নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একান্ত আমি

হাসান অাজাদ

অনেক অনেক অনেক কাজ করার বাকি...................... কিন্তু চলে যাওয়ার ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেল...

হাসান অাজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকল ফ্রন্টের সঙ্গে যুদ্ধ কেন? ১/১১ কি ফিরছে

০১ লা আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৩৬

মহাজোট সরকারের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ নেতা এবং প্রধাণমন্ত্রী স্থানীয় ও আর্ন্তজাতিক বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষের সঙ্গে বৈরি আচরণ করছেন। আর এই বৈরি আচরনের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক মেরুকরণের নয়া দিক খুলছে বলে অনেকেই মনে করছেন। অনেকে বলছেন, আর্মি ব্যাক গর্ভমেন্ট আসবে, অনেকে বলছেন সিভিলিয়ানদের হাতে ক্ষমতা আসবে। কোনটা আসবে সেটা মুখ্য নয়। কারণ যেই আসুক না কেন ক্ষমতার চেয়ারের রং ছাড়া আর কোন কিছুই পাল্টায় না। ফলে সামনের দিন যে আম জনতার জন্য মোটেই সুখবর আনছে না তা আমরা বলতে পারি। অনেকেই আবার আমার এই কথাকে অতিকথন বলেও মন্তব্য করতে পারেন।



পদ্মাসেতু। অনেক আকাংখিত, এখনও আকাংখিত। কিন্তু হবে কিনা তা নিয়ে আমজনতার মত আমিও সন্দিহান। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে গায়ে পড়ে ঝগড়া বাধানো এবং ওই ব্যাংকের অভিযোগ স্বীকার করে দুনীর্তির দায়ে একজন মন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। আবার এটা ঘটেছে সরিয়ে দেয়া মন্ত্রীকে দেশপ্রেমিকের সনদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশ্ন হচ্ছে , শুরুতে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ কেন আমলে নেয়া হগল না ? পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে বিশ্বব্যাংক দুনীর্তির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তা প্রকাশ করার কথা বললেও সরকার টালবাহানা করে। পরে পদ্মাসেতু ঋণচুক্তি বাতিল করলে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ এক ব্যাক্তির কাজ বলে মন্তব্য করেন। এসময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ড. ইউনুসের কাজ বলেও সরাসরি মন্তব্য করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী এবং তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী আবুলকে সরিয়ে দেয়া হয়। এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব্যাংকের কথা অনুযায়ী আবুলকে সরানো হল। এছাড়া বেশকয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকেও সরিয়ে দেয়া হয়। তিনি এও বলেন, এবার যদি বিশ্বব্যাংক ঋণের বিষয়টি পুর্নবিবেচনা করে। সরকারও বিশ্ব্যাংকের মধ্যে সর্বমেষ অব্স্থা বিবেচনায় বিশ্ব্যাংকের অপর সহযোগি ব্যাংক এডিবি ও জাইকাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তাদের ঋণের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছে।



এদিকে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিলা সম্প্রতি গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকান্ড, টিকফা চুক্তি ছাড়া ব্যবসায়িক চুক্তি নয় এবং পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দ্বন্ধ সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারের সমালোচনা করছেন। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে মার্কিন মুল্লুকের কোন কথাই এই সরকার রাখেনি। বরং তীব্র সমালোচনা করেছে। এতে করে মার্কিন প্রশাসনের অসন্তোষ ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে।



এছাড়া র‌্যাবের বিচার বর্হিভুত হত্যাকান্ড নিয়ে আর্ন্তজাতিক মানবধিকার সংস্থার সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে সরকার।

এদিকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীর জাতয়ি নির্বাচন সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির অধীনে অর্ন্তবর্তীকালীন মন্ত্রি পরিষদ গঠন এবং তাতে বিরোধী ধলকে যোগ দেয়ার আহবান জানালে বিরোধী দল এতে তীব্র সমালোচনা করে এই ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে থাকছে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। পাশাপাশি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দরীয় জোটের শরীকদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামণে গাড়ি পোড়ানোর মামলা বিএনপির ভািরপ্রাপ্ত মহাসচিব সহ অনেকের বিরুদ্ধে চার্জশীট জমা দেয়া হয়েছে। এই অবস্থায় সরকারও বিরোধী দল মুখোমুখি অবস্থান করছে।

এছাড়া দেশের সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সহ সকল পরিস্থিতিই খারাপের দিকে..............................



এই অবস্থায় প্রধান দুটি দলের পরস্পর বিরোধী অবস্থান এবং সকল পরিস্থিতি বিবেচনায় আনলে সামনে কি আবারও ১/১১ আসছে ? এমন প্রশ্নই জাগে ?



আপনি কিছু জানলে আওয়াজ দিয়েন..........?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.