নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন যেখানে যেমন.......... পথ চলতে চলতে

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৮



কানাডায় অফিস পাড়ায় পার্কিং এরিয়ায় গাড়ি রাখা মানে বিশাল ঝামেলা এবং কস্টলি। যেখানে মাত্র সাত ডলার দিয়ে আসা যাওয়া সহ সারা শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা ঘোরা যায় ট্রেন বা বাসে সেখানে ডেইলি ১০-২০ ডলার শুধু পার্কিং কষ্ট দেয়াটা আমার কাছে বিলাশিতা মনে হয়। তাই পারতপক্ষে গাড়ি নিয়ে বের হতে পছন্দ করি না ডাইন টাউনের দিকে। আমার বরাবরেই পছন্দ ট্রেন জার্নি। বাসে বা ট্রেনে গেলে মানুষ সম্পর্কে জানা যায়, দেখা যায়.... নতুন কিছু বোঝা যায়। যা আমার খুব ভালো লাগে। মানুষের জীবন আমি যতবেশী দেখবো ততবেশী জানবো ও নিজেকে ততবেশী বুঝতে পারবো এবং আমার লিখালিখি ততবেশী পরিপক্কতা অর্জন করবে বলে বিশ্বাস করি।

সাধারনত ৫/৬ মিনিট লাগে আমার বাসা থেকে বাসে করে সাবওয়েতে যেতে। আমার বাসার ঠিক পরের স্টপেজেই একটা হাই স্কুল আছে। স্কুল ছুটির পর সবাই হুড়মুড় করে বাসে উঠে। কানাডায় গ্রেড নাইন থেকে টুয়েল্ভ পর্যন্ত হাই স্কুল। গ্রেড এইট পর্যন্ত সাধারনত বাসার পাশের হোম স্কুলে পড়ে বাচ্চারা এবং নাইন থেকে হাই স্কুল। একমাত্র হাই স্কুলেই স্কুলের নির্ধারিত পোষাক আছে তবে সব হাই স্কুলে নয়। প্রাইমারি বা মিডল স্কুলে তা নেই। এখানে কিন্তু হাই স্কুল মানে স্বাধীনতা, অনেকটা দেশের কলেজের মতো তেমন কড়াকড়ি নেই। যার ইচ্ছে ক্লাস করো না করলে নেই। তবে প্রতিদিনই পেরেন্টস্ এর কাছে রিপোর্ট যায় বাচ্চা স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে। এই একটি নিয়মই কড়াকড়ি। মিডল স্কুলের কড়া শাসনের পর হাই স্কুল মানে স্বাধীনতা। স্কুল ছুটির পর হইচই করতে করতে টিন এইজ এর ছেলে মেয়েগুলো উঠে আসে বাসে, দেখতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে এখানে কেউই তেমন রাস্তায় কথা বলে না কিন্তু বাচ্চাগুলো এমন কিচির মিচির করতে করতে পুরো বাসই গরম করে ফেলে। আমি সবসময়ই খুব আগ্রহ নিয়ে ওদেরকে দেখি, ওদের আচার আচরন দেখি, ওদের কথা বোঝার চেস্টা করি। যদিও খুব দূরহ কাজ কারন ওদের সে স্পিডি এ্যাক্সেন্ট বোঝা আমার জন্য কষ্টকর বটে।

এ সময়টুকুতে সাধারনত আমি দাড়িয়েই থাকি বাসে। কিন্তু আজ বাসে উঠেই সত্যিই মেজাজটা একটু খারাপই হলো। এখানে বাসের প্রথম দুই সারি বৃদ্ধ বা হুইল চেয়ারের জন্য বরাদ্ধ থাকে। কেউ বসলেও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দেখলে সীট ছেড়ে দেয়। পিক আওয়ার বলে অনেক ভীড় এবং সে হাই স্কুলেই স্কুলের ছেলে মেয়েগুলো বাসের সামনের পুরো জায়গাই দখল করে আছে ও সংরক্ষিত সীটগুলোও। কাউকে সীট ছাড়ার জন্য ও উঠে দাঁড়াতে দেখলাম না। যেটা কানাডায় বিরল কারন সাধারনত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দেখলে সবাই উঠে সীট ছেড়ে দেয়। ২/৩ জন বৃদ্ধকে দেখলাম অনেক কস্টে ভীড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীরা কেউই সামনের দরজা দিয়ে উঠতে পারছে না। ড্রাইভার বার বার মুভ বেক বলছে কিন্তু ওদের কারো কানে যাচ্ছে কিনা সন্দেহ। কিন্তু কেউই কিছুই বলছে না সে টিনএজ গ্রুপকে। এখানে সত্যিই কেউই কাউকে কিছু বলে না, যে যার মতো করে চলে।

আমি তাদেরকে অবজার্ভ করতে লাগলাম। শুধু হইচই না, একটি ছেলেকে দেখলাম সীটে বসা একটি মেয়েকে টেনে সরিয়ে নিজে বসলো ও তার কোলের উপর মেয়েটিকে বসালো। তারপর হইচই করতে করতে তিনজনের সীটে ছয়জন বসলো। মেয়েটির পড়নে ছিল সে রকম ছেঁড়া ফাঁড়া প্যান্ট (বেচারা !!। এই ছেঁড়া ফাড়া প্যান্ট এর ফ্যাশান যে কে আবিস্কার করেছে.... আল্লাহ মালুম। কি ধরনের সৈান্দর্য্য যে আছে এ ছেঁড়া ফাঁড়া প্যান্ট পড়াতে বা কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় এখনো বুঝতে পারি নাই। শুধু এতটুকু বলা যায় গরমকালে কিছু ফ্রেস এয়ার পায়ের বিভিন্ন অংশে লাগে এই যা!!!!) ;) :P । আর ছেলেটি বারবার মেয়েটির সে ছেড়া অংশে হাত বোলাতে লাগলো। একজন টিনএজ বয়সের ছেলের মা হিসেবে আমার কাছে যারপরনাই বিরক্তি লাগছিল। এবং আমি স্পষ্ট বিরক্ত হয়েই তাদের সামনে দাড়িঁয়েছিলাম। যদিও কানাডার মতো দেশে আমার এ আচরন সম্পূর্ণ অনৈতিক কিন্তু বাঙ্গালী মানসিকতা আমাকে বার বার ধাক্কা দিচ্ছিল। তরুন তরুনীরা এরকম আচরন পথে করলে আমি পাত্তা দেই না। ওরা পূর্ণ বয়স্ক, যা করছে তার দায়ভার তাদের। কিন্তু এরকম ১২/১৩ বছরের বাচ্চাদেরকে দেখলে মেজাজই খারাপ হয়ে যায়।

কিছুক্ষন পর খেয়াল করলাম ২/৩ টা ছেলে একটু ফিসফিস করে কথা বলছে ও আমার দিকে তাকাচ্ছে। হঠাৎ ই একটি ছেলে আমাকে জিজ্ঞেস করলো তোমার স্কার্ফটা কোথা থেকে কিনেছো? আমি তর প্রশ্ন শুনে অবাক হলেও উত্তর দিলাম, হাডসন বে থেকে। সাথে সাথে ওই গ্রুপের একটি কালো ছেলে আমার এ্যাক্সেন্ট শুনে বলে উঠলো, ফাকিং ইন্ডিয়ান। মাথায় রক্ত উঠে গেল, কি বলছো তুমি আবার বলো? এই বলে ফোনের ভিডিও অন করে দিলাম ও ছেলেটির মুখোমুখি দাড়াঁলাম। সাথে সাথে পাশের ছেলেটি আমাদের দু'জনের মাঝে এসে সরি বলে ছেলেটিকে ধাক্কা দিল ও ছেলেটিকে বলতে লাগলো, ও ভিডিও করছে। কিন্তু কিছু বলতে বলতেই আমার স্টপেজ এসে পড়লো আর ব্যাপারটা নিয়ে বেশী ঝামেলা না করে নেমে পড়লাম।

ছবি: গুগল মামা

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩২

শের শায়রী বলেছেন: ভীষন ভালো লাগছে পইড়া, ফাউল তাইলে খালি আমাগো দ্যাশে না সব জায়গায়ই দুই চাইরটা থাকে। এই রাম ফাউল আছে বইলাই এখনো ভালো মন্দের পার্থক্য বুঝা যায় নাইলে তো স্বর্গ হইয়া যাবে :P

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৯

সোহানী বলেছেন: ওস্তাদ, ফাউল পোলাপাইন কোথাও কম নাই ;) । সুযোগ পাই না তাই ফাউল হইতে পারে না। এখানে স্কুলগুলাতে রীতিমত কড়া মনিটরিং এর ব্যবস্থা থাকে। একটু তেড়িবেড়ি পোলাপান পাইলেই সোজা মেন্টাল সাপোর্ট এ ঢুকায়ে দেয়। সে গল্প আরেকদিন....।

আপনার কিছু লিখা জমে আছে পড়ার জন্য। সময়ের টানাটানিতে শেষ করতে পারি নাই এখনো :(

২| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকাল জামাইকান বাচ্চারা একটু বিশৃংখল হয়ে উঠছে

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪২

সোহানী বলেছেন: আসলে শুধু জামাইকান বলবো না সেই বেল্টের মোটামুটি একটা অংশ বিশৃংখল। এর কারন ওরা নিজেদেরকে খুব বঞ্চিত ভাবে। সব কিছুতে ওরা হতাশা প্রকাশ করে এতো ওদের বাচ্চাগুলোও সেরকম হয়ে উঠে।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




বাঙালী সেন্টিমেন্ট নিয়ে বসে থাকলে লাভ নেই। শুধু দেখে যাওয়া ছাড়া কিচ্ছু করার নেই। পৃথিবীর দস্তুরই এখন ওরকম।

তবে হ্যা, বাস-ট্রেন বা হেটে পথ চললে মানুষের হরেক কিসিমের কথা শোনা যায়, হরেক রকমের মন - মানসিকতার - ভাবনার দেখা পাওয়া যায় কান ও চোখ খেলা রাখলে। যেটা বুঝিয়ে দেয় কতো দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে মানুষ ও তার প্রকৃতি।

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৭

সোহানী বলেছেন: সেটাই সমস্যা, বাঙালী সেন্টিমেন্ট কিভাবে স্টপ করবো?? রক্তের সাথে মিশে আছে যে।

আমার কাছে মনে হয়, শুধু দ্রুতই নয় অসম্ভব দ্রুত গতিতে সব মানসিকতা পাল্টাচ্ছে। আমার বাবা চাচা দাদাকে দেখতাম একই মানসিকতা ধারন করতো। কিন্তু এখন আমার বাচ্চারা তার ধারে কাছেও নেই। সময় সত্যিই দ্রুত পাল্টাচ্ছে।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: শুনেছিলাম কানাডায় রেসিজম অন্য দেশের তুলনায় অনেক কম। দেখা যাচ্ছে চোরাগুপ্তা রেসিস্ট কানাডাতেও আছে, হয়ত সেই কালো কিশোরের পারিবারিক শিক্ষাই তাকে এমন বানিয়েছে!

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৩

সোহানী বলেছেন: আপু, বাইরে থেকে অনেক কিছুই মনে হয় কিন্তু এখানের বাস্তবতা অনেক ক্ষেত্রেই ভিন্ন। যদিও কানাডিয়ান সরকার রেসিজম নিয়ে জিরো টলারেন্স। কিন্তু তারপরও অনেক কিছুই ঘটে যা আমাদের মতো সাধারনই শুধু ভোগ করি।

হাঁ, সেটাই কিন্তু গাজি ভাইকে বলেছি। এখানকার কালোদের একটা বড় অংশ নিজেদেরকে বঞ্চিত ভাবে। সব কিছুতে ওরা হতাশা প্রকাশ করে এতে স্বাভাবিকভাবেই ওদের বাচ্চাগুলোও হতাশ হয়ে উঠে ও এধরনের আচরন করে।

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ সম্পর্কে জেনে হবেটা কি?
কানাডার আর আমাদের লেখাপড়া আলাশ পাতাল পার্থক্য।
গত এক বছর ধরে দেখছি আমাদের দেশে নারী জাতি বাসে দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ সিট ছেড়ে দেয় না।

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২০

সোহানী বলেছেন: সেইম হিয়ার, কেউই আমারে নারী জাতি বইলা সিট ছাইড়া দেয় নারে ভাই... :((

তবে কানাডার প্রতিটি ট্রেন বাসে স্পেশাল নিড সিট থাকে। বয়স্ক, অসুস্থ, প্রেগনেন্ট কেউ থাকলে তাকে সিট ছেড়ে দেয় সবাই। ওরা কেউ না থাকলে আমরা বসে পড়ি।

মানুষ সম্পর্কে জেনে হবেটা কি?

গুড কোয়েশ্চইন!!!!!

৬| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পশ্চিমা কালচারের ঘুনে ধরা অনৈতিকতার শিকার হয়েছেন আপনি। মুখ বুজে মেনে নেননি, এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর রেসিজম নিয়ে যে দেশই বড়াই করুক, রেসিজম মুক্ত কোন দেশ নাই। ভদ্রতার ছদ্মাবরনে ওটা ওরা ঢেকে রাখে মাত্র।

ধন্যবাদ বোন সোহানী।

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৩

সোহানী বলেছেন: অনেকাংশে সহমত, রেসিজম মুক্ত কোন দেশ নাই। ভদ্রতার ছদ্মাবরনে ওটা ওরা ঢেকে রাখে মাত্র। তবে সত্যিই কানাডা খুব সোচ্চার এ নিয়ে। কারন এখানে বড় অংশই ইমিগ্রান্ট। যার কারনে মূল অংশের সাথে কনফ্লিক্ট হতে বাধ্য। সেকারনেই সরকার এ নিয়ে মারাত্বক শক্ত অবস্থানে থাকে। কিন্তু সমস্যা হলো আপনি রিপোর্ট করলে ওরা এগিয়ে আসবে কিন্তু আপনি রিপোর্ট না করে সহ্য করলে তার কোন সমাধান হবে না। আমার ব্যাক্তিগত এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করার লোভ সমালাতে পারছিনা।

আমি প্রতিদিন একই সময়ে বাসে উঠি সকালে। কখনই কোন সমস্যা হয়নি। একবার দেখি নতুন এক বাস ড্রাইভার স্টপেজে বাস না থামিয়ে দূরে থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে আমাদের কয়েকজনকে না নিয়ে চলে গেল। দু'দিন দেখার পর আমি একাই এগিয়ে যেয়ে দৈাড়ে বাসে উঠলাম। ড্রাইভারকে জানতে চাইলাম তোমার সমস্যা কোথায়? তুমি থামছো না কেন? ও চেচিয়ে উঠে বললো জায়গা নেই, দেখছো না। আমি বল্লাম যা জায়গা আছে তা দিয়ে আমরা অনায়েসে উঠতে পারবো। আর এ বিহেব তুমি গত দু'দিন ধরেই করছো। ও আরো রেগে বললো, তুমি না নামলে আমি বাস ছাড়বো না। আমিও আরো রেগে বল্লাম, আমি নামবো না, দেখি তুমি কি করো। এভাবে কিছুক্ষন কথা কাটাকাটির পর ও বাস ছাড়লো। তবে আমি যেটা করলাম, বাসের নাম্বার সহ পুরো ঘটনা ভিডিও করে ওদের হেড অফিসে পাঠিয়ে দিলাম। এবং ওরা সাথে সাথে সে বাস ড্রাইভারকে উইড্রো করলো।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১৩

শের শায়রী বলেছেন: আপনের মোবাইল দেখি এক মারাত্মক অস্ত্র হইয়া উঠছে, উপরওয়ালা আপনার মোবাইল থিক্কা নিরীহ সাদা কালা মানুষ গুলারে হেফাযত করুক। আহারে! অরা বুজে নাই ঢাবি গুন্ডার হাতে পড়লে কি হয় যে কিনা সুর্যাস্ত আইন বিনাশ করছে। এক রাশ সমবেদনা বেচারা কানাডিয়ান গো লাইজ্ঞা। :(

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:০২

সোহানী বলেছেন: ম্যাভাই, খালি পুরান আমলের রাজা বাদশাগো হিসাব নিকাশ নিয়া পইড়া থাকলেতো আধুনিক অস্ত্র সম্পর্কে জানবেন না, তাই কেমুনে হয় B-)

একটু চক্ষু মেলেন চারপাশ দেখন, দেখবেন ম্যাসেন্জারে গুপন কথোপকথনের স্ক্রিন সর্ট ফাস, গুপন ভিডিও প্রচারের কারনে স্বয়ং মন্ত্রীর পদ টলমলে, ছবি পোস্ট কইরা দিয়া হাতে নাতে ধরা............ সে তো নানান কিচ্ছা ;) । আর সবই মোবাইলের কল্যানে। আর এই কারনেইতো ৫ জি থেকে ১০ জি পর্যন্ত পৈাছাইসে। আধুনিক ক্যামারার কৈাশল দেখলে মাথায় টাশকি লাগে, ভো ভো করে।

আর আফনিতো জানেন নিরীহ মাইনষের ভাত নাই। গোবেচারা হইছেনতো সক্কলে আফনেরে আলুর দম বানাইয়া ছাড়বে ;)

৮| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

সোহানী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নায়করাজ রাজিব ভাই।

৯| ১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৮

নতুন বলেছেন: পুলাপইন তো একটু আউলা হবেই কিন্তু সেটা ঠিক করার কাজ বাবা মায়ের, কিন্তু বত`মানের বাবা মায়েদের শিক্ষা জ্ঞানের লেভেল নিচের দিকে তাই তারাও পুলাপাইনেরে কিছুই কয় না।

জামানা পাল্টে যাচ্ছে কিছুই করার নাই।

১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

সোহানী বলেছেন: হক কথা। মা আছে জি বাংলা নিয়া আর বাবা আছে ধান্দাবজি নিয়া, পুলাপান শিখবে ক্যামনে..........

১০| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: তাদের কঠোর আইন আছে বলে তারা সভ্য, তার মানে এই নয় যে সকলেই প্রকৃতপক্ষেই সভ্য। আমাদের আইনের শিথিলতা আছে বলেই আমরা অসভ্য, তারমানে এই নয় যে আমরা প্রকৃতপক্ষেই অসভ্য।

ভালো লাগল সোহানী'পার যাপিত জীবনের এক টুকরো ঘটনার ফ্লাসব্যাক।

১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

সোহানী বলেছেন: ঠিক এই কথাটা আমারো। আইনের কঠিন প্যাচ আছে বলেই এরা এতো সভ্য ভব্য। এদেরকে যদি বাংলাদেশে ছেড়ে দেয়া যেত তাহলে বোঝা যেত কত ধানে কত চাল ;)

১১| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ লড়াই অনন্তকালের!

আত্মা যতক্ষন শুদ্ধ না হচ্ছে, প্রকৃত শান্তি মুক্তি কল্যান নেই...
আইনের খোয়াড় হয়তো বাইরেটা আটকে রাখে, মনের গহনের গোখরা, সুযোগ পেলেই ছোবল হানে!

তাই অমন মোবাইল বীন্ওয়ালা সাপুড়িয়া্ও দরকার ;) হা হা হা

অভিজ্ঞতা শেয়ারে ধন্যবাদ।
+++

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১২

সোহানী বলেছেন: আত্মা শুদ্ধ হবে কিভাবে এখন, সারাক্ষন উইটিউব গেইমে বুদ হয়ে গুলি করে সব শত্রুকে মারতে মারতে তারা ভাবে চারপাশে শুধু শত্রুই ওৎপেতে থাকে। বাস্তবতার মুখোমুখি হয় না। আগের দিনে গুরুগৃহে পাঠানো হতো আত্মাশুদ্ধির জন্য, আর এখন????

পিস্তল নিয়েতো চলতে পারি না আম্রিকার ট্যাক্সাসের মতো তাই মোবাইল ই এখন অস্র B-))

১২| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমরা এখনো তাগো কাছে ইন্ডিয়ানই রয়ে গেলাম।।
বা্ঙ্গালী বা বাংলাদেশী হতে পারলামনা স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তীতেও। আফসোস !!

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৮

সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক। বাংলাদেশ বলে যে একটা রাস্ট্র আছে তা মেক্সিমাম লোকই জানে না। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী কেন হীরক জয়ন্তীতেও একই থাকার সম্ভাবনাই বেশী। ইন্ডিয়ানদের ক্ষমতা প্রতিপত্তি দেখলে তখন বুঝতে পারবেন। এখানের চারজন মন্ত্রী ইন্ডিয়ান। একজন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ছিল ইন্ডিয়ান। তাই সবাই ইন্ডিয়াই চিনে। আমাদের স্কিন কালার দেখে প্রথমেই বলে ইন্ডিয়ান যদি না কাউকে বলি যে আমি বাংলাদেশী।

১৩| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমেরিকায় কালোরা অত্যাচার করে কানাডাতেও কম না। দেশে চলে আসেন দেশের সন্তান দেশে ভালো থাকবেন।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৪

সোহানী বলেছেন: দেশে ছিলাম জীবনের প্রায় পুরোটাই কিন্তু প্রায় পাগল হবার দশা হয়েছিল। চুরি চামারী ঘুষ খাবি খা ভালো কথা, আমারে সৎ থাকতে দে......... তাতে ও আপত্তি। হয় দলে যোগ দাও, নতুবা মরো, না হয় পালাও।

আমাকে আমার মতো কাজ করার গ্যারিন্টি দেন কালই টিকেট কেটে চলে আসি B:-/

১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:১০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: সোহানী,
আপনার লেখার প্রতিটা লাইন বুঝতে পেরেছি ।
মোগলের সাথে খানা মোগলাই ! সেই মোগলাই খানা খেতে খেতেইতো বিদেশের দিনগুলো যাচ্ছে । অভিযোগ করে আর কি করা যাবে ?'কপালের লিখন না হয় খণ্ডন' প্রবাদ বিশ্বাস করেই তাই দিনাতিপাত করে যাচ্ছি । আপনাদের প্রেসিডেন্টতো সেলফ কোয়ারেন্টাইনে গেলেন আপনারাও ভালো থাকবেন ।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৮

সোহানী বলেছেন: আমাগো শুধু প্রেসিডেন্টই না এন ডি পি লিডার জগমিৎ ও সেলফ কোয়ারেন্টাইনে গেছে। তবে আম্রিকার মতো হাহাকার নেই তেমন। যদিও স্কুল মার্চ ব্রেক হবার কথা এক সাপ্তাহ কিস্তু তা তিন সাপ্তাহ করেছে যা শুরু হবে কাল থেকে। (আমার মাথায় বাজ পোলাপানগুলারে তিন সাপ্তাহ রাত দিন পালা বহুত কঠিন :(( :(( (।

মাঝে মাঝে মোগলাই বদহজম হয়, জানেনতো । তবে কি করি সে রকম হজমী বড়ি খেয়ে নেই..........হাহাহাহাহা

১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমাকে আমার মতো কাজ করার গ্যারান্টি দেন কালই টিকেট কেটে চলে আসি
- এটি একমাত্র ব্যবসাতেই সম্ভব। প্রবাসের অত্যাচারগুলো খুব গা’য়ে লাগে। তাছাড়া প্রবাসের জীবন ওয়ান ম্যান শো। পরবর্তী জেনারেশন নিয়ে খুব ফ্রাস্টেশনে থাকতে হয়।


১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:২১

সোহানী বলেছেন: ঠিক নয় ঠাকুর ভাই। প্রবাসে আমি কোন অত্যাচার দেখি না। বরং অনেক ভালো আছি। দেশে যে সমস্যা নিয়ে রাতদিন মাথা খারাপ হতো সে সব কিছুই এখানে নেই। আর ওয়ান ম্যান শো তো দেখলাম দেশে যেয়ে। কিছুই নেই কিন্তু শো অফ করার চেষ্টা :(

আর পরবর্তী জেনারেশন এর ফ্রাস্টেশন বলছেন!! দেশে থাকলেতো ধর্ষন এর ভয়ে মেয়েকে ঘর থেকে বের করতেই ভয় হতো। তারচেয়ে না হয় কিছুটা ফ্রাস্টেশন এ থাকুক, নিরাপদেতো থাকবে অন্তত.......।

দেশে ব্যবসা চাকরী সব কিছুই সৎভাবে করা খুব দূরহ, সেটা আপনি যেমন জানেন তেমনি আমি ও জানি। তারপরও, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।

১৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩০

সৈয়দ জায়েদ আহমদ বলেছেন: এ দেশে মানবতা নেই, শালীনতার কথা নাই বললাম।
তবুও আশায় বেচে আছি,একদিন সবকিছুই ঠিক হবে হয়তো সেদিন আর বেশিদূর নয়!
ভালো থাকবেন যেখানেই থাকেন

১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৬

সোহানী বলেছেন: তবুও আশায় বেচে আছি,একদিন সবকিছুই ঠিক হবে হয়তো সেদিন আর বেশিদূর নয়!.... হয়তোবা

১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: আফ্রিকান কোন যুক্তিতে এশিয়দের রংয়ের কারণে তুচ্ছ করে?
নিজেদের রংটা কি দেখেনা?
নাকি ঘানার লোক,যেখানে গান্ধীকে বর্ণবাদী ঘোষণা দিয়ে তার মূর্তি নামিয়ে ফেলা হয়েছে?

১৪ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:০৪

সোহানী বলেছেন: আসলে আফ্রিকানরা রং এর কারনে তুচ্ছ করে না। এটা অনেকটা ওদের সাধারন বিহেব এর পর্যায়ে পড়ে। বরং উল্টো ওরা নিজেরা হীনমন্যতায় ভোগে রং এর জন্য।

১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৩০

এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: What's wrong with you? You write a post about racism while feeling the need to specifically mention the skin color of the person? Then you write racist comments about it! Shame on you!

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২০

সোহানী বলেছেন: আফা/ভাইজান ভালা আছেন??? মাথা কি একটু বেশীই গরম হইছে, তাইলে যাইয়া বুড়িগঙ্গায় একখান ঢুব দিয়া আইসে দেন ট্রাম্পের সাথে কুলাকুলি কইরেন B-)) B-)) B-)) B-))

১৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চলতি পথের গল্প করতে এবং শুনতে, দুটোই আমার ভাল লাগে। এরকম চলতি পথের গল্প আমার অনেক জমা হয়ে আছে লিখবো বলে, কিন্তু তা হয়ে উঠছে না কিছুটা সময়াভাব, কিছুটা আলসেমির কারণে।
তবু ভাল, যে আপনার অস্ত্র দেখে ছেলেপুলেগুলো ভয় পেয়েছিলো। আসলে রেসিজম এর চেয়ে বড় কথা পারিবারিক শিক্ষার অভাব কিংবা অপর্যাপ্ততা।
১০ নং মন্তব্যটা এবং ১১ নং প্রতিমন্তব্যটা ভাল লেগেছে।
পোস্টে ভাল লাগা + +।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: দুস্টু নাতিকে সামলানোর মাঝে লিখা শুরু করেন। আপনার লিখা মানেই দারুন কিছু।

আসলে রেসিজম সব দেশেই আছে কম বা বেশী। তবে অনেক সময়ই এ ধরনরে অস্র কাজ হয় না। হাহাহা

তবে কানাডায় জিরো টলারেন্স রেসিজম এ। বড়সর রেসিজম বন্ধ করা যাচ্ছে। কিন্তু যে সুক্ষ রেসিজম আছে তা কিভাবে বন্ধ হবে? যেমন কোন অফিসে ইন্ডিয়ান থাকলে ধরে নিতে হবে সেখানে বাংলাদেশীদের চান্স নাই, কালো কেউ থাকলে সেখানে ইন্ডিয়ানদের চান্স নাই....... এরকম অনেক কিছু আছে। তারপরও বলবো সেটা অনেক কম আমেরিকার তুলনায়।

আর সত্যিই যে পারিবারিক শিক্ষার অভাব কিংবা অপর্যাপ্ততা, পারিবারিক সুস্থ্য রিলেশান অরেক কিছুই দায়ী।

অনেক অনেক ভালো থাকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.