নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডায় আসতে চান?............. নিজেকে একবার এ্যাসিস করেন। কানাডায় অভিবাসী জীবন - স্বপ্ন ও বাস্তবতা :(

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫২


যার আমার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব পইড়া মনে মনে ব্যাগ প্যাক করা শুরু করছেন..... ভাই ও বোনেরা একটু দাঁড়ান !! B:-) B:-) B:-) সত্যিই অভিবাসী জীবন বেঁছে নেয়া উচিত কিনা তার এ্যসিসমেন্ট করে নিন আগে !!!!

বিদেশ থেকে মাস খানেকের জন্য যারা দেশে যায় তাদের ড্রেসআপ-গেটআপ, দু'হাতে টাকা উড়ানো বা সম্পত্তি কেনার ভাব দেখে দেশের সকলেই মনে করে বিদেশ মানেই টাকার খনি... তাইতো পঙ্গপালের মতো সবাই ছুটছে বিদেশের পানে.........। কিন্তু বাস্তবতা আর আপনার চিন্তার মধ্যে বিশাল ব্যবধান, একমাত্র দেশের বাইরে স্যাটেল হতে গেলেই বুঝতে পারবেন বাস্তবতা......কত ধানে কত চাল। প্রতিটি ডলার সেইভ করতে কি অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয় তা এখানে আসলেই একমাত্র হাড়ে হাড়ে টের পাবেন। তাই আমার এ লিখার অবতারনা..... কিছু বাস্তব চিত্রের ধারনা দেবার চেস্টা মাত্র।

বি:দ্র: আমি সবসময় সবকিছুতে পজিটিভলি নিতে পছন্দ করি........ গ্লাসের অর্ধেক খালি অংশ আমি কখনই দেখি না, ভরাটুকুতেই বিশ্বাস করি। আমরা অনেক কষ্টসহিস্নু জাতি, কিভাবে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয় আমরা ভালোভাবেই জানি। তারপরও এ লিখা এবং যথারীতি ঘরের খেয়ে বনের বাঘ তাড়ানো আবারো ব্যার্থ চেস্টা।

নীচের কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন ও নিজেকে যাচাই করেন, তাহলেই বুঝবেন আপনি এখানে সার্ভাইবের উপযুক্ত কিনা। ).......... চলুন আসা যাক আসল কথায়!!!!!!

১) দেশে আপনি যা আয় করেন ত কি খেয়ে পড়ে কি কিছু সেভিংস করতে পারছেন? তাহলে আসার কোনই দরকার নাই... দেশে থাকেন। যা আয় করেন মা-বাবা ভাই-বোনকে নিয়ে থাকার চেয়ে শান্তি কোথাও পাবেন না।

২) যারা মনে করেন বিদেশের আকাশে বাতাসে ডলার উড়ে তারা দয়া কইরা আইসেন না। কারন এখানে ডলার উড়ে বাট সেটা এতো উপ্রে যে এতো লম্বা মই জোগার করার ধৈর্য্য আপনার না ও থাকতে পারে। আর দুই নাম্বারি উপায়ে মই জোগাড়ের কোনই ব্যবস্থা কানাডায় নেই, একটা একটা স্টেপ করেই আপনাকে আগাতে হবে। বুদ্ধি আর ভাগ্যের জোর থাকলে একটু আগে হবে নতুবা একটু পরে কিন্তু হবে এটা নিশ্চিত।

৩) দেশে আপনি কেউকাটা ডন.. আপনার কথায় পুলিশ বাহিনী উঠাবসা করে এবং আপনার নিজস্ব মাস্তান বাহিনী দিয়ে দিনকে রাত করতে পারেন। তাহলে আপনি ভুলে ও আসবেন না..... আপনি দেশের রাজা, দেশেই থাকেন.....আপনার জন্য কানাডা না।

৪) আপনি সরকারী দলে মাঝারি গোছের নেতা। টেন্ডার বা জমি দখলে বেশ আধিপত্ব আছে। এবং ভবিষ্যতে দলের শীর্ষ পদ পাবার সম্ভাবনাও আছে..... তাহলে আপনার আসার কোন দরকার নেই। দেশেই থাকেন... আর দখলের রাজনীতি চালিয়ে যান আর দলের শীর্ষ পদ দখল করেন...... ।

৫) যারা ধর্ষনকে অধিকার মনে করে বা মেয়েদের ওড়নার এদিক সেদিক হলেই ড্রেসআপ ও খোলামেলা চালচলনকে ধর্ষনের কারন ভাবে... একলা কোন মেয়েকে দেখলেই নিজের প্রেমিকা ভেবে বসে.... তারা ভুলে ও কানাডায় পা দিবেন না। কারন এখানে ধর্ষনে সেঞ্চুরীতো দূরে থাক চোখের দৃস্টিও আইনের আওতায়। এছাড়া ও চারপাশে হাফ প্যান্ট ও বুক খোলা ড্রেস পরা মেয়েই বেশী, এমন কি আপনার সামনেই গেন্জি পাল্টাচ্ছে এমন দৃশ্যও দেখবেন মাঝে সাজে অথবা যেখানে সেখানে জড়িয়ে ধরে চুম্বনরত কপত-কপতীকে সহজেই খুজেঁ পাবেন ..... এবং এসব দেখে আপনার চোখ সহ্য না ও করতে পারে বা হার্ট এ্যাটাক হলেও হতে পারে। তাই তাদেরকে বলছি, এখানে এসে ধরা খেতে না চাইলে দেশেই থাকেন।

৬) যারা কঠিন আড্ডাবাজ..... বন্ধুবিহীন জীবন যাদের অন্ধ.... তারা আবার ভাবেন। বন্ধু পাবেন বাট সব কিছুর চাপে আড্ডা দেবার সময় খুব কম পাবেন। কারন এখানকার লাইফ স্টাইলে আড্ডা আছে তবে তা সিডিউল মেইনটেইন করে.... অবিরাম আড্ডা নেই।

৭) যারা স্কিল মাইগ্রেশানে এপ্লাই কইরাই ভাবেন আপনারেই খুঁজতাছে কানাডা সরকার তাইলে আইসেন না কারন কানাডা সরকার আপনারে আইনাই খালাশ চাকরী দেবার দায়িত্ব তাদের না... ওইটা একান্তই আপনার দায়িত্ব। এবং আপনারেই খুঁজে বের করতে হবে আপনার উপযোগী চাকরী। কাজেই ভাবেন আবার..... এখানে আপনার ফিল্ড এর জব পাবার সম্ভাবনা ১%। তারউপর আপনাকে কম্পিট করতে হবে সারা বিশ্বের বাঘা বাঘা স্কিলড্ লোকদের সাথে কারন কানাডায় শুধু বাংলাদেশই না অন্যান্য সব দেশ থেকেই মাইগ্রেট করে। আর কানাডিয়ান ডিগ্রি ও এক্সপেরিয়েন্স ছাড়া জব পাবার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। তারউপর আছে টিনের চশমা পড়া ইন্ডিয়া বা চায়নার নিজস্ব কমিউনিটি ও স্বজনপ্রীতি !!! মানে স্বজাতির কেউ একজায়গায় ঢুকলে মোটামুটি জ্ঞাতী-অজ্ঞাতী ভাই-ব্রাদার সবাইরে নিয়া আসে তাই ওদের ওই কমিউনিটির সাথে কম্পিট করে টিকে থাকা কঠিনতম কাজ।

৮) অড জবকে এখানে আদর করে এখানে বলে সার্ভাইবাল জব.... নতুন অবস্থায় জীবনের তাগিদে টিকে থাকার জন্য এ সার্ভাইবাল জব ছাড়া কোন বিকল্প নেই। অড জব মানে সুপার সপে ক্যাশিয়ারের জব, টিম হর্টন বা অন্য কফি সপে জব (টিম হর্টন কফি সপ এখানে মারাত্বক জনপ্রিয়), ফ্যাক্টরিতে জব, সিকিউরিটি জব বা রেস্টুরেন্টে জব সহ যেকোন মিনিমাম ওয়েজের জব যা সকালে আছে বিকালে নেই। এসবকে সার্ভাইবাল অংশ হিসেবে নিতে হবে নতুবা দেশেই থাকেন, বিদেশে এসে কোন কাজ নাই। ছোটবেলায় বইয়ে পড়ছিলেন সকল কাজই সমান মূল্য, তা এখানে আসলে কি জিনিস প্রাক্টিকেলে বুঝবেন আর কি !!!!

৯) ঘরে বাইরে সব কাজ করার মতো শক্তি ও মানসিকতা থাকতে হবে.. মানে চাকরী করে ও বুয়া বা আব্দুলগিরি করার ধৈর্য্য থাকতে হবে। শারীরিক অনেক কস্ট করতে হবে তবে সেটা সবসময়... আগে পরে বলে মাপ পাবার সুযোগ নেই। কারন কাজের লোকদের উপর জন্ম থেকে ডিপেন্ডডেন্ট আমরা তাই এ বিষয়টা আমাদের বুঝতে অনেক সময় নেয়। আর তা করার মানসিকতা না থাকলে ব্যাগ গোছানো বন্ধ রাখেন.......

১০) যারা ভাবেন দু'দিনেই বিদেশে গাড়ি বাড়ি করবেন তারা আবার ভাবেন.... অবশ্যই এখানে গাড়ি বাড়ি করা সহজ কারন সবই করা যায় মর্টগেজে এ। এবং তা এমন কোন কঠিন কাজ না শুধু দরকার ফিক্সড্ ইনকাম যাতে করে মাসে মাসে লোনের টাকা শোধ দেয়ার পরে ও নিজের সংসার চালানোর টাকা থাকবে। ফিক্সড্ ইনকাম না থাকলে তা করা মানে নিজেকে সমুদ্রে ফেলা। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করি.......

আমার এক পরিচিত সিংগাপুরে খুব ভালো জব ছিল ইন্জিনিয়ার মানুষ, ফ্লাট ছিল গাড়ি ছিল... আয়েশি জীবন ছিল। সব বিক্রি করে কানাডায় এসই বাড়ি কিনে মর্টগেজে। প্রাথমিক বুকিং মানি দেয়ার পর মাসিক ইনস্টলমেন্ট এ চুক্তি। তারপর কি ভেবে তারা এক দালারের খপ্পরে পড়লো... দালাল তাদের লোভ দেখালো আরেকটা বাড়ি বুকিং দিয়ে এ বাড়িটার বিক্রি করলে অনেক লাভ পাবে। যথারীতি তাদের শেষ সম্বল ৪০ হাজার ডলার দিয়ে বাড়ি বুকিং দিয়ে বসে আছে। তারপর আগের বাড়ি বিক্রিও করতে পারে না নতুনটা কিনতে ও পারে না। যথারীতি বুকিং দেয়া বাড়ির মালিক মাস খানেক পর কেস করে দিলো ও হিউজ পেনাল্টি চার্জ করলো। বেচারার এমন অবস্থা এখন যে উকিলের ফি বা বাড়ির লোনতো দূরে থাক, ভাত খাবার পয়সা ও নেই। স্যোসাল ও খেতে পারবে না কারন তার বাড়ি আছে.... মোটামুটি দেউলিয়া। তো যা বলছিলাম, ধৈর্য্য ধরার মানসিকতা থাকতে হবে। এখানে খুব কমন বিষয় বাড়ি গাড়ি কিনে মর্টগেজের বিল দিতে যেয়ে বাসার সবাই বউ ছেলে মেয়ে ফ্যাক্টরি জবে ঢুকেছে.... আর কর্তা মহোদয় ৯টা ৫টা অফিসের পর অড জব করে... ট্যাক্সি চালায় বা ফ্যাক্টরি জবে ঢুকেছে। পুরো জীবনটা ফ্যাক্টরি জবে বাঁধা পড়ে যায় এমন কি কখনো কখনো পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের চেহারা ও দেখতে পায় না। যাহোক সেটা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার...... বেশি বুঝা পাবলিক থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই মঙ্গল...........।

১১) হাঁ ধৈর্য্য ধরার মানসিকতা থাকতে হবে অবশ্যই প্রতিটি ক্ষেত্রে কারন আপনাকে এখানে জীবন নতুন করে শুরু করতে হবে। যে জীবন এখানে শুরু করবেন তা সত্যিই প্রথম থেকে তাই ধৈর্য্য হারানো যাবে না। দেশে যা করেছেন তা দেশের বাইরে মূল্যায়নের চিন্তা না করাই ভালো.... আর যদি ভাবেন দেশে আপনি কেউকেটা ছিলেন এখানে ও আসা মাত্রই কিছু হয়ে যাবেন তাহলে দয়া কইরা আইসেন না... দেশেই থাকেন।

১২) যারা প্রফেশনাল জবে আছেন দেশে বিশেষ করে ডাক্তার ভাই-বোনেরা, আপনারা আসার আগে ৭ বার ভাবেন। এখানে প্রফেশনাল জব করতে গেলে লাইসেন্স লাগে। শুধু ডাক্তার না.. টিচার এমন কি পার্লারের কর্মী থেকে শুরু করে সবারই লাইসেন্স লাগে, লাইসেন্স ছাড়া জব পাবার কোন উপায় নাই। আর লাইসেন্স এর জন্য কানাডিয়ান পড়াশুনা বাধ্যতামূলক। আমাদের দেশীয় ডিগ্রির ভ্যালু খুবই কম। তাই প্রথম থেকেই পড়া শুরু করতে হবে। আপনি ধরে নেন নিজের প্রফেশন ধরে রাখতে চাইলে নতুন করে আবার জীবন শুরু করতে হবে.....আর মেডিকেল প্রফেশন এখানে অনেক অনেক টাফ........ সেটা করার জন্য অসীম ধৈর্য্য দরকার। আর সেটা না থাকলে এ প্রফেশনে আসতে পারবেন না....! এখানে অনেক ডাক্তার ব্যাংক বা অন্য কোথাও জব করে কারন..... কারন খুবই কস্টকর এখানকার মেডিকেল পড়াশুনা।

১৩) এবার আসেন আসল কথায়, আপনারা কি জানেন কতজন দেশী ভাই বা ভাবীরা এখানে এসে প্রচন্ড হতাশায় ডিভোর্স অথবা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কারন দেশে যেভাবেই থাকি মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে কম-বেশী সুখে দুখে থাকি। এখানে প্রথম এসে আত্মীয়-স্বজনহীন পরিবেশে এরকম আপন কাউকে সহজে পাওয়া যায় না। তার উপর এসে দেখে চাকরীর বাজার ভয়াবহ, আপনার এতো বছরের অভিজ্ঞতা কোন কাজেই আসছে না, কানাডিয়ান এডুকেশান ছাড়া কোন এপ্লিকেশান এক্সেপ্টই করে না। দেশে যা টাকা পয়সা এনেছেন তা দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে, বাধ্য হয়ে ওড জবে ঢুকছেন। যে ভাবী জীবনভর স্বামীর টাকায় চলেছেন, বাসায় দু'জন কাজের লোক সব কিছু টেক-কেয়ার করছিল আর নিজে শপিং মলে ঘুরে স্বামীর টাকায় লেটেস্ট ডিজাইনের ড্রেস কিনেছেন তার জন্য এখানকার জীবন খুবই কঠিন। এসেই শুরু হয় কঠিন বাস্তবতা.....তখনই শুরু হয় মারাত্বক হতাশা। বুয়া, সুইপার, বাজার, ক্লিনার সবই আপনি.... কেউই আপনাকে এসব কাজ করে দিবে না। যত রাতেই বাসায় ফিরেন তা আপনাকেই করতে হবে, কোন বিকল্প নেই। সবচেয়ে বড় বিষয় বাংলাদেশী স্বামীরা কখনই এসব ঘরের কাজকে কাজ মনে করে না কারন তারা জন্ম থেকেই জানে এসব কাজ মেয়েদের। মা বোন বউ বা কাজের লোক এসব কাজ করে এসেছে। তাই ঘরের কাজে স্ত্রীকে কোন সাহায্য করার কথা চিন্তা ও করে না। তার উপর আরো সমস্যা, মার্কেটে যে জব আছে তা এখানে মেয়েদেরই প্রেফারেন্স বেশী এর কারনে ভাইদের চেয়ে ভাবীরাই আগে জব পেয়ে যায়। একদিকে দেশের আরামের লাইফ ছেড়ে এতাে কঠিন সংগ্রামের লাইফ আরেকদিকে জীবনভর জব করেনি বাট এখানে করতে বাধ্য হচ্ছে । সবমিলিয়ে মারাত্বক হতাশায় ডুবে যায় ভাবীরা। আর সংসার জীবনে ভাইরাতো সে হতাশা ভাবীদের উপর ঝাড়ে বাট ভাবীরা ঝাড়ি দেবার কাউকে পায় নাসহজে। এমন কি আপনা কেউই থাকে না যার সাথে শেয়ার করা যায়। দেশে বাবা-মাকে ও বলতে পারে না কারন সবাই বিশাল আশা নিয়ে বসে থাকে, সে আশা ভঙ্গ করতে চায় ও না। তারপর শুরু হয় সত্যিকারের জীবনের টানাপোড়া ।......... তাই আসার আগে এসব কেউ বলবে না, শুধু স্বপ্নের কথা বলবে...... জীবনের এ বাস্তবতা মানার মতো মানসিকতা না থাকলে না আসাই ভালো।

যাহোক আপনাদের ভয় দেখাচ্ছি না, সম্পূর্ন আমার দৃষ্টিতে বাস্তবতা বলার চেস্টা করছি। তবে যারা এখানে আসে তারা এক সময় না এক সময় প্রতিষ্ঠিত হয় কিন্তু প্রথমের এ কস্টটাই যা সহ্য করতে হয়। যারা এ কস্ট সহ্য করে এ জীবন সহজে মানিয়ে নেয়ার চেস্টা করেছে তারা খুব সহজেই প্রতিস্ঠিত হতে পেরেছে..... তাই বলি কস্টতো করতেই হবে তাই শুধু শুধু হতাশা বাড়িয়ে লাভ কি......... আসতে চাইলে নিজেকে সব কিছু মানিয়ে নেয়ার মানসিকতা নিয়ে আসুন....!!!

দিল্লিকা লাড্ডু খেলেও পস্তাবেন, না খেলেও পস্তাবেন তাই খেয়েই পস্তানো ভালো তাই না :P

আজ এ পর্যন্ত ........ ভালো থাকেন !!!!!!!!


আগের লোভদেখানো পর্ব, যদি পড়তে চান।
কানাডায় সামুর সিন্ডিকেট.............. কেন কানাডা আইবেন !!! B-)) ;) B:-) ...
কানাডায় আসার সহজ পথ ........ তরল, কঠিন কিংবা বায়বীয় B:-) ... পর্ব:২

মন্তব্য ১২৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (১২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২০

জুন বলেছেন: আগের লোভ দেখানো পর্ব পরে ব্যাগ ব্যাগেজ গুছাচ্ছিলাম সোহানী :) যারা মনে করেন বিদেশের আকাশে বাতাসে ডলার উড়ে তারা দয়া কইরা আইসেন না। কারন এখানে ডলার উড়ে বাট সেটা এতো উপ্রে যে এতো লম্বা মই জোগার করার ধৈর্য্য আপনার না ও থাকতে পারে। কিন্ত এই পর্ব পড়ে দেখি আবার সব বের করে আলমারীতে ঢুকাতে হবে :-/
যাই তাড়াতাড়ি বিক্রয় ডট কম থেকে ফার্নিচার বিক্রীর বিজ্ঞাপনটা সরিয়ে দেই #:-S
ভালোই লিখেছেন । এই লেখা পড়ে অর্ধেক মানুষ হতাশ হৈবে B-) ;)
১ নং +

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা জুনাপু........... আসলেই কিছু মানুষকে হতাশ করবেই। তারপরও সত্য কথাটা কানে কানে বলি, সত্যিই অনেক ভালো আছি। কিছু লাগবে না শুধু যদি আইনের শাসন আন সামাজিক নিরাপত্তা থাকতো, দেশের ৮০ ভাগই চাইতো না বিদেশে আসার কথা।

আরে আপনিতো আগেই সবকিছু আলমারিতে রেখেছেন তবে থাই আলমারিতে ;) আর বিক্রয় ডট কম থেকে ফার্নিচার বিক্রীর বিজ্ঞাপনটা সরাবেন না কারন আপনার এসব ফার্নিচার আমার লাগবে। আপনি আরো আধুনিক ফার্নিচার কিনে নেন....

সাথে থাকার জন্য ও প্রথম মন্তব্য ও + এর জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়.........

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: তাও মানুষ বিদেশে যায়। বিদেশ যাওয়া কখনোই থামবে না।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

সোহানী বলেছেন: না থামবে না যতদিন পর্যন্ত দেশে আইনের শাসন আর সামাজিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত না হবে........

ভালো থাকুন।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: Thanks

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

সোহানী বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: ভাল পোস্ট। আপনি অনেক কিছুই উল্লেখ করেছেন। তবে ফেসবুকের কল্যানে কানাডায় যাবার বিপক্ষে আরেকটা ভীতিকর কারন দেখতে পাচ্ছি সেখানকার আবহাওয়া। ছয় মাস ধরে বরফ পড়ার ছবি এবং সে সময়কার অভিজ্ঞতা ফেসবুকে শেয়ার করছে বহু বাংলাদেশী যারা অনেকেই কানাডায় বেশ ভাল ও শক্ত অবস্থানে আছে। ছয় ঋতুর বৈচিত্রময় আবহাওয়ায় বড় হওয়া এই আমাদের জন্য বৈরী আবহাওয়াটাও একটা বিড়াট চ্যলেঞ্জ। খোদ কানাডায় জন্ম নেওয়া ও বড় হওয়া বহু কানাডিয়ান এই বৈরী আবহাওয়া থেকে বাঁচতে অন্য দেশে বসবাস করছে। তাই এই বিষয়টাও মাথার মধ্যে রাখা উচিৎ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

সোহানী বলেছেন: যদি সত্য বলি তাহলে বলবো বাইরের থেকে যতটা ভীতিকর মনে হয় কানাডার আবহাওয়া সত্যিকারে ততটা না। তবে তা নির্ভর করছে আপনি কোন প্রভিন্স এ আছেন। ওন্টারিও, কুইবেক, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় অতটা ঠান্ডা নয় বা তা সহনীয়। তবে বরফের মধ্যে বাস করার যে মজা সেটার কিন্তু তুলনা হয় না। যখন বরফ পড়ে তখন অতটা ঠান্ডা লাগে না। তারউপর কানাডার সিস্টেম এমন যে, বরফ পড়ার ৫ মিনিটের মধ্যে সব পরিস্কার। রাম্তায় হাটতে বা গাড়ি চালাতে কোন সমস্যা হয় না।

তবে বৈরী আবহাওয়া থেকে বাঁচতে বহু কানাডিয়ান অন্য দেশে বসবাস করছে, এটা খুব বিশ্বাস করলাম না। কারন তারা কি পরিমান এনজয় করে তা সামনা সামনি না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। হলে ও হতে পারে ......

ভালো থাকেন নিরাপদ দেশ চাই।

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ধুর, যামুনা.... মনডা দিলেন ভাইঙ্গা..... কত শখ ছিল... বরফের কুচিতে বইসা জোশ জোশ পোজে ছবি তুলমু। আপ্নে হইতে দিলেন না। আফসোস...



এহন শেষ ভরসা দার্জিলিং.... পোষ্টে ডিজলাইক...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

সোহানী বলেছেন: আরে নাহ নাহ আমি একটুখানি শুধু ভয় দেখাইলাম যাতে আপনি না আবার প্রেসিডেন্ট পোস্টের জন্য আমার সাথে কম্পিট করেন... ওই যে বললাম না একটা সিন্ডিকেট করবো.........

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে দেশে কাজ কাম থাকলে মানুষ এই গনহারে বিদেশে যেত না। দেশে কর্মসংস্থান নেই-এটাই মানুষের বিদেশে যাওয়ার প্রধান কারণ।

তারপরেও আপনার এই পোস্টে যে বিষয়গুলোর অবতারনা করেছেন, সেগুলো অবজ্ঞা করে বিদেশে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। শুধু কানাডা নয়, ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশের প্রায় সব দেশের জন্যেই এই বিষয়গুলো কম বেশি প্রযোজ্য।

ধন্যবাদ বোন সোহানী।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

সোহানী বলেছেন: সত্যিই হেনা ভাই, দেশে কর্মসংস্থান নেই-এটাই মানুষের বিদেশে যাওয়ার প্রধান কারণ। সাথে আছে দূর্বল আইনের শাসন আর সামাজিক অস্থিরতা। এগুলা চেক দেন দেখবেন ৮০ ভাগই আসতে চাইবে না।

আসলে হেনা ভাই, এখনকার বাস্তবতা দেশের মতো না। আমি সামনে থেকে এসব দেখে খারাপ লাগে তাই লিখলাম।

অনেক ভালো থাকেন।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: দিলেন তো উস্কানো আগুনে কানাডিয়ান হিম বরফকুচি ঢেলে... :P

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা আমার কাজইতো তাই, আখেনাটেন .......

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমার পরিবারের একজন দেশ থেকে MBBS পাশ করে কানাডাতে রাত দিন এক কইরা জীবনরে তামা বানাইয়া MD ডিগ্রি পেয়ে এখন ভলেন্ট্রারী জব করতাছে। চাকরী পায় না। আর দেশে আমার কাজিনরা IPGMR থেকে FCPS করে ধুমাইয়া কামাইতাছে আর মৌজ করতাছে। হে হে হে।

খুব ভাল লিখেছেন সোহানী।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহ এক কথায় আসল কথাটা বলে দিলেন শুভ_ঢাকা।

এখানে মেডিকেল পড়া বা রেসিডেন্সি পাওয়া যা কঠিন কাজ তা মোটামুটি ডিঙ্গি নৈাকায় সমুদ্র পাড়ি দেয়া...... তারউপর ব্রাউন চামড়া+ইংলিশের দৈাড়ে অনেক পিছিয়ে আমরা.....

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেশে ভালই আছি ।ধন্যবাদ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

সোহানী বলেছেন: হাঁ দেশে ভালো থাকলে এখানে আসার কোন দরকার নেই.........

অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এদেশের মাটিতেই শেষ নিঃশ্বাস ছেড়ে যেতে চাই। দোআ কইরেন

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সোহানী বলেছেন: অবশ্যই.... দেশের মাটির মতো এতো শান্তির জায়গা কোথায় আছে বলেন.....

ভালো থাকেন নয়ন আর নতুন কি গান বাধঁলেন?

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: কানাডার মায়রে বাপ। দেশেই বেশ ভালো আছি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: হাঁ দেশে ভালো থাকলে কানাডা আসার কোন দরকার নেই রাজীব নুর...............

১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

যূথচ্যুত বলেছেন: প্রবাসীদের নিয়ে একটা স্যাটায়ার লিখব ভাবচি :P

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

সোহানী বলেছেন: লিখেন যূথচ্যুত । যত লিখবেন তত মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরী হবে।

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: হুম্মম !! আই বিদ্যাশ যাইতাম না।

এই জন্যই মধ্যযুগের অন্যতম কবি আবদুল হাকিম বলেছিলেন,

দেশি ভাষা বিদ্যা যার মন ন জুড়ায়,
নিজ দ্যাশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়?



দেশি ভাষা বিদ্যা নিয়ে অনেক তুষ্ট আছি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৬

সোহানী বলেছেন: গুড তাহলে এ লিখা আপনার জন্য অনিক...... আগেরগুলো না।

দেশি ভাষা বিদ্যা নিয়ে তুষ্ট থাকেন আর নতুন নতুন কবিতা লিখেন।

১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কোলড বলেছেন: Canadian government is pulling a biggest fraud on gullible emigrants. The size of Canadian economy simply can NOT accommodate this steady supply of skilled professionals resulting in highest number cab drivers with PhD.

Also, the specialized skilled trade like welding/machinist/HVAC technicians have a huge demand and pay very good salary but none of the immigrants esp from south Asia has those skill sets.

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪

সোহানী বলেছেন: true! Actually Canadian government intentionally did it. তারা জানে ইউএস এ কিভাবে ধরা খেয়েছে অশিক্ষিত মাইগ্রেন্টদের এনে। তা থেকেই এরা শিক্ষা নিয়েছে।

১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: আমার ক্লাসের একটা মেয়ে বুয়েটের এক ছেলেকে বিয়ে করে আমেরিকায় চলে যায়। কথা ছিল সেখানে দুজনে মাস্টার্স শেষ করবে। কিন্তু আর হয়ে ওঠেনি। এখন জামাই ট্যাক্সি চালায় আর সে দোকানে ক্যাশিয়ারের কাজ করে। অথচ তার সিজিপিএ আমার চাইতে ভালো। দেশে থাকলে সহজেই ভালো একটা চাকরি পেতে পারত। সে এখন বলে খুব মেধাবী বা ধনী না হলে কেউ যেন আমেরিকা পড়তে না যায়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১২

সোহানী বলেছেন: খুব কমন জীবন আমেরিকা বা কানাডার জন্য। কারন যে পরিশ্রম আর ধৈর্য্য লাগে এখানে পড়ার জন্য তা এখানে আসলে অনেকেরই থাকে না। কারন পড়ার পাশাপাশি বাকি কাজ নিজেকেই করতে হয়.......

১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কঠিন বাস্তবতার পোস্ট।
জীবন এতো সহজ নয়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৩

সোহানী বলেছেন: সত্যিই জীবন এতো সহজ নয়। সেটা দেশে হোক আর বিদেশ হোক...........

১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

তানভির জুমার বলেছেন: আমার নেটিভ কানাডিয়ান একটা মহিলা ক্লাইন্ট আছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ওকানাগান শহরে থাকে । অসম্ভব ভদ্র একজন মানুষ।
অনেক সুন্দর করে কথা বলে স্কাইপিতে যখন কথা বলি বাংলাদেশ সম্পর্কে দেখি অনেক কিছুই জানে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৫

সোহানী বলেছেন: প্রথমত: নেটিভ কানাডিয়ান অসম্ভব ভদ্র। কানাডার বেশীরভাগ অপরাধই করে ইমিগ্রান্টরা। আর ইমিগ্রান্টদের কল্যাণে কানাডিয়ানরা আমাদের সম্পর্কে ভালোই খবর রাখে।

১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,



উইটি একটি লেখা । সবদিক বিবেচনায় এনেছেন । বলেছেন আড্ডার ঢংয়ে । রঙ্গ রসে ভরা । এটা পাঠকের ভালো লাগবে ,
আবার তেমন পাঠককে ভাবনার সুযোগ করে দেবে ।

এতো কিছু সামলেও এই যে চনমনে একটা মন বজায় রেখেছেন সেটা দেখে ভালো লাগলো ।
ভালো থাকুন সতত । থাকুন, এমন চনমনে একটা মন নিয়ে প্রানখোলা হাসির নিত্যতায় ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:১৭

সোহানী বলেছেন: জী ভাই, চনমনে মনটাই যা ভরসা... বেচেঁ থাকার প্রধান রসদ। ওটা ফুরিয়ে যাওয়া মানেই সব শেষ। কত বছর বাঁচলাম সেটা বড় কথা নয় কতটা আনন্দ নিয়ে বাঁচলাম সেটাই আসল কথা। কারন নিরানন্দ জীবনের মতো বোঝা মনে হয় কিছু নেই। তাই সবাইকে বলি গেট ফান, বি হ্যাপি.....নগদ যা আছে কুড়িয়ে নাও, ভবিষ্যতের চিন্তা বেশী করলে বর্তমানকেই হারাতে হবে। আর সিরিয়াস মুক নিয়ে জীবন চালালে কুড়িতেই বুড়ি হয়ে যেতে হবে।

আর সামুতে ঢুকা একটা নেশার মতো, বেশীক্ষন বাইরে থাকা যায় ঝামেলাই থাকুক.... যত ঝ। মনে হয় জীভাই কি নতুন কোন গভেষনা দিল নাকি আলী ভাই নতুন কি নিয়ে এলো... বা জুনাপু আবার কোথায় গেল অথবা প্রামানিক ভাই নতুন কোন সমস্যায় পড়লো কিংবা হেনা ভাই ও ছাই ভাই নতুন কি রিপোস্ট দিল অথবা গাজি ভাই কোন ক্যাচাল লাগালো...... এরকম অনেকের লিখার জন্য অপেক্ষা করি।

ভালোবাসেন বলে যেকোন অখাদ্য লিখাই ভালো লাগে.............

ভালো থাকেন সবসময়।

১৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: বিমানে উঠলে আমার মাথা ঘুরায়, তাই কোনদিন কানাডায় আমার যাওয়া হবে না । :P আর যারা যাবেন তাদের জন্য লেখাটা কাজে দিবে । !:#P



আপনার এ পোষ্ট পড়ে একটা আমার লাইক ছিল তা রেখে গেলাম,

ধন্যবাদ, ভালো থাকুন আপু ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:১৮

সোহানী বলেছেন: বলেন কি বিমান ভ্রমণ আমার সবচেয়ে প্রিয়....... সবার মাথার উপর ছড়ি ঘুরানো যায়....হাহাহাহাহা

অনেক ধন্যবাদ কবীর ভাই।

২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৫

কেএসরথি বলেছেন: একদম সত্যি কথা!

সিস্টেমের লাইফ চাইলে বসবাসের জন্য কানাডা ভালো একটি দেশ - ওদিক থেকে দেখলে পৃথিবীর অনেক দেশেই এইরকম (ইউরোপের বড় বড় দেশগুলো)।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২০

সোহানী বলেছেন: আরে রথি ভাই, কই আপনি?? আপনার না কানাডা সিরিজ লিখার কথা, এক পর্ব লিখে কই গেলেন।

কেমন চলছে জীবন?

২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ১৫ নং কমেন্ট পড়ে খুব হাসি পাইল। :D

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৩

সোহানী বলেছেন: কিন্তু কথা হলো এটাই বাস্তবতা কানাডা বা আম্রিকার জীবনের.........

২২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দিল্লিকা লাড্ডু খেলেও পস্তাবেন, না খেলেও পস্তাবেন তাই খেয়েই পস্তানো ভালো।

সহমত ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৩

সোহানী বলেছেন: জ্বী কবি ভাই, সেটাইতো বলতে চাই............

২৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট ।
ভাগ্য ভাল অসুবিধার কথাগুলি বলে
ইচ্চূকদেরকে বিষয়গুলি ভাল করে
যাচাই করে নিতে বলেছেন ।

কবি গুরুর ভাষায় বলেন নাই যে
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।

বরং কবি গুরুর কথার মতই বলেছেন
যেয়ো যেথা যেতে চাও,
যারে খুশি তারে দাও,
শুধু তুমি নিয়ে যাও
ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কূলেতে এসে।


অনেকের জন্য পোষ্ট টি উপকারে আসবে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩

সোহানী বলেছেন: ওরে বাপরে, কোথা থেকে কোথা নিয়ে এলেন। আমার এ গাঁজাখুড়ি পোস্টে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথকে হাজির করলেন....

মনে হচ্ছে আপনার নেক্সস্ট পোস্ট রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ...........। অপেক্ষায় থাকলাম কারন আপনার পোস্ট মানে নুতন কিছু জানা।

অনেক ভালো থাকেন.........

২৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: আহারে, সবার লোভ জাগিয়ে শেষে পানি ঢেলে দিলেন আপু B-)
যারা মনে করে বিদেশ মানেই স্বর্গ তাদের উপকারে আসবে।
ভালো লাগল লেখাটি.....

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা পানি ঢাললাম কই, পানি মাপার য্ন্ত্র নিতে বললাম নতুবা শেষে বেশি পানিতে ঢুবে যাবে যে........

অনেক অনেক ভালো থাকেন সায়মা।

২৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:১১

কেএসরথি বলেছেন: জি এইতো যাচ্ছে দিনকাল। অনেক দিন ধরে হুম-হাম করে শেষ পর্যন্ত ক্লাসে ঢুকে গেলাম। অফিস এ্যাডমিন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪০

সোহানী বলেছেন: খুবই ভালো করেছেন কারন নতুবা জব মার্কেটে ঢুকতে কাঠ খড় পোড়াতে হবে। যেখানে যে নিয়ম...... গর্ভমেন্ট সাইটগুলোতে এ্যাপ্লাই শুরু করে দেন। অনলাইন রেজিস্ট্রেশান করে সিভি আপলোড করে রাখেন সাথে জব এ্যালার্ট ও সেট করে রাখেন। কাজে লাগবে........

২৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৭

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: এর পূর্বের পর্ব + আমরা ব্যাক্তিগত চিন্তা থেকেও ভাবতাম একসময় কানাডায় সেটেলের জন্য এপ্লাই করব। এই পোস্ট পড়ে তো অন্য ভাবনা...............

যাই হোক আপনার আর্কষনীয় উপায়ে উপস্থাপন করা পোস্ট, বর্ণনা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার খুবই ভাল লাগল।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আজাদ ভাই।

তবে আমি কিন্তু ভয় দিচ্ছি না, শুধু বাস্তবতার ধারনা দিচ্ছি। কিন্তু এটা সত্য যে আমরা খুবই ভালো আছি অন্তত দেশের অস্থিরতা থেকে বেচেঁ আছি।

২৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেহেন দি কল্লেন কি???
জুনাপুর মতো কতজনের একই হাল করে দিলেন???

হুম। স্বপ্নের আগে বাস্তবতার প্রকৃত ধারনা বেশী জরুরী। কষ্ট কম হবে।

শুধু আইনের শাসন আর সামাজিক নিরাপত্তা দিলে আসলেই গাইতে হতো
এমন দেশটি কোথাো খুঁজে পাবো নাকো তুমি.......

++++

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০১

সোহানী বলেছেন: আরে আমি বেহাল করলাম কই বরং পাৎর সহ হাল ধরিয়ে দিলাম...............

হাঁ স্বপ্নের আগে বাস্তবতার প্রকৃত ধারনা বেশী জরুরী। কষ্ট কম হবে।............ সেই জন্যইতো এতো বকর বকর.....

ভাইরে আইনের শাসন আর সামাজিক নিরাপত্তা নেই বলেইতো দেশের এ অবস্থা। বিশ্বাস করেন এ দুটো ডদি আজকে কঠোর করে কাল থেকে সবাই সোজা হয়ে চলবে..............

২৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: প্রবাসী বাংলাদেশীদের একতা সহজাত প্রবতা যে তারা যে দেশে থাকে সেই দেশের ১০০% ভাল। ছয় মাসের ওপড় প্রখর ঠান্দা থাকলেও তা অত্যন্ত দারুন কিন্তু নিজ দেশে দুই দিন অধিক ঠান্দা বা গরম পড়লে তা অসহ্য।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

সোহানী বলেছেন: আপনি যদি তথ্য উপাত্ত ছাড়া গড়পড়তা ডিসিশান দিয়ে দেন প্রবাসীদের নিয়ে তাহলে তো বলার কিছু নেই। সবতো আপনি একাই বলে ফেললেন।

২৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সোহানী আপু বুঝলুম বিদেশ অনেক কষ্টের জায়গা।
তবুও মাঝে মাঝে বিদেশ যেতে মন চাই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

সোহানী বলেছেন: কস্টের জায়গা তারপরও শান্তি আছে।

চলে আসেন...............

৩০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

শায়মা বলেছেন: হাজার লোভ দেখালেও আমি নাই বৈদেশে!!!!!! :)


ও আমার দেশের মাটি.....
তোমার পরে ঠেকাই মাথা!!!!!!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

সোহানী বলেছেন: লোভ দেখালাম কোথায় বরং আসতে মানা করলাম না আসতে........

৩১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

নিজের স্টাইলে একটি সত্যিকার প্রয়োজনীয় পোস্ট দিয়েছেন, সোহানী! এবিষয়ে আপনার আগের লেখাগুলো পড়ে ভেবেছিলাম, হয়তো আরও নির্দিষ্ট কিছু বলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভালো লেগেছে।

আমি কখনও বিদেশে যাবার পক্ষপাতি ছিলাম না। এখনও নই। কিন্তু দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে অন্যদের চাহিদাটুকু বোঝার চেষ্টা করি। তাই, যারাই যায় বা যেতে চাচ্ছে, তারা ভালোমন্দ বুঝেই যাওয়া উচিত। আপনার লেখাটি অনেকাংশে সাহায্য করবে।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন :)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

আসলে দেশ থেকে যেভাবে সবাই সাগরে ঝাঁপ দিয়ে বিদেশ আসতে চায় তাদরকে একটু সতর্ক বার্তা দেয়ার চেস্টা করছি মাত্র কারন আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি দেশের বাইরে থেকে কেউই সত্য কথা বলে না বা বললে ও দেশের কেউই বিশ্বাস করে না। যেমন, এখন যদি আমার আত্বীয় কেউ আসতে চায় আর অামি যদি তাকে সত্য কথা বলি তখন সে হয়তো বলবে আমি ইর্ষাম্বিত হয়ে তাকে ভয় দেখাচ্ছি। আমি ভালো আছি তাই তার ভালো দেখতে পারি না। কারন দেশে যেয়ে আমরা এমনভাবে চলা ফেরা করি যেন আমরা বিদেশে রাজার হালে থাকি। আমি এখানে না আসলে সত্যিকারের রুপটা দেখতাম না। অনেকবার বিদেশ ভ্রমন করেছি কিন্তু আসল চেহারা কোনকালেই দেখতে পারিনি।

যাহোক কিছু একটা লিখার চেস্টা আর কি!!!! ... ও ভালো কথা, আমার আবার নিজস্ব স্টাইলে!!!! কোন রকমে লিখা আর কি..............

অনেক ভালো থাকেন............

৩২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




চমৎকার সাজেশান । যেমন দেখিয়েছেন স্বপ্ন তেমন দেখিয়েছেন স্ট্রাগল । তাই যারা যেতে চায় তারা সবকিছু আগে থেকেই ব্যালেন্স করে নিতে পারবে ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: হাঁ আগে ধেকে জানা থাকলে সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখা যায় নতুবা ফ্রাস্টেটেড হয়ে যাবে। যেহেতু কেউই সত্য বলে না শুধু স্বপ্নের কথা বলে তাই সত্যটা জানানোর চেস্টা করলাম....

অনেক ভালো থাকেন..............

৩৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন, একেবারে বাস্তবসন্মত কথা। মাগার কথার পরেও কথা আছে। পকেটে লাখ টাকা নিয়ে বেরুবার যো নেই, বাসায় ঘুমালে পরদিন আস্ত থাকব কিনা জানা নেই, বিকেলে পত্রিকা পড়ার সময় একটা দলের মাস্তান ছেলেটি এসে ১ লাখ টাকা ডোনেশন চাইবে কিনা কিসসু জানিনা! তাহলে টরন্টোর রাস্তায় ইট ফেলাটা অনেক আনন্দের মনে হতে পারে, অনেকের কাছে! ধন্যবাদ আপনাকে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৬

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা ঢাকাবাসী ভাই... সেটা আর বলতে। দেশের এখন বর্তমান যা অবস্থা টরন্টোর রাস্তায় ইট ফেলাটা অনেক আনন্দের দেশ থেকে।

আসলে সত্যিই কথার পরেও কথা আছে তাইতো বলেছি আসেন তবে আসার আগে মানসিক প্রস্তুতি নেন। দেশের মতো লাখ টাকার বেতন নেই কিন্তু শান্তি আছে। রাত ১১ টার পরে বাসায় ফিরি লাইব্রেরী ওয়ার্ক করে, কখনোই কেউ মুখের দিকে ও তাকায়নি থাকতো অন্য কিছু। দেশের গয়নাগুলো সারা জীবন ব্যাংকেই ছিল আর এখন রাত দিন পড়ে ঘুরে বেড়াই.... তারপর ও লিখলাম কারন এখানে আসার পর ফ্রাস্টেটেড দেশী ভাই-বোনদের দেখলে খুব মায়া লাগে।

অনেক অনেক ভালো থাকেন।

৩৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

মানিজার বলেছেন: কানাডা মাইগ্রেশনে আপনার কত খরচ হয়েছে ?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৭

সোহানী বলেছেন: এই প্রশ্নটার উত্তর আমার আগের পোস্টে দেয়া আছে। নতুবা কানাডা মাইগ্রেশনে ওয়বসাইটে বিস্তারিত পাবেন।

ভালো থাকুন।

৩৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রতিটা পয়েন্টই পছন্দনীয়।।
আমিও এখানে (কুয়েতে) আসার পরই "লম্ফজম্ফ" করেছিলাম ফেরত যাবার জন্য।। যে ভিসা দিয়েছিল, সে বলেছিলো মামা বাচতে চাইলে, কিছুদিন থাকেন।। মনে পড়ে গেলো এক "বিশেষ" বন্ধুর কথা, বিদেশ তো যাচ্ছিস না, আয়ুটাকে বাড়াচ্ছিস!! আপনার লেখাটি পড়ে (দেরীতে হলেও) প্রকারান্তরে তাই অনুভবে এলো আবার!!
কয়েক বছর আগে ফিরে যেতে চাওয়ায় সেই বন্ধুটিই জানালো, ভাবিসও না, যারা চাঁদা চাইতে আসবে, তাদের পছন্দও হবে না!! অর্থাৎ মন চাইবে না কিন্তু ফলাফল স্বপক্ষেও আসবে না!!
বোধহয় প্রসঙ্গ থেকে চলে এসেছি, অনেক দুরে।।
তবে এটা ঠিক যে, সবাই প্রবসীর অর্থ আর চাকচক্যই দেখে।। দেখে অর্থের বিনিময়ে সব বিকোনো!! মান্নাদের কথায়, কিনেছি সোনার খাঁচা সব বিকিয়ে!! বড় কষ্ট।।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী। আপনার সব কথা ঠিক বুঝতে পারিনি। তারপরও বলি, দেশের যা অবস্থা এবং দিন দিন আরো খারাপ হচ্ছে তা দেখে মনে হয় দেশে বেচেঁ থাকাও এখন বিশাল ফ্যাক্টর।

জনজীবন কি পরিমান অসহ্য এবং দূর্ভোগে ভরা তা মনে পৃথিবীর আর কোথাও নেই.... সিরিয়ার কথা বলা হয় কিন্তু তারা মনে হয় এক দিকে শান্তনা পায় তারা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ.... আর আমরা!!!!! থাক্ বাদ দেন.....

৩৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার মনে হয় যারা দেশে কিছু করতে পারে না তাদেরকে সরকারী ভাবেই আমেরিকা কিংবা কানাডায় পাঠানোর চেষ্টা করা উচিত। ডিভি লটারীর পর তো আমেরিকা যাবার কোন পথ খোলা নেই। শ্রমিক পাঠানোর আলোচনা করা উচিত।

দেশে যত কষ্টে মানুষ বেঁচে আছে সেই পরিমাণ কষ্ট করলে বিদেশে খুব বেশী খারাপ থাকবে না । এটা আমার ধারণা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

সোহানী বলেছেন: দেশে যত কষ্টে মানুষ বেঁচে আছে সেই পরিমাণ কষ্ট করলে বিদেশে খুব বেশী খারাপ থাকবে না ।....... শতভাগ সহমত।

বিদেশে হয়তো পরিশ্রম আছে কিন্তু সে পরিশ্রমের বিনিময় আপনি পাবেন আর দেশে পরিশ্রম এর বিনিময়ে গলা ধাক্কা পাবার সম্ভাবনাই বেশী।

শ্রমিক পাঠানোর আলোচনা তো দূরে থাক সরকার মনে হয় এ নিয়ে চিন্তা ও করে না।

৩৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: বেড়াতে আসিব একবার :) ইউরোপ থেকে ভিসা পাবার সম্ভাবনা আছে আশা করা যায়।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৫

সোহানী বলেছেন: ইউরোপের পার্সপোর্ট থাকলে ভিসা কোন সমস্যা নয়।

আসলে সামারে আসবেন, শীতে আসলে বেশী ঘুরতে পারবেন না বিশেষ করে নায়াগ্রা। কন কনে ঠান্ডায় নায়াগ্রা ভালো লাগবে না।

৩৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০০

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: একটাই দাবী এবং সময়ের দাবী...

এই পোষ্টে আপনাকে মেনশন করে, আমি একটা মন্তব্য করেছিল।সময় করে পড়ার অনুরোধ রইলো ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৪

সোহানী বলেছেন: প্রথমেই দু:খ প্রকাশ করছি আপনাকে নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করার জন্য। মন্তব্যটি মুছে ফেলার জন্য ফাতেমাকে অনুরোধ করেছি।

আজ দশ বছর সামুর সাথে থাকলেও কোন ক্যাচাল পোস্টে মন্তব্য করি না। হাঁ তবে পড়ি। কারন দেশে থাকতে যেমন আমাকে মোটামুটি সময় বিদেশে কাটাতে হতো তেমনি এখন বিদেশে থাকার কারনে দেশের সব নিউজ থেকে দূরে থাকি তাই সামুই সবসময় নির্ভরযোগ্য ছিল আমার কাছে। কারেন্ট নিউজ পেতে হলে এর চেয়ে কোন বিকল্প নেই। দেশের চলমান পত্রিকার উপর কোনকালেই আস্থা ছিল না।

এবার আসি আপনার প্রশ্নে: কোন মাল্টি-নিক কারো ক্ষতি না করলে, সে মাল্টি-নিক নিয়ে কারো মাথা ব্যথার কারণ হয় কিভাবে?

হাঁ ঠিক তাই। তা কারো মাথা ব্যথার কারণ হওয়া উচিত নয়। তবে একজন কিছু লিখবে আবার মাল্টি-নিক নিয়ে সেখানে মন্তব্য করবে সেটা খুব কি ভালো বিষয়?

প্রশ্ন: মডুরা এই ব্লগে চোরদের বাঁচিয়ে রেখেছে।

হয়তো কিছুটা ঠিক। তবে এর পিছনের কারন এটি ফেইসবুকের মতো ব্যবসায়ী প্রতিস্ঠান নয় তাই এর জন্য মডারেটাররা যে সময় দেয় সেটা সম্পূর্ন ব্যাক্তিগত সময় থেকে। তাই এর চেয়ে বেশী দেয়া বা এর চেয়ে বেশী কিছু করা সম্ভবত সম্ভব নয়।

প্রশ্ন: ঐ চুরির ঘটনাগুলো ধরা পড়ে।তখন আপনি কই ছিলেন? তার বিরুদ্ধে তো কোন কথা আপনাকে বলতে দেখিনি।

আবারো বলি আমি ক্যাচাল পোস্ট এড়িয়ে চলি তবে হাঁ আমি পড়েছি ওমেরা, শায়মা, অর্ক, রাবেয়া সবার ক্যাচাল পোস্টই। কেউ যদি ব্লগকে আদালত মনে করে মামলা করতে চায় তা করুক না। তাতে মন্তব্য করতেই হবে কেন?

প্রশ্ন: এবার কাজ শুরু করেন । আপনাকে কাজ দিয়ে দিলাম ।

দু:খিত বাদশা ভাই, কাজ দিলে ও কাজটা নিতে পারছি না। শুধু প্রায়শ্চিত্ব করতে এ লম্বা উত্তর দিলাম এখানে কারন আমি আমার স্বভাববিরুদ্ধ কাজ করেছি একটা ক্যাচাল কথা বলে। নিজের ব্লগে হলে মুছে দিতাম কিন্তু অন্যের ব্লগ বলে কিছু করতে পারছি না। আর হাঁ মন্তব্য মুছে দেয়া আমি এ পর্যন্ত করিনি বা করতে পছন্দ করি না।

ধন্যবাদ অনেক অনেক ভালো থাকেন। হ্যাপি ব্লগিং.....

৩৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৭

প্রামানিক বলেছেন: বিদেশের কথা কি আর বলবো, শুনেছি একজন ডাক্তারী পাশ করে কানাডায় গিয়ে ছোট একটি খাবার হোটেলের ম্যানেজারী করছে। কিন্তু দেশের চাকরীর অবস্থাও ভালো না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

সোহানী বলেছেন: প্রামানিক ভাই, কজন ডাক্তারী পাশ করে কানাডায় গিয়ে ছোট একটি খাবার হোটেলের ম্যানেজারী করে তাহলে বলবো সে খুবই ভালো আছে। কারন ছোট হোক বা বড় হোক ম্যানেজারতো আর বেতন পার আওয়ার অনেক বেশী। আর দেশের কথা কি বলবো বলেন.............. রোহিঙ্গা নিয়ে যত চেঁচাই শিক্ষিত বেকার নিয়ে তার হাজার ভাগের এক ভাগ ও কেউ ভাবে না।

৪০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৮

নতুন বলেছেন: কানাডাতে আমার পরিচিত বেশ কয়েকজন আছে তারা হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে আছে ভালোই আছে। একজন ফিরে এসেছে কাগজ হয়নি বলে।

খুব ঠান্ডা আর অনেক দুরে এবং গিয়ে সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে হবে তাই কখনো যাবার জন্য ভাবিনা।

টেকা জমলে বেড়াইতে যাইতে হবে ।

বিদেশের জীবন আসলেই কেমন জানি.... অনেক ভালো জীবনযাত্রার মান...কিন্তু দেশের যা এখানে নেই সেটার মুল্য কিন্তু অনেক বেশি.... সেটা টাকায় কেনা যায়না এখানে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

সোহানী বলেছেন: আসলে কিন্তু তেমন ঠান্ডা না। দূর থেকে এরকম মনে হয় কিন্তু আপনি কদিন থাকলে উইন্টারের প্রেমে পড়ে যাবেন নিশ্চিত। এবার সামারে কোন গরমই ছিল না তারপরও মনে হতো কবে উইন্টার আসবে।

আপনি মনে হয় আমেরিকা থাকেন। যদি তাই হয় তাহলে খুবই সহজ আসা। আগে বা অফ সিজনে বুকিং দিয়ে রাখলে মাত্র ১০০ ডলারে প্লেনে আসা যায় আর বাসেতো মাত্র ৬০/৭০ ডলার। আত্বীয় বা লতাপাতার কেউ থাকলে সোজা উঠে পড়েন। এবার সামারে আমি মোটামুটি আমেরিকার মেহমানদারী করেই দিন পার করেছি। আমার ননদের জামাই এর বন্ধুর ছোট ভাই ফ্যামিলি সাথে শশুড়-শাশুড়ি সহ..... এমন গেস্টও বাসায় ছিল.....হাহাহহাহা

ভাইরে অনেক কিছুই নেই সত্য কিন্তু জীবনের নিরাপত্তাতো আছে, ঘুম থেকে উঠে মরে যাবার সম্ভাবনা দশমিকের নীচে আরে দেশেতো শতভাগের কাছাকাছি.....। অন্তত শান্তিতে আছি নিরাপদে আছি এটুকু বলতে পারি..........

অনেক অনেক ভালো থাকেন.............

৪১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

নতুন বলেছেন: আমেরিকা মেলা দুরে আপু... অতদুরে যাবো না।

মরুর দেশে কামলা দিতেছি চাইলে ৪ ঘন্টায় বাড়ী যাওয়া যায়। :)

জীবনের মান এখানে খুবই উন্নত কিন্তু মা,বাবা,আত্নীয়, বিভিন্ন অনুস্ঠান, সবই কিন্তু আমরা মিস করছি। এখানে মেয়ে বড় হচ্ছে রুমের ভেতরে আর আমরা মাঠে দৌড়াদৌড়ি করে.... বাইরে যাওয়া মানে সপিং মলে ঘুরা আর বাইরে খাওয়া..।

ভালো আছি কিন্তু আফসোস হয় আমাদের দেশ কেন জীবনের নিরাপত্তা দেয় না, কেন কাজের ভালো পরিবেশ নেই, তাহলে কতই না ভালো হতো।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: আমাদের দেশ কেন জীবনের নিরাপত্তা দেয় না...........

উত্তর: কারন নেতারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে এতই ব্যাস্ত অন্যের নিরাপত্তা দেয়ার সময় কোথায়!!!

কেন কাজের ভালো পরিবেশ নেই........................

উত্তর:ভালো কাজের পরিবেশ থাকলে ভাই/শালা/ভাইস্তাকে কিভাবে কাজে ঢুকাবে...????

এখানে মেয়ে বড় হচ্ছে রুমের ভেতরে আর আমরা মাঠে দৌড়াদৌড়ি করে.... বাইরে যাওয়া মানে সপিং মলে ঘুরা আর বাইরে খাওয়া..।

উত্তর: আমিকা বা কানাডায় কিন্তু ভিন্ন, এখানে চাইলে দারুন জীবন কাটাতে পারেন। শুধু দরকার মাসে নির্ধারিত আয়। আর বাচ্চাদের জন্য স্বর্গ............ আমি বলবো এখানে অনেক ভালো আছি দেশ থেকে। অফিসে বসিং, তেল, ঝাড়ি, পলিটিক্স কিছুই নেই। দেশেতো পাগল হবার বাকি ছিল........। তারউপর ঘোরাঘুরি, খাওয়া, নিরাপত্তা কিছুই নিয়ে চিন্তা নেই।

৪২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

নতুন বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যেও জীবনের মান ভাল... আমেরিকার চেয়ে খুবএকটা খারাপ না।

নিরাপত্তা খুবই ভালো... দূনিতি/ঘুষ নেই কোথাও..

কিন্তু দেশকে মিস করি .. স্ত্রী অনেক মিস করে দেশের আত্নীয়, অনুস্ঠান, খাবার...

অবশ্য মেয়ে বড় হচ্ছে এখানে... ও আমাদের মতন বাংলাদেশ মিস করবেনা।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

সোহানী বলেছেন: দেশকে মিস করি সবসময় আর ছেলে মেয়ে......... এখন ভুলে যাবে শেষে পুরোদুস্তর আম্রিকা/কানাডিয়ান হবে। কিন্তু কি করবো বলেন এর চেয়ে কোন বিকল্পতো দেশে ছিল না। অনেক চেস্টাই করেছিলাম কিন্তু কঠিন জীবন দেশে। অর্থই সব নয়, নিরাপত্তাটা অনেক বড় ব্যাপার।

৪৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০

জাহিদ হাসান বলেছেন: শ্বেতাঙ্গ মেয়ে ছাড়া আর কোন বিদেশী কিছু বা বিদেশের প্রতি আমার আকাংখা নাই।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

সোহানী বলেছেন: গুড গুড গুড............. জীবনে উন্নতি অনিবার্য.............

৪৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: এ্যাসিস ki?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

সোহানী বলেছেন: এ্যাসিস এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ যা সারাক্ষন চেস্টার পর ও মাথায় দেয়া যায় না ..... X( :-P

৪৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: বিদেশে সবচেয়ে বেশি মিশ করি দেশি খাওয়া দাওয়া, পরিবার আর বন্ধুদের কে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

সোহানী বলেছেন: ভাইরে সে আর বলতে.............

৪৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: এতো সিরিয়াস হওয়ার কিছু দেখি না। আসলে গোয়েন্দাগিরি করতে গেলে, চোরের সাথে একসাথে ভাত খেতে হয়।এই আর কি । আর বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন নিক দিয়ে আপনাদের চোর পরিচয় করে দিয়েছি। যাহোক,আমিও দু:খ প্রকাশ করছি কিছু কথা অতিরিক্ত বলার জন্য।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৪৪

সোহানী বলেছেন: ভালো মাল্টি নিক নিয়া গোয়েন্দাগিরি করেন......... অতি উত্তম কাজ।

৪৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৯

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: Arrogant!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৪৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা..................

৪৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই আমার এ লিখার অবতারনা..... কিছু বাস্তব চিত্রের ধারনা দেবার চেস্টা মাত্র -- ধন্যবাদ, এ চেষ্টার জন্য।
দেশে আপনি কেউকাটা ডন... আপনি দেশের রাজা, দেশেই থাকেন.....আপনার জন্য কানাডা না -- :)
এখানকার লাইফ স্টাইলে আড্ডা আছে তবে তা সিডিউল মেইনটেইন করে.... অবিরাম আড্ডা নেই - গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ছোটবেলায় বইয়ে পড়ছিলেন সকল কাজই সমান মূল্য, তা এখানে আসলে কি জিনিস প্রাক্টিকেলে বুঝবেন আর কি!-এটাও।
সবকিছু মিলিয়ে ভালই বলেছেন। উপকারী পোস্ট, পোস্টে ভাল লাগা + +

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

সোহানী বলেছেন: খায়রুল ভাই আপনার মন্তব্য মানে মন্তব্য সহ কি লিখেছি তার আরেকবার পরীক্ষা দেয়া...হাহাহাহা

নীচের উত্তরগুলো আবারো আসছি.... অনেক অনেক ধন্যবাদ অনেকদিন পর লিখাটা পড়ার জন্য।

৪৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩২

স্পার্টাকাস৭১ বলেছেন:

উপরের একজন কমেন্টকারীর মত আমারও জানার ইচ্ছা এ্যাসিস মানে কী?

এর আগে আপনার একটা পশ্চিমা ধাঁচের ইংরেজী শিক্ষার গুরুত্বের উপরে জ্ঞানগর্ভ পোষ্ট দেখে তখনই ঠিক করেছিলাম আজন্ম মূর্খ না থেকে এই ভাষাটা শেখার চেষ্টা করে যাবো যতদিন বেঁচে আছি। তাই যতটা সম্ভব পড়ার পাশা পাশি শিক্ষিত মানুষদের কাছ থেকে বিভিন্ন শব্দের অর্থ ও সঠিক উচ্চারন শিখে নেই।
আপনাদের মত উন্নত দেশের মানুষদের দিকেই বেশি চেয়ে থাকি নতুন কিছু শেখার আশায়।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সোহানী বলেছেন: as·sess
əˈses/Submit
verb
evaluate or estimate the nature, ability, or quality of.
synonyms: evaluate, judge, gauge, rate, estimate, appraise, consider, get the measure of, determine, analyze; informalsize up

ভাইজান, আমি প্রথমেই লিখছি, যারা বিদেশে যাবার জন্য একখান পাও বাড়াইছে তাদের জন্য এ লিখা। তারা এ্যাসিস কি জিনিস ভালোই জানে। আগে পাও বাড়ান তারপর নিজেই বুঝবেন এ্যাসিস মানে কী............

৫০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার ননদের জামাই এর বন্ধুর ছোট ভাই ফ্যামিলি সাথে শশুড়-শাশুড়ি সহ..... এমন গেস্টও বাসায় ছিল..... (৪০ নং প্রতিমন্তব্য)- আপনার এ অতিথিপরায়ন মনোভাবের জন্য ধন্যবাদ না দিয়ে পারছিনা। সেই সাথে সামুর কোন ব্লগারের জন্যও এমন অতিথিসেবার দার উন্মুক্ত থাকবে কি না, সেটা জানতেও ঔৎসুক্য বোধ করছি!!! :) :)

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৩

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা................ অবশ্যই! চলে আসেন...............

খায়রুল ভাই, এখানে সামার মানে দারুন ফান। বাচ্চাকাচ্চা সহ দারুন সময় কাটানো যায়। আর আমি ব্যাক্তিগত সবসময় দেশের মানুষের সাথে চলতে পছন্দ করি কারন তা না হলে আমার বাচ্চারা দেশীয় কালচার শিখবে না। আপনি জানেন নিশ্চয় এখানে বাচ্চাদের দেশীয় কালচারে মানুষ করা খুবই কঠিন। সারাক্ষন ভিন কালচারে থাকতে থাকতে এমন কি ওরা বাংলা ও ভুলে যায়। তারউপর আত্বীয় স্বজনের সেই মায়া। ছোটবেলায় মামা-খালা-চাচা-ফুফুদের মাঝে বড় হওয়া আমাদের সেই আনন্দ কোথায় পাবে ওরা। তাই সারাক্ষনই খেয়াল রাখি শিকড় যেন ভুলে না যায়।

৫১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষে পুরোদুস্তর আম্রিকা/কানাডিয়ান হবে। কিন্তু কি করবো বলেন এর চেয়ে কোন বিকল্পতো দেশে ছিল না। অনেক চেস্টাই করেছিলাম কিন্তু কঠিন জীবন দেশে। অর্থই সব নয়, নিরাপত্তাটা অনেক বড় ব্যাপার (৪২ নং প্রতিমন্তব্য) - সেই দুঃখেই তো আমার কলিজার টুকরা নাতনিটা মাতৃভূমি এবং তার সংস্কৃতি থেকে শেকড়ছাড়া হয়ে যাবে জেনেও ছেলে আর বৌমাকে প্রবাসী হবার অনুমতি দিয়েছি। এখন শুধু দিন গুনি, কবে ওরা আবার এখানে বেড়াতে আসবে, নতুবা আমরা ওদের ওখানে বেড়াতে যাবো!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১২

সোহানী বলেছেন: খায়রুল ভাই, আপনি নিশ্চিত থাকেন আপনার কলিজার টুকরা নাতনিটা অনেক অনেক ভালো থাকবে এখানে। বাচ্চাদের জন্যই পশ্চিমা বিশ্ব....... কি দারুনভাবে ওদেরকে বড় করে তা না দেখলে বিশ্বাসই করবেন না। আমি শুধু আমার বাচ্চাদের চিন্তায় এখানে এসেছি... দেশে চাইল্ড এবিউজ নিয়ে অনেক কাজ করেছি শিউরে উঠেছিলাম মেয়ের ভবিষ্যত ভেবে। পরিমল বা পান্না মাস্টাররা ঘরে ঘরে, কিভাবে বাচাঁবেন ওদেরকে। নিজে চাকরী করতাম, সারা বছরই দেশের বাইরে থাকেতে হতো অফিসের কাজে। মা থাকতে পারতো না, শ্বশুড় বাড়ীর সবাই দেশের বাইরে। কে দেখবে মেয়েকে..... তাই সব ফেলে চলে এসেছি। বিশ্বাস করেন অনেক অনেক ভালো আছি এখানে। অনেক ভালো জীবন ছিল সত্য কিন্তু এখানে নিরাপদে আছি। তাই বলি আপনার কলিজার টুকরা নাতনিটা ও ভালো থাকবে।

৫২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

আটলান্টিক বলেছেন: আপু তুমি জান এইখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্র যারা হলে থাকে তারা কত আতংকে দিন কাটাচ্ছে।সবসময় চিন্তা কখননাজানি ছাত্রলীগ নেতাদের নজরে পরে যায়।অন্তত নিরাপত্তার জন্যে হলেও দেশ ত্যাগ করা উচিত।তুমি তো মহাসুখে আছো।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

সোহানী বলেছেন: কেন? সেটাতো জানি না। নেতারা নেতাদের মতো সাধারন ছাত্র তাদের মতো। সমস্যা কােথায়?

৫৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

আটলান্টিক বলেছেন: নেতারা তাদের দল বৃদ্ধি করার জন্য ছাত্রদের উপর নজর দিসে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

সোহানী বলেছেন: ভাইরে, এটা থেকে নিস্তারের কি কোন পথ আছে? সারা দেশই ওদের নজরদারীর মধ্যে......

৫৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

আটলান্টিক বলেছেন: জ্বি আপুমণি অবস্থা ভীষণ ভয়াবহ। দেশে কোন সিকিউরিটি নাই।দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

সোহানী বলেছেন: হাঁ দেশের ভবিষ্যৎ সত্যিই অনিশ্চিত। হয় পালাও নতুবা ওদের একজন হয়ে যাও...............

৫৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১০

স্পার্টাকাস৭১ বলেছেন:
আপনাকে কী বলে যে ধন্যবাদ দেই, আপনি আমার মন্তব্যের উত্তর দিছেন আমি খুব খুশি হইছি। অনেক কিছু শেখা হলো।

আপনার উত্তর দিতে একটু দেরি হওয়ায় আমি আবার প্রশ্নটা কোরাতে করেছিলাম। সেখানে ইতিমধ্যে উত্তরও পেয়েছি। বেষ্ট আন্সার (সিলেক্টেড বাই কোরা এআই) যিনি করেছেন তিনি বলেছেন-
অত্যন্ত কালো রং এর খুব ক্ষুদ্র একটা পোকার নাম এ্যাসিস। যে এ্যাসেস শব্দ কে এ্যাসিস উচ্চারন করে তার শরীরেই নাকি শুধু এই পোকাটা বাস করে। শুধু বাসই করে না পোকাটা নাকি মাঝে মাঝেই সেই ব্যাক্তি শরীরে তিব্র কিন্তু সহ্য করার মত একটা করে কামড় দেয়। আর যখন কামড়টা দেয় তখন নাকি সেই ব্যাক্তি ভিষন রকমের উতলা হয়ে পড়ে। এতটাই উতলা হয়ে পড়ে যে, সে তখন নিজেকে সো অফ করার জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, শিক্ষা, গবেষনা ইত্যাদি বড় বড় বিষয়ের সাথে নিজে কে যুক্ত করে সমানে পোষ্টানো শুরু করে। তাতে না কি সেই উতলা ভাবটা অনেক দিন ধরে আস্তে আস্তে কমে আসে। এটাকে নাকি এক কথায় বলে " দুই দিনের বৈরাগী ভাত কে বলে রাইস"।

আমি অবশ্য সেই আন্সার দেখে বলেছি, ধ্যাৎ তাই কী কখনো হয় নাকি!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

সোহানী বলেছেন: জনাব স্পার্টাকাস৭১ ,

পোস্ট করেছি: ০টি
মন্তব্য করেছি: ১৩টি
মন্তব্য পেয়েছি: ০টি
ব্লগ লিখেছি: ৫ মাস ৩ সপ্তাহ
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ০ জন

আপনি কার মাল্টি তা জানার এবং গবেষনা করার কোন ইচ্ছে এবং সময় নেই। যে নিজেকে সো অফ করার জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, শিক্ষা, গবেষনা ইত্যাদি বড় বড় বিষয়ের সাথে নিজে কে যুক্ত করে সমানে পোষ্টানো শুরু করে সে পর্যায়ে যাওয়ার মতো ক্ষমতা অর্জন করুন আগে তারপর " দুই দিনের বৈরাগী ভাত কে বলে রাইস" কি না তা বোঝার বুঝতে পারবেন। আমাদের বাংলাদেশীদের অনেক সমস্যা আছে এর মধ্যে একটা হলো দলাদলি বা অন্যকে হেয় করা। মনে করে অন্যকে ছোট করলে নিজে মনে হয় বড় হতে পারবে।

মি:স্পার্টাকাস৭১, যে কারো আচার আরচরন কথা লিখা সব কিছুই বলে দেয় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন ও কেমন তার পরিবারিক বা শিক্ষা।

ভালো থাকুন আর পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে বা উল্টা পাল্টা মন্তব্য করতে চাইলে অন্য ক্যাচাল ব্লগে যান, আমার ব্লগে নয়।

ভালো থাকুন ও শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

৫৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৬

প্রতিফলন বলেছেন: অনেক কথাতেই ভিন্নমত আছে। :) সময় করে লিখব।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

সোহানী বলেছেন: ওকে লিখুন। ভিন্নমত থাকতেই পারে.........

৫৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৮

প্রবাসী দেশী বলেছেন: তৃতীয় (মধ্যম আয়ের দেশ ) বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক থেকে প্রথম বিশ্বের তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক হতে উৎসাহী করানো টা আমার মতে কোনো গর্বের বা বুদ্ধিমানের বিষয় নয়. বরং কানাডার সাথে বাংলাদেশের লিংক (ব্যবসা বাণিজ্য শিক্ষা কৃষি লোকাল আরবান ডেভেলপমেন্ট ) করানো যায় সেটাতে সময় এবং সিস্টেমেটিক ওয়ে দেখানো যায় কিনা সেই দিকে চেষ্টা বা দেশের মানুষ কে সাহায্য করুন।

NB : দয়া করে আমার কমেন্ট ও আমাকে ভুল বুঝবেন না। আইডিয়া বা ডেভেলপমেন্ট প্রপোসাল থাকলে শেয়ার করুন দেশ ও দেশের মানুষ লাভবান হবে. এত লিস্ট দেশের টাকা দেশে থাকুক এবং দেশের উন্নয়নে লাগুক। পদ্দা সেতুর মতো আবার যেন... ..

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৩৭

সোহানী বলেছেন: ভাইজান, আমিই যদি এতো কিছু লিখে ফেলি তাহলে পেইড বুদ্ধিজীবিরা কি করবে...। আদার ব্যাপারিরে ব্যবসা বাণিজ্য শিক্ষা কৃষি লোকাল আরবান ডেভেলপমেন্ট বুঝানো আর লাউ গাছে কাঠাঁল ফলানো একই কথা। যাকগা্ এসব নিয়া চিন্তার দায়িত্ব নেয়ার জন্য বহুত বড় বড় মন্ত্রনালয় আছে, দয়া করিয়া উহাদের কাহাকে নক করেন..... একেবারেই ভুল জায়গায় নক করছেন।

তৃতীয় বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হয়ে গুন্ডা মাস্তান চোর বাটপারদের হাতে জীবন খোয়ানো থেকে প্রথম বিশ্বের তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক হয়ে জীবন বাচাঁনো ফরজ এবং বিশাল বুদ্ধিমানের বিষয়।

আর আপনার এ বুদ্ধিটা দেশের যাবতীয় মাথা ওয়ালা আর হাজার কোটি টাকা মারা ওয়ালাদের দিয়েন যারা কানাডা ইউএস এর মতো জায়গায় সবচেয়ে দামী বাড়ির মালিক। দেশের টাকা বাটপারি করে এনে এখানে মিলিয়ন ডলারের বাড়ির মালিক তারা..... পারলে ঠেকান তারপর আমাগো মতো ছাপোষা আদার ব্যাপারীদের বুদ্ধি দিয়েন......।

যাক ভালো থাকেন।

৫৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৬

প্রবাসী দেশী বলেছেন:
রেগে গেলেন মনে হচ্ছে ! আমি আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চাচ্ছি।
আমি কিন্তু আমার মন্তব্যে বলেই দিয়েছিলাম যে আমাকে বা আমার মন্তব্যকে ভুল বুঝবেন না।
যাই হোক এমন কি কোনো উপায় বের করা যায় না যে, যে কোনো ভাবে যে কোনো উপায়ে হয়তোবা অনেক ছোট ছোট ব্যাপার যেটা দেশের মানুষ জানলে বা করলে উপকৃত হবে। আমরা কি সেই চেষ্টা টা অন্তত করতে পারি না ! আমি বুঝতে না পারলেও অনুমান করতে পারছি আপনি আমার প্রতি মন্তব্যে কি বলতে চেয়েছেন ।
আমি অনেক মানুষকে চিনি যারা বিদেশে টাকা গাড়ি বাড়ী করে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে একেবারে রূপকথার গল্পের শেষ লাইনের মতো। তারপরেও তারা বলেন যে জীবনের একটা পর্যায়ে তারা দেশে যেয়ে শান্তিতে ঘুমাতে চায়। কিংবা হয়তো মানুষের বিশেষ বয়সে এসে উপলব্ধি হয় যে নিজের দেশই হচ্ছে আপন ও শেষ ঠিকানা।
এখন হয়তো পরিবার পরিজন সন্তান নিয়ে অন্তত ২ ,৩ বসর পর দেশে মানুষ যাচ্ছে বেড়াতে কিছু সময়ের জন্য, এভাবে প্রবাসীরা যদি মুখ ফিরিয়ে রাখি একটা সময় হয়তো আসবে যে আমাদের পরের জেনারেশন , নাতি নাতনী দেড় জন্য শুধু ওয়ান ড্রাইভ ও ক্লাউড এ জমানো অতীত ছবি ছাড়া র কিছুই হয়তো দেখানোর থাকবে না।তারা হয়তো কোনো দিন জানতেও পারবে না আমাদের অতীত কৈশোর কিভাবে কেটেছে ! আমি মনে প্রাণে বিশ্বাষ করি সম্পদের হয়তো সুষম বন্টন হবে না কিন্তু জ্ঞান, শিক্ষা অভিজ্ঞতার সম্ভব। আর অবশ্যই জীবন বাঁচানো ফরজ ও বুদ্ধিমানের কাজ.
ঈশ্বরীক গুনে গুনান্বিত হউন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২১

সোহানী বলেছেন: নাহ রাগ নয়, আপনার মন্তব্য পড়ে হাসলাম। তারপর আপনার ব্লগে ঢু মারলাম..... কিছু ধারনা নেয়ার চেস্টা করলাম আপনাকে নিয়ে। প্রথমত: আপনি নতুন ব্লগার এবং কারো মাল্টি নিক নয়, আপনি বিদেশে থাকেন ও সম্ভবত আপনি প্রবাসী হিসেবে নতুন এবং লাস্ট গেইজ আপনি দেশে খুব বেশী কিছু করেননি মানে চাকরী বা ব্যবসা। যাই হোক, দেশে যারা মাথা ওয়ালা তাদের পাশে থেকে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার আছে এবং বিদেশে যারা একেবারে রূপকথার গল্পের শেষ লাইনের মতো আছে তাদের সাথে ও উঠা বসা। আর এই যে ফিলিং এর কথা বললের তার ভিতর দিয়েও বাস। কিন্তু সেই সব প্রবাসীদের বলেন, দেশে ফিরতে চায় কিনা বা দেশের জন্য কিছু করতে চায় কিনা........ উত্তরটা আমার আপনার সবার জানা। হাঁ, উত্তরটা তারপর ও বলি........ টাকা পয়সা না শুধু নিরাপত্তা দেন, দেশে নিজের বুদ্ধি বিবেচনায় কাজ করতে দেন, পলিটিকেল চামচা বা মাস্তানদেরকে কাজে ইন্টারফেয়ার করতে দিবেন না, দেশে আইনের শাসন এর নিশ্চয়তা দেন....... ৬০% প্রবাসী চলে আসবে। শুধু ব্লগ ভর্তি আদেশ উপদেশ দিয়ে কিছু নোংরা মানসিকতার লোকদের প্রতি মন্তব্য দিয়ে নিজের মেজাজ খারাপ করতে চাই না।

ভালো থাকেন..........

৫৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩০

প্রবাসী দেশী বলেছেন: বলার অনেক কিছুই ছিল .....থাক আমার নোংরা মানসিকতার কথা র নাই বা বললাম।
ক্ষমা প্রথম মন্তব্যেই চেয়ে নিয়েছিলাম।আবারও চেয়ে যাচ্ছি।লেখা লিখি আমার বিষয় নয় আপনাদের লেখা পড়ি শুনি অনেক কিছু জানতে পাড়ি।আপনারা সামুর প্রথম দিকের ব্লগার , আমি পড়তাম আপনাদের অনেকের লেখা কিন্তু কোনো দিন regi করে লগ ইন করে কিছু লেখার ইচ্ছা করেনি বা বলতে পারেন সাহস ও সময় হয়নি কারণ আমি মনে করি ব্লগার রা চাইলে অনেক কিছু পারেন বা করে থাকেন। আদেশ উপদেশ বা কোনো বুদ্ধী দিতে চাইনি আর সেটা দেবার মত আমি কেউ নই।আপনারা সমাজের উঁচু শ্রেণীর মানুষ আপনাদের অনেক কিছু খুব কাছ থেকে দেখার সুযোক হয় আর পরিবর্তন পরিশোধন যেটাই বলেন সেটা করার কিছুটা হলেও সুযোক থাকে সেই প্রচেষ্টাই আপনার ব্লগে আমার মতো এই নোংরা মানসিকতার আগমন। শেষে একটা কথা না বলে পারছিনা , আমার মনে হয় অনুমান বা ধারণার উপর কাউকে বিচার করাটা হয়তো মাঝে মাঝে সত্যি নাও হতে পারে। তবে আমার হয়তো এটাই সান্তনা বা পাওয়া যে আপনি আমার মন্তব্য পরে হেসেছেন বলেছেন । কাউকে কোনো ভাবে হাসানও কিন্তু সহজ কাজ নয়.
ভালো থাকবেন সবসময়। সামুতে আপনার বিচরণ হউক আনন্দময়।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৫

সোহানী বলেছেন: একেবারেই প্রসঙ্গের বাইরে চলে গেলেন। ক্ষমা করা চাওয়ার কিছুই নেই ব্লগে। আপনি একভাবে বা এক দৃষ্টিতে একটি বিষয় ব্যাখ্যা করেন আবার একই জিনিস ডিফারেন্ট ওয়েতে দেখি। এতে বিরোধ হবার কোনই সুযোগ নেই। নোংরা মানসিকতার কথা আপনাকে বলতে যাবো কেন? আপনি তো কিছু বলেন নি!!!!! আপনি শুধু আপনার ভিন্ন মত পোষন করেছেন। অামি তার ব্যাখ্যা দেয়ার চেস্টা করছি আর নিজের রাগ কষ্টগুলো আপনাকে বোঝাতে চাচ্ছি। হাঁ ব্লগে নোংরা মানসিকতার বা আজে বাজে মন্তব্যের সামনে আপনি হয়তো এখনো হোননি তাই ব্যাপারটা ধরতে পারছেন না। যারা এসব বলে তাদের প্রসঙ্গ এনেছি।

আর আমি কোনভাবেই সেলিব্রেটি ব্লগার না বা উচুঁতলার মানুষ ও না। খুবই ছাপোষা একজন মানুষ, দূর্ভাগ্যক্রমে গুড়ুত্বপূর্ন কিছু কাজে হয়তো একসময় ইনভল্ব ছিলাম তাই মানুষের নোংরামীর সে চেহারাটা, নিজের স্বার্থের জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়া বা আরো অনেক কিছু খুব কাছ থেকে দেখেছি। হাঁ, এ বিষয়গুলো অবশ্যই লিখবো বা বলতে পারেন লিখা শুরু করেছি কিন্তু সময়ের অভাবে তা প্রকাশ করতে পারছি না। কারন যা লিখবো তার চুলচেরা বিশুদ্ধ হবার দরকার।

আবারো বলি, আপনি যা বলেছেন তার দ্বিমত মোটেও পোষন করছি না কিন্তু কথা হলো অামি লিখলেই কি পরিবর্তন হবে? না হবে না.... পরিবর্তন এর জন্য দরকার সমস্টিগত চেস্টা। আপনি বয়সে অনেক ছোট তাই রক্তে এখনো বিদ্রোহ, দেশের প্রতি ভালোবাসা, পরিবর্তনের জন্য আকুলতা............ আমি আপনার সমান বয়সে ঠিক একই চিন্তা করতাম। বয়সের সাথে সাথে পরিপক্কতা আসার সাথে চিন্তা ভাবনা এ্যাকশান বদলে যায়। যে বিদ্রোহী মন নিয়ে দাপটের সাথে চলতাম সেটা এখন করতে হলে সামনে পিছনের অনেক চিন্তা করি.... কারন বয়সের সাথে সাথে কিন্তু অভিজ্ঞতাও বেড়েছে। জাস্ট শেয়ার, অনেক রাগ এবং দু:খ নিয়ে দেশে ছেড়েছি। চেস্টা করেছি, নিজের জীবনকে তোয়াক্কা করিনি........ কিন্তু বিনিময়ে............... থাক বাদ দেন।

ভালো থাকুন অনেক, আপনারা তরুনরা এক সময় পারবেন। মনে রাখবেন, আমি সবসময়ই ছিলাম, আছি ও থাকবো।

৬০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৩৭

মিঃ সালাউদদীন বলেছেন: সুন্দর করে তুলে ধরেছেন প্রবাসী জীবন ।সুন্দর করে তুলে ধরেছেন প্রবাসী জীবন ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৪০

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিঃ সালাউদদীন ।

৬১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৯

মিঃ সালাউদদীন বলেছেন: সময় করে জবাব দেয়ার জন্য আপনাকে স্বাগতম !

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৩

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মিঃ সালাউদদীন ।

৬২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫২

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: আপনার লেখাটা পরলাম। সব থেকে চমৎকার লাগলো মানুষকে lawyer না ধরে নিজে নিজে CIC (IRCC) ওয়েবসাইট ঘেটে আবেদন করার চেষটা করতে বলা। আমি educated মানুষকে দেখেছি Canada Immigration application করতে lawyer ধরতে। কারন জানি না। তাছাড়া, আজকাল বেশ ভাল online forum আছে। তারপরও কেন তারা এমন করেন বুঝি না।

তবে, কিছু বিষয় সরলিকরন করেছেন। যেমন:

১. "দেশে আপনি যা আয় করছেন তা ... সেভিংস করতে পারছেন? তাহলে আসার দরকার নাই। ....."
এটা কেন? সবাই তো পয়সার জনন আসেন না। যেমন ধরুন, আপনি খুশি যে এখানে বাচচাদের ভাল treat করে school এ। আমার নিজের জননও এটা একটা বড় কারন। আমি চিনতাও করতে পারবো না আমার বাচচাদের কেউ মারধর করছে। Teacher হোক বা যেই হোক। আপনি তো ভাল করেই জানেন, এখানে বাচচাদের কত মজা করে শেখার সুযোগ আছে। Independent হতে শেখায়। দেশে থাকলে facebook এ ফাস হওয়া question দিয়ে exam দিতে হতো। আর নতুন কিছু করতে যেয়ে বলতো: "coaching ছাড়া পারবো না...."

৮. Odd job... এটা must কেন? IT বা Finance লাইন থেকে যারা এদেশে আসেন তাদের বেলায় odd job মানে career এর জনন খারাপ। তাদের হয়তো একটু মাজাঘষা করতে হয় চাকরি পেতে। তাদের কেউ কেউ এসেই পেয়ে যায়। তাদের জনন odd job মানে focus নষট।ওসব লাইনের মানুষরা ভাল পয়সাই নিয়ে আসে চাকরি পাওয়ার আগে survive করতে।

আশা করি দিমত করবেন না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১২

সোহানী বলেছেন: আপনার দুটি বিষয়ে মন্তব্যে কোনভাবেই দ্বিমতের সুযোগ নেই। প্রথমত বাচ্চাদের বিষয়টি। তবে দেশে এমন সব স্কুল আছে যা আমেরিকা কানাডা ক্যাটগরি। সেখানে যদি আপনার সাধ্যে কুলায় তাহলে কেন বিদেশে আসা নিজের শিকড় ছেড়ে। তাই ওভাবে বলা। দেশের সাধারন মানুষের অবস্থাই ভয়াবহ আর বাচ্চাদের অবস্থাতো আরো খারাপ। প্রশ্নফাসেঁর শিক্ষা দিয়ে কি বাচ্চাদের গড়ে তোলা যায়??? না যায় না।

আর ওড জবের বিষয়টি ডিপেন্ড করে। কেউ যদি সার্ভাইব করার মতো টাকা নিয়ে অাসে তাহলে কোন সমস্যা নেই কারন এসেই ভালো কোন জব পাবার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।

আর আমরা দেশীরা দালাল বা lawyer ধরি কারন আমাদের কনফিডেন্স কম। ইংরেজীতে দূর্বলতা বা নার্ভাসনেস।

অনেক ভালো থাকুন অনেক কথা বলতে চাই ।

৬৩| ২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আজ‌কে আবার পড়লাম। জীবনটা খুব জ‌টিল ম‌নে হ‌চ্ছে।

২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

সোহানী বলেছেন: জটিল হলেও সমাধান আছে সব কিছুর। ধৈর্য্য ও চেস্টা অনেক বড় বিষয়। আপনাকে মেইল করেছি.....

৬৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপু, আপনার মেইল পে‌য়ে‌ছি। আপ‌নি অ‌নেক ভা‌লো। আপনা‌কে ধন্যবাদ দি‌য়ে খা‌টো কর‌তে চাই না।

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:১৭

সোহানী বলেছেন: নো প্রবলেম............... অনেক ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.