নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
আমার ৮ বছরের ছেলে জিঙ্গাসা করছিল, "মা, ধর্ষন কি? আগেতো কখন এই শব্দ শুনিনি?" একটি আট বছরের ছেলেকে আমি কি উত্তর দিব? সত্যিই তো, আট বছরের বাচ্চার কাছে "ধর্ষন" কি? ভারতে মেডিকেল ছাত্রী দামিনীর গনধর্ষনের ঘটনার পর ঘরে, বাইরে, হাটে, মাঠে, ঘাটে, টিভি, রেডিও, পত্রিকা, টকশো, অফিস পাড়া, স্কুল, কলেজ সর্বত্র একটি আলোচনা...ধর্ষন, ধর্ষন আর ধর্ষন। যেন আগে কখনও কেউ এ অপরাধের খবর জানতো না এইবারেই প্রথম জনসম্মুখে এ ধরনের অপরাধের বিবরন পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কতজন দামিনীর খোজঁ রাখি?? কত দামিনী কত সাজিয়া দিনের পর দিন এ অত্যাচার সহ্য করেছে কিন্তু কিছু বলতে পারেনি সমাজের ভয়ে, তথাকথিত লোকলজ্জার ভয়ে। সমাজ তাকে শিখিয়েছে সহ্য করতে, মুখ বুজে সহ্য করতে কারন ধর্ষনের কথা মেয়েটির জীবনে নিয়ে আসবে আরো শতবার। একটি আট বছরের ছেলেটির এ উত্তর জানা না থাকলে একটি আট বছরের মেয়ের জীবনে হয়তো ঘটে গেছে এর থেকেও ভয়াবহ ঘটনা।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সোহানী বলেছেন: প্রিয় খায়রুল ভাই লিখাটি ২০১৩ সালের জানুয়ারীতে লিখা। কিন্তু পার্থক্য ধরতে পারছেন? আগে এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল এখন এটি প্রাত্যাহিক জীবনের অংগ হয়ে গেছে।
সমাজপতিদের এ ব্যাপারে ঔদাসীন্য ও পক্ষপাতিত্ব : এটি প্রধান কারন তার সাথে বিচারহীনতাই এ অপরাধকে বাড়িয়ে চলছে দিনের পর দিন।
নীল ছবি ও সাহিত্যের ব্যাপক ও বিস্তীর্ণ প্রসার: এটিতে সহমত তবে আমার কাছে মূল কারন সবসময়ই মনে হয়েছে ভারতীয় চ্যানেল প্রদর্শন। বিজাতীয় নোংরা সংস্তৃতি আমাদের তরুন সমাজকে ধ্বংস করেছে এবং করছে। আর নীল ছবির কথা কি বলবো.... ইর্ন্টানেট এর সহজলভ্যতা, অবাধে মোবাইল ছবি তোলা ও ভিডিও করার সুযোগ এ সমস্যাকে বিস্তৃত করেছে।
অনেক ভালো লাগলো পুরোনো পোস্টটি পড়ার জন্য। একটি সুখবর দেই, আমার ছেলে এবার ভেলেডিক্টরিয়ান এওয়ার্ড পেয়েছে এবার। আমি যে কি পরিমান খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। বাঘা বাঘা অরিজিনাল কানাডা, ভারত সহ সব ট্যালেন্টেড বাচ্চাদের হারিয়ে এ এওয়ার্ড পাওয়া বিশাল ব্যাপার আমার কাছে যেখানে সে বর্ণ কানাডিয়ান নয়।
অনেক অনেক ভালো থাকেন। আর আমি কিন্তু আপনার সব মন্তব্যের উত্তর দেই তাই অনুরোধ সেগুলো পড়ার জন্য।
২| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার ছেলে এবার ভেলেডিক্টরিয়ান এওয়ার্ড পেয়েছে এবার - যোগ্য মা বাবার যোগ্য সন্তান, তাই ছেলেসহ মা বাবাকেও আন্তরিক অভিনন্দন! দোয়া করি সে যেন আরো অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারে- নিজের, মা বাবার সাথে সাথে দেশের (বাংলাদেশের) নাম উজ্জ্বল করতে পারে। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আপনাদের সকলের সহায় হউন, সব সময়!
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২১
সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ খায়রুল ভাই। আপনাদের দোয়ায় এ পথ চলা। জীবনে অনেক কিছুই পেয়েছি তবে সবচেয়ে পেয়েছি মানুষের ভালোবাসা। আর এ ভালোবাসা আমাদের সকল ছোট ছোট দু:খকে দূর করে দেয়.............
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: একদম শেষের বাক্যটা একটা নির্মম সম্ভাবনার কথা স্মরণ করিয়ে দিল, তাই শিউরে উঠলাম। সমাজপতিদের এ ব্যাপারে ঔদাসীন্য ও পক্ষপাতিত্ব ছাড়াও, নীল ছবি ও সাহিত্যের ব্যাপক ও বিস্তীর্ণ প্রসারের কারণেও ধর্ষণের ব্যাপকতা বেড়ে যাচ্ছে বলে আমার ধারণা।