![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, এই দিন তত্কালীন প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান এক আদেশবলে দেশের সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্তির মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ (বাকশাল) নামে একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল গঠন করেন। একই সঙ্গে নিজেকে তিনি এই দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন। পাশাপাশি দল পরিচালনা এবং দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও একক ক্ষমতার অধিকারী হন। প্রেসিডেন্টের এই আদেশের ফলে অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত হয় এবং দেশে বিরাজ করে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল—বাকশাল । ওই বছর ৭ জুন বাকশালের গঠনতন্ত্র, কার্যনির্বাহী, কেন্দ্রীয় কমিটি ও পাঁচটি ফ্রন্ট এবং এর কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় দলের চেয়ারম্যান হিসাবে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল পদে প্রধানমন্ত্রী এম মনসুর আলীর নাম ঘোষণা করেন। জিল্লুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মনি ও আবদুর রাজ্জাককে দলের সেক্রেটারি করা হয় । ফ্রন্ট পাঁচটি হলো : জাতীয় কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ, জাতীয় যুবলীগ ও জাতীয় ছাত্রলীগ। এর সেক্রেটারিরা ছিলেন—কৃষক লীগ ফনী মজুমদার, শ্রমিক লীগ অধ্যাপক ইউসুফ আলী, মহিলা লীগ বেগম সাজেদা চৌধুরী, যুবলীগ তোফায়েল আহমদ, ছাত্রলীগ শেখ শহীদুল ইসলাম। ১৫ জনকে নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি এবং ১১৫ জন সদস্য রাখা হয় কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এই বাকশালের দর্শন বাস্তবায়নের জন্য ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন এক আদেশবলে দেশের সবক’টি সংবাপত্র বিলুপ্ত করে রাতারাতি বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়। শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনায় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ অবজারভার এবং বাংলাদেশ টাইমস এই চারটি পত্রিকা সাময়িকভাবে প্রকাশনার সুযোগ দেয়া হয়। এভাবে শেখ মুজিবুর রহমান ওই সময় আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। এসবই করা হয় ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে। ওইদিন সংসদে শেখ মুজিবুর রহমান পেশকৃত চতুর্থ সংশোধনী বিল পাসের মাধ্যমে দেশের সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্তির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন তথা বাকশাল গঠনের পথ উন্মুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় এবং শেখ মুজিব রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। আর এ পদক্ষেপকে শেখ মুজিবুর রহমান তার দ্বিতীয় বিপ্লবের সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেন। এসব ঘটনা ওই সময় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে আবার বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা চালু হয়।
১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাকশাল গঠন এবং এ সংক্রান্ত আদেশ এবং রাজনৈতিক দলের বিলুপ্তি সংক্রান্ত খবর পরদিন দৈনিক ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে। আর ৭ জুন গঠিত বাকশালের গঠনতন্ত্র কার্যনির্বাহী ও কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ৫টি ফ্রন্ট গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। এবং এ খবর ৭ জুনেরই ইত্তেফাকে প্রকাশিত হয়। এসব রিপোর্টের কয়েকটি তুলে ধরা হলো।
একটিমাত্র জাতীয় দল : কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ
পার্টির চেয়ারম্যান পদে বঙ্গবন্ধু
(ইত্তেফাক রিপোর্ট)
প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গতকাল (সোমবার) এক আদেশ বলে ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ নামে একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল গঠনের কথা ঘোষণা করিয়াছেন। এখন হইতে এই দেশে এই একটিমাত্র রাজনৈতিক দল থাকিবে। বঙ্গবন্ধু এই দলের চেয়ারম্যান থাকিবেন। সংগঠনের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা তিনিই গ্রহণ করিবেন এবং উহা পরিচালনার যাবতীয় ক্ষমতা তাঁহার হাতে ন্যস্ত থাকিবে। প্রেসিডেন্টের এই আদেশের ফলে অন্যান্য রাজনৈতিক দল স্বাভাবিকভাবে বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। প্রেসিডেন্ট অন্য কোনো নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদে অবলুপ্ত আওয়ামী লীগের সকল সদস্য, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীগণ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের সদস্য বলিয়া গণ্য হইবেন। প্রেসিডেন্ট দলীয় সংগঠন নির্ধারণ না করা পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে অবলুপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতিত অন্যান্য সকল কমিটি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের কমিটি রূপে কাজ চালাইয়া যাইবে। দেশে একটিমাত্র রাজনৈতিক দল সম্পর্কে গতকাল প্রেসিডেন্ট তিনটি আদেশ জারী করেন। ১নং আদেশ—
প্রেসিডেন্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বর্ণিত জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র— এই মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতিসমূহের পূর্ণতাদানের উদ্দেশ্যে দেশে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের নির্দেশদানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিয়াছেন। অতএব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৭-ক অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রেসিডেন্ট দেশে এখন হইতে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল থাকিবে বলিয়া নির্দেশ দান করিতেছেন।
২নং আদেশ—
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৭-ক অনুচ্ছেদের (২) ও (৩) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রেসিডেন্ট নিজেকে চেয়ারম্যান করিয়া বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামে একটি জাতীয় দল গঠন কয়িয়াছেন। ইহা সংগঠনের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা তিনিই গ্রহণ করিবেন এবং ইহার পরিচালনার যাবতীয় ক্ষমতা তাঁহার থাকিবে।
৩নং আদেশ—
রাষ্ট্রপতি অন্য কোনো নির্দেশ দান না করিলে জাতীয় সংসদের অবলুপ্ত আওয়ামী লীগ দলীয় সকল সদস্য, মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীগণ বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের সদস্য বলিয়া গণ্য হইবেন। প্রেসিডেন্ট দলীয় সংগঠন নির্ধারণ না করা পর্যন্ত অবলুপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত অন্যান্য সকল কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশে কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের কমিটি রূপে কাজ চালাইয়া যাইবে। (দৈনিক ইত্তেফাক : ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ১৯৭৫)
অন্যান্য দলের অবলুপ্তি
(ইত্তেফাক রিপোর্ট)
গতকাল (সোমবার) প্রেসিডেন্টের আদেশ অনুযায়ী ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে দেশে একদলীয় রাজনীতি প্রবর্তিত হইল এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিলুপ্তি ঘটিল। গত ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে গৃহীত সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনী অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট দেশে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করিলে অন্যান্য রাজনৈতিক দল স্বাভাবিকভাবে ভাঙ্গিয়া যাইবে।
গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় একটি রাজনৈতিক দল গঠন সম্পর্কিত প্রেসিডেন্টের আদেশের সাথে সাথে দেশের ১৪টি রাজনৈতিক দলের বিলুপ্তি ঘটিল। দলগুলি হইতেছে (১) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, (২) ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (মোজাফফর), (৩) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, (৪) ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী), (৫) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, (৬) ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ন্যাপ সুধারামী, লেনিনবাদী), কমিউনিস্ট পার্টি, মোজাফফর ন্যাপের বিদ্রোহী অংশ ও প্রগতিশীল কর্মীগণ, (৭) জাতীয় গণমুক্তি ইউনিয়ন (বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি ও বামপন্থী কর্মীগণ), (৮) বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, (৯) বাংলা জাতীয় লীগ, (১০) বাংলাদেশ লেবার পার্টি, (১১) জাতীয় গণতন্ত্রী দল, (১২) বাংলাদেশ জাতীয় কংগ্রেস, (১৩) মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি ও (১৪) শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী। (দৈনিক ইত্তেফাক : ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ১৯৭৫)
উপরাষ্ট্রপতি-স্পীকার জাতীয় দলের সদস্য বিবেচিত হবেন
বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের সদস্য বলে বিবেচিত হবেন। গতকাল ঢাকায় প্রকাশিত রাষ্ট্রপতির এক আদেশে একথা ঘোষণা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আর এক আদেশে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতির অপর কোনো নির্দেশ না থাকা পর্যন্ত অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগের সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং কমিটির সকল সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের বলে বিবেচিত হবেন।
সদর দফতর
রাষ্ট্রপতির আদেশে ঘোষণা করা হয় যে, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের সদর দফতর হবে অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিস। গতকাল বাসসের খবরে একথা উল্লেখ করা হয়। (দৈনিক ইত্তেফাক : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫)
জাতীয় দলের গঠনতন্ত্র কার্যনির্বাহী ও কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা
(ইত্তেফাক রিপোর্ট)
আজ (শনিবার ) একক জাতীয় দল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র, কার্যনির্বাহী ও কেন্দ্রীয় কমিটি ও পাঁচটি ফ্রন্ট এবং উহার কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হইয়াছে। প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় দলের চেয়ারম্যান হিসাবে সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল পদে প্রধানমন্ত্রী জনাব এম মনসুর আলীর নাম ঘোষণা করিয়াছেন। দলের তিনজন সেক্রেটারী হইলেন জনাব জিল্লুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মণি ও জনাব আবদুর রাজ্জাক। ৫টি ফ্রন্টের নাম হইল : জাতীয় কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ, জাতীয় যুবলীগ ও জাতীয় ছাত্রলীগ। সেক্রেটারীগণ হইলেন : কৃষকলীগ মি: ফনী মজুমদার, শ্রমিক লীগ অধ্যাপক ইউসুফ আলী, মহিলা লীগ বেগম সাজেদা চৌধুরী, যুবলীগ জনাব তোফায়েল আহমদ, ছাত্রলীগ শেখ শহীদুল ইসলাম। কার্যনির্বাহী কমিটিতে ১৫ জন সদস্য রহিয়াছেন। বঙ্গবন্ধু এই কমিটির চেয়ারম্যান। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা হইল ১১৫ জন। জাতীয় দলের সংবিধানে বলা হয় যে, জাতীয় দল জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাসহ অন্যান্য নীতিসমূহ ও উদ্দেশ্যাবলী জনগণের ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত উদ্যম সৃষ্টির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পন্থায় বাস্তবে রূপান্তরিত করিতে অবিচল নিষ্ঠা, সততা, শৃঙ্খলা ও দৃঢ়তার সহিত সর্বতোভাবে আত্মনিয়োগ করিবে।
গঠনতন্ত্রে বলা হয় যে, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের প্রতীক হইবে নৌকা এবং দলের পতাকা হইবে দুই তৃতীয়াংশ সবুজ ও এক তৃতীয়াংশ লাল। সবুজের উপর চারটি লাল বর্ণের তারকা খচিত থাকিবে। কার্যনির্বাহী কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি, দলীয় কাউন্সিল, জেলা কমিটি, জেলা কাউন্সিল, থানা ও আঞ্চলিক কমিটি এবং ইউনিয়ন ও প্রাথমিক কমিটি— এই ৭টি সাংগঠনিক কমিটি সমবায়ে জাতীয় দল গঠিত হইবে। দলের সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতা কার্যনির্বাহী কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে। জাতীয় দলের ৫টি অঙ্গসংগঠন থাকিবে এবং অঙ্গসংগঠনগুলি কার্যনির্বাহী কমিটির প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীনে কার্য সম্পন্ন করিবে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক আদেশবলে ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ নামে একটি জাতীয় দল রাজনৈতিক দল গঠন করেন। প্রেসিডেন্ট অন্য কোনো নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদে অবলুপ্ত আওয়ামী লীগের সকল সদস্য, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীগণ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের সদস্য বলিয়া গণ্য হন। প্রেসিডেন্ট দলীয় সংগঠন নির্ধারণ না করা পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে অবলুপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের কমিটি রূপে কাজ চালাইয়া যায়। (দৈনিক ইত্তেফাক : ৭ জুন ১৯৭৫)
কার্যনির্বাহী ও কেন্দ্রীয় কমিটি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৭-ক অনুচ্ছেদের (৩) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত লইয়াছেন যে জাতীয় দল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের একটি কার্যনির্বাহী কমিটি ও একটি কেন্দ্রীয় কমিটি থাকিবে। রাষ্ট্রপতি নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণকে এই কমিটি দ্বয়ের সদস্য মনোনীত করিয়াছেন।
কার্যনির্বাহী কমিটি
(১) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান—চেয়ারম্যান, (২) জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম (৩) জনাব এম মনসুর আলী (৪) জনাব খন্দকার মোশতাক আহমদ (৫) জনাব আবুল হাসানাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (৬) জনাব আব্দুল মালেক উকিল (৭) অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, (৮) শ্রী মনোরঞ্জন ধর (৯) ড. মোজাফফর আহমদ চৌধুরী, (১০) জনাব শেখ আবদুল আজিজ, (১১) জনাব মহীউদ্দিন আহমদ, (১২) জনাব গাজী গোলাম মোস্তফা, (১৩) জনাব জিল্লুর রহমান—সেক্রেটারী।
কেন্দ্রীয় কমিটি
(১) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি— চেয়ারম্যান (২) জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম, উপরাষ্ট্রপতি (৩) জনাব এম মনসুর আলী, প্রধানমন্ত্রী— সেক্রেটারী জেনারেল, (৪) জনাব আবদুল মালেক উকিল, স্পীকার (৫) জনাব খন্দকার মোশতাক আহমদ, বাণিজ্য ও বহির্বাণিজ্যমন্ত্রী (৬) জনাব আবুল হাসানাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, শিল্পমন্ত্রী (৭) জনাব মুহম্মদ উল্লাহ, ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী (৮) জনাব আবদুস সামাদ আজাদ কৃষিমন্ত্রী, (৯) অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, শ্রম, সমাজকল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী (১০) শ্রী ফনী মজুমদার, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী (১১) ড. কামাল হোসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (১২) জনাব মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, গণপূর্ত ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী (১৩) জনাব আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী, (১৪) জনাব আবদুর রব সেরনিয়াবত, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি সম্পদ বিদ্যুত্ ও বন, মত্স্য ও পশুপালন মন্ত্রী (১৫) শ্রী মনোরঞ্জন ধর, আইন, সংসদ বিষয়াবলী ও বিচারমন্ত্রী, (১৬) জনাব আব্দুল মমিন, খাদ্য, বেসামরিক সরবরাহ এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী, (১৭) জনাব আসাদুজ্জামান খান, পাট মন্ত্রী (১৮) জনাব এম. কোরবান আলী, তথ্য বেতারমন্ত্রী (১৯) ড. আজিজুর রহমান মল্লিক, অর্থমন্ত্রী , (২০) ড. মোজাফফর আহমদ চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী, (২১) জনাব তোফায়েল আহমেদ, রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী, (২২) জনাব শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন চিফ হুইপ, (২৩) জনাব আবদুল মমিন তালুকদার, সমবায় প্রতিমন্ত্রী, (২৪) জনাব দেওয়ান ফরিদ গাজী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী (২৫) অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী (২৬) জনাব তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী, (২৭) জনাব মোসলেমউদ্দিন খান, পাট প্রতিমন্ত্রী, (২৮) জনাব মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম মঞ্জুর যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী, (২৯) জনাব কে এম ওবায়দুর রহমান, ডাক, তার ও টেলিফোন প্রতিমন্ত্রী (৩০) ডা. ক্ষিতীশচন্দ্র মণ্ডল, ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী, (৩১) জনাব রেয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বন, মত্স্য ও পশুপালন প্রতিমন্ত্রী (৩২) জনাব এম বায়তুল্লাহ, ডেপুটি স্পীকার, (৩৩) জনাব রুহুল কুদ্দুস, রাষ্ট্রপতির প্রধান সচিব, (৩৪) জনাব জিল্লুর রহমান এমপি, সেক্রেটারী, (৩৫) জনাব মহিউদ্দিন আহমদ এমপি, (৩৬) জনাব শেখ ফজলুল হক মণি, সেক্রেটারী, (৩৭) জনাব আব্দুর রাজ্জাক এমপি, সেক্রেটারী, (৩৯) জনাব আনোয়ার চৌধুরী, (৪০) বেগম সাজেদা চৌধুরী এমপি, (৪১) বেগম তসলিমা আবেদ এমপি, (৪২) জনাব আবদুর রহিম, দিনাজপুর, (৪৩) জনাব আব্দুল আওয়াল এমপি, রংপুর, (৪৪) জনাব লুত্ফর রহমান এমপি, রংপুর, (৪৫) জনাব এ কে মুজিবুর রহমান এমপি বগুড়া, (৪৬) ড. মফিজ চৌধুরী এমপি, বগুড়া, (৪৭) ডা. আলাউদ্দিন এমপি, রাজশাহী, (৪৮) ডা. আসহাবুল হক এমপি, কুষ্টিয়া, (৫০) জনাব রওশন আলী এমপি, যশোহর, (৫১) জনাব শেখ আবদুল আজিজ এমপি, খুলনা, (৫২) জনাব সালাহ উদ্দিন ইউসুফ এমপি, খুলনা, (৫৩) মি. মাইকেল সুশীল অধিকারী, খুলনা, (৫৪) জনাব কাজী আবুল কাশেম এমপি, পটুয়াখালী, (৫৫) জনাব মোল্লা জালালউদ্দিন আহমদ এমপি, ফরিদপুর (৫৬) জনাব শামসুদ্দিন মোল্লা এমপি, ফরিদপুর, (৫৭) শ্রী গৌরচন্দ্র বালা, ফরিদপুর, (৫৮) জনাব গাজী গোলাম মোস্তফা এমপি, ঢাকা নগর, (৫৯) জনাব শামসুল হক এমপি, ঢাকা, (৬০) জনাব সামসুদ্দোহা এমপি, ঢাকা, (৬১) রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া এমপি, ময়মনসিংহ,
সূত্রঃ বাসস ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫ দৈনিক ইত্তেফাক।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৭
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: বুঝলেও ত করার কিছু ছিল না!!!
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৬
আশমএরশাদ বলেছেন: প্রেসিডেন্টের আদেশের সাথে সাথে দেশের ১৪টি রাজনৈতিক দলের বিলুপ্তি ঘটিল। নাকি সে ডল গুলো বাকশাল নামের জাতীয় দলে একীভুত হইল?
কিছু তথ্য চেপে গেছেন এখানে।
বঙ্গবন্ধু কেন বাকশালের মতো ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন তা তারঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন_
"আমি ফেরস্থা নই। শয়তানও নই। আমি মানুষ, আমি ভুল করবই। আমি ভুল করলে আমার মনে রাখতে হবে, আই ক্যান রেকটিফাই মাইসেলফ। আমি যদি রেকটিফাই করতে পারি, সেখানেই আমার বাহাদুরি। আর যদি গোঁ ধরে বসে থাকি যে না আমি যেটা করেছি সেটাই ভালো, দ্যাট কানট বি হিউম্যান বিইং। ফেরেস্তা হইনি যে সবকিছু ভালো হবে। এই সিস্টেম ইনটোডিউস করে যদি দেখা যায় যে, খারাপ হচেছ। অলরাইট রেকটিফাই ইট। কেননা আমার মানুষকে বাঁচাতে হবে। আমার বাংলাদেশে শোষণহীন সমাজ গড়তে হবে। ফাণ্ডামেন্টালি আমরা একটা শোষণহীন সমাজ গড়তে চাই, আমরা একটা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি করতে চাই। উই ডু নট লাইক টু ইমপোর্ট ইট ফ্রম এনিহোয়্যার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এটা আমার মত, মাটির মত"।---
এই তথ্য গুলো চেপে যাওয়া হয়েছে কেন?
বালশাল দলের নাম নয় কেবল একটি বিপ্লবের নাম। যেটি হলে হয়ত বাংলাদেশের চেহারা অন্য রকম হত। হয়ত আজকে যে চীনের কথা বলা হচ্চে সেটাকে ছাড়িয়ে যেতে পারত। যে রাজনৈতিক কর্ম সুচীটি আলোর মুখই দেখেনি সেটা নিয়ে এত বেশী কচলানো কতটা যৌক্তিক। বাকশালের পরিবর্তে সেনা টাল, তারেক জিয়ার, ফালুর, হারিস চৌধুরীর টাকশাল যে আমাদের কতটা মৌলিক অধিকার দিয়ে ধন্য রাখছে সেটাতো আর বলে বুঝাতে হবে না নতুন করে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০২
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: আপনার সাথেও আমি একমত। এর মানে এই না যে আমি বঙ্গবন্ধুকে ছোট করছি। আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য বাকশালে র মতো সরকার প্রয়োজন ছিল। বাকশাল থাকলে আজ আমরা মালয়েশিয়ার মতো দেশে পরিনত হতে পারতাম।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৭
অহনা বলেছেন: তাদের মুখে গণতন্ত্র রক্ষার কথা শুনলে তাই ভয় হয়, কোন গণতন্ত্র! তবে একটা প্রশ্ন? পঞ্চম সংশোধনী বাতিল, তার মানে চতুর্থ সংশোধনী পর্যন্ত বহাল! তাহলেতো এমনিতেই আর কোনও দলের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪১
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: গঠন মুলক আলোচনার জন্য ধন্যবাদ
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৬
আশমএরশাদ বলেছেন: এই বাকশালকে ঘিরে বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা সহ বহু নদীর পানি ঘোলা করা হয়েছে, এবং ঘোলা পানিতে লাভজনক মাছ শিকার করে অনেকেই গড়ে নিয়েছেন নিজদের পেট ও পকেটের নিশ্চয়তা। বাকশাল নামের যে শিশুর আতুড় ঘরেই মৃত্যু হয়েছিল তাকে আবর্তন করে অদ্যাবদি চলছে রাজনৈতিক মেরুকরন। '৭৫এর ১৫ই আগষ্ট দেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবর রহমানকে সরপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বহুদলীয় গনতন্ত্র উদ্বার করা গেছে, এমন একটা ফিলসফির উপর দ্বিখন্ডিত হয়েছে বাংলাদেশের সমসায়িক রাজনীতি। এই ১৫ই আগষ্টকে ভীত বানিয়ে দেশের উর্দিওয়ালা জেনারেলের দল ক্ষমতা লোভের লালসাকে বৈধতা দিয়েছে নিজদের জড়ায়ুতে জন্ম দেয়া কথিত বহুদলীয় গনতন্ত্রের মাধ্যমে।
কি দিয়েছে এই বহুদলীয় গনতন্ত্র? অন্ন? বস্ত্র? চিকিৎসা? সূশিক্ষা? আইনের শাষন? স্বাভাবিক জন্ম-মৃত্যুর নিশ্চয়তা? বাকশাল পক্ষের আর বিপক্ষের সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন এর কোনটাই না। তা হলে প্রশ্ন জাগে, বহুদলীয় গনতন্ত্র কেন এবং কাদের জন্যে? স্বাধীনতা যুদ্বের সড়াসড়ি বিরোধীতাকারী মাওলানা নিজামীর গাড়িতে পতাকা উত্তলনের জন্যেই কি প্রয়োজন ছিল বহুদলীয় গনতন্ত্র? সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার পরিবারের দফায় দাফায় দম্ভোক্তি নিশ্চয়তা করার জন্যেই কি প্রয়োজন ছিল '৭৫এর হত্যাকান্ড? হয়ত সরাসরি এর কোন উত্তর নেই, কিন্তূ তারপরও আমাদের গনতন্ত্রের জয়গান গাইতে হবে, কারন এই গনতন্ত্রই আমাদের উপহার দিয়েছে লুৎফুজ্জামান বাবরের মত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পিন্টুর মত সাংসদ, জয়নাল হাজারীর মত জনপ্রতিনিধি।
বাকশাল নামের এক দলীয় শাষনব্যবস্থার ভবিষৎ কি ছিল তা এ মুহুর্তে বলা হয়ত সম্ভব হবেনা। কিন্তূ সমান্তরাল টানতে আমরা যদি চীন এবং ভিয়েৎনামের মত দেশগুলোর উদাহরন বিবেচনা করি তাহলে একটা জিনিষ পরিস্কার হবে, তৃতীয় বিশ্বের চরিত্রহীন দেশগুলোর অর্থনৈতিক বুনিয়াদ মজবুত করায় প্রয়োজন সাংস্কৃতিক বিপ্লব। এ ধরনের বিপ্লব ছাড়া সামসাময়িক কালের একজন বাংলাদেশীর চরিত্রে পরিবর্তন আনার দ্বিতীয় কোন পথ খোলা আছে কিনা তা বহুদলীয় গনতন্ত্রের পূঁজারীরাও বলতে পারছেন্না।
আমাদের ইতিহাসে বাকশাল পর্বকে যারা কালো পর্ব আখ্যায়িত করে পান্ডিত্য প্রকাশ করেন তাদের সাথে দ্বিমত করতে চাই। আপনারা বহুদলীয় গনতান্ত্রিক শাষনের মাধ্যমে নিশ্চিত করুন আইনের শাষন, অবসান ঘটান ব্যক্তিতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র। তাহলেই বাকশালকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো বৈধ হবে। তার আগে বাকশাল আর বহুদলীয় গনতন্ত্র নিয়ে লাগামহীন মাতম কেবলই অর্থহীন মনে হবে। অন্তত আমার মত সাধারন মানুষের কাছে।
সৌজন্যে ওয়চডগ:
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১১
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: ভাই আপনি কি মনে করেন আমি জানি না। অন্তত আমি মনে করি বাকশাল থাকলে দেশের বর্তমান এই অবস্থা থাকত না। আমি চাই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, তারেক জিয়ার, ফালুর, হারিস চৌধুরী অথবা আওয়ামী নেতা যে কেউ হক না কেন ওদের বিরুদ্ধে আমাদের রূখে দাড়ানো উচিত।
আপনার মূল্যবান মন্তেবের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৬
আশমএরশাদ বলেছেন: আমাদের জাতি গঠন হয় নাই, জাতি গঠন না করেই আমরা চাপিয়ে দেয়া গনতন্ত্রের বটিকা খেতে শুরু করি। যার ফল আজকের ডায়রিয়া। যার ফল আমরা নির্দলীয় সরকারের (তত্বাবধায়ক সরকার) জন্য আন্দোলন করি।
রাজনৈতিক দলের গনতন্ত্রের কতটা পরাজয় হলে একটা নির্বাচন করতে তত্বাবধায়ক সরকার লাগে?
হায়রে গনতন্ত্র হায়রে সে গনতন্ত্রের প্রাণ স্বরুপ রাজনৈতিক দল !!! আফসুস। বহুদল ----মনে হচ্ছে বহু দলীয় মানে এখন সবাই মিলে দেশটাকে সমান ভাগ করে লুটে পুটে খাওয়ার জন্য করা হয়েছে।
১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪২
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: গঠন মুলক আলোচনার জন্য ধন্যবাদ
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৮
আশমএরশাদ বলেছেন:
সদ্য যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটা দেশ, যেখানে জনগন অশিক্ষিত, অসেচতন সে দেশে সাথে সাথে গনতন্ত্র চাপিয়ে দেয়া অপরাধের পর্যায়ে পড়ে বলে আমার ধারনা । সে অপরাধের সাক্ষাৎ ফলাফল এই হত দরিদ্র বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর অনেক দেশকেই নিতে হয়েছে জাতীয় সরকারের ধারনা---এবং দেখাতে হয়েছে কঠোর শাসন। যেখানে কিছু দিনের জন্য গনতন্ত্র পাশে সরিয়ে রাখতে হয় এবং যারা সে কাজটি করতে পেরেছে সে দেশ গুলো উন্নতি করতে পেরেছে। বলা যায় বাকশাল কায়েম করতেই তিনি দেরী করেছেন। কারন যুদ্ধাদের পর্বত পরিমান প্রত্যাশা মিটানো সম্ভব হয়ে উঠে না । যারা যুদ্ধ করে ফিরেছেন তারা নিশ্চিত করতে চাইবেন তার পরবর্তী জীবন যেন নিশ্চয়তায় কাটে। তাই প্রত্যেক জনযুদ্ধের পরে আরেকটি বিপ্লবের ডাক দিতে হয়। টেনে ধরতে হয় প্রত্যশায় লাগাম।
ফখরুদ্দিন মইনউদ্দিনের সরকারকে বাংলাদেশের জনগন ২ বছরের জন্য মেনে নেয়াই প্রমান করে গনতন্ত্র খেতে খেতে আমরা বোরিং হয়ে গেছি----
আমরা সাদ্দাম চেয়েছি--- আমরা ফিদেল কেষ্টো চেয়েছি আমরা মাওসেতুং চেয়েছি-- একটু রাজনীতি থেকে মুক্ত হতে --- গনতন্ত্রের অবশ্যাম্ভাবী শর্ত রাজনৈতিক দল -- আর সে দল গুলোর উপরেই আমাদের আস্তা কতটুকু সেটা অনুমেয় --- তাহলে আর গনতন্ত্র চাই বলি কি করে?
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ছিল গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র। বাকশালে সবগুলো দলকে এক প্লাটফরমে আনার হয়েছিল ।(কেবল স্বাধীনতা বিরুধী মুসলীম লীগ ও কিছু ধর্ম ভিত্তিক দল ছাড়া) এবং বাকশাল গঠিত হয়েছিল সর্বসম্মতিক্রমে। এখানে তিনি গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রকে এক সূত্রে বাঁধতে সক্ষম হয়েছিলেন। এটা কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পরিপন্থি হয়?
সে সময়ের সামাজিক বাস্তবতার ডিমান্ড এখন বুঝানো হয়ত সম্ভব নয়। কারন এখন বিএনপি নামে এক বিরাট দল আছে। সে সময় জাসদ ছিল নেক্সট টু আওয়ামীলীগ। আর তাদের যোগদানের বা জাতীয় সরকারের ধারনার প্রতিফলন করতে গিয়ে এই ২য় বিপ্লবের ডাক।
৩০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৩০
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৮
অহনা বলেছেন: @আশমএরশাদ
আপনার মধ্যে বাংলাছবির ভুত চেপে বসেছে? খুন করেও বলে আমি ভালোর জন্য খুন করেছি। তাহলে আর জংগীদের দোষ কোথায়।ওরাতো আপনার বাপের চেয়ে ঢের ভালো কথা বলছে।...তারাও শোষণমুক্ত সমাজ চায়। অন্যায় ফাৎনা বন্ধ করতে চায়...বলে...
১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪৩
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: আপনার মধ্যে বাংলাছবির ভুত চেপে বসেছে?
বুঝরাম না?
৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৯
আশমএরশাদ বলেছেন:
সদ্য যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটা দেশ, যেখানে জনগন অশিক্ষিত, অসেচতন সে দেশে সাথে সাথে গনতন্ত্র চাপিয়ে দেয়া অপরাধের পর্যায়ে পড়ে বলে আমার ধারনা । সে অপরাধের সাক্ষাৎ ফলাফল এই হত দরিদ্র বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর অনেক দেশকেই নিতে হয়েছে জাতীয় সরকারের ধারনা---এবং দেখাতে হয়েছে কঠোর শাসন। যেখানে কিছু দিনের জন্য গনতন্ত্র পাশে সরিয়ে রাখতে হয় এবং যারা সে কাজটি করতে পেরেছে সে দেশ গুলো উন্নতি করতে পেরেছে। বলা যায় বাকশাল কায়েম করতেই তিনি দেরী করেছেন। কারন যুদ্ধাদের পর্বত পরিমান প্রত্যাশা মিটানো সম্ভব হয়ে উঠে না । যারা যুদ্ধ করে ফিরেছেন তারা নিশ্চিত করতে চাইবেন তার পরবর্তী জীবন যেন নিশ্চয়তায় কাটে। তাই প্রত্যেক জনযুদ্ধের পরে আরেকটি বিপ্লবের ডাক দিতে হয়। টেনে ধরতে হয় প্রত্যশায় লাগাম।
ফখরুদ্দিন মইনউদ্দিনের সরকারকে বাংলাদেশের জনগন ২ বছরের জন্য মেনে নেয়াই প্রমান করে গনতন্ত্র খেতে খেতে আমরা বোরিং হয়ে গেছি----
আমরা সাদ্দাম চেয়েছি--- আমরা ফিদেল কেষ্টো চেয়েছি আমরা মাওসেতুং চেয়েছি-- একটু রাজনীতি থেকে মুক্ত হতে --- গনতন্ত্রের অবশ্যাম্ভাবী শর্ত রাজনৈতিক দল -- আর সে দল গুলোর উপরেই আমাদের আস্তা কতটুকু সেটা অনুমেয় --- তাহলে আর গনতন্ত্র চাই বলি কি করে?
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ছিল গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র। বাকশালে সবগুলো দলকে এক প্লাটফরমে আনা হয়েছিল ।(কেবল স্বাধীনতা বিরুধী মুসলীম লীগ ও কিছু ধর্ম ভিত্তিক দল ছাড়া) এবং বাকশাল গঠিত হয়েছিল সর্বসম্মতিক্রমে। এখানে তিনি গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রকে এক সূত্রে বাঁধতে সক্ষম হয়েছিলেন। এটা কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পরিপন্থি হয়?
সে সময়ের সামাজিক বাস্তবতার ডিমান্ড এখন বুঝানো হয়ত সম্ভব নয়। কারন এখন বিএনপি নামে এক বিরাট দল আছে। সে সময় জাসদ ছিল নেক্সট টু আওয়ামীলীগ। আর তাদের যোগদানের বা জাতীয় সরকারের ধারনার প্রতিফলন করতে গিয়ে এই ২য় বিপ্লবের ডাক।
১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪৫
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: গঠন মুলক আলোচনার জন্য ধন্যবাদ
৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:২৩
অহনা বলেছেন: ফখরুদ্দিন মইনউদ্দিনের সরকারকে বাংলাদেশের জনগন ২ বছরের জন্য মেনে নেয়াই প্রমান করে গনতন্ত্র খেতে খেতে আমরা বোরিং হয়ে গেছি----
আমরা সাদ্দাম চেয়েছি--- আমরা ফিদেল কেষ্টো চেয়েছি আমরা মাওসেতুং চেয়েছি-- একটু রাজনীতি থেকে মুক্ত হতে --- গনতন্ত্রের অবশ্যাম্ভাবী শর্ত রাজনৈতিক দল -- আর সে দল গুলোর উপরেই আমাদের আস্তা কতটুকু সেটা অনুমেয় --- তাহলে আর গনতন্ত্র চাই বলি কি করে?
(তার মানে চান না? গলাবাজি কেন করেন তবে?)
ওষুধ তেতো হলেও খেতে হয়।
আর শিশুরা দুধভাতও পায়ে ঠেলে ফেলে। তাই বলেকি দুধভাত সরিয়ে তাকে না খাইয়ে মারতে হবে?
১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪৬
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: গঠন মুলক আলোচনার জন্য ধন্যবাদ
১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৪৪
আশমএরশাদ বলেছেন: @অহনা
যুক্তি হারালে মানুষ "গলাবাজি" "বাংলা সিনেমার ভুত" এ ধরনের কথা বলে।
আশাকরি যুক্তির সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত থাকবে আপনার শব্দ চয়ন। পারত আমি খারাপ শব্দ রুঢ শব্দ ইউজ করি না।
এখানে কথা হচ্ছে সরকার পদ্ধতি নিয়ে।, বাস্তবতা প্রেক্ষাপট নিয়ে। মেরিট ডেমারিট নিয়ে। উত্তেজনারতো কিছু নাই। আওয়ামী বিদ্বেষ বা শেখ মুজিব বিদ্বেষ থাকলে আপনি হয়ত নির্মোহ হতে পারবেন না এই বিষয় গুলো নিয়ে। আসলে দেশের প্রজন্মকে মগজ ধোলাইয়ের যে সুচতুর গোয়েবলেসিয় কাজ চালিয়ে ছিল এতদিন। তাই আমাদের কাছে বাকশাল শব্দটাকে ভিন্ন ভাবে ভীতিকর ভাবে মগজে ঢুকিয়েছে। এখন সেটা ফিকে হতে চলেছে ---তাই নতুন প্রজন্ম আবারো মেতেছে সত্য সন্ধানে ---আসুন সত্যের সন্ধানে। দলমত নয় , দল বিদ্বেস নয়। দল প্রীতি ও নয় সঠিকতা নিরুপনে সামিল হতে পারেন, যদি আপনি নির্মোহ হন।যদি আপনি প্রিসেট ধারনা থেকে বের হতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪৭
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: গঠন মুলক আলোচনার জন্য ধন্যবাদ
১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৩৩
জন্ম থেকে জ্বলছি বলেছেন: আশমএরশাদ কি একটা আবাল নাকি
১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪১
আশমএরশাদ বলেছেন: @জন্ম থেকে জ্বলছি
"প্রশ্নটা নিজের দিকে করে কি প্রতিধ্বনি হয় দেখুন।
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:২১
আলিফ মাহমুদ বলেছেন: আশমএরশাদ রে চিনেন নাই? হেতে মানুষ না, আম্লীক
১৪| ২২ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:৩২
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: @এরশাদ:
রক্ষীবাহিনীর ৭০ হাজার বিরোধী দলীয় নেতা কর্মী ও মুক্তি যোদ্বা হত্যার কথা মনে আছে.......???
ঢাকা শহরে দিনের বেলায় বীর বিক্রম মুক্তিযোদ্বা ও তার স্ত্রী হাইজ্যাকের ঘটনা মনে আছে........???
৫ লাখ মানুষের না খেয়ে মরার বীপরীতে সোনার মুকুট মাথায় দিয়ে শাদী মোবারকের কথা মনে আছে......???
মানুষ হইলে মনে থাকার কথা আম্লীগ হইলে কথা নাই.........
৩০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৩৩
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: গঠন মুলক আলোচনার জন্য ধন্যবাদ
১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪৬
অবাঞ্চিত বলেছেন: বাকশাল নিয়ে এতো বড় বড় কথা বলেন, আর এই সোজা জিনিসটা বোঝেন না। বাকশাল থাকলে আমাদের হয়তো এই ব্লগে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার থাকত না। বাকশাল নেই বলেই এখনো স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছেন
১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৯
জন্ম থেকে জ্বলছি বলেছেন: শালার আশমএরশাদ আসলেই একটা আবাল
১৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:০০
শৈল্পিক ভাবনা বলেছেন: comment by: বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: @এরশাদ:
রক্ষীবাহিনীর ৭০ হাজার বিরোধী দলীয় নেতা কর্মী ও মুক্তি যোদ্বা হত্যার কথা মনে আছে.......???
ঢাকা শহরে দিনের বেলায় বীর বিক্রম মুক্তিযোদ্বা ও তার স্ত্রী হাইজ্যাকের ঘটনা মনে আছে........???
৫ লাখ মানুষের না খেয়ে মরার বীপরীতে সোনার মুকুট মাথায় দিয়ে শাদী মোবারকের কথা মনে আছে......???
মানুষ হইলে মনে থাকার কথা আম্লীগ হইলে কথা নাই.........
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪০
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: বিরাট ইতিহাস!!! আমার জন্মের সময় এইসব ঘটনা ঘটেছিল!!! ছোট ছিলাম বলে বুঝতে পারিনি.. আর এখন বড় হয়ে ইতিহাসের সেই দিনগুলির কথা..........................!!!