নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
আমার এ লিখাটি একান্ত ব্যাক্তিগত উপলব্ধি থেকে শেয়ার করা...... কিছু বাস্তবতাকে তুলে ধরার চেস্টা করেছি।
ঘটনা ১ :
কতক্ষন থেকে খেয়াল করলাম রুমের সামনে কে যেন বার বার দরজাটা একটু ফাঁক করে উকিঁ দেয়ার চেস্টা করছে। কাজে কনসেন্ট্রেশান দিতে পারছিলাম না.... একটু বিরক্ত হয়ে উঠে দেখলাম, দরজার কাছে খুব জড়সড় হয়ে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
কি চান? কিছু বলবেন?
জ্বি ম্যাডাম... মাথাটা তেমনি নিচু করা, চোখ তুলে তাকাতে ও ভয় পাচ্ছে।
রুমে আসেন... অভয় দিয়ে রুমে নিয়ে বসালাম। কিছু বলবেন? সহজভাবে কথা বলার চেস্টা করলাম। অনেকক্ষন চুপ থাকার পর অঝোরে কাঁদতে শুরু করলো মেয়েটি। এধরনের অবস্থায় আমি সবসময় অপ্রস্তুত হই আর কাদঁতে দেই যাতে নিজেকে হাল্কা করতে পারে... তারপর আস্তে আস্তে কাধেঁ হাত রাখলাম। বললাম, কিছু বলবেন?
ম্যাডাম, আমি খুব বিপদে পড়েছি। সকাল থেকে অফিসের সবার রুমে রুমে দৈাড়াচ্ছি। কেউ কিছু হেল্প করতে পারছে না... একজন বুদ্ধি দিল আপনার সাথে দেখা করতে। ম্যাডাম, আমি জানি একটি মেয়েই শুধু আরেকটি মেয়ের দু:খ বুঝে। তাই সাহস করে আপনার কাছে আসা। ম্যাডাম, যদি আপনি কিছু করতে পারেন...
ম্যাডাম, আমি মিরপুর অফিসের এ্যাসিসটেন্ট ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। আমার একটা ৫ বছরের মেয়ে আছে ও আমি আবার ৩ মাসের প্রেগনেন্ট। আমার টাকায় আমার সংসার চলে, আমার স্বামী একাট দোকানের কর্মচারী কিন্তু কোন টাকায় সে সংসারে দেয় না উল্টা প্রায় মারধর করে। এ অবস্থায় আমি সাধ্যমত চাকরী করি। কখনও অফিসে লেট করি না বা কাজে ফাকিঁ দেই না। বরং আমার স্যারের (মানে প্রধান ডাটা এন্ট্রি অপারেটর) সব কাজ সাধ্যমত করে দেই। কিন্তু স্যার আমাকে যখন তখন গালাগালি করে, আজে বাজে কথা বলে। বন্ধের দিন ও অফিস করতে হয়, এমনকি রাত ৮/৯ টা বেজে যায় মাঝে মাঝে। আর এদিকে বাসায় দেরী করে যাই বলে প্রায় আমার স্বামী আজে বাজে কথা বলে খুব মারধর করে।
গত পরশু আমি বেশী রাতে কাজ করবো না বলে একটু রাগ করে কথা বলেছিলাম স্যারের সাথে। স্যার আমাকে খুব ধমকিয়ে বলছিল, কিভাবে আমি এখানে কাজ করি তা দেখে নিবে। আর কাল সকালে চিঠি পেলাম আমাকে বরগুনাতে বদলী করা হয়েছে। ম্যাডাম, ঢাকার বাইরে বদলীর কথা শুনে আমার স্বামী তালাক দিবে বলেছে আর চাকরী ছেড়ে দিলে খাবো কি? আর স্বামীকে তালাক দিলে সমাজ তো আমাকেই বাজে মেয়ে বলবে। এখনতো মাথার উপর একটা ছায়া আছে, মেয়েটাকে বিয়ে দিতে বাবার একটা পরিচয়তো দিতে পারবো.... হোক মারধর খাচ্ছি কিন্তু তালাক দিলে তো তাও পাবো না।
আমি বুঝতে পারলাম কার কথা বলছে ....... তুমি এইচ আর সেকশানে কথা বলছো না কেন? আর আমি তো এইচ আর দেখি না আর অন্য ডিপার্টমেন্টের কাজে ইন্টারফেয়ার করা কি ঠিক?? তুমি একটা প্রেয়ার দাও।
বলেছিল ম্যাডাম কিন্তু তারা বলেছে, এটা উপরের অর্ডার তারা কিছু করতে পারবে না। আমাকে প্রেয়ার দিতে বলেছে, যদি ভবিষ্যতে পোস্ট খালি হয় তাহলে বিবেচনা করবে। কিন্তু ম্যাডাম, আমি জানি এটা কথার কথা। আমাকে আপনি বাচাঁন।
খুব মন খারাপ হলো... ঘটনা কি আমি জানি না তার উপর এ এইচ আর সেকশানের লোকজনকে আমি পছন্দ করি না কারন তারা এমন একাট ভাব নেয় যে তারাই চাকরী দাতা।
মিরপুর অফিসে ফোন করে খোঁজ নিলাম, ঘটনা কি জানার জন্য। সবাই মেয়েটির কথাই সত্য বললো। তারপর এইচ আর সেকশানের কে ডাকালাম, চিঠিটা দেখিয়ে তাকে বদলীর কারন জানতে চাইলাম। চিঠিটা দেখে সে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। গজ গজ করতে করতে বললো, আপনার কাছে ও এসেছে!! এ মেয়েটা খুব খারাপ, খুব বাজে মেয়ে। কাজ করে না উল্টা তর্ক করে ইউনুস সাহেবের সাথে। কাজে যারপর নাই ফাকিঁ দেয়...ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি । তারতো চাকরীই থাকে না... শুধু আমার দয়ায় চাকরীতে রেখেছি.......ইউনুস সাহেবের সাথে যেই বিহেব করেছে!!!
ঠান্ডা মাথায় বললাম, তাকে যে পানিশমেন্ট বদলি করেছেন তার ইনকোয়ারী রিপোর্ট দেন। অাচ্ছা দিচ্ছি বলে কিছুক্ষনের মধ্যেই একটা রিপোর্টের কপি দিল আমার ডেস্কে ......... এবং তাজ্জব হয়ে দেখলাম চারজন সাক্ষী সহ রিপোর্ট মোটামুটি রেডি !!!! এবং সেখানে মেয়েটিকে চাকরীচ্যুত করার সুপারিশ করা হয়েছে..........
আজ এ পর্যন্ত...... আবার কথা হবে !!!
আমার আগের মেয়েদেরকে নিয়ে লিখা যদি পড়তে চান....
বেকার বন্ধুদের জন্য ফ্রি উপদেশ (এ পর্ব বিশেষভাবে মেয়েদের জন্য ছেলেদের প্রবেশের কোন প্রয়োজন নেই) ........ পর্ব-৬
যথারীতি আমার একটা তোলা ছবি...
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪
সোহানী বলেছেন: সব লিখে ফেললেতো কাজ শেষ.... কিছু থাক না গোপন ....
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: চোখ ভিজে গেল। আসলে আমাদের সমাজে এখনো অনেক অন্ধকার, আমরা অনেকেই হয়তো একাডেমিক সার্টিফিকেট অর্জনে শিক্ষিত কিন্তু মনুষ্যত্ববোধের শিক্ষায় শিক্ষিত কমই দেখা যায় ।।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
সোহানী বলেছেন: হাঁ, মনুষ্যত্ববোধের শিক্ষা যে কি সেটাই সবাই ভুলে গেছে। এর বাস্তবতা দেখা যায় যখন স্বার্থের টান পড়ে বিশেষ করে অফিসে..........
ভালো থাকেন আশালিনা (চমৎকার নাম কিন্তু আপনার).......
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪১
যোগী বলেছেন:
আজব আপনি এত সিরিয়াস আবেগী ব্যাপার নিয়ে লুকোচুরি করছেন কেন?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪
সোহানী বলেছেন: যোগী ভাই, আপনার মতো কিছু লোক আছে বলেই তো পৃথিবীটা ধ্বংস হয়নি.......আপনার মতো কেউ আছে বলেই তো প্রকৃতি এতো সুন্দর করে হাসে.........
!
!
!
উত্তরটা বাস্তবের সাথে মিলিয়ে তাই অপেক্ষা করছি..........
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
নিলু বলেছেন: লিখতে থাকুন
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিলু.... হাঁ লিখে যাবো আশা করি...
আচ্ছা আপনি কি হুমায়ুন আহমেদের সে ই নিলু !!!! হাহাহাহা... অনেক দিন পর মনে করিয়ে দিলেন....
৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: ওয়া আনতুম ফা জাযাকুম আল্লাহু খাইরান @সোহানী আপু
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
সোহানী বলেছেন: মানে কি !!!!!!!!!!!
৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: জাযাকুম আল্লাহু খাইরান @সোহানী আপু
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
সোহানী বলেছেন:
৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
আহলান বলেছেন: একদিনের মধ্যেই শোকজ, রিপ্লাই, তদন্ত রিপোর্ট সব পাওয়া যায় নাকি ? রেডিমেড নাকি সব? লেবার ল বলে কি কিছুই নেই .... ফালতু .... আর ঐ লোক এইচ আরে অভিযোগ দায়ের না করেই আরেক ব্রাঞ্চে মেয়েটির ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করে ফেল্লো ....তাল গোল পাকানো বিষয়।
তবে সমাজে মহিলারা যে বিভিন্ন ভাবে হ্যারাজ্ড হচ্ছেন, তা অনস্বিকার্য্য ....
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫
সোহানী বলেছেন: মোটামুটি অফিসে সবচেয়ে পাওয়াফুল লোক হচ্ছে এইচ আর.... একদিন কেন এক ঘন্টায় ওরা সব কিছু তৈরী করে ফেলতে পারে.....
আর লেবার ল বলছেন (?)... ওটা আছে বইতে বাস্তবে না। বাস্তবে থাকলে তাহলে আজ গার্মেন্টেস্ এর মেয়েরা পুড়ে মরতো না..... আর এটি বাংলাদেশ... প্রতিটি অফিসেই কম বেশী এমন চিত্র... সেটা স্বীকার করেন আর নাই করেন....
ভালো থাকুন........
৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
আরজু পনি বলেছেন:
ঘটনা যতটুকু শেয়ার করলেন তাতে দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে হলো এই ভেবে যে, কেউ কেউ বসের কৃপায় বিশাল বিশাল সুযোগ পায় আর কারো বসের কোপে পড়ে চাকুরী যায় যায় !
পরের ঘটনার অপেক্ষায় রইলাম...লিঙ্কের লেখাটাও পড়বো নিশ্চিত ।
শেয়ার করার জন্যে প্রথম লাইকটা আমার পক্ষ থেকে ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।।
পর্যবেক্ষণ লিস্টে নিলাম পরে কাজে আসবে...
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরজুপনি ।
আপনার মতো অসাধারন ব্লগার এর পর্যবেক্ষনে থাকা কিন্তু আমার জন্য বিশাল ব্যাপার.........
৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: মগের মুল্লুক বলে একটা শব্দ আছে, আপনার লেখা পড়ে মনে পড়ল.....
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৪
সোহানী বলেছেন: হুম সত্যিই তাই...... দেশটাতো ভাই মগেরই মুল্লুক............ তাই নয় কি !!!!!!!!!
১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
মেয়েটার জন্য খারাপ লাগছে।
ঘটনা পুরোটা শেষ না করে ঝুলিয়ে রাখলেন ব্যাপার কি? আবেগ নিয়া খেলা ঠিক না।
জলদি পোস্ট দিয়া শেষ করেন।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
সোহানী বলেছেন: হায় হায় আমার পাঠকরা যে এতটা আবেগী এটা আমার জানা ছিল না... তবে আমার খুব ভালো লাগছে এ আবেগ শুন্য পোড়া দেশে এখনো কিছু আবেগী/মমতাময় মানুষ আছে .............
১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: মন খারাপ করে দেওয়া বাস্তব চিত্র। কিন্তু উত্তরণের উপায় কি?
আমি পোশাক শিল্পে কর্মরত। অহরহ দেখছি হাজারো বঞ্চনা,অনিয়ম। করণীয় ভেবে পাই না।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১১
সোহানী বলেছেন: আপনি পোশাক শিল্পে আছেন অার এদের বন্চনার গল্প আমার থেকে অনেক বেশী জানেন....... আর দেশ যে ক্ষমতাবানদের মগের মুল্লুক তা আসলে যারা বাস্তবতায় যায়নি তারা জানে না........
তবে এর উত্তরনের উপায় সাথে সাথে প্রতিবাদ..... আপনার একাটু প্রতিবাদ হয়তো সাময়িক কিছু হবে না তবে অবশ্যই ভবিষ্যতে হবে আমার বিস্বাস... কারন আমি তাই করি ও ফল ও পেয়েছি.... কারন এতে আপনার সম মনা লোকদের পেয়ে যাবেন নি:সন্দেহে...........
১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ... চলুক ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১২
সোহানী বলেছেন: হুমমম চেস্টা করবো.............
১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: একটা সিরিয়াস বিষয়ের সাথে ছবি গুলো যায় না।
যদি পারেন মেয়েটির জন্য করবেন প্লিজ। তবে মনে হয় আপনি কিছু করতে পেরেছেন, বিস্তারিত দ্রুত জানার অপেক্ষায় .....
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
সোহানী বলেছেন: কি করবো আমার বাজে ছবি গুলো এড না করলে ভালো লাগে না....
অবশ্যই জানাবো ইমতিয়াজ ............
১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
এনামুল রেজা বলেছেন: এ ধরণের পরিস্থিতিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েদেরকেই পড়তে হয়। বসের তোপ কিংবা ষড়যন্ত্রে!
বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
মন খারাপ হল।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই.... কিন্তু অধিকাংশ পুরুষ শাসিত সমাজ তা বোঝার ও ক্ষমতা রাখে না। তারা সব মেয়েদের ঘরের বউ এর মতো মনে করে...... ভাবে এক ধমকে চুপ হয়ে যাবে.........
১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
সুমন কর বলেছেন: দুঃখজনক !
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই.......
১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
আমি ইহতিব বলেছেন: আপু লিগ্যাল সাপোর্ট নেন। ঐ বসের নামে কমপ্লেইন করার ব্যবস্থা নেন। আমার অফিসে Labor Law সংক্রান্ত ট্রেনিং দিতে একজন এডভোকেট আসেন, চাইলে ওনার সাথে কথা বলতে পারেন। আপনি আগ্রহী হলে আমি স্যারের অনুমতি নিয়ে ওনার কনট্যাক্ট নম্বর আপনাকে দিতে পারি। ইমেইল আইডি দিতে পারেন আমাকে - [email protected]
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২২
সোহানী বলেছেন: ইহতিব আপু, বাস্তবতা হচ্ছে মেয়েরাই এধরনের লিগাল সাপোর্টে যায় না। চাকরী বাচাঁনোই যার মূল কথা।
হাঁ আর অভিঙ্গতায় বলছি, যারা লিগাল সাপোর্টে গেছে তারাই চাকরী কোন না কোন উছিলায় হারিয়েছে..........
অনেক অনেক ধন্যবাদ ইহতিব বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্য...... আমি আসছি এর সমাধান এর উত্তর নিয়ে....
১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৩
আবু শাকিল বলেছেন: প্রতিদিন খারাপ খবরের মাঝে আরেটা মন খারাপের খবর।
আপুর শেষ পরিণতি কি হয়েছিল জানতে পারলাম না।
আশা করছি আপুর বদলি আপনি ঠেকাতে পেরেছেন।
এ খবরটা যেন জানতে পারি।
ভাল থাকবেন।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
সোহানী বলেছেন: আমি অভিভুত পাঠকদের আবেগী রেসপন্স পেয়ে..........
প্রিয় শাকিল ভাই... বাস্তবতা কিন্তু অনেক কঠিন। এ দেশে মেয়েদের চাকরী যে কি সংগ্রাম করে করতে হয় তা হয়তো আপনার বুঝতে ও পারবেন না। এক সময় জেন্ডার নিয়ে কাজ করতাম বলে অনেক বাস্ত চিত্রই পেয়েছিলাম....
আসছি আপনার উত্তর নিয়ে............
১৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৮
শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক!!
আপু তুমি ভালো করে ইনভেস্টিগেট করো আসলেই সত্যিটা কি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৭
সোহানী বলেছেন: প্রিয় শায়মা, এটা তো খন্ড চিত্র মাত্র বাস্তবতা আরো কঠিন.......
১৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সংসার থেকেই শুরু হয় মেয়েদের অবহেলিত জীবনের। জীবনের বাঁকে বাঁকে সেই অবহেলা কেবল অবমুলয়নের খাতাকে সমৃদ্ধ করে। লিঙ্গ বৈষম্য আজও আমাদের সমাজে যে কতটা প্রকট তা আপনার এই লেখাতে আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। সম অধিকার শুধু কাগজে মোড়ান কতগুলো নীতিমালা। প্রয়োগের ব্যাপারে এখনো পুরুষতান্ত্রিক সমীকরণ। ফলে সুফলতা এখনো অধরাই থেকে গেলো। মানুষের বিবেকের দরজা উন্মুক্ত হোক, এটাই প্রত্যাশা করছি। অনেক হতাশার মাঝে আপনার এই লেখাটাও হতাশার সৃষ্টি করলো। তবুও সচেতনা সৃষ্টির জন্য এর ইতিবাচক দিকটাই পাঠক অনুধাবন করবে বলে আশা করছি। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো সোহানী।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
সোহানী বলেছেন: প্রিয় বিদ্রোহী বাঙালী, অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যের জন্য কিভাবে যে ধন্যবাদ দিব.....
সমস্ত দু:খের, সমস্ত অনিয়মের, সমস্ত অত্যাচারের সমাধান আপনার এক লাইনেই আছে....
"প্রয়োগের ব্যাপারে এখনো পুরুষতান্ত্রিক সমীকরণ"
যতদিন এ সমীকরণ থেকে বের হতে না পারবো ততদিন কোন সুবিচারই মেয়েরা পারবে না....... মেয়ে মানুষ নয় শুধু মানুষ হিসেবে যতদিন না ভাবতে পারবে, ততদিন পর্যন্ত বিচারের পাল্লা কখনই সমান হবে না......
অনেক অনেক ধন্যবাদ....
২০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: চতুর্মুখী সমস্যা।
বিস্তারিত জানার অপেহ্মায়।
দীর্ঘশ্বাস ফেলবো না। কারন তাহলে শ্বাসই শেষ হয়ে যাবে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৯
সোহানী বলেছেন: "দীর্ঘশ্বাস ফেলবো না। কারন তাহলে শ্বাসই শেষ হয়ে যাবে।"
চমৎকার বলেছেন.......
এতো বেশী দীর্ঘশ্বাস প্রতিদিন ফেলতে হয় যে সত্যিই শ্বাসই থাকবে না এক সময়...........
আসছি খুব শীঘ্রই...........
২১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: নির্মম বাস্তবতা তুলে ধরেছেন
আপনার প্রশাসনিক দক্ষতার ব্যাপারে আমার বিশাল শ্রদ্ধা রয়েছে।আশা করি মেয়েটির আপাতঃ পরিণতি ভাল হবে।আগ্রহ নিয়ে বাকীটা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
কিন্তু সামগ্রিকভাবে আমাদের ভিতরে সুপ্তাবস্থায় থাকা পৈশাচিক বা অনৈতিক আচরণের কার্যকরী প্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এবং অন্যের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনের মানসিকতা তৈরী না হলে এ ধরণের সমস্যা থেকে স্বস্তিকর মুক্তি মেলা প্রায় অসম্ভব।
অসংখ্য ধন্যবাদ বোন সোহানীকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় উপস্থাপনের জন্য।
অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
সোহানী বলেছেন: ওওওও মবীন ভাই...... প্রশাসনিক দক্ষতা আমার আছে কিনা জানি না তবে আমি খুব প্রতিবাদী চরিত্র...... তাই আমার প্রতি পদে পদে ধাক্কাটা ও প্রবল...... আমি যে সব ক্ষেত্রে বিফল হয়েছি তা কিন্তু না। ওই যে বললাম, প্রথম ঢেউটা তুলতে পেরেছিলাম তারপর কাউকে না কাউকে পেয়েছি এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য.............
আর হাঁ, আমাদের ভিতরে সুপ্তাবস্থায় থাকা পৈশাচিক বা অনৈতিক আচরণ..... এর বর্হিপ্রকাশের প্রথম মাধ্যম কিন্তু মেয়েরা। তাই তো এতো ভায়োলেন্স মেয়েদের প্রতি........
ভালো থাকুন মবীন ভাই.....
২২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
সুফিয়া বলেছেন: আপনি যেহেতু প্রাথমিকভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন তাহলে আর একটু গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখুন। নতুবা আপনাকে জানানোর অপরাধটাও ওর শাস্তির ক্ষেত্রে বিবেচ্য হতে পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৯
সোহানী বলেছেন: হুম....... সেটা আমি বিবেচনায় রেখেই এগিয়েছিলাম..........
২৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
জনাব মাহাবুব বলেছেন: খুবই খারাপ লাগলো।
মেয়েটি আসলে একজন দুর্ভাগা নারী। স্বামী একজন অত্যাচারী, অন্যদিকে অফিসের বস একজন মানসিক নির্যাতনকারী।
দুই পুরুষের যাতাকলে মেয়েটির অবস্থা শোচনীয়। আপনি মেয়েটির জন্য কিছু করতে পারলে আমাদেরও ভালো লাগবে।
মেয়েটির পরিনতি সম্পর্কে জানার অধীর আগ্রহে বসে আছি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
সোহানী বলেছেন: ভাইরে মেয়েরা যাতাকলে শুধু বাড়ি বা অফিসে না.. রাস্তা-ঘাট, মাঠে ময়দানে ও থাকে। ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে আমরা যে একেকজন সেডিস্ট..........
আসছি পরের পর্ব নিয়ে.......
২৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কর্পোরেট পলিটিক্স, জঘন্য বিষয়। কিছু বলার নেই, তবে এটা ছেলে- মেয়ে সবার জন্যই হতে দেখেছি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
সোহানী বলেছেন: কর্পোরেট পলিটিক্স এক জিনিস আর মেয়েদের এ ধরনের টর্চার অন্য জিনিস.... অফিস পলিটিক্স সব খানে কম বেশী আছে বাট মেয়েদেরকে হেয় করা বরং বেশী...... তবে আশার কথা হয়তো কিছুটা উন্নতি এখন হচ্ছে........
২৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ki obostha !
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
সোহানী বলেছেন: আসছি......
২৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কেসস্ট্যাডির সুন্দর উপস্থাপন।
এটা আমাদের সমাজের একটা সাধারণ চিত্র। ঐ মেয়েটা হয়তো তবু আপনার মতো একজনের কাছে এসেছে বলে আমরা ঘটানাটা জানতে পারছি। কিন্তু আমাদের চোখের আড়ালে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা অহরহ ঘটে যাচ্ছে।
তবে আশা করছি, এখানে যেহেতু আপনি হাত দিয়েছেন, একটা ব্যবস্থা হবেই। সুখবর জানার অপেক্ষায় রইলাম।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩১
সোহানী বলেছেন: হাঁ, এটা আমাদের সমাজের একটা সাধারণ চিত্র মাত্র......... সমস্যা আরো প্রকট প্রাইভেট সেক্টরগুলোতে....
আসছি শীঘ্রই.........
২৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: সবসময়ই দেখি আমরা দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার ।
ভালো কিছু হোক এই প্রত্যাশা করছি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩২
সোহানী বলেছেন: দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার আছে বলেই তো এত হানাহানি......
২৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ঘটনা শেষনা করে ই আজকের মত শেষ করে দিলেন ? ঠিক হল না। পরের টুকু জানার অপেক্ষায় রইলাম । অফিস পলিট্রিকস আর উপরের পদের লোকজনের অধীনস্তদের উপরে খবরদারী , আমার মনে হয় বাংলাদেশের সব প্রতিস্টানেই কম বেশি আছে।
এখনও মাঝে মাঝে ফেলে আসা পুরুনোদিনের কথা মনে হলে অবাক হয়ে ভাবি এই ধরনের পলিট্রিক্সের মাঝেও কি করে একটা সময় কাজ করেছিলাম । আর যাই হোক দেশে ফিরে এই ধরনের পরিস্তিতি সামাল দিয়ে আর হয়ত কোনদিন কাজ করতে পারবনা।
ছোট একটা ঘটনা শেয়ার না করে পারছি না, এখানে আমার কন্ট্রাক্ট অনুযাইয়ী প্রথম বছরে ২০ দিন , ২য় বছরের ২৮ দিন ছুটি আমি পাব। কিন্তু ব্যাক্তিগত আর ফিন্যান্সিয়াল কারনের দেশে যাই নি আর ছুটিগুলোও কাটানো হয় নি। আর আমার এই ছুটিগুলো নিয়ে আমার বস, কলিগ থেকে শুরু করে এইআরের চিন্তা, আমি কেন নস্ট করব ছুটিগুলো আর দেশে যাচ্চি না কেন। অবশেষে সবার জোরাজুরিতে গত মাসেই দেশ থেকে ঘুরে আসলাম ।তাও গত বছরের ছুটিগুলো এ বছর কাটালাম আর এই ট্যুরের সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা বস, কলিগ থেকে পেয়েছি। মাঝে মাঝে ভাবতে খারাপ লাগে, এদের ছেড়ে কি করে অন্য কোথায় মুভ করব?
পরের টুকু জানার অপেক্ষায় থাকলাম ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
সোহানী বলেছেন: প্রিয় আনিস, অফিস পলিট্রিক্স কম বেশী সবখানেই আছে কিন্তু মেয়েদের যখন হেয় করার সুযোগ পায় তখন কেন যেন খুব আনন্দ পায় সবাই.... মানতে না চাইলে ও এটাই বাস্তবতা। আমার এ সিরিজে ধরনের খুব ভীতরের সমস্যাকে তুলে ধরার চেস্টা করেছি মাত্র.... সবাই এ ধরনের হেরাসমেন্ট দেখছে কিন্তু উপলব্ধি করতে পারছে না..... আমার লেখা তা চোখে ধরিয়ে দেয়ার চেস্টা মাত্র। সবক্ষেত্রে আমি সমাধানটা এড়িয়ে যেতে চাই কারন সমাধান নির্ভর করে পরিবেশ পরিস্থিতি ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের মানসিকতার উপর।
আর আপনি যে পজিটিভ পরিবেশে কাজ করেন তা সত্যিই ইর্ষার দাবী রাখে যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। তবে আশার কথা ইদানিং মেয়েদের ব্যাপক চাকরীতে ঢুকা আর ছেলেদের ও পজিটিভ মানসিকতার কারনে পরিবেশে অনেকটাই চেইন্জ হয়েছে।
২৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ২য় পর্ব ঘুরে ১ নংটাও দেখার ইচ্ছা জাগলো। করুণ ঘটনার মর্মস্পর্শী উপস্থাপন। এই পোষ্টে লাইক এত কম কেন? আজেবাজে পোষ্টে তো গুণে শেষ করা যায় না । যাই হোক , আমারটা আমি দিয়ে দিলাম। অজস্র শুভেচ্ছা রইলো।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
সোহানী বলেছেন: অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ তনিমা, পোস্টটি পড়া ও প্লাসের জন্য।
হাহাহা........ থাকনা অন্যের প্লাস.. আপনারতো পেয়েছি.............
৩০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ঘটনাগুলো প্রায় সব কর্মক্ষেত্রে সংঘটিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত!
আঙ্গিক হয়তো বদলে যাচ্ছে একটু!
মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে খুব সামান্যই!
ঘটনাগুলো তুলে ধরা প্রয়োজন বারবার।
বারবার এবং বারবার।
লেখার শক্তি অসীম বলে বিশ্বাস করি আমি।
অনিঃশেষ শুভকামনা শুভ উদ্যোগে।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩০
সোহানী বলেছেন: হাঁ আমি ও বিস্বাস করি লেখার শক্তি অসীম । তাইতো আজ আমি লিখছি কাল আরেকজন এর প্রতিবাদ করবে.... একটা ঢেউ আমি তোলার চেস্টা করছি..... একসময় এটি অনেক বড় ঝড় তৈরী হবে।...
তবে বর্তমান এ এর অনেক পজিটিভ পরিবর্তন হয়েছে.... তবে আরো ও হবে এ আমি বিস্বাস করি....
ভালো থাকুন সব সময়।
৩১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
এহসান সাবির বলেছেন: নির্মম বাস্তবতা...
চলুক..
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য... কিন্তু কেউই স্বীকার করে না।
৩২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮
মেহবুবা বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করবে।
কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
গতকাল আমার এখানে এক মহিলা কর্মচারী মন খারাপ করছিল বিরূপ পরিস্থিতির জন্য।তার অপরাধ সে অফিস চলাকালে তার মেয়েকে আনতে স্কুলে যায়;
অথচ সে যতক্ষন অফিসে থাকে কাজ করে।তার স্বামী আছে কেবল তাকে বিবাহিত পরিচয় টিকিয়ে রাখবার জন্য।তার মেধাবী মেয়ে ঢাকায় ভাল একটা স্কুলে পড়ে তারপরেও এখন মেয়ে সন্তান নিয়ে সে উদ্বিগ্ন থাকে পারিপ্বার্শিকতা বিবেচনা করে।
এই কর্মচারী মেয়ের জন্য খারাপ লাগে। কর্মচারীদের ইউনিয়ন আছে অত্যন্ত শক্তিশালী, সেখানেও তার দাবী ভাষা পায় না, সেখানে নেতারা অন্য সর্বত্র চিত্রের মত পুরুষ হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
বাঙালীর চিরন্তন নারী কতটা পারে তার সাবলীল আচরন দিয়ে সব সামলে নিতে।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৮
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মেহবুবা বাস্তবিক মন্তব্যের জন্য। আমরা নারীর অধিকার নিয়ে চেচাঁই কিন্তু বান্তবতা যে কতটা নির্মম তা যারা চাকরী করে তারাই জানে... কর্মচারীদের ইউনিয়ন আছে তবে তা টাকা পয়সা বানানোর জন্য কর্মচারীদের উপকারের জন্য নয়।
৩৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৮
বাঘ মামা বলেছেন: আপনার লেখা গুলো আমার আগে নজরে আসেনি, আজকেই পড়লাম পর্ব গুলো, আপনি সমাজের খুব পরিচিত সমস্যার কথাই বলেছেন, আমার কাজের সুবাধে এসব এত বেশি দেখেছি যে একটা সময় ছিলো আমি খুব অসহায় ফিল করতাম এমন সব বিষয় গুলো নিয়ে। হতাশ হয়ে মাথার চুল ছেড়া অবস্থা ছিলো আমার।
আমার হসপিটালে যখন ডিপ্লোমা নার্স নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দিতাম তখন অনেকেই আসতো ইন্টারভিউতে তাদের মধ্যে অনেকেই নিয়োগ পেলেও আসতোনা কাজে যোগ দিতে। বিষয়টা আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি। এমনি একটা নার্স ছিলো যে কিনা নিয়োগ পত্র হাতে পেয়ে প্রায় সাত মাস পর আসছে। আমি কারণ জানতে চাইলে সে বললো আপনাকে যখন দেখলাম তখন কাজে আসতে ভয় হয়েছিলো আমার, কিছু মনে করবেননা স্যার আমি জীবনে অনেক হসপিটালে কাজ করেছি, জব নিয়ে এক মাস টিকতে পারিনি, আমাকে কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে হসপিটাল কর্মকর্তা মালিকদের বাজে আচরণ খারাপ সব ইঙ্গিতে প্রতিটা মুহুর্ত ভয়ে ভয়ে কাটতো, তাও সেসব মালিকরা ছিলো বয়ষ্ক বাবার সমান, যখন আপনাকে দেখলাম এত কম বয়সী চেয়্যারম্যান তখন ভেবেই নিয়েছিলাম আপনি আমার জন্য নিরাপদ না কোনভাবেই, তাই আমি এবং আমার বান্ধবী দুজন একসাথে আসলেও সে এখানে জয়েন্ট করে আর আমি চলে যাই। গত ছয় মাস ধরে আমি তার মুখে আপনার কথা শুনি, এবং এখানে নার্সদের নিরাপত্তা নিয়ে আপনার ভুমিকা শুনি আমার বান্ধবীর কাছে যা আমরা আগে কোনদিন পাইনি। আপনার কারণে এখানে কর্মকর্তা ডাক্তার বয়রা পর্যন্ত সাবধানে থাকে। এসব শুনে আমি আসছি এখানে কাজ করতে।
মেয়েটি কথা গুলো বলার সময় এমন ভাবে বলছিলো যেন এই দেশটা একটা জঙ্গল আর শিকারীরা তাকে ঘিরে রেখেছে। একটা নারী নিজেকে কিভাবে নিজের পায়ে দাড় করাবে যেখানে কোটি কোটি ধারালো নখ তার পায়ে প্রতিনিয়ত খামছি মেরে যাচ্ছে।কিছু পুরুষ শত শত সনদ কাঁধে নিয়েও মানুষ হতে পারেনি পুরুষ থেকে।কিভাবে একটা পুরুষ মায়া মন মমতা ছাড়া শুধু মাত্র একটা শরীর নিয়ে ভাবতে পারে আমি খুঁজে পাইনা, আমি অসহায়ের মত আমার নার্সদের দিকে তাকাই আর ভাবি আমি কিভাবে সহ্য করবো আমি যদি কোনদিন মেয়ের বাবা হই যেই দেশে আমার মেয়ে পুরুষালী নখের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে ঘরে ফিরবে।এই ভয় শংকায় এই দেশে আমার অনেক কিছু হতে ইচ্ছে করে শুধু মেয়ের বাবা হতে ইচ্ছে করেনা।
যাইহোক শেষে আমি মেয়েটাকে বল্লাম আপনি চাইলে কাজ করতে পারেন আমি আমার সাধ্য মত চেষ্টা করবো আপনার নিরাপত্তা দিতে,আর আপনিও আমাকে সাহায্য করবেন তথ্য দিয়ে,আমাকে বলতে না পারলে আমার ই,ডি অনেক বয়ষ্ক মানুষ আমার বাবার মত ওনাকে বলে রাখবেন উনি আমাকে সময় মত সব জানাবে, এবং যখনি কোন ডাক্তার বা কর্মকর্তা খারাপ কোনো ইঙ্গিতে কথা বলবে সে এখানের যেই হোক আমাকে জানাবেন, আপনাদের থাকার হোষ্টেল থেকে শুরু করে প্রতিটা ফ্লোরে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে আমি সব সময় নজরে রাখি। সুতরাং ভয় নেই কেউ মিথ্যা অপবাদ দিলেও আমি সেটা পরখ করে বের করতে পারবো কার কতটা দোষ গুন।
আমি যেদিন আমার সেই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে এসেছি বিদেশের উদ্দেশ্যে তখন আমার চেয়ে বয়সে বড় নার্স গুলো যখন আবেগে কাঁদছিলো আর অনুরোধ করছিলো স্যার আপনাকে একবার পা ছুয়ে সালাম করতে দিন ,আমরা নিজের বাড়িতেও এতটা নিরাপদ ছিলামনা যতটা এখানে ছিলাম আপনার অধীনে। আমি তখন মনে মনে বিধাতাকে বল্লাম হে বিধাতা যদি সত্যি ওদের জন্য কিছু করে থাকি সেই সুবাধে আমি কোনদিন বাবা হলে আমার মেয়েটাকে নিরাপদ জীবন দিও এইটুকুই শুধু চাওয়া।
হে তথা কথিত পুরুষেরা, তোমরা মানুষ হয়ে বেঁচে দেখো জীবন কত সুন্দর পৃথিবী কত সুন্দর
শুভ কামনা সবার জন্য
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৬
সোহানী বলেছেন: কিভাবে আপনার মন্তব্যের উত্তর দিব বা কিভাবে শুরু করবো ... বুঝতে পারছি না। সত্যি বলতে আপনি যেভাবে উপলব্ধি করেছেন এ বিষয়টি আমি আমার জীবনে খুব কমই দেখেছি সেরকমভাবে উপলব্ধি করতে। হাঁ অনেকে আছেন জেন্ডার নিয়ে কাজ করে কিন্তু দেখেছি তারা সত্যিকারে বিষয়টি ফিল করে না। মুখে ভাব দেখায় দুনিয়া উল্টে-পাল্টে নারীর অধিকারের জন্য বাট যখনি স্বার্থে টান পড়েছে তখনই আসল রুপ বেড়িয়ে পড়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি যেভাবে দেখার দরকার বা উপলব্ধির প্রয়োজন আপনি সেভাবেই ফিল করেছেন।
কিন্তু এভাবে তো চলতে পারে না, এর সমাধান দরকার। যেদিন ডক্টর সাজিয়া ব্রাক সেন্টারে ক্লিনিকের সুইপার দ্বারা রেপড্ হয়ে খুন হয় তখন আমি অনেক কেদেঁছি। একজন ডক্টরের দিকে তাকাতে সাহস হয় কি করে একজন সুইপারের? আমি বুঝতো পারি না এরা কি একটা নারীকে শুধুই মাংসপিন্ড ভাবে...... একটা ছোট্ট পরীর মতো বাচ্চা মেয়ে পর্যন্ত এদের হাত থেকে রেহাই পায় না... কেন কেন? দেশেতো অনেক পতিতালয় আছে, তোদের দরকার হলে যা সেখানে। কেন বাচঁতে দিস না এ পরীগুলোকে????
নিজে মেয়ে বলে প্রতি পদে পদে অফিসে নারীদের হেয় হতে দেখে প্রতিবাদ করেছি, মূহুর্তে জব ছেড়ে দিয়েছি.... তারপরও পিছাইনি। নিজের গন্ডির ভীতর আর কোন সাধ্য নেই বলে ব্লগে লিখার চেস্টা করি।
অনেক অনেক ভালো থাকেন।
হে তথা কথিত পুরুষেরা, তোমরা মানুষ হয়ে বেঁচে দেখো জীবন কত সুন্দর পৃথিবী কত সুন্দর।
৩৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৮
বাঘ মামা বলেছেন: এভাবে তো চলতে পারে না, এর সমাধান দরকার
চলতে না দিয়ে উপায় কি বলুন? এসব নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার কি হাল হয়েছে সে বিষয় আপনাকে বলতেই হয়, অপ্রিয় হলেও সত্য কথা আমাদের দেশের জন্য - একজন সৎ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে একজন অসৎ পিওনের ক্ষমতা বেশি বলেই আমার মনে হয়েছে আমাদের অসৎ সমাজে।
আপনি ভাবতেই পারবেননা আমি কিসের মুখোমুখী হয়েছিলাম আমার নিজের দেশে।আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে পৃথিবী থেকেই হারিয়ে যেত। একটা ছোট্ট ঘটনা না বললেই নয় আপনাকে।
আমার ক্লিনিকে একজন অর্থপ্যডিক সার্জন, যিনি প্রতি বৃহষ্পতি বারে আমার ক্লিনিকে আসেন ডাক্তার আবাসিক ফ্ল্যাটে থাকেন ঐ রাতে এবং শুক্রবার শনিবার পর্যন্ত সকল অস্থি সমস্যার রুগী দেখেন অপারেশন করে শনিবারে চলে যান, তিনি হলে সলিমুল্ল্যাহ মেডিক্যালের একজন শিক্ষক। নামদামি মানুষ, নাম বললেই সাবই চিনবে যা বলতে পারছিনা, একটা বিশেষ দলের সাথে জড়িত,নামাজ রোজা আল্লাহ বিল্লায় ওনার জুড়ি নেই, তো বৃহষ্পতিবার রাত ২ টা অব্দি একটা জটিল অপারেশন করে তিনি রুগীকে পোষ্টঅপারেটিভ আ দিয়ে তিনি রুমে চলে যান এবং কর্তব্যরত এক নার্সকে বললেন সে যেন রুগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল ফাইল নিয়ে তার রুমে আসেন, যথারীতি মেয়েটি তার রুমে যায় এবং কিছু সময় পর সেই নার্সটি দৌড়ে পালিয়ে আসে রুম থেকে চিৎকার করতে করতে, এমন সময় আমার সেই ই,ডি সামনে আসে এবং ঘটনার কিঞ্চিৎ শুনেই ঐ ডাক্তারের রুমে রেখেই বাইরে তালা লাগিয়ে দেন, বলেন চেয়্যারম্যান স্যার আসা পর্যন্ত আপনার দরজা খুলে দেয়া হবে না, রাত তখন তিনটা, আমার মোবাইলে সেই ডাক্তার কল করে একরকম করুন সুরে বললো বাঘ ভাই আমাকে বাঁচান, আমি তার মুখে শুনলাম তাকে নাকি মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছে, আমি খুব দ্রুত ক্লিনিকে যাই এবং ডাক্তারকে ছেড়ে দিতে বলে আমি সিসি ক্যামেরা রেকর্ড দেখলাম মেয়েটি ওড়না জামা কাপড় ঠিক করতে করতে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়েছে।আমি জানতাম যদি এখন এই ডাক্তারের বিষয় তদন্ত করে সঠিক বিচার করতে যাই অথবা সকাল অব্দি আটকে রাখি তাহলে পরদিন সারা ডাক্তার সমাজে ছড়িয়ে পড়বে আমার ক্লিনিকে আমি নার্সা দ্বারা ডাক্তারকে অপমান করেছি এবং সকল বিশেষজ্ঞ সার্জন সবাই আমার ক্লিনিক বর্জন করবে আমার ক্লিনিকের রুগি মরবে। আমার কথা কেউ শুনবেনা শুনবে এই বড় বড় ডাক্তারের কথা, এবং অন্য সকল ক্লিনিক মালিক গন ডাক্তারদের পক্ষে দাড়াবে আমার বিপক্ষে যাবে,কারন ক্লিনিক মালিক গন ডাক্তারের কাছে অসহায়। এসব ভেবে আমাকে তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐ ডাক্তারকে ছেড়ে দিতে হলো এবং আমি নার্স মেয়েটিকে কথা দিলাম এই ডাক্তার আর আমার ক্লিনিকে আসতে পারবেনা আমার যত সমস্যাই হোক, মেয়েটি আমার অসহায়তা বুঝতে পেরে মেনে নিলো। এখানেই শেষ হলে আমার সমস্যা ছিলোনা।
এরপর থেকে শুরু হলো আমার বিরুদ্ধে নানা আন্দোলন, অন্যায় করার পরও সেই ডাক্তার থেমে থাকেনি, অন্য ক্লিনিক মালিকদের সাথে মিলে আমার ক্লিনিকে মৃত রুগী অথবা হার্টএ্যটাক সহ নানা ইমার্জেন্সী রুগী রেফার্ড করে আমার রিপুটিশন নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগে গেলো আশে পাশে কিছু ক্লিনিক মালিক এবং ডাক্তার গন,ইতিমধ্যে অনেকেই আমার ক্লিনিক আসা বন্ধ করে দিয়েছেন , আমাদের অবহেলায় রুগী মরে গেছে বলে প্রচার প্রসার প্রশাসন সাংবাদিক কোন কিছু বাদ রাখেনি। এক সময় আমি টিকতে না পেরে যখন ওসব ডাক্তারদের এদিক সেদিক বদলি করে হয়রানী শুরু করে দিলাম তখন ডাক্তার গন থেমে গেলেও ক্লিনিক মালিক গন থেমে যায়নি, রাতে আধারে আমাকে আক্রমণ সহ না ঘটনা ঘটে।
ডিফেন্স এবং পলিটিক্যালী ভাবে আমার পরিবার আত্মীয় স্বজন ভরপুর হওয়ার কারণে আমি ওদের সাথে লড়াইয়ে জিতে যাই ,তবুও মনের মধ্যে একটা অনুশোচনা আমার এখনো কাজ করে আমি সেই নার্সের সামনে ঐ লম্পটের বিচার করতে পারিনি,আমার রুগীর স্বার্থে,আমার শত শত কর্মচারী কর্মকর্তার স্বার্থে, এত অল্প বয়সে এমন জটিলতায় পরবো ভাবিনি,আমি হাফিয়ে উঠি, এক সময় সিদ্ধান্ত নিলাম এই দেশেই আর থাকবোনা,যেই দেশে লম্পটের হাতে জিম্মি হয়ে থাকতে হয়।
এটা আমার জীবনের অনেক গুলো ঘটনার মধ্যে একটা।
কোন এক রাজনৈতিক নেতার সাথে কোন এক নারীর অনৈতিক কাজের ফলে নারীটি গর্ভবতী হন,। সেই নেতা আমার ম্যানজারকে ফোন করে নারিটিকে আমার ক্লিনিকে পাঠান যেন এম,আর করা হয়, আমি যেদিন ওটিরুমে এম,আর এর কারণে একটা শিশুর ছিন্নভিন্ন শরীর দেখলাম সেদিন আমার চোখ ভেসে গিয়েছিলো, সেই থেকে আমার ক্লিনিকে আমি এম,আর এবং ডিএনসি নিষিদ্ধ করে দেই, ডিএনসি করা হয় শুধু মাত্র কোন নারীর আবার গর্ভধারণে জীবন হুমকির মুখে পড়লে ডাক্তার এবং পরিবারের সিদ্ধান্ত উপস্থিতিতেই হতে পারে বলে আমার ক্লিনিক প্রশাসনকে জানিয়ে দেই, সঙ্গত কারণে আমার ডিউটি অফিসার এবং ম্যানাজার ঐ নেতাকে জানিয়ে দিলো আমাদের এখানে এসব হয়না, সেই নেতা এত শক্তিশালী মানুষ ছিলো যে আমার স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধা দিতে শুরু করলো, সে অনেক ঘটনা, সেই যাত্রায়ও আমি জিতে যাই।
এবং ফাইনালি নিজের সন্মান পরিবারের নিরাপত্তা ভবিষ্যৎ সব কিছু মাথায় রেখে বিদেশ মেনে নিলাম,মাঝে মাঝে দেশ গিয়ে দুর থেকে সহায় অসহায় মানুষ গুলোর দিকে এক নজর তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই বলিনা,অতিথীর মত যাই আর ফিরে আসি। দেশে এত শক্ত অবস্থানে থাকা এই আমি নানা প্রতিবাদ করতে গিয়ে এত ঝামেলায় পড়েছি সেখানে যারা একদম সাধারণ পরিবারের মানুষ তাদের কি হাল হতে পারে ভাবাই যায়না।
তবে একদিন আধাঁর পেড়িয়ে আলো বেড়িয়ে আসবে যখন প্রতিটা শিশু শিক্ষিত মায়ের কোলে এবং লোভ লালসাহীন পরিবারে জন্মানোর সুযোগ পাবে, পারিবারিক শিক্ষাই একটা জাতিকে বদলাতে পারে, , আমার বিবেক বুদ্ধি বিবেচনা এবং যেখানে যতটুকু গুন অথবা সফলতা আছে সেসব আমার বাবা আমাকে বুকে জড়িয়ে বুক থেকে বুকে এবং আমার মা গালের সাথে গাল লাগিয়ে সরবরাহ করেছে। আমি তা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো।
আমি আমার মন্তব্যে প্রায় বলে থাকি- দেশ বদলাবে যদি কোলের শিশুটির প্রতি নজর দেন। তখন আর অন্যায় হবেনা প্রতিবাদ করা লাগবেনা।
আবারো কথা হবে আপনার পোষ্টের কোন বিষয় নিয়ে
শুভ কামনা সোহানী
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৫
সোহানী বলেছেন: সরি অনেক সময় নিচ্ছি আপনার মন্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য। কারন আপনার প্রতিটি শব্দ আমি অনুধাবন করছি। আপনি যে পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়েছেন তা অনেকটাই উপলব্ধি করতে পারছি। কারন বাবা ছিলেন সরকারী কর্মকর্তা, জীবনে কখনই অন্যায়ের সাথে আপোষ করনেনি। আমিও একই পথ ধরে সারাটা জীবন লড়াই করেই যাচ্ছি।
বাঘ ভাই, আপনি যে অন্যায়ের কথা বলছেন তা সেক্সুয়াল এবিউজ। আর এ এবিউজ সমাজের কোথায় নেই? ঘরে-বাইরে আপনজন বা দূরের কেউই....কোথাও নিরাপদ নয় মেয়েরা। এক শ্রেনীর পুরুষ আছে যারা মেয়েদেরকে শুধুমাত্র ভোগের মাংস পিন্ডভাবে। আমি তাদের মানুষ বলতে রাজি না, ওরা শুধুই পুরুষ বা পুরুষ প্রানী। ওদের হাত থেকে ৫ বছরের শিশু ও নিরাপদ না, যেটা পত্রিকা খুললেই প্রতিদিনই দেখতে পান। ওদেরকে আপনি খুজেঁ পাবেন না কারন ওরা আপনার আমার আপনজনের ছদ্দবেশে থাকে। কারো হয়তো নিজেরই ৫ বছর বয়সী মেয়ে আছে আবার কারো ঘরে অসম্ভব সুন্দরী বউ ও আছে তারপর কাজের মেয়ে বা নার্সের গায়ে হাত দিতেও দ্বিধাবোদ করে না। কারন ওদের কাছে সমাজ, আত্মসন্মানবোধ, মায়া কিছুই না সেক্সের কাছে... ওরাতো কামার্ধ পশু। ওরা যুগে যুগে আছে থাকবে, সবখানে সব সমাজে। আপনি ওদের ঝেটিয়ে কিছুতেই বিদায় করতে পারবেন না। কারন ওরা সংখ্যায় অনেক শুধুমাত্র মুখোশে আছে বলে আমি আপনি ধরতে পারি না, পরিবেশ পেলেই ওদের আসল রুপ বেরিয়ে পরে।
বাঘ ভাই, আমার লড়াইটা একটু ভিন্ন। আমার দেখা চাকরীরত মেয়েদের বিরুদ্ধে যত অন্যায় হয় তা প্রকাশ করা। কারন সেক্সুয়াল এবিউজ দেখা যায় কিন্তু এ ধরনের অন্যায় চোখে দেখা যায় না শুধু অনুভব করা যায়।
চাইল্ড সেক্সুয়াল এবিউজ নিয়ে কিছু লিখা আছে আমার.... এতো বিজি এখন সময় করতে পারি না লিখার।
আপনি আপনার সব লিখা ড্রাফ্টে নিয়েছেন কেন?
৩৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭
বাঘ মামা বলেছেন: আভিধানিক ভাবে যদি বলতে যাই লড়াই আসলে কোন কিছু শেষ সমাধান নয়, সমাধান আসে পরিবেশ পরিস্থিতি থেকে তবুও থেমে থাকলে মন্দরা মাথা চড়া দিয়ে উঠে, সুতারাং সাধ্য মত চালিয়ে যান যত টুকু পারেন, আপনার জন্য শুভ কামনা
আমি পোষ্ট দেয়া বন্ধ করে দিয়েছি অনেক আগেই, আমি আমার মন্তব্য নিয়েই থাকি থাকতে চাই, যে বিষয় যখন যেখানে কথা উঠে সেখানেই নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি মতামত দেই, আমি কখনো মন্তব্যে বই বা ইতিহাস টানিনা, সারা বাংলা চষে বেড়ানো এই আমি মানুষকে যতটুকু জেনেছি পড়েছি সেসবিই বলে শেষ করতে পারিনা, দেশ এবং দেশের বাইরে দেখা মানুষ গুলোর জীবন থেকে নেয়া কথা গুলো মন্তব্য আকারে বলে যাই তাতেই আমি সন্তুষ্ট।
আমার কাছে পোষ্টের চেয়ে মন্তব্য বেশি দায়িত্বের মনে হয়, পোষ্ট আমি যা ভাবি মনে করি তাই বলতে পারি লিখতে পারি, কিন্তু মন্তব্য হতে হবে পোষ্ট সঙ্গত , সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় পোষ্টের পাশাপাশি মন্তব্যেও অনেক দায়বদ্ধতা আছে,
আপনার আরেকটা পোষ্ট পড়লাম, সেখানে যাচ্ছি কথা বলতে,
শুভ কামনা সব সময়
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৭
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ বাঘ ভাই। শুধু মন্তব্য করে দিন পার করছেন... হাহাহাহা............ আপনাকেই মনে হয় পেলাম শুধু। তারপরও অনুরোধ ... আপনার অভিজ্ঞতাটুকু লিখলে তা অনেকের কাজে লাগতে ও পারে যা হয়তো আপনি জানবেন না।
হাঁ মন্তব্যে দায়িত্ব ও কম না কারন সামুর বেশীরভাগ মন্তব্যই দায়সারাগোছের, শুধুমাত্র কয়েকজনেরটা ছাড়া। তারপর ও লিখা না দিয়ে শুধু মন্তব্যও আমি সমর্থন করি না।
আপনার সাথে পরিচয় হয়ে ভালো লাগছে। ভার্চুয়াল জগত আমার ভালোলাগে কারন নিজস্ব চিন্তা চেতনার কাছের কাউকে পাওয়া যায়।
যে উদ্দেশ্য নিয়ে লিখা শুরু করেছিলাম তা খুব একটা কন্টিনিউ করতে পারছি না কারন পরিবেশ পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ন ভিন্ন। তারপরও একটু সময় পেলেই লিখি হাজার কাজের ভীড়ে ও.....
পরবর্তী মন্তব্যের অপেক্ষায়।
৩৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: পরবর্তী খবর জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
এইচ আর ডিপার্টমেন্টের মত ফালতু ডিপার্টমেন্ট নাই। কোন কাজ নাই এদের ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করে। ভাবটা এমন অফিসের কাজ এরাই সব করে, অন্যরা সব বসে বসে খায়।
এদের ভাবখানা দেখলে পিটাইতে ইচ্ছা করে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
সোহানী বলেছেন: সে আর বলতে ভাই। এদের কাজ নাই বলেইতো ক্ষমতা দেখানোর চেস্টা করে..... দু একটারে ধইরা পিটান.... হাহাহাহা (ভুলেও একাজ কইরেন না, এ চাকরীর আকালে এদেরকে ক্ষেপাইয়েন না)...
রাতুল ভাই লিখাটা বছর দু'য়েক আগের......
অনেক ধন্যবাদ লিখাটা পড়ার জন্য।
৩৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
রাতুল_শাহ বলেছেন: পিটানো ছাড়া সব করেছি। আমাদের এইচআর ডিপার্টমেন্ট আমাদের উপর সহজে কথা বলে না।
কথা বললে, এমন এক প্যাচ দিই, উল্টো বসের ঝাড়ি খায়।
এই জন্য অফিসের বাকিদের ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৯
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা সত্যিই তাই অফিসের বাকিরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে এইচআর ডিপার্টমেন্ট কিছু বলতে পারবে না। বাট বাস্তব হলো খুব কম লোকজন ছাড়া বাকিরা ওদেরকে তেল দিতেই ব্যাস্ত থাকে। তবে ওই যে প্যাচের কথা বললেন, সেটা কিন্তু সবসময় সম্ভব হয় না....
৩৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: লিঙ্ক ধরে এই পোস্টে এসে পোস্ট আর সব মন্তব্য পড়লাম। এই মেয়েটাকে শেষ পর্যন্ত আপনি বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু এমন আরও কত মেয়ে আজো এভাবে নিপীড়িত হচ্ছে, প্রতিকারহীন। বাঘমামার অভিজ্ঞতা পড়ে বিস্মিত আর দুঃখিত হলাম, এমন ভদ্র, নামাজী মানুষের মধ্যেও ধর্ষক লুকিয়ে থাকে, সুযোগমত বেড়িয়ে আসার জন্য।
জানি না এ অবস্থা থেকে কোনদিন উত্তরণ ঘটবে কিনা!
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৩
সোহানী বলেছেন: আপু হবে না। তারপরও আশাবাদী হই। জীবনভর চেস্টা করে গেছি ওদের জন্য কিছু করতে। কিন্তু খুব কঠিন এ সংগ্রাম।
অনেক দিন পরে লিংক ধরে লিখাটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা, আপু।
৩৯| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪০
জুয়েল তাজিম বলেছেন: এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে কর্পোরেট অফিস নামক যন্ত্র গুলো । প্রতিদিনের সাক্ষী
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৮
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য তাজিম। এভাবেই চলছে সব কিছু প্রতিনিয়ত.....
৪০| ১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: সেই মেয়েটির মত অনেকেই নির্যাতিত হয়ে গোপনে অশ্রুপাত করতে করতে ঘরে ফিরে যায়, নতুবা আপোষ করে, যারা আপনার মত কোন সাহায্যকারীকে কাছে পায় না।
আশাকরি, মেয়েটা তার বদলি (সেই সাথে স্বামীর তালাকও) ঠেকাতে পেরেছিল, যদিও এ নিয়ে আপনি আর কিছুই বলেন নি।
বাঘ মামা'র মন্তব্যগুলো পড়ে বোঝা যায়, কেন মেধাবী এবং সাহসী লোকজন নিরুপায় হয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে এবং কেন দিনে দিনে দেশটা মাফিয়াদের দখলে চলে যাচ্ছে।
পোস্টে অষ্টম প্লাস + +।
২২ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৫০
সোহানী বলেছেন: অফিস পাড়া এ ধরনের মেয়েদের জন্য ভীষন কঠিন। যার পিছনে শক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, কোন অনৈতিকতায় জড়ায় না, মুখ বুঝে সহ্য করে তারা খুব সহজে টিকতে পারে না। আমি বা আমার মতো ক'জনেই বা আছে। বা বলা যায় শক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে ফাইট দেদবার মতো মানসিকতা আছে!! আমি অন্তত পাইনি তেমন। যারাই যুদ্ধে নেমেছে তারা্ নিজেরাই হারিয়ে গেছে। খুব কঠিন, খুবই কঠিন........
অনেক ধন্যবাদ আমার লিখা খুজেঁ ফেরার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
যোগী বলেছেন:
কাহীনি ভিসন মন খারাপের। ভদ্র মহিলাটার জন্য কি কিছু করতে পারবেন? কি করবেন সেটা লিখলেন না কেন আজবতো।