নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিএনপি করি।তাই কেউ নিরপেক্ষ লেখা আশা করবেন না।

নিউজ

নিউজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজাম হাজারীর নির্দেশে খুন হয়েছেন একরাম

২৭ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:৪৫

শামসুদ্দিন আহমেদ রিপন: ফেনীর ফুলগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা একরাম হত্যার নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের অভ্যন্তরিন রাজনৈতিক কোন্দল৷

হত্যায় জড়িত বলে র‌্যাব-পুলিশ যাঁদের চিহ্নিত করেছে, তাঁদের বেশির ভাগই সরকারদলীয় স্থানীয় সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর ক্যাডার হিসেবে পরিচিত৷ আর, হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন তদারককারী আওয়ামী লীগের দুই নেতা জাহিদ চৌধুরী ও আবদুল্লা হিল বাকী শিবলুও সাংসদ নিজাম হাজারীর ঘনিষ্ঠ৷

আবার, একরামকে যিনি প্রথম গুলি করেছেন বলে র‌্যাব যাঁকে চিহ্নিত করেছে, গ্রেপ্তার হওয়া সেই আবিদুল ইসলাম (আবিদ) নিজাম হাজারীর মামাতো ভাই।তাঁর মা লায়লা জেসমিন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক৷

নিজাম হাজারীর অপারেশন-এই কথা বলেই কর্মীদের বিলাশী সিনেমা হলের সামনে হাজীর হতে বলেন প্রথম গুলি চালানো আবিদ।

আওয়ামী লীগে একরামের অনুসারীরা জানান, ফেনীর এক সময়ের আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল হাজারীকে স্থানীয় রাজনীতি থেকে তাড়ানোর ক্ষেত্রে নিজাম হাজারীর বড় সহযোগী শক্তি ছিল একরাম ও তাঁর বাহিনী৷ নানা বিষয়ে এ দুজনের মধ্যে কিছুদিন ধরে ভেতরে ভেতরে দ্বন্দ্ব চলছিল৷ একরাম অর্থ ও পেশি শক্তিতে নিজাম হাজারীর প্রায় সমকক্ষ ছিলেন৷ ফেনীর ঠিকাদারি ব্যবসার বড় একটা অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন একরাম। জয়নাল হাজারীকে উৎখাতের পর ফেনীতে গত পাঁচ বছরের একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজাম হাজারী। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল হাজারী এ ব্যাপারে বিডিহটনিউজকে বলেন, নিজাম হাজারীর নির্দেশে খুন হয়েছেন একরাম৷তিনি আরো যোগ করেন,তার সম্পাদিত হাজারিকা প্রতিদিনের রিপোর্টারদের কাছে আগেই তথ্য এসেছিল,নিজাম হাজারীর হাতে খুন হতে পারেন একরাম।হাজারিকা প্রতিদিনে এই বিষয়ে রিপোর্টও করা হয়েছিল খুনের আগেই।তখনই যদি এই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো,আজ একরামকে হারাতে হতো না।



২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি সড়কে ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হকের গাড়ির গতিরোধ করে তঁাকে গুলি করে, কুপিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে,হত্যাকান্ডের ছক তৈরী করেন ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল।হত্যার আগের রাতে পেট্টোবাংলা এরাকায় তার বাসায় গোপন বৈঠক হয়।সেখানে হত্যা মিশনের সাথে জড়ীত জিয়উল আলম(মিষ্টার),জিহাদ চৌধুরী,শিবলু,রাসেল খোকন ও মামুন উপস্থিত ছিল।আদেল একটি সাদা কাগজে হত্যায় কার কি ভূমিকা থাকবে তা লিখে জিহাদ চৌধুরী ও শিবলুর হাতে তুলে দেয়।হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া কয়েক জনের সাথে নিজাম হাজারীর কথোপকোথন হয়।কল লিষ্ট থেকে গোয়েন্দারা এই তথ্য পেয়েছে।

একরামের পরিবারের এক সদস্য অভিযোগ করেন, এ হত্যার জন্য ঢাকায় ফেনী সমিতির এক নেতার মাধ্যমে অন্তত তিন কোটি টাকা ঢালা হয়েছিল৷ সেই টাকায় জাহিদ চৌধুরী আটটি পিস্তল কিনেছিলেন৷ সেই আটটি পিস্তলের পাঁচটি একরাম হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে৷

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, একসময়ের একরামের অনুগত দুর্ধর্ষ ক্যাডার এই জাহিদ চৌধুরী। একরামকে যে স্থানে খুন করা হয়, একই স্থানে ১৯৯৯ সালে ফুলগাজী যুবলীগের নেতা আবুল বশর ওরফে বইশ্যাকে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করেন এই জাহিদ ও তাঁর বাহিনী৷ তখন প্রচার ছিল, একরামের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে তাঁর নির্দেশে আবুল বশরকে হত্যা করেন জাহিদ৷

দীর্ঘদিনের এই গুরু-শিষ্য সম্পর্ক ভেঙে যায় আনন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে৷ জয়নাল হাজারী যখন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন,একরাম পেশিশক্তি ব্যবহার করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন৷ পরে তিনি সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যান হন৷ আর, জাহিদ আনন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে একরামের সমর্থন চান৷ কিন্তু একরাম সমর্থন দেন ব্যবসায়ী হারুন উর রশীদকে৷ এ নিয়ে তিন বছর ধরে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। একপর্যায়ে একরাম ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে জাহিদকে বহিষ্কার করেন৷ কিন্তু পরে জাহিদকে কমিটিতে পুনর্বহাল করেন সাংসদ নিজাম হাজারী৷



স্থানীয় লোকজন জানান, হামলায় অংশ নেওয়া এসব তরুণ সবাই মূলত বখে যাওয়া উঠতি সন্ত্রাসী। শহরের একাডেমি এলাকায় বাসবাস করেন। এলাকার বড় ভাইদের ডাকে কখনো ছাত্রলীগের মিছিলে, কখনো ছাত্রদলের মিছিলে দেখা যেত।



ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর নবীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি দাবি করেন, একরাম হত্যার ঘটনায় যেসব নাম প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বিএনপি বা এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পদ-পদবিধারী কেউ নেই।

অবশ্য এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছিলেন, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে একরাম খুন হয়েছেন৷ তিনি এ জন্য সাংসদ নিজাম হাজারীকে দায়ী করেছিলেন৷

সূত্র: বিডিহটনিউজ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৪৫

মাইরালা বলেছেন: হাম্বাগুলো নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করে খুনাখুনি করে লাশ ফালায় আর দোষ পরে বিএনপি জামায়াতের উপর। এটা কিছু কি হইল?

X( X( X( X( X( X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.