![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক অনেক অনেক কাজ করার বাকি...................... কিন্তু চলে যাওয়ার ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেল...
বিয়াল্লিশ বছরের শাসন কর্তার মৃত্যু হয়েছে। একেবারে ছেলে খেলার মতই তার মৃত্যু। জীবিত অবস্থায় ধরা পড়ার পর একেবারে লিবিয়ান অস্থায়ী সরকারের সমর্থিতরা বা লিবিয়ার বিদ্রোহীদের একেবারে সাধারণের হাতেই এই কর্তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর ধরণ নিয়ে এখনো অনৈক জল্পনা কল্পনা থাকলেও মৃত্যু যে হয়েছে সে বিষয়ে সারাবিশ্ব একমত। আর তিনি হলেন মোয়াম্মার গাদ্দাফি। লিবিয়ার ৪২ বছরের শাসনকর্তা।
আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদ করি। কারণ তিনি ৪২ বছর শাসন করেছেন। আর এই দীর্ঘ সময় শাসনকর্তা হিসেবে পাড়ি দিতে পেরেছিলেন জনপ্রিয়তা ছিল বলেই। জনপ্রিয়তা একেবারে না থাকলে ৪২ বছর পথ পাড়ি দেয়া কারোর পক্ষেই সম্ভব হত না। আমি ঘৃণা করি তার ঐ সমস্ত কাজকে যা মানবতা বিরোধী, যা ছিল একনায়কতন্ত্র।
এসকল কিছুই এখন আর আমার চিন্তার বিষয় নয়। কারণ গাদ্দাফির মৃত্যুর মধ্যদিয়েই এই সকল কর্মকান্ড ইতিহাস হয়ে গেছে। চিন্তার বিষয় হল মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ইঙ্গ-মার্কিন জোটের আগ্রাসী চেহারার ধরণ দেখে।
মার্কিনী আগ্রাসনে প্রথমে আফগানিস্তান, তারপর ইরাক......এখন পাকিস্তানে চলছে ধংসের লীলা খেলা। এখন দক্ষিণ এশিয়াতে মার্কিন সাম্রাজ্যের বড় বন্ধু হচ্ছে ভারত। কারণ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার মধ্যে ভৌগলিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশ ভাল অবস্থানে আছে। এছাড়া ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ চীন একটি বড় শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। ভারতও ক্রমশ শক্তিশালী অর্থনীতির চেহারা ধারণ করতে যাচ্ছে। ভারতৈ বিশ্বসেরা কোম্পানীগুলো সরাসরি বিনিয়োগ করে পন্য উৎপাদন করছে। যে কোম্পানীগুলো আগে এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে এখনো চীনের উপর নির্ভর করে আছে। তারা ধীরে ধীরে ভারতগামি হচ্ছে।
অন্যদিকে, চীনা অর্থনীতির সঙ্গে কোনভাবেই পেরে উঠছে না মার্কিন সরকার। চীনও মার্কিন সরকারকে তেমন একটা তোয়াজ করে না। এছাড়া চীন বর্তমানে ইরান ও মায়ানমার থেকে তাদের জ্বালানী সংগ্রহ করছে। এই কারণে এই দেশদুটির সঙ্গে চীনের রয়েছে নানামুখী বাণিজ্য ও সরকারি পর্যায়ে নানা চুক্তির আওতায় উন্নয়ন সহযোগিতা। এই সবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইরান ও মায়ানমারকে অস্ত্রে সমৃদ্ধ করতে চীন অনেক আগে থেকেই সহযোগিতা করে আসছে। আর এই দেশদুটিই হচ্ছে মার্কিন সাম্রাজ্যের চোখের বিষ। গাদ্দাফির মৃত্যুর প্রক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ওবামা বলেছেন,.........এখন ইরান বিষয়েও বিশ্বকে ভাবতে হবে.................। আর মায়ানমারের বিরুদ্ধে তো মার্কিন প্রচারণা নতুন কিছু নয়। মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার এই দুটি দেশে মার্কিন কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারলে ইঙ্গ মার্কিন লালসার ৫০ শতাংশ চরিতার্থ হবে বলেই বিজ্ঞজনরা মনে করেন, আমিও করি।
এর সঙ্গে ভাবতে হবে..............................
ইঙ্গ মার্কিন পক্ষীয় যুদ্দের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ দখল করে নেয়া। যেমনটা করেছে ইরাকে। আর আফগানিস্তানে জ্বালাণী সম্পদ নিয়ে কাজ করছে মার্কিন কোম্পানীগুলো। আফগানিস্তান থেকে পাইপ লাইনে গ্যাস যাবে ইউরোপে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একবার প্রকাশেই বলেছিলেন..................‘গ্যাস রপ্তানী করতে রাজি হইনি বলে ক্ষমতায় আসতে পারিনি’।
আর এই কারণে এসকল ভাবনা পচা মাথা প্রসূত হলেও ভাল মাথাকে একটু ভাবতে হবে..............
©somewhere in net ltd.