নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেবু ই জীবন, ফেবু ই মরন!!!!!!!!!!!!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৯



অফিসে রীতিমত দৈাড়রে উপর আছি এমন সময় মেসেন্জারে ফোন। সাধারনত মেসেন্জারে তার উপর অফিস টাইমে ফোন পেলে একটু টেনশানে ভুগী কারন দেশের সবাই রাতে বা উইকএন্ডে ফোন দেয়, দুপুরে অফিস টাইমে না। ভয়ে ভয়ে ফোন খুলে দেখি আমার বান্ধবী। হঠাৎ কি হলো খুব টেনশানে ফোন ধরতেই বললো, " এই শোন, অনেকগুলো ছবি পোস্ট করেছি। এখনি কমেন্টস্ কর আর লাইক দে.... X(( X(( ।"

কথা হচ্ছিল ফেইসবুক নিয়ে। মানে হাল আমলের জীবনের অবিচ্ছেদ অংশ ফেইসবুক নিয়ে। ফেইসবুক আমাদেরকে শিল্পী বানিয়েছে, কবি বানিয়েছে, গল্পকার বানিয়েছে, চিত্রশিল্পী বানিয়েছে.... কিছু না হলে একজন ফটোগ্রাফার বানিয়েছে! সহজ কথায় আমাদের যাবতীয় প্রতিভার প্রকাশের স্থান হিসেবে ফেইসবুক সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে। তাই বলে নিজের প্রতিভা!!! উহু, নিজের ঘটে কিছু নাইতো কি হয়েছে!!!! অন্যের প্রতিভাও নিজের নামে চালিয়ে দেবার মহান স্থান হিসেবে ও জায়গা করে নিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। এমন কি কেউ কেউ কয়েক ধাপ এগিয়ে..... তারা অন্যের লিখা দিয়ে বই ও প্রকাশের খবর ইথারে বাতাসে জানা যায়।

শুধু তাই নয়, নিজের মনের দু:খ-কষ্ট-আনন্দ-হতাশা-নিজের ঢোল পিটানো-অন্যের ঢোল ফাঁটানো সব বন্দোবস্তই আমরা এখানে করার ব্যবস্থা করেছি। জুকারবাগ অব্যশই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে, নতুবা আমাদের যে এতো প্রতিভা আছে তা কোনভাবে জানতেই পারতাম না। তবে এ ঢোল পিটানো বা ঢোল ফাঁটানোয় আমরা রীতিমত শিল্প গড়ে তুলছি। এবং এ চর্চায় আমরা পুরোপুরি ভুলে গেছি যে "প্রাইভেসী" নামক একটি শব্দ ডিকশেনারীর কোন এক কোনায় ঘুপচিতে বসে আছে X(

যখন তখন যেকোন স্থানের ছবি তুলে রীতিমত পোস্টের মহোৎসব চলে। ওই ছবিতে কে আসলো বা গেলো তাতে কারো কিছু যায় আসে না। এইতো সেদিন আমার বান্ধবীর সংসার রীতিমত ভাঙ্গার অবস্থা। ঘটনাটা এমন..... প্রতিদিনের মতো অফিসে করতে করতেই বউ এর ফোন এবং রীতিমত তর্জন গর্জন সহ জেরা। বান্ধবীতো হতভম্ব!! আরে কি হয়েছে সেটার কোন ব্যাখ্যা নেই কিন্তু স্বামীজীর বুলডোজার চলতেই থাকলো। ""কার সাথে পরকীয়া করো? অফিসের নাম করে কোথায় যাও? তোমার মতো এমন কুৎসিত চরিত্রহীনা মহিলার সাথে এতোটা বছর কাটিয়েছি, ছি: ভাবতেই নিজের উপর ঘৃনা হচ্ছে।"" আমার বান্ধবী বেচারীতো পড়ি কি মরি করি অফিস মিটিং সব ফেলে স্বামীর কাছে ছুট...।

কি হয়েছে জানতেই তার হার্টফেল করার অবস্থা। স্বামী তাকে দেখালো যে তার এক ফেইসবুক ফ্রেন্ড তার প্রেমিকা বলে তার স্ত্রীর ছবি পোস্ট করেছে। এ বলে তার স্বামী সে ছবি খুলে দেখালো। তা দেখে আমার বান্ধবীর হার্টে একসাথেই কয়েকটা ব্লক দেখা দিলো। তারপর সে ছবি কঠিন বিশ্লেষন করে দেখলো যে গত কয়েকদিন আগে ম্যারিজ ডে উপলক্ষে সেজেগুজে আশুলিয়া গিয়েছিল স্বামীর সাথে। সেখানেই কোন এক ফাকেঁ কেউ তার ছবি তুলেছে। তারপর স্বামীকে সে ব্যাখ্যা মানানো কত যে কঠিন তা একমাত্র শিব জানলেও জানতে পারে.....।

অনেকে শুধু ছবি পোস্ট করেই ক্ষান্ত নয়। কে লাইক দিলো, কে দিলো না, কেন দিলো না, কমেন্ট তা মনের মতো হলো না তা নিয়ে রীতিমত কঠিন গবেষনা ও পরিশেষে মনোমালিন্য। ফেইসবুকে সবাই নিজেকে প্রিয়ংকা চোপড়া ভাবে। যেন তার ছবি দেয়া মাত্রই সবাই নাওয়া খাওয়া ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়বে, আহ উহ্ করে দিন পার করবে। ছবি পোস্ট করেছে আর সেখানে তাকে দেখা যাচ্ছে কাক তাঁড়ুয়ার মতো, কিন্তু না তোমাকে বলতে হবে আজ্ কি সুন্দর যে লাগছে আপুনি... :P :P । আর তা না করলে ব্লক খাবেন, মাইন্ড খাবে, ডিজিটাল হিংসা বলে বিশাল একখান পোস্ট দিবে........... ইত্যাদি ইত্যাদি ।

এতো গেল ছবির ব্যাখ্যা আরো আছে......। কাউকে পছন্দ নয় বা কারো সাথে মনোমালিন্য হয়েছে..... সোজা পোস্ট করে দাও সত্য মিথ্যা মিলিয়ে বিশাল এক পাবলিক পোস্ট। তারপর সে ব্যাক্তির বারোটা থেকে তেরোটা বাজতে বেশী বাকি থাকবে না। কারন অর্ধেক তোমাকে বিশ্বাস করবে বাকি অর্ধেক কিছুটা করবে আর বাকিরা পুরোপুরি না করলেও সে ব্যাক্তিকে ভবিষ্যত সন্দেহের তালিকায় রাখবে, এইটা নিশ্চিত। আর তােমার ফুলের মতো চরিত্রকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারবে কিনা সেটা একটা বিরাট রহস্য কর্ম।

তারপর আরো আছে??? মনের সুখে নিজের মনের কথা বলবেন??? উহুঁ, হবে না। আমার পছন্দের পলিটিকেল চিন্তা ভাবনার বাইরে কোন কথায়ই বলা যাবে না। এইটা দেশের এখন স্বৈরাতান্ত্রিক অধিকার। তুমি কিছু বলেছো তো মরেছো.... সোজা টর্চার সেন্টারে। যদি বেচেঁ থাকো তাহলে জীবনেও ফেইসবুকের নাম নিবা না আর মরে গেলেতো লে হালুয়া। তোমর বাবা মাই শুধু জীবন ভর কাঁদবে এ ধাক্কায়। আর ওরা!!!!!!!!!!!! তখন রামলীলা ছবি দেখে নাচতে ব্যাস্ত থাকবে ... লাহু মে লাগগিয়া।

ওম শান্তি!

ছবি ক্রেডিট গুগল মামা!!!!

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:০৩

ইসিয়াক বলেছেন: ডিজিটাল হিংসা...........।হা হা হা । খুব ভালো লেগেছে ।
সুপ্রভাত।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:০৭

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা.......... আরে ভাই কত নতুন শব্দ যোগ হবে ডিকশানারীতে........!!

শুভরাত্রি!!!

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ফেইসবুক হচ্ছে লিলিপুটিয়ান বাংগালীদের রূপকথার জীবন।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:০৮

সোহানী বলেছেন: আরে দারুন বলেছেন তো...........। আসলেই এটি বাংগালীদের রূপকথার জীবন। যা না পেয়েছে তা চেস্টা করে এ গল্পে ফুটিয়ে তুলতে.........।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ফেসবুক ছাড়া মানুষের এখন চলেই না। ঘরে ভাত না থাকলেও চলবে কিন্তু ফেসবুক থাকা চাই।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:০৯

সোহানী বলেছেন: সেটাইতো কথা রে ভাই। আসলে আমরা কিছু না বোঝার আগেই প্রযুক্তি হাতে পেয়ে গেছি। তাই এর ব্যবহার কিভাবে করবো তাই সঠিকভাবে জানি না।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: একটা চরম সত্য কথা আজ বলবো, এই দেশের মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করার উপযুক্ত না। এরা যেভাবে ফেসবুককে ক্রমাগত পচিয়ে যাচ্ছে অদুর ভবিষ্যতে ফেসবুক নিশ্চিত ব্যান হবে এই দেশে। কত মানুষ শুধুই মিথ্যা নিউজের জন্য মারা গেছে এই পর্যন্ত!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১২

সোহানী বলেছেন: আসলে সেটার জন্য অনেক কিছুই দায়ী। আমরা এখনো নাম লিখতে পারলে শিক্ষিত হিসেবে ধরা হয় সেখানে এরকম হাতের মুঠোয় বিশ্ব পেলেতো এরকম করবেই। আগে দরকার সঠিক শিক্ষা তারপর সব কিছুই ঠিক হয়ে যাবে।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার পছন্দের পলিটিকেল চিন্তা ভাবনার বাইরে কোন কথায়ই বলা যাবে না। আমার মনের কথা !
সাধে কি আর লাস্ট পোস্ট ড্রাফট করেছি !

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১৪

সোহানী বলেছেন: ভাইরে সব পোস্ট ড্রাফট করে রাখেন। কথা বলে জীবন দেবার কোনই দরকার নেই। সামান্য ফেইসবুক পোস্ট নিয়ে এরকম অত্যাচারতো স্বয়ং গ্রিনিস বুকে স্থান করে নিবে.....।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

সাইন বোর্ড বলেছেন: ফেসবুক মানুষের অনেক মূল্যবান সময়কে নষ্ট করছে ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১৫

সোহানী বলেছেন: সেটা আর বলতে রে ভাই...........

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।+

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ভাই।

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫

মা.হাসান বলেছেন: আমার ফেচভুক নাই বলিয়া প্রতিনিয়ত পরিচিতদের লাঞ্চনা-ভ্রুকুটি সহ্য করিতে হয়। কি করিয়া ফেচভুক অ্যাকাউন্ট খুলিতে হয় এই বিষয়ে পড়ালেখা করিয়া একখানা অ্যাকাউন্ট খুলিয়া কিছুটা সামাজিক হইবার আকাঙ্খা মাঝে মাঝে জাগ্রত হয়, তবে সময় বাহির করিতে পারিনা। অপরের ফেচভুক লইয়া মাতামাতি দেখিয়া আঙুরফল টক বলিয়া দীর্ঘশ্বাস ছাড়া ছাড়া আমার বিকল্প কি!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১৬

সোহানী বলেছেন: বলেন কি!!!!!!!!! আপনাকেতো সবাই মিলে মঙ্গলগ্রহে পাঠাবে নিশ্চিত.....................

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ফেসবুক অন্য একটা দুনিয়া।
এই দুনিয়ার সাথে বাস্তব দুনিয়ার মিল নেই।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১৭

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা........... সে কারনেই ছবিটা দিলাম !!

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ফেবুক একসময় ছিল নেহাত যোগাযোগের একটি মাধ্যম। এখন এ যেনো এক কাল সাপ হয়ে দেখা দেয়েছে। যত দূর্দশা এখন ফেবু ঘিরে তার উত্তরণ আদো সম্ভব কি না কে জানে? আপনার পোস্টটি অনেক ঘুছানো সময়সাময়িক। ভাল থাকুন সবসময়।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:২০

সোহানী বলেছেন: আসলে ফেইসবুক কেনো যেকোন কিছুই আমাদের কাছে কালসাপ হয়ে দেখা দিবে। কারন আমরা কিছু না বুঝেই এর ব্যবহার শুরু করি......। অনেক অনেক কিছুর পরিবর্তন দরকার। দরকার সঠিক শিক্ষার।

অনেক ভালো থাকুন সুজন ভাই।

১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১

নতুন বলেছেন: ফেসবুকে বন্ধুদের এড করে তাদের সাথে একটা যোগাযোগ যায়।

আমি আমার ফেসবুকে বন্ধু বা ভালো পরিচিত ছাড়া কাউকে ফ্রেন্ডরিকুয়েস্ট পাঠাই না। সেটা ঠিক ও না।

পরিচিত না হলে তার কমেন্টের উত্তর দেওয়া বা তাতে নাক গলানো ঠিক না।

কিন্তু দেশের বিভিন্ন গ্রুপের পোস্ট বা বিভিন্ন পোস্টে দেখি সবাই সবার কথায় নাক গলায়, অপরিচিতো মানুষকে রিকুয়েস্ট পাঠায় তাদের ম্যাসেজ দেয়।

আগে এদের কিভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয় সেই বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া দরকার। তারপরে এই গুলি ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:২৩

সোহানী বলেছেন: "আগে এদের কিভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয় সেই বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া দরকার। তারপরে এই গুলি ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত।".............

ঠিক একই কথা আমারো ভাই। আমরা না জেনেই ইউজ শুরু করেছি। তাইতো এ অবস্থা।

আর অনেককে তো দেখি হাজারের উপর ফ্রেন্ড। চিনুক না চিনুক কমেন্টস করা চাই ই চাই...............। তারপর জুকারবার্গের বউ এর ছবিতে উল্টাপাল্টা কমেন্ট করতেও ছাড়ি না।

১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভোলায়, ফেইসবুকের ১ লাইন লেখা ৪ জনের জীবন হরণ করেছে, ৫০ জন আহতের মাঝে বেশ কয়েকজন পংগু হবে; বাংগালীদের ফেইসবুক।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:২৪

সোহানী বলেছেন: ভাইরে, সেটাই তো বলা। এর আগেও রামুতে হাজার হাজার বাড়ি ঘর পুড়েছিল একটি পোস্টের কারনে। এরকম ঘটনা এখন দেশে নিত্তনৈমিত্তিক।

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ফেসবুকের কারণেই সেফু এবং পং পং ভাইরাল হয়।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:২৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা্হাহা.............. সবাই সেলিব্রেটি হতে চায় আর কি!

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩

করুণাধারা বলেছেন: ফেসবুকের যে কত কাহিনী! রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে দেখি, রাস্তায় বসে কাপড় বিক্রি করছে যে ফেরিওয়ালা সেও ফোন নিয়ে ফেসবুক করছে!

শুরুটা পড়তে খুব ভাল লাগছিল, শেষ দিকে এসে মনটা ভার হয়ে গেল। সত্যিই! কি সময় এখন! ফেসবুকে মনের কথা লিখতে গেলে আগে ভাবতে হবে রাজনীতি নিয়ে... :( ফেসবুকে লেখা কয়েকটা কথার জন্য জেল-জরিমানা, এমনকি জানও চলে যেতে পারে!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:২৭

সোহানী বলেছেন: আপু শুধু ফেরিওয়ালা না, এমন কাউরে পাবেন না যার একটা ফেইসবুক এ্যাকাইন্ট নেই।

আর আমরা মনের কথা বলতে যেয়ে জীবনের ঝুকিঁ নিচ্ছি। দেশে কি মনের কথা বলার মতো পরিবেশ আছে????

১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

পুলক ঢালী বলেছেন: খুব ভাল লাগলো আপনার পোষ্টটা।
হুমম! ফেসবুক এবং মোবাইল ফোন আমজনতাকে শিক্ষিত করে তুলেছে। আমার কাজের বুয়া অ,আ,ক,খ কিচ্ছু জানেনা। তাকে বহু কষ্টে শুধু স্বাক্ষর করাতে শিখিয়েছি। সেই স্বাক্ষর দেখলে আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝে উঠতে পারিনা, কিন্তু সে মোবাইলে ঠিক ঠিক সংখ্যা চেপে কল করতে শিখে গিয়েছে। এখন তার ফেসবুক একাউন্ট আছে এবং বেশীরভাগ সময়ই তাতে মশগুল থাকে।
সাইন শিখাতে না পারলেও ফেসবুক ফোন তাকে শিক্ষিত বানিয়ে দিয়েছে। :D

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৩০

সোহানী বলেছেন: আরে ভাই সেটাইতো কথা। কাজের বুয়াতো শুধু মশগুল থাকে আর আমাদের বাসার এ্যাসিসটেন্টতো রীতিমত নিজেকে কলেজে পড়ে বলে প্রেম করে পালিয়ে ও যায়। হাহাহাহাহা...................

অনেক ধন্যবাদ পুলক ভাই।

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ফেসবুক এর বিউটি আ্যাপ মানুষরে ঐশ্বরিয়া, সালমান খান বানাইসে। :D আগে যাদের নিতান্তই সাদামাটা চেহারার বলে চিনতাম তাদের অপরুপ রুপ দেইখা বড়ই টাস্কিত। :|

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৩১

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা............. আমিই মনে হয় একমাত্র ব্যাক্তি যে এখনো এরকম কোন এপ ইউজ করেনি :|:|:|

১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

জুন বলেছেন: এই জোরাজুরিটাই বিরক্তিকর লাগতো সোহানী । আপু এখনই ভিডিওতে লাইক দাও আর জলদি শেয়ার দাও। কারন তার ছেলে গিটার হাতে এক বেসুরো গান গেয়েছে সেই ভিডিওতে । কান্না আসতো , না দিলে বন্ধুত্ব ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম ।
ভালো লিখেছেন সোহানী যাকে বলে যথার্থ ।
+

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৯

সোহানী বলেছেন: শুধুতো বেসুরো গান ই নয়, ছবি দেখলে হাসি আসে তারপর ও তার সমালোচনা করা যাবে না। করলেই তেড়ে আসবে তারপর ব্লক করার হুমকি............। এটা যদি শুধু অশিক্ষিত লোকজন করতো তাহলে মানাসই হতো। কিন্তু সেটি যখন খুব উচ্চশিক্ষিত আম্রিকায় বাস করা লোকজনের মাঝেও দেখা যায় তখন সত্যিই অবাক হতে হয়।

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৩

বলেছেন: জীবন মরণ এ ফেবু।।

ফেবু নিয়ে একটা লেখা লিখতে চেয়েছিলাম।। আপনার লেখায় সব বলে দিয়েছেন।।

আরো কত কি যে দেখতে হবে -- মাইরি।।


২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৪

সোহানী বলেছেন: আমি লিখতো কি হয়েছে, আপনি আবার ও লিখেন।

১৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
রাম চাহে লীলা চাহে লীলা চাহে রাম
ফেসবুকে আজ হয় মুন্নী বদনাম ;)

মানুষর চিন্তা চেতনা, জীবন যাপন, ভাবনা সব বদলে দিয়েছে এই ফেসবুক!
দারুন লেখনির ভাজে ভাজে সে সত্যই ফুটে উঠেছে।
মানুষের মুক্তির কোন পথ কি কেউ ভাবছে?

প্রয়োজনের জিনিষ যখন আসক্তিতে বদলে যায়, তার পরিণতি মারাত্বক হতে বাধ্য।

সময় থাকতেই ভাবা উচিত। সবারই।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৯

সোহানী বলেছেন: সময় থাকতে কেউই ভাবে না রে বিগু। সর্বনাশ এর চূড়ান্তে পৈাছানো পর্যন্ত অপেক্ষা করি। তারপর কখন যে চূড়ায় পৈাছাই তা নিজেরাও জানি না।

আরে রাম লীলাইতো চলছে, মুন্নি বদনাম এর দিন শেষ ;););)

২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ফেসবুক নামক ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত জাতি। এই নেশা মনে হয় ব্লু হোয়েল গেমটার নেশার চেয়েও বড় নেশা এখন। 'ফেসবুকার' নামে একটা উপজাতিই তো গড়ে উঠেছে এখন দেশে।

লোকজনের হতাশা আর কাজ না থাকলে যা হয়!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:১৫

সোহানী বলেছেন: 'ফেসবুকার' নামে একটা উপজাতি নয় রে ভাই পুরো জাতিই গড়ে উঠেছেরে ভাই। ব্লু হোয়েল এর চেয়েও বড় নেশা এটি সত্যিই।

কি করবে বলেন ওরা, ওদেরতো কাজ দরকার তাই না...........

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৮

শায়মা বলেছেন: এই জন্যই আমি বলি ফেসবুকে ফেস দেখাইবার কোনো মানে নেই..... লেজ দেখানোই ভালো....... বান্দরের লেজ হলেও ভালো ...... :)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:১৬

সোহানী বলেছেন: হুম............ বান্দরের লেজেও যে লাইক চাই শায়মা সেটাইতো সমস্যা হয়েছে!!!!!!!!!

২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,





নীল আকাশ
এর সাথে সহমত - এই দেশের মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করার উপযুক্ত না।
আমাদের বরিশালে একটা প্রবচন আছে - খয়রাতি আর ছোডলোহের পয়সা হৈলে কুত্তা পালে। B-)
এখন দেখছি প্রবচনটি পাল্টে বলতে হবে - "খয়রাতি আর ছোডলোহের দুইডা পয়সা হৈলে মোবাইল কেনে আর ফেবুতে নাম ল্যাহায়।" :D

নতুন লিখেছেন - আগে এদের কিভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয় সেই বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া দরকার।
কিন্তু আমাদের মনে-মগজে-মননে-মনীষায় যখন অশিক্ষা আর কুশিক্ষা জায়গা করে নিয়েছে তখন জ্ঞান-বুদ্ধি-যুক্তি-বিবেক-বিবেচনায় আমাদের মতো বেহায়া- বেলেহাজ-বেআক্কেল-বেল্লিক-বেআদবদের কোনও শিক্ষাই কাজে লাগবেনা। আমরা এমন করে ফেবুর ফাঁস গলায় পড়বোই।
এর বাইরে কি আশা করেন?????????????????????????????????????

সুপার ডুপার লেখা। ব্লাংক রেঞ্জে ফায়ার করলেন।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৪৯

সোহানী বলেছেন: প্রিয় জী ভা্ই, যে দেশে মানুষ শিক্ষা বলতে নাম সই করাকে বুঝে সেখানে তাদের হাতে সোশাল নেটওয়ার্ক এর মতো কঠিন জিনিস হাতে ধরালে তো মিসইউজ করাই স্বাভাবিক।

প্রকৃত শিক্ষা বলতে কি বোঝায় তা আমরা এখনো বুঝি না, জানি না। আর এটা নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা আছে কিনা সন্দেহ আছে। তারপর আরো আছে। যখন কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে না তখনতো সব কিছুই লেজেগোবড়ে হবেই সবকিছু। এবার আসেন ফাইনাল কথায়, হতাশা, ব্যার্থতা, বেকারত্ব, দু:খ বেদনা...... সবকিছুই কোন না কোনভাবে প্রকাশ করতে চাইবেই। আর সবার হাতে ফেইসবুক ছাড়াতো কোন কিছু নেই আপাতত:।

মনটা বিষন্ন করে লিখাটা লিখলাম।

আমার আবার লিখা সুপার......... ভয় পেলাম। গুনীজনের মুখে প্রশংসা সত্যিই অনেক কিছু।

অনেক ভালো থাকেন।

২৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ফেবু নিয়ে ভাবনাটি ভালই প্রকাশ করেছেন ।
এর ভাল মন্দ দুটি দিকই আছে। আগে তো ভালই ছিল, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ফেবু বেশ জনপ্রিয় ছিল ।
সাম্প্রতিক কালে কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে এটা আলোচনার পাদপিঠে উঠে এসেছে । যারা অন্যন্য প্রতিষ্ঠিত ও নিরপেক্ষ সংবাদ মাধ্যমে বিচরণ করেননা তারা ফেবুর স্টেটাস, বিশেষ করে যদি যে গুলি তাদের নীজস্ব মতাদর্শের কিছুটা কাছাকাছি হয় তবে সেগুলিতে থাকা বানীগুলিকে তেমনভাবে যাচাই বাছাই না করেই বিশ্বাস করে ফেলে। সমস্যাটা এমন ক্ষেত্রেই বেশি ঘনিভুত হয়।
যাহোক মোদ্দা কথা এর ভাল মন্দ দুটিই আছে । অআপনি যতার্থই বলেছেন ফেবু ই জীবন , ফেবু ই মরন!!
এখানে প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় যে -
পালতোলা নৌকা বাতাসের অনুকুলে প্রতিকুলে দুই দিকেই যেতে পারে,
তবে তাকে বাতাশের প্রতিকুলে চালিয়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষ মাঝির ।
মাঝি অদক্ষ হলে বাতাসের প্রতিকুলে গেলে নৌকা উল্টিয়ে ডুবে গিয়ে মরন ছাড়া গতি নাই ।
তেমনি ফেবুকে যারা নীজেদের কোন বিশেষ উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য ব্যবহার করতে চায়, গন্ডগোল
পাকাতে চায় তারা একে যে কোন প্রতিকুলতার মধ্যেও অতি সুকৌশলে ব্যবহার করতে পারবে। ফেবুতো
শধু বানী প্রচারের একটি বাহন মাত্র।বাণীটিকে তান্ডব ঘটনোর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য মুল কুশিলবগন
বহু ধরনের আট ঘাট বেধেই আগে ভাগেই প্রয়োজনীয় সৈন্য সামন্ত চেলা চামুন্ডা ইত্যাদি তৈরী করেই রাখে। পরে
যেকোন এক জনের মাধ্যমে ইস্যু তৈরী করার জন্য ফেবুতে একখান ছোট চাবি মাইরা দেয় ছাইরা। তারপর মুল
কাজটি করে পিছনের কুশিলবেরা। তারা চাবি মারা বিশেষ বার্তাটিকে বিবিধ প্রকারে বিদ্যুত গতিতে লাইকের
বন্যায় ভাসিয়ে দিয়ে ভাইরাল করে, তারা জানে জনতাকে কিভাবে উত্তেজিত করা যাবে, কিভাবে ইস্যুটাকে
নীজেদের ঈস্পিত লক্ষ হাসিলের জন্য ব্যবহার করা যাবে।একাজগুলি যারা করে তারা অতি মাত্রায় দক্ষ
ও শিক্ষিত। মাঠে যারা আন্দোলনে নামে তাদের অনেকেই হয়ত জানেইনা ফেবু কি জিনিস, তারা শুধু
তথা কথিত কুশিলবদের সমর্থক কিংবা কৌশলী সংগঠনের অংশ হিসাবে আন্দোলনে জাপিয়ে পরে।

উপরে বর্ণিত বিষয়গুলি ছাড়াও ফেবুর আরো একটি বিশেষ ব্যবহার আছে রোমিও জুলিয়েটদের কাছে
তাদের ব্যপারে বিশেষ কিছু বলার নাই ,তবে ফেবুর বন্ধুদের উদ্দেশ্যে লেখা আমার একটি কবিতার
কয়েকটি লাইন এখানে তুলে দিলাম রোমিও জুলিয়েট ফেবু বন্ধুগন ভাবতে পারেন সকলে ।
নিরাবরন বক্ষ তার নিরাবরণ দেহ, চিকন রেখায় লাইকের
চিহ্নগুলি দারুন অবহেলায় পরে থাকে বন্ধু বরের পাশে
মকট চুরা মুকুট খানি পড়ে ললাট পরে, বন্ধু ফিরে আসে
ধনুকবাণ ধারন করে বন্ধু দাঁড়ায় গিয়ে অন্য কারো কাছে।


যাহোক , আপনার ওখানে ভোট কেমন চলছে । বাংগালী তিন কেন্ডিডেটের পাশ করার সম্ভাবনা কতটুকু
ট্রুডো কি ধরে রাখতে পারবেন তার গদি । পারলে ভোটের আপ ডেট দিবেন ।

শুভেচ্ছা রইল

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: আসলে আমরা যে এভাবে ইউজ হচ্ছি প্রতিনিয়ত সে বোধটুকু আমাদের নেই। কেন নেই সে কারনটা জী ভাই এর প্রতিউত্তরে দিয়েছি। আসলে আমাদের গলদ প্রতি নিয়ত। আর এর থেকে প্ররিত্রান কি সোজা...........??? না খুবই কঠিন। আর যারা কলকাঠি নাড়াচ্ছে তারা বুঝেশুনেই নাড়াচ্ছে।

আমরা বোঝার আগেই বা বোঝানোর আগেই হাতে পেয়ে গেছি। তার সঠিক ইউজ কি জানি না। যাক্ এতো ভেবে মাথা নষ্ট করে লাভ কি। যাদের চিন্তার দরকার তারা নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে আর আমরা মাথা ফাটাচ্ছি।

মাত্রই ভোট দিয়ে বাসায় ফিরলাম। বাংগালী একজন কেন্ডিডেটের জেতার সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয়। তবে ট্রুডো এ লাস্ট কিছু চক্করে পরে ভালোই বিপদে আছে। বিশেষ করে ব্লাকফেইস স্কান্ডাল। আগের সি এন সি ঝামেলায় সাধারন মানুষ কিছু মনে না করলেও এ উটকো ঝামেলায় অনেকেই মাইন্ড করেছে। যদিও সে সরি বলে মাপ চেয়েছে...। বেচারা..... এতো ভালো মানুষ এবং মানবিক যে তার জন্য সবসময়ই খারাপ লাগে। আমি কিন্তু লিবারেল সাপোর্টার। আর ট্রুডোকে আমি যারপরনাই পছন্দ করি। ওয়েট করছি রেজাল্টের।

২৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


কানাডার নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যে পেয়ে গেছি । জানা গেল নির্বাচনে আবারও জয়ী হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে তারা। তবে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সংখ্যালঘু হিসেবে ক্ষমতায় যেতে হবে লিবারেল পার্টিকে। মোট ৩৩৮টি আসনের নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য কমপক্ষে ১৭০টি আসনে জয়লাভ করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও ট্রুডোর দল পেয়েছে ১৫৬ টি আসন । আর মাত্র ১৪ আসনের জন্য লিবারেল পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, আফসুছ লাগছে । ফলে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রুডোকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো আইন পাস করতে হয়ত বেশ বেগই পেতে হবে। এটাও ঠিক যে বিরোধী কনসারভেটিভ পার্টি ভোটের আগে ট্রুডোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুটি কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনার ফলে নির্বাচনে ট্রুডোকে বেশ অস্বস্তিতেই পড়তে হয়েছে। যাহোক, ট্রোডোকে আমিউ সমর্থন করি তাঁর প্রতি রইল অভিনন্দন । কোন বাংগলী কেন্ডিডেট জয়লাভ করল কিনা জনাবেন ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সোহানী বলেছেন: এ ধরনের ফলাফল আমরা অনেকটাই আশা করেছিলাম। বরং আরো কম সিট পাবে ভেবেছিলাম। সে তুলনায় অনেক ভালো করেছে। কোয়ালিশন হলেও অসুবিধা নেই কারন কুইবেক অলওয়েজ রিবারেল এর সাথে থাকে। যেভাবে এবার ঝড় গেছে ট্রুডোর উপর তা সত্যিই হতাশার। তা সত্বেও ট্রুডোর ভালোভাবেই ঝামেলা মোকাবেলা করেছে। এবারে খুব কাছ থেকে কাজ করেছিলাম। বিশেষ করে ইমিগ্রান্টরা রিবারেলি চিনে না, ওরা চিনে শুধু ট্রুডোকে। তবে পপুলার ভোট কিন্তু কনজারভেটিব পেয়েছে।

ট্রুডোর ক্যারিসমাটিক এবং সহজ সরল ব্যাক্তিত্ব সবাই পছন্দ করে। আপনি কি এবার ডিবেট টা দিখেছিলেন? কনজারভেটিব কিভাবে ব্যাক্তি ট্রুডোকে আক্রমন করে গেছে তা সত্বেও ট্রুডো কোন নেগেটিভ রিপ্লাই দেইনি।

Canada Election 2019

আর হাঁ, টরেন্টোর ওসোয়া থেকে দাড়াঁনো বাংলাদেশী প্রার্থী হেরে গেছেন। ওটা আসলে কনজারভেটিব সিট।

২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ফেসবুক মানে তাহলে অশান্তি।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১৩

সোহানী বলেছেন: আসলে আমরাই এটিকে অশান্তির মা্ঝে ঠেলে দেই...........

২৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রিয়াঙ্কা চোপরার পাশাপাশি কাকতারুয়ার তুলনাটা দারুণ হয়েছে! :)
কান্না আসতো , না দিলে বন্ধুত্ব ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম (জুন এর মন্তব্য) - বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটেছে।
পোস্টের হিউমার উপভোগ্য হয়েছে। প্লাস .... +

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:২৪

সোহানী বলেছেন: খায়রুল ভাই, আরে বলেন না...... ফেইসবুকের ছবি পোস্টের অত্যাচারে আমি অতীষ্ঠ। ছবি পোস্ট দিয়েই পোস্টমর্টেম শুরু করে..... কে লাইক দিলো, কে দিলো না, কে কমেন্টস করলো, কেমন কমেন্টস করলো.........। মনে হয়ে এ দুনিয়ায় ফেইসবুক ছাড়া আর কিছু নেই।

লিখাটা আরো দীর্ঘ করার কথা মাথায় ছিল কিন্তু সময়ের কারনে কিছুই করতে পারি না................।

২৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

রাইসুল সাগর বলেছেন: দারুন লিখা। পারিবারিক সামাজিক সবক্ষয়ের একটা মাধ্যম হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। ভালো লিখা। শুভকামনা নিরন্তর।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:২৫

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সাগর ভাই। আসলেই আমরা একটা পারিবারিক সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।

অনেক ভালো থাকেন।

২৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ফেসবুক নিয়ে চমৎকার লেখা।

লজ্জা বিষয় হলেও সত্য, আমিও কমবেশি ফেসবুক আসক্ত হয়ে গিয়েছিলাম... যার খেসারত দিতে হয়েছে ভয়ংকর ভাবে!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৫

সোহানী বলেছেন: আমরা সবাই কম বেশী আসক্ত জুল ভার্ন ভাই। কেউ স্বীকার করে কেউ করে না। যেমন আমার কথাই বলি অফিসে আসা যাওয়ার পথে ট্রেনে বসে কিছু করার থাকে না এ ঘন্টা, আগে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতাম এখন ফেসবুক গুতাগুতি করি।.....
আর খেসারত সবাই প্রতি মূহুর্তে দিচ্ছে কিন্তু অনেকেই তা বুঝতে পারে না।

২৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সবকিছুরই ভাল-মন্দ দুটো দিক তো থাকেই, জিনিসটি কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় সেটাই হচ্ছে আসল কথা। ফেসবুক আসক্তি, ফেসবুক ব্যবহার করে ব্ল্যাক মেইল সহ অনেক নেগেটিভ ব্যবহার থাকলেও ইদানিং বেশ কিছু পজেটিভ কাজেও ফেসবুকের ব্যবহার হচ্ছে তা অস্বীকার করার উপায় নাই।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:১৯

সোহানী বলেছেন: " সবকিছুরই ভাল-মন্দ দুটো দিক তো থাকেই, জিনিসটি কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় সেটাই হচ্ছে আসল কথা।"

একদম সত্যটা বলেছেন। অবশ্যই ফেসবুকের পজিটিভ দিক আছে। যারা যেভাবে এটাকে ইউজ করতে চায়।

ধন্যবাদ পুরোনো লিখায় মন্তব্য করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.