নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
বাবার চাকরীর সুবাদে তখন আমরা ছিলাম খুলনায়। খুলনার খান জাহান আলী রোডে আমাদের বাসা ছিল। আমি যখনকার কথা বলছি তখন এমন ডেভলাপারদের অত্যাচারও ছিল না তাই তেমন হাইরাইজ বিল্ডিং ও ছিল না আশেপাশে। আমাদের বিল্ডিং ছিল ৬ তালা এবং এর চারপাশের ত্রিসীমানায় তেমন কোন বিল্ডিং ছিল না। আমরা ছিলাম তিনতালায়। বিল্ডিং এর ডিজাইন এমন ছিল যে জানালার সানশেড ও ছিল না কোন পাশেই। এমন কি বড় কোন গাছও ছিল না ধারে কাছে। বাসার সামনে ও একপাশে একটা বড় রাস্তা আর পিছনে খোলা একটা মাঠ আর আরেক পাশে একটা বস্তি। এই ছিল আমাদের বাড়ির বর্ননা।
তিন বেডরুমের বাসায় আমরা বাকিরা এক রুমে থাকলেও আমার বড় বোন একাই একটা রুমে থাকতো। বাসার ডিজাইন এমন ছিল যে দুই বেডরুমের মাঝে বাথরুম। এবং বাথরুমের সামনে ছোট একটি ড্রেসিং রুম। বাকি ড্রইং, ডাইনিং, রান্নাঘর ও সার্ভেন্টেস্ বাথরুম অন্য পাশে। যাই হোক, আমার বড় বোন ছিল তখন মেট্রিক পরীক্ষার্থী। ও ছিল মারাত্বক পড়ুয়া (এখনো পড়ে )। বরাবরেই কাক ডাকা ভোরে উঠে পড়তে বসে। সেদিনও যথারীতি ঘুম থেকে উঠেই বিশাল এক চিৎকার। আমরা সবাই হুড়মুড় করে উঠে বসি, বাবা মা ছুটে আসেন তাদের রুম থেকে। সবাই একযোগে চিৎকার...।
ঘটনা কি? দৈাড়ে লাইট জ্বালিয়ে দেখা গেল পুরো বাসার এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত পানিতে সয়লাব। প্রতিটা রুমেই পানিতে ভর্তি চারপাশ। সারা ঘরের জুতো সেন্ডল, বই খাতা, কাপড় চোপড় যা নীচে ছিল সব ভাসছে চারপাশে। যেহেতু মেইন দরজা বা বারান্দার সাথে রুমের একটু উঁচু ডিভাইডার ছিল তাই পানি বাসা পর্যন্তই আটকে ছিল। বাবা দৈাড়ে গেলেন বাথরুমের কল চেক করতে। নাহ্ সব কল বন্ধ। এমন কি বাথরুমের কলের নীচে আধা বালতি পানি পড়ে আছে। আর সেদিন চৈত্রের দুপুরে বৃষ্টির কোন লক্ষনই ছিল না তার আগে বা পরে।
ঘরের জানালা সবই বন্ধ ছিল। এমন নয় যে কেউ জানালার সানসেডে দাঁড়িয়ে পানি দিয়েছে। কারন আগেই বলেছি কোন সানসেড সেখানে ছিল না। আর পাইপ টেনে মই বেয়ে তিনতালা পর্যন্ত পানি দেয়াও সম্ভব নয় কোনভাবেই। আর এমন কাজ করার মতো সেরকম কেউ ছিল বলেও মনে পড়ে না।
যাইহোক, এ ঘটনা নিয়ে আমরা প্রায় কথা বলি। কিন্তু এখনো এর কোন সমাধান বের করতে পারিনি।
আজ এ পর্যন্ত। সময়ের টানাটানিতে বাকিভুতদেরকে আনতে পারিনি। আশা করি নেক্সট তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। বিশেষ করে কক্সবাজার থাকাকালীন রাত দুপুরে কাচাঁ মাছ খেতে দেখা সেই বোরকা পড়া মহিলা, যাকে আমি সহ অনেকেই দেখেছে। সে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
আমার আগের ভুতের গল্প: ইহা একটি ভুতের গল্প হলেও হতে পারে.........
সবাই ভালো থাকুন আর বেশী করে ভয় পান। কাভা ভাইয়ের মতো বলবো না, শান্তিতে যে একটু ভয় পাবো তাও হতে দিবে না অনেকে ...........
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫
সোহানী বলেছেন: বেসিন বেয়ে এতো পানি পড়ে ঘর ভেসে যাওয়া সম্ভব নয়। আর ঘটনার পরপরই আমার বিজ্ঞানমনস্ক বাবা এর রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রতিটা সম্ভাবনা চেক করেছিল।
আর আমরা বকিরা খুবই ছোট ছিলাম। এ ধরনের কাজ করার মতো দুষ্ট বুদ্ধি ছিল না। আর বড় আপু, এ পৃথিবীতে পড়া ছাড়া অন্য সব কিছুই গৈাণ।..... তার সম্ভাবনাও নেই।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরে বাপ্রে!!
এ দেখি জলভূত!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭
সোহানী বলেছেন: রহস্যের সমাধান করো জলভুতের। তবে হার্মলেস জলভুত।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: এইডা কি হইলো! ভুতের ভয় পাওয়ার জন্য মাত্র প্রস্তুত হয়ে বসেছি আর অম্নি পানি ঢেলে দিলেন? হলো কিছু....
যাই হোক, আপনার মত আমারও বাবা-মার চাকুরির বদৌলতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থেকেছি, শেষ পর্যন্ত পড়াশুনা ঠিক রাখতে হোস্টেলে চলে আসতে হয়েছিলো। ওই হোস্টেলে আমরা মাঝে মধ্যে রাতে ফুটবল খেলতাম। মাঠের পশ্চিম দিকে মসজিদ, পূর্বদিকে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং, দক্ষিণ দিকে হোস্টেল বিল্ডিং আর উত্তর দিকে যশোর-বেনাপোল হাইওয়ে। এর বাইরে সব ফাঁকা, ধারে কাছে কোনো বাড়িঘর নেই।
এ রকম এক রাতে আমরা ছোটরা খেলছি, হঠাৎ দেখি মাঠের বিভিন্ন কোণা থেকে বিশাল বিশাল আকারের মাটির টুকরা (যেগুলো পাশের ফসলি জমিতে প্রাথমিক চাঁষ দেয়ার পর সৃষ্টি হয়েছিলো, একেকটার ওজন প্রায় ২ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত হওয়ার কথা) উড়ে উড়ে এসে পড়তে লাগেলো। প্রথমদিকে বিষয়টা কারও ইয়ার্কি মনে করে অগ্রাহ্য করলেও যখন আমরা দেখলাম যে এ্ত বড় বড় টুকরা ছুড়ে দেয়া আমাদের মত কারও পক্ষে সম্ভব নয়, তখন আমরা ভয় পেতে শুরু করলাম এবং ততক্ষণে খেয়াল করলাম আস্তে আস্তে পুরো মাঠই ভরে গেছে ওই মাটির টুকরায়।
আমরা তখন হোস্টেলের বড়দের ডেকে আনলাম এবং তারাও এটা দেখলেন অবাক হয়ে। পরদিন সকালে ওইসব মাটির টুকরার কোনো অস্তিত্ব ছিলো না। আমাদের খেলাও চিরতরে বন্ধ হলো।
এই ঘটনারও কোনো ব্যাখ্যা নেই, যেমন নেই আপনার ঘরের পানির।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
সোহানী বলেছেন: আপনাদের খেলা বন্ধ করার জন্য কেই একাজ করেছে। আপনার ভয় পেয়ে সে উৎসের দিকে যাননি। তারপর আপনারা চলে যাবার পর আবার ক্লিন করেছে .....।
পোলাপানদেরকে এমনি বললে মাঠ ছাড়তো না বা অন্যরা মাঠ দখল করতে পারতো না। তাই এই হালকা ট্রিটমেন্ট দিয়েছে।
হাহাহাহা...... ভুতের গল্পতো শুরুই করিনি। সবে হালকা পাতলা দিয়ে শুরু করেছি। ভয় না পেয়ে যাবেন কই
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৪
সাগর শরীফ বলেছেন: খান জাহান আলী রোডের এই অবস্থা! কত আগের কথা বলছেন?
যাই হোক, রহস্যটা আমিও উদঘাটনের চেষ্টা করছি....
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
সোহানী বলেছেন: এখনতো খান জাহান আলী রোড চেনাই যায় না। রমরমা অবস্থা। আগে এমন ছিল না। অনেক ফাঁকা ছিল।
রহস্যের সমাধান করো, অপেক্ষায় থাকলাম।
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মিরোরডডল সাহেবের ব্যাখ্যাটাই সঠিক।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬
সোহানী বলেছেন: সে সম্ভাবনা আমরা খতিয়ে দেখেছি। আগেই বলেছি আমার বাবা ভুত প্রেত এ কোনভাবেই বিশ্বাস করে না। তাই উনি সেটার সমাধানে অনেক চেস্টা করেছেন।
৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বড়ো আপুর চিৎকার শুনেই আমি ভয়ে হিম হয়ে গেলাম।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা............
ওর চিৎকারই শুধু করতে জানে না, কান্নাকাটিও ভালোই করে। এখনো বাসায় কেউ কাঁদলেই সবাই বড় আপুর মতো কাঁদিস কেন বলে ধমক লাগায়.................!
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইয়ে, আমাদের বাসায়ও একবার এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল। সুনির্দিষ্টভাবে মনে পড়ছে না, যতটুকু মনে পড়ছে তা থেকে বলছি, আমরা বাইরে গিয়েছিলাম। বাসায় ফেরার পর দেখি ঘরভর্তি পানি বাচ্চারা ভুলে কোনো একটা টেপ খুলে রেখেছিল। তাতে যা হবার তা হয়ে যায়, যা মিস্টার ডুলু অলরেডি বলে ফেলেছেন
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯
সোহানী বলেছেন: না সেটার সম্ভাবনা নেই এ কারনে যে প্রথমত: পাশের বাথরুমের টেপ ছাড়া আশে পাশে টেপ ছিল না। রান্নাঘর ডাইনিং এর করিডোরে যে বেসিন ছিল তা মূল বেডরুমগুলো থেকে অনেক দূরে। এবং এর মাঝে ডিভাইডার ছিল। সেখানে পানি পড়ার কোন চিহ্নই ছিল না। আর বাচ্চা বলতে অতটা বাচ্চা ছিলাম না আমরা, ক্লাস ৫/৬ এ পড়তাম। আর বড়আপুকে ভয় দেখানোর চেস্টা কেন, আমরা তাকে ঘাটতাম না কোনকালেই। তাই আমাদের তরফ থেকে এ ধরনের কিছুর কোনই সম্ভাবনা ছিল না। আমরা কিন্তু শান্ত শিষ্ট বাচ্চা ছিলাম ।
৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভুত আমাকে দেখলে ভয় পায়।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা...
আমি আগে উনাদেরকে দেখে ভয় পেলেও এখন তারাই আমাকে দেখেও ভয় পায়............।
আপনার ভুতের গল্প কই?
৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: সোহানি , আমাদের পিতৃ ভিটা হাজি মহসিন রোড , সাবেক জনতা ব্যাঙ্ক । তোমরা কি হামিদ আলি গার্লস স্কুলের উল্টো দিকে ছিলে ??
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সোহানী বলেছেন: আমরা ছিলাম, খান জাহান আলী রোড থেকে দোলখোলা বাজারের দিকে যে রাস্তাটা গেছিল সেখানে। আমাদের বাসার উল্টোদিকে ছিল নায়িকা শাবানার ননদের বাসা। তখন তাদের একতালা দালান ছিল। তিনতালা থেকে তাদেরকে দেখতাম। একবার মনে হয় শাবানাকে তাদের বাসায় আসার খবর পেয়েছিলাম। কিন্তু বারান্দা থেকে অনেক উকিঁঝুকি দিয়েও দেখতে পাইনি।
হাজি মহসিন রোড এর কোন বাসাটা আপনাদের। আমি ওই এরিয়াতে অনেক গেছি। আমি করোনেশান স্কুলে পড়তাম।
১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অত্যন্ত আকর্ষণীয় লিখন I শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ভূত যে আছে এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি ভূতদের সম্মান করি। দুনিয়াতে ভালো ভুতও আছে, মন্দ ভূতও আছে। খুলনাতে সবচেয়ে বেশি ভূত থাকে। এমন কি রুপসী সেতুতে আগে ভূরতদের আড্ডাখানা ছিলো। এর পেছনে যে কারাগার আছে সেখানে ভূত যে কত লোককে মেরেছে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১
সোহানী বলেছেন: বলেন কি..... তাই নাকি। জানা ছিল নাতো। রুপসী সেতুতে অনেকবার গেছি। আগে জানলে তাদের একটু আধটু খবর নিতাম। আমিতো জানি বুলু না জানি কি নামের এক মাস্তান ছিল, সেই সব কিছুর নিয়ন্ত্রন করতো সেখানের।
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০০
কানিজ রিনা বলেছেন: কোন কোন পাগলে কাঁচা মাছ ইট পাথর চিবিয়ে খায়।
যেকোনোভাবে তোমাদের বাসায় কেউ পানির কল
ছেরে রেখেছিল। যদি তা না হয় তাহলে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেবেন ব্লগের মুজিবুর রহমান।
তারপর বলো কেমন আছো?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা......... তার কোনই সম্ভাবনাই নেই। আগেই বলেছি আপু।
ব্লগের মুজিবুর রহমান ভাইয়ের ব্যাখ্যার জন্য অপেক্ষা করছি।
আপুরে ভালো আছি, কিন্তু যথারীতি বিজি। করোনায় এবার সামারে রীতিমত গৃহবন্দী ছিলাম। এখন একটু আধটু বের হই। তার বেশী দূরে যাই না।
তোমার খবর বলো?
১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহা এ কি হলো, রহস্য রহস্যই থেকে গেলো
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সোহানী বলেছেন: সে আর কইতে রে আপু, কই থেইকা যে কি হইলো।
১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
ঢুকিচেপা বলেছেন: গল্পটা পড়ে মজাই লাগলো।
এ প্রসঙ্গে যেটা বলতে পারিঃ
“ এমন কি বাথরুমের কলের নীচে আধা বালতি পানি পড়ে আছে।”
এই কল ছাড়াও হয়তো অন্য কল ছিল যেটা মনের ভুলে খোলা ছিল এবং সেটা দিয়েই পানি পড়েছে।
যেহেতু রাতের বেলা ছাদের ট্যাঙ্কে অল্প পানি ছিল, সে পানি সম্পূর্ণটা পড়ে শেষ হয়ে গেছে।
ভুত যদি ভয়ই দেখাতে চাইতো তাহলে এক গ্লাস পানি ঘুমন্ত অবস্থায় সবার গায়ে ছিটিয়ে দিলেই কাজ হয়ে যেত।
যাইহোক আপনারা ভয় পেয়েছেন এটাই বড় কথা!!!!!!!! না হলে এই গল্পটা জানা হতো না।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
সোহানী বলেছেন: উহু হলো না। আগেই বলেছি রান্না ঘর বা ডাইনিং এর বেসিনের কল অনেক দূরে আর ডিভাইডারের আগ পর্যন্ত ডুবেছিল।
আমার বাবা অসম্ভব বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ। অনেকবারেই উনি সবার সাথে ভুতের চ্যালেন্জ দিয়েছেন। ঘটনার পর বাবা এবং উনার একজন বন্ধু যিনি উকিল ছিলেন এসে সব সম্ভাবনা চেক করেছিলেন। কিন্তু কেউই এর সমাধানে আসতে পারেননি। এছাড়াও আরো কিছু ঘটনা সেই সময়ে ঘটেছিল, যার ব্যাখ্যা ও পায়নি। সেসব নিয়ে আসছি পরে।
১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২২
নীল আকাশ বলেছেন: হাতে সময় নিয়ে এই পোস্টে আবার ফিরছি আমি............।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সোহানী বলেছেন: পানি ভুত নয় আসল ভুতের কাহিনী নিয়ে আসবো, তখন আলোচনায় বসবো।
১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১
ওমেরা বলেছেন: কি মজা ! আপু আমি হলে তো ভয় না পেয়ে আনন্দে সাঁতার শুরু করে দিতাম।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সোহানী বলেছেন: সাঁতারের অবস্থা ছিল না রে... । ভয়তো পেয়েছি পরে যখন কোন ব্যাখ্যা পাইনি আমরা।
১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। তিনতলায় আচম্বিতে বন্যা। জাল ফেলে দুচারটা মাছ-টাছ ধরার ব্যবস্থা করেন নি।
কেউ কি বরফের চাঁই ঘরের ভেতরে গোপনে ফেলে দিয়েছিল নাকি আপনার পড়ুয়া আপাকে ভয় দেখানোর জন্য.....।
মজার ও বিরাট পানি ভূতের অভিজ্ঞতা.......
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সোহানী বলেছেন: আহারে পানির সাথে যদি মাছও ছাড়তো । ক'দিন মাছ কিনতে হতো না...............
জানালা সম্পূর্ন বন্ধ ছিল যা দিয়ে পানি বা বরফ দেবার কোন সম্ভাবনাই ছিল না। তার উপর জানালায় কোন কার্নিশ ছিল না, আগেই বলেছি।
আপনার খবর কি?? অনেকদিন কোন খবর নাই!! মিশরে হারালেন কিনা???
১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: জনতা ব্যাঙ্কের ঐ বিল্ডিং আমার এখন ।
করোনেশনের শিক্ষক ইসহাক স্যার আমার দুলাভাই , মারা গেছেন ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০২
সোহানী বলেছেন: হাঁ আমি চিনিতো ওই বিল্ডিং।
ইসহাক স্যার, নামটা খুব চেনা মনে হচ্ছে। উনার কি দাঁড়ি ছিল? আমি থাকাকালিন একজন শিক্ষক হঠাৎ ই মারা গেছিলেন।
১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি ভূতে বিশ্বাস করি। কাজেই ভুত নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই।।উপরের সব যুক্তিগুলো মাথায় নিয়েও বলবো আপু, আমার মনে হয় সেদিন রাতে কয়েক জন ভুত মিলে ওখানে টয়লেট করেছিল,যাতে আপনারা ভয় পান। তবে আপনাদের জায়গায় আমি হলে নিশ্চিত ভয় পেতাম।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৪৮
সোহানী বলেছেন: আপনি যদি বলতেন গোসল করেছিল তাহলে মানতাম, কিন্তু টয়লেট মানতে পারছি না। কারন যে পরিমান পানি সেখানে ছিল তা গোসলেও লাগে না। অনেকটা মিনি সুইমিং পুল তৈরী হয়েছিল।
২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩২
মা.হাসান বলেছেন: আমি বিবাহিত , কাজেই জিন ভুত সব কিছুতেই বিশ্বাস করি; কিন্তু জগতে ভয় পাই একটা জিনিসেই। আপনার বাসায় হঠাৎ বন্যার ঘটনা পুরোপুরি বিশ্বাস করি।
প্রায় ৪৫ ঘন্টা আগে, রাত দেড়টার দিকে দেখি ঘরের মেঝেতে পানি। বের হয়ে দেখি পুরো ঘর থই থই। ওয়াশিং মেশিনের ড্রেইন পাইপ কি ভাবে যেন লুজ হয়ে গেছে। মেশিনে ওয়াটার লেভেল ফুল দিয়ে চাদর ধুচ্ছিলাম। প্রায় ৪০ লিটার পানি ঘর মুছে পরিস্কার করতে হলো। ভুতের চেয়ে এটা কম ভয়ানক না কিন্তু।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫২
সোহানী বলেছেন: আর ধুর মিয়া কইথেইকা কি!!! ওয়াশিং মেশিনের ড্রেইন পাইপ ফাটা আর তিনতালার বাসা পানিতে সয়লাব রে এক করলেন কি বুইঝা। একটু ভাব নিয়া ভয়টয় পাবেন, তা না, আসছেন ফাটা পাইপ নিয়া। বলি, ওয়াশিং মেশিনে চাদর দিয়া কি পাইপের সাথে মারামারি করতে বসছিলেন???
২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বলেন কি..... তাই নাকি। জানা ছিল নাতো। রুপসী সেতুতে অনেকবার গেছি। আগে জানলে তাদের একটু আধটু খবর নিতাম। আমিতো জানি বুলু না জানি কি নামের এক মাস্তান ছিল, সেই সব কিছুর নিয়ন্ত্রন করতো সেখানের।
বুলুকে যখন চিনেন তাহলে আর কিছু বাকি থাকার কথা না।
রুপসী সেতু হওয়ার আগে সেখানে অনেক ভূত ছিলো। আশে পাশের লোকদের জিজ্ঞেস করলে সত্যতা জানতে পারবেন। একদিন রাতের বেলা রুপসী সেতুতে যাবেন। যদিও সেতুতে অনেক আলো। আপনি সেতুতে দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকাবেন। তাহলে কিছু দেখতে পাবেন।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৮
সোহানী বলেছেন: প্রবলেম ভুতেরা এখন ঘোরাফেরা কম করে। চারপাশে এতো আলো যে ওরা পালিয়ে বাচেঁ।
যাহোক, রুপসী সেতু হওয়ার আগেও সেখানে গেছি, আবার পরেও গেছি। কিন্তু দু:খের বিষয় কখনই কিছু দেখি নাই। তবে আমরা ওই বাসায় থাকাকালীন আরো অনেক কিছু ঘটেিছিল। সেটা নিয়ে পরে আসছি।
২২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১২
যায়েদ আল হাসান বলেছেন: "ভুত যদি ভয়ই দেখাতে চাইতো তাহলে এক গ্লাস পানি ঘুমন্ত অবস্থায় সবার গায়ে ছিটিয়ে দিলেই কাজ হয়ে যেত।"
আপনার চিন্তার ধরণ বিস্মিত হবার মত - ঢুকিচেপা সাহেব।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৮
সোহানী বলেছেন:
২৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিছু ব্যাপার আসলেই ব্যাখাতীত।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৪
সোহানী বলেছেন: কখনো কখনো............
২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২১
শেরজা তপন বলেছেন: সবগুলা সম্ভাবনাই আপনারা বারবার খতিয়ে দেখেছেন-তাই আর নতুন করে কিছু বলের নেই!
ধরে নিলাম এটা ভূতুড়ে ঘটনা
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৫
সোহানী বলেছেন: ভুতুরে আমি মানতে নারাজ কিন্তু ব্যাখ্যাও পাইনি কোন্
২৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
ভুত নিয়ে এতো দেখি গপ্পের সেই নাপিতের ঝুলি থেকে একের পর এক বাঘের মুখ বের করে আনার গপ্প। আপনারও তো অনেক ভুত, তাইতো শিরোনাম - "আমার যত ভুতেরা.."।
একখানা তো আজ দেখালেন, বাকীগুলো দেখবো কবে ?
ঘরের মেঝে পানিতে ভেসে যাওয়া অনেকের বাসাতেই ঘটে। কারন তো একটা না একটা থাকেই। সেটাই অনেকে খুঁজে পায়না বলে ভুতুরে মনে হয়।
মিরোরডডল এর ব্যাখ্যা যুক্তি সঙ্গত।
আপনার ভুতেদের কথা লিখলেন অথচ আমরা কেউ কেউ ভয় পাচ্ছিনে, এটা নিয়ে আবার অদ্ভুতুরে কান্ড করে বসবেন না যেন!
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৩
সোহানী বলেছেন: আরে আফনেরে কেডাই কইলো আমি ভয় দেখাইতে বসছি। একদমই ঠিক না, আমি এর পিছনের ব্যাখ্যা চাচ্ছি যার সমাধান আমরা আজো করতে পারিনি।
সত্যি বলতে কি, এ ঘটনার পর আব্বুও ও উনার বন্ধু সহ অনেকেই এর সম্ভাব্য কারন খতিয়ে দেখেছিল কিন্তু কোন হিসাবই মিলাতে পারেনি। আমি তখন যথেষ্ট ছোট ছিলাম তাই অতো ব্যাখ্যা মনে নেই। তবে এটা ছেড়ে দেবার মতো মানুষ আমার বাবা নয়। উনি বিজ্ঞানের বাইরে কিছুই বিশ্বাস করেন না। তাই পানি ক্লিন করার আগে সব সম্ভাবনাই যাচাই করেছিল। এবং যতটুকু মনে পড়ে প্রায় ১৭ বড় বড় বালতি হয়েছিল। কারন বাবা সবকিছুর হিসাব রেখেছিল তখন।
ঘরের ভীতর থেকে কোনভাবেই পানি আসেনি। বাইরে থেকেও সম্ভব ছিল না। আর এ আধুনিক যুগে ভুত তিনতালা বেয়ে আসার কথাও না। তাই বিষয়টা বেশ চিন্তার ছিল সে সময়ে। এ ঘটনার পর পুরো ছয় তালা বিল্ডিং এর সবাই এসেছিল দেখতে। কিন্তু কেউই এর সমাধান দিতে পারেনি।
বাকি ভুতগুলারে ধরতে বের হয়েছি, সময় সুযোগ মতো হাজির হবে
২৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: মা.হাসান বলেছেন: আমি বিবাহিত , কাজেই জিন ভুত সব কিছুতেই বিশ্বাস করি; কিন্তু জগতে ভয় পাই একটা জিনিসেই। আপনার বাসায় হঠাৎ বন্যার ঘটনা পুরোপুরি বিশ্বাস করি। আহারে ভাই! আপনার লাইজ্ঞা খুব মনে ব্যথা পাইলাম!
পানির সমস্যা ভয়াবহ ঘটনা হলেও, একরাতে এত পানি কোন পানির লাইন লিক থেকে হবার সম্ভবনা নেই।
যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে গেলে একটাই রিজন আসে। আপনার বড় বোন সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য এইকাজ করেছে।
অনেক ভুতের নাম শুনেছি, তবে জল ভূতের নাম প্রথম শুনলাম।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৭
সোহানী বলেছেন: আমার বোন একটু ভীতু বটে কিন্তু প্রায় ১৭ বালতি পানি সারা রাত ধরে টানার মতো তার গায়ে যথেস্ট শক্তি ছিল না। বরাবরেই সে রোগা............। আর বাসায় কোন পানির পাইপ ও ছিল না। জল যে ভুতই ফেলেছে তারও কিন্তু কোন প্রমান নেই। তবে এখনো ব্যাখ্যা খুজেঁ ফিরছি। এখনকার দিন হলেতো ভিডিও করে রাখতে পারতাম। তবে যেটা ভুল হয়েছে বাসায় ক্যামেরা থাকার পরও ছবি তুলতে কারো মনে নেই।
২৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
জুন বলেছেন: আপনার পোস্টে এত্তগুলা লাইক সোহানী ভয় না পাওয়া ভুতের গল্প লেখার জন্য। সেদিন আখেনাটেন এর পোষ্টে বল্লাম আমরা থাকি ৮ তালায়। ডাইনিং চারিপাশে কোন সানসেড, বারান্দা, বা বাসা কিচ্ছু নাই তিনটা খালি প্লট শুধু। বল্লাম টেবিলে ইলিশ মাছ ভাজা রেখে কি জানি আনতে গেছি কিচেনে দেখি সরু এক কাকলাস হাত টেবিল থেকে মাছ তুলে নিচ্ছে জানালার থাই এর নেটের ভেতর দিয়ে। তাইতে আখেনাটেন বল্লো সেটা নাকি দুলাভাইর হাত, আমি ঠিকমত খেতে দেইনা তাই সে চুরি করে খাচ্ছে। আমার এই মহাভুতীয় কান্ডের উত্তরে তার এই জবাবে আমি বড়ই কষ্ট পাইলাম। আখুর সাথে দেখা হলে বইলেন।
আর খুলনায় পানিতে লবন বেশি থাকায় নিজে নিজেই পাইপ ক্ষয় হয়ে যায়। আমরা তিন মাস ছিলাম তখন বেসিন ভেংগে পরেছিল নীচের এংগেল নোনায় ক্ষয় হয়ে।
প্লাস দিয়ে গেলাম সোহানী।
+
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা..... এত্ত্ বড় আপবাদ আখেনাটেন ভাই দিতে পারলো!!! আপনি নিজে না খেয়ে দিনে পর দিন দুলাভাইরে খাওয়াতে যেয়ে নিজের লো প্রেশার বানিয়েছেন, সে খবর জানার পরও এটা সে বলতে পারলো!!!!!!!!
খুলনায় লবন পানি থাকলেও তার সম্ভাব্য সব কারনও বাবা খতিয়ে দেখেছিল কিন্তু কোনভাবেই হিসেব মিলাতে পারে নাই। আমি ভুতের সিরিজ শুরু করলেও এটা মোটেও কাউকে ভয় দেখানোর চেস্টা করিনি বরং ব্যাখ্যা চেয়েছি
আপনার ভুতের সিরিজ কি আমি মিস করেছি?? দাঁড়ান দেখে আসি........
২৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভুতের ছবিটা কিছুটা ভয়ের, ততটা নয়। গল্পটা একটা অস্বাভাবিকতার, এতে কেউ ভয় পেলেও পেতে পারে, আবার নাও পারে। তবে কিছুটা এরকম অস্বাভাবিকতা আমাদেরও হয়েছে। ভয়ে ভয়ে অপেক্ষায় আছি, আরও হয় কিনা তা দেখতে। আবারও তেমন কিছু একটা হলে না হয় আমিও লিখে ফেলবো একটা ভুতের গল্প!
পদ্ম পুকুর এর অভিজ্ঞতাটা তাও কিছুটা ভয়ের। বিশেষ করে পরের দিন পুরো মাঠ পরিষ্কার হয়ে যাওয়াটা। যদি কারো পক্ষে অত বড় ঢিল ছোঁড়াটা সম্ভব হয়েও থাকে, উদ্দেশ্য হাসিলের পর গায়ে গতরে খেটে সেগুলো আবার পরিষ্কার করে যাওয়াটা বাঙালি পোলাপানের কম্ম নয়। জাপানি হলে সম্ভব ছিল।
কান্নার ব্যাপারে আমার প্রয়াত বড় বোনও আপনার বড় আপুর মত ছিলেন, তবে পড়ার ব্যাপারে নয়।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৫
সোহানী বলেছেন: আপনার ভুতের গল্পের ঝুঁড়ি এখনো ওপেন করেননি!!!!! তাড়াতাড়ি খুলে বসেন, আমরা কিছু নতুন ভুতের দেখা পাই।
আসলে এটা ভয় দেখানোর জন্য ভুতের গল্প নিয়ে কিন্তু বসিনি। জাস্ট ব্যাখ্যা করার চেস্টা করছি নিজের মনেই। যার কারনে এতো বেশী বাসার বর্ননা দিচ্ছি। এ আধুনিক যুগে ভুতরা খুব একটা ধারে কাছে আসে না। তবে পুরো ঘটনায় আমরা বেশ অবাক হয়েছিলাম। আজ থেকে এতো বছর পর লিখতে বসে অনেক খুটিঁনাটি হারিয়ে ফেলেছি। মোটা দাগের স্মৃতি হাতড়েই লিখলাম। তাই অনেক কিছুর ডিটেইলস লিখি নাই। তখন আমি ক্লাস সেভেন ও পড়ি, বহু দিন আগের ঘটনা B।
পদ্ম পুকুর এর অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন হলেও আমি বলবো উনি অনেক দিন পর লিখছেন বলে সেখানেও অনেক কিছু মিসিং। তাই এর ব্যাখ্যা দেয়া কঠিন।
হাহাহাহা.......... আমার বোন এখন সরকারী মেডিকেল কলেজের হেড অব ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু কান্নাকাটির স্বভাব এখনো আছে। বাসায় এ অভ্যাস আর কেউই পায়নি কিন্তু আমার মেয়ে এখন শুরু করেছে। কিছু বলার আগেই চোখ দিয়ে টপাটপ জল পড়তে থাকে। আরে, কিভাবে এতো পানি চোখে ধরে রাখতে পারে তা একটা বিস্বয় ।
২৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮
জাহিদ হাসান বলেছেন:
আমার এইরকম একটা ভুত লাগবে। থুক্কু এইটা তো Ghumio (Nine Tailed Fox)
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৫
সোহানী বলেছেন: জ্বী সমস্যা নাই। ফেবুতে খুঁজলেই পাবেন.........
৩০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ সময় খুলনায় ছাদে দাঁড়ালে প্রচুর নারকেল গাছ দেখা যেত।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৭
সোহানী বলেছেন: এখনোতো আছে যথেস্ট। খুলনায়ই বরং অনেক ভালো ও প্রশম্ত রাস্তা আছে সাথে গাছ পালা।
৩১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: Aquaman
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৮
সোহানী বলেছেন: বাট পানির সাথে কোন Aquaman ছিল না.........
৩২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: Woman ছিলো।
আপনার বোন AQUA WOMAN
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩৯
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা........... আমার বোন ভীতুর ডিম। এ রুম থেকে ও রুমে যেতেও ভয় পেতো।....
৩৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০
করুণাধারা বলেছেন: আমি সবগুলো ভৌতিক গল্পের তালিকা করছিলাম, তাই আগে আসতে পারিনি। এই গল্প তালিকায় ৩৪ নম্বরে।
অব্যাখ্যাত ঘটনাটা পড়তে ভালোই লাগলো। এমন অনেক ঘটনাই আছে যার কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না...
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪১
সোহানী বলেছেন: আমারটাতো ভুতের গল্প নয়। ভুতের গল্প বললে ভুতরা হাসাহাসি করবে .........।
তারপরও অনেক ধন্যবাদ ভয় না পাওয়া ভুতের গল্প স্থান দেবার জন্য।
৩৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মনে হয় পাইন্না ভূতের কাজ আপু
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৪
সোহানী বলেছেন: তা ছাড়া আর তো কাউরে পাইলাম না
৩৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০০
ইফতি সৌরভ বলেছেন: আমাদের বাসাতে দিনের বেলা একবার এরকম হয়েছিল। ছোটভাই বালতি ভরার জন্য ট্যাপ খুলে দিয়ে টিভি দেখতে বসে। এদিকে হ্যাঙার থেকে কাপড় পানি বের হবার হোল এ পড়ায় পানি ঠিকমতো ড্রেন হতে পারে নি, ফলাফল তার ঘরে বন্যা! পানি পড়তে পড়তে ট্যাংক ফাঁকা হওয়ায় পানি পড়া বন্ধ হয়। তখন এ রকম ভূতের একটা অবতারণা হয়। যদিও মিল নেই, তবু মনে পড়ে গেল।
আগে বাসায় পানির পাইপ লোহার হতো আর লবণের কারণে তা ক্ষয় হতো বেশি। আপনার আপুর যেমন কোন দোষ নেই এ ঘটনায় তেমনি হয়তো আপনাদের কারো হাত নেই। তিনতালার ড্রেনেজ সিস্টেম ব্লক হবার সম্ভাবনা কম। পানির পাইপ ঘরের দেয়ালের মধ্যে দিয়ে যায় আর এগুলোর কোন অংশ ফুঁটো হলেও সরাসরি দেখা যায় না কারণ প্রথমে চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। এ ঘটনার পর কি পাইপ লাইনে কোন পরিবর্তন করেছিলেন আপনার বাবা?
আশা করি পরের গল্পতাড়াতাড়ি পাবো।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৭
সোহানী বলেছেন: পাইপ লাইনে কোন পরিবর্তন করেননি কারন ওটা ভাড়া বাসা? তবে পানি আর পাইনি কিন্তু আরো বেশ কিছু ঝামেলায় পড়েছিলাম। পরে শুনেছিলাম আরো অনেকের সাথে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল।
৩৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
তিন তলায় বন্যা !
দারুন শক্তিশালী ভুত ।
সেদিন বাজার হতে কি কোন মাছ
কিনে আনা হয়েছিল ?
তাহলে অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ।
আর যদি তা না হয়ে থাকে তবে চিন্তার
বিষয় বটে ।
এখানে একটি কথা না বললেই নয়-
আমি বাথ রুমে এমন কান্ড প্রায়ই ঘটাই ।
হাত মুখ ধোয়ার পরে বেসিনের পানির টেপ তো
ভুলে খুলে রাখিই , এতে বয়লারের উপর চাপ পড়ে বটে।
তবে বেসিনে পানি নির্গমন পথ খোলা থাকে বলে
তেমন বড় ধরনের বন্যার সৃষ্টি হয়না বলে কিছুটা রক্ষা।
কিন্তু বিবিধ কারণে ওয়াশিং মেসিনে কাপড় ধোয়া
আমি বিশেষ পছন্দ করিনা বলে বিপত্তিটা ঘটে
সেখানে । কারণ আমি বাথ টাবে গরম পানি
ছেড়ে দিয়ে তাতে ওয়াশিং লিকুইড ঢেলে দিয়ে
সারা রাত কাপড় চুবিয়ে রাখি । সকালে কাপড়
ময়লা পানি ছেড়ে দিয়ে কাপড় কাচার গরম পানির টেপখান
খুলে দিয়ে আসি । মাঝে মাঝে পানির টেপ বন্ধ করতে
রাতেও ভুলে যাই, দিনেও ভুলে যাই । বিশেষ করে
যখন মাথায় কোন লেখার ভুত চেপে বসে ।
এই ভুলের কারণে বাথ টাবের পানি উপচে পরে
বাথরুমের মেঝে বন্যার পানির মত ভেসে যায় ।
বন্যাটা প্রথমেই টের পায় গিন্নী ।ফলাফল সেদিন বাসায়
উর্ধচাপ আর নিন্মচাপ দুটাই দারুনভাবে ঘনিভুত হয়।
ঝড়ের বেগে ধরে নিয়ে গিয়ে বলে এটা কোন লেখার
ভুতের কাজ!!!
ভুত যে কত প্রকার ও কোন ভুতের কি কাজ
সেসব পরের পর্বে দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
গল্প ভাল লেগেছে।
আমারো ভুতের গল্পের একটি পর্ব
আসতেছে দিন কয়েকের মধ্য ।
শুভেচ্ছা রইল
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৭
সোহানী বলেছেন: কোথায় কি .... একটু ভাব নিয়ে রহস্য উদ্ধারে নেমে পড়বেন!! তা না করে বাথটবের পানি ছেড়ে দিলেন আমার এমন রহস্যময় গল্পে ..........হাহাহাহাহা
বলেন কি??? হাতে কাপড় ধুতে যান মানে?????? ওয়াশিং মেশিন বাদ দিয়ে হাত কাপড় ধুতে যান, পানি ভুততো আপনাকেই ধরবে.... । তাহলে কাপড়গুলো শুকান কিভাবে? ........... এতে প্রমানিত হয় আপনার হাতে যথেস্ট সময় আছে???
আগে আমি যে এ্যাপার্টমেন্টে থাকতাম সেখানে আমার প্রিয় কাজগুলোর একটা ছিল লন্ড্রিরুমে যাওয়া। কারন সেখানে কাপড় দিয়ে ৪০ + ৪০ = ৮০ মিনিট আমি পাশের সুইমিং পুলে বসে থাকতাম। ভালো সময় কাটাতাম।
দু:খিত অনেক দেরীতে উত্তর দেবার জন্য। অনেক অনেক বিসি আছি ক'দিন!
৩৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার ভুত আজকে আমার ব্লগে আছর করেছে।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৮
সোহানী বলেছেন: অপলাইনে পড়া শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারিনি। একটু সময় নিয়ে পড়ছি। আপনার লিখা মানে বাড়তি মনোযোগ
৩৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এতদিন কোথায় ডুব দিয়েছিলেন ।
ভুতের রহস্য উদ্ধার বড় জটিল কর্ম
আমার মত মাথা মোটার কাজ এটা নয়
সুক্ষ কাজে আমি বড় অসহায়,তাইতো
দেখেননা যেন তেন বিষয়ে আমার
লেখা কত লম্বাচুড়া হয়ে যায় ।
কাপড় ধোতেও আমার সময় লাগেনা .
বগলদাবা করে কাপড়গুলি বাথ টাবে রেখে
দিয়ে পানির টেপ খুলে দিলেই হয় ।
তবে মিনিট দুয়েক দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
মোটামোটি পানি জমলে টেপ বন্ধ করলেই
আমার কাম শেষ । টেপ বন্ধ না করলেই বিপদ ।
যা মাঝে মাঝেই ঘটাই আর ঝামেলা বাধাই ।
আর কাপড় শুকানোতে আমার কোন সময়ই লাগেনা ।
বাকিটা গিন্নীর কাজ। ঘরে ফিট করা আছে
Miele washing machine with dryer
সেখানে কাপড়গুলি বাথটাব থেকে উঠিয়ে নিয়ে
মেশিনে ডুকিয়ে টাইম সেট করে বোতাম টিপে
দিলেই তার কাম শেষ । তবে মেশিন হতে
পরে যে কোন সময়ে শুকনো কাপড় বের
করতে হবে এ বান্দাকেই।
টাইম সেট করতে বিপত্তি ঘটাই বলে
ড্রায়ার মেশিনে আমার প্রবেশ নিষেধ ।
তবে মিল মিশ করে কাপড় কাচায়
ছেলে মেয়ে হয় বেজায় খুশী ।
১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫৩
সোহানী বলেছেন: হাহাহা..... ওয়াশ করেন হাতে আর ড্রায়ার করেন মেশিনে!!! .. কাপড় ধুয়ে সেগুলোকে নিয়ে বেইজমেন্ট পর্যন্ত যাওয়াই তো বিশাল ঝামেলার কাজ!!
হাহাহা.....টাইম সেট করতে বিপত্তি ঘটাই বলে ড্রায়ার মেশিনে আমার প্রবেশ নিষেধ ।
মনে হয় ড্রায়ারে কাপড় দিতে দিতে লিখার চিন্তায় বিজি হয়ে পড়েন। তাই এ বিপত্তি ঘটে। মেশিন অন করতে ভুলে যান। আমি অবশ্য কাপড় দিয়ে মোবাইলে এ্যালার্ম দিয়ে রাখি। যাতে সময় মতো সব করতে পারি। আমি নিজেই মেশিনের মতো কাজ করি। তাই প্রতিটি কাজেই বলতে গেলে টাইম সেট করে রাখি। পুরাই এখন মেশিনের মতো চলি। তাই ব্লগে কম আসতে পারি কারন রুটি রোজগারের ধান্দায় ওইখানে বেশী সময় দিতে হয়।
৩৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: ডোন্ট মাইন্ড প্লিজ! কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো..... ভূতেরা ছোট কাজ করে ভাসাইয়া দেয়নি তো????
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৪৯
সোহানী বলেছেন: হুম! যে পরিমান পানি ছিল তাতে ছোট কাজ করার জন্য ভুতের রাজ্যের সব ভুতদের নিয়ে আসতো হতো .........
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
বাথরুম অথবা বেসিনের কোথাও একটা ট্যাঁপ খোলা ছিল যে কারনে পানিতে সয়লাব । যার হাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে, সেই ট্যাঁপ বন্ধ করেছিল অন্য কেউ দেখার আগে । ভয়ে হয়ত আর স্বীকার করেনি । বাই দ্যা টাইম বড় আপু দেখে আর ভয় পেয়ে যায় ।
সেই কেউ একজন বড় আপুও হতে পারে অথবা যে কেউ