নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইহা একটি ভুতের গল্প হলেও হতে পারে......... ;)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৭



জীবনে যে ভুতেদের দেখা পাইনি তা কিন্তু ঠিক না। ছোট বড় মাঝারি বেশ ক'বার তাদের সাথে আমার একান্ত সাক্ষাৎকার হয়েছিল। অনেক ঘটনার মাঝে আজ শুধু দু'টি ঘটনা নিয়ে আসলাম। প্রথমটা ছোট, পরেরটা একটু বড়! আসল ভুত বলে কথা!! :-B :-B :-B

২০১৪ সালের দিকে। সুইজারল্যান্ডে একটা ফান্ড নেগোসিয়েশান মিটিং এ এ্যাটেন্ড করতে গেছিলাম। আমি ছিলাম মূল প্রেজেন্টার। তাই মারাত্বক টেনশান এ ছিলাম। আমার চাপাবাজির উপর ডিপেন্ড করছিল অনেক কিছু। হোটেলে পৈাছে পরদিনের জন্য ঘড়িতে এ্যালার্ম সেট করে ঘুমাতে গেলাম। যাইহোক, এ্যালার্ম বাজার পর তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নীচে গেলাম ব্রেকফাস্ট করতে। কথা ছিল ঠিক আটটায় গ্রুপের বাকি সবাই লবিতে জড়ো হয়ে এক সাথে যাবো। যেহেতু কারো হাতেই সুইস সিম নেই তাই এ ছাড়া গতি নেই। যথারীতি রেডি হয়ে নীচে নেমেই ভয় পেয়ে গেলাম আমি.......। একটা জন প্রানী ও নেই পুরো হোটেল। পুরো লবিতে পিনপতন নীরবতা। ঘড়ি দেখে নিলাম, নাহ আটটা বাজে। চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার, বিশাল লম্বা লবির প্রতিটা দরজা বন্ধ, চারপাশে আধাে আধো আলো, কোথাও কেউই নেই। একা এক রুমে ছিলাম কোন ভয় পাইনি ঠিকই কিন্তু এবার ভয় পেতে শুরু করলাম। মনে হলো কোন ইংলিশ হরোর মুভি দেখছি। সবাই আমাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে, এখনি কোন চিপা থেকে হঠাৎ খুনি বের হয়ে আসবে এবং গলা চিপে ধরবে। আতংকে নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। সমস্ত শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগলো। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না তখনই হঠাৎ রিসেপশানের পিছনের ঘড়ির দিকে নজর পড়লো, ৩টা ১০!!! মানে??? এক ঝটকায় বুঝতে পারলাম অতি উত্তেজনায় ঘড়ির টাইম ঠিক করি নাই। ইহা বাংলাদেশী টাইমের এ্যালার্ম.... সকাল আটটা......... :P

এবার আসি আসল ভুতের ঘটনা....................

ঘটনার মূল পাত্রী আমার বড় বোন। অসম্ভব পড়ুয়া আমার বোনের জীবনের একমাত্র ধ্যান জ্ঞান বই। হাটতে চলতে উঠতে বসতে বাথরুমে এমন কি ঘুমানোর সময় ও তার বালিশের নীচে বই থাকে। পড়তে পড়তে সে তার নিজের জীবনতো তেজপাতা বানিয়েছে সাথে আমরা বাকি ভাই বোন মামাতো চাচাতো ফুফাতো সবার জীবনও ভর্তা বানিয়ে ছেড়েছে। কারন খুব সোজা, আমাদের সকলের পিতা মাতার কাছে সে একজন আদর্শ। কথায় কথায় সকলে উদাহরন হিসেবে তাকে হাজির করে। ওর মতো কেন ভালো রেজাল্ট করিস না, ওর মতো কেন পড়িস না, ওর মতো কেন এটা শুনতে শুনতে আমাদের সবার জীবন পুরোই তেলাপোকা। মানে তেলাপোকা দেখলে সবাই যেমন সেন্ডেল তুলে মারতে আসে তেমনি আমাদের দেখলে বড়রা হই হাই করতে থাকে..... এক মহা যন্ত্রনা।

যাই হোক সে বড়বোন হঠাৎ ই খুব সমস্যায় পড়লাে। যারা মেডিকেলে পড়েছেন বা এর সাথে যুক্ত তারা জানেন ফার্স্ট প্রফ আর সেকেন্ড প্রফ কি রকমের কঠিন পড়া। এবং মেডিকেলের মতো পরীক্ষায় সব সময় প্রথম হওয়া আমার বড় বোন হঠাৎ সেকেন্ড প্রফ পরীক্ষার আগে হোস্টেল ছেড়ে বাসায় হাজির। ঘটনা কি? পরীক্ষার আগে পড়া ছেড়ে বাসায় কেন???? দেখি তার অবস্থা খুব খারাপ... সে অসুস্থ। এবং তার অসুখটা হলো সে কিছুই মনে রাখতে পারছে না এবং কিছুক্ষন পড়ার পর তার চোখে সব ঘোলা দেখে। বাবা সব শুনে গম্ভীর হয়ে বললো, পড়া এক মাস বন্ধ রাখ, অতিরিক্ত পড়ার চাপে আর টেনশানে এরকম হয়েছে। শুনেতো বড়'পা কান্নাকাটি, দুই মাস পর পরীক্ষা এক মাস কেন এক মিনিট ও পড়া বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। বাবা দুই ধমক লাগিয়ে চলে গেল। কিন্তু মা'তো মহা টেনশানে পড়ে গেল...। চাচা ফুফু নানু দাদু মামা আমাদের চৈাদ্দ বংশের সবাইকে খবর দিতে লাগলো। এবং বড় আপা বলে কথা....... মোটামুটি কেউ আর বাকি নেই বংশের, সবাই হাজির...........।

চাচা ফুফু নানু দাদু মামা বিশাল বোর্ড মিটিং বসলো, কেন এমন হচ্ছে, কোন ডাক্তারের কাছে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। সব কিছু শুনে টুনে নানু বললো, এটা আর কিছুই না জ্বিনের আছড়। অসম্ভব বিজ্ঞান মনোষ্ক দাদু কিঞ্চিত রেগে গেল কিন্তু নানু নাছোড় বান্দা। বললো, আমার কাছে ভালো কবিরাজের খোঁজ আছে আমিই সব ব্যবস্থা করছি জ্বিন ছাড়ানোর। মা ছাড়া সবাই ভ্যাটো দিলে কিন্তু নানুর জোড়াজুড়িতে কেউ আর কিছু বলার সাহস পেল না। বাবা স্পষ্ট বিরক্ত হলেও শাশুড়ির বিরুদ্ধে কথা বললেন না। আচ্ছা একটু বেড়ানোতো হবে, এই বলে বাবা চুপ থাকলেন। অতপর: সিদ্ধান্ত হলো নানুর বাড়ি যাবার। ওওও বলে রাখি, আমার নানু সহ মামারা সবাই ঢাকাবাসী, গ্রামের বাড়িতে কেয়ার টেকার থাকে তবে নানা বা নানু প্রায় যায়। যেহেতু মা সহ আরো অনেকে যাবে তাই নানু একটু চিন্তায় পড়লো সবার খাবার দাবার সহ বা অন্যান্য কিছু ম্যানেজ করার জন্য। সে সব ব্যবস্থা করার জন্য নানু মামাকে আগে পাঠিয়ে বাজার সহ সব কিছু ঠিক করার সিদ্ধান্ত হলো।

এবার আসলো আসল দ্বন্ধে। কে কে যাবে?? দেখা গেল সব কাজিন মামা চাচা ফুফু সবাই যাবার জন্য চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিল। ফ্রিতে এমন সিনেমা দেখার সুযোগ কেউই হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না। ছোট মামা ছোট চাচা আরা বাবাকে দেখতে পেলাম আনাচে কানাচে বেশ গোপনে কিছু শলা করতে। তারপর ফাইনাল ডিসিশানে আসলো, মামার সাথে ছোট চাচা ও যাবে আগে ভাগে সব কিছু ম্যানেজ করতে। সব শুনে বড় মামা ঢাকা থেকে আগেই রওনা দিয়ে দিলেন। আম্মু আর বড়আপা ছাড়া আর কাউকেই সুযোগ দিলো না। কিন্তু আমি হলাম নাছোড়বান্ধা। ডাইরেক্ট হাঙ্গার স্ট্রাইক করে বসলাম। আমাকে না নিলে তোমরা ফিরে না আসা পর্যন্ত নো খাবার............ (আমার মাকে পটানো সবচেয়ে ইজি কৈাশল এটি কারন আমি জানি একবেলা ও মা এটা এ্যালাউ করবে না)। যাক, শেষ পর্যন্ত আমি ও অন্তর্ভুক্ত হলাম কিন্তু অবাক হলাম মামা এবং চাচা দুইজনেই আমার ব্যাপারে ভেটো দিল। অথচ এরা দুইজনেই আমাকেই সবচেয়ে বেশী পছন্দ করে এবং আমি তাদের খাস চামচা। দু'জনের লুকিয়ে সিগারেট খাওয়া থেকে শুরু করে সিনেমা দেখার প্রধান সাহায্যকারী আমি।

যাহোক, যথারীতি মামা চাচা এক ঘন্টার মধ্যেই রওনা হলো এবং আমরা পরদিন সকালে রওনা হলাম। এবং সাধারনত এ কবিরাজ নিজের বাসা ছাড়া অন্য কোথাও চিকিৎসা দেন না কিন্তু নানুর বিশেষ অনুরোধে ও নগদ ২০০০ টাকার ঘোষনায় শেষ পর্যন্ত রাজি হলেন। ও বলে রাখি আশির দশকে ২০০০ টাকা কিন্তু অনেক.......।

সব দেখে শুনে কবিরাজ মহাশয় বললেন, এ শুধু সাধারন আছড় না কঠিন বান মারা হয়েছে মানে তাবিজ করা হয়েছে বড় আপাকে :(( যাতে সে পরীক্ষায় খারাপ করে। কবিরাজ মহাশয় বিশাল এক ফর্দ দিলেন.... একটা নতুন শাড়ি, একটি নতুন গামছা, চার আনা সোনা, নতুন ধানের তুস, সোয়া সের চাল, এক ভাড় খাটিঁ দুধ সরাসরি ধোয়ানো, এভাবে আরো একগাধা জিনিস। সব জোগাড় হবার পর বললো, আজ রাতেই হবে আয়োজন। আমি একটু মিন মিন করে বললাম, ভুতেরা কি আমাবশ্যা ছাড়া আসে? আকাশেতো চাঁদ দেখা যাচ্ছে। কবিরাজ মহাশয় এক ধমক দিয়ে বললেন, ভুতদেরকে কিভাবে আনতে হয় তা আমার জানা।

তারপর সন্ধ্যার পর পরই শুরু হলো বাড়িরে উঠোনে সে আয়োজন। বিশাল একটা গামলায় জোগাড় হলো। কবিরাজ বললো তিন পুকুরের জল আনতে কিন্তু সেটি হবে ঠিক মাঝ পুকুরের জল। এই ঠান্ডার সন্ধ্যায় ময়নার মা'কে (নানুর কেয়ার টোকার) সবাই ধরে বেধেঁ ঠেলেঠুলে পুকুরে নামিয়ে দিল সবাই। সে কিছুতেই নামতে চাচ্ছিল না অনেকক্ষন চিঁচিঁ সুরে চেঁচালে কিন্তু কেউই তার কথা শুনলো না। সে ভয় পাচ্ছে যে পুকুরে নামলে ভুতেরা জেনে যাবে সে ও এই দলে আছে এবং সবাই যখন চলে যাবে সে একা এই বাড়িতে থাকবে তখন তাকে এসে ধরবে। যাইহোক অবশেষে জল দুধ তুলসি পাতা সহ আরো কি কি মিশায়ে নতুন কাপড় পড়িয়ে বড় আপাকে আনা হলো গামলার সামনে। কবিরাজ বললো, আমি প্রশ্ন করবো ও তুমি উত্তর দিবে। তোমার সব উত্তর আমি এ জলে দেখতে পাবো। কবিরাজ বড়'পার সাক্ষাৎকার নেয়া শুরু করলো ;)

তোমার সাথে পড়ে কোন মেয়ে যার চুল লম্বা একটু চিকন শ্যামলা গায়ের রং সে খুব তোমাকে হিংসা করে তুমি ভালো রেজাল্ট করো বলে, ঠিক? ;)

হাঁ হাঁ ঠিক, আমার খুব ক্লোজ বান্ধবী ওর চুল লম্বা একটু চিকন শ্যামলা গায়ের রং সে ক্লাসের সেকেন্ড। আমার প্রতি সত্যিই জেলাস।

কবিরাজ বললো, জলের গামলায় তাকাও তাকে দেখতে পাবে, ও কিনা দেখ।

বড়'পা অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকলো, বললো, কই কিছুতো দেখি না।

কবিরাজ একটা ধমক লাগিয়ে বললো, তোমার মন থেকে সব কুচিন্তা দূর করো, মনকে পুত পবিত্র করো নতুবা নতুবা কিছুই দেখতে পাবে না।

ধমক খেয়ে বড়পা বলতে লাগলো, হাঁ হা দেখতে পাচ্ছি........... ;) ওইতো দেখা যায় সব। সাথে সাথে মা যোগ দিল। এ নিশ্চয়ই ইয়াসমীন। ক'দিন আগেইতো সে বাসায় তার মাকে নিয়ে এসেছিল।

কবিরাজ বললো, সে আপনার মেয়ের চুল ও বইয়ের পাতার টুকরো নেয়ার জন্য বাসায় এসেছিল। এবং তা দিয়ে বান মেরেছে যাতে ওর পড়া নষ্ট হয়।

সাথে সাথে মা দুইয়ে দুইয়ে চার যোগ করতে লাগলো। হাঁ, বুঝতে পারলাম তাইতো তার মাকে নিয়ে এসেছে ও ওর পড়ার রুমে উকিঁ দিচ্ছিল... আর হাঁ ওর মাথায় ও হাত রেখেছিল।........ B-))

কবিরাজ আরো বললো, তোমার সাথে পড়ে একটি ছেলে তোমাকে পছন্দ করে। তার কড়া নজর ও আছে তোমার দিকে। :P

বড়'পা লজ্জায় লাল হয়ে গেল... এখানে বলা বাহুল্য সব ক্লাসেই সব মেয়েদেরকে কেউ না কেউ পছন্দ করে। তার উপর বড়'পা ফার্স্ট গার্ল ও বিশেষ সুন্দরী।

এভাবে কিছুক্ষন ভিডিও পর্ব চলার পর রাতের খাবারের বিরতি। নানুর বিশেষ আয়োজন পোলাও রোস্ট খেয়ে রাত বারোটায় আবার আসল পর্ব শুরুর ঘোষনা দিয়ে কবিরাজ মহাশয় একটা ঘুম দিতে গেলেন। এবং বলে গেলেন, বড় আপা গোসল করে চুল খোলা রেখে নতুন শাড়ি পড়ে রেডি থাকতে। সাত জায়গা থেকে মাটি নিয়ে তাবিজ বানানো হবে। চৈারাস্তার মোড়, নতুন ও পুরাতন কবরের মাটি, নতুন ও পুরাতন পুকুরের মাটি....... এভাবে সাত স্থানের মাটি জোগাড় করতে হবে বড়'পাকেই। তবে আশার কথা মা সহ কবিরাজ সবাই থাকবে সাথে। বড়'পা ভয় পেলে ও কবিরাজ মহাশয় অভয় দিল যে সে থাকতে ভুতের দাদার ও সাধ্য নেই কিছু করার।

যথারীতি রাত বারোটায় রওনা হলো সবাই মাটি জোগাড়ে। দলের প্রথমে বন্দুক হাতে বড় মামা ( ও বলে রাখি আমার বড় মামার আবার দোনলা বন্দুক ছিল, উনি আবার শখের পাখী শিকারী। উনার গল্প আরেকদিন বলবো।) মাঝে আমরা ও শেষে লাঠি হাতে মামার কাজের ছেলে। কিন্তু ছোট মামা বা ছোট চাচাকে কিছুতেই ঘুম থেকে উঠানো গেল না। উনারা দু'জনেই এক বিছানায় ঘুমিয়েছে এবং গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। কিছুতেই তাদেরকে উঠানো গেল না। শেষে তাদেরকে ছাড়াই রওনা হলাম।

সন্ধ্যা মানেই গ্রামের রাত দুপুর। সেখানে সত্যিকারের রাত বারোটায় গ্রামের রাস্তা। ভয়াবহ নিরবতা..... শিয়াল ঝিঁ ঝিঁ পোকারা ও মনে হয় ডাকতে ভুলে গেছে। শুকনো পাতায় পা পড়তেই মড়মড় শব্দ তাতেই চমকে উঠছি আমরা সবাই। বার বার মনে হতে লাগলো কোন দু:খে যে আসলাম। এ যাত্রায় বাড়ি ফিরে গেলে আর কখনই এ মুখো হবো না, ভুত দেখার শখ পালিয়েছে। যাহোক, একে একে সব মাটিই জোগাড় হলো, বাকি থাকলো শুধু কবরাস্থানের মাটি। দেখা গেল স্বয়ং বড় মামাই প্রথমে মুখ খুললেন ভয় পেয়ে।

কবিরাজ মশাই, কবরের মাটি কি দিনের বেলা জোগাড় করলে হয় না?

একটু আমতা আমতা করে বললো কবিরাজ, হয় তবে একটু ঝামেলা লাগবে। এটা শুনেই মামার কাজের ছেলে তেড়ে আসলো।

আরে মিয়া ফাজলামো পাইছো। এত্তো রাইতে এইখান পর্যন্ত টাইনা আনছো আর দুই কদম পর কবরাস্থান। এখন কও দিনের বেলায় আনলে ও হইবে। তাইলে রাত বিরাতে আনলা কেন?? কোন কথা না, দুই কদম পর কবরাস্থান। তারপরই ঘরে যাওন।

তার কড়া ধমকে স্বয়ং বড় মামা ও কথা বাড়ালো না।

তারপর গ্রামের সে সরু রাস্তা ধরে খোলা কবরাস্থানে আমরা পৈাছালাম। আমি কখনই আগে কখনই কোন কবরাস্থানে যাইনি। সে মাঠে ঢুকতেই বড় একটা বট গাছ। আমরা সবাই দুরু দুরু বুকে এগিয়ে চলছি। ঠিক এমন সময় দেখি সে বটগাছের পাতায় সে যে কি ঝাকুঁনি। মনে হচ্ছে যেন পুরো গাছ ভেঙ্গে পড়ছে। মা মামা জোরে জোরে দুরুদ পড়া শুরু করেছে। গাছের ঝাপটা একটু কমতে না কমতেই ইয়া বড় বড় ঢিল আমাদের চারপাশে পড়তে লাগলো। আমরা পড়ি কি মরি করে এলোপাথারি ছুটছি। আর ঠিক তখনই দেখা গেল গত মাসে মারা যাওয়া করিমনের মায়ের কবরের পাশ থেকে এক সাদা কাফনের কাপড় পড়া লাশ আমাদের দিকে ছুটে আসছে। ও বাবা রে মাগো বলে কবিরাজ মহাশয় ১০০ মাইল স্পিডে দৈাড় দিলেন। আমার আর বড় আপারতো অজ্ঞান হবার অবস্থা। বড় মামা বন্দুক ধরছে একবার উল্টা দিকে আরেকবার সোজা করে। মা বার বার বলছে তুই ফাঁকা গুলি ছোড়, ফাঁকা গুলি ছোড় কিন্তু কে শুনে কার কথা। তারপর মামা চিৎকার শুরু করলো দিদি দিদি বন্দুক থেকেতো কোন গুলিই বের হচ্ছে না। আশ্চর্য্য, আমিতো গুলি ভরেই রেখেছিলাম... :(( দেখা গেল দৈাড়ে সবার আগে কবিরাজ মশাই আর কাফন পড়া ভুতটা ঠিক কবিরাজ মশাই এর পিছনেই দৈাড়াচ্ছে। আমরা একটু পিছিয়ে আছি এবং তা দেখে দৈাড়ের গতি কমিয়ে দিলাম। এবং এক সময় কবিরাজ মশাইকে ধাওয়া করে পানিতে ফেলেই দেখি ভুত হাওয়া। আরে গেল কই?? মামার সাথে আনা টর্চ দিয়ে চারপাশে খুজেঁ কিছুই পেলাম না আমরা। অনেকক্ষন পর কাজের ছেলেটার দেখা পেয়ে মামা ধমক লাগালেন, কই ছিলি তুই?

যাহোক পানি থেকে কবিরাজ মশাইকে তুলে বাড়ি পৈাছালাম এবং পরদিন সকালে সেই যে ভাগলেন নাস্তাও খেলেন না। তারপর নাস্তার পর্ব শেষের পর মা আর মামা ছোট মামা, ছোট চাচা ও উনার কাজের ছেলেকে ডাকলেন। মা বললেন, হজ্ব থেকে আনা বাবার এহরামের কাপড়ে এতো কাঁদা মাটি লেগে আছে কেন? আমার তখনই সন্দেহ হয়েছিল। তারপর তোদের সেন্ডেলে এতো কাচাঁ মাটি দেখে প্রথমেই আলমারির এহরামের কাপড়ের কথা মনে পড়লো। তাই সকালে উঠেই চেক করতে গেলাম।

এবার হাসতে হাসতে গড়াগড়ি গেল ছোট মামা, ছোট চাচা ও কাজের ছেলেটি। একে এক ফাঁস করলো তাদের ষড়যন্ত্র। এবং এর মূল কলকাঠিই নেড়েছিল বাবা। আমাদের মনে যেন কোন ভুতের ভয় না থাকে তার ব্যবস্থা করার জন্য অসম্ভব বিজ্ঞান মনস্ক বাবাই তাদের দু'জনকে আগে পাঠিয়েছিল প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে। তারা কবিরাজের মূল পরিকল্পনা শুনার পরেই কবরাস্থানেই আক্রমনের সিদ্ধান্ত নেয়। আর সে কারনেই ঘুমের ভান করে আমাদের সাথে আসেনি ও আলমারি থেকে এহরামের কাপড় সরায়ে নেয়। কাজের ছেলেকে সাথে পাঠায় যাতে সঠিকভাবে আমাদেরকে গাইড করে জায়গামত নিয়ে যেতে পারে। বটগাছে সেই উঠেছে এবং গাছ ঝাকানো ও ঢিলের দায়িত্বই সেই পালন করেছে ওদেরকে জানান দিতে সাথে আমাদের ভয় দিতে। এবং তাদের পরিকল্পনা সাক্সেস করে। শুধুমাত্র ভয় ছিল মামার বন্দুক নিয়ে, যদি মামা গুলি ছুড়ে!! তাই ছোট মামা যাবার আগ মূহুর্তেই বন্দুক থেকে গুলি সরিয়ে নেয়।....

আমাদের ভুতের ঘটনা সেখানেই ইতি ঘটে শুধুমাত্র বড় আপা তার প্রিয় বান্ধবীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা ছাড়া :-B :-B .........

দীর্ঘ কাহিনী বললাম তবে সত্যিকারের ভুতের কাহিনী নিয়ে এর পরে কোন এক সময় আসবো...........।

মন্তব্য ১৪২ টি রেটিং +২৮/-০

মন্তব্য (১৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: রম্য হিসেবে ভালো হইছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ দিশারী রাজপুত্র..... তবে রম্যই হোক.......

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

সামিয়া বলেছেন: জীন তো আছে, সৌদি আরবে একটি বিশাল এরিয়া আছে যেখানে মানুষ চলাচল করেনা, যারা ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করে তারা জিনের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে পারেন না।।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোহানী বলেছেন: সৌদি আরবে সে বিশাল এরিয়ার নাম কি? গুগুলে সার্চ দিলে কি পাবো, সামিয়া?

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

বিজন রয় বলেছেন: জ্বীন বা ভুত বলে কিছুই নেই।

বড় লেখা, শেষ করতে পারলাম না। সময়ের অভাব!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

সোহানী বলেছেন: আমি লিখতে লিখতেই ভাবছিলাম, এই লিখা পড়ার জন্য সত্যিই ধৈর্য্য দরকার। আসলে সর্টকার্ট করলে গল্পের মজাটাই নষ্ট হয়ে যায় তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই বড় লিখলাম।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভালো লাগল, অশরীরি কিছু পৃথিবীতে অবশ্যই আছে তা না হলে মাঝে মাঝে এসব কিসের দৃশ্য চোখে পড়ে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

সোহানী বলেছেন: প্রামানিক ভাই। আপনার ভুতের গল্প পড়েই কিন্তু এটা লিখেছি। আর আপনি যেমন সাদা কাপড়ে মহিলা দেখেছিলেন ঠিক একই জিনিস আমার বাবা দেখেছিল যা উনার পিছে পিছে আসছিল। বাবা বাসায় ফিরছিল অনেক রাতে তার তা দেখে দৈাড়ে বাসায় ঢুকে জ্ঞান হারিয়েছিল। এবং বাবার জ্ঞান ফেরার পর বাবার মেঝ চাচা (যিনি তখন চিটাগাং এর গ্রীন্ডলেন্জ ব্যাংক এর সিওফও ছিলেন এবং অসম্ভব বিজ্ঞান মনস্ক ছিলেন, ভুত প্রেত বিষ্বাস করতেন না) তিনি বাবাকে জোর করে বাইরে নিয়ে আসেন আবার দেখার জন্য। তারপর দেখা গেল সেটা দুই গাছের ছায়া, যতই দূরে যাচ্ছিল ছায়াটার আকার পরিবর্তন হচ্ছিল সেই জন্যই মনে হয়েছিল সেটা পিছে পিছে আসছে।.......... হাহাহাহাহা

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

প্রামানিক বলেছেন: বুঝলাম, এইটা তো ছোট মামার কাজ। সাদা কাপড় পড়ে কবিরাজরে তাড়া করেছে। দারুণ লাগল, এরকম দুষ্টামীর বাস্তব ঘটনা আমার অনেক আছে। আস্তে আস্তে লিখব।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সোহানী বলেছেন: অামি জানি প্রামানিক ভাই.... দুষ্টামীর বাস্তব ঘটনা আপনার থাকবে না তাই কি হয় :P :P :P :P :P

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

এম এম করিম বলেছেন: ইহা নিশ্চিতভাবেই একটি সুন্দর লেখা। !!!!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ করিম ভাই.....বাট বিশাল লম্বা এবং কিছুটা বোরিং।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আচ্ছা :-B

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: জ্বি আচ্ছা :-B হাসু মামা..............

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভূতের গল্প না হলেও দারুন মজা পেয়েছি ।
কবিরাজের ভালো শিক্ষা হয়েছে ।
পরে বড় আপু সেকেন্ড প্রফ পরীক্ষা দিতে পেরেছিলেন ?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সোহানী বলেছেন: অারে পরীক্ষা দিবে মানে...... সেই বার ও প্রথম হয়ে এখন একজন গাইনীর হেড এবং মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ............

ধন্যবাদ হাফসা মনি..............

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

আটলান্টিক বলেছেন: হাহাহা :) :) :)

অসাধারণ লাগলো ঘটনাটি।ভূত নেই প্রমাণ করার জন্য কেউ এতোদূর যেতে পারে এটা কল্পনাও করতে পারিনি।কবিরাজরা কিন্তু এভাবেই মানুষকে বোকা বানায়।আগে থেকে লোক ঠিক করে রাখে আর সময় এলে মানুষের ঘরবাড়ির উপর ঢিল চুড়ে মারে।সবাই মনে করে ভূতেরা ঢিল মারছে।আপনারর অন্য গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম :)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সোহানী বলেছেন: আটলান্টিক ভাই সে সব কবিরাজ কিন্তু এখনো আছে। কম বা বেশী। আগে থেকে লোক ঠিক করে রাখে আর মানুষকে বোকা বানায়। মানুষ ভাবে ভুতের কাজ...........

অনেক ধন্যবাদ আটলান্টিক ভাই।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন সোহানী আপু !!!
আসলেই কেবল মাথা ঠান্ডা করে দেখার অপেক্ষা তাহলেই গোমর ফাঁস ।

অনেক অনেক ভালোলাগা :)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই মনিরা.......... এরা যে কতভাবে সাধারন মানুষকে বোকা বানায়। বোকা সোকা মানুষগুলো এদের ফাঁদে পা দিয়ে স্বর্বস্বান্ত হয়।

অনেক ভালো থাকো.................................

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২০

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: নকল ভূতের গল্প মজাদার হয়েছে। এবার আসল ভূতের গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

সোহানী বলেছেন: আরে অচম নামের ভুত ভাই, ভুতের গল্পতো আপনি লিখবেন............ আমরা পড়বো।

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

কানিজ রিনা বলেছেন: হা হা হা সোহানী বেশ মজার ঘটনা।
তবে কোরআনে জীনের ঘটনা মনে প্রানে
বিশ্বাস করি। আমি অনেক চেষ্টা করি একটা
জ্বীন ভূত দেখব ছোটকাল থেকে এই অবধি
একটা ভূতও চোখে পড়ল না।
কিন্তু একটা কি জানো আমার জীবনে কিছু
আলৌকিক ঘটনা ঘটেছে যা আমি বুজুর্গ
লোকের সাথে আলাপ করেছি শুধুই বলে
ছিলেন আপনার সাথে ফেরেস্তারা থাকেন।
আসলে তাও আমি এখনও বিশ্বাস করতে
পারিনা।
কারন আমার মত দুর্দান্ত দুষ্ট মানে বলে
বুঝাতে পারব না কেমন ছিলাম। অনেক
সময় অনেক বিপদে পড়েও কিভাবে রক্ষা
পেয়েছি। তবুও একটু বলি আমি কিশোরী
কালে পুরা গেছো ছিলাম স্কুলে ছুটির দিনে
বেশীর ভাগ সময় গাছে থাকতাম যেমন আম
লিচু তেতুল বড়ই এরকম ছোট বড় গাছে।
তো দুইবার অনেক উঁচু থেকে পড়েছিলাম
কিছুই হয় নাই বরঞ্চ মনে হতো স্পৃংয়ের
গদীর উপর পড়েছি, আসলে এখনও ভাবী
ভেবে মনে মনে হাসি। যাইহোক এরকম বেশ
কিছু বিপদ কিভাবে যেন রক্ষা পেয়েছি।
তবে আমার দাদী বলত এসব কাউকে বলতে
হয়না। তাই কাউকেই বলতাম না।
খুব ভাললাগলো তোমার রোম্য ভূতের গল্প আসলে
ভূতে বিশ্বাস করিনা। প্রামানিকের ভূতের গল্প
পড়ে খুব আক্ষেপ হোল কেন যে এখনও
ভূত দেখতে পারলাম না। বিশেষ ধন্যবাদ
ভাল থেকো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:২৩

সোহানী বলেছেন: সব কিছুকে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় বিশ্লেষন করা যায় না। এর বাইরে হয়তো কিছু আছে। তবে এটা সত্য যে প্রকৃতি শিশুদেরকে রক্ষা করে। এরকম অনেক ঘটনা অাছে যে সবাই মরে গেছে কিন্তু শিশুটির কিছুই হয়নি। আপনার ঘটনাগুলো সেরকম কিছু হয়তো।

ভুত আমার দেখার সত্যিই কখনো ইচ্ছে হয়নি। সবাই যেমন হরর মুভি শখ করে দেখে বা প্লানচ্যাট করে, আমরা সেরকম করিনি বা ইচ্ছে হয়নি। অবশ্য তার প্রধান কারন বাবার প্রভাব। বিজ্ঞানের ব্যাখ্যার বাইরে কোন কিছুই বিস্বাস করতেন না।

অনেক অনেক ভালো থাকেন রিনা আপু।

১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মনে হয় আমার চারপাশে ওরা সবাই আছে। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ। আজ অবধি যারা জন্মেছে এবং মরে গেছে তারা সবাই। খুব বন্ধুর মতো লাগে তাদের। তারা আশে পাশেই আছে, ডিস্টার্ব করে না, শুধু সাথে থাকে। আমি খুব ফিল করি তাদের। অনেক সময়ে তাদের সাথে কমিউনিকেট করার চেষ্টাও করি।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:২৬

সোহানী বলেছেন: বলেন কি রাজিব ভাই!!!!! সাংঘাতিক কথা !!!!!!!!!!! আপনি তাদের ফিল করেন, তাদের সাথে কমিউনিকেট করার চেষ্টা করেন !! আমি হলে নির্ঘাৎ হার্টফেল...........। আপনিতো ভাই অসম্ভব সাহসী লোক!!!!!!!!!!

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:



ভূত -------------------------------- ভূত----------------------

আপনার আপুর জন্য দুঃখই হচ্ছে, এত পড়ুয়া কেউ হয়!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:২৯

সোহানী বলেছেন: ভাইরে, ও এখনো পড়ে............ জীবনভর পড়েই গেল। গত মাসেই তার একটা রিসার্স পেপার ইর্ন্টান্যাশানাল মেডিকেল জার্নালে পাবলিশ হয়েছে.............। তবে সে মারাত্বক ঘুরেও বেড়ায়......।

ভালো থাকেন জাহিদ।

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

করুণাধারা বলেছেন: ইহা তো ভূতের গল্প হতে হতেও হল না!

দ্বিতীয় গল্প পড়ে তো "সাংগ করি মনে হল হইল না শেষ" অবস্থা হল। কবিরাজের গোমর ফাঁক হল বুঝলাম, কিন্তু আসল ঘটনাটা কি? নার্ভাস ব্রেকডাউন নাকি সেকেন্ড গার্লের যাদু?

রম্য হিসাবে +++++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৪৪

সোহানী বলেছেন: আরে সেটা স্পষ্টই নার্ভাস ব্রেকডাউন করুণাধারা। যাদু বলে কি সত্যিই কিছু আছে?

ভুত টুতের বিশ্বাস একটু কম আমার তবে অতিপ্রাকৃত কিছু ঘটনার মুখোমুখিতো হয়েছি সত্যি......... তবে সেটার ও ব্যাখ্যা দেবার চেস্টা করেছি। কিছু মিলেছে কিছু মিলেনি। পরে কোন এক সময় আসবো সেগুলোর ডিটেইলস নিয়ে।

অনেক ভালো থাকেন করুণাধারা..............

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


রহস্য কাহিনী

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৪৫

সোহানী বলেছেন: উহুঁ মোটেও রহস্য কাহিনী না গাজী ভাই। খুবই সাধারন মানের ঘটনা মাত্র..............

১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

জুন বলেছেন: সোহানী অতিরিক্ত পড়াশোনা করলে এমন হয় তার প্রমান আমার দুই ক্লাসমেট । অনার্স পরীক্ষার আগে গিয়ে দেখে এসেছি তারা শুধু পড়ছে কিন্ত কিছুই মাথায় নিতে পারছে না । একজন বল্লো তার মা নাকি তাকে কোন হুজুরের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। হুজুর বলেছে তার উপর নাকি কারা যাদু টোনা করেছে । ( সে আমাদের ক্লাশে মাঝারির চেয়েও কম ছিল পড়াশোনায়) হুজুর নাকি তাকে পাঁচ পচিশ পড়তে বলেছিল । সেটা কি জিনিস জিজ্ঞাসা করা হয়নি আরেকটি কথার জন্য।
জিজ্ঞেস করলাম কিসের জন্য এমন মনে হচ্ছে তোমার যে তোমার উপর কিছু ভর করেছে?
বল্লো জানোনা পড়তে বসলেই লেপটা মনে হয় উড়ে উড়ে গায়ে এসে পরতে চায়, এটা আম্মাকে বলতেই বল্লো "তাড়াতাড়ি চল হুজুরের কাছে, নিশ্চয় কেউ তোকে বান মেরেছে পরীক্ষায় খারাপ করার জন্য"
উল্লেখ্য তখন ছিল শীতকাল এবং সে টেবিলে বসে পড়তো =p~
আপনার ভুতের গল্প ভালোলাগলো ।
+

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:১৬

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা.......... পড়তে বসলেই লেপটা মনে হয় উড়ে উড়ে গায়ে এসে পরতে চায়............। এর চেয়ে কঠিন জ্বীনে ধরার লক্ষন আর নাই, সত্যিই ওরে বান মেরেছে =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আগের দিনে মায়েরা এমনি ছিলেন। যাদু টোনা বান এ খুব বিস্বাস ছিল। মনে পড়ে তাবিজ পড়েনি এমন মা মনে হয় খুব কমই ছিল। কিছু হলে পানি পড়া, তাবিজ, তেল পড়া, বাটি চালান খুব সাধারন ঘটনা ছিল। আমাদের বাসায় ও এরকম বাটি চালানের ঘটনা ঘটেছিল একবার। মনে পড়ে অামার নানু ছিলেন এসবের উৎসাহ দাতা ............... হাহাহাহাহা। বিন্তু সেদিক থেকে দাদুর বাড়ির কেউই এসবে বিশ্বাস নেই।

অার অতিরিক্ত পড়াশুনা করলে নার্ভাস ব্রেকডাইন খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু মায়েরা এসব মানতেন না। আসলে এভাবে চিন্তা করতেন না বলেই তাবিজ বা জ্বীনে বিশ্বস করতেন।

অনেক অনেক ভালো থাকুন আপু...... একটু ফ্রি আছি বলে সামুতে দীর্ঘ সময় থাকছি। আপনার ঘুরাঘুরি কবে শুরু হবে..........?

১৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ওমেরা বলেছেন: আমাদের পরিচিত একটা ছেলে এত পড়া পড়ত , পড়তে পড়তে ইন্টার পরিক্ষার আগে সে পাগলই হয়ে যায় ।

ঘুব ঘুব মজা পেয়েছি, অনেক ধন্যবাদ আপু ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:১৮

সোহানী বলেছেন: আমার এক ক্লাসমেট এর ও একই অবস্থা হয়েছিল। তবে প্রতি বছর বুয়েট থেকে কিন্তু কয়েকটা পাগল হয়। কারন এদের এতাে বেশী প্রেসার দেয় টিচাররা পাগল না হয়ে যাবে কই ................

১৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্প দারুণ লাগলো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুজন।

২০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০০

সামিয়া বলেছেন: আপু আমি ভুত এফ এম এ শুনেছি, তারপর কিউরিয়াস হয়ে ইউটিউবে দেখেছি। খুঁজলেইই পাবা এটা নিয়ে অনেক article আছে।।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:২০

সোহানী বলেছেন: শহরের নামটা কি? অবশ্যই যাবো নেক্সট এ ছুটি পেলে...... অন্তত ভুতের শহর বলে কথা..।

২১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

ইফতি সৌরভ বলেছেন: মানুষ ক্যামনে পারে এত্ত সুন্দর করে লিখতে!!!
খুবই fine লাগল আপু গল্পটি =p~ :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:২২

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইফতি.......। আমার কাজিনের নাম ইফতি। অসম্ভব পড়ুয়া আরেকটি ছেলে।

২২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৪

আরব বেদুঈন বলেছেন: বেসম্ভব মজা পেলুম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:২৩

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দেশী বেদুঈন ভাই।

২৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৫

সুমন কর বলেছেন: না, না হেসে পারলাম না.......... B-) :) রাতে হাসানোর জন্য ধন্যবাদ। আপনার বাবা বেশ বিচক্ষণ ব্যক্তি।

লেখা এবারও মজার হয়েছে। +।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:২৬

সোহানী বলেছেন: আমার বাবা কিন্তু একজন অসাধারন ব্যাক্তি। এতোটা খোলামেলা আর চিন্তাশীল মানুষ অন্তত আমার জীবনে কম দেখেছি। অসম্ভব ভালো লিখার হাত কিন্তু লিখবেন না। নিজের বাবা বলে বলছি না, একদিন হয়তো বাবার কাহিনীগুলো লিখবো।

ভালো থাকেন সুমন।

২৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: মজার লেখা। ভাবতেও পারিনি আপনার ভূতের কাহিনীর শেষটা এমন হবে। আমার এক পরিচিতা তিনি ঢাকা মেডিকেলে বিডিএস (ডেন্টাল) ছাত্রী ছিলেন। বিডিএস-এর ফার্স্ট ইয়ারে বোধহয় এনাটমি ফিজিওলজি পড়তে হতো। আর ওদেরও মনে হয় প্রফ দিতে হতো এমবিবিএস-এর স্টুডেন্টসদের সাথেই। পরীক্ষার আগে পড়তে পড়তে ওর অবস্থা এমন হয়েছিল যে তখন বারবার বলতো "পড়ালেখা বাদ দিয়ে মনে হচ্ছে একটু কাপপ্লেট মাজি।" হে হে হে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০২

সোহানী বলেছেন: সত্যিই শুভ, মেডিকেল বা বুয়েটের ছেলে-মেয়েরা যে কি পরিমান পড়াশুনা করে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আমার যেহেতু এ দুই শেনীর লোকজন বাসায় আছে তাই বলছি। সে তুলনায় আমরা ডিইউ এর লোকজন অনেক কমই পড়ি।

হাঁ ঢাকা মেডিকেলে বিডিএস (ডেন্টাল) ছাত্র-ছাত্রীদের ও প্রফ দিতে হতো এমবিবিএস-এর স্টুডেন্টসদের সাথে। ওদেরকেও সব এনাটমি ফিজিওলজি পড়তে হয়। আসলে আমাদের পড়াশুনা অনেকটা ব্রিটিশ সিস্টেম তাই মারাত্বক প্রেসার এক বারে। আমি কিন্তু এখন কানাডায় পড়ছি, প্রেসার অবশ্যই আছে তবে পুরো সেমিস্টারে ছড়ানো বলে একবারে মাথা খারাপ হয়ে যায় না।

আমার দুই বোনই কিন্তু ডাক্তার এবং ওরা ও কিন্তু মাঝে মাঝে পড়া ছেড়ে দেয়ার কথা বলতো মা'কে। বলতো, এর চেয়ে বিয়ে দিয়ে দাও হাড়ি পাতিল ঠেলি, বাচ্চা মানুষ করি...................হাহাহাহাহাহাহা

অনেক ভালো থাকেন।

২৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চমৎকার ভুতের গল্প । রম্য রসে মিশানো চমৎকার উপস্থাপনার গুণে অসাধারন হয়েছে লেখাটি । গল্প দুটোর মতোই আমাদের চারপাশের অনেকেই আছে যারা ভুতকে এমন ভয় পায়। ভূতের গল্প এবং ভূতের ভয় মানব সমাজে হাজার বছর ধরে প্রচলিত। সাধারণত মনে করা হয় ভূত হলো সেসব অতৃপ্ত আত্মা যারা মুত্যুর পরও পরলোকে না গিয়ে আমাদের আশপাশে আছে, বা আমাদের প্রিয় যারা মারা গেছে তাদের আত্মা যারা আমাদের মায়া ত্যাগ করতে পারেনি। যদিও ভূতের অস্তিত্ব বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি কিন্তু যারা ভূতে ভয় পায় তাদের জন্য ভূতের ভয়টা অমূলক নয়। বাস্তবে আমরা দেখতে পাই খুব কম মানুষই ভূত আছে- এটা বিশ্বাস করে , কিন্তু আবার ভূতের ভয় পায় এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবে ভূতের ভয় পেলেও অনেকে খুব আগ্রহ নিয়ে ভূতের গল্প পড়ে,সিনেমা দেখে। কারণ এটা তাদের জন্য এক ধরনের রোমাঞ্চকর অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং ভূতের ভয় পেলেও ভয়টা তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। কিন্তু ভয়টা যখন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, স্বাভাবিক ভয়ের মাত্রাকে অতিক্রম করে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, তখন তা থেকে বেড়িয়ে আসা জরুরি হয়ে পড়ে। অহেতুক ভূতের ভয় থেকে মুক্তি লাভ করার সঠিক কৌশল জানা থাকলে ভূতের ভয় থেকে বেড়িয়ে আসা সম্ভব। ভূতের ভয় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টরা অনেক সময় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাদের পরামর্শ গুলির মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কিছু পরামর্শ সকলের সাথে শেয়ার করার জন্য নীচে তুলে ধরা হলো :

১. যখন ভয়ের অনুভূতিটা প্রথম টের পাওয়া যায় তখন দেরি না করে দ্রুত ব্রিদিং রিলাক্সেশন করা যেতে পারে এর ফলে স্বাভাবিক থাকা যায় ।
২. ভূতের ভয় থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে ভূত এবং ভুতের ভয় নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করতে হবে ।
৩. গল্প ও সিনেমায় ভূত, আত্মা এই বিষয়গুলোকে অতি রঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হয়। ভয়ের সিনেমা, নাটক আমাদের মধ্যে ভূত ও আত্মা সম্পর্কে ভয় তৈরিতে সাহায্য করে। তাই যদি এ ধরনের সিনেমা, নাটক দেখে নিজেকে কেও যদি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে এই ধরনের নাটক, সিনেমা, গল্পের বই এড়িয়ে চলা যেতে পারে ।
৪. ভয়কে জয় করার জন্য ভয়ের বিষয়টিকে সরাসরি মোকাবিলা করা যেতে পারে । ভয় থেকে মনটাকে অন্য দিকে সরিয়ে দিতে গান শোনা, টিভি দেখা, গল্পের বই পড়ার মতো নিজের ভালোলাগার কাজগুলো করা যেতে পারে ।
৫. ভূত এবং আত্মা নীজের মতোই এসব কথা ভাবা যেতে পারে । তাদের ভয় পাবার কিছু নেই। কোনো প্রমাণ নেই যে ভূত কখনো কারো ক্ষতি করেছে। ভূত বা আত্মার রাজত্ব তাদের নিজেদের জগতে, পৃথিবীর কারো ক্ষতি করার কোনো ক্ষমতা তাদের নেই।
৬. অনেক সময় ছোট বেলা থেকে ভূত সম্পর্কে শোনা গল্প আমাদের মনে ভূত সম্পর্কে একটা ভয়ঙ্কর ছবি তৈরি করে। এটি থেকে আমাদের মাঝে ভয় তৈরি হয়। অনেক সময় বড় হওয়ার পড়ও তা থেকে যায়। তাই বাচ্চাদের সাথে এই ধরনের গল্প বলার বিষয়ে সচেতন থাকা যেতে পারে ।
৭. অনেক সময় ভূতের ভয়ের সাথে মানসিক অসুস্থতাও যুক্ত থাকতে পারে। সেখানে ছোটখাটো পরামর্শ মেনে চললেই তা দূর করা সম্ভব হবে না। তাই নিজে নিজে ভূতের ভয় কাটিয়ে উঠতে না পারলে মনো-চিকিৎসক, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নেয়া একান্ত জরুরী ।
৮. ভূতের ভয়টা যেহেতু রাতেই হয়, তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনকে হালকা করে এমন কিছু দেখা যেতে পারে , ঘুমের জন্য আরামদায়ক অল্প আলো জালিয়ে ঘুমানো ভাল ।
৯. সিলিং থেকে বা জানালায় ঝুলন্ত কিছু থাকলে তা সরিয়ে রাখা যেতে পারে যাতে রাতের বেলায় এগুলো দেখে কোন প্রকার ভয় তৈরি না হয়।
১০. সর্বোপরি ভুতের বিষয় নিয়ে মঝা করলে ভুতের ভয় দূর করা সম্ভব। ভূত বিষয় নিয়ে অন্যের সাথে বেশি বেশি গল্প বললে মজা করলে ভুতের ভয় দুর হয়ে যায়।আর শেষের এই কাজটি আপনি এই পোষ্টে করে সকলের মন হতে ভুতের ভয় দুর করে দেয়ার সুন্দর একটি প্রচেষ্টা নিয়েছেন দেখে ভাল লাগল , তাই যাওয়ার বেলায় একে প্রিয়তে নিতেই হলো । আর একটি কথা, ভুতের গল্প সংক্ষেপে বলা যায়না , এর গল্প বলতে গেলে কেবলি লম্বা হয়, যেন কথা বলার ভূতে ধরেছে বলেই মনে হয় । আমি জীবনে যে পরিমান সত্য মিথ্যা ভুতের মুখামুখি হয়েছি তা বলতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে :)
শেষ কথা হলো ভুত যতই হাত নারুক তাকে কোন মতেই ভয় পাওয়া যাবেনা


অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: অসাধারন অসাধারন অসাধারন ............ আপনি বা জী ভাই আমার পোস্টে না আসলে লিখাটা অপূর্ণ থেকে যায়।

ভুতকে দূরে রাখা বা ভুত থেকে দূরে থাকার পরামর্শ যথাযথ। এভাবে সবাই যদি ভাবতে পারতো তাহলে ওঝা কবিরাজদের ভাত অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেত..............হাহাহাহাহা

আসলে সমস্যা হলো দেশের বড় অংশই অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত। তাই তাদেরকে পুজিঁ করেই বেড়ে উঠেছে এ ওঝা কবিরাজ শ্রেনী। এ জন্যইতো পীর ফকিরদের ব্যবসা এতো রমরমা। তবে অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিতই নয় শিক্ষিত শ্রেনীর ও একটি বড় অংশ ভুতকে বিশ্বাস করে ও ভয় পায়। এ একারনেই ভুতের ইন্ডাস্ট্রি এতো বড়। প্রতি হ্যালোইন এর আগে বিলিয়ন ডলারের ভুতের ছবি মুক্তি পায় শুধু এক হলিউডেই।

রোমাঞ্চকর অনুভূতি বলেন আর যাই বলেন ব্যাক্তিগতভাবে আমি ওই পথে পা দেই না। এবং ভুত থাকুক বা না থাকুক ভয় কিন্তু পাই । আপনার পরামর্শ মতো প্রতিটা স্টেপেই কিন্তু মেনে চলি। জীবনে কোন ভুতের ছবি ভুলে ও দেখি না............হাহাহাহাহা তার চেয়ে আমার মেয়েই বেশী সাহসী। রেগুলার ভুতের মুভি দেখে।

ভুতের গল্প সংক্ষেপে বলা যায়না , এর গল্প বলতে গেলে কেবলি লম্বা হয়, যেন কথা বলার ভূতে ধরেছে বলেই মনে হয়। আর এ কারনেই তো এতো বিশাল গল্প ফাঁদলাম। ভয়ে ভয়ে ছিলাম, কেউই হয়তো পড়বে না আপনারা দুইজন ছাড়া........হাহাহাহাহা

যাই হোক, অাপনার জীবনের সে সত্য মিথ্যা ভুতের মুখামুখি হবার মহাভারত শোনার অপেক্ষায় থাকলাম। নিজের মনে না রেখে ব্লগেই না হয় জমিয়ে রাখলেন। আমরা ও সে দূর্লভ ভুতগুলোর সাথে পরিচিত হবো।

আর ভুত হাত নাড়বে আর আমি কাছে যাবো আর ভয় পাবো তারতো প্রশ্নই আসে না :) ......... এক হাজার হাত দূরে...........হাহাহাহাহা

২৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: দারুণ লিখেছেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫০

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল ভাই। অনেক ভালো থাকেন।

২৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

সামিয়া বলেছেন: অযথা পেরেশানি না দিয়ে নিজে সার্চ দিলেই হত Wadi Jinn: Mystery or magnetism?The Truth about Wadi-e-Jin in Saudi Arabia

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ সামিয়া লিংকটির জন্য। আর অযথা পেরেশানির জন্য দু:খিত।

তবে তোমার এ লিংকগুলোতেই সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা দেয়া আছে।

ভালো থেকো।

২৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

কি কান্ড কি কান্ড!!! দারুন কাহিনী! :)

+++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০২

সোহানী বলেছেন: আরে বিগু কান্ড আর সে আর এমন কি.............. কাহিনীতো আছে প্রামানিক ভাই আর লিটন ভাইয়ের কাছে।........হাহাহাহাহা

২৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,





"ইহা একটি ভুতের গল্প হলেও হতে পারে..." নয় , ভুতের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করার নাটকীয় গল্প হয়েছে । সাথে ভুত দর্শনার্থীনীর পিলে চমকে যাওয়া থেকে সৃষ্ট হান্ড্রেড মিটার স্প্রীন্টের দৌড়টাও আর একটু হলে গিনেস বুকে নাম লিখিয়ে ফেলার রেকর্ড করে ফেলতে পারতো, এমন বর্ণনা সমৃদ্ধ রসময় গপ্পো হয়েছে একখান । :P
াঅবশ্য বুজরূকিতে ভরা আধ্যাত্মিক খেলার দৌঁড়ে কবিরাজদের সাথে পেরে ওঠা নারী দর্শনার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয় । আফসোস, লেখিকার দৌঁড়ে রেকর্ড করে ফেলাটা শেষমেষ পুকুরের পানিতেই পড়লো ! মনে হয় কবিরাজের চালানের মুখে পড়েছিলেন লেখিকা স্বয়ং ............ #:-S :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

সোহানী বলেছেন: আরে আরে আমিতো বেশী দূর দৈাড়াই নাই যা কিছু দৈাড়ানোর কবিরাজ মশাই দৈাড়েছেন।

তবে আমি কিন্তু এরকম বুজরূকিতে ভরা আধ্যাত্মিক কবিরাজদের অনেকবারেই দৈাড়ের উপর রেখেছিলাম। যার কারনে তারা অামাকে কমই ঘাটাঘাটি করতো। কিন্তু আমার বড়বোন একটু ভিতু সবসমই ছিল তাই তার সাথেই যত কছু ঘটতো।

তবে আমাদের জীবনে এরকম ভুতের ঘটনা বেশ কিছু আছে। একটা বলি, তখন বরিশালে থাকতাম। আমাদের বাসা ছিল খান জাহান আলী রোডে পাচঁতালা বাসার তিনতলায়। এবং চারপাশে কোন উঁচু ভবন বা কোন গাছ ছিল না যা আমাদের জানালা বরাবর। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পুরো ঘরে হাটু সমান পানি। জুতো সেন্ডেল বই পত্র যা নীচে ছিল তা ভাসছে। বাথরুমের কলের নীচে হাফ বাল্টি পানি বা রান্না ঘরের বেসিনের কলও বন্ধ। কেউ যে বাইরে থেকে পাইপ দিয়ে পানি দিবে তার সম্ভাবনা নেই কারন জানালায় দাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। আর এতো কষ্টই বা কে করবে। .......... ব্যাখ্যাটা পরে দিবো যদিও সম্পূর্ন আমার নিজস্ব ব্যাখ্যা।

৩০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি তাদের খাস চামচা। দু'জনের লুকিয়ে সিগারেট খাওয়া থেকে শুরু করে সিনেমা দেখার প্রধান সাহায্যকারী আমি।
বড্ড মজা করে লিখেছেন!!! =p~

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫০

সোহানী বলেছেন: বলেনকি শুধু সিগারেট বা সিনেমা না তাদের পত্র চালাচালির আমিই ছিলাম মাধ্যম।

আমরা কিন্তু বিশাল পরিবার ছিলাম। চাচা মামা খালা ফুফু সহ অনেকেই একসাথে থাকতাম। এবং যাবতীয় আত্বীয় অনাত্বীয়র ভীড়ে আমরা থাকতাম। এমন কি গ্রামের বশির মাঝির নাতিকে ডাক্তার দেখাতে হলে ও আমাদের বাসায় চলে আসতো। বাবার ছিল সোজা হুকুম, গ্রামের সকলের প্রয়োজনে আমার দ্বার সবসময়ই খোলা। কিন্তু কথা হলো দ্বারতো খোলা বলেই বাবাতো অফিসে বাট তাদের সেবা শশ্রুষা খাওয়া বাথরুম এর দেখবাল টা মাকেই করতে হতো কিনা...... B:-)

অনেক ভালো থাকেন লিটন ভাই...............

৩১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সোহানিপু,খুব মজার হয়েছে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫১

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহেল ভাই.............

৩২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও এমন একটা কাহিনী আছে। পইড়া ফালান

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৭

সোহানী বলেছেন: পড়ে আসলাম........ আপনাকে কেউ ঘোল খাওয়াতে পারে!!!!!!!

৩৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

সামিয়া বলেছেন: হ্যা আপু scientific ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু আল্লাহতায়ালা ইয়াসিন সুরায় স্পষ্ট বলেছেন, আমি মানুষ এবং জীন জাতিকে সৃস্টি করেছি আমার ইবাদাত করার জন্য।আমি science ভালবাসি তবে আমার religion উপেক্ষা করে নয়। লিঙ্কে ঐ লেখাটা ফান করে লিখেই মনে হয়েছে এই রে আপু না mind করে বসে। সরি আপু সরি ওটা ফান ছিল। pleae don't mind.

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৯

সোহানী বলেছেন: তোমার বই কেমন সাড়া পাচ্ছে। খুব মিস করছি বই মেলা। কম করে ১৫ বার যেতাম। আমিতো ওই এলাকায় থাকতাম তাই কোন ঝামেলা হতো না প্রায়ই রাতে হেটে চলে আসতাম। আহ্ কবে যে যেতে পারবো.............

৩৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: গভীর রাতে এই ভুতের কাহিনী পরেও কিন্তু একটুও ভয় পাইনি ! প্রিয় ছোট ভুত ক্যাস্পারের মজার গল্পের মতো মজা পেলাম পড়ে | আর বলাই বাহুল্য যে দুর্দান্ত সাহসী লাগলো ভুতের গল্প পড়তে পড়তে | পরের ভুতের গল্পেও যেন মূল পাত্রপাত্রী আর কাহিনী এমনই থাকে -মানে হাও মাও খাও ভুত না হলেই ভালো হয় ! রাতে একা একা পড়তে হয়তো !!!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১১

সোহানী বলেছেন: আরে আমি নিজেই ভুত প্রেত থেকে একশ হাত দূরে থাকি ....। ওদেরকে কাছে ডাকারতো প্রশ্নই উঠে না.................।

আর রাতে কেন দিনে ও ভুতের বই পড়ি না.............।

৩৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: এতকাল যাবত ভুতের অপেক্ষায় আছি। দেখা-সাক্ষাহীন ভাবে পরে আছি। তাই যেখানেই তার নাম শুনি ছুটে যাই। কিন্তু প্রকৃত ভুতের সাক্ষাৎ তো ভাই নাহি পাই!



ধন্যবাদ, শুভসকাল।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৩

সোহানী বলেছেন: ভুত থাকুক ভুতের জায়গায় আমি থাকতো আমার জায়গায়। আমার মোটেও ইচ্ছে নেই ভুতের সাথে মোলাকাতের। যে চেহারা দেখছি সবখানে তাতে দেখলেই অক্কা পাবো তাই সেধে অক্কা যাওয়ার ইচ্ছে নেই........হাহাহাহাহা

প্রকৃত ভুতের গল্প নিয়ে আসবো নেক্সট..............

৩৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,





হুমমমমমমমমমমমমম তাহলে আরও একখানা জম্পেশ ভুতের গপ্প পেতে যাচ্ছি আমরা ! ইয়াসিন মোল্লার পানি পড়া ও তাবিজ নিয়ে বসলুম । :P
আধ্যাত্মিক কবিরাজদের অনেকবারই দৌড়ের উপর রেখেছিলেন । দেখতে হবেনা , বরিশালে থেকে এসেছেন যে ! বরিশাইল্লা বাতাস যাদের লেগেছে তাদের কইলজার জোরই অন্যরকম । ;)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৩

সোহানী বলেছেন: ইয়া আল্লাহ.... শেষ পর্যন্ত আপনি আমারে বরিশাইল্লা বানায়ে ছাড়লেন। জীবনে বরিশালে ছিলাম মাত্র এক বছর। আসলে ভুল বলেছিলাম, এটা খুলনার খান জাহান আলী রোড। হোটেল সুন্দরবনের খুব কাছে। বরিশালে ছিলাম আমরা বগুড়া রোডে। তবে বরিশাইল্লা হই বা না হই কলিজার জোড় একটু বেশীই তবে ভুতের সাথে না মানুষরুপী ভুতদের সাথে.........হাহাহাহাহাহাহা। সেটার গল্প কিন্তু অনেকবার বলেছি।

শুধু ইয়াসিন মোল্লার পানি পড়া ও তাবিজ নিয়ে বসলে হবে না সাথে ঝাড়ু লাঠি নিয়েও বসতে হবে। কারন আমি একা লাঠি চালানে পেরে উঠবো না গায়ে অতো জোর নেই তাই সঙ্গী সাথীদের সাহায্য ও প্রয়োজন।

অনেক অনেক ভালো থাকেন। কিন্তু এবার তো মনে হয় শীতে আপনিই জমে গেছেন, কোন লিখাই দেখছি না।

৩৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

শামচুল হক বলেছেন: হা হা হা - - পানিতে চুবান খাইয়া কবিরাজ জন্মের মত শিক্ষা পাইছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০১

সোহানী বলেছেন: অারে ভাই তা আর বলতে........ ওরা কতবার পানিতে চুবান খায় তারপর ও ব্যবসা বলে কথা, সেটা চালায়ে যায়।

ভালেঅ থাকেন, আপনার ৫টাকার ভর্তা ভাত পড়তে গেলাম........

৩৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৩

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: ভূতের গল্প ছোট করে বলা যায় না, কথাটি ঠিক না। দুনিয়ার সব থেকে ছোট ভূতের/ ভয়ের গল্প আমার জানা। এটা আমার নিজের বানানো না। কোথাও পরেছিলাম। শুধু দুই লাইনের। এখানে শার করছি।

"পৃথিবীর একমার জীবিত লোকটি একটি ঘরে বসে আছে। হঠাৎ দরজায় টোকা পরল......"

উপরের গল্পটি ভেবে দেখুন তো! লেখক এমনভাবে লিখেছে যে পাঠকের imagination পাগল করে ছাড়ে!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৬

সোহানী বলেছেন: এটা ডিপেন্ড করে আমি কি বলতে চেয়েছি তার উপর। ঘটনাটার বর্ননা করতে গেলে কিছু বাদ দিলে সেটার মজা নষ্ট হয়ে যায়। আর আপনি যে গল্পের কথা বললেন এটা খুব বিখ্যাত গল্প, সেটা কোন ঘটনার বর্ননা না। আমি বলেছি ব্যাক্তিগত কাহিনী তাই ডিটেইলস বলতেই হলো....।

আর হাঁ, পাঠকের imagination নির্ভর গল্প অবশ্যই ভিন্ন হয়, কিছু বলবেস কিছু বলবেন না। বাকিটা পাঠক কন্টিনিউ করবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ অনেক কথা।

৩৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৭

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: ভূতের গল্প ছোট করে বলা যায় না, কথাটি ঠিক না। দুনিয়ার সব থেকে ছোট ভূতের/ ভয়ের গল্প আমার জানা। এটা আমার নিজের বানানো না। কোথাও পরেছিলাম। শুধু দুই লাইনের। এখানে share করছি।

"পৃথিবীর একমাএ জীবিত লোকটি একটি ঘরে বসে আছে। হঠাৎ দরজায় টোকা পরল......"

উপরের গল্পটি ভেবে দেখুন তো! লেখক এমনভাবে লিখেছে যে পাঠকের imagination পাগল করে ছাড়ে!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৭

সোহানী বলেছেন: উত্তর উপরে...............

ভালো থাকেন অনেক কথা।

৪০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৩৬

কাতিআশা বলেছেন: উফ্‌ আমি খুবি ভীতু..এখনো একা একা রুমে ঘুমালে দরজা একটু ফাঁক করে ঘুমাই, ছেলেমেয়েরা হাসাহাসি করে! :``>> "shining" মুভীটা দেখে কয়েকদিন ঘুমাতে পারিনি...

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৯

সোহানী বলেছেন: এইতো আপনাকে পেলাম আরেকজন যে আমার মতো ভীতু। আপনিতো মুভি দেখার সাহস করেন আমিতো তাও করি না। মাথা খারাপ মুভি দেখি আর রাতে বাথরুমে যেতে ও ভয় পাই। তার উপর রাত বিরাতে একা চলাফেরা করি এখানে। বিশেষ করে আমার যেখানে ক্লাস হয় অনেক পুরোনো বিল্ডিং, ঢুকতেই ভয় লাগে।.............

অনেক ভালো থাকেন কাতিআশা।

৪১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনেক দিন পর এই গল্পটি পড়ে বেশ মজা পেলাম। :D সবমিলিয়ে গল্পটি সুন্দর হয়েছে। সেই সংগে পরের গল্পটি অপেক্ষাতে রইলাম।





ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩২

সোহানী বলেছেন: হায় হায় এইটা ভুলে ও গল্প না বাঙালী ভাই........ ইহা শতভাগ সত্য ঘটনা ;)

৪২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪১

শায়মা বলেছেন: ভূতের গল্প পড়ে ভয় না পেয়ে হাসতে হাসতে মরলাম! :)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০১

সোহানী বলেছেন: আরে শায়মা, তুমি মাঝে মাঝে কই উধাও হও???? তোমার রোমো কি আবার ফিরে আসছে জেল পরবর্তী হানিমুন করতে :P

৪৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৬

শায়মা বলেছেন: কই উধাও হই!!!!!!!

একটু হলেও আসি তো!!!!!!

তবে নানা রকম অনুষ্ঠান নিয়ে আমার উধাও দশা মানে নাই নাই ভাব।

এপ্রিলের আগে আর শান্তি নেই! :(

আর রিমো!!!!!!!!!!!!!!

সে কি আর আমাকে ছেড়ে জেলে থাকতে পারে বলো!!!! :)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১১

সোহানী বলেছেন: তোমার ও এপ্রিল দশা!!! ওওওওও দেশেতো শীতকাল আর শীতকাল মানে বিয়ে অনুষ্ঠান!!! তা এবার কি নিজেরটা নাকি অন্যেরটা................হাহাহাহাহাহা

রোমো টোমো বাদ দিয়ে আসল রোমিও ধরে ফেল তাড়াতাড়ি, আমরা একটু খানাপিনা করি অন্তত ভোজসভার ছবিতো দেখি B-))

কি বলো........................?

৪৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৭

শায়মা বলেছেন: আসল রোমিও !!!!!!!!!!!

এই বদ দোয়া দিওনা আর এই বয়সে!!!!!!!!!!!! :(


যাইহোক আমি শুধু বিয়ে শাদী নিয়ে বিজি না আপুনি!!!!!!!


পহেলা ফাল্গুন, একুশে ফেব্রুয়ারী, স্বাধীনতা দিবস একটার পর একটা রিহার্সেল নিয়ে বিজি! :(

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪১

সোহানী বলেছেন: আরে ধ্যাৎ... রিহার্সেল টিহার্সেলতো থাকবেই তাই বলে কি নিজের জীবনের বসন্ত আনবে না???? সব ছাড়ো,অনেক হয়েছে এবার বিউটি পার্লারের টাইম নিয়ে নাও। সামনে ভ্যালেন্টাইন, একা একা ঘুরা ঠিক না..........

আরে বদদোয়া না এটা, এএএএটা কঠিন দোয়া। দিল্লি কা লাড্ডু না খেয়ে পোস্তানো ঠিক না, খেয়েই দেখো কেমন সেটা :P

৪৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপা এই গল্প আমি তিনবার পড়েছি এবং হেসেছিও। আমার কাছেও একটি ভূতের গল্প আছে। খুব শিঘ্রী লিখে ফেলবো ভাবছি।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: আরে আরে তোমার গল্প হলেতো দারুন কিছু হবে, অপেক্ষায় থাকলাম রাজকন্যা।

৪৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই তিনদিনে দেখি কিছু লেখা যায় কিনা। দারুন বেদারুন জানিনা লিখতে ইচ্ছা করে একটা ভূতের গল্প। প্রেমিক ভূতের গল্প।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৩

সোহানী বলেছেন: হায় একেতো ভুত তারপর আবার প্রেমিক!!!

তোমরা কি শুরু করেছো, কেউ ধরো রোবট, কেউ ধরো ভুত :P

আমাদের মানুষ রোমিওদের কি হবে........ :((

৪৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপা ভূত সিরিজটা শুরু করলাম। পোস্ট দিয়েছি।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৫

সোহানী বলেছেন: হুম পড়লাম একেবারে ভালোবাসায় কাতর ভুত বউ :P

৪৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ বোকা ভূত। ভালোবাসার কোনো মূল্য নেই মরে গিয়েও জানলোই না।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

সোহানী বলেছেন: আসলে মেয়েগুলা খুবই বোকা এবং ওরা জানেই না যে ওরা কতটা বোকা। ছোটবেলায় একবার মনে পড়ে বাসার সামনে অনেকগুলো টিনসেড ঘর ছিল। আমাদের তিনতালা থেকে সব কিছু দেখা যেত। আমাদের বোনদের কাজ ছিল তিনতালা থেকে ওই বাসার কাজকর্ম দেখা। সেখানে এক অল্প বয়সী মেয়ে থাকতো স্বামী সহ এবং ২/৩ বছরের একটা মেয়ে ও ছিল। মেয়েটি তার স্বামীর যে কি যত্ন করতো দেখতাম কিন্তু প্রায় দেখতাম মেয়েটিকে মারছে। আমরা এগুলা খুব নজরে রাখতাম। একদিন স্কুল থেকে এসে শুনি মেয়েটা বিষ খেয়েছে। কি যে খারাপ লাগছিল শুনে। তারপর এর কিছুদিন না যেতেই লোকটি আরেকটা বিয়ে করে নিয়ে আসলো........... আমরাতো অবাক!!!

৪৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভূতের গল্পের প্রতি আমার আলাদা টান আছে। আপনারটা পড়লাম। তবে গল্পের সিক্রেট (সত্যিকারে গল্প না বলাতে) রেশ বেশি একটা ক্রিয়া করেনি।
তবে সুন্দর লিখেছেন।।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

সোহানী বলেছেন: উপস্!!!

আসলেতো গল্পই লিখি নাই ক্রিয়া করবে কিভাবে.........হাহাহাহাহাহা

অনেক ভালো থাকেন.......... আপনার সাথে আড্ডাটা মিস করেছি। নেক্সট কোন একদিন...........

৫০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





হা হা হা ! এই লেখা পড়ে হয়তো ভূতেরাও হাসছে !! লেখায় এতো কোমল রাসাত্বকভাব মুদ্ধ করে ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:২৪

সোহানী বলেছেন: অারে আরে ভুতেরা হাসবে না আমাকেই উল্টো ভয় পাবে :P

কোমল রাসাত্বকভাব না কিন্তু ছোটবেলায় বিদ্যা সাগর বড় বোনের অত্যাচার :(( শান্তিতে একটু ও ফাকিঁ দিতে পারি নাই.....

৫১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

অংকুর জেসফি বলেছেন: গল্পটা পড়ে বেশ মজা পেয়েছি, এরকম মজার কান্ড আরও আরও চাই :)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১১

সোহানী বলেছেন: শতভাগ সত্য :( :( :( :(

অনেক ধন্যবাদ অংকুর ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য ............

৫২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মারাত্মক হইছে, সবগুলো কবিরাজকে এমব চুবানী খাওয়াইতে পারলে ওদের ভুতের আছড় সেরে যেতো :)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৩

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা............ কয়টারে আর ধরতে পারা যায় বলেন, ওরাইতো বোকা মানুষগুলোকে নাকানি চুবানি খাওয়ায়।...

চা কই????

৫৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুনেছি আপনি নাকি অল্প চা পছন্দ করেন না, তাই =p~

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:০০

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা অামি কফিখোর। সকালের মধ্যে এককাপ না হলে অামি মরছি............

আপনার চা দারুন হয়েছে...

অামার সকালের কফি...........................

৫৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

আটলান্টিক বলেছেন: তিনি বাবাকে জোর করে বাইরে নিয়ে আসেন আবার দেখার জন্য। তারপর দেখা গেল সেটা দুই গাছের ছায়া, যতই দূরে যাচ্ছিল ছায়াটার আকার পরিবর্তন হচ্ছিল সেই জন্যই মনে হয়েছিল সেটা পিছে পিছে আসছে।

অ্যাঁ #:-S

পরে এরকম ঘটনা আরো ঘটেছে?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৮

সোহানী বলেছেন: আরে আরে আটলান্টিক ভাই এরকম ঘটনা হাজার খানেক জমা আছে!!!! জী ভাইকে দেয়া এরকম একটা ঘটনা বলেছি.....

তবে সত্য যে হাতে মোবাইল ক্যামেরা আসার পর ভুতেদের আনাগোনা অনেক অনেক কমে গেছে....হাহাহাহাহা। ওরা মনে হয় ক্যামেরা ট্যামেরা ভয় পায়।

যাহোক আপনার খবর কি? কেমন আছেন?

৫৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: :D :P =p~ :D :P

বেশ মজা করেছেন কবিরাজকে নিয়ে। এই জিনিসকে নিয়ে আমারও কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে।

চমৎকার মামদো ভূতের কাহিনি। ;)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৩

সোহানী বলেছেন: আরে আরে নিয়ে আসুন আপনার অভিজ্ঞতা.. আমরা ও একটু বিনোদিত হই ;) ;) ;) ;) ;)

অনেক ভালো থাকেন আখেনাটেন। আপনার দিল্লি কড়চা কেমন চলছে! সিরিজটি কিন্তু ভালো লাগছে।

৫৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: ও হ্যাঁ, আপনার কবরস্থানে সাদা ভূতের দৌড়ানিতে ভয় লাগে নি। :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৪

সোহানী বলেছেন: ভয় লাগেনি আবার :( . তখনতো জীবন হাতে করে পালিয়েছিলাম। আগেতো জীবন বাচাঁনো ফরজ তারপর না হয় ভয়....হাহাহাহাহা

৫৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পহেলা ফাল্গুন


আজ বসন্তের প্রথম দিন
ফুল ফুটেছে ,পাখীও গাইছে
বসন্তের এই মাতাল সমীরণে ।
- পল্লী কবি জসিম উদ্দিন

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৭

সোহানী বলেছেন: দিলেনতো মনটা খারাপ করে এই ভর দুপুরে....... :(( :(( :(( :((

আমার অসম্ভব প্রিয় পহেলা ফাগুন। দেশে থাকতে হলুদ শাড়ি পড়ে বইমেলায় যাওয়া এ জীবনে মিস করিনি। আর এখানে ফাগুন না সব চৈত্রের দাবাদাহ.......... আগুন। দৈাড়ের উপর থাকতে থাকতে জীবন তেজপাতা.............।

এই মুহুর্তে অফিসে, মেজাজ চরম খারাপ। এক পয়সা ওয়ালা ক্লায়েন্ট বাট হাড়কিপ্টা। কাজ শুরু করা আগে আমার ইন্টাভিউ নিয়েছে আধা ঘন্টা........ হাহাহাহা। আমারে হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট দেখাচ্ছে ফাইনান্স আইনের। অনেক কষ্টে ধৈর্য্য ধরে আছি।..... অপেক্ষায় আছি, কাজ শেষে তার থেকে ৩গুন বিল আদায় করবো। .... ঘুঘু দেখেছে ফাঁদ দেখেনি...........হাহাহাহাহা

৫৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একটা অনলাইন সার্চ এর এরেঞ্জমেন্ট করা হয়েছিল ।
কিছুক্ষন আগে রিজাল্ট আসছে
385 papers recently uploaded to different on line blogs that mention the name "Dr. MA Ali".
বুজেন এখন ফাগুনে আগুন কতখানি লাগছে । আমার দীর্ঘ দিনের একাডেমিক লেখা বিভিন্ন ব্লগে ঘুরে ফিরছে, জানিনা এর
মধ্যে কতগুলি অন্যের নামে চলছে । যাহোক মানুষে পড়লেই হল ।
কামনা রইল আপনার তেজপাতা জীবন যেন এলো ভিয়েরা পাতার মত মোটা তাজা সতেজ চীর সবুজ ও অনেক গুনে গুনান্বিত হয়ে মানব সেবায় নিয়োজিত হয় :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৫৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা....... ড: আলী একজন সুপ্রতিষ্ঠিত লেখক এবং ব্লগার। তাঁর লেখা কপি পেস্ট হবে নাতো আমার মতো অগা বগা জগা ব্লগারের লিখা কপি হবে!!!!!!!! তা ও তো ভালো যে ৩৮৫ আপনার নাম নিয়েছে :P (যদিও আমার অখাদ্য লিখাও কপি পেস্ট হয় X( )

এই জন্যইতো বলি, তাড়াতাড়ি বই ছাপান। অন্তত পাকাপোক্ত লেখক লিস্টে নিজের নাম লিখান। নতুবা আপনার অসাধারন লিখাগুলা অগা বগা জগারা যত্র তত্র নিজের বলে বিতরন করবে............. এতো ফ্রি পরামর্শ দিচ্ছি কোন আমলেই নিচ্ছেন না :((

৫৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৩১

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমার ২৪ নম্বর কমেন্টের সাথে আরও দুএকটা বাক্য যুক্ত করতে চাই। আমার পরিচিত ডেন্টালের ছাত্রীটি আর একটা কথা বেশ মজা করে বলতো যে, বাংলাদেশে পেশেন্টের মুখ তো নয় যেন ড্রেন। হা করলে যে দুর্গন্ধ বের হয় তাতে অন্নপ্রাশনের ভাত পেট থেকে উঠে আসার যোগার। কোন কুক্ষণে যে ডেন্টাল পড়তে আসলাম। হে হে হে। কথাটা মনে আসলেই আমার খুব হাসি পায়। এখন মনে পড়ায় তাই শেয়ার করলাম। অবান্তর কথা বলে মনে হয় আপনাকে বিরক্ত করলাম। ভাল থাকুম সতত।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩১

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা....... ইহা দাঁতের ডাক্তারদের ফি এর অংশ ;)

শুধু দাত না বাকি ডাক্তারদের ও এ ধরনের পেসেন্ট ডিল করতে হয়। আসলে পাবলিক ডিলিং মানে হাজার বিড়ম্বনা। কোনভাবেই পাস কাটাতে পারবেন না। নতুবা ওই রাস্তা ছেড়ে ভিন্ন রাস্তা ধরতে হবে।

তবে সবচেয়ে কষ্ট গাইনী ডাক্তারদের । বিশ্বাস করবেন না, রাত নেই দিন নেই খাওয়া নেই সংসার নেই শুধু আছে রোগী আর রোগী। সবাই ডাক্তারদের বদনাম করে কিন্তু কেউই ডাক্তারদের লাইফ দেখে না। একটু পান থেকে চুন খসলেই ডাক্তারদের চৈাদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে। নিজের বোনদেরকে দেখে বলছি না, আমার ফ্যামিলির মোটামুটি একটা বড় অংশই ডাক্তার। হার্ট, চোখ, স্কিন, দাঁত সবই আছে। প্রত্যেক সেক্টরই তাদের সীমাহীন কষ্ট।

মোটেও বিরক্ত হয়নি বরং কিছুক্ষন বকবক করতে পেরে ভালো লাগছে।

অনেক ভালো থাকেন শুভ।

৬০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




স্বদেশের বসন্ত বাতাস দোলা দিয়ে যাক এক প্রবাসিনীকে ------

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

সোহানী বলেছেন: :(( :(( :(( :(( :(( :(( কতক্ষন কান্নাকাটি করে নেই নিজের দু:খে।

দেশে থাকতে জীবনের প্রতিটি বসন্তই টের পেতাম, ফাগুন টের পেতাম, ভালোবাসা দিবসের ভালোবাসা টের পেতাম। আর এখন!!! কখন দিন কখন রাত কখন ফাগুন কখন আগুন কিছুই টের পাই না। জীবন যাচ্ছেতো যাচ্ছে যাচ্ছে যাচ্ছে যাচ্ছে ..... অনেকটা রেলগাড়ি, যার কোন গন্তব্য কোথায় চলছেতো চলছে........কেউই জানে না। একদিন সত্যিই হুট করে পালিয়ে যাবো এ জীবন থেকে .......হাহাহাহা

ফাগুন দিবস ভালোবাসা দিবস সব কিছুই আপনাদের জন্য তোলা থাক.............. আর আমাদের জন্য শুকনো খড় খড়ে বরফ দিবস।

৬১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১০

শায়মা বলেছেন: মধুরও বসন্ত এসেছে আপুনি!!!!!!!!!!!!! :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

সোহানী বলেছেন: অ্যা......... মধু !!!!! সে কে??? তার বসন্ত আসার সাথে তোমার কি সম্পর্ক????? ওওওওওওওওওওওওওওও আচ্ছা ডাল মে কুচ কালা হায় :P

৬২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




সে জন্যেই তো স্বদেশের বসন্ত বাতাসকে পাঠালুম শুকনো খড় খড়ে বরফ দিবসে আপনাকে দোলা দিয়ে যেতে । হা...........হা..........হা.............হা............. আমিও একটু হেসে নিই । =p~

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৪

সোহানী বলেছেন: জি জী ভাই, হাসেন হাসেন... পরের দু:খ দেখে হাসেন আর কি X((

যে বরফ পড়ছে এই শীতে স্বদেশের বসন্ত বাতাসে বরফ গলাতে পারবে বলে মনে হয় না। এবারের শীত দীর্ঘস্থায়ী হবার সম্ভাবনা ৯৯%। আজ সকালে ২ মিনিটের রাস্তায় কম করে ৫ বার পিছলায়ে পড়ার অবস্থা। কারন যেদিন বরফ পড়ে সেদিন ঠিক আছে বাট তারপরেই সে বরফ শক্ত হয়ে ব্লাক আইস হয়ে যায় যা চরম স্লিপারি। এমন কি গাড়িকে ও কয়েকশ গজ দূরে নিয়ে ফেলে একটু অসাবধান হলে। আমি যে বুট পড়েছি আজ তার নীচে রীতিমত বরফ আটকানোর ব্যবস্থা আছে...হাহাহা তারপর ও এই অবস্থা।

তাই বসন্ত এখন দোলা দিয়েও লাভ নাই....................

৬৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

শায়মা বলেছেন: মধুকে চেনো না!!!!!!!!!!! B:-)


এটা কিন্তু কবি মধুসুধন দত্ত নহে.....

এটা আমাদের মধুদার ক্যান্টিনের মধুদাও ভে

রাম শ্যাম যদু মধু খেলার মধুও নহে

ইহা আমাদের মৌমাছির চাকের মধু......

তাও আবার যে সে মৌমাছি নহে বসন্তের মৌ মানে মধু!!!!!!!!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৫

সোহানী বলেছেন: ওওওওওওও আমিতো ভাবলাম এইবেলা মি: মধু বসন্ত এনেছে তোমার জীবনে। যাক্ এইবেলা খাওয়া মিস হবে না...

কিন্তু :( কি শুনাইলা !!!!!!! একেবারে বসন্তের মৌমাছি নিয়া আসলা দেখি। আর এদিকে আমাদের মি: মধুরা বিরস বদনে মেলাময় ঘুরে বেড়াচ্ছে.... :(( ...এইটা কিছু হইলো!!!!! ;)

যাক আশা কামনা দোয়া........... এইবার ভ্যালেন্টান আর ফাগুন নিয়ে আসুক আগুন তোমার জীবনে। ভেসে যাক যত শোক বেদনা............. হ্যাপি ভ্যালেইন্টাইন যে........

৬৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৬

মিরোরডডল বলেছেন: funny:-)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১০

সোহানী বলেছেন: কেমনে :( ;)

৬৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৪৯

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: আপনার লেখায় পারিবারিক যে চিত্র টি ফুটে উঠেছে তা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ! আপনার আপু কোন মেডিকেল কলেজে পড়তেন জানান নি ! আপনার বাবা কে গভীর শ্রদ্ধা ! তার মহত্ব আর উদারতা আপনাতে ভাস্বর ! ভালো থাকবেন !

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫১

সোহানী বলেছেন: ওপস সরি! উত্তর দিতে দেরী করলাম কারন প্রশ্নই দেখিনি...........

আমার বড় বোন ফুল প্রফেসার এখন গাইনীতে একটি সরকারী মেডিকেলে। মেঝবোন এ্যাসোসিয়েট প্রফেসার গাইনীতে। এক ভাই হ্রদরোগের ও আরেকভাই চোখের। এছাড়া ও দাদা, মামা, চাচা সহ আরো কয়েকজন আছে.....হাহাহাহা অভাব নেই। সংখ্যা বেড়েই চলছে কারন নেক্সট্ প্রজন্ম ও ঢুকছে মেডিকেলে। তারা কোন মেডিকেলে পড়তেন বা এখন কোথায় পড়ান তা নাই বা জানালাম ব্লগে, কোনদিন পরিচয় হলে বলবো।

আমার বাবা কিন্তু সত্যিই অসাধারন। সত্যিই বলছি, আশে পাশের বাবাদের দেখে বলছি। অসম্ভব আধুনিক মনের মানুষ। তাঁর দৈাড় খেয়েই আমরা পুরো পরিবার সোজা হয়েছি.............হাহাহাহাহাহা

অনেক অনেক ভালো থাকুন ওসেল। আপনি মনে হয় এই প্রথম আমার ব্লগে।

৬৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২১

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আরেকটু গভীর রাতে পড়া দরকার ছিল

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:২১

সোহানী বলেছেন: আরে না না......... এ ই কাহিনী পড়ার জন্য গভীর রাতে পড়া দরকার নেই। যেকোন সময়েই চলবে... ... ;)

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৬৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হেব্বি ছিল ঘটনাটি। পুরো ব্যাপারটা কল্পনা করতেই অদ্ভুত লাগছিল। অনেক দিন পর এমন মজাদার কিছু পড়া হল। +++++

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:২৫

সোহানী বলেছেন: জ্বী এইটা কিছু হইলো!!!!!! তুমারে কি বিদেশ বেড়াইতে গেলে ভুতে ধরে নাই??????????

৬৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: জানেন আজকে প্রথম আপনার লেখা পড়ে একটু হিংসা অনুভব করছি, কারন এত সুন্দর করে কিভাবে লেখেন? আপনি তো কোন প্রথিতযশা লেখক হতে পারতেন , শুধু লিখলেই। কি দারুন বর্ননা। ঠিক যেখানে যতটুকু। এই পরিমিতবোধ টুকুই লেখার মুল উপাদান। আর জায়গায় জায়গায় টুইষ্ট।

আপনার বাবাকে আমার সালাম। পুরা লেখাটা ভৌতিক আবহ শুরুতে শেষে দম ফাটানো হাসিতে।

ভালো লাগা জানাবেন আপু।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৪

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা................ শের ভাই, বাবার ফোন নাম্বারটা একটু দিয়ে দিবো যা বলছেন তা যদি একটু কাইন্ডলি বাবারে বলতেন :P তাইলে বাবা বুঝতো তাঁর বাকি ছেলে মেয়েদের মতো আমি পুরোপুরি প্রতিভাবান না হলেও হালকা পাতলা আছি আর কি :-B

ভালোবাসেন বলে ভালোলেগেছে এটাই আমার কাছে সহজ সরল হিসেব.....। তারপরও ভালো লাগে আপনাদের মতো অনেক অনেক প্রতিভাবান লেখকদের কাছ থেকে প্রশংসা শুনতে। (প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে B:-/ )

একদিন সত্যিই হয়তো সব ছেড়েছুড়ে লেখক হয়ে যাবো.............হাহাহাহা

৬৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৭

আনমোনা বলেছেন: ভুতের গল্প ভালো লাগলো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৭

সোহানী বলেছেন: আমার একটু ভালো লাগে না। ভয় পাই ;)

৭০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দারুণ মজা পাইলাম আপু। আপনার বাবা সত্যিই বিজ্ঞান মনস্ক। সুন্দর ভাবে চিত্রনাট্য সাজিয়েছিলেন। তবে বড়পার ঘটনা পরে কি হয়েছিল, বিষয়টি অমিমাংশিত থেকে গেল।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৪৬

সোহানী বলেছেন: অমিমাংশিত থাকেনি। ও পরীক্ষায় ভালোই করেছিল। আসলে পড়তে পড়তে ওর মাথা খারাপ হবার জোগাড় হয়েছিল। পরে মাথা ঠান্ডা হোক বা না হোক পরীক্ষায় ভালো করেছিল। মনে হয় ফাইনাল প্রফে ফার্স্ট বা সেকেন্ড পজিশান পেয়েছিল। আপনিতো জানেন মেডিকেলের ফাইনাল প্রফ কতটা কঠিন!

৭১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম ঘটনাটির পেছনে অতি উত্তেজলাই কারণ ছিল, নিঃসন্দেহে।

পরের ঘটনার মূল কুশলী আপনার বিজ্ঞান মনস্ক বাবার নিখুঁত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পারদর্শিতা দেখে মুগ্ধ হ'লামা। আপনার বর্ণনাটাও বেশ চমকপ্রদ হয়েছে। আপনি যোগ্য পিতার একজন যোগ্য কন্যা।

ভূত-প্রেত, অতিপ্রাকৃত ঘটনার গল্প, হরর মুভি- এসব কখনোই আমার পছন্দের ছিলনা, এখনো নেই।

৩৩ নং প্রতিমন্তব্যটা ভাল হয়েছে।

ডঃ এম এ আলী, আহমেদ জী এস এবং শের শায়রী এর মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে। শেষোক্ত জনেরটা বেশি ভালো।

পোস্টে ২৮তম ভাললাগা। + +

০৭ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৪:০০

সোহানী বলেছেন: এই একটা জিনিস আপনার সাথে দারুনভাবে মিলে গেছে। আমি ভূত-প্রেত, অতিপ্রাকৃত ঘটনার গল্প, হরর মুভি- সহ্যই করতে পারি না। পয়সা দিয়ে সময় নষ্ট করে ভয় পাওয়ার কোন মানে আছে?? কি মজা সেখানে আমার জানা নেই।

আমি কুব সামাজিক মানুষ, মানুষ নিয়েই আমার বাস। তাই মানুষ নিয়েই আমার সব আগ্রহ। যা দেখি না তা নিয়ে ভাবি না বা ভাবতে চাই না।

আমার বাবা খুব ভালো লিখেন। কিন্তু সমস্যা হলো আমি যেহেতু পাশে থাকি না তাই লিখালিখির জন্য চাপ দিতে পারি না। উনার চারপাশে যারা থাকেন তাদের লিখালিখির প্রতি উৎসাহ কম।

আবারো ধন্যবাদ লিখাটা পড়ার জন্য। ক'দিন আগেই লিখাটা অনলাইনে আবার পোস্ট করেছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.