নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার নিকটতম প্রতিবেশীরা - পর্ব ৪

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

আমার বান্ধবী


চমৎকার মেয়েটির সাথে প্রথম দিনের পরিচয়েই মোটামুটি আমার কঠিন ভক্ত হয়ে যায়...ভক্ত মানে একপ্রকার সুপার গ্লু। তার সকল কিছুর পরামর্শদাতা আমি...ডানে যাবো নাকি বামে, এটা করবো নাকি সেটা.... দিনে কম করে হলে ও ৬ বার ফোন।

পর্দা কিনবো কোথা থেকে?
প্রাইস চিন্তা করলে ওয়ালমার্টে থেকে কিনো আর কোয়ালিটি চিন্তা করলে হোম ডেকোর থেকে।
কি কালার কিনবো?
(হাধা) ফার্নিচারের সাথে ম্যাচ করে কিনো।
আমার ফার্নিচারতো ব্লাক তাই পর্দা ও কি ব্লাক কিনবো?
(গাধা) ব্লাক পর্দা কিনে কি ঘরে ছবি ওয়াস করবা????
পর্দা রড কিনবো কোথা থেকে?
একই জিনিস বেশী দাম দিতে চাইলে হোম ডেকোর থেকে কিনো।

এভাবে দশবার ফোনের পর, ওয়ালমার্টে দাড়িয়ে কল দেয় যে, রডতো কালো আর সাদা রং এর আছে, আমি কোনটা কিনবো?'

তাই বলে তাকে গাধা বলার কোনই কারন নেই, ইউক্রেনের ইউনিভার্সিটি থেকে ফিজিক্সে মাস্টার্স, ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া। তার দেশের নাম করা ইউগা টিচার।

প্রায় ইউকএন্ডে সে তার দু'ছেলেদের নিয়ে আমার বাসায় সারাদিন সময় কাটায়, যেকোন ইস্যুতেই আমার বাসায়...... দরকারী বা অদরকারী সেটা কোন বিষয় না। খুব হাসিখুশী, প্রচন্ড পরিশ্রমী, অসম্ভব সুন্দরী...... আমার বাচ্চারা শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করবে আজ কি আইসা আন্টি আসবে? কারন আইসা মানেই অনেক মজার কেক, আইসক্রিম আর গিফ্ট।

মাঝে মাঝে একটু চিন্তা করি, এখানে তো কেউ কারো বাসায় সহজে আসে না আর সে প্রায় ফোন না করেই চলে আসে। কিন্তু কিছুতো বলা যায় না..... সারাদিন বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটায়। আমরা প্রতিদিন নামাজ পড়ি দেখে প্রায় বলে, ''তুমি একটু আমার ছেলেদের ধর্ম নিয়ে কিছু বলো, ওরা জানুক ধর্ম পালনের উপকারিতা''। যদিও সে কোন ধর্মে বিশ্বাসী না কিন্তু সে চায় তার ছেলেরা একটা ধর্ম বেছে নিক।

একদিন বললো, আমি তোমার বাসায় প্রায় না বলে চলে আসি তুমি কি মাইন্ড করো?
আরে মাইন্ড করবো কেনো, আমার সহ বাচ্চাদের ভালো সময় কাটে।
ও বললো, ''ইউ আর সো হ্যাপি কজ ইউ হ্যাব এ লাভলি ফ্যামিলি।''
আমি হাসলাম, সবারইতো ফ্যামিলি আছে, এই তোমার চমৎকার দু'ছেলে, হাজবেন্ড, দেশে বাবা-মা, ভাই-বোন আছে... তোমারও তো চমৎকার ফ্যামিলি আছে।

না, তুমি যা দেখছো তা ঠিক নয়। আমি তোমার বাসায় আমার ছেলেদের নিয়ে প্রায় আসি কারন আমি শেখাতে চাই সত্যিকারের ফ্যামিলি কি? আমি কখনই আমার বাবাকে দেখিনি, আমি বড় হয়েছি আমার সৎ বাবা আর মায়ের কাছে। খুব চাইতাম বাবার আদর কিন্তু সৎ বাবা কখনই আমাকে কাছে টেনে নেয়নি। আমার যখন বয়স ১৭ তখন আমার ক্লাসের একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক হয়। ওর ঘরে আমার বড় ছেলের জন্ম আমার ১৯ বছরে, আমাদের সম্পর্ক তারপরে এক বছর টিকে ছিল। বড় ছেলে বয়স যখন পাচঁ তখন ছোট ছেলের বাবার সাথে পরিচয়। ছোট ছেলের জন্মের পর ওর সাথে সম্পর্ক তিন বছর টিকে ছিল। এ্যালেক্সের সাথে পরিচয় গত বছর, ওকে আমি ভীষন ভালোবাসি। কিন্তু সে তো আমার ছেলেদের বাবা না, এ্যালেক্স সেভাবে ও তাদের কাছে টেনে নেয় না।

দেখো, আমারও ফ্যামিলি আছে কিন্তু আমার ছেলেরা তাদের বাবাদের চিনে না, কখনো বাবার ভালোবাসা পায়নি। আমি সারা জীবন একটা চমৎকার ফ্যামিলির জন্য মুখিয়ে আছি, একটি সত্যিকারের ফ্যামিলি, বাবা-মা, ভাই-বোন নিয়ে সত্যিকারের ফ্যামিলি। কিন্তু আমি পাইনি, আমার মাও পায়নি আর আমার সন্তানরা ও পাবে কিনা জানি না। তাই তাদের আমি এ বয়স থেকে বোঝাতে চাই ফ্যামিলির কি, সত্যিকারের ফ্যামিলি কেমন হয়, বাবাদের ভালোবাসা কেমন হয়.....।


আন্টি:


রিসেপশানের ফোনটা অনেক্ষন ধরে বাজছে। তারমানে মিথিলা নেই সেখানে। যেহেতু এটি টেলি-কমিউনিকেশান অফিস, সারাক্ষনই কাস্টমার সার্ভিস দিতে হয়। অফিসের সিস্টেম হলো ৩ বার রিসেপশানে রিং হবে, সেখানে মিথিলা না ধরলে ভিতরের ফোন বেজে উঠবে। এবং অন্য কেউ ধরবে এবং নোট রাখবে প্রবলেম আইডেন্টিফিকেশান সফ্টওয়ারে।

আমি সাধারনত এ সব পাবলিক কল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকার চেস্টা করি কারন হিসাব-নিকাশের কাজ করতেই দম যায়, বাড়তি ফোন ধরার সময় কোথায়? আর এক একটা ফোন মানে দশ মিনিট গায়েব। পাবলিক ভাবে টাকা দিচ্ছি মাসে, এক মিনিটের জন্য ফোন নেট অফ থাকতে পারবে না ......... ২৪ আওয়ার সার্ভিস ১০০০ মাইল স্পিডে, ফোনের ডায়াল টিপার সাথে সাথে ইন্টারনেট প্রবলেম সল্ভ হয়ে যাবে......। অসংখ্য কথার অপচয়, আর মাথা ঠান্ডা রেখে, ধৈর্য্য ধরে পাবলিকরে বোঝানো অন্তত আমার কর্ম না। একমাত্র মিথিলাই ট্রেনিং প্রাপ্ত, চমৎকার করে দুয়ে দুয়ে পাঁচ বুঝিয়ে রেখে দেয়....... । আর এটি বাংলাদেশ না যে বসিয়ে বসিয়ে মাস শেষে বেতন দিবে ... আওয়ারলি বেতন.... ঘন্টায় কাজের হিসেব..... সারাদিনের আউটপুট কড়ায় গন্ডায় আদায় করে নেয়। এমন কাজ এসাইন করা থাকে যে এক মিনিট ও নষ্ট করার উপায় নেই.. আর দিন শেষে নিজের কাজেরই হিসাব হবে ফোন ধরার না।

পাঁচবার রিং হবার পর বুঝলাম, ইন্জিনিয়াররা ও নেই টেবিলে তাই বাধ্য হয়ে ফোনটা ধরলাম। ওপাশ থেকে খুব আকুলভাবে বাংলায় বলে উঠলো, আপু আমার খুব সাহায্য দরকার, আপনি কি একটু সাহায্য করতে পারবেন?
-কিভাবে সাহায্য করবো?
- কাল আমার মা-বাবা ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে, তাদের বয়স ৮০ এর উপর। আজ পৈাছার কথা কিন্তু কোন ভাবেই খোঁজ পাচ্ছিনা।
- সেক্ষেত্রে আমরা কি করতে পারি, সেলফোন থাকলে তাদের কাছে ফোন করুন।
- সরি আপু বদার করানোর জন্য। তাদের কোন সেলফোন নেই শুধু আপনাদের দেয়া ল্যান্ডফোন আছে। কিন্তু ফোন দিচ্ছি, রিং হচ্ছে কিন্তু কেউই ফোন ধরছে না। আমার বাবার বয়স ৮০ এর উপর আর মায়ের ও কাছাকাছি। তারা দু'জনই খুব অসুস্থ।
- এয়ারপোর্ট থেকে কে রিসিভ করেছে তাদেরকে ফোন করুন আর আমাদের ফোনের কি সমস্যা তা জেনে আবার কল করুন আমি দেখছি এখান থেকে ফোনের কোন সমস্যা আছে কিনা।
- আপু, কি বলবো বলেন আমার ভাই অন্য বাসায় থাকে, ওর সময় ছিল না তাই ও এক ট্যাক্সি কল দিয়ে ড্রপ করেছে ওনাদের এয়ারপোর্ট থেকে।
-মানে কি? আপনার ভাইকে বলেুন খোঁজ নিতে?
ওর খুব ইম্পর্টেন্ট অফিসিয়াল কাজ আছে তাই সময় বের করতে পারছে না খোঁজ নেয়ার।

মানে কি!!! মনে মনে বললাম ছেলে না কুলাঙ্গার!!!! কিন্তু আমি এখানে কি করতে পারি?
মহিলা প্রায় কেদেঁ ফেললো, ভাইয়ের সেল বন্ধ, আপু আমি এমন কাউকে জানি না যে তাদের খোঁজ নিবে, একমাত্র আপনাদের অফিসের নাম্বারই আছে। আমার বাবা দেশে থাকতেই খুব অসুস্থ ছিল, শুধু ভিসার মেয়াদ চলে যাচ্ছে তাই গেছেন। আপনি কি কোনভাবে কাউকে পাঠাতে পারেন।
খুব মায়া হলো, ইমার্জেন্সী সার্ভিসে রিকোয়েস্ট পাঠালাম। এক বাঙ্গালী ইন্জিনিয়ার ভাইকে রিকোয়েস্ট করে সব বলে কয়ে পাঠালাম এড্রেস মতো। ফিরে আসতেই ইন্জিনিয়ার ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম নিজের আগ্রহে। ইন্জিনিয়ার ভাই যা বললো তার সারমর্ম হলো,

ভাই এসেছে এখানে তার বউ এর থ্রোতে। মা-বাবার জন্য সিটিজেনসিপের এপ্লাই করেছে ভাই-বোনদের অনুরোধে। তাদের বয়স ৮০ এর উপর, বউ চায় না শশুড় বাড়ীর লোকজনকে টানটে কিন্তু ভাই-বোনদের অনুরোধে তাদের ভবিষ্যতে বিদেশে আসার পথ করার জন্য মা-বাবার নামে এপ্লাই করে। এখানে তারা ওল্ড-হোমে থাকেন, সরকারী যা ভাতা পায় তা দিয়ে বুড়া-বুড়ি কোনরকমে চলে। বয়স হয়েছে তাই ভদ্রলোক কোনভাবেই আসতে চায়না এখানে, দেশে একটা থাকার জায়গা আছে, কিছু পেনশান আছে, বন্ধু-বান্ধব আত্বীয় স্বজন আছে, নাতি-নাতনী আছে। এখানে কিছুই নেই.... ছেলে-মেয়ে, বন্ধু-বান্ধব আত্বীয়-স্বজন....... একমাত্র ৯১১ ছাড়া, শেষ বেচেঁ থাকার ভরসা। এক বেডের রুমে কোন রকমে দিন পার করে, একা একা হেটে বাজার, রান্না, ওষুধ সব করতে হয়। ভালো লাগে না এভাবে থাকতে, প্রচন্ড ঠান্ডায়, একা একা সারাদিন থাকতে চায়না এখানে বছরের পর বছর। কিন্তু দেশের ছেলে-মেয়েরা জোর করে এখানে পাঠায় নতুবা তাদের বিদেশে আসার পথ হবে না............. তাদের ভবিষ্যত স্বপ্ন পূরণ হবে না ....


ভালো থাকুন।

আগের পর্ব:আমার নিকটতম প্রতিবেশীরা - পর্ব-২

মন্তব্য ৯৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৯৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: রিয়েলিটি :(

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

সোহানী বলেছেন: হুম!!!!!!!!!

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

প্রামানিক বলেছেন: ঘটনা সত্যি নাকি?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা!!!!!!!!!!!!!! প্রামানিক ভাই.... কি মনে হয়???

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বান্ধবী পর্বটা পড়ে সেই চিরন্তন সত্য কথাটাই আবার মনে পড়লো। পাশ্চাত্যের পারিবারিক কাঠামোর মূল্যবোধ মোটেই মানবিক নয়। বাচ্চারা তাদের বাবাকেও চেনে না (যদিও এই বাবা আমাদের মতো মায়ের বিবাহিত স্বামী নয়)।

আর অান্টি পর্বটি পড়ে মনে হলো আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধও পাশ্চাত্যের মতো ক্রমান্বয়ে ধংসের দিকে এগোচ্ছে।

ধন্যবাদ সোহানী।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

সোহানী বলেছেন: ঠিক হেনা ভাই... সেই কারনেই বলি বার বার পারিবারিক মূল্যবোধ অনেক অনেক বড় ব্যাপার, যা আমরা এখন উপলব্ধি করতে পারছি না কিন্তু যখন পারবো তখন যে অনে দেরী হয়ে যাবে....

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বান্ধবী পর্বটা পড়ে সেই চিরন্তন সত্য কথাটাই আবার মনে পড়লো। পাশ্চাত্যের পারিবারিক কাঠামোর মূল্যবোধ মোটেই মানবিক নয়। বাচ্চারা তাদের বাবাকেও চেনে না (যদিও এই বাবা আমাদের মতো মায়ের বিবাহিত স্বামী নয়)।

আর অান্টি পর্বটি পড়ে মনে হলো আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধও পাশ্চাত্যের মতো ক্রমান্বয়ে ধংসের দিকে এগোচ্ছে।

ধন্যবাদ সোহানী।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

সোহানী বলেছেন: হাঁ, ঠিক তাই....ধন্যবাদ হেনা ভাই..

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বান্ধবী পর্বটা পড়ে সেই চিরন্তন সত্য কথাটাই আবার মনে পড়লো। পাশ্চাত্যের পারিবারিক কাঠামোর মূল্যবোধ মোটেই মানবিক নয়। বাচ্চারা তাদের বাবাকেও চেনে না (যদিও এই বাবা আমাদের মতো মায়ের বিবাহিত স্বামী নয়)।

আর অান্টি পর্বটি পড়ে মনে হলো আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধও পাশ্চাত্যের মতো ক্রমান্বয়ে ধংসের দিকে এগোচ্ছে।

ধন্যবাদ সোহানী।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

সোহানী বলেছেন: হাঁ, ঠিক তাই....ধন্যবাদ হেনা ভাই..

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মন্তব্যটি কেন তিনবার পোস্ট হলো বুঝতে পারছি না। আপনি চাইলে দুটো ডিলিট করে দিতে পারেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: মাঝে মাঝে এমন হয় সামুতে তবে আরো বেশী হয় যখন কারো লেখা বেশী ভালো লেগে যায়...হাহাহাহাহাহা

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: অঞ্জন দত্তের একটা গানের কথা হলো, চারটে দেয়াল মানেই নয়তো ঘর, নিজের ঘরেও অনেক মানুষ পর...
কাজেই বান্ধবী পর্বে ফ্যামিলীটা যে মিসিং, আন্টি পর্বে সেই ফ্যামিলীটাই আবার ব্যক্তি জীবনের সমস্যা হয়ে গেলো! দুঃখজনক।
বাবা-মা যে আমাদের ছোট থেকে বড় করতে কত কষ্ট করেছেন তা নিজে বাবা/মা না হওয়া পর্যন্ত বোঝা সম্ভব না।

পোষ্টে +++

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০১

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই রকি। আমরা যে কতভাবে বাবা-মাকে ইউজ করি এ ভিসা তার আরেকটি উদাহরন। এখানে বাবা-মাকে আনার উদ্দেশ্য দু'টি, ১) ভবিষ্যতে পরিবারের বাকিদের ভিসা ২) নিজের বাচ্চা+ঘরের কাজে সাহায্য করা

কথাগুলো খুব রুঢ় শোনায় কিন্তু এটাই সত্য। খুব কমই আছে সত্যিকারে বাবা-মাকে ভালোবেসে বিদেশে আনে.....

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

সায়ান তানভি বলেছেন: আমি শুধু পড়লাম। দারুন লিখেছেন,আর কিছুই বলতে চাই না,কি লাভ বলে,পৃথিবী এমনই।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০২

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তানভি। সত্যিই পৃথিবী এমনই....

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

সায়ান তানভি বলেছেন: এই সিরিজটা যেন শেষ হয় না, ভাল থাকবেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৩

সোহানী বলেছেন: চেস্টা করবো.....

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১২

সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৩

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন......

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ইসালাম ভাইয়া স্লো নেটের কারনে হয়তো নয়তো তিন বার ক্লিক পড়ে গিয়েছে ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৪

সোহানী বলেছেন: না ঠিক না, ইসলাম ভাই আমার লিখা খুব পছন্দ করেতো তাই...........

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

সোহানী..... ওএমজি!!!!
আপনার বান্ধবির সমস্ত কথা... পুরো জীবনটাই ওএমজি’তে ভরা...
আহা! এভাবে সুন্দরি মেয়েরা দেশে দেশে কষ্ট পাচ্ছে... কষ্ট হয় |-)


//(গাধা) ব্লাক পর্দা কিনে কি ঘরে ছবি ওয়াস করবা????// =p~
ল্যাংগুয়েজ পিলিস! শব্দটি কি গাধী হলে আরও ভালো হতো না? মানে কিছু গাধা তো স্ত্রী লিঙ্গ হওয়া উচিত /:)
ইয়ে মানে ফার্স্টক্লাস তো... একটু গাধী হতেই পারে... (এটা নিতান্তই অনুমান, নিশ্চিত নই)



কিন্তু আপনার আন্টির গল্পটি একদমই বেদনার। অদ্ভুত এক গল্প। নিজেদের সুখের জন্য বাবা-মাকে বলি দেওয়া। আহা!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৮

সোহানী বলেছেন: সত্যি বলছি মইনুল ভাই, আমি আপনার মন্তব্যের প্রতীক্ষায় থাকি।

আহা! এভাবে সুন্দরি মেয়েরা দেশে দেশে কষ্ট পাচ্ছে... কষ্ট হয়!!!! মইনুল ভাই, ইমোটা ঠিক হয়নি, হার্টওয়ালা ইমো হবে :P :P :P :P :P :P :P :P

হাহাহাহা..... সত্যিই গাধা গালিতে যা সুখ আছে গাধীতে তা নেই যে !!!!!!!!!! আরে আসল কথা হলো, সে ভাবে পৃথিবীর সেরা বুদ্ধিমান আমি........হিহিহিহিহি

সত্যিই নিজেদের সুখের জন্য বাবা-মাকে বলি দেওয়া......

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

সামিয়া বলেছেন: আহারে

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৯

সোহানী বলেছেন: হুম.........

১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১০

সোহানী বলেছেন: প্লিজ ভাই, ভোটকে ভোটের মতো থাকতে দেন, এটাকে নিয়ে জাতীয় ইলেকশানের মতো করেন কেন??????

১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

বোকামানুষ বলেছেন: শেষটা পড়ে বেশি মন খারাপ হয়ে গেল :(

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১০

সোহানী বলেছেন: কিন্তু এটাই যে বাস্তবতা........

১৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১১

সোহানী বলেছেন: আপনাদের উৎসাহেই আমার লিখা, ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

১৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

জুন বলেছেন: সোহানী প্রথম ঘটনাটিতে মেয়েটার জন্য খারাপ লাগলো। পরিবারের জন্য তার ব্যকুলতা। আর দ্বিতীয় ঘটনায় চোখ ভিজে আসলো কিছু স্বার্থপর ও কুলাংগার সন্তানদের নিরীহ পিতা মাতার জন্য।
+

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৩

সোহানী বলেছেন: হাঁ জুন আপু, এখন দেশে সবাই ফ্রি সেক্স আর লিভ টুগেদার এর যুক্তি দেখাচ্ছে। আরে ছাগল এটা হলে জীবনটা যে ধ্বংস হয়ে যাবে তা কি বোকারা জানে.....

১৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২২

কালনী নদী বলেছেন: আহারে! সরাসরি সংগ্রহে নিলাম বোন। কিছু বলার ভাষা নাই।


১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৩

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নদী।

১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,



হায়রে.... মানুষের জীবনে যে কতো সহস্র জটিলতা আর হাহাকার !!!!
খুব সুন্দর গুছিয়ে লেখা আপনার , হোচট খেতে হয়না ।

নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা দিয়ে রাখলুম ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৫

সোহানী বলেছেন: জী ভাই, আপনার উৎসাহের ভাষা অন্যরকম। অনেক ধন্যবাদ, আপনার মতো লেখকদের কাছ থেকে উৎসাহ পাওয়া অনেক কিছু।

এখানে নেই ভাই কোন নববর্ষ। মনে করিয়ে কষ্টটা বাড়িয়ে দিলেন............আমার অনেক প্রিয় একটি উৎসব।

২০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লেখাটা পড়তে গিয়ে কেন জানি হোঁচট খাচ্ছিলাম। গুছিয়ে লিখুন আরেকটু!
আপনার ফ্রেন্ডের জিতিলটা দেখে মায়া হচ্ছে। মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে, ততই জটিলতায় জড়িয়ে যাচ্ছে বোধহয়। আবার নাও হতে পারে

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৮

সোহানী বলেছেন: সরি, লিখাটা পড়তে কষ্ট হবার জন্য। চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে।

জিতিলটা মানে বুঝলাম না?

২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: জটিলতা B-)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫১

সোহানী বলেছেন: ওওওও.... পশ্চিমা বিস্বে এমন জটিলতা কমন বিষয়।

২২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আপনি বুঝেন নাই, শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

সোহানী বলেছেন: প্লিজ ভাই, ভোটকে ভোটের মতো থাকতে দেন, এটাকে নিয়ে জাতীয় ইলেকশানের মতো করেন কেন?????? আর সবার ব্লগে যেয়ে যেয়ে একই মন্তব্য পোষ্ট থেকে বিরত থাকুন....... কি শুরু করেছেন আপনারা.....!!!!!!!!!!!!!!!!

২৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: শেষের কাহিনীটা পড়ে খারাপ লাগল :(

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

সোহানী বলেছেন: হুম কিন্তু এটাই বাস্তবতা..........

২৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫০

প্রীতম বলেছেন: অনেকটা বেড়ানোর মতো করেই কয়েকটা দেশে আমি গিয়েছি।
যেবার চিনের বেইজিং এ গেলাম বেশ কিছু বন্ধু হলো সেখানে। দেখলাম খুব হাসিখুশি ওরা, বিশেষ করে মেয়েরা। কিন্তু মনে দুর্ভিক্ষ। সিংগেল পেরেন্টস ফেমিলির প্রভাব তাদের জিবনটাকে মরুভুমি বানিয়ে দিয়েছে।
ফিলিপিন থেকে ফিরে আসলাম এক মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা নিয়ে। সেখানে সন্তানেরা বছরের সামার ছুটিতে যদি নিজের বাবার কিংবা মার বাড়িতেও বেড়াতে যায় তবে এ সময়টাতে সেখানে থাকা খাওয়ার জন্য মা বাবাকে খরচের টাকা দিতে হয়।
সেখানেও ছেলেমেয়েরা অনেক বছর এক সাথে থাকার পর আমনকি অনেক গুলো সন্তান হবার পর সিদ্ধান্ত নেয় বিয়েটা করবে কি করবেনা।
আমি বুঝিনা আমরা দিনের দিন কি হয়ে যাছি।
পারিবারিক এবং সামাজিক বিয়ের মাধ্যমে সংসার স্থাপনের একটি চিরন্তন নিয়মকে কত অবলিলায় আমরা অপ্রয়োজনীয় বানিয়েছি।
সম্ভোবত আমাদের দেশটিও দ্রুত উন্নয়নের মোড়ক ব্যবহার করে এমন অপসংস্কৃতির দিকে এগিয়ে যাবে (কিন্তু আমি আশা করিনা)।
যার যার ধর্মিও মুল্যবোধগুলো বাচিয়ে রাখলে বোধহয় এ সমস্যা থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যেতো।
------
আপনার ভালো লেখার জন্য ধন্যবাদ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:১১

সোহানী বলেছেন: পারিবারিক এবং সামাজিক বিয়ের মাধ্যমে সংসার স্থাপনের একটি চিরন্তন নিয়মকে কত অবলিলায় আমরা অপ্রয়োজনীয় বানিয়েছি।

প্রীতম, আপনার এ কথাটি আমি প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি বিদেশে যেয়ে, তাই বার বার সাবধান করি আজকাল ছেলে-মেয়েদের। ওটা যে ধ্বংসের পথ, সাময়িক মোহে তারা তা বোঝে না, কিন্তু যখন বোঝে তখন অনেক দেরী হয়ে যায়।

হাঁ ধার্মিক মূল্যবোধ খুব জরুরী যেকোন পাপ থেকে নিজেকে বাচাঁনোর জন্য। কারন কোন ধর্মেই বলেনি পাপ করো।

অসাধারন মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রীতম।

২৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: প্রথমটি পড়ে স্বাভাবিক ই মনে হল সব কিছু। কারন তাদের জীবন এমনি।

দ্বিতীয়টি পড়ে মনে হল আহারে। সন্তানেরা বিদেশে থাকার জন্য মা বাবাকে বলি দিচ্ছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:১৩

সোহানী বলেছেন: হাঁ তাদের জীবন এমনই কিন্তু আমরা ভাবি তারা দারুন লাইফ এনজয় করছে তাই গল্পটা আনলাম। ঠিক একই ভাবে ছেলেদের ভাবনা ও আনবো নিশ্চয়।

সত্যি বলি দিচ্ছে কিন্তু আমরা সে বলিকে স্বীকার না করে উল্টো বলি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ রুহী।

২৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:২০

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার কপাল টাই খারাপ...আশেপাশে যাকেই দেখেন, তার ই এত প্রবলেম.....

এত বছর বিদেশে আছি, প্রবলেমওয়ালা লোক যদি দেখি ২-৩ জন, সুখে শান্তিতে আছে, হৈ চৈ করে জীবন কে উপভোগ করছে লোক কে দেখি শয়ে শয়ে....। বিদেশী দের লাইফস্টাইল টা আমাদের মত না হলেই খারাপ????

তা ও ভালো তাদের যদি গৌন কোন দিকটা খারাপটা দেখিয়ে, নিজে রা খুব ভাল আছি এই ফিলিংস পাওয়া যায়.....

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

সোহানী বলেছেন: সরি ব্রাদার, আপনাকে আবারো বলছি, আমার এ লিখাগুলো মানুষের কষ্ট শেয়ার করে নিজে খুব ভাল আছি এই ফিলিংস পাওয়ার জন্য লিখছি না। অার তা বোঝার মতো উপলব্ধি বা জ্ঞান আপনার হয়নি মনে হয় এখনো।

শুধু বাংলা পত্রিকা আর ব্লগ না পড়ে মাঝে মধ্যে বই পড়েন, মনটা ও বড় হবে, চোখ ও খুলবে।

ভালো থাকুন।

২৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৫

প্রীতম বলেছেন: নতুনকে জানতে এবং বেড়াতে যাদের ভালো লাগে তারা সচরাবর পরিবার এবং সমাজের তুচ্ছ বেড়াজাল পেড়িয়ে বেড়িয়ে পরে দূর সুদুরে। কিন্তু আপনি তা না করে পরিবারে বন্ধনকে জোড়ালো করায় প্রত্যয়ি দেখে ভালো লাগলো।

সুস্থ্য ধর্ম চর্চা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে শেখায়। আমরা মানি আর না মানি এটাই চিরন্তন। মানুষের তৈরি নিয়ম দেখতে যতই আকর্শনিয় আর মন কাড়া হোকনা কেনো ধর্মের নিয়মের সাথে সাংঘর্শিক হলে তা পরিত্যগ করাই উত্তম।
তারা খুব করে বলে আমিতো ধর্মকে মানি, শ্রদ্ধা করি, মসজিদ/ চার্চে যাই। আসলে তারা দেখায় কিন্তু মানেনা। তারা মানুষের তৈরি চাক চিক্যটাকেই প্রগতি আর উন্নতি বলে মেনে নিয়েছে। এক ফিলিপিনো ক্যথলিক খৃষ্টানকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- "চার্চে যাও প্রতি রবিবার আর আবেগ দিয়ে প্রার্থনাও করো অথচ এতো ছোট ছোট কাপড় পড় কেনো, বাইবেলে তোমাদের প্রভু যিশু বলেছেন- তাকে খুশি করার উদ্দেশ্যেও যেনো তোমরা বিপরিত লিংগের পোষাক না পড়।" সে কোন উত্তর দেয়নি। কথা একটাই- "সবাইক করে তাই আমি করি, ঠিক না ভুল তা জানিনা, জানতে চাইওনা"।

সরি, ধর্ম নিয়ে কোন লেখা এখানে আমার উদ্দেশ্য নয়।

আপনি বিদেশ বিভুইয়ে বেপরিত ধর্মিয় পরিবেশে থেকেও ধর্ম আর দেশকে ভালোবাসেন এটা আমার খুব বেশি ভালো লাগেছে। এটা সচরাচর দেখা যায়না। আমার এক ফুপাতো বোন ছিল সে কখনো বোরকা না পড়ে বাইরে যেতোনা (যদিও বোরকাকে আমি পর্দা করার মাধ্যম হিসেবে মানিনা), সেই মেয়েটি ডিভি পেয়ে আমেরিকায় গিয়ে কিছুদিন পরেই জিন্স আর টিশার্ট পরা শুরু করলো। এখানে ধর্ম আর নিজ দেশের সংস্কৃতি দুটোকেই গলা টিপে মারলো। অথচ আজ বহু বছর পর যখন দেশে আসে তখন তার চোখে আমি চরম হতাশা আর দুর্ভিক্ষ দেখি। সে বলে- আমার এতো টাকা এখন যে আমি নিজেও জানিনা কোন একাউন্টএ কত টাকা আছে, কিন্তু এটা জানি আমার কোন শান্তি নেই, কিছু ভালোলাগেনা। সেখানে নিজের সামির অথবা বসের সাথে শুতে যাবার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই সেখানে এর চাইতে বেশি কিই আসা করা যায়?

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাই।
যে ভয়ে ২০ বছর আগে ভালো সুযোগ পেয়েও বিদেশ যাইনি, পরিবার তথা নিজ থেকে দূরে চলে যাবার ভয়ে আপনি সটাকে তুচ্ছ করে দিয়ে সমাজ, ধর্ম আর পরিবার নিয়ে বিদেশে ভালো আছেন শুনে খুব ভালো লাগছে সত্যি।

আপনার সব লেখাই ভালো লাগে। ভালো থাকবেন।


১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

সোহানী বলেছেন: প্রীতম, আমি যা বলতে চেয়েছি কিন্তু উহ্য রেখেছি তা আপনার মন্তব্যতে চমৎকার করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

একটি কথাই বার বার বলি, জীবনটা হিন্দি সিরিয়াল বা ইলিশ মুভি নয় যা ১/২ ঘন্টায় শুরু থেকে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আমরা সে ভুলটাই যে করছি.... পরিবার, ধর্ম, শ্রদ্ধাবোধ, সহমর্মিতা পারে একটি চমৎকার জীবন গড়তে, একটি চমৎকার পরিবার গড়তে। আমরা তা না করে সাময়িক মোহে পরিবারকে তুচ্ছ করি, সেটা যে কতটা বোকামী তা মনে হয় তা শুধু পশ্চিমা না পাশের দেশের দিকে তাকালে ও টের পাওয়া যায়।

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ক্ষুদ্রমানব ...............

২৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১০

বিদগ্ধ বলেছেন: আপনার প্রতিবেশীরা কত কঠিন জীবন যাপন করে! বিদেশীদের জীবন একটু অদ্ভুত হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশি প্রবাসীর মা-বাবার কষ্টটুকু মানতে পারছি না।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

সোহানী বলেছেন: বিদগ্ধ, আমার প্রতিবেশীরা কঠিন জীবন যাপন করে না সবাই। যেসব ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি তাই আমি টেনে আনি। আমি যদি শুধু আমারও প্রতিবেশীদের জীবনটা উপভোগের গল্প বলতাম তাহলে শুধু আনন্দই পেতেন, এর বাইরে কিছু কি পেতেন!!!!!!!!

হুম, বাংলাদেশি প্রবাসীর মা-বাবার এ কষ্ট খুব স্বাভাবিক এখানে।

৩০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



পারিবারিক মূল্যবোধ এখানে তেমন কোন অর্থই রাখেনা। সন্তান জন্ম দান এবং লালন-পালন মনে হলো ফ্যাশনের পর্যায়। অবশ্য সন্তানরাও এই রীতি ছোটবেলা থেকে দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে উঠে। এইটা তাদের কাছে স্বাভাবিক বলেই মনে হতে থাকে হয়ত। বড় হয়ে তাই এরাও হয়ত একই ভাবে সম্পর্ককে হালকা ভাবে নিতে থাকে।

এই সিরিজের সবগুলো পর্বের মধ্যে এইটা খুব বেশী মানবিক।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী।

পারিবারিক মূল্যবোধ যে বিশাল কিছু, সাময়িক জীবনের আস্দ যে কিছুই না তা এখন পশ্চিমা বিশ্ব খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করে। আর সে কারনেই পারিবারিক সম্পর্ক, একই সাথে থাকা ও জীবনটা উপভোগ করার জন্য তাদের রাষ্ট্র বা সমাজ পর্যায়ে মারাত্বক চেষ্টা করে। একদম ছোট বাচ্চাটিকে ও তা তারা শিখায়, পরিবারের ভালোবাসা। তারা একটাই কথা বারবার বলে সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো পরিবার, যখন তোমার পরিবার থাকবে তার মানে তুমিই সবচেয়ে সুখী।

আর তাইতো আমার এ লিখা, যাতে এ ভুল আমরা না করি। পরিবারকে দূরে ঠেলে না দেই কারন আজকাল বৃদ্ধ বাবা-মা সহ সকল আপনদের দূরে ঠেলে আমরা একা থাকার চেস্টা করি....

৩১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাপনার নিকটতম প্রতিবেশীদের দুঃখগাথা জানলাম ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

সোহানী বলেছেন: হুম সুখগাথা অানছি না বলে অনেকে দু:খ পাচ্ছেন তাই তা নিয়ে আসবো কিনা ভাবছি...........

৩২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

সুলেমানের বাপ বলেছেন: আপনি কোন দেশে থাকেন? আমার অফিসে একটা ইউক্রেনিয়ান চাকরি করে, গায়ে গোবরের গন্ধ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৫

সোহানী বলেছেন: ওর একটা পারফিউম কিনে দেন... টাকা-পয়সা নেই মনে হয়............. :P :P :P :P :P :P :P

৩৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

মানবী বলেছেন: মন খারাপের চেয়ে বেশি বিরক্তি জন্মালো আন্টির গল্প পড়ে। কিছু লোকের বিদেশ আসার লোভ কি সহজেই তাদের অমানুষ করে তুলে। প্রবাসী ভাইটার চেয়েও দেশের ভাইবোনদের বেশী স্বার্থপর মনে হলো।

আইসার ঘটনাটা ইন্টারেস্টিং। আপনাকে যেহেতু প্রায় পীরের পর্যায়ে মনে করে, আপনি হয়তো সহজেই তাঁকে বুঝাতে পারবেন আপনার পরিবারের ধর্মচর্চার চেয়ে তার নিজের ধর্মচর্চা সন্তানদের অনেক বেশী ও দ্রুত ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করবে।

আমার প্রতিবেশীরাও যখন তখন ড্রপবাই করে তবে তাঁরা প্রত্যেকেই স্বামী সন্তানদের নিয়ে সংসার করছেন এবং সকলেই শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান(শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান কথাটা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করছি কারন বাংলাদশী, ভারতীয়, পাকিস্তান আমেরিকানও আছে)। যারা ইউক্রেনের মেয়ে আইসার গল্প শুনে "পশ্চিমে পরিবার প্রথা নেই" বলছেন তাঁদের অবগতির জন্য এই তথ্যটি শেয়ার করা। আমার প্রতিবেশীরা প্রায় সকলেই ধর্মভীরু আর হয়তো সেকারনেই তাঁরা চমৎকার প্রতিবেশী। প্রতিটি ধর্মই মানুষকে মানুষের প্রতি সদয় হতে শিখায়, বিশেষ করে ইসলাম, খ্রিস্ট ধর্ম আর ই্হুদী ধর্মে প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা আছে।

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ সোহানী। ভালো থাকুন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

সোহানী বলেছেন: আমার গল্পগুলো কেন যেন মনে হচ্ছে ভুলভাবে ব্যাখ্যা হচ্ছে। আমি কিন্তু "পশ্চিমে পরিবার প্রথা নেই" এ কথা কোথাও বলিনি। এ ধরনের গল্প শেয়ার করি যাতে আমরা সাবধান হতে পারি, বিশেষ করে ভবিষ্যদের জন্য। কারন দিন দিন একাকিত্বে দিকে ঝুকেঁ যাচ্ছি যা সত্যিই কষ্টকর পরিবারের বাকি সদস্যদের জন্য।

আর ধর্ম পালন যার যার একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়। আইসা নিজে ধর্ম পালন করে বাচ্চাদের শেখানো উপদেশতো আমি দিতে পারি না, তাই না।

প্রবাসী মায়ের এ ঘটনা কিন্তু খুব কমন। এখানে হয়তো আমি বৃদ্ধাশ্রামের কথা বলেছি কিন্তু বাস্তবে বাসায় তাদের স্থান হয় যা বৃদ্ধাশ্রাম থেকে ও খারাপ....

অনেক অনেক ভালো থাকেন মানবী।

৩৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

পুলহ বলেছেন: কয়েকদিন আগে বাংলা-প্রেমি এক ইউক্রেনিয়ান মেয়ের কথা শুনেছিলাম ফেসবুকে, সে বাংলা ভাষার উপর পড়াশোনা করছে এবং বাংলায় ছোট্ট এক ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে শেয়ার করেছে। ঐ ভিডিও দেখে আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটা মেসেজ দিলাম এবং আবেগের চোটে তাকে জীবনানন্দের একটা কবিতাও পাঠায়া বসলাম... আপনার ইউক্রেনিয়ান বান্ধবী/ প্রতিবেশির কথা পড়ে তার কথাই প্রথমে মনে হোল...
দ্বিতীয় ঘটনাটি নিয়ে আসলে কিছু বলার নাই- জগতের সকল বাবা-মা যেন ভালো থাকে- শুধু এই প্রার্থনা !

শুভকামনা আপু।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩২

সোহানী বলেছেন: শুধু ইউক্রেন নয় সারা বিশ্বে বাংলাপ্রেমী অনেক মানুষ আছে। আমার কিছু জার্মান বন্ধু আছে তাদের বাংলা শুনলে আমি অবাক হয়ে যাই। শুধু বাংলাদেশে কিছুদিন থাকবে বলে তারা বাংলা শিখেছে।

জগতের বাবা-মার মত এতোটা আপনজন কেউই নেই কিন্তু এ সত্যটা আমরা বুঝিনা কখনই...

ভালো থাকুন।

৩৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

কলাবাগান১ বলেছেন: @প্রীতম
কুয়ায় বসে পুরা পৃথিবীকে যাচাই করা সম্ভব না।
"সেখানে নিজের সামির অথবা বসের সাথে শুতে যাবার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই সেখানে এর চাইতে বেশি কিই আসা করা যায়?"
কয়টা মেয়েকে দেখে এই কমেন্ট করলেন। আপনার যে বোনের কথা বললেন তিনি ও কি তাই করেন। আমেরিকার মেয়েদের মানসিক শক্তি দেখলে আপনি এমন ঢালাও মন্তব্য করতে পারতেন না। বাংলাদেশের মতই কিছু লোকজন বিপথে আছে আর সেটা কে দেখিয়ে নিজে ভাল আছি এমন মানসিকতা নিয়ে বেশী দুর আসতে পারবেন না

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৭

সোহানী বলেছেন: কলাবাগান ভাই, প্রত্যেকেরই নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ, নিজস্ব মতবাদ বা ব্যাখ্যা আছে যা আপনার সাথে বা অনেকের সাথে না ও মিলতে পারে। আমরা তার সমালোচনা করতে পারি কিন্তু ভাষা নিশ্চয় পরিমিত হতে হবে, তাই নয় কি।

আমেরিকার কেন পৃথিবীর যেকোন দেশের মেয়েদের মানসিক শক্তি দেখলে আপনি আমি সহ সকলেই তাজ্জব হতে হয়। কারন মেয়েরা হলো দূর্গা, কিন্তু তারপরে ও কিছু আছে, কিছু মতামত আছে, কিছু ভালো করার জায়গা আছে। সেটা নিয়ে আরেকদিন কথা বলবো... ভালো থাকুন।

৩৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যতদূর জানি খ্রীস্টধর্মে এক বৌ রে তালাক দিয়া আরেকটা বিয়া করা ব্যাভিচারীর সামিল।

হালার এলেক্সরে একটা বনচটকানা দিয়া বলা যায় যে.........

অবশ্য এইসব বইলা লাভ নাই, কারন ইউক্রেনে এখন এক বোতল বীয়ার আরেক শট ভোদকা দিলেই মেয়ে পাওয়া যায়। রাশিয়া ক্রিমিয়া খেয়ে ফেলার পর দেশটার প্রায় সবকিছুই শেষ!

তবু মাঝে মাঝে এমন কিছু ইস্ট ইউরোপীয়ান মেয়ে চোখে পড়ে যে তারা পরিবার সম্পর্কে পুরাই অর্থডক্স মানে আমাদের দেশের মতো। যদিও আমাদের দেশ আর আগের মতো অর্থডক্স নাই!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪২

সোহানী বলেছেন: রাশিয়া বা তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অবস্থা যতটুকু আমরা শুনি বাস্তবের অবস্থা তারচেয়ে হাজারগুন খারাপ। কিন্তু বর্হিবিশ্বে তা আসে না। যাই হোক আদার ব্যাপারীর জাহাজের খোঁজের দরকার নেই।

হাঁ এখন ইস্ট ইউরোপে ফ্যামিলি কালচার দারুনভাবে দেখা যায়, আমার একটা গল্পে কোন উপসংহার টানা কখনই ঠিক হবে না। এটা একটা সাবধান বানী আমাদের জন্য শুধু যারা একক পরিবার বা ফ্রি সেক্সকে সাপোর্ট করে।

ভালো থাকুন উদাসী স্বপ্ন।

৩৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৯

মানবী বলেছেন: "লেখক বলেছেন: আমার গল্পগুলো কেন যেন মনে হচ্ছে ভুলভাবে ব্যাখ্যা হচ্ছে। আমি কিন্তু "পশ্চিমে পরিবার প্রথা নেই" এ কথা কোথাও বলিনি। "
- আমার মন্তব্য বুঝতে ভুল করেছেন মনে হয়, মন্তব্যের ঘরে অনেকেই পশ্চিমে পরিবার প্রথা নেই বা উঠে যাচ্ছে এধরনের আশংকা প্রকাশ করেছেন... আমানর মন্তব্যের বিশেষ অংশটি তাঁদের উদ্দেশ্যে তা স্পষ্ট করেছি মাত্র।
আর আইসাকে কোন উপদেশ দেবার কথা বলিনি। আপনি লিখেছেন খুঁটিনাটি সব বিষয়ে সে আপনার কাছে পরামর্শ চায়, সেভাবেই কোন পদ্ধতিটা বেশি কার্যকর তা জানিয়েছি যা পরামর্শ হিসেবে জানানো যায়।

"প্রবাসী মায়ের এ ঘটনা কিন্তু খুব কমন। এখানে হয়তো আমি বৃদ্ধাশ্রামের কথা বলেছি কিন্তু বাস্তবে বাসায় তাদের স্থান হয় যা বৃদ্ধাশ্রাম থেকে ও খারাপ...."
- আমি আপনার এই বক্তব্য অস্বীকার করবোনা কারন আমার জানাটাই একমাত্র সত্য নয়, এর বাইরেও বাস্তব চিত্র সম্ভব। তবে সৌভাগ্যক্রমে এধরনের কুলাঙ্গার সন্তান চোখে পড়েনি বরং উল্টোটাই বেশি দেখি। গ্রীনকার্ড সিটিজেনশিপ হোক আর নাহোক, ছাত্র অবস্থা কাটিয়ে চাকরী পাবার সাথে সাথেই মা বাবা কে আমেরিকায় বেড়িয়ে নিয়ে যাবার জন্য মরিয়া। নিজেরা ১৫/২০ বছরে যা দেখেছে সেসব সুন্দর সব স্থান আর অভিজ্ঞতা ৩-৬ মাসেই মা বাবাকে দেখাবার জন্য মরিয়া সন্তানদেরই বেশি চোখে পড়ে।

আর ওল্ডহোম দুরের কথা, ঘরে রেখে কষ্ট দেবার কথাও শুনিনাই বরং অনেক ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামী শশুড় শাশুড়ির জন্য অনেক স্যাক্রিফাইস করে এমনটাই দেখেছি।

ভালো থাকুন সোহানী।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

সোহানী বলেছেন: সত্যিই মানবী বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা বা ফ্যামিলি কালচারইতো স্বাভাবিক। আমার এ সিরিজটাকে অনেকটা সাবধান বাণী হিসেবে রাখতে চাই সত্যিকারের সমাজের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখাতে নয় কিছুতেই।

৯৯ টি পরিবারই বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা রাখে কিন্তু ওই যে ১টি পরিবার, তার জন্যই এ লিখা। হয়তো অনেকে বলবে ১টির জন্য কেনো মাথা ব্যাথা, আমি বলবো ওই ১টিই অনেক কিছু। আমি চাই না কোন মা ই কস্ট পাক। যে ঘটনাটি বললাম, এটি আমার বানানো কাহিনী নয়, আমার মনে দাগ কেটেছে বলেই লিখলাম। এখন বলুন, আমার দু'টো পথ- চোখ বন্ধ করে থাকা অথবা চোখ খুলে দেখা ও লিখা। তাই আমি ২য়টিই বেছেঁ নিয়েছি।

ভালো থাকুন, অনেক ব্যাস্ততার মাঝে লিখি ও আপনাদের সাথে কিছুটা সময় কাটাই এটাই অনেক ভালোলাগা।

৩৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২২

কলাবাগান১ বলেছেন: "গ্রীনকার্ড সিটিজেনশিপ হোক আর নাহোক, ছাত্র অবস্থা কাটিয়ে চাকরী পাবার সাথে সাথেই মা বাবা কে আমেরিকায় বেড়িয়ে নিয়ে যাবার জন্য মরিয়া। নিজেরা ১৫/২০ বছরে যা দেখেছে সেসব সুন্দর সব স্থান আর অভিজ্ঞতা ৩-৬ মাসেই মা বাবাকে দেখাবার জন্য মরিয়া সন্তানদেরই বেশি চোখে পড়ে।"

এটাই সত্যি......দুই একটা ব্যতিক্রম কে এমন ঢালাও ভাবে উপস্হাপন করলে সেই ব্যতিক্রম টাই বাস্তব হয়ে উঠে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

সোহানী বলেছেন: মানবীকে দেয়া উপরের উত্তরটি একটু দেখুন।

ভালো থাকুন।

৩৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপু, আপনার প্রথম ঘটনাটির সাথে কিছুটা মিল পেয়েছি আমি পূর্বে যে বাসায় ছিলাম। আমি থাকতাম ২য় তলার ফ্লাটে আর তারা আমার ফ্লাটের ঠিক নিচে। বাবা ও মেয়ে। প্রথম যখন ঐ ফ্লাটে উঠি তখন মেয়াটি গ্রেড ফোর এ পড়ত। মানুষটিকে আমার চমৎকার মানুষ বলে মনে হয়েছে ঐ ফ্লাটে আড়াই বছর থাকা কালীন। আমি কোনদিন বাজার করে বাসায় ফিরিতেছি দুই হাতে বাজারের ব্যাগ। যদি সে লনে বসে থাকে তখন সাথে সাথে উপরে উঠে দরজা খুলে দিতো যাতে করে ব্যাগ রেখে দরজা না খুলতে হয় আমাকে। শনিবার সন্ধ্যায় বন্ধুদের নিয়ে লনে বিয়ারের আসর বসাত। ঐ সময় আমি বাসায় ফিরলে বিয়ার অফার করত। আমি তাকে বলতাম ডাক্তারের নিষেধ আছে। সে একটা হাঁসি দিতো।

যে কারণে এই কথা বলা। প্রতি ২ সপ্তাহ পর-পর শুক্রবার বিকেলে মেয়ের মা এসে মেয়েকে নিয়ে যেত আবার রবি বার রেখে যেত। মা গাড়ি নিয়ে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকত। বাবাটি মেয়ের কাপড়ের ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রী গাড়িতে উঠিয়ে দিত। দেখে অনেক মায়া হতো।

সামারে লনের মধ্যে বাবা ও মেয়ে কোমরের মধ্যে রিং ঘুরানোর খেলা করত। খুবই ভাল লাগত। তবে মেয়েটির জন্য অনেক খারপ লাগত এই ভেবে যে বাবা-মা দুইজনের স্নেহ পাচ্ছে না একই সাথে। মেয়ের বাবা মেয়েকে নিয়েই ঐ বাসায় থাকত ২ য় কোন বিয়ে বা গার্ল-ফ্রেন্ড ছিলও না।

আপনার ২য় ঘটনাটি শুনে অনেক মন খারাপ হয়ে গেল। আমাদের দেশের বয়স্ক মানুষদের এই সকল দেশে এসে বসবাস করা খুবই কঠিন। কারণ তারা দেশে আত্নীয় স্বজন নিয়ে বসবাস করতে ভালো বাসে। এই সকল দেশে আসলে ফার্মের মুরগির মতো ঘরে বসে থাকতে হয়। নাতি-নাতনিরা স্কুলে বা ডে-কেয়ারে থাকে। ছেলে-মেরা সারাদিন অফিসে। ভাষা-গত সমস্যা ও সংস্কৃতির পার্থক্যের কারণে বারে গিয়ে বসে মদ খেয়ে অন্য বয়স্ক মানুষের সাথে বন্ধুত্বও করতে পারে না।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু। জীবনের গল্প গুলো শেয়ার করার জন্য।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০৩

সোহানী বলেছেন: যেকোন ব্রোকেন ফ্যামিলির সবচেয়ে কষ্টের স্বীকার শিশুরা। আপনি কানাডায় থাকেন তাই নিশ্চয় জানেন স্কুলে বাচ্চাদের মানসিকভাবে শক্ত করার সব চেস্টা করে। তারপরেও এ ধরনের সমস্যার মধ্যে যে সব বাচ্চা যায় তাদেরকে আলাদাভাবে মানসিক ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়।

আমি যে ঘটনাটা বললাম সেটা হয়তো অনেক কম তারপর ও বলবো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কখনই এখানে থাকতে চান না। আমার নানাভাই-নানু থাকতো, উনারা গত ৩ বছর আগে ফিরে গেছে দেশে। অথচ কানাডায় সব কিছুই ছিল। উনাদের একটাই কথা, কথা বলার লোক কই। এক কাপ চা ও নিজেকে বানিয়ে খেতে হয়। নাতিরা ও সময় দিতে পারে না, এতোটাই ব্যাস্ত জীবন।.... থাক সে গল্প আরেকদিন।

স্যামন কি শেষ? নাকি আমার জন্য একটু রেখেছেন।

৪০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ব্রকেন ফ্যামিলির বাচ্চাদের জন্য অনেক কষ্ট হয়। যে বয়সে তাদের মানসিক বিকাশ হয় সেই সময়টাই বাবা-মায়ের স্নেহ থেকে বন্বচিত হয় ছেলে-মেয়ে গুলো।

আপু আপনার জন্য পুরো একটা স্যামন রাইখা দিছি =p~ বিমানের টিকেট পাডাইলেই আমি ঐ স্যামন নিয়ে রওনা দিয়া দিমু :P

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

সোহানী বলেছেন: আপাতত স্যামনটাই প্লেনে পাঠান, পরে আপনি আইসেন সময় সুযোগ মতো................

৪১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
পরের বার এলে না খেয়ে যাবে না কিন্তু :P

দিদি, জাতি জানতে চায় আপনার শশুর বাড়ি কি ওপার বাংলায় নাকি =p~

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সোহানী বলেছেন: আস্তাগফিরুল্লাহ্................

এক দিদি আমার সাথে এখানে কাজ করে, তার ধান্ধাবাজি দেখলে ডরাই। আমরাতো দুগ্ধপোষ্য শিশু।

যাক্, লাগবে না আপনার স্যামন। স্যামন চাইলাম বলে আমারে ওপারে পাঠায়ে দিলেন X( X( ............

৪২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে আরেকবার পড়তে হবে। ধন্যবাদ। :P

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:২৪

সোহানী বলেছেন: বলেন কি এতো কঠিন পড়া !!!!!!!!!!!!!!!!!১১

৪৩| ০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দুটি শব্দই বলার আছে। সেগুলো হলো- মানবসভ্যতার অধঃগতি!

১১ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সোহানী বলেছেন: গেম চেঞ্জার ভাই ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। কিন্তু মানবসভ্যতার অধঃগতি রুখার জন্য কিন্তু আমাদেরই সচেতন হতে হবে।

৪৪| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশেই কি সারা জীবন থাকবেন?
না লেখা পড়া শেষ করে ফিরে আসবেন?

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

সোহানী বলেছেন: উত্তরটা এখনো জানা নেই। পড়তে এসেছি, পড়া শেষ করে ডিসিশান নিবো। তবে কোন না কোন সময় দেশেই ফিরে আসবো। জানি না সেটা কবে................

৪৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি সারাজীবন একটা চমৎকার ফ্যামিলি'র জন্য মুখিয়ে আছি... কিন্তু আমি পাইনি, আমার মাও পায়নি, আমার সন্তানরাও পাবে কিনা জানিনা। তাই তাদের আমি এ বয়স থেকেই বোঝাতে চাই ফ্যামিলি কি, সত্যিকারের ফ্যামিলি কেমন হয়, বাবাদের ভালবাসা কেমন হয়" - আহারে একটি স্বাভাবিক পরিবেশ, পরিবারের জন্য কতই না হা হুতাশ! অথচ আমাদের দেশে এখনও প্রায় বাতাসের অক্সিজেনের মত, বৃৃষ্টির জলের মতই আমরা এটা পেয়ে থাকি অনায়াসে, তাই হয়তো এর মূল্য বুঝি না!
খুব কমই আছে সত্যিকারে বাবা-মাকে ভালোবেসে বিদেশে আনে..... (৪ নং প্রতিমন্তব্য) - রূঢ় সত্য!
মানে কিছু গাধা তো স্ত্রী লিঙ্গ হওয়া উচিত... ইয়ে মানে ফার্স্টক্লাস তো... একটু গাধী হতেই পারে... (এটা নিতান্তই অনুমান, নিশ্চিত নই) - মাঈন উদ্দিন মইনুল এর মন্তব্যটা পড়ে একা একাই খুব এক চোট হাসলাম! আর আপনার প্রতিমন্তব্যটা পড়েও- সত্যিই গাধা গালিতে যা সুখ আছে গাধীতে তা নেই যে!!!

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০০

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই "আমাদের দেশে এখনও প্রায় বাতাসের অক্সিজেনের মত, বৃৃষ্টির জলের মতই আমরা এটা পেয়ে থাকি অনায়াসে, তাই হয়তো এর মূল্য বুঝি না! ". তাই এ অমূল্য সম্পদ যাতে না হারায় তার জন্য আমার অনেকগুলো লিখালিখি। দেশের বাইরে আসার পর পারিবারিক ভালোবাসা কি জিনিস তা টের পেলাম বহুগুন।

কানাডায় বাবা-মাকে আনার পথ খুব সোজা নয় তাই এ সমস্যা একটু কম কিন্তু আমেরিকায় এ সমস্যা প্রকট। খুব কমই আছে সত্যিকারে বাবা-মাকে ভালোবেসে বিদেশে আনে যত না আনে স্বার্থের টানে।

আমার সে বান্ধবীর কথা বলে শেষ করা যাবে না। সে এতোটাই আমার ভক্ত যে আমাকে রীতিমত গুরুজ্ঞান করে... হাহাহাহাহা। আসলে সে খুব সহজ সরল খুব ভালো মনের মেয়ে। তার কিছু প্রয়োজনে পাশে ছিলাম ব্যাস এটুকুতেই সে আমার কঠিন ভক্ত বনে গেছে। অবশ্য আমার বন্ধু-বান্ধব ভাগ্যগুন খুবই ভালো, যাকে বলে ইর্ষা করার মতো......হাহাহাহাহা

৪৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: বয়স্ক পিতামাতাকে নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করার মত কুলাঙ্গার এ দেশেও অনেক আছে। তবে যে যেমন কাজ করবে, তাকে ইহজগতেই তেমন কর্মফল ভোগ করে যেতে হবে।
আজকাল আমাদের দেশেও বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা ভয়ঙ্কর হারে বেড়ে যাচ্ছে। সমাজবিজ্ঞানীদের এ নিয়ে সেরিয়াসলী ভাবনা চিন্তা করা উচিত।
চমৎকার এ পোস্টে ত্রয়োদশ প্লাস + +

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:২৫

সোহানী বলেছেন: হাঁ তাই, কিভাবে পারে এরা?? আমি তাজ্জব হই এদেরকে দেখে।

কিছুটা বাবা মায়েরাও দায়ী আমি বলবো। তারা তাদের স্বার্থপর হতে শিখিয়েছে। অথবা তারা দেখেছে বাবা-মায়ের স্বার্থপরতা। যেমন আমি যেভাবে আমার বাবা মায়ের সাথে আচরন করবো ঠিক সেরকমই আমার সন্তানেরা করবে। আমাকে দেখেই তা শিখবে। তাহলে দোষটা কিছুটা তাদের বটে।

আবার আরেক শ্রেনী আছে বউ এর উপর দোষ দিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলে। আমার প্রশ্ন বউ কি তোমার বাবা মায়ের আপন না তুমি?? বউ এর উপর দোষ চাপানোর আগে নিজের ব্যার্থতার হিসেব আগে করো। অবশ্য অনেক মেয়েরা বাবা মায়ের জন্য করতে পারে না স্বামীর জন্য। সেক্ষেত্রে আমি পুরোপুরি দোষ তাদের দিবো না তার জন্য সমাজ, রাস্ট্র, কালচার অনেকটুকুই দায়ী।

অনেক ভালো থাকেন প্রিয় লেখক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.