নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
ট্রডোর ইমার্জেন্সী ঘোষনা
কানাডায় বিভিন্ন প্রভিন্সে আজ থেকে স্টেট ইমার্জেন্সি ঘোষনা করেছে মার্চ ৩১ তারিখ পর্যন্ত। এ পর্যন্ত (মার্চ ১৭) মোট ৫৫৬ জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে এবং মারা গেছে ৫ জন ও আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে ৯ জন। প্রথম থেকেই কানাডার সরকার ও গণমাধ্যম গুড়ুত্ব সহকারে নিয়েছিল করোনার আক্রমন প্রতিহত করতে। এই স্টেট ইমার্জেন্সি্র আওতায় বন্ধ থাকবে সকল পাবলিক জমায়েত, স্কুল, কলেজ, রেস্টুরেন্ট, লাইব্রেরী চার্চ, ইনডোর/আউটডোর খেলাধুলা, সিনেমা, স্টেজ পারফরমেন্স সহ সব কিছু। শুধু খোলা থাকবে হসপিটাল, ফার্মেসী ও গ্রোসারী শপ। তারপরও সে সব স্থানে স্যানিটাইজেসানের কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার করোনা ফান্ড ঘোষনা করেছে। কাজ না থাকলেও সকলের জন্য বেতনের যথাযথ ব্যবস্থা করেছে যাতে কেউই কোন সম্ভাব্য বিপদে না পরে। ২৪ ঘন্টা ইমার্জেন্সি ছাড়াও ৯১১ এর মতো ৮১১ এ স্পেশাল কল সেন্টার খুলেছে। এবং সবাইকে যথাসম্ভব ঘরে থাকতে বলেছে ও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। বলতে গেলে প্রায় সকলেই তা মেনে চলছে। আমরা খাবার সহ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রেখেছি ও ঘরের বাইরে পরত:পক্ষে বের হই না।
এতো সব কথা বলার কারন দেশের বিভিন্ন খবরে দেখলাম আমরা স্কুল কলেজ ছুটি পেয়ে কক্সবাজার সাজকের দিকে বেড়াতে ছুটেছে, আনন্দে সবাই পার্টি দিচ্ছে, মেয়র সাহেব সবাইকে জমায়েত করে হাত ধোয়া শেখাচ্ছেন, আনন্দ করছি, কোলাকলি করছি, বিদেশ ফেরত বা কোরায়েন্টাইন থেকে পলাতক ভাইরাস পজিটিভ রোগীকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে খাওয়াচ্ছি। কানাডার মতো সবচেয়ে কম ঘনবসতি জনগোষ্টিও ভয়ে কাঁপছে আর বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতি দেশ হওয়া সত্বেও আমরা কোন ভয় পাচ্ছি না বা আমলে নিচ্ছি না। কেন??? আমরা বুঝে করছি নাকি না বুঝে করছি?
আমি আরো বেশী দু:শ্চিন্তায় কাটাচ্ছি এই ভেবে যে আমাদের ডাক্তার নার্সদেরইতো কোন নিরাপদ ব্যবস্থা নেই, তারা কিভাবে রোগীর সেবা করবে? কোন পরিকল্পনা কি সরকারী তরফ থেকে নিয়েছে? কিংবা কিভাবে এ দূর্যোগ মোকাবেলা করবে তার কোন পদক্ষেপ নিয়েছে? কোন বাজেট বরাদ্দ হয়েছে কি? কিভাবে বরাদ্দের ব্যবস্থা হবে তা নিয়ে কি কেউ কথা বলেছে? রোগীকে কিভাবে ট্রিটমেন্ট দিবে তার কি কোন ব্যবস্থা বা ইউনিট খুলেছে? কোন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা কি করেছে লোকবলের?
শুধুমাত্র কিছু বেকুবদের বোকামীর জন্য জন্য প্রান হারালো কানাডা ফেরত শিক্ষার্থী নাজমা। এখনো সময় আছে সময় থাকতে হুশিয়ার হবার। আর যেন কেউ এভাবে প্রান না হারায়, কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় চলে না যায়.............. এ প্রত্যাশা সরকারের কাছে।
সবাই ভালো থাকুন ও সাবধানে থাকুন। প্রয়োজনের বাইরে ঘর থেকে বের হবেন না।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৭
সোহানী বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের প্রস্তুতি আছে মুখে মুখে।
সেই কারনেইতো টেনশান। এটা যদি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে কিংবা এরই মধ্যে ছড়িয়েছে কিনা জানি না তাহলে কি অবস্থা হবে, ভেবে দেখেছেন। এমন কি আমরা জানতেও পারবো না সে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কিনা??
২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Pierre James Trudeau) এবং নিউজীল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন (Jacinda Kate Laurell Ardern) আজকের বিশ্বের সবচেয়ে মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন ও জনদরদী সরকার প্রধান। আমি অন্তর থেকে তাদেরকে ভালবাসি। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাঁদের উভয়কে দীর্ঘজীবি করুন!
দেশের কথা চিন্তা করলে মাথাটা বনবন করে ঘুরতে থাকে। সবকিছুই এত ফেইক! এত লোক দেখানো প্রচার সর্বস্ব ব্যবস্থাপনা! কোথাও কোন পেশাদারী দক্ষতার পরিচয় নেই, সবখানেই শুধু চামচামি!
দেশে ফেরত আসা প্রবাসীদের জন্য ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা হয়তো এ মুহূর্তে জাতির জন্য প্রয়োজনীয়, কিন্তু সেগুলোকে অবস্থানযোগ্য করে তুলুন। মন্ত্রী মহোদয়গণ এ দুর্যোগের সময় পালা করে অন্ততঃ একজন করে হজ্জ্ব ক্যাম্পে রাত্রিযাপন করে অভাগা প্রত্যাগতদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করুন! মশকরা বাদ দিন, পাগল ছাড়া কেউ আপনাদের কাছে পাঁচ তারকা হোটেলের কমফোর্ট চাইবেন না। অন্ততঃ সুস্থ লোকজন সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যেন বাড়ী না ফেরেন, দয়া করে সে ব্যবস্থাটুকু গ্রহণ করুন।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৮
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মতো এমন ভালো মানুষ নেতা মনে হয় দু'টি খুঁজে পাওয়া কঠিন। যেমন সৎ, তেমন মানবিক, তেমন আন্তরিক। আমরা খুবই খুশি এমন একজন নেতা পেয়ে। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাঁদের উভয়কে দীর্ঘজীবি করুন!
প্রতিটি শব্দে সহমত প্রিয় লেখক। কেউতো পাঁচ তারকা হোটেলের কমফোর্ট চায়নি, শুধুমাত্র সামান্য বাসযোগ্য কিছু চেয়েছে। সেটুকু দেবারও ক্ষমতা আমাদের নেই। যে ছেলেটি চিল্লাচিল্লি করেছে তাকে নিয়ে সমালোচনা করছি কিন্তু একটিবারও তার দিক থেকে বোঝার চেস্টা করিনি। সাথে পরিবার, ছোট বাচ্চারাও ছিল। আতশবাজিতে কোটি টাকা পোড়াতে পারি আর সামান্য একটা বাসা ভাড়া করে তাদেরকে রাখতে পারি না।
তাইতো খুব আতংকিত আছি, না জানি দেশের কি অবস্থা হয়।
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের বেশীরভাগ ডাক্তার আসলে ব্যবসায়িক মনোভাবের, এরা রোগীদের কাছেও যাবে না। নার্সেরা প্রানের ভয়ে কাছে যাবে না।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৯
সোহানী বলেছেন: কিভাবে যাবে? ওরা নিজেদেরকে প্রটেক্ট করার মতো কোন কিট কি আছে দেশে? রোগীর সেবা করতে যেয়ে নিজেই যদি মরতে বসে তাহলে কেন তারা যাবে???
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: এতো সব কথা বলার কারন দেশের বিভিন্ন খবরে দেখলাম আমরা স্কুল কলেজ ছুটি পেয়ে কক্সবাজার সাজকের দিকে বেড়াতে ছুটেছে, আনন্দে সবাই পার্টি দিচ্ছে, মেয়র সাহেব সবাইকে জমায়েত করে হাত ধোয়া শেখাচ্ছেন, আনন্দ করছি, কোলাকলি করছি, বিদেশ ফেরত বা কোরায়েন্টাইন থেকে পলাতক ভাইরাস পজিটিভ রোগীকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে খাওয়াচ্ছি।
Welcome to real Bangladesh!!!!
এখানে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি, যত শিক্ষিত হয়, যত সরকারী পদে উপরের দিকে উঠতে থাকে, ততই কোমর থেকে হাঁটুর দিকে নামতে থাকে। এবং শেষমেষ বাম পায়ের কনিষ্ঠ আংগুলে যেয়ে জমা হয়।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৫
সোহানী বলেছেন: নীল ভাই, দীর্ঘদিন সরকারী মহলে কাজ করেছি। এমন অনেকই আছেন কিছু করতে চান। কিন্তু চারপাশের চাপে তারা তা করতে পারে না। ৮ জন যদি অসৎ হয় ২ জন কোনভাবেই টিকে থাকতে পারে না। এখন বলেন ওই ২ জন কেন ভালো থাকবে। হয় চুপ থাকবে নতুবা পালাবে।
৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জাতীসঙ্ঘ নাকি করোনা আক্রান্ত অনুন্নত দেশের জন্য বিশাল ফান্ডের ব্যবস্থা করেছে।
দেশে করোনা না ছড়ালে এই ফান্ড যে হাতছাড়া হয়ে যায় !!
আমাদের নেতা ক্ষেতারা এই ফান্ডের দিকে লকলকে জিব্বা নিয়ে তাকিয়ে আছেন !!
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৬
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা......... এইটা একটা ভালো কথা বলেছেন। কিন্তু ততদিনে যদি খুব দেরী হয়ে যায়, সেটা নিয়েইতো ভয়।
৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশটা আমাদের সবার, আমরাও দেশের জনগনের অংশ। কাজেই কাউকে নতুন করে কিছু বলার নাই, সবাই সবকিছু মোটামুটি জানেন। যেমন সরকার, দেশের জনগন তেমনটাই তো হবে, তাই না!
এখন দেশের সরকার যদি এমন একটা বৈশ্বিক দূর্যোগে ঢিলাঢালা ভাব দেখায়, করোনাকে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি না দিয়ে অন্য বিষয়ের দিকে নজর দেয়.....তাহলে জনগন যা করার তাই করছে। এতে আশ্চর্য হওয়ার তো কিছু নাই।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৯
সোহানী বলেছেন: আসলেইতো তাই। যেমন সরকার, দেশের জনগন তেমনটাই।
এই কারনেইতো কে কিভাবে তেল দিবে তার কঠিন প্রতিযোগিতা চলে সর্বত্র। চামচামি করতে করতে কখন থামতে হবে কখন চলতে হবে আমরা ভুলে গেছি ।
৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আইইডিসিআর এর ৬টি নাম্বারে কয়েক জন মিলে ১ ঘন্টা ফোন করে পাইনি, তখন খুব অসহায় বোধ হচ্ছিল। আইইডিসিআর এর টিভি ক্রিনের সেজেগুজে ভাষ্য আর বাস্তবতা মিলাতে পারছিলাম না। (একজন ভুক্তভুগির মন্তব্য,এবং আজকের মানবজমিনে পড়ুন “তাহলে কেন আম্মুকে হাসপালে নিবো”।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১২
সোহানী বলেছেন: ভাইরে, সেটাতো বলার অপেক্ষা রাখে না। লোক দেখানো কিছু করেছে কিন্তু বাস্তবে এর অস্তিত্ব না থাকাই স্বাভাবিক। এর জন্য দরকার আগে সরকারী লোকজনের উপলব্ধি আসা। কিন্তু সেটা কখন আসবে???
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: সোহানী, আমরা প্রস্তুত কিনা সেটা আজকের প্রথম আলোতে বিস্তারিত লিখেছেন, ভাবলাম তার লিংক দিয়ে দেই, নিজেই দেখবেন প্রস্তুতির অবস্থা। আশ্চর্যজনক ব্যাপার, করোনা শনাক্তের পরীক্ষা কম গুরুত্ব পাচ্ছে - প্রথম আলো এই খবরটা অনলাইনে কোথায় পেলাম না। তাই খবরের কিছু উল্লেখ করছি...
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটিই বার্তা- পরীক্ষা, পরীক্ষা, পরীক্ষা। বাঙলাদেশে পরীক্ষার উপর তেমন গুরুত্ব দিয়ে হচ্ছে না। পরীক্ষা হবে কেবল সরকারের আইইডিসিআর এ, তারা ৫৫ দিনে মাত্র ৩২৬ জন রোগী পরীক্ষা করেছে, কারণ পরীক্ষা কিটের স্বল্পতা। এই পরীক্ষা কাজে আইসিডিডিআরবি বা অন্য কারো সহায়তা তারা নিচ্ছে না, যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে সরকারি বেসরকারি সবাই মিলে একসাথে করোনা সঙক্রমন মোকাবেলা করতে হবে। অথচ icddrbর ল্যাবে পরীক্ষার অনুমতি দেয়নি সরকার।
১৬ই মার্চ থেকে আইইডিসিআর সরাসরি আসা রোগীদের পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে। আগে হটলাইনে এপো নিতে হয়, ডাক্তার সব শুনে সিদ্ধান্ত দিলে পরীক্ষার জন্য রোগী আসতে পারে।
গতকাল বেলা একটার দিকে দুই যুবক আইইডিসিআরে এসেছিলেন নিজেদের নমুনা পরীক্ষা করাতে, গাজীপুর আর মিরপুর থেকে। দুজনের জ্বর। তাদের অভিযোগ, আইইডিসিআরের হটলাইনে ঢোকা যায় না দেখে তারা সরাসরি চলে এসেছেন। কিন্তু আইইডিসিআর তাদের পরীক্ষা করতে রাজি হয়নি।
এতক্ষণ যা পড়লেন তা প্রথম আলোর খবর, কেটেছেটে দিলাম। আমি আর কী মন্তব্য করব। শুধু ভাবছি হটলাইনের নাম্বার জানিনা, জানলেও লাইন পাব নাকি জানি না, পেলেও তারা পরীক্ষা করতে রাজি হবে কিনা, হলেও কতদিন পর পরীক্ষার সিরিয়াল পাব, ততদিন বেঁচে থাকব কিনা...
দুদিন আগে আমার এক খালাত মারা গেছেন শ্বাসকষ্টে, কী হয়েছিল আসলে কে জানে।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৫
সোহানী বলেছেন: উপরে নেওয়াজ আলীই সেরকম মন্তব্য করেছে। আইইডিসিআর তে কাজ করার অভিজ্ঞতায় বলি সেখানে হাজার রোগী সামাল দেবার মতো ক্ষমতা কোনকালেই ছিল না। এটা অনেকটা লোক দেখানোর মতো। কিন্তু প্রাইভেট পরীক্ষাকেন্দ্র কে কেন অনুমতি দিচ্ছে না?? icddrb বা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এর ক্ষমতা আইইডিসিআর থেকে অনেক বেশী।
আর হটলাইন এপো বলেন?? দেখেন কোন অপারেটরই হয়তো নেই। জোড়াতালি দিয়ে কোনভাবে চালাচ্ছে মে হয়তো বাচ্চাতে স্কুল থেকে পিক আপ করতে গেছে ।
আসল কথা হলো গুড়ুত্বটা উপর লেবেল থেকে আসতে হবে তারপর সেটা নীচের দিকে ধাবিত হবে। সেই কারনেইতো বলা, আমরা তেমন গুড়ুত্ব দেইনি। কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোই সর্ব্বোচ্চ গুড়ুত্ব দিয়েছে প্রথম থেকেই।
বলেন কি? শ্বাসকষ্টে মারা গেছে মানে সন্দেহতো হবারই কথা। কারন এ রোগে মারাত্বক শ্বাসকষ্ট হয় শেষের দিকে।
খুব সাবধানে থাকেন আপু।
৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: কানাডা সর্কার নাকি পাব্লিকরে বল্ছে- তোমরা বাবা বাসায় থাকো, ট্যাহা পয়সা খাওন সব সর্কার দিবো... এইরাম ঘোষণা দিলে ব্যাবাক বাঙালিই করোনা হইছে বইল্যা ঘোষণা দিবো....
মজা করলাম। কথা হলো, সুশাসন ও জবাবদিহিতা থাকলেই এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। প্রথমত, আমাদের দেশে কি সে অবস্থা আছে? দ্বিতীয়ত, ইতালির কারো একজনের একটা লেখা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে- আমরা প্রথমে করোনাকে অতটা গুরুত্ব দেয়নি, এর ভয়াবহতা বুঝতে পারিনি.........., আমরাও ওই পর্যায়েই আছি। সুতরাং যা হওয়ার তাই হচ্ছে।
যেখানেই থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৮
সোহানী বলেছেন: হাঁ, ঠিক। কাজ না থাকলে সরকার সব ধরনের সাহায্য দেবার ঘোষনা দিয়েছে।
আমাদের দেশে এমন ঘোষনা দেবার মতো সামর্থ্য নেই। থাকলেও দিতো কিনা সন্দেহ। তখন সবাই হয়তো ভাবতো তা দিয়ে কানাডায় বেগম পাড়ায় একটা বাড়ি বানাই ।
১০| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ ভরসা
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৯
সোহানী বলেছেন: হুম, আল্লাহ ভরসা।
১১| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: করনাতে বাংলাদেশে একজন মারা গেছে........আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করো............
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৯
সোহানী বলেছেন: জানা মতে একজন মারা গেছে অঅর অজানা মতে কতজন মারা যাচ্ছে তা কি আমরা জানি??????
১২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যে দেশে করোনার আগমনে মাস্কের দাম বেড়ে যায় স্যানিটাইজার বাজার থেকে গায়েব হয়ে যায় প্রকৃত রোগীর সংখ্যা জানা যায় না
যে দেশে ডাক্তার রোগী বেশি হলে পয়মন্ত মনে করে তাদের আবার প্রস্তুতি কি ?
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩১
সোহানী বলেছেন: ভাইরে, ভয়তো সেখানে। আপনাদেরকে সেখানে রেখে এসেছি, আপনজনদেরকে রেখে এসেছি। সে কারনেইতো এতো কথা বলা।
১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: যথেষ্ট প্রমাণ না থাকলেও বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ব্র্যাক মনে করে, করোনাভাইরাস দেশের কমিউনিটিতে সংক্রমিত হচ্ছে।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩২
সোহানী বলেছেন: সেটাই কি স্বাভাবিক নয়?
১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বাংলাদেশ একটি ব্রেক ফেল ঘাতক ট্রাক আর আমরা তার যাত্রী ও পথচারি আর সরকার দল হচ্ছে চালক।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৩
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা......... উদাহরনটা পছন্দ হয়েছে!
১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৫
জুন বলেছেন: আমরা মোটেও প্রস্তত নই সোহানী। এখানে কিছু বলা মানে অরন্যে রোদন।
আমাদের শিক্ষিত জনগনও বলে "যা হবার হবে, এত চিন্তা কইরা লাভ নাই "।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৪
সোহানী বলেছেন: কিন্তু এর ভয়াবহতা বুঝতে হবে, বোঝাতে হবে। যেভাবেই হোক আমাদেরতো প্রস্তুতি নিতে হবে।
১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫২
শের শায়রী বলেছেন: পড়লাম, জানলাম, আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম। সমস্যা হইল বাসা দিয়া কার্ফু দিয়া দিছে বাইরে যাইতে পারছি না। আমাদের এখানে সাধারন ফ্লু রোগীদেরও এই করোনার কারনে কোন হাসপাতালে করোনা ভয়ে এ্যাডমিট করছে না।
ওস্তাদ, এই দেশের মন্ত্রীরাই বলে আল্লাহর মাল আল্লাহ নিছে। ভাইবা কি হবে?
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৮
সোহানী বলেছেন: সে জন্যইতো ভয়। কোনটা দড়ি আর কোনটা সাপ এখন সব গুলিয়ে ফেলতে। কোন ব্যবস্থা নেই অযথা হাউকাউ করছি আমরা।
আর ওই মন্ত্রীদের কথা কানে নেয়া আর নিজের মাথার চুল ছেঁড়া সমান কথা। এমন উদ্ভট ডায়ালগ মনে হয় আর কেউই বলতে পারে না।
১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: দেখেন কি লিখছে? করোনার চিকিৎসায় প্রয়োজনে চীনের মতো হাসপাতাল: অর্থমন্ত্রী। প্রয়োজনটা যে কোন সময় আইব এইটাই এখন কুশ্চেন আবার দেখেন করোনা মোকাবেলায় ১০০ টাকা চাইলে বরাদ্দ দেয় ৫০ কোটি টাকা তাই দিয়া চায়নার মত হাসপাতাল!!! চায়নায় হাস+পাতাল বানাইতে কি দুই চার লাখ টাকা লাগে নাকি?
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১১
সোহানী বলেছেন: সেই জন্যইতো সবাই বইসা আছে, অবস্থা ভয়াবহ হোক তারপর বরাদ্দ্ হবে, টেন্ডার হবে। ৬০০০ টাকার বালিশ কেনা হবে, ২৪০০০ টাকার পর্দা কেনা হবে............... তারপর সব মরে ভুত হয়ে হাসপাতালে উঠবে !!!!!!!!
১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের নিত্য নপুংষকতায়
ঝেকে বসে স্বৈরাচার
মাথ নত হতে হতে
মুছে যায় সত্য মিথ্যার প্রভেদ
ন্যায়, নীতি বিবেক নির্বাসনে
মিডিয়া প্রেজেন্টেশনে উন্নয়ন, নিরাপত্তা, সব ঠিকাছে
বাস্তবতার কথা বলতে গেলে গুজব অজুহাতে গুম
করোনা,
এই অসহায় গুলারে আর কি ধরবিরে
মরারে কি মারা যায়?
অথবা ধর
সপাটে ধর, আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ধর
যারা প্রতিদিন জিন্দা মরার চেয়ে একবার মরা বুজী বেশি ভাল!
নয়তো তোর সক্ষমতায় যেভাবে কাঁপিয়েছিস বিশ্ব
কাঁপিয়ে দে স্বৈরাচারের তখত তাউশ
মজুদদাুর, দূর্নীতিবাজ, লুটেরা, ঘুষখোর
সবাইকে ছুঁয়ে দে, বউচি খেলার ছলে
আহা! মরতে মরতে যদি দেখতে পেতাম
সোনার বাংলার সু শাসন
নিশ্চিত নূন্যতম মৌলিক মানবিক অধিকার
আহা, ট্রুডো জল ফেলে নাগরিকের কষ্ট কথা ভেবে
তেমনি কি আমাদের হতে পারেনা!!!
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৩
সোহানী বলেছেন: হতে পারে ভৃগু অবশ্যই হতে পারে। আর সেকারনেইতো আশায় বুক বেধেঁ আছি, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।
১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
এতো বিশাল মানুষের দেশে যারা আবার আহাম্মকও বটে সেখানে কোনও প্রস্তুতিই পর্যাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বেকুবি থেকে খানিকটা আক্কেলজ্ঞান সম্পন্ন হতে হতে কতো প্রান যাবে ভয়টা সেখানেই।
তবুও, দুরাশা হলেও আশা করি সবার শুভবুদ্ধি জাগবে, হবে পরিস্থিতি বোঝার জ্ঞানটুকু ।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৬
সোহানী বলেছেন: আসলে কি জী ভাই, আমরা গোড়াতেই গলদ। একটা টান দিলে আরেকটা আসে....। কোনভাবেই কিছুই ঠিক হবার নয়। কিন্তু এবারের প্রস্তুতি দেখে নিজেরই রাগ লাগছে, এতো বোকা কেমনে আমরা হই? নিজের ভালোতো অন্তত বোঝা উচিত
২০| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:২২
নিভৃতা বলেছেন: করোনার সাথে নির্বুদ্ধিতা যুক্ত হয়ে আমাদের যে কী সর্বনাশ হতে চলেছে কে জানে।
আল্লাহ সবাইকে সুবুদ্ধি দান করুন।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:২৮
সোহানী বলেছেন: সেই জন্যইতো এতো টেনশান। নির্বুদ্ধিতার একটা সীমা আছে...............
২১| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:০৬
ইমরান আশফাক বলেছেন: এতো সব কথা বলার কারন দেশের বিভিন্ন খবরে দেখলাম আমরা স্কুল কলেজ ছুটি পেয়ে কক্সবাজার সাজকের দিকে বেড়াতে ছুটেছে, আনন্দে সবাই পার্টি দিচ্ছে, মেয়র সাহেব সবাইকে জমায়েত করে হাত ধোয়া শেখাচ্ছেন, আনন্দ করছি, কোলাকলি করছি, বিদেশ ফেরত বা কোরায়েন্টাইন থেকে পলাতক ভাইরাস পজিটিভ রোগীকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে খাওয়াচ্ছি।
আমরা বোধে কতটা হালকা হলে এই ধরনের কর্মে লিপ্ত হই! আমাদের সরকারও তো তেমন, মৃত মানুষের জন্মদিন পালনে মহাব্যস্ত। অন্যদিকে তাকানোর সময় কোথায়? কোনটা গুরুত্বপূর্ন কোনটা না সেটা বোঝার ক্ষমতা আমাদের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের আছে? ছিল কোনকালে? থাকলে ১৯৪৭ সাল থেকেই আমরা হতাম স্বাধীন, আসাম ও আরাকানসহ।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৩৪
সোহানী বলেছেন: ১৯৪৭ সাল বা বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলন ব্যার্থ হবার কারন যেমন কিছু মীর জাফর তেমনি কিছূ অতি দূরদর্শী নেতা। সেরকমভাবে কিছু নেতার একাত্বতার অভাব।
সমস্যাতো সেটাই, কোথায় কখন কেন কোন বিষয়ে গুড়ুত্ব দিতে হবে তা আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। সবখানে চামচামীর একটা অলিখিত প্রতিযোগীতা চলছে......
২২| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৪৩
কানিজ রিনা বলেছেন: আমি সপ্নে দেখলাম আমাদের সরকার ঘরে
খাবার পৌছে দিচ্ছে। আমার মনে হয় সরকার
তাই করবে। কি বিশ্বাস হোল না?
বাজারে লোকজনের ভির দেখে খাদ্য মন্ত্রী
বলেছে কেউ অযথা ডাল চাল কিনে ঘরে
মজুদ করেন না। দেশের খাদ্য গুদামে টন
টন চালডাল তেল মজুদ আছে। এবার বুঝো
আমার সপ্নটা ঠিকনা বেঠিক।
এবার বলো কেমন আছো? অনেক দিন ব্লগে
আসিনা, আসলেও ভালমত পড়তে পারতাম না
চোখে সমস্যার কারনে।
একটা চোখ অপারেশন করেছি, আর একটা
কিছুদিন পর দোয়া রেখো। সাবধানে থাকো
পৃথিবী প্রকম্পিত করোনা আতঙ্কে।
দোয়া করি ভাল থাকো অনেক ভালবাসা রইল।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৫১
সোহানী বলেছেন: হ্যালো আপু, কেমন আছেন। অনেকদিন আপনাকে না দেখে মনে মনে খুঁজছিলাম। চোখের সমস্যা কি ঠিক হয়েছে? আমি দেশের চিকিৎসা নিয়ে সবসময়েই চিন্তায় থাকি। ঠিকভাবে চিকিৎসা হবে তো? যদিও নিজের সব ভাইবোন চিকিৎসক।
সে কারনেইতো টেনশানে আছি। হাঁ ফতোয়া দিবে কেউই খাদ্য মজুত করবে না কিন্তু ব্যবসায়ীরা করবে আর ১০ টাকার জিনিস ১০০ টাকায় আমাদের কাছে বিক্রি করবে।
আপু, তুলনা করতে চাই না, তারপরেও তুলনা চলে আসে। কিভাবে চলছে মানুষগুলো, কিভাবে বেচেঁ আছে????
২৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:০৮
অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: Toronto তে Danforth এলাকাতে কিছু বাংগালি potluck party করছে। রাগে গজগজ করতে করতে শুনলাম আমার নিজের শহর Mississauga তেই কিছু বেহায়া বাংগালি potluck party করছে!
আমার কিছু বলার নেই।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৫৩
সোহানী বলেছেন: এতো বলার পরও যারা করছে তাদের করতে দেন ভাই। ওরা মরতে চাইলে কে মানা করেছে। আর ডেনফোর্থের ওই লোকগুলোর মেক্সিমামই কোন কাজ করে বলেতো মনে হয় না। আমরা যারা খেটে খাই তাদের জন্য এসব পার্টি ফার্টি করার মতো সময় নাই ভাই....
২৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:১২
কানিজ রিনা বলেছেন: একটা চোখে অপারেশন হয়েছে ভালই মনে
হচ্ছে। অনেক অনেক আত্বিয় সজন ঢাকাতে
বেশ বিচলিত আছি। অস্টেলিয়া আমেরিকা
জার্মান ফ্রান্সে আপন সব আত্বিয় সজন
বলোতো কেমন মহা সংকট আল্লাহ্কে ডাকা
ছারা আর কিছু করার নাই। শুভকামনা
১৯ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৫৫
সোহানী বলেছেন: আপু, আমরা ভালো আছি। এখানে কিছু না হলেও সরকার আছে আমাদের দেখার জন্য। কিন্তু দেশের জন্যই চিন্তা হয়। সামান্য ট্রিটমেন্টেরও সুযোগ নেই সেখানে। কি হবে যদি আউটব্রেক হয়...........
২৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:২৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: প্রকৃত কথা হলো আমাদের প্রস্তুতি কতটুকু ???
আইইডিআর এর ক্ষমতা কতটুকু ???
......................................................................
ডে -ওয়ান থেকে সকল আগত যাত্রীর কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা ও কঠোর
হওয়া দরকার ছিল !
কিন্ত কি ভাবে ? বাজেট বরাদ্দ নাই, পর্যাপ্ত কোয়ারেন্টাইন স্হান কোথায় ?
সরকারী শাসন কি বিদেশ ফেরতরা মানছে না । উনারা বিয়ে করতে যান,
কক্সবাজার যান ফুর্তি করতে, পার্টি, বেড়ানো থেমে নেই , সরকার বাধ্য হয়ে
এপর্যন্ত ২৪ জনকে জরিমানা করেছে ।
.........................................................................................................
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও তার স্ত্রী করোনাভাইরাস এ ভীত নন ।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৪৭
সোহানী বলেছেন: আমি এভাবে দেখতে চাই না। সামান্য কিছু টাকা বরাদ্দ দিয়ে একটা উপযুক্ত কোয়ারেন্টাইন কি করা যেত না??? একটি রাস্ট্রের জন্য কোটি টাকা বরাদ্দ কি বেশী কিছু? একটু সদিচ্ছাই এর জন্য যথেস্ট.........
ট্রুডো সোফি অন্য গ্রহের বাসিন্দা । আমার নায়ক.......................
২৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:৫৬
কেএসরথি বলেছেন: অলরেডী ৬২১ জনে চলে এসেছে।
হ্যামিল্টনে আমার কাজের পাশেই সেইন্ট জোসেফ হসপিটাল।
২ জন রোগীকে ওখানে রাখা হয়েছে।
পুরো হসপিটাল থমথম।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৪৯
সোহানী বলেছেন: তুমি কই?? হঠাৎ হঠাৎ তোমারে দেখা যায়.........
তারপরও বলবো, ট্রুডোর কারনে আমরাও অনেক সাবধান...........
২৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:০৮
কেএসরথি বলেছেন:
চায়নার জনসংখ্যা ১৩০ কোটি ----- রোগী ৮১ হাজার
ইটালীর জনসংখ্যা ৬ কোটি -------- রোগী ৩৫ হাজার
স্পেনের জনসংখ্যা ৫ কোটি -------- রোগী ১৪ হাজার
ইরানের জনসংখ্যা ৮ কোটি -------- রোগী ১৭ হাজার
জার্মানীর জনসংখ্যা ৮ কোটি ------- রোগী ১২ হাজার
বাংলাদেশ জনসংখ্যা ১৭ কোটি ---- রোগী ১৫ জন???
এমনকি পাশবর্তী দেশ ভারতেও ২০০ জন রোগী ধরা পড়েছে। অথছ আমাদের দেশে ১৫জন???
আমরা কি সবাই ছাগল? না গরু? যার যা মনে আসবে বলতে থাকবে?
আমাদের মন্ত্রীরা আজকে দেখলাম বলছেন "ঢাকা বিমানবন্দর সবচেয়ে বেশী প্রস্তুত করোনা মোকাবিলা করার জন্য" - সিরিয়াসলি??
১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৫৪
সোহানী বলেছেন: আচ্ছা এ ১৫ জনরে কি টেস্ট কইরা পাইছে নাকি না কইরা ........
আমাদের এমনই এন্টিবডি যে আমরা টেস্ট ফেস্ট কিছুই লাগে না, ট্রিটমেন্ট লাগে না.........।
শুনলাম, বিমানবন্দর এর দুইটা মেশিনের একটা নষ্ট আর আরেকটা বিনিময় মাধ্যমে রোগ সনাক্ত হয় ........
২৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:১৩
কেএসরথি বলেছেন: আমি উপরের পোস্ট দিতে দিতে কানাডার রোগীর সংখ্যা ৬২১ থেকে ৬৫৭ তে চলে এসেছে।
মানে এই ১৫ মিনিটেই ২৬জন রোগী ধরা পড়ল।
আর বাংলাদেশে পুরা ২ মাসে শুধু মাত্র ১৫জন?
সবাইকে অনুরোধ করব - পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। ভালোমতো হাত ধুবেন। বারবার ধুবেন।
কাজে গেলে কয়েক বার ধুবেন।
এই রোগে আপনি মারা যাবেন না। কিন্তু আপনার বয়স্ক বাবা-মা আছে, তারা যদি আপনার থেকে এই রোগ পায়, তাহলে তাদের
মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক - বিশেষ করে যদি তাদের হার্ট/ডায়াবেটিস থাকে!
১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৫৭
সোহানী বলেছেন: এতো কিছুর পরও কানাডা কোনভাবেই চেক দিতে পারছে না। তবে আশার কথা মৃতের সংখ্যা বাড়ছে না।
শোন. দেশে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা কিভাবে সম্ভব? আমি হাত ধুলাম কিন্তু আমার কাজের লোক, যে টাকায় হাত দিচ্ছি তা, যে কাপড় পড়ছি তা কি পরিস্কার??? খুব কঠিন..............
২৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে করোনার আক্রমণ যদি দীর্ঘায়িত হয় তবে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বেন 'নো ওয়ার্ক নো পে' ভিত্তিতে কাজ করা দিনমজুর মানুষেরা। তারা যত না করোনা রোগে, তারচেয়ে বেশি খাবার সংকটে মারা পড়বেন।
২০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৭
সোহানী বলেছেন: সত্য। ওদের আয়ের বা সঞ্চয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। ওরা কিভাবে বাচঁবে? সরকারতো ওদের জন্য কিছু করবে বলেতো মনে হয় না।
৩০| ২১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০০
অপু তানভীর বলেছেন: তথ্য মন্ত্রী কয়েছে যে তাদের সরকার পুরোপুরি করোনা নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়েছে।
এর বেশি কিছু রিএকশন দেওয়ার উপায় নাই । গুজব ছড়ানোর দায়ে জেলে যাইতে পারি !
২১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৭
সোহানী বলেছেন: হাঁ, বাজি ফুটানো পর্যন্ত নিয়ন্ত্রনে ছিল। বাজি ফুটানোর পর সব নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে .........
গুজবের জন্য জেল বরাদ্ধ করেছে নাকি!!!!!!!!!!!!!!! গুড গুড ... দেশ এগিয়ে চলছে..........
৩১| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি আপু। এই মুহূর্তে আপনার পোস্টটিতে একটি কমেন্ট করে মন্তব্য প্রকাশ করতে গিয়ে দেখলাম নেট নেই। অগত্যা আবার রি-স্টার্ট করে নেট আসতেই উপস্থিতির জানান দিয়ে গেলাম। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন আপু। আমাদের মতো দেশের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। বহু বহু এন আর আই বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দিয়েছেন। সরকার সনাক্ত করতে ব্যর্থ। এখন আজ জনতার কারফিউ চলছে রাত দশটা পর্যন্ত। আগামীকাল থেকে কলকাতার লকডাউন চলবে আগামী পাঁচ দিন। এখন এগুলি আমাদের বড় আশার সদ্য বিদেশ থেকে আগত দের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার। গা ঢাকা দেওয়ার তত্ত্বটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সমান দুশ্চিন্তার। আপাতত গৃহে অবস্থান করছি। কিন্তু এইভাবেই বা কতদিন?
২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৬
সোহানী বলেছেন: আমার কলিগ থেকে আপনাদের ওখানকার খোঁজ পাচ্ছি। তারপরও আপনারা কিছদিন আগ থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছেন যা আমরা করিনি। আর এ ভাইরাসে প্রতি সেকেন্ড কাউন্ট। তাই এর ফল ভোগ করছি আমরা এখন।
আসলে এর ভয়াবহতা অনেকে্ই বুঝতে পারিনি। সে কারনেই ইতালীও খুব পাত্তা দেয়নি যার ফল ভোগ করছে ওর মর্মে মর্মে। আর সেরকমভাবে সাধারন মানুষগুলোও এর গুড়ুত্ব বুঝতে পারেনি। তাই তারা সব ধরনের কোরাইন্টাইনকে একধরনের অপমান হিসেবে নিয়েছে।
আমরা ও বলতে গেলে গৃহবন্ধী। বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ তাই অনেকদিন পর একপ্রকার কঠিন গৃহিনী........হাহাহা। বিভিন্ন রান্না করি ইউটিউব দেখে, ঘর দোর পরিস্কার করি, বাচ্চাদের নিয়ে মুভি দেখি আর মেয়েকে বাংলা শেখানোর প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। অনেকদিন পর এতোটা সময় হাতে পাচ্ছি।
৩২| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: সোহানী,
কাল থেকে মনে হয় দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এক সপ্তাহের জন্য । এতে এই মুহূর্তে কতটুকু উপকার হবে সেটাই ভাবছি । সোশ্যাল ডিস্টেনসিংটা এখন খুব দরকারি । সেটার কোনো উন্নতিতো মনে হয় হচ্ছে না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, দোকান পাট,বাজার হাটতো মনে হয় এখনো চলছে কম বেশি আগের মতোই । তাছাড়া দেশে লক ডাউন করলে খাবার দাবার গরিব মানুষদের মধ্যে কেমন করে সাপ্লাই করা হবে সেটা নিয়েই কিছু শুনেছি বলে মনে হয় না। সেটা নিশ্চিত না করলে করণের উৎপাতের সাথে আরো একটা বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় যোগ হবে। আমাদের সাগর সৈকতগুলোওতো মনে হয় ভীষণ ব্যস্ত ! ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো ডাক্তার নার্সদের কোনো প্রটেকশন গিয়ার, মাস্ক কিছুই নেই।তারা অসুস্থ্য হলে চিকিৎসায় যে ভ্যাকুয়াম হবে সেটা কি ভাবে পূরণ হবে সেটা ভেবে মাথা নষ্ট । এর মধ্যেই আজকেই মনে হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, দেশে পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্টের এখনও তেমন প্রয়োজন নেই' ! আমি পুরোই পাজল্ড সব দেখে শুনে । দেশের মানুষের জন্য দোয়া দরূদ পড়ছি নিয়মিত। আর কি করার আছে বুঝতে পারছি না । আমাদের এখানে কাল রাত থেকে স্নো পড়ছে । স্নো মুড়ে সান্টা ক্লজের সাথে করোনা ভাইরাস ক্রিসমাসের আগেই আমাদের এখানে এসে সৈন্য সামন্ত নিয়ে আস্তানা গেড়ে বসে কি না ভাবছি। আপনারা আশাকরি ভালো আছেন । আপনাদের সাথে আমাদের নর্দার্ন বর্ডার ক্লোজড ।তাই সরেজমিনে কুশল জানতে যেতে পারছি না দেখে দুঃখিত । ভালো থাকুন ।সাবধানে থাকুন ।
৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৪১
সোহানী বলেছেন: প্রথমেই অনেক দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
দেশের কথা ভাবতে বসলে অস্থির লাগে। আমি হয়তো বলেছি আমার ভাই-বোন সব ডাক্তার। দেশে তাদের জন্য দুশ্চিন্তা করে দিন পার করছি। সাধারন মানুষকেতো মানুষ হিসেবে দেশে গণ্য করা হয় না। তাই আমি আপনি চিল্লাচিল্লি করে কোন লাভই নেই।
আমরা অনেক ভালো এখানে, আলগামদুলিল্লাহ। ট্রুডো সরকার ২৭৮ বিলিয়ন ডলারের করোনা ফান্ড ঘোষনা দিয়েছে। বিদ্যুৎ গ্যাস সহ প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমিয়েছে, বাড়ি ভাড়া মওকুফ করেছে, সুদের হার কমিয়েছে, চারমাসের জন্য ভাতা দিবে কম বেশী সবাইকে। এমন রাস্ট্রে বাস করছি বলে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আর ওদিকে ট্রাম্প পাগলতো আবার পাগলামী শুরু করেছে। প্রায় ৫ মিলিয়ন বেকার, চিকিৎসা সেবার তেমন কোন পরিকল্পনা নেই... তাই সব মিলিয়ে আম্রিকা একটু কঠিন সময়ের দিকেই যাচ্ছে বলেই মনে হয়।
যাহোক, যেখানেই থাকেন অনেক অনেক ভালো থাকেন ও সুস্থ্য থাকেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১১
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের প্রস্তুতি আছে মুখে মুখে।
বাস্তবে ফলাফল শূন্য।
মাইকে মন্ত্রী এমপিরা চিৎকার করে বলবে- আমরা এই করেছি, সেই করেছি।