নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগো মানুষ আজ জাগো, ভেবনা তুমি বাঙালী কি বাংলাদেশী....কেটে যাবে রোদ ভাঙ্গবে আঁধার, আমি দেখব মাগো তোমার মুখের হাসি

বিদেশী বাঙালী

সাতটি মহাদেশ, আরো পাঁচটি মহাসাগরের ভিড়ে, পদ্মা আর মেঘনা, সুরমা-যমুনার তীরে, বঙ্গোপসাগরের ফেনিল প্রান্তরে, আমার জন্মভূমি.........

বিদেশী বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব স্বাধীনতাবিরোধীই কি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন?

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২২


একটু চিন্তা করে বলুন, আজ যদি বাংলাদেশের কোন জেলায় বিদ্রোহ দেখা দেয় আর কোন দল সেই জেলাকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে, তখন একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে আপনার অবস্থান কি হবে? আপনি কি ব্যাপারটিকে খুব সহজে গ্রহন করে সমর্থন করতে পারবেন? বাংলাদেশকে ঘিরে অতীতে অনেক কিছুই তো হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্রোহ, স্বাধীন বঙ্গভূমি আন্দোলন কত কি-ই না হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে বিদ্রোহের কারণে অনেককেই বাংলাদেশের আইনে শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সেনানীদেরও কম ভুক্তভুগী হতে হয়নি। এক্ষেত্রে একজন বাংলাদেশী'র কি করা উচিৎ?

সেরকমই কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিলো একাত্তরের দিনগুলোতে? সেই পরিস্থিতিতে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের একজন সচেতন নাগরিকের অনুভুতি কি হতে পারতো? তারা কি কোনক্রমেই নিজ দেশ ভাঙ্গার উস্কানিকে মেনে নিতে পারতো যেমন আজ বাংলাদেশের কোন নাগরিকই মেনে নেয় না? ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন আমাদের।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গ নিয়ে চিন্তা করতে গিয়েই আজ এই বিষয়ের অবতারণা করেছি আজ।

২৬-শে মার্চের ভয়াল রাতের পর মানুষ বলে পদবাচ্য কোন ব্যক্তিই সেসময় পাকিস্তানের সাথে থাকা সমর্থন করে উঠতে পারেনি। যারা ভাই হয়ে ভাই-য়ের উপর এভাবে ঝাপিয়ে পড়েছিলো, তাদের সাথে কিভাবে থাকতে পারবে মানুষ? নিরীহ মানুষ হত্যা তো ইসলাম কোন ভাবেই মেনে নিতে বলেনি। একজন মুসলমানের রক্ত আল্লাহর কাছে কতটা দামী তা তো একজন বিবেকবান মানুষ মাত্রই জানার কথা। তা জেনেও কিভাবে তারা এইভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যেতে পেরেছিলো তা আমার বোধগম্য নয়। আমি সেই সময় ছিলাম না, তারপরও সেই সম্পর্কে ভাবতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে ইচ্ছে হয়। নিজেকে সামলাতে পারি না।

তখন চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছে হয়, তাদের শাস্তি দিতে সরকার এতো দেরী করছে কেন!

তারপর নিজেকে সামলে নেই। সেই নিজেকে সামলাই যাকে বিবেকবান মানুষ হিসেবে আপন সত্ত্বার কাছে পরিচিত করতে ভালোবাসি। ভাবি, ক্ষমা নামক কথাটি তো মানুষের জন্যই!

কিন্তু, সেই ক্ষমা কি তাদের জন্যে প্রযোজ্য যারা নিরীহ মানুষের রক্তে হাত রাঙ্গিয়েছে? সেই ক্ষমা করার ক্ষমতা কি ইসলাম আমাকে দিয়েছে? রক্তের বদলা রক্ত নিতে কি ইসলামই বলেনি? আর, যদি ক্ষমা করতেই হয়, কে করবে তা? যাকে হত্যা করা হয়েছে, তার পরিবার ছাড়া অন্য কেঊ ক্ষমা করার অধিকার রাখে কি? রাখে না।

তাই, প্রশ্ন আসতেই পারে, কারা ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য? সেই প্রসঙ্গেই আসছি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছেন, কিন্তু কোন অপরাধ করেননি, মানুষ হত্যা করেনি অন্যায় ভাবে, বিধর্মীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেননি নিজ স্বার্থে কিংবা মা-বোনদের গায়ে হাত তুলেননি নিজ লালসা চরিতার্থ করতে, তারা কি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য নন?

আমার বিবেক বলে, তারা অবশ্যই ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য।

আর, সেই রকম কোন মানুষ থেকে থাকলে, তাকে যেন ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেই আমরা। তাকে যেন বুঝতে দেই, কেন অনেক রাসূলুল্লাহ(সাঃ)-এর বংশধর-সহ পীর-মাশায়েখরা পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন, যুদ্ধ করেছিলেন নিজের প্রাণকে বাজি রেখে।

এতোটুকুই আমার চাওয়া।


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আপনি তো সব জেনে বুঝেই 'ছাগু' হিসেবে নিজেকে রেজিস্ট্রি করে ফেললেন!
এই যুদ্ধাপরাধ জামাত নেতারা না করে যদি আওয়ামী নেতারা করতেন, তবে আপনার এইসব চিন্তা সত্য হলেও হতে পারত।
যে কোন ধরণের চিন্তা ভাবনা যা জামায়াতেকে নির্দোষ প্রমাণ করে তাই ছাগু।

১২ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩১

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: আমার পুরো লেখাটা আরেকবার পড়ুন।

''আর, সেই রকম কোন মানুষ থেকে থাকলে, তাকে যেন ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেই আমরা। তাকে যেন বুঝতে দেই, কেন অনেক রাসূলুল্লাহ(সাঃ)-এর বংশধর-সহ পীর-মাশায়েখরা পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন, যুদ্ধ করেছিলেন নিজের প্রাণকে বাজি রেখে।''

এই লাইনগুলো পড়েও আমাকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের কেউ বলে মনে হলো।!

২| ১২ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১১

চিত্রনাট্য বলেছেন: আপনি হয়তো বুঝতে পারেন নি অথবা ভালো করে প্রকাশ করতে পারেন নি।
একটা চেষ্টা করা যাক।
ধরেন, আমি মনে মনে কোন খারাপ ভাবনা পুষে রেখেছি। সেটা আপনার জানার কথা নয়। যদি এমন হয়, আপনি আসলে মানুষের ভেতরের কথা পড়তে পারেন। তো আপনি বুঝে গেলেন আমার মনের ভেতর কি চলছে। আপনি কি আমাকে চার্জ করতে পারেন? আপনি করলেন তখন আমি সেটা অস্বীকার করলাম। আপনি কি প্রমাণ করতে পারবেন?

একাত্তরেও যদি এরকম কেউ ভাবে, মনে মনে পুষে রাখে কিন্তু কোন অন্যায় করলো না তাহলে সেটা অন্যেরা কিভাবে জানবে? অন্যেরা জানার জন্য তাকে সেসময় কোন কোন ভাবে কোন অন্যায়তে যুক্ত হতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আর বাংলাদেশের বিভক্তি আলাদা। এটার সাথে এটার তুলনা হয় কি!

১২ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা কোন ব্যাপার নিয়ে শাস্তি তখনই হতে পারে যখন তা কাজে পরিণত করা হয়। আমি তা-ই জানি।

আর, পার্বত্য চট্টগ্রাম আর বাংলাদেশের বিভক্তি আলাদা। এ সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ একমত নিচের পোস্ট-টি পড়ে বুঝেছি-
জনাব এরদোগান, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের আগে ১৯৭১ সালে আমাদের আলেমদের ভুমিকা একবারও ভেবে দেখলেন না!

৩| ১২ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার নামটাই সব কয়া দেয়। বৈদেশী বাঙালি। তো দেশটা কি তুরস্ক নাকি ফাকিস্তান?

১৩ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৩

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: সমস্যা কোথায়, কবি হাসান ভাই? যার যতটুকু দোষ, তার ততটুকুই শাস্তি হওয়া উচিৎ নয় কি?

দেশবিরোধীতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতেই পারে। কিন্তু, একাত্তরে তো বাংলাদেশ কোন দেশ ছিলো না। সেসময়ে কেউ যদি যুদ্ধাপরাধ করে না থাকে আর এখন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিয়ে থাকে, তাহলে সেসময়ে শুধু স্বাধীনতার বিরোধীতার জন্যে মৃত্যুদণ্ড হতে যাবে কেন? যুক্তিটা কোথায় বলুন?

৪| ১৩ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১০

যোগী বলেছেন:
উপরের আন্সারে লেখক এক যায়গায় বলেছে: কিন্তু, একাত্তরে তো বাংলাদেশ কোন দেশ ছিলো না।

অনেক বেশি পড়াশুনার পরামর্শ দিয়ে গালী দেয়া থেকে বিরত থাকলাম আমি।

১৩ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: একাত্তরে বাংলাদেশ নামের একটি দেশ ছিলো, এটা কোথায় পেলেন?


পরামর্শের জন্যে ধন্যবাদ। তবে, আপনার প্রতিও পড়াশুনা করে যুক্তি ধারালো করার আহবান থাকলো। আর গালির ভয় দেখাবেন না। এটা আপনারও প্রাপ্য হতে পারতো যদি আমি গালি দেওয়াকে অপছন্দ না করতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.