![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাম অনিক । মনে প্রাণে একজন বাংলাদেশী । দেশের বাইরে আছি কিন্তু মন পড়ে থাকে দেশের জন্য । দর্শন এবং বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পছন্দ করি । গান শুনি । বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। [email protected]
মস্তিস্ক নামক অঙ্গটি ১৫ সেন্টিমিটারের ব্যাসের একটা গোলকের চেয়েও ক্ষুদ্রাকার। সেই সীমাবদ্ধ যন্ত্রে অসীম জগত্ যে আঁটবেনা তা ধরে নেয়া সমীচিন । মহাবিশ্বের এক প্রান্তে অতিকায় গ্যালাক্সি, কৃষ্ণ গহ্বর আর অন্যদিকে অণুপরমাণু কোয়ার্কের ধারণায় আমাদের চিন্তা আটকে আছে।
Cosmic Voyage ফিল্মের ক্লিপ থেকে আমাদের জানার পরিধিটির ধারণা পাওয়া যায়।
যত সময় যায় জ্ঞান বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সত্ত্বেও সীমাবদ্ধতার কথাটি প্রকট ভাবে উঠে আসে, আমরা ভাবি কতদুর আমাদের বোধক্ষমতার আওতায়।বিজ্ঞানী নিউটন একবার সমুদ্রেতটে নুড়ি কুড়ানোর কথা বলেছিলেন। বাস্তব যেন তাকেও হার মানায়।
শুধু মস্তিস্ক কেন ৫/৬ ফুট লম্বা মানুষ নামক এই দ্বিপদী জন্তুটির সীমাবদ্ধতা সব কিছুতেই। চোখের কথাই ধরি। অনেক মেঠো সাপ স্বল্পতরঙ্গের আলো দেখতে পায়। মানুষ দেখা দুরের কথা এর অস্তিত্বই টেরই পায়না । অনেক পতঙ্গ নিজের দেহের চারপাশ দেখতে পায়, আমরা দেখি একদিক। আলোর ওঠানামা পর্যবেক্ষণে আমরা অতিশয় দুর্বল। সেকেন্ডে ১০ টি বল চোখের সামনে উড়ে গেলে তাদের আলাদা করে দেখার ক্ষমতা আমাদের নেই । তিন পাখার সিলিং ফ্যান ঘুরছে উপরে । কিন্তু মনে হচ্ছে যেন গোল চাকতি। অবশ্য চিত্রপরিচালকেরা চোখের এই মধুর অক্ষমতার সুযোগ নিচ্ছেন। ঐশ্বরিয়ার যে নাচ দেখে শীষ দিয়ে উঠতি যুবক বেরিয়ে গেল সিনেমা হল থেকে সে আসলে কয়েক লক্ষ নির্জীব ছবি দেখেছে ঐশ্বরিয়ার, শুধু দ্রুত টেনে নেয়া হয়েছে এই যা। সামান্য আলোতে দেখায় আমাদের বদনাম অনেক। মাছির চোখ আমাদের চেয়ে অনেক বেশী স্মার্ট, নচ্ছার তেলাপোকাও সামান্য অন্ধকারে চোখের জ্যোতি হারায় না আমাদের মত।
শুধু তাই না, কান নামক যে শব্দযন্ত্রটির উপর এত আস্হা। তার ক্ষমতা তো আরো হাস্যকর। আমাদের কানে সেকেন্ডে ২০ বারের কম বাতাসের দোলা মানে নিরবতা। ঝিঁঝিঁ পোকার চেয়ে একটু কড়া আওয়াজ হলেও কর্ণকূহরের বেল নাই। অথচ অবলা বাদুর এক্সপার্টের মত সেসব শব্দ শুনছে। রেডারীয় পদ্ধতিতে পথও খু্ঁজে নিচ্ছে তা দিয়ে। এমন কি পায়ের ধারে লেজ নাড়ছে যে বিড়াল তার কানটিও আমাদের লজ্জা দেবে।
অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে দেহকাঠামোতে, শক্তিতে খুব গর্ব করার মত কিছু নেই। চিতাবাঘের এমন কি বুনো কুকুরের ক্ষিপ্রতার ধারে কাছে নেই মানুষ। আকারে হস্তীর সঙ্গেও পাল্লা দেয়ার উপায় নেই। পরিবেশে বদলে গেলে তেলাপোকারা টিকে থাকবে আমরা মরে যাব। জীবন কাল বা আয়ুতে কচ্ছপ বা কুমিরের সঙ্গে তুলনা করলে অসহায় মনে হবে । এমন কি প্রজনন ক্ষমতায়ও খরগোশ আমাদের লজ্জা দেবে।
সীমাবদ্ধতার মধ্যে অতিসীমিত পরিসরে আমাদের অবস্হান। গড়ে ৬০/৭০ বছরের এর ড্রাইসেল ব্যাটারীর মত ওয়ান টাইম চার্জের জীবনে, পুর্ণবয়স্ক হতেই লাগে ১৮/২০ বছর । তারপর ৩০ পেরোতে পেরোতে চোখ, কান, ত্বক, চিন্তাক্ষমতা, স্মরণ শক্তি লোপ পেতে থাকে। সুতরাং সীমায় পেরোনোর দৌড়ে খুব বেশী কিছু করার উপায় থাকে না।
কিন্তু তার পরও অন্য প্রাণীর চেয়ে নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ ভেবে আত্মতুষ্টি লাভ করি। একমাত্র মস্তিস্কের কারণে।
২০ বিলিয়ন নিউরোকর্টিয়াল নিউরনের শক্তিশালী সিস্টেমের বদৌলতে সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের সান্ত্বনা যে, এটি সর্বাধিক শক্তিশালী কম্পিউটারের চেয়ে জটিলতর বিশ্লেষণী ক্ষমতার অধিকারী। ১.৩ কেজির এই ছোট মগজে পেচিয়ে রয়েছে ২.৫ বর্গমিটারের কর্টেক্স যা বিছিয়ে দিলে একটি টেনিস মাঠের কাছাকাছি এলাকা দখল করবে। শরীরকে সামলাতে, বাঁচিয়ে রাখতে আমৃত্য ব্যস্ত সে । চিন্তাকোষগুলোতে চলে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম আদান প্রদানের এক নিরবিচ্ছিন্ন খেলা। ২৫০ মাইল বেগে শরীরের এমাথা ওমাথা সঙ্কেত পৌছে দিতে প্রস্তুত থাকে এই অবিশ্বাস্য গতির স্নায়ুর নেটওয়ার্ক ।
বলাবাহুল্য মস্তিস্ক তথা স্নায়ুজালিকার জটিলতার প্রধান দুটো আদিম দায়িত্ব হলো আত্মরক্ষা এবং জীবন ধারণ। কিন্তু মানুষ এই মৌলিক চাহিদা অতিক্রম করে নিজেকে প্রশ্ন করে নানান প্রশ্ন। প্রশ্ন করা যেন মানুষের জন্মগত বৈশিষ্ট্য।
অবশ্য মগজের কম বেশী অস্তিত্ব পাওয়া যায় অন্যান্য অনেক প্রাণীতে। খাদ্যগ্রহণ এবং বংশবৃদ্ধিতে যখন অন্য সব প্রাণী তুষ্ট, তখন (সব না হলেও অন্তত: কিছু) হয়তো মানুষই প্রথম প্রাণী যারা জানতে চেয়েছে জগতের রহস্য? জানতে শেখার পর তার মৌলিক প্রশ্ন হলো, আমি কে? আমি কোথা থেকে এসেছি? আমি কোথায় যাব? ইত্যাদি? এ এক বড় বিরাট জিজ্ঞাসা কেন কোন কারণ ছাড়াই জ্ঞানার্জনের জন্য আগ্রহী হয় মানুষ? বৃষ্টি, বজ্রপাতের মধ্যে দাড়িয়ে প্রকৃতির বিদ্যুৎকে বন্দী করতে চায়? কেন রাতের পর রাত ঘষা লেন্সের দুরবীনে চেয়ে রয় আকাশের দিকে? কেন মৃত মানুষের দেহ কেটে দেখতো চায় দেহ রহস্য? কেন দিনের পর কেন সমাজ সংসার ধর্মের রীতিনীতি ভেঙে আবিষ্কারের নেশায় ছুটে চলে দেশ দেশান্তরে? সে যেন তার সীমাকে পেরিয়ে উঁকি দিতে চায় জটিলতম উত্তর জানতে।
প্রাচীন দার্শণিকরা এই নেশাটির এক সরল সংজ্ঞা দিয়েছিল, অন্ধকার ঘরে একটি অন্ধ মানুষ একটি কালো বেড়ালের সন্ধান পাওয়ার জন্য হাতড়িয়ে মরছে। কিন্তু কেন ধরে নিচ্ছে একটি বেড়াল আছে সেখানে? যদি অন্ধ হয় তবে এটি যে একটি ঘর তারই বা নিশ্চয়তা কী? বিড়ালই অন্ধ লোকের হাতের নাগালে থাকবে কেন? যদি হয় দেয়ালহীন অসীম মাঠ, তবে কী কোনদিন বেড়াল থাকলেও জানা যাবে?
সীমাবদ্ধ জ্ঞান সত্ত্বেও সমষ্টিগত জ্ঞান বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত করার জন্য মানুষ জ্ঞানকে লিপিবদ্ধ করেছে। এই জ্ঞানের সমাহার কে সে নাম দিয়েছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান যেন একটি সাময়িক বিশ্বাস। চিরন্তন কিছুর জন্য অপেক্ষা না করে, যে সব তত্ত্ব দিয়ে চলমান ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা যায় তাকেই স্হান দেওয়া হয় বিজ্ঞানে। ধরেই নেয়া হয় সব তত্ত্ব পরিবর্তনশীল। ভুল না ধরা পড়লে ভুলেই চলতে থাকতে হবে এই যেন জ্ঞানের একমাত্র উপায়। যখন ভুল ধরা পড়বে ছুড়ে ফেলে দেয়া হবে পুরনো তত্ত্ব এবং সাদরে গ্রহণ করা হবে নতুন তত্ত্ব।
জ্ঞানের অন্যতম সীমাবদ্ধতা হলো মানুষের ইন্দ্রীয়গ্রাহ্য অভিজ্ঞতার বাইরে আমাদের চিন্তা করার উপায় নেই। এ বিষয়ে একটি মজার কাহিনী আছে। প্রথম যখন টেলিফোনের আবিস্কার হয় তখন অনেকে এর বিষয়ে নানান কথা তুলছিল। লোকজনকে বিশ্বাসই করানো যাচ্ছিল না যে যাদু টোনা ছাড়া অনেক মাইল দুরে শব্দ পৌছানো যাবে। তখন বলা হয়েছিল ধরুন, একট কুকুর পাওয়া গেছে যার লেজ বোষ্টনে আর মাথা নিউজার্সিতে । বোষ্টনে লেজে টান দিলে কুকুরটি নিউজার্সিতে ডেকে ওঠবে না? তখন সঙ্গে সঙ্গে সবাই সেটা সহজে বুঝতে পারলো। কিন্তু সমস্য বাধলো যখন ওয়্যারল্যাস ফোন এল। তখন আবারো বলা হল অবশেষে এমন একটি কুকুর পাওয়া গেছে যেটি অদৃশ্য।
অভিজ্ঞতালব্ধ সংস্কারের একটি উদাহরণ হলো শুরু এবং শেষ জানতে চাওয়া। আমরা জানি ১, ২, ৩, ৪, ৫.. এভাবে এক করে যোগ করতে থাকলে তা শেষ হয় না। আবার ০.১, ০.০১, ০.০১ এভাবে ছোট করতে থাকলে তারও শেষ নেই। তবুও প্রশ্ন জাগে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ছোট সংখ্যা কত। গণিত বলছে সংখ্যার কোন সীমা নেই। শেষ শুরু ভাবতে চাওয়ার মানে নেই। কিন্তু মন সায় দেয়না । তাই ইঞ্চি দিয়ে, মাইল দিয়ে, আলোক বর্ষ দিয়ে মেপে হলেও জগতের সীমা খুঁজতে থাকি, হয়তো অযথাই। (অবশ্য আফ্রিকার বুশম্যানরাই আরামে, তারা তিনটি সংখ্যা নিয়ে সন্তুষ্ট: ১,২ এবং অনেক। চিন্তা না করলে আসলেই আরাম।)।
"সৃষ্টি" শব্দটি আরেক অদ্ভুত টার্ম। জন্ম থেকেই দেখে আসছি আমরা বিদ্যমান এক বস্তুময় বিশ্বে। যদিও আমরা কাজের প্রয়োজনে গাছ কেটে আসবাব সৃষ্টি করেছি, খনির লোহা তুলে ইস্পাতের অস্ত্র সৃষ্টি করেছি। কিন্তু সবই এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে রূপান্তর ছাড়া কিছু না। আমরা নতুন কাঠামোয় রুপান্তরের কৃতিত্ব দিয়েছি নিজেদের। প্রকৃতির মধ্যে যখনই কিছু দেখি আমরা যেন নিজের অজান্তেই খুঁজে ফিরি কেউ না কেউ সেই সৃষ্টির জন্য দায়ী ।
সৃজনশীলতা আমাদের নিত্যসঙ্গী, হয়তো সৃষ্টির পিছনে কাউকে না পেলে মন ধাক্কা খায়। তবে কি এই কর্তা খোঁজার চেষ্টাটিও নিছক সংস্কার? নাকি সত্যিই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া জগতের রহস্যের ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব নয়? যদি সৃষ্টিকর্তা শ্বাশ্বত একটি প্রশ্ন হয় তা কি স্পিনোজার মডেলের মত নিরীহ হবে যে সমগ্র বিশ্বকে নিজের অংশ বলে মনে করে কিন্তু শাস্তি বা পুরষ্কারের জন্য নিয়োজিত করে না। নাকি সেই সৃষ্টিকর্তাই সঠিক যার অস্বীকারে কঠোর শাস্তির বিধান, যার দাসত্বে অসীম চিরস্হায়ী দেহসুখের নিশ্চয়তা? নানান ভাবে মানুষ স্হান-কাল-পাত্র ভেদে নিজেদের কে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছি নানান কায়দায়।
আইনস্টাইন বলতেন, I am deeply religious non-believer
কেউ বলবে এখনও উত্তর খু্ঁজছি, কোনদিন অবশ্যই পাবো । কেউ গভীরে না গিয়ে গোজামিল কোন তত্ত্বে বিশ্বাস করতে থাকবে। কেউ বলবে উত্তর কোনদিনই জানা সম্ভব হবে না - কেননা সীমিত মগজ, সীমিত জ্ঞান, সীমিত জীবনকাল।
পুনশ্চ: শৈশব থেকে একটি সরল প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেত, ধরা যাক সীমিত জ্ঞানের কারণে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে ব্যর্থ হই, যদি মনে বিশ্বাস আনতে চেয়েও বিশ্বাস খুঁজে না পাই তবে এর জন্য কি ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত? যদি হয় তবে এ যেন কুকুরের মগজে ক্যালকুলাস ঢুকবেনা জেনেও কুকুরকে গণিত অকৃতকার্য বলে উত্তম মধ্যমের সিদ্ধান্ত!
--------------------------------------------------------------------
কৃতজ্ঞতা: Click This Link
--------------------------------------------------------------------
গতপরশু নিরাপদ ঘোষিত হওয়ার পর এটি আমার প্রথম পোষ্ট। সামহোয়ারের নিকট বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ!
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৩৮
সোজা কথা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার সুচিন্তিত মতবাদের জন্য অপেক্ষা করবো।
২| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:১৯
সাহোশি৬ বলেছেন: প্রিয়তে
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১:২৯
সোজা কথা বলেছেন: ধন্যবাদ। সময় পেলে বিস্তৃত কমেন্ট করবেন।
৩| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৪১
কেল্টূ দা বলেছেন: পুরাটা পড়লাম, কঠিন লিকছেন । অনিক মিঞারে ধইন্যা ।
অঃটঃ কৃতজ্ঞতা: Click This Link ...
৪| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৪৮
কেল্টূ দা বলেছেন: সুচিন্তিত আর কিছু কওয়ার বাকি রাকছেন যে কমু, সেলুট আপ্নেরে ।
লিখাটাকি এই প্রেক্ষিতের কিছু
Click This Link ?
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১:০৬
সোজা কথা বলেছেন: আসলে কোন স্পেসিফিক ব্লগের উত্তর দিতে লিখি নি। যারা ধরে নিচ্ছে জগতের সৃষ্টির রহস্য তাদের জানা তাদের ঔদ্ধত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে সময় নষ্ট করতে চাই না।
এই প্রশ্নগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। হয়তো সবারই হয়। আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয় যখন তখন। কিন্তু আমাদের জ্ঞান সীমিত হলেও এ দিয়েও আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের জ্ঞানের চেয়ে বেশী জ্ঞানের কোন উৎস আমাদের জানা নেই । সুতরাং নিজের সবচেয়ে ভাল সিদ্ধান্তটি যদি ভুল হয় তো তার জন্য দন্ডিত হতে হবে কেন
৫| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
বৃত্তবন্দী বলেছেন: প্রিয় পোস্টের সংখ্যা বাড়লো...
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১:১১
সোজা কথা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১:০২
শয়তান বলেছেন: বংশানুক্রমিক সন্চারিত জ্ঞানের ব্যাপারে আপনার কি ধারনা ?
ধরুন একটা ছোট্ট শিশুকে মানবহীন একটা দ্বীপে ছেড়ে আসা হলো । তারপরও কি ঐ শিশুর বিকাশকালে বংশানুক্রমিক সন্চারিত জ্ঞানের কোন ভুমিকা থাকবে ?
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১:১৯
সোজা কথা বলেছেন: আমি মনে করি পিতার জ্ঞান জেনেটিক্যাল ভাবে পুত্রের মধ্যে সঞ্চালনের সম্ভাবনা কম। যেমন আইনস্টাইনের পুত্রকে আন্দামানে ছেড়ে দিলে সে আপেক্ষিক তত্ত্ব নিয়ে কোন কিছু ভাবতে থাকবে তা মনে হয় না। আমাদের সভ্যতা আসলে লিপিবদ্ধ জ্ঞানের উপরেই নির্ভরশীল।
জীবের কিছু বৈশিষ্ট সম্ভবত: বিবর্তনের ধারায় সঞ্চালিত হয়। যেগুলো তার জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয়। যেমন শিশু ক্ষুধা পেলে কাঁদবে । কিংবা পাখী ওড়ার সময় ভী আকারে চলবে। এগুলোকে বুদ্ধি না বলে প্রবৃত্তি বলা ঠিক হবে। বিবর্তন অতি শ্লথ প্রকৃয়া, কিছু জ্ঞান হয়তো ভবিষ্যতের মানুষ অথবা মানুষের চেয়ে উন্নত পরবর্তী জেনারেশনে বাহিত হবে। সেটা নিয়ে অনুমান করা ছাড়া উপায় নেই।
৭| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১:১৫
ঝর্ণা চৌধূরী বলেছেন: বাহ!! অসাধারণ লেখা। চিন্তা জাগানিয়া আরও একটা লেখা পড়েছিলাম। সময় থাকলে পড়তে পারেন।
Click This Link
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১:২০
সোজা কথা বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়বো।
৮| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১:৪৯
আকাশ_পাগলা বলেছেন: +
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ২:২২
সোজা কথা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৯| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ২:১৯
সোনার বাংলা বলেছেন:
সে রকম লেহা। অনেক ধন্যবাদ....
সত্যেই এই মানব জীবন বড় রহস্যের....
প্রিয়তে....
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ২:২২
সোজা কথা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১০| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ২:৩৭
শয়তান বলেছেন: প্রবৃত্তি তাহলে জেনেটিক্যাল ?
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ২:৩৯
সোজা কথা বলেছেন: আমি তো তাই মনে করি। যদি ভুল বলে থাকি সংশোধন করে দিতে পারেন ।
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ২:৪৮
সোজা কথা বলেছেন:
উইকিতে পেলাম Instinct is the inherent disposition of a living organism toward a particular behavior. The fixed action patterns are unlearned and inherited.
http://en.wikipedia.org/wiki/Instinct
১১| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ২:৪৭
শয়তান বলেছেন: ভুল না
আমি আসলে জেনেটিক্যাল পাপের ক্ষেত্র এবং তার পুর্নাংগ সংগা খুজছি । আশা করি আমার টোনটা ধরতে পারছেন এখন ।
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ২:৫৫
সোজা কথা বলেছেন: ভাল প্রশ্ন। বিস্তারিত লিখুন। আমি সময় করে একটু পড়ি এটা নিয়ে। অপরাধীর প্রবণতা সব না হলেও কিছু কিছু অপরাধ বংশ পরম্পরায়, তা কিন্তু সঠিক।। তা ছাড়া XXY ক্রোমোজমের সঙ্গে অপরাধের সম্পর্ক নিয়ে একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম।
Click This Link
১২| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:০৭
শয়তান বলেছেন: আমার কিউরিসিটি পরিষ্কার । আমাদের কৃত অন্যায় বা পাপগুলোর জন্য আমরাই কি দ্বায়ী ?
১৩| ০৯ ই মে, ২০০৯ ভোর ৪:১০
সোজা কথা বলেছেন: মিনেসোটা, আপনার মাইনাসগুলো শুধু আমার না প্রায় সবার কাছেই রহস্যময়।
১৪| ০৯ ই মে, ২০০৯ ভোর ৪:২৭
শয়তান বলেছেন: গতপরশু নিরাপদ ঘোষিত হওয়ার পর এটি আমার প্রথম পোষ্ট।
??? ঘটনা কি ? এটা তো খেয়াল করিনি
০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:১৭
সোজা কথা বলেছেন: ও. জটিল কোন ঘটনা না। আসলে আমি প্রথম বারের মত নিরাপদের দরজা পার হলাম!
১৫| ০৯ ই মে, ২০০৯ ভোর ৪:৫৭
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন ।
+++
যদি জানি আমার জ্ঞান সীমিত সেটা নিয়ে আস্ফালনের কারন দেখি না ।
আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় মানুষের মতো জীবন যাপন করলে - সৃষ্টিকর্তা থাকুক বা না থাকুক কোন সমস্যা না।
এখনকার জ্ঞানে হয়ত বিশ্বাস আসছে না - ভবিষৎ এর জ্ঞানে হয়ত আসবে । অথবা অবিশ্বাসটাই পোক্ত হবে।
সীমিত জ্ঞান নিয়ে যদি বিশ্বাস না করেন - আমার মনে হয় কোন শাস্তি পাওয়া উচিত । কে যে শাস্তি পাবে কে যে পাবে না এটাও তো নির্ধারিত না ।
০৯ ই মে, ২০০৯ ভোর ৫:২৬
সোজা কথা বলেছেন:
আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় মানুষের মতো জীবন যাপন করলে - সৃষ্টিকর্তা থাকুক বা না থাকুক কোন সমস্যা না।
ধন্যবাদ। আপনার সঙ্গে এখানে সম্পূর্ণ একমত। মানুষ মাত্রই প্রথম উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের মত মানুষ হওয়া। মানব ধর্ম যেখানে জয়ী সেখানে সৃষ্টি কর্তার বিষয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না পেলেও জীবন সফল।
১৬| ০৯ ই মে, ২০০৯ ভোর ৫:৩৯
তনুজা বলেছেন: এ যেন কুকুরের মগজে ক্যালকুলাস ঢুকবেনা জেনেও কুকুরকে গণিত অকৃতকার্য বলে উত্তম মধ্যমের সিদ্ধান্ত!
ঝাঁজা
++++++++++++
০৯ ই মে, ২০০৯ ভোর ৫:৪৪
সোজা কথা বলেছেন: একটি জিনিস ভাল লেগেছে । একটি কমন প্রশ্নে সবাই একমত হয়েছে যে মানব ধর্মটাই আসল । যারা মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করছে তারাই ঘৃন্য হওয়া উচিৎ।
যে প্রশ্নগুলোর উত্তর সীমাবদ্ধ জ্ঞানে জানা নেই। হয়তো কোনদিন জানা যাবে বা যাবে না, কিন্তু তা নিয়ে বিভক্তি কাম্য নয়।
১৭| ০৯ ই মে, ২০০৯ ভোর ৬:১৯
লুকার বলেছেন:
চমৎকার।
তবে শেষের প্যারাটা একটু খাপছাড়া মনে হলো।
লেখাটার ওজন ছিল এবং সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন মনে হয়।
০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:২২
সোজা কথা বলেছেন: আসলে আমার ব্লগের লেখাগুলো এমনই । প্রথমে থিমটা এক্সপ্রেস করি ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে, পরে সময় পেলে ধীরে ধীরে এডিট করি । কাগজ কলম থেকে ব্লগে ঢুকে স্বভাবটাই খারাপ হয়ে গেছে।
মূল প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরের অংশটি আরো গুছিয়ে লেখার অবকাশ ছিল এবং গভীরে ঢোকা প্রয়োজন ছিল । তাহলে শেষ প্রশ্নটির সঙ্গে খাপছাড়া ভাবটা কমে যেত। গঠনমূলক সমালোচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৫২
সোজা কথা বলেছেন: লেখাটা একটু গুছালাম। টেক্সটের পাশে কিছু ছবি দিলাম যাতে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি কম হয়।
১৮| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:০৫
নাজিম উদদীন বলেছেন: ব্যাড ডিজাইন।
চোখের মণির ঠিক সমানে ব্লাইন্ড স্পট, জননেন্দ্রীয় আর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্হা এত কাছে, যে ডিজগাস্টিং।
জ্ঞান আহরণ এবং বেড়ে ওঠতে 'নেচার এবং নার্চার' দুইটারই দরকার।
জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার দোহাই দিয়ে কৃতকর্মের দায় অস্বীকার করতে পারব না।
০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:২০
সোজা কথা বলেছেন: আপনার প্রথম কথার সঙ্গে শওকত ওসমানের শেখের সম্বরার দুটো লাইন মনে পড়ে গেল
প্রকৃতির প্রতিশোধ হয়ত বা শাসন
মুত্রদ্বার সমীপে প্রেমের আসন
১৯| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:২৩
নাজিম উদদীন বলেছেন: বাহ এটা নিয়ে কবিতা লেখা হইছে।
২০| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:২৫
মউ বলেছেন: প্লাস। আমার মাথা ঘুরায়।
২১| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:১০
বিডি আইডল বলেছেন: আমার জন্য কঠিন লেখা.............সময় করে পড়তে হবে আবার
২২| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৪২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: স্টিফেন হকিং এর কথা মাঝে মাঝে ভাবি। এত সীমাবদ্ধতা নিয়ে উনি এত দূর গেছেন, ভাবলে নিজেকে বড় ছোট মনে হয়। আমরা এই জীবনে কী বা করতে পারলাম। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা শারীরিক বা মানসিক, কিন্তু তারপরও আমাদের আছে নতুন কিছু করার স্পৃহা যেটা মানুষে মানুষে পার্থক্য তৈরি করেছে।
মানুষের সীমাবদ্ধতা নিয়ে ভাবলে নিজেকে খুব ছোট মনে হয়। আমাদের বড়াই করার খুব বেশি কিছু নেই।
০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭
সোজা কথা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আসলে আমাদের বড়াই করার বেশী কিছু নেই।
২৩| ০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫০
জটিল বলেছেন: সুন্দর গোছানো লেখা , ভাল লাগল অনেক ।
২৪| ০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৭
সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে লিখাটি।
সংগ্রহে রাখলাম।
২৫| ০৯ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:০৩
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: খুব খুব ভালো লাগলো। "বিজ্ঞান যেন একটি সাময়িক বিশ্বাস" সহমত। আমার একটি প্রশ্ন: মানব মস্তিষ্কে জ্ঞান এল কি করে? নলেজ বেইজ টা কিভাবে এল? লার্নিং মেথডটাই বা কিভাবে এল?
০৯ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫০
সোজা কথা বলেছেন: আপনার প্রশ্নটাই তো সবার প্রশ্ন। এর উত্তর জানা সীমিত জ্ঞানে কখনো সম্ভব কিনা তাও জানা নেই।
২৬| ০৯ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৪২
একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: (অবশ্য আফ্রিকার বুশম্যানরাই আরামে, তারা তিনটি সংখ্যা নিয়ে সন্তুষ্ট: ১,২ এবং অনেক। চিন্তা না করলে আসলেই আরাম। )
আসলেই আরাম ।
পাওয়ার অফ টেন "জুম ইন জুমআউট" এর মত লাগলো কিছুটা ।
০৯ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১১
সোজা কথা বলেছেন: কেন যে আরাম ছেড়ে অযথা চিন্তা করে।
অবশ্য একটি শ্রেণী দেখবেন বুশ ম্যানের মতই চিন্তাহীন ভাবে বাঁচে। তাদের জানার কোন আগ্রহ নেই। যে কোন একটি বিশ্বাস ভালমন্দ যাচাই না করে আরামে থাকে।
কিন্তু গ্যালিলিও তার পরও মহাবিশ্বের শেষ দেখার জন্য টেলিস্কোপ ধরে নিদ্রাহীন বসে থাকবে, হকিংস এর মত লোক চিন্তা করতেই থাকবে, এমন কি সমস্ত দেহ যখন চরম অসুস্হতায় আক্রান্ত। সবাই বুশম্যানের মত হলে জঙ্গলে দ্বিপদী একটি জন্তুই হয়ে থাকতাম আমরা এখনো ।
২৭| ০৯ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৯
নাজনীন১ বলেছেন: ১৫তম কমেন্টের জবাবে লেখক বলেছেনঃ "আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় মানুষের মতো জীবন যাপন করলে - সৃষ্টিকর্তা থাকুক বা না থাকুক কোন সমস্যা না"
সীমিত জ্ঞান দিয়ে "মানুষের মতো জীবন" বলতে কি বুঝায়, সেটা কি ১০০ ভাগ বোঝা যায়?
১৬ নং কমেন্টের জবাবে বলেছেনঃ "যে প্রশ্নগুলোর উত্তর সীমাবদ্ধ জ্ঞানে জানা নেই। হয়তো কোনদিন জানা যাবে বা যাবে না, কিন্তু তা নিয়ে বিভক্তি কাম্য নয়। "
একমত। ঐক্যটা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা আছে সেটা বিশ্বাস করা, আর যতদিন এই ধারণা ভুল প্রমাণিত না হচ্ছে, ততদিন বিশ্বাস করে যাওয়া। জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, সেখানে শুধু বিশ্বাস।
০৯ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
সোজা কথা বলেছেন: সম্ভবত: ভাল করে পড়েন নি। ১৫ এর উত্তরে এটা বলেছে শূণ্য আরণ্যক। শূণ্য আরণ্যক মানুষের মত মানুষ বলতে যা বুঝিয়েছে তা সহজ ভাবে বুঝলেই হয়। ১০০ ভাগ ভাল মানব জীবন যে কি কারো জানা নেই, নিশ্চিত হওয়ার উপায়ও নেই, তাই না?
১৬ নং এর উত্তরে : আপনার প্রতিপক্ষ ধরুন তার সর্বোচ্চ চিন্তাক্ষমতা দিয়ে আপনার চেয়ে একটি ভিন্ন মতবাদে অবস্হান করছে । সেখানে আপনার চিন্তাটি মানতে তাকে বাধ্য করা হলো বিচার মানবো কিন্তু তালগাছটি আমার হতে হবে।
২৮| ০৯ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮
অদ্রোহ বলেছেন: প্রিয়তে না নিলে অপরাধ হবে।+++++++
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০৮
সোজা কথা বলেছেন: অদ্রোহ, ধন্যবাদ।
২৯| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৪৫
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: প্রিয়
১০ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:০৭
সোজা কথা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩০| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:২৫
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: প্রিয়তে গেল। দারুণ লেখা। সাধারণত বড় পোস্ট পড়তে ইচ্ছে করে না, কিন্তু আপনারটা ছাড়তে পারলাম না। +++
১১ ই মে, ২০০৯ সকাল ৮:১৩
সোজা কথা বলেছেন: কৃতজ্ঞ কারণ ধৈর্যচ্যুতির মত আকার সত্ত্বেও লেখাটি পড়েছেন।
৩১| ১০ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৪৪
হাসান বায়েজীদ বলেছেন: "মাথা-ঘোড়ানো" হৈছে..+
৩২| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৪১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শৈশব থেকে একটি সরল প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেত, ধরা যাক সীমিত জ্ঞানের কারণে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে ব্যর্থ হই, যদি মনে বিশ্বাস আনতে চেয়েও বিশ্বাস খুঁজে না পাই তবে এর জন্য কি ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত?
আমার তা মনে হয় না। একটা উদাহরন দেই, আমি জীবনে কোনো দিন ইলেক্ট্রন দেখিনি কিন্তু এই ইল্ক্ট্রনের প্রবাহ নানা ভাবে নিয়ন্ত্রন করে পকৌশল কর্মের মাধ্যমে আমি আমার পেট চালাচ্ছি। শুধু পেট না, যখন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আলো দেখি তখনও কি এটা দেখেছি এগুলো উত্তেজিত ফোটন বা শক্তির প্যাকেট। কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের একটা পর্যায়ে গেলে স্পেশাল রিলেটিভীটি আর খাটে না। কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্ট ফেনোমেনো দেখলে মনে হয় এখানে আইনস্টাইনের কিছুই খাটছে না! সোজা কথা অনেক সময় অনুভূতি অনেক কিছু বলে দেয়। সেরকম ঈশ্বরও সেরকম একটা ব্যাপার হয়তো এমন অসংখ্য জটিল মাত্রার সমন্বয়ে গঠিত মহান শক্তিশালী এনিটিটি যার কথা আমরা এত কম মাত্রার অনুভূতির মানুষ কখনোই বুঝতে পারবো না। আমরা যদি এক টাইম ডাইমেনশনের উপর কন্ট্রোল আনতে পারি তাহলেই তো দেখা যাবে আমরা সময়কে পাল্টাতে পারছি কিন্তু সেটাও কি সম্ভব, এটাও কি সম্ভব হয়েছে যে প্লান্কের মান ঠিক রেখে একটা কলিশন ঘটানোর যেখানে জন্ম নিবে সুপার গ্রাভিটি। হয়তো হবে একদিন তবুও এখন এমন একটা ধাধার মুখোমুখি হবো যে এটা ধাধা ধাধাই থেকে যাবে!
আরেকটা কথা শুধু মস্তিস্কই মানুষকে আলাদা করেনি, আরো কিছু ব্যাপার আছে সেটা সিদ্ধান্ত নেবার অনন্য শক্তি আর বিবেককে প্রাধান্য দেয়া। এগুলোকেই মানুষ অন্যান্য থেকে আলাদা!
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৫১
সোজা কথা বলেছেন: ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত হবে কি হবে না?
হ্যা বা নাতে জবাব চাইলে কি বলবেন?
৩৩| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৪৩
ফ্রুডো বলেছেন:
ভয়াবহ রকম ভালো পোস্ট,
ভিডিওটা দেখে মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠল।
পিলাচ।
১২ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৩৪
সোজা কথা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ফ্রুডো।
৩৪| ১২ ই মে, ২০০৯ সকাল ৯:২২
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত হবে কি হবে না?
হ্যা বা নাতে জবাব চাইলে কি বলবেন?
এটা একটা চরম আপেক্ষিক প্রশ্ন। দুভাবে চিন্তা করি। প্রথমে ঈশ্বরের দিক থেকে। উনার পক্ষে যুক্তি একটাই," আমার খাইয়া আমার পইড়া আমার লগে খোদগারী! যা চাইছস তাই পাইছস, তাও এত ফুটাঙ্গিরী কিসের? ধর্ম গ্রন্হে যা লেখছি তাই হইছে, আমারে টেক্কাও মারবার পারস নাই। অখন দোজখে মর!"
এই ক্ষেত্রে বান্দাদের এত বড় হ্যাডম নাই যে মরনের পর এর জবাব দেবে।
এখন ধরি মানুষের ক্ষেত্রে কি হতে পারে! আমার মনে হয় না তিন মাত্রার অনুভূতি নিয়ে মানুষ স হজে এ প্রশ্নের সমাধান দিতে পারবে। সব সময় দুটো ধারা থাকবেই। একটা আস্তিকদের দিক থেকে: ভাইজান, মানতে দোষ কি? আসলেই ঈশ্বর না থাকলে কে বানাইতো? আর মরনের পর অনেক পুরস্কার আছেই যেগুলার তুলনা দেওন মুশকিল! রিস্ক নিয়া লাভ কি, পরীক্ষার প্রশ্ন পাইছি, এখন প্রিপারেশন লই পরজন্মের জন্য!
এখন আসি নাস্তিকদের জন্য: যা দেখুম তাই বিশ্বাস করুম। যদি ঈশ্বর না থাকে তাহলে এইসবই লস। তাই এইসব বিশ্বাস করনের কোনো দরকার।
কিন্তু দুনিয়াতে এখনও নাস্তকের সংখ্যা খুব একটা বেশী না। আর দ্বিতীয় কথা আমি যদি চড়া যুক্তি কথাই বলি তাহলে বলবো ফিজিক্স এর মাধ্যমে আমরা এমন কিছু আবিস্কার করতে পারিনি যেটা দিয়ে ঈশ্বরের ধারনাকে বাতিল করা যায়। এমনকি মাঝে মাঝে এমন আলামত পাওয়া যায় যার মাধ্যমে দেখা যায় যে কিয়ামত হইলেও হইতে পারে (যদিও বর্তমানের বিগ বাউন্স কনসেপ্টে এটার সাপোর্ট করে না, তবে বিগ বাউন্স কনসেপ্ট কতদিন টিকবে সেটাও একটা কথা!)
আমি ব্যাক্তিগত ক্ষেত্রে মনে করি আসলেই শাস্তি হওয়া উচিত এবং সেটা চরম শাস্তি!
৩৫| ১২ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:৩৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: মানুষের মতো জীবন যাপন করলে - সৃষ্টিকর্তা থাকুক বা না থাকুক কোন সমস্যা না।
৩৬| ১৩ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
ঝুমী বলেছেন: অনেক বড়ো লেখা, পড়ে এসে পড়বো। এক নজর দেখে গেলাম। +
৩৭| ১৩ ই মে, ২০০৯ রাত ১:১৮
আকাশ অম্বর বলেছেন: সুন্দর লেখা। চমৎকার।
৩৮| ১৩ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:০৬
বিদেশী বাঙালী বলেছেন: আপনার ব্লগের ৭৭৭৭ নং হিটটি আমার। '৭' সংখ্যাটিকে শুভ হিসেবে ধরে নিলে, আমি আশা করি আপনার জন্য শুভ।
চমৎকার লেখা। ভাল কয়েকটি যুক্তি দিয়েছেন। ভাল লেগেছে এটা শুনে যে, আপনি স্রষ্টাকে খুঁজছেন। খুম শীঘ্রই answer দিব প্রশ্নগুলোর।
৩৯| ১৩ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৯
ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: ভিডিওটা ভয়ঙ্কর। নিজেদের ক্ষুদ্রতা, তুচ্ছতা মনে করিয়ে দেয়।
লেখা খুব চমৎকার। সময় নিয়ে পড়লাম।
১৩ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২২
সোজা কথা বলেছেন: ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত হবে কি হবে না?
হ্যা বা নাতে জবাব চাইলে কি বলবেন?
উদাসী স্বপ্ন ভয়াবহ দণ্ডের পক্ষে। আপনি কি কমেন্টের সঙ্গে একমত?
৪০| ১৩ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: ১. তর্কের খাতিরে ধরে নেয়া হলো ঈশ্বর আছেন।
১.১ ধরে নেয়া হলো ঈশ্বর দয়ালু।
সুতরাং, ক্ষমা করার কথা।
১.২ ধরে নেয়া হলো ঈশ্বর ন্যায়বিচারক।
সেক্ষেত্রে, প্রত্যক্ষ প্রমাণ ব্যতিরেকে এবং সহস্রগ্রন্থের ছড়াছড়িতে বিশ্বাসের পেছনে যুক্তি খোঁজা, নিশ্চিত না হয়ে মেনে না নেয়াই কনসিসটেন্ট।
১.৩ ধরে নেয়া হলো ঈশ্বর ন্যায়বিচারক নন, দয়ালুও নন।
সেই ঈশ্বরের ___ এ আমি ___ করি।
মানুষের মস্তিষ্কের পরিচালক পুরষ্কার ও শাস্তি - মানুষ নিজের রূপে দেবতা, আল্লা বানায়। যদি কোন প্রাইমাল কজ থেকে থাকে তাহলে কোন এক জায়গার কোন এক লাইফফর্ম নিয়ে চিন্তা করার সময় তার নেই।
৪১| ১৩ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
দুরের পাখি বলেছেন: মানুষের জানার, বোধের সীমাবদ্ধতা নিয়া আমার কিছু ভাবনা আছিলো । ধরেন এইযে ২০ হার্জের নিচে বা ২০০০০ হার্জের উপ্রের জিনিস মানুষ শুনে না ঠিকই, কিন্তু পরোক্ষ উপায়ে ঐগুলারে ডিটেক্ট করতে পারে । মানুষের পাওয়ারের একটা মৌলিক উৎস ঐজায়গায় । যতটুক পর্যন্ত মানুষ এইভাবে পরোক্ষ উপায়ে ডিটেক্ট করতে পারে সেইটাই মানুষের আসল সীমা । তার বাইরে কিছু থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে, কিন্তু সেইটা আলোচনায় আসবো তখনই যখন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন উপারে সেইটারে ডিটেক্ট করা যাইবো, তার আগে না । অন্তত সিরিয়াসলি নেয়া হৈবে না ।
পরের কথা ট্রানজিস্টার উপ্রে বৈলা দিছেন
"১.৩ ধরে নেয়া হলো ঈশ্বর ন্যায়বিচারক নন, দয়ালুও নন।
সেই ঈশ্বরের ___ এ আমি ___ করি।"
মুখে , প্রস্রাব (শূণ্যস্থান পূরণ করলাম)
৪২| ১৩ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:২৩
চাচামিঞা বলেছেন: অসাধারন আর্টিকেল....লিখতে নিশ্চই অনেক পড়াশুনা করতে হয়েছে।
৪৩| ১৫ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৪৭
সত্যান্বেষী বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ।
১৫ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৫০
সোজা কথা বলেছেন: ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত হবে কি হবে না?
হ্যা বা নাতে জবাব চাইলে কি বলবেন?
উদাসী স্বপ্ন ভয়াবহ দণ্ডের পক্ষে। আপনি কি উনার কমেন্টের সঙ্গে একমত? ট্র্যানজিস্টার এবং দুরের পাখি তাদের মত দিয়েছেন। দেখতে পারেন।
৪৪| ১৫ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৪৭
কলুর বলদ বলেছেন: ধন্যবাদ আমন্ত্রণের জন্য। আপনার এই লেখাটা আগেই পড়েছিলাম কিন্তু কমেন্ট করা হয় নাই।
শৈশব থেকে একটি সরল প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেত, ধরা যাক সীমিত জ্ঞানের কারণে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে ব্যর্থ হই, যদি মনে বিশ্বাস আনতে চেয়েও বিশ্বাস খুঁজে না পাই তবে এর জন্য কি ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত?
আমার মাথায়ও এই চিন্তাটা আসলে বেশ প্রবলভাবেই ঘুরপাক খায়।
তবে আমার মনে হয় ইশ্বর যদি থেকে থাকে অবশ্যই তার উচিত হবে দন্ড থেকে রেহাই দেওয়া। কারণ আমাদের পৃথিবীর বর্তমান বাজারে যেসব ঈশ্বর আছেন তারা নিজেদের সবজান্তা এবং সর্বদয়ালু বলে দাবী করেন এবং তার ভয়ে ভীত হয়ে তার বন্দনায় রত থাকতে বলেন।ইশ্বর যদি সবজান্তা হয়েই থাকেন তিনিতো এই মহাবিশ্ব সৃষ্টিরও আগে থেকে জানেন আমি অধম কত পূণ্য করব কত পাপ করব। এই কথা বললে অবশ্য ঈশ্বর ভক্তরা রব তোলে, "কেনরে তোকে না খোদা বিবেক নামক একটা বস্তু দিয়েছে? তোর বিবেক কাজে লাগিয়ে যা করবি তাই ই তো তুই পাবিরে বলদ।" বিবেক না ছাই...আমি অধম বিবেকটাকে কোন কাজে লাগাবো সেইটাওতো সে জানে নাকি? তাহলে জেনেশুনেই আমাকে আমিসুলভ বিবেকদান কেন? প্রফেটকে কে প্রফেটসুলভ বিবেকদান কেন? তুমি না পরম দয়ালু? পক্ষপাতিত্বের ঊর্ধে তুমিওতো যেতে পারনাই।
(মনে হয় অপ্রসংগিক মন্তব্য করে ফেললাম...!সরি...)
৪৫| ১৬ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৮
মোতাব্বির কাগু বলেছেন: Click This Link
৪৬| ১৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:২০
নুশেরা বলেছেন: আপনাকে অভিনন্দন জানানোর মানে হয়না। সামুকেই অভিনন্দন জানাই আপনি এখানে ব্লগিং করতে এসেছেন বলে। পোস্টটি প্রিয়তে নিলাম।
১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:০৫
সোজা কথা বলেছেন: নুশেরা, সামুতে ব্লগ পড়া শুরু থেকে আপনার লেখার ভক্ত আমি। কষ্ট করে দীর্ঘ ব্লগ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৪৭| ১৯ শে মে, ২০০৯ ভোর ৪:৩৯
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
আপনার অসাধারণ লেখনী শক্তির পরিচয় পেলাম । দুর্দান্ত ।
১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ৮:৪১
সোজা কথা বলেছেন: ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত হবে কি হবে না?
হ্যা বা নাতে জবাব চাইলে কি বলবেন?
৪৮| ১৯ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
হোরাস্ বলেছেন: আমাদের এই অদ্ভূত মহাবিশ্বে ধ্রুব সত্য বলে কিছু নাই। এমনকি সমান্তারাল রেখাগুলিও কোন এক দূর অজানায়, অসীম দূরত্বে পরস্পরের সাথে মিশে যায়। তাই আমি মনে করি শুধুমাত্র জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চাই আমাদের সঠিক পথ দেখাতে পারবে।
অসম্ভব ভালো একটি লেখা লিখেছেন। প্লাস দিলাম আর প্রিয়তে নিলাম।
আমার ব্লগে ঘুরে আসার জন্য ধন্যবাদ।
১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ৮:৪১
সোজা কথা বলেছেন: ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত হবে কি হবে না?
হ্যা বা নাতে জবাব চাইলে কি বলবেন?
৪৯| ১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ৯:০৭
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: পড়লাম। ভালোই হৈছে। একটু থিয়োরিটিকাল আর বাংলা শব্দ-নির্বাচনে এম্বিগুইটির জন্য অবশ্য স্বাচ্ছন্দ্যে পড়া সম্ভব হয়নি.. যাহোক সেটা ব্যাপার না।
পরের পোস্টগুলিতে আরেকটু ডিপে ঢুকবেন আশা করি।
বি:দ্র: শেষ প্যারাগুলো আসলেই কনফিউজিং। সৃষ্টি আর এভুলেশনের সাথে স্রষ্টার সম্পর্ক খুজতে গেলে পৃথকভাবে বিশদ পোস্ট দেওয়াই ভালো। দু'এক কথায় স্রষ্টা আছে/স্রষ্টা নাই এসব টেনে আনা অবান্তর। (৪০ নং কমেন্টে ট্রানজিস্টরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে)
১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:০৬
সোজা কথা বলেছেন: আ.কা ঢেকি, মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি আমার মত চেষ্টা করেছি। বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই তাত্ত্বিক। এছাড়া দর্শণের কিছু অংশকে সহজ করে লেখা খুব সহজ কাজ নয়, বিশেষত: আমার জন্য। আপনি বরং সহজ করে পোষ্ট দেন আমি চেষ্টা করবো সেখানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে।
শেষ প্রশ্নটি খুবই সহজ ছিল। উত্তরটি হ্যা বা না হবে তা জানতে চেয়েছিলাম । উদাসী স্বপ্ন তার মত করে উত্তর দিয়েছে। ট্র্যানজিস্ট্যার এবং দুরের পাখি তাদের অভিমত প্রকাশ করেছে।
আপনি কি এর উত্তর হ্যা বা না মনে করেন?
৫০| ১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৩১
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: এইসব বিষয় নিয়ে আসলে অনেক পড়াশোনার প্রয়োজন- যেটার সময় আর ধৈর্য্য কোনটিই আমার নেই.. তাই নিজের মত করে পোস্ট দেওয়া অসম্ভব।
শেষ প্রশ্নটি বুঝতে সমস্যা হচ্ছে। দন্ডপ্রাপ্তি বলতে যদি আপনি পার্থিব জীবনের প্রসঙ্গে বলে থাকেন তাহলে সেটি সম্পূর্ন আপনার নিজের ব্যাপার। পরকালের জীবনের (যদি বিশ্বাস করে থাকেন) ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আমার মতে একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই সায়েন্সের অনেক ফাকফোকর বেড়িয়ে আসবে- যেগুলোকে ফাকফোকর বলছি সেগুলো যে আনসায়েন্টেফিক সেটা নয়, সেগুলো আমাদের বর্তমান সময়ের জ্ঞানের বাইরে। আর স্রষ্টা হচ্ছেন অপরিসীম শক্তি, আমাদের দৃশ্যমান জগতের যা কিছু সবই তার সৃষ্টিশক্তির একটা ক্ষুদ্র অংশ। কাজেই এটাই স্বাভাবিক তিনি তার সব properties তার সৃষ্টির মধ্যে না দিয়ে ক্ষুদ্র একটা অংশই দিবেন। কারণ আপনিও যখন যন্ত্রমানব তৈরি করেন তখন যদি সেটা নিজের সমকক্ষ করে তোলেন তাহলে তো সেটি আপনাকেই অপসারণ করবে তাই নয়? স্রষ্টাও আমাদেরকে জ্ঞানের সবটুকু দেবেন কিনা সেটা তার ইচ্ছা।
এগুলো আমার মতামত। যদি শেষ প্রশ্নটা বুঝতে ব্যর্থ হই তাহলে দয়াকরে ব্যাখ্যা করবেন..।
১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৬
সোজা কথা বলেছেন: প্রশ্নটি এখানে নিচে দিচ্ছি । প্রশ্নটি পরিস্কার না হলে কোথায় বুঝতে পারছেন না বলবেন।
...শৈশব থেকে একটি সরল প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেত, ধরা যাক সীমিত জ্ঞানের কারণে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে ব্যর্থ হই, যদি মনে বিশ্বাস আনতে চেয়েও বিশ্বাস খুঁজে না পাই তবে এর জন্য কি ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত?
শৈশবে ভয়াবহ দণ্ড বলতে মূলত পরকালে বর্ণিত শাস্তির ভয়কেই বুঝতাম। ধরা যাক এক লোক কোন কারণে তার চিন্তার পুরো শক্তি ব্যবহার করে সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাসে পৌছতে চেষ্টা করছে। লোকটিকে শুরুতেই অসৎ ধরে নেবেন না। ধরুন সে অনেক ভাবে তার যুক্তি চিন্তা, ধ্যান, পড়াশোনা দিয়ে যাচাই বাছাই করেই সে সৃষ্টিকর্তাকে খু্ঁজে পেল না। সীমিত জীবনে যতই পড়াশোনা করুন না কেন, সেটি একটা সীমার মধ্যেই ঘুরপাক খাবে। তারপর রয়েছে পেটের অন্ন যোগাড়ের জন্য সময় দেয়া..।
এখন এই সীমিত জ্ঞান এবং চিন্তাক্ষমতা এবং সীমিত জীবনকালে যদি একজন সৎচিন্তার সৎ লোক "সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে না পায়" তার জন্য কি পরকালে(যদি থাকে) শাস্তি পাওয়া উচিৎ? এর উত্তরে হ্যা বা না বলবেন?
৫১| ২০ শে মে, ২০০৯ রাত ১:৩৭
হোরাস্ বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর এক কথায় 'না' হবে।
Faith is a gift, and I have yet to receive that gift -- (Angels and Demons - Dan Brown)
শোনা কথায় বিশ্বাস না করা কারও জন্য অপরাধ হতে পারে না। বরং এর উল্টোটা হওয়া উচিৎ।
২০ শে মে, ২০০৯ রাত ১:৫৫
সোজা কথা বলেছেন: উক্তিটি এক কথায় অসাধারণ। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৫২| ২০ শে মে, ২০০৯ রাত ২:০৬
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: অনিক ভাই, নতুন পোস্ট কোথায়? অপেক্ষায় আছি তো।
২০ শে মে, ২০০৯ রাত ২:২১
সোজা কথা বলেছেন: নতুন কিছু বই পড়ছি। এতে বাড়তি সময় খেয়ে ফেলছে। তাছাড়া ব্লগে এত নতুন পোষ্ট আসছে যে পড়েই শেষ করতেই পারছি না। মন্তব্যেই আপাতত বেঁচে আছি। দেখেননি ১ মাস ব্লগ জীবনে মন্তব্য ১০০০ অতিক্রম করেছে, হা: হা: ... ধন্যবাদ অনেক।
৫৩| ২০ শে মে, ২০০৯ রাত ২:৪০
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: তো আমার ছেঁড়া ব্লগে মাত্র একটা পোস্টে কমেন্ট কেন অনিক ভাই? তাড়াতাড়ি গিয়ে একটা মাইনাস ই দিয়ে আসুন না বাকি পোস্টগুলোতে। কি কি বই পড়ছেন জানাবেন। পড়তে চাই।
৫৪| ২০ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:১৩
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: আপনি যদি পরকালে বিশ্বাস না-ই করেন, তাহলে শাস্তির ভয়ের প্রসঙ্গ আসছে কেন?
আমার দৃষ্টিতে উত্তর -হ্যা, কিন্তু সেটার কোন মূল্য স্রষ্টার কাছে না-ও থাকতে পারে। কারণ যেহেতু সে স্রষ্টাকে খুজে পায়নি, তার জ্ঞানের সম্ভাব্য বিকাশ ঘটাতে সে ব্যর্থ হয়েছে। আর যেহেতু স্রষ্টায় বিশ্বাসী আমি, তাই শাস্তি দেবেন কি না দেবেন সেটা স্রষ্টার ব্যাপার। কারণ তিনি ক্ষমাশীল।
কেন আমি স্রষ্টায় বিশ্বাসী সেটা ৫০ নং কমেন্ট দ্রষ্টব্য, এছাড়া আমার প্রথম পোস্টটিও দেকতে পারেন।
২০ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সোজা কথা বলেছেন: আপনার ৫০ নং কমেন্টের যন্ত্রমানব এবং মানুষ খুব ভাল উদাহরণ নয় কিন্তু আপনার চিন্তাধারাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৫৫| ২০ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:২২
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: রবোট আর মানুষ - উদাহরণে এদের যথাক্রমে সৃষ্টি আর স্রষ্টার স্থলে উপস্থাপন করে দেখতে পারেন।
৫৬| ২১ শে মে, ২০০৯ রাত ৯:০২
শত রুপা বলেছেন: খুব ভাল লাগলো।
৫৭| ২৩ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:১৬
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
++++++++++++
৫৮| ২৩ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:৪৭
'লেনিন' বলেছেন: লেখার ব্যাপারে দ্বিমত থাকার প্রশ্নই আসেনা।
তবে আপনি ধরে নিয়েছেন একটি দল আছে তারা মনে করে সৃষ্টি রহস্য তাদের জানা হয়ে গেছে। এই ব্যাপারটি খোলাসা করুন, কারা মনে করে সৃষ্টি রহস্য তাদের জানা?
৫৯| ২৫ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:২৪
সোজা কথা বলেছেন: আপনি কি মনে করেন না সেরকম একটি দল আছে?
৬০| ২৬ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:১২
'লেনিন' বলেছেন: @সোজা কথা: আমি মনে করি এমন কোনো দল থেকে থাকলেও তাদের সংখ্যা হাতে গোণারও প্রয়োজন হবেনা। কেননা, যারা বিজ্ঞান বা যুক্তি নির্ভর তারা জানে সত্য প্রায় অনেক ক্ষেত্রেই আপেক্ষিক।
একটি কণা একই সঙ্গে তরঙ্গ আবার সবকিছুই স্ট্রিং দিয়ে গঠিত এমন নতুন নতুন তত্ত্ব আসছে আসবে... আসতেই থাকবে... জ্ঞান মানেই চলমান। স্থবিরতা নয়।
২৬ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:৩২
সোজা কথা বলেছেন: আপনার কমেন্টের শেষটি চমৎকার! আমার লেখায় প্রায় একই কথা বলেছি
".....সীমাবদ্ধ জ্ঞান সত্ত্বেও সমষ্টিগত জ্ঞান বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত করার জন্য মানুষ জ্ঞানকে লিপিবদ্ধ করেছে। এই জ্ঞানের সমাহার কে সে নাম দিয়েছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান যেন একটি সাময়িক বিশ্বাস। চিরন্তন কিছুর জন্য অপেক্ষা না করে, যে সব তত্ত্ব দিয়ে চলমান ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা যায় তাকেই স্হান দেওয়া হয় বিজ্ঞানে। ধরেই নেয়া হয় সব তত্ত্ব পরিবর্তনশীল। ভুল না ধরা পড়লে ভুলেই চলতে থাকতে হবে এই যেন জ্ঞানের একমাত্র উপায়। যখন ভুল ধরা পড়বে ছুড়ে ফেলে দেয়া হবে পুরনো তত্ত্ব এবং সাদরে গ্রহণ করা হবে নতুন তত্ত্ব।..."
কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাবে যাচাই বাছাই করতে সক্ষম শতকরা কতজন? আর কত জন অশিক্ষিত এবং "পেশামুখীশিক্ষিত" হওয়ার কারণ অন্ধবিশ্বাস বা মীথ নির্ভর বিশ্বাস কে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে ?
উদাহরণস্বরূপ বিবর্তনের ধারণাটি দীর্ঘস্বীকৃত জ্ঞান কিন্তু শিক্ষায় অগ্রসর খোদ আমেরিকাতেই চার্চবাদী বিশাল জনগোষ্ঠী এই বিবর্তন কে মেনে নিতে পারেছে? পারে নি। তারা এখনো ৬ দিনে বিশ্ব সৃষ্টির রূপকথায় সৃষ্টির সব উত্তর মেনে নেয়, নুহের প্লাবনের নৌকায় জগতের সব প্রাণীর স্যাম্পল তুলে নেয়ার মীথ কে সত্যি বলে মনে করে। কারণ তারা বিশ্বাস করে সৃষ্টির উত্তর রয়েছে তাদের নির্দিষ্ট ঐশী বাণীতে ।
৬১| ২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ৮:১০
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: সত্যি ভালো লেগেছে!
২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:০৯
সোজা কথা বলেছেন: ধন্যবাদ!
৬২| ২৮ শে মে, ২০০৯ ভোর ৪:১৬
ফারুক৫৫ বলেছেন: দেরিতে হলেও আপনার লেখাটি পড়লাম। জানার ইচ্ছাটাই মূল কথা।
৫০ নং কমেন্টের উত্তরে আপনি লিখেছেন-
"...শৈশব থেকে একটি সরল প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেত, ধরা যাক সীমিত জ্ঞানের কারণে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে ব্যর্থ হই, যদি মনে বিশ্বাস আনতে চেয়েও বিশ্বাস খুঁজে না পাই তবে এর জন্য কি ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত?"
আপনি যদি sincerely সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজেন , আমি নিষ্চিত আপনি খুঁজে পাবেন। খুঁজে না পাওয়ার বা শাস্তির প্রশ্নই ওঠেনা। ১ম শর্ত চাওয়া। সৃষ্টিকর্তা নিজের থেকে ধরা দেবেন না , যতক্ষন না আপনি তাকে জানতে চাইবেন।
৬৩| ৩০ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:১৫
তলানি বলেছেন: হায় আল্লহ
৬৪| ০৯ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৫০
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: একবার পড়লাম , ক্লিপ দেখলাম। আরো কয়েকবার ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে। আপাতত প্রিয়তে...
৬৫| ১১ ই জুন, ২০০৯ ভোর ৫:৩২
ভাইটামিন বদি বলেছেন: চমতকার ভাবে গুছিয়ে, সরল ভাষায় লিখেছেন.....
ভাল লাগল ....তবে দ্বিমতের অবকাশ সবসময়ই আছে....
আরো লেখার অপেক্ষায় রইলাম।।।
৬৬| ১১ ই জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সোজা কথা বলেছেন:
ধন্যবাদ! দ্বিমত কোথায় সেটা বিস্তৃত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব
৬৭| ১৪ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৮:০২
হুমায়রা হারুন বলেছেন: খুব দারুণ পোস্ট।
৬৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪
তরু বলেছেন: প্রিয় হইলো।
৬৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৩১
সোনালীডানা বলেছেন: হুমম...
৭০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২০
জনৈক আরাফাত বলেছেন: ভাল!
৭১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৪
সৈয়দ নূর কামাল বলেছেন: এই ব্লগে যে কয়েকটি চিন্তা করা আর ভাবার মতো পোষ্ট পড়েছি, তার মধ্যে অন্যতম আপনার এই লেখাটি। কতো রাত বিছানায় শু'তে গিয়ে বার বার এভাবেই এ চিন্তাগুলো মনে জন্ম নিতো, আর হাতড়ে বেড়াতাম অদৃশ্য সত্যগুলির দিকে। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এভাবে আমার ভাবনা গুলো বর্ণমালায় তুলে ধরার জন্য।
কতোইনা সীমিত আমাদের জ্ঞান। অথচ অনেক অসীম কে ধারন করতে পারিনা বলে, তাকে তুচ্ছ বলি। এ যেন বৈচা মাছের মহাসমুদ্রের সীমানা নির্ধারন করতে যাওয়া।
আপনার লেখা থেকেই উদ্ধৃত করি,
(অন্ধকার ঘরে একটি অন্ধ মানুষ একটি কালো বেড়ালের সন্ধান পাওয়ার জন্য হাতড়িয়ে মরছে। কিন্তু কেন ধরে নিচ্ছে একটি বেড়াল আছে সেখানে? যদি অন্ধ হয় তবে এটি যে একটি ঘর তারই বা নিশ্চয়তা কী? বিড়ালই অন্ধ লোকের হাতের নাগালে থাকবে কেন? যদি হয় দেয়ালহীন অসীম মাঠ, তবে কী কোনদিন বেড়াল থাকলেও জানা যাবে?)
বেড়াল খুঁজে পাচ্ছিনা বলে আমরা সবকিছুই অস্বীকার করতে বসেছি। কার নিকঠ এই নিশ্চয়তা আছে যে এই বেড়াল টি নেই, অথবা থাকতেই পারেনা।
আবারো ধন্যবাদ।
৭২| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:১১
আজম বলেছেন: অসম্ভব ভালো লিখেছেন...
খুব ভালো লাগল
৭৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:০০
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: ভাল লেগেছে।
৭৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৮
এস বাসার বলেছেন: এত গুছানো লেখা!!! ভাবনা গুলান কিভাবে যেন মিলে গেলো।
ভাল থাকুন।
৭৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৩২
গুহামানব বলেছেন: আরো সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারবেন, চালিয়ে যান
৭৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২১
তারিক মাহমুদ (তারিক) বলেছেন: আবার পড়তে হইবো। তবে তেমন বেশি কিছু মনে হয় কওনের নাই। সহজ কথা হইলো, আমারা যেভাবে বড় হই, বড় হওয়ার মাঝেই এক ভাবে আমাদের চিন্তার গঠন চলতে থাকে। ব্যপারটা শুরু হয় পারিবার থেকে। পরিবার আবার এই শিক্ষাটা দেয় তার সমাজের (এর মাঝে ধর্ম, সংস্কৃতি প্রধান) যে জ্ঞান কাঠামো আছে তার মধ্যে থেকে। আর সমাজ যেহেতু রাষ্ট্রের কাঠামোর ভেতর (আমি অবস্যই আধুনীক সমাজের কথা কইতাছি, রাষ্ট্র গঠনের আগেরকার সামাজের না) গঠিত হইতে থাকে; ফলে যারা রষ্ট্র নিয়ন্ত্রন করে, তার তাদের আদর্শ, ভাবনা-চিন্তা, মাতার্দশ ইত্যাদি নানান ভাবে সাধারণ মানুষের উপর চাপাইয়া দেয়। এই বিয়ডারে 'নোয়াম চমস্কি' শুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করছেন তার, 'এলিট-ইন-ডকট্রিনেশন সিসটেম' নামের তত্বে। এই তত্ব লইয়া বেশি কথা অন্য কোন দিন কমু, তাও যদি সম্ভব হয়। তয় একটা উদাহরণ দেই, এইডা কি জিনিস্, কেমনে কাম করে।
খুব সম্প্রতি আমাগো দেশে শিক্ষানীতি প্রনয়ন করা হইছে। তা লইয়া বিস্তার মাতা-মাতি, কামরা-কামরি চলছে পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন থিকা শুরু কইরা ব্লগেও। দু:খের কথা আমি নানান ব্যস্ততায় এই বিষয়ে পড়তে পারি নাই। তয় আওয়ামী লীগ সরকার যেহেতু, এই শিক্ষা ব্যবস্থা হইবো সেকুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ, এইডা বুঝছি; এহন প্রশ্ন হইলো আমাগো দেশের মাস পিপল কি ধর্মনিরপেক্ষতা বুঝে? না ধারণ করে? না ধর্মনিরপেক্ষতা আমাগো মাস পিপলের কালচারের সাথে যায়? এই ধর্মনিরপেক্ষতা প্রেতা-আত্নার মত চাপাইয়া দেওয়া হইছে আমাগো উপর। ধর্মনিরপেক্ষতার, এই বিষডায়া নিয়া অন্য কোথাও আলাপ হইতে পারে। যাই হোক, আমি কইতে চাইছিলাম যে, আওয়ামীলীগ সেকুলার শিক্ষানীতি করবো, বিএনপি করবো ইসলামী জাতীয়তাবাদী আর জামায়েতী ইসলামী ক্ষমতায় থাকলে করবো, মৌলবাদী ইসলামী শিক্ষানীতি। ফলে বুঝা যাইতাছে 'চমস্কি'র 'এলিট-ইন-ডকট্রিনেশন সিসটেম' কি জিনিস। এর আরো সোজা উদাহরণ হইলো 'পিএসসি ২০০৮' এই মডেল কিন্তু জনগন বানায় নাই।
তো কথা হইলো, আমারা সাবাই কম বেশি এই রকম জ্ঞান কাঠামোর ভেতর থিকা চিন্তা-ভাবনা র্চচা কইরা আইতাছি, ফলে আমাদের ধরণাগত বা আগে যা ঢুকাইয়া দেওয়া হইছে তার সাথে বোঝা-পাড়া বো মোকাবেলা করার জন্য যে নুতন জ্ঞান প্রতিনিয়তো আসতাছে, তার খোজ-খবরতো করা লাগবো, কয়জনে এই তারণা বোধ করে? কয় জনেরে এই তরণা পূরণ করনের মত টাইম এই পুজীবাদী-ভোগবাদী অর্থনৈতিক-রাষ্ট্র ব্যবস্থা দেয়? এই যেমন আমি এহন আফিসে বইয়া এই মন্তব্য করতাছি। কয়জন করবো?? ফলে আমারা দেখা যায় সেই গন্ডির ভেতরেই পইরা যাই। বলা যাইতে পারে, ছোট কুয়া থিকা বড় কুয়া, তার পর আরো বড় কুয়া; কুয়াডা কি ভাইঙ্গা বাইর হইতে পারমু? তা যেন পারি?
আপনারে ধন্যবাদ।
৭৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৩
শুভ রহমান বলেছেন: আমার একটি পোস্টে আপনার এই লেখাটির লিঙ্ক দিয়ে দিলাম। মগজ মাথায় :: বুদ্ধিমত্তা কোথায়?
৭৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:১৫
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন: দারুন েপাষ্ট
৭৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০৬
সজীব আকিব বলেছেন: ৭০ তম প্লাস!!
৮০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১৭
র হাসান বলেছেন: ভালো পোষ্ট! প্লাস!!
Bangladesh travel info for tourists and expats
৮১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১০
শিমুল আহমেদ বলেছেন: অসাধারন একটি লেখা। অনেক চিন্তার খোরাক আছে পোষ্টিতে। আমার জ্ঞান খুব কম তাই এই মুহুর্তে কোন বিচার বিশ্লেষনে গেলাম না। পোষ্ট সরাসরি প্রিয়তে নিলাম পড়ে আরো ভাল ভাবে পড়ব।
লেখক বলেছেন: ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত হবে কি হবে না?
হ্যা বা নাতে জবাব চাইলে কি বলবেন?
শুধু এক কথায় শুধু উত্তর দিয়ে গেলাম আমার মতে উত্তরটি হচ্ছে না। কারন এতে ঈশ্বর বড় বেশি ক্ষুদ্র আর অবিবেচক হয়ে যায়।
৮২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৩৫
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: উপরের ভিডিওর লিংকটি কাজ করছে না । এখানে দেয়া হল
৮৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৬
পারভেজ আলম বলেছেন: বহুতদিন পর ব্লগে ভালো কোন প্রবন্ধ পড়লাম। এবং প্রিয়তে নিলাম।
৮৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:১৬
কাকপাখি ২ বলেছেন: হুম, আধাআধি পর্যন্ত ঠিকই লিখতাছিলেন, কিন্তু মগজের ক্ষমতা এনালাইসিস করতে আইসা একটা জিনিস উল্লেখ করেন নাই। সেইটা হইল মানুষ অভিজ্ঞতার বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারে না।
এখন, মানুষের অভিজ্ঞতা মূলত ইন্দ্রিয় নির্ভর। তার মানে মানুষের জ্ঞান প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ (যন্ত্রপাতির সাহায্য নিয়ে) ভাবে ইন্দ্রিয় দিয়া অনুভব করা যায় এই রকম বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। আপনের কথামত:
"যত সময় যায় জ্ঞান বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সত্ত্বেও সীমাবদ্ধতার কথাটি প্রকট ভাবে উঠে আসে, আমরা ভাবি কতদুর আমাদের বোধক্ষমতার আওতায়।বিজ্ঞানী নিউটন একবার সমুদ্রেতটে নুড়ি কুড়ানোর কথা বলেছিলেন। বাস্তব যেন তাকেও হার মানায়।"
এই বিষয়ে একটা লিখা আছে, ইচ্ছা করলে পড়তে পারেন।
যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব (Reason Why Atheists are Stupid)
৮৫| ১৪ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:১৩
মূসা আলকাজেম বলেছেন:
এখানকার লেখাটি পড়লে বুঝবেন কেন ভয়াবহ শাস্তি
৮৬| ২৯ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪৫
ভয়ংকর বোকা বলেছেন: ভালো লাগলো, প্রিয়তে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:১৫
কেল্টূ দা বলেছেন: দুয়েক লাইন পইড়াই প্লাস দিলাম , ছাগলরে কিছু জিগায় আসি তারবাদে কথা হইব ।