নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
কি বললেন? গুলতেকিন বিয়ে করেছে?...
- ছি: ছি: এ বয়সে এ মহিলার ভীমরতি হয়েছে।..... নাতি পুতি নিয়া সুখে থাকবে না তো, নানি এখন বিয়ের পিঁড়িতে...খিক্ খিক্ খিক্ !!
- ওওও তাই নাকি!! আরে বুঝলেন না ভায়া প্রতিশোধ প্রতিশোধ ….. গুমায়ুনের জীবিত থাকতে প্রতিশোধ নিতে পারে নাই, তাতে কি মরার পর তো নিসে …. হেহেহেহেহে
- বলেন কি এ সব??? দেশ তো এখন ইউরোপ আম্রিকা হয়ে গেছে দেখি। এ বয়সে বিয়ে করে তো বাকি মেয়েদেরকে পথ দেখিয়েছে…. বউগুলারে আর ঘরে থাকতে দিলো না...ছি: ছি: ছি:
- খবরতো শুনলাম, যাক্ মহিলার সাহস আছে বটে। শাওনরে এক হাত নেয়া গেছে। এইবার শাওন পাল্টা বিয়া করুক… হাহাহাহা
- ওওও আচ্ছা নাকি। আরে এরা নারীবাদী। পুরুষরা এই বয়সে বিয়ে করে তাই তারাও দেখিয়ে দিতে চায় ওরা কম যায় নয়…. হায়রে নারীবাদী !!
অনেক বলেছেন আপনারা, এবার শুনুন…. গুলতেকিন এর পরিচয় কি শুধুই একজন জনপ্রিয় লেখকের স্ত্রী? না, উনি একজন কবি, একজন লেখক, নিজের পরিচয়ে বেড়ে উঠা একজন আত্ববিশ্বাসী স্বত্ত্বা। যে হাজারো ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েনি। মোকাবেলা করেছেন সকল বাধাঁ ঝড় ঝাপটা। আগলে রেখেছেন নিজের সন্তানদের। জনপ্রিয় স্বামী কিংবা চরিত্রহীন স্বামীর শত আঘাতেও ভেঙ্গে পড়েননি। উনি বিয়ে করবেন বা করেছেন তা সম্পূর্ণ উনার ব্যাক্তিগত বিষয়। সেখানে আমার আপনার নাক গলানোর কিছু নাই। নাক বেশী গন্ধ শুকতে চাইলে পিয়াজ নিয়া মাতামাতি করেন…. কারো ব্যাক্তিগত বিষয়ে না।
আমরা যারা হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ে বড় হয়েছি তারা জানি আজকের হুমায়ুন হবার পিছনের সবচেয়ে বড় কারিগড় এই গুলতেকিন। শত অভাব অনটন, দু:খ কষ্টের ভার কিভাবে দিনের পর দিন বহন করেছেন, একজন জনপ্রিয় লেখকেকে তার লিখার পরিবেশ তৈরির পিছনে নিজের নিজস্ব স্বত্বাটুকুও বিসর্জন দিয়েছেন। হুমায়ুন আহমেদের আগের বইগুলো পড়লে সবই জানতে পারবেন। আমি বানিয়ে বলছি না, সব কিছুই হুমায়ুন আহমেদ নিজেই লিখেছেন বই এর পর বইতে পাতার পর পাতায়। বই পড়ে আমরা একজন অসম্ভব মমতাময়ী গুলতেকিনকে চিনি, তার দু:খ কষ্ট আনন্দ ভাগ করে নিয়েছিলাম সেই ছোটবেলা থেকে। সেই কিশোরী বয়স থেকে সংসারের জোয়াল বহন করে চলেছিল, শত দু:খ কষ্টেও ছেড়ে যায়নি লেখককে। যে মানুষটি তাকে দু:খে আগলে রেখেছিলেন, পাশে ছিলেন, সাহায্য করেছেন আর জনপ্রিয়তার সময় তাকে ছুড়ে ফেলে দিলো লেখক। আর সে কারনেই আমরা অসম্ভব দু:খ পেয়েছিলাম লেখকের দ্বিতীয় বিয়েতে।
.
.
অভিনন্দন কবি গুলতেকিন!
আপনি বেচেঁ থাকুন নিজের মতো করে। নিজের জন্য বেচেঁ থাকুন, অন্যের জন্য নয় আর। নিজের ভালো লাগায় মন্দ লাগায় বেচেঁ থাকুন.... আনন্দ উচ্ছলতায় বেচেঁ থাকুন ...... জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত করে তুলুন অর্থবহ............ আর অনেক অনেক ভালো থাকুন সবসময়।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৭
সোহানী বলেছেন: আমিও সেই দলেরই একজন তারেক ভাই।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫১
মুক্তা নীল বলেছেন:
সোহানী আপু ,
চমৎকার করে লিখেছেন এক কথায় অনবদ্য ।
গুলতেকিন কে অভিনন্দন রইলো নতুন জীবনের জন্য ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৮
সোহানী বলেছেন: ভালো থাকুক গুলতেকিন সবসময়ই…………..
অনেক ধন্যবাদ মুক্তা..
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০০
নীল আকাশ বলেছেন: যারা উনার বিয়ে নিয়ে বাজে কথা বলছে তারা সারা জীবনই বলে যাবে। কারণ বাজে কথা বলাটাই এদের স্বভাব।
ইসলামে যে কোন মহিলাকে স্বামীর মৃত্যুর পর বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
উনি কি পরকীয়া করে বেড়িয়েছেন? স্বামী রেখে কম বয়সী ছেলেদের সাথে ফুর্তি করে বেড়িয়েছেন?
উনার চরিত্র নিয়ে কখন আগে কি প্রশ্ন উঠেছে?
তাহলে সমস্যা কি?
উনিও একজন মানুষ। উনারও প্রয়োজন থাকতে পারে।
উনাকে আমি প্রচন্ড শ্রদ্ধা করি। আজকের লেখক হুমায়ুন আহমেদ এতদূর আসতে পেরেছেন শুধুই উনার জন্য। কিন্তু উনার
সাথে ভয়ংকর বেঈমানী করা হয়েছে। তখন এই সব বাজে কথা বলার লোকজন কোথায় ছিল?
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১০
সোহানী বলেছেন: আজকের লেখক হুমায়ুন আহমেদ এতদূর আসতে পেরেছেন শুধুই উনার জন্য। ……… এ সত্যটাই বার বার বলতে চেয়েছি। উনার সাহায্য ছাড়া কোনভাবেই হুমায়ুন পুরোপুরি একজন হুমায়ুন হয়ে উঠতে পারতেন কি না আমার সন্দেহ। অথচ লেখক তেমনভাবে উপলব্ধিই করেননি এমন একজন রত্নকে।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৩
কিরমানী লিটন বলেছেন: এই সিদ্ধান্তটা উনাকে হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকতেই নেওয়ার প্রয়োজন ছিল- এবং তা ক্যানসারের চিকিৎসা চলাকালীন । তাহলে তার একটু হলেও প্রায়শ্চিত্ত করা হতো। গুলতেকিন বেশী সেক্রিফাইজ করে ফেলেছে হুমায়ুন আহমেদকে- সেটা তার প্রাপ্য ছিল না। ওর জন্য একটা চপেটাঘাত খুব প্রয়োজন ছিল। যা বেইমানদের জন্য উদাহরণ হতো।
গুলতেকিনের জন্য শুভকামনা।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১১
সোহানী বলেছেন: গুলতেকিন বেশী সেক্রিফাইজ করে ফেলেছে হুমায়ুন আহমেদকে………… সেটি আমিও মনে করি। যেটি হুমায়ুন আহমেদ বেচেঁ থাকতে বুঝতে পারেননি।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: গুলতেকিন এর পরিচয় কি শুধুই একজন জনপ্রিয় লেখকের স্ত্রী?
না, উনি একজন কবি, একজন লেখক,
নিজের পরিচয়ে বেড়ে উঠা একজন আত্ববিশ্বাসী স্বত্ত্বা।
যে হাজারো ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েনি।
....................................................................................
উনি আমার এক পরিচিতার আত্নীয়, সেই সুবাদে কিছুটা জানি
এবং উনার কবিতার সংকলন আমার আছেও অনেক কবিতা আমাকে
দু:খ ও বেদনার হাতছানি দেয় ।
....................................................................................
এই বয়সে ও মানুষ একাকীত্ব ছেড়ে নিভৃতে আপন সঙ্গ চায়
আমি উনার সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই ।।।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৩
সোহানী বলেছেন: তাই নাকি…..। আমি হুমায়ুন আহমেদ এর বই পড়ে পড়ে রীতিমত উনার ফ্যান ছিলাম। উনার কবিতা অনলাইনে পড়েছি কিন্তু বইটি সংগ্রহে নেই।
এই বয়সে ও মানুষ একাকীত্ব ছেড়ে নিভৃতে আপন সঙ্গ চায়………… সত্যিই তাই। অনেক সময় সেটি আরো বেশী প্রয়োজন।
ছবিটা অসাধারন। যদিও আপনার ছবিগুলো সবসময়ই সুন্দর।
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩
আল ইফরান বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে ওনার এই সিদ্ধান্তে খুশী হয়েছি।
জাফর ইকবাল আর হুমায়ুন আহমেদের ইগোর বলী হয়ে শিলা আর আসিফ স্যারকে (উনি আমার সরাসরি শিক্ষক) দীর্ঘসময় ভুগতে হয়েছে। এই দম্পতি এখন বেশ ভালোই আছেন মধ্যবয়সের শেষভাগে সংসার শুরু করেও।
আশা করবো গুলতেকিন তার সংগ্রামী জীবনের সায়াহ্নে এসে সুখী হবেন।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৬
সোহানী বলেছেন: আসলে এ পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আমরা মেয়েরা এক বলয় ছেড়ে অন্য বলয়ে প্রবেশ করি। আর কোন মেয়ে যদি নিজস্ব বলয় প্রকাশ করতে চায় তাইলেই তাকে নষ্টা ভ্রষ্টা বলে দূর দূর করা হয়।
আশা করবো গুলতেকিন তার সংগ্রামী জীবনের সায়াহ্নে এসে সুখী হবেন।
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: বিয়ে বিষয়টাই একটি ধর্মিয় প্রক্রিয়া, যেখানে একটা শ্রেণীকে নিয়মে বন্দি করা হয় । অথচ কাছে আসার গল্পটা অন্যভাবে হতে পারতো, সেখানে ভালোবাসাটাই প্রাধান্য পেতো ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৮
সোহানী বলেছেন: ধর্ম আর বিয়ে, একটু কনফ্লিক্ট হয়তো আছে কিন্তু ভালোবাসা বা কাছে আসার গল্প সম্পূর্ন নিজস্ব।
কেমন আছেন? কলকাতা ভ্রমণ কি শেষ?
৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের অন্যের বিষয়ে নাক গলানো কমাতে হবে। এটা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
ফেসবুকে সবাই কেমন যেন যাকে চেনা জানে না তার পোস্টে কমেন্ট করে, সমালোচনা করে।
নিজের কাজ থাকলে কিভাবে পরের সমালোচনার জন্য সময় পায় বুঝি না।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৯
সোহানী বলেছেন: নতুন ভাই, কাজ কাম নাই বলাইতো আমরা ফেবুতে এতো উন্নতি করছি। সবচেয়ে বেশী ইউজার………..হাহাহাহা। ফেবুরে আমরাই লাভজনক করে তুলছি।
৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: খবরটা পড়ে প্রথমেই যে প্রশ্নটা মনে উত্থাপিত হয়েছিল তা হচ্ছে ''উনার সন্তানেরা বিষয়টি কিভাবে নিয়েছেন''? পরে নুহাস এর বক্তব্য পড়ে মনটা এত ভাল হয়েছে যে বলার নয়। এমন সন্তান তৈরী করতে পারাটাও অনেক বিড়াট ব্যাপার। মা মানেই আমাদের কাছে ত্যাগের প্রতিমুর্তি। এর বাইরে মা এর আর কোন রুপ আমরা মানতে পারি না। বহুকাল ধরে চলে আসা এই ধারনাটা গুলতেকিন ও তার সন্তানেরা পুরোপুরি ভেঙ্গে দিয়েছেন।
হুমায়ুন আহমেদ আর বেচেঁ নেই।এখন তিনি সব কিছুরই উর্ধে। তার বিগত জীবনের ব্যক্তিগত অধ্যায় একান্তই তার পারিবারিক ব্যপার। পাঠকের হ্রদয়ে তিনি বেচেঁ থাকবেন কালজয়ী লেখক হুমায়ুন আহমেদ হিসেবেই।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২২
সোহানী বলেছেন: মা মানেই আমাদের কাছে ত্যাগের প্রতিমুর্তি। এর বাইরে মা এর আর কোন রুপ আমরা মানতে পারি না। ………. এই কারনেই যত বাধাঁ।
তবে উনার সন্তানরা কিভাবে বিষয়টি নিয়েছেন সেটা কিন্তু বড় বিষয় নয় কিছুতেই। উনার সিদ্ধান্ত উনার নিজের, তাই নয় কি?
১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০
ইসিয়াক বলেছেন: গুলতেকিনের জন্য শুভকামনা।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৩
সোহানী বলেছেন: গুলতেকিনের জন্য শুভকামনা।
১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৬
জুন বলেছেন: গুলতেকিন তার জীবনের এই দ্বিতীয় পর্বে এসে সুখী হোন এটাই কামনা করি সোহানী। কিশোরী বয়সে যে ভুল করেছিল স্বামী নির্বাচনে তার প্রায়শ্চিত্ত সে করেছে, আর নয়।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৩
সোহানী বলেছেন: গুলতেকিন তার জীবনের এই দ্বিতীয় পর্বে এসে সুখী হোন এটাই কামনা করি……….।
১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জীবন মানে চড়াই উতরাই। সাফল্যের সিঁড়ির সঙ্গে কিছু বাক থাকবেই। ধন্যবাদ আপু ভালো একটি বিষয় উপস্থাপনের জন্য।
সাহিত্যিকের সহধর্মিণীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। এমন অনেকে যারা উনাকে অনুসরণ করে যেন জীবনের রাস্তা খুঁজে পায়।
পোস্টে পঞ্চম লাইক।
শুভেচ্ছা আপু আপনাকে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৫
সোহানী বলেছেন: জীবন মানে চড়াই উতরাই। সাফল্যের সিঁড়ির সঙ্গে কিছু বাক থাকবেই।......... অবশ্যই সত্য। কিন্তু একটি জনপ্রিয় লেখকের সহধর্মীনির জন্য আরো কঠিন....।
ভালো থাকুন। বাই দা ওয়ে আপনার নাম দুটি সম্পূর্ন ভিন্ন, কোনটি সঠিক? (কিউরিসিটি)
১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: উনাকে অভিনন্দন। উনার বাকি জীবনটা সুখেস্বচ্ছন্দে কাটুক।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৬
সোহানী বলেছেন: উনার বাকি জীবনটা সুখেস্বচ্ছন্দে কাটুক।
১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: গুলতেকিনের বিয়ে নিয়ে যত লেখা দেখছি, সবই মোটামুটি এই বিয়েকে যারা ক্রিটিসাইজ করে তাদের নিয়ে।
কিন্তু বিয়েকে ক্রিটিসাইজ করে এখনও কোন লেখা চোখে পড়ে নাই।
কি জানি, হয়তোবা আমি অনলাইনে ওতটা থাকি না বলেই চোখে পড়ে নাই।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৬
সোহানী বলেছেন: হাঁ চোখে পড়েছে বলেই কথাগুলো বলা।............
১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কবির নতুন জীবন সুখের হউক এই প্রত্যাশা করছি.............
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৭
সোহানী বলেছেন: কবির নতুন জীবন সুখের হউক এই প্রত্যাশা করছি।
১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৭
সাইন বোর্ড বলেছেন: খুব ভাল সিদ্ধান্ত, আমি স্বাগত জানায় ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৭
সোহানী বলেছেন: অবশ্যই সাইন ভাই।
১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৫
পুলক ঢালী বলেছেন: গুলতেকিনের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নেয়া যায় কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ওনাকে আমার স্বার্থপর ও নিষ্ঠুর মনে হতো।
ভাল থাকুন ও সুখী হোন গুলতেকিন। শুভকামনা রইলো।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৯
সোহানী বলেছেন: আমি ও একসময় খুব কষ্ট পেয়েছিলাম হুমায়ুন আহমেদের দ্বিতীয় বিয়েতে। যেভাবে উনি গুলতেকিনকে সামনে এনেছিলেন সেখানে একজন মমতাময়ী স্ত্রী ও মাকেই পেয়েছিলাম।
ভাল থাকুক ও সুখী হোন গুলতেকিন।
১৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৬
আনমোনা বলেছেন: কবি গুলতেকিনকে শুভেচ্ছা।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৯
সোহানী বলেছেন: কবি গুলতেকিনকে শুভেচ্ছা।
১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৯
ওমেরা বলেছেন: বিয়ে করা ভালো । এটা নিয়ে সমালোচনার কি আছে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১০
সোহানী বলেছেন: হুম সেটাই............
২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪১
হাবিব বলেছেন: ওনারা সুখী হোক....
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১০
সোহানী বলেছেন: ওনারা সুখী হোক....
২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
আমি অন্য কারো ব্যক্তিগত ব্যাপারে মাথা ঘামাইনে তা তিনি যতো নামকরা ব্যক্তিই হোন না কেন। তা করা শোভনও নয়। কিন্তু
হুমায়ুন আহমেদ আর গুলতেকিনকে নিয়ে এতোদিন ধরে মানুষের যে মাথাব্যথার কাহিনী শুনে এসেছি তার পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরী বয়েস থেকে সংসারের জোয়াল ঘাড়ে নিয়েও নিজের অনেক কিছু হারিয়ে ফেলা গুলতেকিনের জন্যে আপনার কথাগুলিই আবারো তুলে দিলুম -----
অভিনন্দন কবি গুলতেকিন!
আপনি বেচেঁ থাকুন নিজের মতো করে। নিজের জন্য বেচেঁ থাকুন, অন্যের জন্য নয় আর। নিজের ভালো লাগায় মন্দ লাগায় বেচেঁ থাকুন.... আনন্দ উচ্ছলতায় বেচেঁ থাকুন ...... জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত করে তুলুন অর্থবহ............ আর অনেক অনেক ভালো থাকুন সবসময়।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১১
সোহানী বলেছেন: কিশোরী বয়েস থেকে সংসারের জোয়াল ঘাড়ে নিয়েও নিজের অনেক কিছু হারিয়ে ফেলা গুলতেকিনের জন্যে তাই অনেক অনেক মায়া আমার মতো হুমায়ুন পাঠকেদের।
ভালো থাকুক সবসময় প্রিয় গুলতেকিন ।
২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩১
মা.হাসান বলেছেন: গুলতেকিন খানের সাথে কোন রকম পরিচয় নেই, তবে আফতাব সারের সাথে পরিচয় আছে। খুব ভালো মানুষ। ওনারা সুখি হোক এই কামনা করি।
ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে গেলে মানুষ বড় একা হয়ে যায়। একটা কথা বলার মানুষও তো দরকার। জ্বর হলে কপালে হাত দেয়ার একটা লোক ও তো দরকার। ওনারা ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হুমায়ূন আহমেদকে চরিত্রহীন বলার কারন বোধগম্য না। গুলতেকিন হৃদয় ভাঙার অভিযোগ করেছিলেন, বিশ্বাস ভঙ্গের কথা কখনো বলেন নি। প্রমান না থাকলে এই ধরণের অভিযোগ না করাই ভালো বলে মনে করি। যে সম্পর্ক কাজ করছে না তা টিকিয়ে দুজনেরই দুঃখ বাড়ানোর চেয়ে মুক্ত হওয়া ভালো মনে করি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৭
সোহানী বলেছেন: আফতাব সারের সাথে আপনার পরিচয় জেনে ভালো লাগছে। আমি মনে হয় কোন এক একনেকের মিটিং এ উনাকে দেখেছিলাম তবে সেটা অনেকের সাথেই একজন।
হাঁ সত্য, ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে গেলে মানুষ বড় একা হয়ে যায়। বরং তখনই দরকার একজন সঙ্গীর।
হুমায়ূন আহমেদকে চরিত্রহীন বলার পিছনে যুক্তি তুলে ধরলাম এখানে। লিখাটায় এ বিষয় অপ্রাসঙ্গিক বলে আনতে চাইনি।
... আমি জানি না উনাদের যখন ডিভোর্স হয়েছিল তখন প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বিশাল করে হুমায়ুন আহমেদ তার ডিভোর্সের ব্যাখ্যা ও যৈাক্তিকতা তুলে ধরেছিলেন। এর অনেক আগ থেকেই লেখকের ভিন্ন সম্পর্কের গুন্জন আসছিল বিভিন্ন মাধ্যমে। কিন্তু কবি গুলতেকিন কখনই কোন অভিযোগ করেননি বা সামনে আসেননি বা মুখ খুলেননি লেখখ নিয়ে.... নীরব ছিলেন পুরোটা সময়। তারপর হুমায়ুন আহমেদ সেই লিখার পরদিনই গুলতেকিন প্রথমবারের মতো মুখ খুলেন। এবং লেখকের বিভিন্ন সম্পর্ক নিয়ে অনেক খোলাখুলি কথা বলেন। এবং এ ও বলেন এটাই তাঁর প্রথম ও শেষ লিখা এ সম্পর্কের।
তারপর অনেক দূর গড়িয়েছে। আমরা অনেক কিছুই মন্চস্থ হতে দেখেছি বিভিন্ন সময়ে। লেখকের লাশের উপর ও অনেক কিছু হয়েছে কিন্তু একজন গুলতেকিন কোন অবস্থাতেই কথা বলেননি, নিজের রাগ দু:খ কষ্ট নিজের কাছেই পুষে রেখেছেন। যে মানুষটা নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন লেখক হিসেবে স্বামীকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তার সাথে এরকম বেইমানী কিভাবে করতে পারলো একজন লেখক?
আমি সত্যিই অবাক হই উনার ধৈর্য্য দেখে, সহ্য ক্ষমতা দেখে। উনি মানুষ নয় দেবী। আমি নিজেকে প্রায় উনার জায়গায় চিন্তা করে দেখি........... কখনই পারতাম না উনার মতো করে বাচঁতে।
২৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: একজন মানুষ তার নিজের জীবন নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেটা নিয়ে এত নিন্দে করার কি আছে সেটাই বুঝতে পারছি না...
প্রার্থনা করি গুলতেকিন খানের একাকিত্বের অবসান হোক, আগামী দিনগুলো হোক আনন্দময়।
ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট দেবার জন্য। খুব অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলেই ফেলি, নবনীতা দেবসেনকে খুব মনে পড়ছে এখন...
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪৫
সোহানী বলেছেন: সেটাইতো আপু কথা, সবাই পারে না এমন সাহসী চিন্তা করতে। সমাজ সংসার নাতি পুতি সব বাধঁনকে পাশ কাটিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত খুব কঠিন। শুধু এক নবনীতা দেবসেন কেন এরকম অসংখ্য নারীই পারেনি জীবনে এ সমাজের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করতে।
আমি অসম্ভব খুশি হয়েছি গুলতেকিন এর সিদ্ধান্তে।
২৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১১
শায়মা বলেছেন: আমার মনে হয়েছে তারা দুজন ভালো থাকবেন!
অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা তাদের জন্য!
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪৫
সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা তাদের জন্য!
২৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ২০১৬ এর বইমেলায় ওনার এবং আমার কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছিল। উনি ওনার বইয়ে একটা অটোগ্রাফ দিয়ে লিখেছিলেন, "ভোর হয়, তবু ভোর হয়"। জীবনের কোন বেদনাই চিরস্থায়ী নয়, যেমন রাতের কোন প্রগাঢ় আঁধারও নয়- ভোর এক সময় ঠিকই হয়- এ আশার কথাটাই হয়তো উনি বোঝাতে চেয়েছিলেন।
উভয় কবির জন্য র'লো শুভকামনা---
ওনার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই নতুন বই এর পর্যালোচনা- আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম আমি এই ব্লগে একটা রিভিউও লিখেছিলাম।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৮
সোহানী বলেছেন: দেখলেনতো আপনার ভাবনার সাথে কিভাবে আমারটা মিলে গেল!!! আমি কিন্তু আপনার লিখা পড়িনি।....... আসলে সেটা আমার আপনার একার ভাবনা নয় আমরা যারা হুমায়ুন পড়ে বড় হয়েছি তাদের হ্রদয়েই গুলতেকিন এমন করে স্থান করে নিয়েছেন। আপনার লিখাটা পড়ে সে পুরোনো গুলতেকিনকে মনে পড়ে গেল।
, "ভোর হয়, তবু ভোর হয়"। জীবনের কোন বেদনাই চিরস্থায়ী নয়, যেমন রাতের কোন প্রগাঢ় আঁধারও নয়- ভোর এক সময় ঠিকই হয়-.............. অসাধারন। এ কারনেইতো আমরা বেচেঁ আছি, বেচেঁ থাকি প্রিয় লেখক।
২৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দুজনার জন্য নিরন্তর শুভকামনা। কবি গুলতেকিন কবি হাজবেন্ড নিয়ে সুখে থাকুন সবসময়। হুমায়ূন আহমেদ স্যার আর গুলতেকিন এর বনিবনা না হওয়ায় সংসার টিকেনি এটা খুবই স্বাভাবিক যদিও দুঃখ জনক। কবি দম্পতির সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৯
সোহানী বলেছেন: কবি দম্পতির সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।
২৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সঠিক সিদ্ধান্ত। সকল মানুষের সকল পর্যায়ে একজন সঙ্গী দরকার। শুভ কামনা রইল।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৯
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাইছায়া ভাই।
কেমন আছেন? অনেকদিন পর..........
২৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভালোবাসা কখন, কার জানালায় উঁকি দেয় কেউ বলতে পারে না। আবার ভালোবাসা জীবনে যে শুধু একবারই আসবে তারও কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। অন্যদিকে বিবাহবিচ্ছেদের দুই বছর পর হুমায়ূন আহমেদ পুনরায় বিয়ে করলেও গুলতেকিন এতদিন তা করেননি। তবে শেষ পর্যন্ত করলেন তাও আবার ঠিক ৫৬ বছর বয়সে। উল্লেখ্য, শাওনকে দ্বিতীয় বিয়ে করার সময় হুমায়ূন আহমেদের বয়সও ছিল ৫৬। সেই ৫৬ বছর বয়সী গুলতেকিন খানের জানালায় উঁকি দিলেন আফতাব আহমেদ, বয়সের দিক হতে হুমাযুন আহমদের সাথে সমানে সমান হলেও গুলতেকিন এগিয়ে আছেন তাঁর ধৈর্য্যশীলতা ও সহনশীলতার দিক দিয়ে ।
স্বামী-স্ত্রী দুজনই অনেক ধৈর্য্য পারি দিয়ে বসেছেন বিয়ের পিড়িতে । শুভেচ্ছা, শুভকামনা, অভিনন্দন উভয়ের তরে ।
কবি ‘গুলতেকিতাঁর মধ্যে রয়েছে একটি অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। হুমায়ূন আহমেদের দারিদ্র্যের দিনগুলোতে তাঁর সাথে হাসিমুখে থেকেছেন। আবার সুখের সময় বিচ্ছেদের দিনেও মুখফোটে একটা বাক্যও পাবলিকলি উচ্চারণ করেননি। তিনি স্বনামধন্য ও সকলের শ্রদ্ধেয় প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ-এর নাতনী। অমন ব্যক্তিত্ব তাঁকেই মানায়। এ বিয়েতে তাঁর সন্তানদেরও সমর্থন ছিল। সবাইকে অভিনন্দনও জানাতে দেখলাম। এটি সমাজ মানসিকতার যৌক্তিক, ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষণ।
তার এই বিয়তে বিরোপ মনোভাবও ব্যক্ত করেছেন অনেকে্ই । সে প্রক্ষিতে গুলতেকিন খান এর কবিতার ভাষাতেই বলা যায় ’
ভুল করেছি বেশ করেছি
তোমার তাতে কী যায় আসে;
চরাও তুমি নিজের গরু
নিজের বোনা দুর্বাঘাসে ।
কবি গুলতেকিনকে নিয়ে মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৯
সোহানী বলেছেন: ভুল করেছি বেশ করেছি
তোমার তাতে কী যায় আসে;
চরাও তুমি নিজের গরু
নিজের বোনা দুর্বাঘাসে ।.................... অসাধারন
"কবি ‘গুলতেকিতাঁর মধ্যে রয়েছে একটি অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। হুমায়ূন আহমেদের দারিদ্র্যের দিনগুলোতে তাঁর সাথে হাসিমুখে থেকেছেন। আবার সুখের সময় বিচ্ছেদের দিনেও মুখফোটে একটা বাক্যও পাবলিকলি উচ্চারণ করেননি। তিনি স্বনামধন্য ও সকলের শ্রদ্ধেয় প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ-এর নাতনী। অমন ব্যক্তিত্ব তাঁকেই মানায়। "........
ঠিক এই কথাই বার বার বলছি। যে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব তাঁর মাঝে আছে সেখানে অনেক কিছুই নস্যি। শত আঘাতেও মুখ খুলেননি। এরকম সামান্য কিছুতেই আমরা ভেঙ্গে পড়ি, নিজের দু:খ কষ্ট অন্যকে বোঝানোর চেস্টা করি। কিন্তু আজ এতোটা বছরেরও উনি বলেননি কি মানসিক শারীরিক কষ্টের মাঝে উনি দিন পার করেছেন। একজন মেয়ে হিসেবে, মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে এতটুকু অনুধাবন করতে পারি।
শুভেচ্ছা, শুভকামনা, অভিনন্দন উভয়ের তরে ।
২৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩
ল বলেছেন: সমাজের চলমান একটি অসঙ্গতি হলো ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন - বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে সমাজের উচ্চপতি থেকে নিম্নপতি, রাজনীতিক নেতা থেকে সাধু, ঘরণী থেকে সারণী সব জায়গায় লুন্ঠিত ও ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে গোপনীয়তা। একটা কথা মনে হয় আমাদের আমজনতা থেকে আমলারা জানেন না,আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি কখনোই অন্য এক ব্যক্তির গোপনীয়তা, পারিবারিক বিষয়, বাসস্থান বা যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এমনকি আত্মসম্মান নষ্ট হয় এমন কোনো পদক্ষেপও নিতে পারবে না। এরকম হস্তক্ষেপ বা আক্রমণের বিরুদ্ধে আইন সুরক্ষিত করতে প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে। আরো আছে,নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদের (International Covenant on Civil and Political Rights) ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদ, জাতিসংঘের কনভেনশন অন মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার’সের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং জাতিসংঘের শিশু সুরক্ষা সনদের ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে অধিকার হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
একজন নারীর বাসর রাতের খবর, একজন রাষ্ট্রের কর্তা ব্যাক্তির বিয়ে এগুলো ু মুখরোচক খবর ছাপানো ও ট্রল করারা হ'লেও আইনত কোন সাজা বা প্রতিকার নেই।
আমরা যদি দেখি, ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট তার চেয়ে দ্বিগুন বয়সী নিজের শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছেন কিন্তু কই সেদেশের লোকজন কোন টু শব্দ করছে না। কিন্তু আমাদের রেলের বগি তুলে নিচ্ছেন।
চলবার বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বিরস জনসন নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে তারচেহয়ে অর্ধেক বয়সী গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আলাদা ফ্লাটে থাকাছেন কই কোন বাজে কথা হচ্ছে না। এটা ব্যাক্তির অধিকার।
একজন মানুষের পারিবারিক তথা ব্যাক্তিজীবন ও প্রফেশনাল তথা কর্মজীবন এক করে দেখা বিকৃত রুচিবোধ ছাড়া কিছু নয়।।
( সংক্ষিপ্ত) ....
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৪
সোহানী বলেছেন: একজন মানুষের পারিবারিক তথা ব্যাক্তিজীবন ও প্রফেশনাল তথা কর্মজীবন এক করে দেখা বিকৃত রুচিবোধ ছাড়া কিছু নয়।।..... সেটাই ল ভাই। সে অপকর্ম আমরা করেই যাচ্ছি দিনের পর দিন। আসলে কি আমাদেরকে জন্ম থেকেই প্রাইভেসী শিক্ষা দেয়া হয় না। নিজের বা অন্যের হোপনীয়তা কিভাবে রক্ষা করতে হবে আমরা জানি না। কোন কিছু নিয়ে ট্রল করতে পারাকে আমরা আনন্দ হিসেবে নেই। এটা শুধু আমাদের নয় রাস্ট্রের ও ব্যার্থতা বটে।
আর যে আইনের কথা বলছে সেটা আমাদের জন্য অনেকটা হাস্যকর। যেখানে খুনের বিচারের কোন খোঁ নেই সেখানে প্রাইভেসি লঙ্ঘনের বিচার চাওয়া অনেকটা হাস্যকর।
৩০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৬
রাশিয়া বলেছেন: টাক মাথা ভদ্রলোককে এই মহিয়সী রূপসী নারীর স্বামী হিসেবে পছন্দ হয়নি। তবে তার মনের সৌন্দর্যের প্রশংসা করি। সে সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কবি গুলতেকিনের কলমের মাথায় আরও সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটুক - সেই প্রত্যাশা করি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৫
সোহানী বলেছেন: হায় হায় আপনি দেখি ঘটক পাখী ভাইয়ের মতো কথা বলছেন
৩১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একটা সময় ছিল যখন সামাজিকতা, প্রজ্ঞা, নীতি নির্ধারীত হতো জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান এবং প্রকৃত মানুষদের দ্বারা!
পূজিবাদের নষ্ট থাবায় এখন অর্থই নিয়ন্ত্রন করে শিল্প, সাহিত্য থেকে ধরে অধিকাংশ সামাজিক ইস্যু এমনকি ধর্মও।তাইতো পরে পাওয়া ধনের মতো হঠাৎ উত্থিত শ্রেণির অপিরপক্ক মানসিকতার প্রতিফলন পাওয়া যায় সমাজের সবকিছুতে। প্রকৃত ধর্ম যেমন ব্যক্তির গোপনীয়তাকে ক্ষুন্ন করা পাপ বলেছে, পরের ছিদ্রন্বেষনকে দূষনীয় বলেছে; সস্থ স্বাভাবিক মানসিকতায় যেটা নূন্যতম ভব্যতা, দেশী আন্তর্জাতিক আইনেো যা অধিকার হিসেব সুরক্ষিত।- ঐ শ্রেণীটার কাছে তাই বিজয়ের নোংরা হাতিয়ার!
রাজনীতিতে যা খুব নোংরা ভাবে প্রয়োগ হয়, যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আসে শিল্পে, সাহিত্য, সিনেমায়, সিরিয়াল;, আর প্রভাবিত করে আমজনতাকে। বদলে দেয় নূন্যতম ভব্যতা বোধের মাপকাঠি! পরনিন্দা, পরচর্চা হয়ে ওঠে নিত্যকার ঘটনা।
ফেসবুকে এসে যেন সেই গোপন মানসিকতাটাকে সামনে এনেছে মাত্র। মূখোশের আড়ালে মূখটা সামনে চলে আসছে।
আর সামাজিক বিশ্বাসেরও বলিহারি! বহু বিবাহে শুরু করে ত্রাহি চিৎকার! কিন্তু গোপনে বেশ্যার বাড়ী ভাত খেলে জাত যায় না।
বালেগাদের বিবাহে প্রবল আপত্তি, কিন্তু কুমারী মাতৃত্বে বা অবাধ যৌনাচারে নির্লিপ্ত! এটাও বোধকরি পুরুষতান্ত্রিক সুবিধাবাদী মানসিকতারই ফল! এটলিষ্ট একটা বিপুল সম্ভাবনার বিশাল বাজার হাতে রয়ে যায়!
আমি নিজে অনন্ত ক'জনকে জানি, যাদের চোখের জল দেখেছি, স্বামী পরি্ত্যক্তা বা অসূখি, অতৃপ্ত অথচ সামাজিক কারণেই কেবল নীরবে সয়ে যাচ্ছে আর চোখের জল ফেলছে! ছি: ছি: ভয়ে পারছে না আত্মাকে মান্তি দিতে। পারছে না পরকিয়া বা পাপ পথেও যেতে। অথচ না ধর্মে বাঁধা আছে! না আইনে! তবুও এক নারকীয় জীবন যাপন করতে হচ্ছে সো কলড সামাজিকতার দায় কাঁধে নিয়ে।
এ ঘটনার পর ক'জনের উচ্ছাস শুনেছি, আফসোস শুনেছি - ইশশ, যদি গুলতেকিনের মতো সাহস করতে পারতাম, জীবনটা হতো অন্যরকম! হয়তো উনি একটা পথে শুভারম্ভ করে দিয়ে গেলেন। ট্যাবু ভাঙ্গার সাহসী সত্যায়ন।
শুভকামনা আর সূখি হবার প্রার্থনা অফুরান।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৪
সোহানী বলেছেন: "ফেসবুকে এসে যেন সেই গোপন মানসিকতাটাকে সামনে এনেছে মাত্র। মূখোশের আড়ালে মূখটা সামনে চলে আসছে।".... হাঁ, এটাই হলো সত্য।
"রাজনীতিতে যা খুব নোংরা ভাবে প্রয়োগ হয়, যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আসে শিল্পে, সাহিত্য, সিনেমায়, সিরিয়াল;, আর প্রভাবিত করে আমজনতাকে। বদলে দেয় নূন্যতম ভব্যতা বোধের মাপকাঠি! পরনিন্দা, পরচর্চা হয়ে ওঠে নিত্যকার ঘটনা।".... এভাবেই আমাদের মন মানসিকতা পরিবর্তিত হচ্ছে দিনের পর দিন। আমাদের ভালোত্ব মুছে যাচ্ছে সময়ের স্রোতে, সবকিছুতে অবক্ষয় .....
"আমি নিজে অনন্ত ক'জনকে জানি, যাদের চোখের জল দেখেছি, স্বামী পরি্ত্যক্তা বা অসূখি, অতৃপ্ত অথচ সামাজিক কারণেই কেবল নীরবে সয়ে যাচ্ছে আর চোখের জল ফেলছে! ছি: ছি: ভয়ে পারছে না আত্মাকে মান্তি দিতে। পারছে না পরকিয়া বা পাপ পথেও যেতে। অথচ না ধর্মে বাঁধা আছে! না আইনে! তবুও এক নারকীয় জীবন যাপন করতে হচ্ছে সো কলড সামাজিকতার দায় কাঁধে নিয়ে"।
............ কারন সমাজে আমাদের শিখিয়েছে কম্প্রোমাইজ করো, কম্প্রোমাইজ করো, কম্প্রোমাইজ করো। স্বামীর অত্যাচার সে তো স্বাভাবিক... এটাই তোমার জীবন, স্বামীর বহু বিবাহ বা বিভিন্নসম্পর্ক সে জন্যই তো সে পুরুষ। তুমি মেয়ে তোমার সহ্য ক্ষমতা থাকতে হবে অসীম, ধৈর্য্য থাকতে হবে আকাশের মতো।
এক গুলতেকিন হয়তো ট্যাবু ভাঙ্গার সাহস করেছে কিন্তু সাধারনের জন্য সেটা এখসো অনেক অনেক কঠিন....।
ভালো থাকো কবি।
৩২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ চমৎকার কয়েকটি মন্তব্যের জন্য মা.হাসান, ডঃ এম এ আলী এবং বিদ্রোহী ভৃগু কে ধন্যবাদ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
সোহানী বলেছেন: আমি উনাদের চিন্তা ধারনাকে বরাবরেই শ্রদ্ধা জানাই। সেই সাথে আপনাকেও। কারন আমি দেখেছি আপনাদের চিন্তা ভাবনার সাথে আমার অনেক মিল।
৩৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্ম আর বিয়ে, একটু কনফ্লিক্ট হয়তো আছে কিন্তু ভালোবাসা বা কাছে আসার গল্প সম্পূর্ন নিজস্ব।
কেমন আছেন? কলকাতা ভ্রমণ কি শেষ?
আমি ভালো আছি।
ভ্রমন শেষ। একটা ছবি ব্লগ দিয়েছি দেখুন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৭
সোহানী বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ হয়েছে। বোঝায় যাচ্ছে সুরভী ভাবী খুব খুশি হয়েছে।
৩৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৬
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জি আপা ভালো আছি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৭
সোহানী বলেছেন: একটু কম লিখছেন ইদানিং মনে হয়।
৩৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে গুলতেকিনের সাহসী সিদ্ধান্ত।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫০
সোহানী বলেছেন: অঅমার একজন কলিগ, প্রায় রিটায়রমেন্টের কাছে ছিলেন। উনাকেই আমি প্রথম এরকম সিদ্ধান্ত নিতে দেখেছি। একসময় উনার জীবনী নিয়ে লিখার ইচ্ছে আছে। নাটকীয় উনার জীবন। একটু ব্যাকগ্রাউন্ড বললেই চিনবেন তাই বলার সাহস করছি না।
৩৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫২
আখেনাটেন বলেছেন: জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত করে তুলুন অর্থবহ............ আর অনেক অনেক ভালো থাকুন সবসময়। -- ভালো থাকুক গুলতেকিনরা।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২
সোহানী বলেছেন: গুলতেকিনরা আর কতকাল মরে থাকবে, ওদেরকেতো একদিন না একদিন মাথা তুলতেই হবে..........
৩৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হুমায়ুন ভায়ের সাথে আমার পরিচয় বহুবিধ। একসময়ের প্রতিবেশী, পারিবারিক এবং পরবর্তীতে পেশাগত কারনে। তবে শেষের ১২/১৩ বছর আর যোগাযোগ ছিল না। একসময়ে খুব করে চেয়েছিলাম.....ভাবী আবার বিয়ে করুক। শেষ পর্যন্ত হলো। অনেক অনেক শুভেচ্ছা উনার নতুন জীবনের জন্য।
আপনার লেখা নিয়ে কিছু বললাম না। আপনার কথাগুলো আমারও মনের কথা।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৯
সোহানী বলেছেন: আরে তাই নাকি????? আসলে হুমায়ুন আহমেদের পরিবার ছিল এক সময়ে আমাদের কাছে আদর্শ পরিবার। উনার আমার ছেলেবেলা বইতে পরিবারের অনেক কিছুই সামনে এনেছিলেন। উনার তিনটি মেয়ে নিয়ে উনি প্রায় বইতে লিখছেন বিশেষ করে উনার জন্মদিন পালন....। যা দেখে আমরাও সব ভাই বোনেরা খুব মজা করতাম বাবার জন্মদিনে, সেই সারপ্রাইজ সারপ্রাইজ খেলা।
তাই উনার বিয়েতে বা এমন আদর্শ পরিবার ভাঙ্গার জন্য আমরা খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। তাই আমরাও অনেকটা প্রতিশোধ পরায়ন মনোবৃত্তি নিয়ে বলতাম উনি যেন বিয়ে করে। কিন্তু এ মূহুর্তে আমার কাছে আরো ভালো লাগছে যে উনি যে সময়টাতে ডিসিশান নিয়েছেন তা অনেক বেশীই প্রয়োজনে।
নিজেকে সন্মানিত বোধ করছি আপনার মতো অনেক বড় মাপের একজন লেখকের সাথে মতের মিল হবার কারনে।
৩৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:১৬
অভি চৌধুরী বলেছেন: হুমায়ুন এবং শাওন দুটো বিষাক্ত প্রাণীর নাম।
গুলতেকিন এর জন্য শুভ কামনা।
আপনার মতামতে একমত
ভালো থাকবেন
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা আমি এতোটা আক্রমানত্বক নই । কিন্তু খুব দু:খ পেয়েছিলাম হুমায়ুনের এ সিদ্ধান্তে। আমার মনে হয় হুমায়ুনের এ বিয়ে আমার মতো হাজারো পাঠকের মনে দাগ কেটেছে, তাই আমরা এখনো ক্ষমা করতে পারিনি শাওনকে। এটা একান্ত দুটো মানুষের ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত সত্য কিন্তু যখন সে ব্যাক্তি হুমায়ুনের মতো ব্যাক্তিত্ব হয় তখন খুব স্বাভাবিক বিষয়টি নিয়ে নাক গলানো....।
অনেক ধন্যবাদ আমার মতামতের সাথে সহমত পোষনের জন্য।
৩৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২২
অভি চৌধুরী বলেছেন: তারাতারি বিছানায় গিয়ে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলে এমনিতেই মন মেজাজ অনেক ভালো থাকে।মনে লয় কেউ পিছে ধাক্কা দিলে সামনে চলতেই থাকবো পিছনে ফিরে দেখার মুড থাকেনা, এতটা ফুরফুরে মেজাজ হয়,তাই চাইলেই এখন আর আক্রমনাত্বক কিছু বলতে পারবোনা।
হুমায়ুনের বিয়ে শাওন নিয়ে যখনি কিছু বলতে যাই সবার একটাই কথা এটা তার ব্যক্তিগত ব্যপার।কিন্তু হুময়ুনের মাসুম ভক্তগন এটা বুঝেনা যে হুমায়ুনের নিজের বলে কিছু নেই। হুমায়ুন হয়ে গেছে জনগনের সম্পত্তি। জনগনের কাছে বিক্রিত বইএর টাকা দিয়ে হুমায়ুনের সংসার পেট চলে।তাই দায়বদ্ধতা ও জপ্রিয়তার এতটা উপরে সেই ব্যক্তির নিজের বা ব্যক্তিগত বলে কিছু আর বাকি থাকেনা। কারণ যারা জনগন দিয়ে জনপ্রিয়তার মাথায় উঠেন তাদের জনগনের অনুমতি ব্যতিত মাথা থেকে নামতেও পারবেননা। শুধু মাথা থেকে নামা নয়, তারা না চাইলে তিনি বাথরুমেও যেতে পারবেননা।ঠিক নির্বাচনের মত। জনগনের ভোট নিয়ে নেতা হলে জনগনের কথা শুনতে হবে মানতে হবে মন্তব্য নিতে হবে।এর ঠিক বিপরীত দিকটাও আছে, মানুষ সেই নেতার আশ্বাস বিশ্বাসেও আশ্বস্ত হয়।নেতা কে অনুসরণ করে।অনুকরণ করে, তাই নেতার খুব সাবধান জীবন যাপন কথা বার্তা বলতে হয়, নেতা চাইলেই হুট করে কিছু বলতে পারবেননা, হুট করে কিছু করেও ফেলতে পারবেনা। নেতা হতে হবে অন্য সাধারণের চেয়ে আলাদা। সমাজে যা সহনশীল নয় নেতাকে তা থেকে বিরত থাকতে হবে। এক কথায় মানুষ দিয়ে মানুষ যখন মন্দিরে বসবে তখন পুজো পেতে তাকে হতে হবে নিঃষ্পাপ।
হুমায়ুনের হাতে একটা বিশাল সংখ্যার যুবশক্তি নিয়ন্ত্রণের চাবি কাঠি ছিলো।চাইলেই সে সেটা দিয়ে সমাজ দেশ মানুষ মানসিকতার উন্নয়নের কাজে লাগাতো পারতো। তার দায়িত্ব ছিলো বিশাল। সেটা না করে সে তার জীবনের একটা পর্যায়ে এসে এমন সব কাজ করে গেলো যা আমরা বাঙ্গালী দেখতে অভ্যস্থ নই। আমাদের বিব্রত করে, বিব্রতে করেছে তার সংসারের প্রতিটি মানুষকে,যা গুলতেকিন নামের নারী চোখে মুখে কাপড় চেঁপে সহ্য করেছে অনেক বছর। গুলতেকিন চাইলে সেগুলো জন সম্মুখে নিয়ে আসতে পারেনা, কারণ পারিবারিক ভাবে সে ছিলো সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তার শিক্ষা গাথুনিও ছিলো অন্য সবার চেয়ে আলাদা। সেই আলাদা হবার কারণে নিজেকে হুমায়ুন থেকে আলাদা বসবাসে বাধ্য হয়েছিলেন। এত কিছু হয়ে গেলো তার জীবন সংসার সব কিছুর তবুও হুমায়ুন সম্পর্কে কোন নেতিবাচক মন্তব্য তিনি করেননি। করবেওনা কোনদিন।কারণ গুলতেকিনের মত মানুষদের কাছে মৃত্যুর চেয়ে মান বড়।
শাওন একজন সফল অভিনেত্রীর নাম, সে সব কিছু নিয়ে অভিনয় করতে জানে। সে অভিনয় করে বাঁচতে জানে, অভিনয় করে মরতেও জানে, জানে মৃতের পাশে বসেও সময়ের সঠিক অভিনয়টুকুও।
হুমায়ুনের মাগফেরাত কামনা করি
ধন্যবাদ
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৬
সোহানী বলেছেন: আমার বা আমার মত সহস্র হুমায়ুন ভক্তের মনের কথাগুলোই বলেছেন। আমি যা বলতে যেয়েও বলিনি তা আপনি বলেছেন।
হাঁ, শতভাগ সহমত। একজন হুমায়ুন আহমেদের দায়বদ্ধতা অবশ্যই আছে। যে যাই বলুক বা মানুক উনার সে দায়বদ্ধতার জবাবদিহিতা উনাকে মুত্যুর হাজার বছরেও দিতে হবে। কারন উনার "হাতে একটা বিশাল সংখ্যার যুবশক্তি নিয়ন্ত্রণের চাবি কাঠি ছিলো। চাইলেই সে সেটা দিয়ে সমাজ দেশ মানুষ মানসিকতার উন্নয়নের কাজে লাগাতো পারতো"। এবং তা উনি করেননিতো বটেই উল্টো বিব্রত করেছেন আমাদের সকলকে। সেটা কি উনি জানতেন? আমি বলি, জানলেও অনুভব করতেন কিনা জানি না। কারন উনার চারপাশে সুবিধাভোগী কিছু চামচা উনার চোখে বাঁধা সৃষ্টি করেছিল। যতটুকু জানি বা শুনেছি উনি নিজের জীবন উপভোগ নিয়েই বেশী ব্যাস্ত ছিলেন। এবং উনার প্রায়শ্চিত্ব কিন্তু আমরা সাধারন মানুষ ঠিকই বুঝতে পারি যতই ঢেকে রাখা হোক না কেন........... কোনটা অভিনয়, কোনটা বাস্তব আমরা জানি এবং বুঝি…। আর বিদেশ থাকার কারনে আরেকটু বেশীই জানতে পারি….। (উনার শেষ দিকের কিছু লিখাতে কিন্তু তার ছায়া পাওয়া যায়)
আর একজন গুলতেকিন, আই লাভ হার, লাভ হার পার্সোনালিটি। হাঁ সত্য, একজন গুলতেকিন এর আলোয় ঢেকে গেছে অনেক অনেক জনপ্রিয় লেখকের জনপ্রিয়তা........।
যাক্ ভোরে উঠে ফুরফুরে মেজাজে আবার মন্তব্য করতে আসার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের এখানে এক ঘন্টা আগায়ে দেবার কারনে কি সকাল আর কি বিকাল সবসময়ই অন্ধকার । সকালে অফিসে আসি অন্ধকারে বিকালে বাসায় ফিরি অন্ধকারে …..... । । ।
অনেক ভালো থাকেন.....
৪০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ফেবু'র ভাষায় বলছি, গুলতেকিনকে নিয়ে আপনার লেখাটিতে 'সহস্র লাইক'। লেখাটি অনেক ভালো লেগেছে। তবে আরো দীর্ঘ হলেও পড়তে পারতাম।
সম্পর্কের মধ্যে 'সম্পর্ক' উপাদানটি হারিয়ে গেলে ওটাকে থামিয়ে দিয়ে বিকল্প বের করা উচিত। হুমায়ূন করেছেন, গুলতেকিনকে করতে হতো। কিন্তু তিনি পারেন নি, কারণ আমাদের সমাজে ছেলেমেয়ের দেখভাল স্ত্রীর ওপর ন্যস্ত - তার স্ত্রী স্বত্ত্বা না থাকলেও। এখানে সামাজিক অবিচারের সুবিধাভোগী পুরুষ, আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী।
অতএব গুলতেকিনকেও 'লাইক'। যেন ছাই থেকে জেগে ওঠা সেই অদম্য ফিনিক্স। গুলতেকিনের আলোতে একজন প্রখ্যাত লেখকের অর্জনগুলো মাঝেমাঝে ঝাপসা হয়ে আসে।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৯
সোহানী বলেছেন: "অতএব গুলতেকিনকেও 'লাইক'। যেন ছাই থেকে জেগে ওঠা সেই অদম্য ফিনিক্স। গুলতেকিনের আলোতে একজন প্রখ্যাত লেখকের অর্জনগুলো মাঝেমাঝে ঝাপসা হয়ে আসে।"...……… অসাধারন বলেছেন প্রিয় লেখক।
ঠিক আগের মন্ত্রব্যে অভি চৌধুরী অনেক চমৎকার করে বলেছেন, একজন জনপ্রিয় লেখক তখন নিজের বা সংসারের থাকেন না… উনি হয়ে পড়েন সবার। আর সে কারনেই এতো কথা, এতো মাথা ব্যাথা।
লিখাটি ইচ্ছে করেই লিখাটি ছোট করেছি কারন আমি জানতে চেয়েছিলাম যে ভাবনাটি আমি এতোকাল পুষে রেখেছিলাম তার সাথে কারো সমর্থন আছে কিনা। এবং আমি সফল হয়েছি এ ধরনের এক্সপেরিমেন্টে। যার প্রমান উপরের অসংখ্য মন্তব্য।
অনেক ভালো থাকেন প্রিয় লেখক।
৪১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৩
বিষাদ সময় বলেছেন: যারা পাবলিক ফিগার তাদের ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে সব সময় সমালোচনা হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে, থামানো যাবেনা। হুমায়ূেনের ব্যাক্তিগত চরিত্র কে মানুষ তুলোধুনা করে ছেড়ে দিয়েছে। কাজেই গুলতেকিন কে নিয়ে সমালোচনাটা শুধু তিনি নারী সে কারণে নয়। তবে রক্ষণশীল সমাজে নারীদের সমালোচনা বেশি হয় এটা সত্য।
ভক্তদের কাছে হুমায়ূন পরিবারের হুমায়ূন একটা মোহ , একটা জনপ্রিয়তার নাম অপর দিকে গুলতেকিন একটা আদর্শ, নিষ্ঠা এবং ত্যাগের নাম। গুলতেকিনরা চিরকাল মানুষের শ্রদ্ধার পাত্র। এ শ্রদ্ধার গুরুভার বয়ে বেড়ানো খুব সহজ নয়, যারা পারেন তারা চিরস্মরণীয়।
জীবনের প্রয়োজনে গুলতেকিন বিয়ে করতেই পারেন। যদি তিনি এটা হুমায়ূন জীবিত থাকা অবস্থায় করতেন তবে আরো বেশি সমর্থন পেতেন। এ বয়সে তাঁর বিয়ে করার কারন কি তা জানিনা। যদি তিনি নিঃসঙ্গতার কারনে বিয়ে করে থাকেন তবে তার বিবাহিত জীবন দীর্ঘ হোক সে কামনা করবো আর যদি তিনি প্রণয় জনিত কারনে বিয়ে করে থাকেন তবে বলবো তিনি হুমায়ূনের দ্বিতীয় বিয়ে কে জাস্টিফাই করলেন।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
সোহানী বলেছেন: ভাই, বিষাদ সময় উনি যেই কারনেই করুর না কেন সেটা নিয়ে কোনভাবেই আমি জাস্টিফাই করতে যাবো না। এর প্রতিউত্তর অনেক্ই দিয়েছেন। বিশেষ করে অভি চৌধুরীর চমৎকারভাবে বিশ্লেষন করেছেন।
তবে অবশ্যই সব পাঠকই আনার সাথে একমত, "ভক্তদের কাছে হুমায়ূন পরিবারের হুমায়ূন একটা মোহ , একটা জনপ্রিয়তার নাম অপর দিকে গুলতেকিন একটা আদর্শ, নিষ্ঠা এবং ত্যাগের নাম। গুলতেকিনরা চিরকাল মানুষের শ্রদ্ধার পাত্র।"
৪২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিজেকে সন্মানিত বোধ করছি আপনার মতো অনেক বড় মাপের একজন লেখকের সাথে মতের মিল হবার কারনে। এইটা কি কইলেন! মজা লন!!!
দুই চাইরটা ভুয়া লেখা লেইখা যদি অনেক বড় মাপের লেখক হই, তাইলে বড় মাপের লেখকের ডেফিনেশানই পাল্টাইতে হইবো।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮
সোহানী বলেছেন: আরে ভুয়া ভাই, ডেফিনেশানেতো এইটাই লেখা ..। এই কারনেইতো কইলাম।
৪৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: নিজের জীবন নিজের সিদ্ধান্তে কাটানোর মত অধিকার সবারই থাকা উচিত, গুলতেকিনেরও আছে। তার ভবিষ্যত জীবনের জন্য শুভকামনা।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫১
সোহানী বলেছেন: ইয়েস, সেটাই কথা। হুমায়ুন আহমেদের মতো জনপ্রিয় কেউ হলে তখন অবশ্য ভিন্ন কথা............
৪৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সব্বে সত্তা সুখিতা হোন্তু, অবেরা হোন্তু, সুখী অত্তানং পরিহরন্ত।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫২
সোহানী বলেছেন: এইটা কি কইলেন !!!
৪৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৫
সাইফ নাদির বলেছেন: চমৎকার লিখনী শক্তি
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪০
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাইফ ভাই...
৪৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৪
জাহিদ হাসান বলেছেন: হুম।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪০
সোহানী বলেছেন: ইয়েস....
৪৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার! অনবদ্য!
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪০
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই।
৪৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর করে লিখেছো।
কেন জানি, আমরা মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি মাথা ঘামাই। কিন্তু নিজের বিষয়ে কেউ কথা বলতে চাই প্রতিবাদ করি। কেমন অদ্ভুত নয় কি ?
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০২
সোহানী বলেছেন: এর কারন ভাইজান আমাগো হাতে অঢেল সময়। নিজের নাক কান খোঁচাখুচিঁর পরও অঢেল সময় হাতে থাকে। .......
কেমন চলছে দিনকাল?
৪৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: *কিন্তু যখন কেউ আমার নিজের বিষয়ে কথা বলে, তখন প্রতিবাদ করি।
কিবোর্ড
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৩
সোহানী বলেছেন: হুম বুঝে নিয়েছি..........
৫০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো
তোমার কি খবর?
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১
সোহানী বলেছেন: ডিসেম্বর, ছুটির আমেজ চারপাশে…… ফুরফুরে মেজাজে স্নোর উপর হাটাহাটি। সাথে আছে লম্বা ঘুরাঘুরির প্লান। বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হলেই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে সোজা বেরিয়ে পড়বো যেখানে থুশি সেখানে…………………..
৫১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন আপি
আমার মনের কথাই যেনো
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৬
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ছবি আপু.......
৫২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১১
মিরোরডডল বলেছেন: ওয়ান্ডারফুল রাইটিং ।
Everyone deserves to be happy
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৭
সোহানী বলেছেন: ইয়েস, Everyone deserves to be happy....
অনেক ধন্যবাদ।
৫৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২১
ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: গুলতেকিনকে অভিনন্দন
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৫
সোহানী বলেছেন: গুলতেকিনকে অভিনন্দন
৫৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৫০
অনল চৌধুরী বলেছেন: হুমায়নের মতো টাকালোভী,নষ্ট,লম্পট,মদখোর দেশে কমই ছিলো।
দেশের পরিচিত অনেক মেয়েকে সে নায়িকা বানানোর লোভ দেখিয়ে সুযোগ নিয়েছে। তার মাতলামি ও লুচ্চামির কারণে জিঞ্জিরা দ্বীপের লোকজন তাকে বেধে রেখেছিলো,যদিও কোনো দৈনিকে এই খবর আসেনি।
কিন্ত সেখানকার স্থানীয়দের কাছে জিজ্ঞেস করলে যেকেউ একথার প্রমাণ পাবেন।
এরপর সে কোনোদিনও আর সেখানে যায়নি।
অবশ্য হু আজাদ,শামসু হক,তসলিমা কেইউ টাকা লোভ বা লুচ্চামিতে কম না।
আমার সোজা কথা,যদের একজন নারী ভালো লাগবে না,তাদের মিথ্যা প্রেমের নাম করে বিয়ে করার দরকার কি?
বিয়ে না করেই তো সারাজীবন অনেক নারীর সাথে আনন্দ করা যায়।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৬
সোহানী বলেছেন: হায় হায় এইসব কি শুনতাছি
৫৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৫
অনল চৌধুরী বলেছেন: আরো অনেক তথ্য আছে,যেসব প্রচার লেখার কারণে বইমেলাথেকে নিষিদ্ধ হয়েছি আর এইব্লগও একবার নিষিদ্ধ করেছিলো।
তবে শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবানদের লাম্পট্য এবং গণমাধ্যমের নষ্ট নারী-পুরুষের গল্প নামে বইয়ে ২০১৪ সালে সব লিখেছি,যা বইমেলায় আর আনতে পারিনি,কিন্ত শীঘ্রই আপনাদের পড়ার সুযোগ হবে, যা পড়লে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন !!!!!!!
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪৪
সোহানী বলেছেন: ভাইরে, এইগুলা নিয়া মাথা ঘামাই না। যার যা ইচ্ছে করুক। গণমাধ্যমে যা চলে তার বড় অংশই গিব এন্ড টেইক বলেই মনে করি। এ নিয়ে মি টু আন্দোলনে অনেক কিছুই বেড়িয়ে এসেছে। আমার মন্তব্য হলো এ মাধ্যমে যারা আসছে তারা কম বেশী জেনে শুনেই আসে। পতি পবিত্র ভাব নিয়ে এ মাধ্যমে যে টিকা যায় না তা সবাই ই জানে
৫৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: ঠিক।
কিন্ত প্রতিদিন পত্রিকা,টিভি,মঞ্চে নারী অধিকার আর স্বাধীনতার পক্ষে বড় বড় বক্তৃতা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি,বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী,মুক্তমনা,রবীন্দ্রভক্ত ,আলোকিত মানুষ -ইত্যাদি বহুকিছু সেজে লাম্পট্য আর নারী ব্যবসার মতো জঘণ্য কার্যক্রম চালানোদের মুখোশ খুলে দেয়া দরকার,যাদের অনেকেই দেশে একনামে পরিচিত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫০
তারেক ফাহিম বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের ২য় বিয়ের বিষয়ে জেনে উনার অনেক পাঠকেরেই মন খারাপ হয়েছে।