নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিএনপি করি।তাই কেউ নিরপেক্ষ লেখা আশা করবেন না।

নিউজ

নিউজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারা করেছে নতুন বিএনপি

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

ইউসুফ আহমেদ তুহিন: প্রায় সব সংবাদ মাধ্যমেই নতুন বিএনপি বেশ আলোচনায়।কোন একজন পাগল এসে আগামী কাল বলবে আমি মূল আওয়ামী লীগ, তাহলে সংবাদ মাধ্যম গুলো কি এমনই উৎসাহের সাথে সেই পাগলকে নিয়েই ব্যস্ত হতো?আমার মনে হয় না। তাহলে কেন বিএনপির প্রতি এতো বিমাতাসূলভ আচরণ।সব সময়ই আমাদের সংবাদ মাধ্যম গুলো চায়,বিএনপিতে ভাঙ্গন ধরুক।এটা কেন তাও বুঝি না।কিন্তু, সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্ব সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে সবার প্রতি সমান আচরণ করা।এমন কি যখন পত্রিকার ডিক্লারেশন নেওয়া হয়, তখন একটি ঘরে জানতে চাওয়া হয়, কোন মতের অনুসারী।সেখানে সবাই লেখে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ।কিন্তু, একটি পত্রিকাও কি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে সংবাদ পরিবেশন করে? তাহলে তো শুরুতেই যেখানে গলদ,সেখানে সংবাদ মাধ্যম জাতির তৃতীয় নয়ন না হয়ে চাঁদাবাজীতে ব্যস্ত থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
আমাদের সংবাদ মাধ্যমের কথা বললে এতো এতো খারাপ ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়, সেই আলোচনায় শেষ করা যাবে না।
কথা হচ্ছিল নতুন বিএনপিকে নিয়ে। নতুন বিএনপিতে যাকে আমরা সবাই দেখছি তিনি আমার ফেইসবুকেও ফেন্ড লিষ্টে আছেন, তার নাম কামরুল হাসান নাসিম।তাকে দেখলাম খুব আগ্রহ নিয়ে কৃষকদল যে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে তাও শেয়ার করতে।মানে তার নামে কোন ছোট খাট অনলাইনে নিউজ হলেও সে খুশী।প্রচার প্রিয় একজন মানুষিক বিকারগ্রস্ত রোগী।তার ফেইসবুকে তার ছবি দেখলেই তাই বুঝা যায়।
তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে কে এই নাসিম?
তিনি জননেতা ডট কম নামে একটা বাংলা চটি সাইট চালান।সংবাদের ন্যূন্যতম ধারনা না রেখে বিএনপির নানা রাজনীতিবিদের নাম করে চটি গল্প লেখেন।এমন কি খালেদা জিয়ার নামেও চটি গল্প লিখেছেন। এই ব্যাপারে আমরা নতুন বার্তার পক্ষ থেকে পুলিশের উচ্চ মহলে যোগাযোগ করে এটা সাইবার ক্রাইম কিনা জানতে চাই।তারাও এক বাক্যে স্বীকার করেন, এটা সাইবার ক্রাইম।এই অপরাধে যার জেলে থাকার কথা, তিনি এখন নতুন বিএনপি নাম করে সংবাদ সন্মেলন করে বেড়ান!
নিজেকে বিএনপির প্রকৃত অনুসারীও দাবী করেন!তিনি দাবী করেন তিনি কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।যদি তার দাবী সত্যি হয়, সেক্ষেত্রে তিনি যে কৃষক দলের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য তার পক্ষে অবশ্যই তথ্য প্রমাণ আছে।কিন্তু তিনি তা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।অন্যদিকে কৃষক দল থেকে জানান হয়েছে,তিনি এই দলের সাথে কোন কালেই ছিলেন না। তারপরও আমি যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই,তিনি কৃষক দলের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য, তাহলে কি তার এই ক্ষমতা আছে, তিনি বিএনপির পরিবর্তন করবেন? তিনি তো বিএনপির কেউ না তার দাবী অনুসারেই।বিএনপির একটি অঙ্গ সংঘটনের সাধারণ একজন সদস্য।তাহলে সে কি করে বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটিতে পরিবর্তন ঘটান?
নাসিম মূলতঃশাহেদা ওবায়েদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার হন। শাহেদা ওবায়েদ যখন নতুন দল গড়ব বাংলাদেশ করে তাতে তিনি মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেন। অন্য একটি দলের মুখপাত্র কি করে আরেক দলে সংষ্কার করে? এরচেয়ে আমাদের প্রধাণমন্ত্রী নিজেই এই দায়িত্ব পালন করাটা সুন্দর দেখাত না?
শাহেদা ওবায়েদ বিএনপি থেকে ফরিদপুরের তার স্বামীর আসনে নমিনেশন চান। সেখানে তার মেয়ে শ্যামা ওবায়েদও নমিনেশন চায়।বিএনপি শ্যামা ওবায়েদকে নমিনেশন দিলে তিনি গড়ব বাংলাদেশ গঠন করে।কিন্তু এই শাহেদা ওবায়েদ বিরুদ্ধে পুরো বিএনপির সময় স্বামীর নাম ব্যবহার করে শিক্ষাবোর্ডের প্রধাণ হয়ে অনেক দূর্ণিতির অভিযোগ রয়েছে।
তার গড়ব বাংলাদেশ ব্যর্থ হলে এই নাসিমকে দিয়ে জননেতা ডট কম নামে একটি সাইট করান।সেখানে বিএনপির নেতাদের নাম ব্যবহার করে নিয়মিত রগরগে চটি গল্প লেখা শুরু করেন।যা ষ্পষ্টতঃই সাইবার ক্রাইম। বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক তার নামে মামলা করলে তিনি সেখানে দোষী প্রমাণ হবেন।
এমন একজন লোক নতুন বিএনপি নাম করে যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছে।আর আমাদের সংবাদ মাধ্যম গুলোও তা প্রকাশ করছে! তাহলে আজ সংবাদ মাধ্যমের জবাবদিহিতা কোন পর্যায়ে পৌছেছে তাই প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক নয়? একজন সংবাদ মাধ্যমের লোক হিসেবে এই ব্যর্থতা এবং লজ্জ্বা থেকে আমিও মুক্ত নই।
এমন মানুষিক বিকারগ্রস্ত সুবিধাবাদী লোকদের ব্যাপারে সবার সচেতনতার সময় হয়েছে।ভবিষ্যতে তার কোন সংবাদ প্রচারে সবাই সচেতন হবেন এমনই আশা করছি।
ইউসুফ আহমেদ তুহিন: সম্পাদক, সাপ্তাহিক নতুন বার্তা
সূত্র: বিডিহটনিউজ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

কাহাফ বলেছেন: মিডিয়া নামধারী এই সব অধিকাংশই বদমাইশ!
স্বীয় স্বার্থ আদায়ে হেন কাজ নেই যা এরা করতে পারে না!!

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

নিলু বলেছেন: সাংবাদিকদের নুনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কি ?

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

নিউজ বলেছেন: সাংবাদিকদের কোন ন্যুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার হয় না।এখন বাসের ড্রাইভার, চা দোকানদার সবাই মাত্র ১ হাজার টাকা খরচ করলে সাংবাদিক আইডি সংগ্রহ করতে পারে। বাস ড্রাইভাররা এই আইডি সংগ্রহ করে ট্রাফিক পুলিশ থেকে বাচার জন্য আর চা দোকানদার রা পুলিশ থেকে বাচার জন্য্।অবশ্য আপনাকে যদি পত্রিকার সম্পাদক বা প্রকাশক হতে হয়, ন্যুন্যতম গ্রেজুয়েট হতে হবে। কিন্তু, মজার ব্যাপার হলো, বর্তমানে যেসব অনলাইন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে যেহেতু ডিক্লারেশনের দরকার হয় না, শুধু ৮০০ টাকা দিয়ে একটা ডোমেইন কিনলেই হয়, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও লাগে না। আমি নিজে এমন ৮-১০টি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদককে চিনি যারা ঠিক মতো নাম সাক্ষর করতে পারে না। তারা নিজেকে অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক দাবী করে। আর কার্ড বিক্রিতে শীর্ষে আছে এমন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম গুলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.