![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেবু: facebook.com/bdidol3x ফেবু পেজ: facebook.com/bdidolx
ক. কানাডাতে বাচ্চাদের অসুখ হলে সব ঝক্কি যায় বাচ্চার উপর আর তার মা-বাবার উপর। ডাক্তাররা বাচ্চাদের ঔষুধ দিতে খুবই কার্পণ্য করে বলে সাধারণতঃ যেকোন অসুখ-বিসুখেই ডাক্তারের কাছে নেয়া মানেই বিড়ম্বণা। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে আমার মেয়ের প্রথম বড় ধরণের অসুখ হলো। আকাশ-পাতাল জ্বর। মেয়ে পানি পর্যন্ত খাওয়া বন্ধ করে দিলো ২-৩ দিন ধরে। ৩য় দিন ডাক্তারে কাছে নিয়ে গেলাম। এখানে বাচ্চাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে প্রথমেই তার ওজন, তাপমাত্রা, কানের ইনফেকশান ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে রেকর্ড করা হয়। ডাক্তার দেখে বললো তার পানিশূণ্যতা হয়েছে কিনা। জানালাম এখনও অল্প-স্বল্প প্রস্রাব করছে। এরপর জানতে চাইলো তার আ্যক্টিভিটিজ কিরকম। স্বভাবতইঃ খাওয়া-দাওয়া না করার কারণে দুর্বল বলে জানালাম। ডাক্তার আমাকে বললো তার কানে খুব হাল্কা একটা ইনফেকশন দেখছি। আমি একটা আ্যন্টিবায়োটিক দিচ্ছি। তবে আরো দুই দিন অপেক্ষা করে দেখেন। জ্বর না কমলে এরপর খাওয়াবেন। সাথে জ্বর কমিয়ে রাখার জন্য এ কয়দিন যে প্যারাসিটামল টাইপের সিরাপ (বাচ্চাদের জন্য প্রেসক্রিপশন ছাড়া কিনতে পারা যায়--টাইনল ও এডভিল নামে সুপরিচিত) খাওয়াতে বললো।
দুই দিন পর রাতে আ্যন্টিবায়োটিক দিলাম, সে রাত থেকেই জ্বর চলে গেল।
খ. ডিসেম্বরে দেশে যাবার পর প্রথম ৮-১০ দিন ভালোই গেল। এরপর মেয়ে একদিন সকালের ঘুম থেকে উঠে হাল্কা বমি করলো-একবার পাতলা পায়খানা করলো। হাল্কা করে জ্বর আসলো। ভাবলাম পেটে কোন বাগ-টাগ ঢুকেছে। রোগের প্রকোপ বেশি নয় বলে সেদিন এমনিতেই দেখে কাটালাম। পরদিন জ্বর কমে গেল। কিন্তু খাওয়া-দাওয়া কমে গেল সে সাথে। পরেরদিন আবার এলো জ্বর। সাথে খাওয়া বন্ধ। ভাবলাম ডাক্তার দেখিয়ে আনি। কিন্তু সেদিন ছিলো শুক্রবার। কোন ডাক্তার নাকি নেই। পরেরদিন শনিবার সকালে ডাক্তারের চেম্বারে ফোন দিয়ে সিরিয়াল দিলো ১৮। এক আত্মীয়ের পরিচিত ডাক্তার। বললো সন্ধ্যা ৬ টায় চলে গেলে শুরুতেই দেখিয়ে দিতে পারবে। গেলাম ৬ টায়। ক্লিনিকে নানা ডাক্তার আর মানুষের ভিড়ে মোটামুটি মাছের বাজার। ৫ মিনিটেই বাচ্চা সহ আমরা ঘেমে-নেয়ে অস্হির। ডাক্তারের দেখা নেই। বসে থাকতে না থাকতেই এক হুজুর টাইপের ছেলে আসলো সাহায্যের জন্য। ডাক্তারের এসিসটেন্স এর সাথে সেই আত্মীয় কথা বললো। ৫০/- বিনিময়ে সিরিয়াল আগে করে দিবে বললো। মেয়ে বসে থাকতে চাইছে না গরমে আর মানুষের ভিড়ে।
২ নং সিরিয়ালে ডাক্তারের কাছে ঢুকলাম। ডাক্তাররে জানালাম সব। জ্বর-টর কিছুই মেপে দেখলো না। বাচ্চার মুখ হা করে টর্চ ফেলে বললো টনসিলে ইনফেকশান। আ্যন্টিবায়োটিক, কাশের ঔষুধ ফেনিড্রিল (উল্ল্যেখ্য ডাক্তার কয়েকবার জানতে চাইছিলো কাশি আছে কিনা, জানিয়েছিলাম হাল্কা কাশি। কানাডাতে ৬ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের কোন সর্দি-কাশির ঔষুধ নেই বলে মেয়েকে কখনও কাশির এলোপ্যাথিক ঔষুধ খাওয়াইনি। একটা হোমিওপ্যাথি পাওয়া যায় এখানে। সেটা দেই মাঝে মাঝে) আর একটা ভিটামিন সিরাপ দিলো। ডাক্তাররে জিজ্ঞাস করলাম টনসিলে সমস্যা হলো বমি আর পাতলা পায়খানা কেন করলো। উত্তর দিতে দেখলাম বড়ই অনিচ্ছুক (কথা বলতেই, সময় নষ্ট হচ্ছে)। বললাম কানাডাতে বাচ্চাদের ঔষুদের রেস্ট্রিকশনের কথা। বললো আ্যন্টিবায়োটিকটা খাওয়াতে। বাকিগুলো অপশনাল। অবশেষে ৫-৬ মিনিট পর ৫০০/- দিয়ে বের হয়ে আসলাম।
এসিসটেন্ট পিছু ধরেলো। এরমধ্যেই টের পেয়েছে আমরা প্রবাসী। ১০০/- বখশিষ দিয়ে বের হয়ে আসলাম শীতের আরামের ঠান্ডায়।
আ্যন্টিবায়োটিক ছাড়া অন্য ঔষুধ গুলো খাওয়ানো হয়নি। মেয়েও কানাডা ফেরৎ না আসা পর্যন্ত সেভাবে সুস্হ হয়নি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৮
বিডি আইডল বলেছেন: তারা রোগী দেখে পয়সা নিক...এটাতে বোধহয় কারোই আপত্তি নেই...সমস্যাটা তাদের পেশাগত সততা নিয়ে
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৩
না পারভীন বলেছেন: ভাই , আমি যদিও শিশু ডাঃ না ,তবুও বিডির বাচচাদের গলা সংক্রান্ত কিছু হলে শুধু এন্টিবায়োটিক না ব্রর্ড স্প্র্রেকটাম এন্টিবায়োটিক দিতে আগ্রহী ।
আমাদের ঘরের বাচ্চাও একই চিকিৎসা পায় ।
যদিও বড় শিশু ডাঃ তা অনেক সময় দেয়ন ।
কারণ একটা জীবানু আছে যা ক্রস রিএকসন করে হার্টের ভালব নষ্ট করে ,কিডনি নষ্ট করে ।
লো সোসিও ইকোনোমিক এরিয়ায় যা কমন ,হায়ার ক্লাসে তা হয়না ।
রিস্ক বেনিফিট জাজ করে দেওয়া যায় ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৭
বিডি আইডল বলেছেন: এখানে বাচ্চাদের সাধারণ: এন্টোবায়োটিক দেয়া হয়...কিন্তু দেশে যেটা দেয়া হলো সেটা বেশ উচ্চমাত্রার ঔষুধ দেখলাম
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯
শ্যাডো ডেভিল বলেছেন: সব পেশার মতই এখানেও মরা চাল আছে..। ৫০০ টাকা ভিজিট জখন দিছেন, আরও ভালো সেবা পাওয়ার দাবীদার আপনি.....যাই হোক, আপনার মেয়ের অসুখের বিবরণ শুনে মনে হলো ও ট্রাভেলারস ডাইরিয়াতে ভুগতেছে..টাইফয়েডও হতে পারে....(জুনিয়র ডাক্তার হিসাবে মতামত দিলাম আরকি,রোগী না দেখেই..ভুল হলে মাফ করে দিয়েন নিজ গুণে)
ক্লিনিকে না গিয়ে আপনি যেকোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তারকে আপনার বাচ্চাকে দেখাতে পারেন/পারতেন, খরচও কম পড়ত,ভাল সেবাও পেতেন...।
(বাংলাদেশের সব ডাক্তার কসাই না) ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৬
বিডি আইডল বলেছেন: টাইফয়েড না...হলে বমি, পায়খানা আরো হত। হাসপাতালে যাওয়ার কথা আমি বলেছিলাম...বাসার কেউ সায় দিলো না।
মেয়ে এখন সুস্হ আছে আল্লাহর রহমতে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৬
বিডি আইডল বলেছেন: ডাক্তারদের কসাই বলি নি। তবে নূন্যতম প্রফেশনাল এথিকস আশা করাই যায়।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৬
সাত সাগেরর মাঝি বলেছেন: বাংলাদেশের সব ডাক্তার কসাই না
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৮
হাবিবউল্যাহ বলেছেন: বিডি ভাই, আমার শ্বশুড়ের পরামর্শ মতে বাংলাদেশে এই পন্থাই সবচেয়ে ভাল।
"ক্লিনিকে না গিয়ে আপনি যেকোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তারকে আপনার বাচ্চাকে দেখাতে পারেন/পারতেন, খরচও কম পড়ত,ভাল সেবাও পেতেন...""
এবং ফলাফল অবশ্যই অন্য জায়গা থেকে ভাল।
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০২
ইনো বলেছেন: ধরি, আপনি প্রফেসর লেভেলের কোন ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন । এবং আরো ধরে নিই এদেশে প্রফেসর লেভেলের কোন ডাক্তারের মাসিক আয় ৫ লাখ এবং ব্যয় ১ লাখ । এক্ষেত্রে বলতে পারি বাংলাদেশে তিনি আছেন উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে ।
এবার কানাডায় একই লেভেলের একজন ডাক্তারের আয়-ব্যয় বা তার সামাজিক অবস্থান এর যদি একটা মুটামুটি ধারণা দিতে পারেন ?
[ just curiosity ]
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
না পারভীন বলেছেন: উচ্চমাত্রার ??
শিশুদের কিন্তু ওজনের সাথে ডোজ হিসেব করা থাকে ।
অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ কি এটা ভাঙ্গে ?জানা নাই ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
ঝড়ের শিশু বলেছেন: ভাই আমাদের দেশের ডাক্তারেরা নিজেদের চিকিত্সায় ব্যস্ত..রোগীরা তাদের কাছে টাকা বানানোর মেশিন মানুষ না..