনোবল হারিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন বলেও মনে করেছিলেন অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক। এমনকি বাশার আল আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল তার প্রতিবেশী দেশগুলোসহ অনেক পশ্চিমা দেশও। তবে তাদের সবাইকে অবাক ও অপ্রস্তুত করেছে বিদ্রোহীদের এই আকস্মিক বিজয় অভিযান।আসাদ সরকারের পতন: মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ কী? - https://www.ittefaq.com.bd/710041/ এবং
Click This Link


ছবি -gettyimages.ae

[sb ৪। ২০২৪ সালেও আমীমাংসিত রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ -

২০২২ সালে ইউক্রেনে আমেরিকা-ইউর প্ররোচনা ও নানা ঘটনার প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার আগ্রাসন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জন্ম দিয়েছে।(" ইউক্রেন সংকট " - কি নিয়ে এবং এর সমাধান কোথায় ? আসলেই কি রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের এত সমস্যা নাকি ইরাক-লিবিয়া-আফগানিস্তানের মত মিথ্যা অজুহাতে পশ্চিমাদের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা ?) লিংক - Click This Link , ইউক্রেন একটি প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র, ইউক্রেনের রাশিয়ার সাথে গভীর সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বন্ধন ছিল, কিন্তু এই যুদ্ধ তাদের সম্পর্কের অপূরণীয় ক্ষতি করছে। লিংক - Click This Link কোন কোন বিশেষজ্ঞ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে প্রধান বিশ্বশক্তির মধ্যে নতুন করে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখেন।(" রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ " - বিশ্ব ভূরাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কিংবা পরাশক্তিদের ক্ষমতায় কি কোন পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা আছে ?) লিংক - Click This Link ২০২২ সালের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ, যা চলছে প্রায় ২ বছরের বেশী সময় ধরে এবং অবস্থা দৃষ্টিতে ও পরিস্থিতির আলোকে মনে হচছে এ যুদ্ধ চলতেই থাকবে আরো কয়েক বছর জুড়ে যদিও সময়ের সাথে সাথে লড়াইয়ের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে-কমতে পারে এবং সেখানে দুপক্ষের জন্যই বিজয় থাকবে অধরা। এই লড়াইয়ের সামরিক বিজয় বলতে যদি এক পক্ষের দ্বারা অন্য পক্ষকে সামরিকভাবে ধসিয়ে দেওয়া এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সীমানা নির্ধারণ ও রাজনৈতিক মীমাংসার শর্তাবলি নির্ধারণের ক্ষমতা সহ প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করা পক্ষটির হাতে থাকা দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তাহলে সেই সংজ্ঞা অনুসারে এই যুদ্ধে আগামী কয়েক বছর রাশিয়া-ইউক্রেন কেউই সম্পূর্ণ সামরিক বিজয় পাবে না।
লিংক - Click This Link


ছবি - gettyimages.ae

কারন - ১। পশ্চিমাদের সাহায্যে ও প্রত্যক্ষ মদদে, ইউক্রেন রাশিয়াকে যুদ্ধে হারানোর জন্য যে আশা করেছিল ইতিমধ্যেই তা গুড়ে-বালি হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে সময়ের সাথে সাথে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমাদের মনোভাবও পরিবর্তন হয়ে যাচছে নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও অর্থনৈতিক সমস্যার কারনে। যুদ্ধের প্রথম দিকে যেখানে তারা বলেছিল ইউক্রেনকে তারা কখনো ছেড়ে যাবেনা কিংবা যতদিন প্রয়োজন সাহায্য করে যাবে, সেখানে ২ বছরের মাথায়ই আশংকাজনক ভাবে কমে গেছে তাদের সাহায্য। রাষ্ট্র হিসাবে ইউক্রেন বর্তমানে একরকম দেউলিয়া এবং সে টিকেই আছে আমেরিকা-ইউরোপের সাহায্যের উপর ভর করে। যদি আমেরিকা-ইউরোপ অর্থ-অস্ত্র সাহায্য বন্ধ করে দেয় তাহলে তাদের পরাজয় শুধু সময়ের ব্যাপার। লিংক - Click This Link , যদিও আমেরিকার বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন শেষ বেলায় এসে সাহায্যের পরিমান বাড়িয়েছেন তবে এসব সাহায্য-সহযোগীতাও ইউক্রেনকে বিজয়ী করতে পারবে বলে মনে হয়না।


ছবি - nytimes.com

২। রাশিয়াকে পরাজিত করার জন্য হাজারো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সহ আমেরিকা-ইউরোপের যত রকম করণীয় ছিল সব করে ফেলেছে এবং সেসব মোকাবিলা করে রাশিয়া ধীরে ধীরে তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচছে। রাশিয়া যদি নিজ থেকে এ যুদ্ধে না হারে, তবে তাকে হারানোর ক্ষমতা কারো নেই - এটা এখন প্রমাণিত। (" রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ " - ইউক্রেনের সীমিত সামর্থ্য ও পশ্চিমাদের হুমকি-ধামকি কিংবা শুধু নিষেধাজ্ঞা দিয়েই কি থামানো যাবে মহাশক্তিধর রাশিয়াকে ? ) লিংক - Click This Link অন্যদিকে রাশিয়া নতুন করে ইউক্রেনের ভূমি দখল না করে পূর্বে দখলীকৃত জায়গায় তার নিয়ন্ত্রণেই মনোযোগ দিচছে। আর তাই যুদ্ধে রাশিয়া-ইউক্রেন কেউ জয়লাভ করবে বলে মন হয়না। তবে যদি জাতিসংঘ সহ আমেরিকা-ইউরোপ ইউক্রেনকে আলোচনায় বসতে বলে এবং কুটনীতি সচল হয় তবে কিছু একটা হতে পারে।

তবে - কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে যদি এমন একটি বিষয়কে সংজ্ঞায়িত করা হয়, "যেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন উভয় সরকারকেই সন্ধিপত্রে সই করতে রাজি হবে এবং সন্ধির শর্ত মেনে চলবে তাহলে কূটনীতিকেরাও কোনো বিজয় পাবেন না"। কারণ,শান্তির জন্য নেতাদের মধ্যে দুটি জিনিস থাকা প্রয়োজন। একটি হলো সমঝোতা করার ইচ্ছা এবং অপরটি হলো সমঝোতার সক্ষমতা। আর এই দুটি উপাদান উভয় পক্ষের নেতাদের মধ্যে স্পষ্টতই অনুপস্থিত। কারন - ইউক্রেনের রাশিয়ার সাথে কোন সমঝোতা করার ইচ্ছাই নেই এবং রাশিয়া তার ঘাড়ের উপর ন্যাটোর উপস্থিতির বিষয়ে কোন ধরনের সমঝোতাতেই রাজী নয়। লিংক - Click This Link

সর্বশেষ,২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের মাধ্যমে আবারও হোয়াইট হাউসের পথে পাগলা ডোনাল্ড ট্রাম্প যিনি ২০শে জানুয়ারী ২০২৫ হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করবেন এবং তাহার পূর্বের ঘোষনা,'' ক্ষমতায় আরোহনের ২৪ ঘন্টার মাঝে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন'' এর আলোকে আশা করা যায় ২০২৫ সালে হয়ত এ সীমাহীন যুদ্ধের সমাপ্তি হলেও হতে পারে।




ছবি - bbc.com

৫। হামাসের ইসরাইল আক্রমণ ও এর ভয়ানক পরিনতি -

ফিলিস্তিনি স্বশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ৭ ই অক্টোবর,শনিবার ২০২৩ এক নজিরবিহীন আক্রমণ চালায়। যেরকমটা ইসরাইল স্বপ্নেও কখনো ভাবেনি এবং ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর গত ৫০ বছরে এত ব্যাপক লড়াই আর হয়নি। হামাস যোদ্ধারা গাজা সীমান্তে ইসরাইলের সকল আধুনিক প্রযুক্তিকে ফাঁকি দিয়ে উপত্যকার কাছাকাছি ইসরায়েলি বসতিগুলোতে ঢুকে পড়ে এবং অতর্কিত হামলা চালায়। হামাসের হামলার ফলে বহু ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয় এবং সাধারন নাগরিকের সাথে সাথে অনেক ইসরাইলী সৈন্যকেও জিম্মি করে নিয়ে যায়। যদিও যে কোন ভাবেই এভাবে মানুষ হত্যা বৈধতা পেতে পারেনা তারপরও হামাস কেন ইসরায়েলের উপর এ হামলা চালিয়েছে তা জানতে হলে এর সাথে জড়িত ব্যক্তি, স্থান ও একই সাথে সেখানকার রাজনীতিকে বুঝতে হবে নিরপেক্ষভাব।("ফিলিস্তিন সমস্যা" - সমাধান কোন পথে, কত দূর?) লিংক - Click This Link । শনিবারের হামাসের হামলা ছিল একেবারে অতর্কিত, যাতে কোন ধরনের আগাম সতর্কবার্তা পায়নি ইসরায়েল। হামাস ইসরায়েলে এক সাথে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করে এবং অনেক হামাস যোদ্ধারা সীমানা পার হয়ে ইসরায়েলি বসতিতে আক্রমণ করে। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে বিমান হামলা শুরু করে। বিশেষ করে হামাসের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে তারা এই বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে। লিংক -
Click This Link


ছবি - bbc.com

এই হামলাকে একটি গোয়েন্দা ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাঙ্ক গার্ডনার। ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা, শিন বেট, বহিরাগত হুমকি নিয়ে কাজ করা গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল শাখা কার্যত এই হামলার কোন আভাসই পায়নি। ফলে হামাসের এই আক্রমণে তারা সময় মতো সাড়া দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে হামাসের এই হামলার পরপরই পাল্টা আক্রমণ হিসেবে গাজায় তারা তীব্র বিমান হামলা চালাতে শুরু করে এবং গাজাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়ার ইচছা প্রকাশ করে। ওই দিন থেকেই গাজার ওপর নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল এবং বিগত ১৫ মাস ধরে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে তেল আবিবের গণহত্যামূলক যুদ্ধ চলছে। তাদের এ আক্রমণে এখন পর্যন্ত সাংবাদিক-স্বাস্থ্য-জাতিসংঘ কর্মী সহ ৫০,০০০ বেশী মানুষ মারা গিয়েছে যাদের বেশীরভাগই নারী ও শিশু এবং তাদের আক্রমণ থেকে হাসপাতাল-বিদ্যালয় থেকে জাতিসংঘ পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সমুহও রেহাই পাচছেনা। পাশাপাশি সেখানে চলছে স্থল অভিযান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৯৬২ জন এবং ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১১ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাঁরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। এ সমস্যাকে কেন্দ্র করে আমেরিকা-বৃটেনসহ ইউরোপীয়ান দেশ সমুহ ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের নামে তাদের সকল কার্যকলাপকে সমর্থন করছে যা নিয়ে তাদের নিজেদের দেশেও সমালোচনার মুখোমুখি হচছে এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওআইসি সহ মুসলিম দেশদের সাথে আমেরিকার দূরত্ব বাড়ছে এবং বাইডেেনের জনপ্রিয়তা তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। বর্তমানে কাতার-মিশর ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে যুদ্ধ বিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। অবশ্য বরাবরের মতই ইসরাইল যুদ্ধ বিরতি নাকচ করে দিয়ে হামাসকে নির্মুল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ঘোষনা দিয়েছে।
লিংক - ১। Click This Link
২। Click This Link
৩। Click This Link



চিত্র-বিচিত্র - ২০২৪

১। বছরজুড়ে গুগলে যা খোঁজা হয়েছে সবচেয়ে বেশী -

আধুনিক প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের উন্নয়নে মানুষ যে কোন কিছু জানার জন্য প্রযুক্তি উপকরনই বেশী ব্যবহার করেন। আর সেই প্রযুক্তি উপকরনের মাঝে গুগল বরাবরই সবার উপরে।মানুষ গুগলের সার্চে যে কোনো কিছু জানতেই সার্চ করছেন প্রতিনিয়ত। এটা যেমন হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কিংবা আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ - জীবনের প্রয়োজনীয় সব বিষয়ই থাকে এ তালিকায়। বছরজুড়ে নানা বিষয়ের পাশাপাশি বিখ্যাত মানুষ বা বিখ্যাত হয়ে ওঠা মানুষগুলোকে সার্চ করেন সবাই। প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের ট্রেন্ডিং সব অনুসন্ধান নিয়ে ‘ইয়ার ইন সার্চ’ প্রকাশ করেছে এ সার্চ জায়ান্ট।

এ বছর গোটা বিশ্বের মানুষ মার্কিন নির্বাচন, সর্বশেষ আইফোন রিলিজের তথ্য, ব্লকবাস্টার বিভিন্ন মুভি রিলিজ, টিকটক ট্রেন্ড ও স্টাইল সম্পর্কিত তথ্য জানতে সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান চালিয়েছে গুগলে। বিশ্বব্যাপী বছরের সার্চ ট্রেন্ডিং তালিকার শীর্ষে ছিল ক্রীড়া ইভেন্টের বিভিন্ন ঘটনা, যেখানে প্রথম স্থানে রয়েছে, কোপা আমেরিকা, তারপরে উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ইন্ডিয়া বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচ।

এ বছর গুগলে সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান করা শব্দগুলোর মধ্যে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন সম্পর্কিত সংবাদ, নিউইয়র্ক টাইমসের গেম কানেকশনস ও নিউইয়র্কের বাস্কেটবল দল ‘নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কিস’। লিংক - https://www.jugantor.com/tech/891504


ছবি - এফটি

২। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বন্ডের ৪০০তম জন্মদিন

৪০০ বছর আগে নেদারল্যান্ডসে ৫০টি বন্ডের মধ্যে একটি বিক্রি হওয়া বাকি ছিল। ১৬২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর ১,২০০ গিল্ডার্স দামে এটি কিনে নেন আমস্টারডামের বাসিন্দা এলস্কেন ইয়োহরিসডখতার নামের এক ধনাঢ্য নারী।বন্ড ক্রয়ের সময় কর্তৃপক্ষ তাকে প্রতিশ্রুতি দেয়, যতদিন এ বন্ড তার বা তার উত্তরাধিকারীদের কাছে থাকবে, ততদিন ধরে তাদের ২.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে। বন্ডটির বর্তমান মালিক যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ। গেল ১০ ডিসেম্বর বন্ডটির ৪০০ বছরপূর্তিতে তারা কয়েক বছরের জমা হওয়া ২৯৯.৪২ ব্রিটিশ পাউন্ড সুদ আদায় করেছে। https://www.jugantor.com/international/891646



৩। দুই বোনের এক প্রেমিক, সন্তানও নিতে চান একসঙ্গে -

অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা যমজ বোন আনা ও লুসি ডিসিঙ্ক। আনা ও লুসি ডিসিঙ্ক একে অন্যের সঙ্গে সব কিছুই ভাগ করে নিতে অভ্যস্ত, এমনকি নিজেদের প্রেমিককেও। ১১ বছর ধরে একজনের সঙ্গেই ডেট করেছেন দুই বোন। প্রেমিকের নাম বেন বায়ার্ন। একজন পুরুষকে ভাগ করে নিতে কোনও অসুবিধা হয় না তাদের। এমনকি এক দশক ধরে ডেট করার পর দুই বোনকে একসঙ্গে বাগদানের প্রস্তাবও দেন বেন। ৩৫ বছরের লুসি ও আনা নিজেদের বিশ্বের সেরা ও অভিন্ন যমজ জুটি বলে মনে করেন। তারা ছোট থেকে একই পোশাক পরেন। দৈহিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে দু’জনেই একই ধরনের অস্ত্রোপচার করেছেন। সামাজিমাধ্যমে বেনের সঙ্গে আলাপ হয় আনা ও লুসির। বেনও যমজ সন্তান। তার এক ভাই রয়েছে। আলাপ হওয়ার প্রথম ছয় মাস বেন এক বোনের সঙ্গে ডেট করেন। ঘনিষ্ঠতা গড়ালে পরে বেন দুই বোনের চিন্তাভাবনাকে সমর্থন করতে শুরু করেন। একসঙ্গে তিন জন জীবন কাটানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করে একটি চুক্তি করেন। পরবর্তী কালে আনা ও লুসি দু’জনেরই প্রেমিক হিসাবে তাদের বাড়িতে এসে থাকা শুরু করেন বেন।

মজার বিষয় হলো, একে অপরকে ছেড়ে তারা থাকতে পারেন না। তাই একই বিছানায় ঘুমান দুই বোন এবং সন্তানও নিতে চান একসঙ্গে।
https://www.pnsnews24.com/news/misc/343329



৪। ৭২ কোটিতে কেনা সেই কলাটি কলাটি খেয়ে ফেলেছেন ক্রেতা

বাংলাদেশী ৭২ কোটি (৬ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) টাকারও বেশিতে কেনা ভাইরাল কলাটি খেয়ে ফেলেছেন চীনা বংশোদ্ভূত ক্রেতা জাস্টিন সান। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।গত সপ্তাহে নিলামের মাধ্যমে ধূসর রঙের স্কচটেপ লাগানো এই ‘শিল্পকর্ম কলাটি’ কিনেছিলেন জাস্টিন সান। তখনই তিনি বলেছিলেন কলাটি খেয়ে ফেলবেন। অবশেষে হংকংয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের সামনে কলাটি খেলেন তিনি। কলাটি খেয়ে জাস্টিন সান বলেছেন, এটি অন্যান্য কলার চেয়ে অনেক ভালো। সংবাদ সম্মেলনে কলাটি খাওয়ার ঘটনাও শিল্পকর্মের ইতিহাসের একটি অংশ হয়ে উঠতে পারে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, অবাক করা তথ্য হলো নিউইয়র্কের ম্যানহাটন শহরের এক বাংলাদেশি ফল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাত্র ৪২ টাকায় কলাটি কেনা হয়েছিল। এরপর দেওয়ালে স্কচটেপের মাধ্যমে সেঁটে দিয়ে কলাটিকে দেওয়া হয় ‘শিল্পকর্মের’ খেতাব। মাত্র পাঁচ মিনিটের নিলাম শেষে ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে জাস্টিন সান শিল্পকর্মটি কিনে নেন। অনেকের ধারণা, জাস্টিন নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণার স্বার্থে কলাটি এত দাম দিয়ে কিনেছেন। https://www.pnsnews24.com/news/misc/342364

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম এই অদ্ভুত শিল্পকর্মটি সামনে আসে। এটি তৈরি করেন মারিজিও ক্যাটেলান। যদিও এর আগে শিল্পকর্মের প্রদর্শনীতে রাখা কলা দেওয়াল থেকে খুলে খেয়ে পেলার ঘটনা ঘটেছে। তবে, এরজন্য কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি।



৫। দেনমোহর দিয়ে ধুমধামে দুই বিড়ালের বিয়ে, ছিল ভূরিভোজ

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পোষা দুই বিড়ালের বিয়ে হয়েছে ধুমধামে। বিয়েতে সবকিছুর আয়োজন ছিল। অতিথিদের জন্য ছিল ভূরিভোজ। ১০ হাজার ১ টাকা দেনমোহরে বর বিড়াল দুষ্ট ও কনে বিড়াল মিষ্টির এ বিয়ের আয়োজন করেন গৃহবধূ নাজমা আক্তার।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে কুলিয়ারচর বাজারের ছিদ্দিক মিয়ার ভবনের ছাদে মানুষের বিয়ের মতোই আয়োজন হয় বিড়াল দুটির বিয়ে। এ বিয়ে উপলক্ষে প্রায় ৭০ জন মেহমানের জন্য পোলাও, গরুর মাংস, মুরগির মাংস, ডিম, সবজি ও কোমল পানীয়সহ ছিল নানা খাবারের আয়োজন।

নাজমা আক্তার কুলিয়ারচর বাজার ‘আল্লাহ ভরসা মৎস্য আড়তে’র মালিক মো. মিশু মিয়ার স্ত্রী। তিনি ওই ভবনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকেন। https://www.pnsnews24.com/news/misc/340283

আয়োজকরা জানান, স্বাভাবিক নিয়মে বিয়ের আগের দিন পোষা বিড়াল দুষ্ট ও মিষ্টির গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়। বিয়ের দিন পার্শ্ববর্তী পূর্ব গাইলকাটা মহল্লার মো. সেলিম মিয়া বরযাত্রী নিয়ে গেটে ২ হাজার ৫ টাকা দিয়ে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন। এখানে বর হলো ‘দুষ্ট বিড়াল’।

পরে বরযাত্রীসহ কনের (মিষ্টি বিড়াল) বাড়ির মেহমান মিলে খাওয়া-দাওয়া শেষে বিড়াল দুটির বিয়ে দেন। বিয়েতে দেনমোহর ধরা হয় ১০ হাজার ১ টাকা।





৬। বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি আইকন অব দ্য সিজ'এর যাত্রা শুরু -

বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি আইকন অব দ্য সিজ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাহাজটি যাত্রা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের মালিকানাধীন এই প্রমোদতরির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৯৭ ফুট ও প্রস্থ ২১৯ ফুট। এতে জ্বালানি হিসেবে পরিবেশবান্ধব তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ব্যবহার করা হয়।জাহাজটিতে ২ হাজার ৮০৫টি কক্ষ আছে। এতে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬০০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারে। বিভিন্ন জাহাজের তুলনায় সবচেয়ে বড় সুইমিংপুলটি এখানে আছে। এ ছাড়া এতে আছে ৬টি ওয়াটার স্লাইড যা অন্য জাহাজের তুলনায় বেশি।

২০২৪ সালের সেরা কিছু ছবি




ছবি: ব্রেন্ডন ম্যাকডার্মিড

১। রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছর নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় বন্দুকের গুলিতে আহত হলে তাঁকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সরে যেতে সহায়তা করছেন। পেনসিলভানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ১৩ জুলাই ২০২৪




ছবি -Marco Di Marco—AP

২। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ গ্রিন্ডাভিকের প্রধান সড়ক অতিক্রম করে আইসল্যান্ডের গ্রিন্ডাভিকের ব্লু লেগুনের দিকে যাওয়ার রাস্তা ধরে প্রবাহিত হয় আগ্নেয়গিরির লাভা।




ছবি - আলেকসান্দ্রা স্মিগিয়েল-রয়টার্স

৩।সুইডেনের আরমান্ড "মন্ডো" ডুপ্লান্টিস ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক গেমসে ৬.২৫ মিটারের নতুন বিশ্ব রেকর্ড করেছেন।
লিংক - Click This Link




ছবি - Chip Somodevilla—Getty Images

৪। গত ২০ জানুয়ারি নিউইয়র্কের ম্যানচেস্টারের এসএনএইচইউ অ্যারেনায় এক নির্বাচনী সমাবেশে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের উল্লাস।




ছবি - Lam Yik Fei—The New York Times/Redux

৫। ৩ এপ্রিল ২০২৪ তাইওয়ানের হুয়ালিয়েনে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পের পর একটি তল্লাশি ও উদ্ধারকারী দল ভবনে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওই ভূমিকম্পে ১৭ জন নিহত ও ৯০০ জনেরও বেশি আহত হন।




ছবি - আলি জাদাল্লাহ—আনাদোলু

৬। গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ইসরায়েলি হামলার পর ধ্বংসস্তূপ ।


২০২৪ এ দেশ-বিদেশের যাদের হারালাম -

জীবন মানেই মৃত্যুর পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলা। মৃত্যু বরাবরই কষ্টদায়ক, অপ্রত্যাশিত। তবে জন্মালে মরতে হবেই, এটাই চিরন্তন সত্য। যদিও এই সত্য মেনে নিতে কষ্টই হয় সবার।তারপরও মানুষকে যেতে হয় দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় মানুষ পরপারে,তবে রেখে যায় তাঁর হাজারও স্মৃতি। প্রতি বছর আমাদের অনেক প্রিয় মুখ না ফেরার দেশে পাড়ি জমান,যাদের দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা থাকে অপরিসীম। রাজনৈতিক, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্টজন তথা সেইসব কীর্তিমানদের মৃত্যু নেই। তারা নিজেদের কর্মে সবার প্রাণে, শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় বেঁচে থাকেন চিরকাল।

দেশ



এ বছর আমরা হারিয়েছি অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফকে। ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।



এ ছাড়াও আমরা হারিয়েছি,বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ও দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী ,অনলাইন পোর্টাল সংবাদ প্রকাশের সাবেক বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক ওমর ফারুক শামীম, আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা পিনু খান,সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী,নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা শফি আহমেদ,দেশের শীর্ষ করদাতা ও হাকিমপুরী জর্দার মালিক মো. কাউছ মিয়া,গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান,সত্তর দশকের অন্যতম কবি মাকিদ হায়দার ,একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক,প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ,একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক, গবেষক, আভিধানিক, প্রফেসর ড. গোলাম মুরশিদ,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী,ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আব্দুল গফুর ,সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বরুদ্দোজ্জা চৌধুরী,আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সিনিয়র সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী,সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম,বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ,একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।
লিংক - Click This Link


ছবি : সংবাদ প্রকাশ গ্রাফিক্স

বিনোদন অঙ্গন থেকে আরো হারিয়েছি - উপরে বাঁ থেকে সাদি মোহম্মদ, আহমেদ রুবেল ও অলিউল হক রুমি এবং নীচে বাঁ থেকে মনি কিশোর, সুজেয় শ্যাম ও মাসুদ আলী খান

২০২৪ এ বিদেশের যাদের হারালাম



ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে পরিচিত কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আজারবাইজান সীমান্তের কাছে পার্বত্য অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন। রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআবদুল্লাহিয়ান এবং আরও ছয় যাত্রী ও ক্রুকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ সোমবার ভোরে তুষারঝড়ের মধ্যে রাতভর তল্লাশি চালানোর পর পাওয়া যায়। লিংক - Click This Link



ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরাইলি বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। হামাস জানিয়েছে, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তেহরানে নিজের বাসভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৬২ বছর বয়সী হানিয়া নিহত হন। লিংক - Click This Link



গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর হিজবুল্লাহর সঙ্গেও সীমান্ত সংঘাতে জড়ায় দখলদার ইসরাইল। একপর্যায়ে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয় তারা। এর মধ্যেও বৈরুতে ইসরাইলের এক বিমান হামলায় প্রাণ হারান হাসান নাসরুল্লাহসহ হিজবুল্লাহর কয়েকজন শীর্ষ নেতা। লেবাননভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ শুক্রবার বৈরুতে তার গোপন সদরদপ্তরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই শক্তিশালী গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব দেওয়া এবং এই অঞ্চলে অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন নাসরাল্লাহ, রাজধানীর দক্ষিণ শহরতলির দাহিয়েহ নামে পরিচিত একটি এলাকায় ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান হামলায় মারা যান।লিংক - Click This Link



ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আর নেই। বৃহস্পতিবার ,২৬ শে ডিসেম্বর রাতে নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন তিনি। মনমোহন সিং ভারতের প্রথম ও একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি হিন্দুধর্মাবলম্বী নন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের (১৯৯১-৯৬) সরকারে অর্থমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। Click This Link



যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন ১০০ বছর বয়সে । তার ফাউন্ডেশন- কার্টার সেন্টার তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) তিনি জর্জিয়ার প্লেইনসে নিজ বাড়িতেই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন।
লিংক - Click This Link

=================

২০২৫ সাল আমাদের সকলের জন্য একটি নতুন দিগন্ত, নতুন সুযোগ এবং নতুন স্বপ্ন নিয়ে আসুক। নতুন এ বছরে আমরা সবাই হিংসা-বিভেদ ভূলে একে অপরের প্রতি সহযোগিতা এবং ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেই এবং দেশে-বিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে একে অপরের পাশে দাঁড়াই।

নানা ঘটনা-দূর্ঘটনা,আশা-নিরাশার মাঝে বিদায় নিতে যাচছে ২০২৪ সাল। দেশ-দুনিয়া অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে নতুন বছর ২০২৫ সালকে বরণের জন্য। তার সাথে সাথে জনগন আশায় আছে নতুন বছরে ভাল কিছু হবে দেশবাসীর সাথে এবং তারা ফিরে পাবে তাদের হারানো ভোটাধিকার ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস ও তাহার উপদেষ্টা পরিষদের হাত ধরে । যেখানে নতুন বছরে দলবাজ-দূর্নীতি-সন্ত্রাস-ভয়-লুটপাট মুক্ত ভাল একটি সমাজ বির্নিমান হবে আমাদের সবার জন্য। আর তাই সবার সাথে আমিও জানাই, স্বাগতম - ২০২৫

=================
তথ্যসূত্র ও সহযোগীতায় -

১। ফিরে দেখা ২০২৪ - বিশ্বে আলোচিত যত ঘটনা - Click This Link
২। ফিরে দেখা ২০২৪ - https://www.prothomalo.com/world/qod0flh664
৩। ২০২৪, স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির বছর - https://www.prothomalo.com/politics
৪। TIME’s Top 100 Photos of 2024 - https://time.com/7176286/top-100-photos-2024/
৫। বিশ্বজুড়ে সংঘাত, ক্ষমতার পালাবদলের বছর - Click This Link

================
পূর্ববর্তী পোস্ট

৪। "বিদায় ও ফিরে দেখা - সাল ২০২৩" - Click This Link
৩। "বিদায় সাল ২০২২ এবং সাদর সম্ভাষণ ২০২৩" - Click This Link
২। "ফিরে দেখা - সাল ২০২১ " - Click This Link
১। "ফিরে দেখা - সাল ২০২০ " - Click This Link

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক পরিশ্রমী পোস্ট!
শুভ কামনা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন , আপনার মন্তব্যের জন্য।

অনেক পরিশ্রমী পোস্ট! শুভ কামনা।

- সারা বছর এবং দেশ সহ পুরো দুনিয়ার কিছু ঘটনা তুলে ধরার প্রয়াসের সাথে সাথে জানা-বুঝার প্রচেষ্টা। আর জানার জন্য পরিশ্রমের কোন বিকল্প না থাকায় এটিকে মেনেই এগিয়ে যেতে হবে।

আর নিজের জানা-বুঝাকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই এ লেখা এবং আপনি - আপনারা পড়লেই এ পরিশ্রম স্বার্থক।

আপনার জন্যও শুভ কামনা এবং নতুন বছরের শুভেচছা।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০১

আমি সাজিদ বলেছেন: শুভ ২০২৫। শুভেচ্ছা।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আমি সাজিদ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

শুভ ২০২৫। শুভেচ্ছা।

- আপনার জন্যও শুভ কামনা,সাথে সাথে নতুন বছরের শুভেচছা।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চিরাচরিত স্বভাবভঙ্গিতে একজন বলেছেন আপনি নাকি গরুর রচনা লিখেছেন?

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ মশিউর রহমান ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।


চিরাচরিত স্বভাবভঙ্গিতে একজন বলেছেন আপনি নাকি গরুর রচনা লিখেছেন?

- জী ভাই,ভালই বলেছেন উনি।
জয়তু গরু,উপকারী গরু :(

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওরে বাবা। সব বিষয়ই নিয়েই লিখেছেন।
নতুন বছরের শুভচ্ছ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.