নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি যদি চাকুরীজীবি মেয়ে হোন তাহলে লিখাটি আপনার জন্য..... আপনার সাথে মিলে যেতেও পারে (পর্ব ৩)

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭


অফিসে চাকুরিরত মেয়েদের সাথে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে বাস্তবতার আলোকে আমার এ পর্বগুলো সাজিয়েছি যা সাধারন দৃস্টিতে হয়তো তেমন কিছুই নয় কিন্তু একটি মেয়ের প্রেক্ষাপটে অনেক কিছু .......

পর্ব ৩

সিড়িটার পাশটা খুব ছোট, দু'জন পাশাপাশি ক্রস করতে হলে ধাক্কা খেতে হয়। আস্তে আস্তে মেয়েটার পিছনে উঠছি কারন তার পাশ দিয়ে বা তাকে ধাক্কা দিয়ে উঠতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। মেয়েটি এডভান্স স্টেজ প্রেগনেন্ট, অনেক কস্টে পা'দুটো টেনে টেনে আস্তে আস্তে নিজের বিরাট শরীরকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে... এ অবস্থায় শরীরকে পাহাড় থেকে ও বড় মনে হয়। তিন তলায় উঠে মেয়েটি একটু হাফাচ্ছিল ... ক্রস করে যেতে যেতে পিছন ফিরে মুখের দিকে তাকালাম... ক্লান্ত, অবসন্ন চিরাচরিত একটা মুখ।

দু'দিন পর লম্বা মিটিং থেকে বের হয়ে রুমে বসতেই একটা স্লিপ। ভেতরে আসার অনুমতি দেয়ার পর দেখি সেই একই মুখ। বলুন, কি চাই?

ম্যাডাম আমি শরিয়তপুরের হ্যাল্থ্ এডুকেটর। আপনার সাথে একটু কথা বলতে চাই ..... আগামী সাপ্তাহে আমার ডেলিভারী ডেট কিন্তু এখনো মেটারনিটি লিভ এর অর্ডার পাইনি... গত ৪ মাস আগে এপ্লাই করেছি লিভ এর জন্য। আমি গত জুনে জয়েন করেছি, প্রায় আট মাস হলো এখানে।

তুমি এইচ আর সেকশানে এ যোগাযোগ করো.... এপ্লিকেশান করো। লিভ পলিসি অনুযায়ী তুমি লিভ পাবা।

কিন্তু এইচ আর সেকশানে বলেছে চাকরীতে জয়েন করার ৯ মাস না হলে মেটারনিটি লিভ পাওয়া যায় না। ওরা উল্টা আমাকে কেন পেগনেন্ট অবস্থায় জয়েন করেছি তার জন্য বকা দিচ্ছে। বলেন ম্যাডাম, জয়েনিং লেটার ফর্মে কোথাও পেগনেন্ট কিনা তার কোন ঘর পূরণ করার অপশান ছিল না। তাহলে আমি কিভাবে জানাবো। আমি ৩ দিন ধরে ঢাকায় আছি আর এখানে ছুটাছুটি করছি, ঢাকায় কোন আত্মীয় নেই... অনেক দূ:সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাসায় আছি..... এইচ আর বলেছে লিভ উইদাউট পে দিতে পারে কিন্তু ম্যাডাম তাহলে খাবো কি? আমার স্বামী ও সিভিল সার্জেন অফিসের হ্যাল্থ্ এডুকেটর জয়দেবপুরে। দু'জনের টাকায় কোনরকমে চলে শাশুড়ি ননদ সহ ৭ জনের সংসার.... এর মাঝে বেতন না পেলে খাবো কি বাসা ভাড়া দিব কি????

এইচ আর পলিসির বাইরে আমার ক্ষমতা নেই তারপর ও তুমি এপ্লাই করলে আমি বিশেষ বিবেচনার জন্য রিকোয়েস্ট পাঠাবো যাতে তোমার বিষয়টি কনসিডার করে।

কিন্তু ম্যাডাম, আমার হাটার ক্ষমতা ও নেই এ মূহুর্তে, কেউই আমার শারিরীক কস্টটা বুঝে না। শরিয়তপুরের অফিস থেকে বলে দিয়েছে কিভাবে অফিস চলবে তারা জানে না বা অামার রিপ্লেসমেন্ট এর ব্যাপারে তারা হেড অফিসের সাথে ও যোগাযোগ করবে না .... উল্টা ঠিকভাবে কাজ করতে পারছি না বলে অসম্ভব দূর্ব্যবহার করে। তাই এখানে আসলাম যদি কিছু করতে পারি কিন্তু এইচ আর উল্টা ধমক দিচ্ছে। ৩ দিন ধরে টেবিলে টেবিলে ধর্না দিচ্ছি কেউই কিছু হেল্প করতে পারছে না। তাই আপনার কাছে আসলাম... একজন মেয়ে হিসেবে অন্তত আমার কস্টটা বুঝবেন... কোন পথ বাতলে দিবেন।

যথারীতি এইচ আরকে ডাকলাম। কিছু করা যায় কিনা তার রিকোয়েস্ট করলাম... তারা এক কথায় উড়িয়ে দিল। আরো বললো, শরিয়তপুরের অফিস থেকে ফর্মাল রিকোয়েস্ট না এলে রিপ্লেসমেন্ট প্রসেস সম্ভব নয়। আর ও নিজের অফিসের সাথেই সম্পর্ক ভালো না.... কে তার জন্য ছোটাছুটি করবে !!!!!

ঠিক আছে কি করা যায় দেখছি বলে মেয়েটিকে ও এইচ আর কে বিদায় দিলাম... শরিয়তপুরের অফিসে ফোন দিলাম। অফিস প্রধানকে ফর্মাল রিকোয়েস্ট এর জন্য রিকোয়েস্ট করলাম। স্পস্ট বিরক্ত মনে হলেও কাজটা করার প্রতিশ্রতি দিল। হেড অফিসের একজনকে টেম্পোরারী পোস্টিং এর জন্য ফাইল প্রসেস করালাম। তারপর মেয়েটির ছুটি বিশেষ বিবেচনার জন্য রিকোমেন্ড করলাম.......

পরিশেষে; এইচ আর এর বিগ বস্ এসে বললো... আমাদের আর দরকার কি আপনিই যখন সব করতে পারেন.......... হাঁ করতে পারি, আমরা সবই করতে পারি.. যখন দেখি কিছু অথর্ব লোকজন সবকিছুকে অফিসিয়াল ফর্মেটে ফেলে দেখে... রুলস্ রেগুলেশান দেখে.... ঘটনার মানবিক দিক ও যে দেখা উচিত এটা বুঝেই না বা বুঝতে চায় না।

আজ এটুকু... পরবর্তিতে আসছি আরেকটি ঘটনা নিয়ে... ততদিন ভালো থাকুন....

আমার আগের পর্ব যদি পড়তে চান.....
আপনি যদি চাকুরীজীবি মেয়ে বা মা হোন তাহলে লিখাটি আপনার জন্য... আপনার সাথে মিলে ও যেতে পারে (পর্ব ২)

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

এম এম করিম বলেছেন: বেশ ভালো লাগছে সিরিজটা।

আমার পরিচিত একজন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা - মেটার্নিটি লীভ থেকে এসে চাকরী ফেরত পাননি।

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ করিমভাই মন্তব্যের জন্য।

হাঁ আমার অভিজ্ঞতার ঝুড়িতে এরকম ঘটনা ও আছে। কারন কমার্শিয়াল অর্গানেজাশান এ ধরনের হ্যাপা নিতে পছন্দ করে না। কেউই চায় না একটি মেয়েকে ৬ মাস বসিয়ে বেতন দিতে... তারা লাভ ক্ষতির হিসাব নিয়েই ব্যাস্ত থাকে.........

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

জনাব মাহাবুব বলেছেন: অফিসিয়াল ফর্মেটের চেয়ে আমাদের মানবিক গুনটি অর্জন করতে হবে।

চালিয়ে যান সাথে আছি। :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

সোহানী বলেছেন: হাঁ মাহাবুব ভাই...... এটাই যে নির্মম সত্য। কেউই মানবিক চিন্তা করে না শুধু পলিসি দেখে............

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: এইচ আর এর বিগ বস্ এসে বললো... আমাদের আর দরকার কি আপনিই যখন সব করতে পারে.......... হাঁ করতে পারি, আমরা সবই করতে পারি.. যখন দেখি কিছু অথর্ব লোকজন সবকিছুকে অফিসিয়াল ফর্মেটে ফেলে দেখে... রুলস্ রেগুলেশান দেখে.... ঘটনার মানবিক দিক ও যে দেখা উচিত এটা বুঝেই না বা বুঝতে চায় না।


িএমন কেন হয় ????

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

সোহানী বলেছেন: আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম....

আসলে জায়গা মতো ভাইগ্নাদেরকে বসিয়ে রাখে... তাদের বুদ্ধির দৈাড়তো কাগজ পর্যন্ত ....... আর নিজেদের আখের গোছানো পর্যন্ত...... অন্যের কস্ট শোনার ধৈর্য্য কয়জনের আছে...

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ । অমানবিক নিয়ম কানুনের সংস্কার হওয়া উচিৎ ।

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

সোহানী বলেছেন: কিন্তু সংস্কারের যে প্রয়োজন আছে সেটাইতো লোকজন বুঝে না.......

অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাই....

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: চলছে --- চলুক

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লায়লা আপু......... চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি........

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ..

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৮

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভুত ভাই কিন্তু কেচ্ছা টা কি আপনি শোনাবেন !!!!!! :#) :#) :#) :#) :#) B-)) B-)) B-)) B-))

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এরকম লোকের সংক্য বাড়ুক অফিসে অফিসে..

মানুষ মানুষ হয়ে উঠুক- কর্পোরেট যন্ত্র না হয়ে!

+++++++++++++++

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

সোহানী বলেছেন: কিন্তু দিন দিন মানুষ কর্পোরেট যন্ত্র থেকে ও অমানুষ হয়ে উঠছে... আর সে কারনেইতো এত হানাহানি.........

অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই......

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর লেখা।

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী...........

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম ...
ভাল লাগছে ...

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মনিরা আপু.......

১০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া আজ সবক্ষেত্রেই মানবতাকে গুগুল মামাও সার্চ করে পাবে না।

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

সোহানী বলেছেন: সত্যিই ব্লগের রাজপুত্র ... মানবিকতা এখন সবচেয়ে কঠিন শব্দ সেটা খুজেঁ পাওয়া দুষ্কর...... স্বার্থপর এ যুগে আমরা বড্ড বেশী অমানবিকতা দিন দিন.........

অনেক ধন্যবাদ ব্লগের দিশারী রাজপুত্র ........

১১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: এইসব ঘটনাগুলো খুব দুঃখজনক । মানুষ দিন দিন যন্ত্র হয়ে যাচ্ছে ।

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

সোহানী বলেছেন: আসলে বাস্তব পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ... মানুষ যে কতটা অমানুষ হয়ে যাচ্ছে তা প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই টের পাওয়া যায়।

ভালো থাকুন কলম ভাই......

১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৭

জাফরুল মবীন বলেছেন: বর্তমান বাস্তবতায় অফিস বা ব্যবসায়িক মানসিকতা এবং মানবিকতা অনেকক্ষেত্রেই বিপরীত ক্রমানুপাতিক।ম্যাটাননিটি লিভের মত একটি উচ্চমার্গীয় মানবিক বিষয়ে সবাইকে আরও বেশি সংবেদনশীল হতে হবে।এক্ষেত্রে রাষ্টের আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগে সম্মানজনক সহানুভুতি দেখানো খুবই জরুরি।

আশা করি আপনার এই উত্থাপিত বিষয়টি সবাই হৃদয়াঙ্গম করবেন এবং কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করবেন।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ বোন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।

অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

সোহানী বলেছেন: প্রিয় মবীন ভাই, অফিস পাড়ায় ম্যাটার্নিটি লিভকে হয়তো ইদানিং কিছুটা সমীহের চোখে দেখে কিন্তু গার্মেন্টস্ বা শ্রমনির্ভর কারখানায় এটিকে বোঝা হিসেবেই দেখে এখনো। প্রেগনেন্ট হিসেবে একটি মেয়ের যে শারীরিক বা মানসিক কষ্ট, সেটাতো মনে হয় পরিবার ও ঠিকভাবে বুঝে না অফিস কিভাবে গুরুত্ব দিবে!!! তাও তো রাষ্ট্র ৬ মাস লিভ দিয়ে কিছুটা করার চেষ্টা করেছে।

ঠিক বিপরীত চিত্র বিদেশে, আমার এক কলিগকে শুধু ১ বছরের লিভই অফিস দেইনি সাথে চাইল্ড কেয়ার বেনিফিট সহ অনেক ইনসেন্টিভ দিয়েছে.... সবাই এত চমৎকারভাবে তারা বেবি শাওয়ার, বেবি বার্থ প্রোগাম উৎযাপন করেছে যে মনে মনে খুব হিংসে করলাম তাকে.... কবে আমরা সত্যিকারের মেয়েদের সন্মান করতে শিখবো।

অনেক অনেক ভালো থাকুন... যেখানেই থাকেন... যেমনই থাকেন.....

১৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: দুঃখিত শব্দটি ‘ম্যাটার্নিটি’ হবে;ভুলবশত ‘ম্যাটাননিটি’ লেখা হয়ে গেছে।

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

সোহানী বলেছেন: ওওওও সত্যিকারের সাহিত্যিকের কাছে এ ধরনের শুদ্ধ বানান নিয়ে হাজিরা দেয়াটাই স্বাভাবিক.... ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;)

১৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এটা কোন অফিস? এখানে কি কোন মানুষ কাজ করে, নাকি কতগুলো কর্পোরেট জানোয়ার খাঁচাবন্দী জীবের মত ঘুরাফেরা করে? নিজের স্ত্রী বা বোনকে যে কোনদিন প্রেগন্যান্ট অবস্থায় দেখেছে, আরেকজন প্রেগন্যান্ট মহিলার সাথে রকম আচরণ সে কিভাবে করে?

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১২

সোহানী বলেছেন: ভাইরে এটাই স্বাভাবিক চিত্র অফিসে অফিসে....... প্রেগন্যান্ট মেয়েদের চাকরী থেকে বিতাড়ন তো স্বাভাবিক ঘটনা.... গার্মেন্টস্ গুলোর দিকে তাকালেইতো আতঁকে উঠবেন..... তাও ভালো যে ইদানিং ডোনারদের কঠিন শর্তের বেড়াজালে কিছুটা গ্রহনযোগ্যতা বেড়েছে মেয়েদের.... সাথে বেড়েছে সচেতনতা...... তাইতো ম্যাটার্নিটি লিভকে বা ডে কেয়ার ফেসিলিটি যে বাস্তব প্রয়োজনীয়তা তা কিছুটা অনুধাবন করতে পেরেছে।

১৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২০

নতুন বলেছেন: মহিলাদের সাথে এই রকমের আচরনের কারন মনে হয় সমাজের নারীদের ছোট করে দেখার থেকেই এসেছে...

সেই জন্য অনেকেই মনে করে এমন অবস্তায় চাকুরী করার কি দরকার... ম্যাটার্নিটি লিভ মানে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেওয়া...যা ছেলেরা পায়না...

অনেক দেশে ছেলেদেরও ৭ থেকে ১৫ দিন প‌্যাটিনিটি লিভ দেওয়া হয়... এটা ভাল একটা উদ্দোগ হতে পারে এই অবস্তার উন্নয়নে...

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

সোহানী বলেছেন: হাঁ নতুন সমাজ এখনো মনে করে ম্যাটার্নিটি লিভ মানে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেওয়া...যা ছেলেরা পায়না... । তাইতো যতরকমের হেনেস্থা আছে সব করার চেস্টা করে.... সেই সাথে পরিবার ও বলে চাকরী ছেড়ে দাও... সংসার দেখো, বাচ্চা পালো......

যখনই শুনি অমুক বাচ্চা পালার জন্য চাকরী ছেড়েছে আমি ধীক্কার দেই... কেন নিজের আত্মাকে বিষর্জন দেয়া !!!!! আমার ছেলে অামাকে প্রায় বলে মা তুমিতো দূর্গা !!! তোমার ও দশ হাত.... সত্যিই একটি মেয়ে কিন্তু দূর্গাই... সে সবই পারে... অফিস, সংসার, বাচ্চা, সমাজ সবই মেইনটেন করতে পারে......

হাঁ এ প‌্যাটিনিটি লিভ কিন্তু খুবই ভালো একটা উদ্যোগ......

১৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

Nurul Alam Polash বলেছেন: Sohani apu apni Canada immigration niye apnar face book a likhecen bole jante parlam. Apnar FB ID ta janaben pls. Add korte chai

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

সোহানী বলেছেন: পয়গম্বর ভাই এ নিয়ে অসাধারন সব পোস্ট লিখেছেন। আপনার সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি...... আমার লিখার সাবজেক্ট কিন্তু ভিন্ন। যেখানে পয়গম্বর ভাই অসাধারন সব পোস্ট দিয়েছেন সেখানে আমি সাহস করি কিভাবে লিখতে.... উনার লিংক দিলাম একবার ঢু দিলেই সব পেয়ে যাবেন অাশা করি.........

http://www.somewhereinblog.net/blog/splashk56/30016547

১৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

নতুন বলেছেন: সেই সাথে পরিবার ও বলে চাকরী ছেড়ে দাও... সংসার দেখো, বাচ্চা পালো......

যখনই শুনি অমুক বাচ্চা পালার জন্য চাকরী ছেড়েছে আমি ধীক্কার দেই... কেন নিজের আত্মাকে বিষর্জন দেয়া !!!!! আমার ছেলে অামাকে প্রায় বলে মা তুমিতো দূর্গা !!! তোমার ও দশ হাত.... সত্যিই একটি মেয়ে কিন্তু দূর্গাই... সে সবই পারে... অফিস, সংসার, বাচ্চা, সমাজ সবই মেইনটেন করতে পারে......


যৌথ পরিবার হলে মেয়েদের চাকুরী/ব্যবসা করতে সুবিধা হয়... তখন পরিবারের উচিত মেয়েদের কাজ করতে দেওয়া...

কিন্তু একক পরিবারে যদি যখন সন্তান হয় তখন তাদের দেখাশুনার জন্য ন্যানি/হুউজমেইডের সাহাজ্য নেয়....

কিন্তু আমার মনে হয় সন্তানের বড় হবার জন্য মায়ের প্রয়োজন অনেক অনেক বেশি....এবং ন্যানির কাছে বড় হলে সন্তানেরা ভাল মানুষ হয়ে উঠেনা অনেক সময়...

আমার ছেলে অামাকে প্রায় বলে মা তুমিতো দূর্গা !!! তোমার ও দশ হাত.... সত্যিই একটি মেয়ে কিন্তু দূর্গাই... সে সবই পারে.

খুবই সত্যি কথা....

১০ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

সোহানী বলেছেন: সত্য নতুন, সন্তানের বড় হবার জন্য মায়ের প্রয়োজন অনেক অনেক বেশি কিন্তু এ বেশিটা চাকুরীজীবি মায়েরা সবটুকু না পারলে ও অনেকটাই পারে।

যৌথ পরিবার একটা এডভান্টেজ সিচুয়েশান যা সবার না ও থাকতে পারে ... তাই বলে একটি মেয়ে সবছেড়ে শুধু সংসার দেখাশুনা এটা মনে উচিত নয়। আমি এমন মেয়েকে ও চিনি যে ভোরে উঠে সন্তানকে মায়ের বাসায় দিয়ে চাকুরিতে যায়... সন্ধ্যায় আবার ড্রাইভ করে সন্তান নিয়ে বাসায় ফিরে। আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন এত কষ্ট করো, তোমার তো কিছুরই অভাব নেই? ও উত্তর দিল আত্ম সন্মানের জন্য। চাকরী না করলে আমার পরিচয় মিসেস অমুক আর চাকরী করার কারনে সবাই সবার আগে আমার ব্যাংকের ম্যনেজার পরিচয়টাই দেয়।

আর মানুষ হয়ে উঠার জন্য শুধু মা নয় বাবা সহ সবার কম্বাইন্ড সহযোগীতা দরকার। আর মেয়েরাতো দূর্গারই প্রতিরুপ........

১৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

স্বর্গ - স্পর্শ বলেছেন: আমি নিজে প্রথম সন্তানের জন্মের সময় লীভ

১৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

স্বর্গ - স্পর্শ বলেছেন: আমার first pregnancy তে international organization এ contract job হওয়ায় leave without pay ও পাই নি . false reason এ sick leave নিতে চাই নি বলে job leave করতেই হল । জানি legal initiative নিতে পারতাম but first baby র সময় নিজেকে ঝামেলায় জড়াতে চাই নি। এই সময়টায় mental and physical সুস্থতা সুস্থ baby র জন্য খুব important.

১০ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

সোহানী বলেছেন: স্বর্গ - স্পর্শ আপু, এমন ভুক্তভুগীর সংখ্যা সব অফিসেই কম বেশী আছে। স্বয়ং আমার অফিসেই তা ঘটেছে। মেয়েটি জয়েন করার সময় এডভান্স স্টেজে ছিল... শর্ত দিয়েছিল জয়েন করবে তবে ম্যটারনিটি লিভ দিতে হবে কিন্তু কন্ট্রাক্ট এ তা উল্লেখ করেনি অফিস। যথারীতি লিভ এপ্লাই করার পর অফিস পলিসি দেখানো শুরু করলো...... রাগে ক্ষোভে লিভউইদাউট পে তে গেছিল মেয়েটি........

আমরা ওদেরকে চ্যালেন্জ করিনা বলেই ওরা আমাদেরকে হেয় করার সুযোগ পায়... আমাদের এক্সপ্লয়েট করার সুযোগ পায়।

এই সময়টায় mental and physical সুস্থতা সুস্থ baby র জন্য খুব important....... ........ আর এ কারনেই মেয়েরা হেসেল এড়িয়ে চলে। আমার দৃষ্টিতে মেয়েরা সথা সম্ভব অফিস ঝামেলা এড়িয়ে চলে কারন এমনিতেই পরিবারে অনেক ঝামেলা নিয়ে চাকরী করতে হয় তাদের...... ভালো থাকুন।

২০| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ । অমানবিক নিয়ম কানুনের সংস্কার হওয়া উচিৎ ।

১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০২

সোহানী বলেছেন: হাঁ, অমানবিক নিয়ম কানুনের সংস্কার হওয়া উচিৎ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়

২১| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সব কিছুতে লাভ ক্ষতির হিসাব কষতে যেয়ে আমরা দিন দিন মানবতাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করছি। শুধু তাই নয়, লাভ ক্ষতির নির্মম হিসাবের কারণে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কগুলোতে পর্যন্ত চিঁর ধরছে ইদানীং। মাতৃত্বকালীন ছুটি নারীদের ন্যায্য পাওনা। এখানে কোন ধরণের ছলচাতুরীর আশ্রয় নাই। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ব্যাপার থুরাই পরোয়া করে। কারণ এসব সরকারের পক্ষ থেকে এগুলো সুষ্ঠুভাবে তদারকি করা হয় না। আর এই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। উন্নত দেশগুলোতে শুধু মাতৃত্বকালীন ছুটিই নাই, সাথে পিতৃত্বকালীন ছুটিরও ব্যবস্থা আছে এবং অবশ্যই পেইড ছুটি।
মূল বিষয়বস্তু একই হলেও আপনার এই ধারাবাহিকের প্রতিটা পর্বই স্বতন্ত্র এবং ভিন্ন ভিন্ন পটভূমি, যার প্রতিটিতে নারীদের প্রতি বৈষম্যের চিত্র অংকিত হয়েছে। আমাদের বোধোদয় হোক, আর নারীদের প্রাপ্য মর্যাদা এবং অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার মন মানসিকতা গড়ে উঠুক সবার মাঝে এটাই কামনা করছি। অনেক ধন্যবাদ সোহানী।

১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২২

সোহানী বলেছেন: সত্যিই বিদ্রোহী, আমরা এত বেশী দিন দিন মেকানিকেল হয়ে যাচ্ছি যে মানবতা বলে শব্দটা কোথাও পাওয়া যায় না। আর নারীদের ব্যাপারে ও এ শব্দটাও আরো ও রেয়ার। কারন নারী মানেই আস্তাকূড়েঁ ফেলে দেয়ার মতো উচ্ছিস্ত খাবার। আর এটি শুধু অফিস কেন পরিবারের থেকেই শুরু। আমি যখন দেখবো আমার বাবা আমার মাকে সন্মান দিচ্ছে না তখন আমি ও দিব না। তার রেশ থাকবে রাস্তায় ইভ টিজিং থেকে শুরু করে অফিস পারায় সবার সাথে।

মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য কত মেয়ের চাকরী গেছে .. কতজনের চাকরি ছাড়তে হয়েছে তা যদি পরিসংখ্যান নেন তাহলে আৎকে উঠবেন। মেয়েরা সাধারনত প্রতিবাদী নয় বা বলতে পারেন অসীম সহ্য ক্ষমতা দেয়ার কারনে এসব কথা আপনারা জানতে পারেন না। আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ও এটিকে কোন গুরুত্বপূর্ন্ কিছু মনে করে না।

মবীন ভাইকে দেয়া আমার বিদেশী কলিগের শেয়ারিং দেখেন.... ও শুধু দেশের বাইরে পোস্টিং বলে এতো সুবিধা পাচ্ছে.....

অনেক কথা বললাম... আসলে নিজের মানসিক তাড়া থেকে আমি এগুলো লিখছি কারন এ সব কিছুকে চ্যালেন্জ করেই আমি আজ এখানে..... তাই মেয়েদের বলি প্লিজ ধৈর্য্য হারাবেন না... জয়ী আপনি হবেনই আজ না হয় কাল.....

অনেক অনেক ভালো থাকেন ।

২২| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:১১

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: উপরের কমেন্টগুলোর পর আর আমার ভাললাগা জানানোর কোন দরকার নেই।
সবাই নিজের বসকে খুসি করতে গিয়ে অন্যের উপর বুল্ডজার চালিয়ে দিতে দ্বিধা করে না, যেদিন আমরা আসলেই মানুষ হব, অন্যের মানবিকতা দেখতে পারব সেদিনই সম্ভব একজন মাকে এগিয়ে নেওয়া।

১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

সোহানী বলেছেন: "সবাই নিজের বসকে খুসি করতে গিয়ে অন্যের উপর বুল্ডজার চালিয়ে দিতে দ্বিধা করে না"

এককথায় আপনি পুরো অফিসের আসল গোমঁড় ফাসঁ করে দিলেন......
আর এ কারনই তো আমরা মানবিক হতে পারিনি...শুধুই অফিসার নামক যন্ত্র হয়েছি হয়েছি।

২৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

শায়মা বলেছেন: :(

মেয়েটার জন্য কিছু করো আপু।

১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

সোহানী বলেছেন: শায়মা আপু, প্রথম লেখাতে রেজাল্ট উল্লেখ না করাতে আমার পাঠক বন্ধুরা মন খারাপ করেছিল তাই এ সংখ্যায় কিন্তু সবই বলে দিয়েছি....

২৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

যোগী বলেছেন: হাই ! গুড জব!

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

সোহানী বলেছেন: কোনটা!!!!! ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;)

২৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল কাজ করেছেন :)

১৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

সোহানী বলেছেন: :( :( :( :( :( :( :( বাট নিজের বারোটা বাজিয়ে......

২৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,



হিউম্যান রিসোর্স বা সংক্ষেপে “HR” । আসলে এ দু’অক্ষরে হওয়া উচিৎ “ High Risk” । এই “ High Risk” নিয়ে একটা লম্বা চুটকি বলি ...... । আচ্ছা থাক্‌ । বেশ বড় হয়ে যাবে বলে একটা পোষ্টই না হয় দেবো সময় বের করে এই "হাই রিস্ক" নিয়ে।

শুভেচ্ছান্তে ।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৭

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা. ভালো বলেছেন আহমেদ ভাই....

ওরা আসলে নিজেকে ইশ্বরের কাছাকাছি কিছু মনে করে.... কারন তাদের হাতেই চাকরীর চাবি কাঠি...

“ High Risk” নিয়ে পোস্টের অপেক্ষায়.............

২৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

জুন বলেছেন: যখনই শুনি অমুক বাচ্চা পালার জন্য চাকরী ছেড়েছে আমি ধীক্কার দেই... কেন নিজের আত্মাকে বিষর্জন দেয়া !!!!! আমার ছেলে অামাকে প্রায় বলে মা তুমিতো দূর্গা !!! তোমার ও দশ হাত.... সত্যিই একটি মেয়ে কিন্তু দূর্গাই... সে সবই পারে... অফিস, সংসার, বাচ্চা, সমাজ সবই মেইনটেন করতে পারে....
দুর্গা হলেও অনেক সময় পরিস্থিতির কাছে মাথা নোয়াতে হয় সোহানী । ব্রাক তার পর আইসিডিডিআর বিতে চাকরী করতাম। অনেক সাধনায়, অনেক বছর পর আমার একমাত্র সন্তান জন্ম নেয়ার পর .শশুর বাড়ী , বাপের বাড়ীর কাউকে পাইনি সহায়তার জন্য । কাজের মানুষের কাছে রাখার সাহস পাইনি । কারন জন্মের ৭দিনের মাঝে ল্যাক্টোজ এলার্জিতে ডিহাইড্রেশনে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিল।
তারপর যখন একটু বড় হলো তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমার ব্রেক অব জবের কথা তুল্লো । . আর যেসব এন জিওতে চাকরী হয় তাতে প্রচুর ফিল্ড ওয়ার্ক । আর আমার স্বামীর চাকরীতেও মাসে ১৫ দিন বাইরে থাকতে হতো। ওকে দেখার কেউ ছিল না ।
তাই ঢাবি থেকে অনার্স আর মাস্টার্সে ২য় স্থান লাভ করে, দশভুজা দুর্গা হয়েও গৃহবধু হয়ে রইলাম ।
অনেক বড় মন্তব্যের জন্য দুঃখিত ।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৪২

সোহানী বলেছেন: আপু, আমাদের প্রত্যেক চাকরীজীবি বা গৃহবধু মেয়েরই কোন না কোন এরকম গল্প আছে। তারপরও আমি বলবো আমরা সব কিছুকে অতিক্রম করতে জানি.... আমরা সব কিছুকে সামাল দিতে জানি....

আপনার মতো আমার ও অনেক গল্প আছে.......তারপর ও সব সামাল দিয়ে চাকরী করছি... বাচ্চা মানুষ করছি.... সামাজিকতা করেছি....এবং লেখালেখি ও করে যাচ্ছি...... অফিস/শশুড় বাড়ি/বাবার বাড়ি/বন্ধ বান্ধব সব জায়গাই গ্রহনযোগ্যতা তৈরী করেছি। এবং সেটি খুব ধীরে ধীরে।

আপু, আমরা মাথা নোয়াই বলেইতো সবাই সুযোগ পায়। তাই আমি সবাইকে বলি কোন কিছুতেই হতাশ হবে না..যত বাধাঁই থাকুক.... ধৈর্য্য ও চেস্টাই সফলতা আনতে সহায়তা করে।

ক'দিন আগে আমার এক বান্ধবী ফোন করেছিল। সে এক সময় বিটিবির এনলিস্টেড শিল্পী ছিল। শশুড় বাড়ির আপত্তিতে গান ছেড়ে দিয়েছিল... খুব হতাশার মধ্যে ছিল সে। আমি তাকে আবার সবকিছু শুরু করতে বললাম..... সে সবাইকে বুঝিয়ে আবার শুরু করেছে। প্রথমেই হার মেনে ছিল বলেই তার ভালোবাসার জায়গাটা থেকে সরে এসেছিল... সেটা না করে যদি প্রতিবাদ করতো তাহলে তাকে সরে আসতে হতো না..... আপু অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করে কিন্তু সুযোগ পাই না। আমাদের মেয়েদের যে আমাদেরই জাগাতে হবে... ওরা যে এখনো ঘুমিয়ে আছে... ওদের যে অনেক ক্ষমতা তা বোঝাতে হবে।

আর জব নিয়ে আমার কিছু পুরোনো লিখা আছে,ওইগুলো পড়ার অনুরোধ করছি... হয়তো কোন দিশা আপনাকে দিতে পারবে।

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: দিশারী রাজপুত্র কে?? :(



দিশেহারা রাজপুত্র।

মাইন্ডে ব্যাপক জোরে আঘাত পেলাম।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

সোহানী বলেছেন: আপনি দিশেহারা হতে যাবেন কেন ..... তাইতো বললাম আপনি দিশারী...

ও কে মাইন্ডে ব্যাপক জোরে আঘাত পাইয়েন না !!!!!!!!!

২৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

যোগী বলেছেন:
সব কয়টা জবই সুন্দর। পোষ্টে বেশি করে ছবি দেন।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭

সোহানী বলেছেন: হায় হায় ছবিতো সব গুগুল মামার থেইকা ধার নেয়া.....

৩০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক ।
মানবিক পোস্টে ভাল লাগা ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৪

সোহানী বলেছেন: সত্যিই লিটন ভাই আমাদের মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক কারন দিন দিন আমরা কর্পোরেট রোবটে পরিনত হচ্ছি.....

৩১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৯

আরজু পনি বলেছেন:

অমানবিক! :|

সাভারে রানা প্লাজা ধ্বসের পর অনেক নারীই পরবর্তীতে অন্য কোথাও চাকরী নিতে পারেননি শুধু মাত্র প্রেগনেন্ট হওয়ার কারণে!

মনে হয় প্রেগনেন্ট হোয়াটা নারীরএকার দায়...এই সমাজ, রাষ্ট্রের কোন দায় নেই।

রাষ্ট নীতি প্রণয়ন করলেই কি ! তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার তদারকি কে করবে ?

আপনার সিরিজটা থেকে মেয়েদের বাস্তব অভিজ্ঞতা উঠে আসছে।

ভালো লাগা রইল।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২১

সোহানী বলেছেন: হাঁ আপু এটি নারীর একারই দায়...এই সমাজ, রাষ্ট্রের কারোই কোন দায় নেই।

রাষ্ট তার নীতি প্রণয়ন করেই দায় শেষ ....সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার তদারকি কেন করবে!!!!!!!

আপু বাস্তবতা যে কতটা নির্মম তা যদি দেখতেন........ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এটাই যে বাস্তবতা। যতদিন মানসিকভাবে এরা সমান না হবে ততদিন এভাবেই চলবে.....

৩২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মেয়েদের সমস্যা যেখানে নিজ পরিবারেই বোঝে না, বাচ্চার দ্বায়িত্বে সাহায্য করার জন্য খোদ বাচ্চার বাবাকেও পাওয়া যায় না ,সেখানে বাণিজ্যিক লাভ লোকসানের নিঁখুত অঙ্ক মেনে চলা বাইরের মানুষ আমল দেবে আশা করাটাই পাগলামি।
যদিই নারীদের নিজের জন্য না হোক, একটা সুস্থ ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে তোলার স্বার্থেও এদিকটা অন্তত সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় থাকা উচিৎ ছিল, সমস্যা হলো আমরা খুব একটা দূরদর্শী জাতি নই।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:২৪

সোহানী বলেছেন: সহমত আপনার সুন্দর মন্তব্যে, তনিমা।

বাণিজ্যিক লাভ লোকসানের নিঁখুত অঙ্ক মেনে চলা বাইরের মানুষদের কাছে বেশী কিছু আশা কখনই করি না কিন্তু ওই যে বললেন একটা সুস্থ ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে তোলার কথা..... হাঁ অবশ্যই সে কথা চিন্তা করা উচিত প্রত্যেকের। তবে আমি এ পুরুষশাসিত সমাজে মেয়েদের এ অবস্থা মেনে চলার পক্ষে কখনই নই। একদিন না একদিন এ পরিবর্তন আসবেই.... মেয়েরা মেয়েমানুষ না মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন হবেই হবে........

৩৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভালোলাগা রইল।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ.........।

৩৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: পরিশেষে; এইচ আর এর বিগ বস্ এসে বললো... আমাদের আর দরকার কি আপনিই যখন সব করতে পারেন..........
প্রায় একি অভিজ্ঞতার কারণে একবার অভিমান করে চাকরিই ছেড়ে দিয়েছিলাম।
পরিচিতজনদের মধ্যে যে কত নিষ্ঠুর,নির্দয়,অমানবিক বোধ সম্পন্ন হৃদয়ের মানুষেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না!!!
আর একবার এক কলিগকে দেখেছি তার সাব অর্ডিনেট ফিমেল কলিগকে বলতে ৩০কেজি ওজনের একটা মেশিন বহন করে তার রুমে দিয়ে আসতে.............ভাবা যায়!!!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:০২

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার কথা শুনে কিন্তু আমার মতে চাকরী ছেড়ে দেয়া কোন সমাধান নয় কিছুতেই। আমরা যদি পিছিয়ে যাই তাহলে তো ওরা আরো বেশী হিংস্র হয়ে উঠবে..... কারন সব জায়গায় সব পরিবেশে একই অবস্থা মেয়েদের............ ভালো থাকুন সবসময়.....

৩৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: রিশেষে; এইচ আর এর বিগ বস্ এসে বললো... আমাদের আর দরকার কি আপনিই যখন সব করতে পারেন.......... হাঁ করতে পারি, আমরা সবই করতে পারি.. যখন দেখি কিছু অথর্ব লোকজন সবকিছুকে অফিসিয়াল ফর্মেটে ফেলে দেখে... রুলস্ রেগুলেশান দেখে.... ঘটনার মানবিক দিক ও যে দেখা উচিত এটা বুঝেই না বা বুঝতে চায় না।

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই....... ওদের কোনই দরকার নেই..............

৩৬| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানবিক সহানুভূতিহীন মানুষ সমাজের বোঝা। যে কোন দপ্তরে কাউকে চাকুরি দেয়ার আগে তার এই গুণটি সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়েই চাকুরি দেয়া উচিত। তা না হলে এদের কারণে দপ্তরের দক্ষতা কমে যাবে।

২য় পর্বটা খুঁজেই পেলাম না।

২৪ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৫৭

সোহানী বলেছেন: খায়রুল ভাই, এ "মানবিক" শব্দটা কেন যেন চেইন্জ হয়ে যাচ্ছে। দেশেতো এটা খুঁজেই পাওয়া যায় না আর কিছু খুঁজে পেলে এর সাথে অনেকগুলো শর্ত যোগ হয়ে যায়। কেমন যেন সব কিছু রোবটিক হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। জানি না এর শেষ কোথায়।

২য় পর্বটা আমি বই এ যোগ করেছি তাই এখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.