![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'ধর্ম' নামক 'জীবাণু'-টি দ্বারা আক্রান্ত এ পৃথিবীতে আজ একি বিভীষিকাময় পরিস্থিতি! ধার্মিকদের অত্যাচারে আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের আপামর জনতা ভয়ে থরহরি কম্প। ধার্মিকত্বের অন্ধকার ঘুগলিতে লুকিয়ে থাকা বিষধর ঐ কালনাগগুলোর বিষাক্ত দংশনে মা-মাটি-দেশের এ কি চরম বিপর্যয়! এমনই এক ক্রান্তি কালে কে দিবে আশা, কিসে হবে এ মৃত্যু-যন্ত্রনা হতে মুক্তি।
একবার ভেবে দেখুন, একটু খুঁজে বের করুন, কি করে চলেছে তারা গত এক শতাব্দি ধরে। তাদের অত্যাচারের লেলিহান শিখা দাবানল হয়ে একের পর এক কেড়ে চলেছে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় কোটি কোটি মানুষের প্রাণ। তাদের অত্যাচারে গৃহহারা হয়েছে কত শত পরিবার, স্বামীহারা হচ্ছে কত হাজারো মা-বোন, পিতৃহারা হয়ে এতিমে পরিণত হয়েছে কত লক্ষ-কোটি শিশু! গত একশত বছরে এই ঘৃণ্য জানোয়ারগুলো'র কারণেই তো ঝরে গেছে বিশ্বব্যাপী বিলিয়ন তাজা-তরুণ প্রাণ!
সোভিযেত ইউনিয়নের যোসেফ স্ট্যালিন (Joseph Stalin)-এর কথাটাই ধরুন। এই 'ধার্মিক' মানুষটি ১৯৩৭-৩৮ সালে বলশেভিক বিপ্লবের নামে ৭০-৮০ লক্ষ মানুষকে কারাবন্দি করেন, ১০ লক্ষ মানুষকে করেন হত্যা। তার অত্যাচারে ২০ লক্ষ মানুষ মারা যায় লেবার ক্যাম্পগুলোতে সেসময়। আর ১৯৩৮ সালের পরবর্তীতে তা হয়ে দাড়ায় গণহত্যা। প্রিজন ক্যাম্পগুলোতে ৮০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে অনাহারে-অর্ধাহারে। এক হিসেবে, ১৯২৪-৫৩ সালে এই বিপ্লব চলাকালে ২০ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় পুরো সোভি্য়েত ইউনিয়ন জুড়ে! তারও আগে রাশিয়ার সিভিল ওয়ারের (১৯১৭-২২) সময় মারা যায় ৯০ লক্ষ আদম সন্তান!
এরও আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে (১৯১৪-১৮) সেইসব 'ধার্মিক' মানুষদের কাহিনী মনে পরলে আজও গা-শিউরে উঠে। পুরো বিশ্বজুড়ে তাদের তান্ডবে তখন মারা পড়ে প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষ, যার মাঝে ১৩ মিলিয়নই 'ব্লাডি সিভিলিয়ান'। আর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়? হাহ! ১৯৩৯-৪৫, মাত্র এই ছয় বছরের যুদ্ধে পৃথিবী'র মায়া ছাড়িয়ে পরপারের টিকিট ধরিয়ে দেওয়া হয় ৬৬ মিলিয়ন মনুষ্য সন্তানের হাতে। একই সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই, ১৯৪৫-৪৭ সালে, পরাজিত জার্মান নাগরিকদের পুরো ইউরোপ থেকে হটিয়ে দিতে যে চিরুনী অভিযান চালানো হয়, তাতে মারা পড়ে প্রায় ২১ লক্ষ জার্মান নাগরিক। আর এসকল কিছু'র মূল কৃতিত্ব কিন্তু পৃথিবী'র তাবৎ ঐ ধর্ম অনুসরণকারী, ধর্মীয় কানুন মেনে চলা 'গোড়া', 'মৌলবাদি' আস্তিক কীটগুলোরই! তাই না? বটেই তো!
তারপরে আসা যাক 'মাও সে দং'-এর সময়ে। চীনের বিখ্যাত এই 'ধার্মিক' লোকটিও কিন্তু কোনক্রমেই কম যান না 'শ্রেণীশত্রু' পশ্চিমাদের চেয়ে। ১৯৪৯-৭৫ সালে ইনি এবং তার পার্টির লোকেরা এই ধরা থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করেন ৪০ মিলিয়ন প্রাণ। তাদের কেউবা মারা যায় বিপ্লবীদের গুলিতে, আবার কেউবা লেবার ক্যাম্পের অন্ধকার কানাগলিতে। আর, ১৯৫০ সালে তীব্বতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আন্দোলন দমনে হত্যা করা হয় ৬ লক্ষ তিব্বতী জনসাধারণলে। এবারে বুঝুন 'ধার্মিক' মানুষ কাকে বলে! তারও আগে, চীনের 'প্রথম জাতিয়াতাবাদী গৃহযুদ্ধে (১৯২৮-৩৭) ৫০ লক্ষ আর দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধে (১৯৪৫-৪৯) মাত্র ২৫ লক্ষ মানুষ মারা পড়ে। সেটাও কিন্তু ঐ 'ধার্মিক' পশুদের হাতে এটা মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার পড়ে না!
প্রায় একই সময়ে ১৯৫০-৫৩ সালের উত্তর কোরিয়া আর দক্ষিণ কোরিয়া নামক দুই 'ধর্ম রাষ্ট্র'-এর ধর্মপ্রাণ মানুষগুলো জড়িয়ে পড়ে তুমুল যুদ্ধে। তাদের ধর্মীয় তারবার্তা পেয়ে সমব্যাথী হতে ছুটে আসে আরো দুই ধর্মপ্রাণ দেশ আমেরিকা ও চীন। তাদের এহেন ধর্মীয় যুদ্ধের শিকার হয়ে আবারো ৩০ লক্ষ মানবের ইহধাম হতে প্রস্থান। তার পরবর্তীতে, শক্তিমান এই দেশগুলোর যোগসাজশেই কিন্তু ভিয়েতনাম যুদ্ধে মারা যায় প্রায় ৪.২ মিলিয়ন মানুষ।
আরেকটু পিছু ফিরি, দৃ্ষ্টি ফেলি অন্যান্য দেশের 'ধর্মপ্রাণ' মানুষগুলোর দিকে। এই তো গত শতাব্দির শুরুর দিকেই তো, সে সময়ে 'ধার্মিক' নামক ভীন গ্রহের আগন্তুকদের হানায় মেক্সিকোতে মারা যায় লক্ষ প্রাণ। সেসময়ের (১৯১০-২০) মেক্সিকান ডিক্টেটর পোরফিরিও ডিয়াজ-এর বিরুদ্ধে ফ্রান্সিসকো-র বিপ্লবে মারা পড়ে ১০ লক্ষ মানুষ। প্রায় একই সময়ে, ১৯০০ সালে ব্রাজিলে হত্যা করা হয় ভারতীয়দের, এক অর্থে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় ৮ লক্ষ মানব-মানবী।
অন্যদিকে,কঙ্গো'র স্বাধীনতা আন্দোলনে (১৮৮৬-১৯০৮) অত্যাচার, অসুখ আর দু'পক্ষের হানাহানিতে বেঘরে মারা পড়ে ৮০ লক্ষ মানব সন্তান। একই সাথে পর্তুগালে ১৯০০-২৫ সালের মাঝে মারা যায় আরো ৮ লক্ষ। আর, বিশ্বের তাবৎ আস্তিকদের গুরু আমেরিকার ফিলিপাইন আক্রমনকালীন সময় (১৮৯৯-১৯০২) মারা যায় ২ লক্ষ ২০ হাজার প্রাণ। 'ওয়ার অফ এ থাইজেন্ড ডেজ' নামক কলম্বিয়ান গৃহযুদ্ধেও সেই সময়ে (১৮৯৯-১৯০২) যুদ্ধে এক লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে।
ওদিকে, ফ্রেঞ্চরাও কম যায় না। তাদের কলোনীগুলোতে ১৯০০-১৯৪০ সালের মাঝে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ মারা যায়। আর জার্মানদের বিরুদ্ধে আফ্রিকান কলোনীগুলোর 'মাজি মাজি' বিদ্রোহে (১৯০৫-০৭) ১.৭৫ লক্ষ মানুষের প্রাণ। রুশদের সাথে জাপানীজদের যুদ্ধও(১৯০৪-০৫) ১.৩০ লক্ষ মানুবের মৃত্যুর কারণ হয়।
আবারো ফিরে আসি কাছাকাছি সময়ে, আফ্রিকার মহাদেশের বিভিন্ন দেশের গৃহযুদ্ধগুলো'র দিকে। এখানেও কিন্তু ভয়াবহ কান্ড! ১৯৬২-৯২-তে ইথিওপিয়াতে ২০ লক্ষ, নাইজেরিয়াতে(১৯৬৬-৭০) ১০ লক্ষ, রুয়ান্ডা-বুরুন্ডিতে(১৯৫৯-৯৫) ১৩.৫০ লক্ষ, এঙ্গোলাতে (১৯৭৫-২০০২) ৫ লক্ষ, মোজাম্বিকে (১৯৭৫-৯২) ৮ লক্ষ, উগান্ডায় (১৯৭৯-৮৬) ৩ লক্ষ,
শিউরে উঠছেন? আরেকটু বাকি। কম্বোডিয়ার খেমারুজ নেতা পল পট-এর কথা মনে আছে নিশ্চয়ই! শুধু ১৯৭৫-৭৮ সালেই এই মহান 'ধর্মপ্রচারক' পত্রপাঠ বিদায় করেন ১৬.৫০ লক্ষ আদমের প্রাণ। তাকেই অনুসরণ করে কিনা জানা নেই, ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন হামলা করে বসে আফগানিস্তান। শুরু হয় আফগানদের সাথে যুদ্ধ। তারই সূত্র ধরে ২০০১ সাল পর্যন্ত বেঘরে মারা পড়ে ১৮-২০ লক্ষ সাধারণ আফগান নাগরিক। এরই মাঝে সাদ্দাম শাসনামলেও (১৯৭৯-২০০৩) মারা যায় ৩ লক্ষ ইরাকি।
সর্বশেষে, আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানদের উপর চলা হত্যাযজ্ঞের কথা না বললেই নয়। আমরেিকার আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানদের উপর 'ধার্মিক' ইউরোপিয়ানরা যে অত্যাচার চালায় তা বোধকরি পুরো বিশ্বে দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া দুস্কর। ১৫০০ সালে রেড ইন্ডিয়ার সংখ্যা যেখানে ছিলো ১২ মিলিয়ন, উনিশ শতাব্দির শেষে তা মাত্র ২ লক্ষ ৩৭ হাজারে এসে ঠেকে!
এবার নিশ্চয় বুঝা যাচ্ছে 'ধর্মপালনকারী'-রা কতটুকু ভয়ানক! তারা পেয়েছে কি? মগের মুল্লুক? বারবার তারা পৃথিবী'র মানুষদের যন্ত্রনা দিবে, আর আপামর 'শান্তিপ্রিয়' মানুষগুলো বসে বসে শুধু মাথা নোয়াবে? কক্ষনো না। পুরো পৃথিবী জুড়ে এরকম অকর্ম করে যাওয়া ধার্মিকেদের একটা একটা করে ধরতে হবে। এমনকি যদি মাটি খুড়ে খুঁজে বের করতে হয়, তবুও। এরপর...
এরপর... তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে এই পৃথিবী থেকে। সেদিনের বোধহয় আর বেশি দেরী নেই।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: উপরের নায়ক-মহানায়করা রক্তগঙ্গা বহিয়েছেন বলে আমাদেরও তা করতে হবে, এমন কোন কথা নেই। কিন্তু, শুধু গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে ইসলামকে টার্গেট করে গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার চলছে, তা মোটেই শোভনীয় নয়। এর প্রতিবাদেই আমার এক কলিগের অনুরোধে তার লেখাটি এইখানে প্রকাশ করছি।
তথ্যসূত্র:
১. 'Case Study: Stalin's Purges',
ওয়েব লিংক- http://www.gendercide.org/case_stalin.html
২. 'The Lesser Multicides of the Twentieth Century',
ওয়েব লিংক: http://necrometrics.com/20c5m.htm#Congo
৩. 'Wikipedia: Mexican Revolution',
ওয়েব লিংক: Click This Link
৪. 'Were American Indians the Victims of Genocide?',
ওয়েব লিংক: http://hnn.us/articles/7302.html
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
বিদেশী বাঙালী বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দারুন পোষ্ট । যুদ্ধবিরোধী লিখণী । কিন্তু আমার বোধগম্য হলোনা আপনার লেখায় কেন বারবার ধর্ম, ধার্মিক শব্দগুলো এলো? উনারা মানবতা বিরোধী কাজ করেছেন; এর সাথে ধর্মের সম্পর্ক কী? প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্যই তো এহেন হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন । ধর্ম কায়েমের জন্য তো নয় ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
বিদেশী বাঙালী বলেছেন: উপরের নায়ক-মহানায়করা রক্তগঙ্গা বহিয়েছেন বলে আমাদেরও তা করতে হবে, এমন কোন কথা নেই। কিন্তু, শুধু গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে ইসলামকে টার্গেট করে গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার চলছে, তা মোটেই শোভনীয় নয়। এর প্রতিবাদেই আমার এক কলিগের অনুরোধে তার লেখাটি এইখানে প্রকাশ করছি।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪
বিদেশ পাগলা বলেছেন: কুকুরের মত ফেলানো পচা-গান্ধা উচ্ছিষ্ট ও ময়লা খাওয়ার কাজ হচ্ছে তথা কথিত মুক্তমনা নামধারী শুকর-জানোয়ার গুলির । ওরা হচ্ছে সাম্রাজ্য বাদীদের পালা কুত্তা । দুই চার পয়সা খুঁদ-কুড়ো খাওয়ার জন্য কিনা করে ঐ দালাল গুলি............. ? ওদের নীচতা ও মানসিক দৈন্যতা দেখে মাঝে মধ্যে দুঃখ ও লাগে আবার কোন কোন সময় ঘৃনাও হয় । টাকা পয়সার এত অভাব যে ওরা পায়খানার ময়লার মধ্য টাকা পড়ে গেলে তা মুখ দিয়ে উঠাতে দ্বিধা করবে না .........! কোন বাপ মা যে ওদের জন্ম দিয়েছিল ? না অবৈধ (জারজ) সন্তান কে জানে ? নূন্যতম আত্মসম্মান ও ব্যক্তিত্ব ওদের নেই । যেখানে পায়খানা করে আবার সেখানে ঘুমায় । চরিত্র কত খারাপ হতে পারে, কত প্রকার ও কি কি ? এর উত্তর ওদের চরিত্র বিশ্লেষন করলে সুন্দর পাওয়া যাবে ! ঐ মানসিক বিকারগ্রস্থ, বিকৃত রুচি ও প্রতিবন্ধীরা গুনে গুনে শুধু সর্বশ্রেষ্ট ধর্ম “ ইসলামের ” ত্রুটি খুজে পায় ....... ! ওদের মানসিক ও চোখের ডাক্তার দেখানো অতি জরুরী ! অন্য ধর্ম সম্বন্ধে কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি কখনও তাদের অন্ধ চোখে ধরা পড়ে না , বিশেষ করে খ্রীস্টানদের ব্যাপারে ........... আশ্চার্য.....! উদ্ভট, গাজাখুরি, মনগড়া চরম মিথ্যা ও উস্কানি মুলক সাম্প্রদায়িক কথা বলা ওদের নিত্য অভ্যাস । দাউদ হায়দার ,তসলিমা নাসরিন , সালমান রুশদি ও মালালারা হচ্ছে ওদের দোসর...........।........ এ মন্তব্যে অনেকের চুলকানি-এলার্জি হবে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই........।.....কিন্তু দুঃখিত সত্য আমাকে বলতেই হবে তাতে আমার যা হয় হবে....।................. সৃষ্টিকর্তা সহায়...... ! লেখক কে ধন্যবাদ
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৩
বিদেশী বাঙালী বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১১
ইমরান আশফাক বলেছেন: খুবই চমৎকার ও যুগোপোযুগী পোস্ট।