নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলনদ

মাহমুদুল হাসান কায়রো

যাযাবর, অান্তর্জাতিক যাযাবর।

মাহমুদুল হাসান কায়রো › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু এলোমেলো ভাবনা ও ফান্দে পরা এক ইঁদুরের গল্প

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

আমি গরুর গোস্ত খুব পছন্দ করি, ইনফ্যাক্ট গরুর গোস্তই আমার সব চেয়ে প্রিয় গোস্ত। এমনকি গরুর গোস্ত দিয়ে পেট ভড়ে খিচুরি খেয়েই পোস্টটি লিখতে বসলাম। তারপরও সত্য হলো আমি গরু জবাই করতে দেখতে পারি না। বিলিভ করতে পারবেন না হয়তো যে, আমি এখন পর্যন্ত সরাসরি কিংবা ভিডিওতে গরুর গলায় ছুড়ি চালানোর দৃশ্য দেখিনি। ছোট বেলায় এক ঈদে আম্মাকে এটা শেয়ার করছিলাম, আম্মা বলেছিলেন কুরবানি দেখতে ভয় পেলে পাপ হয়। এরপর পাপ থেকে বাঁচার জন্য গরু জবাই দেখতে গিয়েছিলাম। শরীর অনেক শক্ত করে দাড়িয়ে ছিলাম জবাই দেখতে, কিন্তু যখন গরু ভয়ানক আওয়াজে চিৎকার দিলো দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম আড়ালে, অনেক্ষণ কাপছিলাম, হৃৎপিন্ড দ্রুত উঠা নামা করেছিলো দীর্ঘক্ষন। এরপর আর কোনদিন গরু জবাই দেখতে সাহস করি নি। আমি বুঝতে পারছি যে এটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড হয়ে গেলো, কারণ গরুর গোস্ত খাই কিন্তু জবাই দেখতে পারি না। গরু কোথাও না কোথাও জবাই হলেই তারপর গোস্ত খেতে পারবো, বিষয়টা নিয়ে আমি এখনো কোন সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছতে পারি নি। একবার মনে হয়, যারা জবাই করছে তারা যদি স্বাভাবিক ভাবে জবাই করতে পারে এবং এতে যদি তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় তাহলে জবাই করা না দেখে গরুর গোস্ত খাওয়াতে তেমন অপরাধবোধ আসার কথা না। নিজেকে এমন এক্টা গোঁজামিল মার্কা বুঝ দিয়ে পেট ভড়ে গরুর গোস্ত খেয়ে ফেলি। তবে, এতে মন সম্পুর্ণ শান্ত হয় না। তাই ভবিষ্যতে মন কি বলবে বলতে পারছি না। বুঝ পরিবর্তন হলে হয়তো গোস্ত খাওয়াই একেবারে বাদ দিয়ে দিতে পারি। তখন শুধু গরু বাদ না, সব ধরনের প্রাণীর গোস্তই হয়তো বাদ দিয়ে দেবো। মাঝে মাঝে মনে হয় চাইনিজরা যদি প্লাস্টিকের মত কোন পদার্থ দিয়ে গরুর গোস্ত বানাতে পারতো তাহলে এই জ্যান্ত গরুর গোস্ত আর খেতাম না, এখনি বাদ দিয়ে দিতাম।

২) আমার এই রক্ত দেখার ভয় কেবল গরুর ক্ষেত্রে না, সকল প্রাণীর ক্ষেত্রে। আমি যেই ভিডিও সবচেয়ে বেশি দেখার চেষ্টা করেও দেখতে পারি নি সেটা হলো লগি বইঠার ঘটনার ভিডিও। জ্যন্ত মানুষগুলোকে কিভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হলো সেই দৃশ্য বার বার দেখার চেষ্টা করেও দেখতে পারি নি। তেমনি অভিজিৎ হত্যার ভিডিও দেখতেও অনেকদিন সময় লেগেছে। ইদানীং কালের রোহিঙ্গাদের নির্মম ভাবে হত্যা করার দৃশ্যগুলোর কারণে খুব সাবধানে আমি ফেসবুক ব্যবহার করি। কিছু কিছু দৃশ্য চোখে পরার সাথে সাথে স্ক্রল করে নিচে চলে যাই। এমনকি কিছু আইডি থেকে নিয়মিত শুধু রক্ত মাখা ছবি আপলোড করার কারণে তার আইডি আন ফলো করে দিয়েছি, যদিও তার বক্তব্যের সাথে আমি একমত ছিলাম।

৩) প্রত্যেক প্রাণীরই মৃত্যু যন্ত্রণা আছে। আম্রা মশা মারি তারও যন্ত্রণা আছে, তেলাপোকারও যন্ত্রণা আছে। তেমনি ভাবে মাছ, সাপ, ব্যাঙ, গরু, খাশি, মুরগি সবারই মৃত্যুকালে যন্ত্রণা হয়। আমি যেটা বুঝি সেটা হলো যেই প্রাণীর দেহ যত বড় তার মৃত্যু যন্ত্রণা তত বেশি। সেই হিসেবে মশার চেয়ে তেলাপোকা, তেলাপোকার চেয়ে টিকটিকি, টিকটিকি চেয়ে মুরগী, মুরগীর চেয়ে বিড়াল, বিড়ালের চেয়ে ছাগল, ছাগলের চেয়ে, কুকুর, কুকুরের চেয়ে, গরু, গরুর চেয়ে হাতির মৃত্যু যন্ত্রণা বেশি। তেমনি সমুদ্রের মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীরও মৃত্যু কষ্ট রয়েছে। গাছ পালার যেহেতু প্রাণ আছে সেহেতু তাদেরও মৃত্যু কষ্ট রয়েছে। কিন্তু গাছ কাটলে যেহেতু চিৎকার করে না, রক্ত বের হয় না দৌড়ে অন্য কোথাও চলে যায় না, লাথ্থি দিয়ে হত্যাকারীকে সরিয়ে দিতে চায় না সেহেতু গাছের বেলায় হিসেবটা এক্টু ভিন্ন, বা ভিন্ন ভাবে দেখাই যায়। তবে বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিত গাছ না কাটার ব্যাপারে সবাই একমত।

৪) একজন বৃদ্ধ রিক্সাওয়ালার পিছনে বসতে আমার খারাপ লাগে। তবুও বসতে হয়। বৃদ্ধ দেখে যদি তার রিক্সায় না উঠি তাহলে সেই লোক খাবে কি? তার পরিবার বাচবে কিভাবে? সেই হিসেব করে বৃদ্ধের রিক্সায় বেশি বেশি বসতে হয়। গন্তব্য পৌছে তার ন্যাহ্য ভাড়ার সাথে ১০ টাকা বাড়ায় দিলেও লোকটির জন্য কষ্ট হয়। তেমনি ভাবে গরু জবাই করা বা না করা এক বিষয়, কিন্তু গরুর যে কষ্ট হয় এটা অস্বিকার করার কোন অপশন নেই, খুউব কষ্ট হয়। কিন্তু ধর্মীয় রীতি মেনে যদি কেহ কোরবাণী করতে চায় সে করতেই পারে, তাই বলে পশুটির কষ্ট নিয়ে ফান করার কিছুই নেই। রক্ত যে খুব ভাল জিনিস না সেটা সবারই জানা থাকার কথা। আমি কোরবাণীটাকে দেখছি ঐ বৃদ্ধ লোকের রিক্সায় চড়ার মতো। চড়তে খুব কষ্ট হয়, তবুও চড়তে হয়....

৫)এবার ফান্দে পরা এক ইঁদুরের গল্প:

- দুই বছর আগেও আমি মিশরে একা এক বাসায় থাকতাম। একবার ইঁদুর খুব ডিস্টার্ব শুরু করলো। এক খাচা এনে খাবার দিয়ে পেতে রাখলাম। বড় এক ইঁদুর ধরা পরলো। দৌড়ে খাঁচার কাছে ছুটে আসলাম। আমাকে দেখে ইঁদুর চিচির মিচির করে চিৎকার শুরু করলো। খাঁচার ভিতরে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে শরীর রক্তাক্ত করে ফেললো। এক্টুখানি ফাঁকা দিয়ে মাথে ঢুকিয়ে দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করতে করতে মাথা ছুলে ফেললো। আমি অনেক্ষন দাড়িয়ে দাড়িয়ে দৃশ্য দেখলাম। এরপর এক্টা শক্ত কাঠি নিয়ে খুচা দিতে গিয়ে অনুভব করলাম তার মৃত্যু ভয়। তার শরীর কাপছিলো। তারপরও আরো অনেক্ষণ তার জীবনের কষ্ট অনুভব করলাম। তারপর তাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। খুব ভালো লাগছিলো, যদিও নিজেকে বোকা বোকা লাগছিলো। তারপর এই ঘটনাটি নিয়ে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম তাহলে এই ক্ষতিকারক ইঁদুরের সমাধান কি হবে? পরে সিদ্ধান্তে পৌঁছলাম যে, বেটার ওয়ে হলো নিজের বাসা পরিস্কার রাখা যাতে এমন ক্ষতিকারক প্রাণী না আসতে পারে এবং তাকে কষ্ট দিয়ে মারতে না হয়।) আমি গরুর গোস্ত খুব পছন্দ করি, ইনফ্যাক্ট গরুর গোস্তই আমার সব চেয়ে প্রিয় গোস্ত। এমনকি গরুর গোস্ত দিয়ে পেট ভড়ে খিচুরি খেয়েই পোস্টটি লিখতে বসলাম। তারপরও সত্য হলো আমি গরু জবাই করতে দেখতে পারি না। বিলিভ করতে পারবেন না হয়তো যে, আমি এখন পর্যন্ত সরাসরি কিংবা ভিডিওতে গরুর গলায় ছুড়ি চালানোর দৃশ্য দেখিনি। ছোট বেলায় এক ঈদে আম্মাকে এটা শেয়ার করছিলাম, আম্মা বলেছিলেন কুরবানি দেখতে ভয় পেলে পাপ হয়। এরপর পাপ থেকে বাঁচার জন্য গরু জবাই দেখতে গিয়েছিলাম। শরীর অনেক শক্ত করে দাড়িয়ে ছিলাম জবাই দেখতে, কিন্তু যখন গরু ভয়ানক আওয়াজে চিৎকার দিলো দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম আড়ালে, অনেক্ষণ কাপছিলাম, হৃৎপিন্ড দ্রুত উঠা নামা করেছিলো দীর্ঘক্ষন। এরপর আর কোনদিন গরু জবাই দেখতে সাহস করি নি। আমি বুঝতে পারছি যে এটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড হয়ে গেলো, কারণ গরুর গোস্ত খাই কিন্তু জবাই দেখতে পারি না। গরু কোথাও না কোথাও জবাই হলেই তারপর গোস্ত খেতে পারবো, বিষয়টা নিয়ে আমি এখনো কোন সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছতে পারি নি। একবার মনে হয়, যারা জবাই করছে তারা যদি স্বাভাবিক ভাবে জবাই করতে পারে এবং এতে যদি তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় তাহলে জবাই করা না দেখে গরুর গোস্ত খাওয়াতে তেমন অপরাধবোধ আসার কথা না। নিজেকে এমন এক্টা গোঁজামিল মার্কা বুঝ দিয়ে পেট ভড়ে গরুর গোস্ত খেয়ে ফেলি। তবে, এতে মন সম্পুর্ণ শান্ত হয় না। তাই ভবিষ্যতে মন কি বলবে বলতে পারছি না। বুঝ পরিবর্তন হলে হয়তো গোস্ত খাওয়াই একেবারে বাদ দিয়ে দিতে পারি। তখন শুধু গরু বাদ না, সব ধরনের প্রাণীর গোস্তই হয়তো বাদ দিয়ে দেবো। মাঝে মাঝে মনে হয় চাইনিজরা যদি প্লাস্টিকের মত কোন পদার্থ দিয়ে গরুর গোস্ত বানাতে পারতো তাহলে এই জ্যান্ত গরুর গোস্ত আর খেতাম না, এখনি বাদ দিয়ে দিতাম।

২) আমার এই রক্ত দেখার ভয় কেবল গরুর ক্ষেত্রে না, সকল প্রাণীর ক্ষেত্রে। আমি যেই ভিডিও সবচেয়ে বেশি দেখার চেষ্টা করেও দেখতে পারি নি সেটা হলো লগি বইঠার ঘটনার ভিডিও। জ্যন্ত মানুষগুলোকে কিভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হলো সেই দৃশ্য বার বার দেখার চেষ্টা করেও দেখতে পারি নি। তেমনি অভিজিৎ হত্যার ভিডিও দেখতেও অনেকদিন সময় লেগেছে। ইদানীং কালের রোহিঙ্গাদের নির্মম ভাবে হত্যা করার দৃশ্যগুলোর কারণে খুব সাবধানে আমি ফেসবুক ব্যবহার করি। কিছু কিছু দৃশ্য চোখে পরার সাথে সাথে স্ক্রল করে নিচে চলে যাই। এমনকি কিছু আইডি থেকে নিয়মিত শুধু রক্ত মাখা ছবি আপলোড করার কারণে তার আইডি আন ফলো করে দিয়েছি, যদিও তার বক্তব্যের সাথে আমি একমত ছিলাম।

৩) প্রত্যেক প্রাণীরই মৃত্যু যন্ত্রণা আছে। আম্রা মশা মারি তারও যন্ত্রণা আছে, তেলাপোকারও যন্ত্রণা আছে। তেমনি ভাবে মাছ, সাপ, ব্যাঙ, গরু, খাশি, মুরগি সবারই মৃত্যুকালে যন্ত্রণা হয়। আমি যেটা বুঝি সেটা হলো যেই প্রাণীর দেহ যত বড় তার মৃত্যু যন্ত্রণা তত বেশি। সেই হিসেবে মশার চেয়ে তেলাপোকা, তেলাপোকার চেয়ে টিকটিকি, টিকটিকি চেয়ে মুরগী, মুরগীর চেয়ে বিড়াল, বিড়ালের চেয়ে ছাগল, ছাগলের চেয়ে, কুকুর, কুকুরের চেয়ে, গরু, গরুর চেয়ে হাতির মৃত্যু যন্ত্রণা বেশি। তেমনি সমুদ্রের মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীরও মৃত্যু কষ্ট রয়েছে। গাছ পালার যেহেতু প্রাণ আছে সেহেতু তাদেরও মৃত্যু কষ্ট রয়েছে। কিন্তু গাছ কাটলে যেহেতু চিৎকার করে না, রক্ত বের হয় না দৌড়ে অন্য কোথাও চলে যায় না, লাথ্থি দিয়ে হত্যাকারীকে সরিয়ে দিতে চায় না সেহেতু গাছের বেলায় হিসেবটা এক্টু ভিন্ন, বা ভিন্ন ভাবে দেখাই যায়। তবে বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিত গাছ না কাটার ব্যাপারে সবাই একমত।

৪) একজন বৃদ্ধ রিক্সাওয়ালার পিছনে বসতে আমার খারাপ লাগে। তবুও বসতে হয়। বৃদ্ধ দেখে যদি তার রিক্সায় না উঠি তাহলে সেই লোক খাবে কি? তার পরিবার বাচবে কিভাবে? সেই হিসেব করে বৃদ্ধের রিক্সায় বেশি বেশি বসতে হয়। গন্তব্য পৌছে তার ন্যাহ্য ভাড়ার সাথে ১০ টাকা বাড়ায় দিলেও লোকটির জন্য কষ্ট হয়। তেমনি ভাবে গরু জবাই করা বা না করা এক বিষয়, কিন্তু গরুর যে কষ্ট হয় এটা অস্বিকার করার কোন অপশন নেই, খুউব কষ্ট হয়। কিন্তু ধর্মীয় রীতি মেনে যদি কেহ কোরবাণী করতে চায় সে করতেই পারে, তাই বলে পশুটির কষ্ট নিয়ে ফান করার কিছুই নেই। রক্ত যে খুব ভাল জিনিস না সেটা সবারই জানা থাকার কথা। আমি কোরবাণীটাকে দেখছি ঐ বৃদ্ধ লোকের রিক্সায় চড়ার মতো। চড়তে খুব কষ্ট হয়, তবুও চড়তে হয়....

৫)এবার ফান্দে পরা এক ইঁদুরের গল্প:

- দুই বছর আগেও আমি মিশরে একা এক বাসায় থাকতাম। একবার ইঁদুর খুব ডিস্টার্ব শুরু করলো। এক খাচা এনে খাবার দিয়ে পেতে রাখলাম। বড় এক ইঁদুর ধরা পরলো। দৌড়ে খাঁচার কাছে ছুটে আসলাম। আমাকে দেখে ইঁদুর চিচির মিচির করে চিৎকার শুরু করলো। খাঁচার ভিতরে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে শরীর রক্তাক্ত করে ফেললো। এক্টুখানি ফাঁকা দিয়ে মাথে ঢুকিয়ে দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করতে করতে মাথা ছুলে ফেললো। আমি অনেক্ষন দাড়িয়ে দাড়িয়ে দৃশ্য দেখলাম। এরপর এক্টা শক্ত কাঠি নিয়ে খুচা দিতে গিয়ে অনুভব করলাম তার মৃত্যু ভয়। তার শরীর কাপছিলো। তারপরও আরো অনেক্ষণ তার জীবনের কষ্ট অনুভব করলাম। তারপর তাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। খুব ভালো লাগছিলো, যদিও নিজেকে বোকা বোকা লাগছিলো। তারপর এই ঘটনাটি নিয়ে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম তাহলে এই ক্ষতিকারক ইঁদুরের সমাধান কি হবে? পরে সিদ্ধান্তে পৌঁছলাম যে, বেটার ওয়ে হলো নিজের বাসা পরিস্কার রাখা যাতে এমন ক্ষতিকারক প্রাণী না আসতে পারে এবং তাকে কষ্ট দিয়ে মারতে না হয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪২

বিষাদ সময় বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার নিজের সহজ সরল অনুভুতি গুলো জানতে পেরে। আপনার অনুভুতি গুলো প্রায় আমার অনুভুতির সাথে মিলে গেল। তবে দুঃখ হলো এসব অনুভুতির কথা এ সময় প্রকাশ করতে গেলে নাস্তিকতার ট্যাগ খেতে হবে সাথে ফ্রি জুটবে কিছু গালিগালাজ। তাই নিজের অনুভুতি গুলো মনের মধ্যে রাখি প্রকাশ করি না।

আপনি বলেছেন গরু জবাই না দেখেতে পারলে গরুর মাংস খাওয়া উচিত না। ১০০% সৎ থাকতে চাইলে তাই হওয়া উচিত। কিন্তু এ জগতের নিয়ম গুলো এতই ভ্রান্তিকর যে ১০০% সৎ থাকার উপার খুব কম। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে, খুব জঘন্য অপরাধীর আমনা ফাঁসি চাই। কিন্তু আমাকে বা আপনাকে কোন ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলাতে দিলে কি কাজটি আমরা করতে পারবো ? মনে হয় না। তাহলে কি কোন বর্বর অপরাধির ফাঁসি চাইলে আমাদের ভন্ডামী করা হবে? আসলে না। সমাজের সব কাজ সবাইকে দিয়ে হবে না্। সভ্য সমাজে তার প্রয়োজন বা উচিৎ কোনটাই না। ফাঁসির দাবী করলেই আমাকে জল্লাদ বা গরুর মাংস খেলেই আমাকে কসই হতে হবে তা নয়। তবে সেক্ষেত্রে যে কোন মাছ বা মংসের প্রতি অতি আসক্তি থাকাটা মনে হয় ঠিক হবে না।

আপনি বলেছেন যত বড় প্রাণী তার মৃত্যু যন্ত্রনা তত বেশি। আমার তা মনে হয় না। আমার মনে হয় সব প্রাণীরই মৃত্যু যণ্ত্রণা প্রায় একই শুধু বড় প্রাণীর ক্ষেত্রে প্রকাশটা বড় দেখে আমাদের কাছে তাদের যন্ত্রণা বেশী মনে হয়। আর ডিম, দুধ, ফল, শাক আমরা কোন প্রাণী হত্যা না করেই খেতে পারি। তাছাড়া ধান, গম জাতীয় ঔষধী বৃক্ষ ফল দিয়েই মারা যায় কাজেই এ জাতীয় শস্য খেলে আমার মনে হয় না খুব অন্যাায় হবে। তাছাড়া বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন গাছের উন্নত স্নায়ু তন্ত্র নাই তাই তাদের কষ্টের অনুভূতিও হয়তো কম। সে কারণে খাদ্যের জন্য বৃক্ষের উপর নির্ভর করাটা খুব অন্যায় হবে বলে মনে হয় না।

যাহোক এ গুলো আমার নিজস্ব যুক্তি । পোষ্টের মাধ্যমে আপনার ভাবনা গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার পোষ্টটি দুবার কপি পেস্ট হয়েছে সেটা ঠিক করে নিলে ভাল হয়, আর বানানের দিকে একটু খেয়াল করুন।

ঈদ মুবারাক।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় চাইনিজরা যদি প্লাস্টিকের মত কোন পদার্থ দিয়ে গরুর গোস্ত বানাতে পারতো তাহলে এই জ্যান্ত গরুর গোস্ত আর খেতাম না, এখনি বাদ দিয়ে দিতাম।

এক সময় হবে হয় তো। কিন্তু কোরবানীর তো বিকল্প বের করতে পারবে না।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.