নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
করোনাতে সবাই গৃহবন্দী। তাই একটু ভিন্ন লিখা নিয়ে আসলাম সবার জন্য!!
আমার বোনের ৮/৯ বছরের ছেলে ছিল মহা বিজ্ঞানী। ওর এক একটা এক্সপেরিমেন্ট এর কাহিনীর মানে হলো নিজেরটা সহ সবার জীবনটা মোটামুটি অল্পের জন্য বেচেঁ যাওয়। ক্লাস ফোরএ পড়ে সে। ক্লাসে সবে মাত্র বিদ্যুৎ নিয়ে শেখাচ্ছে। পজিটিভ নেগেটিভ বিদ্যুৎ। যাহোক তার মাথায় কি খেলা করেছিল কে জানে, কিভাবে যেন দুটি তার জোগাড় করলো তারপর তা প্লাগ পয়েন্টে ঢুকিয়ে দিল সে। মূহর্তেই সে ছিটকে পড়ে বাসার ফিউজ কেটে গেল। সে কিভাবে বেচেঁ গেল সেটা একটা রহস্য।
তার দাদী একবার তার বাসায় এলো শীতের দিনে। এতো দুস্টুমি করে বলে তার দাদী মাঝে মাঝে একটু আকটু ধমক দিয়ে শাসনের চেস্টা করতো। আর সে ও চেস্টা করতো কিভাবে দাদীকে নাকানী চুবানী খাওয়াবে। প্রায় দাদী যখন নামাজে দাড়াঁতো তখন সে একগাদা বরফ এনে দাদীর মোটা সোয়েটারের মধ্যে ঢেলে দিতো কিংবা দাদীর সুপারীর সাথে পাথর মিশিয়ে দিতো। এরকম বহু যন্ত্রনায় অতীষ্ঠ হয়ে অবশেষে উনি পালাতেন।
আমার মায়ের বাসায় এলে তাকে মোটামুটি একজন এ্যাসিসটেন্টকে সার্বক্ষনিক পাহাড়ায় রাখা হতো। একবার কি হলো দুপুরে সে শুয়ে আছে দেখে সব এ্যাসিসটেন্টরা সবাই মিলে বাংলা ছবি দেখতে বসলো। হঠাৎ মা ঘুম থেকে উঠে কোথাও বর্ণ কে না দেখে খুঁজতে শুরু করলো। তখনই সবার টনক নড়লো ও বিছানায় নেই। সবার ছোটাছুটি শুরু হলো ও কোথায় কোথায়??? তারপর আবিষ্কৃত হলো সে ছাদের এক কোনায় আম্মুর ব্লেন্ডার, টোস্টার, জুসার নিয়ে ছাদে কোনায় পড়ে থাকা কাঠের যাবতীয় টুকরো ব্লেন্ডার/জুস/টোস্টারে ঢুকিয়ে কিছু একটা বানানোর চেস্টা করছে। এবং প্রথম দিকে সফল হলেও পরের দিকে সবগুলোর ব্লেড বাকাঁ হয়ে যাওয়াতে কাঠের জুস/টোস্ট তৈরী হচ্ছিল না। সে কারনে সে সেগুলো খুলে তা মেরামতের চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ।
কক্সবাজারে যখন আমরা ছিলাম তখন আমার ভাইয়ের বয়স ছিল প্রায় তিন/চার বছর। দোতালা বিল্ডিং এর উপরে ছিল আমাদের বাসা আর নীচে ছিল বাবার অফিস। আমরা বোনরা সবাই স্কুলে চলে গেলে মা ও বাসার কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়তো। তাই ছোট ভাই সকালের নাস্তা খেয়েই চলে যেতো বাবার অফিসে। ওখানেই সারাদিন কাটাতো অফিসের লোকজনের সাথে। আমার ভাইটি ছিল সাক্ষাৎ গণেশ ঠাকুর, সেরকম নাদুস নুদুস ও খুব সুন্দর, দেখলেই গাল টিপে আদর করতে ইচ্ছে করতো যে কারো। আর সবার সাথে খুব সহজেই মিশে যেতো। তাই সবাই খুব আদর করতো ওকে। আর বাবার রুমের আশে পাশেই ঘুরে বেড়াতো। তাই যখনই বাবা বেল টিপে পিওনকে ডাকতো সেই সবার আগে দৈাড়ে যেতো। বাবা তাকে হয়তো বলতো যাও অমুক আংকেলকে ডেকে দাও, কিংবা কবির (পিওন) আংকেলকে বলো চা দিতে, বা এ্যাকাইনটেন্ট আংকেলকে বলো ওই ফাইলটা নিয়ে আসতে। এ ধরনের অফিসিয়াল ডিউটি সে কম বেশী পালন করতো। আর সবাই তাকে খুব উৎসাহ দিতো।
তো এভাবে কিছুদিন পর একদিন সবাই তাকে নিয়ে বসলো, বললো, অপু, এই যে তুমি অফিসে কাজ করো তুমি কি কোন বেতন পাও? আমরাতো সবাই বেতন পাই মাস শেষে। তুমি এক কাজ করো, বেতন চেয়ে একটা এ্যাপ্লিকেশান লিখো তোমার বাবার কাছে।
যাইহোক, সবার সাহায্যে সে তার ভাঙ্গা ভাঙ্গা হাতের লিখা দিয়ে একটা এ্যাপ্লিকেশান লিখলো বাবার কাছে। এ্যাপ্লিকেশান এরকম,
মাননীয় মহোদয়, পর সমাচার এই যে যে আমি দীর্ঘদিন যাবত অফিসের যাবতীয় কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পাদন করিবার পরও অদ্যাবদি কোন বেতন পাইনি। বিষয়টির আশু সমাধনে নিমিত্তে মহোদয়ের কাছে আবেদন পেশ করিলাম। ইতি..... (এইরকম টাইপের ভাষা ছিল)
এরপর তা অফিসিয়াল ডাকের মাধ্যমে বাবার কাছে পাঠালো। বাবা তা পড়ে হাসতে হাসতে ছিঁড়ে ফেলে দিলো। আর তা দেখে তার সে কি কান্না। বাবা অবস্থা বেগতিক দেখে তাড়াতাড়ি তাকে একটা নোট হাতে ধরিয়ে বললো, এই যে তোমার বেতন।
সে নোট পেয়ে দৈাড়ে সবাইকে দেখাতে লাগলো। তারপর একজন একটা ছোট ব্যাগ দিয়ে বললো টাকাটা ব্যাগে রেখে দাও দেখবা সেটা ক'দিন পরে ডিম পাড়বে।
এরপর যায় কোথায়, সারাদিন একটু পর পর পার্স খুলে আর উকিঁ দেয় সেটা ডিম পেড়েছে কিনা। ঘুমুতে গেলে মাথার নীচে, বাথরুমে গেলে সাথে কমোডের পাশে। কিন্তু কিছুতেই ডিম পাড়ে না দেখ সে চিন্তিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থা দেখে মা কি করলো চুপি চুপি কয়েকটা কয়েন ঢুকিয়ে দিল পার্সে। তারপর যখন সে দেখলো সেতো খুশিতে পুরো অফিসে দৈাড়ে বেড়াতে লাগলো তার টাকার ডিম দেখানোর জন্য।
আমার বাসায় সবসময়ই ছিল দুই গ্রুপ। এক গ্রুপে আমার ছেলে একা আর বাকি গ্রুপে আমার তিন এ্যাসিসটেন্ট আর তাদের লিডার আমার তিন বছরের মেয়ে। এ দলাদলির কারন আর কিছুই না টিভির রিমোটের দখল!!! আমার ছেলে দেখে এ্যাকশান হিরো কার্টুন আর মেয়েদের গ্রুপ দেখে স্টার জলসার দেব এর নাচ , সে বয়সে আমার মেয়ে দেব/কোয়েলের সব নাচ গান মুখস্থ ছিল। যেভাবে কোমড় দুলিয়ে ১০০% লাভ লাভ বলে নাচ দিতো সেটা মনে হয় কোয়েল মল্লিক ও ফেইল !!
কঠিন গ্রুপ ফাইটিং চলতো দিনের পর দিন তাদের মধ্যে, একা আমার ছেলে বিপরিতে তিন এ্যাসিসটেন্ট সহ আমার মেয়ে। তাই অবস্থা যখন নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতো তখন আমার ছেলে সে তার রুমের দরজা বন্ধ করে দিত কারন টিভিটা তার রুমে ছিল। তখন আমার মেয়ের গ্রুপের শেষ অস্র হলো আমার কাছে বিচার দেয়া ভাইয়ের নামে কারন তখন আমি আমার ল্যাপটপটা ছেলেকে ছেড়ে দিতাম আর মেয়ে গ্রুপ রিমোটের দখল ফিরে পেত। এবং সে বিচার পর্বের প্রস্তুতিটা কিন্তু অসাধারন ছিল। আমার এ্যাসিসটেন্টরা আমার মেয়েকে পাকাঁ অভিনেত্রী বানিয়ে ছেড়েছিল। সে মোটামুটি কাঁদো কাঁদো স্বরে বিচার দিতে আসতো। যাহোক এভাবে একবার কাঁদো কাঁদো স্বরে আমার কাছে এসে বল্লো,
মাম্মি, ভাইয়া আমাকে অনেক মেয়েছে(মেরেছে), এই দেখো (পেটের জামা উচিঁয়ে) খাঁমচির দাগ! ( এ্যাসিসটেন্টরা যা শিখিয়ে দিয়েছে আর কি)
খুব আগ্রহ নিয়ে বল্লাম, কই, কিছুইতো দেখছি না।
তোমার নুমে (রুমে) নাইট (লাইট) কমতো, তাই দেখছো না।
(হাসি গোপন করে) গম্ভীর হয়ে বল্লাম, ওকে, ওর হাত দুটো কেটে দিবো।
ঘর থেকে ঘুরে বের হতেই আবার খুব চিন্তিত হয়ে ঘরে ঢুকলো সে, বললো (কারন এখনো রিমোটের দখল পায়নি),
মাম্মি, ভাইয়ার পা দু'টোও খুব দুট্টো (দুষ্ট) ওটাও কেটে দিয়ো কেমন!!!!
ভাইয়ের ছোটবেলার ছবি আবারো শেয়ার করলাম।
আমার আগের পার্ট ওয়ান যদি পড়তে চান:
বাচ্চা ভয়ংকর কাচ্চা ভয়ংকর...... পার্ট-১
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সোহানী বলেছেন: জাফর স্যারের বই সব কেনা আছে ও সবাই মোটামুটি পড়েছে।
বাবা তো বাবাই, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার কখনই শেষ হবে না।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দারুন স্মৃতি কথা ত(বে আপনার না)
পড়ে মুগ্ধ হলাম আপু। আহা ! সেই
দিনে যদি আবার ফিরে যেতে পারতাম।
ভাল্লাগেনা আর এই জীবন! কিন্তু পালাবার
পথ নেই যে আর। নাতীর মাঝো খুঁজে ফিরি
সেই সোনালী দিন। আপনার ছেলে মেয়ের জন্য
শুভকামনা। নিশ্চয়্ই এখন আর দুষ্টুমিতে নেই।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সোহানী বলেছেন: স্মৃতিকে নিয়ে দু:খ করি না কারন একেক বয়সে একেক রকমের স্মৃতি। তবে সত্যিই ফিরে পেতে চাই সেইসব সোনালী শৈশব।
না, কেউই তেমন আর দুষ্ট নেই। অনেক ভালো থাকুন আর সাবধানে থাকুন নুর ভাই।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
মা.হাসান বলেছেন: আগুন দিয়াই আগুন জালানো যায়।
পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যাপারে দুলাভাইয়ের যে ছবি এঁকেছেন তাতে ওনাকে অত্যন্ত নিরীহ মানুষ বলেই মনে করি।
আপনার ছোটবেলার (অপ) কর্ম সম্পর্কে জানার আগ্রহ হইতেছে ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
সোহানী বলেছেন: তুমি পান্তা ভাই পাইলা কই?????
আমি অতীব ভদ্র ছিলাম, এই মর্মে আমার মায়ের সার্টিফিকেট ( ) আছে কিন্তু .............
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
অদৃশ্য প্রতিভা বলেছেন: স্মৃতিকথা যখন গল্প হয়!!!
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
সোহানী বলেছেন: স্মৃতিকথা সবসময়ই গল্প হয় দিনের শেষে...
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১১
ওমেরা বলেছেন: আপু কেমন আছেন ? আমিও খুব দুষ্ট ছিলাম, এখনো আমার ভাইয়ার ছেলেমেয়েদের সাথে খুব দুষ্টামী করি।
শান্ত, নম্র, ভদ্র বাচ্চা আমার ভালো লাগে না , এরকম বাচ্চা দেখলে আমার সন্দেহ হয় এই বাচ্চার নিশ্চয় কোন সমস্যা আছে।
বাচ্চা- কাচ্চা ভয়স্কর ——- ভয়স্কর ভালোলাগা রইল লেখায়।
ধন্যবাদ আপু।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সোহানী বলেছেন: ওহ, ওমেরা.. আমি ক'দিন ধরেই তোমার কথা মনে করছিলাম। অনেকদিন তোমার কোন লেখা নেই। এই বন্দী জীবনে এখন একটা বড় অংশ অনলাইনে বা সামহোয়ারে কাটাই। তাই অনেককেই খুজিঁ। তুমি কেমন আছো? লকডাউন কি চলছে?
"শান্ত, নম্র, ভদ্র বাচ্চা আমার ভালো লাগে না "।. বল কি??? একটু বয়স হোক তখন দেখবা কেমন লাগে...........হাহাহাহা
তোমার দুষ্টুমির গণ্প শুনতে চাই একদিন।
৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: আগে ওয়ান পার্ট পড়ে আসি।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪
সোহানী বলেছেন: পার্ট ওয়ান পড়ে কেমন লাগলো??
৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
সোহানী আপা ,
আপনার বোনের ছেলে (বর্ণ) ওর ছোটবেলার মজার মজার ছোট ছোট ঘটনা গুলো পড়ে খুবই বিমোহিত হলাম । ও এখন কেমন হয়েছে অনেক শান্তশিষ্ট কি ? ১০০% লাভ লাভ এই গান ওই সময়ে সব বাচ্চাদের মুখে শুনা যেতো । আপনার ভাইয়ের ছবিটা ভীষণ সুন্দর নাদুসনুদুস বাবু।
ভালো ও নিরাপদে থাকুন পরিবারের সকলকে নিয়ে ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সোহানী বলেছেন: না, ও এখন অসম্ভব শান্ত। আসলেই বাবা-মারা যে চিন্তি হয় বাচ্চাদের দুষ্টুমি নিয়ে তা করা ঠিক নয়। কারন একসময় তা ঠিক হয়ে যায়।
১০০% লাভের কথা বইলো না, ওই গান শুনতে শুনতে পাগল হবার অবস্থা হয়েছিল.....হাহাহাহা
আমার ভাই এখন পিএইচডি শেষ করে জার্মানে জব করে। অনেক অনেক বড় হয়ে গেছে।
অনেক ভালো থাকো মুক্তা।
৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! কি সুন্দর না ছিল শৈশবের দিনগুলি।
আপনি যাই বলুন না কেন আপু আপনার বাসার বাচ্চারা খুবই শান্ত।
আমার জানা একটি বাচ্চার কথা,
তার মা স্কুল টিচার। আলমারি খুলে যে শাড়িটা বের করে পেচ্ছাপের গন্ধ পায়। ভদ্রমহিলা আলমারির জামাকাপড়ের এই দুর্গন্ধের জন্য খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন। বেশ কয়েকবার রোদ্রে দিয়েও অবস্থার পরিবর্তন হলো না। কিন্তু দুর্গন্ধের কোনো কারণ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়লেন।
একদিন রাতের খাবার করতে উনি তখন রান্নাঘরে ব্যস্ত, এমন সময় হঠাৎ আলমারি খোলার শব্দে উনি তৎক্ষনাৎ ঘরে গিয়ে নিজের পাঁচ বছরের মেয়েকে হাতে নাতে আবিষ্কার করেন, বাচ্চাটি তখনো আলমারি খুলে পেচ্ছাপ করছে। ভদ্রমহিলা হতভম্ব হয়ে গেলেন। মেয়ের সামনে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়তেই, বাচ্চাটি বলে ফেলল, তুমি রোজ রোজ আমায় ফেলে চলে যাও আমার ভালো লাগে না।তাই তোমার শাড়িতে হিসু করি যাতে তুমি স্কুলে যেতে না পারো।
বাচ্চারা দুষ্টুমি করুক; বাড়ি গুলো ফিরে পাক তার প্রাণ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাাহাহা.......... বাচ্চার বুদ্ধিতে আমি মুগ্ধ। মাকে আটকানোর এছাড়া আর কোন বুদ্ধি নেই.....।
আরে ভাই, ভদ্রগুলো বললাম, কঠিনগুলো এখনো বাকি আছে। এ লিখাটা ভাইকে শেয়ার করবোতো তাই রাকঢাক করে লিখলাম।
সত্যিই, বাচ্চারা দুষ্টুমি করুক; বাড়ি গুলো ফিরে পাক তার প্রাণ।. ওদের দুষ্টুমি ছাড়া বাসাতো শান্ত থাকে। আমার এখন এতো বড় বড় ছেলে মেয়েগুলো যখন ঝগড়া ঝাটি করে, মারামারি করে, আমি একটুও থামাই না। ওদেরকে করতে দেই যতক্ষন খুশি
৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পড়তে পড়তে যেন শৈশবকাল মনে পড়ে গেল। যেদিন গেছে সেইদিন আর ......
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩
সোহানী বলেছেন: ফিরে পাবেন তবে ভিন্ন অঙ্গিকে। নিজের সন্তান বা নাতিপুতির মাঝে........
১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাইয়ের সাথে আমিও আপনার ছোটবেলার (অপ) কর্ম সম্পর্কে জানার আগ্রহ হচ্ছে।
আশা করছি অতি শিঘ্রই ব্লগে আমাদের দিকে তাকিয়ে সেটা নিয়ে পোস্ট দেবেন।
ছোট বাচ্চাদের কাজকর্ম বড়ই মজার। এখন বাসায় আমার ২ ছেলেকে আটকে রেখেছি। এরা সারাদিন কি যে করে বেড়ায়। আমি আর আমার স্ত্রীর দিনের মেজর কাজ হচ্ছে এদের'কে দেখে শুনে রাখা।
লেখা ভালো হয়েছে। পরের পর্ব যেন তাড়াতাড়ি দেয়া হয়।
ধন্যবাদ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭
সোহানী বলেছেন: দেখুন ওরা কত হেল্প করছে আপনাদের, বিজি রাখছে। নতুবা এ বন্দী জীবনে বোর হয়ে যেতেন।
আরে, আমার মতো ভালো মেয়ে কখনো পাবেন না। গ্যারেন্টেড
একটা সিরিজ হোক, সবার ছোটবেলার মজার স্মৃতি শেয়ার করা হবে.......
১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা হা।
ছোটকালে আমার আশেপাশেও একদল কাচ্চা ভয়ঙ্কর ছিল। সেই গ্রুপে দু-তিন পিচ্চি ছিল মহা খাটাস। ওদেরকে ওদের বাবা-মায়ের সামলানো রীতিমত বিশ্বযুদ্ধ মোকাবেলার মতো ছিল। আপনার এ লেখা পড়ে তাদের কথা মনে পড়ে গেল।
একটা ঘটনা বলি, এক মহাবদ ছিল। স্কুল টাইমে স্কুলে যাওয়ার নাম করে রাস্তার ধারের বিশাল জামগাছে উঠে বসে থাকত। জাম খেত। কেউ যদি তার বাবা-মাকে খবর দিত যে বল্টু তো জাম গাছে। তার বাবা-মা বা কাছের মানুষেরা নামানোর চেষ্টা করলে সে তার ছোট্ট মিসাইল বের করে মুতে দেওয়ার ভান করত। গরম পানির ভয়ে আর কেউ তার আশে পাশে আসত না।
অনেক মজার লেখা।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড!! এ থেকো দেখি বিচ্ছু দি গ্রেট!!!!!!
তা এতো ভয়ংকর বাচ্চার মাঝে আপনি কেমন ভয়ংকর ছিলেন????????? কিছু স্মৃতি জানতে চাই... ঝেড়ে কাসুন ভাইজান!!!
১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাসায় আরিশ নামের একটা বাচ্চা আছে। আমার ছোট ভাইয়ের ছেলে।
আরিশ ভয়াবহ। অর অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০
সোহানী বলেছেন: অঅপনি এ পর্যন্ততাে কোন লিখাই দিলেন না তাকে নিয়ে। তাহণে কিভাবে আপনার জীবন অতিষ্ঠ করলো। মানলাম না... লিখা দেন।
১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
মিরোরডডল বলেছেন: সোহানী আপু লেখাটা পড়ে খুবই মজা পেলাম । আমার কাছে এরকম অস্থির চঞ্চল দুষ্ট বাচ্চাই ভালো লাগে । ছোট বাবু যদি বড়দের মতো রাশভারী গম্ভীর বা চুপচাপ হয় মাইর দিতে ইচ্ছা করে । হা হা হা ....
ওদেরকে আমার মনে হয় মানুষের বনসাই
বাচ্চা হবে দুষ্টামির ফুল প্যাকেজ । প্যারেন্টসদের জন্য কষ্ট হয় হয়তোবা ম্যানেজ করতে
কিন্তু অডিয়েন্স হিসেবে আমি দুষ্ট বাবুদের পারফরমেন্স খুবই এনজয় করি
পার্ট ওয়ান পড়বো সময় করে ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.... আপনার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে অজ্ঞান। "বাচ্চা হবে দুষ্টামির ফুল প্যাকেজ"!!!
এখন বলেন, সবসময়ই কি অডিয়েন্স হিসেবে দুষ্ট বাবুদের পারফরমেন্স এনজয় করবেন? নিজেরটা পারফরমেন্স কি দেখতে হবে না !!!!!!!!!!!!
নিজেরটা রাশভারী গম্ভীর বা চুপচাপ হওয়া দরকার আর আশে পাশেরগুলা বান্দর হওয়াং দরকার......হাহাহাহাহা
১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমার সমস্যা, নাকি লেখার সমস্যা কে জানে, অত ইন্টারেষ্টিং মনে হয়নি
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৭
সোহানী বলেছেন: আমি যদি সত্যি বলি তাহলে আমারো এ পর্বটা পছন্দ হয়নি। তারপরও লিখলাম কারন কালই ছেলেমেয়েদেরকে এ কাহিনীগুলো বলছিলাম। আবার ভুলে যাবো তাই লিখে রাখলাম। আমি সাধারনত সামুর পাতায় নিজের স্মৃতিগুলো লিখে রাখি। বয়স হয়েছেতো তাই অনেক কিছুই স্মৃতির আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে।
১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৭
মিরোরডডল বলেছেন: কি যে বলেন আপু । লজ্জা পেয়েছি
আমিতো বাচ্চা না বলে বিচ্ছু বলতেই পছন্দ করি । একটা স্টোরি শেয়ার করি আপু ।
আমার মেজবোন একদমই হুমায়ূন আহমেদের কমেডি নাটকের লাকি ইনাম চরিত্র । নাটকে লাকি ইনাম বাচ্চা নিয়ে বাবার বাড়ীতে বেড়াতে আসে । বাচ্চারা সবাইকে কামড়ে দেয় আর লাকি ইনাম হেসে হেসে বলে ‘কামড়ে দিয়েছো, যাও আরও কামড়ে দাও’ । ঠিক সেইরকম ।
মেজবোন যখন দুইটা বিচ্ছুকে নিয়ে বাসায় আসতো আর বিচ্ছুরা সবাইকে পাগল করে দিত , ওকে কিছুই বলা যাবেনা । বললেই বলবে , আমি মায়ের বাসায় বেড়াতে আসছি । কোন কমপ্লেইন না, ওরা যা খুশী করবে এখন
ও কিছুদিন বাসায় না আসলে আমরা নক করতাম । বিচ্ছুগুলোকে মিস করি । কবে আসবে । আমার মাও ফোন করে বলতো ‘কি রে মা, তুই কবে আসবি’ । কিন্তু সোহানী আপু, মেজবোন যখন সত্যি সত্যি আসতো , কিছুক্ষণের মধ্যেই মনে হতো বাসায় একটা টর্নেডো সাইক্লোন হয়ে গেছে । তখন মা তাকে বলে , ‘তুই কি রাতে খেয়ে যাবি মা’ ইনডাইরেক্টলি জানতে চায় সে কখন যাবে । মানে বিচ্ছুগুলো যন্ত্রণায় আমার মা অলরেডি টায়ার্ড ইন ফিউ আওয়ারস
তখন মেজ বোন বলে ‘কি বল এগুলো, রাতে খেয়ে যাবো মানে ? আমিতো থাকতে এসেছি কয়দিন ।
তখন যদি মায়ের অসহায় চেহারাটা দেখতে আপু বিচ্ছুগুলোর ভয়ে
সারাক্ষন বাসায় এই কমেডি হতো । সেই দিনগুলো মিস করি ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা............ আহারে! মায়াই লাগছে তোমাদের জন্য।
তবে কি জানো, আমার মা খুব পাত্তা দিতো এ ধরনের দুষ্টুমিকে। সে কারনেই কিছু বলতো না শুধু একজন সার্বক্ষনিক পাহাড়ায় বসিয়ে রাখতো। যাতে বিপদ না ঘটে ...।
এখন সব শূণ্য, বাচ্চারা অনেক বড়। সবাই সবার রুমে দড়জা বন্ধ করে থাকে। মা ও নেই, কোন আনন্দই নেই। সব আনন্দই মা তাঁর সাথে নিয়ে চলে গেছে। আজ এতোটা বছর মা চলে গেলেন কিন্তু এখনো আমরা কোন আনন্দ করতে পারি না। জীবনটা একদম শূণ্য!
১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২০
অদ্ভুত_আমি বলেছেন: ক্লাস ফোর/ফাইভ এ পড়ার সময় বিদ্যুত নিয়ে ঐ রকম এক পরীক্ষা কোন এক দুপুরে আম্মু ঘুমিয়ে পরার পর আমিও করেছিলাম । আমাদের ছোট বেলায় সব বাসায় স্টীল বডির ব্যাটরী চালিত এক প্রকার টর্চলাইট থাকত।
তো আমি সেই টর্চলাইটের উপরের অংশ খুলে উহার লাইটের গোড়ায় তার পেঁচিয়ে টর্চলাইট হাতে ধরে সেটা প্লাগ পয়েন্টে কানেকশন দিয়ে দিলাম ব্যাটারির পরিবর্তে বিদ্যুত দিয়ে টর্চ জ্বালানোর এক বিশাল আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে । ফলাফল সেই একই রকম, ধপাস করে ছিটকে পড়লাম আর সেই শব্দে আম্মুর ঘুম ভেঙ্গে গেল ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৩
সোহানী বলেছেন: আরে এরকম লাইট আমরা হর হামেশাই ইউজ করতাম। এরপর আসলো চার্জ দেয়া টর্চ লাইট। আহা, গ্রামে ঘুটঘুটে অন্ধকারে এরকম লাইট নিয়ে হাটার মাঝে কি থ্রিল...। সেটা কি কেই বুঝবে এখন!! মনে হয় না।
১৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২১
জুন বলেছেন: সোহানী প্রথম পর্বের মত এটাও অনেক মজার হয়েছে। পরিবারে একটা বিচ্ছু বাচ্চা থাকলেই যথেষ্ট সবাইকে এক পায়ে দাড় করিয়ে রাখার জন্য। আমার ৪ বছরের এক ভাইকে দেখেছিলাম চারতলার খোলা বারান্দার রেলিঙের দুদিকে দু পা ঝুলিয়ে ঘোড়া ঘোড়া খেলছে। উপরে উঠে মামীকে বলার পর উনি নির্বিকার। ৮ বছর ৬ বছর আর ৪ বছর এই তিন ছেলের অত্যাচারে উনি যে পাগল হয়ে যায় নাই এটাই বিশাল ব্যাপার।য
অনেক ভালো লাগা রইলো লেখায়।
+
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৭
সোহানী বলেছেন: আহারে, আপনার মামীর জন্য একরাশ সহানুভূতি। এরকম দু'একটা থাকলে জীবরে মানে খুঁজতে হবে না, ওরাই মানে হয়ে দাড়ায়....হাহাহাহা।
আসলে মা'দের আল্লাহ অসীম ধৈর্য্য, শক্তি, অফুরান ভালোবাসা দিয়ে তৈরী করে। তার প্রমান আমরা নিজেরা
১৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এত মহা জাগতিক ভূকম্প !!
তোমার মেয়ের কিউট কান্না কি এখন ও বর্তমান ?
অনেক ভালোলাগা আপু ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৯
সোহানী বলেছেন: কান্না আছে মানে, ওটা এখন রুপান্তরিত হয়ে আসল কান্নায় কনভার্ট হয়েছে। পান থেকে চুন খসলেই শুরু করে দেয়.....
১৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
গৃহবন্দী সবাই। অনিশ্চয়তা, অস্থিরতাও বাচ্চা ভয়ঙ্কর - কাচ্চা ভয়ঙ্করের মতো আমাদের মানসিক দৌঁড়ের উপরে রাখছে।
তা... বাচ্চার মা/খালা ভয়ঙ্কর হলেই বা ক্ষতি কি ? তিনিও না হয় এই জেলখানার বন্দীত্বে থেকে ঘরের তামাম জিনিষপত্র মায় আটা ময়দা ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাকার করুক তারপর তার এ্যাসিষ্ট্যান্ট পিচ্চি ভয়ঙ্কর বাহিনীকে গোছানোর কাজে লাগিয়ে দিক। সময়টা আর নিরস মনে হবেনা। পরবর্তী পোস্টের রসদ হবে।
এর পাশাপাশি বাচ্চা ভয়ঙ্করদের বাপকে একখানা আবেদনপত্র লিখুক যে , গৃহকর্মের জন্যে এই রিসিশনের সময় বেতন-ভাতা দিতে হবে.... দিতে হবে।
তারপরে সেই বেতন-ভাতার টঙ্কা থেকে ডিম বেরুলে আন্ডা ভূনা করে ঘরের কোয়ারন্টাইনেই একটা পিকনিক পিকনিক ব্যাপার-স্যাপার ঘটিয়ে ফেলতেই বা সমস্যা কি।
এরপর দিনশেষে কোয়েল মল্লিক আর মেয়ে মল্লিককে ফেল্টুস বানিয়ে কোমড়ে গামছা পেঁচিয়ে পিচ্চি মেয়ে মল্লিকের মা একটা ফাঁটাফাঁটি নাচন দিয়ে দিনের নটে গাছটি মুড়ালো করতে পারেন।
এসব করে বুঝিয়ে দিন - বাবুরা তোমরা আর কতো ভয়ঙ্কর.... তার চেয়েও ভয়ঙ্কর বাচ্চাকাচ্চাদের মা-বাপ।
আমিও নিরস দিনে বিরস বদনে সরস এই ভিন্ন মন্তব্য করলুম।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন................
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫২
সোহানী বলেছেন: জী ভাই, আমার ডেইলি রুটিনে আদা ময়দা ছিটানো ছাড়াই পোলাপানরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজি রাখি। এই ফাঁকে নিজেও কিছুটা দৈাড়ের উপর থাকার চেস্টা করি।
বাচ্চা ভয়ঙ্করদের বাপকে একখানা আবেদনপত্র লিখা শেষ। তবে সেটা রিসেশান এর ভাতা নয়, ঘরের কাজকর্মে হাত লাগানোর জন্য । যা এরই মাঝে এ্যাপ্লিকেবল হয়েছে।
আর এখন কানাডায় থাকার কারনে কোয়েল মল্লিক না জাস্টিন বিবার এর গানের সাথে নাচে। রুচি একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। কোনভাবেই বাংলা কিংবা হিন্দি গান নাস সিনেমা দেখাতে পারি না। বলে বোরিং, নো এক্সাইটমেন্ট, আন্ডারসেন্ড করি না। তারপরও জোর করে দেখাতে বসলে আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়, প্রতিটা সিন ট্রান্সলেট করতে হয়। গতকাল হীরক রাজার দেশে দেখতে বসলাম সবাই মিলে। দুই ঘন্টার ছবি প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টায় শেষ করেছি। শেষে আমি অধৈর্য্য হয়ে গেছি। কান ধরছি আর ওরে নিয়া ছবি দেখবো না। আমারটা আমি দেখবো ওরটা ওরা দেখবে।
২০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩২
মা.হাসান বলেছেন: তুমি পান্তা ভাই পাইলা কই?????
নিচের পোস্টের ৪৭ নম্বর মন্তব্য থেইকো
সকালের নাস্তা যদি হয় পান্তাভাত আর কাঁচামরিচ তবে ব্লগারদের স্ট্যাটাস যেমন হতো
ক্যারেকটার সার্টিফিকেট তো ম্যাজিসটেট গো থেইকা আমি ভি বহুত লইছিলাম, চাকরি পাওনের আগে। কিন্তু ঐ গুলান কৈলাম কুনু কামে লাগে নাই, আমার চেহারাই আমাকে প্রতিদিন অগ্নি পরীক্ষা থেইকা বাঁচায়া দিসে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৭
সোহানী বলেছেন: ওওওও...... হাবিবের পান্তাভাত পোস্ট। দেখো সেখানে হাবিবই স্বীকার করেছে আমার লিখা কম পড়েই এ লিখা লিখেছে।
হাহাহাহা....... ঠিক, এখন মনে পড়ছে। ম্যাজিসট্রেট, স্কুল, চেয়ারম্যান থেকে এ জীবনে কম ক্যারেকটার সার্টিফিকেট জোগাড় করি নাই!!!!!!!!
"আমার চেহারাই আমাকে প্রতিদিন অগ্নি পরীক্ষা থেইকা বাঁচায়া দিসে।"........ এইটা কি তুমি বল্লা নাকি অন্য কেউ বললো???
২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৩
শের শায়রী বলেছেন: আমার ধারনা আপনার বোনের ছেলে তার খালার (যেটা সামুতে ব্লগিং করে) ট্রু কপি ছিল
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৯
সোহানী বলেছেন: একমদই না, ম্যাজিসট্রেট, স্কুল, চেয়ারম্যান থেকে ক্যারেকটার সার্টিফিকেট
২২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মজারু ......
দুষ্টের শিরোমণি একেকটা ...
ছোট্ট সোহানী যে মহা সাধু ছিলো সেটা বুঝলাম
তবে চুপিচুপি বলি, আর্কুও মহান সাধু ছিলেন। ভাজা মাছটি হাত না পুড়িয়ে খেতেন না
আমার সর্বশেষ পোস্টে তোমাকে স্মরণ করিয়াছি
০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৪৪
সোহানী বলেছেন: আমি অবশ্যই সাধু ছিলাম ও আছি । কিন্তু বুঝে না, সে বুঝে না.........
হাঁ, তার কিঞ্চিত নমুনা বুঝি অবশ্য!!!
২৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: হুম অবশ্যই আরিশকে নিয়ে লিখব। আমার ঠিক মনে নাই, তবে মনে হচ্ছে আরিশকে নিয়ে ১/২ দিন লিখেছি। লেখার সাথে আরিশের ছবিও দিয়েছি।
তবে ছোট ছোট বাচ্চাদের আমি খুব ভালোবাসি। ওদের জন্য এৃথিবীতে অনেকদিন বেচে থাকতে ইচ্ছা করে।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৪৬
সোহানী বলেছেন: আমি মনে হয় মিস করেছি লিখাটা।
বাচ্চাদেরকে জন্যইতো এ পৃথিবী এতো সুন্দর। ওদের জন্যইতো বেচেঁ থাকা।
২৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি জন্মের পর থেকেই দুষ্টামি,মারামারি ,লাফালাফি আর সব দু:সাহসিক কাজে ১ নং ছিলাম।
গ্রামে না থেকেও একমাত্র আমিই ডাল-পালাহীন নারিকেল গাছে উঠে যেতে পারতোম,যা আমার গ্রামে থেকে পড়তে আসা বন্ধুরাও পারতো না।
মাধ্যমিকে উঠার পর ছিলাম দেশের সেরা মেয়ে বিষয়ক গোয়েন্দা ( People called me Bond,James Bond...)
সাইকেল চালিয়ে অনুসরণ করে যেকোন মেয়ের বাড়ির ঠিকানা বা ফোন নম্বর বের করে ফেলতে পারতাম। যদিও পরে সবার সাথেই ভালো বন্ধুত্ব হয়েছিলো।
কাকরাইলের লিটল ফ্লাওয়ারে সহপাটীরাও জানে আমার দুর্দান্ত কর্মকান্ডের কাহিনী!!!
প্রথম বিদ্যালয় লিটল জুয়েলস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, বসবাসের এলাকা-সব জায়গার সব মানুষ এর সাক্ষী।
এখনো তাই আছি।
তবে পরিবর্তন এটুকুই হয়েছে যে আমার বা পরিচিত কারো সাথে কেউ অন্যায় করলে সেটা যতো বড় অপরাধী হোক না কেনো,সময়মতো বুঝিয়ে দেই,কার সাথে লেগেছে !!!!!!
এব্যাপরে ১০০১ টা উপায় উদ্ভাবন করেছি,যার মধ্যে কয়েকটা হচ্ছে তার অপরাধের বিবরণ পত্রিকায় লেখা,পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানো,আদালতে ডাকানো ইত্যাদি!!!
০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫২
সোহানী বলেছেন: আরে আপনিতো দেখি এ যুগের দস্যু বনহুর, ধনীর সম্পদ গরীবের মাঝে বিতরন করে বেড়ান । নট ব্যাড!!!
আপনার কোন সাবজেক্ট? কোন হলে ছিলেন? কোন ইয়ার?
এভাবে বাড়ির ঠিকনা খুঁজতে যেয়ে কতবার ধোলাই খেয়েছেন???????
২৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১০
মলাসইলমুইনা বলেছেন: সোহানী,
ভাঙা ভাঙা হতে দারুন সেই ঐতিহাসিক চিঠি লেখা (রুটি রুজির জন্য লেখা চিঠিগুলোই পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন চিঠি হয় ) আপনার ভাই নিশ্চই এতো দিনে বিরাট লেখক ! আপনি যখন এতো দিন এই ব্লগে থেকে প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসর তাহলে আপনার ভাইও নিশ্চই সামু ব্লগে লিখেন বা একসময় লিখতেন । তার নিক বলেন দেখি পুরোনো পাতা খুঁজে তার লেখা একটু পড়ি । আপনার বৈজ্ঞানিক ভাগ্নেটা এখন কত বড় ? তার বিজ্ঞান চর্চা এখন কেমন চলছে ?
০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫৯
সোহানী বলেছেন: এটা বলা যায়, সে পৃথিবীর সবচেয়ে কমবয়সী রুটি রুজির জন্য লেখা চিঠি লিখেছে.... ।
আরে না সে লেখালেখির ধার ধারে না। এমন কি বই এর পড়াও সে ঠিকমতো পড়তো না। শুধু পাতা উল্টাতো। কিন্তু সে এসএসসি এইচএসসি বোর্ডে স্টান্ড করা, বুয়েটে মারাত্বক রেজাল্ট করা, এখন পিএইডি শেষ করে জার্মান এ ইর্ন্টারন্যাশনাল জবে আছে।
আর বৈজ্ঞানিক ভাগ্নে সবে গ্রেড নাইন। এবং খুব শান্ত এখন। একটুও দুষ্টুমি করে না ...।
আর আমার পুরো পরিবারে আমি আর বাবা ছাড়া কেউই জীবনে পড়াশুনার বাইরে কিছু লিখার চেষ্টা ভুলেও করে নাই।
২৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছোটদের কর্মকান্ড সত্যি অনেক মজার।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫৭
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই...
২৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: আরে আপনিতো দেখি এ যুগের দস্যু বনহুর, ধনীর সম্পদ গরীবের মাঝে বিতরন করে বেড়ান । নট ব্যাড !!- একথা এখানে লিখিনি।
তবে আমি দুর্নীতিবাজদের সম্পদ কেড়ে সবার মধ্যে বিতরণ করার জন্য বহুবছর ধরে লিখছি.এই ব্লগেও লিখেছি।
আপনার কোন সাবজেক্ট? কোন হলে ছিলেন? কোন ইয়ার?-১৯৯১,বিভাগ বিজ্ঞান তবে অংক ভালো লাগতো না তাই electrive mathematics নেইনি।বিকল্প বিষয় ছিলো ব্যবসা পদ্ধতি ।
এভাবে বাড়ির ঠিকনা খুঁজতে যেয়ে কতবার ধোলাই খেয়েছেন???????-একবারও না।
রেসিং সাইকেল চালিয়ে টয়োটা গাড়ি অনুসরণ করে স্কুলের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ের বাড়ি খূজে করার করার আনন্দের সাথে জেমস বন্ডের সবচেয়ে আধুনিক বিমান চালিয়ে শত্রু দমনের আনন্দও ব্যার্থ !!!
আর কতো কৌশলে যে তাদের ফোন নম্বর জোগাড় করেছি,সেটা নিয়ে বিস্তারিত লিখতে হবে। কোনো মেয়ে বা তার বান্ধবীরা চাওয়া মাত্রই দেয়নি,অনেক বুদ্ধি খাটাতে হয়েছে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫৯
সোহানী বলেছেন: হুম....... চলুক আপনার এমন পথচলা। অবশ্যই সমর্থন থাকবে সবসময়।
২৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
জেন রসি বলেছেন: প্লাগ পয়েন্টে তার ঢুকিয়ে আমিও একবার ধাক্কা খেয়েছিলাম। থরের হ্যামারের মাইর ছিল সেটা। পিচ্চির কথা পড়ে সে স্মৃতি মনে পরে গেলো। মাঝে মাঝে মনে হয় এই বড়বেলাতেও কিছু সময়ের জন্য বাচ্চা ভয়ংকর কাচ্চা ভয়ঙ্কর হয়ে যেতে পারলে মন্দ হতোনা।
ওদের জন্য শুভকামনা।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:২৩
সোহানী বলেছেন: মাথা খারাপ। এই বুড়া বয়সে এসব করে পোলাপানরে আরেক ডিগ্রি সাহস যোগানোর কোন দরকার নেই।....
একেক বয়সে একেক সৈান্দয্য। তাই নয় কি?
২৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাচ্চা-কাচ্চারা আসলেই ভয়ংকর। সমস্যা হইলো, তারা নিজেরাও জানে না, তারা কি করতে যাইতেছে, আর কি বিপদ হইতে পারে। আমিও ছোটকালে বহুত আকাম-কুকাম করছি। এখন মনে হইলে ডরই করে। এর যে কোনটা থিকাই সেইদিনই আমার শ্যাষদিন হইতে পারতো।
আসলে এইজন্যই আমার মনে হয়, বাচ্চাগো লগে ফেরেশতা থাকে.....বিপদ-আপদ থিকা বাচানোর জন্য। অবশ্য এর ফ্লিপ সাইডও আছে। আসলে কোনকিছুই বোঝা মুশকিল!
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:২৬
সোহানী বলেছেন: ছোটবেলায় নানু বলতো, বাচ্চাদের সাথে ফেরেশতা থাকে। তারপরও সেই বয়সের দুষ্টুমির আলাদা একটা চার্ম ছিল। কি লজিক মাথায় খেলা করে তাদের তা বোঝার ক্ষমতা আমাদের নেই।
৩০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩৪
অনল চৌধুরী বলেছেন: কোন হলে ছিলেন?-আমি জীবনে কোনোদিনও হলে থাকিনি।
জন্মের পর থেকেই শান্তিনগরে নিজের বাড়িতে আছি আর দেশ উদ্ধারে জন্য লড়াই করছি।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:২৭
সোহানী বলেছেন: ও ওকে। গুড.......
৩১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাচ্চাদের দুষ্টুমি দেখতে ভাল লাগে।
আমার নাতনি আনায়ার একটা ছোট ভাই হয়েছে, সাড়ে তিন মাস বয়স। ও যাতে আঙুল বা হাত মুখে না দেয়, সেজন্য ওর মা ওর হাতে মিটেন পড়িয়ে রাখে। ওর মা যখন চোখের আড়াল হয়, তখন আনায়া ওর কাছে এসে বলে, ভাইয়া তুমি আঙুল খাবে? আচ্ছা খাও- এই বলে সে মিটেন খুলে ভাইয়ার হাতটা মুখের কাছে ধরে। কোন কারণে ভাইয়া নিজের আঙুলটা মুখে নিতে না চাইলে আনায়া ওর আঙুলটাই মুখে ঢুকিয়ে দিয়ে বলে, "খাও"!
চাঁদগাজী অনেক বিনয়ের সাথে আপনার লেখাটা নিয়ে মন্তব্য করেছেনঃ আমার সমস্যা, নাকি লেখার সমস্যা কে জানে, অত ইন্টারেষ্টিং মনে হয়নি
তার মন্তব্যে এই আনক্যারেক্টারিস্টিক বিনয়টুকু দেখে ভাল লাগলো।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৭
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.............. মিটেন খুলে ভাইয়ে খাওয়াচ্ছে!! কি পরিমান ভালোবাসা, বুঝেন অবস্থা।
আমার ছেলেমেয়ে দু'টো সারাক্ষন এরকম কিছু না কিছু করে। একজনকে একটু বকা দিলে আরেকজন ঝাঁপিয়ে পড়ে। এখানে এসে প্রথমে ফ্লাট বাসায় থাকার কারনে বিশাল একটা পরিবার ছিল। আশে পাশের সব বাচ্চাদের আড্ডা ছিল আমার বাসায়। এখন একা বাসায় থাকি বলে আমার এ দুটার উৎপাতই দেখে সারাদিন কাটাতে হয়। তবে জীবনে এরকম সময় আর পাইনি, দিনরাত বাসায় ওদের সাথে থাকা। ওরা যে কি পরিমান খুশি!!! আর প্রতিদিনই নতুন কিছু রান্না করি বাচ্চাদরেকে নিয়ে।
আসলেই এ পর্বটা এমন আকর্ষনীয় হয়নি। এখন এমন হয়েছে যে কোন কাজ নেই কিন্তু মারাত্বক বিজি। পারলে চারবেলা রান্না করি, ঘর গুছাই, বাচ্চাদের অনলাইন স্কুল লগইন করার পর আর সময়ই থাকে না ব্লগে বা ফেবুতে ঢোকার।
আপনার কেমন কাটছে?
৩২| ০১ লা মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: দুষ্টুমি না করলে বুঝা যায়না সে বাচ্চা
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১২:৩২
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা ....... সেকারনেইতো তারা বাচ্চা আর আমরা বুড়ো। তারা কাজ করে আর আমরা তা নিয়ে লিখি!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২৯
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: বাচ্চাগুলিকে মুহম্মদ জাফর ইকবাল সাহেবের প্রথম দিককার বইগুলি (রাজু ও আগুনালির ভূত, হাতকাটা রবিন, শান্তা পরিবার, টুকুনজিল, বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার) কিনে দিয়েন। সুন্দর একটা শৈশব হবে। আমারটা অমনই ছিল। মনে পড়লেই বাবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতায় মন ভরে যায়।