নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এইচ এস সি উর্ত্তীনদের জন্য কিছু উপদেশ... যদিও গায়ে পড়ে উপদেশ কারো ভালো লাগে না ;);););)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১১

তোমাদের মাঝে আবার আসলাম .. কারন তোমরা মাত্র এইচ এস সি উর্ত্তীন হয়েছো। এই সময়টাতেই তোমাদেরকে ভাবতে হবে কি করবা তোমরা বা কোথায় ভর্তি হবা বা কিভাবে তোমাদের ভবিষ্যত গড়বা। মনে রাখবা এই সময়ের সঠিক সিদ্ধান্তই তোমাকে নিয়ে যাবে ভবিষ্যত সাফল্যে অথবা ব্যার্থতায়। আর তোমার ভবিষ্যত সাফল্য সবার কিন্তু ব্যার্থতার দায়ভার শুধুই তোমার একার।

হাঁ ... HSC এর বন্ধুরা একটু সাবধানে পা ফেল....... যারা HSC পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছো এবং কোথাও ভর্তির জন্য অপেক্ষা করছো তাদেরকে সাবধানে পা ফেলার জন্য বিশেষভাবে বলছি...... আর তোমদের জন্যই এ লিখা.........।

ইতিমধ্যে তোমরা দেখবে তোমাদেরকে কাছে টানার জন্য বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপন নিয়ে মিডিয়া হাজির হয়েছে যা তোমাদের মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য যথেস্ট। তোমরা এখন জীবনের কঠিন সময় শুরু করার দ্বারপ্রান্তে... এ জীবনই নিয়ে যাবে জীবনের বাস্তবতার পথে অর্থাৎ তোমরা যে পথে এখন পা দিবে তাই হবে তোমাদের জীবনধারন বা উপার্জনের উৎস। একবার পা পিছলানো মানে সময় এবং টাকা নস্ট সঙ্গে হতাশায় ডুবে যাওয়া।

কেন তোমাদেরকে এ লিখা... কারন চারপাশের অনেক হতাশ ছেলেপেলেদের দেখি যারা নূন্যতম গাইডের অভাবে ভুল পথে গেছে আর হতাশায় ডুবেছে............... তাদের জন্য আমার অভিজ্ঞতায় আলোকে এ লিখা....

প্রথমত: নিজের টার্গেট ঠিক করে নাও অর্থ্যাৎ ভবিষ্যতে তুমি কিভাবে তোমার জীবনের পথ পাড়ি দিতে চাও তা নিজেই ঠিক করে নাও। তুমি কি তোমার বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরন করতে যাচ্ছো নাকি নিজের স্বপ্ন। অথবা বাবা মায়ের স্বপ্ন আর তোমার স্বপ্ন কি এক? যদি এক হয় তাহলে সমস্যা নেই এগিয়ে যাও আর এক না হলে নিজেকে প্রশ্ন করো... কোন পথে যাবে তুমি? কমপেয়ার কর.... অনেকের সাথে আলাপ করো... ভালো মন্দ চিন্তা করো.... তারপর ডিসিশান নেও। কিন্তু নিজের মনের উপর জোর করবে না তাহলে হিতে বিপরীত হলেও হতে পারে ।

দ্বিতীয়ত: যারা মেডিকেল, বুয়েট বা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির টার্গেট নিয়েছো... আমি বলবো যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে তা বেস্ট ডিসিশান। একবার না পারলে আবার চেস্টা করবে..... কিন্তু শুধু টার্গেট থাকলেই হবে না কঠিন চেস্টা করতে হবে। শুধু মনে রেখ, তোমার এই ৩/৪ মাসের কস্ট তোমাকে নিয়ে যাবে চমৎকার ভবিষ্যতে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাই আলাদা এটা বাস্তব জীবনে যেয়ে হাড়ে হাড়ে বুঝবা।

তৃতীয়ত: যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈাড়ে আসতে পারোনি.... তারা কিন্তু একটুও হতাশ হবা না। সেখানে চেস্টা করে না পারলে মন খারাপ না করে নিজের দ্বিতীয় টার্গেটের পথে হাঁটো। তোমাদের জন্য অনেক পথ এখনও খোলা আছে। আর ভেবে দেখ, মেডিকেল, বুয়েট বা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে কয়টা আর সিট থাকে... অনেক অনেক কম্পিটিশান..... । এদেশে অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্জিনিয়ারিং কলেজ ... অনেক ভালো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে.... অনেক অনেক পথ খোলা আছে... তোমাদের দরকার শুধু সঠিক সিদ্ধান্ত আর চেস্টা।

চতুর্থত: এদেশে যেমন অনেক ভালো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে আবার শুধুই নামে ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তোমার বাবার টাকা আছে আর তুমি যেকোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে তা কিন্তু নয়.... ভালো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ও অনেক কম্পিটিশান। টাকা থাকলেই হলো না..... কম্পিটিশানেও টিকতে হবে......। আর নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির বাজার মূল্যও অনেক বেশী।

নামকরা ইউনিভার্সিটি ছাড়া অন্য ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে তোমাদের অবশ্যই অনেক খোঁজ নিতে হবে। কারন আজকাল ব্যাঙ এর ছাতার মত অনেক ইউনিভার্সিটি খুঁজে পওেয়া যায়, যাদের নামটাই শুধু বিদেশী বাকি আর কিছুই নেই। অনেক টাকায় ভর্তির পর দেখবা টিচার/ক্লাসরুম/ল্যাব/লাইব্রেরী কিছুই নাই। ভাগ্য ভালো হলে কয়েক বছর পর একটা সার্টিফিকেট পাবা আর খারাপ হলে তার আগেই ইউনিভার্সিটির সাইন বোর্ড খুলে ফেলা হবে।

আজ থাক......... বাকিটুকু পড়ে লিখি......... আজ এটুকুই থাক.........

ডিস্কক্লেইম.........: এ উপদেশ আমি ২০১২ তে ও একবার দিয়েছিলাম, শুধুমাত্র তোমাদের কথা ভেবে আবারো দিলাম।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

নীল জোসনা বলেছেন: উপদেশ তো ভালোই লাগলো সোহানী ।

ছোট বোন এর জন্য আমি মুখস্ত করে নিলাম তোমার দেয়া উপদেশ গুলো । ভালো থেকো ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

সোহানী বলেছেন: এইচ এস সি এর ছাত্র/ছাত্রীরা খুব ব্লগে আসে তা মনে হয় না। তারপর ও লিখলাম যাতে অন্তত অভিবাবকদের নজরে পড়ে।

অনেক ধন্যবাদ নীল জোসনা ।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল উপদেশ তবে এসব শোনা বা বোঝার মত জ্ঞান কজনের আছে সেটা প্রশ্ন। ৯০% এর জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্র ছাত্রীর ইংরেজী জ্ঞানের বহর ভয়াবহ খারাপ। মন্তব্যের প্রথম বাক্যটাকে ইংরেজী করতে বলেন, ৯৫% জিপিএ পাঁচ ওয়ালারা পারবেনা!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

সোহানী বলেছেন: নাহ্ ভালো উপদেশ শোনার ধৈর্য্য যেমন আমাদের নেই তেমনি বোঝার মতো অবস্থা ও নেই। জিপিএ ৫ পেয়েই তুড়ি বাজাই... ভবিষ্যতের কথা ভুলে যাই।

রেজাল্টের অবস্থা দেখলে মন খারাপ হয়... থাক সে প্রসঙ্গ....। আর ইংরেজী জ্ঞানের বহরের কথা কি বলবো.... আপনার সাথে শতভাগ সহমত।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাল লাগল উপদেশ নামা। +++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি.......

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

সুমন কর বলেছেন: কেউ উপদেশ শুনতে চায় না।।।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

সোহানী বলেছেন: না কেউ শুনতে চায় না। তারপর যখন ২/৪ বছর ও বাবার কয়েক লাখ টাকা খরচ করে ফ্রাস্টেটেড হবে তখন শুনেও কিছু লাভ হবে না।

অনেক ধন্যবাদ সুমন।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

খাটাস বলেছেন: উপদেশ গুলো সুন্দর।
সমস্যা হচ্ছে, এ বয়সে উপদেশ মালায় এমন কিছু পণ্ডিত লোকের উপদেশ যুক্ত হয়, স্টুডেন্ট রা আত্মবিশ্বাসী হয় কম, দিকভ্রষ্ট হয় বেশি। তবে আপনার এই উপদেশ গুলো অনেকের ই কাজে লাগবে, অনুধাবন করতে পারলে।
পোস্টে ++++

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। সত্যিই তাই। অামরা ওদের দিকের দিশার পরিবর্তে বিভ্রান্ত করি। তাই তো ভবিষ্যত গড়তে ওদের অনেক সমস্যা হয়।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: উপদেশ গুলো অনেকের ই কাজে লাগবে '

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

সোহানী বলেছেন: অনেক কাজে লাগবে কিন্তু শুনছে কে??? যাদের শোনার কথা তারা এদিকে নজরই দেয় না।

অনেক অনেক ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু ।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২২

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: অনেক ভাল লাগল উপদেশগুলো , আমার মনে হয় উপদেশগুলো স্টুডেন্টদের চেয়েও তাদের অভিভাবকদের জন্য বেশি গুরত্বপু্র্ন ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: মেনি থ্যাংস্ ক্যপ্রিসিয়াস ।

অভিভাবকদের জন্য বেশি গুরত্বপু্র্ন ঠিকই কিন্তু শুনছে কে???? তারা সন্তানের উপর চাপিয়ে দিতে বা নিজেদের অসফল স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই ব্যাস্ত থাকে।

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

জাফরুল মবীন বলেছেন: কথাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও দিক নির্দেশনামূলক।উন্নত বিশ্বে স্টুডেন্ট কাউন্সেলিংয়ের ব্যাপক ব্যবহার থাকলেও আমাদের দেশে ততটাই তীব্রভাবে অপ্রতুল।তবে মেডিকেল, বুয়েট বা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়া ছাড়াও অনেক টেকনিক্যাল বিষয়ে পড়াশুনা করেও জীবনে অনেক বড় কিছু করা সম্ভব সে বিষয়ে একটা পোস্ট পাওয়া গেলে বেশ উপকার হতো।তবে আপনি যতটুকু করেছেন তার জন্য আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন গ্রহণ করুন।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ।

হাঁ অনেক টেকনিক্যাল বিষয় আছে কিন্তু আমার দৈাড়তো সীমিত.... আমার এরিয়ার মধ্যে থেকে কিছু বলার চেস্টা করি .... ।

আসলে স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং যে কতটা গুরুত্বপূর্ন তা কেউই বুঝে না। আর যখন বুঝে তখন করার কিছুই থাকে না। আমার মতে এ ব্যাপারে রাস্ট্র পর্যায় থেকে এগিয়ে আসা খুবই জরুরী।

৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবেমাত্র অটো পাশের এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীরা তাদের ভবিষ্যৎ বিদ্যাপীঠ চয়ন করছে। এমতাবস্থায়, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে দেয়া আপনার পরামর্শগুলো তাদের কাজে লাগবে বলে আশা করছি, এবং এ জন্যেই এ পোস্টটাকে সামনে নিয়ে আসা। এ ব্লগের অন্ততঃ দু'জন ব্লগার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন বলে জানি; ব্লগার প্রান্ত এবং রূপম রিজওয়ান

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩০

সোহানী বলেছেন: লাভ নেই খায়রুল ভাই এই বকর বকরে। কেউই কথা শুনে না। কেউই অন্যের ভুল দেখে নিজেকে শোধরায় না যতক্ষন না নিজে সে ভুলে পা দেয়। ঠেকে ঠেকে তারপর শিখে।

আমার এ বকবক দেখে নিজের উপরেই রাগ লাগে। সবখানে নীতি বাক্য আওড়াতে যেয়ে শত্রুপক্ষের সংখ্যাই শুধু বাড়াই। কিন্তু এ স্বভাব থেকে বের হতে পারি না ................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.