নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা ও ডক্টর Li Wenliang - একজন সত্যিকারের হিরোর গল্প

২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৯



জানি না এখনকার পোলাপান দি এক্স ফাইল সিরিয়ালটার নাম শুনেছে কিনা। আমরা যখন ইউনিভার্সিটিকে পড়তাম তখন দি এক্স ফাইল সিরিয়ালটা বিটিভিতে চলতো। তখনতো আর শত শত চ্যানেল ছিল না তাই ওই এক বিটিভি ই ভরসা ছিল। আমরা হলে পাগলের মতো ওটা দেখতাম। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটায় মনে হয়ে দেখাতো। যা বলছিলাম, দি এক্স ফাইল সিরিয়াল হলো প্যারানরমাল জগত নিয়ে গল্প। সেরকম একটা সিরিজে একবার দেখেছিলাম একটা অদ্ভুত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে শহরে। এ রোগে আক্রান্ত হলে সে হিংস্র হয়ে যায় আর খুন করে আপনজনকে। কিন্তু কোন সিমটম থাকে না শরীরে কিংবা বাইরে থেকেও বোঝা যায় না যে সে আক্রান্ত। এভাবে পুরো শহর নিস্তব্ধ হয়ে যায়, আতংক ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। কেউই কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না, সবাই সবার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ায়। কেউই জানে না কে সে রোগের শিকার।

এখন ঠিক যেন সেই এক্স ফাইল এর স্যুটিং চলছে সারা পৃথিবীতে। কেউই কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না! কে তার শরীরে এ জীবাণু বহন করছে সে নিজেই জানে না যতক্ষন না কোন সিমটম দেখা দিচ্ছে। এবং সিমটম ছাড়া বা সম্পূর্ণ সুস্থ্য শরীরেও এ জীবাণু বহন করা সম্ভব। এবং সে সুস্থ্য ব্যাক্তিটি অনায়েসে অন্য রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে সহজেই করোনা ট্রান্সমিট করতে পারে। যা তার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে সহজেই। সমস্ত পৃথিবী থমকে গেছে। একবিংশ শতাব্দীতে এতো এতো বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে ও এরকম মহামারি আমাদের জীবনকে থমকে দিয়েছে।

গত ডিসেম্বরে Wuhan hospital এর ডক্টর Li Wenliang এর কাছে ৭ জন লোকাল সীফুড মার্কেটের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগী আসে। যাদের সবার একই সিমটম ছিল। তাদের সিমটম দেখে উনিই সম্ভাব্য আউটব্রেক হতে পারে বলে ধারনা করেন। এরপর তাঁর মেডিকেল স্কুল এ্যালাইমনি গ্রুপে Chinese messaging app WeChat এর মাধ্যমে সবাইকে জানান। এবং এটি ব্যাপক আকারে শেয়ার হবার পর চাইনীজ সরকার লী কে আটক করে এবং মিথ্যা খবর ছাপানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করে। তাঁকে মুচলেকা দিয়ে খবরটি উইড্রো করতে বলে ও ভবিষ্যতের জন্য হুশিয়ার করে। তখন কেউই জানতো না এটি কিভাবে ছড়ায় বা এর প্রতিষেধক কি? তারপরের ইতিহাস সবারই জানা কিন্তু বাচঁতে পারেননি ডক্টর Li Wenliang। ২১ জানুয়ারীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ই ফেব্রুয়ারীতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।............ স্যালুট তোমাকে!

সমাজতন্ত্র বা একনায়কতন্ত্র যাই বলা হোক চাইনীজ সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া এ খবর প্রথমেই বিশ্ববাসীকে জানতে দেয়নি। কিন্তু যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায় ও লোকজন মৃত্যুভয়ে পালাতে তখন থাকে চাইনীজ সরকার লকডাউন এর ঘোষনা দেয়। কিন্তু ততদিনে যা হবার তা হয়ে গেছে। যারা পালিয়ে Wuhan ছেড়েছে তারা রোগটি ছড়িয়ে দেয় সারা বিশ্বে। আজ যদি চাইনীজ সরকার প্রথমেই ডক্টর Li Wenliang এর কথা শুনে তাঁকে নিয়ন্ত্রন না করে রোগ নিয়ন্ত্রনে এগিয়ে আসতো তাহলে হয়তো পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।

ঠিক একইভাবে সে ভুল করে ইতালি। হয়তো চীন থেকে পালিয়ে আসা অনেক ইতালীয় চাইনীজরা সহজেই ছড়িয়ে দেয় পুরো ইতালীতে। যেহেতু চাইনীজ খবর খুব একটা বাইরে আসে না তাই ইতালি সম্পূর্নভাবে বিষয়টির গুড়ুত্ব উপলব্ধি করতে ব্যার্থ হয়। আর সে ভুলের মাশুল দিচ্ছে হাজার হাজার নাগরিক। এখন দেখতে পাই লাশ দাফনের গাড়ির মিছিল।

সেই একই ভুলও আমরা করেছি এবং করছি। কিন্তু কেন আমরা সে একই ভুল করেছি?? গত জানুয়ারীর আউটব্রেক আমরা মার্চে এসেও কেন গুড়ুত্ব দেইনি? হয়তো এর কারন হতে পারে ১৭ই মার্চে পূর্ব ঘোষিত মুজিব শত বার্ষিকী পালনে ঝামেলা হতে পারে এই ভেবে। কারন মুজিব শত বার্ষিকী পালনের মাধ্যমে নেতারা কে কত চামচামী করতে পারে তার প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত করতে চায়নি (মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে তাই মনে হচ্ছে)। আবার হতে পারে যাদের এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় তারা হয়তো জিপিএ ফাইভের ছাত্র-ছাত্রী (কারন তারা এর গুড়ুত্ব অনুধাবন করতেই ব্যার্থ হয়)। কিংবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই খারাপ নিউজটা দিয়ে কেউই নিজের মাথাটা গিলোটিনে আনতে চায়নি।

আমি আশ্চর্য্য হই এই ভেবে যে একটি দেশের ক্ষমতার চেয়ারে বসা একটি লোকও কি জানে না এ রোগের টেস্ট করার জন্য কিছু কিট লাগে, যারা সেবা দিবে তাদের নিজেদের প্রটেকশান লাগে, যেহেতু শ্বাসকষ্টজনিত রোগ তাই তারজন্য অক্সিজেন লাগে, সবার মাক্স লাগে, গ্লাভস্ লাগে...................। হায়রে দেশ!!!

এমন কি আমরা এতোটাই গরীব যে ২৫০০ টাকার ডাক্তার/নার্সদের জন্য বিশেষ পোষাক কেনার ও সামর্থ্য রাখি না। এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদেরকে নাকি নির্দেশ দেয়া হয়েছে নিজেদের ড্রেস কেনার জন্য। এখন একজন ডাক্তার/নার্স নিজকে বাচাঁনোর জন্য পিপিই কিনতে বাধ্য হচ্ছে। তারা সেবা ও করবে, নিজেদেরকে ঝুঁকিতেও ফেলবে আবার নিজের টাকায় পিপিই ও কিনবে............. হায় সেলুকাস কি বিচিত্র এ দেশ!

তবে যাই হোক, আমরা এখন বিপদ মাথায় নিয়ে আছি। এ বিপদ থেকে কিভাবে পরিত্রান পাবো তার পথ আমাদেরকে ভাবতে হবে। আমার আগের লিখায় কানাডার উদাহরন টেনে ছিলাম। আবারো বলি, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো শুধু একা নয় তার সাথে এগিয়ে এসেছে বিরোধী দল ও ব্যবসায়ীরা। মদ নয় তৈরী হচ্ছে হ্যান্ডস্যানিটাইজার, অন্য পণ্য নয় তৈরী হচ্ছে হ্যান্ডস গ্লাভস্ , পিপিই.................। এ পথ ধরে আমরা কি কিছু করতে পারি না!

- আমরা কি কাজে লাগাতে পারি না আমাদের গার্মেন্টস্ ফ্যাক্টরীগুলোকে বা অন্যান্য ফ্যাক্টরীগুলোকে? দ্রুত তৈরী করতে পারি দেশীয় উপায়ে পিপিই কিংবা গ্লাভস্ ?
- একটা ফান্ড কি তৈরী করতে পারি না গরীব অসহায় মানুষগুলোর জন্য যাদের কাজ নেইতো ঘরে খাবার নেই?
- রেশন বা এ ধরনের সাহায্য কি চালু করতে পারি না?
- সকল ব্যবসায়ী বা রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা কি কন্ট্রিবিউট করতে পারে না যাতে কোনরকমে খেয়ে বেচেঁ যায় ওই রিক্সাওয়ালা/ দিনমজুর?


সবার শেষ কথা যে যেভাবে পারেন সাবধান থাকেন।
-সেরকম কোন উপসর্গ দেখা দিলে প্লিজ নিজেকেই নিজে বন্দী করে ফেলুন। (কোয়ারাইন্টেন শব্দটা মানে আমাদের দেশের সব শ্রেণীর মানুষ না ও বুঝতে পারে)। আপনার একটু সাবধানতার জন্য হয়তো বাচঁতে সাহায্য করবে আপনার প্রাণপ্রিয় বাবা-মাকে, আপনার সন্তানকে।
-কিছুদিনের জন্য আড্ডা, দাওয়াত, মসজিদে নামাজ পড়া, ওয়াজ মাহফিলে যোগদান বন্ধ রাখি। (আখেরাতের কাজ কিছুদিন ঘরে করলে এমন কিছু কি ক্ষতি হবে?)

শেষ খবর হলো, ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত পরিচালক হার্ভে উইনেস্টাইন ও করোনায় আক্রান্ত। জেলে থেকেও রক্ষা হয়নি তার।

ভালো থাকুন সবাই আর, ড: এম এ আলী, আহমেদ জী এস, খায়রুল আহসান,শের শায়রী, সোনাবীজ অথবা ধুলোবালিছাই, চাঁদগাজি, নূর মোহাম্মদ নূরু ভাইরা যারা নিজেদেরকে সিনিয়র হিসেবে ভাবতে ভালোবাসে। আপনারা আরেকটু বেশী সাবধানে থাকবেন। নিজেকে বন্দী রাখুন আর নতুন নতুন লিখা লিখুন।

আমি সবসময়ই বিশ্বাস রাখি আর সব কিছুর মতো আমরা অবশ্যই এ ভাইরাসকে রুখে দিতে পারবো, শুধু সময়ের অপেক্ষা।


মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হে দুনিয়ার মালিক তুমি ক্ষমা করো। বাঁচতে দাও সবাইকে তোমার সুন্দর পৃথিবীতে।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:২৫

সোহানী বলেছেন: হে দুনিয়ার মালিক তুমি ক্ষমা করো। বাঁচতে দাও সবাইকে তোমার সুন্দর পৃথিবীতে।

আমিন

২| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কানাডা ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ রয়েছে | কানাডার রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ কতটুকু তার প্রমান হচ্ছে দলমত নির্বিশেষে সকল বিরোধী দলের নেতাদের ট্রুডোর পার্শ্বে এসে এসে দাঁড়ানো | গত নির্বাচনে ট্রুডোর দল পপুলার ভোটের ৩৩% (বিরোধী কনজেরভেটিভ ৩৪.৪%) পাওয়া এবং সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়া সত্বেও তার দেশ চালাতে মোটেও সমস্যা হচ্ছে না বিরোধী দলের দায়িত্বশীল আচরণের কারণে | ঠিক একইভাবে করোনা মোকাবেলায় ও তার তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না বিরোধী দল থেকে |

বাংলাদেশে বিরোধী কোনো বিরোধী দল কখনো এই ধরণের আচরণ করবে বলে কোনো বাংলাদেশী আশাও করে না | বিএনপি পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার সম্মুখীন হলেও বোধহয় আওয়ামী লীগের পাশে এসে দাঁড়াবে না | অন্যদিকে বাংলাদেশে কেউ যদি সামান্য হাঁচিও দেয় তাতেও বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র খুঁজে বেড়ায় (এর জন্য ক্ষমতাসীনরা হাসান মাহমুদ নামক এক ভাঁড়কে সার্বক্ষণিক মুখপাত্র হিসাবে নিয়োগ দিয়েও রেখেছে ) |

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:২৮

সোহানী বলেছেন: ভাইরে আমাদের শিরায় শিরায় সমস্যা। এর থেকে পরিত্রানের কোন উপায় নেই।

কানাডা ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বে নিয়ে তুলনা করার সাহস আমার নেই। কোথায় কি??? এরকম একজন ট্রুডো শত বছরে জন্ম নেয়।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের কর্তাব্যক্তিরা এফবি দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন ২৩ ডিগ্রীর উপরে 'করোনা' ভাইরাস কিছু করতে পারবেনা তাই এত গা ছাড়া ভাব ছিল...

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:২৯

সোহানী বলেছেন: এটা আপনি ঠিক বলেছেন, উনারা এফবি দেখেই মনে হয় এমন গা ছাড়া দিয়েছেন।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সরকার চাইলে শুরুতেই এসব সম্ভব ছিলো।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩০

সোহানী বলেছেন: তারপরও এখন যতটুকু ক্ষতি হয়েছে তাও মিনিমাইজ করা সম্ভব যদি ইচ্ছে পোষন করে।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক্স ফাইল না দেখলে তখন রাতে ঘুম হতো না।

করোনা ভাইরাস বেশী ছোয়াচে নাকি তেলবাজী এটাই বুঝতে পারছি না। মন্ত্রীরা তেল দিচ্ছে হাসিনাকে, হাসিনা তেল দিচ্ছে মোইদ্দাকে। নিজের দেশে ডাক্তারদের কাছে কোন প্রোটেক্টিভ গীয়ার নাই, আর মোদীর অনুরোধে সার্ক ফান্ডে দেড় মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বাংলাদেশ!! আমি আসলেই হতাশ!!! :(

এখন একটাই ভরসা আমাদের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। শুনলাম, হাসিনা থাকলে নাকি করোনা আমাদের কিছুই করতে পারবে না। আমি কার্টুনিস্ট না, নয়তো এই কথার উপর ভিত্তি করে একটা চমৎকার কার্টুনের থীম মাথায় এসেছিল।

@স্বামী বিশুদ্ধানন্দঃ বাংলাদেশে কোন বিরোধী দল আছে নাকি? ঝানতাম না তো!!! :P

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৫

সোহানী বলেছেন: এই তেলে ভাসতে ভাসতে তারা আমাদের ডুবিয়েছে। তারা কি ভেবেছে করোনা শুধু গরীবদের জন্য??

মোদীর অনুরোধে সার্ক ফান্ডে দেড় মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বাংলাদেশ!!............ বলেন কি তাহলেতো বিশাল ধনী আমরা। তাইলে পিপিই কেনার জন্য ফান্ড নিয়া এতো টানাহ্যাচরা কেন!!!

হাঁ, আমিও শুনলাম কিছু মন্ত্রীনামক কিছু প্রাণীর প্রলাপ!!!!!!!!!

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝদান দিন
হেফাজত করুন

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৬

সোহানী বলেছেন: আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন...........

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: আইচ্চা আপনারে নিয়া কি করি কন তো X(( আমি সিনিয়র! বয়স মাত্র ২৮ এর মাঝে আমাকে নিয়া সব সিনিয়রদের সাথে এক কাতারে যোগ দিয়ে দিলেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাইয়া রাখলাম। আমি মোডেই সিনিয়র না, ইয়াং গো কাতারে আমি পড়তে পারি, আরো ভালো হয় যদি সদ্য কৈশোর উত্তীর্ন যুবকদের কাতারে রাখেন, সেক্ষেত্রে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাইতাম, যদিও একটু শরম শরম লাগত :`>

কালকেও এক মন্ত্রী বলছে টেনশান না নিতে সব কিছু নিয়ন্ত্রনে। উনারা আমাদের নেতা যা বলবে তাই বিশ্বাস করুম, তাই আমিও টেনশান নিতাছি না। তয় আর্মি নামাইয়া দেবার পর কেমুন যেন ডর ডর লাগছে, সব কিছু আন্ডার কন্ট্রোল তয় আবার আর্মি ক্যা!

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৯

সোহানী বলেছেন: আহারে ভুল হইয়া গ্যাছে। আফনিইতো মিয়া কতায় কতায় নিজের বুইড়া হিসেবে ঘোষনা দিসেন ...........।

হাঁ, সব কিছু আন্ডার কন্ট্রোলে। তাইতো লোকজন পাগলের মতো বাড়ি ছুটছে বন্ধ পাইয়া। কই থাকবো ঘরে লক হইয়া, তা না কইরা উল্টো সারা দেশে এখন ছড়ায়ে দিতাসে.............

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: মহান আল্লাহ, সবাইকে সংযত ও সুস্থ থাকার তৌফিক দিন। আমীন।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪০

সোহানী বলেছেন: আমীন!

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০০

পদ্মপুকুর বলেছেন: সরকার আগে বোঝেনি ঠিকাছে, কিন্তু এখনওতো বুঝতে পারছে বলে মনে হচ্ছে না। প্রত্যেকদিন একেকটা এলাকায় স্প্রেড করছে, আর সে এলাকা কোয়ারেন্টাইন করছে। তাহলে বৃহৎভাবে লকডাউন করতে কি সমস্যা? আমাদের কিট নাই, পিপিই নাই, প্রতিষেধক তো আবিষ্কারই হয় নি (ব্লগার রেজা ঘটক অবশ্য বলেছেন যে আম্রিকা আগেই আবিষ্কার কইরা ফালাইছে), আজকে শুনলাম, আমাদের দেশের আইসিইউ ক্যাপাসিটিই নাকি ২ হাজারেরও কম!!! এই যখন অবস্থা, তখন লকডাউন ছাড়া কি পদ্ধতি আছে সরকারের কাছে।

আর আমাদের গার্মেন্ট মালিকরা শ্রেফ .....বাচ্চা। টাকা ছাড়া কিছুই বুঝে না।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৩

সোহানী বলেছেন: ভাইরে, উনারা কোয়ারেন্টাইন লকডাউন কি বুঝে কিনা তা আগে কন! যদি বুঝতো তাহলে বাজি ফুটানোর আগে চিন্তা করতো। আসলে এদের মস্তিস্ক তেল ছাড়া কিছুই বুঝে না। কারন তেলই পাওয়ার, তেলই টাকা...................

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

নতুন বলেছেন: এক্সফাইল আমার খুবই পছন্দের একটা সিরিজ। পরিক্ষার আগের রাতের পব`ও মিস করিনাই।

নায়িকার নাম ছিলো Dana Scully

আমার মেয়ের ডাক নাম রেখেছি ডানা :)

ব্লগের সকল মুরুব্বিদের আইসোলেসনে রাখা দরকার। :-B

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৩

সোহানী বলেছেন: হুম, ব্লগের সকল মুরুব্বিদের আইসোলেসনে রাখা দরকার।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

রাশিয়া বলেছেন: মানুষকে খাইয়ে দাইয়ে বাঁচিয়ে লাভটা কি? আপনার কি মনে হয়না এই বিশ্বের জনসংখ্যা ১০% কমে গেলে বেঁচে থাকা মানুষগুলো অনেক বেনিফিট পাবে?

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৫

সোহানী বলেছেন: হাঁ, এই সত্যটাই আমাদের অনেকেই বুঝেছে মনে হয়।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৬

সোহানী বলেছেন: হাঁ ঠিক!

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: শুধুমাত্র শুধুমাত্র শুধুমাত্র
শুরুতে এয়ারপোর্ট লকডাউন করলেই আজ এত কিছু লকডাউন করতে হতো না।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৭

সোহানী বলেছেন: ভাইরে সেটাতো ২ মাস আগের কথা। এখনকার কথা বলেন। যেটা গেছে ওইটা ভেবে লাভ কি!!!

১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমরা সবা্ই যেন বাঁচি
আমরা সবা্ই যেন ভালো থাকি ।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৭

সোহানী বলেছেন: আমরা সবা্ই যেন বাঁচি, আমরা সবা্ই যেন ভালো থাকি ।

১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

জুন বলেছেন: ১, সোহানী একটা সময় এক্স ফাইলস শুরু হলে চোখ দুটো টিভির পর্দায় আঠার মত লেগে যেতো। ফক্স মোল্ডার আর স্কালির দুর্দান্ত অভিনয় আর প্যারানরমাল বিষয় ভিত্তিক সিরিজ আরেকটা হয় নি।

২, দ্বিতীয় সেই চীনা ডাক্তার যে আগেই সাবধানবানী উচ্চারণ করে নির্যাতনের শিকার ঠিক যেন লবংগ দেশের অবস্থা।
৩, আমাদের মন্ত্রী বলেছেন এখনো সেই বিশেষ পোশাক পড়ার সময় হয় নাই, যখন সময় হবে তখন দিবে। তা সময় কখন হবে? সবাই মরে সাফ হওয়ার পর? নাকি আগে তারা পরিবার পরিজন জ্ঞ্যাতিগোষ্ঠী সহ সবাই ট্রায়াল দিয়ে দেখবেন তাদের দরকার কি না, একেক জনের আবার একাধিক দরকার হবে। আমার এক আত্নীয় ঢাকার করোনার জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসক। বেচারা শুধু নিজে থেকে জোগাড় করা একটি মাস্ক পড়ে দিনরাত অবিরাম ডিউটি দিচ্ছে। বিধবা মায়ের একমাত্র সন্তান সে প্রতিদিন মায়ের চোখের পানিতে ভেসে হসপিটালের দিকে রওনা দিচ্ছে।
পরিস্থিতি বড়ই ভয়ংকর তবে দুর্ভাগ্য আমাদের দেশের সন্তানদের।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৯

সোহানী বলেছেন: আপুরে, আমার পরিবারের বলতে গেলে সবাই এ পেশায়। ওদের জন্য টেনশানে আমি অস্থির। এটা পুরো দেশের চিত্র এখন।

দুর্ভাগ্য আমাদের দেশের সন্তানদের এমন একটি দেশে কিছু অপদার্থের হাতে পড়ে।

১৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: জুন বলেছেন: ১, সোহানী একটা সময় এক্স ফাইলস শুরু হলে চোখ দুটো টিভির পর্দায় আঠার মত লেগে যেতো। ফক্স মোল্ডার আর স্কালির দুর্দান্ত অভিনয় আর প্যারানরমাল বিষয় ভিত্তিক সিরিজ আরেকটা হয় নি।
সঠিক।
জুন বলেছেন: পরিস্থিতি বড়ই ভয়ংকর তবে দুর্ভাগ্য আমাদের দেশের সন্তানদের।
একমত।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫০

সোহানী বলেছেন: হায়রে দেশ, আর দেশের অভাগা ডাক্তাররা।

১৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: সোহানী ,
আমাদের স্টেটের গভর্নর আমাকেও (আপনার মতে) সিনিয়র হিসেবে ভাবছে বাধ্য করলো কাল রাত থেকে । এখানে ম্যান্ডেটরি হোম স্টে অর্ডার এনফোর্সড করা হয়েছে যে ষোলোটা স্টেটে তার একটার রেসিডেন্ট হয়ে আমিও হয়ে গেছি ১৫৪ মিলিয়নের মানুষের মতো একজন সিনিয়র । হোম স্টে-র সুযোগ নিয়ে আপনার লেখায় এই মন্তব্য । ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশন করোনা ম্যানেজমেন্টে অলমোস্ট ফেইল কিন্তু ফ্রনলাইনের এই হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা এখানেও ডক্টর Li Wenliang -এর মতো বীরশ্রেষ্টের সাহস নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে । ফোর্ড, জিএম, ক্রাইসলার গাড়ি বানানো বন্ধ করে জরুরি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট বানানোর কাজ শুরু করেছে । আজ সকালে টিভিতে ফোর্ডের সিইও --র এই ঘোষণাটি মনে হয় গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে আশাব্যাঞ্জক খবর । কয়েকটা বড় এপারেল কোম্পানি (হেন্স আছে এর মধ্যে )মাস্ক আর এপ্রোন বানাবার কাজ শুরু করেছে । কমিউনিটি বেসিসে যাদের সিউইং মেশিন আছে তাদের দিয়ে বাসায় মাস্ক বানাবার ইনিশিয়েটিভ নেওয়া হয়েছে । অনেক জায়গাতেই বারগুলো বন্ধ করে সেগুলোকে ইমার্জেন্সি সাপ্লাইয়ের শপে চেঞ্জ করে নিচ্ছেন স্মল বিজনেস ওনাররা নিজেরাই । সবাই একসাথে চেষ্টা করছে বাঁচবার। কেন যেন একটু ভরসা লাগছে এসব দেখে ।আমাদের দেশেও যদি এমন হতো তাহলে আমাদের জন্যও এই করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কাজটা সহজ হতো আর দেশের জন্যও সেটা ভালো হতো । সেটা হবে কি না আল্লাহ জানেন ।সোশ্যাল ডিস্টেনসিংটা এখন খুব জরুরি ।আমাদের মানুষরা যদি এটা বুঝতে পারে তাহলেই মঙ্গল ।নইলে এখনো কোনো ভ্যাকসিন নেই । কি ঝামেলা যে দেশে হতে পারে সেটা ভাবতেই ভয় খুব করছে । যাক আশাবাদী থাকি যে ঝামেলাগুলো দেশের মানুষ সামলে নিতে পারবে ।ভালো থাকুন ।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫৭

সোহানী বলেছেন: ট্রাম্প একটু দেরীতে হলেও কাজ শুরু করেছে। সে তুলনায় আমাদের ট্রুডো অনেক এগিয়ে। যাকে বলে সে কঠিনভাবে মাঠে নেমেছে। তার সাথে সাথে অঅমাদের প্রিমিয়ার ফোর্ড এখন এ্যাকশানে নেমেছে। আমরা লকডাউন হয়ে আছি বলতে গেলে। গ্রোসারী আর মেডিকেল ছাড়া সব বন্ধ। ফোর্ডের সিইও এর মতো আমাদের ও বড় বড় মাথারা এগিয়ে এসেছে। সমস্যা হলো আমাদেরতো ইন্ডাস্ট্রি কম, তাই সরকারী সাহায্যই বেশী ভরসা।

তবে যেভাবেই হোক, আমরা ভালো আছি অনেকের তুলনায়। কিন্তু দেশের চিন্তা করে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

১৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,





চমৎকার সুপারিশ সহ মানবিক আবেদন।

কিন্তু যে দেশের মন্ত্রী ও নেতাদের সম্পর্কে যা বলেছেন ৬ নম্বর প্যারায় ( হায়রে! চিপায় থেকে পোস্ট থেকে কিছু কপি করা যায়না বলে এরকম লিখতে হলো! ব্লগ কর্তৃপক্ষ কি এ যাতনা বুঝবে কখনও ? ) তেমন লোকজন কি এগুলো থেকে পাওয়া ডিজাষ্টার ম্যানেজমেন্টে সুদূরপ্রসারী যে সুফল আসবে তা বোঝার মতো ঘিলু মাথায় রাখেন ?

আর পরিশেষে যাদের জন্যে আপনার সংবেদনশীল মনন থেকে সাবধানে থাকার কথাটি উৎসারিত হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে আপনার সেই মনটা চিরকাল এমনই থাকুক, সেই প্রার্থনা রইলো।

ব্লগের সবাই সুস্থ্য থাকুন , নিরাপদে থাকুন- নিজেকে সেল্ফ আইসোলেশানে রাখুন ।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:০৩

সোহানী বলেছেন: নীচে সোনাবীজ ভাই ই যা বলার বলে দিয়েছে আমার আপনার না বলা কথাগুলো। কিন্তু, তারপর??? কি হবে? মৃত্যুর মিছিল কি শুরু হয়েছে? আজ ও কাল নিয়ে আমার তিনজন বয়স্ক আত্মীয় চলে গেলেন। যদিও উনার অনেকদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। তারপরও কি বলতে পারবো উনাদের যাওয়ার পিছনে অন্য কোন সত্য আছে কিনা??

সবাই ভালো থাকুক, নিরাপদে থাকুক।

১৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু,
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
সবাই সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন। সরকার লকডাউন ঘোষণা করুক বা নাই করুক যতটা সম্ভব হোমস্টে থাকাই নিরাপদ।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:০৪

সোহানী বলেছেন: তাইতো আছিরে ভাই। আমরাতো ভালো, আপনারা?

২০| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এক্স-ফাইল আমি কখনো মনোযোগ দিয়ে দেখি নি (এবং ওটা আমার ফেভারিটও ছিল না), তবে, কোনো একটা রোগের সাথে করোনার তুলনা করাটা খুব অ্যাপ্রোপ্রিয়েট মনে হয়েছে। গোয়েন্দাদের মতো আমাকে এখন সবাইকেই সন্দেহজনক মনে হয়।

পৃথিবীর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি। এর পেছনে যে কারণগুলো বলেছেন, কারণ মোটামুটিভাবে এগুলোই। আমার কাছে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ কখনো মনে করেনি যে বাঙালরাও করোনায় আক্রান্ত হবে। অনেকের অনেক পোস্ট, স্টেটাস সাধারণ মানুষকে আরো বিভ্রান্ত বা ক্যাজুয়াল বা এ ব্যাপারে উদাসীন/কেয়ারলেস থাকতে উৎসাহিত করেছে। যেমন, কেউ কেউ খুব জোর দিয়ে বলতেন, একটা নির্দিষ্ট (বোধহয় ২৩ ডিগ্রি) তাপমাত্রার নীচে করোনা হয় না। বাংলাদেশে শীত শেষ, গরমকালে ২৬/২৭-এর উপরে থাকবে তাপমাত্রা, অতএব আমরা করোনায় আক্রান্ত হবো না। অনেক ইসলামজীবী বাঙাল তো মনে করে বাঙালরা মুসলমান, তাদের করোনা হবে না। আর তারা একেবারে ড্যামকেয়ার ভাবে ঘুরে বেড়িয়েছে/বেড়াচ্ছে।

ইদের ছুটিতে বাড়িমুখি মানুষের ঢল নেমেছে। এটা একটা আশার কথা। মানুষের সাথে মানুষের বেশি ঘেষাঘেষিতে গণহারে করোনা ধ্বংস হতে থাকবে। ৪ এপ্রিলে সবাই গ্রামের ফ্রেশ এয়ার খেতে খেতে সম্পূর্ণ সুস্থ ও করোনামুক্ত শরীরে ঢাকার শহরে ফিরে আসবে। করোনা চ্যাপ্টার শ্যাষষষ- কুল্লু খালাস।

চাটুকারিতা আর দলান্ধতা যেখানে সকল সাফল্যের চাবিকাঠি, সেখানে জনগণের জন্য কী করা হলো বা না হলো, তা কখনো গোনার মধ্যে ধরতে হয় না। আমরা ব্যক্তি বন্দনায় বড়ো পদ লাভ করি। বড়ো পদ লাভের পর ব্যক্তিবন্দনাকে ইবাদতে পরিণত করি। এর মধ্য থেকেই যা পাচ্ছি, তা শুকর আলহামদুলিল্লাহ বলে গ্রহণ করতে হবে।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:১০

সোহানী বলেছেন: ঠিক বলেছেন, গরমে করোনা হয় না এই ধরনের আজগুবি তথ্যে পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে উনারা নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমিয়েছেন। তারপর থুম ভেঙ্গে দেখেন দুনিয়ায় তোলপার চলছে।

ইদের ছুটিতে বাড়িমুখি মানুষের ঢল নেমেছে। এটা একটা আশার কথা। মানুষের সাথে মানুষের বেশি ঘেষাঘেষিতে গণহারে করোনা ধ্বংস হতে থাকবে।.............. হায়রে বেকুবের দল তাদেরকে কি ঈদপালন করতে ছুটি দিয়েছে???? এইটা কি সরকার বলে নাই???? এখন ঢাকা থেকে যতটুকু বাকি ছিল সারা শহরে ছড়াবে।

চাটুকারিতা আর দলান্ধতা যেখানে সকল সাফল্যের চাবিকাঠি, সেখানে জনগণের জন্য কী করা হলো বা না হলো, তা কখনো গোনার মধ্যে ধরতে হয় না।......... তাহলে বলেন, নগদে লাভ। কেন দিবে না তেল!!!! আমি আপনি কি উনাদেরকে গদি দিতে পারবো???????

বলেন কি এক্স ফাইলের মতো এতো চমৎকার সিরিজ আর পাইনি ..................

২১| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০৮

কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের মোল্লারা মসজিদ ছাড়তে চাচ্ছেনা।
নামাজ শেষে তারা নাকের আঠা চোখের
পানি মসজিদে ফেলে একাকার করছে। মক্কার
কাবা ঘরে কেন তাওয়াফ বন্ধ করা হোল।
হায়রে বোকার দল, আল্লাহ্ কি বলেছেন
বিপদে তোমরা সাবধান হইও না।
অথচ মহানবী সাঃ আঃ সত্রুর কবল থেকে
মুক্তি পেতে পাহাড়ের গুহায় লুকাতেন।

আমাদের সরকারের ধারনা ছিল বাংলাদেশে
তাপমাত্রা বেড়েছে করোনার জীবানু ২৬/২৭
ডিগ্রি তাপমাত্রায় কেউ আক্রান্ত হবেনা।
তাই নাকে তেল দিয়ে সরকার ঘুমিয়ে ছিল।
চিন্তা করেছ হাসপাতালে পিপিই গ্লাভ্স নাই?
নার্স চিকিৎসক নাকি নিজেরাই কিনে নিবে।
হায়রে গহভাগ্য দেশের মানুষ।

দুঃখের ভিতর একটি হাসির কথা তোমাকে
বলি,আমার বড় আপার বাসায় একবার
বেড়াতে গিয়ে আপাকে জিজ্ঞেস করলাম
কেমন আছো বড় আপু বলল শরীর বেশী
ভালনা আমার এক্স পাইল্স হয়েছে। তখন
টিভিতে এক্সফাইল সিরিয়াল চলছিল ছেলে
মেয়ে সিরিয়াটা দেখছিল। তখন থেকেই বলতাম
এক্সপাইল্স হচ্ছে টিভি ছেড়ে দে ছেলে মেয়ে
ছোট ছিল ওদের সাথে বসে দেখতাম।

কি হবেরে সোহানী দেশের মানুষ কেমন করে
বাঁচবে,আতঙ্ক আর কতদিনে কাটবে কিছুই
বুঝতে পারছি না। সারা পৃথবী প্রকম্পিত
মহামারীর কবলে। সময় উপযুক্ত সচেতন
লেখা অনেক ভাল লাগল। ভাল থাকো
শুভ কামনা।


২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:১৭

সোহানী বলেছেন: ভালো বলেছেন, নামাজ শেষে চোখের পানিতে নাকের পানিতে মসজিদের মেঝ সয়লাব হবে!!!

ওই এক ভুল ধারনাতেইতো সবাই আনন্দে ছিল। গরমে করোনা হয় না...............। আজ সবাই দিশেহারা।

হাহাহাহা আপু, এক্সপাইল্স!!! আহ্, তখন বয়স কম ছিলতো তাই অন্য এক ধরনের ভালোলাগা ছিল।

আমিও খুব টেনশানে আছি। গত দু'দিনে আমার তিনজন দূরের বয়স্ক আত্মীয় চলে গেলেন। জানি না কেন এমন হচ্ছে...।

ভালো থাকুন আর সাবধানে থাকুন।

২২| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বাংলাদেশে প্রথম ৭ই মার্চ এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ।
...........................................................................................
গ্যালারীতে বসে চীনের উহান শহরের খেলা না দেখে তখন
বাস্তব ব্যবস্হা নিলে এবং বিমান বন্দর কঠিন ভাবে নিয়ন্ত্রন করে
সকল প্রবাসীকে বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে রাখলে আজ এত
বিপদের ঘন্টা শুনতে হতো না ।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:১৯

সোহানী বলেছেন: ৭ই মার্চ থেকে আমরা সত্যিই গ্যালারিতে বসে ধারনকৃত খেলা দেখেছি, লাইভ নয়। লাইভ দেখলে সাবধান হতো সবাই।

কিউটি লিটল পাপ্পি.....। আমার মেয়ের খুব পছন্দ।

২৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একটি শতবার্ষিকী করতে যেখানে কয়েকশত কোটি টাকা লাগে, সেখানে এই টাকায় কত কিট, মাস্ক,গ্লোভস্ কেনা যেত

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:২০

সোহানী বলেছেন: ভাইরে, অতো যদি উনারা বুঝতেন তাহলেতো এতো কষ্ট ব্লগ লিখতে হতো না। উনারা উনাদের বিবেচনাবোধটা আপতত ফ্রিজে রেখেছেন।

২৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





দ্যা এক্স ফাইলস সিরিজটি আমারো প্রিয় ছিলো। যদিও আমি হাওয়াই ফাইভ ও - যুগের মানুষ। হাউ দ্যা ওয়েষ্ট ওয়াজ অন, ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েষ্ট সহ দ্যা সেইন্ট, সিক্স মিলিয়ন ডলারম্যান, বায়োনিক ওম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান, নাইট রাইডার, ফল গাই। বাই দ্যা ওয়ে এতো সব সিরিজের নাম বলার কারণ: আমি পুরাতন মানুষ অথচ আমার নামটি বাদ পরে গেলো - নামে কি আসে যায়, যদি কাজেই হয় পরিচয়।

ভালো লাগছে, যাদের নাম পোষ্টে দিয়েছেন তাদের নাম সম্ভবত রাম নাম সত্য লিষ্টে চলে এসেছে। আজরাইল মামার সাথে কি আপনার সরাসরি যোগাযোগ আছে? এই হিট লিষ্ট কিভাবে হাতে পেলেন?

আমি ও আমার দলবল নিরাপদে আছি ইনশাল্লাহ বাদবাকী আল্লাহ ভরসা। আপনিও নিরাপদ থাকুন।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৬

সোহানী বলেছেন: ভাইজান, আমার লিখায় কোথাও আজরাইলের সাথে বন্দোবস্তের কথা বলা হয়নি। যাহোক, সিক্স মিলিয়ন ডলারম্যান, বায়োনিক ওম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান, নাইট রাইডার, ফল গাই, রেবন যা বলেছেন আমার জীবদ্দোশায় স্বাদ পেয়েছি। কিন্তু আপনি ব্লগে সিনিয়র হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করেননি তাই অদ্যোবদি আপনি যুবকের কাতারেই আছেন।

ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন এ প্রত্যাশায়।

২৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার পোস্টে আমার নাম নেই কেন? নাকি আমাকে যুবকদের লিস্টে রেখে দিয়েছেন? হাঃ হাঃ হাঃ।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৮

সোহানী বলেছেন: আরে আপনিতো চির যুবা, আপনাকে কোন সাহসে লিস্টে রাখি B:-/

২৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আমার বাসার আনাচে কানাচে ব্লিচং পাউডার মিশ্রিত পানি স্প্রে করেছি , আপনারাও করুন জীবানু মুক্ত থাকুন ।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৯

সোহানী বলেছেন: জ্বী ভাই, বাসা থেকে বের হওয়াই বন্ধ করে দিয়েছি।............

২৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৯

শায়মা বলেছেন: ইতালীর মানুষগুলি এসেই শুরু করেছে করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে। বিদেশ থেকে মানুষ কিছুদিন আসা বন্ধ রাখলেই এই ভাইরাস আমাদের দেশে ঢুকতেই পারতো না! :(

২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩১

সোহানী বলেছেন: হয়তো কিংবা হয়তো না, সেটা বলা যায় না। কিন্তু এখনো আমাদের কোন টনক নড়েনি দেখে বিস্বিত হচ্ছি।

২৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪১

শায়মা বলেছেন: এখন আবার ঢাকা থেকে করোনা নিয়ে মানুষ গ্রামেও ছড়াতে যাচ্ছে ..... :(

২৫ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

সোহানী বলেছেন: হাঁ, সত্য শায়মা। এ কারনেইতো এতো ভয়। সারা দেশে এখন ছড়িয়ে পড়বে। যেখানে মানুষ লক ডাউন মানে জানে না তাদেরকে কি বলার আছে। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা সরকারকে আরো দায়িত্বশীল হবার দরকার ছিল। এর গুড়ুত্ব বোঝানোর জন্য।

২৯| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

করুণাধারা বলেছেন: ২৫০০ টাকা খরচ করে ডাক্তার নার্সদের জন্য পোশাক কেনা যায়না, অথচ আমলারা পিপিই পরে দলবেঁধে সেলফি তোলেন!!! আপনি যে প্রস্তাবগুলো রেখেছেন খুব ভালো, গার্মেন্টসের মালিক আর বড়লোকদের একটা সুযোগ এসেছে মানুষের জন্য কিছু করার, অথচ কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে না। তাই বলে আমরা মোটেও কিপটে না, এইতো মোদীর আহ্বানে সার্ক ফান্ডে দেড় মিলিয়ন ডলার দিয়ে দিলাম।

পোস্টে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তাদের সাথে আমার নামও দেয়া দরকার ছিল, তার উপর আমি এজমা রোগী। :( জানি না কখন বাঁধ ভাঙা বন্যার মত অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে করোনা পরিস্থিতি, তখন কী দাঁড়াবে!! দিনরাতের বেশিরভাগ সময় এখন কাটে আমেরিকায় গৃহবন্দী ছেলেমেয়েদের সাথে কথা বলে।

সকলের জন্য শুভকামনা।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: আপু, আপনি এজমা আক্রান্ত শুনে মন খারাপ হলো। খুব সাবধানে থাকবেন, বাইরে কিছুতেই বের হবেন না বা বাইরে থেকে আসা কারো সাথে দেখা করবেন না। আমরা এখানে বন্দী বলতে গেলে। সবাই বলতে গেলে হোম অফিস করছি। কাল বের হয়েছিলাম কিছু গ্রোসারী দরকার ছিল। বলতে গেলে রাস্তা ফাঁকা। কানাডায় কেউই তেমন প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না। আমেরিকায় ও একই অবস্থা।

সেটোইতো দু:খ আপু, ভাই বোনরা সবাই ডাক্তার। তাদের জন্য টেনশান হচ্ছে। যতই বলি, একজন মূমুর্ষ রোগী আসলে ওরা সব ফেলে দৈাড়ে যায় তখন এতো কিছু মনে থাকে না।

এই আহবানের দরকার ছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে যাতে সবাই এগিয়ে আসতে পারে। দেশে বোটিপতির অভাবতো বলতে গেলে নেই.........

সামান্য ২৫০০ টাকা পিপিই কেনার সামর্থ্য নেই অথচ ফান্ডে মিলিয়ন ডলার দিয়ে বেড়াই। এর মানে কি আমি বুঝতে চেষ্টা করছি।

৩০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই একটি প্যাশোনেট এন্ড কম্প্যাশোনেট কল, বলা যায় কল অভ দ্যা আওয়ার!
বিদেশে থেকেও আপনি আপনার লেখার মাধ্যমে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ কী চলেছেন, স্বয়ং দেশবাসীরও সে ব্যাপারে কোন উদ্বেগ উৎকন্ঠা তখনো পর্যন্ত ছিল না, যখন আপনি এ পোস্টটা লিখেছিলেন। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চরমভাবে ক্লুলেস মনে হয়েছে।
এরকম একজন ট্রুডো শত বছরে জন্ম নেয় (২ নং প্রতিমন্তব্য) - কথাটা ঠিক। তার সাথে আমি আরেকটি নাম যোগ করতে চাই, নিউজীল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন (Jacinda Kate Laurell Ardern) এর নাম।
আমরা ব্যক্তি বন্দনায় বড়ো পদ লাভ করি। বড়ো পদ লাভের পর ব্যক্তিবন্দনাকে ইবাদতে পরিণত করি - আমাদের চরিত্র নিয়ে কি চমৎকারই না একটা আত্ম-বিশ্লেষণ এখানে রেখে গেলেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২০ নং মন্তব্যে!
অন্যান্য আরো অনেকের মন্তব্যের মত স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ও জুন এর মন্তব্য ভাল লেগেছে।
@করুণাধারা, আপনি অনেকদিন ধরে ব্লগে আসছেন না, আপনি ভাল আছেন তো? তার উপর আমি এজমা রোগী - ২৯ নং মন্তব্যে দেয়া আপনার এ কথাটা পড়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারছি না!

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪৯

সোহানী বলেছেন: আমি জানুয়ারীর শেষে দেশে যেয়ে প্রায় দশদিন থেকে ফিরে আসি ফেব্রুয়ারীর প্রথম উইকে। তখনো করোনা বলতে বোঝাতো চীন থেকে কেউ এলে সাবধানতা। কিন্তু সেটা যে এতো দ্রুত ভয়ংকর হয়ে উঠবে তখনো কেউই বুঝতে পারেনি। কারন চীন তাদের এ সংক্রান্ত খবর খুব বেশী বর্হিবিশ্বে আসতে দেয়নি। কাজেই আমরাও বুঝতে পারিনি এ ভয়াবহতা। যখন বুঝতে পেরেছি ততক্ষনে অনেক দেরী হয়ে গেছে।

কানাডার মতো দেশে থাকার কারনে তার উপর ট্রডোর মতো প্রধানমন্ত্রী থাকার কারনে বিষয়টি সবাই এখানে অনেক সিরিয়াসলি নেয়। কিন্তু পাশাপাশি আমেরিকা সব জেনে শুনেও তাদের অহংবোধ তাদেরকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। আমার শশুড় বাড়ির সবাই নিউইয়র্ক বাসী। আমরা যখন চাল ডাল কিনে লকডাউনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন উনাদেরকে বলাতে উনার হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিল। আর তার ফল এখন দেখতেই পাচ্ছেন। তেমনি ফল আমরা এখন দেখছি দেশে। ইতালী থেকে যখন প্রবাসীরা দল বেধেঁ আসা শুরু করেছিল তখনই কি আমাদের নজর দেয়া উচিত ছিল না!!! তা না করে আমরা আনন্দ ফুর্তি করতেই ব্যাস্ত ছিলাম।

নিউজীল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেন কিংবা ট্রুডো বলেন একজন মানবিক নেতা মানেই দেশের মানুষের মঙ্গল। আজকে যেমন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে ট্রুডোর কথা সবাই এক বাক্যে বলে, যোগ্য বাবার যোগ্য পুত্র। এখানে ব্যাক্তি বন্দনার বাইরে উনারা আছেন বলেই আমাদেরকে জোর করে তাদেরকে স্মরণ করতে হয় না, আমরা এমনিতেই স্মরণ করি। আর পাশে ট্রাম্পকে দেখেন কি অবস্থা... বাকিদের কথা নাই বল্লাম!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.