![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক অনেক অনেক কাজ করার বাকি...................... কিন্তু চলে যাওয়ার ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেল...
১.
সকাল সাড়ে নয়টার পরে বাসায় দৈনিক পত্রিকা আসলো। এর আগেই মন কেমন জানি অস্থির হয়ে উঠছিলো। খবরের কাগজটা দেখতে হবে। হয়ত পত্রিকায় চাকুরী করার সুবাদে অভ্যাসবশত এটা হয়েছিল। প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টার পরে খবরের কাগুজের দেখা মেলে। তারপরেও আজকের দিনটা একটু আলাদা। কিছু তাৎপর্যও আছে। আর হয়ত এই কারণেই স্বজ্ঞান মনে হকারকে মনে মনে কয়েকটা গালিও দিলাম।
অবশেষে নয়টা বেজে ঘড়ির কাটা যখন দশটা প্রায় ছুইছুই আর তখনই কলিং বেলটা বেজে উঠল অনেকটা বিকট শব্দেই। খবরের কাগজের জন্য দরজা খুলে এসে দাড়ালাম। আর বারান্দার ফ্লোরে পড়ে থঅকা কাগজে দেখলাম তিনজন পুলিশ মিলে একটি লাশ পুলিশেরই গাড়ি তুলছে। ছবিটা দেখতে দেখতেই কাগজটা তুলে নিলাম। ছবির নিচে ক্যাপশনে লেখা চাদঁপুরে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত লিমনকে পুলিশ গাড়িতে তুলছে। পাশেই আরও তিনটি ছবি ছেপেছে পত্রিকাটি। আর সেখানে লিখা ছিল ওই একই ঘটনায় নিহত আবদুল মৃধা,রুবেল ও আবুল কাশেম। আর পুরো পত্রিকা জুড়েই ছিল বিএনপি গণমিছিল চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানের সংঘর্ষের খবর। এখানে বলা প্রয়োজন, বিএনপি সারাদেশ ব্যাপী গণমিছিলের ডাক দিলেও ঢাকা সহ কয়েকটি বিভাগীয় শহরে তাদের কর্মসুচি একদিন পিছিয়ে আনে। কারণ ২৯ জানুয়ারি, একইদিন আওয়ামী লীগও সমাবেশ আহবান করেছিল। ফলে সংঘর্ষের আশংকায় ঢাকা মহানগর পুলিশ ২৪ ঘন্টার জন্য সকল ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে।
মজার বিষয় হল ২৯ তারিখ রাতে বিএনপি এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়ে ৩০ তারিখ রাজধাণীতে গণমিছিলের কর্মসুচি ঘোষনা করে। একইদিন আওয়ামী লীগও সমাবেশ কর্মসুচি আহবান করে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ৩০ তারিখ রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি রাজশাহীতে জোটের শরীক দল জামায়াত ইসলামী গণমিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। ওই সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে একজন শিবির কর্মী নিহত হয়। গত দুইদিনে সব মিলিয়ে ৫ জন নিহত হল। তার মানে দাড়াল বাংলাদেশের রাজনীতি আবারও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রেস কনফারেন্স করে ব্যর্থ সেনা অভুত্থানের খবর দিয়েছেন। পাশাপাশি বর্তমানে দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভাল নয়। ব্যাংকগুলোতে নেই টাকা। মুল্যস্ফীতি বেড়ে চলছে। বিনিয়োগ নেই। সবমিলিয়ে আমরা কেমন জানি একটা গুবলেট অবস্থায় আছি।
......................................
২. একইদিন পত্রিকার খবরে আরও একটি গুরুত্বপ–র্ন সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশে প্রবাসী বাঙালীরা বিনিয়োগ করতে এসে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, অনেক বিদেশী কো¤ক্সানী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে বিনিয়োগ করার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু এদেশের দুনীর্তিপরায়ন সরকারি কর্মকর্তা ও আমলাদের দাপটে তারা এই দেশকে বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ মনে করেনি। আসুননা বিনিয়োগের সংবাদটি পাঠ করি.....................................
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে প্রবাসীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে গিয়ে তিক্ত-অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে দেশের এসব কর্মকর্তাদের সম্পর্কে পাশ্চাত্যে জন্মগ্রহণকারী প্রজন্মের বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ৫২ দেশের ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাই ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সে’র ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান। আতিকুর রহমান ২৮ জানুয়ারি প্রদত্ত এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, দেশে গিয়ে বিনিয়োগের উৎসাহ অবদমিত হচ্ছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে।’ তিনি বলেছেন, গত দু’বছরে বেশ কিছু প্রবাসী বিনিয়োগে আগ্রহী তাদের বিদেশি বন্ধুদের বাংলাদেশে নিয়ে যান।
কিন্তু সরেজমিনে ঘোরাফেরা করে কেউই সন্তুষ্ট হননি। সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর কিছু কর্মকর্তার আন্তরিকতা নেই বললেই চলে। জনাব আতিক অভিযোগ করেন, দুর্নীতির কাছে নতি স্বীকার যারা করছেন তাদের কাজ হচ্ছে। কিন্তু প্রবাসীরা ঘুষ দিতে অভ্যস্ত নন বিধায় তাদের নানা ধরণের জটিল পরিস্থিতিতে ফেলা হচ্ছে। জনাব আতিক বলেছেন, প্রবাসীদের বিনিয়োগ প্রকল্পে ট্যাক্স মওকুফের সুবিধাও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে এসে একাধিকবার আহবান জানিয়েছেন স্বদেশে বিনিয়োগের জন্যে এবং বিনিয়োগে আগ্রহী প্রবাসীদের সর্বাত্মক সহায়তার অঙ্গীকারও করেছেন। কিন্তু বাস্তবে সে চিত্র দেখা মিলছে না কিছু কর্মকর্তার কারনে। এ ব্যাপারে প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।”
আজ এইটুকুই............................
©somewhere in net ltd.