নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিতা কইতাম, কওনের ভাষা নাই আমার!!... আমার বকবক পোষ্ট!!!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৫



আচ্ছা বলেনতো নারীর জরায়ুর স্বাধীনতা বলতে কি বোঝায়? কিংবা এর সাথে নারী স্বাধীনতার সম্পর্ক কি? আর "মুসলিম নারীরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সতী ও পবিত্র নারী" বলে একজন ব্লগার দাবী করেছেন। তো ভাই, "শ্রেষ্ঠ সতী ও পবিত্র নারী" নারী বলতে কি বোঝায় তা কি কেউ আমারে একটু বুঝায়ে দিবেন?

ওয়েল, এবার বলেন তো ভাইয়েরা...

এ পৃথিবীর কত ভাগ মেয়ে বহু বিয়ে করে?
কতজন ভদ্দরলোক কাজের মেয়েকে রেপ করে?
আশেপাশের নিরীহ ৫ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে কারা রেপ করে?
বাসের মাঝে নিরীহ স্কুলগামী বা গার্মেন্সটস্ থেকে ফেরা মেয়েকে কে রেপ করে?
চারটা বিয়ে করার জন্য ইনিয়ে বিনিয়ে যুক্তি জাহির করে একটার পর একটা কারা বিয়ে করে?
নিজের সুন্দরী বউ থাকার পরও পরকীয়া/উপপত্নী করা রাখে?
সৈাদীর মতো আরব রাস্ট্রগুলো থেকে বছরে কতগুলো মেয়ে রেইপড্ হয়ে লাশ হয়ে ফেরে?
স্কুলের হেডমাস্টার, বাসার টিউটর, পরিমল, পান্না মাস্টার..... ওরা কি ছেলে নাকি মেয়ে?
দেশে কতজন মেয়ে প্রতিদিন অত্যাচিারিত হয়, লাশ হয় কার দ্বারা?
দেশে কয়টা পতিতালয় আছে আর তাদের খদ্দের কারা?

আসলে বলতে গেলে একটা বড় অংশই মেয়েদেরকে শুধু একপিন্ড জড়ায়ু ভাবে। এর বাইরে কিছুই নয়। যে জড়ায়ু পিন্ডকে চাহিবা মাত্রই দিতে বাধ্য থাকিতে হইবে। সেটা স্বামী হোক, চাচা/মামা/ফুফা/দুলাভাই/চাচাতো/মামাতো/খালাতো/ফুফাতো ভাই হোক, স্কুল/মাদ্রাসা/কলেজের শিক্ষক হোক, বাস/সিএনজি এর ড্রাইভার হোক, গৃহকর্তা হোক, প্রতিবেশী হোক, রাস্তার ঝাঁড়ুদাড় হোক, রাস্তার বখাটে ছেলে হোক, অফিসের বস হোক, সহকর্মী হোক..... চাহিবা মাত্রই কাপড়-চোপড় খুলে শুয়ে পড়তে হবে। নতুবা তোমাকে মৃদু আঘাতের নামে হাত পা ঝলসে দেয়া হবে, সন্মান রক্ষার নামে গলা টিপে ধরা হবে, শিক্ষা দেবার নাম করে এসিডে ঝলসিয়ে দেয়া হবে। যেহেতু সৃষ্টিকর্তা তোমাকে কম শক্তিশালী করে পাঠিয়েছেন তাই তোমাকে পুরুষের দাসত্ব মেনে নিতেই হবে।

মেয়ে মানেই হলো গলা উঁচু করে কথা বলা যাবে না, চার দেয়ালের বাইরে যাওয়া যাবে না, নিজস্ব চিন্তা ভাবনা ইচ্ছা চাহিদা বলে কিছু থাকবে না, কোন পুরুষ সদস্যের অনুমতি ছাড়া কিছু করা যাবে না, সকল পুরুষ সদস্যদের মনোরন্জন ও তাদের ইচ্ছার বাস্তবায়ন করাই প্রতিটি নারীর অবশ্য কর্তব্য। শরীরের প্রতিটি অংশ বিশেষভাবে ঢেকে রাখতে হবে যাতে পুরুষশ্রেণী তা দেখা মাত্রই উত্তেজিত না হয়ে পরে। কারন কাউকে উত্তেজিত হবার দায়ভার তোমাকেই নিতে হবে।

তুমি বেশী দূর শিক্ষিত হতে দেয়া হবে না কারন তোমার শিক্ষা তোমাকে বিপথগামী করবে, তুমি পর-পুরুষের সাথে মিশে নষ্টাভ্রষ্টা হবে আর নিজের আখেরাত নষ্ট করবে। শুধু নিজের আখেরাতই নয় পরিবারের সবার নিশ্চিত বেহেস্ত থেকে বঞ্চিত করবে। তুমি শুধুই হবে সন্তান উৎপাদনকারী মেশিন এর বাইরে নয় কিছুতেই। তুমি হবে গৃহকাজে পটু একজন রোবট যাকে শুধু সময় সময় সোনা গয়না কাপড়-চোপড় দেয়ার মাধ্যমে চার্জ দেয়া হবে।

নারী জড়ায়ু স্বাধীনতার ব্যাখাকারীরা পশ্চিমা দেশের সাথে বিভিন্নভাবে তুলনা করেছেন নন-পশ্চিমা বা মুসলিম রাস্ট্রের মেয়েদের সাথে। আপনি জানেন কি, পশ্চিমা দেশের মেয়েরা কতটা সন্মানের সাথে বাচেঁ? এখানে নারীকে কোনভাবে অসন্মান করার কথা চিন্তাই করতে পারে না কেউ কি ঘরে কি বাইরে। এখানে নারীকে কেউ মেয়ে-মানুষ ভাবে না, ভাবে একজন মানুষ হিসেবে। আর তাই রাত বিরাতে একটি মেয়ে যখন খুশি ঘর থেকে বের হতে পারে, যেখানে খুশি যেতে পারে, আড্ডা দিতে পারে, হৈচৈ করতে পারে, নিজের ভালোলাগা মন্দলাগাকে জানাতে পারে, নিজের ভবিষ্যত নিজে গড়তে পারে, নিজের জীবনের ডিসিশান নিজে নিতে পারে। হাঁ, সত্য যে সেখানেও নারী নির্যাতন হয়, ধর্ষণ হয় তবে তা আমাদের দেশের তুলনায় শতভাগের একভাগ এবং তার বেশীর ভা্গই কঠিন আইনের আওতায় আনা হয় যদি ভিকটিম কমপ্লেইন করে।

আর তার পাশাপাশি সৈাদী মেয়েদের দিকে দেখেন! একেকটি মেয়ে যেন কৃতদাস, একেকটা পরগাছা। পুরুষদের বাইরে তাদের কোনই অস্তিত্ব নেই। একজন পুরুষ হাজারটা বিয়ে করার পরও কাজের মেয়ের সাথে সহজেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে বাবা ও ছেলে। ছি: ধীক্কার জানাই এ সমাজকে। যাদের কাছে যৈানতাই মূখ্য অন্য সব বিষয় গৈাণ। আর নারী তাদের কাছে সেই জড়ায়ু পিন্ড ছাড়া কিছুই নয়। সেখানে কোন মেয়ে এ পর্যন্ত কোন অন্যায়ের বিচার পেয়েছে? বিচার পেয়েছে কি সেখানে ধর্ষিত বা লাশ হয়ে আসা আমাদের দেশের করিমন, আছিয়া, রেখারা?

জনাব ব্লগার সাহেব, আপনি কি সেই মুসলিম সমাজের উদাহরন দিতে চাচ্ছেন? সেই অন্ধ সমাজে ফিরে যেতে বলছেন?? সেই বর্বর সৈাদী বা আরব রাস্ট্রের উদাহরন হতে বলছেন নারীদের?

থাক্ আর বাড়ালাম না এ লিখার দৈর্ঘ! শুধু আপনাদের কাছে করজোড়ে প্রার্থনা,

এ মেয়েগুলোকে ওদের মতো বাঁচতে দেন।
ওদেরকে বাঁচার পথে বাধাঁ দিবেন না।
ওদের জীবনের ডিসিশান ওদেরকে নিতে দিন।
ওদেরকে শিক্ষার পথ দেখান।
ওদের নিজেদের ভালো মন্দ নিজেদেরকে ভাবতে দেন।

সতী ও পবিত্র জড়ায়ুর মেয়ে নয় একজন সত্যিকারের মানুষ হতে পারে। যে মানুষ মেয়েমানুষ নয়, একজন সত্যিকারের মানুষ।

আর আপনাদের পুরুষ নয় শুধু নারীই সতী সাধ্ধী হবার এ চিন্তাধারাটা কতটুকু নি:কৃষ্ট, কতটা অপমানকর একজন নারীর জন্য তা বোঝার তৈাফিক দান করুক রাব্বুল আল-আমিন।

ভালো থাকুন সবাই।

মন্তব্য ৯৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৯৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৮

বিডি আইডল বলেছেন: সৌদি আরবে পরিস্হিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে গত কয়েক বছর। সালমান আধুনিকতা ঢুকাতে অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে। কট্টর পন্হিীদের সাথে তার বিরোধ এ নিয়ে

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০০

সোহানী বলেছেন: হয়তো কিছু পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু কতটুকু? সে অন্ধকার যুগ থেকে বের হতে পেরেছে কি?

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



এমন কিছু বিষয়ের আলোচনা ব্লগে মাঝে মাঝে হতে দেখি, যা বাস্তবিক পক্ষে অপ্রয়োজনীয় এবং কারও কারও জন্য অমর্যাদাকরও।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০২

সোহানী বলেছেন: কোন আলোচনাটা অপ্রয়োজনীয় ও অমর্যাদাকরও? নারীকে জড়ায়ুর পিন্ড বলাটা নাকি এর বিপরিতে কিছু বলাটা?

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপু,
আপনার পোস্ট পড়ে আমি কিঞ্চিত লজ্জা অনুভব করি।
কারণ আমি নিজেও বাংলাদেশের এক জন পুরুষ।

পোস্টে গোল্ডেন এ+

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭

সোহানী বলেছেন: আপনি কই রে ভাই? চাঁদগাজি ভাই খোঁজাখুঁজি করছে!

ভাইরে সবাইতো পুরুষ কিন্তু কয়জন মানুষ! মনুষত্বহীন পুরুষ মানুষের ভীড়ে সত্যিকারের পুরুষ মানুষ দিশেহারা।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নারীদের এই অবস্থার জন্য দায়ী পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ও ধর্ম।সমাজ আধুনিক না হলে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসা প্রায় অসম্ভব ।আইনের কড়াকড়ি প্রয়োগ হলে কিছুটা কমবে।মন মানসিকতার পরিবর্তন সবার আগে দরকার।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩২

সোহানী বলেছেন: সহমত শতভাগ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, ধর্ম, নারীকে প্রতিদ্বন্ধী ভাবা, সম্পদের ভাগ থেকে বঞ্চিত........... সব কিছুই দায়ী।

"মন মানসিকতার পরিবর্তন সবার আগে দরকার।"
কিন্তু কয়টি পরিবার মেয়েদেরকে তার প্রাপ্য সন্মান দেয়? খুব কম!

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

নতুন বলেছেন: পুরুষ চায় নারী চুপ থাক এবং পুরুষের কথা মেনে চলুক , প্রশ্ন না করুক এবং কোন কথা না বলুক।

হাদিসে নারীরাই সবচেয়ে জাহান্নামী বলে অনেক হাদিস আছে।
যার বড় কারন নারীরা স্বামীর বাধ্য হয়।

পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের প্রভাব ইসলামও মুক্ত হতে পারেনাই।

নারী কি করবে সেটার সিদ্ধান্ত নারীকেই দিতে হবে এটা মোল্যাদের মাথায় কখনোই ঢুকবেনা।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৯

সোহানী বলেছেন: পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের প্রভাব কোথাও মুক্ত নয়। শুধু দু:খ এ আধুনিক জীবনে এসেও আমরা সেই একই মন-মানসিকতা পোষন করি। এতো বিদ্যা, বিজ্ঞান, জ্ঞানের সহজলভ্যতা এখনো ওই নারীর জড়ায়ুর পবিত্রতার মাঝে আটকে আছে!! একটি নারীর জড়ায়ুর পবিত্রতা আছে কিনা এটাই সবচেয়ে বড় কথা আর সব কিছু মিথ্যে।

জ্ঞান, বুদ্ধি, বিজ্ঞান..... সব কিছু তুচ্ছ হয়ে গেছে এক জড়ায়ুর অপবিত্রতায়। জড়ায়ুর অপবিত্র মানে তুমি শেষ, তোমার জীবনের কোন মূল্য নেই, তুমি বাতিলের খাতায় নাম লিখিয়েছে, তোমার জ্ঞান, বুদ্ধি, বিজ্ঞান এর কোনই মূল্য নেই। সব মিথ্যে হয়ে গেছে এ লহমায়। কিন্তু যে পুরুষ এর সাথে জড়িত, যে নারীকে বানিয়েছে নষ্টা ভ্রষ্টা সে এখনো পুত:পবিত্র। তাকে পূজো করতে হবে সকাল বিকাল। ধিক্ এ সমাজকে!

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৮

রামিসা রোজা বলেছেন:
শুধুমাত্র আপনার এই লেখা দেখেই লগড-ইন হ'লাম ।
প্রতিটি কথাই অক্ষরে অক্ষরে সত্যি এবং আপনার সাথে আমি
যে কেউ একমত হবেন ।

নিজের সুন্দরী বউ থাকার পরও পরকীয়া/উপপত্নী করা রাখে?--- শুধুমাত্র এই পরকীয়ার কারণে অনেকেই
সংসার ছাড়া এবং সিঙ্গেল জীবন যাপন করছেন সন্তানসহ ।
মাঝেমধ্যে বলতে ইচ্ছে করে তারাও তো কোনো না কোনো
নারীর গর্ভেই জন্মেছে কিন্তু তারপরও নিজের স্ত্রীকে শারীরিক-মানসিকভাবে হেয় ও নির্যাতন করতে একটুও দ্বিধাবোধ করে
না ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি!

"নারীর গর্ভেই জন্মেছে কিন্তু তারপরও নিজের স্ত্রীকে শারীরিক-মানসিকভাবে হেয় ও নির্যাতন করতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না ।"

কারন তারা নারীকে মানুষ মনে করে না। এদের যে রাগ দু:খ কষ্ট ব্যাথা থাকতে পারে তাই তারা জানে না। তাই পরকীয়া কেন আরো কিছু করাকে কোন অপরাধই মনে করে না।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সুন্দর ও গঠনমূলক পোস্ট। নারীরা আবার মানুষ নাকি !! তাদের নির্যাতন করলে কিইবা এসে যায় !! - এইযে ধারণা মাথার উপর ভুত হয়ে বসে আছে সেটা আর কিছুতেই থামছেই না--
- নারী নির্যাতন যারা করছে তারা বক ধার্মিকও হতে পারে আবার আস্তিক, নাস্তিক, সমাজতান্ত্রিক, পূজিতান্ত্রিক তথা সব তান্ত্রিকই হতে পারে-----শুধুমাত্র একতরফা ভাবে ধর্মকে ঢালাওভাবে দায়ী করলে চলবে না --- ধর্ম কখনোই কোন অবস্থাতেই বলে নাই যে তোমরা যেয়ে নারীদেরকে ধর্ষন কর ----- কোরআন আর হাদিসের কিছু আয়াতের সামনে পিছনে না পড়ে এবং শানে নজুল না পড়েই শুরু করে দেয় তথাকথিত কিছু নাম সর্বস্ব প্রগতিশীল তথা মুক্তমনা ---
যাইহোক আমি দীর্ঘবছর ধরে শিশু সুরক্ষা, জেন্ডার এবং ওমেন এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে কাজ করছি-- আমি মনে করি- প্রতিটি পরিবারে শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয় থাকলে সব আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যাবে--যেমন: পারষ্পরিক শ্রদ্ধা /সম্মান, যে কোন বিষয় কাজ পারষ্পরিক শেয়ারিং করা, পরিবারে নারী-পুরুষ মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া, নারীদেরকে অর্থনৈতিক কাজের সাথে জড়িত করা / পরিবারের সম্পত্তিতে নারীর প্রবেশাধিকার থাকা, দ্বন্ব নিরসন করার কৌশল জানা, সবাইকে সম্মান করে কথা বলা, শিশুদের কথার দাম দেয়া, শিশুদের সুরক্ষা বিষয়ক ধারনা দেওয়া, শিশুরা এবং বড়রা সবাই সবাইকে সম্মান করাসহ আরো অন্যান্য +++++ আর এই বিষযগুলো কোরআন বা হাদিসে আছে। এমন পজিটিভ পরিবারের সদস্য দ্বারা কখনোই নারী বা শিশু নির্যাতিত হয় না --।
যারা জরায়ুকে টেনে হিচড়ে ছিড়ে ফেলে বা চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে নারী-পুরুষ মিলে গর্জে উঠতে হবে, সবাইকে সমান তালে কাজ করার বিকল্প নেই--

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৩

সোহানী বলেছেন: নারীরা আবার মানুষ নাকি !! তাদের নির্যাতন করলে কিইবা এসে যায় !!

এটাই বিশ্বাস বলেই এতো এতো নারী নির্যাতন। আর আমাদেরকে এতো এতো বক বক করে ওদেরকে সবক শেখাতে হয়।

হাঁ, আমিও মনে করি পারষ্পরিক শ্রদ্ধা /সম্মান, যে কোন বিষয় কাজ পারষ্পরিক শেয়ারিং করা, পরিবারে নারী-পুরুষ মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া, নারীদেরকে অর্থনৈতিক কাজের সাথে জড়িত করা / পরিবারের সম্পত্তিতে নারীর প্রবেশাধিকার থাকা, দ্বন্ব নিরসন করার কৌশল জানা, সবাইকে সম্মান করে কথা বলা, শিশুদের কথার দাম দেয়া, শিশুদের সুরক্ষা বিষয়ক ধারনা দেওয়া, শিশুরা এবং বড়রা সবাই সবাইকে সম্মান করা......... । বা এক কথায় সঠিক শিক্ষার মাধ্যমেই এর সমাধান সম্ভব।

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমার মনে হয় সততার অভাব এর একটি মূল কারণ। যেই ব্যক্তি তার জীবিকার বিষয়ে সৎ নয়, যে তার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারে না, যে মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয়, সেই ব্যক্তি তার স্ত্রী, পরিবার, তার আত্মীয়স্বজন, সমাজ কোনো কিছুর প্রতিই সৎ থাকতে পারবে বলে মনে হয় না। আর তার বাই-প্রোডাক্ট হিসাবে উপপত্নী, যৌন নির্যাতন, প্রতারণা চলে আসে | আমরা নিজেরা অসৎ হয়ে আশা করি আমাদের আশপাশ একদম পুতপবিত্র হয়ে যাবে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৪

সোহানী বলেছেন: আসলে এখানে সৎ অসৎ এর বিষয় নয়। মানসিকতার বিষয়। যারা সৎ তারাও যেমন বউ পেটাতে পছন্দ করে আবার অসৎও একই কাজ করে। কম বা বেশী। দরকার মানসিকতার পরিবর্তন। তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে।

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



অনেক মগজহীন ব্লগে স্হান করে নিচ্ছে আজকাল; কোন বিষয়ে এদের কোন সঠিক ধারণা নেই; নারী সম্পর্কে এদের ধারণা কিভাবে থাকবে!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা............. কিতা কইতাম, কই যাইতাম !! রাস্তা খুঁজতাছি!

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

আতিকুররহমান আতিক বলেছেন: আমি সেই লেখাটিও পড়েছিলাম যেখানে জরায়ু নিয়ে লেখা ছিল। আপনার পোস্টটি গঠনমূলক। তবে আমার যতদূর মনে পড়ে সেই নারীদের পবিত্র জরায়ু নিয়ে উক্তিটি করেছিলেন একজন ইহুদী মহিলা। যিনি ভ্রুনবিদ্যার গবেষক ছিলেন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০২

সোহানী বলেছেন: লিংক প্লিজ। কোন গবেষনার আগুপিছু না পড়ে বিশেষ অংশ পড়ে সেটা নিয়ে জ্ঞান জাহির করতে আমি রাজি নই। আর পোস্টটি ছিল একপাক্ষিক ও অশালীন।

১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আরে দুর কে কি লিখে ওটা নিয়ে তোমাদের আবার মন খারাপ হয়। সৌদি চারটা বিয়া করে, ওরা পাক্কা মুসলিম :D

আজ সৌদির গরম খবর পড়ো আপুনি।
https://m.mzamin.com/article.php?mzamin=256559

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১০

সোহানী বলেছেন: কিতা কইতাম, কই যাইতাম ভাইজান। কথা না কইয়া থাকবার পারি না............ সমস্যা।

১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের লেখাটা পছন্দ হইছে। এর অগ্রে কে কি কইলো, আর পশ্চাৎে কে কি কইলো সেই বিশদ আলোচনায় যাওনের দরকার নাই। আল্লাহ নারী-পুরুষ বানাইছে একে অন্যের পরিপূরক হিসাবে। উভয়ের প্রতিই উভয়ের দায়বদ্ধতা আছে। অহন কেউ যদি নিজের দায়িত্ব এড়ায়, এর দায় তার।

তয় এইটাও ঠিক, নারীদের দূর্গতির লেইগা পুরুষেরা যতোটা দায়ী; এর একটা বড় দায়ভার কিন্তু নারী গো উপ্রেও বর্তায়, পুরুষের সহযোগী নির্যাতনকারী হিসাবে। কি কইছি বুঝাইতে পারলাম তো! উদাহরন দেওনের কি দরকার আছে?

টেনশানে আছি......আবার চেইতা না যান। আপনের তো আবার ক্ষণে ক্ষণে চেত উঠে!!! :-B

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৩

সোহানী বলেছেন: আমার আবারো চেত উঠছে ভাইজান। আফনি অর্ধেক কতা কইছেন... "নারীদের দূর্গতির লেইগা পুরুষেরা যতোটা দায়ী; এর একটা বড় দায়ভার কিন্তু নারী গো উপ্রেও বর্তায়, পুরুষের সহযোগী নির্যাতনকারী হিসাবে।" কোন কিছুর ব্যাখা না দিয়া কনক্লুসানে আসছেন। না চেইতা কই যামু!!!!!!!!!!!

১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি দুইবার পড়লাম।

আপনি কম লিখেন, কিন্তু ভালো লিখেন।
আমি নারীদের সম্মান করি। হোক সে চাকরীজীবি বা বুয়া। অথবা একজন মা। তবে সমাজে কিছু দুষ্ট নারী আছে। এদের আমি সম্মান করি না।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ। সবাই আপনার মতো ভাবে না। ভাবলে সবাই আপনার মতোই চমৎকার একজন সুরভী ভাবীর মতো বউ পেতো ও সুখী হতো।

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নারীকে সম্মান করা, দেয়া একেক সমাজে একেক রকম।

নারীকে মানুষ হিসেবে সম্মান করাই হোক সবখানে সবজায়গায়।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪

সোহানী বলেছেন: নারীকে মানুষ হিসেবে সম্মান করাই হোক সবখানে সবজায়গায়।

১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: সবার আগে নিজেকে শুধরাতে হবে, নারী কে সন্মান জানানোর মত সহনশীলতা নিজের মধ্যে সৃষ্টি করতে হবে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

সোহানী বলেছেন: " সবার আগে নিজেকে শুধরাতে হবে, নারী কে সন্মান জানানোর মত সহনশীলতা নিজের মধ্যে সৃষ্টি করতে হবে।"

ধন্যবাদ, সহমত।

১৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আইও কিতা কইতাম,কওনের ভাষা মুইও আরাইয়া লাইছি।

কেন এত রেপ ,কেন এত এত বৈপরিত্য মানুষে মানুষে ( নারী-পুরুষে )?? নর-নারী একজন ছাড়া অপরজন অসম্পূর্ণ তাহলে কেন এই সহিংসতা,কেন সমাজে এত বিভাজন ? আর এ সকল ধর্ষক পুরুষরাত কোন কোন নারীর গর্ভেই জন্মেছে।তাহলে কেন নারীর প্রতি এই সহিংসতা ? এর জন্য কি শুধু পুরুষের মানষিকতাই দায়ী না পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার অভাব,মূল্যবোধের অবক্ষয়,সামাজিক অস্থিরতা না আরো অন্যকিছু দায়ী?এমন অনেক কথাই আসে মনে , কিন্তু জবাব মিলেনা।

তাইত মনে প্রশ্ন জাগে ," নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার - কেন নাহি দিলে অধিকার , হে বিধাতা" !!!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৬

সোহানী বলেছেন: পুরুষের মানষিকতা, পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার অভাব, মূল্যবোধের অবক্ষয়, সামাজিক অস্থিরতা....... সবকিছুই দায়ী।

১৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

জুন বলেছেন: আমিই বা কিতা কইতাম সোহানী #:-S
তবে এই ধারা বিলুপ্ত হওয়ার কোন সমুহ সম্ভাবনা নেই আমার যা ধারণা।
পোস্টে প্লাস রইলো।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৭

সোহানী বলেছেন: আমারো তাই ধারনা, আপুনি। বিলুপ্ততো দূরে থাক এরা আরো ঝাঁকিয়ে বসছে।

১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

আল ইফরান বলেছেন: ব্লগারসহ অধিকাংশ বাংলাদেশী পুরুষের গায়ে সামন্ততান্ত্রিকতার রক্ত।
নারীকে ট্রেড-অফ এবং কন্ট্রোলেবল (এবং ম্যানিপুলেবল) গুডস হিসেবে দেখার চিন্তাধারা থেকে এখনো বের হইতে পারে নাই, আর পারবে না বলেই মনে হচ্ছে।
উপযুক্ত কাজ হচ্ছে ধইরা মাইর দেয়া।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২০

সোহানী বলেছেন: মন্তব্যে সুপার লাইক। আহা, আপনার মতো যদি সবাই একটু ভাবতো তাহলে কত সুন্দর হতো পৃথিবীটা।

১৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: নারী মানেই এক আকাশ আনন্দ । তারা জন্মায়, হাসে, খেলে, খেলায়, নিজেরা পূর্ণ হয়, আনন্দিত করে পুরুষকে । নারীরা কাছে থাকে, বাঁচে ও বাঁচায় । পুরুষকে উজ্জীবিত করে, পুরুষের জীবনে নরম সুগন্ধি ফুল ফোটায়; কিন্তু তারা নিজেরা কখনও ফুরোয় না; ঝরে যায় না ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২০

সোহানী বলেছেন: চমৎকার কথামালা রাজিব নুর ভাই। সুপার লাইক।

২০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আপনার লেখা পড়তে পড়তে কেন যেন 'নারী, নারী' নামে এক আরবী-হিন্দী গানের কথা মনে পড়ে গেলো!!!

পড়া থামিয়ে গানটি অন করে এখন মন্তব্য লিখছি! :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৬

সোহানী বলেছেন: গুড জব! সাথে ইয়া হাবিবী গানটাও শুইনেন...........

২১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কি মাইরটাই না দিলেন!
এরপরও ব্লগের পরিচিত কট্টরপন্থী নারী বিদ্দেশিরাও পানি হইয়া গেছে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৬

সোহানী বলেছেন: জ্বি ভাইজান, কি কমু আর!

২২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৫৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: প্রথম আমেরিকায় আসার পর পর একা একা ঘর থেকে বাইরে যাওয়া বা একা ট্রেনে সবওয়েতে ভীড়ের মধ্যে যাতায়াত করতে খুব আতংকে থাকতাম। শুধু মনে হতো কেউ না গায়ে অবাঞ্চিত যায়গায় হাত দেয়। কিছুদিন পর দেখলাম আমার ধারনা অমূলক ছিলো।

নিউইয়েরক সাবওয়ের ট্রেনে অফিস টাইমে ভীড়ের মধ্যে নির্বিঘ্নে দাঁড়িয়ে থাকতে বা পার্কের বেনচে একা বসে থাকতে কোন রকম রকম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি কখনো। তখন মনে হয় সত্যি সত্যি কোন এক স্বাধীন দেশে বাস করছি।
পৃথিবীর সব দেশের আইন যদি আমেরিকান আইনের মতন মজবুত হতো তবে কোন নারীকে অপদস্থ হতে হোত না।
আমেরিকায়েও মেয়েদের উপর নির্যাতন হয় তবে সংখ্যায় খুবই কম।

ভালো লাগলো সোহানী তোমার লেখাটা ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

সোহানী বলেছেন: আসলে আমাদের সমস্যা আমরা আড়াই ঘন্টার ইংরেজী মুভি দেখেই পশ্চিমা কালচারের সবকিছুর ডিসিশান নিয়ে ফেলি। অথচ আমি বলবো, নারী ধর্ম শিশু এই তিন বিষয়ে সন্মান সবচেয়ে বেশী দেয় পশ্চিমা সমাজ। সবচেযে বেশী সহনশীল ওরা। আমি আমার দেশ কে ভালোবাসি কিন্তু এর মানে এ না যে আমি কোন খারাপ কিছুর সমালোচনা করতে পারবো না।

ধন্যবাদ এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং এর জন্য।

২৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা সবাইকে মানুষ ভাবতে হবে। কে মেয়ে, কে পুরুষ, কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে বড়লোক, কে ছোট লোক এগুলো ভাবলেই সমস্যা বাড়বে বই কমবেনা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪০

সোহানী বলেছেন: আসল মন্ত্রতো এটাই। কিন্তু সবাই কি বুঝে?

২৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: প্রথমে সবাইকে মানুষ ভাবতে হবে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪০

সোহানী বলেছেন: হাঁ, সেটাই আসল কথা।

২৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫২

ডাব্বা বলেছেন: আপনি আপনার লেখায় অনেক কিছুই টাচ করেছেন। ফোকাসটা ধরতে পারছিনা। স্যরি।

আপনি যে প্রশ্নগুলো করেছেন তার একটা বাদে অন্যগুলো ফ্লড। এনগেজড হতে চাচ্ছিনা বলে এড়িয়ে যাচ্ছি। আবারও স্যরি।

অ্যাব্রাহামিক সব ধর্মেই নারীর উপর পুরুষের আপারহ্যান্ড পাবেন। ধর্মে আপারহ্যান্ড শব্দটাকে আমার মৌস্ট মিসইউযড এবং ওভারইউযড মনে হয়।

সংসার ঠিকঠাক রাখাকে কেউ তুচ্ছ কাজ মনে করে রাত দশটা পর্যন্ত চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়ার স্বাধীনতাকে উঁচু স্তরের কাজ ভাবতে পারেন। এই ভাবনাটাও রেলেটিভ। রুই মাছকে আমাদের দেশে অন্য মাছের চাইতে উঁচুস্তরের মাছ হিসেবে দেখা হয়। অথচ টাকি মাছকে রুই/কাতলার চাইতেও দামী গণ্য করে বেশি দামে বিক্রি হয় এমন কমিউনিটিও আছে এই পৃথিবীতে। আমি যেকোনো সময়, যেকোনো দিন ইলিশের চাইতে স্যামন প্রিফার করব। এগুলো রেলেটিভ ব্যাপার। এতে মানুষ ভালো বা মন্দ হয়ে যায় না, তার জেন্ডার যা-ই হোক।

আমি একটা পারস্পেকটিভ ধরে মন্তব্য করলাম।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৪

সোহানী বলেছেন: ফ্লড হতেই পারে তবে কিভাবে আপনার মনে হলো তার ব্যাখ্যা আশা করছি।

সংসার সুখের হয় বা তা ঠিকঠাক রাখার কোন বিষয় মনে হয় আমি আনিনি।

ধন্যবাদ আপনার পারস্পেকটিভ মন্তব্য এর জন্য।

২৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২০

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখা পড়লাম। আমরা বরাবর একট বড়সড় ভুল করি। ইসলাম বলতেই সৌদীর বুঝি, তাদের অনুসরন করতে হবে বুঝি। কিন্তু আদৌ কি আল্লাহ বা তার রাসূল সৌদীদের অনুসরণ করার কথা বলেছে?
আল্লাহ বলেছে নবীকে আর নবী বলেছে সাহাবীদের, ব্যাস, চেইন শেষ।
নারীদের সম্মান আল্লাহ দিয়েছেন। যে বা যারা নারীদের সম্মানহানী করবে সে আল্লাহ দেয়া বিধি বিধান ভঙ্গ করলো।
শেষ বিচারের দিন নারী বা পুরুষ কাউকে আলাদ করে বিচার করা হবে না। হবে একজন মানুষ হিসেবে। যার যার কর্মের ফল সে পাবে। পুরুষ যদি নির্যাতন করে তাহলে তার উপযুক্ত শাস্তি পাবে।

১) আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘আর তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে উত্তম ব্যবহার কর।’ (সূরা আন নিসা: ১৯)
২) স্ত্রীকে ভালোবাসা প্রসঙ্গে হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম যারা তাদের স্ত্রীদের জন্য উত্তম। আর আমি আমার স্ত্রীদের জন্য তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি। ’(তিরমিজি) অন্য হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের অসিয়ত আমার কাছ থেকে গ্রহণ করো।’

কারো ব্যক্তিগত অপকর্মের জন্য ইসলাম কখনও দায়ী হতে পারে না। মুসলিম সমাজ বলতে কাকে বুঝানো হয়েছে সেটা আল্লাহর নবী আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। এবং সেটা বর্তমান সৌদিরা না অবশ্যই!
শুভ কামনা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫০

সোহানী বলেছেন: ইসলাম বলতেই সৌদীর বুঝায এমন কিছু কি আমি কখনো বলেছি বা বলার চেস্টা করেছি?

"যার যার কর্মের ফল সে পাবে। পুরুষ যদি নির্যাতন করে তাহলে তার উপযুক্ত শাস্তি পাবে।"... কিন্তু দুনিয়াটাই যারা নারীদের জন্য নরক বানিয়ে রেখেছে, আমার লিখা তাদের জন্য। এটা ঢালাও কোন অভিযোগ নয়।

আর পুরো লিখায় কোথাও ধর্মকে টানিনি। ওটা আমি পছন্দ করিনা। যিনি লিখাটা লিখেছেন বা তুলনা দেবার চেস্টা করেছেন তাকে ব্যাখ্যা দেবার চেস্টা করেছি।

তবে আবারো বলছি, প্রত্যেকেরই তার নিজস্ব ব্যাখা বা ধ্যান-ধারনা আছে। সবকিছুই সে ব্যাখ্যা করবে তার অর্জিত জ্ঞান দিয়ে।

ধন্যবাদ আকাশ ভাই, ভালো থাকুন।

২৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

যারীন তাসনীম আরিশা বলেছেন: সুন্দর লেখা কিন্তু ভাষা আরো পরিমার্জিত হওয়া উচিত ছিল।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

২৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



যেকোনো ভাবেই হোক সবার “সুমতি” হোক। আপনাকে ২০২১ নববর্ষের শুভেচ্ছা।


৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১

সোহানী বলেছেন: আপনাকে ও ২০২১ নববর্ষের শুভেচ্ছা।

২৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার আবারো চেত উঠছে ভাইজান। আফনি অর্ধেক কতা কইছেন... "নারীদের দূর্গতির লেইগা পুরুষেরা যতোটা দায়ী; এর একটা বড় দায়ভার কিন্তু নারী গো উপ্রেও বর্তায়, পুরুষের সহযোগী নির্যাতনকারী হিসাবে।" কোন কিছুর ব্যাখা না দিয়া কনক্লুসানে আসছেন। না চেইতা কই যামু!!!!!!!!!!!

ব্যাখ্যা দিতে গেলে মন্তব্য বড় হয়া যায়। এদিকে করুণাধারা আপায় আমারে কইছে বেশী কথা না কইতে!! B-) আইচ্ছা.....ব্যাখ্যা দিতাছি।

পুরুষরা যখন নারী নির্যাতন করে, তখন বড় একটা উস্কানী আসে নারী গো থিকাই। অনেক ক্ষেত্রেই এরা নির্যাতনে সহযোগীও হয়। আমাগো দ্যাশে ঘরে ঘরে যে বউ নির্যাতন হয়, এর একটা বড় অংশই হয় শ্বাশুড়িগো প্ররোচনায়। তেমনি অনেক বউ-ই শ্বাশুড়ি নির্যাতন করে, সরাসরি বা স্বামীরে উস্কায়া।

হালের নুসরাত হত্যাকান্ড ইয়াদ আছে? দুইজন ছাত্রী-ই কিন্তু হ্যারে ডাইক্কা ছাদে নিয়া গেছিল। কোন পুরুষ ডাকলে সে যাইতো না। আবার বেশ আগের শারমীন হত্যাকান্ডের কথা কই। খুকু'র ইন্ধণেই কিন্তু মুনীর হ্যারে মারছিলো।

এমন উদাহরন আপনেরে বহুত দিতে পারি। এইজন্যই কইছি, এর একটা বড় দায়ভার কিন্তু নারী গো উপ্রেও বর্তায়, পুরুষের সহযোগী নির্যাতনকারী হিসাবে। আপনে অহন আরো চেইতা গিয়া কইবেন, সব নারীই খারাপ না। অবশ্যই অতি সত্যি কথন; সেইজন্যই খিয়াল করেন, সব দায়ভার না কয়া বড় দায়ভার কইছি!! বিষয়ডা কি কিলিয়ার? চেত কি কমছে অহন?? =p~

করুণাধারা আপার সন্মানে ছোড কইরা কইলাম। :-B

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

সোহানী বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে এটা লিখা নিয়ে আসবো নিশ্চয়। তারপর চেত কমবে :-B

করুণাধারা আপার ঠিক কাজ করে নাই। আপনারে ফাঁকিবাজি শেখাচ্ছে। কিন্তু করুণাধারা আপা কই? অনেকদিন দেখি না!

৩০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছোট আপুমনি ( বড় হওয়ার শম্ভবনা কম) পোষ্টটা একটু একপেশে লাগছে। নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে হয় নাই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

সোহানী বলেছেন: নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে একটি লিখা আশা করছি। ধন্যবাদ

৩১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সৃষ্টির আদি থেকৈ অন্ত
থাকবেই কিছু জন্তু
তাদেরে বানাতে মানুষ
এসেছে ধর্ম হয়নি হুশ!

ধর্মরে করে হাতিয়ার
করেছে চর্চা অধম স্বভাব তার।

হ্যাপি নিউ ইয়ার :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬

সোহানী বলেছেন: চমৎকার কথামালা ভৃগু। কি করবো, চুপ থাকতে ইচ্ছে করে না।

হ্যাপি নিউ ইয়ার!

৩২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮

মিরোরডডল বলেছেন:



জরায়ুর স্বাধীনতা নিয়ে আমি সেই পোষ্টে কিছু লিখেছি সোহানী আপু । তাই আর এখানে রিপিট করলাম না, সময় করে ওখানে পড়তে পারেন । যদিও আমার লেখা উনি আদৌ কতোটা বুঝতে পেড়েছেন আই’ম নট সিওর । মন মানসিকতার পরিবর্তন না হলে, এসব ভুল ধারনা নিয়ে থাকলে , কোনকিছুই চেঞ্জ হবেনা বা হলেও খুব স্লো । যেদিন মানুষের চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আসবে , নারী বলে আলাদা এড্রেস না করে সবাইকে মানুষ বলে করবে সেদিনের অপেক্ষায় আছি । কিন্তু সেইদিন আসতে অনেক দূর ।

আর আমরা যারা পশ্চিমা দেশের মানুষদের খুব কাছ থেকে দেখি তাই জানি, দূর থেকে মানুষ অকারণ ভুল ধারনা পোষণ করে । এরা যে মানুষ হিসেবে কতোটা অসাধারণ মুক্তমনা , কোনও হিপক্রেসি নেই এদের মাঝে , আর তাই এদের আমি অনেকই পছন্দ করি । এদের প্রতিনিয়ত জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে । । নারী পুরুষ নির্বিশেষে একজন মানুষের মানবিকতাটাই সবচেয়ে মুখ্য, আর সবকিছুই গৌণ এটা তাদের কাছ থেকেই শেখা যায় ।




০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৩১

সোহানী বলেছেন: আসলে এরা নারী স্বাধীনতাকে ওপেন রিলেশান এর সাথে গুলিয়ে ফেলেছে। নারী স্বাধীনতা যে কি জিনিস আমার মনে হয় অনেক শিক্ষিত সমাজও বুঝে না। বা বোঝার চেস্টাও করে না। বুঝলেইতো সমস্যা.... ক্ষমতার ভাগ দিতে হবে, কৃতদাস হিসেবে ইউজ করতে পারবে না। তাই নারী স্বাধীনতাকে জড়ায়ুর স্বাধীনতা বলে ভিন্ন দিকে এটিকে প্রবাহিত করার চেস্টা করছে।

হাঁ, ঠিক আমার কথা একই। পশ্চিমা দেশের মানুষদের ওরা যদি দেখতো বা মিশতো তাহলে বুঝতে পারেতো তারা কোন অন্ধকার গুহায় বাস করছে। এক টিকেটে দুই ছবি টাইপের কিছু ইংরেজী মুভি দেখে ওরা ভেবে নিয়েছে সাদা চামড়ার মেয়ে মানেই চাইলেই দৈাড়ে বিছানায় চলে যাবে ..........হাহাহাহা। বেকুব লোকজন।

৩৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



উত্তরাধুনিক নারীবাদের সবচেয়ে বড় বিচ্যুতির কারণ সম্ভবত যৌনতা (sex), অথবা লিঙ্গ (gender)
যা নিজেই নীজ আচরণের মধ্যদিয়ে সামাজিকভাবে কনস্ট্রাকটেড। জড়ায়ুর ধারণাটি আসে জেন্ডার ট্রাবল থেকে।
আমরা যাকে ঐতিহ্যগতভাবে "নারীসুলভ" বলে আসছি তা কেবলমাত্র সমাজে পুরুষসুলভ বলে যা কিছু কনস্ট্রাকটেড
হয়ে আছে তারই প্রতিফলন।
নারীবাদী ধারাগুলো জীববিজ্ঞানগত সেক্স এবং সামাজিকভাবে কনস্ট্রাকটেড জেন্ডারের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করেই চলেছে ।
কেন আমরা ধরে নেই যে বস্তুগত জিনিসগুলো (যেমন আমাদের শরীর) নিজেরাই সামাজিকভাবে কনস্ট্রাকশনের বিষয়ে
পরিণত হতে পারে না। এসেনশিয়ালিজম নামে একটি মতবাদ আছে যাতে যেকোন অস্তিত্ব বা এনটিটির কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য
থাকে যা তার পরিচয় এবং কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় । যদিও জেন্ডারকে সামাজিক বা সোশ্যাল কনস্ট্রাক্ট অথবা সমাজের
তৈরি বলে স্বীকার করে নেয়া হচ্ছে, নারীবাদীরা ধরে নেয় যে এই জেন্ডারকে একইভাবে সবসময় সমাজে তৈরি করা হয়েছে।
নারীর অধীনতার কোন একটি কারণ নেই, বা এর কোন একটি সমাধান নেই: উত্তরাধুনিক নারীবাদ তাই কোন পরিষ্কার সমাধানের পথ না দেয়ার কারণে নীজেই সমালোচিত হয়। এর অর্থ হল আমাদের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনকে বিচার
করে নির্ণয় করা সম্ভব নয় - অর্থাৎ মানুষ ভুক্তভোগী হন এমন বিভিন্ন অপ্রেশন বা শোষণকে ক্রমোচ্চ শ্রেণীবিভাগ করলে তা সাম্রাজ্যবাদী, ঔপনিবেশিকতাদী এবং টোটালাইজিং ধারণার সৃষ্টি করে যা সমগ্র প্রচেষ্টাকেই অকার্যকর করে ফেলে আর এর
শিকাড় হচ্ছেন নারীগন । উপায় একটাই সকল পুরুষ নারী হয়ে যাক আর সকল নারী পুরুষ হয়ে যাক । দেখি তখন কার কওনের ভাষা কি রকম হয় !!!

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৪০

সোহানী বলেছেন: হাঁ একটি সলিউশান হতে পারে যদি সব পুরুষ মানসিকভাবে পুরুষই থাকে কিন্তু শারিরীক ভাবে নারী হয়ে যাবে। কিন্তু সেটাতো হবার নয়। তাই এতো বকবক করতে হয়।

"উত্তরাধুনিক নারীবাদ তাই কোন পরিষ্কার সমাধানের পথ না দেয়ার কারণে নীজেই সমালোচিত হয়।" আমি পুরোপুরি এটা সমর্থন করবো না। যদিও কালচারের ভিন্নতা তারপরও সব দেশেই একই কথা। নারী হবে স্বাধীন তার কাজে, চিন্তায়, পছন্দে, চলনে, ডিসিশানে............। কারো দয়ায় নয়, জোর করে নয়। কিন্তু আমাদের দেশে সম্ভব হচ্ছে না কারন ধর্ম বাঁধা দিচ্ছে, অশিক্ষা-কুশিক্ষা বাঁধা দিচ্ছে, সমাজ বাঁধা দিচ্ছে. কালচার বাঁধা দিচ্ছে। তারপরও চেস্টা চলছে, হয়তো কোন একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।

অনেক ভালো থাকুন, হ্যাপি নিউ ইয়ার।

৩৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: নারীকে যারা মেয়েমানুষ অর্থাৎ নিছক আনন্দের উপকরণ হিসেবে ভাবে আমি তাদের মানুষ বলে ভাবি না। মাঝে মাঝে ভাবি, ব্লগে হয়ত অনেকেই নারী নির্যাতনকারী...

আপনার প্রতিবাদ খুব শক্তিশালী, তবে আমার খুব হতাশ লাগে এমন নীচ ভাবনার মানুষ দেখে...

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৪৬

সোহানী বলেছেন: "মাঝে মাঝে ভাবি, ব্লগে হয়ত অনেকেই নারী নির্যাতনকারী..."

আপুরে মাঝে মাঝে কিছু লিখা বা মন্তব্য দেখে খুব হতাশ হই। আমার এক সময় ধারনা ছিল ব্লগ মানেই সর্বাধুনিক মানসিকতার মানুষ কিন্তু ধীরে ধীরে নিজের ধারনার চিড় ধরছে।

৩৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৩

করুণাধারা বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা। জানি না এবছর ধর্ষণের সংখ্যা কমবে না বাড়বে... :(

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫০

সোহানী বলেছেন: হ্যাপি নিউ ইয়ার আপু।

বাড়ার সম্ভাবনাই বেশী। কারন, অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে। ধনী আরো ধনী হচ্ছে, গরীব আরো গরীব হচ্ছে। তাই অসম সম্পর্ক অত্যাচার আরো বাড়াবে। সেই সাথে ইকোনকিম রিসেশানে দেশের অবস্থা আরো খারাপ হবে। মানুষের অস্থিরতা আরো বাড়বে। আর তাই সব রাগ ক্ষোভ দু:খ ঝাড়ার একমাত্র সোল এজেন্ট নারীরা। ওদেরকে পিটিয়ে ধর্ষন করে পুরুষ শ্রেণী রাগ কমাবে।

৩৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

স্প্যানকড বলেছেন: আশা কম পরিবর্তন এর। নারীর পায়ের তলায় বেহেশত এ ও তো ধর্মে আছে বা শুনি। নারীরা ও নারী মুক্তির নামে কতটা নিজেকে এগিয়ে নিতে পারছে? এখনো সঠিক শিক্ষা বাংলাদেশে আসে নাই। আসবে বলে মনে হয় না। ভবিষ্যৎ আরো খারাপ হবে দেখছি! এভাবে লেখা ছাপা হবে বা আসতে থাকবে আমরা পড়ব বাহবা দিব কাজ হবে এতদূর !পুরুষদের সবার ই সম্মান জিনিস টা মাথায় রাখতে হবে যা মাথায় মগজ শরীর কোথাও তেমন দেখা যায় না। নারীদের ও তেমনি! পুরুষ নির্যাতন এর কথা বলছি। কেন হচ্ছে এমন এ নিয়া কারো তেমন বিষ বেদনা নেই। সবাই সবাইরে নিয়া খুব ব্যস্ত। নিজের উপর আসলেই কথা কই তাও বুঝে শুনে যদি নারী হয়। সকলে মংগল কামনা করছি। সুদিন আসুক দ্রুত

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৪৮

সোহানী বলেছেন: আমনার মন্তব্য পড়ে আবারো মন খারাপ হলো। আমাদের সমস্যা হলো, আমরা আসলেই বুঝি না যে আমাদের কোথাও কোন সন্মান নেই। এতো বেশী আমরা অন্ধ যে তা চোখ খোলাবার মতো কোন অপারেশন নেই দেশে। আপনার মতই বলি, যখন নিজের ঘাড়ে পড়ে তখন লাফালাফি করি আর নিজের অদৃষ্টকে গালি দেই। তারপরও মেরুদন্ড সোব করে বলতে পারি না আমার অধিকারের কথা।

মঙ্গল কামনা করি সবসময়ই কিন্তু এর বেশী করার যে কোন ক্ষমতা নেই।

অনেক ভালো থাকুন। আর অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৩৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:০২

অনল চৌধুরী বলেছেন: ২২ নম্বরে একজন মহিলা ব্লগার সন্ত্রাসী এ্যামেরিকায় বসবাস করে লিখেছেন, আমেরিকায়েও মেয়েদের উপর নির্যাতন হয় তবে সংখ্যায় খুবই কম!!!!!
অথচ একটা শিশুও জানে , সৃষ্টির পর থেকেই গত ২৫০ বছর ধরে এ্যামেরিকা ধর্ষণের পৃথিবীর ১ নম্বর দেশ।
সেইসঙ্গে অন্যান্য অপরাধ ও সহিংসতাতেও প্রথম ৫ টা দেশের মধ্যে আছে।
এ্যামেরিকার সব জরীপই এই তথ্য দিচ্ছে, কিউবা, চীন বা ইরান না।
কেউ সেই দেশে থেকে সুবিধা নিলেই কি সত্যকে অস্বীকার করতে হবে?Top 10 Countries With Highest Rape Crime

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:০৪

সোহানী বলেছেন: জ্বী অনল ব্রাদার, আপনাকেই বলছি! চরম ভুলের জগতে বাস করছেন আপনি।

আপনার লিস্টে ১ম এ আছে আম্রিকা, ৬ এ আছে জার্মান ৭ এ আছে ফ্রান্স আর ৮ এ আছে কানাডা। আপনি কি জানেন রিপোর্টেড রেপ আর আনরিপোর্টেড রেপ কি? বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান এর কয়টা রেপ কেসের রিপোর্ট হয়, কয়টা বাচ্চা মেয়ে বা ছেলে আত্বীয়র দ্বারা এবিউজড্ হয়ে রিপোর্ট করে?? ১% ও না। আর যে ৪টা দেশের নাম বল্লাম সেখানে আমি ফ্রিকোয়েন্টলি ভিজিট করি। তাই সেখানের অবস্থা সরেজমিনে বলতে পারি।

এখানে ভারতের নাম আসছে কারন ভারতের রেপ কেইস নিয়ে এতো বেশী হৈচৈ হয়েছে যে উপরের ৮টা দেশ ভারতে তাদের নাগরিক ভিজিটে রেস্ট্রিকশান আছে। তারপরও ১০০ কোটি লোকের দেশ বলে কিছূটা রিপোর্টে আসছে।

এদিক দিয়ে চীনের অবস্থা ভয়াবহ। কিন্তু কোন রিপোর্ট নাই!! কেন?? কার ঘাড়ে কয়টা মাথা যে রিপোর্ট করবে??

বাংলাদেশ এর অবস্থা জানেন?? রিপোর্টেড রেপ আর আনরিপোর্টেড রেপ কয়টা, একটু খবর নিয়ে জানায়েন। হার্টফেল করবেন আসল তথ্য জানলে! কারন আমাদের সমাজ ব্যবস্থা মেয়েদেরকে আদালত পর্যন্ত পৈাছাতে দেয় না।

আর আম্রিকা, জার্মান, ফ্রান্স, কানাডা তো রেপ তো দূরে থাক সামান্য ধাক্কা দিলেই এরা দৈাড়ে যেয়ে রিপোর্ট করে। তাই ৯৯% এবিউজড্ কেস রিপোর্ট হয়। এবং এর ১০০% বিচার হয়। কারন এখানে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীরে কোর্ট পাত্তা দেয় না। মন্ত্রী বলেন আর যায় বলেন ওরা কেউই বিচারের উর্ধ্বে না।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন উপরের ২২ নং মহিলা ব্লগার সন্ত্রাসী এ্যামেরিকায় বসবাস করে কেন তা লিখেছেন!

৩৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসলে এখানে সৎ অসৎ এর বিষয় নয়। যারা সৎ তারাও যেমন বউ পেটাতে পছন্দ করে আবার অসৎও একই কাজ করে।

আমার তো মনে হয় বৌ পেটানোর মতো স্ত্রীর সাথে চিটিং এবং অন্য নারীদের নির্যাতনও ও বিশাল সমস্যা, যেটা অসৎ ব্যক্তিরাই করে থাকেন। আমার দেশে থাকাকালীন অভিজ্ঞতায় কিছু সহকর্মীকে দেখেছি চরম দুর্নীতিগ্রস্ত কিন্তু স্ত্রীর চোখে একদম দেবতুল্য, কারণ তার আর্থিক সামর্থ্যের কারণে স্ত্রীর সবধরণের শখ পূরণে কার্পণ্য করেন না এই সকল দেবতারা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এদের অনেকেরই অবৈধ আয়ের সাথে সাথে কিছু কু-অভ্যাসও তৈরী হয়, যেমন উপপত্নী, পতিতাগমন, এমনকি নানান মাদকদ্ৰব্যের নেশাতে জড়িয়ে পড়া। এমনকি অনেক দেশের প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তারা নারী পাচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে জড়িত হয়ে পড়েন।

দুর্নীতি ও নারী-পুরুষের অধিকার বৈষম্য নিয়ে নিচের লেখাটি পড়তে পারেন :

দুর্নীতি ও নারী-পুরুষের অধিকার বৈষম্যের সম্পর্ক

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৪৫

সোহানী বলেছেন: অবশ্যই বৌ পেটানোর মতো স্ত্রীর সাথে চিটিং এবং অন্য নারীদের নির্যাতনও ও বিশাল সমস্যা, যেটা অসৎ ব্যক্তিরাই করে থাকেন। অসৎ বলেইতো এ কাজ করে, সৎ হলে নিশ্চয় করতো না। কিন্তু আমার লিখার টোনটা কিছুটা জেনারালাইজড্ । আমি খুব সাধারন নারীদের নিয়ে বলছি। তাদের প্রতি পুরুষ শ্রেনীর চিন্তাভাবনা নিয়ে বলছি।

লিখাটা, পড়ছি। এ নিয়ে লিখা নিয়ে আসবো।

৩৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৮

ডাব্বা বলেছেন: ইন শা আল্লাহ, একটু সময় লাগবে যদিও।
সংসারের উদাহরণগুলো লিটরেলি না ফিগারেটিভলি নিতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকেও।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৪৬

সোহানী বলেছেন: অব্যশই ফিগারেটিভলি।

৪০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৩

কলাবাগান১ বলেছেন: কুয়োর মাঝে থাকা প্রানী কুয়োটা কে ই পুরা পৃথিবী মনে করে। যারা কখনই আমেরিকা/কানাডা কে স্বচক্ষে দেখে নাই, তারাই আবার আমেরিকার/কানাডার সামাজিক সমস্যার 'এক্সপার্ট' হয়ে উঠেন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৪৬

সোহানী বলেছেন: :( :( :( :( .... হয়তো।

৪১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:২৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: প্রমাণ ছাড়া যেমন কাউকে শাস্তি দেয়া যায় না, তেমন গায়েবীভাবে একথা বললেই হবে না যে বাংলাদেশে ধর্ষণ এ্যামেরিকার চেয়ে বেশী। এর প্রমাণ দিতে হবে।
আমি নিজেই অনেক মেয়েকে পেয়েছি, যারাএর শিকার হয়েছে কিন্ত তার প্রতিবাদ করেনি। কিন্ত তারপরও এর সংখ্যা অনেক কম। কারণ এখনো বেশীরভাগ মেয়ে ঘরে থাকে। যাদের পেয়েছি, তাদের প্রায়ং সবাই কর্মস্থলে এঘটনার শিকার হয়েছে। বিশেষ করে হাসপাতালে চাকরী করে বা রাতে কাজ করেন এমন মহিলা চিকিৎসকদের অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন।
এমন একজন মহিলাকেও পেয়েছি, যিনি ফেসবুকে বন্ধুত্বের সূত্রে স্বামী-সন্তানের অনুপস্থিতিতে বন্ধুকে বাড়িতে আমন্ত্রণ করে এর শিকার হয়েছেন।

কিন্ত তারপরও এর সংখ্যা এ্যামেরিকা-্ইউরেোাপের চেয়ে এখনো অনেক কম।
আর না মানলে সেই পুরনো কথা-দেশে আসলে দুইজন মিল তদন্ত করে দেখতে হবে।
আম্রিকা, জার্মান, ফ্রান্স, কানাডা তো রেপ তো দূরে থাক সামান্য ধাক্কা দিলেই এরা দৌড়ে যেয়ে রিপোর্ট করে- এই তথ্যও সম্পূর্ণ ভুল। কারণ অভিোাগ করে কোানে লাভ না হলে সেটা ফাজলামিতে পরিণত হয়। ম্যাডোনা, লেডি গাগা, পামেলা এ্যনআডরসনসহ হলিউডের অনেক বিখ্যাত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন । কিন্ত অপরাধীদের কোনো শাস্তি হয়নি।
ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হওয়ার অগেই ৫০ জনের বেশী নরীকে ধর্ষণ করেছে। ট্রায়াল কক্ষে এক লেখিকাকেও। তার কি কোনো শাস্তি হয়েছে? এ্যামেরিকায় ধর্শণের শাস্তি হাস্যকর। মাত্র ৪-৬ বছরের জেল। সেখানে এটা বড় কোনো অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না।

এখানে এ্যামেরিকার বিশ্বস্ত এক সেবক নোংরা , রুচিহীন মন্তব্য করেছে, যার একমাত্র কাজই রাজিব নূরসহ বিভিন্ন ব্লগার সম্পর্কে জঘণ্য মন্তব্য করা। সে এ্যামেরিকায় ওসি/ডিসিগিরি করে নিজেকে বিরাট কিছু মনে করছে। প্রতিদিন বর্ণবাদী আচরণ , নিগ্গা সম্বোধন-এসবকিছুই কয়েক ডলারে বিনিময়ে তার কাছে মধুর লাগে। ভয়ংকর বর্ণবাদী এ্যামেরিকানরা কালোদের সাথে যে আচরণ করে, বাংলাদেশীদের সাথে তার চেয়ে খুব ভালো আচরণ করে না। তবে অতি চালাক বাংলাদেশীরা বসবাসের সুযোগ হারানোর ভয়ে এসব গোপন করে যায়।
তার জানা উচিত, বাংলাদেশের অনেক লোক এ্যামেরিকায় পড়শোনা করে দেশে ফিরে এসেছে বা ঘৃণার সাথে সেখানে বসবাসের সুযোগ প্রত্যাখান করেছে। আর মূর্খ চোখে দেখে যতোটুকু বোঝে, জ্ঞানী না দেখে তার চেয়ে অনেক বেশী জানে এবং বোঝে
নীচের স্বভাব সবাইকেই তার পর্যায়ে নামানো।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৫৫

সোহানী বলেছেন: ভাইরে আপনার এতো কিছুর উত্তর দিতে হইলে আমারে এর চেয়েও বড় পোস্ট দিতে হইবে। সময় হাতে খুব কম। তারপরও শুধু বলি, দেশে যেমন চাকরী করতাম এখানেও করি। দেশের সন্ধ্যার মাঝে বাড়ি ফিরতাম জীবনভর। কারন ভয়ে!

আর এখানে চাকরীর পর ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরীতে যেতাম। সব কাজ শেষে একা প্রায় রাত ১১-১২ টায় বাসায় ফিরতাম। এবং পাবলিক বাসে। এ পর্যন্ত কেউ ধাক্কাতো দূরে থাক তাকায়নি আমার দিকে। তাই বলে মনে করতে পারেন আমার মতো মধ্য বয়সীর দিকে কে তাকাবে?? ভাইরে, দেশেতো ৭০ বছরের বৃদ্ধাও মাপ পায় না্।

৪২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: প্রমাণ ছাড়া যেমন কাউকে শাস্তি দেয়া যায় না, তেমন গায়েবীভাবে একথা বললেই হবে না যে বাংলাদেশে ধর্ষণ এ্যামেরিকার চেয়ে বেশী। এর প্রমাণ দিতে হবে।
আমি নিজেই অনেক মেয়েকে পেয়েছি, যারা এর শিকার হয়েছে কিন্ত তার প্রতিবাদ করেনি। কিন্ত তারপরও এর সংখ্যা অনেক কম। কারণ এখনো বেশীরভাগ মেয়ে ঘরে থাকে। এ্যামেরিকা-ইউরোপের মেয়েরা বেশীরভাগই যেহেতু কাজ করে, তাই বাইরেই তারা এর শিকার হয় বলে সব জরীপ বলছে।
বাংলাদেশে যাদের পেয়েছি, তাদের প্রায় সবাই কর্মস্থলে এঘটনার শিকার হয়েছে। বিশেষ করে হাসপাতালে চাকরী করে বা রাতে কাজ করেন এমন মহিলা চিকিৎসকদের অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন।
এমন একজন মহিলাকেও পেয়েছি, যিনি ফেসবুকে বন্ধুত্বের সূত্রে স্বামী-সন্তানের অনুপস্থিতিতে বন্ধুকে বাড়িতে আমন্ত্রণ করে এর অত্যাচারিত হয়েছেন।
কিন্ত তারপরও এর সংখ্যা এ্যামেরিকা-্ইউরেোাপের চেয়ে এখনো অনেক কম।
আর না মানলে সেই পুরনো কথা-দেশে আসলে দুইজন মিলে তদন্ত করে দেখতে হবে।
আম্রিকা, জার্মান, ফ্রান্স, কানাডা তো রেপ তো দূরে থাক সামান্য ধাক্কা দিলেই এরা দৌড়ে যেয়ে রিপোর্ট করে- এই তথ্যও সম্পূর্ণ ভুল। কারণ অভিযোগ করে কোানে লাভ না হলে সেটা ফাজলামিতে পরিণত হয়। ম্যাডোনা, লেডি গাগা, পামেলা এ্যান্ডারসনসহ হলিউডের অনেক বিখ্যাত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন । কিন্ত অপরাধীদের কোনো শাস্তি হয়নি।
ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হওয়ার অগেই ৫০ জনের বেশী নরীকে ধর্ষণ করেছে। ট্রায়াল কক্ষে এক লেখিকাকেও। তার কি কোনো শাস্তি হয়েছে? এ্যামেরিকায় ধর্ষণের শাস্তি হাস্যকর। মাত্র ৪-৬ বছরের জেল। সেখানে এটা বড় কোনো অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না।

এখানে এ্যামেরিকার বিশ্বস্ত এক সেবক নোংরা , রুচিহীন মন্তব্য করেছে, যার একমাত্র কাজই রাজিব নূরসহ বিভিন্ন ব্লগার সম্পর্কে জঘণ্য মন্তব্য করা। সে এ্যামেরিকায় ওসি/ডিসিগিরি করে নিজেকে বিরাট কিছু মনে করছে। প্রতিদিন বর্ণবাদী আচরণ , নিগ্গা সম্বোধন-এসবকিছুই কয়েক ডলারে বিনিময়ে তার কাছে মধুর লাগে। ভয়ংকর বর্ণবাদী এ্যামেরিকানরা কালোদের সাথে যে আচরণ করে, বাংলাদেশীদের সাথে তার চেয়ে খুব ভালো আচরণ করে না। তবে অতি চালাক বাংলাদেশীরা বসবাসের সুযোগ হারানোর ভয়ে এসব গোপন করে যায়।

তার জানা উচিত, বাংলাদেশের অনেক লোক এ্যামেরিকায় পড়শোনা করে দেশে ফিরে এসেছে বা ঘৃণার সাথে সেখানে বসবাসের সুযোগ প্রত্যাখান করেছে। আর মূর্খ চোখে দেখে যতোটুকু বোঝে, জ্ঞানী না দেখে তার চেয়ে অনেক বেশী জানে এবং বোঝে
নীচের স্বভাব সবাইকেই তার পর্যায়ে নামানো।
*** প্রথমটা বাদ দেবেন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৫৭

সোহানী বলেছেন: আপনি যাদের উদাহরন দিয়েছেন তা এক পাক্ষিক ছিল না। ম্যাডোনা, লেডি গাগা, পামেলা এ্যান্ডারসনরা কিছু বিনিময় চেয়েছে বলেই এতো ঘটনা ঘটেছে। এটা নিয়ে আমার আগেও পোস্ট আছে। পড়তে পারেন।

৪৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:১৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: তারা মিডিয়ায় আসার আগেই ৫-১৯ বছর বয়সে ট্রাম্পের মতো পেশাদার অপরাধীদের অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন। একথা বলেছি। সেখানে কোনো দেয়া-নেয়ার বিষয় ছিলো না।9 Celebrities Who Have Opened Up About Sexual Assault

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩৭

সোহানী বলেছেন: Thanks for sharing..

৪৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'জরায়ু'র স্বাধীনতা' নিয়ে লেখা সেই পোস্টটা আমার পড়া হয় নাই, এবং সেখানে কে কি মন্তব্য করেছেন, তাও জানা হয় নাই। তবে আমি মনে করি, নারী নির্যাতনকারী কিংবা ধর্ষকামী পুরুষের সংখ্যা সামগ্রিক পুরুষের সংখ্যার তুলনায় খুবই নগণ্য একটি সংখ্যা হবে। কিন্তু কথাগুলো এমনভাবে বলা হয় যে এসব অপরাধ সাধারণভাবে পুরুষ নামের সমার্থক হয়ে দাঁড়ায়। আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে এ সংখ্যাটি আরও কমে যাবে। আর আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। ধর্ষকামী পুরুষ আগেও ছিল, কিন্তু তখনকার সমাজপতিদের কঠোর শাসনের ফলে সহজে কেউ ও পথে পা বাড়াতো না। সবচেয়ে বড় কথা, অপরাধ এবং অপরাধী, দুটোই ঘৃণিত হতো, সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হতো। দিনে দিনে সমাজ যতই পারমিসিভ হয়ে উঠছে, এসব অপরাধের প্রবণতাও ততই বেড়ে চলেছে। এখন আমরা এসব অপরাধকে যেন ঘৃণা করতেও কুন্ঠিত হচ্ছি।
শুধু ইসলাম কেন, অপর কোন ধর্মই ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনকে প্রশ্রয় দেয় বলে আমার জানা নেই। প্রশ্রয় দেয়া দূরে থাক, এসব অপরাধ কোন ধর্মে সহনীয় বলেও স্বীকৃত নয়।
নারীর শারীরিক শক্তি ব্যতিক্রম বাদে পুরুষের চেয়ে কম হতে পারে, কিন্তু প্রকৃত অর্থে নারী পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাবান। নারীর গর্ভ পুরুষ ও নারী উভয়কে ধারণ, বহন ও লালন করে থাকে। সন্তান প্রতিপালনে নারী পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি শ্রম দান করে। নারীর আনুকূল্য, স্নেহ-মমতা, ভালবাসা না পেলে পুরুষের পক্ষে এ দুনিয়াতে বাস করা কিংবা বেড়ে ওঠা সম্ভব হতো না। তাই সকল বয়সের নারীগণ অবশ্যই সম্মানীয়, সমীহযোগ্য। ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৪৪

সোহানী বলেছেন: আপনার মতো যদি সবাই চিন্তা করতো তাহলে নারী অধিকার, নারী নির্যাতন বলে কিছু থাকতো না। কিন্তু হায় ক'জন বোঝে?

আপনি বলেছেন, " আমি মনে করি, নারী নির্যাতনকারী কিংবা ধর্ষকামী পুরুষের সংখ্যা সামগ্রিক পুরুষের সংখ্যার তুলনায় খুবই নগণ্য একটি সংখ্যা হবে।"

আমি জানি না আপনার এ বিষয়ে কাজের কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা? কিন্তু আমার আছে। আমি একসময় জেন্ডার নিয়ে প্রচুর কাজ করেছি। আমি দেখেছি অধিকাংশই নারী নির্যাতক। হয় শারীরিক না হয় মানসিক। যেখানেই কাজ করেছি সেখানের মেয়েগুলো আমার কাছে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তো। এই যে এখন কানাডার মতো দেশে বাস করছি তারপরও দেখছি নির্যাতন। কড়া আইনে শারীরিক নির্যাতন করতে পারে না কিন্তু মানসিক নির্যাতন ঠিকই চলে।

ইসলাম কেন কোন ধর্মই প্রশ্রয় দেয় না। কিন্তু কতজন মানে তা?

৪৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি জানি না আপনার এ বিষয়ে কাজের কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা?" - না, এ বিষয়ে কাজ করার আমার মোটেই কোন অভিজ্ঞতা নেই। আমি শুধু আমার বিশ্বাসটুকুর কথাই বলেছি। আমি বিশ্বাস করতে চাই না যে নগণ্য সংখ্যার চেয়ে অধিক সংখ্যায় পুরুষগণ ধর্ষকামী হতে পারে। তবে বাস্তব পরিস্থিতি আমার বিশ্বাসের চেয়ে ভিন্ন হতে পারে, অবশ্যই পারে। আর আপনার যেহেতু এ নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, হাতে পরিসংখ্যান আছে, সেহেতু আপনি হয়তো ঠিকই বলেছেন। হতে পারে আপনারটা বিজ্ঞান, আমারটা কবিতা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৯

সোহানী বলেছেন: প্রিয় খায়রুল ভাই, এদেশের প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে যেসব মেয়েরা চাকরী করে তারা জানে তারা কিরকম প্রতিকূলতার মাঝে কাজ করে। অফিসিয়াল প্রতিকূলতার নারী পুরুষ সবার জন্যই আছে তবে নারীদের তার বাইরে অনেক অনেক বেশী সহ্য করতে হয়। এবং সাথে পারিবারিকভাবেও। তাই তাদের স্ট্রাগলটা অনেক অনেক বেশী।

৪৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৯

মেহবুবা বলেছেন: অনেকটা সময় নিয়ে পড়লাম, মন্তব্য পড়ে এবং অনেকের যুক্তি দেখে মনে হোল সবখানে একই চিত্র ।
রাজীব নূরের মন্তব্য পড়ে মনে হোল এটাই বলতে চাইছিলাম আমি।

তোমার লেখায় যা আছে সেটা তো চারিপাশের ছবি, তবে দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিক গড়নের বিবেচনায় কত ধরনের মন্তব্য আসছে ।
একবার একটা আলোচনায় বলেছিলাম, পুরুষ পতিতালয়ে গেল এবং টাকা খরচ করলো নিজের ।
যে নারী তাকে সঙ্গ দিল সে টাকা পেল এবং অনেক ক্ষেত্রে এই টাকার ব্যবহারের নমুনা শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসানের একটা পোষ্টে আছে, যেখানে রাশিয়ার এক মায়ের সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া এবং ফিরে না আসায় ঘরবন্দি বাচ্চাদের করুন পরিণতির কথা আছে।

পৃথিবীতে ভাল মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাক্, অন্যায় অন্ধকার দূর হয়ে যাক।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩২

সোহানী বলেছেন: আসলে নারীদের এ দূর্বস্থতা প্রথিবীর সব দেশেই আছে। শুধু ভিন্ন ভিন্ন চেহারায়। আমাদের দেশের মেয়েরা এক ধরনের স্ট্রাগল করে ঠিক উন্নত দেশগুলোতে করে আরেক রকম ভাবে। কিন্তু সে স্ট্রাগলটা আছেই। তাই বলে ছেলেরা করে না, তা নয়। তবে মেয়েদের বেশীরভাগ স্ট্রাগলই ছেলেদের চাপানো বা তাদের তৈরী।

অনেক ভালো থাকুন।

৪৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩২

স্প্যানকড বলেছেন: শোনেন পবিত্র কোরানে আছে " নারীরা শস্যক্ষেত্র তোমরা যেদিক দিয়ে খুশি গমন কর ! " এমন ই হয়তো ভুল হলে আল্লাহ ক্ষমা কইর। তো মোল্লা সম্প্রদায় যখন ইহা পড়ে তখন কি সব চিত্র দেখে তা বললাম না। তখন নারীর পদতলে জান্নাত! ভুলে বসে। বর্তমানে যৌনতা ব্যাপার টা পান্তা ভাত! ঘরে ঘরে কামসুত্র বিদ্যা সকলের মুখস্ত যতটা না নারীদের সম্মান করার বিষয় টা। আবার অনেক নারী এইটাই মাইনা নিছে। আমাদের নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন এত চেতনা তাঁর। তিনিও শিবের লিংগে জল ঢালে! সো কিচ্ছু করার নেই সব ই নোংরা জলে ডুবে গেছে বা ডুবতে ভালোবাসে এইটুকুই বলব। ভালো থাকবেন আর চ্যাইতা নিজের বি পি বাড়ায়েন না বি কুল সিস্টার !

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৮

সোহানী বলেছেন: চমৎকার কিছু কথা কিন্তু বেশী আলোচনায় আসলাম না। কারন এ নিয়ে একটা পোস্ট নিয়ে আসবো শীঘ্রই।

অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.